Type Here to Get Search Results !

মাধ্যমিক ভূগোল – "বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ" (প্রথম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Chapter 1 Question and Answer WBBSE

দশম শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন – বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ / Bohirjato Prokriya o Tader dara Sristo Vumirup – সমস্ত প্রশ্ন উত্তর | বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ / Bohirjato Prokriya o Tader dara Sristo Vumirup অধ্যায়ের সাজেশন প্রশ্ন উত্তর |  WBBSE Class 10 Madhyamik Geography Chapter 1 Question and Answer | WBBSE Class 10th Geography Suggestion PDF | Madhyamik Geography Suggestion Chapter 1 | বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ / Bohirjato Prokriya o Tader dara Sristo Vumirup (প্রথম অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর

West Bengal  Madhyamik Geography Solution Chapter 1

West Bengal  Board Madhyamik Geography (ভূগোল) Textbook Solution Chapter 1 বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ / Bohirjato Prokriya o Tader dara Sristho Bhumirup Question Answers by WBBSE Expert Teacher. West Bengal Board Madhyamik Geography Solution Chapter 1.

500+ দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর / বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ / Bohirjato Prokriya o Tader dara Sristho Bhumirup (প্রথম অধ্যায়) MCQ, সংক্ষিপ্ত, অতি সংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর | দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – West Bengal Class 10th Geography Question and Answer

হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছো তোমরা ? আশাকরি তোমরা খুব ভালো আছো । আজকে আমরা আলোচনা করবো তোমাদের দশম  ক্লাসের প্রথম অধ্যায় বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ প্রশ্ন ও উত্তর সম্পর্কে । এই প্রথম অধ্যায়টি তোমাদের পরীক্ষার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ তাই প্রথম অধ্যায় এর বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ প্রশ্ন ও উত্তর বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আমরা এই লিখাটির মাধ্যমে দশম  শ্রেণীর  প্রথম অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর, এই বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ প্রশ্ন ও উত্তর অধ্যায়ের সাজেশন , কিকরে এই অধ্যায় থেকে উত্তর লিখতে হয়। দশম  শ্রেণীর বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ প্রশ্ন ও উত্তর অধ্যায় থেকে কিভাবে পড়বে সবকিছুই আলোচনা করবো। 

দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | WBBSE Class 10th Geography Question and Answer / দশম শ্রেণীর ভূগোল – বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ / Bohirjato Prokriya o Tader dara Sristho Bhumirup (প্রথম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Class 10 Geography / দশম শ্রেণীর ভূগোল – প্রথম অধ্যায় "বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ / Bohirjato Prokriya o Tader dara Sristho Bhumirup" প্রশ্ন ও উত্তর | WBBSE Class 10th Geography Question and Answer / মাধ্যমিক শ্রেণির ভূগোল (প্রথম অধ্যায়) বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ / Bohirjato Prokriya o Tader dara Sristho Bhumirup প্রশ্ন উত্তর (MCQ, SAQ, LAQ)/Class 10 geography first chapter questions and Answers (MCQ, SAQ, LAQ) / মাধ্যমিক শ্রেণির আমাদের পৃথিবী প্রথম অধ্যায় বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ / Bohirjato Prokriya o Tader dara Sristho Bhumirup | Class Ten Amader Prithibi / দশম শ্রেণীর ভূগোল – বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ / Bohirjato Prokriya o Tader dara Sristho Bhumirup (প্রথম অধ্যায়)

বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ / Bohirjato Prokriya o Tader dara Sristo Vumirup (প্রথম অধ্যায়) MCQ, সংক্ষিপ্ত, অতি সংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর | দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – West Bengal Class 10th Geography Question and Answer 
মাধ্যমিক ভূগোল – "বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ" (প্রথম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Chapter 1 Question and Answer WBBSE

দশম শ্রেণীর ভূগোল All Chapters | মাধ্যমিক ভূগোল সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর । Class 10 Geography All Chapter | Class Ten Geography All Chapter 

প্রাকৃতিক ভূগোল 
  1. মাধ্যমিক ভূগোল - বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ (প্রথম অধ্যায়) Click Here 
  2. মাধ্যমিক ভূগোল - বায়ুমণ্ডল (দ্বিতীয় অধ্যায়) Click Here
  3. মাধ্যমিক ভূগোল - বারিমন্ডল (তৃতীয় অধ্যায়) Click Here
  4. মাধ্যমিক ভূগোল - বর্জ্য ব্যবস্থাপনা (চতুর্থ অধ্যায়)  Click Here
[5] ভারতের ভূগোল ও অর্থনৈতিক ভূগোল
  • মাধ্যমিক ভূগোল - ভারত : ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ  /  ভারতের প্রাকৃতিক পরিবেশ Click Here
  • মাধ্যমিক ভূগোল - ভারত : ভারতের অর্থনৈতিক বিভাগ / ভারতের অর্থনৈতিক পরিবেশ Click Here
6.    মাধ্যমিক ভূগোল - উপগ্রহ ও ভূ – বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র (ষষ্ঠ অধ্যায়) Click Here

*** মাধ্যমিক ভূগোল - মানচিত্র ভূগোল – মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন 2025/2026/2027/2028/2029/2030  Click Here

দশম শ্রেণীর ভূগোল – বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ / Bohirjato Prokriya o Tader dara Sristo Vumirup (প্রথম অধ্যায়) সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো । WBBSE Class 10th Geography 1st Chapter MCQ Questions and Answers

সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো | MCQ Questions and Answers (Class Ten geography first chapter)

সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো ; প্রতিটি প্রশ্নের মান -১

১. শুষ্ক অঞ্চলে কোমল শিলার ওপর গঠিত নদী উপত্যকা যে নামে পরিচিত
a. গিরিখাত
b. ক্যানিয়ন
c. ‘v’ আকৃতির উপত্যকা
d. ক্রেভাস
উত্তরঃ-   b. ক্যানিয়ন

২. পার্বত্য প্রবাহে নদীর দুপাশে যেসব সমান বা অসমান ধাপের মতো অল্প বিস্তৃত ভুভাগের সৃষ্টি হয়, তাকে বলে
a. নদীমঞ্চ
b. স্বাভাবিক বাঁধ
c. খরস্রোত
d. কর্তিত স্পার
উত্তরঃ-   a. নদীমঞ্চ

৩.  অতি-গভীর V আকৃতির উপত্যকাকে বলে
a. গিরিখাত
b. ক্যানিয়ন 
c. কর্তিত স্পার
d. প্লাঞ্জপুল
উত্তরঃ-   a. গিরিখাত

৪.  মন্থকূপ সৃষ্টি হয় যার ক্ষয়কার্যের ফলে-
a. নদী
b. বায়ু
c. হিমবাহের
d. সমুদ্রতরঙ্গের
উত্তরঃ-   a. নদী

৫. পৃথিবীর উচ্চতম জলপ্রপাত হল-
a. ভেনেজুয়েলার অ্যাঞ্জেল
b. আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের নায়াগ্রা
c. ভারতের যোগ জলপ্রপাত
d. আফ্রিকার ভিক্টোরিয়া
উত্তরঃ-   a. ভেনেজুয়েলার অ্যাঞ্জেল

৬.  পৃথিবীর দীর্ঘতম নদী
a. মিসিসিপি-মিসৌরি 
b. নীলনদ
c. ইয়াংসি-কিয়াং
d. গঙ্গা
উত্তরঃ-   b. নীলনদ

৭.  ইংরেজি ‘I’আকৃতির নদী উপত্যকাকে বলে
a. গিরিখাত
b. ক্যানিয়ন
c. পিরামিড চূড়া
d. হিমদ্রোণি
উত্তরঃ-   b. ক্যানিয়ন

৮. পলি শুষ্ক গঠিত হয় নদীর
a. পার্বত্য গতিতে
b. বদ্বীপ গতিতে
c. উচ্চ ও মধ্য গতির সংযোগস্থলে
d. হিমবাহের উপত্যকা প্রবাহে
উত্তরঃ-   c. উচ্চ ও মধ্য গতির সংযোগস্থলে

৯. পলল শঙ্কু দেখা যায়-
a. পর্বতের উচ্চভাগে
b. পর্বতের পাদদেশে
c. বদ্বীপ অঞ্চলে
d. নদীর মধ্যপ্রবাহে
উত্তরঃ-   b. পর্বতের পাদদেশে

১০.  যেসব নদী মূল নদীতে এসে পড়ে, তাদের বলে-
a. শাখানদী
b. উপনদী
c. অপ্রধান নদী
d. ছোটো নদী
উত্তরঃ-   b. উপনদী

১১. পৃথিবীর বৃহত্তম নদী আববাহিকা হল-
a. গঙ্গা
b. কঙ্গো
c. আমাজন
d. নীলনদের অববাহিকা
উত্তরঃ-   c. আমাজন

১২.  পৃথিবীর বৃহত্তম নদিগঠিত দ্বীপ হল
a. মারিয়ানা
b. মারাজো
c. সাগরদ্বীপ
d. মাজুলি
উত্তরঃ-   d. মাজুলি

১৩. কঠিন শিলাযুক্ত অঞ্চলে কম ঢালযুক্ত ছোটো ছোটো জলপ্রপাতকে বলে-
a. ক্যাটারাক্ট
b. কাসফেড
c. র‍্যাপিড
d. জলস্রোত
উত্তরঃ-   c. র‍্যাপিড

১৪.  একটি বহির্জাত ভূগাঠনিক পদ্ধতি হল-
a. লাভা উদ্‌গিরণ
b. ভঙ্গিল পর্বত সৃষ্টি
c. স্তূপ পর্বত নির্মান
d. নদীর ক্ষয়কার্য
উত্তরঃ-   d. নদীর ক্ষয়কার্য

১৫. নদীর কোনো নির্দিষ্ট অংশ দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে কত জল বয়ে গেলে তাকে 1 কিউসেক বলে ?
a. 1 ঘন মিটার
b. 1 ঘন ফুট
c. 1  ঘন ইঞ্চি
d. 1 ঘন সেন্টিমিটার
উত্তরঃ-   a. 1 ঘন মিটার

১৬.  পৃথিবীর বৃহত্তম গিরিখাত-
a. ইচাং
b. কলোরাডো
c. শিয়ক
d. গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন
উত্তরঃ-   d. গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন

১৭.  পৃথিবীর বৃহত্তম জলপ্রপাত-
a. স্যাবেদন
b. যোগ 
c. নায়াগ্রা
d. স্ট্যানলি
উত্তরঃ-   c. নায়াগ্রা

১৮.  অবতল পাড়ের দিকে খাতের গভীর অংশ জলপুর্ন হলে তাকে বলে-
a. রিফিল
b. প্ল্যাঞ্জপুল
c. পুল
d. থলওয়েগ
উত্তরঃ-   c. পুল

১৯.  বহির্জাত প্রক্রিয়াকে সামগ্রিকভাবে ঘটে-
a. পর্যায়ন
b. ভূমি সঞ্চয়
c. ভূমির ক্ষয়
d. ভূমির সঞ্চয়
উত্তরঃ-   a. পর্যায়ন

২০.  সুন্দরবনের দ্বীপগুলি ধীরে ধীরে ডুবে যাওয়ার মূল কারন-
a. অত্যধিক বৃষ্টিপাত
b. ঘূর্নিঝর
c. সমুদ্র জলতলের উত্থান
d. সুন্দরবনের অবনমন
উত্তরঃ-   c. সমুদ্র জলতলের উত্থান

২১.  বর্তমানে প্রতি বছর সমুদ্র জলতল বাড়ছে গড়ে-
a. 3 মিমি
b. 4 মিমি
c. 5 মিমি
d. 6 মিমি
উত্তরঃ-   c. 5 মিমি

২২.  হিমবাহের সঞ্চয়কার্যের ফলে প্রান্ত গ্রাবরেখার সৃষ্ট ত্রিকোণাকার ভূমিকে বলে-
a. পলল ব্যজনি
b. কেম
c. বদ্বীপ
c. প্লাবনভুমি
উত্তরঃ-   b. কেম

২৩. সমুদ্রোপকূলে অবস্থিত হিমবাহ উপত্যকাকে বলে-
a. হিমদ্রোণি
b. ঝুলন্ত উপত্যকা
c. ফিয়র্ড
d. করি
উত্তরঃ-   c. ফিয়র্ড

২৪.  ঝুলন্ত উপত্যকায় সৃষ্টি হয়-
a. জলপ্রপাত
b. হিমানী সম্প্রপাত
c. গিরিখাত
d. ক্রেভাস
উত্তরঃ-   a. জলপ্রপাত

২৫.  হিমবাহের সঞ্চয়ের ফলে সৃষ্ট পদার্থগুলিকে বলে-
a. হিমরেখা
b. গ্রাবরেখা
c. গিরিখাত
d. হিমদ্রোনি
উত্তরঃ-   b. গ্রাবরেখা

২৬. হিমবাহ উপত্যকায় আকৃতি ইংরেজি যে অক্ষরের মতো হয়, সেটি হল-
a. I
b. U
c. V
d. K
উত্তরঃ-   b. U

২৭.  বিগত শতাব্দীতে সনুদ্র জলতলের বৃদ্ধির হার ছিল বছরে-
a. 3 মিমি
b. 4 মিমি
c. 5 মিমি
d. 6 মিমি
উত্তরঃ-   a. 3 মিমি

২৮.  দক্ষিনতালপট্টি দ্বীপটি বর্তমানে-
a. ভারতের
b. বাংলাদেশের
c. মায়ানমারের
d. কারোর নয়
উত্তরঃ-   a. ভারতের

২৯. নিউমুর দ্বীপটি জলমগ্ন শুরু করে যে ঘূর্নিঝর থেকে-
a. ভোলা
b. আয়লা
c. হুদহুদ
d. ফাইলিন
উত্তরঃ-   a. ভোলা

৩০.  পর্বতের গায়ে যে সীমারেখার ওপর সারাবছর বরফ জমে থাকে, তাকে বলে-
a. হিমরেখা
b. হিমবাহ
c. হিমশৈল
d. ব্লো আউট
উত্তরঃ-   a. হিমরেখা

৩১. রসে মতানে যে ক্ষয়ের ফলে সৃষ্টি হয়-
a. নদী ও বায়ুর মিলিত
b. বাতাসের
c. নদীর
d. হিমবাহের
উত্তরঃ-   d. হিমবাহের

৩২.  হিমবাহ দ্বারা ক্ষয়প্রাপ্ত দুদিক মসৃণ খাড়া ঢিপিকে বলে-
a. তিমিপৃষ্ঠ
b. প্রস্তরখাত
c. ফিয়র্ড
d. বার্গস্রুন্ড
উত্তরঃ-   a. তিমিপৃষ্ঠ

৩৩.  হিমবাহের ক্ষয়চক্রের ফলে হিমবাহ উপত্যকায় যেসব অসমান ধাপের সৃষ্টি হয় তাকে বলে-
a. হিমসিঁড়ি
b. প্রস্তরখাত
c. রসে মতানে 
d. নদীমঞ্চ
উত্তরঃ-   a. হিমসিঁড়ি

৩৪. মহাদেশীয় হিমবাহের মধ্যে বরফযুক্ত উচ্চভুমির চূড়াকে বলে-
a. স্নো আউট
b. লোব
c. এরিটি
d. নুনাটক
উত্তরঃ-   d. নুনাটক

৩৫.  ভারতের বৃহত্তম হিমবাহ-
a. গঙ্গোত্রী
b. সিয়াচেন
c. হুবার্ড
d. যমুনোত্রী
উত্তরঃ-   b. সিয়াচেন

৩৬. দুটি সার্কের সংযোগস্থল বরাবর গঠিত হয়-
a. রসে মতানে
b. এরিটি
c. পিরামিড চূড়া
d. এসকার
উত্তরঃ-   b. এরিটি

৩৭. হিমবাহের ক্ষয়চক্রের ফলে সৃষ্ট গর্তকে বলে-
a. প্রস্তরখাত বা আবর্তরেখা
b. কর্তিত স্পার
c. প্যাটারনস্টার হ্রদ
d. প্লায়া
উত্তরঃ-   a. প্রস্তরখাত বা আবর্তরেখা
 
৩৮. হিমশৈল জলের ওপর ভেসে থাকে-
a.  অংশ
b.  অংশ
c.  অংশ
d. 9 অংশ
উত্তরঃ-   c.  অংশ

৩৯. হিমবাহ যে কারনে প্রবাহিত হয় তা হল-
a. হিমরাশির ভারে
b. দিক বিক্ষেপক শক্তির টানে
c. মধ্যাকর্ষন শক্তির টানে
d. ভূমির ঢালের জন্য
উত্তরঃ-   c. মধ্যাকর্ষন শক্তির টানে

৪০.  মহাদেশীয় হিমবাহ দেখা যায়-
a. হিমালয় পর্বতে
b. আল্পস পর্বতে
c. আন্দিজ পর্বতে
d. আন্টার্কটিকায়
উত্তরঃ-   d. আন্টার্কটিকায়

৪১. একটি পিরামিড চূড়া-
a. আল্পসের মঁ ব্ল
b. ম্যাটারহর্ন
c. মাউন্ট কিবলে
d. কাঞ্চনজঙ্ঘা
উত্তরঃ-   b. ম্যাটারহর্ন

৪২. হিমদ্রোনিগুলিকে ওয়েলস বলে-
a. করি
b. সার্ক
c. ক্যুম
d. কাব
উত্তরঃ-   a. করি

৪৩.  পৃথিবীর গভীরতম ফিয়র্ড হল-
a. ফিনল্যান্ডের ফিয়র্ড
b. গাইরেঞ্জার ফিয়র্ড
c. নরওয়ের সোভনে ফিয়র্ড
d. আন্টার্কটিকার ফিয়র্ড
উত্তরঃ-   c. নরওয়ের সোভনে ফিয়র্ড

৪৪.  বায়ু ও ক্ষণস্থায়ী নদীর যে কার্যের ফলে সৃষ্টি হয় পেডিমেন্ট-
a. ক্ষয়কার্যের
b. বহনকার্যের
c. সঞ্চয়কার্যের
d. উভয় কার্যের
উত্তরঃ-   a. ক্ষয়কার্যের

৪৫.  যে হ্রদের জল লবণাক্ত হয়-
a. প্লায়া হ্রদ
b. অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ
c. করি হ্রদ
d. জ্বালামুখ হ্রদ
উত্তরঃ-   a. প্লায়া হ্রদ

৪৬.  প্রায়-সমতল মরুভূমির মধ্যে বিক্ষিপ্তভাবে দাঁড়িয়ে থাকা কঠিন শিলার টিলাগুলিকে বলে-
a. মোনাডনক
b. ইনসেলবার্গ
c. ড্রামলিন
d. বাজাদা
উত্তরঃ-   b. ইনসেলবার্গ

৪৭. প্রবহমান বায়ুর গতিপথের সঙ্গে সমান্তরালভাবে গড়ে ওঠা বালিয়াড়িকে বলে-
a. তির্যক বালিয়াড়ি
b. অনুদৈর্ঘ বালিয়াড়ি
c. ভ্রাম্যমান বালিয়াড়ি
d. তিমিপৃষ্ঠ বালিয়াড়ি
উত্তরঃ-   b. অনুদৈর্ঘ বালিয়াড়ি

৪৮. সমুদ্র ভাসমান বিশাল হিমবাহকে বলে-
a. হিমপৃষ্ঠ
b. হিমশৈল
c. হিমপ্রাচীর
d. হিমপর্বত
উত্তরঃ-   b. হিমশৈল

৪৯. হিমবাহের ওপরের পৃষ্ঠের ফাটলগুলিকে বলা হয়-
a. বার্গস্রুড
b. হিমসিঁড়ি
c. ক্রেভাস
d. পরিখা
উত্তরঃ-   c. ক্রেভাস

৫০. রাজস্থানের মরু অঞ্চলের চলমান বালিয়াড়িগুলিকে বলে-
a. ধ্রিয়ান     
b. ধান্দ
c. বারখান
d. বালিয়াড়ি
উত্তরঃ-   a. ধ্রিয়ান      

৫১.  তির্ষক বালিয়াড়িকে বলে-
a. সিফ
b. বারখান
c. লোয়েস
d. ব্লো আউট
উত্তরঃ-   b. বারখান

৫২.  বায়ুর সঞ্চয়ের ফলে সৃষ্ট সমভূমিকে বলে-
a. প্লাবনভূমি
b. লোয়েস সমভূমি
c. বহিঃবিধৌত সমভূমি
d. বদ্বীপ সমভূমি
উত্তরঃ-   b. লোয়েস সমভূমি

৫৩.  গৌর ভূমিরূপটি গঠিত হয়-
a. নদীর দ্বারা
b. হিমবাহের দ্বারা
c. বায়ুর দ্বারা
d. সমুদ্রতরঙ্গের দ্বারা
উত্তরঃ-   c. বায়ুর দ্বারা

৫৪. মরু অঞ্চলে বায়ুর অপসারণের ফলে সৃষ্ট অবনমিত গহ্বরকে বলে-
a. ধান্দ
b. মরূদ্যান
c. কাতারা
d. আর্গ
উত্তরঃ-   a. ধান্দ

৫৫. মেসা আরো সরে গিয়ে তৈরি হয়-
a. জিউগেন
b. বিউটি
c. ইনসেলবার্গ
d. ইয়ারদাং
উত্তরঃ-   b. বিউটি

৫৬.  দ্রাস বালিয়াড়ি দেখতে অনেকটা-
a. তিমি মাছের পিঠের মতো
b. পিরামিডের মতো
c. তারামাছের মতো
d. চিংরিমাছের মতো
উত্তরঃ-   a. তিমি মাছের পিঠের মতো

৫৭.  মরুভূমি অঞ্চলে শুষ্ক নদীখাতকে বলে-
a. বাজাদা
b. প্লায়া
c. লোব 
d. ওয়াদি
উত্তরঃ-   d. ওয়াদি

৫৮. ফ্রান্সে লোয়েস সমভূমিকে বলে-
a. লিফোঁ
b. অ্যাডোব
c. রঁদ্য
d. বেলজম
উত্তরঃ-   a. লিফোঁ

৫৯. একাধিক বারখান পরস্পর যুক্ত হয়ে যে বালিয়াড়ির সৃষ্টি হয় তাকে বলে-
a. অ্যাকলে
b. সিফ
c. রোর্ডস বালিয়াড়ি
d. ওয়াদি
উত্তরঃ-   a. অ্যাকলে

৬০.  বায়ুর কাজকে সম্মিলিতভাবে বলা হয়-
a. এয়োলিয়ান প্রক্রিয়া
b. পর্যায়ন প্রক্রিয়া
c. ক্ষয়কার্য প্রক্রিয়া
d. বায়বীয় প্রক্রিয়া
উত্তরঃ-   a. এয়োলিয়ান প্রক্রিয়া

৬১.  মরুস্থলী কথার অর্থ-
a. মৃতের দেশ
b. বৃষ্টিহীন অঞ্চল
c. বৃষ্টিবহুল অঞ্চল
d. উটের দেশ
উত্তরঃ-   a. মৃতের দেশ

৬২.  একটি তলযুক্ত প্রস্তর খণ্ডকে বলা হয়-
a. ড্রেইকান্টার
b. ট্রাইকান্টার
c. জুকান্টার
d. আইকান্টার
উত্তরঃ-   d. আইকান্টার

৬৩.  ইয়ারদাং ভূমিরূপ দেখা যায়-
a. শুষ্ক 
b. আর্দ্র
c. নাতিশীতোষ্ণ
d. হিম অঞ্চলে
উত্তরঃ-   a. শুষ্ক 

৬৪.  সমপ্রায় ভূমিতে অবস্থিত গোলাকার অনুচ্চ টিলাকে বলা হয়-
a. মোনাডনক
b. গৌর
c. ইয়ারদাং
d. ঢিল
উত্তরঃ-   a. মোনাডনক

৬৫.  পাথরযুক্ত অসমান মরুভূমিকে বলে-
a. হামাদা
b. বাজাদা
c. রেগ
d. ধ্রিয়ান
উত্তরঃ-   a. হামাদা

৬৬. লবণযুক্ত শিলাস্তরের ওপর নদীর প্রধান ক্ষয়প্রক্রিয়াটি হল—
(ক) অবঘর্ষ ক্ষয়
(খ) ঘর্ষণ ক্ষয়
(গ) জলপ্রবাহ ক্ষয়
(ঘ) দ্রবণ ক্ষয়

৬৭. পাখির পায়ের মতো আকৃতির বদ্বীপ দেখা যায় -
(ক) নীলনদের মোহনায় 
(খ) ব্রহ্মপুত্র নদের মোহনায়
(গ) গঙ্গানদীর মোহনায়
(ঘ) মিসিসিপি-মিসৌরী নদীর মোহনায়

৬৮. নদীর পার্শ্বক্ষয়ের ফলে-
(ক) 'I'
(খ) 'V'
(গ) 'U'
(ঘ) ডেল্টা বা '∆' আকৃতির উপত্যকা সৃষ্টি হয়

৬৯. মন্থকূপ সৃষ্টি হয়—
(ক) নদী
(খ) বায়ু
(গ) হিমবাহ
(ঘ) সমুদ্রস্রোতের ক্ষয়কাজের ফলে

৭০. গৌর গঠিত হয়, বায়ুর-
a. অবনমন
b. ঘর্ষন
c. অবঘর্ষ
d. জলপ্রবাহের ক্ষয়ের দ্বারা
উত্তরঃ-   c. অবঘর্ষ

৭১.  ভেন্টিফ্যাক্ট গঠিত হয়-
a. বায়ুর ক্ষয়ের ফলে
b. নদীর ক্ষয়ের ফলে
c. হিমবাহের ক্ষয়ের ফলে
d. সনুদ্রের ক্ষয়ের ফলে
উত্তরঃ-   a. বায়ুর ক্ষয়ের ফলে

৭২.  পৃথিবীর একটি অদৃশ্য দ্বীপ হল-
a. ঘোড়ামারা
b. সাগরদ্বীপ
c. সন্দেশখালী
d. নয়াচর
উত্তরঃ-   a. ঘোড়ামারা

৭৩. যে প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তি ভূপৃষ্ঠের ওপর কাজ করে ভূমিরূপের পরিবর্তন ঘটায়, তাকে বলে
(ক) বহির্জাত প্রক্রিয়া
(খ) অন্তর্জাত প্রক্রিয়া
(গ) গিরিজনী আলোড়ন 
(ঘ) মহিভাবক আলোড়ন 

৭৪. সমুদ্রে ভাসমান বিশালাকৃতি হিমবাহকে বলা হয়—
(ক) হিমপ্রাচীর
(খ) হিমদ্রোণি
(গ) হিমস্তূপ
(ঘ) হিমশৈল

৭৫.  তির্যক বালিয়াড়িকে বলে—
(ক) সিফ্
(খ) বার্খান
(গ) প্লায়া
(ঘ) লোয়েস

৭৬. লোহাচড়া দ্বীপ অবস্থিত-
(ক) বাংলাদেশে
(খ) পশ্চিমবঙ্গে
(গ) ওড়িশায়
(ঘ) মায়ানমারে

৭৭. যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ক্ষয়, বহন ও সঞ্চয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য তৈরি হয় তা হল-
(A) পর্যায়ন
(B) অবরোহন
(C) আবহবিকার
(D) নগ্নিভবন
উত্তরঃ-   (A) পর্যায়ন

৭৮. বহির্জাত শক্তি নয় এমন একটি শক্তি হলো-
(A) নদী প্রবাহ
(B) অগ্ন্যুদগম
(C) বায়ুপ্রবাহ
(D) সমুদ্র তরঙ্গ
উত্তরঃ-   (B) অগ্ন্যুদগম

৭৯. একটি অন্তর্জাত প্রক্রিয়া হলো-
(A) পাত সঞ্চালন
(B) আবহবিকার
(C) সমুদ্র তরঙ্গ কার্য
(D) হিমবাহ ক্ষয়
উত্তরঃ-   (A) পাত সঞ্চালন

৮০. ক্ষয়জাত পদার্থের সঞ্চয় ও পুঞ্জিভবন কে বলে-
(A) অবরোহন
(B) আরোহন
(C) পুঞ্জক্ষয়
(D) আবহবিকার
উত্তরঃ-   (B) আরোহন

৮১. বায়ুর সঞ্জয়কার্যের ফলে গঠিত হয়—
(ক) করি
(খ) বার্খান বালিয়াড়ি
(গ) গিরিখাত
(ঘ) ড্রামলিন

৮২. নিম্নভূমির উচ্চতা বৃদ্ধি পায়-
(ক) নগ্নীভবন প্রক্রিয়ায়
(খ) অবরোহণ প্রক্রিয়ায়
(গ) অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায়
(ঘ) আরোহণ প্রক্রিয়ায়।

৮৩. আরোহন ও অবরোহন প্রক্রিয়ার সম্মিলিত ফল হল-
(A) পর্যায়ন
(B) পুঞ্জিত ক্ষয়
(C) নগ্নিভবন
(D) ক্ষয়ীভবন
উত্তরঃ-   (A) পর্যায়ন

৮৪. বহির্জাত প্রক্রিয়ার মূল উৎস হল-
(A) সূর্য
(B) নদী
(C) বায়ু
(D) হিমবাহ
উত্তরঃ-   (A) সূর্য

৮৫. অবরোহনের অপর নাম-
(A) ক্ষয়সাধন
(B) অবক্ষেপণ
(C) সঞ্চয়
(D) নগ্নিভবন
উত্তরঃ-   (A) ক্ষয়সাধন

৮৬. অবরোহন প্রক্রিয়ার প্রাকৃতিক শক্তির ক্ষয়কার্যের শেষ সীমা হল-
(A) পর্বত
(B) মালভূমি
(C) সমভূমি
(D) সমুদ্রপৃষ্ঠ
উত্তরঃ-   (D) সমুদ্রপৃষ্ঠ

৮৭.  প্রথম পর্যায়ে গঠিত একটি ভূমিরূপ হল-
(A) মহাদেশ
(B) পর্বত
(C) জলপ্রপাত
(D) মালভূমি
উত্তরঃ-   (A) মহাদেশ

৮৮.  অনেক সময় আলগা মাটি ও শিলাস্তুপ অভিকর্ষ বলের টানে ভূমির ঢাল বরাবর নিচে নেমে এলে তাকে বলে-
(A) পুঞ্জক্ষয়
(B) অবরোহন
(C) আরোহন
(D) কোনটাই নয়
উত্তরঃ-   (A) পুঞ্জক্ষয়

৮৯. আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো নদীর গ্রান্ড ক্যানিয়ন এর গভীরতা কত ? 
(A) 1525 মি . 
(B) 2510 মি . 
(C) 1857 মি .
(D) 1975 মি .
উত্তরঃ-   (C) 1857 মি .

৯০. কিউসেক হলো— 
(A) কিউবিক ফুট / সেকেন্ড 
(B) কিউমেক ফুট / সেকেন্ড 
(C) কিউবিক মিটার / সেকেন্ড 
(D) কোনোটিই নয়
উত্তরঃ-   (A) কিউবিক ফুট / সেকেন্ড

৯১. কিউমেক হলো— 
(A) কিউবিক ফুট / সেকেন্ড 
(B) কিউমেক ফুট / সেকেন্ড 
(C) কিউবিক কিমি / সেকেন্ড 
(D) কিউবিক মিটার / সেকেন্ড 
উত্তরঃ-   (D) কিউবিক মিটার / সেকেন্ড

৯২. গোয়ার মান্দোভি নদীর উপর ভারতের কোন বিখ্যাত জলপ্রপাত দেখা যায় ? 
(A) যোগ জলপ্রপাত 
(B) অ্যাঞ্ছেল জলপ্রপাত 
(C) দুধসাগর জলপ্রপাত 
(D) দশম জলপ্রপাত 
উত্তরঃ-   (C) দুধসাগর জলপ্রপাত

৯৩. যে প্রক্রিয়ার ভূমিভাগের উচ্চতার হ্রাস ঘটে তা হল-
(A) অবরোহন
(B) আরোহন
(C) পর্যায়ন
(D) পুঞ্জক্ষয়
উত্তরঃ-   (A) অবরোহন

৯৪. যে ভূমিরূপ গঠনকারী প্রক্রিয়ার ভূপৃষ্ঠের বহির্ভাগের আকার বা রূপের পরিবর্তন হয় তাকে বলে-
(A) বহির্জাত প্রক্রিয়া
(B) অন্তর্জাত প্রক্রিয়া
(C) পর্যায়ন
(D) কোনটাই নয়
উত্তরঃ-   (A) বহির্জাত প্রক্রিয়া

৯৫. ক্ষয়সীমা ধারণার প্রবর্তক কে ? 
(A) Powell 
(B) Penk 
(C) Chamberlin 
(D) Davis 
উত্তরঃ-   (A) Powell

৯৬. উৎস থেকে মোহনা পর্যন্ত নদী কয়টি প্রক্রিয়ায় ভূমিরূপের পরিবর্তন ঘটায়—
(A) 2টি
(B) 3টি
(C) 4 টি 
(D) 2 টি প্রক্রিয়ায় 
উত্তরঃ-   (B) 3টি

৯৭. কত সালে UNESCO সুন্দরবনকে World Heritage Site- এর অন্তর্ভুক্ত করে ?
(A) 1887 সালে 
(B) 1978 সালে 
(C) 1972 সালে 
(D) 1987 সালে 
উত্তরঃ-   (D) 1987 সালে

৯৮. বিখ্যাত ভূগোলবিদ অ্যালম্যান হিমবাহকে প্রধানত কয়টি ভাগে ভাগ করেছেন ? 
(A) তিনটি ভাগে
(B) দু’টি ভাগে 
(C) চারটি ভাগে 
(D) ছয়টি ভাগে 
উত্তরঃ-   (A) তিনটি ভাগে

৯৯. ভারতের একটি ঝুলন্ত উপত্যকার নাম হলো— 
(A) ঋষিগঙ্গা 
(B) নীলকণ্ঠ 
(C) মাকালু 
(D) সবক’টি ঠিক 
উত্তরঃ-   (A) ঋষিগঙ্গা 

১০০. বহির্জাত প্রক্রিয়ার শক্তিগুলি কাজ করে— 
(A) ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগে 
(B) ভূপৃষ্ঠের ভিতরে
(C) মহাশূন্যে 
(D) সমুদ্রতলদেশে 
উত্তরঃ-   (A) ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগে

১০১. নদী , হিমবাহ , বায়ুপ্রবাহ প্রভৃতি হল ভূমিরূপ পরিবর্তনের – 
(A) বহির্জাত প্রক্রিয়া 
(B) মহাজাগতিক প্রক্রিয়া
(C) অন্তর্জাত প্রক্রিয়া
(D) জৈবিক প্রক্রিয়া
উত্তরঃ-   (A) বহির্জাত প্রক্রিয়া

১০২. যে – প্রক্রিয়ায় ক্ষয়জাত পদার্থ ভূপৃষ্ঠের নীচু অংশে সঞ্চিত হয় , তা হল –
(A) পর্যায়ন 
(B) অবরোহণ 
(C) আরোহণ 
(D) বিচূর্ণীভবন 
উত্তরঃ-   (C) আরোহণ

১০৩. কোন প্রক্রিয়ার দ্বারা ভূমির ঢাল সুষম হয়— 
(A) আরোহণ
(B) পাতসংস্থান 
(C) অধঃক্ষেপণ
(D) পর্যায়ন 
উত্তরঃ-   (D) পর্যায়ন 

১০৪. Basket of egg topography নামে পরিচিত— 
(A) বহিঃবিধৌত সমভূমি 
(B) রসে মতানে 
(C) ড্রামলিন 
(D) এস্কার 
উত্তরঃ-   (C) ড্রামলিন

১০৫. ইনসেলবার্জ ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে গোলাকার মাথাবিশিষ্ট ঢিবিতে পরিণত হলে তাকে কী বলে ? (A) মেসা 
(B) বাটে 
(C) পেডিপ্লেন 
(D) বোর্নহার্ড 
উত্তরঃ-   (D) বোর্নহার্ড

১০৬. গভীর আবহবিকারের প্রভাবে বোর্নহার্ডগুলি প্রস্তরখণ্ডে পরিণত হলে তাকে কী বলে ? 
(A) ক্যাসেলকপিজ 
(B) বোর্নহার্ড 
(C) প্যানফ্যান 
(D) বাটে 
উত্তরঃ-   (A) ক্যাসেলকপিজ

১০৭. The physics of Blown sand and Desert Dunes ( 1941 ) গ্রন্থটির রচয়িতা কে ? 
(A) হামবল্ড 
(B) ব্যাগনণ্ড 
(C) জেফ্রিস 
(D) হার্টন 
উত্তরঃ-   (B) ব্যাগনণ্ড

১০৮. অবরোহণ ও আরোহণ প্রক্রিয়ার সম্মিলিত ফল হল –
(A) ক্ষয়ীভবন
(B) নগ্নীভবন 
(C) বিচূর্ণীভবন
(D) পর্যায়ন
উত্তরঃ-   (D) পর্যায়ন

১০৯. আবহবিকার , পুঞ্জিত ক্ষয় ও ক্ষয়ীভবনকে একত্রে বলে – 
(A) মহিভাবক প্রক্রিয়া 
(B) গিরিজনি প্রক্রিয়া
(C) অঙ্গারযোজন 
(D) নগ্নীভবন
উত্তরঃ-   (D) নগ্নীভবন

১১০. কোন্ বহির্জাত শক্তিটি ভূমিরূপ পরিবর্তনে সর্বাধিক ভূমিকা নেয় ?
(A) নদী
(B) হিমবাহ
(C) বায়ুপ্রবাহ
(D) সমুদ্রতরঙ্গ 
উত্তরঃ-   (A) নদী

১১১. কোন্ প্রক্রিয়াটির সঙ্গে ‘ ক্ষয় ‘ শব্দটি সর্বাধিক সম্পর্কযুক্ত –
(A) অবরোহণ
(B) আরোহণ
(C) পর্যায়ন
(D) আবহবিকার
উত্তরঃ-   (A) অবরোহণ

১১২. কোন্ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভূমির উচ্চতা বৃদ্ধি পায় ?
(A) পর্যায়ন
(B) অবরোহণ 
(C) আরোহণ
(D) নগ্নীভবন
উত্তরঃ-   আরোহণ

১১৩. শিলা যান্ত্রিক পদ্ধতিতে চূর্ণবিচূর্ণ ও বিয়োজিত হওয়ার প্রক্রিয়া –
(A) ক্ষয়ীভবন
(B) পর্যায়ন
(C) নগ্নীভবন
(D) আবহবিকার
উত্তরঃ-   (D) আবহবিকার

১১৪. নিম্নলিখিত কোন্ রাজ্যটিতে ক্ষয়ের শেষ সীমা লক্ষ করা যাবে— 
(A) উত্তরাখণ্ড 
(B) ওড়িশা 
(C) মধ্যপ্রদেশ
(D) বিহার 
উত্তরঃ-   (B) ওড়িশা
উত্তরঃ-   ওড়িশা

১১৫. প্লাবনভূমি , বদ্বীপ ইত্যাদি ভূমিরূপ কোন্ পদ্ধতিতে সৃষ্টি – 
(A) বিচূর্ণীভবন
(B) আরোহণ
(C) যান্ত্রিক আবহবিকার
(D) অবরোহণ
উত্তরঃ-   আরোহণ

১১৬. ভূপৃষ্ঠের সমতলীকরণ ঘটার প্রক্রিয়া হল –
(A) নগ্নীভবন
(B) অবরোহণ 
(C) আরোহণ
(D) পর্যায়ন
উত্তরঃ-   (D) পর্যায়ন

১১৭. বিভিন্ন সঞ্চয়জাত ভূমিরূপ গঠিত হয় যে পদ্ধতিতে তা হল— 
(A) পর্যায়ন
(B) অবরোহণ
(C) পুঞ্জক্ষয়
(D) আরোহণ
উত্তরঃ-   (D) আরোহণ

১১৮. ভূমির ক্ষয় ও সঞ্চয়কার্যের মধ্যে যখন সাম্য অবস্থা বিরাজ করে তখন সেই ভূমিকে বলা হয়— 
(A) উচ্চভূমি
(B) পর্যায়িত ভূমি
(C) পাদসমভূমি
(D) সমপ্ৰায়ভূমি
উত্তরঃ-   (B) পর্যায়িত ভূমি

১১৯. ভূমিরূপ পরিবর্তনে কোন্ ভূমিরূপ গঠনকারী প্রক্রিয়ার প্রভাব সর্বাধিক ?
(A) নদী 
(B) বায়ু 
(C) হিমবাহ
(D) সমুদ্রতরঙ্গ
উত্তরঃ-   (D) সমুদ্রতরঙ্গ



দশম শ্রেণীর ভূগোল – বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ / Bohirjato Prokriya o Tader dara Sristo Vumirup (প্রথম অধ্যায়) সত্য মিথ্যা যাচাই করো । WBBSE Class 10th Geography 1st Chapter True & False Questions and Answers 

সত্য মিথ্যা যাচাই করো | True & False Questions and Answers (Class Ten geography first chapter) 

শূন্যস্থান পূরন করো ; প্রতিটি প্রশ্নের মান -১


১. ভূমিরূপের উচ্চতা হ্রাস পায় _______ প্রক্রিয়ায় (উত্তরঃ-   অবরোহন)।

২. Grade শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন ______ (উত্তরঃ-   জি কে গিলবার্ট)।

৩. অবরোহন ও আরোহন প্রক্রিয়া ভূমিরূপকে ________ অবস্থায় নিয়ে আসে। (উত্তরঃ-   পর্যায়ীত)

৪. অবরোহন এর বিপরীত প্রক্রিয়া হল _____ (উত্তরঃ-   আরোহন)।

৫. নদী যে তল বরাবর ক্ষয় করতে থাকে তা হল ______ (উত্তরঃ-   নিম্নক্ষয় সীমা)।



দশম শ্রেণীর ভূগোল – বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ / Bohirjato Prokriya o Tader dara Sristo Vumirup (প্রথম অধ্যায়) শূন্যস্থান পূরণ করো । WBBSE Class 10th Geography 1st Chapter Fill in the blank Questions and Answers 

শূন্যস্থান পূরণ করো  | Fill in the blank Questions and Answers (Class Ten geography first chapter) 

সত্য / মিথ্যা নির্ণয় করো; প্রতিটি প্রশ্নের মান -১

১. অবরোহণ হলো একটি সঞ্চয় প্রক্রিয়া।
উত্তরঃ- মিথ্যা

২. বহির্জাত প্রক্রিয়ার শক্তি আসে সূর্য থেকে।
উত্তরঃ- সত্য

৩. ভূগঠনকারী শক্তিকে চার ভাগে ভাগ করা যায়।
উত্তরঃ- মিথ্যা

৪.  উল্কাপাত একটি বহির্জাত শক্তি।
উত্তরঃ- মিথ্যা

৫. 1989 সালে ভারত সরকার সুন্দরবনকে Biosphere Reserve হিসেবে ঘোষণা করে । 
উত্তরঃ-   সত্য ।

৬. 2009 সালে সুন্দরবনে আয়লা ঝড়ে মোট 400 কিমি বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয় । 
উত্তরঃ-   সত্য ।

৭. পৃথিবীর সমস্ত অঞ্চলের নগ্নিভবনের হার সমান নয়।
উত্তরঃ- সত্য

৮. অন্তর্জাত ও বহির্জাত প্রক্রিয়াকে একত্রে পার্থিব প্রক্রিয়া বলে। 
উত্তরঃ- সত্য

৯. আবহবিকার একটি পর্যায়ন প্রক্রিয়া। 
উত্তরঃ- সত্য

১০. প্লাবন সমভূমি সৃষ্টির অবরোহন প্রক্রিয়ার উদাহরণ। 
উত্তরঃ- মিথ্যা

১১. পৃথিবীর মোট জলের 2.5 % হলো মিষ্টিজল আর মোট মিষ্টিজলের 68.7 % রয়েছে হিমবাহ ও বরফরূপে ।
উত্তরঃ-   সত্য ।

১২. আন্টার্কটিকায় ( 90 % ) ও গ্রিনল্যান্ডে ( 09 % ) রয়েছে পৃথিবীর মোট হিমবাহের 99 % । 
উত্তরঃ-   সত্য । 

১৩. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে , ইংল্যান্ডে , স্কটল্যান্ডে যাকে করি , ফ্রান্সে তাকে সার্ক , জার্মানিতে কার , ওয়েলস – এ কাম বলে ৷ 
উত্তরঃ-   সত্য । 

১৪. পর্যায়ন শক্তি একটি অন্তর্জাত শক্তি।
উত্তরঃ-   মিথ্যা ।

১৫. আবহবিকারের প্রধান ভূমিকা পালন করে নদী।
উত্তরঃ-   মিথ্যা ।

১৬. পৃথিবীর বৃহত্তম অববাহিকা হলো আমাজন অববাহিকা । 
উত্তরঃ-   সত্য ।

১৭. তিব্বতের ইয়ারলুং সাংপো নদীর উপর অবস্থিত সাংপো ক্যানিয়ন ( গভীরতা -5500 মি . ) পৃথিবীর গভীরতম ক্যানিয়ন ৷ 
উত্তরঃ-   সত্য ।

১৮. পৃথিবীর উচ্চতম সাল্টো অ্যাঞ্জেল জলপ্রপাত ভেনেজুয়েলার গৌজা নদীর উপর অবস্থিত নয় ।
উত্তরঃ-   মিথ্যা ।

১৯. সুন্দরবন হলো পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অরণ্য । 
উত্তরঃ-   সত্য ।

দশম শ্রেণীর ভূগোল – বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ / Bohirjato Prokriya o Tader dara Sristo Vumirup (প্রথম অধ্যায়) এক কথায় উত্তর দাও । WBBSE Class 10th Geography 1st Chapter SAQ Questions and Answers 

এক কথায় উত্তর দাও | SAQ Questions and Answers (Class Ten geography first chapter) 

এক কথায় উত্তর দাও : প্রতিটি প্রশ্নের মান -১

১. আদর্শ নদী কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
যে নদীর গতিপথে ক্ষয়কার্য-প্রধান পার্বত্য প্রবাহ বা উচ্চগতি, বহনকার্য-প্রধান সমভূমি প্রবাহ বা মধ্যগতি এবং সঞ্চয়কার্য প্রধান বদ্বীপ প্রবাহ বা নিম্নগতি সুস্পষ্টভাবে লক্ষ করা যায়, সেই নদীকে আদর্শ নদী বলা হয়। উদাহরণ —ভারতের প্রধান নদী গঙ্গার গতিপথে এই তিনটি অবস্থাই বিদ্যমান বলে গঙ্গা একটি আদর্শ নদী।

২. পর্যায়ন বা Gradation শব্দটি কে ব্যবহার করেন ? 
উত্তরঃ-   Sud Chamberlin ও Salisbury . 

৩. নদী উৎস থেকে মোহনা পর্যন্ত কয়টি প্রক্রিয়ায় ভূমিরূপ পরিবর্তন ঘটায় ও কী কী ? 
উত্তরঃ-   তিনটি প্রক্রিয়ায় । যথা – ক্ষয় , বহন , সঞ্চয় । 

৪. যে নদীতে উচ্চগতি , মধ্যগতি ও নিম্নগতি এই তিনটি গতিই স্পষ্ট লক্ষ করা যায় তাকে কী বলে ? 
উত্তরঃ-   আদর্শ নদী । 

৫. পৃথিবীর গভীরতম গিরিখাতের নাম কী ? 
উত্তরঃ-   নেপালের কালিগণ্ডকী নদীর ওপর কালিগণ্ডকী গিরিখাত ( অন্ধ গলচি ) । গভীরতা 5571 মিটার ।

৬. পৃথিবীর সর্বাধিক বিস্তৃত ( 2.7 কিমি ) জলপ্রপাতের নাম কী ?
উত্তরঃ-   ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা সীমান্তে ইগুয়াজু জলপ্রপাত । 

৭. বহির্জাত শক্তি কী?
ভূপৃষ্ঠের বাইরের শক্তি যা ভূমিরূপের পরিবর্তন ঘটায় তাকে বহির্জাত শক্তি বলে।

৮. বহির্জাত প্রক্রিয়াগুলির প্রধান কাজ কী?
বহির্জাত প্রক্রিয়াগুলি ভূমিরূপকে ক্ষয়, বহন এবং সঞ্চয়ের মাধ্যমে পরিবর্তিত করে।

৯. বহির্জাত প্রক্রিয়াগুলির উদাহরণ কী কী?
নদী, হিমবাহ, বায়ু, সমুদ্রতরঙ্গ, আবহাওয়া প্রক্রিয়া ইত্যাদি বহির্জাত প্রক্রিয়ার উদাহরণ।

১০. নদী বলতে কী বোঝ?
কোনো পাহাড়, পর্বত, মালভূমি বা উচ্চভূমির হিমবাহ নির্গত জলধারা বা বৃষ্টির জলধারা যখন ভূমির ঢাল অনুসরণ করে নির্দিষ্ট খাতের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে সমুদ্র, হ্রদ বা জলাভূমিতে এসে মেশে, তখন তাকে নদী বলে। উদাহরণ — গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা প্রভৃতি নদী।

১১. উপনদী ও শাখানদী কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উপনদী – প্রধান নদীর গতিপথের পার্শ্ববর্তী অঞ্চল থেকে অনেক ছোটো ছোটো নদী এসে প্রধান নদীতে মিলিত হয়, এগুলিকে বলা হয় উপনদী। উদাহরণ — গঙ্গার উপনদী যমুনা।

শাখানদী – মূলনদী থেকে যেসব নদী শাখা আকারে বের হয়, সেগুলিকে বলা হয় শাখানদী। উদাহরণ — গঙ্গার শাখানদী ভাগীরথী-হুগলি।


১২. এশিয়া তথা ভারতের বৃহত্তম নদীদ্বীপের নাম কী ? 
উত্তরঃ-   মাজুলি দ্বীপ ( অসমে ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর ) । ক্ষেত্রফল একসময় ছিল 1250 বর্গ কিমি । এখন প্রায় 422 বর্গ কিমি । 

১৩. পৃথিবীর বৃহত্তম নদীদ্বীপের নাম কী ?
উত্তরঃ-   আমাজনের মোহনায় ইলহা – দ্য – মারাজো ( 40100 বর্গ কিমি ) । 

১৪. হিমরেখার ঊর্ধ্বে প্রবল শৈত্যের কারণে পেঁজা তুলোর ন্যায় যে তুষারপাত হয় , তাকে কী বলে ?
উত্তরঃ-   নেভে । 

১৫. গ্রেট গ্রিনওয়াল কোন মহাদেশে নির্মিত হয়েছে ? 
উত্তরঃ-   আফ্রিকা মহাদেশে । 

১৬. গোলাকৃতির ইনসেলবার্জকে কী বলে ? 
উত্তরঃ-   বোর্নহার্ট । 

১৭. কেটল হ্রদের মধ্যে সঞ্চিত পলির স্তরকে কী বলে ? 
উত্তরঃ-   ভার্ব । 

১৭. হিমবাহের সঞ্চয়কার্যের ফলে বহিঃবিধৌত সমভূমির মাঝে সৃষ্টি হওয়া ভূমিরূপকে কী বলে ?
উত্তরঃ-   নব ।

১৮. বহিঃবিধৌত সমভূমি নদীর দ্বারা বিচ্ছিন্ন হলে তাকে কী বলে ? 
উত্তরঃ-   ভ্যালি ট্রেন । 

১৯. মরুভূমি অঞ্চলে সৃষ্ট লবণাক্ত হ্রদকে কী বলে ?
উত্তরঃ-   প্লায়া ।

২০. নেভের উপর আরও তুষারপাত জনিত কারণে তুষারের দৃঢ়তা ও ঘনত্ব বাড়ে , একে কী বলে ?
উত্তরঃ-   ফার্ন  । 

২১. কেরালার মালাবার উপকূলের বালিয়াড়িকে স্থানীয় ভাষায় কী বলে ? 
উত্তরঃ-   টেরিস । 

২২. দক্ষিণ আমেরিকায় প্লায়া হ্রদগুলি স্যালিনা , দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ায় প্যান এবং আরব অঞ্চলে কী নামে পরিচিত ? 
উত্তরঃ-   সবঘা বা শট । 

২৩. কোন মহাদেশে ভূমিরূপ পরিবর্তনে নদীর ভূমিকা লক্ষ করা যায় না ? 
উত্তরঃ-   আন্টার্কটিকায় । 

২৪. পশ্চিমবঙ্গের কোন জেলায় ক্ষয়সীমা রয়েছে ? 
উত্তরঃ-   পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় । 

২৫. দু’টি সিফ বালিয়াড়ির মধ্যবর্তী করিডরকে সাহারা মরুভূমিতে কী বলে ? 
উত্তরঃ-   গাসি । 

২৬. প্লাবনভূমি ব – দ্বীপ কোন প্রক্রিয়ার দ্বারা সৃষ্টি হয় ? 
উত্তরঃ-   আরোহণ প্রক্রিয়ার দ্বারা । 

২৭. নদীবাহিত শিলাখণ্ডের দ্বারা নদীখাতের ক্ষয়কে কী বলে ? 
উত্তরঃ-   অবঘর্ষ ক্ষয় । 

২৮. বায়ুর দ্বারা শুষ্ক বালিকণা বহুদূরে বাহিত হয়ে সঞ্চিত হলে তাকে কী বলে ? 
উত্তরঃ-   লব । 

২৯. তুষারপাতের ফলে বরফের ঘনত্ব ও দৃঢ়তা বৃদ্ধি পেলে তাকে কী বলে ? 
উত্তরঃ-   লোয়েস । 

৩০. হিমবাহের সঞ্চয়কার্যের ফলে প্রাস্ত গ্রাবরেখায় সৃষ্টি হওয়া ত্রিকোণাকার ভূমিকে কী বলে ?
উত্তরঃ-   পলল ব্যজনী । 

৩১. কঠিন শিলাযুক্ত অঞ্চলে কম ঢালযুক্ত ছোটো ছোটো জলপ্রপাতকে কী বলে ? 
উত্তরঃ-   ক্যাটার্যাক্ট । 

৩২. হিমবাহের সামনের দিকে প্রাচীরের মতো শিলাস্তূপ সঞ্চিত হলে তাকে কী বলে ? 
উত্তরঃ-   প্রাস্ত গ্রাবরেখা । 

৩৩. প্রাকৃতিক ও রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভূমিরূপের যে পরিবর্তন সাধিত হয় , তাদের কী বলে ? 
উত্তরঃ-   ভূমিরূপ গঠনকারী প্রক্রিয়া । 

৩৪. কোন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভূমিরূপের উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়ে থাকে ? 
উত্তরঃ-   আরোহণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে । 

৩৫. পর্বতের ঢাল বরাবর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির দ্বারা শিলাস্তর নীচে নেমে এলে তাকে কী বলে ? 
উত্তরঃ-   পুঞ্ছিত ক্ষয় 

৩৬. ব – দ্বীপ সমভূমি কোথায় সৃষ্টি হয়ে থাকে ? 
উত্তরঃ-   মোহনায় । 

৩৭. সমুদ্র উপকূল সংলগ্ন আংশিক জলপূর্ণ গিরিখাতকে কী বলা হয় ? 
উত্তরঃ-   ফিয়র্ড । 

৩৮. পর্বতের গায়ে যে সীমারেখার ওপর সারাবছর বরফ জমে থাকে তাকে কী বলে ? 
উত্তরঃ-   হিমরেখা 

৩৯. হিমবাহ থেকে নিঃসৃত জলস্রোতের মাধ্যমে হিমবাহ উপত্যকায় যে সমস্ত পলি সঞ্চিত হয় , তাকে কী বলে ?
উত্তরঃ-   ভেন্টিফ্যাক্ট । 

৪০. প্রবহমাণ বায়ুর গতিপথের সঙ্গে সমান্তরালভাবে গড়ে ওঠা বালিয়াড়িকে কী বলে ?
উত্তরঃ-   অনুদৈর্ঘ্য বালিয়াড়ি । 

৪১. বহির্জাত প্রক্রিয়াকে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায় ? 
উত্তরঃ-   দু’টি ভাগে ( অবরোহণ ও আরোহণ প্রক্রিয়া ) । 

৪২. যে বহির্জাত শক্তি ( সূর্য , নদীপ্রবাহ , হিমবাহ , বায়ু প্রভৃতি ) দ্বারা ভূমিরূপের পরিবর্তন ঘটে , তাকে কী বলে ? 
উত্তরঃ-   বহির্জাত প্রক্রিয়া । 

৪৩. অবরোহণ প্রক্রিয়াকে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায় ? 
উত্তরঃ-   তিনটি ভাগে ( আবহবিকার , পুঞ্ছিত ক্ষয় ও ক্ষয়ীভবন ) । 

৪৪. আবহাওয়ার বিভিন্ন উপাদান দ্বারা শিলা চূর্ণবিচূর্ণ ও বিয়োজিত হলে তাকে কী বলে ? উত্তরঃ-   অবহবিকার । 
কোন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভূমিরূপের উচ্চতা হ্রাস পেয়ে থাকে ? 
উত্তরঃ-   অবরোহণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে । 

৪৫. কোনো উচ্চভূমি বা পর্বত থেকে বরফগলা জল কিংবা বৃষ্টির জল ভূমির ঢাল বেয়ে কোনো সাগর , মহাসাগর বা হ্রদে গিয়ে মেশে , একে কী বলে ?
উত্তরঃ-   নদী । 

৪৬. যেসব ছোটো নদী কোনো মূলনদী বা প্রধান নদীর সাথে মিলিত হয় , তাকে কী বলে ? 
উত্তরঃ-   উপনদী । 

৪৭. কার্য অনুসারে নদীপ্রবাহকে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায় ? 
উত্তরঃ-   তিনটি ভাগে ( ক্ষয় , বহন ও সঞ্চয় ।  

৪৮. পার্বত্য অঞ্চলের গভীর ও সংকীর্ণ নদী উপত্যকাকে কী বলে ? 
উত্তরঃ-   ক্যানিয়ন । 

৪৯. পার্বত্য অঞ্চলে নদীর জলের দ্বারা বাহিত নুড়ি , বালি , পাথরের দ্বারা অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় নদীখাতে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র যে গোলাকার গর্তের সৃষ্টি হয় , তাকে কী বলে ?
উত্তরঃ-   মন্থকূপ বলে । 

৫০. একই নদীতে অবস্থানরত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জলপ্রপাতকে কী বলে ? 
উত্তরঃ-   কাসকেড 

৫১. উঁচু পার্বত্য অঞ্চলে যে সীমারেখার উর্ধ্বে তুষার জমে থাকে কিংবা গলে যায় , সেই সীমারেখাকে কী বলে ? 
উত্তরঃ-   হিমরেখা । 

৫২. যেসব ছোটো নদী প্রধান নদী থেকে বেরিয়ে এসে কোনো সাগর বা কোনো নদীতে পড়ে , তাকে কী বলে ?
উত্তরঃ-   শাখানদী । 

৫৩. যখন কোনো একটি প্রধান নদী ও তার উপনদীসমূহ পর্বত ও মালভূমির যেসকল অঞ্চল থেকে জল নিয়ে এসে পড়ে সেই অঞ্চলকে কী বলে ?
উত্তরঃ-   ধারণ অববাহিকা । 

৫৪. নদী যখন সমভূমি অঞ্চলের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয় তখন কোনো স্থানে বাধা পেয়ে এঁকেবেঁকে অগ্রসর হয় , তাকে কী বলে ? 
উত্তরঃ-   নদীবাঁক । 

৫৫. পাশাপাশি অবস্থিত নদী অববাহিকাকে যে উচ্চভূমি পৃথক বা আলাদা করে , তাকে কী বলে ? 
উত্তরঃ-   জলবিভাজিকা । 

৫৬. সমপ্রায়ভূমিতে কঠিন শিলা দ্বারা গঠিত অবশিষ্ট পাহাড়গুলিকে কী বলে ? 
উত্তরঃ-   মোনাডনক । 

৫৭. কোনো নদীর জল দ্বিগুণ হলে তার বহনক্ষমতাও দ্বিগুণ বাড়ে , কিন্তু ওই নদীর গতিবেগ দ্বিগুণ হলে বহনক্ষমতা 26 বা 64 গুণ বেড়ে যায় , একে কী বলে ? 
উত্তরঃ-   নদীর ষষ্ঠঘাতের সূত্র । 

৫৮. বন্যার ফলে নদীর উভয় তীরে সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম নুড়ি , বালি , পলি , কাদা প্রভৃতি জমা হয়ে যে নতুন ভূমির সৃষ্টি হয় , তাকে কী বলে ? 
উত্তরঃ-   প্লাবনভূমি । 

৫৯. নদীর উপকূলবর্তী অঞ্চলে বন্যার ফলে নুড়ি , বালি , কাঁকর , কাদা , পলি প্রভৃতি ধীরে ধীরে সঞ্চিত হয়ে যে উঁচু বাঁধের সৃষ্টি করে , তাকে কী বলে ? 
উত্তরঃ-   স্বাভাবিক বাঁধ । 

৬০. নদীর মোহনায় জলের স্রোত কম হওয়ায় নদীবাহিত নুড়ি , বালি , কাদা , পলি প্রভৃতি ঐ অঞ্চলে সঞ্চিত হয়ে ত্রিকোণাকার যে দ্বীপের সৃষ্টি করে , তাকে কী বলে ? 
উত্তরঃ-   ব – দ্বীপ । 

৬১. সমুদ্রজলে বিশালাকৃতির ভাসমান বরফের স্তূপকে কী বলে ? 
উত্তরঃ-   হিমশৈল । 

৬২. উচ্চ পার্বত্য অঞ্চল থেকে হিমবাহ প্রবাহিত হওয়ার সাথে সাথে নুড়ি , বালি , পাথর , শিলাচূর্ণ প্রভৃতি স্তূপাকারে জমা হয়ে নীচের দিকে এগিয়ে চলে , এই শিলাস্তূপকে কী বলে ? 
উত্তরঃ-   গ্রাবরেখা বা সোরেন । 

৬৩. ক্ষয়কার্যের ফলে পর্বতের গায়ে যখন বিভিন্ন দিক থেকে তিন – চারটি সার্কের সৃষ্টি হয় , তখন তার মাঝখানে যে খাড়া চূড়াটি লক্ষ করা যায় তাকে কী বলে ?
উত্তরঃ-   পিরামিড চূড়া । 

৬৪. হিমবাহের ক্রমাগত ক্ষয়কার্যের ফলে যেসব আড়াআড়ি পাড় কাটা পড়ে যায় । তাদের কী বলে ? 
উত্তরঃ-   কর্তিত পাড় । 

৬৫. পর্বতের খাড়া ঢাল বেয়ে হিমবাহ যখন নীচের দিকে নেমে আসে তখন পর্বতগাত্রে ফাটলের সৃষ্টি হয় , এগুলিকে কী বলে ? 
উত্তরঃ-   বাগমুন্ড । 

৬৬. পর্বতের পাদদেশে নুড়ি , বালি , প্রস্তরখণ্ড প্রভৃতি সঞ্চিত হয়ে ওলটানো চামচের মতো আকৃতিবিশিষ্ট যে টিলা সৃষ্টি হয় তাকে কী বলে ?
উত্তরঃ-   ড্রামলিন । 

৬৭. হিমবাহবাহিত নুড়ি , বালি , কাদা প্রভৃতি জমা হয়ে যে ত্রিকোণাকার দ্বীপের ন্যায় ভূমিরূপ গঠন করে , তাকে কী বলে ? 
উত্তরঃ-   কেম । 

৬৮. করির পেছনে মস্তক দেওয়াল ও হিমবাহের মধ্যে যে ফাঁক দেখা যায় , তাকে কী বলে ? 
উত্তরঃ-   র্যান্ডক্লাফট । 

৬৯. প্রবহমাণ হিমবাহের চাপে ছোটো ছোটো শিলাখণ্ড যখন পর্বতগাত্র হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে , তখন তাকে কী বলে ? 
উত্তরঃ-   উৎপাটন প্রক্রিয়া । 

৭০. হিমবাহ উপত্যকা ও হিমবাহের ঘর্ষণে যে ক্ষয় সাধিত হয় , তাকে কী বলে ? 
উত্তরঃ-   অবঘর্ষ প্রক্রিয়া । 

৭১. পাশাপাশি অবস্থিত দু’টি করির বা সার্কের মাঝখানের খাড়া অংশটিকে কী বলে ? 
উত্তরঃ-   অ্যারেট বা হিমশিরা । 

৭২. নদীমোহনা খুব প্রশস্ত হলে তাকে কী বলে ?
উত্তরঃ-   খাড়ি । 

৭৩. বিভিন্ন প্রকার প্রাকৃতিক শক্তি দ্বারা পর্বত , মালভূমি , পাহাড় প্রভৃতি ক্ষয় পেয়ে সমভূমিতে পরিণত হয় , এই প্রকার ভূমিকে কী বলে ?
উত্তরঃ-   সমপ্ৰায়ভূমি । 

৭৪. বায়ুর গতির সমান্তরালে যেসব বালিয়াড়ি গঠিত হয় তাদের কী বলে ? 
উত্তরঃ-   অনুদৈর্ঘ্য বালিয়াড়ি । 

৭৫. পলি , কাদা , নুড়ি প্রভৃতি পদার্থ কীভাবে প্রবাহিত হয় ? 
উত্তরঃ-   ভাসমান প্রক্রিয়ায় । 

৭৬. মরুভূমির অবনমিত অঞ্চলে সাময়িক বৃষ্টিপাতের ফলে জল জমা হয়ে যে লবণাক্ত হ্রদের সৃষ্টি হয় , তাকে কী বলে ? 
উত্তরঃ-   প্লায়া । 

৭৭. মরুভূমি অঞ্চলে সাময়িক বৃষ্টিপাতের দ্বারা যে নদীখাতের সৃষ্টি হয় , তাকে কী বলে ? 
উত্তরঃ-   ওয়াদি । 

৭৮. অতি সূক্ষ্ম বালুকণা , মাটির কণা বায়ুর দ্বারা পরিবাহিত হয়ে কোনো নীচু স্থানে জমা হয়ে যে সমভূমি গঠন করে , তাকে কী বলে ? 
উত্তরঃ-   লোয়েস সমভূমি । 

৭৯. মরুভূমিতে বিশাল অঞ্চল জুড়ে দীর্ঘদিন ধরে বায়ুর দ্বারা বালি অপসারিত হলে সেই অঞ্চল ক্রমশ নীচু হয়ে ভূগর্ভের জলস্তর পর্যন্ত পৌঁছায় , এইরূপ অবস্থাকে কী বলে ? 
উত্তরঃ-   মরুদ্যান । 

৮০. পার্বত্য অঞ্চলে হিমবাহ উপত্যকা ও নদী উপত্যকার আকৃতি কীরূপ প্রকৃতির ? 
উত্তরঃ-   হিমবাহ উপত্যকা ‘ U ‘ অক্ষরের ন্যায় এবং নদী উপত্যকার আকৃতি ‘ I ‘ কিংবা ‘ V ’ অক্ষরের ন্যায় হয় । 

৮১. নদীর কোন প্রবাহে জলপ্রপাতের সৃষ্টি হয় ? 
উত্তরঃ-   পার্বত্য প্রবাহে । 

৮২. পৃথিবীর কোথায় লোয়েস সমভূমি লক্ষ করা যায় ? 
উত্তরঃ-   হোয়াংহো নদীর অববাহিকায় । 

৮৩. বায়ুপ্রবাহের গতিপথের সঙ্গে সমান্তরালভাবে দীর্ঘ ও সংকীর্ণ হয়ে যে বালিয়াড়ি গড়ে ওঠে , তাকে কী বলে ? 
উত্তরঃ-   সিফ বালিয়াড়ি । 

৮৪. মরু অঞ্চলে বায়ুপ্রবাহের গতিপথের সঙ্গে তির্যক বা আড়াআড়িভাবে অর্ধচন্দ্রাকার যে বালিয়াড়ি গড়ে ওঠে তাকে কী বলে ? 
উত্তরঃ-   বাখান । 

৮৫. মরু অঞ্চলে বায়ু ও জলধারার সম্মিলিত কার্যের ফলে সৃষ্ট মৃদু ও ঢালবিশিষ্ট প্রস্তরময় ভূমিরূপকে কী বলে ? 
উত্তরঃ-   পেডিমেন্ট । 

৮৬. মরু অঞ্চলে পর্বতের পাদদেশে পেডিমেন্টের নীচে অবনমিত অঞ্চলে নুড়ি , বালি , কাঁকর প্রভৃতি সঞ্চিত হয়ে যে সমভূমি গঠন করে , তাকে কী বলে ? 
উত্তরঃ-   বাজাদা । 

৮৭. গঙ্গা নদীর পার্বত্য প্রবাহ কতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত ? 
উত্তরঃ-   গঙ্গোত্রী হিমবাহের গোমুখ তুষার গুহা থেকে হরিদ্বার পর্যন্ত বিস্তৃত । 

৮৮. নদীর গতিপথের কোন অংশে সঞ্চয়কার্য বেশি হয় ? 
উত্তরঃ-   নিম্নগতিতে । 

৮৯. আহরণ ক্ষেত্র কাকে বলে ? 
উত্তরঃ-   কোনো একটি প্রধান নদী ও তার বিভিন্ন উপনদী যেসব অঞ্চলের জল সংগ্রহ করে সেইসব অঞ্চলকে একত্রে প্রধান নদীর আহরণ ক্ষেত্র বলে । 

৯০. কোন কোন অঞ্চলে বালিয়াড়ি লক্ষ করা যায় ? 
উত্তরঃ-   উস্ল মরু অঞ্চলে , শুষ্ক অঞ্চলে এবং সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলে । 

৯১. বায়ু কয়টি পদ্ধতিতে কার্য করে থাকে ? তিনটি পদ্ধতিতে । 
উত্তরঃ-   যথা— ক্ষয়সাধন , অপসারণ ও অধঃক্ষেপণ । 

৯২. নদীবাকের যে দিকের পাড় নদীর দিকে এগিয়ে যায় , সেই পাড়কে কী বলে ? 
উত্তরঃ-   উত্তল বা ঢালু পাড় । 

৯৩. পৃথিবীর দীর্ঘতম মহাদেশীয় হিমবাহের নাম কী ? 
উত্তরঃ-   ল্যামবার্ড । 

৯৪. পৃথিবীর বৃহত্তম পার্বত্য বা উপত্যকা হিমবাহের নাম কী ?
উত্তরঃ-   আলাস্কার হুবার্ড । 

৯৫. ভারতের দীর্ঘতম পার্বত্য বা উপত্যকা হিমবাহের নাম কী ? 
উত্তরঃ-   কারাকোরাম পবর্তের সিয়াচেন । 

৯৬. পৃথিবীর বৃহত্তম পাদদেশীয় হিমবাহের নাম কী ? 
উত্তরঃ-   আলাস্কার ম্যালাসপিনা । 

৯৭. রাজস্থানের থর মরুভূমিতে চলমান বালিয়াড়িকে কী বলা হয় ? 
উত্তরঃ-   থ্রিয়ান । 

৯৮. সমুদ্র উপকূল অঞ্চলে স্বল্প দীর্ঘ সংকীর্ণ অংশ যার মধ্যে জোয়ারের জল প্রবেশ করে , আবার ভাটার সময় খালি হয়ে যায় তাকে কী বলে ?
উত্তরঃ-   খাঁড়ি । 

৯৯. সয়কার্য হয়ে থাকে নদীর কোন গতিপথে ?
উত্তরঃ-   নিম্নগতিতে । 

১০০. পার্বত্য অঞ্চলে নদীর প্রধান কাজ কী ? 
উত্তরঃ-   ক্ষয় । 

১০১. নদীতে প্রতি সেকেন্ডে যত ঘনফুট জল প্রবাহিত হয় , তাকে কী বলে ? 
উত্তরঃ-   কিউসেক । 

১০২. নদীতে প্রতি সেকেন্ডে যত ঘনমিটার জল প্রবাহিত হয় , তাকে কী বলে ? 
উত্তরঃ-   কিউমেক । খাড়া পাড় বা অবতল পাড় । 

১০৩. পৃথিবীর বৃহত্তম ব – দ্বীপের নাম কী ? নদীর স্রোতের আঘাতে নদীবাঁকের পাড় ভেঙে গিয়ে ডাঙার দিকে ঢুকে যায় , তাকে কী বলে ? 
উত্তরঃ-   গঙ্গা – ব্রহ্মপুত্র । 

১০৪. পাখির পায়ের মতো ব – দ্বীপ কোথায় লক্ষ করা যায় ? 
উত্তরঃ-   কৃষ্ণা, মিসিসিপি – মিসৌরি ব – দ্বীপ । 

১০৫. বালুকাময় মরুভূমিকে সাহারায় আর্গ , তুরস্কে কী বলে ?
উত্তরঃ-   কুম । 

১০৬. মহাদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে যখন হিমবাহ অবস্থান করে তখন তাকে কী বলে ?
উত্তরঃ-   মহাদেশীয় হিমবাহ । 

১০৭. উপত্যকা হিমবাহ যখন নীচে নামতে নামতে পর্বতের পাদদেশে বিস্তৃত হয় তখন তাকে কী বলে ? 
উত্তরঃ-   পাদদেশীয় হিমবাহ । 

১০৮. ‘ ডিম ভরতি ঝুড়ি ‘ ভূমিরূপ কাকে বলা হয় ? 
উত্তরঃ-   ড্রামলিনকে । 

১০৯. সার্কের মধ্যবর্তী শৈলশিরাকে কী বলে ? 
উত্তরঃ-   এরিটি । 

১১০. বহিঃবিধৌত সমভূমির মাঝে মাঝে সৃষ্ট ঢিবি ও গর্তগুলিকে কী বলে ? 
উত্তরঃ-   নব ও কেটল । 

১১১. হিমবাহের সঞ্চয়কার্যের ফলে আঁকাবাঁকা শৈলশিরার মতো যে ভূমিরূপ সৃষ্টি হয় তাকে কী বলে ?
উত্তরঃ-   এস্কার । 

১১২. হিমবাহের দ্বারা সঞ্চিত বড়ো বড়ো শিলাখণ্ডকে কী বলে ? 
উত্তরঃ-   ইরাটিক । 

১১৩. পৃথিবীর বৃহত্তম স্বাদুজলের উৎস কী ?
উত্তরঃ-   হিমবাহ । 

১১৪. হিমবাহের উপরিপৃষ্ঠে দারণের মতো সৃষ্ট ফাটলগুলিকে কী বলে ? 
উত্তরঃ-   ক্রেভাস । 

১১৫. শিলাময় মরুভূমিকে সাহারায় হামাদা , আলজেরিয়ায় রেগ ; মিশর ও লিবিয়ায় কী বলে ? 
উত্তরঃ-   সেরাব । 

১১৬. জলপ্রপাত সিঁড়ির মতো ধাপযুক্ত হলে তাকে কী বলে ? 
উত্তরঃ-   ক্যাসকেড । 

১১৭. সমুদ্র জলতল বৃদ্ধির কারণ কী ? 
উত্তরঃ-   বিশ্ব উন্নায়ন । 

১১৮. সুন্দরবনকে বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ হিসেবে কত সালে ঘোষণা করা হয়েছে ? 
উত্তরঃ-   ১৯৮৯ সালে । 

১১৯. বিশ্ব উন্নায়নের প্রভাবে যে দ্বীপগুলি ডুবে যাচ্ছে তাদের নামগুলি কী ? 
উত্তরঃ-   ঘোড়ামারা , লোহাচড়া , নিউমুর বা পূর্বাশা দ্বীপ প্রভৃতি । 

১২০. ভোলা ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে যে দ্বীপটি জেগে ওঠে তার নাম কী ? 
উত্তরঃ-   নিউমুর । 

১২১. বহিঃবিধৌত সমভূমি সৃষ্টি হয় কার ফলে ?
উত্তরঃ-   হিমবাহ ও জলধারার কার্যের ফলে । 

১২২. মরু অঞ্চলে শুষ্ক নদীখাতকে কী বলা হয় ?
উত্তরঃ-   ওয়াদি । 

১২৩. মরু ও মরুপ্রায় অঞ্চলের লবণাক্ত জলের হ্রদকে কী বলে ?
উত্তরঃ-   প্লায়া । 

১২৪. Cockscomb ভূমিরূপ কাকে বলা হয় ?
উত্তরঃ-   ইয়ার্দাং 

১২৫. কেরালার মালাবার উপকূলের বালিয়াড়িকে স্থানীয় ভাষায় কী বলে ? 
উত্তরঃ-   চৌরিস । 

১২৬. কোন নদীর ব – দ্বীপ করাতের দাঁতের মতো ? 
উত্তরঃ-   ইতালির তাইবা নদীর ব – দ্বীপ । 

১২৭. নদী উপত্যকার প্রবাহ পথ কোনো রেখার দ্বারা তুলে ধরলে যে রেখাচিত্রটি পাওয়া যায় তাকে কী বলে ? 
উত্তরঃ-   নদীর পার্শ্বচিত্র ।

১২৮. ভূমিরূপ গঠনকারী প্রক্রিয়া ( Geomorphic Process ) বলতে কী বোঝ ? 
উত্তরঃ-   যেসকল ভৌত ও রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভূত্বকের উপরিভাগে নানা ভূমিরূপের সৃষ্টি , বিনাশ , পরিবর্তন ও বিবর্তন হয়ে চলেছে , তাদের একত্রে ভূমিরূপ গঠনকারী প্রক্রিয়া ( Geomorphic Process ) বলে ।

১২৯. কোন্ দুটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভূমিরূপ গঠনকারী প্রক্রিয়া কার্যকর হয় ?
উত্তরঃ-   অন্তর্জাত প্রক্রিয়া ( Endogenetic Process ) এবং বহির্জাত প্রক্রিয়া ( Exogenetic Process ) – এর মাধ্যমে ভূমিরূপ গঠনকারী প্রক্রিয়া কার্যকর হয় । 

১৩০. অন্তর্জাত প্রক্রিয়া ( Endogenetic Process ) কাকে বলে ?
উত্তরঃ-   ভূঅভ্যন্তরে উদ্ভূত বলের প্রভাবে স্থানীয় বা আঞ্চলিক ভাবে কঠিন ভূত্বকের যে – ধীর ও আকস্মিক পরিবর্তন ঘটে , তাকে অন্তর্জাত প্রক্রিয়া বলা হয় ।

১৩১. বহির্জাত ভূমিরূপ গঠনকারী প্রক্রিয়া ( Exogenetic Process ) বলতে কী বোঝ ?
উত্তরঃ-   ভূবহিস্থ বা পৃথিবীপৃষ্ঠের বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তির মাধ্যমে যান্ত্রিক ও রাসায়নিক পদ্ধতিতে ভূপৃষ্ঠের বিবর্তন ও পরিবর্তনকেই বহির্জাত ভূমিরূপ গঠনকারী প্রক্রিয়া বলে । 

১৩২. মাশরুম রকস কাকে বলা হয় ? 
উত্তরঃ-   গৌর । 

১৩৩. ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত কোন নদীর উপর সৃষ্টি হয়েছে ? 
উত্তরঃ-   জাম্বেসি । 

১৩৪. হিমসিঁড়িতে জল জমে সৃষ্ট হ্রদকে কী বলে ?
উত্তরঃ-   প্যাটারনস্টার হ্রদ । 

১৩৫. কোন দেশকে বলা হয় ফিয়র্ডের দেশ বা Land of Fiord’s ? 
উত্তরঃ-   নরওয়েকে । 

১৩৬. পৃথিবীর দীর্ঘতম নদীখাঁড়ির নাম কী ? 
উত্তরঃ-   নদীর খাঁড়ি । 

১৩৭. পৃথিবীর দীর্ঘতম নদ / নদীর নাম কী ?
উত্তরঃ-   নীলনদ । 

১৩৮. বহির্জাত ভূমিরূপ গঠনকারী প্রক্রিয়ার শক্তিগুলি কী কী ?
উত্তরঃ-   বহির্জাত ভূমিরূপ গঠনকারী প্রক্রিয়ার শক্তিগুলি হল নদী বা জলধারা , হিমবাহ , বায়ু , সমুদ্রতরঙ্গ , ভৌমজল ইত্যাদি ।

১৩৯. পর্যায়ন বা পর্যায়ন প্রক্রিয়া ( Gradation ) কাকে বলে ?
উত্তরঃ-   ক্ষয়সীমার সাপেক্ষে অসমতল ও বন্ধুর ভূমির সমতলে পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়াকে পর্যায়ন বলা হয় । Chamberlin এবং Salisbury নামক দুই ভূবিজ্ঞানী প্রথম ‘ পর্যায়ন ‘ বা ‘ Gradation ‘ শব্দটি ব্যবহার করেন ।

১৪০. কোন্ দুটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পর্যায়ন প্রক্রিয়া কার্যকর হয় ?
উত্তরঃ-   অবরোহণ এবং আরোহণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পর্যায়ন প্রক্রিয়া কার্যকর হয় ।

১৪১. পর্যায়িত ভূমি ( Graded Landform ) কাকে বলে ? 
উত্তরঃ-   ক্ষয় ও সঞ্চয়ের মাধ্যমে কোনো ভূমিরূপের মধ্যে যখন সাম্য অবস্থা বিরাজ করে , তখন সেই ভূমিরূপকে পর্যায়িত ভূমি বলা হয় ।

১৪২. নদ ও নদী কী ? 
উত্তরঃ-   স্বাভাবিক জলধারা অভিকর্ষ শক্তির টানে ভূমির ঢাল অনুসারে নীচের দিকে প্রবাহিত হয়ে কোনো জলাশয়ে মিলিত হলে তাকে নদী বলে । যেসব জলধারা পুরুষ নামে – ব্রহ্মপুত্র নদ , গঙ্গা নদী । পরিচিত তাদের নদ এবং যেসব জলধারা স্ত্রী নামে পরিচিত তাদের নদী বলে । 

১৪৩. নদী উপত্যকা ও নদী অববাহিকা কাকে বলে ? 
উত্তরঃ-   নদীর উৎস থেকে মোহনা পর্যন্ত গতিপথের দু’পাশের দীর্ঘ ও সংকীর্ণ নিম্নভূমির মাঝ বরাবর যে জলধারা প্রবাহিত হয় তাকে নদী উপত্যকা বলে । আর প্রধান নদী তার উপনদী ও শাখাপ্রশাখা নিয়ে যে অঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে যায় , সেই অঞ্চলকে ঐ নদীর অববাহিকা বলে । 

১৪৪. ধারণ অববাহিকা কাকে বলে ? 
উত্তরঃ-   যখন কোনো একটি প্রধান নদী ও তার উপনদীসমূহ পর্বত ও মালভূমির যেসকল অঞ্চল থেকে জল নিয়ে এসে প্রবাহিত হয় অর্থাৎ অসংখ্য উপনদী সহ প্রধান নদীর অববাহিকাকে ধারণ অববাহিকা বলে । 

১৪৫. জলবিভাজিকা কাকে বলে ? 
উত্তরঃ-   পাশাপাশি অবস্থিত নদী অববাহিকাকে যে উচ্চভূমি ( পাহাড় , পর্বত ) পরস্পর থেকে আলাদা করে তাকে জলবিভাজিকা বলে । যেমন — মধ্য এশিয়ার পার্বত্য অঞ্চল বিশ্বের বৃহত্তম জলবিভাজিকা । 

১৪৬. নদীর ষষ্ঠঘাতের সূত্র কী ? 
উত্তরঃ-   নদীর গতিবেগ দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেলে তার বহনক্ষমতা 26 বা 64 গুণ বৃদ্ধি পায় । নদীর গতিবেগের সঙ্গে তার বহনক্ষমতার আনুপাতিক সম্পর্ককে নদীর ষষ্ঠঘাতের সূত্র বলে । 

১৪৭. আদর্শ নদী কাকে বলে ? 
উত্তরঃ-   যে নদীর গতিপথে উচ্চগতি , মধ্যগতি , নিম্নগতি এই তিনটি প্রবাহ সুস্পষ্টভাবে লক্ষ করা যায় , তাকে আদর্শ নদী বলে । যেমন — গঙ্গা , সিন্ধু , নীল , আমাজন , মিসিসিপি নদী প্রভৃতি । 

১৪৮. ক্যানিয়ন কাকে বলে ? 
উত্তরঃ-   শুষ্ক মরু অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের অভাবে পার্শ্বক্ষয় একেবারে হয় না বললেই চলে । এই অঞ্চলে ‘ I ‘ আকৃতির নদী উপত্যকা অত্যন্ত গভীর ও সংকীর্ণ নলের মতো আকৃতিবিশিষ্ট হয় এই ভূমিরূপকে ক্যানিয়ন বলে । যেমন— গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন । 

১৪৯. খরস্রোত কাকে বলে ? 
উত্তরঃ-   নদীর গতিপথে কোথাও কোথাও কঠিন ও কোমল শিলা উল্লম্বভাবে অবস্থান করলে নদীর ক্ষয়কার্যের ফলে কোমল শিলা ক্ষয় পেয়ে সিঁড়ির মতো ধাপে ধাপে নেমে আসে । এই সিঁড়িগুলিতে ছোটো ছোটো জলপ্রপাতের সৃষ্টি হয় এগুলিকে বলা হয় খরস্রোত । ক্ষুদ্র ও স্বল্পদৈর্ঘ্যের জলপ্রপাতকে র্যাপিড বলে । 

১৫০. প্রপাতকূপ কাকে বলে ? 
উত্তরঃ-   জলপ্রপাতের পাদদেশে প্রবল জলস্রোত ও প্রস্তরখণ্ডের আঘাতে বুদ বুদ ক্ষয়ের মাধ্যমে যে কূপের মতো গর্তের সৃষ্টি হয় তাকে প্রপাতকূপ বা প্রাপুল বলে । 

১৫১. খাড়ি , ব – দ্বীপ কাকে বলে ? 
উত্তরঃ-   নদীর নিম্নগতিতে ব – দ্বীপহীন প্রশস্ত নদীমোহনাকে খাড়ি বলে । নদীবাহিত বিভিন্ন পদার্থ মোহনায় সঞ্চিত হয়ে মাত্রাহীন ব – এর মতো যে ভূমিরুপ গঠিত হয় তাকে ব – দ্বীপ বলে । 

১৫২. আবহবিকার ( Weathering ) কাকে বলে ?
উত্তরঃ-   আবহাওয়ার বিভিন্ন উপাদান , যেমন — উন্নতা , আর্দ্রতা , বৃষ্টিপাত ইত্যাদির দ্বারা ভূপৃষ্ঠের শিলাসমূহের যান্ত্রিক পদ্ধতিতে বিচূর্ণন ও রাসায়নিক পদ্ধতিতে বিয়োজন হওয়াকে আবহবিকার বলে ।

১৫৩. আবহবিকার যান্ত্রিক , রাসায়নিক ও জৈবিক ক্ষয়ীভবন ( Erosion ) কী ?
উত্তরঃ-   ভূপৃষ্ঠের বিভিন্ন ক্ষয়কারী শক্তির দ্বারা পদার্থের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে অপসারিত হওয়ার প্রক্রিয়াকে ক্ষয়ীভবন বলা হয় । এটি একটি গতিশীল প্রক্রিয়া ।

১৫৪. পুঞ্জিত ক্ষয় ( Mass wasting ) কাকে বলে ?
উত্তরঃ-   উচ্চভূমির ঢালের মৃত্তিকা ও শিলাস্তর অভিকর্ষের টানে ঢাল বেয়ে নীচে নেমে আসার ঘটনাকে পুঞ্জিত ক্ষয় বলে । 

১৫৫. নগ্নীভবন ( Denudation ) কাকে বলে ?
উত্তরঃ-   আবহবিকার , পুঞ্জিত ক্ষয় এবং ক্ষয়ীভবন — এই তিনটি পদ্ধতির যৌথ ক্রিয়াশীলতায় ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগের শিলাস্তর ক্ষয়ীভূত হয়ে অপসারিত হয় । এর ফলে নীচের শিলাস্তর উন্মুক্ত হয়ে পড়ে । 

১৫৬. এই প্রক্রিয়াকেই নগ্নীভবন বলে । নগ্নীভবনের সূত্রটি কী ?
উত্তরঃ-   নগ্নীভবনের সূত্রটি হল— = নগ্নীভবন = আবহবিকার + পুঞ্জিত ক্ষয় + ক্ষয়ীভবন ।

১৫৭. ক্ষয়সীমা কাকে বলে ? 
উত্তরঃ-   ক্ষয়কারী শক্তিগুলি ভূপৃষ্ঠের নীচে যতটা পর্যন্ত ক্ষয় করতে পারে , তা হল ক্ষয়সীমা । সমুদ্রতল হল শেষ ক্ষয়সীমা । J W Powell হলেন ক্ষয়সীমা ধারণার প্রবর্তক ।

১৫৮. ক্ষয়ীভবন ও পুঞ্জিত ক্ষয়ের মূল পার্থক্য কী ?
উত্তরঃ-   ভূপৃষ্ঠস্থ বিভিন্ন শক্তির মাধ্যমে পদার্থের অপসারণ হল ক্ষয়ীভবন । অপরদিকে অভিকর্ষজ বলের প্রভাবে ভূমির ঢাল বরাবর পদার্থ নেমে আসা হল পুঞ্জিত ক্ষয় । 


১৫৯. ক্রেভাস ও বার্গমুন্ড কী ? 
উত্তরঃ-   প্রবাহপথে হিমবাহের গায়ে সংকোচন ও প্রসারণের ফলে যে ফাটলের সৃষ্টি হয় তাকে ক্রেভাস বলে । পর্বত গাত্রে জমে থাকা বরফস্তূপ ও পার্বত্য হিমবাহের মধ্যে যে সংকীর্ণ ও গভীর ফাটল সৃষ্টি হয় , তাকে জার্মান ভাষায় বার্গমুন্ড বলে । 

১৬০. ঝুলন্ত উপত্যকা কী ? 
উত্তরঃ-   প্রধান নদীর সাথে ছোটো ছোটো উপনদী এসে যেমন মিলিত হয় , ঠিক সেইরূপ প্রধান হিমবাহের সাথে ছোটো ছোটো হিমবাহ মিলিত হতে থাকে । প্রধান হিমবাহ বৃহৎ হওয়ায় তার উপত্যকা ক্ষুদ্রাকার হিমবাহের উপত্যকা অপেক্ষা অধিক গভীর হয় । পরে এই উপত্যকা সরে গেলে ক্ষুদ্রাকার উপত্যকা হিমবাহ দেখে মনে হয় যেন প্রধান হিমবাহের উপর ঝুলছে । এইরূপ উপত্যকাকে ঝুলন্ত উপত্যকা বলে । 

১৬১. কর্তিত শৈলশিরা কাকে বলে ?
উত্তরঃ-   হিমবাহের ক্ষয়কার্যের ফলে উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে শৈলশিরাগুলির অগ্রভাগ কেটে খাড়া ঢালে পরিণত হলে তাদের কর্তিত শৈলশিরা বলে । হিমালয় , আল্পস প্রভৃতি পর্বতে লক্ষ করা যায় । 

১৬২. হিমদ্রোণি কী ? 
উত্তরঃ-   পার্বত্য অঞ্চলে উৎপাটন ও অবঘর্ষণের প্রভাবে হিমবাহ উপত্যকার তলদেশ অত্যন্ত প্রশস্ত হয় এবং পার্শ্বদেশ মসৃণ এবং খাড়া ঢালযুক্ত হয় , এইরূপ উপত্যকাকে হিমদ্রোণি বলে । 

১৬৩. হিমবাহ কী ? 
উত্তরঃ-   পর্বতগাত্রে তুষার জমে বিশালাকৃতির বরফের স্তূপ যখন বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে অবস্থান করে এবং মাধ্যাকর্ষণ শক্তির টানে ধীরে ধীরে নীচের দিকে নেমে আসে , তাকে হিমবাহ বলে । 

১৬৪. রসে মতানে কাকে বলে ? 
উত্তরঃ-   হিমবাহ তার গতিপথে ক্ষয়কার্যের ফলে কঠিন শিলার বাধাকে অতিক্রম করলে হিমবাহের প্রবাহের দিক মসৃণ হয় এবং বিপরীত দিক অমসৃণ হয় । এইরূপ ভূমিরূপকে রসে মতানে বলে । 

১৬৫. পিড়ামিড চূড়া কাকে বলে ? 
উত্তরঃ-   পর্বতের গায়ে ক্রমাগত ক্ষয়কার্যের ফলে যখন বিভিন্ন দিক থেকে তিন – চারটি সার্কের সৃষ্টি হয় তখন তার মাঝখানের খাড়াই চূড়াটি পিরামিডের মতো আকৃতিবিশিষ্ট হয় । এইভাবে হিমবাহের ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট পিরামিডের মতো আকৃতিবিশিষ্ট পর্বত চূড়াকে পিরামিড চূড়া বলে । 

১৬৬. নুনাটাক কাকে বলে ? 
উত্তরঃ-   মহাদেশীয় হিমবাহের মধ্যে মাঝে মাঝে বিশেষ করে প্রান্তভাগের দিকে যেখানে বরফের স্তর খুব একটা পুরু থাকে না সেখানে কিছু কিছু পাহাড়ের অংশ বরফমুক্ত অবস্থায় জেগে থাকে । এইরূপ হিমবাহের মধ্যে বরফমুক্ত উচ্চভাগকে এস্কিমো ভাষায় নুনাটাক বলে । 

১৬৭. অপসারণ গর্ত কী ? 
উত্তরঃ-   মরু অঞ্চলে বায়ুর অপসারণ কার্যের ফলে বালুকণা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে চলে গেলে কালক্রমে সেখানে অবনত স্থানের সৃষ্টি হয় । এই অবনমিত স্থান গভীর গরে রূপ নিলে তাকে অপসারণ গর্ত বলে । 

১৬৮. মরুদ্যান বা Oasis কাকে বলে ? 
উত্তরঃ-   মরু অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে অপসারণ ক্ষয়কার্যের ফলে অবনমিত স্থানের সৃষ্টি হলে সেই অবনমিত স্থানে জল জমে যে হ্রদের সৃষ্টি হয় , তাকে মরুদ্যান বা Oasis বলে । 

১৬৯. নদী অববাহিকা ও জলবিভাজিকা বলতে কী বোঝ?
নদী অববাহিকা – একটি নদী এবং তার বিভিন্ন উপনদী ও শাখানদীগুলি যে অঞ্চলের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়, সেই অঞ্চলকে বলা হয় সেই নদীটির অববাহিকা।
জলবিভাজিকা – কাছাকাছি অবস্থিত দুই নদী অববাহিকাকে যে উচ্চভূমি পৃথক করে, সেই উচ্চভূমিকে বলা হয় জলবিভাজিকা। সাধারণত পাহাড় বা পর্বত জলবিভাজিকার কাজ করে।

১৭০. ধারণ অববাহিকা কাকে বলে?
অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জলধারা খাতের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হলে সেগুলিকে বলে নদী। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নদী দিয়ে গঠিত হয় একটি মূলনদী বা প্রধান নদী। এরকম একটি মূলনদী এবং তার উপনদী ও শাখানদী বিধৌত অঞ্চলকে ওই নদীর ধারণ অববাহিকা বলে। ধারণ অববাহিকায় পতিত অধঃক্ষেপণের জল ওই নদীর মাধ্যমে নিষ্কাশিত হয়।

১৭১. নদী উপত্যকা কাকে বলে?
দুই উচ্চভূমির মধ্যবর্তী দীর্ঘ ও সংকীর্ণ নিম্নভূমিকে বলা হয় উপত্যকা। আর সেই সংকীর্ণ নিম্নভূমির মধ্যে দিয়ে যখন নদী প্রবাহিত হয়, তখন তাকে বলা হয় নদী উপত্যকা। অর্থাৎ নদী যে অংশের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয় তাকে নদী উপত্যকা বলে।

১৭২. ক্রাগ ও টেল কী ?
উত্তরঃ-   হিমবাহের গতিপথে কঠিন শিলাস্তূপের পেছনে নরম শিলাস্তর অবস্থান করলে হিমবাহের ক্ষয় থেকে রক্ষা পেয়ে টিলার মতো এই শিলা উঁচু হয়ে থাকে , একে ক্রাগ বলে । এর পেছনের কোমল শিলাকে টেল বলে । 

১৭৩. ফ্রিয়র্ড ও ফিয়ার্ড কী ? 
উত্তরঃ-   বিশেষত সমুদ্রতীরবর্তী অঞ্চলে হিমবাহ তার উপত্যকাগুলিকে এত গভীরভাবে ক্ষয় করে যে সেগুলি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে নীচু হয়ে যায় এবং বরফ মুক্ত হলে পরে সমুদ্রের জলে ভরে যায় । হিমবাহ দ্বারা সৃষ্ট কিন্তু সমুদ্রের জলপূর্ণ এইরূপ উপত্যকাকে ফিয়র্ড বলে । অগভীর ও স্বল্পদৈর্ঘ্যের ফিয়র্ডকে ফিয়ার্ড বলে । 

১৭৪. এস্কার ও কেম কাকে বলে ? 
উত্তরঃ-   হিমবাহের তলদেশে নুড়ি পাথর , বালি , কাদা প্রভৃতি জমা হয়ে গঠিত আঁকাবাঁকা সংকীর্ণ শৈলশিরাকে বলা হয় এস্কার । হিমবাহবাহিত নুড়ি , বালি , কাদা প্রভৃতি জমা হয়ে যে ত্রিকোণাকার দ্বীপের ন্যায় ভূমিরূপ গঠন করে তাকে কেম বলে । 

১৭৫. নদীর ক্ষয়সীমা কাকে বলে ? 
উত্তরঃ-   সমুদ্রজলের উচ্চসীমাকে সমুদ্রতল হিসেবে ধরা হয় । সমুদ্রে পতিত নদী সর্বদাই এই সমুদ্রতলের সঙ্গে সমতা বজায় রেখে ক্ষয়কার্য করে থাকে অর্থাৎ নদী যে উচ্চতার নীচে আর নিম্নক্ষয় করে না , তাকে নদীর ক্ষয়ের শেষ সীমা বলে । 

১৭৬. স্বাভাবিক বাঁধ বা লেভি কাকে বলে ? 
উত্তরঃ-   নদীর সমভূমি প্রবাহে বন্যার ফলে কোনো কোনো অঞ্চলে নদীর তীর বরাবর নুড়ি , বালি , কাদা প্রভৃতি জমা হয়ে যে উঁচু বাঁধের সৃষ্টি হয় , তাকে স্বাভাবিক বাঁধ বলে । 

১৭৭. হিমানী সম্প্রপাত কাকে বলে ? 
উত্তরঃ-   কখনো কখনো ভূমিঢালের দরুন গতিশীল হিমবাহ থেকে বিশালাকার বরফস্তূপ ভেঙে অতিদ্রুত নীচে নেমে আসে , একেই হিমানী সম্প্রপাত বলে । 

১৭৮. গ্রাবরেখা কাকে বলে ? 
উত্তরঃ-   উচ্চ পার্বত্য অঞ্চল থেকে হিমবাহ নুড়ি , বালি , কাকড় , কাদা , পলি প্রভৃতি সহ স্তূপাকারে নীচের দিকে এগিয়ে চলে , এই শিলাস্তূপকে বলা হয় গ্রাবরেখা বা মোরেন । 

১৭৯. কেটল এবং কেটল হ্রদ কাকে বলে ? 
উত্তরঃ- বহিঃবিধৌত সমভূমিতে অনেকসময় বরফের টুকরো থেকে যায় । পরবর্তীতে সেই বরফের টুকরোগুলি গলে গেলে অঞ্চলটি গর্তরূপে অবস্থান করে । এ জাতীয় গর্তকে কেটল হ্রদ । বলা হয় কেটল । আবার কেটলগুলি জলপূর্ণ হয়ে যে হ্রদের সৃষ্টি করে , তাকে বলা হয় । 

১৮০. গিরিখাত কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
বৃষ্টিবহুল পার্বত্য অঞ্চলে ভূমির ঢাল বেশি থাকে বলে নদীর গতিবেগ খুব বেশি হয়। এই অংশে নদী পার্শ্বক্ষয় অপেক্ষা নিম্নক্ষয় বেশি করে। এর ফলে নদীখাত যথেষ্ট গভীর হয়। নদীখাত খুব গভীর ও সংকীর্ণ হতে হতে যখন ইংরেজি অক্ষর ‘V’ আকৃতির হয়, তখন তাকে বলা হয় গিরিখাত। উদাহরণ — দক্ষিণ আমেরিকার পেরুর এল ক্যানন দ্য কলকা বিশ্বের একটি গভীরতম (3270 মি) গিরিখাত।

১৮১. মন্থকূপ বা পটহোল কী?
পার্বত্য অঞ্চলে নদীর প্রবল স্রোতের সঙ্গে বাহিত বড়ো বড়ো পাথরের সঙ্গে নদীখাতের সংঘর্ষের ফলে নদীর বুকে মাঝে মাঝে গর্ত সৃষ্টি হয়। এগুলিকে মন্থকূপ বা পটহোল বলা হয়।

১৮২. কিউসেক ও কিউমেক কী?
কিউসেক – 
নদীর একটি নির্দিষ্ট অংশ দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে যত ঘনফুট জল প্রবাহিত হয়, তাকেই কিউসেক (cubic feet per second) বলা হয়।

কিউমেক – 
নদীর একটি নির্দিষ্ট অংশ দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে যত ঘনমিটার জল প্রবাহিত হয়, তাকে কিউমেক (cubic meter per second) বলা হয়।

১৮৩. নদীবাঁক বা মিয়ান্ডার কাকে বলে?
সমভূমিতে ভূমির ঢাল খুব কম থাকে বলে নদীর গতিবেগও কমে যায়। এইসময় নদীগর্ভে চরের সৃষ্টি হলে নদী তা এড়িয়ে চলার জন্য এঁকেবেঁকে প্রবাহিত হয়। এর মধ্যে যেসব জায়গায় নদীর গতিপথে সুস্পষ্ট বাঁক (curve) লক্ষ করা যায়, সেগুলিকেই নদীবাঁক (meander) বলে। নদীবাঁকের একটি পাড় উত্তল ও বিপরীত পাড়টি অবতল হয়।

১৮৪. ক্রমায়ন শক্তি কাকে বলে?
ক্রমায়ন শক্তি বলতে তিনটি পর্যায়ের মধ্যে দিয়ে বহির্জাত শক্তির কার্যপ্রক্রিয়াকে বোঝায়। প্রথম পর্যায়ে পদার্থের বিয়োজন ও ক্ষয়কাজ হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে বিয়োজিত ও ক্ষয়প্রাপ্ত পদার্থসমূহ অপসৃত বা পরিবাহিত হয়। তৃতীয় পর্যায়ে অপসৃত বা পরিবাহিত দ্রব্যগুলি ভূপৃষ্ঠের নিচু অংশে সঞ্চিত হয়।

১৮৫. অন্তবদ্ধ শৈলশিরা কী?
পার্বত্য অঞ্চলে শৈলশিরাসমূহ নদীর গতিপথে এমনভাবে বাধার সৃষ্টি করে যে, সেই বাধা এড়াতে নদীকে এঁকেবেঁকে প্রবাহিত হতে হয়। এর ফলে শৈলশিরাগুলিকে দূর থেকে পরস্পর আবদ্ধ দেখায় এবং নদী ওই শৈলশিরাগুলির মধ্যে অদৃশ্য হয়ে গেছে বলে মনে হয়। একে অন্তবদ্ধ শৈলশিরা বলা হয়।

১৮৬. কাসকেড কী?
যখন কোনো জলপ্রপাতের জল অজস্র ধারায় বা সিঁড়ির মতো ঢাল বেয়ে নীচের দিকে নামে, তখন সেই জলপ্রপাতকে কাসকেড বলে। যেমন — রাচির জোনা জলপ্রপাত।

১৮৭. ক্যানিয়ন কাকে বলে?
তুষারগলা জলে উৎপন্ন কোনো নদী যখন বৃষ্টিহীন শুষ্ক অঞ্চলের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয় তখন তার দুই পাড়ের ক্ষয় (পার্শ্বক্ষয়) খুব কম থাকে। এই অবস্থায় নদীর গতিপথে যদি কোমল শিলাস্তর থাকে তাহলে নদীজলের স্বল্পতার জন্য নদীর উপত্যকায় নিম্নক্ষয় বেশি হয়। এর ফলে ইংরেজি অক্ষর ‘I’ আকৃতির অত্যন্ত গভীর ও সংকীর্ণ যে গিরিখাতের সৃষ্টি হয়, তাকে ক্যানিয়ন বলা হয়। যেমন – গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন।

১৮৮. নদীগ্রাস কাকে বলে?
কোনো জলবিভাজিকা থেকে নির্গত পাশাপাশি প্রবাহিত দুটি নদীর মধ্যে যে নদীটি বেশি শক্তিশালী, সেই নদীটি অন্য, নদীটির মস্তকদেশের অংশবিশেষ গ্রাস করে। এই ঘটনাকে বলা হয় নদীগ্রাস (river capture)।

১৮৯. নদীর ক্ষয়সীমা বলতে কী বোঝ?
নদী ভূপৃষ্ঠে যে উচ্চতা পর্যন্ত ক্ষয় করতে সক্ষম, সেই উচ্চতাকে নদীর ক্ষয়সীমা বলে। সাধারণভাবে নদীর ক্ষয়সীমা হল সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা অর্থাৎ নদী সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা পর্যন্ত ক্ষয়কার্য করে। তবে নদীর গতিপথে কোনো কঠিন শিলা অবস্থান করলে নদী এই কঠিন শিলাস্তরকে বিশেষ ক্ষয় করে না। তখন ওই কঠিন শিলাস্তর স্থানীয় ক্ষয়সীমারূপে কাজ করে। মরু অঞ্চলে নদীর ক্ষয়সীমা হল প্লায়া হ্রদ।

১৯০. অন্তর্জাত শক্তি কী?
পৃথিবীর অভ্যন্তরে সৃষ্ট সংকোচন, প্রসারণ, উত্থান, অবনমন, বিচ্ছেদ, বিস্তৃতি, নির্গমন প্রভৃতি যেসব প্রক্রিয়ার জন্য ভূপৃষ্ঠে ভূমিরূপ প্রভাবিত বা পরিবর্তিত হয়, সেগুলিকে ভূ-অভ্যন্তরীণ বা অন্তর্জাত শক্তি বলে। অন্তর্জাত শক্তির প্রভাবে মহাদেশ, মালভূমি, চ্যুতি, ফাটল, গ্রস্ত উপত্যকা, উঠে যাওয়া, নেমে যাওয়া উপকূল তৈরি হয়। এগুলি ধীর প্রক্রিয়া। অন্য দিকে আগ্নেয়গিরি, লাভা মালভূমি এগুলি আকস্মিক আলোড়নের ফলে তৈরি হয়। অন্তর্জাত আন্দোলন উল্লম্ব আলোড়ন এবং অনুভূমিক আলোড়নের মধ্যে দিয়ে হয়।

১৯১. বহির্জাত শক্তি কী?
বহির্জাত প্রক্রিয়া হল, যে পদ্ধতিতে ভূপৃষ্ঠের বাইরের শক্তির দ্বারা ভূমিরূপের পরিবর্তন হয়। নদী, হিমবাহ, বায়ু, ভৌমজল, সমুদ্রতরঙ্গ, আবহবিকার, পুঞ্জক্ষয়—এই প্রক্রিয়াগুলি ভূপৃষ্ঠকে ক্ষয়, বহন এবং সঞ্চয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নতুন ভূমিরূপ তৈরি করে। বহির্জাত শক্তিকে এককথায়, ধ্বংসাত্মক শক্তি বলে।

১৯২. এরিটি কী ? 
উত্তরঃ-   হিমবাহের ঘর্ষণের ফলে সৃষ্টি হওয়া পাশাপাশি দু’টি সার্ক – এর মাঝখানে যে খাড়াই শৈলশিরা অবস্থান করে , তাকে এরিটি বলে । 


দশম শ্রেণীর ভূগোল – বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ / Bohirjato Prokriya o Tader dara Sristo Vumirup (প্রথম অধ্যায়)" সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর" । WBBSE Class 10th Geography 1st Chapter SAQ Questions and Answers 

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর | SAQ Questions and Answers (Class Ten geography first chapter)

১. লোহাচড়া দ্বীপটি ডুবে যাচ্ছে কেন?
উত্তরঃ-    হুগলি নদীর মোহানায় লোহাচড়া বদ্বীপটি ক্রমশ ডুবে যাচ্ছে। এর কারণ হিসেবে গবেষকরা কয়েকটি কারণ নির্দেশ করেছেন —
1. সমুদ্রজলতলের উচ্চতা বৃদ্ধি
2. উপকূলের ক্ষয়
3. প্রবল ঘূর্ণিঝড় প্রভৃতি, এছাড়া ম্যানগ্রোভের ধ্বংস এই দ্বীপের খুব ক্ষতি করছে।

২. ফারাক্কা ব্যারেজের সাথে লোহাচড়া দ্বীপের সম্পর্ক কী?
উত্তরঃ-    আপাত দৃষ্টিতে কোনো সম্পর্ক নেই। কারণ ফারাক্কা ব্যারেজ হল মুরশিদাবাদের একটি বাঁধ আর লোহাচড়া দ্বীপটি হল বঙ্গোপসাগরের মধ্যে সম্প্রতি ডুবে যাওয়া একটি দ্বীপ। কিছু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, 1974 সালে ফারাক্কা ব্যারেজ তৈরি হওয়ার পর থেকে হুগলি নদীর মধ্যে দিয়ে গঙ্গায় অধিকাংশ জল প্রবাহিত হচ্ছে। বর্ষাকালে আরও বেশি জল এসে সুন্দরবনের দ্বীপগুলিকে জলমগ্ন করে তুলছে। যে কারণে, লোহাচড়া দ্বীপের মতো আরও দ্বীপের অদৃশ্য হওয়ার ঘটনা ঘটছে।

৩. দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপ সম্পর্কে কী জান?
উত্তরঃ-    হাড়িয়াভাঙা নদীর মোহানা থেকে 2 কিমি দূরে এই দ্বীপের অবস্থান। ভৌগোলিক অবস্থা অনুযায়ী এটি 21° 37′ 00″ উত্তর এবং 89° 08′ 30″ পূর্ব অবস্থানে রয়েছে। 1970 সালে ভোলা ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এই দ্বীপের খুব ক্ষতি হয়। 1974 সালে এর আয়তন ছিল 2500 বর্গমিটার (উপগ্রহ চিত্র থেকে)। বর্তমানে এটি সম্পূর্ণ নিমজ্জিত দ্বীপ।

৪. হিমশৈল কাকে বলে?
উত্তরঃ-    সমুদ্রে ভাসমান বিশালাকৃতি বরফের স্তূপকে হিমশৈল (iceberg) বলা হয়। সাধারণত মহাদেশীয় হিমবাহ থেকে বিশাল বরফের স্তূপ আলাদা হয়ে সংলগ্ন সমুদ্রে হিমশৈলরূপে ভেসে বেড়ায়। হিমশৈলের কেবল 1/10 ভাগ জলের ওপর দেখা যায়। বিশ্ববিখ্যাত জাহাজ টাইটানিক তার প্রথম যাত্রাতেই এরকম একটি হিমশৈলের সঙ্গে ধাক্কা লেগে গভীর সমুদ্রে ডুবে যায়।

৫. নব ও কেটল কী?
উত্তরঃ-    
নব – হিমবাহ-বাহিত নুড়ি, শিলাখণ্ড প্রভৃতি জলপ্রবাহের সঙ্গে বাহিত হয়ে বহিঃধৌত সমভূমির ওপর টিলার আকারে অবস্থান করলে সেই টিলাগুলিকে নব বলে।

কেটল – বহিঃধৌত সমভূমির মধ্যস্থিত বিশালাকৃতির বরফখণ্ড গলে গিয়ে যেসব গহ্বরের সৃষ্টি হয়, সেগুলিকে বলা হয় কেটল। পরবর্তীকালে ওইসব গহ্বরে হিমবাহ গলা জল জমে যে হ্রদের সৃষ্টি হয়, সেই হ্রদকে বলা হয় কেট্‌ল হ্রদ।
উত্তর ইউরোপের অনেক স্থানে নব ও কেটুলের অবস্থান লক্ষ করা যায় এবং ওইসব অঞ্চলের ভূমিরূপকে ‘নব ও কেট্‌ল সমন্বিত ভূমিরূপ’ বলা হয়।

৬. হিমবাহের গতিবেগ কীরূপ?
উত্তরঃ-    
হিমবাহের গতি অত্যন্ত ধীর। ভূমির ঢাল, বরফের পরিমাণ, ঋতুগত পার্থক্য, পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি, বরফের নমনীয় অবস্থা, এসবের ওপর নির্ভর করে হিমবাহ এগোতে থাকে। হিমবাহকে বরফের নদী বলা হলেও সে অতি ধীর গতিতে এগোতে থাকে। আল্পসের হিমবাহ প্রতিদিন গড়ে 5.5 সেমি এগিয়ে যায়। হিমালয়ের হিমবাহ প্রতিদিন 2.5-7.5 সেমি করে অগ্রসর হয়।

৭. হিমবাহ জিভের মতো এগিয়ে যায় কেন?
উত্তরঃ-    
হিমবাহ যখন প্রবাহিত হয় তখন দুই পাশ অপেক্ষা মধ্যবর্তী অংশ দ্রুত এগিয়ে যায়। কারণ মাঝখানের হিমবাহ কেবল হিমবাহের তলদেশ ঘর্ষণের জন্য কেবল বাধা পায়। অন্যদিকে পার্শ্ব হিমবাহ উপত্যকায় পার্শ্ববর্তী অংশ এবং তলদেশ উভয়ের দ্বারাই বাধাপ্রাপ্ত হয়। এজন্য মধ্যের হিমবাহ একটু এগিয়ে যায়। একে দেখতে অনেকটা জিভের মতো মনে হয়। একে স্নাউট (snout) বলে।

৮. ঘোড়ামারা দ্বীপের বর্তমান অবস্থা কেমন?
উত্তরঃ-     কলকাতা থেকে মাত্র 150 কিমি দূরে বঙ্গোপসাগরের মধ্যে এটি একটি সুন্দরবনের সাধারণ দ্বীপ। পরীক্ষায় দেখা গেছে, 1951 সালে ঘোড়ামারা দ্বীপটির আয়তন ছিল 38.23 বর্গকিমি, 2011 সালে এর আয়তন দাঁড়ায় 4.37 বর্গকিমি। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এই দ্বীপটিও সম্পূর্ণ ডুবে যাবে।

৯. নদীর পুনর্যৌবন লাভ বলতে কী বোঝ?
উত্তরঃ-     ভূমিঢালের পরিবর্তন হলে অনেকসময় নদীর নিম্নক্ষয় করার ক্ষমতা আবার ফিরে পাওয়াকে নদীর পুনর্যৌবন লাভ বলে। ভূ-আন্দোলনের জন্য নদীর ক্ষয়সীমার পরিবর্তন, নদীগ্রাস প্রভৃতি কারণে নদীতে জলের পরিমাণ বেড়ে যায় এবং কোনো কারণে নদীর বোঝার পরিমাণ কমে গেলে নদী পুনর্যৌবন লাভ করে।

১০. নিক পয়েন্ট কী?
উত্তরঃ-    নদীর পুনর্যৌবন লাভের ফলে নতুন ঢাল ও পুরোনো ঢালের সংযোগস্থলে যে খাঁজ তৈরি হয় তাকে নিক পয়েন্ট বলে। এই নিক পয়েন্টে জলতলের পার্থক্য সৃষ্টি হয় বলে সেখানে জলপ্রপাতের সৃষ্টি হয়।

১১. মহাদেশীয় হিমবাহ বলতে কী বোঝ? উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ-    উচ্চভূমি-নিম্নভূমি নির্বিশেষে মহাদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল যখন বরফে ঢাকা থাকে, তখন তাকে বলা হয় মহাদেশীয় হিমবাহ। উদাহরণ – বর্তমানে গ্রিনল্যান্ড ও অ্যান্টার্কটিকায় বরফে ঢাকা যে বিস্তীর্ণ অঞ্চল দেখা যায়, তা মহাদেশীয় হিমবাহের উদাহরণ।

১২. হিমানী সম্প্রপাত বলতে কী বোঝ?
উত্তরঃ-    অনেক সময় পার্বত্য অঞ্চলের চলমান হিমবাহ থেকে বিশাল বরফের স্তূপ ভেঙে ভেঙে প্রচণ্ড বেগে নীচে এসে পড়ে। একে বলা হয় হিমানী সম্প্রপাত (avalanches)। এগুলি এক এক সময় এত বড়ো হয় যে, এর পতনে নিকটবর্তী অঞ্চলে ভূমিকম্প অনুভূত হয় এবং এর গতিপথে গাছপালা, বাড়িঘর যা কিছু পড়ে সব ধ্বংস হয়ে যায়।

১৩. পর্বতের পাদদেশীয় হিমবাহ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ-    হিমবাহ যখন উঁচু পর্বতের ওপর থেকে নীচে, অর্থাৎ পর্বতের পাদদেশ অঞ্চল পর্যন্ত বিস্তার লাভ করে, তখন তাকে বলা হয় পর্বত পাদদেশের হিমবাহ বা পাদদেশীয় হিমবাহ।
উদাহরণ — আলাস্কার মালাসপিনা হিমবাহ।

১৪. ফার্ন কী?
উত্তরঃ-    যেখানে ভূপৃষ্ঠে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নীচে থাকে, সেখানে বৃষ্টির বদলে তুষারপাত হয়। ওই সব তুষার যেখানে জমে যায় সেখানে তুষারক্ষেত্র গঠিত হয়। দেখা গেছে, ওই সব তুষারকণাগুলি পাখির পালকের মতো বা পেঁজা তুলোর মতো ঝরে পড়ে। এগুলিকে নেভে (neve) বলে। এই নেভের ওপর আবার তুষারপাত হলে ওপরের তুষারের চাপে নীচের তুষারের বাতাস বের হয়ে যায়। এতে তুষারে দৃঢ়তা বাড়ে। একে আবহবিদেরা ফার্ন বলেন।

১৫. করি অঞ্চলে অসংখ্য ফাটল তৈরি হয় কেন? অথবা, ক্রেভাস ও বার্গসুন্ড বলতে কী বোঝ?
উত্তরঃ-    করির পিছনের দিকের দেওয়ালটি খুব খাড়াই থাকে। এই অত্যন্ত খাড়া ঢালের মধ্যে দিয়ে নামার সময় হিমবাহ ও পর্বত গাত্রের মধ্যে ফাঁকের সৃষ্টি হয়। একে বার্গস্রুন্ড বলে। আবার করির ঢাল খুব বেশি বলে উপত্যকার দিকে নামার সময় হিমবাহের মধ্যে ফাঁকের সৃষ্টি হয়। হিমবাহের মধ্যে এই ফাটলকে ক্রেভাস বলে।

১৬. ভার্ব কী?
উত্তরঃ-    বহিঃবিধৌত সমভূমি অংশের সূক্ষ্ম বালি হ্রদের নীচের জমা হয়। ওই সব সূক্ষ্ম বালিরাশিকে ভার্ব বলে। ভার্বের মধ্যে গোলাকার দাগ থাকে। ওই দাগগুলি এক-একটা বছরকে চিহ্নিত করে।

১৭. হোয়েলব্যাক বা কুঁজ কী?
উত্তরঃ-    পার্বত্য অঞ্চলে হিমবাহের ক্ষয়কার্যের ফলে কোনো কোনো স্থানে চারিদিকে মসৃণ ও খাড়া ঢালবিশিষ্ট টিবি দেখা যায়। একে হোয়েলব্যাক বা কুঁজ বলে। স্কটল্যান্ডের হুয়া সাউন্ড অঞ্চলে এ ধরনের ভূমিরূপ দেখা যায়।

১৮. ওয়াদি কাকে বলে?
উত্তরঃ-    মরু অঞ্চলের ক্ষুদ্রাকার, অনিত্যবহ ও ক্ষণস্থায়ী প্রকৃতির নদীগুলির নাম ওয়াদি (wadi)। ওই নদীগুলির খাত প্রায় থাকে না বললেই চলে এবং অধিকাংশ সময় শুষ্ক থাকে। হঠাৎ বৃষ্টি হলে, ওয়াদিগুলি কিছুদূর প্রবাহিত হওয়ার পর বালির মধ্যে হারিয়ে যায়। সৌদি আরবের আল বাতেন বিখ্যাত ওয়াদি।

১৯. পেডিমেন্ট বলতে কী বোঝ?
উত্তরঃ-    মরু অঞ্চলে প্রবহমান বায়ুতে ছোটো ছোটো পাথরখণ্ড, বিভিন্ন আয়তনের বালিকণা, কোয়ার্টজ কণা ইত্যাদি থাকে। ফলে এই বায়ুর ক্ষয়কার্যের ক্ষমতা বেশি এবং এজন্য নানাধরনের ভূমিরূপ গঠিত হয়। পেডিমেন্ট হল এরকমই একটি ভূমিরূপ। মরু অঞ্চলের পর্বতের পাদদেশসমূহ বায়ুর এবং অস্থায়ী জলধারা ওয়াদির ক্ষয়কার্যে প্রস্তরময় সমভূমিতে পরিণত হলে পেডিমেন্ট (pediment) বা পর্বত পাদদেশের সমভূমি গঠিত হয়।

২০. লোয়েস কী?
উত্তরঃ-    বায়ুবাহিত পীত রঙের চুনময় প্রবেশ্য সূক্ষ্ম কণাসমূহ লোয়েস (loess) নামে পরিচিত। এরূপ সূক্ষ্ম কণাসমূহ মরুভূমি অথবা বহিঃধৌত সমভূমি থেকে বহু দূরে সঞ্চিত হয়ে মালভূমি অথবা সমভূমি গঠন করে। উদাহরণ — উত্তর চিনের হোয়াং হো নদীর অববাহিকায় লোয়েস সমভূমি দেখা যায়।

২১. মরূদ্যান কী?
উত্তরঃ-    অনেক সময় মরু অঞ্চলে বায়ুর ক্ষয়কার্যে বিরাট এলাকা জুড়ে বালি অপসারণের ফলে অবনমিত অংশের গভীরতা ভূগর্ভের জলস্তর পর্যন্ত পৌঁছে যায়। এর ফলে সেখানে তখন সহজেই জলের সন্ধান পাওয়া যায় এবং (আর্দ্র মাটি এবং জলের সুবিধার জন্য) ওখানে নানাধরনের গাছ জন্মায়, সবুজ উদ্যান সৃষ্টি হয়। এইভাবে ধু-ধু মরুভূমির মাঝে গাছপালায় ঢাকা যে সবুজ ভূমিটি গড়ে ওঠে, তাকে মরুদ্যান (oasis) বলা হয়।

২২. ভেন্টিফ্যাক্ট ও ড্রেইকান্টার কী?
উত্তরঃ-     ভেন্টিফ্যাক্ট – একদিক থেকে বায়ুপ্রবাহের জন্য বায়ুবাহিত পদার্থের সাথে শিলার অবঘর্ষ ক্ষয়ের ফলে যদি শিলার একদিক (বায়ুপ্রবাহের দিক) মসৃণ ও ধারালো এবং বাকি দিকগুলি অমসৃণ বা এবড়োখেবড়ো হয়, তাকে বলা হয় ভেন্টিফ্যাক্ট।
ড্রেইকান্টার – বিভিন্ন দিক থেকে বায়ুপ্রবাহের জন্য বায়ুবাহিত পদার্থের সাথে শিলার অবঘর্ষের ফলে যখন শিলাখণ্ডের তিনদিক মসৃণ হয়, তখন তাকে ড্রেইকান্টার বলে।

২৩. ধ্রিয়ান কাকে বলে?
উত্তরঃ-     মরু অঞ্চলে বায়ুপ্রবাহের গতি পরিবর্তনের কারণে একস্থানে সজ্জিত বালিরাশি অন্যস্থানে সরে সরে যায়। তাই এর নাম অস্থায়ী বা চলমান বালিয়াড়ি। রাজস্থানের মরু অঞ্চলে এই ধরনের অস্থায়ী বালিয়াড়িকে ধ্রিয়ান বলা হয়।

২৪. সিফ বালিয়াড়ি কাকে বলে?
উত্তরঃ-    অর্থ – সিফ শব্দটির আরবি অর্থ তলোয়ার। মরুভূমির তলোয়ারের মতো সুদীর্ঘ বালিয়াড়ি হল সিফ বালিয়াড়ি।
গঠন প্রক্রিয়া – মরু অঞ্চলে বায়ুর গতিপথের সাথে সমান্তরালভাবে সোজা এবং দীর্ঘ তরবারির মতো এই বালিয়াড়ি গড়ে ওঠে। এই বালিয়াড়ি প্রকৃতপক্ষে অনুদৈর্ঘ্য বালিয়াড়ি। বিজ্ঞানী ব্যাগনল্ডের মতে, বারখা থেকেই সিফ বালিয়াড়ি গঠিত হয়।

২৫. বালিয়াড়ি কাকে বলে?
উত্তরঃ-     বালিপূর্ণ বায়ুর গতিপথে গাছপালা, প্রস্তরখণ্ড, ঝোপঝাড় বা অন্য কোনো বাধা থাকলে তাতে প্রতিহত হয়ে বায়ুবাহিত বালির কিছু অংশ সেখানে সঞ্চিত হয়ে উঁচু ঢিপির মতো অবস্থান করে। এই ধরনের ভূমিরূপকে বালিয়াড়ি (sand dune) বলা হয়।

২৬. বারখান কী?
উত্তরঃ-     বালিয়াড়ি বিভিন্ন প্রকার হয়, যেমন — তির্যক বালিয়াড়ি, অনুদৈর্ঘ্য বালিয়াড়ি প্রভৃতি। এর মধ্যে যেসব বালিয়াড়ি প্রবহমান বায়ুর গতিপথের সঙ্গে আড়াআড়িভাবে একেবারে আধখানা চাঁদের আকারে গড়ে ওঠে, সেগুলিকে বারখান (barchan) বলা হয়। বারখান প্রকৃতপক্ষে তির্যক বালিয়াড়ির একটি রূপ। এগুলি সাধারণত চলমান বা ভ্রাম্যমাণ হয় এবং উচ্চতা 15 থেকে 30 মিটার পর্যন্ত হতে পারে।

২৭. হামাদা কী?
উত্তরঃ-    কোনো কোনো সময় মরুভূমির যেসব স্থান বন্ধুর ও শিলাগঠিত বা পাথুরে, সেখানে বায়ুপ্রবাহের অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় ক্ষয়কার্যের জন্য স্থানটি প্রায় সমতল ও মসৃণ আকার ধারণ করে। সাহারা মরুভূমিতে এই ধরনের শিলাগঠিত অবন্ধুর মালভূমি বা প্রায় সমতলভূমিকে হামাদা বলা হয়।

২৮. কোন্ কোন্ অঞ্চলে বালিয়াড়ি দেখা যায়?
উত্তরঃ-    কোনো স্থানে বালিয়াড়ি গড়ে ওঠার প্রধান দুটি শর্ত হল — বালিপূর্ণ বায়ুপ্রবাহ এবং মাঝে মাঝে কাঁটাগাছ বা ঝোপঝাড়-সমৃদ্ধ বিস্তীর্ণ উন্মুক্ত স্থান। সাধারণত এই ধরনের অনুকূল অবস্থা উষ্ণ মরু অঞ্চল, শুষ্ক অঞ্চল এবং সমুদ্রোপকূলে বিরাজমান বলে এই তিনটি অঞ্চলে বালিয়াড়ি দেখা যায়।

২৯. গৌর কী?
উত্তরঃ-    মরুভূমিতে বায়ুর ক্ষয়কার্যের জন্য যত ধরনের ভূমিরূপ গঠিত হয়, তার মধ্যে গৌর অন্যতম। সাধারণত মরু অঞ্চলে বায়ুর অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় ক্ষয়কার্যের জন্য বৃহদাকৃতি শিলাখণ্ডের নিম্নাংশের কোমল শিলা যত বেশি ক্ষয়প্রাপ্ত হয়, ঊর্ধ্বাংশের কঠিন শিলা তত হয় না। এর ফলে ব্যাঙের ছাতার মতো আকৃতিবিশিষ্ট শিলাখণ্ডের সৃষ্টি হয়। একে গৌর বলা হয়।

৩০. ভ্রাম্যমাণ বালিয়াড়ি কী?
উত্তরঃ-    মরু অঞ্চলে প্রবাহিত বায়ুর গতি পরিবর্তনের কারণে বালিয়াড়ি এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সরে সরে যায়। এই ধরনের বালিয়াড়িকে ভ্রাম্যমাণ বা চলমান বা অস্থায়ী বালিয়াড়ি বলা হয়। রাজস্থানের মরু অঞ্চলে এই চলমান বালিয়াড়িকে ধ্রিয়ান বলা হয়।

৩১. ব্লো আউট কাকে বলে?
উত্তরঃ-    মরু অঞ্চলে বায়ুর অপসারণ প্রক্রিয়ায় গঠিত কয়েক মিটার গভীর, কিন্তু বিশালাকার আয়তনের গর্তগুলিকে ব্লো আউট বলে। এগুলি সাধারণত বালিয়াড়ি অথবা বালির সঞ্চয়কার্যের ফলে গঠিত অঞ্চলে দেখা যায়। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের বৃহৎ সমভূমি অঞ্চলে অসংখ্য ব্লো আউট দেখা যায়।

৩২.  মরু হ্রদ বা প্লায়া লেক কাকে বলে?
উত্তরঃ-    মরু অঞ্চলের লবণাক্ত জলের হ্রদগুলির নাম প্লায়া (playa)। এই জাতীয় হ্রদগুলি আফ্রিকার অ্যাটলাস পর্বতে শটস এবং ভারতের থর মরুভূমিতে ধান্দ নামে পরিচিত। অনেক সময় মরু অঞ্চলের অনিত্যবহ ও ক্ষণস্থায়ী নদীগুলি এসে প্লায়ায় পতিত হয়। উদাহরণ — মিশরের কাতারা অবনমিত অঞ্চলে এইরকম অনেক হ্রদ দেখা যায়।

৩৩. বাজাদা কী?
উত্তরঃ-    পেডিমেন্টের নীচের মৃদু ঢালযুক্ত সমতল অংশকে বাজাদা (bajada) বলে। পর্বতের পাদদেশের পললশঙ্কুগুলি বিস্তৃত ও পরস্পর সংযুক্ত হয়ে বাজাদা তৈরি করে। বাজাদার উপাদান হল — পলি, কাদা ও নুড়ি। সাহারা মরুভূমির আটলাস পর্বতের পাদদেশে বাজাদা গড়ে উঠেছে।

৩৪. বায়ুর অবঘর্ষ প্রক্রিয়া ভূমির সামান্য ওপরে কার্যকরী হয় কেন?
উত্তরঃ-     ভূপৃষ্ঠ সংলগ্ন অংশটি সামান্য উঁচু নীচু হয় এবং ভূমিতে ঝোপঝাড় থাকায় বায়ুর গতিবেগ কম হয়। এতে বায়ুবাহিত পদার্থগুলি বাধা পায়। আবার ওপরের অংশে বায়ুর গতিবেগ বেশি থাকলেও বায়ুবাহিত পদার্থের পরিমাণ কম হয়। তাই অবঘর্ষ প্রক্রিয়া ভূপৃষ্ঠ থেকে সামান্য উঁচু অংশে বেশি কার্যকরী হয়।

৩৫. অ্যাডোব কী?
উত্তর আমেরিকার মিসিসিপি ও মিসৌরি নদীর উপত্যকা অঞ্চলে লোয়েস সঞ্চয় দেখা দেয়। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, এগুলি প্লিসটোসিন যুগে হিমবাহের গ্রাবরেখার বালি ও বহিঃবিধৌত সমভূমির বালি উড়ে এসে এমন লোয়েস ভূমি গঠন করেছে। এইরকম লোয়েসকে উত্তর আমেরিকায় অ্যাডোব বলে।

৩৬. মানুষ এবং অন্যান্য জীব কীভাবে বহির্জাত শক্তির প্রক্রিয়া হিসেবে কাজ করে?
মানুষসহ সমগ্র জীবজগতও কিন্তু ক্ষয় এবং সঞ্চয়ে অংশগ্রহণ করে। জলাভূমি, লেগুনে যেসব শ্যাওলা, গাছপালা জন্মায়, ফুল, পাতা, ফল পচে গিয়ে জৈব পদার্থ তৈরি করে, তা দিয়ে জলাভূমি ভরাট হয়। মানুষ নিজেই জলাভূমি ভরাট করে, নদী, সমুদ্রে বাঁধ দিয়ে ভূমিভাগের সঞ্চয় প্রক্রিয়াকে জারি রাখে।

৩৭. সমপ্ৰায় ভূমি কাকে বলে?
নদীর ক্ষয়কার্যের ফলে এই ধরনের ভূমিরূপ তৈরি হয়। আর্দ্র জলবায়ু অঞ্চলে নদীর জলপ্রবাহ ভূমিভাগকে ক্ষয় করে এবং কঠিন শিলা কম ক্ষয় পায়। দীর্ঘদিন ধরে উচ্চভূমি ক্ষয় পেতে পেতে নীচু সমভূমি সৃষ্টি করে কিন্তু এর মধ্যে কঠিন শিলাগুলি ক্ষয় না পেয়ে উচ্চভূমিরূপে অবস্থান করে। এই প্রায় সমতল ভূমিভাগের নাম সমপ্রায় ভূমি। ছোটোনাগপুরের সমভূমির মধ্যে পরেশনাথ ও পাঞ্চেত পাহাড় দুটি মোনাডনক।

৩৮. অবরোহণ প্রক্রিয়া ( Degradation ) কাকে বলে ?
উত্তরঃ-   যে – প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন বহির্জাত শক্তিসমূহ ভূপৃষ্ঠের কোনো উঁচু জায়গাকে ক্রমাগত ক্ষয়ের ফলে সমতলভূমিতে পরিণত করে , তাকে বলে অবরোহণ প্রক্রিয়া । জেনে রাখো :
 বহির্জাত প্রক্রিয়ার মাধ্যমসমূহ : 
( i ) স্থির বা স্থিতিশীল প্রাকৃতিক শক্তি ( আবহাওয়া ও জলবায়ুর উপাদানসমূহ যেমন — উয়তা , আর্দ্রতা , বৃষ্টিপাত ) এবং 
( ii ) গতিশীল প্রাকৃতিক শক্তি ( নদনদী , বায়ুপ্রবাহ , হিমবাহ ইত্যাদি ) । 

৩৯. . আরোহণ প্রক্রিয়া ( Aggradation ) কাকে বলে ?
উত্তরঃ-   বিভিন্ন ধরনের বহির্জাত প্রাকৃতিক শক্তিসমূহের মাধ্যমে সঞ্চয়কার্যের ফলে স্থলভূমির নীচু অংশ বা নিম্নভূমি ভরাট হয়ে উঁচু হয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াকে আরোহণ প্রক্রিয়া বলা হয় ।

৪০. অবরোহণ ও আরোহণের মূল পার্থক্য কী ?
উত্তরঃ-   অবরোহণ ও আরোহণ প্রক্রিয়ার মূল পার্থক্য হল— অবরোহণ প্রক্রিয়ায় ক্ষয়ের মাধ্যমে উঁচু ভূমির উচ্চতা হ্রাস পায় এবং আরোহণ প্রক্রিয়ায় সঞ্জয়কার্যের মাধ্যমে নীচু ভূমি ভরাট হয়ে ভূমির উচ্চতা বৃদ্ধি করে ।

৪১. নদীর মোহনায় ব – দ্বীপ কেন গড়ে ওঠে ?
উত্তরঃ-   নদীর মোহনায় ব – দ্বীপ গড়ে ওঠার কারণ 1) নদী সারাবছর মোহনায় প্রচুর পলির সঞ্চয় ঘটায় । 2) নদীর মোহনায় মৃদু সমুদ্রস্রোত ও জোয়ার – ভাটা লক্ষ করা যায় । 3) নদীর মোহনায় মহীসোপানের গভীরতা কম লক্ষ করা যায় । 4) নদীর মোহনায় জলের গতিবেগ কম হয় এবং জলবায়ুগত দুর্যোগের প্রভাব কম । 

৪২. উচ্চগতিতে বা পার্বত্য অঞ্চলে নদীর ক্ষয়কার্যের প্রাধান্য লক্ষ করা যায় কেন ?
উত্তরঃ-   নদী যখন উৎস অঞ্চল থেকে সমভূমিতে নেমে আসে তখন সেই গতিপথকে উচ্চগতি বা পার্বত্য প্রবাহ বলে । এই প্রবাহপথে ভূমির ঢাল ও জলের পরিমাণ অধিক হওয়ায় নদী প্রবল বেগে নীচের দিকে নেমে আসে । প্রবল জলস্রোতের প্রভাবে ভূমির ঢাল অনুযায়ী নদী নীচের দিকে নেমে আসায় ক্ষয়কার্যের পরিমাণ অধিক হয়ে থাকে এবং বিভিন্ন ভূমিরূপ গঠিত হয় । যথা- – ‘ V ‘ ‘ আকৃতির উপত্যকা , গিরিখাত ও ক্যানিয়ন ইত্যাদি । 

৪৩. জলপ্রপাত ক্রমশ উৎসের দিকে সরে যায় কেন ? 
উত্তরঃ-   জলপ্রপাত ক্রমশ উৎসের দিকে সরে যায় , কারণ 1) নদীর গতিপথে কঠিন শিলা অবস্থান করলে তার নিম্নে থাকা কোমল শিলা অপেক্ষাকৃত কম ক্ষয় পেয়ে উঁচু হয়ে অবস্থান করে বলে জলপ্রপাতের সৃষ্টি হয় । 2) কঠিন শিলা যদি কোমল শিলার উপর সমান্তরালভাবে অবস্থান করে সেক্ষেত্রে জলপ্রপাত খাড়াভাবে গড়ে উঠে । 3) জলপ্রপাত সাধারণত নদীর উচ্চগতিতে লক্ষ করা যায় । 

৪৪. পুচ্ছ বালিয়াড়ি কাকে বলে?
উত্তরঃ-    মরুভূমি অঞ্চলে প্রধান বালিয়াড়ির পিছনে যে বালিয়াড়ি তৈরি হয়, তাকে পুচ্ছ বালিয়াড়ি বলে। প্রধান বালিয়াড়ি অংশ থেকে বালি উড়ে এসে ওই ধরনের বালিয়াড়ি গঠিত হয়। পুচ্ছ বালিয়াড়ির সামনে থাকে প্রধান বালিয়াড়ি।

৪৫. নক্ষত্র বালিয়াড়ি কী?
উত্তরঃ-     মরুভূমিতে বছরের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দিক থেকে বায়ু প্রবাহিত হয়। এতে একজায়গায় ছোটো ছোটো অনেকগুলি বালিয়াড়ি গড়ে ওঠে। অনেক সময় এদের মাঝখানের বালিয়াড়িটি উঁচু হয়ে ওঠে ও উঁচু অংশ থেকে তিন-চার দিকে বালিয়াড়ি প্রসারিত হয়ে নক্ষত্রের আকৃতি ধারণ করে। একেই নক্ষত্র বালিয়াড়ি বলে।

৪৬. গাসি কাকে বলে?
উত্তরঃ-     সিফ বালিয়াড়িগুলি একে অপরের সমান্তরালে গড়ে ওঠে। দুটি সিফ বালিয়াড়ির মাঝখানের অংশকে করিডর বলে। এইসব করিডরগুলি বালিবিহীন বা রেগ ছাদ বিচ্ছিন্ন থাকে। এইসব করিডরকে সাহারায় গাসি বলে। মরুভূমিতে এইসব করিডরগুলি যাতায়াতের পথ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

৪৭. আর্গ কাকে বলে?
উত্তরঃ-    মরুভূমির বিশাল অঞ্চল জুড়ে কেবলমাত্র বালি ও পাথর দ্বারা গঠিত বিশাল অঞ্চলকে আর্গ বলে। যেখানে বায়ু অধিক কার্যকরী এবং বালির পরিমাণ বেশি সেখানে আর্গ গঠিত হয়।

৪৮. মধ্য অক্ষাংশের মরুভূমির নাম লেখো।
উত্তরঃ-    এশিয়ার গোবি, তাকলা মাকান, তুর্কিস্তানের মরুভূমি এবং উত্তর আমেরিকার কলোরাডো মরুভূমি হল মধ্য অক্ষাংশের মরুভূমি। নিম্ন অক্ষাংশের তুলনায় মধ্য অক্ষাংশে মরুভূমির পরিমাণ বেশি।

৪৯. কয়েকটি নিম্ন অক্ষাংশের মরুভূমির নাম করো।
উত্তরঃ-     মোটামুটি 20°-30° উভয় অক্ষাংশের মধ্যে এইসব মরুভূমিগুলি রয়েছে। এইসব মরুভূমিগুলি মহাদেশের পশ্চিম দিকে গড়ে উঠেছে। আফ্রিকার মরক্কো থেকে সাহারা, আরবের মরুভূমি, বেলুচিস্তানের মরুভূমি এবং ভারতের এই নিম্ন অক্ষাংশের মরুভূমি। এ ছাড়া উত্তর আমেরিকার সোনোরান, পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার মরুভূমি আফ্রিকার কালাহারি মরুভূমি রয়েছে।

৫০. ডেজার্ট পেডমেন্ট কী?
উত্তরঃ-    দীর্ঘদিন ধরে মরুভূমির বালি অপসারিত হয়ে ক্রমশ নীচু হয়ে গেলে ভৌমজল ভূপৃষ্ঠের বাইরে বেরিয়ে আসে। এভাবে মরুদ্যানের সৃষ্টি হয়। হালকা সূক্ষ্ম বালির কণা অপসারিত হয়ে যে মোটা নুড়ি, পাথর পড়ে থাকে, সেই রকম ভূমিরুপকে ডেজার্ট পেভমেন্ট বলে।

৫১. অশ্বক্ষুরাকৃতির হ্রদ ব – দ্বীপ অঞ্চলে লক্ষ করা যায় কেন ? 
উত্তরঃ-   অশ্বক্ষুরাকৃতির হ্রদ ব – দ্বীপ অঞ্চলে দেখা যায় । কারণ – নিম্নপ্রবাহে নদী সর্পিল গতিতে এঁকেবেঁকে বয়ে যাওয়ার সময় বাইরের দিকের বাঁকে আঘাত পেয়ে এসে ভেঙে যেতে থাকে । ও ক্ষয়প্রাপ্ত নুড়ি , বালি , পলি প্রভৃতি নদীর তীরে জমা হতে থাকে । এভাবে নদীর্বাক ক্রমশ বাড়তে থাকলে বাঁকের মাঝের অংশ সরু হয়ে যায় । অবশেষে এটি প্রধান নদী থেকে পৃথক হয়ে অশ্বের ক্ষুরের ন্যায় হয়ে থাকে । 

৫২. হিমবাহ কেন পৃথিবীতে সুপেয় জলের বৃহত্তম ভাণ্ডার ? 
উত্তরঃ-  ;সমগ্র পৃথিবীতে যত জল সঞ্চিত আছে তার প্রায় 97 শতাংশ হলো লবণাক্ত সমুদ্রের জল । বাকি 3 শতাংশ হলো সুপেয় জল । পৃথিবীর মোট সুপেয় জলকে 100 শতাংশ ধরা হলে তার মধ্যে প্রায় 70 শতাংশ হলো হিমবাহ গলিত জল । বাকি 30 শতাংশ হলো ভৌমজলস্তর , নদী , খাল ও বিলের জল । তাই হিমবাহ হলো পৃথিবীর বৃহত্তম সুপেয় জলের ভাণ্ডার । 

৫৩. নিম্ন অক্ষাংশে মরুভূমি সৃষ্টির কারণ কী ? 
উত্তরঃ-   নিম্ন অক্ষাংশে মরুভূমি সৃষ্টির কারণ হলো- উত্তর – পূর্ব ও দক্ষিণ – পূর্ব আয়ন বায়ু মহাদেশগুলির পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হওয়ার সময় জলীয় বাষ্পহীন হয়ে পড়ে ফলে বৃষ্টিপাত প্রায় হয় না । ও এই অঞ্চলে উচ্চচাপ বিরাজ করায় ঊর্ধ্বাকাশের বায়ু নীচের দিকে অধোগমনের ফলে ক্রমশ উত্তপ্ত হয় বলে জলীয় বাষ্প গ্রহণের ক্ষমতা বৃদ্ধি পেলেও বৃষ্টিপাত হয় না , তাই নিম্ন অক্ষাংশে মরুভূমি সৃষ্টি হয়েছে । 

৫৪. মরু ও উপকূল অঞ্চলে বায়ুর কার্য প্রাধান্য লাভ করে কেন ? 
উত্তরঃ-   মরু ও উপকূল অঞ্চলে বায়ুর কার্যের প্রাধান্য লাভের কারণ হলো ও উপকূল উভয় অঞ্চল উন্মুক্ত থাকায় বায়ু অবাধে প্রবাহিত হয় । বৃষ্টিপাতহীনতা , উদ্ভিদহীনতায় মরু অঞ্চলের ভূমি ও উপকূল অঞ্চলের ভূমির ওপর বায়ু খুব সহজেই ক্ষয় করে । স্থলভাগ ও জলভাগের মধ্যে বায়ু সারাবছর প্রবাহিত হওয়ায় মরু ও উপকূল অঞ্চলে বায়ুর কাজের প্রাধান্য লক্ষ করা যায় । 

৫৫. মরু অঞ্চল প্রসারের কারণ কী ? 
উত্তরঃ-   মরু অলপ্রসারণের কারণ হলো 
1) মরু অঞ্চল প্রসারণের প্রধান কারণ হলো উন্নায়ন । 
2)  যান্ত্রিক আবহবিকারের আধিক্য থাকায় শিলাচূর্ণ 
3) বালিরাশি বায়ুর দ্বারা বাহিত হয়ে সংলগ্ন এলাকাকে ঢেকে দেয় এবং পরবর্তীতে মরুভূমিতে পরিণত হয় । 
4) নগরায়ণ ও শিল্পায়নের ফলে বনভূমি কাটা হচ্ছে , ফলে মরু অঞ্চলের সম্প্রসারণ ঘটছে । 
5) অনিয়ন্ত্রিত পশুচারণের ফলে ক্রমাগত মরু অঞ্চলের সম্প্রসারণ ঘটে চলেছে । 

৫৬. নদীর কাজ কী কী?
উত্তরঃ-     নদীর কাজ তিনটি — ক্ষয়সাধন, বহন এবং অবক্ষেপণ।
1. পার্বত্য প্রবাহ বা উচ্চগতিতে নদী প্রধানত ক্ষয়কার্য করে। তা ছাড়া, ওই অংশে নদী ক্ষয়জাত দ্রব্যসমূহ বহনও করে।
2. সমভূমি প্রবাহ বা মধ্যগতিতে নদীর প্রধান কাজ বহন। তবে এই অংশে নদী কিছু ক্ষয় (পার্শ্বক্ষয়) এবং অবক্ষেপণও করে।
3. আর বদ্বীপ প্রবাহ বা নিম্নগতিতে নদীর প্রধান কাজ হয় সঞ্চয়। তবে এই অংশে নদী অল্প পরিমাণে বহনও করে।

৫৭. মরু অলপ্রসারণ প্রতিরোধের উপায় কী ? 
উত্তরঃ-   হলো মরু অঞ্চলের প্রসারণ কমিয়ে আনার জন্য যে সব পন্থা গ্রহণ করা উচিত সেগুলি 1) মরুভূমির প্রসার রোধ করার জন্য চারিদিকে গাছ লাগিয়ে সেগুলিকে শক্ত করে বেড়া দিয়ে সংরক্ষণ করলে অনেকাংশে মরুভূমির প্রসারণ রোধ হবে । 2) অতিরিক্ত পশুচারণ বন্ধ করতে হবে , তবেই মরু সম্প্রসারণ রোধ করা যাবে । 3) মরুভূমির প্রান্তভাগে বাঁধ নির্মাণ করে ভূপৃষ্ঠে বায়ুপ্রবাহকে আটকানো দরকার যাতে পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে বালুকণা প্রবাহিত হয়ে মরুভূমির প্রসারণ না ঘটায় । 

৫৮. সুন্দরবন অঞ্চলের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলি কী ? 
উত্তরঃ-   
1) জনসংখ্যার ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধি , শিল্পায়ন , বনভূমি ধ্বংস প্রভৃতি কারণে পৃথিবীর গড় উন্নতা বেড়েই চলেছে । এর ফলে এই অঞ্চলের বাস্তুতন্ত্র নষ্ট হয়ে পড়ছে । 
2) পৃথিবীর উন্নতা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ায় মেরু অঞ্চলের বরফ গলে যাচ্ছে । এর ফলে সুন্দরবন অঞ্চলের সমুদ্রজলতলের উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে । 
3) মৃত্তিকাক্ষয় বৃদ্ধি পাওয়ায় সুন্দরবনের উপকূলীয় অংশ জলে ডুবে থাকায় ম্যানগ্রোভ জাতীয় অরণ্য ধ্বংস হচ্ছে । 

৫৯. কার্য অনুসারে নদীর প্রবাহকে কী কী ভাগে ভাগ করা যায়?
উৎস থেকে মোহানা পর্যন্ত নদী তার গতিপথে তিনটি কাজ করে-ক্ষয়সাধন, বহন এবং অবক্ষেপণ বা সঞ্চয়। আর, এই তিন প্রকার কাজের ভিত্তিতে নদীর প্রবাহকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায় —
1. ক্ষয়কার্য – প্রধান উচ্চগতি বা পার্বত্য প্রবাহ,
2. বহনকার্য – প্রধান মধ্যগতি বা সমভূমি প্রবাহ এবং
3. সঞ্চয়কার্য – প্রধান নিম্নগতি বা বদ্বীপ প্রবাহ।

নিজে করো

১) ভূমিরূপ কাকে বলে?
২) বহির্জাত প্রক্রিয়ার মাধ্যমগুলি কি কি?
৩) পর্যায়িত ভূমিরূপ কি?
৪) ভূ বিপর্যয় কি?
৫) ভূমিরূপ অঞ্চল কি?
৬) বহির্জাত প্রক্রিয়াতে জলবায়ুর ভূমিকা লেখ।


টীকা লেখ- (নিজে করো)

১) নগ্নিভবন।
২) আরোহন।
৩) অবরোহণ।
৪) পর্যায়ন।
৫) ক্ষয়ীভবন।

মাধ্যমিক ভূগোল – "বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ" (প্রথম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Chapter 1 Question and Answer WBBSE

রচনাধর্মী বা বিশ্লেষণধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর (প্রতিটি প্রশ্নের মান ৫)



১. “ বহির্জাত প্রক্রিয়ার বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো ।
উত্তরঃ-   বহির্জাত প্রক্রিয়ার বৈশিষ্ট্যগুলি হল— 
( i ) এই প্রক্রিয়া অত্যন্ত ধীরে ধীরে কাজ করে । 
( ii ) ভূপৃষ্ঠে ও তার উপপৃষ্ঠীয় অংশে বহির্জাত প্রক্রিয়ার প্রভাব লক্ষ করা যায় । 
( iii ) এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নগ্নীভবন ক্রিয়ায় ( অবরোহণ ) উঁচু স্থান নীচু হয়ে যায় এবং সঞ্চয়কার্যের ( আরোহণ ) দ্বারা নীচু স্থান ভরাট হয়ে উঁচু হয় । 
( iv ) এই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী শক্তিগুলি হল — নদী , আবহবিকার , হিমবাহ , বায়ুপ্রবাহ , সমুদ্রতরঙ্গ , ভৌমজল ইত্যাদি । 
( v ) এই অংশগ্রহণকারী শক্তিগুলি কোথাও এককভাবে ও কোথাও সম্মিলিতভাবে কাজ করে । 
( vi ) ভূমিরূপ পরিবর্তনকারী শক্তিগুলির মূল উৎস হল সৌর শক্তি । 

২. অবরোহণ প্রক্রিয়ার বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী ?
উত্তরঃ-   অবরোহণ প্রক্রিয়ার বৈশিষ্ট্যগুলি হল 
( i ) এই প্রক্রিয়ায় ভূমির উচ্চতা হ্রাস পায় । 
( ii ) বিভিন্ন ক্ষয়জাত অণু ভূমিরূপ সৃষ্টি হয় । 
( iii ) ভূত্বকের উঁচু অংশেই মূলত অবরোহণ প্রক্রিয়া কাজ করে । 
( iv ) আবহবিকার , পুঞ্জিত ক্ষয় ও ক্ষয়ীভবন — এই তিনটি প্রক্রিয়ার দ্বারা অবরোহণ সংগঠিত হয় । 
( v ) অবরোহণের শেষ সীমা বা ক্ষয়ের শেষ সীমা হল নিকটতম সমুদ্রপৃষ্ঠ ।
( vi ) এটি একটি ধীর প্রক্রিয়া । 

৩. আরোহণ প্রক্রিয়ার বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী ?
উত্তরঃ-   আরোহণ প্রক্রিয়ার বৈশিষ্ট্যগুলি হল— 
( i ) এই প্রক্রিয়ায় ভূমির উচ্চতা বৃদ্ধি পায় । 
( ii ) বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক শক্তির দ্বারা সঞ্চয়ের ফলে এই ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় । 
( iii ) ভূপৃষ্ঠে বিভিন্ন ধরনের সঞয়জাত অণু ভূমিরূপ গঠিত হয় । 
( iv ) ভূমির ঢাল , পলি ও বালির পর্যাপ্ত ও নিয়মিত জোগান = হল আরোহণের নিয়ন্ত্রক । 
( v ) এটি একটি ধীর প্রক্রিয়া ।

৪. অন্তর্জাত প্রক্রিয়ার কাজ গঠনমূলক এবং বহির্জাত প্রক্রিয়ার কাজ বিনাশমূলক’— কারণ ব্যাখ্যা করো ।
উত্তরঃ-   ভূঅভ্যন্তরীণ শক্তি ভূপৃষ্ঠে প্রাথমিক ভূমিরূপ গঠনের জন্য যে পদ্ধতিতে কাজ করে , তাকে অন্তর্জাত প্রক্রিয়া বলা হয় । মহিভাবক ও গিরিজনি আলোড়ন , ভূমিকম্প , অগ্ন্যুৎপাত ইত্যাদি নানা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভূত্বকের আপেক্ষিক স্থানান্তর ঘটে এবং ফলস্বরূপ প্রধান ভূপ্রকৃতিরূপে মহাদেশ ও মহাসাগর কিংবা পর্বত , মালভূমি ও সমভূমি গঠিত হয় । অপরদিকে ভূপৃষ্ঠে বা উপপৃষ্ঠীয় অংশে বাইরের শক্তিসমূহ যে পদ্ধতিতে নগ্নীভবন ঘটায় , তাকে বহিজাত প্রক্রিয়া বলা হয় । আবহবিকার , পুঞ্জিত ক্ষয় , ক্ষয়ীভবন ( নদীপ্রবাহ , বায়ু , সমুদ্রতরঙ্গ , হিমবাহ ইত্যাদি ) ইত্যাদি প্রক্রিয়া ভূপৃষ্ঠের ক্ষয় ও সঞ্চয়ের মাধ্যমে অণু ভূমিরূপ গঠনে সাহায্য করে । তাই উভয় প্রক্রিয়ার কাজের বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে এটি বলাই যায় যে , ‘ অন্তর্জাত প্রক্রিয়ার কাজ গঠনমূলক এবং বহির্জাত প্রক্রিয়ার কাজ বিনাশমূলক ।


৫. নদীর কার্যের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপগুলি চিত্র সহ বর্ণনা করো । 

উত্তরঃ-   নদী প্রধানত ক্ষয়কার্য ও সঞ্চয়কার্যের মাধ্যমে নিম্নের ভূমিরূপগুলি তৈরি করে থাকে । যথা – 

নদীর ক্ষয়কার্যের ফলে গঠিত ভূমিরূপ : 

গিরিখাত : 
নদীর উচ্চগতিতে ঢাল বেশি হওয়ায় নদীবাহিত পদার্থসমূহের সঙ্গে নদীর তলদেশের ঘর্ষণ বেশি হয় । আবার নদীর দুই ঢাল কঠিন শিলা দ্বারা গঠিত বলে এই পার্বত্য অঞ্চলে পার্শ্বক্ষয় অপেক্ষা নিম্নক্ষয় বেশি হয় । ফলে ইংরেজি ‘ V ‘ আকৃতির ন্যায় উপত্যকা গঠন করে , একে গিরিখাত বলে ।

শৃঙ্খলিত শৈলশিরা বা আবদ্ধ শৈলশিরা : 
পার্বত্য অঞ্চলে নদীর চলার পথে কঠিন শিলা অবস্থান করায় নদী এঁকেবেঁকে চলতে শুরু করে । এর ফলে নদীর একটি পাড় অপর একটি পাড়কে আড়াল করে রাখে । ফলে নদীর গতিপথ সোজাসুজি বেশিদূর দেখা যায় না । পার্বত্য অঞ্চলে নদীর এইরকম পাড়কে শৃঙ্খলিত শৈলশিরা বলে । 

জলপ্রপাত : 
পার্বত্য অঞ্চলে অনুভূমিকভাবে কঠিন ও কোমল শিলা পরস্পরের সমান্তরালে অবস্থান করলে নদীর প্রবল স্রোতের ফলে কোমল শিলা ক্ষয় পেয়ে খাড়া ঢালের সৃষ্টি হয় । এই খাড়া ঢালের উপর দিয়ে জলরাশি সরাসরি উপর থেকে নীচে পড়ে , একে জলপ্রপাত বলে । 

মন্থকূপ : 
পার্বত্য অঞ্চলে নদীর জলের সঙ্গে বাহিত নুড়ি , বালি , পাথরের দ্বারা অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় নদীখাতে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রায় গোলাকার যে গর্তের সৃষ্টি হয় , তাকে মন্থকূপ বলে । 

নদীর সঞ্চয়কার্যের ফলে গঠিত ভূমিরূপ : 

পলল ব্যজনী বা পলল শঙ্কু : 
পার্বত্য অঞ্চল থেকে সমভূমিতে নামার সময় নদীবাহিত শিলাখণ্ডগুলি সমভূ মিতে জমা হয়ে পাখার ন্যায় শঙ্কু আকৃতির ত্রিকোণাকার যে ভূভাগ সৃষ্টি করে তাকেই পলল ব্যজনী বা পলল শঙ্কু বলে । 

অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ : 
কোনো কোনো নদীতে অসংখ্য বাকের সৃষ্টি হলে ঐ বাঁক এত বেশি হয় যে , দু’টি বাঁক নিজেদের খুব কাছাকাছি চলে আসে এবং বাঁকের মাঝের অংশ ক্ষয় পেয়ে বাঁক দু’টি আলাদা হয়ে যায় । ফলে নদী সোজা পথে চলতে শুরু করে ফেলে রাখা বাঁকটি দেখতে অনেকটা অশ্বের ক্ষুরের ন্যায় । হয় বলে একে অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ বলে ।
 
প্লাবন সমভূমি : 
নদীর সঞ্চয়কার্যের ফলে নদীগর্ভ পলি দ্বারা ভরাট হয়ে অগভীর হয় । বর্ষাকালে অতিরিক্ত বৃষ্টির জল ধরে রাখতে না পেরে নদী দু’কুল ছাপিয়ে প্লাবনের সৃষ্টি । দীর্ঘদিন ধরে নদী উপত্যকার দু’কূলের নীচু জমিতে পলি সঞ্চিত হয়ে যে সমভূমির সৃষ্টি করে , তাকে প্লাবন সমভূমি বলে । 

নদীমঞ্চ: 
সমভূমি অঞ্চলে নদীর গতিবেগ | তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় নদীবাহিত নুড়ি , বালি , কাঁকর , কাদা , পলি প্রভৃতি নদীর ধারে জমা হয়ে অসমান ধাপের সৃষ্টি করে । নদী উপত্যকায় গঠিত সিঁড়ির মতো ঐ ধাপকে নদীমঞ্চ বলে । 

‘ U ‘ আকৃতির উপত্যকা : হিমবাহ অত্যন্ত ভারী ও কঠিন ঘনীভূত বরফের স্তূপ হওয়ার দরুন এর ক্ষয়কার্য | বেশি । অধিক শিলাচূর্ণ বহনের ফলে আগেকার পর্বতের ‘ V ‘ আকৃতির উপত্যকার খাড়াই দু’পাশ সম্পূর্ণ ক্ষয়ে গিয়ে আরও গভীর ও খাড়াই হয় । তখন এর আকৃতি অনেকটা ইংরেজি ‘ U ‘ অক্ষরের মতো হয় । হিমবাহের এইরূপ উপত্যকাকে ‘ U ‘ আকৃতি উপত্যকা বলে । 


৬. বায়ুর ক্ষয়কার্যের ফলে গঠিত ভূমিরূপগুলি বর্ণনা করো ।
উত্তরঃ-   

গৌর : 
মরু অঞ্চলে কোনো বৃহৎ শিলাখণ্ডের নীচের অংশ কোমল শিলাস্তর দ্বারা গঠিত হলে নীচের অংশ দ্রুত ক্ষয় পেতে শুরু করে । ফলে উপরের অংশ ব্যাঙের ছাতার মতো চওড়া ও চ্যাপ্টা হয়ে অবস্থান করে । এইপ্রকার ভূমিরূপকে গৌর বলে । 

জুইগেন : 
মরু অঞ্চলে ভূপৃষ্ঠের সাথে আড়াআড়িভাবে । কঠিন ও কোমল শিলা উপর – নীচে অবস্থান করলে প্রবল বায়ুপ্রবাহের আঘাতে কোমল শিলা বেশি এবং কঠিন শিলা অল্প ক্ষয়প্রাপ্ত হয় । এর ফলে শিলার উপরের অংশ চওড়া ও চ্যাপ্টা এবং নীচের অংশ সরু ও সংকীর্ণ হয়ে এক ধরনের মূর্তি গঠন করে । তাদের জুইগেন বলে । 

ইনসেলবার্জ : 
মরু অঞ্চলে কঠিন শিলা দ্বারা গঠিত । অঞ্চল দীর্ঘদিন ধরে ক্ষয়ের ফলে প্রায় সমতলভূমিতে পরিণত হয় । এইরূপ সমতল অঞ্চলে কঠিন শিলাস্তর অনেকসময় অনুচ্চ টিলার আকারে বিচ্ছিন্নভাবে দাড়িয়ে থাকে । গোলাকৃতির এইসব অনুচ্চ টিলাকে ইনসেলবার্জ বলে । 

ইয়ার্দাং : 
মরু অঞ্চলে কঠিন ও কোমল শিলাস্তর ভূপৃষ্ঠের সাথে লম্বালম্বিভাবে অবস্থান করলে অবঘর্ষের ফলে কোমল শিলাস্তর দ্রুত ক্ষয়ে যায় । ফলে কঠিন শিলাস্তর পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ে টিলার আকারে দাঁড়িয়ে থাকে , তাদের ইয়ার্দাং বলে । 


৭. বায়ুর সঞ্চয়কার্যের ফলে গঠিত ভূমিরূপগুলি বর্ণনা করো ।

উত্তরঃ-    
বায়ুর সঞ্চয়কার্যের ফলে গঠিত ভূমিরূপগুলি হলো :

বাখান : 
মরু অঞ্চলে বায়ুর সঞ্চয়কার্যের ফলে গঠিত বালিয়াড়িগুলি দেখতে অনেকটা অর্ধচন্দ্রাকৃতির হয় । এর প্রতিবাত ঢাল উত্তল এবং অনুবাত ঢাল অবতল আকৃতির , একে বার্খান বলে । 

সিফ বালিয়াড়ি : 
মরু অঞ্চলে বায়ুর সঞ্চয়কার্যের ফলে বায়ুপ্রবাহের সমান্তরালে গঠিত বালিয়াড়ির আকৃতি তলোয়ারের মতো লম্বা ও সামান্য বাঁকা প্রকৃতির হয় , তাকে সিফ বালিয়াড়ি বলে ।

লোয়েস সমভূমি : 
জার্মান শব্দ ‘ লোয়েস ‘ কথার অর্থ সূক্ষ্ম পলি । অতিসুক্ষ্ম বালুকণা , মাটির কণা বায়ুর দ্বারা পরিবাহিত হয়ে কোনো নীচু স্থানে জমা হয়ে যে সমভূমি গঠন করে , তাকে লোয়েস সমভূমি বলে । 

৮. বহির্জাত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভূমি কীভাবে সমতলে পরিণত হয় ।

উত্তরঃ-   পর্যায়ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভূমি সমতলে পরিণত হয় । অবরোহণ ও আরোহণের সম্মিলিত ফল হল পর্যায়ন । অবরোহণ প্রক্রিয়ায় একদিকে যেমন উঁচুভূমি ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে নীচু । ভূমিতে পরিণত হয় , অপরদিকে আরোহণ প্রক্রিয়ায় নীচু ভূমিতে ক্ষয়প্রাপ্ত পদার্থ জমা হয়ে উঁচু ভূমিরূপ গঠন করে । এটি একটি নিরন্তর প্রক্রিয়া । আরোহণ ও অবরোহণ এই দুই প্রক্রিয়ার ফল হল পর্যায়ন । এইভাবেই ক্রমাগত চলতে থাকা এই পর্যায়ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই ক্ষয় , পরিবহণ ও সঞ্চয়কাজে ভারসাম্য আসে ও ভূমির সমতলীকরণ ঘটে । জেনে রাখো :

 ভূমিরূপ অঞ্চল ( Morphogenetic region ) : যে – অঞ্চলে ভূমিরূপ পরিবর্তনের বিশেষ শক্তি ক্ষয় , বহন ও সঞ্চয়ের মাধ্যমে ভূমিরূপের পরিবর্তন ঘটায় , সেই অঞ্চল হল ভূমিরূপ অঞ্চল । L Peltier হলেন Morphogenetic ধারণার প্রবর্তক । 

৯. বহির্জাত প্রক্রিয়ার সঙ্গে জলবায়ুর সম্পর্ক কী ?

উত্তরঃ-   কোনো অঞ্চলের ভূমিরূপের সঙ্গে জলবায়ুর সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর । কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলে কী ধরনের ভূমিরূপ পরিবর্তনকারী শক্তি কাজ করবে সেটি নির্ভর করে অঞ্চলের উন্নতা , বৃষ্টিপাত ও আর্দ্রতার ওপর । 

 উদাহরণস্বরূপ — উয় আর্দ্র অঞ্চলে ভূমিরূপ পরিবর্তনে যেমন মুখ্য ভূমিকা নেয় নদী , তেমনি হিমমণ্ডলে হিমবাহ এবং উন্ন শুষ্ক অঞ্চলে বায়ু । অপরদিকে উয় মরু অঞ্চলে দৈনিক উন্নতার প্রসর বেশি হওয়ার জন্য যান্ত্রিক আবহবিকার বেশি পরিলক্ষিত হয় , এবং আর্দ্র ক্রান্তীয় অঞ্চলে রাসায়নিক আবহবিকার বেশি দেখা যায় ।

১০. হিমবাহ ও জলধারার মিলিত কার্যের ফলে গঠিত ভূমিরূপগুলি চিত্র সহ বর্ণনা করো । 

উত্তরঃ-   
হিমবাহ ও জলধারার মিলিত কার্যের ফলে গঠিত ভূমিরূপগুলি হলো— 
বহিঃবিধৌত সমভূমি : 
হিমবাহ গলিত জল । যখন গ্রাবরেখার প্রান্তভাগ দিয়ে চুঁইয়ে চুইয়ে নীচের দিকে প্রবাহিত হয় , তখন হিমবাহ গলিত জলের মধ্যে থাকা সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম বালুকারাশি ও কর্দমকণা গ্রাবরেখার প্রান্তভাগে সঞ্চিত হয়ে যে বিশাল সমতলভূমির সৃষ্টি হয় তাকে বহিঃবিধৌত সমভূমি বলে । 

ড্রামলিন : 
বহিঃবিধৌত সমভূমির উপর হিমবাহ দ্বারা বাহিত নুড়ি , বালি , কাদা , পলি প্রভৃতি সঞ্চিত হয়ে উল্টানো নৌকা বা চামচের মতো যে ভূমিরুপ তৈরি হয় , তাকে ড্রামলিন বলে । 

কেম ও এস্কার : 
হিমবাহ বাহিত । নুড়ি , বালি , কাদা , পলি প্রভৃতি জমা হয়ে যে ত্রিকোণাকার দ্বীপের ন্যায় যে ভূমিরূপ গঠন করে তাকে কেম বলে । 

কেটল ও কেটল হ্রদ : 
বহিঃবিধৌত সমভূমিতে অনেক সময় বরফের টুকরো থেকে যায় । পরবর্তীতে সেই বরফের টুকরোগুলি গলে গেলে অঞ্চলটি গর্তরূপে অবস্থান করে । এ জাতীয় গর্তকে বলা হয় কেটল । আবার কেটলগুলি জলপূর্ণ হয়ে যে হ্রদের সৃষ্টি করে , তাকে বলা হয় কেটল হ্রদ । 


১১. মরু অঞ্চলে বায়ু ও জলধারার মিলিত কার্যের ফলে গঠিত ভূমিরূপগুলি চিত্র সহ বর্ণনা করো ।

উত্তরঃ-   মরু অঞ্চলে বায়ু ও জলধারার মিলিত কার্যের ফলে গঠিত ভূমিরূপগুলি হলো 

ওয়াদি : 
উয় মরু অঞ্চলে হঠাৎ বৃষ্টিপাত হলে বৃষ্টির জলের দ্বারা মরু নদীখাত সহ চারিদিক জলপ্লাবিত হয় । কিন্তু বৃষ্টি থেমে গেলে কিছুক্ষণের মধ্যেই জল পুরোপুরি শুকিয়ে গিয়ে নদীখাতগুলো পুনরায় শুষ্ক অবস্থায় পড়ে থাকে , উষ্ম মরু অঞ্চলের এই শুষ্ক নদীখাতকে বলা হয় ওয়াদি । 

বাজাদা : 
শুষ্ক মরু অঞ্চলে পর্বতের পাদদেশে অস্থায়ীভাবে জলধারা বাহিত নুড়ি , বালি , কাঁকর , কাদা , পলি প্রভৃতি সঞ্চিত হয়ে যে অসমান ঢালু ভূমিরূপ সৃষ্টি করে তাকে বাজাদা বলে । 

পেডিমেন্ট : 
শুষ্ক মরু অঞ্চলে বায়ুর ক্ষয়কার্যের দ্বারা পার্বত্য পাদদেশীয় অঞ্চলে যে সমপ্রায়ভূমির সৃষ্টি হয় তাকে পেডিমেন্ট বলে । 

প্লায়া হ্রদ : 
শুষ্ক মরু অঞ্চলে বায়ুপ্রবাহের ক্ষয়প্রক্রিয়ায় যে বিভিন্ন আকৃতির অবনমিত স্থান বা গর্তের সৃষ্টি হয় তাতে বৃষ্টির জল সাময়িকভাবে । সম্ভিত হয়ে যে লবণাক্ত হ্রদের সৃষ্টি করে , তাকে প্লায়া হ্রদ বলে । এগুলিকে আফ্রিকায় শটস , মেক্সিকোতে বোলসন বলে । 


১২. মরু অঞ্চলের প্রসারণের কারণ ও প্রতিরোধের উপায় কী তা আলোচনা করো । 
উত্তরঃ-   মরুভূমি প্রসারণের কারণগুলি হলো— 

( ক ) জলবায়ুগত পরিবর্তন : 
মরু অঞ্চল সম্প্রসারণের অন্যতম কারণ হলো বিশ্ব উয়ায়ন । এর প্রভাবে পৃথিবীর জলবায়ুর পরিবর্তন হয় । মরু অঞ্চলে যান্ত্রিক আবহবিকারের আধিক্য থাকায় শিলাচূর্ণ ও বালিরাশি বায়ুর দ্বারা বাহিত হয়ে সংলগ্ন এলাকাকে ঢেকে দেয় এবং পরবর্তীতে মরুভূমিতে পরিণত হয় । 

( খ ) অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কৃষিকার্য : 
শুষ্ক জমিতে যেসব ফসল জন্মায় সেগুলোর চাব না করে অন্য ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যে ভূগর্ভ থেকে অতিরিক্ত জল তোলা হয় । ফলে সেখানকার মাটি লবণাক্ত ও অনুর্বর হয়ে মরুভূমিতে পরিণত হয় । 

( গ ) অত্যধিক বৃক্ষচ্ছেদন : 
নগরায়ণ , শিল্পায়ন প্রভৃতির ফলে দিনের পর দিন বনভূমি কাটা হচ্ছে । ফলে সেই অঞ্চল বৃষ্টিহীন হয়ে শুষ্ক হয়ে পড়ছে এবং মরু অঞ্চলের সম্প্রসারণ ঘটছে । : গ্রহণ করা উচিত সেগুলি হলো— 

 প্রতিরোধের উপায় : 

মরুভূমির প্রসারণ কমিয়ে আনার জন্য যে যে পন্থা অবলম্বন করা যেতে পারে সেগুলি হল - 

বৃক্ষরোপণ : 
মরুভূমির প্রসার রোধ করার জন্য চারিদিকে গাছ লাগিয়ে সেগুলিকে শক্ত করে বেড়া দিয়ে সংরক্ষণ করলে অনেকাংশে মরুভূমির প্রসারণ রোধ হবে । 

নিয়ন্ত্রিত পশুচারণ : 
অতিরিক্ত পশুচারণ বন্ধ করতে হবে । যাযাবর , উপযাযাবর ও পরিযায়ী পশুপালকদের উপর নজর দিতে হবে যাতে করে তারা অতিরিক্ত পশুচারণ করতে না পারে । তবেই মরু সম্প্রসারণ রোধ করা যাবে । 

প্রান্তভাগে বাঁধ নির্মাণ : 
মরুভূমির প্রান্তভাগে বাঁধ নির্মাণ করে ভূপৃষ্ঠে বায়ুপ্রবাহকে আটকানো দরকার যাতে পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে বালুকণা প্রবাহিত হয়ে মরুভূমির প্রসারণ না ঘটায় । 


১৩. পৃথিবীর মরু ও উপকূল অঞ্চলে বায়ুর কার্যের প্রাধান্যের কারণ কী তা আলোচনা করো ।

উত্তরঃ-   পৃথিবীর মরু ও উপকূল অঞ্চলে বায়ুর কার্যের প্রাধান্যের কারণগুলি নিম্নে আলোচনা করা হলো— 

উন্মুক্ত বায়ুপ্রবাহ : 
উন্মুক্ত মরুভূমি অঞ্চলে এবং সমুদ্র উপকূলে বায়ু অবাধে প্রবাহিত হয় , ফলে বায়ুর কার্য অধিক হয় । 

উদ্ভিদশূন্যতা : 
উদ্ভিদের অভাব থাকায় মরু অঞ্চলে এবং উপকূল অঞ্চলে বায়ু খুব সহজে ও দ্রুত বেগে কাজ করে । 

উয় ও শুষ্ক বায়ুর উপস্থিতি : 
মরু অঞ্চলে বায়ুর আর্দ্রতা কম থাকায় বায়ু অত্যস্ত উয় হয়ে থাকে । ফলে উপরের স্তরের বালিরাশি শুষ্ক ও হালকা হয়ে অনেক দূরে উড়ে যায় । 

ঝোড়ো বাতাসের আধিক্য : 
মরু ও উপকূল অঞ্চল উন্মুক্ত থাকায় বাতাসের বেগ অধিক লক্ষ করা যায় । 

১৪. নদীর বহন ক্ষমতা কোন কোন বিষয়ের উপর নির্ভর করে ? 

উত্তরঃ-   নদীর বহনক্ষমতা প্রধানত চারটি বিষয়ের উপর নির্ভরশীল । যথা— 

আকর্ষণ প্রক্রিয়া : 
ছোটো – বড়ো শিলাখণ্ডগুলি নদীর স্রোতের টানে নদীর তলদেশ দিয়ে এগিয়ে চলে । 

ভাসমান প্রক্রিয়া : 
সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম পলি , বালি , কাদা প্রভৃতি নদীর স্রোতে ভাসতে ভাসতে পরিবাহিত হয় । 

লম্ফদান প্রক্রিয়া : 
অপেক্ষাকৃত ছোটো – বড়ো শিলাখণ্ডগুলি নদীর তলদেশে ধাক্কা খেয়ে লাফাতে লাফাতে এগিয়ে চলে । 

দ্রবণ প্রক্রিয়া : 
নদীর জলে শিলাস্তর বিয়োজিত ও দ্রবীভূত হয়ে বাহিত হয় । 


১৫. সুন্দরবন অঞ্চলের উপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কী তা সংক্ষেপে আলোচনা করো । 
উত্তরঃ-  

সুন্দরবন অঞ্চলের উপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব :  

পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি : 
জনসংখ্যা বৃদ্ধি , শিল্পায়ন , বনভূমি ধ্বংস প্রভৃতি কারণে পৃথিবীর উয়তা বেড়ে চলেছে । এই উয়তা বৃদ্ধির কারণে সুন্দরবন অঞ্চলের বাস্তুতন্ত্র নষ্ট হয়ে পড়েছে ।  

সমুদ্রতলের উচ্চতা বৃদ্ধি : 
পৃথিবীর উয়তা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ায় মেরু অঞ্চলের বরফ গলে যাচ্ছে । এর ফলে সুন্দরবন অঞ্চলের সমুদ্রজলতলের উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে । 

ম্যানগ্রোভ অরণ্যের বিনাশ : 
মৃত্তিকা ক্ষয় বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং উপকূলের অংশ জলে ডুবে থাকায় ম্যানগ্রোভ জাতীয় অরণ্য ধ্বংস হচ্ছে । 

ঘূর্ণিঝড়ের প্রাদুর্ভাব : 
সুন্দরবনের উয়তা ক্রমাগত বৃদ্ধিতে ঘূর্ণিঝড়ের প্রাদুর্ভাব লক্ষ করা যায় । 

ভূমির লবণাক্ততা বৃদ্ধি : 
সমুদ্রজলতল বৃদ্ধি পাওয়ায় সুন্দরবন অঞ্চলে লবণাক্ত জলের প্রবেশ ঘটে । ফলে কৃষি ও খাদ্যের সমস্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে ।


নিজে করো

১) পৃথিবীপৃষ্ঠে ভূমিরূপ গঠনে বহির্জাত প্রক্রিয়ার ভূমিকা ব্যাখ্যা কর।
২) বহির্জাত প্রক্রিয়ার পদ্ধতিগুলি সম্পর্কে আলোচনা কর।
৩) অবরোহন, আরোহন ও পর্যায়ন এই তিনটি প্রক্রিয়ার আত্মঃসম্পর্ক বিশ্লেষণ কর।
৪) বহির্জাত প্রক্রিয়া বলতে কী বোঝো? এ প্রক্রিয়ার বৈশিষ্ট্য গুলি লেখ।

দশম শ্রেণীর ভূগোল All Chapters | মাধ্যমিক ভূগোল সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর । Class 10 Geography All Chapter | Class Ten Geography All Chapter 

প্রাকৃতিক ভূগোল 
  1. মাধ্যমিক ভূগোল - বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ (প্রথম অধ্যায়) Click Here 
  2. মাধ্যমিক ভূগোল - বায়ুমণ্ডল (দ্বিতীয় অধ্যায়) Click Here
  3. মাধ্যমিক ভূগোল - বারিমন্ডল (তৃতীয় অধ্যায়) Click Here
  4. মাধ্যমিক ভূগোল - বর্জ্য ব্যবস্থাপনা (চতুর্থ অধ্যায়)  Click Here
[5] ভারতের ভূগোল ও অর্থনৈতিক ভূগোল
  • মাধ্যমিক ভূগোল - ভারত : ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ  /  ভারতের প্রাকৃতিক পরিবেশ Click Here
  • মাধ্যমিক ভূগোল - ভারত : ভারতের অর্থনৈতিক বিভাগ / ভারতের অর্থনৈতিক পরিবেশ Click Here
6.    মাধ্যমিক ভূগোল - উপগ্রহ ও ভূ – বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র (ষষ্ঠ অধ্যায়) Click Here

*** মাধ্যমিক ভূগোল - মানচিত্র ভূগোল – মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন 2025/2026/2027/2028/2029/2030  Click Here


Related searches
মাধ্যমিক শ্রেণির ভূগোল প্রশ্ন উত্তর / ক্লাস 10 ভূগোল অধ্যায় 1 প্রশ্ন এবং উত্তর / দশম শ্রেণীর প্রশ্ন উত্তর ভূগোল / মাধ্যমিক শ্রেণির ভূগোল প্রশ্ন উত্তর তৃতীয় অধ্যায় / মাধ্যমিক শ্রেণির ভূগোল প্রশ্ন উত্তর চতুর্থ অধ্যায় / দশম শ্রেণীর ভূগোল পঞ্চম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর / দশম শ্রেণীর ভূগোল দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর / মাধ্যমিক শ্রেণির ভূগোল প্রশ্ন উত্তর বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ / Bohirjato Prokriya o Tader dara Sristo Vumirup / মাধ্যমিক শ্রেণির ভূগোল প্রশ্ন উত্তর 2023, 2024, 2025, 2026, 2027, 2028, 2029, 2030, 2031, 2032, 2033, 2034, 2035, 2036, 2037, 2038, 2039, 2040 /  দশম শ্রেণীর ভূগোল দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর / দশম শ্রেণীর প্রশ্ন উত্তর ভূগোল / মাধ্যমিক শ্রেণির ভূগোল প্রশ্ন উত্তর দশম অধ্যায় / দশম শ্রেণীর ভূগোল বই pdf / মাধ্যমিক শ্রেণির ভূগোল প্রশ্ন উত্তর তৃতীয় অধ্যায় / মাধ্যমিক শ্রেণির ভূগোল প্রশ্ন উত্তর পঞ্চম অধ্যায় / মাধ্যমিক শ্রেণির ভূগোল বই

Some Information about this article  : 

WBBSE Class 10th Geography Question and Answer  | West Bengal West Bengal Class Ten X (Class 10th) Geography Qustions and Answers with Suggestion 

দশম শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন প্রশ্ন ও উত্তর   
” দশম শ্রেণীর  ভূগোল – প্রশ্ন উত্তর  “ সমস্ত অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর দশম শ্রেণীর পরীক্ষা (West Bengal Class Ten X  / WB Class 10  / WBBSE / Class 10  Exam / West Bengal Board of Secondary Education – WB Class 10 Exam / Class 10 Class 10th / WB Class X / Class 10 Pariksha  ) এখান থেকে প্রশ্ন অবশ্যম্ভাবী । সে কথা মাথায় রেখে geographybd.in এর পক্ষ থেকে দশম শ্রেণীর ভূগোল পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং প্রশ্ন ও উত্তর (Class 10 Geography Suggestion / Class 10 Geography Question and Answer / Class X Geography Suggestion / Class 10 Pariksha Geography Suggestion  / Geography Class 10 Exam Guide  / Class 10th Geography MCQ , Short , Descriptive  Type Question and Answer  / Class 10 Geography Suggestion  FREE PDF Download) উপস্থাপনের প্রচেষ্টা করা হলাে। ছাত্রছাত্রী, পরীক্ষার্থীদের উপকারেলাগলে, আমাদের প্রয়াস দশম শ্রেণীর ভূগোল পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং প্রশ্ন ও উত্তর (Class 10 Geography Suggestion / West Bengal Six X Question and Answer, Suggestion / WBBSE Class 10th Geography Suggestion  / Class 10 Geography Question and Answer  / Class X Geography Suggestion  / Class 10 Pariksha Suggestion  / Class 10 Geography Exam Guide  / Class 10 Geography Suggestion 2021 , 2022, 2023, 2024, 2025, 2026, 2027, 2028, 2029, 2030, 2021, 2020, 2019, 2017, 2016, 2015, 2031, 2032, 2033, 2034, 2035, 2036, 2037, 2038, 2039, 2040 /  Class 10 Geography Suggestion  MCQ , Short , Descriptive  Type Question and Answer. / Class 10 Geography Suggestion  FREE PDF Download) সফল হবে।

দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর

দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Class 10 Geography Question and Answer Suggestion  দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর।

দশম শ্রেণীর ভূগোল MCQ প্রশ্ন ও উত্তর

দশম শ্রেণীর ভূগোল MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | Class 10 Geography MCQ or Multiple Choice Question and Answer |  দশম শ্রেণীর ভূগোল MCQ প্রশ্ন উত্তর।

দশম শ্রেণীর ভূগোল SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | মাধ্যমিক শ্রেণির ভূগোল 

দশম শ্রেণীর ভূগোল SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | Class 10 Geography Short Question and Answer |  দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর  – SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর।

দশম শ্রেণীর ভূগোল DTQ বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | ষষ্ঠ শ্রেণী ভূগোল

দশম শ্রেণীর ভূগোল – DTQ বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর | Class 10 Geography Suggestion  দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর  – DTQ বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর।

পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক শ্রেণির ভূগোল  – প্রশ্ন উত্তর | West Bengal Class 10th Geography 

দশম শ্রেণীর ভূগোল (Class 10 Geography) – – প্রশ্ন ও উত্তর | | Class 10 Geography Suggestion  দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর  – প্রশ্ন উত্তর ।

দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর  | ষষ্ঠ শ্রেণি ভূগোল | WB Class 10 Geography Question and Answer, Suggestion 

দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – | দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – | পশ্চিমবঙ্গ দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – | দশম শ্রেণীর ভূগোল সহায়ক প্রশ্ন ও উত্তর । WB Class 10 Geography Question and Answer, Suggestion | WBBSE Class 10th Geography Suggestion  | WB Class 10 Geography Question and Answer Notes  | West Bengal WB Class 10th Geography Question and Answer Suggestion. 

দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | WBBSE Class 10 Geography Question and Answer, Suggestion

দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Class 10 Geography Suggestion. দশম শ্রেণীর ভূগোল সহায়ক প্রশ্ন ও উত্তর । Class 10 Geography Question and Answer, Suggestion.

Class 10 Geography Question and Answer Suggestions  | দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | ষষ্ঠ শ্রেণি ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর

Class 10 Geography Question and Answer  দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর  Class 10 Geography Question and Answer দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – MCQ, সংক্ষিপ্ত, রোচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর  । 

WBBSE Class 10th Geography Suggestion  | দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর 

WBBSE Class 10th Geography Suggestion দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর । WBBSE Class 10th Geography Suggestion  দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর।

West Bengal Class 10  Geography Suggestion  Download. WBBSE Class 10th Geography short question suggestion  . Class 10 Geography Suggestion   download. Class 10th Question Paper  Geography. WB Class 10  Geography suggestion and important question and answer. Class 10 Suggestion pdf.

পশ্চিমবঙ্গ দশম শ্রেণীর  ভূগোল পরীক্ষার সম্ভাব্য সাজেশন ও শেষ মুহূর্তের প্রশ্ন ও উত্তর ডাউনলোড। দশম শ্রেণীর ভূগোল পরীক্ষার জন্য সমস্ত রকম গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর।

Get the WBBSE Class 10th Geography Question and Answer by geographybd.in

WBBSE Class 10th Geography Question and Answer prepared by expert subject teachers. WB Class 10  Geography Suggestion with 100% Common in the Examination .

Class 10th Geography Syllabus

West Bengal Board of Secondary Education (WBBSE) Class 10th Geography Syllabus with all the important chapters and marks distribution. Download the Class 10th Geography Syllabus and Question Paper. Questions on the Geography exam will come from these chapters. All the chapters are equally important, so read them carefully.

WB Class 10th Geography Syllabus Free Download Link Click Here 

Class 10th Madhyamik X Geography Suggestion | West Bengal WBBSE Class 10 Exam 
Class 10 Geography Question and Answer, Suggestion Download PDF: WBBSE Class 10th Madhyamik X Geography Suggestion  is proXded here. West Bengal Class 10th Geography Suggestion Questions Answers PDF Download Link in Free has been given below. 

দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | WBBSE Class 10th Geography

আশাকরি তোমাদের দশম  ক্লাসের বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ প্রশ্ন ও উত্তর অধ্যায় থেকে সকল প্রশ্ন ও উত্তর কমপ্লিট হয়েছে। আমরা আমাদের সর্বাঙ্গীণ প্রচেষ্টা করেছি তোমাদের এই দশম  শ্রেণীর বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ প্রশ্ন ও উত্তর অধ্যায় থেকে সব প্রশ্ন উত্তর দেওয়ার জন্য, এখন কাজ হল তোমাদের বাড়িতে পড়ার । পড়তে থাকো , প্র্যাকটিস করতে থাকো, প্র্যাকটিস মানুষকে উত্তম করে তোলে। যত পড়বে তত শিখবে, ততই জ্ঞানী হবে। 

তোমাদের দশম  ক্লাসের  বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ প্রশ্ন ও উত্তর অধ্যায়ের প্রাকটিসের জন্য আমাদের কুইজে অংশগ্রহণ করতে পারো, সম্পূর্ণ ফ্রিতে, নিচে লিঙ্ক দেওয়া আছে কুইজে অংশ নিতে পারো।

ক্লাস দশম  এর অন্যান্য অধ্যায় গুলি সম্পর্কে আরও পড়তে চাইলে নিচে অধ্যায় অনুযায়ী লিঙ্ক দেওয়া আছে, লিঙ্কে ক্লিক করে ক্লাস দশম  এর অন্য অধ্যায় গুলি পড়ে নাও। আমাদের পরিসেবা তোমাদের ভালো লাগলে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি ফলো করতে পারো।

Post a Comment

0 Comments

Top Post Ad

Below Post Ad