Type Here to Get Search Results !

মাধ্যমিক ভূগোল – "বর্জ্য ব্যবস্থাপনা" (চতুর্থ অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Chapter 11 Bajro Bebosthapona Question and Answer

মাধ্যমিক ভূগোল - বর্জ্য ব্যবস্থাপনা (চতুর্থ অধ্যায়)  - WBBSE Class 10 Madhyamik Geography Chapter 4 Question and Answer Bajro Bebosthapona Question and Answer

দশম শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন – বর্জ্য ব্যবস্থাপনা / Bajro Bebosthapona – সমস্ত প্রশ্ন উত্তর | বর্জ্য ব্যবস্থাপনা / Bajro Bebosthapona অধ্যায়ের সাজেশন প্রশ্ন উত্তর | WBBSE Class 10 Madhyamik Geography Chapter 11 Question and Answer | WBBSE Class 10th Geography Suggestion PDF | Madhyamik Geography Suggestion Chapter 11 | বর্জ্য ব্যবস্থাপনা / Bajro Bebosthapona (চতুর্থ অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর

West Bengal  Class 10 Geography Solution Chapter 11

West Bengal  Board Class 10 Geography (ভূগোল) Textbook Solution Chapter 11 বর্জ্য ব্যবস্থাপনা / Borjo Babosthapona Question Answers by WBBSE Expert Teacher. West Bengal Board Class 10 Geography Solution Chapter 11.

500+ দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর / বর্জ্য ব্যবস্থাপনা (চতুর্থ অধ্যায়) MCQ, সংক্ষিপ্ত, অতি সংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর | দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – West Bengal Class 10th Geography Question and Answer

হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছো তোমরা ? আশাকরি তোমরা খুব ভালো আছো । আজকে আমরা আলোচনা করবো তোমাদের মাধ্যমিক ক্লাসের চতুর্থ অধ্যায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে । এই চতুর্থ অধ্যায়টি তোমাদের পরীক্ষার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ তাই চতুর্থ অধ্যায় এর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আমরা এই লিখাটির মাধ্যমে দশম শ্রেণীর  চতুর্থ অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর, এই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অধ্যায়ের সাজেশন , কিকরে এই অধ্যায় থেকে উত্তর লিখতে হয়। দশম শ্রেণীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অধ্যায় থেকে কিভাবে পড়বে সবকিছুই আলোচনা করবো। 

দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | WBBSE Class 10th Geography Question and Answer / দশম শ্রেণীর ভূগোল – বর্জ্য ব্যবস্থাপনা (চতুর্থ অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Class 10 Geography / দশম শ্রেণীর ভূগোল – চতুর্থ অধ্যায় "বর্জ্য ব্যবস্থাপনা" প্রশ্ন ও উত্তর | WBBSE Class 10th Geography Question and Answer / দশম শ্রেণীর ভূগোল (চতুর্থ অধ্যায়) বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রশ্ন উত্তর (MCQ, SAQ, LAQ)/Class 10 geography first chapter questions and Answers (MCQ, SAQ, LAQ) / দশম শ্রেণীর আমাদের পৃথিবী চতুর্থ অধ্যায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা | Class Ten Amader Prithibi / দশম শ্রেণীর ভূগোল – বর্জ্য ব্যবস্থাপনা (চতুর্থ অধ্যায়) 

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা / Bajro Bebosthapona (চতুর্থ অধ্যায়) MCQ, সংক্ষিপ্ত, অতি সংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর | দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – West Bengal Class 10th Geography Question and Answer
মাধ্যমিক ভূগোল – "বর্জ্য ব্যবস্থাপনা" (চতুর্থ অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Chapter 11 Bajro Bebosthapona Question and Answer

দশম শ্রেণীর ভূগোল All Chapters | মাধ্যমিক ভূগোল সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর । Class 10 Geography All Chapter | Class Ten Geography All Chapter 

প্রাকৃতিক ভূগোল 
  1. মাধ্যমিক ভূগোল - বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ (প্রথম অধ্যায়) Click Here 
  2. মাধ্যমিক ভূগোল - বায়ুমণ্ডল (দ্বিতীয় অধ্যায়) Click Here
  3. মাধ্যমিক ভূগোল - বারিমন্ডল (তৃতীয় অধ্যায়) Click Here
  4. মাধ্যমিক ভূগোল - বর্জ্য ব্যবস্থাপনা (চতুর্থ অধ্যায়)  Click Here
[5] ভারতের ভূগোল ও অর্থনৈতিক ভূগোল
  • মাধ্যমিক ভূগোল - ভারত : ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ  /  ভারতের প্রাকৃতিক পরিবেশ Click Here
  • মাধ্যমিক ভূগোল - ভারত : ভারতের অর্থনৈতিক বিভাগ / ভারতের অর্থনৈতিক পরিবেশ Click Here
6.    মাধ্যমিক ভূগোল - উপগ্রহ ও ভূ – বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র (ষষ্ঠ অধ্যায়) Click Here

*** মাধ্যমিক ভূগোল - মানচিত্র ভূগোল – মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন 2025/2026/2027/2028/2029/2030  Click Here

দশম শ্রেণীর ভূগোল – বর্জ্য ব্যবস্থাপনা / Bajro Bebosthapona (চতুর্থ অধ্যায়) সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো । WBBSE Class 10th Geography 4th Chapter MCQ Questions and Answers

সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো | MCQ Questions and Answers (Class Ten geography first chapter)

সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো ; প্রতিটি প্রশ্নের মান -১

১. ভারতের গ্রামাঞ্চলে কঠিন বর্জ্য যার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যায় সেটি হল-
a. কম্পোস্টিং করা
b. পুড়িয়ে ফেলা
c. উন্মুক্তভবে সঞ্চয় করা
d. ম্যানিওর পিট তৈরি করা
উত্তরঃ-   d. ম্যানিওর পিট তৈরি করা

২.  নিম্নলিখিত বর্জ্যগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর
a. প্লাস্টিক
b. কাঠ
c. ধাতু
d. কৃষিজাত বর্জ্য
উত্তরঃ-   a. প্লাস্টিক

৩. ইট ছাড়া ফ্লাই অ্যাশ আর যে কাজে ব্যবহৃত করা হয়।
a. চিনেমাটির বাসন তৈরিতে  
b. কারখানার চিমনি প্রস্তুতিতে
c. রাস্তা তৈরিতে
d. রান্নাঘরের বেসিন তৈরিতে
উত্তরঃ-   c. রাস্তা তৈরিতে

 ৪. জৈব বর্জ্য থেকে যে গ্যাস পাওয়া যায় তার নাম-
a. ল্যান্ডফিল  
b. এলপিজি
c. বায়োগ্যাস
d. দুর্গন্ধনাসক গ্যাস
উত্তরঃ-   c. বায়োগ্যাস

৫. টিন, কাচ কী ধরনের বর্জ্য পদার্থ ?
1. গ্যাসীয়
2. তরল
3. কঠিন
4. বায়ু
উত্তরঃ-   3. কঠিন

৬. ডিটারজেন্ট কী ধরনের বর্জ্য ?
1. তরল
2. গ্যাসীয়
3. বায়োবীয়
4. কঠিন
উত্তরঃ-   4. কঠিন

৭. একটি গ্যাসীয় বর্জ্য হল
1. SO2
2. কাঁচ
3. প্লাস্টিক
4. পারদ
উত্তরঃ-   1. SO2

৮. নীচের কোন দূষণটি কৃষিক্ষেত্র থেকে হয়-
a. প্লেগ রোগ
b. হৃদ্‌ঘটিত রোগ
c. ফুসফুসের রোগ
d. হারের রোগ
উত্তরঃ-   a. প্লেগ রোগ

৯. একটি কৃষিজাত বর্জ্য হল-
a. গাছের কান্ড
b. আখের ছিবড়ে
c. কাচের বোতল
d. প্লাস্টিক পাত
উত্তরঃ-   b. আখের ছিবড়ে

১০. একটি পৌর আবর্জনার উদাহরণ হল-
a. অ্যালুমিনিয়াম টুকরো
b. গোবর
c. কঙ্কাল
d. তুষ
উত্তরঃ-   a. অ্যালুমিনিয়াম টুকরো

১১. ল্যান্ডফিল পদ্ধতিতে জৈব পদার্থের পচন হতে সময় লাগে-
a. 10-15 দিন  
b. 4-6  মাস
c. 6-8 মাস
d. 1 বছর             
উত্তরঃ-   b. 4-6  মাস
১২. নিম্নলিখিতর মধ্যে কোনটি্‌ কঠিন বর্জ্যের অন্তর্গত নয়-
a. কৃশিক্ষেত্রের বর্জ্য
b. শিল্পজাত বর্জ্য
c. জঞ্জাল
d. পয়ঃপ্রনালীর বর্জ্য
উত্তরঃ-   d. পয়ঃপ্রনালীর বর্জ্য

১৩. কাগজ তৈরি করতে কাঠের ব্যবহারের ভালো বিকল্প-
a. পুরোনো কাপর
b. গাছের পাতা
c. আখের ছিবড়ে
d. নতুন গাছ
উত্তরঃ-   c. আখের ছিবড়ে

১৪. এদের মধ্যে কোনটি একটি ধাতু
1. কাঠ
2. পারদ
3. কাঁচ
4. কাগজ
উত্তরঃ-   2. পারদ

১৫. ওষুধের ফয়েল কি প্রকার বর্জ্য
1. জৈব
2. কৃষি
3. চিকিৎসা
4. তেজষ্ক্রিয়
উত্তরঃ-   3. চিকিৎসা

১৬. স্ক্রাবার ব্যাবহার করা হয় কি পরিশোধনের জন্য
1. বায়ু
2. জল
3. মাটি
4. নদী
উত্তরঃ-   1. বায়ু

১৭. যান্ত্রিক কম্পোস্টিং এ সময় লাগে
1. ৯-১০ মাস
2. ২০-২৫ মাস
3. ৪-৬ সপ্তাহ
4. ৪-৬ মাস
উত্তরঃ-   3. ৪-৬ সপ্তাহ

১৮. একটি অবিষাক্ত বর্জ্য-
a. পুরোনো ফুল
b. কীটনাশক
c. পারদ
d. প্লাস্টিক
উত্তরঃ-   b. কীটনাশক

১৯. একটি বিষাক্ত চিকিৎসা-সংক্রান্ত বর্জ্য হল-
a. ইদুর মারা বিষ
b. খাবারের বাতিল অংশ
c. ক্যাথিটার
d. বাতিল কম্পিউটার
উত্তরঃ-   c. ক্যাথিটার

২০. পূর্নচক্রী একটি বর্জ্য হল-
a. প্লাস্টিকের বোতল
b. স্প্রে ক্যান
c. রাবিশ
d. হাসপাতালের বর্জ্য
উত্তরঃ-   a. প্লাস্টিকের বোতল

২১. বর্জ্যের চাপ সবচেয়ে বেশি-
a. কলকাতা
b. মুম্বাই
c. দিল্লি
d. চেন্নাইতে
উত্তরঃ-   a. কলকাতা

২২. একটি বিষাক্ত বর্জ্য হল-
a. সিসা
b. সবজির খোসা
c. পুরোনো কাগজ
d. পচা আলু
উত্তরঃ-   a. সিসা

২৩. একটি পরিবেশ মিত্র বর্জ্যর নাম-
a. চট
b. সিসা
c. রবার
d. প্লাস্টিক      
উত্তরঃ-   a. চট

২৪.  চয়ানো পরিস্রাবন ___  শোধন এর সাথে যুক্ত
1. জল
2. বায়ু
3. মাটি
4. কোনটি নয়
উত্তরঃ-   1. জল

২৫. জৈবভঙ্ঘুর পদার্থ কোনটি
1. কাঁচ
2. ধাতু
3. সবজি
4. পলিথিন
উত্তরঃ-   3. সবজি

২৬.  বিষাক্ত বর্জ্য কোনটি?
1. প্লাস্টিক
2. পারদ
3. নাপকিন
4. তুলো
উত্তরঃ-   2. পারদ

২৭. কঠিন বর্জ্য কোনটি?
1. কঠিন
2. মল
3. রক্ত
4. দূষিত জল
উত্তরঃ-   1. কঠিন

২৮. সর্বাধিক দূষণযুক্ত শহর কোনটি-
a. নিউ ইয়র্ক
b. লস এঞ্জেলস
c. লন্ডন
d. মিউ দিল্লি
উত্তরঃ-   d. মিউ দিল্লি

২৯. কঠিন বর্জ্য থেকে যে গ্যাস পাওয়া যায় , তা হল –
(A) কার্বন ডাইঅক্সাইড
(B) জৈব গ্যাস
(C) মিথেন 
(D) অ্যামোনিয়া 
উত্তরঃ-   (C) মিথেন

৩০. একটি পরিবেশ মিত্র বর্জ্য হল –
(A) চট
(B) প্লাস্টিক
(C) কাচ
(D) সিসা
উত্তরঃ-   (A) চট

৩১. একটি কঠিন বর্জ্যের উদাহরণ হল –
(A) হাসপাতালে ব্যবহৃত সিরিঞ্জ
(B) পয়ঃপ্রণালীর বর্জ্য
(C) বাতানুকূল যন্ত্র থেকে নির্গত ক্লোরোফ্লুরোকার্বন
(D) কোনোটিই নয়
উত্তরঃ-   A) হাসপাতালে ব্যবহৃত সিরিঞ্জ

৩২.  হাড়ের ভঙ্গুরতা বৃদ্ধি পায়
1. ক্যাডমিয়াম
2. সিসা
3. HCl
4. H2S
উত্তরঃ-   1. ক্যাডমিয়াম

৩৩. উদ্ভিত দেহে কোন রোগ দেখা যায়।
1. চর্ম রোগ
2. ক্লোরসিস
3. টাইফয়েড
4. চোখের প্রদাহ
উত্তরঃ-   2. ক্লোরসিস

৩৪. একটি উন্মুক্ত বিশাল জলাধারে মাধ্যমিক শোধিত জল ____, দ্বারা জারিত করা হয় এবং জলের অম্লতা ও ক্ষারকীয়তাকে প্রশমিত হয়।
1. CO2
2. O2
3. H2S
4. SO2
উত্তরঃ-   2. O2

৩৫. একটি তরল বর্জ্যের উদাহরণ হল –
(A) খবরের কাগজ
(B) ছেঁড়া জুতো
(C) কীটনাশক মিশ্রিত জল
(D) শিল্পকারখানার বিষাক্ত কণা
উত্তরঃ-   (C) কীটনাশক মিশ্রিত জল

৩৬. একটি গ্যাসীয় বর্জ্যের উদাহরণ হল –
(A) ক্র্যাপ
(B) ডিটারজেন্ট
(C) জীবাশ্ম জ্বালানি
(D) ক্রুড অয়েল
উত্তরঃ-   (C) জীবাশ্ম জ্বালানি

৩৭. হিরোসিমা – নাগাসাকিতে নিক্ষিপ্ত বোমা – 
(A) গ্যাসীয় বর্জ্যের উদাহরণ
(B) বিষাক্ত বর্জ্যের উদাহরণ
(C) বিষহীন বর্জ্যের উদাহরণ
(D) তেজস্ক্রিয় বর্জ্যের উদাহরণ
উত্তরঃ-   (C) বিষহীন বর্জ্যের উদাহরণ

৩৮. চিকিৎসা বর্জ্য থেকে যে রোগ ছড়াতে পারে-
a. টাইফয়েড
b. হৃদয়ঘটিত রোগ
c. এইডস্‌
d. ম্যালেরিয়া
উত্তরঃ-   a. টাইফয়েড

৩৯. গ্রামীণ শক্তির চাহিদা মেটায়-
a. এলপিজি
b. কার্বন ডাইঅক্সাইড
c. গোবর গ্যাস
d. ইলেকট্রিক উনুন
উত্তরঃ-   c. গোবর গ্যাস

৪০.  ফ্লাই অ্যাশ পাওয়া যায়-
a. কাগজ ফল থেকে
b. পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে
c. তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে
d. জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে
উত্তরঃ-   c. তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে

৪১. ভাঙা মগ কী প্রকার ?
(A) জৈব ভঙ্গুর
(B) জৈব অভঙ্গুর
(C) বিষহীন
(D) বিষাক্ত
উত্তরঃ-   (A) জৈব ভঙ্গুর

৪২. তেজস্ক্রিয় বর্জ্যের প্রধান উৎসস্থল –
(A) শিল্প কারখানা
(B) জলবিদ্যুৎ কেন্দ্ৰ 
(C) জলশোধন কেন্দ্র
(D) পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র 
উত্তরঃ-   (D) পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র

৪৩. Hazardous waste ‘ বলা হয় –
(A) বিষহীন বর্জ্য পদার্থকে
(B) বিষাক্ত বর্জ্য পদার্থকে
(C) জৈব ভঙ্গুর বর্জ্য পদার্থকে
(D) জৈব অভঙ্গুর বর্জ্য পদার্থকে
উত্তরঃ-   B) বিষাক্ত বর্জ্য পদার্থকে

৪৪. নগরে বর্জ্য মুক্তির জন্য প্রয়োজন
a. প্লাস্টিকের নিষিদ্ধকরণ
b. জৈব বর্জ্যের ব্যবহার হ্রাস
c. পয়ঃপ্রনালীর উন্নয়ন
d. রাস্তাঘাটের উন্নয়ন
উত্তরঃ-   a. প্লাস্টিকের নিষিদ্ধকরণ

৪৫. সর্বাধিক বিষাক্ত বর্জ্য উৎপন্ন হয়-
a. তেজস্ক্রিয় বর্জ্য থেকে
b. জৈব বর্জ্য থেকে
c. ফ্লাই অ্যাশ থেকে
d. জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে
উত্তরঃ-   a. তেজস্ক্রিয় বর্জ্য থেকে

৪৬. কঠিন বর্জ্য থেকে যে ধরনের রোগের সংক্রমণ হতে পারে তার মধ্যে প্রধান হল-
a. ফুসফুসের রোগ
b. এইডস  
c. অ্যামিমিয়া
d. ক্যানসার
উত্তরঃ-   a. ফুসফুসের রোগ

৪৭. খবরের কাগজ একপ্রকার –
(A) জৈব অভঙ্গুর পচনশীল তরল
(B) জৈব ভঙ্গুর
(C) গ্যাসীয় বর্জ্য
(D) জৈব অভঙ্গুর পদার্থকে
উত্তরঃ-   (B) জৈব ভঙ্গুর

৪৮.  চিকিৎসা সংক্রান্ত বর্জ্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল –
(A) পলিথিন ব্যাগ
(B) স্যালাইন বোতল
(C) মিথেন
(D) পয়ঃপ্রণালীর বর্জ্য
উত্তরঃ-   (B) স্যালাইন বোতল

৪৯. বায়ু দূষণ থেকে-
a. কঠিন বর্জ্য থেকে
b. কারখানা নির্গত জল থেকে
c. ঘরের বর্জ্য থেকে
d. তেজস্ক্রিয় বর্জ্য থেকে
উত্তরঃ-   a. কঠিন বর্জ্য থেকে

৫০. বর্জ্য জল শোধনের প্রক্রিয়াকে ভাগ করা যায়—
(A) ২ টি স্তরে
(B) ১ টি স্তরে
(C) ৩ টি স্তরে
(D) ৪ টি স্তরে
উত্তরঃ-   (C) ৩ টি স্তরে

৫১. বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়ায় ক – টি স্তর দেখা যায় ? 
(A) ১ টি
(B) ২ টি 
(C) ৩ টি
(D) ৪ টি
উত্তরঃ-   (C) ৩ টি

৫২. গৃহের প্রতিদিনের কাজে উৎপাদিত আবর্জনা হল
(a) কৃষিক্ষেত্রের বর্জ্য (b) শিল্প বর্জ্য (c) জৈব বর্জ্য (d) গৃহস্থালির বর্জ্য
উত্তরঃ-   (d) গৃহস্থালির বর্জ্য

৫৩. পারমাণবিক জ্বালানি চক্রের ফলে যে প্রকার বর্জ্যের সৃষ্টি হয়, তা হল
(a) কৃষিক্ষেত্রের বর্জ্য (b) শিল্প বর্জ্য (c) তেজস্ক্রিয় বর্জ্য (d) জৈব বর্জ্য
উত্তরঃ-   (c) তেজস্ক্রিয় বর্জ্য

৫৪. গ্যাসীয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনার একটি যন্ত্র হল
(a) স্ক্রাবার (b) কম্পোস্টিং (c) ভরাটকরণ (d) সব ক-টি
উত্তরঃ-   (a) স্ক্রাবার

৫৫. বায়ুতে উপস্থিত জীবাণু বর্জ্যে জৈব পদার্থের বিশ্লেষণ ঘটালে তাকে বলে
(A) কম্পোস্টিং
(B) ওভার ফিলিং
(C) ল্যান্ডফিলিং
(D) কম্পাউন্ডিং
উত্তরঃ-   (A) কম্পোস্টিং

৫৬. পৌর বর্জ্য শহর থেকে দূরে সরিয়ে মাটিতে পুঁতে দেওয়ার পদ্ধতিকে বলে—
(A) বর্জ্য পৃথকীকরণ
(B) কম্পোস্টিং
(C) জমি ভরাটকরণ
(D) নিষ্কাশন
উত্তরঃ-   (C) জমি ভরাটকরণ

৫৭. একটি কৃত্রিম বর্জ্যের উদাহরণ হল কি
(a) উদ্ভিদের দেহাবশেষ (b) তেজস্ক্রিয় বর্জ্য (c) জীবজন্তুর মলমূত্র (d) উল্কাপিণ্ড
উত্তরঃ-   (b) তেজস্ক্রিয় বর্জ্য

৫৮. একটি জীববিশ্লেষ্য বর্জ্য হল
(a) পলিথিন (b) প্লাস্টিক (c) অ্যালুমিনিয়াম (d) ধানের তুষ
উত্তরঃ-   (d) ধানের তুষ

৫৯. বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কোনো ব্যবহৃত দ্রব্যকে পুনরায় পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনার পদ্ধতিকে বলে—
(A) বর্জ্যের পরিমাণগত হ্রাস
(B) পুনর্ব্যবহার
(C) পুনর্নবীকরণ
(D) নিষ্কাশন
উত্তরঃ-   (B) পুনর্ব্যবহার

৬০. ফ্লাই অ্যাশ কী প্রকার বর্জ্যের উদাহরণ ?
(A) গৃহস্থালি
(B) শিল্প 
(C) কৃষিজ
(D) পৌর
উত্তরঃ-   C) কৃষিজ

৬১. কোনো পদার্থ ব্যবহারের পর ওই পদার্থের বাতিল অংশকে আমরা বলি
(a) বর্জ্য (b) প্রয়াজেনীয় দ্রব্য (c) পুনঃব্যবহার্য দ্রব্য (d) সব ক-টি
উত্তরঃ-   (a) বর্জ্য

৬২. জীবজগতের সৃষ্ট বিষক্রিয়ার ভিত্তিতে বর্জ্যকে ক-টি ভাগে ভাগ করা যায় ?
(a) 1টি (b) 2টি (c) 3টি (d) 4টি
উত্তরঃ-   (b) 2টি

৬৩. DDT কী প্রকার বর্জ্যের উদাহরণ ?
(A) কৃষিজ
(B) চিকিৎসা
(C) গৃহস্থালি
(D) পৌর
উত্তরঃ-   (A) কৃষিজ

৬৪. বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স বস্তুজাত বর্জ্যকে বলে—
(A) Toxic waste
(B) E – waste
(C) Radioactive waste
(D) Hazardous waste
উত্তরঃ-   (B) E – waste

৬৫. কঠিন বর্জ্য পদার্থগুলি ফেলার জন্য পরিকল্পিত স্থান হল
(a) ল্যান্ডফিল (b) কোল্ডফিল (c) চেম্বার (d) লিচেট
উত্তরঃ-   (a) ল্যান্ডফিল

৬৬. ময়লা বা বর্জ্য পদার্থ ধোওয়া জলকে বলা হয়
(a) ল্যান্ডফিল (b) কোল্ডফিল (c) চেম্বার (d) লিচেট
উত্তরঃ-   (d) লিচেট

৬৭. যে সকল বর্জ্য প্রাকৃতিকভাবে বিয়োজিত হয়, তাদের বলা হয়
(a) জৈব ভঙ্গুর (b) জৈব অভঙ্গুর (c) কম্পোস্টিং (d) সব ক-টি
উত্তরঃ-   (a) জৈব ভঙ্গুর

৬৮. ল্যান্ডফিল থেকে উৎপন্ন গ্যাস হল –
(A) মিথেন
(B) অ্যামোনিয়া
(C) নাইট্রোজেন
(D) কোনোটিই নয়
উত্তরঃ-   B) অ্যামোনিয়া

৬৯. ভারতের কোন্ মহানগরে প্রতিদিনের (2010-11) কঠিন বর্জ্যের পরিমাণ সর্বাধিক?
(a) কলকাতা (b) দিল্লি (c) চেন্নাই (d) মুম্বাই
উত্তরঃ-   (b) দিল্লি

৭০. কম্পোস্টিং যে পদার্থের উপর প্রয়োগ করা হয়, তা হল।
(a) অজৈব বর্জ্য (b) জৈব বর্জ্য (c) জীব অবিশ্লেষ্য বর্জ্য (d) প্রস্তরখণ্ড
উত্তরঃ-   (b) জৈব বর্জ্য

৭১. সালফার ডাইঅক্সাইড যে প্রকৃতির বর্জ্য
(a) কঠিন বর্জ্য (b) তরল বর্জ্য (c) গ্যাসীয় বর্জ্য (d) সব ক-টি
উত্তরঃ-   (c) গ্যাসীয় বর্জ্য

৭২. কঠিন বর্জ্যকে অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে দহনের মাধ্যমে তাপীয় বিয়োজন ঘটানো হয় যে প্রক্রিয়ায়, তা হল
(a) কম্পোস্টিং (b) পাইরোলাইসিস (c) স্ক্রাবার (d) সব ক-টি
উত্তরঃ-   (b) পাইরোলাইসিস

৭৩. বর্তমানে সামগ্রিকভাবে প্রায় কত শতাংশ কৃষিজাত খাদ্য রাসায়নিক ঔষধাদি বহন করে?
(a) 10% (b) 100% (c) 90% (d) 51%
উত্তরঃ-   (d) 51%

৭৪. ভাগীরথী-হুগলি নদীর ওপর যে বর্জ্যের প্রভাব সর্বাধিক, তা হল
(a) কৃষিজাত বর্জ্য (b) গৃহস্থালির বর্জ্য (c) শিল্পজাত বর্জ্য (d) পৌর বর্জ্য
উত্তরঃ-   (c) শিল্পজাত বর্জ্য

৭৫.  CNG এর পুরো নাম –
1. Compressed Natural Gas
2. Compressed Nature Gas
3. Carbon Natural Gas
4. Compressed Neutral Gas

৭৬. কঠিন বর্জ্য থেকে যে গ্যাস পাওয়া যায় সেটি হল-
a. অক্সিজেন    
b. কার্বন ডাইঅক্সাইড
c. জৈব গ্যাস
d. নাইট্রোজেন
উত্তরঃ-   c. জৈব গ্যাস

৭৭. ফ্লাই অ্যাশ ব্যাবহার করা হয়-
a. বাসন তৈরিতে
b. ইট তৈরিতে
c. কাগজ তৈরিতে
d. সার তৈরিতে
উত্তরঃ-   b. ইট তৈরিতে

৭৮.  জলকে জীবাণুমুক্ত করার জন্য ব্যবহার করা হয়
a. চুন
b. অক্সিজেন
c. কার্বন ডাইওক্সাইড
d. ওজোন
উত্তরঃ-   d. ওজোন



দশম শ্রেণীর ভূগোল – বর্জ্য ব্যবস্থাপনা / Bajro Bebosthapona (চতুর্থ অধ্যায়) সত্য মিথ্যা যাচাই করো । WBBSE Class 10th Geography 4th Chapter True & False Questions and Answers 

সত্য মিথ্যা যাচাই করো | True & False Questions and Answers (Class Ten geography first chapter)

শূন্যস্থান পূরন করো ; প্রতিটি প্রশ্নের মান -১


১. কঠিন ও অর্ধকঠিন যে সকল বস্তু অব্যবহারযোগ্য ও অবাঞ্ছিত বলে বাতিল করা হয়, তাদের সমষ্টিগতভাবে, _______বর্জ্য বলা হয়।
উত্তরঃ-   কঠিন

২. মনুষ্য ক্রিয়াকলাপে উৎপাদিত তরল বস্তু ব্যবহারকারীদের কাছে অপ্রয়োজনীয় হলে, তাকে _______ বর্জ্য বলা হয়।
উত্তরঃ-   তরল

৩. BOD এর পুরো নাম__________।
উত্তরঃ-   Biological Oxygen Demand

৪. বেঙ্গালুরু পদ্ধতিতে __________ ফুট গভীর খাত কাটা হয়।
উত্তরঃ-   2-3

৫. জীবজগতের সৃষ্ট বিষক্রিয়ার ভিত্তিতে বর্জ্যের দুটি শ্রেণি হল _______বর্জ।
উত্তরঃ-   বিষাক্ত, অবিষাক্ত

৬. যেসব স্থান থেকে বর্জ্য উৎপন্ন হয়, তাকে বর্জ্যপদার্থের_______বলে।
উত্তরঃ-   উৎস

৭. বিপজ্জনক বর্জ্য ফেলার জায়গাকে বলা হয়__________।
উত্তরঃ-   সিকিউর ল্যান্ডফিল

৮. যেসকল বর্জ্য তরল অবস্থায় থাকে তাদের বলে__________।
উত্তরঃ-   তরল বর্জ্য

৯. তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রধান পদ্ধতি হল_______।
উত্তরঃ-   নিষ্কাশন

১০. একটি জৈব বর্জ্যের উদাহরণ হল _______।
উত্তরঃ-   গোবর

১১. স্ক্রাবার _______বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অন্তর্গত।
উত্তরঃ-   গ্যাসীয়

১২. গ্যাসীয় বর্জ্য দূরীকরণের একটি যন্ত্র হল__________।
উত্তরঃ-   স্ক্রাবার

১৩. পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে__________ বর্জ্য উৎপাদিত হতে পারে।
উত্তরঃ-   তেজষ্ক্রিয়

১৪. __________ -এর মধ্য দিয়ে দূষিত জল চালনা করলে রং, গন্ধের শোধন করা যায়।
উত্তরঃ-   নিকাশি

১৫. কাগজ থেকে পুনরায় কাগজ উৎপাদন_______প্রক্রিয়ার অন্তর্গত।
উত্তরঃ-   পুনর্নবীকরন

১৬. _______খ্রিস্টাব্দ থেকে আমেরিকান কংগ্রেস সমুদ্রে তেজস্ক্রিয় বর্জ্য পদার্থ ফেলা স্থগিত রেখেছে।
উত্তরঃ-   ১৯৮২

১৭. কোনো পরিবর্তন ছাড়াই বর্জ্য পদার্থের ব্যবহারকে বলে _______।
উত্তরঃ-   পুনব্যবহার

১৮. কাচকে __________ এর বিকল্প হিসাবে ব্যাবহার করা হয়।
উত্তরঃ-   অ্যাসফাল্টের

১৯. জৈব বর্জ্য পদার্থকে ব্যাকটেরিয়া দ্বারা পচন ঘটিয়ে হিউমাসে পরিণত করা হয়। একে __________এবং পদ্ধতিকে কম্পোস্টিং বলা হয়।
উত্তরঃ-    কম্পোস্ট বা জৈব সার

২০. কঠিন বর্জ্য পদার্থগুলি ফেলার জন্য পরিকল্পিত যে স্থান নির্বাচন করা হয় তাকে __________ বলে।
উত্তরঃ-   ভরাটকরণ



দশম শ্রেণীর ভূগোল – বর্জ্য ব্যবস্থাপনা / Bajro Bebosthapona (চতুর্থ অধ্যায়) শূন্যস্থান পূরণ করো । WBBSE Class 10th Geography 4th Chapter Fill in the blank Questions and Answers 

শূন্যস্থান পূরণ করো  | Fill in the blank Questions and Answers (Class Ten geography first chapter)

সত্য / মিথ্যা নির্ণয় করো; প্রতিটি প্রশ্নের মান -১

১. CFC পরিবেশ এর জন্য উপকারী।
উত্তরঃ-   মিথ্যা

২. যান্ত্রিক কম্পোস্টিং এ ১-২ সপ্তাহ সময় লাগে।
উত্তরঃ-   মিথ্যা

৩. মূলত জীববিশ্লেষ্য পদার্থগুলিই হল বিষহীন বর্জ্য।
উত্তরঃ-  সত্য

৪. সমুদ্রতীর থেকে জলের দিকে 300 কিমি দূরে এবং 10,000 ফুট গভীরে বর্জ্য পদার্থ নিক্ষেপ করলে পরিবেশের কোনো ক্ষতি হয় না। 
উত্তরঃ-  সত্য

৫. O2 জলের অম্লতাকে কম করে
উত্তরঃ-   সত্য

৬.  অর্ধতরল পদার্থকে slurry বলে।
উত্তরঃ-   সত্য

৭. আবর্জনা সংগ্রহ, পরিবহণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ, পুনর্ব্যবহার এবং নিষ্কাশনের সমন্বিত প্রক্রিয়া হল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। 
উত্তরঃ-  সত্য

৮. বর্জ্য পদার্থ শুধুমাত্র কঠিন পদার্থ হয়। 
উত্তরঃ-  মিথ্যা

৯. পুনর্নবীকরণ এর ফলে পরিবেশের ক্ষতি হয়।
উত্তরঃ-   মিথ্যা

১০. ক্লোরোসিস মানবদেহের একটি রোগ।
উত্তরঃ-   মিথ্যা

১১. বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থীদের কোনো ভূমিকা নেই। 
উত্তরঃ-  মিথ্যা

১২. অতীতে মধ্য আমেরিকায় ‘মায়া সভ্যতার কিছু ঘটনা থেকে সেই সময়কার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রমাণ পাওয়া যায়। 
উত্তরঃ-  সত্য

১৩. আগাছানাশক এর ফলে বায়ু দূষিত হয়।
উত্তরঃ-   মিথ্যা

১৪. পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বর্জ্য একটি তেজস্ক্রিয় বর্জ্যের উদাহরণ।
উত্তরঃ-   সত্য

১৫. জৈব বর্জ্য মাটিতে মিশে যায় না।
উত্তরঃ-   মিথ্যা

১৬. কম্পোস্টিং পদ্ধতিতে মিশ্র সার প্রস্তুত করা যায় না। 
উত্তরঃ-  মিথ্যা

১৭. গ্যাসীয় বর্জ্য বৃদ্ধি বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে। 
উত্তরঃ-  সত্য

১৮. সিসা একটি বিষহীন বর্জ্য পদার্থ।
উত্তরঃ-   মিথ্যা

১৯. আমরা সচেতন থাকলে বর্জ্যের হ্রাস করন সম্ভব।
উত্তরঃ-   সত্য

২০. গৃহস্থালির বেশির ভাগ বর্জ্য বিষহীন বর্জ্য।
উত্তরঃ-   সত্য

২১. ক্লোরিন উৎপাদন কেন্দ্র থেকে  HCl gas নির্গত হয়।
উত্তরঃ-   সত্য

২২. সিসার প্রভাবে উচ্চরক্তচাপ দেখা যায়।
উত্তরঃ-   সত্য

২৩. অ্যাসিড একটি বিষাক্ত বর্জ্য।
উত্তরঃ-   সত্য



দশম শ্রেণীর ভূগোল – বর্জ্য ব্যবস্থাপনা / Bajro Bebosthapona (চতুর্থ অধ্যায়) এক কথায় উত্তর দাও । WBBSE Class 10th Geography 4th Chapter SAQ Questions and Answers 

এক কথায় উত্তর দাও | SAQ Questions and Answers (Class Ten geography first chapter) 

এক কথায় উত্তর দাও : প্রতিটি প্রশ্নের মান -১

১. একটিা বায়ো-মেডিকেল বর্জ্যের নাম করো।
উত্তরঃ-  ব্যবহৃত সিরিঞ্জ।

২. একটি অর্গানোক্লোরিন বর্জ্যের নাম করো।
উত্তরঃ-  DDT

৩. জীব বিশ্লেষ্য বর্জ্য থেকে কী ধরনের সম্পদ উৎপাদন হয়?
উত্তরঃ-  জৈব সার।

৪. জৈব বর্জ্য পদার্থের পচনের ফলে উৎপন্ন সারকে কী বলে ?
উত্তরঃ-   জৈবসার বা বায়োফার্টিলাইজার ।

৫. দুটি তেজস্ক্রিয় বর্জ্যের উদাহরণ দাও ।
উত্তরঃ-   রেডিয়াম -২২৬ এবং কার্বন -১৪ ।

৬. দুটি লৌহ – ইস্পাত শিল্পের এর নাম লেখো যেখান থেকে দূষিত গরম জল নির্গত হয় । 
উত্তরঃ-   ব্লাস্ট ফার্নেসে ও তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ।

৭. খননকার্যের ফলে সৃষ্ট বর্জ্য কী ধরনের বর্জ্য?
উত্তরঃ-  কঠিন বর্জ্য।

৮. দূষিত বর্জ্য জলকে কী ধরনের বর্জ্য বলা যায়?
উত্তরঃ-  তরল বর্জ্য।

৯. একটি গ্যাসীয় বর্জ্য বস্তুর নাম করো|
উত্তরঃ-  সালফার অক্সাইড (SO2 )

১০. একটি রাসায়নিক বিষাক্ত বর্জ্যের নাম করো।
উত্তরঃ-  ইঁদুর মারা বিষ।

১১. জৈব ভঙ্গুর দুটি বর্জ্যের উদাহরণ দাও ।
উত্তরঃ-   শাকসবজি , খাবারের অবশিষ্টাংশ ।

১২. জৈব অভঙ্গুর দুটি বর্জ্যের উদাহরণ দাও ।
উত্তরঃ-   প্লাস্টিক , কাচ । 

১৩. কাগজ শিল্প থেকে কী বর্জ্য নির্গত হয় ?
উত্তরঃ-   সেলুলোজ ।

১৪. দুটি বিষাক্ত জৈব বর্জ্যের নাম লেখো ।
উত্তরঃ-   সিসা , পারদ ।

১৫. শুকনো ফুল কী ধরনের বর্জ্য?
উত্তরঃ-  বিষহীন বর্জ্য।

১৬. আমাদের বাড়ি থেকে সৃষ্ট এমন একটি কঠিন বর্জ্যের নাম করো।
উত্তরঃ-  পুরোনো জুতো।

১৭. একটি বিপজ্জনক চিকিৎসা-সংক্রান্ত বর্জ্যের নাম করো।
উত্তরঃ-  ক্যাথিটার।

১৮. গ্যাসীয় বর্জ্যের পরিমাণ বৃদ্ধিতে জলবায়ুর কী পরিবর্তন ঘটছে?
উত্তরঃ-  বিশ্ব উষ্ণায়ন।

১৯. দুটি চিকিৎসা বর্জ্যের উদাহরণ দাও ।
উত্তরঃ-   ক্যাথিটার , সিরিঞ্জ ।

২০. শিল্পের বায়ুকে শোধনের জন্য প্রচলিত পদ্ধতিকে কী বলে ?
উত্তরঃ-   স্ক্রাবার ।

২১. জীবাণু দ্বারা বর্জ্যের বিয়োজন পদ্ধতিকে কী বলে ?
উত্তরঃ-   কম্পোস্টিং ।

২২. বর্জ্য জল শোধনের পদ্ধতিকে কী বলে ?
উত্তরঃ-   নিষ্কাশন ।

২৩. বাতিল মোবাইল ফোন কী ধরনের বর্জ্য?
বৈদ্যুতিন বর্জ্য।

২৪. কম্পোস্ট সারে কোন্ কোন্ উপাদান বেশি থাকে?
উত্তরঃ-  নাইট্রোজেন ও ফসফেট।

২৫. কঠিন বর্জ্য থেকে কী ধরনের রোগ হতে পারে?
উত্তরঃ-  কৃমিজাতীয় রোগ, আমাশয় প্রভৃতি।

২৬. গোবর গ্যাস কী কাজে লাগে?
উত্তরঃ-  রান্নার কাজে।

২৭. মাটিতে পুঁতে বর্জ্য অপসারণ পদ্ধতিকে কী বলে ?
উত্তরঃ-   জমি ভরাটকরণ ( Land Filling ) |

২৮. দুটি কৃষিবর্জ্যের উদাহরণ দাও ।
উত্তরঃ-   পেস্টিসাইড ; কীটনাশক দ্রব্য ।

২৯. গৃহস্থালিতে ব্যবহৃত দুটি কঠিন বর্জ্যের উদাহরণ দাও ।
উত্তরঃ-   কোল্ড ড্রিংকসের বোতল ; দুধের প্লাস্টিক প্যাকেট ।

৩০. গোবর গ্যাসের মূল উপাদান কী?
উত্তরঃ-  40 ভাগ কার্বন ডাইঅক্সাইড এবং 60 ভাগ মিথেন।

৩১. মানুষ বা গবাদিপশুর মল থেকে যে গ্যাস তৈরি করা হয় তাকে কী বলে?
উত্তরঃ-  বায়োগ্যাস।

৩২. বর্জ্য থেকে তাপ উৎপাদনে একটি অক্সিজেনবিহীন দহনের প্রক্রিয়ার নাম করো।
উত্তরঃ-  পাইরোলিসিস।

৩৩. কলকাতা পৌর নিগমের আবর্জনায় বেশির ভাগ কোন্ বর্জ্য থাকে?
উত্তরঃ-  মাটি বা ছাই।

৩৪. গৃহস্থালিতে ব্যবহৃত দুটি তরল বর্জ্যের উদাহরণ দাও ।
উত্তরঃ-   সাবান কাচা জল , তরকারির জলীয় অবশিষ্টাংশ বা উচ্ছৃষ্ট , অংশ ।

৩৫. বর্জ্য ‘ পুনর্নবীকরণ ’ বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত হচ্ছে , উদাহরণ দাও ।
উত্তরঃ-   আখের ছিবড়া থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ।

৩৬. বর্জ্যের পরিমাণ কমানোর পদ্ধতিকে কী বলে ?
উত্তরঃ-   Reduce .

৩৭. বর্জ্যের আবার ব্যবহারযোগ্য হওয়ার পদ্ধতিকে কী বলে ?
উত্তরঃ-   Reuse .

৩৮. একটি পুনঃচক্রীকৃত বর্জ্যের নাম করো।
উত্তরঃ-  কাচ।

৩৯. বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রথম লক্ষ কী?
উত্তরঃ-  বর্জ্যের পরিমাণগত হ্রাস।

৪০. কয়লা থেকে নির্গত হয় এমন একটি তেজস্ক্রিয় বর্জ্যের নাম করো।
উত্তরঃ-  ইউরেনিয়াম।

৪১. টিটেনাস রোগটি কোন্ ধরনের বর্জ্য থেকে হতে পারে?
উত্তরঃ-  কঠিন বর্জ্য থেকে।

৪২. বর্জ্যের মধ্যে যেগুলি জীবাণু দ্বারা বিয়োজিত হয় তাকে কোন ধরনের বর্জ্য বলে ?
উত্তরঃ-   Biodigradable বা জৈব ভঙ্গুর বর্জ্য ।

৪৩. তেজস্ক্রিয় বর্জ্য কোন্ শিল্প থেকে মূলত নির্গত হয় ?
উত্তরঃ-   পারমাণবিক শিল্প ।

৪৪. রাসায়নিক শিল্প থেকে নির্গত বর্জ্যের উল্লেখ করো ।
উত্তরঃ-   রং , অ্যাসিড , তেল ।

৪৫. ভারতে শহরে প্রতিদিন কত পরিমাণ বর্জ্য সৃষ্টি হয় ?
উত্তরঃ-   ৫০০ গ্রাম / জন ।

৪৬. তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ছাই রাস্তা নির্মাণে ব্যবহৃত হয়, এটি কী ধরনের ব্যবস্থাপনা?
উত্তরঃ-  পুনর্নবীকরণ।

৪৭. কোন ধরনের বর্জ্যের কারণে আমাদের জলনির্গম প্রণালী বিঘ্নিত হয়?
উত্তরঃ-  কঠিন বর্জ্য।

৪৮. ভারতে গ্রামে প্রতিদিন কত পরিমাণ বর্জ্য সৃষ্টি হয় ?
উত্তরঃ-   ৩০০ গ্রাম / জন ।

৪৯. তৈলশোধনাগার থেকে অসম্পূর্ণ দহনের ফলে উদ্ভূত কণাকে কী বলে ?
উত্তরঃ-   পেট্রোকোক ।

৫০. কয়লা দহনে সৃষ্ট সূক্ষ্ম আণুবীক্ষণিক ভস্মকে কী বলে ?
উত্তরঃ-   ফ্লাই অ্যাশ । 

৫১. বর্জ্য (Waste) কাকে বলে?
 উত্তর : ব্যবহারের অযোগ্য, পরিত্যক্ত, কঠিন-তরল-গ্যাসীয় অবস্থায় প্রকৃতিতে পড়ে থাকা বস্তু যা পরিবেশদূষণের অন্যতম কারণ তাকে বলে বর্জ্য। যেমন- ভাঙা প্লাস্টিক, ছেঁড়া কাগজ, নোংরা জল ইত্যাদি। 

৫২. পদার্থের বস্তুগত অবস্থা অনুসারে বর্জ্য ক-প্রকার ও কী কী? 
উত্তর : পদার্থের বস্তুগত অবস্থার ভিত্তিতে বর্জ্য তিন প্রকার যথা—কঠিন, তরল ও গ্যাসীয় বর্জ্য। 

৫৩. কঠিন বর্জ্য (Solid waste) কাকে বলে ?
 উত্তর : যে কঠিন বস্তু অব্যবহৃত অবস্থায় পরিবেশের অবনমন বা দূষণ ঘটাতে সাহায্য করে, তাকে বলে কঠিন বর্জ্য। যেমন- খাবারের অবশিষ্ট অংশ, গৃহস্থালির জঞ্জাল, প্লাস্টিক, পেপার, ভাঙা কাচের বোতল, চট, সিরিঞ্জ, ইলেকট্রনিকস দ্রব্য ইত্যাদি।

৫৪. একটি জৈব ভঙ্গুর বর্জ্যের নাম করো।
উত্তরঃ-  ডাবের খোলা।

৫৫. কঠিন বর্জ্য নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি কোনটি?
উত্তরঃ-  ভরাটকরণ বা স্যানিটারি ল্যান্ডফিল।

৫৬. কঠিন বর্জ্য পোড়ানো উচিত নয় কেন?
 উত্তর : কঠিন বর্জ্য পোড়ালে তা থেকে যে গ্যাসটি (যেমন—সালফার ডাইঅক্সাইড, হাইড্রোজেন ফ্লুরাইড, কার্ব মনোক্সাইড) নির্গত হয়, তা পরিবেশদূষণ ঘটায়। তাই কঠিন বর্জ্যারে অবৈজ্ঞানিকভাবে পোড়ানো উচিত নয়। জেনে রাখো ভস্মীভূতকরণ (Incineration) : কঠিন বর্জ্য পদার্থকে আবর্জনা পোড়ানোর চুল্লিতে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে অতি উচ্চচাপে পোড়াবার পদ্ধতিকে ভস্মীভূতকরণ বলা হয়। পুড়ে যাবার পরে যে ছাই, কাচ ও অন্যান্য ধাতু অদাহ্যবস্তুরূপে পড়ে থাকে তা সংগ্রহ করে পুনর্ব্যবহার করা হয়।

৫৭. তরল বর্জ্য (Liquid Waste) কাকে বলে? [ পর্ষদ নমুনা ১৭ 
উত্তর : প্রকৃতিতে দূষণ সৃষ্টিকারী তরল অব্যবহৃত যৌগ যখ অপরিশোধিত অবস্থায় পরিবেশের ক্ষতি করে, তখন তাকে তরু বর্জ্য বলে। যেমন— গৃহস্থালি, কলকারখানার ব্যবহৃত দূষিত জল = কাপড় কাচা, বাসন মাজার দূষিত জল ইত্যাদি।

৫৮. গৃহস্থালির কঠিন বর্জ্যের কয়েকটি উদাহরণ দাও।
 উত্তর : গৃহস্থালির কঠিন বর্জ্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল আনাজের খোসা, ভাঙা খেলনা, প্লাস্টিক মগ, ধাতুর ভাঙা অংশ ছেঁড়া কাপড়, পুরোনো কাগজ, প্লাস্টিক প্যাকেট ইত্যাদি।

৫৯. কম্পোস্টিং পদ্ধতিতে কী ধরনের ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করা হয়?
উত্তরঃ-  অ্যারোবিক ব্যাকটেরিয়া।

৬০. বর্জ্য কখন সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হয়?
উত্তরঃ-  যখন তা ব্যবহার্য হয়।

 ৬১. গৃহস্থালির তরল বর্জ্যোর উদাহরণ দাও।
উত্তর : বাথরুমে ব্যবহৃত ডিটারজেন্ট, শ্যাম্পু, ব্রিডিং ww.ive মিউরিটিক পাউডার, অ্যাসিড, ফিনাইল মিশ্রিত জল রান্নাঘরের মশলা, তেল মিশ্রিত তরল, রাজার উচ্ছিষ্টাংশ ইত্যাদি। 

৬২. জলকে কীভাবে জীবাণুমুক্ত করা হয়?
উত্তর : বিভিন্ন প্রকার জীবাণুনাশক পদ্ধতির মাধ্যমে বর্জ্য। জলকে জীবাণুমুক্ত করা হয়। যেমন—অতিবেগুনি রশ্মির ব্যবহার, জলে ক্লোরিনের ব্যবহার, জল ফুটিয়ে খাওয়া ইত্যাদির মাধ্যমে জল শুদ্ধ করা হয়।

৬৩. গ্যাসীয় বর্জ্য (Gaseous Waste) কাকে বলে?
উত্তর :বাতাসে ভাসমান লৰণকণা, বায়ুকণা, ধুলোকণা, যখন পরিবেশের ক্ষতিসাধন করে, তাকে বলে গ্যাসীয় বর্জ্য। যেমন—কলকারখানা এবং ইটভাটা থেকে নির্গত ধোঁয়া, যানবাহনের ধোঁয়া, গৃহস্থালি থেকে নির্গত কার্বন মনোক্সাইড ও কার্বন ডাইঅক্সাইড, মিথেন, অ্যামোনিয়া ইত্যাদি। 

৬৪. কাগজ তৈরিতে কাঠের বদলে সবচেয়ে ভালো বিকল্প কোনটি?
উত্তরঃ-  আখের ছিবড়ে।

৬৫. ল্যান্ডফিলে জৈব পদার্থের পচন সম্পূর্ণ হতে কত সময় লাগে?
উত্তরঃ-  4-6 মাস।

৬৬. বিপজ্জনক বর্জ্য পদার্থের সর্বপ্রধান উৎস কী?
উত্তরঃ-  শিল্পকারখানা।

৬৭. বিষাক্ত বর্জ্য (Toxic Waste) বলতে কী বোঝ?
উত্তর : নানা ধরনের বর্জ্য পদার্থ, যা থেকে বিভিন্ন ধরনের বিষক্রিয়তার উদ্ভব হয় এবং যেগুলি একেবারেই পরিবেশবান্ধব নয়, সেগুলিকে বলা হয় বিষাক্ত বর্জ্য পদার্থ। যেমন- শিল্পজাত নানান প্রকার তেজস্ক্রিয় পদার্থ (ইউরেনিয়াম, থোরিয়াম প্রভৃতি) এবং কিছু রাসায়নিক তরল পদার্থ, যা বিষক্রিয়া ঘটাতে পারে। 

৬৮. বিষহীন বর্জ্য (Non-toxic Waste) বলতে কী বোঝ? 
উত্তর : যেসব বর্জ্য পদার্থগুলির বিষক্রিয়াতা নেই, যেগুলি পরিবেশের কোনো প্রকার ক্ষতিসাধন করে না, তাদের বিষহীন বর্জ্য পদার্থ বলে। এই বিষহীন বর্জ্য পদার্থগুলি সাধারণত Biodegradable বা জৈবিকভাবে বিয়োজিত হয়। যেমন—বাজারের বর্জ্য পদার্থ, কলকারখানার বর্জ্য প্রভৃতি।

৬৯. "E-বর্জ্য' বা বৈদ্যুতিন বর্জ্য (Electronic waste) কাকে বলে?
উত্তর : বর্তমানে বিশ্বে নানান ইলেকট্রনিকস দ্রব্য ব্যবহৃত হয়। এই দ্রব্যগুলির অবহৃত বাতিল অংশের মধ্যে পরিবেশ দূষণকারী পদার্থ থাকে। বর্জাকে EE waste বলে। যেমন- সার্কিট বোর্ড, টিভি বা কম্পিউটার মনিটর, কম্পিউটারের ব্যাটারি ইত্যাদি।

৭০. জীব বিশেষ (Biodegradable Wante ) কাকে বলে?
উত্তর : যে বর্জ্য পদার্থ পরিবেশের কোনো ক্ষতি করে না, ব্যবহারের পরবর্তী বাতিল অংশ, পরিবেশে উপস্থিত বিভিন্ন জীবাণু বা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা বিয়োজিত হয়ে পুনরায় পরিবেশে মিশে যায়, তাকে জীব বিশ্লেষ্য বর্জ্য বা Biodegradable waste বলে। যেমন- সবজি, তার বিশ্লেষ্য বলা পাতা, ফল, ফুল ইত্যাদি জৈব বর্জ্য হল এর উদাহরণ। 

৭১. তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বর্জ্য পদার্থ কোন্ কাজে লাগে?
উত্তরঃ-  ইট, সিমেন্ট প্রভৃতি তৈরি করতে।

৭২. ভারতে বিপজ্জনক বর্জ্য আইনটি কবে প্রচলিত হয়?
উত্তরঃ-  1989 সালে।

৭৩. জীব অজ্ঞ বর্জ্য (Non-biodegradable Waste) কী? 
উত্তর : যেসব বার্তা পরিবেশে পুনরায় মিশে যেতে পারে পরিবেশের ওপর একই অবস্থায় পড়ে থেকে দূষণ সৃষ্টি করে, তাকে Non-biodegradable বা জীব-অবিশ্লেষ্য । যেমন- প্লাস্টিক, পলিথিন, তীর অবিশ্লেষ্য বঙ্গা | বিভিন্ন শিল্পজাত বর্জ্য। ইত্যাদি। E|

৭৪. জৈব বর্জ্য (Biological Waste) কাকে বলে? 
উত্তর : উদ্ভিদ ও প্রাণীদেহের অংশবিশেষ বা দেহাবশেষকে মূলত জৈব বর্জ্য বলা হয়। যেমন- মৃত পশু-পাখির দেহ, ফুল-ফল-শাকসবজি ইত্যাদি হল জৈব বর্জ্য। এইগুলি পচনশীল বলে সহজেই পরিবেশে মিশে যায়।

৭৫. Hazardous Waste কাকে বলে?
 উত্তর : বিষাক্ত ধাতুজ বর্জ্য, যেমন- সিসা, পারদ, ক্যাডমিয়াম, আর্সেনিক, অ্যাসবেস্টস, ডায়ক্সিন জাতীয় দ্রব্য পরিবেশে বিষক্রিয়া সৃষ্টি করে মানবদেহে রোগ সৃষ্টি করে, একে বলে Hazardous Waste E 

৭৬. বর্জ্য পদার্থের নিয়ন্ত্রিত দহনকে কী বলে?
উত্তরঃ-  ইনসিনারেশন (Incineration)।

৭৭. একটি পারদঘটিত বর্জ্যের নাম করো।
উত্তরঃ-  ভগ্ন থার্মোমিটার।

৭৮. কঠিন বর্জ্য পদার্থের সবথেকে বড়ো উৎস কোনটি?
উত্তরঃ-  ইমারতি দ্রব্য।

৭৯. ব্যবস্থাপনা (Waste Management) কাকে | 
উত্তর : বর্জ্য পদার্থগুলিকে সম্পূর্ণরূপে নিঃশেষ করে দেওয়া বা পুনর্ব্যবহারের যোগ্য করে তোলার ব্যবস্থাকেই বিজ্ঞানের ভাষায় गा স্থাপনা। 

৮০. BOD কি।
উত্তর : BOD-র পুরো কথা হল Biological Oxygen Demand मী বা জলাশয়ের জলে নির্দিষ্ট পরিমাণে অক্সিজেন উপস্থিত থাকে যা জীবের বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য আবশ্যক। প্রতি একক আয়তনের জৈব জারণের ফলে অণুজীবদের যে পরিমাণ অক্সিজেন দরকার হয়, তাকে বলে BOD।

৮১. ইউটিফিকেশন কী? 
উত্তর : জলাশয়ের পুষ্টি মৌল বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে বলে ইউটিফিকেশন। জলাশয়ে জলদূষণের (কাপড় কাচা, ডিটারজেন্ট, রাসায়নিক সার) ফলে জলের নাইট্রেট ও ফসফেটের পরিমাণ বাড়ে। পুষ্টি মৌলের প্রাচুর্যে জলে ভাসমান কচুরিপানা, শৈবাল, অ্যালগি জাতীয় প্রাণীর পরিমাণ বাড়ে। ফলে জলের নীচে প্রাণীদের বৃদ্ধি। ও বিকাশ ব্যাহত হয়, একে বলে ইউটিফিকেশন।

৮২. Take back policy কাকে বলে? 
উত্তর : যেসব ব্যবহার্য দ্রব্যের পুনর্বিয়োজন সম্ভব নয় অর্থাৎ যেগুলি প্রকৃতিতে মিশে যায় না, সেগুলি যথাসম্ভব ব্যবহার না করা উচিত অথবা ব্যবহার কমানোর প্রবণতা তৈরি করা আবশ্যক। তা সত্ত্বেও যেগুলি একান্তই ব্যবহার করতে হচ্ছে যেমন ইলেকট্রনিকস দ্রব্য, কম্পিউটার, সেলফোন প্রভৃতি; সেগুলি ব্যবহারের পর অকেজো হলে পুনরায় প্রস্তুতকারক কোম্পানিকে তা ফিরিয়ে নিতে হবে। এই পদ্ধতির নাম Take Back Policy | 

৮৩. নিষ্কাশন (Drainage) কাকে বলে? 
উত্তর : পয়ঃপ্রণালী, নর্দমা, শহরের আবর্জনা পাইপলাইন পথে দূরবর্তী স্থানে নিয়ে যাওয়ার পর তার থেকে বিষাক্ত রাসায়নিক মুক্ত করে বিশুদ্ধ করার পদ্ধতিকে বলে নিষ্কাশন। এই পদ্ধতিতে ভারতবর্ষের বিভিন্ন স্থানে তরল বর্জ্যের ব্যবস্থাপনা করা হচ্ছে। 

৮৪. উন্মুক্ত বর্জ্য (Open Dumping) বলতে কী বোঝ? 
উত্তর : সাধারণত শহরে নীচু খোলা জমিতে বর্জ্য উন্মুক্তভাবে ফেলে রাখা থাকলে, তাকে উন্মুক্ত বর্জ্যা বলে।

৮৫. লিচেট (Leachate) বলতে কী বোঝ ?
 উত্তর : বৃষ্টির যে জল ল্যান্ডফিলের বর্জ্য পদার্থ ধুয়ে নিয়ে জলাশয়ে বা ভৌমজলে মেশে, সেই বর্জ্য পদার্থ ধোয়া জলকে লিচেট বলে। 

৮৬. আখের ছিবড়ে বা ব্যাগাসে (Bagasse) কী ? 
উত্তর : চিনি শিল্পে ব্যবহৃত অবশিষ্ট আখের ছিবড়ে ও অন্যান্য বর্জাকে ব্যাগাসে বলে।

৮৭. Waste Exchange বলতে কী বোঝ? 
উত্তর : অনেক সময় পদার্থ বা বস্তু ব্যবহার করে পুনরায় অবিকল অবিকৃত অবস্থায় পরিবেশে ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব। পদার্থ বা বস্তুর পুনর্ব্যবহারের এই পদ্ধতিকে বলে Waste Exchange | যেমন- পুরোনো কাগজ থেকে নতুন কাগজ প্রস্তুত করা। 

৮৮. NPK কী? 
উত্তর : NPK-র পুরো নাম নাইট্রোজেন, ফসফেট, পটাশিয়াম। এগুলি উদ্ভিদের পুষ্টিমৌল, উদ্ভিদ বৃদ্ধির সহায়ক উপাদান। এই উপাদানগুলি না-থাকলে উদ্ভিদের পাতায় ক্লোরোসিস রোগ হয় অর্থাৎ গাছের পাতা হলুদ হয়ে যায়। 

৮৯. গৃহস্থলীর বর্জ্য এর উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ-  বাড়ির প্রতিদিনের কাজে উৎপন্ন বর্জ্য যেমন শাকসবজি, ফলমূল, মাছ-মাংসের উচ্ছিষ্ট, শুকনো ফল, পাতা প্রভৃতি পচনশীলবস্তু, ভাঙা বা অব্যবহৃত বোতল, শিশি, প্লাস্টিক, ছেঁড়া জামাকাপড়, ইলেট্রনিক্স দ্রব্যসামগ্রী ইত্যাদি।

৯০. হাড়ের ক্যানসার এ কি তেজস্ক্রিয় পদার্থ ব্যাবহার করা হয়?
উত্তরঃ-   sr-89

৯১. বর্জ্য পদার্থের ফলে উদ্ভিদের দেহে কোন রোগ সৃষ্টি হচ্ছে?
উত্তরঃ-   ক্লোরোসিস ,নেক্রসিস।

৯২. পুনর্নবীকরণ কাকে বলে?
উত্তরঃ-  যে পদার্থ ব্যবহারের অনুপযুক্ত তাকে পুনরায় ব্যবহার উপযোগী করে তোলা বা আবার কাজে লাগানোর বন্দোবস্ত করাকে পুনর্নবীকরণ (Recycling) বলে।

৯৩. ভরাটকরন কাকে বলে?
উত্তরঃ-  কঠিন বর্জ্য পদার্থগুলি ফেলার জন্য পরিকল্পিত যে স্থান নির্বাচন করা হয় তাকে ভরাটকরণ বলে।

৯৪. তেজস্ক্রিয় বর্জ্য (Nuclear waste) বলতে কী বোঝ? 
উত্তর : পারমাণবিক চুল্লি, পারমাণবিক শক্তি উৎপাদন কেন্দ্র, পারমাণবিক গবেষণাগার থেকে নির্গত বর্জ্য পদার্থকে তেজস্ক্রিয় বর্জ্য বলে। যেমন—ইউরেনিয়াম-235, 238, থোরিয়াম-230, কার্বন-14 ইত্যাদি। 

৯৫. ভার্মি কম্পোস্টিং (Vermicomposting) বলতে কী বোঝ? 
উত্তর কেঁচোর জীবনযাত্রার স্বাভাবিক মাধ্যমে জৈব বর্জ্যের বিয়োজন ঘটে হিউমাসে পরিণত হওয়ার পদ্ধতিকে ভার্মি কম্পোস্টিং বলে। ভার্মি কম্পোস্টিং

৯৬. বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ভরাটকরণ বলতে কী বোঝ? 
উত্তর : ফাঁকা জমি বা জমিতে গর্ত খুঁড়ে বর্জ্য পদার্থ ভরাধ করাকে বর্জ্য ভরাটকরণ বলে। এতে বর্জ্য পদার্থ ধীরে ধীরে বিশ্লেষিত হয়ে মাটির সঙ্গে মিশে যায়। 

৯৭. বর্জ্যের পুনর্ব্যাবহার কাকে বলে? 
উত্তর : কিছু কিছু বর্জ্য পদার্থ আছে যেগুলি পুনরায় ব্যবহার করা যায়, তাকে বর্জ্যের পুনর্ব্যবহার বলে। যেমন- খবরের কাগজ, পুরোনে * শিশি, বোতল ইত্যাদি। এতে অর্থের সাশ্রয় হয় এবং সম্পদ বাঁচে।

৯৮. কঠিন বর্জ্য এর চারটি উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ-   ইট, কাঁচ, ডিমের খোসা, লোহা।

৯৯. CO2 কি প্রকার বর্জ্য?
উত্তরঃ-   গ্যাসীয়

১০০. বিষহীন বর্জ্য কাকে বলে?
উত্তরঃ-   জীব বিশ্লেষ্য বর্জ্য পদার্থ উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করলে প্রাকিতিক নিয়মেই সাধারণত নিবিষ পদার্থে রূপান্তরিত হয়ে যায়। মূলত উদ্ভিদ ও প্রাণীজাত বর্জ্য পদার্থ জীব বিশ্লেষ্য (Biodegradable) ও বিষহীন বর্জ্য।

১০১. জৈব বর্জ্য পদার্থের পচন ক্রিয়া সম্পূর্ণ হতে কত সময় লাগে?
উত্তরঃ-   4-6 মাস

১০২. কম্পোস্টিং কাকে বলে?
উত্তরঃ-   ভরাট করন পদ্ধতিতে জৈব বর্জ্য পদার্থকে ব্যাকটেরিয়া দ্বারা পচন ঘটিয়ে হিউমাসে পরিণত করা হয়। একে কম্পোস্ট বা জৈব সার এবং পদ্ধতিকে কম্পোস্টিং বলা হয়।

১০৩. CFC এর পুরো নাম কি?
উত্তরঃ-   ক্লোরোফ্লোরো কার্বন

১০৪. জীব বিবর্ধন কাকে বলে?
উত্তরঃ-   জৈব ভঙ্গুর (Bio-degradable) জৈবিক প্রক্রিয়ায় বিশ্লিষ্ট হবার যোগ্য, জৈব অভঙ্গুর (Non-biodegradable) জৈবিক প্রক্রিয়ায় বিশ্লিষ্ট হয় না বা মাটিতে মিশে যায় না। খাদ্যশৃঙ্খলের উৎপাদক স্তর থেকে সর্বোচ্চ খাদক স্তরে বিভিন্ন ক্ষতিকারক পদার্থ সঞ্চারিত হয়। ফলে সর্বোচ্চ স্তরে এদের কেন্দ্রীভবনের পরিমাণ ক্রমশ বাড়তে থাকে। একে জীব বিবর্ধন বলে।

১০৫. CNG এর পুরোনাম কি?
উত্তরঃ-   কম্প্রেসড নাচেরাল গ্যাস

১০৬. কঠিন বর্জ্য ব্যাবস্থাপনা কোন কোন বিষয় এর উপর নির্ভরশীল?
উত্তরঃ-   কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা তিনটি বিষয়ের ওপর নির্ভরশীল—
(i) বর্জ্য সংগ্রহ, 
(ii) নিষ্পত্তিকরণ এবং 
(iii) সম্পদে পরিণত করা।

১০৭. স্ক্রাবার কি পরিশোধনে ব্যাবহার করা হয়?
উত্তরঃ-   বায়ু

জেনে রাখো 
● আবর্জনা (Garbage) : আমাদের প্রত্যেক দিন বাতিল। করে দেওয়া গৃহস্থালির ব্যবহৃত ও পরিত্যক্ত শাকসবজি ফল ইত্যাদির খোসা, উচ্ছিষ্ট অংশকেই আবর্জনা বলে। O জাল (Rubbish): সকল প্রকার দাহা কঠিন পদার্থ, যেমন— কাঠ কাগজ, কাচ, চামড়া, প্লাস্টিক ও বিভিন্ন প্রকার ধাতুকে জঞ্জাল বলে । 



দশম শ্রেণীর ভূগোল – বর্জ্য ব্যবস্থাপনা / Bajro Bebosthapona (চতুর্থ অধ্যায়)" সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর" । WBBSE Class 10th Geography 4th Chapter SAQ Questions and Answers 

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর | SAQ Questions and Answers (Class Ten geography first chapter)


১. পুনব্যাবহার কাকে বলে?

উত্তরঃ-   কোনো পরিবর্তন ছাড়াই বর্জ্য পদার্থের পুনরায় ব্যবহার করা হলে একে পুনর্ব্যবহার বলে। যেমন—
(i) কঠিন বর্জ্যসমূহ থেকে কাচকে পৃথক করা। এই পৃথকীকৃত কাচকে অ্যাসফাল্টের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যায়। 
(ii) তরকারির খোসা, গোবর, মল-মূত্র, পচা ডাল-পাতা ইত্যাদিকে গর্তের মধ্যে জমিয়ে মাটি চাপা দিয়ে রাখলে উঠকৃষ্ট জৈবসার সৃষ্টি হবে এবং কৃষিক্ষেত্রে পুনরায় ব্যবহার করা যাবে।

২. উত্তপ্ত সন্ধান প্রক্রিয়া সম্পর্কে লেখ।

উত্তরঃ-  
উত্তপ্ত সন্ধান প্রক্রিয়া (বেঙ্গালুরু পদ্ধতি) : এক্ষেত্রে মাটিতে 15-30 ফুট লম্বা, 5-8 ফুট চওড়া এবং 2-3 ফুট গভীর খাত কাটা হয়। এতে প্রথমে সমস্ত জৈব বর্জ্য পদার্থ বিছিয়ে কয়েকটি স্তর গঠন করা হয় এবং ওপরের স্তরে মাটির আস্তরণ থাকে। অবায়বীয় (anaerobic) ব্যাকটেরিয়ার দ্বারা এইসব বর্জ্যের সন্ধান প্রক্রিয়ার মাধ্যমে 2-3 সপ্তাহের মধ্যে কম্পোস্ট সার তৈরি হয়।

৩.  শিল্প বর্জ্যের নানা উৎস সমূহের উল্লেখ করো। 

উত্তর  :নগরাঞ্চলগুলিতে অবস্থিত কলকারখানাগুলি থেকে যে বিষাক্ত কালো ধোঁয়া, বিভিন্ন বিষাক্ত ধাতুকণা ও তরল পদার্থ নির্গত হয়, তাকেই শিল্প বর্জ্য বলে। * খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প : এই শিল্পে ফল, ফুল থেকে নির্যাস বের করার পর পড়ে থাকা অবশিষ্টাংশ। * শর্করা শিল্প আখ থেকে চিনির রস নিঃসরণের পর পড়ে থাকা আগের ছিড়া। + পাটশিল্প পাটের আঁশ বের করার পর পড়ে থাকা অবশিষ্টাংশ। * কাগজ শিল্প : কাষ্ঠমণ্ড, সেলুলোজ, কাগজের অবশিষ্টাংশ, শিল্পে শিল্প বর্জ্যা ব্যবহৃত রাসায়নিক উপাদানের অব্যবহৃত অংশ প্রভৃতি। * বয়ন শিল্প ব্লিচিং পাউডার, রঙের অবশিষ্টাংশ, তুলো, সুতো, কাপড়ের ছটি অংশ। * ধাতব শিল্প অ্যালুমিনিয়াম, ইস্পাত শিল্পের ছাঁট, খনিজ, রাসায়নিক শিল্পের ক্ষতিকারক রাসায়নিক দ্রব্য, অ্যাসিড, রং, তেল ইত্যাদি। + ইলেকট্রনিক শিল্প যন্ত্রাংশের অংশ, তামার তার, সিসা, অ্যালুমিনিয়ামের অংশবিশেষ। + সিমেন্ট শিল্প চুনাপাথরের অবশিষ্টাংশ, বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত কয়লা, খনিজ তেল, পারমাণবিক উপাদানের অংশ।

৪. তরল বর্জ্যা কীভাবে সৃষ্টি হয়? 

উত্তর : যেসব বর্জ্য তরল আকারে থাকে, তাকে তরল বর্জ্য বলে। 

তরল বর্জ্য সৃষ্টির বিভিন্ন প্রক্রিয়া হল- 

(i) গৃহস্থালির তরল বর্জ্য। বাথরুমে ব্যবহৃত ডিটারজেন্ট, শ্যাম্পু, ব্লিচিং পাউডার, অক্সালিক অ্যাসিড, মিউরিটিক অ্যাসিড, ফিনাইল মিশ্রিত জল, রান্নাঘরে মশলা, তেল মিশ্রিত তরল, রান্নার উচ্ছিষ্টাংশ ইত্যাদি।

(ii) কলকারখানার তরল বর্জ্য কলকারখানা থেকে নির্গত গরম জল, তৈলাক্ত জল, কারখানা ধোয়ার জল ইত্যাদি। 

(iii) কৃষিক্ষেত্রের তরল বর্জ্য কৃষিতে ব্যবহৃত সার, কীটনাশক ওষুধ জলের সাথে ধুয়ে এসে নদীতে মেশে। এগুলি কৃষিজ তরল বর্জ্যের উদাহরণ। 

৫. চিকিৎসা সংক্রান্ত বর্ষা কীভাবে সৃষ্টি হয়। 

উত্তর : হাসপাতাল, নার্সিংহোম বা বিভিন্ন প্যাথোলজিক্যাল ল্যাবরেটরি থেকে যে বর্জা নির্গত হয়, তাকে চিকিৎসা সংক্রান্ত বজ্রো বলে । চিকিৎসাক্ষেরে ব্যবহৃত চ, সিরিঞ্জ, ছুরি, কাঁচি, ব্রেড, স্যাল বোতল, তুলো, ব্যান্ডেজ, মানব অশো ব্যবচ্ছিন্ন অংশ, চিকিৎসায় ব্যবহৃত বিভিন্ন ওষুধ, ওষুধের প্যাকেট, প্যাথোলজি মল, মূত্র ইত্যাদি হল চিকিৎসা সংক্রান্ত বর্জ্যের উদাহরণ। 

৬. গাসীয় বর্জ্যের উৎসগুলি কী কী? | 

উত্তর বাতাসে ভাসমান অবगকণা, বায়ুকণা, ধুলোর যখন পরিবেশে ক্ষতিসাধন করে, তাকে বলে গ্যাসায় ব | কলকারখানা, যানবাহন থেকে নির্গত কার্বন ডাইঅক্সাইড, মিথে ক্লোরোফ্লুরোকার্বন, নাইট্রোজেন অক্সাইড, সালফার অক্সাইড, কা মনোক্সাইড ইত্যাদি হল গ্যাসীয় বর্জ্যের উদাহরণ।

৭. পরিবেশের ওপর বর্জ্যের প্রভাব আলোচনা করে 

উত্তর।  (ক) বায়ু দূষণ (Air pollution) :বর্জ্য পদার্থগুলি পরিবেশের বিভিন্ন স্থানে জমিয়ে রাখার ফলে তা থেকে যে | দুর্গন্ধ নির্গত হয় তা পারিপার্শ্বিক পরিবেশ তথা সমগ্র বায়ুমণ্ড বায়ুদূষণ ঘটায় এবং এটি মানুষ তথা যে-কোনো প্রাণীর ক্ষে ফুসফুস ও অন্যান্য অঙ্গো পৌঁছে শ্বাসরোধ, বমি ইত্যাদি সমস্যা সৃষ্টি করে। 

(খ) ও মৃত্তিকা (Water & soil pollution কৃষিজ জমিতে ব্যবহৃত রাসায়নিক সার অথবা কীটনাশক পয়ঃপ্রণালী নির্গত তরল বর্জ্যগুলি বৃষ্টি বা জলসেচের জল দ্বারা গিয়ে পার্শ্ববর্তী কোনো নদীতে মিশে সেখানকার স্বাভাবিক জ বাস্তুতন্ত্রকে ব্যাহত করে। এ ছাড়া মাটির উর্বরাশক্তির পক্ষেও যথেষ্ট ক্ষতিকারক। অতিরিক্ত সার ও কীটনাশকের ব্যবহার মাটি আম্লিক করে দেয়। 

(গ) রাসায়নিক বিক্রিয়া (Chemical reaction) : বিভিন্ন তেজ পদার্থ, যেগুলি কোনোভাবেই মাটির সাথে মেশে না, সেইসব আ পদার্থগুলি ক্রমাগত যেখানে সেখানে সজ্জিত হয়ে জল নিন | ব্যবস্থাকে ব্যাহত করছে। এগুলি মাটির সঙ্গে রাসায়নিক বি ঘটিয়ে এমন কিছু ক্ষতিকর যৌগের সৃষ্টি করে, যা মানবসভা সমূহ ক্ষতি করতে পারে। (খ) বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্যহীনতা (Imbalanced ecosyste এই বর্জ্য পদার্থের সময় এবং তার পরিমাণ পরিবেশে বেড়েই চলে ফলে পুকুর, বনভূমি, তৃণভূমি প্রভৃতি বিভিন্ন স্থানের বাস্তুতঃ দিনের পর দিন তাদের ভারসাম্য হারাচ্ছে এবং বিঘ্নিত হচ্ছে 

(ঙ) জীববৈচিত্র্য হ্রাস (Decrease in biodiversity) : পা বিভিন্ন বাস্তুতন্ত্রগুলি উক্ত নানান পরিবেশদূষণের কবলে পড়ে তা ভারসাম্য হারাচ্ছে। ফলে পরিবেশের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জীবগুলি লু যাচ্ছে এবং পরিবেশের জীববৈচিত্র্য হ্রাস পাচ্ছে। 

(চ) দৃশ্যদূষণ যেখানে সেখানে জমা ময়লা আবর্জনায় প্র সৌন্দর্য হারিয়ে যায়।

(ছ) জমি ও জলাভূমি ধ্বংস : বিভিন্ন প্রকার বর্জ্য কখনও জমিতে এবং কখনও জলাভূমিতে ফেলা হয়। ফলে জমি ও জলাভূমির ক্ষতি হয়। (জ) গন্ধদূষণ : বর্জ্যের পচন শুরু হলে চারপাশ দুর্গন্ধে ভরে যায় ও পরিবেশের ক্ষতি হয়। 

৮. তেজস্ক্রিয় বর্জ্য (Radioactive waste) বলতে কী বোঝ ?

উত্তর : তেজস্ক্রিয় বর্জ্য হল উচ্চ তেজস্ক্রিয় ক্ষমতাসম্পন্ন পদার্থগুলির অবশিষ্টাংশ বিশেষ। উত্তর তেজস্ক্রিয় পদার্থ ইউরেনিয়াম, থোরিয়াম, রেডিয়াম প্রভৃতি উপাদান শিলাস্তরে থাকে ; খনিগর্ভ থেকে ওই পদার্থ আহরণের সময় এই বর্জ্য সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া মহাজাগতিক বিকিরণ থেকেও তেজস্ক্রিয় পদার্থ উৎপন্ন হয়, এগুলিও এই বর্জ্যের অন্যতম উৎস। এ ছাড়া পারমাণবিক বোমা তৈরি; ও নিক্ষেপের সময়ও তেজস্ক্রিয় বর্জ্য উৎপন্ন হয়ে থাকে। বিভিন্ন শিল্পে যেমন বিদ্যুৎ শিল্পে পারমাণবিক জ্বালানি ব্যবহৃত হয়; এটিও বর্জ্যের অন্যতম উৎস। ঘড়ি বা যন্ত্র শিল্পের নানা কাজে রেডিয়াম ব্যবহৃত হয়। চিকিৎসাশাস্ত্রে ক্যানসার প্রতিরোধে কেমোথেরাপি দেওয়ার সময়ও তেজস্ক্রিয় বর্জ্য সৃষ্টি হয়। 

৯. বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণে 3R-এর ভূমিকা উল্লেখ করো। 

উত্তর : বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণের পদ্ধতি হল 3R অর্থাৎ Reduce. Reuse & Recycle-কে একত্রে বলে 3R।

(a) Reduce বা বর্জ্যের পরিমাণ হ্রাস :আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অদরকারি পদার্থ যত কমানো সম্ভব হবে, বর্জ্যের পরিমাণও তত কমবে। অর্থাৎ দ্রব্য ব্যবহারে আমাদের মিতব্যয়ী হতে হবে; অপ্রয়োজনীয় জিনিসই পরিবেশে বর্জ্যের পরিমাণ বাড়ায়।

 (b) Reuse বা পুনর্ব্যবহার : পরিবেশের কিছু কিছু উপাদান পুনর্ব্যবহারযোগ্য। যেমন- ধাতব বস্তু, কাগজ, যন্ত্রাংশ প্রভৃতি। এগুলি একবার ব্যবহারের পর পুনরায় ব্যবহার করা যায়। দ্রব্যের পুনর্ব্যবহার সম্পদের সঞ্জয় বাড়ায়, তাই অপুনর্ভব সম্পদগুলিকে সাশ্রয় করা ও পুনর্ব্যবহার খুব জরুরি।

(c) Recycle বা পুনর্নবীকরণ :পুনর্নবীকরণ 3R বলতে বোঝায় বিশেষ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কোনো ব্যবহৃত দ্রব্যকে পুনরায় ব্যবহারযোগ্য সম্পদে পরিণত করে পরিবেশে ফিরিয়ে দেওয়া। যেমন—কাচ, ধাতু, প্লাস্টিক, কাগজ, ছেঁড়া কাপড় থেকে পুনরায় অনুরূপ দ্রব্য উৎপাদন সম্ভব।

১০. বর্জ্য পদার্থের শ্রেণিবিভাগ করো ।

উত্তরঃ-   বর্জ্যের প্রকারভেদ ( Classification of waste ) : পরিবেশের বর্জ্য পদার্থগুলিকে বিভিন্ন ভিত্তির ওপর সাধারণত বিশেষ কয়েকটি ভাগে বিভক্ত করা যায় । 

( a ) পার্থিব বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী প্রকারভেদ : 

( i ) কঠিন ( Solid ) : পদার্থের বিভিন্ন প্রকার ভৌত অবস্থাগুলির মধ্যে কঠিন বর্জ্যের উপস্থিতি পরিবেশে সবচেয়ে বেশি লক্ষ করা হয় । যেমন : গৃহস্থালির জঞ্জাল , প্লাস্টিক , পেপার , পুরোনো অব্যবহার্য আসবাবপত্র , ভাঙা বোতল ও কাচের টুকরো , চট , খবরের কাগজ । এ ছাড়া বাজারের আনাজপাতি ও হাসপাতালের নানা অব্যবহার্য দ্রব্যাদি , যেমন সিরিজ , গজ কাপড় তুলো , রোগীর জামাকাপড় ইত্যাদি । এ ছাড়াও রয়েছে নানান শিল্পজাত বর্জ্য পদার্থ , যা সাধারণত কলকারখ নাগুলি থেকে উৎপন্ন হয় । 

( ii ) তরল ( Liquid ) তরল বর্জ্য পদার্থগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল নর্দমা ও নালাবাহিত গৃহস্থালির পয়ঃপ্রণালীজাত নানান তরল পদার্থ , কৃষিজমিতে কীটনাশক প্রয়োগের পরে জলসেচ দ্বারা বাহিত জল যা পার্শ্ববর্তী নদী ও জলাশয়ে মেশে । এ ছাড়াও রয়েছে নানান শিল্পজাত তরল বর্জ্য , নানান রাসায়নিক পদার্থ প্রভৃতি । 

( iii ) গ্যাসীয় ( Gaseous ) : কলকারখানা থেকে নির্গত নানান SPM ( সাসপেনডেড পারটিকুলেট ম্যাটার ) বিষাক্ত ধোঁয়া , ধুলোকণা , বিষাক্ত কণা , কার্বন মনোক্সাইড , বাতানুকূল যন্ত্র থেকে নির্গত CFC প্রভৃতি বিষাক্ত গ্যাস সমূহ এই প্রকার গ্যাসীয় বর্জ্য পদার্থের উদাহরণ । 

( b ) বিষক্রিয়তা অনুযায়ী প্রকারভেদ : বিষক্রিয়তার তারতম্য অনুযায়ী বর্জ্য পদার্থকে দু – ভাগে বিভক্ত করা যায়— 

( i ) বিষাক্ত ( Toxic ) : নানান ধরনের বর্জ্য পদার্থ , যা থেকে । বিভিন্ন ধরনের বিষক্রিয়তার উদ্ভব হয় এবং যেগুলি একেবারেই পরিবেশবান্ধব নয় , সেগুলিকে বলা হয় বিষাক্ত বর্জ্য পদার্থ । যেমন — শিল্পজাত নানান প্রকার তেজস্ক্রিয় পদার্থ ( ইউরেনিয়াম , থোরিয়াম প্রভৃতি ) এবং কিছু রাসায়নিক তরল পদার্থ , যা বিষক্রিয়া ঘটাতে পারে । 

( ii ) বিষহীন ( Non – toxic ) : যেসব বর্জ্য পদার্থগুলির বিষক্রিয়তা নেই , যেগুলি পরিবেশের কোনো প্রকার ক্ষতিসাধন করে না তাদের বিষহীন বর্জ্য পদার্থ বলে । এই বিষহীন বর্জ্য পদার্থগুলি সাধারণত Biodegradable বা জৈবিকভাবে বিয়োজিত হয় । 

যেমন — বাজারের বর্জ্য পদার্থ , কলকারখানার বর্জ্য প্রভৃতি ।

১১. বর্জ্য পদার্থের বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করো ।

উত্তরঃ-   বর্জ্য পদার্থের বৈশিষ্ট্যগুলি হল— 

1 ) উপাদান : বর্জ্য পদার্থ কঠিন , তরল , গ্যাসীয় তিন প্রকারেরই হতে পারে । 
 
(ii) প্রকৃতি : বর্জ্য পদার্থের কিছু অংশ জীবাণু দ্বারা বিয়োজিত হয় , কিছু অংশ অবিয়োজিত থাকে । 

(iii) দূষণ বর্জ্য উপাদানে পরিবেশের দূষণ সৃষ্টি হয় । ভারসাম্য নষ্ট হয় । 

(iv) পরিমাণ গ্রামের তুলনায় শহরে বর্জ্যের পরিমাণ বেশি থাকে । 

(v) বর্জ্য উৎসস্থল গৃহস্থালি , শিল্পাঞ্চল , কৃষিক্ষেত্র , চিকিৎসাকেন্দ্র , খনিজ আহরণ ও প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল , নির্মাণ ও উৎপাদক স্থান , ব্যাবসাকেন্দ্র , উৎপাদক স্থান ইত্যাদি হল বর্জ্যের উৎসস্থল ।

১২. কৃষিজ বর্জ্য কীভাবে সৃষ্টি হয় ?

উত্তরঃ-   চাষবাসের সময় যে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক জমিতে বা শস্যখেতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে , সেগুলির অবশিষ্টাংশ সাধারণত মাটিতে মিশে বৃষ্টির জলের সঙ্গে বা জলসেচের সঙ্গে ধুয়ে পার্শ্ববর্তী কোনো জলাশয় , পুকুর বা নদীতে গিয়ে মেশে । এগুলিই কৃষিজ তরল বর্জ্য । এ ছাড়াও যখন শস্যখেতে পোকা লেগে যায় বা খেতে ফসল নষ্ট হয়ে যায় তখন তা বিক্রির বা আহারের অযোগ্য হয়ে পড়ে এবং কৃষিজ বর্জ্য হিসেবে পরিগণিত SAPP হয় । কৃষির ফলন বাড়াতে রাসায়নিক সার , কীটনাশক , আগাছানাশক ওষুধ ব্যবহার করা হয় । 

  এগুলিতে নাইট্রেট , ফসফেট , পটাশ , অ্যামোনিয়া , ক্লোরাইড প্রভৃতি রাসায়নিক মৌল থাকে । এ ছাড়াও জৈব সার হিসেবে গবাদি পশুর বিষ্ঠা , গাছের পাতা , ডাল , কেঁচোর | কম্পোস্ট প্রভৃতি ব্যবহৃত হয় । যদিও এগুলি জৈব ভঙ্গুর অর্থাৎ নিজস্ব প্রক্রিয়ায় পুনরায় মাটিতে মিশে যায় তবুও সাময়িক সময়ের জন্য এগুলি পরিবেশের আবর্জনা । এ ছাড়া কৃষিফসল কেটে নেওয়ার পর পড়ে থাকা গাছের গোড়ার অংশে আগাছা বা ধান , গম – এর তুষ বা খোলস , পাট , তুলোর আঁশের বাতিল অংশ পরিবেশে বর্জ্য সৃষ্টি করে ।

১৩. কঠিন বর্জ্যের সৃষ্টির উৎসগুলি চিহ্নিত করো ।

উত্তরঃ-   কঠিন বর্জ্যের সৃষ্টির উৎসগুলি হল 

( i ) গৃহে ব্যবহৃত উপকরণ যেমন — পুরোনো কাগজ , বাতিল কাপড় , ভাঙা প্লাস্টিক ও কাচের অংশ । 

( ii ) শিল্প কারখানায় ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ , টায়ার , টিউবের বাতিল অংশ , সিমেন্ট , তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের আবর্জনার অংশবিশেষ । 

( iii ) কৃষিখেতে : জমিতে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশের অকেজো অংশ , ফসল তোলার পর পড়ে থাকা অবশিষ্টাংশ বা ধানের তুষ , আখের ছিবড়া , পাটের আঁশ বের করার পর পড়ে থাকা অংশবিশেষ । 

( iv ) খনি ও নির্মাণকার্যে খনিজ আহরণের পর খনিজের অবশিষ্টাংশ ; গৃহ বা অন্যান্য নির্মাণের পর পড়ে থাকা চুনসুরকি , লোহার ছাঁট , ইটের কুচি , বালির আবর্জনা , পাথরের টুকরো , কয়লা ব পোড়ানোর পর পড়ে থাকা ছাই ইত্যাদি ।

১৪. শিল্প বর্জ্যের নানা উৎস সমূহের উল্লেখ করো ।

উত্তরঃ-   শিল্পাঞ্চল তথা নগরাঞ্চলগুলিতে অবস্থিত কলকারখানাগুলি থেকে যে বিষাক্ত কালো ধোঁয়া , বিভিন্ন বিষাক্ত ধাতুকণা ও তরল পদার্থ নির্গত হয় , তাকেই শিল্প বর্জ্যা বলে । 

খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প এই শিল্পে ফল , ফুল থেকে নির্যাস বের করার পর পড়ে থাকা অবশিষ্টাংশ । 

শর্করা শিল্প : আখ থেকে চিনির রস নিঃসরণের পর পড়ে থাকা আখের ছিবড়া । 

পাটশিল্প : পাটের আঁশ বের করার পর পড়ে থাকা অবশিষ্টাংশ । 

কাগজ শিল্প কাষ্ঠমণ্ড , সেলুলোজ , কাগজের অবশিষ্টাংশ , শিল্পে ব্যবহৃত রাসায়নিক উপাদানের অব্যবহৃত অংশ প্রভৃতি । 

বয়ন শিল্প : ব্লিচিং পাউডার , রঙের অবশিষ্টাংশ , তুলো , সুতো , কাপড়ের ছাঁট অংশ । ধাতব শিল্প : অ্যালুমিনিয়াম , ইস্পাত শিল্পের ছাঁট , খনিজ , রাসায়নিক শিল্পের ক্ষতিকারক রাসায়নিক দ্রব্য , অ্যাসিড , রং , তেল ইত্যাদি । 

ইলেকট্রনিক শিল্প : যন্ত্রাংশের অংশ , তামার তার , সিসা , অ্যালুমিনিয়ামের অংশবিশেষ ।

সিমেন্ট শিল্প : চুনাপাথরের অবশিষ্টাংশ , বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত কয়লা , খনিজ তেল , পারমাণবিক উপাদানের অংশ ।

১৫. তরল বর্জ্য কীভাবে সৃষ্টি হয় ? 

উত্তরঃ-   যেসব বর্জ্য তরল আকারে থাকে , তাকে তরল বর্জ্য বলে । তরল বর্জ্য সৃষ্টির বিভিন্ন প্রক্রিয়া হল— 

(i) গৃহস্থালির তরল বর্জ্য বাথরুমে ব্যবহৃত ডিটারজেন্ট , শ্যাম্পু , ব্লিচিং পাউডার , অক্সালিক অ্যাসিড , মিউরিটিক অ্যাসিড , ফিনাইল মিশ্রিত জল , রান্নাঘরে মশলা , তেল মিশ্রিত তরল , রান্নার উচ্ছিষ্টাংশ ইত্যাদি ।

(ii) কলকারখানার তরল বর্জ্যা : কলকারখানা থেকে নির্গত গরম জল , তৈলাক্ত জল , কারখানা ধোয়ার জল ইত্যাদি । 

(iii) কৃষিক্ষেত্রের তরল বর্জ্যা : কৃষিতে ব্যবহৃত সার , কীটনাশক ওষুধ জলের সাথে ধুয়ে এসে নদীতে মেশে । এগুলি কৃষিজ তরল বর্জ্যের উদাহরণ ।

১৬. তেজস্ক্রিয় বর্জ্য ( Radioactive waste ) বলতে কী বোঝ ?

উত্তরঃ-   তেজস্ক্রিয় বর্জ্য হল উচ্চ তেজস্ক্রিয় ক্ষমতাসম্পন্ন পদার্থগুলির অবশিষ্টাংশ বিশেষ । PROINDE তেজস্ক্রিয় পদার্থ ইউরেনিয়াম , থোরিয়াম , রেডিয়াম প্রভৃতি উপাদান শিলাস্তরে থাকে ; খনিগর্ভ থেকে ওই পদার্থ আহরণের সময় এই বর্জ্য সৃষ্টি হয় । এ ছাড়া মহাজাগতিক বিকিরণ থেকেও তেজস্ক্রিয় পদার্থ উৎপন্ন হয় , এগুলিও এই বর্জ্যের অন্যতম উৎস । এ ছাড়া পারমাণবিক বোমা তৈরি ; ও নিক্ষেপের সময়ও তেজস্ক্রিয় বর্জ্য উৎপন্ন হয়ে থাকে । বিভিন্ন শিল্পে যেমন বিদ্যুৎ শিল্পে পারমাণবিক জ্বালানি ব্যবহৃত হয় ; এটিও বর্জ্যের অন্যতম উৎস । ঘড়ি বা যন্ত্র শিল্পের নানা কাজে রেডিয়াম ব্যবহৃত হয় । চিকিৎসাশাস্ত্রে ক্যানসার প্রতিরোধে কেমোথেরাপি দেওয়ার সময়ও তেজস্ক্রিয় বর্জ্য সৃষ্টি হয় । 

১৭. বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণে 3R- এর ভূমিকা উল্লেখ করো ।
উত্তরঃ-   বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণের পদ্ধতি হল 3R অর্থাৎ Reduce , Reuse & Recycle- কে একত্রে বলে 3R .

১৮. বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ( Waste Management ) কী ?

 অথবা , বর্জ্যের পুনর্নবীকরণ বলতে কী বোঝ ?

উত্তরঃ-   বর্জ্য পদার্থগুলিকে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে সম্পূর্ণ | নিঃশেষ করা অথবা পুনরায় ব্যবহারযোগ্য উপাদানে পরিণত করার নি ব্যবস্থা বা পদ্ধতিকে বলে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা । 

গুরুত্ব : বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পরিবেশকে দূষণমুক্ত করে , জনস্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখে । জৈব বৈচিত্র্য রক্ষা করে পরিবেশের বাস্তুতান্ত্রিক ভারসাম্য সুরক্ষিত রাখে । কর্মসূচী : বর্জ্য ব্যবস্থাপনা তিনটি কর্মসূচির মাধ্যমে বাস্তবায়িত করা হয় । 

যেমন— 
(১) বর্জ্যের পরিমাণগত হ্রাস 
(২) পুনর্ব্যবহার 
(৩) পুনর্নবীকরণ ; 
এই ত্রিমূখী কর্মসূচিকে সংক্ষেপে বলে 3R – Reduce ; Reuse , Recycling .

পদ্ধতি : কঠিন , তরল , গ্যাসীয় বর্জ্যের ব্যবস্থাপনা ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতিতে করা হয় । কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ধাপগুলি হল ( ক ) বর্জ্য পৃথকরণ ( খ ) বর্জ্য ভরাটকরণ ( গ ) কম্পোস্টিং তরল । 

( a ) Reduce বা বর্জ্যের পরিমাণ হ্রাস : আমাদের দৈনন্দিন ও জীবনের অদরকারি পদার্থ যত কমানো সম্ভব হবে , বর্জ্যের পরিমাণও তত কমবে । অর্থাৎ দ্রব্য ব্যবহারে আমাদের মিতব্যয়ী হতে হবে ; অপ্রয়োজনীয় জিনিসই পরিবেশে বর্জ্যের পরিমাণ বাড়ায় । 

( b ) Reuse বা পুনর্ব্যবহার : পরিবেশের কিছু কিছু উপাদান = পুনর্ব্যবহারযোগ্য । যেমন— ধাতব বস্তু , কাগজ , যন্ত্রাংশ প্রভৃতি । এগুলি একবার ব্যবহারের পর পুনরায় ব্যবহার করা যায় । দ্রব্যের পুনর্ব্যবহার সম্পদের সঞ্চয় বাড়ায় , তাই অপুনর্ভব সম্পদগুলিকে সাশ্রয় করা ও পুনর্ব্যবহার খুব জরুরি । 

( c ) Recycle পুনর্নবীকরণ : পুনর্নবীকরণ বোঝায় বিশেষ বা Reuse বলতে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কোনো ব্যবহৃত দ্রব্যকে পুনরায় ব্যবহারযোগ্য সম্পদে পরিণত করে পরিবেশে ফিরিয়ে দেওয়া । যেমন — কাচ , ধাতু , প্লাস্টিক , কাগজ , ছেঁড়া কাপড় থেকে পুনরায় অনুরূপ দ্রব্য উৎপাদন সম্ভব । বর্জ্য সাধারণত নিষ্কাশন পদ্ধতিতে ও গ্যাসীয় বর্জ্য স্ক্রাবার পদ্ধতিতে ব্যবস্থাপনা করা হয় ।

১৯. বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করো ।

উত্তরঃ-   বর্জ্য পরিবেশকে দূষিত করে বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য বিঘ্নিত করে ; বৃহত্তর অর্থে দেশের , সমাজের , জৈব বৈচিত্র্যের ক্ষতিসাধন করে । তাই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা একান্ত প্রয়োজন । যে যে কারণে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা দরকার সেগুলি হল 
(a) পরিবেশকে রক্ষা করা পরিবেশের অজৈব উপাদান জল , মাটি , বায়ু বর্জ্যের কারণে দূষিত হয় ; তাই পরিবেশকে দূষণমুক্ত করতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অত্যাবশ্যক । (b) বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য রক্ষায় পরিবেশের জীবজ উপাদানগুলি বর্জ্যের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় । রাসায়নিক বিষাক্ত বর্জ্য দেহে রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটায় , ক্ষতিকারক প্রাণীর সংখ্যা বৃদ্ধি করে , বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয় । তাই বাস্তুতন্ত্রকে বাঁচাতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আবশ্যক । 
(c) জৈব বৈচিত্র্য রক্ষা পৃথিবীতে বসবাসকারী উদ্ভিদ ও প্রাণীকুল নিয়ে যে জৈব বৈচিত্র্য গড়ে ওঠে তা বর্জ্যের কারণে বিনষ্ট হয় । জৈব বৈচিত্র্য বাঁচাতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন । 
(d) খাদ্যজালক ও খাদ্যশৃঙ্খলার ভারসাম্য বজায় রাখতে । পরিবেশের বিভিন্ন জীবজ ও অজীবজ উপাদনের পারস্পরিক মিথোস্ক্রিয়ায় সুনির্দিষ্ট খাদ্যজালক ও খাদ্যশৃঙ্খল গড়ে ওঠে । পরিবেশ জীবনের সুস্থতা বজায় রাখতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা জরুরি পদক্ষেপ ।

২০. ম্পোস্টিং ( Composting ) বলতে কী বোঝ ? 
উত্তরঃ-   জৈব ভঙ্গুর বর্জ্য পদার্থগুলি জীবাণুর দ্বারা বিয়োজিত হয়ে হিউমাসে পরিণত হলে , তাকে বলে কম্পোস্টিং । পদ্ধতি । বর্জ্য জীবাণুর দ্বারা বিয়োজিত হয়ে এই প্রক্রিয়ায় হিউমাসে পরিণত হয় । কম্পোস্টিং মূলত দু – প্রকার — 

( ক ) সবাত কম্পোস্টিং : বায়ুর উপস্থিতিতে জীবাণুর জৈব বিশ্লেষণ ঘটানোর পদ্ধতিকে বলে সবাত কম্পোস্টিং । 

( খ ) অরাত কম্পোস্টিং : বায়ুর প অনুপস্থিতিতে জীবাণুর জৈব বিশ্লেষণ ঘটানোর পদ্ধতির নাম অবাত কম্পোস্টিং । এর অপর নাম ব্যাঙ্গালোর পদ্ধতি । সাধারণত বাড়ি , শহর , দোকান ঘরের অব্যবহার্য আনাজ , ডিমের খোসা , অবশিষ্ট খাবারের অংশ প্রভৃতি এই পদ্ধতিতে প্রক্রিয়াকরণ করে জৈব সারে পরিণত করা হয় । এই পদ্ধতি ল্যান্ডফিলিং পদ্ধতিরই একটি বিশেষ রূপ । অল্প স্থানে গভীর গর্ত খুঁড়ে প্রথমে শাকসবজির অংশবিশেষ বা রেচনজাত বর্জ্য ফেলা হয় । পরে তা ভরাট হয়ে গেলে মাটি চাপা দেওয়া হয় ; তা পচে জৈব পদার্থ মাটিতে মিশে মাটির পুষ্টিমৌল বৃদ্ধি করে । আবার অন্যত্র একই পদ্ধতিতে মাটি খুঁড়ে বর্জ্য ভরাট করে মাটির মুখ বন্ধ করে বিয়োজিত করা হয় । 

সুবিধা : ( ক ) মৃত্তিকায় জৈব উপাদানের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় । ( খ ) কৃষিক্ষেত্রে এই দ্রব্য সহজেই ব্যবহৃত হয় । ( গ ) কঠিন বজা খুব বেশি পরিমাণে হ্রাস পায় । অসুবিধা : জনবসতি অঞ্চলের নিকটবর্তী স্থানে এই পদ্ধতি অবলম্বন করায় গন্ধদূষণের ও রোগজীবাণু আক্রমণের সম্ভাবনা প্রবল । তাই বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন আবশ্যিক ।

২১. স্ক্রাবার ( Scrubber ) সম্পর্কে লেখো ।  
অথবা , গ্যাসীয় বর্জ্য নিয়ন্ত্রণের উপায়গুলি কী কী ?

উত্তরঃ-   বর্জ্য ব্যবস্থাপনার একটি বিশেষ বিজ্ঞাননির্ভর প্রক্রিয়ার নাম স্কাবার । এই পদ্ধতিতে শিল্প থেকে নির্গত দূষিত বায়বীয় পদার্থ ও গ্যাসীয় উপাদানের অপসারণ ঘটিয়ে বায়ুকে বিশুদ্ধ করা হয় । 

পদ্ধতি : স্ক্রাবিং পদ্ধতি দু – প্রকার । 

( ক ) শুষ্ক স্ক্রাবার ( Dry scrubbers ] : এই পদ্ধতির মাধ্যমে দুষিত নির্গত ধোঁয়াকে অম্লমুক্ত করা হয় । 

( খ ) আর্দ্র স্ক্রাবার [ Wet Scrubber ] : এই পদ্ধতি প্রয়োগে দূষণকারী গ্যাস , দূষণকণা অপসারণ করা হয় । সাধারণত ক্ষেত্রে দ্রবণের মাধ্যমে গ্যাসীয় দূষিত পদার্থকে স্কাবার দ্বারা অপসারণ হয় । দ্রবণে গ্যাসের দ্রাব্যতার ওপর এই পদ্ধতির কার্যকারিতা করে ।

উদাহরণ :  
(i) দহনের সময় সালফার জারিত হয়ে সালফার ডাইঅক্সাইডে পরিণত হয় । পরে ধৌতাগারে স্কাবার পদ্ধতিতে অপসৃত হয় । 
(ii) অ্যামোনিয়া বা হাইড্রোজেন সালফাইড মিশ্রিত জলীয় দ্রবণ থেকে দুর্বি স্ক্যাবার পদ্ধতিতে দুষণমুক্ত করা হয় । 
(iii) চুনাপাথরের গুঁড়ে জলের সঙ্গে মিশে থাকা গ্যাসও এই পদ্ধতিতে পরিকৃত ভরাটকরণ বলে ।

২২. (Land filling) পদ্ধতি কী ?

উত্তরঃ-   কোনো নীচু স্থানে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ও বিশেষ পদ্ধতি হল বর্জ্য ভরাটকরণ । 

পদ্ধতি : জনবসতি , শিল্পাঞ্চল বা বাণিজ্যকেন্দ্র থেকে দূরে কোনে উন্মুক্ত খোলা জায়গাকে , খুব গভীরভাবে খনন করে মাটির নীচে বর্জ্য চাপা দেওয়া হয় । সাধারণত বর্জ্য ২ মিটার উঁচু স্তরে বিছিয়ে দেওয়া হয় ও তার ওপর ২০-২৫ সেমি মাটির স্তর চাপা জো হয় । মাটির মধ্যে থাকা জীবাণু বর্জ্যের ভৌত রাসায়নিক পরিবর্তন । ঘটায় । দীর্ঘদিন চাপা পড়া অবস্থায় থেকে ওই জৈব ভঙ্গুর বর্জ মাটিতে মিশে যায় । 

সতর্কীকরণ : তবে এক্ষেত্রে কতকগুলি সতর্কীকরণ নেওয়া আবশ্যিক । 

যথা— 
(i) ল্যান্ডফিলিং – এর নির্বাচিত স্থান শহরাঞ্চল থেকে দূরে হতে হবে । 
(ii) জায়গাটির আয়তন বেশি হতে হবে । 
(iii) স্থানটিতে জনবসতি থাকবে না ; কারণ বর্জ্যের দূষণ মানবশরীরের পক্ষে ক্ষতিকর । 
(iv) ময়লা জল বা বর্জ্যের বিয়োজিত অংশ যাতে কোনোভাবেই ভৌম জলস্তরকে দূষিত ন করে সেদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে । 
(v) ময়লার গাড়ি যাতে সুনির্দিষ্ট খোলা স্থানে সহজে পৌঁছোতে পারে অর্থাৎ অঞ্চলটি পরিবহণযোগ্য হয় তা দেখা । 
(vi) অনেক দেশে সমুদ্রতীরে বর্জ্য নিক্ষেপ করা হয় । এক্ষেত্রে দেখতে হবে স্থানটি যেন সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যকে বিনষ্ট না করে । 
(vii) ময়লা জমা করার স্থানগুলিকে উন্মুক্ত না – রেখে কংক্রিটের দেয়াল দিয়ে বাঁধিয়ে দিতে হবে । 

২৩. জমি ভরাটকরণের সুবিধা : 

(i) বায়ুদূষণ তথা পরিবেশ দূষণের পরিমাণ কমে যায় । 
(ii) ল্যান্ডফিলিং – এর ফলে যে গ্যাস নির্গত হয় , তা বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয় । 
(iii) বর্জ্য পদার্থ আবৃত অবস্থায় থাকে বলে মাছি , মশা , ইঁদুর , কীটপতঙ্গ বাসা বাঁধতে পারে না । জমি ভরাটকরণের অসুবিধা : জমে থাকা বর্জ্য পদার্থ থেকে নির্গত জল চুঁইয়ে ভৌম জলস্তরে মিশে যায় ।

২৪. নিষ্কাশন পদ্ধতির বিভিন্ন ধাপগুলি উল্লেখ করো ।

উত্তরঃ-   মূলত তরল বর্জ্য নিষ্কাশন পদ্ধতিতে বিশুদ্ধ করা হয় । শহরে শিল্পকারখানা বা গৃহস্থালি থেকে যে বিষাক্ত তরল জল নিষ্কাশিত হয় তা পর্যায়ক্রমে তিনটি ধাপে জীবাণুমুক্ত বা দূষণমুক্ত করা হয় । 

(a) প্রাথমিক ধাপ : প্রথমে পাইপলাইন পথে নোংরা জল একটি বড়ো জলাধারে ফেলা হয় । সেখানে ভারী বর্জ্যগুলি থিতিয়ে জলাধারের নীচে । পড়ে থাকে । 
(b) দ্বিতীয় ধাপ : জলে ভাসমান কঠিন জৈব ও অজৈব পদার্থ এই পর্যায়ে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় । 
(c) তৃতীয় ধাপ : এই পর্যায়ে রাসায়নিক ও বিষাক্ত অভঙ্গুর পদার্থগুলিকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় শোধন করা হয় ও অন্যত্র নিষ্ক্রমণ করা হয় । বিশেষ বিশেষ তথ্য 
Electronic Waste : 
বাইয়োসাইড : কৃষিক্ষেত্রে অবাঞ্ছিত উদ্ভিদ বিনাশ করতে সাহায্য করে এমন জৈব উপাদান । পেস্টিসাইড : কৃষিকাজে প্রতিকূল প্রভাব সৃষ্টিকারী ছত্রাক , কৃমি , ব্যাকটেরিয়া , ধ্বংস করে এমন রাসায়নিক উপাদান । ইনসেক্টিসাইডস্ : কৃষিজফসলের ক্ষতি করে এমন কীটপতঙ্গকে বিনাশ করতে যেসব রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহৃত হয় । হাৰ্বিসাইডস : আগাছা দমন করার জন্য কৃষিক্ষেত্রে যেসব রাসায়নিক ব্যবহৃত হয় । 


২৫. যান্ত্রিক কম্পোস্টিং পদ্ধতি সম্পর্কে লেখ।

উত্তরঃ-  
যান্ত্রিক কম্পোস্টিং: প্রথমে সমস্ত বর্জ্য পদার্থ থেকে কাচ, ধাতু প্রভৃতি আলাদা করে বাকি জৈব পদার্থগুলিকে যন্ত্রের সাহায্যে চূর্ণবিচূর্ণ করা হয়। তাতে জৈব বর্জ্য ব্যাকটেরিয়া মিশিয়ে একটি ঘূর্ণায়মান যন্ত্রে রাখা হয়। বায়বীয় ব্যাকটেরিয়ার দ্বারা 4-6 সপ্তাহের মধ্যে পচন ঘটে ও কম্পোস্ট সার তৈরি হয়।

২৬. স্ক্রাবার কিভাবে ব্যবহার করা হয় ?

উত্তরঃ-   বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে একটি গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র হল স্ক্রাবার। শিল্প কারখানা থেকে নির্গত গ্যাসীয় বর্জ্য পদার্থ ও মধ্যস্থিত দূষিত বর্জ্যকণাসমূহের দূরীকরণ করা হয় স্ক্রাবার যন্ত্রের সাহায্যে। যন্ত্রের ভিতরে থাকা তরল পদার্থের সংস্পর্শে দূষিত গ্যাসকে পাঠানো হয় এবং অভ্যন্তরস্থ তরল গ্যাসে থাকা অবাঞ্ছিত দূষক পদার্থগুলিকে পরিশোধন করা হয়। বর্তমানে বাতাসে থাকা অম্লগ্যাসকে সম্পূর্ণ রূপে শোধন করার জন্যে স্ক্রাবার যন্ত্রে শুকনো বিকারক (Reagent) অথবা অর্ধতরল পদার্থ (Slurry) দেওয়া হচ্ছে।

স্ক্রাবার যন্ত্রের সাহায্যে নির্গমিত উষু বায়ু তাপমুক্ত (Heat recovery) করা সম্ভব। বর্তমানে Wet Scrubber যন্ত্রটি ব্যবহার হচ্ছে বায়ুর পরিশ্রুতকরণে, জ্বালানি দহনে উৎপন্ন Fuel gas ও অন্যান্য গ্যাস যেখানে রয়েছে, বিভিন্ন ধরনের দূষক ও ধূলিকণাসমূহ ইত্যাদির পরিশ্রুতকরণে। এই যন্ত্রটি জলে দ্রাব্য ক্ষতিকর গ্যাস ও জারক বা দ্রাবক গ্যাস (HCLও NH3)-কে সম্পূর্ণরূপে দূর করে। এ ছাড়া চিমনিতে ব্যবহার করা হয় Dry ও Venturi Scrubber |

২৭. বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তা লেখ।

উত্তরঃ-  
(a) বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পরিবেশকে দূষণমুক্ত করা যাবে।
(b) জনগণকে বর্জ্যের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সচেতন করতে হবে।
(c) বর্জ্যের পুনর্ব্যবহার ও পুনর্নবীকরণের মাধ্যমে বিভিন্ন পরিত্যক্ত পদার্থের পুনরায় ব্যবহার সম্ভব হবে এবং বর্জ্য পদার্থের পরিমাণ কমবে।
(d) বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বিভিন্ন ক্ষতিকর বর্জ্য পদার্থের সঠিক অপসারণ সম্ভব, যার ফলে সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটবে।

২৮.  বিষাক্ত বর্জ্য কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ-   বিষাক্ত বর্জ্য : যেসব বর্জ্য মানুষসহ বিভিন্ন প্রাণী দেহে প্রবেশ করলে বিপাকীয় ও শারীরবৃত্তীয় বিভিন্ন কাজে গোলযোগ বা বাধা সৃষ্টি করে নানারকম রোগ সৃষ্টি করে মৃত্যুর কারণ হতে পারে সেই সব বর্জ্যকে বিষাক্ত বর্জ্য বলে। বিষাক্ত বর্জ্যের মধ্যে পড়ে বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রবণ এবং লুব্রিকেন্ট, যেমন—ভারী ধাতু (সিসা, পারদ), অ্যাসিড, কীটনাশক ইত্যাদি।

২৯. মানব শরীরে বজ্র পদার্থের প্রভাব লেখ ।

উত্তরঃ-  হাসপাতাল, চিকিৎসা কেন্দ্র ও অন্যান্য উৎস থেকে নির্গত বর্জ্যগুলি যে সমস্ত রোগ ছড়াতে পারে তাদের মধ্যে প্রধান কয়েকটি হল—কৃমির প্রকোপ, ফুসফুসের রোগ, টিটেনাস, পেপটিক আলসার, হেপাটাইটিস, পেটের বিভিন্ন রোগ (আমাশয়, জন্ডিস), বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ, চোখের প্রদাহ, টাইফয়েড, ব্রংকাইটিস, এনফাইমা, ফ্লুরোসিস। DNA পরিবর্তন, রক্তচাপ বৃদ্ধি প্রভৃতি।

৩০.  চূড়ান্ত বা অন্তিম শোধন কাকে বলে?

উত্তরঃ-  
চূড়ান্ত বা অন্তিম শোধন: একটি উন্মুক্ত বিশাল জলাধারে মাধ্যমিক শোধিত জল O2, দ্বারা জারিত করা হয় এবং জলের অম্লতা ও ক্ষারকীয়তাকে প্রশমিত হয়। এভাবে নাইট্রোজেন, ফসফরাস, সায়ানাইড যৌগ প্রভৃতিকে দূর করা হয়।

৩১. বজ্র পদার্থের বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করো। 

উত্তর : বর্জ্য পদার্থের বৈশিষ্ট্যগুলি হল- কঠিন গ্যাসীয় তিন প্রকারেরই হতে পারে।

 ii) বর্জ্য পদার্থের কিছু অংশ জীবাণু দ্বারা নিয়োজিত হয়, কিছু অংশ অবিয়োজিত থাকে। 
(ii) সুদ বর্জ্য উপাদানে পরিবেশের দূষণ সৃষ্টি হয়। ভারসাম্য নষ্ট হয়।
(iii) পরিমাণ গ্রামের তুলনায় শহরে বর্জ্যের পরিমাণ বেশি থাকে। গৃহস্থালি শিল্পাঞ্চল কৃষিক্ষেত্র, চিকিৎসাকেন্দ্র, খনিজ আহরণ ও প্রক্রিয়াকরণ ও উৎপাদক স্থান, ব্যাবসাকেন্দ্র, উৎপাদক স্থান ইত্যাদি হল। বঙ্গোর উৎসস্থল। 

৩২. কৃষি বর্জ্য কীভাবে সৃষ্টি হয়। 

উত্তর : চাষবাসের সময় যে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক জমিতে বা শস্যখেতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে, সেগুলির অবশিষ্টাংশ সাধারণত মাটিতে মিশে বৃষ্টির ঝালের সঙ্গে বা জলসেচের সঙ্গে ধুয়ে পার্শ্ববর্তী কোনো জলাশয়, পুকুর বা নদীতে গিয়ে মেশে। এগুলিই কৃষিজ তরল বর্জ্য। এ ছাড়াও যখন শসাথেতে পোকা লেগে যায় বা খেতে ফসল নষ্ট হয়ে যায় তখন তা বিক্রির বা আহারের অযোগ্য হয়ে পড়ে এবং কৃষিজ বর্জ্য হিসেবে পরিগণিত হয়। কৃষির ফলন বাড়াতে রাসায়নিক সার, কীটনাশক, আগাছানাশক ওষুধ ব্যবহার করা হয়। এগুলিতে নাইট্রেট, ফসফেট, পটাশ, অ্যামোনিয়া, ক্লোরাইড প্রভৃতি রাসায়নিক মৌল থাকে। এ ছাড়াও | জৈব সার হিসেবে গবাদি পশুর বিষ্ঠা, গাছের পাতা, ডাল, কেঁচোর কম্পোস্ট প্রভৃতি ব্যবহৃত হয়। যদিও এগুলি জৈব ভঙ্গুর অর্থাৎ নিজস্ব প্রক্রিয়ায় পুনরায় মাটিতে মিশে যায় তবুও সাময়িক সময়ের জন্য এগুলি পরিবেশের আবর্জনা। এ ছাড়া কৃষিফসল কেটে নেওয়ার পর পড়ে থাকা গাছের গোড়ার অংশে আগাছা বা ধান, গম-এর তুষ বা খোলস, পাট, তুলোর আঁশের বাতিল অংশ পরিবেশে বর্জ্য। সৃষ্টি করে। 

৩৩. কঠিন বর্জ্যের সৃষ্টির উৎসগুলি চিহ্নিত করো। 

উত্তর : কঠিন বর্জ্যের সৃষ্টির উৎসগুলি হল- 

(i) গৃহে ব্যবহৃত উপকরণ যেমন-পুরোনো কাগজ, বাতিল কাপড়, ভাঙা প্লাস্টিক ও কাচের অংশ।
(ii) শিল্প কারখানায় ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ, টায়ার, টিউবের বাতিল অংশ, সিমেন্ট, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের আবর্জনার অংশবিশেষ। 
(iii) কৃবিখেতে জমিতে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশের অকেজো অংশ, ফসল তোলার পর পড়ে থাকা অবশিষ্টাংশ বা ধানের তুষ, আখের ছিবড়া, পাটের আঁশ বের করার পর পড়ে থাকা অংশবিশেষ। 
(iv) খনি নির্মাণকার্যে খনিজ আহরণের পর খনিজের অবশিষ্টাংশ: গৃহ বা অন্যান্য নির্মাণের পর পড়ে থাকা চুনসুরকি, লোহার ছাঁট, ইটের কুচি, বালির আবর্জনা, পাথরের টুকরো, কয়লা পোড়ানোর পর পড়ে থাকা ছাই ইত্যাদি। 

৩৪.  সিসা ও কেডমিয়ামের কি প্রভাব পড়ে মানব দেহে।

উত্তরঃ-  সিসার প্রভাবে উচ্চ রক্তচাপ, অ্যানিমিয়ার প্রকোপ দেখা যায়। ক্যাডমিয়ামের বিষক্রিয়ায় হাড়ের ভঙ্গুরতা, নমনীয়তা, উচ্চরক্তচাপ প্রভৃতি রোগের সৃষ্টি হয়।

৩৫.  তরল বর্জ্য কাকে বলে?উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ-   যে সকল বর্জ্য তরলাকারে থাকে, তাকে তরল বর্জ্য বলে।
(i) গৃহস্থালির ঘর পরিষ্কার ও জামাকাপড় পরিষ্কারের নোংরা, দূষিত জল, মল, মূত্র,
(ii) কৃষিকাজে ব্যবহৃত অজৈব সার, কীটনাশক মিশ্রিত জল,
(iii) মাংস প্যাকিং ও চামড়া শোধন প্ল্যান্টের দূষিত জল,
(iv) হাসপাতাল ধোয়া জল, রক্ত, রোগীর মলমূত্র,
(v) বিভিন্ন কলকারখানার অজৈব ধাতু মিশ্রিত জল এই সবই তরল বর্জ্য।

৩৬. চিকিৎসা সংক্রান্ত বর্জ্য কীভাবে সৃষ্টি হয় ?

উত্তরঃ-   হাসপাতাল , নার্সিংহোম বা বিভিন্ন প্যাথোলজিক্যাল য ল্যাবরেটরি থেকে যে বর্জ্য নির্গত হয় , তাকে চিকিৎসা সংক্রান্ত বর্জ্য বলে । চিকিৎসাক্ষেত্রে ব্যবহৃত ছুঁচ , সিরিঞ্জ , ছুরি , কাঁচি , ব্লেড , স্যালাই , গজ , বোতল , তুলো , ব্যান্ডেজ , মানব অঙ্গের ব্যবচ্ছিন্ন অংশ , চিকিৎসায় ব্যবহৃত বিভিন্ন ওষুধ , ওষুধের প্যাকেট , প্যাথোলজির রক্ত , মল , মুত্র ইত্যাদি হল চিকিৎসা সংক্রান্ত বর্জ্যের উদাহরণ । প্রশ্ন ৮ গ্যাসীয় বর্জ্যের উৎসগুলি কী কী ? উত্তর বাতাসে ভাসমান লবণকণা , বায়ুকণা , ধূলোবা যখন পরিবেশে ক্ষতিসাধন করে , তাকে বলে গ্যাসীয় বন্ধ কলকারখানা , যানবাহন থেকে নির্গত কার্বন ডাইঅক্সাইড , মিথে ক্লোরোফ্লুরোকার্বন , নাইট্রোজেন অক্সাইড , সালফার অক্সাইড , কার্বন মনোক্সাইড ইত্যাদি হল গ্যাসীয় বর্জ্যের উদাহরণ । 

৩৭. পরিবেশের ওপর বর্জ্যের প্রভাব আলোচনা করো ।

উত্তরঃ-   
(ক) বায়ুদূষণ ( Air pollution ) : বর্জ্য পদার্থগুলিতে পরিবেশের বিভিন্ন স্থানে জমিয়ে রাখার ফলে তা থেকে যে পা দুর্গন্ধ নির্গত হয় তা পারিপার্শ্বিক পরিবেশ তথা সমগ্র বায়ুমণ্ডলে বায়ুদূষণ ঘটায় এবং এটি মানুষ তথা যে – কোনো প্রাণীর ক্ষেত্রে ফুসফুস ও অন্যান্য অঙ্গে পৌঁছে শ্বাসরোধ , বমি ইত্যাদি নানা সমস্যা সৃষ্টি করে । 

(খ) জল ও মৃত্তিকা দূষণ ( Water & soil pollution ) কৃষিজ জমিতে ব্যবহৃত রাসায়নিক সার অথবা কীটনাশক তথ্য পয়ঃপ্রণালী নির্গত তরল বর্জ্যগুলি বৃষ্টি বা জলসেচের জল দ্বারা বুদ্ধে গিয়ে পার্শ্ববর্তী কোনো নদীতে মিশে সেখানকার স্বাভাবিক জলছ বাস্তুতন্ত্রকে ব্যাহত করে । এ ছাড়া মাটির উর্বরাশক্তির পক্ষেও এটি যথেষ্ট ক্ষতিকারক । অতিরিক্ত সার ও কীটনাশকের ব্যবহার মাটিকে আম্লিক করে দেয় । 

( গ ) রাসায়নিক বিক্রিয়া ( Chemical reaction ) : বিভিন্ন তেজস্ক্রিয় পদার্থ , যেগুলি কোনোভাবেই মাটির সাথে মেশে না , সেইসব অজৈব পদার্থগুলি ক্রমাগত যেখানে সেখানে সজ্জিত হয়ে জল নিষ্কাশন ব্যবস্থাকে ব্যাহত করছে । এগুলি মাটির সঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটিয়ে এমন কিছু ক্ষতিকর যৌগের সৃষ্টি করে , যা মানবসভ্যতার সমূহ ক্ষতি করতে পারে । 

( ঘ ) বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্যহীনতা ( Imbalanced ecosystem ) এই বর্জ্য পদার্থের সঞ্চয় এবং তার পরিমাণ পরিবেশে বেড়েই চলেছে । ফলে পুকুর , বনভূমি , তৃণভূমি প্রভৃতি বিভিন্ন স্থানের বাস্তুতন্ত্রগুলি দিনের পর দিন তাদের ভারসাম্য হারাচ্ছে এবং বিঘ্নিত হচ্ছে । 

( ঙ ) জীববৈচিত্র্য হ্রাস ( Decrease in biodiversity ) : পৃথিবীর বিভিন্ন বাস্তুতন্ত্রগুলি উক্ত নানান পরিবেশদূষণের কবলে পড়ে তাদে ভারসাম্য হারাচ্ছে । ফলে পরিবেশের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জীবগুলি লুপ্ত হয়ে যাচ্ছে এবং পরিবেশের জীববৈচিত্র্য হ্রাস পাচ্ছে । 

( চ ) দৃশ্যদূষণ : যেখানে সেখানে জমা ময়লা আবর্জনায় প্রকৃতির সৌন্দর্য হারিয়ে যায় । 

( ছ ) জমি ও জলাভূমি ধ্বংস : বিভিন্ন প্রকার বর্জ্য কখনও জমিতে এবং কখনও জলাভূমিতে ফেলা হয় । ফলে জমি ও জলাভূমির ক্ষতি হয় । 

( জ ) গন্ধদূষণ : বর্জ্যের পচন শুরু হলে চারপাশ দুর্গন্ধে ভরে যায় ও পরিবেশের ক্ষতি হয় ।


৩৮. বর্জ্য পদার্থের শ্রেণিবিভাগ করো।

উত্তর : বর্জ্যের প্রকারভেদ (Classification of waste) পরিবেশের বর্জ্য পদার্থগুলিকে বিভিন্ন ভিত্তির ওপর সাধারণত বিশেষ কয়েকটি ভাগে বিভক্ত করা যায়।

পার্থিব বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী প্রকারে 

(i) কঠিন (Solid)  পদার্থের বিভিন্ন প্রকার ভৌত অবস্থাগুলির মধ্যে কঠিন বর্জ্যের উপস্থিতি পরিবেশে সবচেয়ে বেশি লক্ষ করা হয়। যেমন গৃহস্থালির জঞ্চাল, প্লাস্টিক, পেপার, পুরোনো অব্যবহার্য আসবাবপত্র ভাঙা বোতল ও কাচের টুকরো, চট, খবরের কাগজ, এ ছাড়া বাজারের আনাজপাতি | ও হাসপাতালের নানা অব্যবহার্য ব্যাি | যেমন সিরিও, গজ কাপড়, তুলো, রোগীর জামাকাপড় ইত্যাদি। এ কঠিন বর্জ্য ছাড়াও রয়েছে নানান শিল্পজাত বর্জ্য পদার্থ, যা সাধারণত কলকারখ নাগুলি থেকে উৎপন্ন হয়।

 (ii) (Liquid) তরল বর্জ্য পদার্থগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল নর্দমা ও নালাবাহিত গৃহস্থালির পয়ঃপ্রণালীজাত নানান তরল পদার্থ, কৃষিজমিতে কীটনাশক প্রয়োগের পরে জলসেচ দ্বারা বাহিত জল যা। পার্শ্ববর্তী নদী ও জলাশয়ে মেশে। এ ছাড়াও রয়েছে নানান শিল্পজাত তরল বর্জ্য, নানান রাসায়নিক পদার্থ প্রভৃতি। তরল বর্জ্য 

(ii) গ্যাসীয় (Gaseous) কলকারখানা থেকে নির্গত নানান SPM (সাসপেনডেড পারটিকুলেট ম্যাটার) বিষাক্ত ধোঁয়া, ধুলোকণা, বিষাক্ত কণা, কার্বন মনোক্সাইড, বাতানুকূল যন্ত্র থেকে নির্গত CFC প্রভৃতি বিষাক্ত গ্যাস সমূহ এই প্রকার গ্যাসীয় গ্যাসীয় বর্জ বর্ষা পদার্থের উদাহরণ। 
(b) বিষক্ষিতা অনুযায়ী প্রকারভেদ: বিষক্রিয়তার তারতম্য অনুযায়ী বর্জ্য পদার্থকে দু-ভাগে বিভক্ত করা যায়- বিষাক্ত বর্জ্য বিষহীন বর্ষা 

(i) বিষাক্ত (Toxic) নানান ধরনের বর্জ্য পদার্থ, যা থেকে বিভিন্ন ধরনের বিষক্রিয়তার উদ্ভব হয় এবং যেগুলি একেবারেই পরিবেশবান্ধব নয়, সেগুলিকে বলা হয় বিষাক্ত বর্জ্য পদার্থ। যেমন- শিল্পজাত নানান প্রকার তেজস্ক্রিয় পদার্থ (ইউরেনিয়াম, ঘোরিয়াম প্রভৃতি) এবং কিছু রাসায়নিক তরল পদার্থ, যা বিষক্রিয়া ঘটাতে পারে।

(i) বিষহীন (Non-toxic) : যেসব বর্জ্য পদার্থগুলির বিষক্রিয়তা নিই, যেগুলি পরিবেশের কোনো প্রকার ক্ষতিসাধন করে না তাদের বিষহীন পক্ষী পার্থ বলে। এই বিহীন বর্জ্য পরি Biodegradable বা জৈবিকভাবে বিয়োজিত হয়। যেমন- বাজারের  


দশম শ্রেণীর ভূগোল – "বর্জ্য ব্যবস্থাপনা" (চতুর্থ অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Chapter 11 Bajro Bebosthapona Question and Answer 

রচনাধর্মী বা বিশ্লেষণধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর (প্রতিটি প্রশ্নের মান ৫)


১. নাগরিক সচেতনতা বৃদ্ধি হল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রাথমিক ধাপ – কেন ব্যাখ্যা করো। 

উত্তর : জনসচেতনতা বৃদ্ধি পেলে তবেই পরিবেশকে জালমুক্ত করে বিশুদ্ধ রাখা যাবে। প্রকৃতি বর্জ্যমুক্ত হলে জীববৈচিত্র্য সুরক্ষিত হবে; বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য বজায় থাকবে। গৃহস্থালি, শিল্পক্ষেত্র, কৃষিক্ষেত্র, চিকিৎসাকেন্দ্র থেকে প্রতিদিন যেসব বর্জ্য উৎপন্ন হয় তার মধ্যে কোন্‌গুলি কীভাবে মানবশরীরে কুপ্রভাব ফেলে সে বিষয়ে সরকারি, বেসরকারি, স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করতে হবে। বিভিন্ন পত্রপত্রিকা, মিডিয়াকে এ বিষয়ে সক্রিয় অংশগ্রহণ করতে হবে। মানুষ নিজেও স্বশিক্ষায় শিক্ষিত হবেন। সুনির্দিষ্ট জায়গায় ময়লা আবর্জনা ফেলার সু-অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। নিয়মিত ময়লা ফেলার গাড়ি পাড়ায় পাড়ায় ময়লা সংগ্রহ করে যাতে সুনির্দিষ্ট স্থানে নিক্ষেপ না করে তার নজরদারি মানুষকে রাখতে হবে। খোলা ভ্যাটগুলিতে নিয়মিত ব্লিচিং ছড়াতে হবে যাতে রোগজীবাণুর সংক্রমণ কমে। চাপা দেওয়া যায় এমন স্থানে ময়লা ফেলা হলে গন্ধদূষণের পরিমাণ কমবে। প্রত্যেকে নিজেকে সচেতন রাখবে; তাহলেই সমাজ সচেতন হবে। প্রকৃতি বাঁচলে আমরাও বাঁচব এই অঙ্গীকারে সবাইকে দীক্ষিত হতে হবে। 

২. বর্জ্য ভরাটকরণ প্রক্রিয়া মানবজীবনে অনেকসময় বিপর্যয় ঘটায় কী করে? 

উত্তর : জনবসতি থেকে দূরবর্তী স্থানে খোলা উন্মুক্ত প্রান্তরে প্রথমে কিছুটা মাটি গভীরভাবে খনন করে বর্জ্য ফেলা হয়, পরে আবার মাটি চাপা দেওয়া হয়। পরবর্তী সময় মাটির তাপে, চাপে খুব সহজেই তা মাটিতে পরিণত হয়। এই পদ্ধতিতে কয়েকটি বিশেষ শতর্কতা অবলম্বন না-করলে তা মানবজীবনে নানা সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। যেমন-  

(i) উন্মুক্ত স্থানটি আয়তনে বড়ো হওয়া প্রয়োজন; নির্বাচিত খোলা স্থানটি অবশ্যই লোকালয় থেকে দূরে হওয়া বাঞ্ছনীয়, তা না-হলে গন্ধ ছড়ায় ও স্বাস্থ্যহানির কারণ ঘটে। জৈব প্রক্রিয়াকরণের সময় রাগাক্রান্ত পোকা, ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হয়ে মানবশরীরে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, টাইফয়েড প্রভৃতির সংক্রমণ ঘটাতে পারে। 

(ii) ময়লা ফেলার গাড়ি ঢাকা হওয়া প্রয়োজন যাতে যাওয়ার পথে আবর্জনা রাস্তায় পড়ে না যায়; ময়লার গাড়ি যাতে শব্দদূষণ না ঘটায় সেদিকে বিশেষ সতর্ক হওয়া উচিত।

(iii) ময়লা ফেলা গর্ত ততটাই খনন করা দরকার যা মাটির নিজস্ব পুষ্টি মৌল নষ্ট না-করে অথবা ওই বর্জ্য দূষণ ভৌম জলস্তর পর্যন্ত না পৌঁছোয়; সেক্ষেত্রে পানীয় জলে নানা রোগজীবাণু সংক্রমণের সম্ভাবনা তৈরি হয়।

(iv) অনেকসময় সমুদ্রেও বর্জ্য ফেলা হয়। এক্ষেত্রে নজর দওয়া প্রয়োজন সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য যাতে বিনষ্ট না হয় তাহলে মানবজীবনে নানা অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।

৩. বজ্র ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থীর ভূমিকা কি?

উত্তরঃ-  বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থীর ভূমিকা (Role of Students in waste Management) :

শিক্ষার্থীরা সমাজ গঠনের ভবিষ্যৎ কারিগর। তাদের শিখনের ওপর অনেক গুরুদায়িত্ব বর্তায়। স্কুলস্তর থেকে বর্জ্যব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সচেতন করলে এবং শিক্ষাদান করলে তারা অনেক বড়ো ভূমিকা পালন করবে। বর্জ্যব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থীরা যেগুলি করতে পারে তা হল-

1. উপযুক্ত স্থানে বর্জ্যপদার্থ নিক্ষেপ : গৃহের বর্জ্য নির্দিষ্ট পাত্রে জমা করা, পৌরকর্মী এলে তার হাতে তুলে দেওয়া বা নির্দিষ্ট পাত্রে ফেলে দেওয়া (শহরাঞ্চলের ক্ষেত্রে)।

2. জৈব সার প্রস্তুত : গৃহের বর্জ্য নির্দিষ্ট স্থানে একত্রিত করা জৈব ভঙ্গুর বর্জ্যের পৃথক্করণ করে ম্যানিওর পিটে তা ফেলে দিয়ে জৈব সার তৈরি করা।

3. পারিপার্শ্বিক পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখা : নিজের ক্লাসরুম তথা স্কুল প্রাঙ্গণ বর্জ্যমুক্ত রাখা। জৈব অভঙ্গুর বর্জ্য যাতে না আসে সেই বিষয়ে লক্ষ রাখা। সমস্ত বর্জ্য নির্দিষ্ট পাত্রে বা ডাস্টবিনে রাখা।

4. উচ্ছিষ্ট পদার্থ যত্রতত্র না ফেলাঃ মিড-ডে-মিল সংক্রান্ত উচ্ছিষ্ট, সবজির খোসা, ভাতের মাড় ইত্যাদি জৈব বর্জ্য নির্দিষ্ট গর্তে সঞ্চয় করে জৈবসার তৈরি করা যেতে পারে।

5. জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা : নিকটস্থ হাট-বাজার (সবজি, মাছ, মাংস, ফুল, ফল ইত্যাদি) পর্যবেক্ষণ করা, প্লাস্টিক ব্যবহার না করা প্রভৃতি বর্জ্য সম্বন্ধে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা যেতে পারে।

6. নালানর্দমা পরিষ্কার রাখা : যেহেতু পয়ঃপ্রণালীর দূষিত জল নালানর্দমার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়, তাই নালানর্দমা নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে। মশার লার্ভা ও ডিম ধ্বংস করার জন্য ড্রেনে তেল দিতে হবে। নর্দমার পাশে DDT স্প্রে করতে হবে।

৪. তরল বর্জ্যএর ব্যবস্থাপনার পদ্ধতি গুলি লেখ।

উত্তরঃ-   মূলত তরল বর্জ্য পদার্থ নিকাশি ব্যবস্থার মাধ্যমে নিষ্পত্তিকরণ করা হয়। শহরের গৃহস্থালি, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও শিল্প কারখানার ব্যবহৃত দূষিত জল নালার (Drain) মাধ্যমে নদীতে, সমুদ্রে বা কোনো নীচু জায়গায় যায়। দূষিত জল শোধনের তিনটি পর্যায় রয়েছে। যথা—

(i) প্রাথমিক শোধন বা ভাসমান জৈব ও অজৈব কঠিন পদার্থের দূরীকরণ: নোংরা জলের প্রবাহ পথে ছাঁকনি ব্যবহার করে ভাসমান কঠিন পদার্থ সরিয়ে ফেলা হয় এবং ছোটো পাথর, বালি জলের তলায় থিতিয়ে পড়ে।
(ii) মাধ্যমিক শোধন বা রূপান্তরযোগ্য ক্ষুদ্র জৈব পদার্থের দূরীকরণ : দুটি পদ্ধতির মাধ্যমে মাধ্যমিক শোধন করা হয় –
(a) একটি বড়ো মাপের চোঙাকৃতি পাত্রে নুড়ি, পাথর সাজিয়ে রেখে প্রাথমিক শোধিত জল ফেলা হয়। জলে উপস্থিত আণুবীক্ষণিক জীবেরা জৈব বস্তুকে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে। ফলে পাত্রের জল চুঁইয়ে নীচে চলে যায় এবং নুড়ি, পাথর অবশিষ্ট রূপে পাত্রে পড়ে থাকে। এই পদ্ধতিটির নাম চোঁয়ানো পরিস্রাবণ (Tickling filter)।
(b) সক্রিয় গাদ পদ্ধতিতে জলে উপস্থিত আণুবীক্ষণিক জীব দ্বারা জৈব ক্ষয়িষ্ণু বস্তুগুলি ক্ষয়প্রাপ্ত হয় এবং BOD (Biological Oxygen Demand) কমে গ্রহণযোগ্য মাত্রায় আসে। তারপর নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে আণুবীক্ষণিক জীবের স্তরকে Sludge হিসেবে অধঃক্ষিপ্ত করা হয় ও পরিষ্কার জল সংগ্রহ করা হয়।
(iii) চূড়ান্ত বা অন্তিম শোধন : একটি উন্মুক্ত বিশাল জলাধারে মাধ্যমিক শোধিত জল O, দ্বারা জারিত করা হয় এবং জলের অম্লতা ও ক্ষারকীয়তাকে প্রশমিত হয়। এভাবে নাইট্রোজেন, ফসফরাস, সায়ানাইড যৌগ প্রভৃতিকে দূর করা হয়।

৫. পরিবেশের ওপর বর্জ্যের প্রভাব লেখ।

উত্তরঃ-   পরিবেশের ওপর বর্জ্যের প্রভাব (Effect of Waste on Environment): নিম্নে বর্জ্যপদার্থের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ক্ষতিকারক প্রভাব সম্পর্কে আলোকপাত করা হল-

1. স্বাস্থ্য : হাসপাতাল, চিকিৎসা কেন্দ্র ও অন্যান্য উৎস থেকে নির্গত বর্জ্যগুলি যে সমস্ত রোগ ছড়াতে পারে তাদের মধ্যে প্রধান কয়েকটি হল–কৃমির প্রকোপ, ফুসফুসের রোগ, টিটেনাস, পেপটিক আলসার, হেপাটাইটিস, পেটের বিভিন্ন রোগ (আমাশয়, জন্ডিস), বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ, চোখের প্রদাহ, টাইফয়েড, ব্রংকাইটিস, এনফাইমা, ফ্লুরোসিস। DNA পরিবর্তন, রক্তচাপ বৃদ্ধি প্রভৃতি। উদ্ভিদের ক্ষেত্রে ক্লোরোসিস, নেক্রোসিস রোগ হয়, উদ্ভিদের বৃদ্ধি ও উৎপাদনশীলতা হ্রাস পায় ইত্যাদি।

2. জল : পৃথিবীর মহাসাগর, সাগর, হ্রদ, নদী প্রভৃতি স্থানে প্রচুর বর্জ্য জমার ফলে জল দূষিত হওয়ায় জলজ প্রাণীর অপমৃত্যু ঘটছে, তাদের প্রজনন বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের শৈবাল নষ্ট হচ্ছে। জলজ বাস্তুতন্ত্রের বিপর্যয়ের সম্ভাবনা বাড়ছে। অতিরিক্ত পরিমাণে প্লাস্টিকের ব্যবহার এবং যত্রতত্র তার নিক্ষেপের ফলে শহরাঞ্চলের হাইড্রেনগুলিতে প্লাস্টিকের সঞ্জয় ঘটছে। ফলে হাইড্রেনগুলির মুখ বুজে গিয়ে পয়ঃপ্রণালী ব্যাহত হচ্ছে। যার ফলে নর্দমার দূষিত জল মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীদের দেহে বিভিন্ন রোগ সংক্রমণ ঘটাচ্ছে।

3. বায়ু :দীর্ঘদিন খোলা স্থানে বর্জ্য পদার্থ জমিয়ে রাখলে তা পচে গিয়ে বায়ুকে দূষিত করে। মানুষের দেহ ও মনের অস্বস্তি বাড়িয়ে তোলৈ এবং সৌন্দর্য নষ্ট করে, যা জীবন বিকাশের অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। কলকারখানা থেকে নির্গত মারাত্মক ক্ষতিকারক গ্যাসগুলি প্রাকৃতিক পরিবেশের বিপর্যয় ডেকে এনেছে।

4. মৃত্তিকা : 
(i) আমাদের ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থসমূহ যেমন কীটনাশক, আগাছানাশক, ডিটারজেন্ট ইত্যাদি। 
(ii) কলকারখানা ও মোটরগাড়ি থেকে নির্গত দূষিত পদার্থ। 
(iii) প্লাস্টিক, পলিথিন, পলিব্যাগ, সিরিঞ্জ ও অন্যান্য প্লাস্টিক জাতীয় দ্রব্য মৃত্তিকাতে বিয়োজিত হয় না বলে দীর্ঘদিন ধরে মৃত্তিকাতে সঞ্চিত থাকে এবং মৃত্তিকা দূষিত করে। এগুলি থেকে নির্গত বিষাক্ত রাসায়নিক উপাদান জল, বায়ু, আলো চলাচলে বাধা দেয়। ফলে মৃত্তিকাস্থিত অণুজীব মারা যায় ও জীব বিবর্ধনের কারণে মনুষ্য ও অন্যান্য প্রাণীর ক্ষতি হয়। এবং খাদ্যশৃঙ্খল বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।

৬. সদ প্রক্রিয়াকরণে শিক্ষার্থীর ভূমিকা উল্লেখ করো ।
উত্তরঃ-   পরিবেশকে বর্জ্য মুক্ত করতে শিক্ষার্থীকেই প্রাথমিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে । শিশুমনে পরিবেশ সচেতনতা যত বাড়বে , পৃথিবী ও পরিবেশ ততই বাসযোগ্য ভূমিতে পরিণত হবে । বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থীরা যেসব উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করতে পারে সেগুলি হল –

( a ) জৈব ভঙ্গুর , জৈব অভঙ্গুর , বিষাক্ত , বিষহীন বর্জ্য সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে জ্ঞান অর্জন করতে হবে । চেষ্টা করতে হবে জৈব অভঙ্গুর ও বিষাক্ত বর্জ্যগুলির ব্যবহার হ্রাস করা । যেমন – Use & Throw পেনের পরিবর্তে কালির পেন ব্যবহারের অভ্যাস গড়ে তোলা । 

( b ) পরিবেশ পরিচ্ছন্নতায় রোগমুক্তি ঘটে । এই বিষয়ে বিদ্যালয় সচেতনতার দৃষ্টি দেখালে , বাড়ির চারপাশে বর্জ্য নিক্ষেপে নির্দিষ্ট ডাস্টবিন ব্যবহার করার গুরুত্ব বাড়বে । 

( c ) অপ্রয়োজনীয় উদ্বৃত্ত জিনিসই বর্জ্যের পরিমাণ বাড়ায় । তাই পরিমিত ও প্রয়োজনীয় জিনিসই কেনার নিয়ম শিক্ষার্থীকে গড়ে তুলতে হবে । 

( d ) শৌচাগার ব্যবহারে সচেতনতা বৃদ্ধি করা আবশ্যক । এ ছাড়াও বিতর্ক বা সাংস্কৃতিক নাটক , অ্যাওয়ার্নিং ক্যাম্প করে পরিবার ও সমাজের মানুষকে এ বিষয়ে জানাতে পারে । 

৭. নাগরিক সচেতনতা বৃদ্ধি হল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রাথমিক ধাপ – কেন ব্যাখ্যা করো ।

উত্তরঃ-   জনসচেতনতা বৃদ্ধি পেলে তবেই পরিবেশকে জঞ্জালমুক্ত করে বিশুদ্ধ রাখা যাবে । প্রকৃতি বর্জ্যমুক্ত হলে জীববৈচিত্র্য সুরক্ষিত হবে ; বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য বজায় থাকবে । গৃহস্থালি , শিল্পক্ষেত্র , কৃষিক্ষেত্র , চিকিৎসাকেন্দ্র থেকে প্রতিদিন যেসব বর্জ্য উৎপন্ন হয় তার মধ্যে কোন্‌গুলি কীভাবে মানবশরীরে কুপ্রভাব ফেলে সে বিষয়ে সরকারি , বেসরকারি , স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করতে হবে । বিভিন্ন পত্রপত্রিকা , মিডিয়াকে এ বিষয়ে সক্রিয় অংশগ্রহণ করতে হবে । মানুষ নিজেও স্বশিক্ষায় শিক্ষিত হবেন । সুনির্দিষ্ট জায়গায় ময়লা আবর্জনা ফেলার সু – অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে । নিয়মিত ময়লা ফেলার গাড়ি পাড়ায় পাড়ায় ময়লা সংগ্রহ করে যাতে সুনির্দিষ্ট স্থানে নিক্ষেপ না করে তার নজরদারি মানুষকে রাখতে হবে । খোলা ভ্যাটগুলিতে নিয়মিত | ব্লিচিং ছড়াতে হবে যাতে রোগজীবাণুর সংক্রমণ কমে । চাপা দেওয় যায় এমন স্থানে ময়লা ফেলা হলে গন্ধদূষণের পরিমাণ কমবে । | প্রত্যেকে নিজেকে সচেতন রাখবে ; তাহলেই সমাজ সচেতন হবে । প্রকৃতি বাঁচলে আমরাও বাঁচব এই অঙ্গীকারে সবাইকে দীক্ষিত হতে হবে ।

৮. বর্জ্য ভরাটকরণ প্রক্রিয়া মানবজীবনে অনেকসময় বিপর্যয় ঘটায় কী করে ?

উত্তরঃ-   জনবসতি থেকে দূরবর্তী স্থানে খোলা উন্মুক্ত প্রান্তরে প্রথমে কিছুটা মাটি গভীরভাবে খনন করে বর্জ্য ফেলা হয় , পরে আবার মাটি চাপা দেওয়া হয় । পরবর্তী সময় মাটির তাপে , চাপে খুব সহজেই তা মাটিতে পরিণত হয় । এই পদ্ধতিতে কয়েকটি বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন না – করলে তা মানবজীবনে নানা সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে । 

যেমন : – 
( i ) উন্মুক্ত স্থানটি আয়তনে বড়ো হওয়া প্রয়োজন ; নির্বাচিত খোলা স্থানটি অবশ্যই লোকালয় থেকে দূরে হওয়া বাঞ্ছনীয় , তা না হলে দুর্গন্ধ ছড়ায় ও স্বাস্থ্যহানির কারণ ঘটে । জৈব প্রক্রিয়াকরণের সময় রোগাক্রান্ত পোকা , ভাইরাস , ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হয়ে মানবশরীরে ডেঙ্গু , ম্যালেরিয়া , টাইফয়েড প্রভৃতির সংক্রমণ ঘটাতে পারে । 

( ii ) ময়লা ফেলার গাড়ি ঢাকা হওয়া প্রয়োজন যাতে যাওয়ার পথে আবর্জনা রাস্তায় পড়ে না যায় ; ময়লার গাড়ি যাতে শব্দদূষণ না – ঘটায় সেদিকে বিশেষ সতর্ক হওয়া উচিত । 

( iii ) ময়লা ফেলা গর্ত ততটাই খনন করা দরকার যা মাটির নিজস্ব পুষ্টি মৌল নষ্ট না করে অথবা ওই বর্জ্য দূষণ ভৌম জলস্তর পর্যন্ত না পৌঁছোয় ; সেক্ষেত্রে পানীয় জলে নানা রোগজীবাণু সংক্রমণের সম্ভাবনা তৈরি হয় । 

( iv ) অনেকসময় সমুদ্রেও বর্জ্য ফেলা হয় । এক্ষেত্রে নজর দেওয়া প্রয়োজন সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য যাতে বিনষ্ট না হয় , তাহলে মানবজীবনে নানা অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে । 

INTERESTING FACTS : সচ্ছ ভারত অভিযান : ২০১১ খ্রিস্টাব্দের ২ অক্টোবর নয়াদিল্লিতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বচ্ছ ভারত অভিযানের সূচনা করেন । ভারতবর্ষের ৪০৪১ টি নগর ও গ্রামে স্বচ্ছতার সচেতনতা বৃদ্ধিতে এই প্রকল্পের সূচনা হয় । স্বচ্ছতার | জন্য গৃহীত এটি ভারতের বৃহত্তম প্রয়াস । এই অভিযানের সময়সীমা | 

বছর ( ২০১৪–২০১৯ ) । এর প্রধান উদ্দেশ্যগুলি হল- 
( ১ ) স্বাস্থ্যক | শৌচালয় নির্মাণ , 
( ২ ) প্রকাশ্যে মলমূত্র ত্যাগ বন্ধ করা , 
( ৩ ) পৌরসভার বর্জ্যের ১০০ % ব্যবস্থাপনা করা ইত্যাদি । এই অভিযান সফল করার জন্য ২০১৯ খ্রিস্টাব্দের অক্টোবর মাসের মধ্যে গ্রামে ১২ কোটি শৌচাগার নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয় ।


৯. ভাগীরথী হুগলি নদীর উপর বর্জ্যের প্রভাব আলোচনা করো।

উত্তরঃ-   শিল্প বিপ্লবের ছোঁয়ায় বহু বছর ধরে ভাগীরথী-হুগলি নদীর দুই তীরে জনবসতি এবং বিভিন্ন শিল্পকেন্দ্র (পাট, কাগজ, চামড়া, কাপড় প্রভৃতি) গড়ে উঠেছে। ফলে শিল্প কারখানা থেকে নিক্ষিপ্ত বর্জ্য, গৃহস্থালির বর্জ্য প্রভৃতির কারণে ভাগীরথী-হুগলির জল দূষিত হচ্ছে। এই নদীর ওপর বর্জ্যের প্রভাব নিম্নে আলোচনা করা হল—

(a) হুগলি নদীর তীরবর্তী শহরগুলির নিকাশিনালা এই নদীর সঙ্গে যুক্ত থাকায় প্রায় সমস্ত বর্জ্য ভাগীরথী-হুগলি নদীতে নিক্ষেপ করা হচ্ছে এবং জল দূষিত হচ্ছে।
(b) নদীর তীরে অবস্থিত শিল্পকেন্দ্রগুলি থেকে নির্গত বর্জ্য পদার্থ এই নদীতে নিক্ষিপ্ত হওয়ায় নদীর জল দূষিত হয়ে পড়েছে।
(c) কলকাতা দূষণ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ও কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকের নির্ধারিত মান অনুসারে 100 মিলি জলে কলিফর্ম ব্যাকটেরিয়ার সর্বোচ্চ সংখ্যা 500 হলে সেই জল গুণমানযোগ্য। কিন্তু দক্ষিণেশ্বরে এর মাত্রা 110000 এবং হাওড়ায় 423125।
(d) ফারাক্কা থেকে গঙ্গাসাগর পর্যন্ত অবস্থিত ইট ভাটার শ্রমিকরা এই নদীর জলে প্রাতঃক্রিয়া সম্পন্ন করায় নদীর জল বিষাক্ত হয়ে পড়েছে।
(e) ভাগীরথী-হুগলি নদীতে পুজোয় প্রতিমা নিরঞ্জনের ফলে প্রতিমায় ব্যবহৃত মাটি, বিভিন্ন রং, ভারী ধাতু (ক্রোমিয়াম, ক্যাডমিয়াম, কপার প্রভৃতি) নদীর জলে মেশার ফলে নদীর নাব্যতা হ্রাস পাচ্ছে এবং নদীর জল বিষাক্ত হয়ে যাচ্ছে।
(f) এর ফলে–
(i) জলজ বাস্তুতন্ত্র ব্যাপকভাবে ধ্বংস হচ্ছে।
(ii) বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হচ্ছে,
(iii) নানাধরনের জলবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটছে। দূষিত জলের অধোগমনের ফলে বহুবিধ বিষক্রিয়া—রাসায়নিক, জৈব এবং অজৈব দূষক ভূগর্ভস্থ জলে সংক্রমিত হচ্ছে।


দশম শ্রেণীর ভূগোল All Chapters | মাধ্যমিক ভূগোল সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর । Class 10 Geography All Chapter | Class Ten Geography All Chapter 

প্রাকৃতিক ভূগোল 
  1. মাধ্যমিক ভূগোল - বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ (প্রথম অধ্যায়) Click Here 
  2. মাধ্যমিক ভূগোল - বায়ুমণ্ডল (দ্বিতীয় অধ্যায়) Click Here
  3. মাধ্যমিক ভূগোল - বারিমন্ডল (তৃতীয় অধ্যায়) Click Here
  4. মাধ্যমিক ভূগোল - বর্জ্য ব্যবস্থাপনা (চতুর্থ অধ্যায়)  Click Here
[5] ভারতের ভূগোল ও অর্থনৈতিক ভূগোল
  • মাধ্যমিক ভূগোল - ভারত : ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ  /  ভারতের প্রাকৃতিক পরিবেশ Click Here
  • মাধ্যমিক ভূগোল - ভারত : ভারতের অর্থনৈতিক বিভাগ / ভারতের অর্থনৈতিক পরিবেশ Click Here
6.    মাধ্যমিক ভূগোল - উপগ্রহ ও ভূ – বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র (ষষ্ঠ অধ্যায়) Click Here

*** মাধ্যমিক ভূগোল - মানচিত্র ভূগোল – মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন 2025/2026/2027/2028/2029/2030  Click Here


Related searches
দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন উত্তর / ক্লাস 10 ভূগোল অধ্যায় 1 প্রশ্ন এবং উত্তর / দশম শ্রেণীর প্রশ্ন উত্তর ভূগোল / দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন উত্তর তৃতীয় অধ্যায় / দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন উত্তর চতুর্থ অধ্যায় / দশম শ্রেণীর ভূগোল পঞ্চম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর / দশম শ্রেণীর ভূগোল দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর / দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন উত্তর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা / Bajro Bebosthapona / দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন উত্তর 2023, 2024, 2025, 2026, 2027, 2028, 2029, 2030, 2031, 2032, 2033, 2034, 2035, 2036, 2037, 2038, 2039, 2040 /  দশম শ্রেণীর ভূগোল দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর / দশম শ্রেণীর প্রশ্ন উত্তর ভূগোল / দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন উত্তর দশম অধ্যায় / দশম শ্রেণীর ভূগোল বই pdf / দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন উত্তর তৃতীয় অধ্যায় / দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন উত্তর পঞ্চম অধ্যায় / দশম শ্রেণীর ভূগোল বই

Some Information about this article  : 

WBBSE Class 10th Geography Question and Answer  | West Bengal West Bengal Class Ten X (Class 10th) Geography Qustions and Answers with Suggestion 

দশম শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন প্রশ্ন ও উত্তর   
” দশম শ্রেণীর  ভূগোল – প্রশ্ন উত্তর  “ সমস্ত অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর দশম শ্রেণীর পরীক্ষা (West Bengal Class Ten X  / WB Class 10  / WBBSE / Class 10  Exam / West Bengal Board of Secondary Education – WB Class 10 Exam / Class 10 Class 10th / WB Class X / Class 10 Pariksha  ) এখান থেকে প্রশ্ন অবশ্যম্ভাবী । সে কথা মাথায় রেখে geographybd.in এর পক্ষ থেকে দশম শ্রেণীর ভূগোল পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং প্রশ্ন ও উত্তর (Class 10 Geography Suggestion / Class 10 Geography Question and Answer / Class X Geography Suggestion / Class 10 Pariksha Geography Suggestion  / Geography Class 10 Exam Guide  / Class 10th Geography MCQ , Short , Descriptive  Type Question and Answer  / Class 10 Geography Suggestion  FREE PDF Download) উপস্থাপনের প্রচেষ্টা করা হলাে। ছাত্রছাত্রী, পরীক্ষার্থীদের উপকারেলাগলে, আমাদের প্রয়াস দশম শ্রেণীর ভূগোল পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং প্রশ্ন ও উত্তর (Class 10 Geography Suggestion / West Bengal Six X Question and Answer, Suggestion / WBBSE Class 10th Geography Suggestion  / Class 10 Geography Question and Answer  / Class X Geography Suggestion  / Class 10 Pariksha Suggestion  / Class 10 Geography Exam Guide  / Class 10 Geography Suggestion 2021 , 2022, 2023, 2024, 2025, 2026, 2027, 2028, 2029, 2030, 2021, 2020, 2019, 2017, 2016, 2015, 2031, 2032, 2033, 2034, 2035, 2036, 2037, 2038, 2039, 2040 /  Class 10 Geography Suggestion  MCQ , Short , Descriptive  Type Question and Answer. / Class 10 Geography Suggestion  FREE PDF Download) সফল হবে।

দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর  

দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Class 10 Geography Question and Answer Suggestion  দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর।

দশম শ্রেণীর ভূগোল MCQ প্রশ্ন ও উত্তর

দশম শ্রেণীর ভূগোল MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | Class 10 Geography MCQ or Multiple Choice Question and Answer |  দশম শ্রেণীর ভূগোল MCQ প্রশ্ন উত্তর। (MINOR HEADING)

দশম শ্রেণীর ভূগোল SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | দশম শ্রেণীর ভূগোল

দশম শ্রেণীর ভূগোল SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | Class 10 Geography Short Question and Answer |  দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর  – SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর।

দশম শ্রেণীর ভূগোল DTQ বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | ষষ্ঠ শ্রেণী ভূগোল

দশম শ্রেণীর ভূগোল – DTQ বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর | Class 10 Geography Suggestion  দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর  – DTQ বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর।

পশ্চিমবঙ্গ দশম শ্রেণীর ভূগোল  – প্রশ্ন উত্তর | West Bengal Class 10th Geography 

দশম শ্রেণীর ভূগোল (Class 10 Geography) – – প্রশ্ন ও উত্তর | | Class 10 Geography Suggestion  দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর  – প্রশ্ন উত্তর ।

দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর  | ষষ্ঠ শ্রেণি ভূগোল | WB Class 10 Geography Question and Answer, Suggestion

দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – | দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – | পশ্চিমবঙ্গ দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – | দশম শ্রেণীর ভূগোল সহায়ক প্রশ্ন ও উত্তর । WB Class 10 Geography Question and Answer, Suggestion | WBBSE Class 10th Geography Suggestion  | WB Class 10 Geography Question and Answer Notes  | West Bengal WB Class 10th Geography Question and Answer Suggestion. 

দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | WBBSE Class 10 Geography Question and Answer, Suggestion 

দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Class 10 Geography Suggestion. দশম শ্রেণীর ভূগোল সহায়ক প্রশ্ন ও উত্তর । Class 10 Geography Question and Answer, Suggestion.

Class 10 Geography Question and Answer Suggestions  | দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | ষষ্ঠ শ্রেণি ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর 

Class 10 Geography Question and Answer  দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর  Class 10 Geography Question and Answer দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – MCQ, সংক্ষিপ্ত, রোচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর  । 

WBBSE Class 10th Geography Suggestion  | দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর 

WBBSE Class 10th Geography Suggestion দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর । WBBSE Class 10th Geography Suggestion  দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর।

West Bengal Class 10  Geography Suggestion  Download. WBBSE Class 10th Geography short question suggestion  . Class 10 Geography Suggestion   download. Class 10th Question Paper  Geography. WB Class 10  Geography suggestion and important question and answer. Class 10 Suggestion pdf.

পশ্চিমবঙ্গ দশম শ্রেণীর  ভূগোল পরীক্ষার সম্ভাব্য সাজেশন ও শেষ মুহূর্তের প্রশ্ন ও উত্তর ডাউনলোড। দশম শ্রেণীর ভূগোল পরীক্ষার জন্য সমস্ত রকম গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর।

Get the WBBSE Class 10th Geography Question and Answer by geographybd.in

WBBSE Class 10th Geography Question and Answer prepared by expert subject teachers. WB Class 10  Geography Suggestion with 100% Common in the Examination .

Class 10th Geography Syllabus

West Bengal Board of Secondary Education (WBBSE) Class 10th Geography Syllabus with all the important chapters and marks distribution. Download the Class 10th Geography Syllabus and Question Paper. Questions on the Geography exam will come from these chapters. All the chapters are equally important, so read them carefully.

WB Class 10th Geography Syllabus Free Download Link Click Here 

Class 10th Madhyamik  X Geography Suggestion | West Bengal WBBSE Class 10 Exam 
Class 10 Geography Question and Answer, Suggestion Download PDF: WBBSE Class 10th Madhyamik  X Geography Suggestion  is proXded here. West Bengal Class 10th Geography Suggestion Questions Answers PDF Download Link in Free has been given below. 

দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | WBBSE Class 10th Geography

আশাকরি তোমাদের মাধ্যমিক ক্লাসের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অধ্যায় থেকে সকল প্রশ্ন ও উত্তর কমপ্লিট হয়েছে। আমরা আমাদের সর্বাঙ্গীণ প্রচেষ্টা করেছি তোমাদের এই দশম শ্রেণীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অধ্যায় থেকে সব প্রশ্ন উত্তর দেওয়ার জন্য, এখন কাজ হল তোমাদের বাড়িতে পড়ার । পড়তে থাকো , প্র্যাকটিস করতে থাকো, প্র্যাকটিস মানুষকে উত্তম করে তোলে। যত পড়বে তত শিখবে, ততই জ্ঞানী হবে। 

তোমাদের মাধ্যমিক ক্লাসের  বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অধ্যায়ের প্রাকটিসের জন্য আমাদের কুইজে অংশগ্রহণ করতে পারো, সম্পূর্ণ ফ্রিতে, নিচে লিঙ্ক দেওয়া আছে কুইজে অংশ নিতে পারো।

ক্লাস মাধ্যমিক এর অন্যান্য অধ্যায় গুলি সম্পর্কে আরও পড়তে চাইলে নিচে অধ্যায় অনুযায়ী লিঙ্ক দেওয়া আছে, লিঙ্কে ক্লিক করে ক্লাস মাধ্যমিক এর অন্য অধ্যায় গুলি পড়ে নাও। আমাদের পরিসেবা তোমাদের ভালো লাগলে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি ফলো করতে পারো।

Post a Comment

0 Comments

Top Post Ad

Below Post Ad