Type Here to Get Search Results !

মাধ্যমিক ভূগোল – "বায়ুমণ্ডল" (দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Chapter 2 Bayu Mandal Question and Answer | Class 10 Geography 2nd Chapter Question Answer

দশম শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন – বায়ুমণ্ডল / Bayu Mandal – সমস্ত প্রশ্ন উত্তর | বায়ুমণ্ডল / Bayu Mandal অধ্যায়ের সাজেশন প্রশ্ন উত্তর | WBBSE Class 10 Madhyamik Geography Chapter 2 Question and Answer | WBBSE Class 10th Geography Suggestion PDF | Madhyamik Geography Suggestion Chapter 2 | বায়ুমণ্ডল / Bayu Mandal (দ্বিতীয় অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর

West Bengal  Class 10 Geography Solution Chapter 2

West Bengal  Board Class 10 Geography (ভূগোল) Textbook Solution Chapter 2 বায়ুমণ্ডল / Bayu Mandal / Atmosphere  Question Answers by WBBSE Expert Teacher. West Bengal Board Class 10 Geography Solution Chapter 2.

500+ দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর / বায়ুমণ্ডল (দ্বিতীয় অধ্যায়) MCQ, সংক্ষিপ্ত, অতি সংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর | দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – West Bengal Class 10th Geography Question and Answer

হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছো তোমরা ? আশাকরি তোমরা খুব ভালো আছো । আজকে আমরা আলোচনা করবো তোমাদের দশম ক্লাসের দ্বিতীয় অধ্যায় বায়ুমণ্ডল সম্পর্কে । এই দ্বিতীয় অধ্যায়টি তোমাদের পরীক্ষার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ তাই দ্বিতীয় অধ্যায় এর বায়ুমণ্ডল বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আমরা এই লিখাটির মাধ্যমে দশম শ্রেণীর  দ্বিতীয় অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর, এই বায়ুমণ্ডল অধ্যায়ের সাজেশন , কিকরে এই অধ্যায় থেকে উত্তর লিখতে হয়। দশম শ্রেণীর বায়ুমণ্ডল অধ্যায় থেকে কিভাবে পড়বে সবকিছুই আলোচনা করবো। 

দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | WBBSE Class 10th Geography Question and Answer / দশম শ্রেণীর ভূগোল – বায়ুমণ্ডল (দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Class 10 Geography / দশম শ্রেণীর ভূগোল – দ্বিতীয় অধ্যায় "বায়ুমণ্ডল" প্রশ্ন ও উত্তর | WBBSE Class 10th Geography Question and Answer / মাধ্যমিক শ্রেণীর ভূগোল (দ্বিতীয় অধ্যায়) বায়ুমণ্ডল প্রশ্ন উত্তর (MCQ, SAQ, LAQ)/Class 10 geography Second chapter questions and Answers (MCQ, SAQ, LAQ) / মাধ্যমিক শ্রেণীর আমাদের পৃথিবী দ্বিতীয় অধ্যায় বায়ুমণ্ডল | Class Ten Amader Prithibi / দশম শ্রেণীর ভূগোল – বায়ুমণ্ডল (দ্বিতীয় অধ্যায়)

বায়ুমণ্ডল / Bayu Mandal (দ্বিতীয় অধ্যায়) MCQ, সংক্ষিপ্ত, অতি সংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর | দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – West Bengal Class 10th Geography Question and Answer
মাধ্যমিক ভূগোল – "বায়ুমণ্ডল" (দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Chapter 2 Bayu Mandal Question and Answer

দশম শ্রেণীর ভূগোল All Chapters | মাধ্যমিক ভূগোল সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর । Class 10 Geography All Chapter | Class Ten Geography All Chapter 

প্রাকৃতিক ভূগোল 
  1. মাধ্যমিক ভূগোল - বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ (প্রথম অধ্যায়) Click Here 
  2. মাধ্যমিক ভূগোল - বায়ুমণ্ডল (দ্বিতীয় অধ্যায়) Click Here
  3. মাধ্যমিক ভূগোল - বারিমন্ডল (তৃতীয় অধ্যায়) Click Here
  4. মাধ্যমিক ভূগোল - বর্জ্য ব্যবস্থাপনা (চতুর্থ অধ্যায়)  Click Here
[5] ভারতের ভূগোল ও অর্থনৈতিক ভূগোল
  • মাধ্যমিক ভূগোল - ভারত : ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ  /  ভারতের প্রাকৃতিক পরিবেশ Click Here
  • মাধ্যমিক ভূগোল - ভারত : ভারতের অর্থনৈতিক বিভাগ / ভারতের অর্থনৈতিক পরিবেশ Click Here
6.    মাধ্যমিক ভূগোল - উপগ্রহ ও ভূ – বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র (ষষ্ঠ অধ্যায়) Click Here

*** মাধ্যমিক ভূগোল - মানচিত্র ভূগোল – মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন 2025/2026/2027/2028/2029/2030  Click Here

দশম শ্রেণীর ভূগোল – বায়ুমণ্ডল / Bayu Mandal (দ্বিতীয় অধ্যায়) সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো । WBBSE Class 10th Geography 2nd Chapter MCQ Questions and Answers

সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো | MCQ Questions and Answers (Class Ten geography Second chapter)

সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো ; প্রতিটি প্রশ্নের মান -১

১. স্থলবায়ুর বেগ বেশি হয়-
a. ভোরবেলা
b. সন্ধ্যাবেলা
c. দুপুরবেলা
d. বিকেলবেলা
উত্তরঃ-    a. ভোরবেলা

২. কোরিওলিস শক্তির প্রভাবে বায়ুর
a. চাপের পরিবর্তন হয়
b. গতিবেগের পরিবর্তন হয়
c. দিকবিক্ষেপ হয়
d. উষ্ণতার পরিবর্তন হয
উত্তরঃ-    c. দিকবিক্ষেপ হয়

৩. নীচের কোন্‌ বায়ুটি নিয়ত বায়ুপ্রবাহ নয় ?
a. পশ্চিমা বায়ু
b. মেরু বায়ু
c. আয়ন বায়ু
d. সমুদ্রবায়ু
উত্তরঃ-    d. সমুদ্রবায়ু

৪. যে বায়ুপ্রবাহ সারাবছর একই দিকে, একই গতিতে প্রবাহিত হয় সেটি হল-
a. আকস্মিক বায়ু
b. নিয়ত বায়ু
c. স্থানীয় বায়ু
d. সাময়িক বায়ু
উত্তরঃ-    b. নিয়ত বায়ু

৫. সমুদ্রবায়ু, স্থলবায়ু একধরণের-
a. স্থানীয় বায়ু
b. আকস্মিক বায়ু
c. সাময়িক বায়ু
d. নিয়ত বায়ু
উত্তরঃ-    c. সাময়িক বায়ু

৬. একটি আকস্মিক বায়ু-
a. টর্নেডো
b. মৌসুমি বায়ু
c. লু
d. সমুদ্রবায়ু
উত্তরঃ-    a. টর্নেডো

৭. সমুদ্রবায়ু ও স্থলবায়ুর বৃহৎ সংস্করণ বলা হয়
a. মৌসুমি বায়ুকে
b. নিয়ত বায়ুকে
c. কালবৈশাখীকে
d. আয়ন বায়ুকে
উত্তরঃ-    a. মৌসুমি বায়ুকে

৮. ঘূর্নবাতের কেন্দ্রে সবসময় থাকে
a. সমচাপ
b. নিম্নচাপ
c. উচ্চচাপ
d. চাপহীন
উত্তরঃ-    b. নিম্নচাপ

৯. প্রতীপ ঘূর্নবাতের কেন্দ্রে সবসময়
a. সমচাপ
b. নিম্নচাপ
c. উচ্চচাপ
d. চাপহীন
উত্তরঃ-    c. উচ্চচাপ

১০. চিনুক বায়ু কোন পার্বত্য অঞ্চলে প্রবাহিত হয়
a. আল্পস
b. রকি
c. আন্দিজ
d. হিমালয়
উত্তরঃ-    b. রকি

১১. একটি শীতল স্থানীয় বায়ু হল
a. লু
b. খামসিন
c. পম্পেরো
d. সিরোক্কো
উত্তরঃ-    c. পম্পেরো

১২. জেট বায়ু অবস্থান করে ভূপৃষ্ঠ থেকে-
a. 1-2 কিমি ওপরে
b. 5-8 কিমি ওপরে
c. 9-12 কিমি ওপরে  
d. 15 কিমি ওপরে
উত্তরঃ-    c. 9-12 কিমি ওপরে  

১৩. উঁচু আকাশের পশ্চিমা বায়ু হল
a. আয়ন বায়ু
b. পশ্চিমা বায়ু
c. ট্রপোপজ
d. জেট বায়ু
উত্তরঃ-    d. জেট বায়ু

১৪. জেট বায়ু একধরণের
a. জিওস্ট্রফিক বায়ু
b. নিয়ত বায়ু
c. আকস্মিক বায়ু
d. স্থানীয় বায়ু
উত্তরঃ-    a. জিওস্ট্রফিক বায়ু

১৫. ফাইলিন, হুদহুদ এক ধরনের
a. উপক্রান্তীয় ঘূর্নবাত
b. ক্রান্তীয় ঘূর্নবাত
c. পশ্চিমা বায়ু
d. স্থানীয় বায়ু
উত্তরঃ-    b. ক্রান্তীয় ঘূর্নবাত

১৬. লোয়েস সমভূমি দেখা যায়—
(A) হোয়াংহো
(B) ইংয়াংসিকিয়াং
(C) আমুর অববাহিকা
(D) নীলনদের অববাহিকা
উত্তরঃ-    (A) হোয়াংহো

১৭. ‘ Defiation ‘ বলতে বোঝায় বায়ুর 
(A) অপসারণ প্রক্রিয়া
(B) অবঘর্ষ প্রক্রিয়া
(C) ঘর্ষণ প্রক্রিয়া
(D) লম্ফদান প্রক্রিয়া
উত্তরঃ-    (A) অপসারণ প্রক্রিয়া

১৮. বায়ুপ্রবাহে বাহিত ছোটো শিলাখণ্ডের পারস্পরিক ঠোকাঠুকিকে বলে –
(A) অপসারণ 
(B) ঘর্ষণ
(C) অবঘর্ষ
(D) উপলেপন
উত্তরঃ-    (B) ঘর্ষণ

১৯. কোন্ প্রক্রিয়ায় বায়ুপ্রবাহের দ্বারা শিলাস্তরে আঁচড়কাটার মতো দাগ পড়ে –
(A) অবঘর্ষ প্রক্রিয়া
(B) ঘর্ষণ প্রক্রিয়া 
(C) অপসারণ প্রক্রিয়া
(D) অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায়
উত্তরঃ-    (A) অবঘর্ষ প্রক্রিয়া

২০. মরুভূমির শুষ্ক নদীখাতকে কী বলে ?
(A) বোলসন
(B) ওয়াদি
(C) বাজাদা
(D) ধান্দ
উত্তরঃ-    (B) ওয়াদি

২১. বায়ুমণ্ডলে সবচেয়ে ওপরে যে স্তর রয়েছে তা হল-
a. ম্যাগনেটোস্ফিয়ার
b. আয়নোস্ফিয়ার
c. মেসোস্ফিয়ার
d. ট্রপোস্ফিয়ার
উত্তরঃ-    a. ম্যাগনেটোস্ফিয়ার

২২. ওজোন গহ্বর তৈরি হয়েছে-
a. নিরক্ষীয় অঞ্চলে
b. সুমেরু অঞ্চলে
c. কুমেরু অঞ্চলে
d. ক্রান্তীয় অঞ্চলে
উত্তরঃ-    c. কুমেরু অঞ্চলে

২৩. বেতার তরঙ্গ প্রতিফলিত হয়-
a. মেসোস্ফিয়ারে 
b. ম্যাগনেটোস্ফিয়ারে
c. থার্মোস্ফিয়ারে
d. ট্রপোস্ফিয়ারে
উত্তরঃ-    c. থার্মোস্ফিয়ারে

২৪. বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ-
a. 0.03 শতাংশ 
b. 0.01 শতাংশ
c. 0.02 শতাংশ
d. 0.33 শতাংশ
উত্তরঃ-    a. 0.03 শতাংশ 

২৫. বায়ুমণ্ডলের নীচের স্তরে জলীয়বাস্পের পরিমাণ-
a. কম
b. সবচেয়ে বেশি
c. সবচেয়ে কম
d. সামান্য বেশি
উত্তরঃ-    b. সবচেয়ে বেশি

২৬. বায়ুমণ্ডলের হেটেরোস্ফিয়ারের সর্বোচ্চ অংশ-
a. হিলিয়াম স্তর
b. পারমাণবিক হাইড্রোজেন স্তর
c. পারমাণবিক অক্সিজেন স্তর
d. অজৈব নাইট্রোজেন স্তর
উত্তরঃ-    b. পারমাণবিক হাইড্রোজেন স্তর

২৭. পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা-
a. 10 সে
b. 15 সে
c. 20 সে
d. 5 সে
উত্তরঃ-    b. 15 সে

২৮. পৃথিবীর গড় অ্যালবেডো-
a. 34 শতাংশ
b. 40 শতাংশ
c. 50 শতাংশ
d. 66 শতাংশ
উত্তরঃ-    a. 34 শতাংশ

২৯. যে পরিমাণ সৌরশক্তি বায়ুমণ্ডল ও ভূপৃষ্ঠ সরাসরি মহাশূন্যে ফিরিয়ে দেয়-
a. 30%
b. 35%
c. 64%
d. 34%
উত্তরঃ-    d. 34%

৩০. নিরক্ষরেখা থেকে উত্তরদিকে যে সমোষ্ণরেখাকে উষ্ণমণ্ডলের সীমারেখা ধরা হয়-
a. 27% সে
b. 30% সে
c. 32% সে
d. 35% সে
উত্তরঃ-    a. 27% সে

৩১. পৃথিবীর আগত সুর্যরশ্নির প্রতক্ষ্যভাবে শোষণ করে-
a. 19 ভাগ
b. 47 ভাগ
c. 23 ভাগ
d. 5 ভাগ
উত্তরঃ-    a. 19 ভাগ

৩২. পৃথিবীর সৌর ধ্রুবকের পরিমাণ প্রতি মিনিটে-
a. 19.5 ক্যালোরি/বর্গকিমি
b. 1.94 ক্যালোরি/বর্গকিমি
c. 2.5 ক্যালোরি/বর্গকিমি
d. 20.5 ক্যালোরি/বর্গকিমি
উত্তরঃ-    b. 1.94 ক্যালোরি/বর্গকিমি

৩৩. কার্যকরী সৌররশ্নির পরিমাণ হল-
a. 34%
b. 47%
c. 66%
d. 76%
উত্তরঃ-    c. 66%

৩৪. সমান উষনতাযুক্ত স্থানাবিন্দুর সংযোগকারী রেখা হল-
a. সময়রেখা
b. সমচাপরেখা
c. সমবর্ষণরেখা
d. ভোরবেলা
উত্তরঃ-    a. সময়রেখা

৩৫. সবচেয়ে কম উষ্ণতা থাকে-
a. দুপুরে
b. বিকালে
c. সন্ধ্যাবেলা
d. ভোরবেলা
উত্তরঃ-    d. ভোরবেলা

৩৬. সুর্যের আলো লম্বভাবে পড়লে তাপমাত্রা-
a. বেড়ে যায়
b. কমে যায়
c. একই থাকে
d. কোনোটিই নয়
উত্তরঃ-    a. বেড়ে যায়

৩৭. সমোয়রেখাগুলির বক্রতা বেশি-
a. উত্তর গোলার্ধে
b. দক্ষিন গোলার্ধে
c. পূর্ব গোলার্ধে 
d. পশ্চিম গোলার্ধে
উত্তরঃ-    a. উত্তর গোলার্ধে

৩৮. বালির মধ্যে কোন্ খনিজ বেশি পরিমাণে থাকে ?
(A) সিলিকন
(B) কোয়ার্টজ
(C) ফেল্ডস্পার
(D) মাইকা
উত্তরঃ-    (B) কোয়ার্টজ

৩৯. বালুকাপূর্ণ মরুভূমিকে সাহারায় বলে –
(A) কুম 
(B) হামাদা
(C) রেগ
(D) আর্গ
উত্তরঃ-    (D) আর্গ

৪০. জেট বায়ুর গতিবেগ ঘণ্টায়-
a. 20-30 কিমি
b. 30-40 কিমি
c. 50-100 কিমি
d. 100-500 কিমি
উত্তরঃ-    d. 100-500 কিমি

৪১. একটি উষ্ণ স্থানীয় বায়ু হল
a. বোরা
b. চিনুক
c. কালবৈশাখী
d. পম্পেরো
উত্তরঃ-    b. চিনুক

৪২. ক্যারিবিয়ান সাগরে সৃষ্ট ঘূর্নবাতের নাম-
a. হ্যারিকেন
b. সাইক্লোন
c. টাইফুন
d. খামসিন
উত্তরঃ-    a. হ্যারিকেন

৪৩. বায়ুচাপের তারতম্য হলে-
a. বৃষ্টিপাত হয়
b. বায়ুপ্রবাহ সৃষ্টি হয়
c. তুষারপাত হয়
d. কোনোটিই হয় না
উত্তরঃ-    b. বায়ুপ্রবাহ সৃষ্টি হয়

৪৪. উষ্ণ এবং আর্দ্র বায়ুর চাপ হল-
a. কম
b. খুব কম  
c. বেশি
d. খুব বেশি
উত্তরঃ-    a. কম

৪৫. অ্যানিমোমিটারের সাহায্যে পরিমাণ করা যায়
a. বায়ুর চাপ
b. বায়ুপ্রবাহের দিক
c. বায়ুপ্রবাহের গতিবেগ
d. কোনটিই নয়
উত্তরঃ-    c. বায়ুপ্রবাহের গতিবেগ

৪৬. পৃথিবীর জলরাশির চক্রাকার আবর্তনের নাম-
a. নদী
b. বাষ্পীভবন
c. জলচক্র
d. তুষার
উত্তরঃ-    c. জলচক্র

৪৭. যে প্রক্রিয়ায় মাটির জল নীচে প্রবেশ করে তাকে বলে-
a. অনুস্রাবন
b. ঘনীভবন
c. সঞ্চয়ন
d. বাষ্পীভবন
উত্তরঃ-    a. অনুস্রাবন

৪৮. জলচক্র না থাক্ল;এ পৃথিবীতে কী ঘটত না ?
a. জলের আবর্তন
b. জলের সঞ্চয়
c. জলের বাষ্পীভবন
d. জলীয়বাষ্পের ঘনীভবন
উত্তরঃ-    a. জলের আবর্তন

৪৯.  জলচক্রের প্রধান গুরুত্ব হল-
a. বৃষ্টিপাত সংগঠন
b. তুষারপাত সংগঠন
c. ভৌমজলের সঞ্চয়
d. জলের আবর্তন
উত্তরঃ-    d. জলের আবর্তন

৫০. জলীয়বাষ্পপূর্ন বায়ু বিশুদ্ধ বায়ুর থেকে
a. ভারী
b. হালকা
c. একই রকম
d. কোনটিই নয়
উত্তরঃ-    b. হালকা

৫১. আমাদের ঘাম হওয়ার কারন-
a. বৃষ্টিপাত
b. বাতাসে জলীয়বাষ্পের উপস্থিতি
c. বায়ুপ্রবাহ
d. মেঘাচ্ছন্নতা
উত্তরঃ-    b. বাতাসে জলীয়বাষ্পের উপস্থিতি

৫২. শীতকালে আমাদের ত্বক রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যায় কারন
a. জলীয়বাষ্প খুব বেশি থাকে
b. জলীয়বাষ্প খুব কম থাকে
c. বায়ুর উষ্ণতা হ্রাস পায় বলে
d. কোনোটিই নয়
উত্তরঃ-    b. জলীয়বাষ্প খুব কম থাকে

৫৩. বায়ুতে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ নির্ভর করে প্রধানত কোন্‌ বিষয়ের ওপর
a. জলভাগ ও স্থলভাগের বণ্টন
b. বায়ুপ্রবাহ
c. অক্ষাংশ
d. মানুষের কার্যাবলি
উত্তরঃ-    a. জলভাগ ও স্থলভাগের বণ্টন

৫৪. বায়ুতে জলীয়বাষ্প বেশি থাকলে বাষ্পীভবন ধারন ক্ষমতা
a. বেশি হয়
b. কমে যায়
c. একই থাকে
d. কোনো প্রভাব ফেলে না
উত্তরঃ-    b. কমে যায়

৫৫. বায়ুর উষ্ণতা বেড়ে গেলে জলীয়বাষ্প ধারন ক্ষমতা-
a. বেড়ে যায়
b. কমে যায়
c. একই থাকে
d. মাঝারি হয়
উত্তরঃ-    a. বেড়ে যায়

৫৬. পরিপৃক্ত বায়ুর উষ্ণতা শিশিরাঙ্কের নীচে নেমে গেলে কী হয়?
a. বাষ্পীভবন
b. অধঃক্ষেপণ
c. ঘনীভবন
d. তুষারপাত
উত্তরঃ-    c. ঘনীভবন

৫৭.  জলীয়বাষ্প ঘনীভূত হয়ে জলকণায় পরিণত হওয়ার সময় লীন তাপ-
a. ত্যাগ করে
b. গ্রহণ করে
c. কখনও গ্রহণ করে, কখনও ত্যাগ করে
d. জলীয়বাষ্পের ঘনীভবনের সঙ্গে লীন তাপ সম্পর্কিত নয়
উত্তরঃ-    a. ত্যাগ করে

৫৮.  পরিপৃক্ত বায়ুর আর্দ্রতা হল-
a. 40%
b. 100%
c. 10%
d. 85%
উত্তরঃ-    b. 100%

৫৯.  সম্পৃক্ত বায়ুর আপেক্ষিক আর্দ্রতা হল-
a. 70%
b. 80%
c. 90%
d. 100%
উত্তরঃ-    d. 100%

৬০. বৃষ্টিপাত মাপার যন্ত্রটি হল
a. অ্যানিমোমিটার
b. ব্যারোমিটার
c. বৃষ্টিমাপক যন্ত্র বা রেন গজ
d. বাত পতাকা
উত্তরঃ-    c. বৃষ্টিমাপক যন্ত্র বা রেন গজ

৬১. নিরক্ষীয় অঞ্চলে যে ধরনের বৃষ্টিপাত হয়, তা হল-
a. পরিচলন বৃষ্টি
b. শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টি
c. ঘূর্নবাত বৃষ্টি
d. শিলাবৃষ্টি
উত্তরঃ-    a. পরিচলন বৃষ্টি

৬২. চেরাপুঞ্জির বৃষ্টিপাত কোন্‌ প্রকার?
a. পরিচলন বৃষ্টি
b. শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টি
c. ঘূর্নবাত বৃষ্টি
d. শিলাবৃষ্টি
উত্তরঃ-    b. শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টি

৬৩. মানচিত্রে সমান বৃষ্টিপাতযুক্ত স্থানগুলিকে যে রেখার সাহায্যে দেখানো হয় তাকে বলা হয়
a. সমোষ্ণ রেখা
b. সমবর্ষন রেখা
c. সমপ্রেষ রেখা
d. সমোচ্চ রেখা
উত্তরঃ-    b. সমবর্ষন রেখা

৬৪. সীমান্ত বৃষ্টি ঘটে-
a. নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্নবাতজনিত বৃষ্টিতে
b. ক্রান্তীয় ঘূর্নবাতজনিত বৃষ্টিতে
c. পরিচলন বৃস্তিপাতে
d. শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিতে
উত্তরঃ-    a. নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্নবাতজনিত বৃষ্টিতে

৬৫. পশ্চিমি ঝঞ্ঝায় যে বৃষ্টিপাত হয় তা হল একধরণের-
a. পরিচলন বৃষ্টিপাত
b. ঘূর্নবাতজনিত বৃষ্টিপাত
c. শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত
d. নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্নবাত বৃষ্টিপাত
উত্তরঃ-    b. ঘূর্নবাতজনিত বৃষ্টিপাত

৬৬. ভারতেরে একটি বৃস্তিচ্ছায় অঞ্চল হল
a. পশ্চিমঘাট পর্বতের পশ্চিম ঢাল
b. পূর্বঘাট পর্বতের পূর্ব ঢাল
c. হিমালয়ের দক্ষিণ ঢাল
d. শিলং
উত্তরঃ-    d. শিলং

৬৭. আপেক্ষিক আর্দ্রতা মাপা হয় যে যন্ত্রের সাহায্যে
a. হাইগ্রোমিটার
b. ব্যারোমিটার
c. থার্মোমিটার
d. অল্টিমিটার
উত্তরঃ-    a. হাইগ্রোমিটার

৬৮. মেঘাচ্ছন্নতার হিসাব করা হয় যে এককেরে সাহায্যে-
a. নিম্বো
b. সিরো
c. অকটা
d. অল্টো
উত্তরঃ-    c. অকটা

৬৯. যে অঞ্চলটিতে উষন-আর্দ্র নিরক্ষীয় জলবায়ু দ্যাখা যায় সেটি হল
a. ভারত
b. বাংলাদেশ
c. সৌদি আরব
d. ইন্দোনেশিয়া
উত্তরঃ-    d. ইন্দোনেশিয়া

৭০.  যে জলবায়ুতে চিরহরিৎ গাছ জন্মায় সেটি হল-
a. মৌসুমি
b. মরু
c. নিরক্ষীয়
d. স্তেপ
উত্তরঃ-    c. নিরক্ষীয়

৭১. উত্তর গোলার্ধে বায়ুপ্রবাহের দিকে পেছন করে দাঁড়ালে ডানদিকের থেকে বাঁদিকের বায়তে কম চাপ থাকে। একে বলে-
(A) ফেরেলের সূত্র     
(B) কোরিওলিস বল 
(C) বাইস ব্যালটসূত্র      
(D) কোনােটিই সঠিক নয়।
উত্তরঃ-   (C) বাইস ব্যালটসূত্র

৭২. কোরিওলিস শক্তির প্রভাবে বায়ুর –
(A) দিক বিক্ষেপ হয়।     
(B) গতিবেগের পরিবর্তন হয়     
(C) চাপের পরিবর্তন হয় 
(D) কোনোটিই হয় না 
উত্তরঃ-   (A) দিক বিক্ষেপ হয়
 
৭৩. ‘লু’বাতাস প্রবাহিত হয় যে ঋতুতে
(A) বর্ষাকালে      
(B) শীতকালে 
(c) বসন্তকালে      
(D) গ্রীষ্মকালে
উত্তরঃ-   (D) গ্রীষ্মকালে
 
৭৪. ‘লু’ একটি
(A) স্থানীয় বায়ু     
(B) অনিয়মিত বায়ু 
(C) নিয়মিত বায়ু     
(D) সাময়িক বায়ু
উত্তরঃ-   (A) স্থানীয় বায়ু
 
৭৫. উত্তর-পূর্ব আয়নবায়ুর গতিবেগ ঘণ্টায়
(A) 10 কিমি     
(B) 15 কিমি 
(C) 16 কিমি     
(D) 40 কিমি
উত্তরঃ-   (C) 16 কিমি
 
৭৬. দক্ষিণ-পূর্ব আয়নবায়ুর গতিবেগ ঘণ্টায়
(A) 12 কিমি     
(B) 22 কিমি 
(C) 32 কিমি     
(D) 42 কিমি।
উত্তরঃ-   (B) 22 কিমি

৭৭. দিনেরবেলা উম্ন ও হালকা বায়ু পর্বতের ঢাল বেয়ে ওপরের দিকে উঠলে তাকে বলে—
(A) ‘লু বায়ু।     
(B) ক্যাটাবেটিক বায়ু     
(C) অ্যানাবেটিক বায়ু 
(D) হ্যারিকেন বায়ু
উত্তরঃ-    অ্যানাবেটিক বায়ু

৭৮. বৃষ্টিপাত পরিমাপের একক হল—
(A) মিটার-ফুট     
(B) সেমি বা ইঞি   
(C) গ্রাম 
(D) কিলোগ্রাম 
উত্তরঃ-   (B) সেমি বা ইঞি

৭৯. মেঘ থেকে ভূপৃষ্ঠের জলকণা ও বরফকণার পতনকে বলে—
(A) তুষারপাত     
(B) শিলাবৃষ্টি   
(C) বৃষ্টিপাত 
(D) অধঃক্ষেপণ
উত্তরঃ-   (D) অধঃক্ষেপণ

৮০. বৃষ্টিপাত পরিমাপ করার যন্ত্রের নাম—
(A) রেনগেজ বা বৃষ্টিমাপক যন্ত্র     
(B) ব্যারোমিটার 
(C) হাইগ্রোমিটার     
(D) থার্মোমিটার
উত্তরঃ-   (A) রেনগেজ বা বৃষ্টিমাপক যন্ত্
 
৮১. ভুমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চলে যে সময় বৃষ্টিপাত হয়-
a. গ্রীষ্মকালে  
b. বর্ষাকালে
c. শীতকালে
d. বসন্তকালে
উত্তরঃ-    c. শীতকালে

৮২. চিনদেশীয় জলবায়ু দেখা যায়-
a. মরক্কোতে
b. অস্ট্রেলিয়ার পার্থ- এ
c. অস্ট্রেলিয়ার পূর্বভাগে
d. ভারতে
উত্তরঃ-    c. অস্ট্রেলিয়ার পূর্বভাগে

৮৩. যে লেখচিত্রের উষ্ণতার নির্দেশক রেখাটি উত্তল, সেটি অবশ্যই যে গোলার্ধের হবে, তা হল
a. উত্তর গোলার্ধ
b. দক্ষিন গোলার্ধ
c. পূর্ব গোলার্ধ
d. পশ্চিম গোলার্ধ
উত্তরঃ-    a. উত্তর গোলার্ধ

৮৪. সারাবছর উষ্ণতা বেশি এবং সামান্য বৃষ্টিপাতের লেখচিত্র থেকে বোঝা যায় সেটি যে জলবায়ু অঞ্চলের লেখচিত্র
a. মিরক্ষীয় জলবায়ু
b. মরু জলবায়ু
c. মৌসুমি জলবায়ু
d. তুন্দ্রা জলবায়ু
উত্তরঃ-    b. মরু জলবায়ু

৮৫. পর্ণমোচী উদ্ভিদ জন্মায় এই জলবায়ু অঞ্চলে-
a. আর্দ্র নিরক্ষীয়
b. মৌসুমি
c. উষ্ণ মরু
d. স্তেপ
উত্তরঃ-    b. মৌসুমি

৮৬. উষ্ণতার সঙ্গে আপেক্ষিক আর্দ্রতার সম্পর্ক-
a. ব্যস্তানুপাতিক
b. সমানুপাতিক
c. ধনাত্মক
d. সম্পর্কযুক্ত নয়
উত্তরঃ-    a. ব্যস্তানুপাতিক

৮৭. বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চলে অবস্থিত শহরটি হল—
(A) কালিম্পং     
(B) চেন্নাই 
(C) শিলং     
(D) দন্ডকারণ্য
উত্তরঃ-   (C) শিলং

৮৮. পৃথিবীর বৃহত্তম মরুভূমির নাম –
(A) সাহারা
(B) কালাহারি
(C) থর
(D) আটাকামা
উত্তরঃ-    (A) সাহারা

৮৯. এশিয়ার বৃহত্তম মরুভূমির নাম –
(A) আরব
(B) গোবি
(C) থর
(D) তুর্কিস্তান
উত্তরঃ-    (B) গোবি

৯০. পৃথিবীর শুষ্কতম মরুভূমির নাম –
(A) গোবি
(B) আটাকামা
(C) তুর্কিস্তান
(D) লাডাক
উত্তরঃ-    (B) আটাকামা

৯১. ভারতের কোন্ রাজ্যে বায়ুকার্যের মাধ্যমে ভূমিরূপের পরিবর্তন ঘটে ?
(A) রাজস্থান
(B) উত্তরপ্রদেশ
(C) মধ্যপ্রদেশ
(D) বিহার
উত্তরঃ-    (A) রাজস্থান

৯২. আফ্রিকার মরু অঞ্চলে প্লায়া হ্রদকে বলে— 
(A) ধান্দ 
(B) শস 
(C) স্যালিনা
(D) বোলসন
উত্তরঃ-    (A) ধান্দ

৯৩. রাজস্থানে মরু অঞ্চলে প্লায়া হ্রদকে বলে— 
(A) ধান্দ
(B) ধ্রিয়ান
(C) বোলসন
(D) শটস
উত্তরঃ-    (A) ধান্দ

৯৪. সূর্য থেকে পৃথিবীর দিকে আসা রশ্মির যে অংশ পুনরায় মহাশূন্যে ফেরত যায়, তাকে কী বলে ?
a. অ্যালবেডো
b. বিউফোর্ট
c. বিকিরণ
d. পরিচলন
উত্তরঃ-    a. অ্যালবেডো

৯৫. বায়ুমণ্ডল সর্বাধিক উষ্ণ হয় যে পদ্ধতিতে সেটি হল-
a. পরিচলন
b. পরিবহণ
c. বিকিরণ
d. অ্যাডভেকশন
উত্তরঃ-    c. বিকিরণ

৯৬. পৃথিবীর উষনতম স্থান-
a. ভস্টক
b. জেকোবাবাদ
c. আল আজিজিয়া
d. থর
উত্তরঃ-    c. আল আজিজিয়া

৯৭. অ্যালবেডোর পরিমাণ সবচেয়ে বেশি হয়-
a. বালির ওপর
b. তুষারক্ষেত্রে
c. বনভূমিতে
d. জলভাগের ওপর
উত্তরঃ-    b. তুষারক্ষেত্রে

৯৮. হিমালয় পর্বতের কোন্‌ ঢালে গড় উষ্ণতা বেশি ?
a. উত্তরঢালে
b. দক্ষিনঢালে
c. পূর্বঢালে
d. পশ্চিমঢালে
উত্তরঃ-    b. দক্ষিনঢালে

৯৯. ডিগ্রী ফারেনহাইট স্কেলে হিমাঙ্ক ধরা হয় ।
a. 32 ডিগ্রি
b. 35 ডিগ্রি
c. 27 ডিগ্রি
d. 23 ডিগ্রি
উত্তরঃ-    a. 32 ডিগ্রি

১০০. বায়ুর উষ্ণতা কোন্‌ যন্ত্রের সাহায্যে মাপা হয় ?
a. ব্যারোমিটার
b. অ্যানিমোমিটার
c. থার্মোমিটার
d. ক্যালোরিমিটার
উত্তরঃ-    c. থার্মোমিটার

১০১. এশিয়ায় ‘ Koum desert ‘ বলতে বোঝায় –
(A) বালিময় 
(B) কোণাকার শিলাময় 
(C) প্রস্তরখণ্ডময়
(D) কাদাময় মরুভূমি
উত্তরঃ-    (A) বালিময়

১০২. পৃথিবীর বৃহত্তম অপসারণ সৃষ্ট গর্ত হল –
(A) সম্বর 
(B) কাতারা 
(C) পুষ্কর
(D) কোনোটাই নয়
উত্তরঃ-    (B) কাতারা

১০৩. বায়ু দ্বারা সুক্ষ্ম পীত বালিকণা বহুদুর বাহিত হয়ে সঞ্চিত হলে তাকে বলে –
(A) সিফ
(B) বার্থান
(C) লোয়েস
(D) পেডিমেন্ট
উত্তরঃ-    (C) লোয়েস

১০৪. বায়ুর গতিপথে উল্লম্বভাবে অবস্থিত অর্ধচন্দ্রাকার বালিয়াড়িকে কী বলে ?
(A) বার্খান 
(B) সিফ্
(C) অধিবৃত্তীয়
(D) পেডিমেন্ট 
উত্তরঃ-    (A) বার্খান

১০৫. প্রায় সমতল মরু অঞ্চলে বিক্ষিপ্তভাবে দাঁড়িয়ে থাকা কঠিন শিলা গঠিত টিলাকে বলে –
(A) ইনসেলবার্জ
(B) পেডিমেন্ট 
(C) বাজাদা
(D) গৌর
উত্তরঃ-    (A) ইনসেলবার্জ

১০৬. ইয়ারদাং গড়ে ওঠে কোন্ জলবায়ু অঞ্চলে ? 
(A) আর্দ্র 
(B) শীতল 
(C) উষ্ণ – আর্দ্র
(D) শুষ্ক
উত্তরঃ-    (D) শুষ্ক

১০৭. বায়ুর কাজ সবচেয়ে বেশি দেখা যায় –
(A) উষ্ণ মরুভূমিতে
(B) শীতল মরুভূমিতে
(C) উচ্চ পার্বত্য অঞ্চল
(D) নাতিউচ্চ মালভূমিতে
উত্তরঃ-     উষ্ণ মরুভূমিতে

১০৮. কোন্‌টি উত্তর গোলার্ধের মরুভূমি ?
(A) আটাকামা
(B) কালাহারি
(C) সোনেরান
(D) প্যাটাগোনিয়া
উত্তরঃ-    (C) সোনেরান

১০৯. কোন্‌টি নাতিশীতোয় মরুভূমির অন্তর্গত ।
(A) সাহারা 
(B) কালাহারি
(C) গোবি
(D) থর
উত্তরঃ-    (C) গোবি

১১০. মরুভূমিতে বৃষ্টির পরিমাণ –
(A) < ২৫ সেমি
(B) ৫০-৭৫ সেমি
(C) ৭৫-১০০ সেমি
(D) > ১০০ সেমি 
উত্তরঃ-    (A) < ২৫ সেমি

১১১. প্যাটাগোনিয়া মরুভূমিটি কোন্ মহাদেশে রয়েছে ? 
(A) এশিয়া
(B) আফ্রিকা
(C) অস্ট্রেলিয়া
(D) দক্ষিণ আমেরিকা
উত্তরঃ-    (D) দক্ষিণ আমেরিকা

১১২. কোন্ প্রক্রিয়ায় মরুভূমির বালি উড়ে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয় ?
(A) অবঘর্ষ দিয়ে
(B) ঘর্ষণ ক্ষয়
(C) দ্রবণ
(D) অপবাহন
উত্তরঃ-    (D) অপবাহন

১১৩. পৃথিবীর বড়ো বড়ো মরুভূমি তৈরি হয়েছে-
a. আয়ন বায়ুর গতিপথের পশ্চিমে
b. মেরু বায়ুর প্রবাহ পথে
c. পশ্চিমা বায়ুর পথে
d. লু-এর পুথে
উত্তরঃ-    a. আয়ন বায়ুর গতিপথের পশ্চিমে

১১৪. ITCZ বোলা হও-
a. ক্রান্তীয় অঞ্চলকে 
b. উপক্রান্তীয় অঞ্চলকে
c. নিরক্ষীয় অঞ্চলকে
d. মেরু অঞ্চলকে
উত্তরঃ-    c. নিরক্ষীয় অঞ্চলকে

১১৫. দক্ষিণ গোলার্ধে আয়ন বায়ু যে বেগে প্রবাহিত হয়-
a. 20 কিমি/ঘণ্টা
b. 22 কিমি/ঘণ্টা
c. 25 কিমি/ঘণ্টা
d. 30 কিমি/ঘণ্টা
উত্তরঃ-    c. 25 কিমি/ঘণ্টা

১১৬.  গর্জনশীল চল্লিশা হল
a. 40 ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ
b. 40 ডিগ্রি দক্ষিণ অক্ষাংশ
c. 40 ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমা
d. 40 ডিগ্রি পশ্চিম দ্রাঘিমা
উত্তরঃ-    b. 40 ডিগ্রি দক্ষিণ অক্ষাংশ

১১৭. একটি সাময়িক বায়ু হল-
a. মৌসুমি বায়ু 
b. লু বায়ু
c. আয়ন বায়ন
d. পশ্চিমা বায়ু
উত্তরঃ-    a. মৌসুমি বায়ু 

১১৮. কোন্ ভূমিরূপকে ‘ Mushroom rocks ‘ বলা হয় ?
(A) ইয়ারদাংকের
(B) গৌর
(C) জুগ্যান
(D) ইনসেলবার্জ
উত্তরঃ-    (B) গৌর

১১৯. ইনসেলবার্জ – এর নামকরণ করেন – 
(A) L. C. King 
(B) R. A. Bagnold
(C) W. M. Davis
(D) J. W. Powell
উত্তরঃ-    (A) L. C. King

১২০. কোন্ মরুভূমির বালি উড়ে গিয়ে হোয়াংহো অববাহিকার লোয়েস ভূমি গঠিত হয়েছে ?
(A) তাকলামাকান
(B) থর
(C) সাহারা
(D) গোবি
উত্তরঃ-    (A) তাকলামাকান

১২১. কোনটি দক্ষিণ গোলার্ধের মরুভূমি –
(A) আটাকামা
(B) সাহারা
(C) গোবি
(D) সোনেরান 
উত্তরঃ-    (A) আটাকামা

১২২. কোন্‌টি নাতিশীতোয় মরুভূমি –
(A) সাহারা
(B) কালাহারি
(C) তাকলামাকান
(D) অস্ট্রেলিয়
উত্তরঃ-    (C) তাকলামাকান

১২৩. শিলাময় মরুভূমি কী নামে পরিচিত— 
(A) আগ
(B) রেগ
(C) গৌর
(D) হামাদা
উত্তরঃ-    (D) হামাদা

১২৪. জলীয়বাষ্পপূর্ণ আর্দ্র বায়ুর চাপ শুষ্ক বায়ুর তুলনায়-
a. কম
b. বেশি
c. একই
d. মাঝারি হয়
উত্তরঃ-    a. কম

১২৫. কর্কটীয় উচ্চচাপ বলয়ের বায়ুপ্রবাহে দেখা যায়-
a. উগ্রভাব
b. শান্তভাব
c. সমভাবাপন্ন ভাব
d. ঊর্ধমুখী স্রোত
উত্তরঃ-    b. শান্তভাব

১২৬. বিমানে যে বায়ুচাপ মাপক যন্ত্র থকে,তার নাম-
a. অ্যানিরয়েড ব্যারোমিটার
b. ফর্টিন-এর ব্যারোমিটার
c. ব্যারোগ্রাফ
d. সাধারণ ব্যারোমিটার
উত্তরঃ-    c. ব্যারোগ্রাফ

১২৭. নিরক্ষরেখা বরাবর বিরাজ করে-
a. নিম্নচাপ
b. উচ্চচাপ
c. সমচাপ
d. কোন চাপই বিরাজ করে না
উত্তরঃ-    a. নিম্নচাপ

১২৮. উষ্ণতা বাড়লে বায়ুর চাপ-
a. বেড়ে যায়
b. কমে যায়
c. একই থাকে
d. কোনটিই নয়
উত্তরঃ-    b. কমে যায়

১২৯. ডোলড্রাম সৃষ্টি হয়-
a. নিরক্ষীয় অঞ্চলে
b. কর্কটীয় ও মকরীয় অঞ্চলে
c. মেরু অঞ্চলে
d. উপক্রান্তীয় অঞ্চলে
উত্তরঃ-    a. নিরক্ষীয় অঞ্চলে

১৩০. নিরক্ষীয় অঞ্চলে নিম্নচপের প্রধান কারন-
a. পৃথিবীর আবর্তন
b. অধিক আর্দ্রতা
c. অধিক উষ্ণতা
d. পৃথিবীর বৃহত্তম পরিধি
উত্তরঃ-    c. অধিক উষ্ণতা

১৩১.  কর্কটীয় উচ্চচাপ বলয়টি দেখা যায়-
a. 30 দিগ্রি-35 ডিগ্রি উঃ অক্ষাংশে
b. 30 দিগ্রি-35 ডিগ্রি দঃ অক্ষাংশে
c. 60 ডিগ্রি-65 ডিগ্রি উঃ অক্ষাংশে
d. 60 ডিগ্রি-65 ডিগ্রি দঃ অক্ষাংশে
উত্তরঃ-    a. 30 দিগ্রি-35 ডিগ্রি উঃ অক্ষাংশে

১৩২. বায়ুচাপের একক-
a. মিলিবার
b. মিলিমিটার
c. মিলিগ্রাম
d. ডিগ্রি সেলসিয়াস
উত্তরঃ-    a. মিলিবার

১৩৩. প্রতি বর্গসেমিতে 1000 ডাইন বায়ুর চাপ হল-
a. 1 মিলিবার
b. 1 মিলিমিটার
c. 1 মিলিগ্রাম
d. 1 নট
উত্তরঃ-    a. 1 মিলিবার

১৩৪. উচ্চচাপ বলয়টি রয়েছে-
a. নিরিক্ষীয় অঞ্চলে
b. সুমেরুবৃত্ত অঞ্চলে
c. কর্কটীয় অঞ্চলে
d. কুমেরুবৃত্ত অঞ্চলে
উত্তরঃ-    c. কর্কটীয় অঞ্চলে

১৩৫. নীচের কোনটি্‌ বায়ুপ্রবাহের কারন নয়?
a. বায়ুচাপের তারতম্য
b. উষ্ণতার তারতম্য
c. পৃথিবীর আবর্তন
d. ফেরেলের সূত্র
উত্তরঃ-    a. বায়ুচাপের তারতম্য

১৩৬. Mushroom rock কোন্ ভূমিরূপকে বলা হয় –
(A) জুগ্যান
(B) ইনসেলবার্জ
(C) প্লায়া
(D) গৌর
উত্তরঃ-    (D) গৌর

১৩৭. বালিয়াড়ি শব্দটির সঙ্গে কোন্ নামটি সম্পর্কিত ? 
(A) ডেভিস
(B) বিউফোর্ট
(C) ব্যাগনল্ড
(D) গিলবার্ট
উত্তরঃ-    (C) ব্যাগনল্ড

১৩৮.  প্যানফ্যান কোন্ ভূমিরূপটিকে বলা হয় ?
(A) পেডিমেন্ট
(B) ইনসেলবার্জ
(C) বার্খান 
(D) ইয়ার্দাং 
উত্তরঃ-    (A) পেডিমেন্ট

১৩৯. বৈপরীত্য উত্তাপের নেমে আসা বায়ু হল-
a. ক্যাটাবেটিক বায়ু
b. অ্যানাবেটিক বায়ু
c. উষ্ণ বায়ু 
d. শীতল বায়ু
উত্তরঃ-    a. ক্যাটাবেটিক বায়ু

১৪০. এল নিনো দেখা যায়।
a. বঙ্গোপসাগরে
b. ভারত মহাসাগরে
c. প্রশান্ত মহাসাগরে
d. আটলান্টিক মহাসাগরে
উত্তরঃ-    c. প্রশান্ত মহাসাগরে

১৪১.  ‘কিয়োটা প্রোটোকোল’ চুক্তিটির দ্বারা কোন্‌ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছিল ?
a. বিশ্ব উষ্ণায়ন
b. অ্যাসিড বৃষ্টি
c. বৃক্ষরোপণ
d. পারমাণবিক শক্তি
উত্তরঃ-    a. বিশ্ব উষ্ণায়ন

১৪২. সমুদ্রপৃষ্ঠে বায়ুর চাপ-
a. 1013.2 মিলিবার
b. 1013.5 মিলিবার
c. 1013.8 মিলিবার
d. 1013.9 মিলিবার
উত্তরঃ-   1. সমুদ্রপৃষ্ঠে বায়ুর চাপ-

১৪৩. ভূপৃষ্ঠে কয়টি স্থায়ী বায়ুচাপ রয়েছে ?
a. তিনটি
b. চারটি
c. পাঁচটি
d. সাতটি
উত্তরঃ-    d. সাতটি

১৪৪. ভূপৃষ্ঠের সমান চাপবিশিষ্ট স্থানগুলিকে যুক্ত করে যে রেখা তাকে বলে-
a. সমোন্নতিরেখা
b. সমোষ্ণরেখা
c. সমপ্রেষরেখা
d. সমআর্দ্ররেখা
উত্তরঃ-    c. সমপ্রেষরেখা

১৪৫. অশ্ব অক্ষাংশের বিস্তার উভয় গোলার্ধের
a. 25 ডিগ্রি-30 ডিগ্রি
b. 30 ডিগ্রি-35 ডিগ্রি
c. 35 ডিগ্রি-40 ডিগ্রি
d. 40 ডিগ্রি-45 ডিগ্রি
উত্তরঃ-    b. 30 ডিগ্রি-35 ডিগ্রি

১৪৬. মেরুবৃত্ত প্রদেশে বিরাজ করে
a. উচ্চচাপ
b. নিম্নচাপ
c. চাপহীন অবস্থা
d. মাঝারি অবস্থা
উত্তরঃ-    b. নিম্নচাপ

১৪৭. বায়ুর চাপ মাপা হয় কোন্‌ যন্ত্রের সাহায্যে?
a. ব্যারোমিটার
b. থার্মোমিটার
c. হাইগ্রোমিটার
d. ক্যালোরিমিটার
উত্তরঃ-    a. ব্যারোমিটার

১৪৮. বায়ুচাপ বলয়ের সিমানা পরিবর্তন হয় কারন-
a. পৃথিবীর আবর্তনেরে জন্য
b. সূর্যের আপাতগতির পরিবর্তন
c. বায়ুপ্রবাহের তারতম্য
d. অণুসূর অপসূরের জন্য
উত্তরঃ-    b. সূর্যের আপাতগতির পরিবর্তন

১৪৯. কোরিওলিস বল সবথেকে বেশি অনুভূত হয়-
a. নিরক্ষরেখায়
b. মধ্য অক্ষাংশে
c. ভূপৃষ্ঠ থেকে একটু ওপরে
d. মেরুতে
উত্তরঃ-    d. মেরুতে

১৫০.  বায়ুর শক্তিমাত্রা নির্নায়ক স্কেল হল-
a. বিউফোর্ট স্কেল
b. রিখটার স্কেল
c. থার্মোমিটার স্কেল
d. বাণিজ্য বায়ু
উত্তরঃ-    a. বিউফোর্ট স্কেল

১৫১. আয়ন বায়ুকে যে নামে ডাকা হয়-
a. সাময়িক বায়ু
b. পশ্চিমা বায়ু
c. মেরু বায়ু
d. বাণিজ্য বায়ু
উত্তরঃ-    d. বাণিজ্য বায়ু

১৫২. মরুভূমি অবনমিত অংশে সৃষ্ট হ্রদ হল— 
(A) অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ
(B) প্যাটার্নওস্টার হ্রদ
(C) কেটেল হ্রদ 
(D) প্লায়া হ্রদ
উত্তরঃ-    (D) প্লায়া হ্রদ

১৫৩. বায়ুকার্যে কোন্ ভূমিরূপে দুটি শিং – এর মতো শিরা থাকে –
(A) ইনসেলবার্জ 
(B) বার্খান
(C) পেডিমেন্ট
(D) ওয়াদি
উত্তরঃ-    (B) বার্খান

১৫৪. কোন্ মহাদেশে ‘ গ্রেট গ্রিন ওয়াল ‘ নির্মাণ করা হয়েছে – 
(A) এশিয়া
(B) উত্তর আমেরিকা
(C) আফ্রিকা
(D) অস্ট্রেলিয়া
উত্তরঃ-    (C) আফ্রিকা

১৫৫. কোন্ ভূমিরূপটি বায়ু ও জলধারার মিলিত কার্যে গঠিত –
(A) গৌর
(B) ইয়ার্দাং
(C) ওয়াদি
(D) বার্খান 
উত্তরঃ-    (C) ওয়াদি

১৫৬. ভারতের মরুভূমি গবেষণাকেন্দ্র কোন শহরে রয়েছে – 
(A) যোধপুর
(B) জয়সালমির
(C) দেরাদুন 
(D) জয়পুর 
উত্তরঃ-    (A) যোধপুর

১৫৭. কালাহারি কোন্ মহাদেশের মরুভূমি ?
(A) উত্তর আমেরিকা
(B) আফ্রিকা
(C) দক্ষিণ আমেরিকা
(D) এশিয়া
উত্তরঃ-    (B) আফ্রিকা

১৫৮. বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেনের পরিমাণ-
a. 20.94 শতাংশ
b. 20.27 শতাংশ 
c. 20.86 শতাংশ
d. 20.98 শতাংশ
উত্তরঃ-    a. 20.94 শতাংশ

১৫৯. বায়ুমণ্ডলের প্রধান গ্যাসীয় উপাদানটির নাম-
a. অক্সিজেন
b. নাইট্রোজেন
c. কার্বন ডাইঅক্সাইড
d. ওজোন
উত্তরঃ-    b. নাইট্রোজেন

১৬০. বায়ুমণ্ডলের ওজোন গ্যাস……স্তরে ঘনীভূত অবস্থায় থাকে।
a. স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার
b. মেসোস্ফিয়ার
c. ট্রপোস্ফিয়ার
d. আয়নোস্ফিয়ার
উত্তরঃ-    a. স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার

১৬১. ট্রপোস্ফিয়ার ও স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের মধ্যবর্তী সীমাকে বলে-
a. ট্রপোপজ
b. স্ট্র্যাটোপজ
c. মেসোপজ
d. আয়নোপজ
উত্তরঃ-    a. ট্রপোপজ

১৬২.  ভূপৃষ্ঠ থেকে ওপরের দিকে বায়ুমণ্ডল প্রায় কত কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত ?
a. 1000 কিমি
b. 5000 কিমি
c. 10000 কিমি
d. 100000 কিমি
উত্তরঃ-    c. 10000 কিমি

১৬৩. মেসোস্ফিয়ার স্তরে উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে উষ্ণতা-
a. বাড়ে
b. কমে
c. একই থাকে
d. কোনোটিই নয়
উত্তরঃ-    b. কমে

১৬৪. ভূপৃষ্ঠ থেকে ওপরের দিকে প্রায় কত কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত স্তরতিকে বলে হোমোস্ফিয়ার ?
a. 60 কিলোমিটার
b. 90 কিলোমিটার
c. 120 কিলোমিটার
d. 110 কিলোমিটার
উত্তরঃ-    b. 90 কিলোমিটার

১৬৫. বায়ুমণ্ডলে কী আছে বলে আকাশ নীল দেখায় ?
a. ওজোন
b. অক্সিজেন
c. নাইট্রোজেন
d. ধূলিকণা
উত্তরঃ-    d. ধূলিকণা

১৬৬. বৈপরীত্য উত্তাপ লক্ষ করা যায় বায়ুমণ্ডলের যে স্তরে সেটি হল-
a. আয়নোস্ফিয়ার
b. ট্রপোস্ফিয়ার
c. স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার
d. মেসোস্ফিয়ার
উত্তরঃ-    b. ট্রপোস্ফিয়ার

১৬৭. সুর্য আগত অতিবেগুনি রশ্নি শোষণ করে-
a. ওজোন
b. আর্গন
c. জেনন
d. ক্রিপটন
উত্তরঃ-    a. ওজোন

১৬৮. বায়ুমণ্ডলে প্রতি 1000 মিটার উচ্চতায় তাপমাত্রা হ্রাসের স্বাভাবিক হার হল-
a. 6.4 সে 
b. 4.6 সে
c. 6.6 সে
d. 6.5 সে
উত্তরঃ-    d. 6.5 সে

১৬৯. স্বাভাবিক উষ্ণতা হ্রাসের হার দেখা যায়-
a. স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে
b. থার্মোস্ফিয়ারে
c. ট্রপোস্ফিয়ারে
d. মেসোস্ফিয়ারে
উত্তরঃ-    c. ট্রপোস্ফিয়ারে

১৭০. বায়ুমণ্ডলে নাইট্রোজেনের শতকরা পরিমাণ-
a. 20.19 শতাংশ
b. 79.09 শতাংশ
c. 78.08 শতাংশ
d. 20.50 শতাংশ
উত্তরঃ-    c. 78.08 শতাংশ

১৭১. গ্রিনহাউস গ্যাস হল-
a. অক্সিজেন
b. নাইট্রোজেন
c. কার্বন ডাইঅক্সাইড
d. ওজোন
উত্তরঃ-    c. কার্বন ডাইঅক্সাইড

১৭২. হেমোস্ফিয়ারের অন্য নাম-
a. বিষমমণ্ডল
b. ক্ষুব্ধমণ্ডল
c. সমমণ্ডল
d. স্তব্দমণ্ডল
উত্তরঃ-    c. সমমণ্ডল

১৭৩. ক্ষুব্ধমণ্ডল বলা হয়-
a. মেসোস্ফিয়ার 
b. ট্রপোস্ফিয়ার
c. স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার
d. ম্যাগনেটোস্ফিয়ার
উত্তরঃ-    b. ট্রপোস্ফিয়ার

১৭৪. আবহাওয়া ও জলবায়ুর নানা ঘটনা ঘটে-
a. মেসোস্ফিয়ারে
b. আয়নোস্ফিয়ারে
c. স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে
d. ট্রপোস্ফিয়ারে
উত্তরঃ-    d. ট্রপোস্ফিয়ারে

১৭৫. উল্কাপিন্ড পুড়ে ছাই হয়ে যায়-
a. মেসোস্ফিয়েরে
b. স্ট্র্যাটোস্ফিয়েরে
c. ট্রপোস্ফিয়ারে
d. আয়নোস্ফিয়ারে
উত্তরঃ-    a. মেসোস্ফিয়েরে

১৭৬. অতিবেগুনি রশ্নি শোষিত হয়-
a. মেসোস্ফিয়ারে
b. ট্রপোস্ফিয়ারে
c. স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে
d. আয়নোস্ফিয়ারে
উত্তরঃ-    c. স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে

১৭৭. ওজোন অণু ধ্বংসকারী গ্যাস হল-
a. কার্বন ডাইঅক্সাইড
b. নাইট্রোজেন
c. ক্লোরোফ্লুরোকার্বন
d. অক্সিজেন
উত্তরঃ-    c. ক্লোরোফ্লুরোকার্বন

১৭৮. মেরুপ্রভা দেখা যায়-
a. আয়নোস্ফিয়ারে
b. ম্যাগনেটোস্ফিয়ারে
c. ট্রপোস্ফিয়ারে
d. মেসোস্ফিয়ারে
উত্তরঃ-    a. আয়নোস্ফিয়ারে

১৭৯. সূর্যরশ্মি পৃথিবীতে আসে-
a. বৃহৎ তরংরূপে
b. ক্ষুদ্র তরঙ্গরূপে
c. মাঝারি তরঙ্গরূপে
d. কোনটিই নয়
উত্তরঃ-    b. ক্ষুদ্র তরঙ্গরূপে

১৮০. পৃথিবীর মাটিতে সমোয়রেখাগুলি বিস্তৃত থাকে-
a. উত্তর-দক্ষিনে
b. পূর্ব-পশ্চিমে
c. একই থাকে
d. কোনটিই নয়
উত্তরঃ-    b. পূর্ব-পশ্চিমে

১৮১.  অক্ষাংশের মান বাড়ার সাথে সাথে সূর্যরশ্মির পতনকোন-
a. বেড়ে যায়
b. কমে যায়
c. একই থাকে
d. কোনটিই নয়
উত্তরঃ-    b. কমে যায়

১৮২.  বৈপরীত্য উষ্ণতা দেখা যায়-
a. সমভূমিতে
b. মরুভূমি অঞ্চলে
c. পার্বত্য অঞ্চলে
d. নিম্নভূমি অঞ্চলে
উত্তরঃ-    c. পার্বত্য অঞ্চলে

১৮৩. সূর্যের মোট শক্তির 200 কোটি ভাগের কত ভাগ পৃথিবীতে এসে পৌছায় ?
a. 1 ভাগ
b. 2 ভাগ
c. 3 ভাগ
d. 4 ভাগ
উত্তরঃ-    a. 1 ভাগ

১৮৪. বায়ুমণ্ডলের তাপের প্রধান উৎস-
a. সূর্য
b. পৃথিবী
c. কার্বন ডাইঅক্সাইড
d. ওজোন গ্যাস
উত্তরঃ-    a. সূর্য

১৮৫. উত্তর গোলার্ধে  তাপেরে পরিমাণ বাড়ে-
a. শীতকালে
b. বসন্তকালে
c. গ্রীষ্মকালে
d. বর্ষাকালে
উত্তরঃ-    c. গ্রীষ্মকালে

১৮৬. বৈপরীত্য উত্তাপের জন্য ভোরবেলায় উপত্যকাগুলি-
a. ধোঁয়ায় ঢেকে যায়
b. কুয়াশায় ঢেকে যায়
c. বরফে ঢেকে যায়
d. মেঘে ঢেকে যায়
উত্তরঃ-    d. মেঘে ঢেকে যায়

১৮৭. মেঘহীন রাত অপেক্ষা মেঘাচ্ছন্ন রাত্রি-
a. বেশি উষ্ণ হয়
b. বেশি শীতল হয়
c. বেশি দীর্ঘ হয়
d. বেশি ঘন হয়
উত্তরঃ-    a. বেশি উষ্ণ হয়

১৮৮.  দিল্লির তুলনায় দার্জিলিং-এর তাপমাত্রা-
a. যথেষ্ট বেশি
b. বেশ কম
c. বেশ দীর্ঘ
d. কোনটিই নয়
উত্তরঃ-    b. বেশ কম


দশম শ্রেণীর ভূগোল – বায়ুমণ্ডল / Bayu Mandal (দ্বিতীয় অধ্যায়) সত্য মিথ্যা যাচাই করো । WBBSE Class 10th Geography 2nd Chapter True & False Questions and Answers 

সত্য মিথ্যা যাচাই করো | True & False Questions and Answers (Class Ten geography Second chapter)

শূন্যস্থান পূরন করো ; প্রতিটি প্রশ্নের মান -১

পরে আপডেট করা হবে। উপরের এবং নিচে দেওয়া প্রশ্নের উত্তর গুলি পড়লেই কমন পেয়ে যাবে , এটা আশা করা যায়। 


দশম শ্রেণীর ভূগোল – বায়ুমণ্ডল / Bayu Mandal (দ্বিতীয় অধ্যায়) শূন্যস্থান পূরণ করো । WBBSE Class 10th Geography 2nd Chapter Fill in the blank Questions and Answers 

শূন্যস্থান পূরণ করো  | Fill in the blank Questions and Answers (Class Ten geography Second chapter)

সত্য / মিথ্যা নির্ণয় করো; প্রতিটি প্রশ্নের মান -১

পরে আপডেট করা হবে। উপরের এবং নিচে দেওয়া প্রশ্নের উত্তর গুলি পড়লেই কমন পেয়ে যাবে , এটা আশা করা যায়। 


দশম শ্রেণীর ভূগোল – বায়ুমণ্ডল / Bayu Mandal (দ্বিতীয় অধ্যায়) এক কথায় উত্তর দাও । WBBSE Class 10th Geography 2nd Chapter SAQ Questions and Answers 

এক কথায় উত্তর দাও | SAQ Questions and Answers (Class Ten geography Second chapter) (SUB HEADING)

এক কথায় উত্তর দাও : প্রতিটি প্রশ্নের মান -১

১. বায়ুমণ্ডলের পরিবর্তনশীল গ্যাসীয় উপাদানগুলি কী কী ?  
উত্তরঃ-  -বায়ুমণ্ডলের পরিবর্তনশীল গ্যাসীয় উপাদানগুলি হল—জলীয়বাষ্প, কার্বন ডাইঅক্সাইড, মিথেন, কার্বন মনোক্সাইড, ওজোন, সালফার ডাইঅক্সাইড এবং নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড। 

২. অ্যারোসল (Aerosol) কী ?
উত্তরঃ-  -বায়ুমণ্ডলে ভাসমান সুক্ষ্ম ধূলিকণাকে অ্যারোসল বলে। অ্যারোসলকে আশ্রয় করেই জলীয় বাষ্প বাতাসে ভেসে বেড়ায়।

৩. অ্যারোসলের উৎসগুলি কী কী? 
উত্তর:- অ্যারোসলের উৎসগুলি হল ধূলিকণা, আগ্নেয়গিরির ছাই ও সমুদ্রের লবণকণা ইত্যাদি।

৪. গ্রিনহাউস গ্যাস গুলির নাম লেখো। 
 উত্তর:- বায়ুমণ্ডলের গ্রিনহাউস গ্যাস গুলি হল কার্বন ডাইঅক্সাইড (CO2), কার্বন মনোক্সাইড (CO), মিথেন (CH4), নাইট্রাস অক্সাইড (N2O), ক্লোরোফ্লুরোকার্বন (CFC), জলীয় বাষ্প ইত্যাদি।

৫. কীভাবে বায়ু প্রবাহের নামকরণ করা হয়?
উত্তরঃ-   বায়ু যেদিক থেকে আসে সেই দিক অনুসারে বায়ু প্রবাহের নামকরণ করা হয়।

৬. হ্যারিকেন কী?
উত্তরঃ-   পশ্চিম ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জের ক্রান্তীয় ঘূর্ণর্বাত।

৭. আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ প্রান্তে ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাতকে কী বলে?
উত্তরঃ-   টর্নেডো। 

৮. বায়ুর আপেক্ষিক আদ্রর্তা 100% হলে সেই বায়ুকে কী বলে?
উত্তরঃ-   পরিপৃক্ত বায়ু।

৯. নিরক্ষীয় অঞলে কী জাতীয় বৃষ্টি হয়?
উত্তরঃ-   পরিচলন বৃষ্টি।

১০. কোন মৌসুমি বাতাসের দ্বারা বৃষ্টি হয় না?
উত্তরঃ-   শীতকালীন মৌসুমি বাতাসের দ্বারা বৃষ্টি হয় না।

১১. বৃষ্টিমাপক যন্ত্রের নাম কী?
উত্তরঃ-   বৃষ্টিমাপক যন্ত্রের নাম রেনগজ বা বৃষ্টিমাপক যন্ত্র।

১২. বায়ুতে ভাসমান জলীয়বাষ্প যখন শীতল ভূপৃষ্ঠের সংস্পর্শে এসে জলকণায় পরিণত হয়, তাকে কী বলে?
উত্তরঃ-   শিশির।

১৩. কোন বায়ু স্থলবায়ু ও সমুদ্রবায়ুর ব্যাপক সংস্করণ ?
উত্তরঃ-   মৌসুমি বায়ু।

১৪. লু’ বাতাস কোন্ সময় প্রবাহিত হয় ?
উত্তরঃ-   ‘লু’ বাতাস গ্রীষ্মকালে প্রবাহিত হয়।
 
১৫. একটি স্থানীয় বায়ুর নাম করাে।
উত্তরঃ-   ‘লু।
 
১৬. বায়ুর আদ্রর্তা কোন যন্ত্রের সাহায্যে নিরূপণ করা হয়?
উত্তরঃ-   শুষ্ক ও আর্দ্র কুন্ডযুক্ত হাইগ্রোমিটারের সাহায্যে।
 
১৭. সিসিলিতে প্রবাহিত এক ধরনের উন্ন স্থানীয় বায়ু কী নামে পরিচিত?
উত্তরঃ-   সিরোক্কো।

১৮. কোন্ জলবায়ুতে বায়ুর কার্য বেশিমাত্রায় ক্রিয়াশীল ?  
উত্তরঃ-   উষ্ণমরু জলবায়ুতে ।

১৯. বায়ুমণ্ডলের বিস্তার সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে কতদূর? 
উত্তর:-  সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ঊর্ধ্বে ১০,০০০ কিমি পর্যন্ত।

২০. বায়ু কী কী প্রক্রিয়ায় ক্ষয়সাধন করে ?
উত্তরঃ-   অপবাহন , অবঘর্ষ ও ঘর্ষণ প্রক্রিয়ায় । 

২১. বায়ু কী কী প্রক্রিয়ায় বহনকার্য চালায় ? 
উত্তরঃ-   লম্ফদান , ভাসমান ও গড়ানো প্রক্রিয়ায় ।

২২. বায়ু কী কী প্রক্রিয়ায় সঞ্চয়কার্য করে ?
উত্তরঃ-   অধঃক্ষেপণ , উপলেপন ও অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় ।  

২৩. ‘ সিফ্ ‘ শব্দের অর্থ কী ?
উত্তরঃ-   সোজা তরবারি ।

২৪. কোন্ গ্যাস সূর্য থেকে আগত ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি শোষণ করে নেয় ?
উত্তর:-  ওজোন গ্যাস (O3)। 

২৫. বায়ুমণ্ডলে কোন্ গ্যাসের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি? 
উত্তর:-  নাইট্রোজেন গ্যাস (৭৮.০৮%)। 

২৬. কোন কোন অঞ্চলে বায়ুর কাজ দেখা যায় ? 
উত্তরঃ-   শুষ্ক মরু অঞ্চল ও সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলে । 

২৭. ভেন্টিফ্যাক্ট শব্দের অর্থ কী ?
উত্তরঃ-   লাতিন Ventus শব্দের অর্থ বাতাস , Fact = সৃষ্ট অর্থাৎ Ventifact = বায়ুপ্রবাহের ফলে সৃষ্ট ।

২৮. ড্রেইকান্টার শব্দের অর্থ কী ?
উত্তরঃ-   জার্মান শব্দ ‘ Dreikanter’- এর অর্থ Three sided অর্থাৎ ত্রিপার্শ্ব অর্থাৎ তিন দিক থেকে সৃষ্ট । 

২৯. বায়ুর ক্ষয়জাত কোন্ ভূমিরূপ দেখতে ব্রাজিল নাটের মতো ?
উত্তরঃ-   ভেন্টিফ্যাক্ট ।

৩০. বায়ুমণ্ডলের কোন্ উপাদানের উপস্থিতির ফলে আকাশের 8 রং নীল হয়? 
উত্তরঃ-  -ধূলিকণা। 

৩১. কোন্ জলবায়ু অঞ্চলে জলীয় বাষ্পের সর্বাধিক উপস্থিতি লক্ষ করা যায় ?
উত্তর: ক্রান্তীয় অঞ্চলে (প্রায় ৪%)।

৩২. পৃথিবীর বৃহত্তম বালুকাময় মরু অঞ্চলের উদাহরণ দাও ।
উত্তরঃ-   সৌদি আরবের রুব – আল – খালি । 

৩৩. রেগ কী ?
উত্তরঃ-   কোণাকার শিলাখণ্ডপূর্ণ মরুভূমি ।

৩৪. রেগ মরুভূমি কোন্ দেশে দেখা যায় ?
উত্তরঃ-   আলজিরিয়ায় ।

৩৫. ‘ Deflation ‘ শব্দের অর্থ কী ?
উত্তরঃ-   গ্রিক শব্দ Deflare = to blow away অর্থাৎ অন্যত্র বয়ে নিয়ে যাওয়া , বাংলায় অপবাহন ।

৩৬. ‘ বার্থান ‘ শব্দের অর্থ কী ?
উত্তরঃ-   তুর্কি শব্দ ‘ Barchan’- এর অর্থ কিরঘিজ , স্টেপ অঞ্চলের বালিয়াড়ি ।

৩৭. যে-সমস্ত গ্যাসীয় উপাদান বাতাসে সম অনুপাতে সর্বদা উপস্থিত থাকে, তাকে কী বলে? 
উত্তরঃ-  -স্থায়ী গ্যাসীয় উপাদান বলে।

৩৮. বাতাসের স্থায়ী গ্যাসীয় উপাদান গুলির নাম লেখো।
উত্তরঃ-   নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, হাইড্রোজেন, মিথেন, জেনন, ক্রিপটন ইত্যাদি।

৩৯. যে-সমস্ত গ্যাসীয় উপাদানের উপস্থিতি সময় ও স্থান বিশেষে পরিবর্তিত হয়, তাকে কী বলে?
 উত্তর:- অস্থায়ী উপাদান বলে।

৪০. মরু অঞ্চলের শুষ্ক নদীখাতকে কী বলে ?
উত্তরঃ-   ওয়াদি ।

৪১. মেক্সিকোর মরুভূমিতে প্লায়া হ্রদকে কী বলে ?
উত্তরঃ-   বোলসন ( Bolson ) ।

৪২. অতিরিক্ত লবণাক্ত প্লায়াকে কী বলে ?
উত্তরঃ-   স্যালিনা ।

৪৩. কেরলের মালাবার উপকূলের বালিয়াড়িকে স্থানীয় ভাষায় কী বলে ?
উত্তরঃ-   টেরিস ।

৪৪. সিফ বালিয়াড়ি নামকরণ কে করেন ?
উত্তরঃ-   ব্যাগনল্ড ।

৪৫. ইনসেলবার্জ ক্ষয় পেয়ে বোল্ডাররূপী ভূমিরূপ গঠন করে , তাকে কী বলে ?
উত্তরঃ-   ক্যাসেল কপিজ । 

৪৬. বায়ুমণ্ডল (Atmosphere) কাকে বলে?  [মা.প. [১৮] 
উত্তর:-  ভূপৃষ্ঠের যে অদৃশ্য গ্যাসীয় আবরণ, অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণা ও জলীয় বাষ্প পৃথিবীকে বেষ্টন করে আছে, তাকে বায়ুমণ্ডল বলে। পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবেই বায়ুমণ্ডল পৃথিবীর গায়ে লেগে আছে এবং পৃথিবীর সাথেই আবর্তিত হয়ে চলেছে।

৪৭.  বায়ুমণ্ডলের প্রধান দুটি গ্যাসীয় উপাদানের নাম লেখো। 
উত্তর:-  বায়ুমণ্ডলের প্রধান দুটি গ্যাসীয় উপাদান হল অক্সিজেন এবং নাইট্রোজেন। 

৪৮. বায়ুমণ্ডলের নিষ্ক্রিয় গ্যাসগুলি কী কী?
উত্তর:- বায়ুমণ্ডলের নিষ্ক্রিয় গ্যাসগুলি হল নিয়ন (Ne), হিলিয়াম (He), জেনন (Xe) ও ক্রিপটন (Kr)।


দশম শ্রেণীর ভূগোল – বায়ুমণ্ডল / Bayu Mandal (দ্বিতীয় অধ্যায়)" সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর" । WBBSE Class 10th Geography 2nd Chapter SAQ Questions and Answers 

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর | SAQ Questions and Answers (Class Ten geography Second chapter) 

১. বায়ুমণ্ডলের গুরুত্ব কী ? 
উত্তর:- বায়ুমণ্ডলের গুরুত্ব হল : 
(i) বায়ুমণ্ডলের বায়বীয় উপাদান জীবমণ্ডলকে বাঁচিয়ে রেখেছে। 
(ii) এই অংশ সৌরশক্তির কুপরিবাহী বলে পৃথিবীর গড় উষ্ণতা ১৫°সে যা জীবকুল গড়ে ওঠার সহায়ক। 
(iii) সূর্যের ক্ষতিকারক বস্তু এখানেই শোষিত হয়। 
(iv) আবহাওয়ার ঘটনা প্রক্রিয়া (বায়ুপ্রবাহ, ঘনীভবন, বৃষ্টিপাত ইত্যাদি) বায়ুমণ্ডলেই ঘটে এবং 
(v) বায়ুর ঘনত্ব বায়ুচাপকে নিয়ন্ত্রণ করে। অতএব বায়ুমণ্ডল না-থাকলে পৃথিবীতে প্রাণের স্পন্দন ঘটত না।

২. বায়ুমণ্ডলের উপাদানগুলি কী কী ? 
উত্তর:- 
বায়ুমণ্ডল হল বিভিন্ন গ্যাসের যান্ত্রিক মিশ্রণ। এ ছাড়াও বায়ুমণ্ডলে রয়েছে জলীয় বাষ্প এবং জৈব এবং অজৈব উপাদান। সুতরাং বায়ুমণ্ডল তিনটি উপাদান নিয়ে গঠিত। মধ্যে 
(i) গ্যাসীয় উপাদান : বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন গ্যাসের মধ্যে নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, আর্গন ও কার্বন ডাইঅক্সাইড—এই চারটি গ্যাস ১৯.৯৯% অধিকার করে আছে। এর মধ্যে নাইট্রোজেন ও অক্সিজেনের পরিমাণ যথাক্রমে ৭৮.০৮% এবং 20.90% ।
(ii) জলীয় বাষ্প : এটি বায়ুমণ্ডলের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। ভূপৃষ্ঠের জল বাষ্পীভূত হয়ে বায়ুমণ্ডলে অবস্থান করে এবং মোট জলীয় বাষ্পের ৯০% থাকে ভূপৃষ্ঠ থেকে ৬ কিমি-এর মধ্যে। অক্সিজেন
(iii) জৈব 1 অজৈব উপাদান : বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন জৈব ও অজৈব কণাকে ধূলিকণা বা Aerosol বলে। ধূলিকণাকে আশ্রয় করেই জলীয় বাষ্প বাতাসে ভেসে বেড়ায়।

৩.  স্বাভাবিক উন্নতা হ্রাসের বিধি বা ল্যাপস রেট কাকে বলে ?

উত্তরঃ-  -ট্রাপোস্ফিয়ারে উচ্চতা বাড়ার সাথে সাথে উন্নতা ৬.৪° সেলসিয়াস /কিমি হারে হ্রাস পায়। একেই বলে Normal Lapse Rate 1 

৪. ট্রাপোস্ফিয়ারের নামকরণের কারণ কী ?
উত্তর:- গ্রিক শব্দ 'Tropos’-এর অর্থ ‘অশান্ত’ এবং ‘Sphere’- এর অর্থ অঞ্চল। বায়ুমণ্ডলের এই স্তর বায়ুমণ্ডল গঠনকারী উপাদানগুলির প্রভাবে সর্বদা অশান্ত থাকে বলে একে Troposphere নামকরণ করা হয়েছে। 

৫. ট্রাপোপজ (Tropopause) কী ? 
উত্তরঃ-  -ট্রাপোস্ফিয়ারের ঊর্ধ্বে ৩ কিমি পর্যন্ত অংশে উষুতা একই থাকে হ্রাস বা বৃদ্ধি কিছুই ঘটে না। একে ট্রাপোপজ (‘Pause’ অর্থ ‘থামা’) বলে। ট্রাপোপজ হল ট্রোপোস্ফিয়ার ও স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের সীমারেখা। 

৬. স্ট্যাটোস্ফিয়ার (Stratosphere) কাকে বলে? 
উত্তর:- ট্রাপোস্ফিয়ার-এর ওপরের ১৮-৫০ কিলোমিটার উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত বায়ুস্তরকে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার বা শান্ত মণ্ডল বলে। 

৭. স্ট্রাটোপোজ(Stratopause) কী? |
 উত্তর:- ঊর্ধ্বে ৫০-৫৫ কিমি অংশে স্ট্যাটোস্ফিয়ার মেসোস্ফিয়ারের সীমারেখা হল স্ট্র্যাটোপোজ।

৮. মেসোস্ফিয়ার (Mesosphere) কাকে বলে? 
উত্তরঃ-  -স্ট্যাটোপজের ঊর্ধ্বে ভূপৃষ্ঠ থেকে ৮০ কিমি পর্যন্ত উচ্চতাযুক্ত স্থান পর্যন্ত যে অংশের উদ্বৃতা কমতে থাকে, তাকে মেসোস্ফিয়ার বলে। 

৯. অরোরা বোরিওলিস ও অরোরা অস্ট্রালিস কী ?*
উত্তর:- আয়নোস্ফিয়ারে রঞ্জনরশ্মি ও অতিবেগুনি রশ্মির সংঘাতে আয়ন বা তড়িদাহত অণুর সৃষ্টি হয় যা উত্তর মেরুতে মেরুজ্যোতি বা আলোকপ্রভা সৃষ্টি করে একে অরোরা বোরিওলিস বলে। আয়নোস্ফিয়ারে তড়িদাহত অণুর চৌম্বক বিক্ষেপের ফলে পৃথিবীর দক্ষিণ মেরুতে মেরুপ্রভার সৃষ্টি হয় তাকে বলে অরোরা অস্ট্রালিস। 

১০. আয়নোস্ফিয়ারের গুরুত্ব কী? 

উত্তরঃ-  - আয়নোস্ফিয়ারের গুরুত্ব হল – 
(i) উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে উদ্ভূতা দ্রুতহারে বাড়ে এবং থার্মোস্ফিয়ারের ঊর্ধ্বে উচ্চতা হয় ১২০০ সে.-এর বেশি। 
(ii) বায়ুর ঘনত্ব খুবই কম। 
(iii) অতিবেগুনি ও রঞ্জন রশ্মি এই স্তরে শোষিত হয়। 
(iv) বস্তুকণা আয়নিত আছে বলেই বেতার তরঙ্গ এই স্তর থেকে প্রতিফলিত হয়। 
(v) অরোরা বা মেরুপ্রভা এই স্তরে সৃষ্টি হয়। জেনে রাখো • 

১১. মৌক্তিক মেঘ কী? 

উত্তরঃ-  - শীতকালে অ্যান্টার্কটিকা ঊর্ধ্বাংশে জলীয় বাষ্প প্রবেশ করে বর্ণময় মেঘের সঞ্চার ঘটায়। একেই বলে মৌক্তিক মেঘ ('nacreous cloud' or 'mother of pearl)। 

১২. নৈশদ্যুতি মেঘ (Noctilucent cloud) কী ? 
উত্তরঃ-  - মেসোস্ফিয়ারে সৃষ্ট হালকা মেঘকে নৈশদ্যুতি মেঘ বলে।

১৩. বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেনের গুরুত্ব কী? 

উত্তরঃ-  - বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেনের গুরুত্বগুলি হল- 
(i) মানুষ, জীবজগৎ, উদ্ভিদের প্রশ্বাসকার্যে সাহায্য করে।
(ii) দহন কার্যে অক্সিজেন ব্যবহৃত হয়।
(iii) মানুষ, ও অন্যান্য প্রাণীদেহে শক্তি ও উত্তাপ বাড়াতে সাহায্য করে। 
(iv) রাসায়নিক আবহবিকার অক্সিডেশনে সাহায্য করে।
(v) পর্বত আরোহণের সময় বা বিমানযাত্রায় ; টানেল পথে অক্সিজেন অভাবে শারীরিক অসুস্থতা বৃদ্ধি পায়।

১৪. বায়ুমণ্ডলে নাইট্রোজেনের গুরুত্ব লেখো।

 উত্তর:- বায়ুমণ্ডলে নাইট্রোজেনের পরিমাণ সর্বাধিক হলেও বায়ুমণ্ডলে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় এর কোনো ভূমিকা নেই। মানুষ এবং অধিকাংশ উদ্ভিদ ও প্রাণী গ্যাসীয় অবস্থায় নাইট্রোজেন ব্যবহার করতে পারে না। কিন্তু কিছু ব্যাকটেরিয়া উদ্ভিদ ও সূক্ষ্ম সামুদ্রিক জীব বাতাসের নাইট্রোজেনকে সরাসরি নাইট্রেটে পরিণত করতে পারে। নাইট্রোজেন রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে উদ্ভিদের গ্রহণযোগ্য খাদ্যে পরিণত হয়। মাটির ব্যাকটেরিয়া ও শুঁটি জাতীয় উদ্ভিদ নাইট্রোজেন গ্রহণ করে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করে। বায়ুর N2 রাসায়নিক সার উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়।

১৫. বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইড এর গুরুত্ব লেখো। 

উত্তরঃ-  - বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইডের গুরুত্ব হল—
(I)কার্বন ডাইঅক্সাইড সূর্য ও পৃথিবী থেকে আগত উত্তাপ শোষণ করে।
(ii) উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষে সাহায্য করে।
(iii) কার্বন ডাইঅক্সাইড পৃথিবীর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
(iv) রাসায়নিক আবহবিকার কার্বনেশান ঘটাতে সাহায্য করে। 
(v) গ্রিনহাউস এফেক্ট সৃষ্টিতে বর্তমানে কার্বন ডাইঅক্সাইডের ভূমিকা সর্বাধিক বৃদ্ধি পেয়ে পৃথিবীতে বিপর্যয়ের সূচনা ঘটছে।

১৬. বায়ুমণ্ডলে জলীয় বাষ্পের গুরুত্ব লেখো। 
উত্তর:-  বায়ুমণ্ডলে জলীয় বাষ্পের গুরুত্ব হল : 
(i) সূর্য থেকে আগত ক্ষুদ্রতর তরঙ্গকে জলীয় বাষ্প শোষণ করে এবং দীর্ঘতর বিকিরিত তাপকে বাধা দিয়ে নীচের স্তরকে উত্তপ্ত করে। 
(ii) ঊর্ধ্বাকাশে জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে সৃষ্ট লীনতাপ আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটায়। 
(iii) জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়েই মেঘ, কুয়াশা, শিশির, তুহিন, বৃষ্টি, তুষার সৃষ্টি হয়। 

১৭. অ্যারোসল বা ধূলিকণার উৎসগুলি কী কী? 
উত্তর:- অ্যারোসল বা ধূলিকণার উৎস হল : 
(i) বিকিরিত তাপশক্তিকে ধূলিকণা শোষণ করে বায়ুমণ্ডলকে উত্তপ্ত করে। 
(ii) জলীয়বাষ্প ধূলিকণাকে আশ্রয় করে ভেসে বেড়ায় বলেই মেঘ, কুয়াশা, বৃষ্টি প্রভৃতি ঘটাতে পরোক্ষভাবে এর গুরুত্ব অপরিসীম। 
(iii) ধূলিকণায় বিচ্ছুরিত আলোর প্রভাবেই আকাশের রং নীল।
(iv) ঊষা ও গোধূলির সৃষ্টি ধূলিকণার উপস্থিতির কারণেই হয়।

১৮. হোমোস্ফিয়ার (Homosphere) কাকে বলে?

উত্তরঃ-  - ভূপৃষ্ঠ থেকে এক্সোস্ফিয়ার ম্যাগনেটোস্ফিয়ার আয়নোস্ফিয়ার ঊর্ধ্বে ৮৮ কিমি পর্যন্ত অংশে বায়ুমণ্ডলের উপাদানগুলির অনুপাত মোটামুটি একইরকম বলে একে হোমোস্ফিয়ার বলা হয়। বিভিন্ন গ্যাস, ধূলিকণা ও জৈব, অজৈব কণা দ্বারা এই স্তর গঠিত। মেসোস্ফিয়ার 04-07 কিমি কিমি 07-AC টুপোপজ স্ট্যাটোস্ফিয়ার কিমি 45-0 হোমোস্ফিয়ার (১-৮৮ কিমি.) হেটেরোস্ফিয়ার (৮৮-১০,০০০ কিমি) ট্রপোস্ফিয়ার ভূপৃষ্ঠ হোমোস্ফিয়ার ও হেটেরোস্ফিয়ার 

১৯. হেটেরোস্ফিয়ার (Heterosphere) কাকে বলে?

উত্তর:- হোমোস্ফিয়ারের ঊর্ধ্বে ৮৮ কিমি থেকে ১০,০০০ কিমি পর্যন্ত অংশে বায়ুমণ্ডলের উপাদানগুলির অনুপাত একইরকম থাকে না। এক-একটি অঞ্চলে এক-একটি গ্যাসের প্রাধান্য থাকে বলে এই স্তরটিকে হেটোরোস্ফিয়ার বলে। 

২০. হেটোরোস্ফিয়ারের উপস্তরগুলির নাম লেখো।
উত্তর:- হেটেরোস্ফিয়ারের মোট চারটি উপস্তর রয়েছে। কথা 
(i) আণবিক নাইট্রোজেন স্তর (৮৮–২০০ কিমি) 
(ii) পারমাণবিক অক্সিজেন স্তর (২০০ – ১১২০ কিমি) 
(iii) হিলিয়াম স্তর (১১২০–৩৫৪০ কিমি)
(iv) হাইড্রোজেন স্তর (৩৫৪০-১০০০০ কিমি)

২১. উয়তার তারতম্যের ওপর ভিত্তি করে বায়ুমণ্ডলের স্তরগুলির নাম লেখো।
উত্তর:-  উষ্ণতার তারতম্যের ওপর ভিত্তি করে বায়ুমণ্ডলের স্তরগুলিকে ৬টি ভাগে ভাগ করা যায়। 
যথা- (i) ট্রপোস্ফিয়ার, 
(ii) স্ট্যাটোস্ফিয়ার, 
(iii) মেসোস্ফিয়ার, 
(iv) থার্মোস্ফিয়ার ও আয়নোস্ফিয়ার, 
(v) এক্সোস্ফিয়ার ও 
(vi) ম্যাগনেটোস্ফিয়ার।

২২. বায়ুমণ্ডলের নিম্নস্তর কোনগুলি?
উত্তরঃ-  -বায়ুমণ্ডলের নিম্নস্তরগুলি স্ট্যাটোস্ফিয়ার ও মেসোস্ফিয়ার। হল–ট্রপোস্ফিয়ার,

২৩. ওজোন (Ozone) কী ? *
 উত্তরঃ-  -ওজোন (গ্রিক শব্দ 'Ozo' থেকে 'Ozone' শব্দেরউৎপত্তি, যার অর্থ ‘Smell' বা গন্ধ) হল হালকা নীলাভ আঁশটে গন্ধযুক্ত একটি গ্যাস, যার রাসায়নিক সংকেত Oz |

২৪. ভ্যান অ্যালেন বিকিরণ বলয় কী ?
উত্তর:- নিরক্ষীয় অঞ্চলের দুটি ম্যাগনেটোপজ বলয়কে ভ্যান অ্যালেন বিকিরণ বলয় বলে।

২৫. ওজোনস্তর কাকে বলে? 
উত্তর:- স্ট্যাটোস্ফিয়ারের নিম্নাংশে (১৫-৩০ কিমি উচ্চতায়) ওজোন গ্যাসের ঘনত্ব সর্বাধিক। বায়ুমণ্ডলের এই অংশটি হল ওজোনস্তর। 

২৬. ওজোনস্তরের অবস্থান লেখো। 
উত্তরঃ-  -স্ট্যাটোস্ফিয়ারের নিম্নাংশে প্রায় ১৫-৩০ কিমি উচ্চতার মধ্যবর্তী স্থানে ওজোনস্তরের অবস্থান লক্ষ করা যায়। বিশেষ কথা: ওজোন গ্যাসের অস্তিত্বের কথা প্রথম | বলেন জার্মান রসায়নবিদ সি. এফ. স্কোনবি এবং O3 সংকেতের আবিষ্কারক জে. এল. সোরেত। ওজোন ঘনত্ব মাপার একক ডবসন, স্ট্যাটোস্ফিয়ারে ওজোনের ঘনত্ব <২০০ ডবসন হলে সেখানে ওজোন হোল সৃষ্টি হয়েছে বলে ধরা হয়। 

২৭. ওজোন ধ্বংসকারী গ্যাসগুলির নাম লেখো।
 উত্তরঃ-  -ওজোন ধ্বংসকারী গ্যাসগুলি হল ক্লোরোফ্লুরোকার্বন (CFC), হ্যালন, মিথেন এবং নাইট্রাস অক্সাইড।

২৮. ওজোন গহ্বর (Ozone Hole) কী ? *
 উত্তর:- যেখানে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের ওজোনের ঘনত্ব ২০০ ডবসন ইউনিট-এর কম এবং সেখান দিয়ে অতিবেগুনি রশ্মি প্রবেশ করে তা হল ওজোন হোল বা ওজোন গহ্বর। অ্যান্টার্কটিকা অঞ্চলে ওজোন গহ্বর তৈরি হয়েছে। 

২৯. সমতাপ অঞ্চল (Isotherm Zone) কাকে বলে? 
উত্তরঃ-  -ট্রপোস্ফিয়ারের ঊর্ধ্বে প্রায় ৩ কিমি উচ্চতা পর্যন্ত অংশে উয়তার হ্রাস বা বৃদ্ধি ঘটে না। উচ্চতা বৃদ্ধি পেলেও উয়তা অপরিবর্তিত থাকে বলেই একে সমতাপ অঞ্চল বলে। 

৩০. পৃথিবীর কোন্ অঞ্চলে বায়ু ভূমিরূপ পরিবর্তনে অংশগ্রহণ করে ?
উত্তরঃ-   বায়ু 
( i ) মরুভূমি ( ক্রান্তীয় ও উপক্রান্তীয় উভয় থরনের মরুভূমিতে ) , 
( ii ) মরুভূমিসংলগ্ন মরুপ্রায় ও 
( iii ) উপকূল অঞ্চলে তার কার্যের মাধ্যমে ভূমিরূপের পরিবর্তন ঘটায় । 

৩১. মরুভূমি ( Desert ) কাকে বলে ? 
উত্তরঃ-   ভূপৃষ্ঠের যেসব স্থানে দীর্ঘকাল থরে গড় বৃষ্টি ২৫ সেমির কম , গাছপালা প্রায় নেই এবং অঞ্চলটি মানুষ বসবাসের অনুপযোগী , সেই স্থানকে মরুভূমি বলে । যেমন — সাহারা , থর , গোবি ইত্যাদি হল পৃথিবীর উল্লেখযোগ্য মরুভূমি ।

৩২. উত্তর গোলার্ধের দুটি ক্রান্তীয় মরুভূমির নাম লেখো ।
উত্তরঃ-   উত্তর গোলার্ধের দুটি ক্রান্তীয় মরুভূমির নাম হল 
( i ) আফ্রিকার সাহারা এবং 
( ii ) উত্তর আমেরিকার সোনেরান মরুভূমি ।

৩৩. দক্ষিণ গোলার্ধের দুটি ক্রান্তীয় মরুভূমির নাম লেখো ।
উত্তরঃ-   দক্ষিণ গোলার্ধের দুটি ক্রান্তীয় মরুভূমির নাম হল— 
( i ) চিলির আটাকামা মরুভূমি ও 
(ii ) অস্ট্রেলিয়ার গ্রেট অস্ট্রেলিয়া মরুভূমি ।

৩৪. দুটি নাতিশীতোয় মরুভূমির নাম লেখো ।
উত্তরঃ-   দুটি নাতিশীতোয় মরুভূমির নাম হল – 
( i ) চিনের তাকলামাকান এবং 
( ii ) মঙ্গোলিয়ার গোবি মরুভূমি ।

৩৫. মরূদ্যান ( Oasis ) কাকে বলে ?
উত্তরঃ-   মরুভূমির ভিতরের কোনো কোনো জায়গায় জলের উৎস ( আর্টেজীয় কুপ বা হ্রদ ) থাকলে সেখানে গাছপালা , কৃষিকাজ গড়ে ওঠে । এই জায়গাগুলিকেই বলে মরুদ্যান । মরুদ্যান , মরুভূমি অতিক্রমকারী মানুষের কাছে স্বর্গের সমান ।

৩৬. মরূদ্যানে জনবসতি গড়ে ওঠে কেন ?
উত্তরঃ-   মরূদ্যানে ভৌমজল পাওয়া যায় , ফলে সেখানে গাছপালা গড়ে ওঠে এবং কৃষিকাজ ও পশুপালনের পরিবেশ সৃষ্টি হয় । তাই মরুদ্যান জনবসতি গড়ে ওঠার সহায়ক ।

৩৭. হামাদা কাকে বলে ?
উত্তরঃ-   মরু অঞ্চলে বায়ুপ্রবাহ দ্বারা বালুকারাশি অপসারিত হওয়ার ফলে , নিম্নস্থ শিলাময় স্তর বেরিয়ে পড়ে । আবরণহীন কেবলমাত্র শিলা দ্বারা গঠিত এই মরুভূমিকে হামাদা বলে । 

৩৮. আর্গ কী ?
উত্তরঃ-   বিশালাকার অঞ্চলজুড়ে কেবলমাত্র বালি দ্বারা গঠিত মরুভূমিকে সাহারা আর্গ বলে । তুর্কিস্তানে একেই কুম বলে । উদাহরণ — সৌদি আরবের বুব – আল – খালি হল পৃথিবীর বৃহত্তম আর্গ ।

৩৯. রেগ কাকে বলে ?
উত্তরঃ-   বিভিন্ন আকৃতির প্রস্তরখণ্ড দিয়ে ঢাকা মরুভূমিকে আলজিরিয়ার রেগ বলে । মিশর ও লিবিয়ায় এটিই সেরীর নামে পরিচিত ।

৪০. বায়ুর মাধ্যমে অবঘর্ষ প্রক্রিয়া ভূপৃষ্ঠের সামান্য ওপরে কার্যকর কেন ?
উত্তরঃ-   ভূপৃষ্ঠসংলগ্ন অঞ্চল বায়ুর প্রকৃতি হওয়ায় এবং ভূমিতে ঝোপঝাড় থাকায় বায়ুর গতিবেগ কম হয় এবং বায়ুবাহিত পদার্থসমূহ বাধাপ্রাপ্ত হয় । আবার ঊর্ধ্ব অংশে বায়ুর গতিবেগ বেশি থাকলেও বায়ুবাহিত পদার্থের পরিমাণ কম থাকে । তাই অবঘর্ষ প্রক্রিয়া ভূপৃষ্ঠসংলগ্ন অঞ্চল বা ঊর্ধ্বে তত কার্যকর হয় না । ভূপৃষ্ঠ থেকে সামান্য ওপরে ( ২–১ মিটার ) এই প্রক্রিয়া সবচেয়ে বেশি কার্যকর হয়ে থাকে ।

৪১. ব্লো আউট বা অপবাহনসৃষ্ট গর্ত কাকে বলে ? বা , অপসারণসৃষ্ট গর্ত কীভাবে সৃষ্টি হয় ?
উত্তরঃ-   প্রবল বায়ুপ্রবাহে বালিস্তর অপসারিত হয়ে কোনো কোনো স্থানে গর্ত বা অবনমিত অঞ্চল সৃষ্টি করে । একেই অপবাহনসৃষ্ট গর্ত বা ব্লো আউট বলে ।

৪২. গৌর ( Gour ) কী ? 
উত্তরঃ-   বায়ুর গতিপথে কঠিন ও কোমল শিলায় গড়া কোনো বৃহৎ শিলাখণ্ড অনুভূমিকভাবে অবস্থান করলে নীচের কোমল অংশ বিভিন্ন ঋতুতে বায়ুর ঘর্ষণের ফলে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে সরু স্তম্ভের মতো হয় এবং উপরের কম ক্ষয়প্রাপ্ত কঠিন অংশটি বিরাট আয়তন নিয়ে ব্যাঙের ছাতার মতো দাঁড়িয়ে থাকে । স্তম্ভাকৃতি এই কঠিন শিলাখণ্ডকে গৌর বলে ।

৪৩. জিউগেন ( Zeugen ) কাকে বলে ?
উত্তরঃ-   মরুভূমি বা মরুপ্রায় অঞ্চলে উপরের স্তরে কঠিন । শিলা ও নীচের স্তরে কোমল শিলা পর্যায়ক্রমে অনুভূমিকভাবে অবস্থান করলে অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় বায়ুর ক্ষয়কাজের ফলে কঠিন শিলাগঠিত অংশ অতি অল্প ক্ষয় পেয়ে চ্যাপটা ও প্রায় সমতল চূড়াবিশিষ্ট টিলার মতো দাঁড়িয়ে থাকে এবং কোমল শিলাস্তরগুলি বেশি ক্ষয় পেয়ে ফাটল বরাবর লম্বা খাত বা গহ্বরের সৃষ্টি হয় । এই রকম দুটি গহ্বর বা খাতের মধ্যে চ্যাপটা মাথা টিলার মতো যে ভূমিরূপ গঠিত হয় তাকে জিউগেন বলে ।

৪৪. ইয়ারদাং ( Yardang ) কী ?
উত্তরঃ-   মরুভূমি বা মরুপ্রায় অঞ্চলে কঠিন ও কোমল শিলাস্তরগুলি পাশাপাশি লম্বভাবে অবস্থান করলে দীর্ঘকাল থরে অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় বায়ুর ক্ষয়কাজের ফলে কোমল শিলাস্তরগুলি দ্রুত ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে গহ্বর বা সুড়ঙ্গের আকার ধারণ করে এবং কঠিন শিলাস্তরগুলি পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বিভিন্ন মূর্তি আকৃতির শৈলশিরার মতো দাঁড়িয়ে থাকে । এই থরনের ভূমিরূপ ইয়ারদাং নামে পরিচিত ।

৪৫. ভেন্টিফ্যাক্ট ( Ventifact ) কী ?
উত্তরঃ-   বায়ুর প্রবাহপথে কোনো বৃহৎ প্রস্তরখণ্ড অবস্থান করলে এর প্রতিবাত পার্শ্ব দীর্ঘকাল থরে অবঘর্ষ পদ্ধতিতে ক্ষয় হয়ে মসৃণ ও ছুঁচোলো হয় এবং শিলাস্তরটি ব্রাজিল দেশীয় বাদামের ন্যায় আকৃতি ধারণ করে । একে ভেন্টিফ্যাক্ট বলে ।

৪৬. ড্রেইকান্টার ( Dreikanter ) কাকে বলে ?
উত্তরঃ-   মরুভূমির কোনো প্রস্তরখণ্ড যদি বিভিন্ন ঋতুতে প্রবাহিত ভিন্নমুখী বায়ুপ্রবাহে অবঘর্ষ পদ্ধতিতে দীর্ঘকাল ক্ষয় হয়ে ত্রিকোণাকার বা ক্ষুদ্র পিরামিড আকৃতি ধারণ করে , তাকেই ড্রেইকান্টার বলে ।

৪৭. ধান্দ কী ?
উত্তরঃ-   ভারতের থর মরুভূমি অঞ্চলে অপসারণের ফলে ছোটো ছোটো গর্তের সৃষ্টি হয় । এই গর্তগুলিতে জল জমে সাময়িক হ্রদের সৃষ্টি হয় । এগুলি ‘ ধান্দ ‘ নামে পরিচিত ।

৪৮. ইনসেলবার্জ ( Inselberg ) কাকে বলে ?
উত্তরঃ-   মরুভূমি বা মরুপ্রায় শুষ্ক অঞ্চলে বায়ুপ্রবাহ ও অস্থায়ী জলধারা বা ওয়াদির মিলিত ক্ষয়কাজের ফলে অনেক সময় এইসব অঞ্চলে স্থানে স্থানে কঠিন শিলায় গঠিত অনুচ্চ ক্ষয়ীভূত পাহাড় টিলার আকারে বিক্ষিপ্তভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় । এইসব অনুচ্চ টিলাকে ইনসেলবার্জ বলে ।

৪৯. মেসা ও বিউট ( Mesa and Butte ) কী ?
উত্তরঃ-   বায়ু ও জলধারার মিলিত কার্যে মরুভূমি অঞ্চলের উচ্চ মালভূমি ক্ষয় হয়ে বিচ্ছিন্নভাবে টেবিলের আকারে অবস্থান করলে তাকে মেসা বলে । মেসা ক্ষুদ্রাকৃতির হলে তা বিউট নামে পরিচিত ।

৫০. পেডিমেন্ট ( Pediment ) কাকে বলে ?
উত্তরঃ-   মরুভূমিতে উচ্চভূমি থেকে পাদদেশের দিকে মৃদু ঢালু ( ঢাল ১.৫ ° – ৭ ° ) ভূমিকে বলা হয় পেডিমেন্ট ।

৫১. বালিয়াড়ি ( Sand dunes ) কী ?
উত্তরঃ-   বায়ুপ্রবাহের দ্বারা বালুকারাশি এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বাহিত হয়ে সঞ্চিত হওয়ার পর দীর্ঘ ও উচ্চ বালির স্তূপ গঠন করে । একেই বালিয়াড়ি বলা হয় ।

৫২. কোথায় কোথায় বালিয়াড়ি দেখা যায় ?
উত্তরঃ-   বালিয়াড়ি সাধারণত মরুভূমি ( ক্রান্তীয় ও নাতিশীতোর ) মরুপ্রায় ও উপকূল অঞ্চলে গড়ে ওঠে ।

৫৩. বাৰ্খান ( Barchan ) কাকে বলে ? 
উত্তরঃ-   বায়ুর প্রবাহপথের সঙ্গে আড়াআড়িভাবে গড়ে ওঠা অর্ধচন্দ্রাকার বালিয়াড়িকে বাৰ্খান বলে ।

৫৪. সিফ বালিয়াড়ি ( Seif dune ) কী ?
উত্তরঃ-   বায়ুপ্রবাহের সমান্তরালে দীর্ঘ ও সংকীর্ণ শৈলশিরার মতো বালির পাহাড়গুলিকে সিক্ বালিয়াড়ি বলে । এই বালিয়াড়ি দেখতে খানিকটা তলোয়ারের মতো হয় ।

৫৫. টেরিস কী ?
উত্তরঃ-   কেরলের মালাবার উপকূলের গঠিত বালিয়াড়িকে স্থানীয় ভাষায় টেরিস বলে ।

৫৬. ধ্রিয়ান কাকে বলে ?
উত্তরঃ-   আসলে বায়ুপ্রবাহের গতি ; উত্তরঃ-   মরু অঞ্চলে বায়ুপ্রবাহের গতি পরিবর্তনের ফলে বালি এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সরে যায় । এই থরনের বালিয়াড়িকে বলে অস্থায়ী বা চলমান বালিয়াড়ি । রাজস্থানের মরু অঞ্চলের এই থরনের বালিয়াড়িকে থ্রিয়ান বলে । 

৫৭. লোয়েস ( Loess ) কী ?
উত্তরঃ-   মরুভূমি ও মরুপ্রায় অঞ্চলে হলুদ ও ধূসর বর্ণের কোয়ার্টজ , ফেল্ডস্পার , ডলোমাইট ও অন্যান্য খনিজ সমৃদ্ধ শিথিল সূক্ষ্ম পলিকণার সঞ্চয়কে লোয়েস বলে ।

৫৮. প্লায়া ( Playa ) কাকে বলে ?
উত্তরঃ-   মরুভূমি অঞ্চলে উচ্চভূমি বেষ্টিত অবনমিত অঞ্চলে জল জমে  যে সাময়িক হ্রদের সৃষ্টি হয় , তাকে প্লায়া বলে । এই প্লায়াই আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে বোলসন নামে পরিচিত ।

৫৯. ডেজার্ট পেভমেন্ট ( Desert pavement ) কাকে বলে ?
উত্তরঃ-   কেবলমাত্র নুড়ি ও পাথর দ্বারা গঠিত একটি এবড়োখেবড়ো অবশিষ্ট মরুভূমি অঞ্চলকে ডেজার্ট পেভমেন্ট বলে ।

৬০. বাজাদা ( Bajada ) কী ?
উত্তরঃ-   প্লায়া ও পার্শ্ববর্তী অংশে স্বল্পমেয়াদি প্রবল বর্ষায় উৎপন্ন পলি জমে সৃষ্ট সমভূমি হল বাজাদা বা বাহাদা ।

৬০. ওয়াদি ( Wadi ) কাকে বলে ?
উত্তরঃ-   মরুভূমিতে বৃষ্টির জলধারার ক্ষয়কাজের ফলে যে সমস্ত ছোটো ছোটো অনিত্যবহ ক্ষণস্থায়ী প্রকৃতির নদী বা শুষ্ক নদীখাতের সৃষ্টি হয় , তাদের ওয়াদি বলে ।

৬১. মরু সম্প্রসারণ ( Expansion of Desert ) বলতে কী বোঝ ?
উত্তরঃ-   যে প্রক্রিয়ার দ্বারা উৎপাদনশীল ভূমি ক্রমশ সম্পূর্ণভাবে উৎপাদনে অক্ষম অনুর্বর মরুভূমিতে পরিণত হয় , তাকে মরুকরণ বা মরু অঞ্চলের সম্প্রসারণ বলে ।

৬২. CAZRI- এর গুরুত্ব লেখো ।
উত্তরঃ-   CAZRI- এর পুরো নাম হল Central Arid Zone Research Institute । এটি হল ভারতের একটি সংস্থা , যার সদর দপ্তর যোধপুরে অবস্থিত । এই সংস্থা দেশের মরুকরণ বা মরুভূমির সম্প্রসারণ বোধ করার সম্পর্কে গবেষণা চালায় ও গাছ লাগিয়ে নানা প্রকল্প রূপায়ণ করে ।

৬৩. উপকূল ও নদীর মোহানায় বালির সঞ্চয় দেখা যায় কেন ?
উত্তরঃ-   উপকূল ও নদীর মোহানায় বালি তৈরি হয়েছে সিলিকেট সমৃদ্ধ শিলা যান্ত্রিক ও রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে । কোয়ার্টজ খনিজ রাসায়নিকভাবে পরিবর্তিত হয় না বলেই তা মোটা দানা বালিতে পরিণত হয় । কোনো কোনো উপকূলে চুনাপাথর ( সাদাবালি ) ও প্রবালের খোলক থেকেও বালির উৎপত্তি হয়েছে । এই কারণেই উপকূল ও নদীর মোহানায় বালির সঞ্চয় দেখা যায় ।
 
৬৪. উপকূলে কীভাবে বায়ু ভূমির পরিবর্তন ঘটায় ?
উত্তরঃ-   উপকূল অঞ্চলে সমুদ্রের দিক থেকে জোরে বাতাস বয় । এই বাতাস উপকূলের বালিকে উড়িয়ে নিয়ে অন্য স্থানে সঞ্চয় করে বালিয়াড়ি তৈরি করে । তাই উপকূলে বায়ু সঞ্চয়কার্যের মাধ্যমে ভূমি গড়ে ওঠে — ক্ষয়কার্যের ফলে অতটা নয় । এইভাবেই উপকূলে বায়ু ভূমির পরিবর্তন ঘটায় । 

৬৫. ‘অ্যারোসেল’ কী?
উত্তরঃ-   অ্যারোসেল : ‘অ্যারো’ শব্দের অর্থ বাতাস, ‘সল’ শব্দের অর্থ ভাসমান ধূলিকণা। বায়ুতে ভাসমান সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম কঠিন উপাদানকে (ধূলিকণা, লবণকণা, কয়লা গুঁড়ো, কাঠের গুঁড়ো  প্রভৃতি) বলা হয় অ্যারােসল।

৬৬. বায়ুমণ্ডলে ধূলিকণার গুরুত্ব আলোচনা করো। 
উত্তরঃ-   ধূলিকণার গুরুত্বের কারণগুলি হল—
(i) ভাসমান ধূলিকণাকে কেন্দ্র করে জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয় এবং তার ফলে মেঘ, কুয়াশা, তুহিন, বৃষ্টিপাত প্রভৃতির সৃষ্টি হয়। 
(ii) বায়ুতে ভাসমান ধূলিকণা সরাসরি সূর্যরশ্মি প্রতিফলিত ও বিচ্ছুরিত হয়ে বর্ণচ্ছটার সৃষ্টি করে। 
(iii) বায়ুমণ্ডলে ধূলিকণার আধিক্য বায়ুমণ্ডলকে অস্বচ্ছ করে।  অর্থাৎ দৃষ্টি স্বচ্ছতা কমায় এবং পৃথিবীর গড় উত্তাপ বৃদ্ধি করে

৬৭. Lapse rate’ বা ‘উয়তা হ্রাসের হার’ বলতে কী বােঝাে?
উত্তরঃ-   সাধারণভাবে উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে উয়তা হ্রাস পায়। বায়ুমণ্ডলের সর্বনিম্ন স্তরে অর্থাৎ ট্রপােস্ফিয়ার স্তরে ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ট্রপােপজ পর্যন্ত উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে উয়তা হ্রাস পেতে থাকে। সাধারণত প্রতি 1000 মিটার উচ্চতায় 6:45°C (6.5°C) হারে উষ্মতা হ্রাস পেতে থাকে। এইভাবে উয়তা হ্রাস পাওয়ার বায়ুর স্বাভাবিক উম্লতা হ্রাস হার বলে।

৬৮. ট্রপোপজ কী? 
উত্তরঃ-   ট্রপোপজ কথাটির আক্ষরিক অর্থ ‘স্তন্ধ যে স্তর’, অর্থাৎ ট্রপোস্ফিয়ার ও স্ট্রাটোস্ফিয়ারের মধ্যবর্তী 2-3 কিমি বিস্তৃত অঞলে বায়ুপ্রবাহ ও উয়তার পরিবর্তন তেমন হয় না তাই একে ট্রপোপজ বলে। এখানে বায়ুর গড় তাপমাত্রা থাকে প্রায় –58°C থেকে –60°c।

৬৯. অ্যাপলটন স্তর কাকে বলে? 
উত্তরঃ-   ভূ-পৃষ্ঠের প্রায় 300 কিমি ওপরে আয়নোস্ফিয়ারের একটি স্তরকে অ্যাপলটন স্তর বলে। এই স্তরে প্রতিফলিত হয়ে ভূ-পৃষ্ঠে উৎপন্ন হ্রস্ব তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের বেতার তরঙ্গ ভূ-পৃষ্ঠে আবার ফিরে আসে বলে ভূ-পৃষ্ঠে দূরবর্তী এবং অতি দূরবর্তী অঞ্জলগুলি মধ্যে বেতার যোগাযোগ  সম্ভব।

৭০. ফেরেলসূত্রটি কী?
উত্তরঃ-   পৃথিবীর আবর্তনজনিত বলের প্রভাবে বায়ু সরাসরি উচ্চচাপ থেকে নিম্নচাপের দিকে প্রবাহিত হতে পারে না। ফলে বায়ু উত্তর গােলার্ধে ডানদিকে ও দক্ষিণ গোলার্ধে বামদিকে বেঁকে প্রবাহিত হয়। বায়ু প্রবাহের দিক সংক্রান্ত এই নিয়মটি বিজ্ঞানী উইলিয়াম ফেরেল আবিষ্কার করেন। তার নামানুসারে এটি ‘ফেরেল সূত্র নামে পরিচিত।

৭১. বাইস ব্যালস সূত্র কী?
উত্তরঃ-   বায়ুচাপের অবস্থানের সঙ্গে বায়ুপ্রবাহের সম্পর্কে সম্বন্ধে 1857 খ্রিস্টাব্দে ডাচ আবহবিদ বাইস ব্যালট একটি সূত্র উদ্ভাবন করেন। সূত্রটি হল উত্তর গােলার্ধে বায়ুর গতির দিকে পিছন ফিরে দাঁড়ালে ডানদিকের তুলনায় বামদিকের বায়ু চাপ কম অনুভূত হয় এবং দক্ষিণ গােলার্ধে বামদিকের তুলনায় ডানদিকে বায়ু চাপ কম অনুভূত হয়। এই সূত্রটি বাইসব্যালট সূত্র নামে পরিচিত।

৭২. কোরিওলিস শক্তি বা বল কী?
উত্তরঃ-   পৃথিবীর আবর্তন গতির ফলে বায়ুপ্রবাহের ওপর যে শক্তি প্রযুক্ত হয় তাকে কোরিওলিস বল বলে। 1835 খ্রিস্টাব্দে ফরাসি বিজ্ঞানী ড. De. Coriolis এই শক্তি প্রথম আবিষ্কার করেন।

৭৩. ‘গর্জনশীল চল্লিশা’ কী?
উত্তরঃ-   দক্ষিণ গােলার্ধে স্থলভাগের তুলনায় জলভাগ বেশি থাকায় পশ্চিমাবায়ু বাধাহীনভাবে প্রবলবেগে প্রবাহিত হয়। 40° দক্ষিণ অক্ষরেখা বরাবর পশ্চিম থেকে পূর্বে এই প্রবল পশ্চিমা বায়ুপ্রবাহকে ‘গর্জনশীল চল্লিশা’ বলে।

৭৪. প্রতীপ ঘূর্ণবাত কাকে বলে?
উত্তরঃ-   হিমমণ্ডল বা নাতিশীতােষ মণ্ডলের কোনাে স্থানে অধিক শীতলতার জন্য প্রবল উচ্চচাপের সৃষ্টি হলে তখন ওই উচ্চচাপযুক্ত অঞ্চল থেকে শুষ্ক ও শীতল বায়ু কুণ্ডলী আকারে ছড়িয়ে পড়ে। একে প্রতীপ ঘূর্ণবাত বলে।

৭৫. রসবি তরঙ্গ কী?
উত্তরঃ-   ঊর্ধ্ব ট্রপােস্ফিয়ারে বায়ুচাপের অবক্ৰমজনিত শক্তি ও কোরিওলিস শক্তির পরিমাণ সমান এবং তারা পরস্পরের বিপরীতে ক্রিয়া করে। ফলে উর্ধ বায়ুতে সমচাপ রেখার সঙ্গে সমান্তরালভাবে জিওট্রোফিক বায়ু প্রবাহিত হয়। C. G. Rossby- 1930 এর দশকে গাণিতিক পদ্ধতিতে এই ধরনের তরঙ্গায়িত বায়ুপ্রবাহের উপস্থিতি প্রমাণ করেছিলেন। তাই এই তরঙ্গায়িত প্রবাহকে ‘রসবি তরঙ্গা’ বলা। হয়।

৭৬. হ্যাডলী সেল কী?
উত্তরঃ-   নিরক্ষীয় অঞ্চলে নিম্নচাপের দরুণ উর্ধ্বগামী বায়ু পৃথিবীর আবর্তন গতির ফলে ওই বায় ওপরে উঠে শীতল হয়ে উত্তর ও দক্ষিণে ছিটকে যায় এবং তা ক্রমশ সংকুচিত ও ভারী হয়ে কর্কটক্রান্তি ও মকরক্রান্তি অঞ্চলে নেমে আসে, বায়ুর এই চক্রাকার আবর্তনকে হ্যাডলী কক্ষ বলা হয়।

৭৭. সৌর ধ্রুবক (Solar Constant) কাকে বলে?
উত্তরঃ-   সূর্য থেকে পৃথিবী ক্রমাগত ক্ষুদ্র তরঙ্গরূপে সূর্যের তাপীয় ফল লাভ করে চলেছে। তবে সূর্য থেকে পৃথিবী প্রতিদিনি ও প্রতিবছর প্রায় কেই পরিমাণ সৌরতাপীয় ফল লাভ করে। একেই সৌর ধ্রুবক বলা হয়।
 

৭৮. ITCz কী?
উত্তরঃ-   নিরক্ষরেখার উভয়দিকে 5 থেকে 10° অক্ষরেখার মধ্যে যে নিম্নচাপদ্রোণী আছে সেখানে উত্তর পূর্ব আয়নবায়ু এবং দক্ষিণপূর্ব আয়নবায়ু পরস্পর এসে মিলিত হয়। তাই এই মিলন অঞ্চলকে অন্তক্রান্তীয় অভিসৃতি অঞ্চল বা Intertropical Convergence Zone (ITCz) বলে। এই অঞ্চলে বায়ুচাপীয় ঢাল প্রায় না থাকায়। অনুভূমিক বায়ুপ্রবাহ নেই। তাই এই অঙুলকে শান্তবলয় বলা হয়।

 ৭৯. লীনতাপ কী? বা লীনতাপ বলতে কি বোঝ? 
উত্তরঃ-   যে তাপ পদার্থের উন্নতার পরিবর্তন না ঘটিয়ে পদার্থের অবস্থার (যেমন—কঠিন থেকে তরলে এবং তরল থেকে গ্যাসীয় অথবা গ্যাসীয় থেকে তরল এবং তরল থেকে কঠিন ইত্যাদি) পরিবর্তন ঘটায় তাকে লীনতাপ বলে।

৮০. চরম আদ্রর্তা কাকে বলে?
উত্তরঃ-   কোনো  নির্দিষ্ট উয়তায় নির্দিষ্ট আয়তনের বায়ুতে যে পরিমাণ জলীয় বাষ্প বর্তমান। থাকে তাকে ওই বায়ুর নিরপেক্ষ বা চরম আদ্রর্তা বলা হয়। নিরপেক্ষ বা চরম আদ্রর্তার পরিমাণ সাধারণত গ্রামে প্রকাশ করা হয়। যেমন—10 গ্রাম/ঘনসেমি।

৮১. শিলাবৃষ্টি কী?
উত্তরঃ-   নাতিশীতােয় মণ্ডলে গ্রীষ্মকালে জলকণা ও বরকণা একত্রে অধঃক্ষেপন রূপে পতিত হলে তাকে শিলাবৃষ্টি বলে। ঊর্ধ্বমুখী প্রবলবায়ুর প্রভাবে জলকণাগুলি অনেক উঁচুতে উঠে গিয়ে শীতল হয়ে বরফকণায় পরিণত হয়। অবশেষে ধীরে ধীরে আয়তনে বেড়ে গিয়ে এই কণাগুলি বৃষ্টির সাথে ঝরে পড়ে।

৮২. ‘ঘূর্ণবাতের চক্ষু-কাকে বলে?
উত্তরঃ-   কুণ্ডলাকারে ঘূর্ণমান ক্রান্তীয় ঘূর্ণর্বাতের কেন্দ্ৰাঞ্চলটিতে বায়ু শান্ত থাকে এবং ঘূর্ণবাতের উপরিভাগ পর্যন্ত শান্ত বায়ুর একটি স্তম্ভ রচিত হয়। একে ঘূর্ণবাতের চক্ষু বলা হয়। এই অলটি প্রায়বৃত্তাকার এবং এর ব্যাস 20-40 কিমি। এখানে বায়ু অত্যন্ত হালকা ও পরিবর্তনশীল।

৮৩. টর্নেডো  কী?
উত্তরঃ-   টর্নেডো  হল অতি ক্ষুদ্র কিন্তু অতি মারাত্মক শক্তিশালী ক্রান্তীয় ঘূর্ণর্বাত। এদের আকৃতি অনেকটা চোঙের মতো  এবং ভূ-পৃষ্ঠের ওপর এদের ব্যাস 100-500 মিটার। এই ঝড়ের কেন্দ্রে বায়ুচাপ 900mb এর নীচে নেমে যায়। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের রকি পর্বতের পূর্বদিকে এই ঝড় বেশি হয়।।

৮৪. আশ্বিনের ঝড় কী?
উত্তরঃ-   শরৎকালে ভারতের উপকূল অঞ্চলে মাঝে মাঝে ঘূর্ণিঝড়সহ বৃষ্টিপাত হয়। ঝড়ের তাণ্ডবে জীবনহানি ও ধনসম্পত্তির বিপুল ক্ষতি হয়। পশ্চিমবঙ্গে প্রধানত ‘আশ্বিন মাসে এই ধরনের ঘূর্ণিঝড় হয় বলে একে ‘আশ্বিনের ঝড়’ বলা হয়।

৮৫. মৌসুমি বিস্ফোরণ কী?
উত্তরঃ-   ক্রান্তীয় পুবালি জেটের প্রভাবে মধ্যভারত ও বঙ্গোপসাগরে গ্রীষ্মকালে সৃষ্ট একাধিক নিম্নচাপজনিত গােলযােগকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমিবায়ু ত্বরান্বিত হয়। এবং বজ্রবিদ্যুৎসহ আকস্মিকভাবে দক্ষিণ এশিয়ার বিস্তীর্ণ অঞলে প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটায়। একেই ‘মৌসুমি বিস্ফোরণ’ বা Burst of Monsoon বলে।

৮৬. ‘অশ্ব অক্ষাংশ কাকে বলে?
উত্তরঃ-   নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয় ও মেরুবৃত্ত প্রদেশীয় নিম্নচাপ বলয় থেকে বিক্ষিপ্ত ও উর্ধ্বগামী উয় বায়ু শীতল হয়ে ভারি হয়ে উভয় গােলার্ধের 25-35° অক্ষাংশে সৃষ্ট কৰ্কটীয় উচ্চচাপ বলয়ে নেমে আসে ফলে এই অঞ্চলে বায়ুর কোনাে পার্শ্ব প্রবাহ থাকে না, শান্ত অবস্থা বিরাজ করে। উত্তর গােলার্ধে এই অঞ্চলকে কর্কটীয় শান্তবলয় বা অশ্ব অক্ষাংশ বলে। প্রাচীনকালে ইউরােপীয় ঔপনিবেশিকগণ পশ্চিম ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ থেকে পালতােলা জাহাজে অশ্ব বােঝাই করে আনার সময় এই অণ্ডলে বাতাসের অভাবে আটকে যেত। পানীয় জল অপচয় রােধ করার জন্য নাবিকরা জাহাজের রুগ্ন অশ্বগুলিকে জলে ফেলে দিত। তাই এই কর্কটীয় শান্ত বলয়কে অশ্ব অক্ষাংশ বলা হয়।

৮৭. ওজোন স্তরের গুরুত্ব আলোচনা করো ।
উত্তরঃ-   স্ট্রাট্রোস্ফিয়ারের 20-35 কিমি উচ্চতায় অতিবেগুনি রশ্মির উপস্থিতিতে দুটি অনুক্রমিক আলােক রাসায়নিক বিক্রিয়ায় সবচেয়ে বেশি ঘনত্বযুক্ত যে গ্যাসের আস্তরণ সৃষ্টি হয়েছে তা ওজোনস্তর নামে পরিচিত। 
গুরুত্ব : 
(i) এই স্তর সূর্য থেকে আসা তিনটি (UV-A, B, C) ক্ষতিকারক রশ্মিকে শোষণ করে জীবজগৎকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।  
(ii) এই স্তর ভূ-পৃষ্ঠ থেকে বিকিরিত দীর্ঘ তরঙ্গের অবলােহিত রশ্মির বিকিরণে বাধা দিয়ে বায়ুমণ্ডলের উষ্মতার ভারসাম্য বজায় রাখে।

৮৮. ওজোনস্তর বিনাশের কারণগুলি লেখো ।

উত্তরঃ-   ওজোনস্তর বিনাশের কারণগুলি হলো —
(i) CFC বা ক্লোরোফ্লুরোকার্বন হল ওজোন স্তর বিনাশের অন্যতম কারণ।  
(i) নগরায়ন ও শিল্পায়নের প্রসারের সঙ্গে নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড, নাইট্রিক অক্সাইড, নাইট্রাস অক্সাইড প্রভৃতি বিষাক্ত গ্যাস ওজোনস্তর বিনাশ ত্বরান্বিত করছে। (ii) হলোন যৌগের বিশেষত হ্যালোন 1211 ও হ্যালোন  1301 যৌগদুটি ওজোনস্তর বিনাশে বিশেষ ভূমিকা নেয়। 
(iv) ট্রাইরো ব্রোমো কার্বন, মিথাইল ব্রোমাইড প্রভৃতি ওজোনস্তর বিনাশ করে। 
(v) কলকারখানা থেকে নির্গত ধোঁয়া 
(vi) সুপারসনিক জেট বিমান কর্তৃক পরিত্যক্ত জলীয় বাষ্প ওজোন বিনাশ ঘটায়।

৮৯. গ্রিন হাউস এফেক্ট বলতে কী বােঝাে?
উত্তরঃ-   বর্তমানে যথেচ্ছভাবে বৃক্ষচ্ছেদন ও জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধির ফলে বায়ুমণ্ডলে co, CH No প্রভৃতি গ্যাসের পরিমাণ দ্রুত হারে বাড়ছে। এই সমস্ত গ্যাসগুলি বায়ুমণ্ডলের উধ্বস্তরে একটি স্বচ্ছ আবরণ সৃষ্টি করেছে যার ফলে সূর্যরশ্মি সহজে ভূ-পৃষ্ঠে প্রবেশ করতে পারে কিন্তু বিকিরিত সূর্যরশ্মি সম্পূর্ণরূপে ফিরে যেতে পারে না। ফলে পৃথিবী পৃষ্ঠের উয়তা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা গ্রিনহাউস এফেক্ট নামে পরিচিত।
 
৯০. বৈপরীত্য উয়তা (Inversion of Temperature) কাকে বলে?
উত্তরঃ-   সাধারণ অবস্থায় বায়ুমণ্ডলের ট্রপােস্ফিয়ার স্তরে প্রতি 1000 মি. উচ্চতা বৃদ্ধিতে 45°C হারে উয়তা হ্রাস পায়। কিন্তু বিশেষ পরিস্থিতিতে উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে সাথে উয়তা হ্রাস না পেয়ে বরং বাড়তে থাকে। এরূপ অবস্থাকে বৈপরীত্য উয়তা বা উয়তার উক্ৰম বলে। উয়তার উক্ৰম ভূ-পৃষ্ঠ সংলগ্ন বায়ুস্তরে কিংবা ট্রপােস্ফিয়ারে উর্ধ্ববায়ুস্তরে পরিলক্ষিত হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বৈপরীত্য উয়তা হলাে বায়ু তাপের অস্থায়ী অবস্থা।
 
৯১. মেঘাচ্ছন্ন রাত্রি অপেক্ষা মেঘমুক্ত রাত্রি শীতল কেন?
উত্তরঃ-   দিনের বেলায় মেঘমুক্ত আকাশ থাকলে আগত সৌরকিরণ বাধাহীনভাবে ভূ-পৃষ্ঠে পৌছায় ফলে ভূ-পৃষ্ঠ ও বায়ুমণ্ডলের উম্লতা বৃদ্ধি পায়। তেমনি রাত্রে পার্থিব বিকিরণ বাধাহীনভাবে হয় ও রাত্রে উয়তা কমে যায়। কিন্তু আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে দিনের বেলায় আগত সৌরকিরণ মেঘে বাধা পেয়ে ভূ-পৃষ্ঠে পৌঁছাতে পারে না তাই দিনে উয়তা কম হয়। এবং রাতে পার্থিব বিকিরণ মেঘে বাধা পেয়ে পৃথিবী পৃষ্ঠেই ফিরে আসে, তাই রাতে উয়তা বৃদ্ধি পায়। এই জন্যই মেঘাচ্ছন্ন রাত্রি মেঘমুক্ত রাত্রি অপেক্ষা বেশি উয় হয়।
 
৯২.   ক্রান্তীয় মণ্ডলে মহাদেশগুলির পশ্চিমে মরুভূমির সৃষ্টি হয় কেন?
উত্তরঃ-   ক্রান্তীয় মণ্ডলে মহাদেশগুলির পশ্চিমে মরুভূমি সৃষ্টির কারণগুলি হল—
(i) আয়নবায়ু মহাদেশের পশ্চিমদিক থেকে এসে সমুদ্রের শীতল বায়ুর সাথে মেশে। 
(ii) নিরক্ষীয় অঞ্চলের দিকে যত যায় জলীয় বাষ্পধারণ ক্ষমতা তত বাড়ে বলে বৃষ্টির সম্ভাবনা কমে। 
(ii) মরুভূমি অঞ্চলের ওপর থেকে শুষ্ক বায়ুস্রোত নেমে আসে—ফলে দীর্ঘকাল এই অঞ্চলে বৃষ্টিপাত হয় না। ফলে মরুভূমি সৃষ্টি হয়েছে।
 
৯৩. জেট বায়ুর বৈশিষ্ট্য লেখো ।
উত্তরঃ-   জেট বায়ু হল একটি দ্রুতগামী বায়ুস্রোত। যা মূলত 30° উত্তর অক্ষাংশে পশ্চিমাবায়ু প্রবাহিত অঞ্চলের বায়ুমণ্ডলের 7-13 কিমি ঊর্ধ্বে ট্রপােস্ফিয়ারে একটি সংকীর্ণ আঁকাবাঁকা পথে প্রবল বেগে পশ্চিম থেকে পূর্বে প্রবাহিত হয়। বৈশিষ্ট্য—
(i) এই বায়ু ভূ-পৃষ্ঠ থেকে 10-12 কিমি উর্ধ্বে সংকীর্ণ স্থানের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়। সময় | 
(i) জেট বায়ুর গতিবেগ 350-450km/ঘণ্টা 
(ii) শীতের প্রারম্ভে এই বায়ু প্রবাহ শুরু হয় এবং চলে মার্চ এপ্রিল মাস পর্যন্ত।
 
৯৪. নিরক্ষীয় অঞ্চলে প্রতিদিন পরিচলন বৃষ্টিপাত হয় কেন ?
উত্তরঃ-   
(i) নিরক্ষীয় অঞ্চলে সারাবছর সূর্যকিরণ লম্বভাবে পড়ার দরুণ প্রচুর উত্তাপের সৃষ্টি হয়। 
(ii) এই অঞ্চলে জলভাগ বেশি। 
(iii) জলভাগ বেশি তাই প্রচুর জলীয়বাষ্প উৎপন্ন হয়। 
(iv) উভয় গোলার্ধ থেকে আয়নবায়ু নিরক্ষীয় অঞলে মিলিত হয়। উয়—আর্দ্র বায়ু উর্ধ্বগামী পরিচলন স্রোতের সৃষ্টি করে। ও ঘনীভূত হয়ে শীতল হয় ও মেঘে পরিণত হয়। 
(v) পরে এই মেঘ থেকে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। নিরক্ষীয় অঞ্চলে এই ধরনের বৃষ্টি হয় ও বিকেলের দিকে হয় বলে 40 Clock Rain বলা হয়।

দশম শ্রেণী ভূগোল | বায়ুমণ্ডল – প্রশ্ন উত্তর সাজেশন | WBBSE Class 10th Geography Suggestion
বায়ু (বায়ুমণ্ডল – দ্বিতীয় অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Bayu Question and Answer

রচনাধর্মী বা বিশ্লেষণধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর (প্রতিটি প্রশ্নের মান ৫)


১. মরুভূমি অঞ্চলে বায়ু কীভাবে কাজ করে ?

উত্তরঃ-    মরুভূমি অঞ্চলে বায়ু প্রধানত ক্ষয়সাধন , বহন,  অবক্ষেপণ — এই তিন থরনের কাজের মাধ্যমে ভূত্বকের পরিবর্তন ঘটিয়ে নানারকম ভূমিরূপ গঠন করে । 

( ক ) মরুভূমি অঞ্চলে বায়ুর ক্ষয়কাজ : 
মরু অঞ্চলে বায়ুর প্রধান কাজ ক্ষয়সাধন করা । বায়ুতে ভাসমান বালির পরিমাণ এবং বায়ুর গতিপথের ওপর বায়ুর ক্ষয়সাধনের ক্ষমতা নির্ভর করে । ভূপৃষ্ঠের সঙ্গে ঘর্ষণের ফলে বায়ুর শক্তি কিছুটা কমে যাওয়ায় ভূপৃষ্ঠের একেবারে কাছাকাছি বায়ুর গতিবেগ অনেকটা কম হয় । আবার ভূপৃষ্ঠ থেকে যতই উপরে ওঠা যায় — বায়ুর সঙ্গে উদ্বৃত্ত বালির পরিমাণ ততই কমে যেতে থাকে , ফলে ভূমির বেশি উপরেও বায়ুর ক্ষয়কাজের শক্তি হ্রাস পায় । সাধারণত মাটি থেকে ১ মিটার পর্যন্ত উচ্চতায় বায়ুর ক্ষয়কাজ সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে । বায়ুর ক্ষয়কাজের প্রকারভেদ : বায়ু প্রধানত তিনভাবে ক্ষয়কাজ করে , যথা— 
( 1 ) অবঘর্ষ , 
( 2 ) অপসারণ এবং 
( 3 ) ঘর্ষণ । 

(1) অবঘর্ষ ( Abrasion ) । বায়ুপ্রবাহের সঙ্গে ভাসমান বালি , ছোটো ছোটো পাথরখণ্ড , শক্ত কোয়ার্টজ কশা প্রভৃতির সঙ্গে ঘর্ষণে শিলাস্তর ক্ষয় পায় , একে অবঘর্ষ বলে । এই রকমের ঘর্ষণে শিলাস্তরে গভীর দাগ বা আঁচড়ানোর দাগ বা মৌচাকের মতো অসংখ্য ছোটো ছোটো ছিদ্রের সৃষ্টি হয় । অপবাহন না অপসারণ ( Deflation ) প্রবল বায়ুপ্রবাহের ফলে মরুভূমির শিথিল বালুকারাশি এক স্থান থেকে অপর স্থানে স্থানান্তরিত হলে তাকে অপসারণ বলা হয় । অপসারণের কাজের ফলে ধান্দ ও মরুদ্যানের সৃষ্টি হয় ।

(2) ঘর্ষণ ( Attrition ) : মরুভূমিতে প্রবলবেগে বায়ুপ্রবাহের ফলে বড়ো বড়ো পাথরগুলি পরস্পরের সঙ্গে ঠোকাঠুকি লেগে ঘষা খেয়ে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গিয়ে অবশেষে ছোটো ছোটো গোলাকৃতি বালুকণায় । পরিণত হলে তাকে ঘর্ষণ প্রক্রিয়া বলে । এই প্রক্রিয়া মরুভূমি অঞ্চলে বড়ো বড়ো পাথরের খণ্ডকে ক্ষয়প্রাপ্ত করে বালিতে পরিণত করতে সাহায্য করে । অর্থাৎ পাথরখণ্ড থেকে বায়ুর ক্ষয়কাজের শেষ পর্যায় হল বালি । 

( খ ) মরুভূমি অঞ্চলে বায়ুর বহন কাজ ক্ষয়কাজের ওপর বায়ুর দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ হল বহন প্রক্রিয়া । 
এই প্রক্রিয়ায় বায়ু ক্ষয়িত শিলাচূর্ণ এবং বালিকে প্রধানত তিনভাবে বহন করে , যথা 
1. ভাসমান প্রক্রিয়া , 
2. লম্ফদান প্রক্রিয়া এবং 
3. গড়ানো প্রক্রিয়া ।

ভাসমান প্রক্রিয়া : ( Suspension ) 
ধূলিকণা প্রভৃতি অতি সূক্ষ্ম কণা বায়ুতে ভাসমান অবস্থায় এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বাহিত হয় । 

লম্ফদান প্রক্রিয়া ( Saltation ) 
বায়ুকণা ভারী হওয়ায় বেশিক্ষণ বাতাসে ভেসে থাকতে পারে না । এগুলি উপর থেকে পড়ামাত্র অন্য বালুকণার সঙ্গে সংঘর্ষে প্রতিক্ষিপ্ত ( Rebound ) হয়ে আবার উপরে উঠে যায় । এইভাবে বারবার উত্থিত ও প্রতিক্ষিপ্ত হতে হতে এগুলি এক স্থান থেকে বহুদুরে বাহিত হয় ।

গড়ালো প্রক্রিয়া ( Surface creep ) 
বড়ো বড়ো বালুকণা ও প্রস্তরখণ্ড ভারী হওয়ায় বাতাসে ভেসে থাকতে পারে না , মাঝে মাঝে এগুলি বায়ুতাড়িত হয়ে গড়িয়ে গড়িয়ে এক স্থান থেকে অন্যত্র বাহিত হয় । 

 বায়ুবাহিত বালিকণার লম্ফদান প্রক্রিয়ায় সর্বাপেক্ষা বেশি পরিমাণে বালি মরুভূমিতে এক স্থান থেকে অন্যত্র বাহিত হয় । সাহারা মরুভূমিতে এক – একটি ধূলিঝড় ( Dust – storm ) একেবারে প্রায় ২০ লক্ষ টন ধূলিকণা এক স্থান থেকে অন্যত্র বহন করতে পারে । 

( গ ) মরুভূমি অঞ্চলে বায়ুর সঞ্জয়কাজ : 
মরু অঞ্চলে কোনো বড়ো শিলাখণ্ডে বা ক্যাকটাস জাতীয় গাছে বায়ুবাহিত বালি বাধা পেয়ে সঞ্চিত হয় । একে বায়ুর সঞ্চয়কাজ বলে । সঞ্চয়কাজ তিনটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পাদিত হয় , যথা— 
1. থিতানো প্রক্রিয়া , 
2. উপলেপন প্রক্রিয়া এবং 
3. অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া । 

থিভালো ক্রিয়া ( Sedimentation ) : বায়ুবাহিত বালি দীর্ঘদিন থরে ধীরে ধীরে সঞ্চিত হলে তাকে থিতানো প্রক্রিয়া বলে । 

উপালপন প্রক্রিয়া ( Accretion ) : বালিকণা গড়াতে গড়াতে বা লাফাতে লাফাতে দূরে গিয়ে সঞ্চিত হলে তাকে উপলেপন প্রক্রিয়া বলে ।

অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া ( Enchor achment ) : সমতল ভূপৃষ্ঠে বালি আটকে গিয়ে সজ্জিত হলে তাকে অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া বলে ।


২. বায়ুর উয়তার তারতম্যের কারণ সমূহ আলোচনা করো ।
 
উত্তরঃ-   বায়ুর তাপের তারতম্যের কারণ সমূহ :

(i) অক্ষাংশ : 
পৃথিবীর কক্ষতলের সঙ্গে সর্বদা 66%° কোণে হেলে সূর্যের চারিদিকে পরিক্রমণ করে। এর ফলে নিরক্ষীয় অঞ্চলে সূর্য সারাবছর লম্বভাবে কিরণ দেয় এবং তাপীয় ফল বেশি থাকে। আবার মেরুর দিকে সূর্য ক্রমশ তির্যকভাবে পতিত হয়। ফলে সূর্যের তাপীয় ফল কম হয়। তাই উচ্চ অক্ষাংশ অপেক্ষা নিম্ন অক্ষাংশের গড় উয়তা অধিক হয়।

(ii) ভূমির উচ্চতা : 
ট্রপোস্ফিয়ারে উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে প্রতি কিমিতে গড়ে প্রায় 6.4° সেলসিয়াস | sIL ৪০০০ মি হারে উষ্মতা হ্রাস পায়। বায়ুমণ্ডলের উম্লতা তত কম হয়।
 
(iii) স্থলভাগ ও জলভাগের বণ্টন : 
জলভাগের তুলনায় স্থলভাগ দ্রুত উঃ বা শীতল হয়। এই কারণে সমুদ্র থেকে কম দূরবর্তী স্থান গ্রীষ্মকালে অধিক। উম্ন ও শীতকালে অধিক শীতল হয়।
 
(iv) বায়ুপ্রবাহ :
 সমুদ্রস্রোতের মতোই উয় বায়ু প্রবাহিত অঞল উয় এবং শীতলবায়ু প্রবাহিত অঞ্চল শীতল প্রকৃতির হয়। 
 
(v) সমুদ্রস্রোত : 
সমুদ্রের যে উপকূলীয় অঞ্চল বরাবর উয় সমুদ্রস্রোত প্রবাহিত হয় |সে অঞ্চলের বায়ুমণ্ডল উয় এবং যে অঞ্চলে শীতল সমুদ্রস্রোত প্রবাহিত হয়। সেখানকার বায়ুমণ্ডল শীতল প্রকৃতির হয়।

(vi) ভূমির ঢাল : 
ভূমির ঢালের দিক অনুযায়ী সৌরশক্তি প্রাপ্তির তারতম্য ঘটে। উত্তর গোলার্ধে উত্তরমুখী ভূমির ঢাল অপেক্ষা দক্ষিণমুখী ভূমির ঢালে অধিক লম্বভাবে সৌরকিরণ পড়ে, ফলে বায়ুমণ্ডলের উচ্চতা অধিক হয়।

(vii) মেঘাচ্ছন্নতা ও অধঃক্ষেপন : 
দিনের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে সৌররশ্মির তাপীয়। ফল হ্রাস পায় কিন্তু রাতের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হলে ভূ-পৃষ্ঠ থেকে বিকিরিত তাপ মেঘদ্বারা বাধা প্রাপ্ত হয়ে পুনরায় পৃথিবীতে ফিরে আসে। ফলে উয়তা বৃদ্ধি পায়। উয়তার ওপর বৃষ্টিপাতের প্রভাব কম হলেও বৃষ্টিপাত হওয়ার ফলে বায়ুমণ্ডলের। উয়তা সামান্য হ্রাস পায়।

(viii) স্বাভাবিক উদ্ভিদ : 
সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ার সময় উদ্ভিদ সৌরশক্তি ও co, শোষণ করে এবং বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেনের সংযোজন ঘটায়। তাই অধিক উদ্ভিদ আবৃত অঙুল তুলনামূলকভাবে কম উয় হয়; কিন্তু উদ্ভিদ কম থাকলে উয়তা চরম প্রকৃতির
 
৩. জীবজগৎ তথা পরিবেশের ওপর বিশ্ব উন্নয়নের প্রভাব আলোচনা করো ।

উত্তরঃ-   
পরিবেশের ওপর বিশ্ব উয়ায়নের প্রভাব : 
বিশ্ব উয়ায়ণ বা পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার জীবজগৎ তথা পরিবেশের ওপর সুদূর প্রসারি ক্ষতিকারক প্রভাব অবশ্যম্ভাবী। যেমন—

(i) মেরু অঞ্চলে বরফের গলন ও পার্বত্য হিমবাহের গলন : 
বিশ্ব উস্নায়ন ফলে মেরু অঞ্চলের সঞ্চিত বরফ স্তুপের গলন শুরু হয়েছে এবং পার্বত্য হিমবাহগুলির বরফের আয়তন ক্রমশ কমছে।

(ii) সমুদ্র জলের উচ্চতা বৃদ্ধি : 
গ্রিনহাউস প্রভাব বৃদ্ধি পেলে পৃথিবীর গড় উয়তা বৃদ্ধিজনিত কারণে মেরু অঞ্চলে ও পার্বত্য অঞ্চলের বরং বেশি মাত্রায় গলে গিয়ে সমুদ্র জলতলে উচ্চতা বৃদ্ধি করছে। এখনও পর্যন্ত পৃথিবীর গড় উয়তায়। প্রায় 1:5° c বৃদ্ধি পাওয়ায় সমুদ্র জলতলের উচ্চতা প্রায় 10-12 সেমি বৃদ্ধি পেয়েছে।

(iii) অধঃক্ষেপনের প্রকৃতি পরিবর্তন : 
পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে বিভিন্ন উৎসের জল অধিকতর দ্রুত ও বেশি পরিমাণে বাষ্পীভূত হচ্ছে তার ফলে বৃষ্টিপাত বা অধঃক্ষেপনের পরিমাণ সামগ্রিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাস্পীভবন বেশি হওয়ার ফলে কোথাও প্রবল বর্ষণ অন্যত্র খরা আবার উপকুলীয় অঞ্চলে বৃষ্টিপাত ও পার্বত্য অঞ্চলে তুষারপাতের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

(iv) শস্য উৎপাদনে হ্রাসবৃদ্ধি : 
বিশ্ব উম্নয়নের প্রভাবে ফসলের উৎপাদন হ্রাস বা বৃদ্ধি পেতে পারে বলে বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা। নির্দিষ্ট অঞ্চলের ভৌগােলিক অবস্থান, আবহাওয়ার পরিবর্তন, c0, বৃদ্ধির পরিমাণ, মৃত্তিকার আদ্রর্তা বা শুষ্কতা, ফসলের ধরণ প্রকৃতির উপর শস্য উৎপাদনের হ্রাসবৃদ্ধির বিষয়টি নির্ভর করে।

(v) কৃষি পদধতির পরিবর্তন : 
গ্রিনহাউস প্রভাবের জন্য পৃথিবীর উয়তা বৃদ্ধি পেলে কৃষিকাজের ওপর ভার প্রভাব পড়লে। যেমন—কৃষি বলয়ের স্থান পরিবর্তিত হয়ে উচ্চ অক্ষাংশের দিকে বিস্তৃত হচ্ছে। আবার চাষযোগ্য জমিতে ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ, আগাছা ও রেশম পােকার উপদ্রব বৃদ্ধি পাবে এবং কৃষিকাজের পরিবর্তে শিল্প, বসতি ও বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত হবে।

৪. পৃথিবীর বায়ুচাপ বলয়গুলির সঙ্গে নিয়তবায়ু প্রবাহের সম্পর্ক সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করো ।

উত্তরঃ-   বায়ুচাপের পার্থক্যই বায়ুপ্রবাহের প্রধান কারণ। ভূ-পৃষ্ঠে সাতটি স্থায়ী বায়ুচাপ বলয় অবস্থান করছে। যথা—
(i) নিরক্ষীয় নিম্নচাপ শান্তবলয়, 
(i) ও (ii) কর্কটীয় ও মকরীয় উচ্চচাপযুক্ত বলয়, 
(iv) ও (v) সুমেরুবৃত্ত ও কুমেরুবৃত্ত প্রদেশীয় নিম্নচাপ বলয়, 
(vi) ও (vii) সুমেরু ও কুমেরু উচ্চচাপ বলয়।

স্থায়ী চালবলয়গুলির প্রভাবে নিয়মিতভাবে প্রবাহিত বায়ুকেই নিয়তবায়ু বলে। নিয়তবায়ু প্রধানত তিন প্রকার 

(i) আয়ন বায়ু, 
(ii) পশ্চিমাবায়ু ও 
(iii) মেরু বায়ু।

(1) আয়ন বায়ু ও বায়ুচাপ বলয় : কর্কটীয় ও মকরীয় উচ্চচাপ বলয় থেকে নিম্নচাপ বলয়ের দিকে নির্দিষ্ট পথে, নির্দিষ্ট দিকে প্রবাহিত হয়। উত্তর গােলার্ধে 25°-30° অক্ষরেখা থেকে 5-10° অক্ষরেখার মধ্যে আয়নবায়ু প্রবাহিত হয়। ফেরেলের সূত্রানুযায়ী আয়নবায়ু উত্তর গােলার্ধে ডানদিকে ও দক্ষিণ গােলার্ধে বামদিকে বেঁকে যথাক্রমে উত্তরপূর্ব ও দক্ষিণ পূর্ব আয়নবায়রূপে প্রবাহিত হয়। এই দুই প্রকার আয়নবায়ু নিরক্ষীয় অঞ্চলে মিলিত হয়ে উর্ধ্বগামী হয়। তাই এই অঞ্চলে বায়ুর পার্শ্বপ্রবাহ থাকে না। এই অঞ্জলকেই নিরক্ষীয় শান্তবলয় বলে।

 (2) পশ্চিমাবায়ু ও বায়ুচাপ বলয় : কর্কটীয় ও মকরীয় উচ্চচাপ বলয় থেকে সুমেরু ও কুমেরুবৃত্ত প্রদেশীয় নিম্নচাপ বলয়ের দিকে নিয়মিতভাবে বায়ু প্রবাহিত হয়। সাধারণভাবে এই বায়ু পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে প্রবাহিত হওয়ায়, একে পশ্চিমাবায়। বলে। ফেরেলের সূত্রানুসারে, এই বায়ু উত্তর গােলার্ধে ডানদিকে এবং দক্ষিণ গােলার্ধে বামদিকে বেঁকে যথাক্রমে দক্ষিণ পশ্চিমা পশ্চিমাবায়ু ও উত্তরপশ্চিম পশ্চিমাবায়ু রূপে প্রবাহিত হয়। উত্তর গােলার্ধে সাধারণত 30°-60° অক্ষরেখার মধ্যবর্তী অঞ্চলে পশ্চিমাবায়ু প্রবাহিত হয়।

(3) মেরু ও বায়ুচাপ বলয় : সুমেরু ও কুমেরু উচ্চচাপ বলয় থেকে সুমেরুবৃত্ত ও কুমেরুবৃত্ত প্রদেশীয় নিম্নচাপ বলয়ের দিকে নিয়মিতভাবে বায়ু প্রবাহিত হয়। মেরু কুমেরুবৃত্ত প্রদেশীয় নিম্নচাপ বলয়ের দিকে নিয়মিতভাবে বায়ু প্রবাহিত হয়। মেরু। অঞ্চল থেকে প্রবাহিত হওয়ায় একে মেরুবলয় বলে। সাধারণভাবে এই বায়ু উভয় গােলার্ধে 70-80° অক্ষরেখার মধ্যবর্তী অঞ্চলে পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়। ফেরেলের সূত্রানুসারে এই বায়ু উত্তর গােলার্ধে ডানদিকে ও দক্ষিণ গােলার্ধে বামদিকে বেঁকে যথাক্রমে উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণপূর্ব মেরুবায়ু রূপে প্রবাহিত হয়। উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণপূর্ব আয়নবায়ু যেখানে মিলিত হয় সেই অঞ্চলকে Inter Tropical Convergence Zone বা ITCZ বলে। এবং পশ্চিমাবায়ু ও মেরুবায়ু সেখানে মিলিত হয়, সেই অঞ্জলকে মেরুসীমান্ত অঞ্চল বলে। চাপবলয়গুলি স্থায়ী এবং বায়ুপ্রবাহগুলি নিয়মিত হলেও সূর্যের উত্তরায়ণ ও দক্ষিণায়নের সঙ্গে সঙ্গে চাপবলয়গুলিও যথাক্রমে উত্তর ও দক্ষিণে সরে যায়। চাপবলয়গুলির স্থান পরিবর্তনের ফলে বায়ুপ্রবাহগুলিও উত্তরে বা দক্ষিণে সরে যায়।
 
৫. বায়ুচাপের তারতম্যের কারণগুলি আলোচনা করো। 
 
উত্তরঃ-   বায়ুচাপের তারতম্যের প্রধান কারণ হলো  বায়ুর ঘনত্বের তারতম্য। বায়ুচাপের তারতম্যের নিয়ন্ত্রকগুলি হলো -

(i) উচ্চতা : 
ভূমিভাগের উচ্চতা, বায়ুচাপের তারতম্যের ক্ষেত্রে অন্যতম নিয়ন্ত্রক। ওপরের বায়ুস্তরের প্রবল চাপে বায়ুর অণুগুলি ও ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি অঞ্চলে বেশি পরিমাণে থাকে। একারণেই সমুদ্রতল সংলগ্ন বায়ুস্তরে বায়ুচাপ বেশি হয়। আবার ভূমির উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে সাথে বায়ুর ঘনত্ব ও ওজন কমতে থাকে বলে বায়ুর চাপও কমে যায়। দেখা গেছে, সমুদ্রতল থেকে প্রতি 110 মিটার উচ্চতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে 1 cm পারদস্তম্ভের সমান বায়ুচাপ (1:34 mb হারে) কমতে থাকে।

(ii) উয়তা : 
বায়ুর উয়তার পরিবর্তন হলে বায়ুর আয়তন ও ঘনত্বের পরিবর্তন হয়। ফলস্বরূপ চাপেরও পরিবর্তন হয়। অর্থাৎ বায়ু উত্তপ্ত হলে বায়ুর অনুগুলি গতিশীল হয়ে পরস্পর থেকে দুরে সরে যায়। ওই উয় বায়ু হালকা ও প্রসারিত হয়ে ওপরে উঠে যায় এবং এর চাপও কমে যায়। আবার উত্মতা কম হলে বা বায়ু শীতল হলে সংকুচিত হয় বলে বায়ুর ঘনত্ব বেড়ে যায় এবং চাপও বেশি হয়।

(iii) জলীয়বাষ্প : 
বায়ুতে উপস্থিত অন্যান্য উপাদানের মধ্যে জলীয়বাষ্প হল অধিক হালকা উপাদান। বেশি জলীয় বাষ্পযুক্ত বায়ু নিম্নচাপবিশিষ্ট হয় এবং কম জলীয়বাষ্পযুক্ত বায়ু উচ্চচাপবিশিষ্ট হয়।
 
(iv) পৃথিবীর আবর্তন : 
পৃথিবীর আবর্তনগতির ফলে সৃষ্ট কেন্দ্ৰবহির্মুখী বলের (Centrifugal force) প্রভাবে বায়ুর গতিবিক্ষেপ ঘটে। ফলে বায়ুর চাপ ও ঘনত্ব উভয়ই হ্রাস পায়। নিরীক্ষয় অঞলে আবর্তনের বেগ বেশি থাকায় বায়ুর বেশি গতিবিক্ষেপ ঘটে বলে স্থায়ী নিম্নচাপ বলয় সৃষ্টি হয়েছে।
 
(v) স্থলভাগ ও জলভাগের বণ্টন : 
পৃথিবীপৃষ্ঠে জলভাগ ও স্থলভাগের বিন্যাস বা বণ্টন তথা উভয়ের মধ্যেকার তাপগ্রাহীতা শক্তির পার্থক্যের জন্যও বায়ুর চাপের তারতম্য ঘটে। জলভাগের ওপর দিয়ে প্রবাহিত বায়ু জলীয়বাষ্প গ্রহণ করে বলে তা আর্দ্রও হালকা হয় এবং চাপও কম হয়। কিন্তু স্থলভাগের ওপর দিয়ে প্রবাহিত বায়ু জলীয়বাষ্প সংগ্রহ করতে পারে না। তাই তা শুষ্ক, ভারি হয় এবং চাপও অধিক হয়।

৬. মরুভূমিতে বায়ু প্রধান শক্তিরূপে কাজ করে কেন ? 
অথবা , 
মরু অঞ্চলে বায়ুর কাজের প্রাধান্য দেখা যায় কেন ?    

উত্তরঃ-   মরুভূমিতে বায়ু প্রধান শক্তিরূপে কাজ করে কেন : 
( ১ ) যান্ত্রিক আবহবিকারের প্রাবল্য : 
যান্ত্রিক আবহবিকারে শিলা ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে অবশেষে বালিকণায় পরিণত হয় । বালি বায়ু ক্ষয়কার্যের প্রধান উপাদান । 

( ২ ) বৃষ্টির অভাব :
 বৃষ্টি এখানে হয় না । বালিস্তর সর্বদা আলগা ও শিথিল থাকে , যা বায়ু সহজেই উড়িয়ে নিয়ে যেতে পারে । 

( ৩ ) গাছপালার অভাব : 
বৃষ্টির অভাবে গাছপালা নেই বলেই বায়ু বাধাহীনভাবে প্রবাহিত হতে পারে ।

৭. মরুভূমিতে বালির উৎপত্তি কীভাবে ঘটেছে ?

উত্তরঃ-   বালি হল শিলাজাত অজৈব পদার্থ যার ব্যাস ০.০২-২.০ মিমি । মরুভূমি গঠনের প্রধান উপাদান হল বালি । এই বালি গঠনের প্রধান উপাদান হল কোয়ার্টজ খনিজ । এ ছাড়া বালির মধ্যে থাকে ফেল্ডস্পার , অভ্র , জিপসাম প্রভৃতি খনিজ । মরুভূমি অঞ্চলের সিলিকেট সমৃদ্ধ শিলা ( গ্রানাইট , ডায়োরাইট , গ্যাব্রো , বেলেপাথর ইত্যাদি ) যান্ত্রিক অববাহিকা – এর প্রভাবে প্রথমে চূর্ণবিচূর্ণ এবং পরে অবঘর্ষ ও ঘর্ষণক্ষয় প্রক্রিয়ায় ছোটো হতে হতে শেষে বালিকণায় পরিণত হয় । এইভাবেই মরুভূমিতে বালির উৎপত্তি হয় ।

৮. কী কী কারণে মরুভূমি সম্প্রসারণ ঘটে ?

উত্তরঃ-   মরুভূমি সম্প্রসারণের কারণগুলি হল— 
( ১ ) বিশ্ব উষ্ণায়ন বা গ্লোবাল ওয়ার্মিং মরু সম্প্রসারণের প্রধান কারণ । 
( ২ ) মরুপ্রান্ত ও মরুপ্রায় অঞ্চলে দীর্ঘদিন থরা হলে তা মরুগ্রাসে পড়ে । 
( ৩ ) মরুপ্রায় অঞ্চলে অত্যধিক পশুচারণে মাটি আলগা হয়ে অঞ্চলটি মরুগ্রাসের কবলে পড়ে । পশ্চিম সাহারায় এই কারণে মরুভূমি বেড়েছে । 
( ৪ ) গাছপালা কেটে ফেলা মরু সম্প্রসারণের অন্যতম কারণ । মিশরে ফ্যারাওদের অবিবেচনাপ্রসূতভাবে গাছ কাটার কারণে মরুভূমি প্রাচীনকাল থেকেই বেড়ে চলেছে । 
( ৫ ) মরুপ্রায় অঞ্চলে অবৈজ্ঞানিক প্রথায় চাষ , অধিক জলসেচে মাটির লবণতা বৃদ্ধি ইত্যাদি কারণে মরু সম্প্রসারণ ঘটছে । ভারতে থর মরুভূমি এই কারণেই একটু একটু করে বাড়ছে ।

৯. মরুভূমি সম্প্রসারণের কারণে কী কী সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে ? 
অথবা , 
মরুসম্প্রসারণের ফলাফলগুলি কী কী ?

উত্তরঃ-   মরুভূমি সম্প্রসারণের ফলে সৃষ্ট সমস্যাগুলি হল – 

( ১ ) বিশাল কৃষিজমি ধ্বংস হয় , সিন্ধু সভ্যতাও মরুকরণের কারণেই ধ্বংস হয়েছিল বলে মনে করা হয় । 
( ২ ) জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হয় এবং উদ্ভিদ ও প্রাণীর উৎপাদন Unge IMPLE BI ক্ষমতা কমে । 
( ৩ ) মাটির জৈব পদার্থের পরিমাণ কমে জমি উর্বরতা শক্তি হারায় । 
( ৪ ) ভৌমজলের ভাণ্ডার কমে । 
( ৫ ) মরুকরণ কবলিত এলাকা থেকে মানুষকে সরতে হয় ফলে সামাজিক সমস্যা বাড়ে এবং environmental refugee এর সৃষ্টি হয় । 
( ৬ ) মরুকরণ অঞ্চলগুলিতে অর্থনৈতিক চাপ বাড়ে ।

১০. মরুভূমি সম্প্রসারণ রোধ কী কী উপায়ে করা যায় ?

উত্তরঃ-   মরুভূমি সম্প্রসারণ রোধ করার উপায়গুলি হল— 
( ১ ) মরুভূমিতে যে সামান্য বৃষ্টি হয় তা থরে রাখার জন্য গর্ত , চেক ড্যাম তৈরি দরকার । 
( ২ ) জমির লবণতা যাতে কমে তার জন্য বিভিন্ন ফসলের চাষ দরকার । শুঁটি জাতীয় উদ্ভিদ চাষে জমির উর্বরতা বাড়ে । 
( ৩ ) বালিয়াড়ি সম্প্রসারণ রোধের জন্য বেড়া দেওয়ার মতো করে গাছ লাগানো দরকার । ভারতের Central Arid Zone Research . Institute ( CAZRI – সদর দপ্তর যোধপুর ) এই ব্যাপারে বেশ সাফল্য পেয়েছে । 
( ৪ ) অগভীর বালিস্তরে মুনা জাতীয় ঘাস লাগালে তা দ্রুত বেড়ে অঞ্চলকে ঢেকে দেয় । ফলে বালি উড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কমে । 
( ৫ ) খরা প্রতিরোধকারী বিভিন্ন গাছ লাগিয়ে সবুজ অরণ্যে ভরিয়ে দেওয়া দরকার । 
( ৬ ) পশুচারণ নিয়ন্ত্রণ দরকার । 

১১. বায়ু কোন্ কোন্ পদ্ধতিতে ক্ষয়কাজ করে ?

উত্তরঃ-   বায়ু তিনটি পদ্ধতিতে ক্ষয়কাজ করে— 
( 1 ) অবঘর্ষ : 
মরু অঞ্চলে বায়ুর সাথে বাহিত বালি , অতিক্ষুদ্র প্রস্তরখণ্ড শিলাস্তরের ওপরে আছড়ে পড়ে এবং শিলার ওপর আঁচড় কাটা দাগ , গভীর ক্ষত , মৌচাকের মতো দাগ , অসংখ্য গর্ত সৃষ্টি করে , একে বলে অবঘর্ষ । অবঘর্ষ প্রক্রিয়া ভূমির সামান্য উপরে শিলাস্তরের ওপর সর্বাধিক ক্রিয়াশীল । 

( 2 ) ঘর্ষণ ক্ষয় : 
ভূপৃষ্ঠের উপর দিয়ে বায়ুর প্রভাবে বাহিত বিভিন্ন আকৃতির নুড়ি , প্রস্তরখণ্ড একে অপরের সাথে ঠোকাঠুকিতে ভেঙে অবশেষে বালিকণায় পরিণত হয় , এটি হল ঘর্ষণ ক্ষয় প্রক্রিয়া । 

( 3 ) অপবাহন : 
জলের অভাবে মরুভূমির বালি , পলি আলগা শিথিল অবস্থায় থাকে । তাই প্রবল বায়ুপ্রবাহে এই বালি ও পলিকণা অপসারিত হয় । এটি হল অপবাহন প্রক্রিয়া বা deflation । এর প্রভাবে মরুভূমিতে অবনত স্থান , ছোটো – বড়ো গর্তের সৃষ্টি হয় ।


১২. বায়ুর ক্ষয়কার্যের ফলে গঠিত ভূমিরূপের বিবরণ দাও ।

উত্তরঃ-   শুদ্ধ গাছপালাহীন মরু বা মরুপ্রায় প্রান্তের ও উপকূলের বালিয়াড়ি অঞ্চলের সর্বাধিক ক্ষয়কারী প্রাকৃতিক শক্তি বায়ুপ্রবাহ বায়ুর ক্ষয়জাত ভূমিরূপগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল – 

( ক ) সার সৃষ্ট গর্ভ ( Defiation hollow ) : 
মরু অঞ্চলে বায়ুপ্রবাহের তীর আঘাতে স্থানে স্থানে হাজার হাজার টন বালি অপসারণ প্রক্রিয়ার ফলে স্থানান্তরে পরিবাহিত হয় । ফলে বিশাল অঞ্চলজুড়ে ছোটো – বড়ো গর্ভ সৃষ্টি হয় । একে বলে অপসারণ সৃষ্ট গর্ত । 

বৈশিষ্ট্য : 
অনেকদিন থরে অপসারণ কার্য চলায় ভূমিভাগে গভীর গর্ত সৃষ্টি হয় । ফলে কখনো কখনো ভূমিভাগের ভৌমজলস্তর উন্মুক্ত হয়ে জলাশয় গড়ে উঠতে পারে । ওই মরূদ্যানের সিপ্ত অঞ্চলে গাছপালা জন্মায় । 
উদাহরণ মিশরে কাতার ( প্রায় ৪৪০ ফুট গভীর ) পৃথিবীর বৃহত্তম অপসারণ সৃষ্ট গর্ত । 

( খ ) গৌর ( Gour ) : 
গৌর হল বায়ুর ক্ষয়কাজের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপের এক অন্যতম নিদর্শন । বায়ুর গতিপথে কঠিন ও কোমল শিলায় গড়া কোনো বৃহৎ শিলাখণ্ড অনুভূমিকভাবে অবস্থান করলে নীচের কোমল অংশে বিভিন্ন ঋতুতে বিভিন্ন দিক থেকে প্রবাহিত বায়ুর অবঘর্ষজনিত ক্ষয়কাজের তীব্রতা বেশি হওয়ার জন্য শিলাস্তূপটির নীচের অংশ ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে সরু স্তম্ভের মতো হয় এবং উপরের কম ক্ষয়প্রাপ্ত কঠিন অংশটি বিরাট আয়তন নিয়ে ব্যাঙের ছাতা বা স্তম্ভের মতো দাঁড়িয়ে থাকে । স্তম্ভাকৃতি এইরকম শিলাখণ্ডকে গৌর বলে ।

 উদাহরণ : আফ্রিকার সাহারা মরুভূমি এবং এশিয়ার ইরান মরুভূমিতে অনেক গৌর আকৃতির ভূমিরূপ দেখা যায় । 

বৈশিষ্ট্য : 
( i ) জার্মান ভাষায় গৌরকে ফিটজফেলসেন ( pitzfelsen ) বলে । 
( ii ) অনেক সময় গৌরের মধ্যে রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে এক থরনের রঙের প্রলেপ সৃষ্টি হয় । এই থরনের গৌরকে ডেজার্টভার্নিস বলে । 

 উদাহরণ আফ্রিকার সাহারা ও এশিয়ার ইরানের মরুভূমিতে দেখা যায় । 

( গ ) ইয়ারদাং ( Yardang ) : 
মরুভূমি অঞ্চলে কঠিন ও কোমল শিলাস্তর পাশাপাশি লম্বভাবে অবস্থান করলে দীর্ঘকাল থরে অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় বায়ু কোমল শিলা দ্রুত ক্ষয় করে গহ্বর বা সুড়ঙ্গের মতো ভূমিরূপ গঠন করে । কঠিন শিলাস্তরগুলি পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বিভিন্ন মূর্তি গঠন করে । এই বিশেষ ভূমিরূপকে বলে ইয়ারদাং । 

বৈশিষ্ট্য : 
( ক ) ইয়ারদাং দেখতে অনেকটা পাঁজরের মতো । 
( খ ) এর গড় উচ্চতা প্রায় ৭ মিটার । 
( গ ) কোমল শিলায় গঠিত গর্তের দু – পাশ নালিকার মতো হয় । 

 উদাহরণ : দক্ষিণ আমেরিকার চিলির আটাকামা মরুভূমি , মধ্যএশিয়ার তুর্কিস্তান মরুভূমিতে ইয়ারদাং দেখা যায় ।

( ঘ ) জিউগেন ( Zeugen ) : 
মরুভূমি অঞ্চলে উপরের স্তরে কঠিন শিলা ও নীচে কোমল শিলাগঠিত অংশে পর্যায়ক্রমে –অনুভূমিকভাবে থাকা পাঠন ও কোমল অনুভূমিকভাবে অবস্থান করলে অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় বায়ুর ক্ষয়কাজে কঠিন শিলাগঠিত অংশে অতি অল্প ক্ষয় পেয়ে চ্যাপটা প্রায় সমতল চুড়াবিশিষ্ট টিলার মতো দাঁড়িয়ে থাকে এবং কোমল শিলাস্তর বেশি ক্ষয় পেয়ে ফাটল বরাবর লম্বা খাত বা গহ্বর সৃষ্টি হয় । এই বিশেষ ভূমিরূপের নাম জিউগেন । 

বৈশিষ্ট্য : 
জিউগেনের গড় উচ্চতা ৩ – ৩০ মিটার পর্যন্ত হয় । জিউগেন দেখতে সারিবদ্ধ চ্যাপটা মাথাযুক্ত ভূমিরূপ । 

 উদাহরণ : উত্তর আমেরিকার সোনেরান মরুভূমিতে দেখা যায় । 

( ঙ ) ইনসেলবার্জ ( Inselberg ) : 
জার্মান শব্দ ইনসেলবার্জ – এর অর্থ দ্বীপময় পাহাড় । প্রায় সমতল মরুভূমির মাঝে বিক্ষিপ্তভাবে জেগে থাকা সমান উচ্চতাবিশিষ্ট কঠিন শিলা গঠিত অবশিষ্ট মসৃণ টিলাকে বলে ইনসেলবার্জ । • নামকরণ : ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে ভূবিজ্ঞানী পাসার্জ ( S. Passarge ) সমগ্ৰায়ভূমির অবশিষ্ট টিলাকে ইনসেলবার্জ নামকরণ করেন । ১৯০০ খ্রিস্টাব্দে ভূবিজ্ঞানী বর্নহার্ডট ( W.A. Bornhardt ) পূর্ব আফ্রিকার অবশিষ্ট পাহাড়কে প্রথম নামকরণ করেন ।

বৈশিষ্ট্য : 
( i ) দীর্ঘদিন থরে ক্ষয়ে যাওয়ার ফলে মসৃণ , গোলাকার হয় ; 
( ii ) ইনসেলবার্জ গ্রানাইট , নিস্ জাতীয় আগ্নেয় ও রূপান্তরিত শিলা দ্বারা গঠিত ; 
( iii ) এদের উচ্চতা ৩০–৩০০ মিটার ; ভূমির ঢাল তীক্ষ্ণ , 
( iv ) ক্ষয়ে গেলে বোর্নহার্ড , ক্যাসেলকপিজ ও টরস্ ( Tors ) গঠিত হয় । 

জেনে রাখো : দীর্ঘদিন থরে ক্ষয়কার্য চলার ফলে ইনসেলবার্জগুলি ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে যে ছোটো ছোটো টিলায় পরিণত হয় , তাকে বলে টরস্ ( Tors ) । আবার প্রচুর পরিমাণে শিলাখণ্ড কোনো স্থানে একসাথে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে , তাকে বলে কোপিস | ( Koppise ) । ভারতের দাক্ষিণাত্য মালভূমির বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চলে এইসব দেখতে পাওয়া যায় ।

১৩.  বায়ুর সঞ্চয়কার্যের ফলে গঠিত ভূমিরূপের বিবরণ দাও ।  

উত্তরঃ-   কোনো বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বায়ুবাহিত বালি বাধা পেয়ে জমা হয় । বায়ুর সঞ্চয়কার্যের ফলে গঠিত ভূমিরূপের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল – 

( ক ) বালিয়াড়ি ( Dune ) : 
কোনো বিস্তীর্ণ স্থানজুড়ে থাকা উঁচু ও দীর্ঘ বালির স্তূপকে বলে বালিয়াড়ি । মরুভূমি ও সমুদ্রোপকূলে বালিয়াড়ি দেখা যায় । TOMARTISORY বিজ্ঞানী ব্যাগনল্ডের মতে আকৃতি অনুসারে বালিয়াড়ি দু – রকম— 
(১ ) তির্যক বালিয়াড়ি 
( ২ ) অনুদৈর্ঘ্য বালিয়াড়ি । 

( ১ ) তির্যক বালিয়াড়ি ( Transverse dune ) : 
মরুভূমি অঞ্চলে যেখানে সারাবছর থরে একই দিকে বায়ু প্রবাহিত হতে থাকে সেখানে বায়ুর গতির সঙ্গে তির্যক বা আড়াআড়ি ভাবে যেসব বালিয়াড়ি গড়ে ওঠে তাকে বলে তির্যক বালিয়াড়ি । তির্যক বালিয়াড়িগুলির মধ্যে বার্খান  পাঠ্যক্রমের অন্তর্গত । 

( ২ ) বাৰ্খান বালিয়াড়ি ( Barkhan ) : 
বাৰ্খান একটি তুর্কি শব্দ ; এর অর্থ হল কিরঘিজ , স্টেপ অঞ্চলের বালিয়াড়ি । যে সমস্ত বালিয়াড়ির গঠন অর্ধচন্দ্রাকার বা আধখানা চাঁদের মতো দেখতে হয় তাদের বাৰ্খান বলে । 

 বৈশিষ্ট্য : 
( ক ) বার্খানের দুটি প্রান্তে দুটি শিরার মতো শিং ( Horn ) দেখা যায় । 
( খ ) এরা বায়ুর গতির দিকে ক্রমশ ঢালু এবং বিপরীত দিকে খাড়া হয়ে থাকে । 
( গ ) বার্থানের উচ্চতা ১৫–৩৫ মিটার , প্রস্থ ৪০–৭০ মিটার , আয়তন ৫ বর্গকিমি থেকে ২০০ বর্গমিটার পর্যন্ত হয় । 

 উদাহরণ : সাহারা মরুভূমিতে অনেক বৃহদায়তন বাৰ্খান দেখা যায় । 

( ২ ) অনুদৈর্ঘ্য বালিয়াড়ি বা সিক্‌ বালিয়াড়ি ( Scif dune ) 
স্থায়ী বালিয়াড়ির মধ্যভাগ বায়ুতাড়িত হয়ে ভেঙে গিয়ে বায়ুর গতিপ্রবাহের সঙ্গে সমান্তরালে অনুদীর্ঘ বালিয়াড়ি গঠন করে । বায়ুর গতির সঙ্গে সমান্তরালভাবে গড়ে ওঠা বালিয়াড়িকে অনুদৈর্ঘ্য বালিয়াড়ি বলা হয় । অনুদৈর্ঘ্য বালিয়াড়ির একটি বিশেষ রূপ হল সিফ দয়াড়ি । 

সিদ্ধ বালিয়াতি : 
সিফ্ট একটি আরবি শব্দ , যার অর্থ সোজা তলোয়ার । অনুদৈর্ঘ্য বালিয়াড়ির মধ্যে যেসব বালিয়াড়ি আকারে বেশ সরু কিন্তু খুব লম্বা তাদের বলে সিফ্ বালিয়াড়ি । 

বৈশিষ্ট্য : 
( ক ) এই বালিয়াড়ির অনুবাত প্রান্তটি তলোয়ারের মতো সরু এবং প্রতিবাত প্রান্তটি চওড়া ও গোল হয় । 

( খ ) দুটো সিফ্ বালিয়াড়ির মধ্যবর্তী অঞ্চলকে করিডোর বলে ; এর মধ্য দিয়ে বায়ু প্রবলবেগে সোজা প্রবাহিত হয় । 

( গ ) সি বালিয়াড়ি দৈর্ঘ্যে খুব বড়ো হয় ; প্রস্থে ছোটো হয় । 

( ঘ ) সি বালিয়াড়ির উচ্চতা ১০০ মিটার হয় । 

( ঙ ) পরস্পর সমান্তরালে একাধিক সিফ্ বালিয়াড়ি গঠিত হয় । উদাহরণ : দক্ষিণ ইরানের মরুভূমিতে সিফ্ বালিয়াড়ি দেখা যায় । 

[ খ ] লোয়েস ( Loess ) 
বায়ুর পরিবহণ ও অবক্ষেপণের মাধ্যমে গঠিত সমভূমি হল লোয়েস । লোয়েস শব্দের অর্থ ‘ স্থানচ্যূত বস্তু ’ । মরুভূমির হলুদ ও ধূসের বর্ণের কোয়ার্টজ , ফেল্ডস্পার , ডলোমাইট ও অন্যান্য খনিজ সমৃন্য ০.০৫ মিমি ব্যাসযুক্ত সূক্ষ্ম বালিকণা , মাটিকণা বায়ুর সঙ্গে দূরে উড়ে গিয়ে দূরবর্তী নীচু ভূমি ভরাট করে লোয়েস গঠন করে । বৈশিষ্ট্য কখনো কখনো মরুভূমির বালি বায়ু দ্বারা অপসারিত হয়ে পার্শ্ববর্তী কোনো উর্বর কৃষি ভূমিকে ক্রমশ ঢেকে ফেলে জমির উর্বরতা নষ্ট করে দেয় । ধীরে ধীরে কৃষি ভূমিটিকে মরুভূমি গ্রাস করে ফেলে ।

 উদাহরণ মধ্য এশিয়ার গোবি মরুভূমি থেকে শীতকালীন উত্তর – পূর্ব মৌসুমি বায়ু বাহিত হয়ে বিপুল পরিমাণে বালি ও মাটি কণা উত্তর চিনের হোয়াংহো নদী অববাহিকায় দীর্ঘদিন থরে সঞ্ছিত হয়ে সেখানে লোয়েস সমভূমি সৃষ্টি করেছে । 

১৪.  বায়ু ও জলধারার মিলিত কার্যের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ গড়ে ওঠার কার্যকারণ সম্পর্কে আলোচনা করো ।

উত্তরঃ-    মরু ও মরুপ্রায় অঞ্চলে হঠাৎ অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে সাময়িক সময়ের জন্য অস্থায়ী নালা সৃষ্টি হয়ে যায় । বায়ু ও জলধারার মিলিত কার্যে ভূমিরূপে নানা পরিবর্তন হয় । ( ক ) পেডিমেন্ট ( Pediment ) : পেডিমেন্ট শব্দের অর্থ ‘ পাহাড়ের দেশ ‘ ( Pedi = পাদদেশ ; Mont = পর্বত ) । 

উৎপত্তি : 
বায়ু ও জলধারার মিলিত কার্যের ফলে মরুভূমির পর্বতের পাদদেশে এই পেডিমেন্টের উৎপত্তি হয় । মরুমধ্যস্থিত পর্বত পাদদেশে বায়ুবাহিত ও জলধারার মিলিত ক্ষয় ও সঞ্চয় ক্রিয়ায় গড়ে ওঠা ঊর্ধ্বাংশ ঢালু ও নিম্নাংশ প্রায় সমতল আকৃতির বিশিষ্ট ভূমিরূপকে  পেডিমেন্ট বলে । 

বৈশিষ্ট্য : 
পেডিমেন্ট শব্দটি ব্যবহার করেন জে . কে . গিলবার্ট । এর ঢাল ৬০-৭ ° মতো হয় । এর আকৃতি অবতল প্রকৃতির । পাদদেশে নুড়ি বালি জমে সাময়িক জলধারার সৃষ্টি হয় । শ্রেণিবিভাগ : পেডিমেন্ট তিন থরনের— 
( i ) আবৃত পেডিমেন্ট পাতলা নুড়ির আবরণে ঢাকা পেডিমেন্ট । 

( ii ) সম্মিলিত বা একত্রীভূত পেডিমেন্ট : 
একাধিক পেডিমেন্ট পরস্পর মিশে সৃষ্ট পেডিমেন্ট । 

( iii ) ব্যবচ্ছিন্ন পেডিমেন্ট : 
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জলস্রোত দ্বারা বিচ্ছিন্ন পেডিমেন্ট । উদাহরণ : আফ্রিকার সাহারা মরুভূমির উত্তর – পশ্চিম প্রান্তে আটলাস পর্বতের পাদদেশে পেডিমেন্ট দেখা যায় । 

( খ ) বাজাদা ( Bajada ) : 
মরুভূমি ও মরুপ্রায় অঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি প্রবল বর্ষণের প্রভাবে সৃষ্ট হওয়া অস্থায়ী জলধারা ও বায়ুপ্রবাহের মিলিত সঞ্চয়কাজের ফলে যে প্রায় সমতল ভূমির সৃষ্টি করে তাকে বলে বাজাদা । 

উৎপত্তি : 
কখনো কখনো মরু ও মরুপ্রায় অঞ্চলের পর্বতের পাদদেশে অস্থায়ী জলধারা বা ওয়াদি গঠিত একাধিক পলল ব্যঞ্ছনী একসঙ্গে অবস্থান করলে বাজাদা গড়ে ওঠে । 

বৈশিষ্ট্য : 
( i ) সুক্ষ্ম পলি ও বালি দ্বারা গঠিত এই বাজাদা কয়েক কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত হয় । 
( ii ) এর গড় ঢাল হয় ৩ ° —৪ ° 

উদাহরণ : 
সাহারা মরুভূমির আটলাস পর্বতের পাদদেশবর্তী অঞ্চলে বাজাদা ভূমিরূপ দেখা যায় । এ ছাড়া কালাহারি , আরব ও অস্ট্রেলীয় মরুভূমিতেও বাজাদা দেখা যায় । 

( গ ) ওয়াদি ( Wadi ) : 
আরবি শব্দ ‘ ওয়াদি ’ – এর অর্থ ‘ শুষ্ক উপত্যকা ’ । মরু অঞ্চলে সৃষ্ট শুষ্ক নদীখাতগুলিকে ওয়াদি বলে । ↑ উৎপত্তি : মরু অঞ্চলে হঠাৎ প্রবল বৃষ্টি হলে , বহু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বেগবতী ক্ষণস্থায়ী জলধারা ঢালু পর্বতগাত্রে নদীখাতের সৃষ্টি করে । শুষ্ক অঞ্চলে জলের অধিগ্রহণ ( Infiltration ) এবং অধিক পরিমাণে বাষ্পীভবন ( Evaporation ) ফলে নদীখাত দ্রুত শুকিয়ে যায় এবং ওয়াদি সৃষ্টি হয় । মরুভূমি অঞ্চলে যেখানে ২৫-৫০ সেমি বাৎসরিক বৃষ্টি ঘটে , তখন সেখানে ওয়াদি গড়ে ওঠে ।

 বৈশিষ্ট্য : 
( i ) এটি স্বল্প দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট নদীখাত । 
( ii ) বছরের অধিকাংশ সময়ই নদীখাত শুষ্ক থাকে । 

উদাহরণ : 
আরব মরুভূমিতে বহু ওয়াদি দেখা যায় । 

( ঘ ) প্লয়া ( Playa ) : 
মরু অঞ্চলে অপসারণ সৃষ্ট গর্ভে লবণাক্ত জল জমে যে হ্রদ সৃষ্টি হয় তাকে বলে পায়া । লবণাক্ত জল জমা হয় বলে ওই হ্রদকে বলে প্রায়া ; মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমে 
 মেক্সিকোর মরু অঞ্চলে পর্বতবেষ্টিত লবণাক্ত হ্রদকে বলে বোলসন । আফ্রিকায় প্রায়াকে শট্স ( Shotts ) বলে । 

উৎপত্তি : 
প্রবল বায়ুপ্রবাহের ফলে মরুভূমির বালি অপসারিত হয়ে ছোটো – বড়ো অনেক গর্তের সৃষ্টি হয় । এই গর্তগুলি যদি খুব গভীর হয়ে ভূগর্ভের জলস্তরকে স্পর্শ করে , তাহলে ভূগর্ভস্থ জল ও বৃষ্টির জল জমা হয়ে সেখানে প্লায়া হ্রদের সৃষ্টি হয় ।

১৫.  মরু অঞ্চলের সম্প্রসারণের কারণগুলি উল্লেখ করো । কোন্ কোন্ পদ্ধতিতে এই মরুপ্রসারণ প্রতিরোধ করা যায় উল্লেখ করো ।

উত্তরঃ-   
মরুকরণ বা ‘ Desertification ‘ শব্দটি বর্তমানে বহুল প্রচলিত । জলবায়ুর পরিবর্তন , মানুষের অবিবেচক ক্রিয়াকলাপ , প্রভৃতির কারণে পৃথিবীতে মরুভূমির আয়তন ক্রমশ বেড়েই চলেছে । 

মরুভূমি সম্প্রসারণের কারণ : 
অরণ্যনিধন : বর্ধিত জনসংখ্যার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নগরায়ণ । বন কেটে বসতি গড়ে উঠছে । অরণ্য বিনাশের ফলে মাটি আলগা হয়ে পড়ায় ভূমিক্ষয় বাড়ছে । ভারতে প্রতিবছর গড়ে প্রায় ১৫ লক্ষ হেক্টর অরণ্য বিনষ্ট হয় । ফলে মোট ভূমিভাগের ১ % ভূমি পরিণত হয় বন্ধ্যাভূমিতে । 

ভূমি ব্যবহার : 
ভূমি ব্যবহার বলতে মূলত নানা উদ্দেশ্য । পুরণের জন্য কখনও অর্থনৈতিকভাবে , কখনও বা সামাজিক ব্যবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ভূমির কার্যকারিতাকে বোঝায় । ভারতের মরু অঞ্চল পৃথিবীর সব মরুভূমির মধ্যে সর্বাধিক জনবহুল । কৃষিকার্যেই যেখানে লাভজনক অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ , সেখানে অতিরিক্ত কৃষিকার্যে মাটির কণাগুলি শিথিল হয়ে ভূমিক্ষয় বাড়ায় । 

অনিয়ন্ত্রিত পশুচারণ : 
শুষ্ক পরিবেশে অল্প জলের মাধ্যমে যদি তৃণভূমি সৃষ্টি করা যায় তাহলে সেখানে পশুচারণভূমি গড়ে ওঠে যা জীবিকার অন্যতম মাধ্যম । কিন্তু অতিরিক্ত পশুচারণ ভূমিক্ষয় বাড়ায় । পশুর খুরের আঘাতে মাটি আলগা হয় , গাছপালার আচ্ছাদন বিনষ্ট হয় । 

ভৌমজলের অভিব্যবহার : 
জলসেচের মাধ্যমে শুষ্ক ভূমিকে । কৃষিযোগ্য করার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ভৌমজল তুলে নেওয়া হয় , ফলে জলের সাথে কৌশিক প্রক্রিয়ায় লবণও উঠে আসে যা কৃষি প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে । তার সাথে জলের স্তর বেশি নেমে যাওয়ায় মরুভূমির মাটি আর্দ্রতা হারিয়ে মরুকরণ পদ্ধতিকে ত্বরান্বিত করে । 

খনিজ উত্তোলন : 
খনিজসম্পদের দুর্লভ ভাঙার থাকায় ভূগর্ভ থেকে তা উত্তোলন করা হয় । খননকার্যের মাধ্যমে ভূমিতে ধস নামার সম্ভাবনা থাকে , মাটির স্বাভাবিক প্রথন বা বুনন নষ্ট হয় । এটিও পরোক্ষভাবে মরুপ্রসারণে সাহায্য করে । 

মরুভূমি সম্প্রসারণ রোধের উপায় : 
মরুভূমি সম্প্রসারণের জন্য দায়ী কারণগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করা যদি সম্ভব হয় তাহলে মরুপ্রসারণ রোধ করা যাবে । মরু আগ্রাসন থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করার জন্য নিম্নলিখিত উপায়গুলি অবলম্বন করা একান্ত আবশ্যক । 

( 1 ) বৃক্ষরোপণ : 
গাছপালা ধুলোর ঝড়কে আটকায় , ভূমিক্ষয় রোধ করে । মরুভূমিতে গাছ লাগালে প্রাকৃতিক সুরক্ষাপ্রাচীর গড়ে তোলা যায় । বালিয়াড়ির প্রসারণের দিকে আড়াআড়িভাবে গাছ লাগাতে হবে যাতে বায়ুর ক্ষয় রোধ করা যায় । এক্ষেত্রে যে গাছগুলিকে নির্বাচন করা হয় সেগুলি হল- Senna , Gum , Acacia , Prospis , Julflora , Lebber প্রভৃতি । Wind Break দিয়ে দেয়াল তৈরি করতে হবে যাতে ঝড়ের প্রবাহ আটকানো যায় । 

( ২ ) তৃণভূমি সৃষ্টি : 
মরুভূমিতে মাটির আর্দ্রতা সংরক্ষণে খুঁড়ে নীচু জমিতে জল থরে রেখে মুথাজাতীয় ঘাস লাগাতে হবে । এই প্রক্রিয়ায় পশুচারণ ভূমি যেমন গড়ে তোলা যাবে , সেইসঙ্গে মাটির সিক্ততা রক্ষা করা যাবে । 

( ৩ ) জলসেচ প্রকল্প : 
মরুভূমির মাটিতে খনিজ মৌল উপস্থিত থাকে , জলসেচের ব্যবস্থা করা গেলে মাটির উর্বরতা বাড়ে , কৃষিকাজ করা যায় । ফলে মরুভূমি শস্যশ্যামলা হবে ও মরুকরণ বাধা পাবে । 

( *** ) জলসংরক্ষণ পদ্ধতি :  

( i ) বেড়া দিয়ে গাছগুলিকে সংরক্ষণ করতে হবে , 
( ii ) গাছের গুঁড়ির আশেপাশে নুড়ি – পাথর জড়ো করে রাখতে হবে , রাতে যে অল্প শিশির জমে সেই জল যাতে অপচয় না হয় , 
( iii ) বালিয়াড়ির গায়ে দাবার ছকের মতো ছোটো ছোটো ঘর কেটে কাদাপাথর দিয়ে পাঁচিল গাঁথতে হবে । বৃষ্টির জল সাময়িক ভাবে ওই দেয়ালে বাধা পাবে যা ঘাস গজাতে সাহায্য করবে , 
( iv ) মরুভূমি অঞ্চলে ঝোপ গাছ জ্বালানি রুপে ব্যবহার না করে সৌর উনুন ব্যবহারে গুরুত্ব দেওয়া , 
( v ) বাঁধ বা জলাধার তৈরি করে জল থরে রাখার ব্যবস্থা করা , 
( vi ) মরুভূমিতে উদ্যান তৈরি করা ও মরূদ্যানকে সংরক্ষণ করা । 
( vii ) গাছের গুঁড়ির আশেপাশে নুড়িপাথর বেষ্টিত করে রাখা যাতে মরুভূমিতে রাতে ঠান্ডায় শিশির জমে ।


দশম শ্রেণীর ভূগোল All Chapters | মাধ্যমিক ভূগোল সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর । Class 10 Geography All Chapter | Class Ten Geography All Chapter 

প্রাকৃতিক ভূগোল 
  1. মাধ্যমিক ভূগোল - বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ (প্রথম অধ্যায়) Click Here 
  2. মাধ্যমিক ভূগোল - বায়ুমণ্ডল (দ্বিতীয় অধ্যায়) Click Here
  3. মাধ্যমিক ভূগোল - বারিমন্ডল (তৃতীয় অধ্যায়) Click Here
  4. মাধ্যমিক ভূগোল - বর্জ্য ব্যবস্থাপনা (চতুর্থ অধ্যায়)  Click Here
[5] ভারতের ভূগোল ও অর্থনৈতিক ভূগোল
  • মাধ্যমিক ভূগোল - ভারত : ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ  /  ভারতের প্রাকৃতিক পরিবেশ Click Here
  • মাধ্যমিক ভূগোল - ভারত : ভারতের অর্থনৈতিক বিভাগ / ভারতের অর্থনৈতিক পরিবেশ Click Here
6.    মাধ্যমিক ভূগোল - উপগ্রহ ও ভূ – বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র (ষষ্ঠ অধ্যায়) Click Here

*** মাধ্যমিক ভূগোল - মানচিত্র ভূগোল – মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন 2025/2026/2027/2028/2029/2030  Click Here


Related searches
মাধ্যমিক শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন উত্তর / ক্লাস 10 ভূগোল অধ্যায় 1 প্রশ্ন এবং উত্তর / দশম শ্রেণীর প্রশ্ন উত্তর ভূগোল / মাধ্যমিক শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন উত্তর তৃতীয় অধ্যায় / মাধ্যমিক শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন উত্তর চতুর্থ অধ্যায় / দশম শ্রেণীর ভূগোল পঞ্চম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর / দশম শ্রেণীর ভূগোল দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর / মাধ্যমিক শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন উত্তর বায়ুমণ্ডল / Bayu Mandal / মাধ্যমিক শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন উত্তর 2023, 2024, 2025, 2026, 2027, 2028, 2029, 2030, 2031, 2032, 2033, 2034, 2035, 2036, 2037, 2038, 2039, 2040 /  দশম শ্রেণীর ভূগোল দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর / দশম শ্রেণীর প্রশ্ন উত্তর ভূগোল / মাধ্যমিক শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন উত্তর দশম অধ্যায় / দশম শ্রেণীর ভূগোল বই pdf / মাধ্যমিক শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন উত্তর তৃতীয় অধ্যায় / মাধ্যমিক শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন উত্তর পঞ্চম অধ্যায় / মাধ্যমিক শ্রেণীর ভূগোল বই

Some Information about this article  : 

WBBSE Class 10th Geography Question and Answer  | West Bengal West Bengal Class Ten X (Class 10th) Geography Qustions and Answers with Suggestion 

দশম শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন প্রশ্ন ও উত্তর   
” দশম শ্রেণীর  ভূগোল – প্রশ্ন উত্তর  “ সমস্ত অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর দশম শ্রেণীর পরীক্ষা (West Bengal Class Ten X  / WB Class 10  / WBBSE / Class 10  Exam / West Bengal Board of Secondary Education – WB Class 10 Exam / Class 10 Class 10th / WB Class X / Class 10 Pariksha  ) এখান থেকে প্রশ্ন অবশ্যম্ভাবী । সে কথা মাথায় রেখে geographybd.in এর পক্ষ থেকে দশম শ্রেণীর ভূগোল পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং প্রশ্ন ও উত্তর (Class 10 Geography Suggestion / Class 10 Geography Question and Answer / Class X Geography Suggestion / Class 10 Pariksha Geography Suggestion  / Geography Class 10 Exam Guide  / Class 10th Geography MCQ , Short , Descriptive  Type Question and Answer  / Class 10 Geography Suggestion  FREE PDF Download) উপস্থাপনের প্রচেষ্টা করা হলাে। ছাত্রছাত্রী, পরীক্ষার্থীদের উপকারেলাগলে, আমাদের প্রয়াস দশম শ্রেণীর ভূগোল পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং প্রশ্ন ও উত্তর (Class 10 Geography Suggestion / West Bengal Six X Question and Answer, Suggestion / WBBSE Class 10th Geography Suggestion  / Class 10 Geography Question and Answer  / Class X Geography Suggestion  / Class 10 Pariksha Suggestion  / Class 10 Geography Exam Guide  / Class 10 Geography Suggestion 2021 , 2022, 2023, 2024, 2025, 2026, 2027, 2028, 2029, 2030, 2021, 2020, 2019, 2017, 2016, 2015, 2031, 2032, 2033, 2034, 2035, 2036, 2037, 2038, 2039, 2040 /  Class 10 Geography Suggestion  MCQ , Short , Descriptive  Type Question and Answer. / Class 10 Geography Suggestion  FREE PDF Download) সফল হবে।

দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর

দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Class 10 Geography Question and Answer Suggestion  দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর।

দশম শ্রেণীর ভূগোল MCQ প্রশ্ন ও উত্তর

দশম শ্রেণীর ভূগোল MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | Class 10 Geography MCQ or Multiple Choice Question and Answer |  দশম শ্রেণীর ভূগোল MCQ প্রশ্ন উত্তর। (MINOR HEADING)

দশম শ্রেণীর ভূগোল SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | মাধ্যমিক শ্রেণীর ভূগোল

দশম শ্রেণীর ভূগোল SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | Class 10 Geography Short Question and Answer |  দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর  – SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর।

দশম শ্রেণীর ভূগোল DTQ বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | ষষ্ঠ শ্রেণী ভূগোল

দশম শ্রেণীর ভূগোল – DTQ বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর | Class 10 Geography Suggestion  দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর  – DTQ বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর।

পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক শ্রেণীর ভূগোল  – প্রশ্ন উত্তর | West Bengal Class 10th Geography 

দশম শ্রেণীর ভূগোল (Class 10 Geography) – – প্রশ্ন ও উত্তর | | Class 10 Geography Suggestion  দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর  – প্রশ্ন উত্তর ।

দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর  | ষষ্ঠ শ্রেণি ভূগোল | WB Class 10 Geography Question and Answer, Suggestion 

দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – | দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – | পশ্চিমবঙ্গ দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – | দশম শ্রেণীর ভূগোল সহায়ক প্রশ্ন ও উত্তর । WB Class 10 Geography Question and Answer, Suggestion | WBBSE Class 10th Geography Suggestion  | WB Class 10 Geography Question and Answer Notes  | West Bengal WB Class 10th Geography Question and Answer Suggestion. 

দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | WBBSE Class 10 Geography Question and Answer, Suggestion 

দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Class 10 Geography Suggestion. দশম শ্রেণীর ভূগোল সহায়ক প্রশ্ন ও উত্তর । Class 10 Geography Question and Answer, Suggestion.

Class 10 Geography Question and Answer Suggestions  | দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | ষষ্ঠ শ্রেণি ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর

Class 10 Geography Question and Answer  দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর  Class 10 Geography Question and Answer দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – MCQ, সংক্ষিপ্ত, রোচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর  । 

WBBSE Class 10th Geography Suggestion  | দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর

WBBSE Class 10th Geography Suggestion দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর । WBBSE Class 10th Geography Suggestion  দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর।

West Bengal Class 10  Geography Suggestion  Download. WBBSE Class 10th Geography short question suggestion  . Class 10 Geography Suggestion   download. Class 10th Question Paper  Geography. WB Class 10  Geography suggestion and important question and answer. Class 10 Suggestion pdf.

পশ্চিমবঙ্গ দশম শ্রেণীর  ভূগোল পরীক্ষার সম্ভাব্য সাজেশন ও শেষ মুহূর্তের প্রশ্ন ও উত্তর ডাউনলোড। দশম শ্রেণীর ভূগোল পরীক্ষার জন্য সমস্ত রকম গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর।

Get the WBBSE Class 10th Geography Question and Answer by geographybd.in

WBBSE Class 10th Geography Question and Answer prepared by expert subject teachers. WB Class 10  Geography Suggestion with 100% Common in the Examination .

Class 10th Geography Syllabus

West Bengal Board of Secondary Education (WBBSE) Class 10th Geography Syllabus with all the important chapters and marks distribution. Download the Class 10th Geography Syllabus and Question Paper. Questions on the Geography exam will come from these chapters. All the chapters are equally important, so read them carefully.

WB Class 10th Geography Syllabus Free Download Link Click Here 

Class 10th Ten / Madhyamik  X Geography Suggestion | West Bengal WBBSE Class 10 Exam 
Class 10 Geography Question and Answer, Suggestion Download PDF: WBBSE Class 10th Ten / Madhyamik  X Geography Suggestion  is proXded here. West Bengal Class 10th Geography Suggestion Questions Answers PDF Download Link in Free has been given below. 

দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | WBBSE Class 10th Geography

আশাকরি তোমাদের দশম ক্লাসের বায়ুমণ্ডল অধ্যায় থেকে সকল প্রশ্ন ও উত্তর কমপ্লিট হয়েছে। আমরা আমাদের সর্বাঙ্গীণ প্রচেষ্টা করেছি তোমাদের এই দশম শ্রেণীর বায়ুমণ্ডল অধ্যায় থেকে সব প্রশ্ন উত্তর দেওয়ার জন্য, এখন কাজ হল তোমাদের বাড়িতে পড়ার । পড়তে থাকো , প্র্যাকটিস করতে থাকো, প্র্যাকটিস মানুষকে উত্তম করে তোলে। যত পড়বে তত শিখবে, ততই জ্ঞানী হবে। 

তোমাদের দশম ক্লাসের  বায়ুমণ্ডল অধ্যায়ের প্রাকটিসের জন্য আমাদের কুইজে অংশগ্রহণ করতে পারো, সম্পূর্ণ ফ্রিতে, নিচে লিঙ্ক দেওয়া আছে কুইজে অংশ নিতে পারো।

ক্লাস দশম এর অন্যান্য অধ্যায় গুলি সম্পর্কে আরও পড়তে চাইলে নিচে অধ্যায় অনুযায়ী লিঙ্ক দেওয়া আছে, লিঙ্কে ক্লিক করে ক্লাস দশম এর অন্য অধ্যায় গুলি পড়ে নাও। আমাদের পরিসেবা তোমাদের ভালো লাগলে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি ফলো করতে পারো।

Post a Comment

0 Comments

Top Post Ad

Below Post Ad