Type Here to Get Search Results !

মাধ্যমিক ভূগোল - ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ : ভারত : অবস্থান, প্রসনিক বিভাগ, ভারতের ভূ প্রাকৃতিক বিভাগ্‌ ভারতের জলবায়ু , ভারতের জলসম্পদ , ভারতের মৃত্তিকা ভারতের স্বাভাবিক উদ্ভিদ , (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) - WBBSE Class 10 Madhyamik Geography Chapter 5 Question and Answer

মাধ্যমিক ভূগোল – "ভারত : ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ / Bharot Bharoter Prakritik Poribes" (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Chapter 5 Question and Answer 

দশম শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন – ভারত : ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ / Bharot Bharoter Prakritik Poribes – সমস্ত প্রশ্ন উত্তর | ভারত : ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ / Bharot Bharoter Prakritik Poribes অধ্যায়ের সাজেশন প্রশ্ন উত্তর | WBBSE Class 10 Madhyamik Geography Chapter 5 Question and Answer | WBBSE Class 10th Geography Suggestion PDF | Madhyamik Geography Suggestion Chapter 5 | ভারত : ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ / Bharot Bharoter Prakritik Poribes (পঞ্চম অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর

West Bengal  Class 10 Geography Solution Chapter 5
West Bengal  Board Class 10 Geography (ভূগোল) Textbook Solution Chapter 5 ভারত : ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ / India and Its Natural Environment  Question Answers by WBBSE Expert Teacher. West Bengal Board Class 10 Geography Solution Chapter 5.

500+ দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর / ভারত : ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ / Varot o Bharoter Prakritik Poribes (পঞ্চম অধ্যায়) MCQ, সংক্ষিপ্ত, অতি সংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর | দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – West Bengal Class 10th Geography Question and Answer

হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছো তোমরা ? আশাকরি তোমরা খুব ভালো আছো । আজকে আমরা আলোচনা করবো তোমাদের দশম ক্লাসের পঞ্চম অধ্যায় ভারত : ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ  /  ভারতের প্রাকৃতিক পরিবেশ সম্পর্কে । এই পঞ্চম অধ্যায়টি তোমাদের পরীক্ষার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ তাই পঞ্চম অধ্যায় এর ভারত : ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ  /  ভারতের প্রাকৃতিক পরিবেশ বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আমরা এই লিখাটির মাধ্যমে দশম শ্রেণীর  পঞ্চম অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর, এই ভারত : ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ  /  ভারতের প্রাকৃতিক পরিবেশ অধ্যায়ের সাজেশন , কিকরে এই অধ্যায় থেকে উত্তর লিখতে হয়। দশম শ্রেণীর ভারত : ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ  /  ভারতের প্রাকৃতিক পরিবেশ অধ্যায় থেকে কিভাবে পড়বে সবকিছুই আলোচনা করবো। 

দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | WBBSE Class 10th Geography Question and Answer / দশম শ্রেণীর ভূগোল – ভারত : ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ / Varot o Bharoter Prakritik Poribes (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Class 10 Geography / দশম শ্রেণীর ভূগোল – পঞ্চম অধ্যায় "ভারত : ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ / Varot o Bharoter Prakritik Poribes" প্রশ্ন ও উত্তর | WBBSE Class 10th Geography Question and Answer / দশম শ্রেণীর ভূগোল (পঞ্চম অধ্যায়) ভারত : ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ / Varot o Bharoter Prakritik Poribes প্রশ্ন উত্তর (MCQ, SAQ, LAQ)/Class 10 geography Fifth chapter questions and Answers (MCQ, SAQ, LAQ) / দশম শ্রেণীর আমাদের পৃথিবী পঞ্চম অধ্যায় ভারত : ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ / Varot o Bharoter Prakritik Poribes | Class Ten (Madhyamik) Amader Prithibi / দশম শ্রেণীর ভূগোল – ভারত : ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ / Varot o Bharoter Prakritik Poribes (পঞ্চম অধ্যায়)

ভারত : ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ / Bharot Bharoter Prakritik Poribes (পঞ্চম অধ্যায়) MCQ, সংক্ষিপ্ত, অতি সংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর | দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – West Bengal Class 10th Geography Question and Answer
মাধ্যমিক ভূগোল – "ভারত : ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ / Bharot Bharoter Prakritik Poribes" (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Chapter 5 Question and Answer

দশম শ্রেণীর ভূগোল All Chapters | মাধ্যমিক ভূগোল সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর । Class 10 Geography All Chapter | Class Ten Geography All Chapter 

প্রাকৃতিক ভূগোল 
  1. মাধ্যমিক ভূগোল - বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ (প্রথম অধ্যায়) Click Here 
  2. মাধ্যমিক ভূগোল - বায়ুমণ্ডল (দ্বিতীয় অধ্যায়) Click Here
  3. মাধ্যমিক ভূগোল - বারিমন্ডল (তৃতীয় অধ্যায়) Click Here
  4. মাধ্যমিক ভূগোল - বর্জ্য ব্যবস্থাপনা (চতুর্থ অধ্যায়)  Click Here
[5] ভারতের ভূগোল ও অর্থনৈতিক ভূগোল
  • মাধ্যমিক ভূগোল - ভারত : ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ  /  ভারতের প্রাকৃতিক পরিবেশ Click Here
  • মাধ্যমিক ভূগোল - ভারত : ভারতের অর্থনৈতিক বিভাগ / ভারতের অর্থনৈতিক পরিবেশ Click Here
6.    মাধ্যমিক ভূগোল - উপগ্রহ ও ভূ – বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র (ষষ্ঠ অধ্যায়) Click Here

*** মাধ্যমিক ভূগোল - মানচিত্র ভূগোল – মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন 2025/2026/2027/2028/2029/2030  Click Here

দশম শ্রেণীর ভূগোল – ভারত : ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ / Bharot Bharoter Prakritik Poribes (পঞ্চম অধ্যায়) সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো । WBBSE Class 10th Geography 5th Chapter MCQ Questions and Answers

সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো | MCQ Questions and Answers (Class Ten (Madhyamik) geography Fifth chapter)

সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো ; প্রতিটি প্রশ্নের মান -১

১. ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে রাজ্য পুনর্গঠনের সময় ভারতে রাজ্যপাল শাসিত রাজ্য ( অঙ্গরাজ্য ) ছিল—(A) ১৫ (B) ১৭(C) ১৪(D) ১৬
Answer : (D) ১৬

২. কর্নাটক রাজ্যের পূর্বনাম ছিল—(A) ত্রিবাঙ্কুর(B) ইউনাইটেড প্রভিন্স(C) কুর্গ(D) মহীশূর
Answer : (C) কুর্গ

৩. কারাকোরামের উত্তরে ভারত ও চিন সীমান্তে কোন পর্বত রয়েছে ? 
(A) আগিল পর্বত 
(B) আরাবল্লি পর্বত 
(C) বিন্ধ্য পর্বত 
(D) নাঙ্গা পর্বত 
উত্তরঃ-  -   (A) আগিল পর্বত

৪. সিন্ধুনদ ও শিয়ক নদীর মাঝে কোন পর্বতশ্রেণি অবস্থিত ? 
(A) নাঙ্গা পর্বত 
(B) বিন্ধ্য পর্বত 
(C) লাডাক পর্বতশ্রেণি 
(D) আরাবল্লি পর্বতশ্রেণি 
উত্তরঃ-  -   (C) লাডাক পর্বতশ্রেণি

৫. ভারতের উচ্চতম মালভূমির নাম কী ? 
(A) সিয়াচেন 
(B) জম্মু 
(C) লাডাক 
(D) আকসাই 
উত্তরঃ-  -   (C) লাডাক 

৬. বর্তমানে ভারতের মোট রাজ্যসংখ্যা হল—(A) ২৭(B) ২৮ (C) ৩০ (D) ২৯
Answer : (D) ২৯

৭. চৈত্র মধ্যপ্রদেশ রাজ্য ভেঙে নতুন যে রাজ্যটি গঠিত হয়েছে তার নাম হল -(A) ছত্তিশগড়(B) উত্তরাখণ্ড(C) তেলেঙ্গানা(D) ঝাড়খণ্ড
Answer : (A) ছত্তিশগড়

৮. বর্তমানে ভারতে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সংখ্যা হল -(A) ৯(B) ৭(C) ৬(D) ৮ 
Answer : (B) ৭ 

৯. লাডাক পর্বতশ্রেণির প্রধান গিরিপথ হলো— 
(A) ডাফলা 
(B) মিশমি 
(C) শিবালিক 
(D) খারদুংলা 
উত্তরঃ-  -   (D) খারদুংলা

১০. হিমালয় শব্দের অর্থ হলো— 
(A) বরফের বাসস্থান 
(B) সর্বোচ্চ শৃঙ্গ 
(C) পর্বত 
(D) উচ্চভূমি 
উত্তরঃ-  -   (A) বরফের বাসস্থান

১১. পূর্ব – পশ্চিমে হিমালয় পর্বত কত কিমি দীর্ঘ ? 
(A) 2000 কিমি । 
(B) 2500 কিমি । 
(C) 3000 কিমি 
(D) 4000 কিমি 
উত্তরঃ-  -   (B) 2500 কিমি ।

১২. প্রমাণ দ্রাঘিমারেখা কোন শহরের ওপর দিয়ে প্রসারিত হয়েছে ? -(A) এলাহাবাদ(B) আমেদাবাদ(C) লখনউ(D) দিল্লি
Answer : (A) এলাহাবাদ

১৩. ভারতের মূল ভূখণ্ডের দক্ষিণতম বিন্দু হল -(A) ইন্দিরা পয়েন্ট(B) রামেশ্বরম(C) তিরুবনন্তপুরম (D) কন্যাকুমারিকা অন্তরীপ
Answer : (D) কন্যাকুমারিকা অন্তরীপ

১৪. হিমালয় পর্বতমালার মোট ক্ষেত্রফল হলো— 
(A) 4 লক্ষ বর্গ কিমি 
(B) 6 লক্ষ বর্গ কিমি 
(C) 5 লক্ষ বর্গ কিমি 
(D) 7 লক্ষ বর্গ কিমি । 
উত্তরঃ-  -   (D) 7 লক্ষ বর্গ কিমি । 

১৫. হিমালয়ের সর্বদক্ষিণে পশ্চিম থেকে পূর্বে সারি বেঁধে যে পর্বতগুলোর সৃষ্টি হয়েছে , তাদের কী বলে ? 
(A) শিবালিক পর্বত 
(B) নাঙ্গা পর্বত 
(C) হিমাদ্রি হিমালয় 
(D) টেথিস হিমালয় 
উত্তরঃ-  -   (A) শিবালিক পর্বত

১৬. ভারতের দক্ষিণতম পর্বতটি হলো— 
(A) ধবলগিরি পর্বত 
(B) নাঙ্গা পর্বত 
(C) পালনি পর্বত
(D) আনাইমুদি 
উত্তরঃ-  -   (C) পালনি পর্বত

১৭. ভারত ও পাকিস্তান সীমারেখা কী নামে পরিচিত ?(A) ম্যাকমোহন লাইন(B) ডুরান্ড লাইন(C) র‍্যাডক্লিফ লাইন(D) কোনোটাই নয়
Answer : (C) র‍্যাডক্লিফ লাইন

১৮. ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে কোন্ প্রণালী রয়েছে— “(A) ১০ ° চ্যানেল(B) ৯ ° চ্যানেল(C) পক্‌প্রণালী(D) সমব্রেরো চ্যানেল
Answer : (C) পক্‌প্রণালী

১৯. ভারতের বৃহত্তম মালভূমিটি হলো— 
(A) লাডাক মালভূমি 
(B) সিয়াচেন মালভূমি 
(C) তিব্বত মালভূমি 
(D) দাক্ষিণাত্য মালভূমি 
উত্তরঃ-  -   (D) দাক্ষিণাত্য মালভূমি 

২০. শিবালিক ও হিমাচলের মধ্যে কী অবস্থিত ? (A) তাল 
(B) দুন উপত্যকা 
(C) গুহা 
(D) গিরিপথ 
উত্তরঃ-  -   (B) দুন উপত্যকা

২১. ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের ২৬ জানুয়ারির আগে ভারতে মোট ক – টি অঙ্গরাজ্য ছিল ?(A) ১৪(B) ২৭(C) ২৮(D) ২৬
Answer : (A) ১৪

১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দের রাজ্য পুনর্গঠন কীসের ভিত্তিতে হয় ?(A) সীমানা(B) ভাষা(C) শিক্ষা(D) জাতি
Answer : (B) ভাষা

২২. ভারতের তথা এশিয়ার দীর্ঘতম সুড়ঙ্গের নাম কী ?
(A) জওহর টানেল 
(B) ইন্দিরা টানেল 
(C) জওহর টানেল 
(D) রাজীব টানেল 
উত্তরঃ-  -   (A) জওহর টানেল

২৩. ভারতের কোন রাজ্য ক্ষেত্রমান বৃহত্তম ?(A) মধ্যপ্রদেশ(B) উত্তরপ্রদেশ(C) গুজরাট(D) রাজস্থান
Answer : (D) রাজস্থান

২৪. ভারতে ‘ রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন স্থাপিত হয় কত খ্রিস্টাব্দে ? -(A) ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে(B) ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে(C) ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে(D) ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে
Answer : (A) ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে

২৫. গাঙ্গেয় সমভূমি কয়টি অঞ্চলে বিভক্ত ? 
(A) 3 টি ভাগে 
(B) 5 টি ভাগে 
(C) 7 টি ভাগে 
(D) 9 টি ভাগে 
উত্তরঃ-  -   (A) 3 টি ভাগে

২৬. সরস্বতী নদীর শুষ্ক খাতকে কী বলে ? 
(A) খান্দ 
(B) খগগর 
(C) বলসন 
(D) রোহি 
উত্তরঃ-  -   (B) খগগর

২৭. পৃথিবীর মোট জলরাশির কত শতাংশ সমুদ্রে রয়েছে ? 
(A) 90 % 
(B) 92 % 
(C) 97.5 % 
(D) 99.5 % 
উত্তরঃ-  -   (C) 97.5 % 

২৮. ঝাড়খণ্ড রাজ্যের রাজধানীর নাম কী ?(A) জামসেদপুর(B) রাঁচি(C) পাটনা(D) রায়পুর
Answer : (B) রাঁচি

২৯. ভারতের প্রমাণ দ্রাঘিমারেখা হল—(A) ৮২ ° ২৮ ′ পূর্ব(B) ৮২ ° ৩২ ′ পূর্ব(C) ৮২ ° ৩০ ′ পূর্ব(D) ৮২ ° ৩৪ ′ পূর্ব
Answer : (B) ৮২ ° ৩২ ′ পূর্ব

৩০. অক্ষাংশগত দিক থেকে ভারত কোন্ গোলার্ধে অবস্থিত ?(A) দক্ষিণ (B) পূর্ব(C) পশ্চিম (D) উত্তর
Answer : B) পূর্ব

৩১. ভারতের দীর্ঘতম ও জাতীয় নদীর নাম কী ? 
(A) গোদাবরী 
(B) যমুনা
(C) ব্ৰহ্মপুত্ৰ
(D) গঙ্গা 
উত্তরঃ-  -   (D)

৩২. দুন উপত্যকায় হিমবাহ দ্বারা সৃষ্ট হ্রদগুলিকে কী বলে ? 
(A) তাল 
(B) দুন 
(C) প্লায়া 
(D) ধান্দ 
উত্তরঃ-  -   (A) তাল 

৩৩. পূর্বে গুজরাটের কচ্ছের রণ থেকে পশ্চিমে অরুণাচল প্রদেশ পর্যন্ত ভারতের প্রস্থ হল -(A) ৩২১২ কিমি(B) ২৯৩৩ কিমি(C) ৩৫১২ কিমি(D) ২৯৩৬ কিমি
Answer : (C) ৩৫১২ কিমি

৩৪. আয়তনে পৃথিবীতে ভারতের স্থান কত — (A) অষ্টম(B) সপ্তম(C) নবম(D) দশম 
Answer : (A) অষ্টম



দশম শ্রেণীর ভূগোল – ভারত : ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ / Bharot Bharoter Prakritik Poribes (পঞ্চম অধ্যায়) সত্য মিথ্যা যাচাই করো । WBBSE Class 10th Geography 5th Chapter True & False Questions and Answers 

সত্য মিথ্যা যাচাই করো | True & False Questions and Answers (Class Ten (Madhyamik) geography Fifth chapter) 

শূন্যস্থান পূরন করো ; প্রতিটি প্রশ্নের মান -১


১. ভারতের পূর্ব-পশ্চিমের দৈর্ঘ্য _______
উত্তরঃ-   2.933 কিমি

২. ভারতের স্থলভাগের পরিসীমা _______ ।
উত্তরঃ-   15,200 কিমি

৩. ভারত ও আফগানিস্তানের মধ্যেকার সীমারেখা_______নামে পরিচিত।
উত্তরঃ-   ডুরান্ড লাইন

৪. ভারতের ক্ষুদ্রতম রাজ্য হল_______।
উত্তরঃ-   গোয়া

৫. ভারতের পূর্বতম স্থান হল_______।
উত্তরঃ-   অরুণাচল প্রদেশের কিবিথু

৬. ভারতের উত্তরতম স্থান হল কাশ্মীরের _______।
উত্তরঃ-   ইন্দিরা কল

৭. ভারতের উত্তর-দক্ষিণের দৈর্ঘ্য_______।
উত্তরঃ-   3,241 কিমি

৮. _______ হল পৃথিবীর দীর্ঘতম সুড়ঙ্গপথ।
উত্তরঃ-   জওহর

৯. ভারতের থর মরুভূমি অঞ্চলে চলমান বালিয়াড়িকে_______।
উত্তরঃ-   ধ্রিয়ান

১০. ‘মালনাদ’ শব্দের অর্থ _______।
উত্তরঃ-   পাহাড়ি এলাকা

১১. _______পূর্বাচলের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ।
উত্তরঃ-   দাফাবুম

১২. ভারতের একটি আগ্নেয় দ্বীপপুঞ্জ হল _______।
উত্তরঃ-   আন্দামান নিকোবর

১৩. ভারতের একটি প্রবাল দ্বীপপুঞ্জ হল _______।
উত্তরঃ-   লাক্ষাদ্বীপ

১৪. ‘কচ্ছ’ শব্দের অর্থ _______ ।
উত্তরঃ-   জলময় দেশ

১৫. _______দ্বীপে ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞান গবেষণাকেন্দ্রটি অবস্থিত।
উত্তরঃ-   শ্রীহরিকোটা

১৬. _______ছোটোনাগপুর মালভূমির সর্বোচ্চ অংশ।
উত্তরঃ-   পরেশনাথ পাহাড়

১৭. মালাবার উপকূলের উপহ্রদগুলিকে স্থানীয় ভাষায় _______বলে।
উত্তরঃ-   কয়াল

১৮. ভারতের প্রাচীনতম পর্বত _______।
উত্তরঃ-   আরাবল্লি

১৯. _______পৃথিবীর উচ্চতম নবীন ভঙ্গিল পর্বত।
উত্তরঃ-   হিমালয়

২০. _______ সিন্ধুর প্রধান উপনদী।
উত্তরঃ-   শতদ্রু

২১. সাংপো নদী _______ গিরিখাতের মধ্য দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে।
উত্তরঃ-   নামচাবারওয়া

২২. পদ্মা নদীর সঙ্গে মেশার পর ব্রম্মপুত্র নদের নাম _______।
উত্তরঃ-   মেঘনা

২৩. ছত্তিশগড় সমভূমির দক্ষিণাংশ_______ নামে পরিচিত।
উত্তরঃ-   দণ্ডকারণ্য

২৪. _______ ‘দক্ষিণ ভারতের শস্যভাণ্ডার’ নামে পরিচিত।
উত্তরঃ-   করমণ্ডল উপকুল

২৫. সিন্ধু নদীর পাঁচটি উপনদীকে একত্রে _______ বলে।
উত্তরঃ-   পঞ্চনদ

২৬. শোন গঙ্গার _______তীরের উপনদী।
উত্তরঃ-   ডান

২৭. মরু অঞ্চলের বৃহত্তম লবণাক্ত জলের হ্রদ হল _______।
উত্তরঃ-   সম্বর

২৮. শ্রীনগর অবস্থিত _______হ্রদের তীরে।
উত্তরঃ-   ডাল

২৯. দক্ষিণ ভারতে _______খালের প্রচলন বেশি।
উত্তরঃ-   প্লাবন

৩০. _______ব্রহ্মপুত্রের বৃহত্তম উপনদী।
উত্তরঃ-   মানস

৩১. _______ভারতে জলবায়ুর প্রধান বৈশিষ্ট্য।
উত্তরঃ-   ঋতু পরিবর্তন

৩২. ভারতে গ্রীষ্মকাল_______এবং শীতকাল_______ প্রকৃতির হয়।
উত্তরঃ-   আদ্র, শুষ্ক

৩৩. তেহরী বাঁধ প্রকল্প গড়ে উঠেছে _______নদীর ওপর ।
উত্তরঃ-   গঙ্গা

৩৪. ________ জলপ্রপাতকে ‘ভারতের নায়াগ্রা’ বলে।
উত্তরঃ-   চিত্রকূট

৩৫. দিহং, দিবং এবং_______নদীর মিলিত প্রবাহের নাম ব্রম্মপুত্র।
উত্তরঃ-   লোহিত

৩৬. সমুদ্র উপকূল অঞ্চলের জলবায়ু সারাবছরই _______ ।
উত্তরঃ-   সমভাবাপন্ন

৩৭. শীতকালে _______বায়ুর প্রভাবে ভারতে তেমন বৃষ্টিপাত হয় না।
উত্তরঃ-   উত্তর-পূর্ব মৌসুমি

৩৮. পশ্চিম উপকূলের তুলনায় পূর্ব উপকূলে বৃষ্টিপাত_______ হয়।
উত্তরঃ-   কম

৩৯. কালবৈশাখী ঝড় উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে আসে বলে এর অপর নাম_______।
উত্তরঃ-   নরওয়েস্টার

৪০. দক্ষিণ-পূর্ব আয়ন বায়ুর রূপভেদ হল _______ বায়ু।
উত্তরঃ-   উত্তর-পূর্ব মৌসুমি

৪১. পূর্ব হিমালয় অপেক্ষা পশ্চিম হিমালয়ে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ_______।
উত্তরঃ-   কম

৪২. শীতকালে ভারতীয় ভূখণ্ডের ওপর _______ চাপ বিরাজ করে।
উত্তরঃ-   উচ্চ

৪৩. ‘মৌসুমি’_______একটি – শব্দ, যার অর্থ হল________।
উত্তরঃ-   আরবি, ঋতু

৪৪. পশ্চিমবঙ্গে শরৎকালে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়কে _______ বলে।
উত্তরঃ-   আশ্বিনের ঝড়

৪৫. এঁটেল মাটির শতকরা 70 ভাগই হল _______ ।
উত্তরঃ-   কাদা

৪৬. ভারতের অধিকাংশ কৃষিকাজ _______ মাটিতেই হয়।
উত্তরঃ-   পলল

৪৭. পার্বত্য মৃত্তিকা _______ বর্ণের।
উত্তরঃ-   ধূসর

৪৮. দোআঁশ এক ধরনের _______ মৃত্তিকা।
উত্তরঃ-   পলি

৪৯. _______ কৃয় মৃত্তিকার অন্যতম বাণিজ্যিক ফসল।
উত্তরঃ-   কার্পাস

৫০. চন্দন গাছ _______ বনভূমির অন্যতম বৃক্ষ।
উত্তরঃ-   পর্ণমোচী

৫১. জোয়ার, বাজরা প্রভৃতি _______ মৃত্তিকার ফসল।
উত্তরঃ-   মরু

৫২. _______ থাকায় কৃষ্ণ মৃত্তিকার রং কালো।
উত্তরঃ-   টাইটানিয়াম অক্সাইড

৫৩. ল্যাটেরাইট মৃত্তিকার গ্ৰথন _______।
উত্তরঃ-   হালকা

৫৪. ভারতে বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অরণ্য_______অঞ্চলে দেখা যায়।
উত্তরঃ-   সুন্দরব

৫৫. ভারতে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়_______ অরণ্য।
উত্তরঃ-   শুষ্কপর্ণমোচী

৫৬. ভারতে পশ্চিমঘাট পর্বতের পশ্চিম ঢালে _______জাতীয় অরণ্য দেখা যায়।
উত্তরঃ-   চিরহরিৎ

৫৭. বর্তমান ভারতে _______শতাংশ বনভূমি রয়েছে।
উত্তরঃ-   19.45%

৫৮. সাবাই ঘাস _______ বনভূমির অন্তর্গত।
উত্তরঃ-   শুষ্ক পর্ণমোচী

৫৯. _______ সেমি বৃষ্টিপাতযুক্ত অঞ্চলে পর্ণমোচী উদ্ভিদ জন্মাতে দেখা যায়।
উত্তরঃ-   100-200 cm

৬০. রডোডেনড্রন, নাক্সভমিকা প্রভৃতি_______ বনভূমির উদ্ভিদ।
উত্তরঃ-   আল্পীয়

৬১. প্রাকৃতিক পরিবেশে যেসব উদ্ভিদ জন্মায় তাদের _______ বলে।
উত্তরঃ-   স্বাভাবিক উদ্ভিদ

৬২. কোনো স্থানের স্বাভাবিক উদ্ভিদ সেখানকার _______ ওপর নির্ভর করে।
উত্তরঃ-   জলবায়ুর



দশম শ্রেণীর ভূগোল – ভারত : ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ / Bharot Bharoter Prakritik Poribes (পঞ্চম অধ্যায়) শূন্যস্থান পূরণ করো । WBBSE Class 10th Geography 5th Chapter Fill in the blank Questions and Answers 

শূন্যস্থান পূরণ করো  | Fill in the blank Questions and Answers (Class Ten (Madhyamik) geography Fifth chapter) 

 সত্য / মিথ্যা নির্ণয় করো; প্রতিটি প্রশ্নের মান -১

১. ‘তাল’ কথাটির অর্থ হ্রদ। 
উত্তরঃ-  -  সত্য

২. হিমালয় পর্বতমালা টেথিস সাগরে সঞ্চিত পলির দ্বারা সৃষ্টি হয়েছে।
উত্তরঃ-  -  সত্য

৩. পৃথিবীর সর্বোচ্চ গিরিপথ হল কারাকোরাম গিরিপথ। 
উত্তরঃ-  -  সত্য

৪. ভারত উত্তর – দক্ষিণে 3214 কিমি এবং পূর্ব – পশ্চিমে 2933 কিমি বিস্তৃত । 
উত্তরঃ-  -   সত্য

৫. ভারত পৃথিবীর সপ্তম ও এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম দেশ । 
উত্তরঃ-  -   সত্য

৬. পশ্চিম হিমালয়ের একটি গিরিপথের নাম জোজিলা।
উত্তরঃ-  -  সত্য

৭. পূর্বঘাট পর্বতের অপর নাম সহ্যাদ্রি পর্বত। 
উত্তরঃ-  -  মিথ্যা

৮. হিমালয় পর্বত আগ্নেয় ও রূপান্তরিত শিলা দ্বারা গঠিত। 
উত্তরঃ-  -  মিথ্যা

৯. উত্তর ভারতের সমভূমি ক্ষয়জাত সমভূমির উদাহরণ। 
উত্তরঃ-  -  মিথ্যা

১০. ভারত – চিনের সীমারেখা ম্যাকমোহন রেখা দ্বারা পৃথক হয়েছে । 
উত্তরঃ-  -   সত্য

১১. মান্নার উপসাগর ও পক প্রণালী দ্বারা ভারত শ্রীলঙ্কা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে । 
উত্তরঃ-  -   সত্য

১২. পিরপাঞ্জাল ও জাস্কার পর্বতশ্রেণির মধ্যে কাশ্মীর উপত্যকা অবস্থিত। 
উত্তরঃ-  -  মিথ্যা

১৩. উত্তরপ্রদেশে যে মাটি ‘খাদার’, পাঞ্জাবে সেই মাটিই ‘বেট’ নামে পরিচিত। 
উত্তরঃ-  -  সত্য

১৪. গঙ্গোত্রী কাশ্মীর হিমালয়ের অন্তর্গত একটি হিমবাহ। 
উত্তরঃ-  -  সত্য

১৫. আরাবল্লি পর্বত থেকে আগত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নদীর প্লাবনভূমিকেই ‘রোহি বলা হয়। 
উত্তরঃ-  -  সত্য

১৬. উত্তর – পশ্চিম সীমান্তে আফগানিস্তান 40 কিমি ডুরান্ড লাইন এবং 3310 কিমি রেডক্লিফ লাইন দ্বারা পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে । 
উত্তরঃ-  -   সত্য

১৭. 1956 সালের 1 নভেম্বর ভারত সরকার ভাষার ভিত্তিতে 14 টি অঙ্গরাজ্য ও 6 টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠন করে । 
উত্তরঃ-  -   সত্য

১৮. কাঞ্চনজঙ্ঘা ( 8598 মি . ) ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শৃঙ্গ । 
উত্তরঃ-  -   সত্য

১৯. পূর্বাচল বলতে পূর্ব হিমালয় অঞলকেই বোঝায়। 
উত্তরঃ-  -  সত্য

২০. দেরাদুনের ‘সহস্রধারা’ ও সিমলার ‘তাতাপানি’ হল দুটি উয় প্রস্রবণ। 
উত্তরঃ-  -  সত্য

২১. দক্ষিণ ভারতে অধিকাংশ নদনদী উপদ্বীপীয় মালভূমি অঞ্চল থেকে উৎপন্ন। 
উত্তরঃ-  -  সত্য

২২. ভারতে ব্রম্মপুত্র নদের মাধ্যমে বাহিত জলের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। 
উত্তরঃ-  -  সত্য

২৩. আরাবল্লি ভারতের প্রাচীনতম ভঙ্গিল পর্বত , এর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ হলো গুরুশিখর ( 1722 মি . ) । 
উত্তরঃ-  -   সত্য 

২৪. ধুঁয়াধর জলপ্রপাত মার্বেল পাথর সমৃদ্ধ । 
উত্তরঃ-  -   সত্য

২৫. গঙ্গানদী বয়সে হিমালয়ের চেয়ে নবীন। 
উত্তরঃ-  -  মিথ্যা

২৬. ব্রম্মপুত্রের উৎস তিব্বতের চেমায়ুং-দুং হিমবাহ। 
উত্তরঃ-  -  সত্য

২৭. ব্রম্মপুত্র নদই.তিব্বতে ‘সাংপো’ নামে পরিচিত। 
উত্তরঃ-  -  সত্য

২৮. দক্ষিণ ভারতের আদর্শ নদী গোদাবরী। 
উত্তরঃ-  -  সত্য

২৯. পশ্চিম সাতপুরা অংশের স্থানীয় নাম রাজপিপলা পাহাড় । 
উত্তরঃ-  -   সত্য

৩০. মধ্য সাতপুরা অংশটি মহাদেব ও গাউইলগড় পাহাড় নামে পরিচিত । 
উত্তরঃ-  -   সত্য

৩১. দক্ষিণ ভারতের নদীগুলি নৌ-পরিবহণে উপযোগী। 
উত্তরঃ-  -  মিথ্যা

৩২. নর্মদা নদীর অপর নাম রেবা নদী। 
উত্তরঃ-  -  সত্য

৩৩. উলার ভারতের বৃহত্তম হ্রদ। 
উত্তরঃ-  -  সত্য

৩৪. মালাবার উপকূলের দীর্ঘতম কয়াল হল ভেম্বনাদ কয়াল। 
উত্তরঃ-  -  সত্য

৩৫. ভারতের পশ্চিমবাহিনী নদীগুলির মোহনায় বদ্বীপ গড়ে উঠেছে। 
উত্তরঃ-  -  মিথ্যা

৩৬. পূর্ব সাতপুরা অংশটি মহাকাল উচ্চভূমি নামে পরিচিত নয় । 
উত্তরঃ-  -   মিথ্যা

৩৭. নীলগিরির দক্ষিণ – পশ্চিমাংশকে কুণ্ডা বলে । 
উত্তরঃ-  -   সত্য

৩৮. তাপ্তী, নর্মদা নদীর উপত্যকা গ্ৰস্ত উপত্যকা। 
উত্তরঃ-  -  সত্য

৩৯. উত্তর ভারতে নিত্যবহ খালের সংখ্যা কম। 
উত্তরঃ-  -  মিথ্যা

৪০. নাগার্জুন সাগর জলাধার নির্মিত হয়েছে কৃয়া নদীর উপরে।
উত্তরঃ-  -  মিথ্যা

৪১. পুণে বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চলে অবস্থিত একটি স্থান। 
উত্তরঃ-  -  সত্য

৪২. মৌসুমি বায়ুর বঙ্গোপসাগরীয় শাখা সর্বপ্রথম মেঘালয়ের খাসি পাহাড়ে বাধা পায়। 
উত্তরঃ-  -  সত্য

৪৩. ভারতে ঋতু পরিবর্তন দুটি ভিন্নধর্মী মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে হয়। 
উত্তরঃ-  -  সত্য

৪৪. পৃথিবীর 34 টি জীববৈচিত্র্য তপ্তভূমির ( Hotspot ) অন্যতম পশ্চিমঘাট । 
উত্তরঃ-  -   সত্য

৪৫. আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ প্রায় 120 কিমি প্রশস্ত 10 % চ্যানেল দ্বারা বিচ্ছিন্ন । 
উত্তরঃ-  -   সত্য

৪৬. দক্ষিণ ভারতের চেয়ে উত্তর ভারতে জলবায়ু সমভাবাপন্ন। 
উত্তরঃ-  -  মিথ্যা

৪৭. লাদাখ মালভূমি একটি বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল। 
উত্তরঃ-  -  সত্য

৪৮. এল-নিনো ভারতের মৌসুমি বায়ুকে প্রভাবিত করে না। 
উত্তরঃ-  -  মিথ্যা

৪৯. এল-নিনো বছরগুলিতে ভারতে বৃষ্টিপাত বেশি হয়। 
উত্তরঃ-  -  মিথ্যা

৫০. লা-নিনার প্রভাবে ভারতে মৌসুমি বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়ে।
উত্তরঃ-  -  সত্য

৫১. লাক্ষাদ্বীপে প্রায় 36 টি দ্বীপ রয়েছে । 
উত্তরঃ-  -   সত্য

৫২. হিমালয় থকে উৎপন্ন নদীগুলি বরফগলা জলে পুষ্ট বলে সারাবছর জল থাকে ।
উত্তরঃ-  -   সত্য

৫৩. পুবালি জেট বায়ু ভারতের মৌসুমি বায়ুকে প্রভাবিত করে। 
উত্তরঃ-  -  সত্য

৫৪. শীতকালে ভারতের জলবায়ু শীতল কিন্তু আর্দ্র প্রকৃতির। 
উত্তরঃ-  -  মিথ্যা

৫৫. পলি মৃত্তিকার জলধারণ ক্ষমতা কম। 
উত্তরঃ-  -  মিথ্যা

৫৬. পলি মৃত্তিকার প্রধান ফসল গম। 
উত্তরঃ-  -  মিথ্যা

৫৭. গাঙ্গেয় সমভূমিতে ল্যাটেরাইট মাটি দেখা যায়। 
উত্তরঃ-  -  মিথ্যা

৫৮. পাঞ্জাব গম বলয় ও পশ্চিমবঙ্গ ধান বলয় ভারতের শ্রেষ্ঠ কৃষিবলয় । 
উত্তরঃ-  -   সত্য।

৫৯. ভারতের আয়তন 32 লক্ষ 87 হাজার 233 বর্গকিমি। 
উত্তরঃ-  -  সত্য

৬০. ধাপ চাষ পার্বত্য অঞ্চলে মৃত্তিকা ক্ষয় কমায়। 
উত্তরঃ-  -  সত্য

৬১. পশ্চিমঘাট পর্বতের পূর্বঢ়ালে পর্ণমোচী বৃক্ষের বনভূমি দেখা যায়। 
উত্তরঃ-  -  সত্য

৬২. পর্ণমোচী অরণ্যে মহুয়া, শাল, পলাশ গাছ জন্মায়। 
উত্তরঃ-  -  সত্য

৬৩. পশ্চিমবঙ্গে বেশিরভাগ অঞ্চলে আর্দ্র পর্ণমোচী অরণ্য দেখা যায়। 
উত্তরঃ-  -  মিথ্যা

৬৪. মৃত্তিকা ক্ষয়ের ফলে নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি পায়। 
উত্তরঃ-  -  মিথ্যা

৬৫. শ্বাসমূল ও ঠেসমূল ম্যানগ্রোভ বৃক্ষের প্রধান বৈশিষ্ট্য।
উত্তরঃ-  -  সত্য

৬৬. পর্ণমোচী অরণ্যে লাক্ষাকীট পালন করা হয়। 
উত্তরঃ-  -  সত্য

৬৭. 88.5° পূর্ব ভারতের প্রমাণ দ্রাঘিমা।
উত্তরঃ-  -  মিথ্যা

৬৮. ভারতের দক্ষিণতম স্থলবিন্দু ইন্দিরা পয়েন্ট। 
উত্তরঃ-  -  সত্য

৬৯. ভারতের বৃহত্তম কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হল লাক্ষাদ্বীপ।
উত্তরঃ-  -  মিথ্যা

৭০. হিমালয়ের 4.000 মিটার ঊর্ধ্বে আঙ্গীয় বনভূমি দেখা যায়। 
উত্তরঃ-  -  সত্য

৭১. চিরহরিৎ অরণ্যে সারাবছরই গাছে ফুল, ফল জন্মাতে দেখা যায়। 
উত্তরঃ-  -  সত্য

৭২. হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলে স্বাভাবিক উদ্ভিদের বৈচিত্র্য দেখা যায় না। 
উত্তরঃ-  -  মিথ্যা

৭৩. স্বাভাবিক উদ্ভিদই অরণ্য তথা বনভূমির সৃষ্টি করে। 
উত্তরঃ-  -  সত্য


দশম শ্রেণীর ভূগোল – ভারত : ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ / Bharot Bharoter Prakritik Poribes (পঞ্চম অধ্যায়) এক কথায় উত্তর দাও । WBBSE Class 10th Geography 5th Chapter SAQ Questions and Answers 

এক কথায় উত্তর দাও | SAQ Questions and Answers (Class Ten (Madhyamik) geography Fifth chapter)

এক কথায় উত্তর দাও : প্রতিটি প্রশ্নের মান -১

১. পৃথিবীর বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশের নাম কী ?
উত্তরঃ-   ভারত ।

২. অবস্থান অনুসারে ভারত কোথায় অবস্থিত ?
উত্তরঃ-   উত্তর গোলার্ধে এশিয়া মহাদেশের দক্ষিণাংশে অবস্থিত । 

৩. ভারতের মোট ক্ষেত্রফল কত ? 
উত্তরঃ-   32 লক্ষ 87 হাজার 263 বর্গ কিমি । 

৪. ভারতের পশ্চিমতম স্থান কোনটি ? 
উত্তরঃ-   গুজরাটের গুহার মেটার । 

৫. ভারতের পূর্বতম স্থান কোনটি ? 
উত্তরঃ-   অরুণাচল প্রদেশের কিবিথু । 

৬. ভারতের পূর্ব সীমা থেকে পশ্চিম সীমা পর্যন্ত সময়ের পার্থক্য কত ? 
উত্তরঃ-   1 ঘণ্টা 56 মিনিট ।

৭. ভারতের মূল ভূখণ্ডের দক্ষিণতম স্থান কোনটি ? 
উত্তরঃ-   তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারী । 

৮. ভারতের কোন রাজ্য সর্বাধিক রাজ্যকে স্পর্শ করে রয়েছে ? 
উত্তরঃ-   উত্তরপ্রদেশ ( আটটি রাজ্যকে স্পর্শ করেছে ) । 

৯. বর্তমানে ভারতে রাজ্যের সংখ্যা কত ? 
উত্তরঃ-   29 টি অঙ্গরাজ্য এবং 7 টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল । 

১০. সর্বাধিক আন্তর্জাতিক সীমা স্পর্শ করেছে কোন কোন রাজ্য ? 
উত্তরঃ-   তিনটি রাজ্য ( পশ্চিমবঙ্গ , অরুণাচল প্রদেশ এবং জম্মু ও কাশ্মীর ) । 

১১. জাতীয় রাজধানী অঞ্চল ‘ হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়েছে কোন অঞ্চলকে ? 
উত্তরঃ-   নতুন দিল্লিকে । 

১২. Seven Sisters of India কাকে বলা হয় ?
উত্তরঃ-   অসম , অরুণাচল প্রদেশ , নাগাল্যান্ড , মণিপুর , ত্রিপুরা , মেঘালয় ও মিজোরাম এই 7 টি রাজ্যকে বলা হয় Seven Sisters of India . 

১৩. দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর থেকে উত্তরে হিমালয় পর্যন্ত প্রসারিত একমাত্র রাজ্যের নাম কী ? 
উত্তরঃ-   পশ্চিমবঙ্গ । 

১৪. আয়তনে ভারতের বৃহত্তম রাজ্যের নাম কী ?
উত্তরঃ-   রাজস্থান । 

১৫. কর্কটক্রান্তিরেখা কোন কোন রাজ্যের ওপর দিয়ে বিস্তৃত ? 
উত্তরঃ-   গুজরাট , রাজস্থান , মধ্যপ্রদেশ , ছত্তিশগড় , ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গ প্রভৃতি রাজ্য । 

১৬. পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া কোন কোন রাজ্য বাংলাদেশ সীমান্তকে স্পর্শ করেছে ? 
উত্তরঃ-   অসম , মেঘালয় ও ত্রিপুরা রাজ্য । 

১৭. নেপাল ও ভুটানকে ভারতের কোন কোন রাজ্য স্পর্শ করেছে ? 
উত্তরঃ-   উত্তরাখণ্ড , উত্তরপ্রদেশ , বিহার , সিকিম , পশ্চিমবঙ্গ , অসম , অরুণাচল প্রদেশ প্রভৃতি রাজ্য ৷ 

১৮. 1953 খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বরে কার ওপর ভিত্তি করে রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন গঠিত হয় ? 
উত্তরঃ-   ভাষার ভিত্তিতে । 

১৯. 2000 সালে ভারতে কয়টি রাজ্য গঠিত হয় ?
উত্তরঃ-   তিনটি । 1 নভেম্বর — মধ্যপ্রদেশ ভেঙে ছত্তিশগড় , 7 নভেম্বর — উত্তরপ্রদেশ ভেঙে উত্তরাখণ্ড , 15 নভেম্বর বিহার ভেঙে ঝাড়খণ্ড রাজ্য গঠিত হয় । 

২০. 2 জনু 2014 কোন রাজ্য ভেঙে ভারতের নবীনতম রাজ্য গঠিত হয় ? 
উত্তরঃ-   অন্ধ্রপ্রদেশ ভেঙে তেলেঙ্গানা রাজ্য । ( রাজধানী – হায়দরাবাদ ) 

২১. আয়তনে ভারতের ক্ষুদ্রতম রাজ্য কোনটি ?
উত্তরঃ-   গোয়া । 

২২. আয়তনে ভারতের বৃহত্তম কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল কোনটি ? 
উত্তরঃ-   আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ । 

২৩. আয়তনে ভারতের ক্ষুদ্রতম কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল কোনটি ?
উত্তরঃ-   লক্ষাদীপ ।

২৪. হিমালয় পর্বতমালা কতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত ?
উত্তরঃ-   পশ্চিমে জম্মু – কাশ্মীরের নাঙ্গা পর্বত থেকে পূর্বে অরুণাচল প্রদেশের নামচাবারওয়া ( 7756 কিমি ) পর্যন্ত বিস্তৃত ।

২৫. শিবালিক পর্বত জম্মুতে ‘ জম্মু পাহাড় ‘ , অরুণাচল প্রদেশে ‘ ডাফলা ’ , মিরি আবর , মিশমি , কিন্তু উত্তরাখণ্ডে কী নামে পরিচিত ? 
উত্তরঃ-   ধ্যাং পর্বতশ্রেণি । 

২৬. ভারতের স্থলভাগের সর্বনিম্ন স্থানের নাম কী ?
উত্তরঃ-   কেরালার কুট্টানাড়ু ।

২৭. পামির মালভূমি ও সিন্ধুনদের মধ্যবর্তী অংশে কোন পর্বতশ্রেণি অবস্থিত ? 
উত্তরঃ-   কারাকোরাম পর্বতশ্রেণি । 

২৮. হিমাচল হিমালয়ের উত্তর – পশ্চিম থেকে পূর্বে যে পর্বতশ্রেণিটি বিস্তৃত রয়েছে , তাকে কী বলে ? 
উত্তরঃ-   হিমাদ্রি হিমালয় ।

২৯. কাশ্মীরে 100-200 মিটার উচ্চ হ্রদের চারপাশে যে ধাপযুক্ত উর্বর পলিস্তরের সৃষ্টি হয়েছে তাকে স্থানীয় ভাষায় কী বলে ? 
উত্তরঃ-   ক্যারেওয়া । 

৩০. শিবালিকের উত্তরে প্রায় 2000-5000 মিটার উচ্চতা বিশিষ্ট পশ্চিম থেকে পূর্বে যে পর্বতশ্রেণিটি রয়েছে তাকে কী বলে ? 
উত্তরঃ-   হিমাচল ।

৩১. ভারতের উত্তরতম ও দক্ষিণতম বিন্দুর নাম কী ? 
উত্তরঃ-   জম্মু ও কাশ্মীরের ইন্দিরা কল ( উত্তরতম ) এবং আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের ইন্দিরা পয়েন্ট ( দক্ষিণতম ) বিন্দু । 

৩২. ভূপ্রাকৃতিক বৈচিত্র্য অনুসারে ভারতকে প্রধানত কয়টি ভাগে ভাগ করা যায় ? 
উত্তরঃ-   পাঁচটি ভাগে ( উত্তরের পার্বত্য অঞ্চল , উত্তরের সমভূমি অঞ্চল , উপদ্বীপীয় : মি অঞ্চল , উপকূলীয় সমভূমি অঞ্চল ও দ্বীপপুঞ্জ ) । 

৩৩. মাউন্ট এভারেস্টকে নেপালি ও তিব্বতীয় ভাষায় কী বলা হয় ? 
উত্তরঃ-   সাগরমাথা ( নেপালিরা ) ও চোমোলুংমা ( তিব্বতীয়রা ) । 

৩৪. ভূপ্রাকৃতিক তারতম্য অনুসারে মরু সমভূমিকে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায় ? 
উত্তরঃ-   পাঁচ ভাগে ( বাগর , রোহি , ক্ষুদ্র মরু , হামাদা , মরুস্থলী ) 

৩৫. ভারতের থর মরুভূমিতে চলমান বালিয়াড়িকে কী বলা হয় ? 
উত্তরঃ-   থ্রিয়ান ( অর্থ চলমান ) । 

৩৬. উত্তরের বৃহৎ সমভূমি অঞ্চলের দক্ষিণে অবস্থিত মালভূমি অঞ্চলকে কী বলা হয় ? 
উত্তরঃ-   দাক্ষিণাত্যের মালভূমি । 

৩৭. চম্বল অঞ্চলের এবড়োখেবড়ো ভূমি কী নামে পরিচিত ? 
উত্তরঃ-   বিহড় নামে পরিচিত । 

৩৮. বানাবুদান পাহাড়ের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম কী ?
উত্তরঃ-   মুলানগিরি ( 1923 মিটার ) । 

৩৯. পশ্চিমঘাটের দক্ষিণতম শৃঙ্গের নাম কী ?
উত্তরঃ-   আগস্ত্যকুটম ( 2044 মিটার ) । 

৪০. কৃষ্ণা নদীর মোহনা থেকে কন্যাকুমারিকা অন্তরীপ পর্যন্ত বিস্তৃত দক্ষিণাংশের উপকূলকে কী বলে ? 
উত্তরঃ-   করমণ্ডল উপকূল । 

৪১. তামিলনাড়ু উপকূলের বালিয়াড়িকে স্থানীয় ভাষায় কী বলে ? 
উত্তরঃ-   থেড়িস । 

৪২. ভারতের বৃহত্তম উপকূলের নাম কী ? 
উত্তরঃ-   গুজরাট উপকূল । 

৪৩. কচ্ছরণ শব্দের অর্থ কী ? 
উত্তরঃ-   ‘ কচ্ছ ‘ শব্দের অর্থ জলময় দেশ এবং ‘ রণ ‘ শব্দের অর্থ কর্দমাক্ত ও লবণাক্ত নিম্নভূমি । 

৪৪. গির ও গিরনার পাহাড়ের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম কী ? 
উত্তরঃ-   গোরক্ষনাথ ( 1197 মিটার ) । 

৪৫. ভারতের বৃহত্তম কয়ালের নাম কী ? 
উত্তরঃ-   ভেম্বানাদ কয়াল । 

৪৬. আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের দু’টি আগ্নেয়গিরির নাম করো । 
উত্তরঃ-   ব্যারন ( সুপ্ত ) ও নরকোণ্ডম ( মৃত ) । 

৪৭. আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম কী ? 
উত্তরঃ-   স্যাডল পিক ( 738 মিটার ) । 

৪৮. কৃয়া নদীর উৎপত্তি কোথা থেকে হয়েছে ? উত্তরঃ-   পশ্চিমঘাট পর্বতের মহাবালেশ্বর শৃঙ্গ থেকে । 
কৃক্মা নদীর মোট দৈর্ঘ্য কত ?
উত্তরঃ-   1400 কিমি । 

৪৯. ভারতের কত শতাংশ জমিতে খালের মাধ্যমে জলসেচ করা হয় ? 
উত্তরঃ-   প্রায় 26 শতাংশ । 

৫০. কূপ ও নলকূপের মাধ্যমে কত শতাংশ জমিতে জলসেচ করা হয়ে থাকে ? 
উত্তরঃ-   প্রায় 53 শতাংশ । 

৫১. জলাশয় সেচের মাধ্যমে ভারতের মোট কত শতাংশ জমিতে জলসেচ হয় ? 
উত্তরঃ-   2 প্রায় 9 শতাংশ । 

৫২. ওড়িশার মহানদীর ওপর কোন পরিকল্পনা অবস্থিত ? 
উত্তরঃ-   হিরাকুঁদ পরিকল্পনা ( ভারতের দীর্ঘতম বাঁধ ) । 

৫৩. পাঞ্জাব , রাজস্থান , হরিয়ানার যৌথ উদ্যোগে কোন পরিকল্পনা গড়ে উঠেছে ? 
উত্তরঃ-   ভাকরা – নাঙ্গাল পরিকল্পনা ( ভারতের বৃহত্তম বহুমুখী পরিকল্পনা ) । 

৫৪. উত্তরপ্রদেশের শোন নদীর উপর কোন পরিকল্পনা গড়ে উঠেছে ? 
উত্তরঃ-   রিহান্দ পরিকল্পনা । 

৫৫. অন্ধ্রপ্রদেশের কৃষ্ণা নদীর উপর কোন পরিকল্পনা গড়ে উঠেছে ? 
উত্তরঃ-   নাগার্জুন সাগর পরিকল্পনা । 

৫৬. ভারত তথা পৃথিবীর সর্বাধিক বৃষ্টিবহুল স্থানের নাম কী ? 
উত্তরঃ-   মেঘালয়ের মৌসিনরাম ( বার্ষিক বৃষ্টির পরিমাণ 1350 সেমি ) । 

৫৭. গ্রীষ্মকালে পাঞ্জাব , হরিয়ানাতে যে ধূলিঝড় প্রবাহিত হয় তাকে কী বলে ? 
উত্তরঃ-   আঁধি । 

৫৮. কর্ণাটকে আম্রবৃষ্টিতে কফি চাষের সুবিধা হয় বলে একে কী বলে ? 
উত্তরঃ-   Cherry blossom . 

৫৯. ভারতের শীতলতম স্থানের নাম কী ? 
উত্তরঃ-   লাডাখের দ্রাস ( -40 ° c ) ।

৬০. ভারতের আবহাওয়া অফিসের সদর দপ্তর কোথায় ? 
উত্তরঃ-   নয়াদিল্লি ( মৌসম ভবন ) । 

৬১. ক্যাকটাস উদ্ভিদ কাকে বলে ? 
উত্তরঃ-   মরু অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের অভাবজনিত কারণে উদ্ভিদের পাতা কাঁটায় রূপান্তরিত হয় বলে এই উদ্ভিদকে ক্যাকটাস উদ্ভিদ বলে । 

৬২. শোলা ( Shola ) কী ? 
উত্তরঃ-   কেরল , তামিলনাড়ু , কর্ণাটক রাজ্যে উপক্রান্তীয় চিরহরিৎ পার্বত্য অরণ্যের সৃষ্টি হয়েছে বলে একে দক্ষিণ ভারতের শোলা ( Shola ) বলে । 

৬৩. চিপকো আন্দোলন ( 1973 ) -এর নেতৃত্ব কে দেন ?
উত্তরঃ-   সুন্দরলাল বহুগুণা ও চণ্ডীপ্রসাদ ভাট । 

৬৪. নর্মদা বাঁচাও আন্দোলনের নেতৃত্ব কে দেন ?
উত্তরঃ-   মেধা পাটকর , বাবা আমতে ও অরুন্ধতী রায় । 

৬৫. অ্যাপিকো আন্দোলন ( 1983 ) কোন রাজ্যে সংঘটিত হয় ? 
উত্তরঃ-   কর্ণাটকে ( সিরসি অঞ্চলে ) । 

৬৬. উচ্চতা অনুসারে হিমালয় পর্বতকে উত্তর থেকে দক্ষিণে কয়টি ভাগে ভাগ করা হয় ? 
উত্তরঃ-   চারটি ভাগে ( শিবালিক , হিমাচল , হিমাদ্রি ও টেথিস ) 

৬৭. পিরপাঞ্জাল , ধাউলাধর , নাগচিব্বা ও মুসোরি পর্বতশ্রেণি কোথায় অবস্থিত ? 
উত্তরঃ-   শিবালিক ও হিমাদ্রি হিমালয়ের মাঝে । 

৬৮. দৈর্ঘ্য বরাবর হিমালয় পর্বতমালাকে পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায় ?
উত্তরঃ-   তিনটি ভাগে ( পশ্চিম , মধ্য ও পূর্ব হিমালয় ) । 

৬৯. কাশ্মীর উপত্যকা , কুলু ও কাংড়া উপত্যকা কোথায় অবস্থিত ? 
উত্তরঃ-   পিরাপাপ্তাল ও জাস্কাল পর্বতের মাঝে । 

৭০. পশ্চিমে শতদ্রু নদী ও পূর্বে কালীগণ্ডকী নদীর মাঝে কোন হিমালয় অবস্থিত ?
উত্তরঃ-   উত্তরাখণ্ডের কুমায়ুন হিমালয় । 

৭১. লুনি নদীর উত্তরাংশে বালুময় ক্ষুদ্র মরু অংশকে কী বলে ? 
উত্তরঃ-   থালি । 

৭২. দক্ষিণ ভারতের শস্যভাণ্ডার কাকে বলা হয় ?
উত্তরঃ-   কাবেরী নদীর ব – দ্বীপকে । 

৭৩. শিবালিক পর্বতমালা থেকে আগত ছোটো ছোটো নদী দ্বারা যে ক্ষয়প্রাপ্ত ভূমিভাগ সৃষ্টি হয় তাকে স্থানীয় ভাষায় কী বলে ? 
উত্তরঃ-   চোস । 

৭৪. শিবালিকের পাদদেশে নদীবাহিত নুড়ি , কাকর , বালি , পলি দ্বারা গঠিত অংশকে কী বলা হয় ? 
উত্তরঃ-   ভাবর । 

৭৫. মালাবার উপকূলীয় সমভূমি অঞ্চলের হ্রদগুলিকে কী বলা হয় ? 
উত্তরঃ-   কয়াল । 

৭৬. ভারতের তথা এশিয়ার বৃহত্তম উপহ্রদের বা লেগুনের নাম কী ? 
উত্তরঃ-   ওড়িশার চিল্কা উপহ্রদ 

৭৭. ভারতের বৃহত্তম কয়ালের নাম কী ? 
উত্তরঃ-   ভেম্বানাদ । 

৭৮. ভারতের বৃহত্তম অভ্যন্তরীণ মৎস্য আহরণ ক্ষেত্রের নাম কী ? 
উত্তরঃ-   ওড়িশার চিল্কা উপহ্রদ । 

৭৯. কৃপ ও নলকূপের মাধ্যমে সেচকাজ সবচেয়ে বেশি হয় কোন রাজ্যে ? 
উত্তরঃ-   উত্তরপ্রদেশে । 

৮০. পশ্চিমবঙ্গের দুঃখ বলা হয় কাকে ? 
উত্তরঃ-   দামোদর নদকে 

৮১. কোন ঋতুকে দক্ষিণ – পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর আগমনকাল বলা হয় ? 
উত্তরঃ-   বর্ষা ঋতুকে । 

৮২. পৃথিবীর সর্বাধিক বৃষ্টিপাতযুক্ত অঞ্চলের নাম কী ? 
উত্তরঃ-   মেঘালয়ের মৌসিনরাম । 

৮৩. কোন ঋতুকে মৌসুমি বায়ুর প্রত্যাবর্তনকাল বলা হয় ? 
উত্তরঃ-   শরৎ ঋতুকে । 

৮৪. মরু অঞ্চলে কী ধরনের মৃত্তিকা লক্ষ করা যায় ? 
উত্তরঃ-   সিরোজেম জাতীয় মরু মৃত্তিকা । 

৮৫. পার্বত্য অঞ্চলে কী ধরনের মৃত্তিকা লক্ষ করা যায় ? 
উত্তরঃ-   হিউমাসযুক্ত পড়সল মৃত্তিকা ।

৮৬. বর্তমানে ভারতে রাজ্যের সংখ্যা ক – টি ?
উত্তরঃ-  -   ২৯ টি । (এটি পরিবর্তনশীল শিক্ষক কে জিজ্ঞেস করে উত্তর করবে)

৮৭.  ভারত ও পাকিস্তানের সীমারেখার নাম কী ?
উত্তরঃ-   র‍্যাডক্লিফ লাইন

৮৮. ভারতের উপকূলের দৈর্ঘ্য কত?
উত্তরঃ-   5,700 কিমি

৮৯.  ম্যাকমোহন লাইনটি ভারতের কোন রাজ্যের ভারত – চিন সীমারখো ?
উত্তরঃ-  -   অরুণাচল প্রদেশ ।

৯০.  ভারতের নবতম রাজ্য কোনটি ?
উত্তরঃ-  -   তেলেঙ্গানা ।

৯১. বাংলাদেশের ছিটমহলগুলি ভারতের কোন রাজ্যে যুক্ত হয় ?
উত্তরঃ-  -   পশ্চিমবঙ্গ ।

৯২.  ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে কোন্ প্রণালী রয়েছে ?
উত্তরঃ-  -   পকপ্রণালী ।

৯৩.  ভারতের কোন শহরটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং 
একইসঙ্গে দুটি রাজ্যের রাজধানী ?
উত্তরঃ-  -   চণ্ডীগড় ।

৯৪. কত খ্রিস্টাব্দে রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন স্থাপিত হয় ?
উত্তরঃ-  -   ১৯৫৩ ।

৯৫.  শ্রীলঙ্কা দেশটি কোন প্রণালী দ্বারা ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন?
উত্তরঃ-   পক প্রণালী

৯৬.  ভারতের বৃহত্তম কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল কোনটি?
উত্তরঃ-   আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ

৯৭. ভারতে রাজ্যভাগে কোন্ বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয় ?
উত্তরঃ-  -   ভাষা ।

৯৮. পূর্ব – পশ্চিমে ভারতের বিস্তার কত ?
উত্তরঃ-  -   ২৯৩৩ কিমি ।

৯৯.  ভারতের স্থল সীমানার দৈর্ঘ্য কত ?
উত্তরঃ-  -   ১৫,২০০ কিমি ।

১০০. ভারতের পশ্চিমতম স্থানের নাম কী ?
উত্তরঃ-   গুজরাটের গুহার মোটি

১০১.  মহীশুর নামক দেশীয় রাজ্যটির বর্তমান নাম কী?
উত্তরঃ-   কর্ণাটক

১০২. চণ্ডীগড় কোন্ দুই রাজ্যের রাজধানী ? 
উত্তরঃ-  -   পাঞ্জাব , হরিয়ানা ।

১০৩. আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের মাঝখানে কোন্ প্রণালী অবস্থিত ?
উত্তরঃ-  -   ১০ ° চ্যানেল ।

১০৪. ‘দাক্ষিণাত্যের সিঁড়ি’ কাকে বলে?
উত্তরঃ-   ডেকানট্র্যাপকে

১০৫. ভূস্বগ’ বা ‘প্রাচ্যের নন্দনকানন’ কাকে বলে?
উত্তরঃ-   কাশ্মীর উপত্যকাকে

১০৬.  সর্বাধিক প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সীমানা স্পর্শকারী রাজ্য কোনগুলি ?
উত্তরঃ-  -   পশ্চিমবঙ্গ , অরুণাচল প্রদেশ ও জম্মু – কাশ্মীর ( ৩ টি করে ) ।

১০৭.  ভারতের সবথেকে কম সীমানাস্পর্শকারী রাজ্য কোন্‌টি ?
উত্তরঃ-  -   সিকিম ( ১ টি , পশ্চিমবঙ্গ ) ।

১০৮.  ভারতের সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক সীমানা স্পর্শকারী রাজ্য কোনটি ?
উত্তরঃ-  -   অরুণাচল প্রদেশ ( ৩ টি — ভুটান , চিন ও মায়নমার ) ।

১০৯. পশ্চিমঘাট পর্বতের অপর নাম কী?
উত্তরঃ-   সহ্যাদ্রি

১১০.  পূর্বঘাট পর্বতের অপর নাম কী?
উত্তরঃ-   মলয়াদ্রি

১১১. গারো পাহাড়ের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম কী?
উত্তরঃ-   নকরেক

১১২. বৃহৎ ও ক্ষুদ্র আন্দামানকে পৃথক করেছে কোন প্রণালী?
উত্তরঃ-   ডানকান প্রণালী

১১৩. দ্রাঘিমারেখার ভিত্তিতে ভারত কোন্ গোলার্ধের দেশ ?
উত্তরঃ-  -   পূর্ব গোলার্ধের । 

১১৪.  ভারতের দক্ষিণতম বিন্দুর নাম কী ?
উত্তরঃ-  -   ইন্দিরা পয়েন্ট ।

১১৫.  আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জকে পৃথক করেছে কোন্ প্রণালীঃ
উত্তরঃ-   10° প্রণালী

১১৬. কাথিয়াবাড় উপদ্বীপের নীচু জলাভূমিকে কী বলে?
উত্তরঃ-   নলহুদ

১১৭. কাশ্মীর উপত্যকার উর্বর পলিস্তরকে কী বলে?
উত্তরঃ-   কারেওয়া

১১৮.  টেথিস হিমালয়ের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কোনটি?
উত্তরঃ-   লিওপারগেল

১১৯.  ভারতের মূল ভূখণ্ডের দক্ষিণতম অংশের নাম কী ? 
উত্তরঃ-  -   কন্যাকুমারিকা অন্তরীপ ।

১২০. কোন বিখ্যাত অক্ষরেখা ভারতের মাঝবরাবর বিস্তৃত ।
উত্তরঃ-  -   কর্কটক্রান্তি রেখা ।

১২১. ভারত সমেত প্রতিবেশি দেশগুলির সংগঠনের নাম কী ? 
উত্তরঃ-  -   SAARC .

১২২. লাক্ষাদ্বীপ, মিনিকয় ও আমিনদিভি দ্বীপপুঞ্জের বর্তমান নাম কী?
উত্তরঃ-   লক্ষদ্বীপ

১২৩. গঙ্গার প্রধান উপনদীর নাম কী?
উত্তরঃ-   যমুনা

১২৪.  গঙ্গার প্রধান শাখানদীর নাম কী ?
উত্তরঃ-   পদ্মা

১২৫. SAARC এর সদস্যসংখ্যা ক – টি ?
উত্তরঃ-  -   ৬ টি । 

১২৬. SAARC- এর পুরো কথা কী ?
উত্তরঃ-  -   South Asian Association for Regional Co – operation . 

১২৭. কাবেরী নদী কোথায় দুটি ভাগে বিভক্ত হয়েছে?
উত্তরঃ-   তিরুচিরাপল্লির নিকট

১২৮. তাপ্তী নদী কোথা থেকে উৎপন্ন হয়েছে?
উত্তরঃ-   মহাদেব পর্বতের মূলতাই উচ্চভূমি থেকে

১২৯. খাম্বাত  উপসাগরে কোন নদী পতিত হয়েছে?
উত্তরঃ-   নর্মদা

১৩০.  শিবসমুদ্রম জলপ্রপাত কোন্ নদীতে অবস্থিত?
উত্তরঃ-   কাবেরী নদীতে

১৩১. ক্ষেত্রফল বিচারে পৃথিবীতে ভারতের স্থান কত ?
উত্তরঃ-  -   সপ্তম ।

১৩২. ভারত ও পাকিস্তানের সীমারেখার নাম কী ? 
উত্তরঃ-  -   র‍্যাডক্লিফ লাইন । 

১৩৩. ভারতের জলবায়ু কী প্রকৃতির ?
উত্তরঃ-   ক্রান্তীয় মৌসুমি প্রকৃতির

১৩৪. পশ্চিমঘাট পর্বতের বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল কোনটি ?
উত্তরঃ-   দাক্ষিণাত্য মালভূমি

১৩৫. ভারতের সর্বাধিক বৃষ্টিবহুল স্থানটির নাম কী?
উত্তরঃ-   মৌসিনরাম

১৩৬. অসমে কালবৈশাখী কী নামে পরিচিত?
উত্তরঃ-   বরদৈছিলা

১৩৭. কোন্ প্রতিবেশি দেশের সঙ্গে ভারতের সীমারেখা দীর্ঘতম ?
উত্তরঃ-  -   বাংলাদেশ ।

১৩৮.  শীতকালে ভারতের কোন অঞ্চলে বৃষ্টিপাত হয় ?
উত্তরঃ-   উত্তর-পশ্চিম ভারতে

১৩৯. পশ্চিম ভারতের সর্বাধিক বৃষ্টিযুক্ত অঞ্চলের নাম লেখো।
উত্তরঃ-   মালাবার উপকুল

১৪০.  ভারতের অতি স্বল্প বৃষ্টিপাতযুক্ত অঞ্চল কোনটি?
উত্তরঃ-   রাজস্থানের পশ্চিম অংশ

১৪১. ভারতের একটি প্রতিবেশি দেশের নাম লেখো যা সম্পূর্ণ ; স্থলভাগ বেষ্টিত ।
উত্তরঃ-  -   নেপাল বা ভূটান ।

১৪২. একটি প্রতিবেশি দেশের নাম লেখো যা সম্পূর্ণ দ্বীপভূমি ।
উত্তরঃ-  -   শ্রীলঙ্কা / মালদ্বীপ ।

১৪৩. ভারতে গ্রীষ্মকালীন ও শীতকালীন মৌসুমি বায়ুর মধ্যে কত ডিগ্রি দিক পরিবর্তন ঘটে?
উত্তরঃ-   180°

১৪৪.  ভারতের কোন রাজ্য ক্ষেত্রফলে বৃহত্তম ।
উত্তরঃ-  -   রাজস্থান ।


দশম শ্রেণীর ভূগোল – ভারত : ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ / Bharot Bharoter Prakritik Poribes (পঞ্চম অধ্যায়)" সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর" । WBBSE Class 10th Geography 5th Chapter SAQ Questions and Answers 

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর | SAQ Questions and Answers (Class Ten (Madhyamik) geography Fifth chapter) 


১. ভারতের মূল ভূখণ্ডের দক্ষিণতম বিন্দু এবং ভারতের দক্ষিণতম স্থলবিন্দু কোন্‌টি ?
উত্তরঃ-   ভারতের মূল ভূখণ্ডের দক্ষিণতম বিন্দু হল কন্যাকুমারিকা অন্তরীপ এবং ভারতের দক্ষিণতম স্থলবিন্দু হল আন্দামান – নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণে অবস্থিত ইন্দিরা পয়েন্ট । ভারত : অবস্থ মায়ানমার ও বাংলাদেশ , বঙ্গোপসাগর এবং দক্ষিণে রয়েছে শ্রীলঙ্কা ও ভারতমহাসাগর ।

২. উপদ্বীপ ( Peninsula ) কাকে বলে ?
উত্তরঃ-   তিনদিক জলভাগ দ্বারা বেষ্টিত স্থলভাগকে উপদ্বীপ বলে । যেমন— ভারত হল একটি উপদ্বীপ , কারণ ভারতের তিনদিকে রয়েছে ৩ টি সাগর ( পূর্বে বঙ্গোপসাগর , পশ্চিমে আরব সাগর এবং দক্ষিণে ভারতমহাসাগর ) । ভারত পৃথিবীর বৃহত্তম উপদ্বীপ ।

৩. উপসাগর ( Bay ) কাকে বলে ?
উত্তরঃ-   তিনদিক স্থলভাগ দ্বারা বেষ্টিত সমুদ্রভাগকে উপসাগর বলে । যেমন — খাম্বাত উপসাগর , কচ্ছ উপসাগর ইত্যাদি ।

৪. উত্তরের পার্বত্য অঞ্চলের গুরুত্ব লেখো । 

উত্তরঃ-   1. প্রতিরক্ষা : ভারতের উত্তরে হিমালয় পর্বত প্রাচীরের মতো দণ্ডায়মান হওয়ায় বহিঃশত্রুর হাত থেকে অনেকাংশে রক্ষা করে । ও 

নদীর উৎসস্থল : ভারতের প্রধান প্রধান নদী যথা — গঙ্গা , সিন্ধু , ব্রহ্মপুত্র প্রভৃতি নদী হিমালয় পর্বত থেকে উৎপন্ন হওয়ায় সারাবছর জল থাকে যা পানীয় জল , সেচের কাজে বিশেষ ভূমিকা পালন করে । 
পর্যটন শিল্প : 

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ হওয়ায় হিমালয়ের পার্বত্য অঞ্চলে পর্যটন শিল্প গড়ে উঠেছে যা দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে । 

৬. উত্তরের সমভূমির গুরুত্ব লেখো । 

উত্তরঃ-   উন্নত কৃষিকাজ : এই সমভূমি অঞ্চলে ঊর্বর মৃত্তিকা , মনোরোম জলবায়ু , জলসেচের সুবিধা থাকায় ব্যাপক পরিমাণে কৃষিকাজ হয়ে থাকে , তাই এই সমভূমি অঞ্চলকে ভারতের শস্যভাণ্ডার বলা হয় । 

ঘন জনবসতি : প্রাকৃতিক , সামাজিক ও অর্থনৈতিক দিক দিয়ে এই অঞ্চল পরিপূর্ণ হওয়ায় ঘন জনবসতিপূর্ণ অঞ্চলে পরিণত হয়েছে । 

শিল্পের বিকাশ : এই সমভূমি অঞ্চলে উন্নত পরিবহণ ব্যবস্থা , সমতল ভূপ্রকৃতি , পানীয় জলের সুবিধা , বিদ্যুতের সুবিধা থাকায় শিল্পের দ্রুত বিকাশ ঘটেছে । 

৭. ভারতের রাজ্য পুনর্গঠনে ভাষার ভূমিকা লেখো ।

উত্তরঃ-   ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে রাজ্য পুনর্গঠনের জন্য ভাষার ভূমিকা ছিল সবচেয়ে বেশি । ভারতের কোনো বিস্তীর্ণ অঞ্চলের অধিকাংশ মানুষ যে যে ভাষায় কথা বলেন , সেই সেই অঞ্চলগুলিকে রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া হয় । যেমন — ওড়িয়া ভাষা প্রধান অঞ্চলকে ওড়িশা , বাংলা ভাষা প্রধান অঞ্চলকে পশ্চিমবঙ্গ বা অসমীয়া ভাষা প্রধান অঞ্চলকে অসম রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে । এই হিসেবেই তেলুগু , পাঞ্জাবি , তামিল , কাশ্মীরি ভাষা প্রধান অঞ্চলগুলি হল যথাক্রমে অন্ধ্রপ্রদেশ , পাঞ্জাব , তামিলনাড়ু , জম্মু ও কাশ্মীর প্রভৃতি । 

৮. ভারতের উপদ্বীপীয় অবস্থানের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করো । 

উত্তরঃ-   ভারতের দক্ষিণাংশ উপদ্বীপীয় ভারত নামে পরিচিত । এই অংশকে দাক্ষিণাত্য বলে । এরুপ উপদ্বীপীয় অবস্থানের সুবিধাগুলি হল— ( ১ ) জলবায়ু : সমুদ্র কাছাকাছি অবস্থান করায় এই অংশের জলবায়ু সমভাবাপন্ন । ( ২ ) আত্মরক্ষা : সমুদ্রবেষ্টিত হওয়ায় সমুদ্রপথে বহিঃশত্রুরা সহজে আক্রমন করতে পারে না । ( ৩ ) ব্যাবসাবাণিজ্য : জলপথে অন্যান্য দেশের সাথে ব্যাবসা বাণিজ্যের সুবিধা হয় । ( ৪ ) মৎস্যশিকার : পার্শ্ববর্তী সমুদ্র থেকে ভারত প্রচুর মৎস্যশিকার করে । এ ছাড়া মণিমুক্তা ও খনিজসম্পদও পাওয়া যায় । ( ৫ ) নৌবিদ্যা : ভারত নৌবিদ্যায়ও যথেষ্ট পারদর্শী । স্থলভাগের সীমানা দেখতে পাওয়া যায় । এর দৈর্ঘ্য হ ১৫,২০০ কিমি । উত্তরের সুবিশাল হিমালয় পর্বত ভারত ও চিনের প্রাকৃতিক সীমানা হিসেবে অবস্থান করছে । ভুটানের পূর্বাংশ থেকে অরুণাচল প্রদেশ পর্যন্ত ভারত ও চিনের সীমান ম্যাকমোহন লাইন নামে পরিচিত । ভারতের উত্তর – পশ্চিমে ভারত ও পাকিস্তানের সীমারেখা হল র‍্যাডক্লিফ লাইন । উত্তর – পূর্বে ভারত – মায়ানমার ও ভারত – বাংলাদেশ সীমারেখাও বর্তমান ।

৯. মানবজীবনে হ্রদ , জলাশয় ও খালের গুরুত্ব কী ? 
উত্তরঃ-   
1) হ্রদের জল সেচকাজে ব্যবহার করা হয় এবং পর্যটন ও বিনোদন ক্ষেত্র , মৎস্য আহরণ ক্ষেত্র হিসেবে হ্রদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । 
2) অতিরিক্ত জলকে জলাশয়ে ধরে রেখে বন্যা প্রতিহত করা হয় , যা বাস্তুতন্ত্র তৈরি ও জীববৈচিত্র্য বৃদ্ধিতে সাহায্য করে । 
3) খালের জলকে সেচের কাজে ব্যবহার করা হয় , খালের মাধ্যমে কৃষিজাত ও শিল্পজাত পণ্য পরিবহণ করা হয় । খালে মাছ চাষ করে অনেকে জীবিকা নির্বাহ করে । 

১০. দক্ষিণ ভারতের বেশিরভাগ নদী পূর্ববাহিনী কিন্তু নর্মদা ও তাপ্তি পশ্চিমবাহিনী কেন ? 
উত্তরঃ-   টার্সিয়ারি যুগে হিমালয়ের উত্থানকালে উপদ্বীপীয় মালভূমি পূর্বদিকে হেলে পড়ায় ভূমির ঢাল অনুযায়ী নদীগুলি পূর্বদিকে বেঁকে প্রবাহিত হয় । ঠিক ওইসময় ভারতের মাঝ বরাবর গ্রস্ত উপত্যকার সৃষ্টি হয় যাদের ঢাল মূলত পশ্চিম দিকে । ওই গ্রস্ত উপত্যকার মধ্য দিয়ে প্রধানত নর্মদা ও তাপ্তি নদী পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়েছে । 

১১. রাজস্থানে মরুভূমি সৃষ্টির কারণ কী ?
উত্তরঃ-   আরাবল্লির প্রতিকূল অবস্থান : আরাবল্লি পর্বত দক্ষিণ – পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর গতিপথের সঙ্গে সমান্তরালভাবে অবস্থান করায় বায়ু বাধা না পেয়ে সোজা সামনের দিকে এগিয়ে যায় , ফলে বৃষ্টিপাত ঘটায় না । 

১২. জলীয় বাষ্পের অভাব : 
দক্ষিণ – পশ্চিম মৌসুমি বায়ু গুজরাট উপকূলে বৃষ্টিপাত ঘটানোর পর সামনে দিকে এগিয়ে গেলে প্রায় বাষ্পহীন হয়ে পড়ে , ফলে মরুভূমি সৃষ্টি হয়েছে । 

১৩. ভারতের জলভাগের সীমানা ।
উত্তরঃ-   ভারতের দক্ষিণে প্রায় ৬১০০ কিমি অংশজুড়ে অবস্থান করছে ভারতের জলভাগের সীমানা । ভারতের জলভাগের সীমানা নানান সাগর , উপসাগর ও মহাসাগর দ্বারা বেষ্টিত । যেমন- ভারতের সর্বদক্ষিণে রয়েছে ভারতমহাসাগর এবং ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে রয়েছে মান্নার উপসাগর , পক্ উপসাগর ও পপ্রণালী । ভারতের পূর্বে রয়েছে বঙ্গোপসাগর ও পশ্চিমে রয়েছে আরব সাগর এবং গুজরাটের কচ্ছ ও কাথিয়াবাড়ের মধ্যে রয়েছে । কচ্ছ উপসাগর ও কাথিয়াবাড়ের দক্ষিণ পূর্বে রয়েছে কাছে খাম্বাত উপসাগর ।

১৪. ভারতকে ‘ বৈচিত্র্যময় দেশ ’ বলা হয় কেন ?
উত্তরঃ-   ভারতে প্রাকৃতিক , অর্থনৈতিক , রাজনৈতিক সাংস্কৃতিক দিক থেকে বহু বৈচিত্র্য পরিলক্ষিত হয় । ভারতের অবস্থান ও আয়তনগত বিশালতার জন্য সারা দেশজুড়ে মানুষের ভাষা , ধর্ম , সংস্কৃতি , জীবনধারণের ধরন , পোশাক – পরিচ্ছদ , খাদ্যাভ্যাস সবই ভিন্ন । এমনকি প্রাকৃতিক দিক দিয়েও ভারতের কোথাও সুউচ্চ পার্বত্য অঞ্চল , পাহাড়ি অঞ্চল , কোথাও বন্ধুর মালভূমি কোথাও – বা নদী অধ্যুষিত সমভূমি অবস্থান করছে । ভারতের এই সর্বাঙ্গীন বৈচিত্র্যময়তার জন্য ভারতকে ‘ বৈচিত্র্যময় দেশ ’ বলা হয় । বৈচিত্র্যতার কারণেই ভারতকে ‘ পৃথিবীর ক্ষুদ্র সংস্করণ ’ ( Epitome of the World ) বলা হয় । 

১৫. পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় কৃষিউন্নতির তিনটি কারণ সংক্ষেপে আলোচনা করো । 

উত্তরঃ-   পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় কৃষির উন্নতির তিনটি কারণ হলো— 

জলবায়ু : পাঞ্জাব ও হরিয়ানা রাজ্যে বাৎসরিক গড় উয়তা 15 ° -25 ° সেন্টিগ্রেড হওয়ায় ধান , গম , কার্পাস ইত্যাদি চাষের পক্ষে তা অত্যন্ত উপযোগী । 
উর্বর মৃত্তিকা ও সমতল ভূপ্রকৃতি : এই দুই রাজ্যের মৃত্তিকা উর্বর দোআঁশ প্রকৃতির এবং ভূপ্রকৃতি প্রায় সমতল প্রকৃতির হওয়ায় কৃষিতে তা অত্যন্ত উপযোগী । 
উন্নত সার ও বীজ : উন্নতমানের সার ও বীজের ব্যবহার হওয়ায় এই দুই রাজ্যে হেক্টর প্রতি ফসল উৎপাদনের পরিমাণ সর্বাধিক । 
ভারতের নগরায়ণের তিনটি সমস্যা লেখো ।
উত্তরঃ-   1. অপরিকল্পিত নগরায়ণ : ভারতের শহর বা নগরগুলি প্রথম থেকেই অনিয়ন্ত্রিত ও অপরিকল্পিত হওয়ায় নগরে যানজট , আবাসন , শিক্ষা স্বাস্থ্য , বিদ্যুতের সমস্যা বৃদ্ধি 

মানুষের শহর বা নগরমুখী প্রবণতা : বিভিন্ন সুযোগসুবিধার লক্ষ্যে , যথা সুস্বাচ্ছন্দ্য , বিনোদন প্রভৃতির আকাঙ্ক্ষায় মানুষ শহর বা নগরমুখী হওয়ায় দ্রুত হারে সমস্যা বাড়ছে । 

বসতির সমস্যা : জনসংখ্যা দ্রুত হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় শহরে বা নগরে বসতি স্থাপনে সমস্যা দেখা দিচ্ছে । 

১৬. ভারতের অরণ্য সংরক্ষণের তিনটি প্রধান উপায় সংক্ষেপে লেখো । 

উত্তরঃ-   1. অনিয়ন্ত্রিতভাবে বৃক্ষচ্ছেদন রোেধ : যথেচ্ছভাবে বৃক্ষচ্ছেদন না করে প্রয়োজনীয় ও বয়স্ক গাছ চিহ্নিত করে ছেদন করলে এবং তার পরিবর্তে সেখানে নতুন গাছ লাগিয়ে বৃক্ষের ভারসাম্য বজায় রাখা সম্ভব । 

বিকল্প জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি : 
বিকল্প জ্বালানি এবং অরণ্য সংলগ্ন মানুষদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলে অরণ্য বিনাশ রোধ করা সম্ভব । 

পশুচারণ নিয়ন্ত্রণ : 
পৃথকভাবে তৃণভূমি তৈরি করে বনাঞ্চলে পশুচারণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব ফলে অরণ্য অনেকাংশে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পাবে । 

১৭. ভারতবর্ষকে উপমহাদেশ বলার কারণ কী ?

উত্তরঃ-   ভারতবর্ষকে উপমহাদেশ বলার কারণ : 
এশিয়া মহাদেশের সর্ব দক্ষিণে অবস্থিত ভারত এবং ( চিন ও আফগানিস্তান বাদে ) ভারতের অন্যান্য প্রতিবেশী দেশগুলি যেমন : পাকিস্তান , নেপাল , ভুটান , বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কার মধ্যে প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক যোগাযোগ এত নিবিড় যে , এই ছ – টি দেশকে একসঙ্গে ভারতীয় উপমহাদেশ বলা হয় । ভারতের মতো এইসব দেশগুলিও এককালে কেন্দ্রীভূত ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অঙ্গ হিসেবে বহুদিনই একসঙ্গে অবস্থান করেছে , আবার ভারতের কিছু আগে পরে স্বাধীনতাও লাভ করেছে । এইসব দেশের মূল আইন এবং বৈদেশিক নীতিও অনেকটা একই রকমের । বিশেষ ভৌগোলিক অবস্থানের স জন্য ভারত এইসব দেশের মধ্যমণি হিসেবে অবস্থান করছে বলে মনে করা হয় । তাই এইসব দেশকে একসঙ্গে ভারতীয় উপমহাদেশ বলা হয় । 

১৮. ভারতের কোন্ কোন্ রাজ্য ভেঙে নতুন রাজ্য গঠন করা হয়েছে লেখো ।

উত্তরঃ-   ভারতের বিহার রাজ্য ভেঙে হয় ঝাড়খণ্ড , মধ্যপ্রদেশ রাজ্য ভেঙে হয় ছত্তিশগড় , উত্তরপ্রদেশ রাজ্য ভেঙে হয় উত্তরাখণ্ড এবং অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্য ভেঙে গঠিত হয় তেলেঙ্গনা রাজ্য ।

১৯. ভারতের জনজীবনে মৌসুমি বায়ুর প্রভাব সংক্ষেপে লেখো । বহুমুখী নদী পরিকল্পনা সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করো । 

উত্তরঃ-   মৌসুমি বায়ুর প্রভাব : ভারতের জনজীবন মৌসুমি বায়ুর দ্বারা প্রভাবিত হয় । এর প্রভাবগুলি হলো— 

1. কৃষিতে প্রভাব : 
তাপমাত্রা ও বৃষ্টিপাতের তারতম্য অনুযায়ী ভারতে নানা প্রকার কৃষিপদ্ধতি চালু রয়েছে । এগুলি হলো আর্দ্র কৃষি , শুষ্ক কৃষি , সেচন কৃষি । 

খাদ্যাভ্যাসে প্রভাব : 
মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে পূর্ব ও উত্তর – পূর্ব ভারতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেশি । ফলে এখানে ধান উৎপাদন বেশি হয় এবং এখানকার বাসিন্দাদের প্রধান খাদ্য ভাত । অন্যদিকে , উত্তর – পশ্চিম ভারতে বৃষ্টিপাত কম হয় বলে সেখানে গমের ফলন বেশি এবং বাসিন্দাদের প্রধান খাদ্য রুটি । 

শিল্পে প্রভাব : 
মৌসুমি বায়ু ও বৃষ্টিপাতের তারতম্যের জন্য সারাদেশে একই কৃষিজাত শিল্পের প্রসার ঘটেনি । পূর্ব ভারতে বৃষ্টিপাত অধিক বলে পাটশিল্প , পশ্চিম ভারতে মাঝারি বৃষ্টিপাতের কারণে কার্পাস শিল্প এবং উত্তর – পূর্ব ভারতে চা শিল্পের প্রসার ঘটেছে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের জন্য । 

বনভূমিতে প্রভাব : 
বৃষ্টিপাতের তারতম্য অনুযায়ী স্বাভাবিক উদ্ভিদ স্থানভেদে ভিন্ন হয়ে থাকে । ফলে মৌসুমি বায়ুর প্রভাব পড়েছে পশুপালন ও কাঠশিল্পেও। 

২০. ভারতের বৃহত্তম ও ক্ষুদ্রতম রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম লেখো ।

উত্তরঃ-   ভারতের বৃহত্তম রাজ্য — রাজস্থান । বৃহত্তম কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল— আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপ । ক্ষুদ্রতম রাজ্য — গোয়া । ক্ষুদ্রতম কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল — লাক্ষাদ্বীপ । 

২১. ভারতের পশ্চিমে এবং দক্ষিণে অবস্থিত উপসাগর গুলির নাম লেখো ।
উত্তরঃ-   পশ্চিম ভারতের উপসাগর হল — কচ্ছ উপসাগর ও খাম্বাত উপসাগর । দক্ষিণ ভারতের উপসাগর হল— মান্নার উপসাগর ।

২২. বহুমুখী নদী পরিকল্পনা বলতে কী বোঝো? বহুমুখী নদী পরিকল্পনার উদ্দেশ্য গুলি লিখো। 

বহুমুখী নদী পরিকল্পনা : 

সংজ্ঞা : 
কোনো নদীতে বাঁধ দিয়ে একইসঙ্গে একাধিক পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করলে তাকে বহুমুখী নদীউপত্যকা পরিকল্পনা বলা হয় । 

এর উদ্দেশ্য : 
1. জলসেচ : জল ধরে রেখে শুখা মরসুমে জলসেচ করে চাষাবাদ করা যায় । 

বন্যা নিয়ন্ত্রণ : 
নদীবাঁধ বন্যা নিয়ন্ত্রণে খুবই সহায়তা করে । 

নদীর নাব্যতা বজায় রাখা : 
বাঁধ তৈরি হওয়ায় সারাবছর ধরে নদীতে জল সরবরাহ বজায় রাখা থাকে । 

বিদ্যুৎ উৎপাদন : 
জলাধারে প্রবহমাণ জলে টারবাইনের চাকা ঘুরিয়ে সহজেই জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায় । 

২৩. ভারতের কোন রাজ্যের জেলার সংখ্যা সর্বাধিক এবং কোন্ রাজ্যের জেলার সংখ্যা সর্বনিম্ন ?

উত্তরঃ-   ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের জেলার সংখ্যা সর্বাধিক— ৭২ টি এবং ত্রিপুরা ও সিকিম জেলার সংখ্যা সর্বনিম্ন— ( ৪ টি করে ) ।

২৪. সর্বাধিক রাজ্য দ্বারা সীমানা স্পর্শ করেছে এমন ২ টি রাজ্যের নাম লেখো ।
উত্তরঃ-   সর্বাধিক রাজ্য দ্বারা সীমানা স্পর্শকারী রাজ্য হল— ( ১ ) উত্তরপ্রদেশ – ৮ টি ( উত্তরাখণ্ড , মধ্যপ্রদেশ , ছত্তিশগড় , হিমাচলপ্রদেশ , হরিয়ানা , ঝাড়খণ্ড , রাজস্থান ও বিহার ) ( ২ ) অসম —৭ টি ( পশ্চিমবঙ্গ , মেঘালয় , ত্রিপুরা , মিজোরাম , মণিপুর , নাগাল্যান্ড , অরুণাচল প্রদেশ ) ।

২৫. পূর্ব হিমালয়ের ভূপ্রকৃতির সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও ।

উত্তরঃ-   
এই পর্বতশ্রেণি পশ্চিমে সিঙ্গালিলা পর্বতশ্রেণি থেকে অরুণাচল প্রদেশের নামবারোয়া পর্যন্ত বিস্তৃত । ভূপ্রকৃতির তারতম্য অনুযায়ী একে চারটি ভাগে ভাগ করা যায় । যথা— 

১.  দার্জিলিং ও সিকিম হিমালয় : 
নেপালের পূর্বে সিঙ্গালিলা থেকে পশ্চিমে ডাকিয়াল পর্যন্ত বিস্তৃত । ভারত ও নেপাল সীমান্তে রয়েছে সিঙ্গালিলা শৈলশিরা । এখানে অনেকগুলো পর্বতশৃঙ্গ লক্ষ করা যায় । যথা — সান্দাকফু ( ৩৬৩০ মি . ) , কাঞ্চনজঙ্ঘা ( ৮৫৯৮ মি . ) ইত্যাদি । 

২. ভুটান হিমালয় : 
[এই অংশটি ভুটানে বিস্তৃত হওয়ায় আমরা এটি আলোচনা করবোনা ] 

৩. অরুণাচল হিমালয় : 
অসমের অধিকাংশ অঞ্চল ও সমগ্র অরুণাচল প্রদেশ নিয়ে এই হিমালয় অবস্থিত । এখানে বেশ কয়েকটি গিরিপথ অবস্থিত । যেমন — জেলেপলা , বুমলা , তলংলা প্রভৃতি । কাংটো ( ৭০৬০ মি . ) অরুণাচলের উচ্চতম শৃঙ্গ । 

২৬. দুন বলতে কী বোঝো ? 
উত্তরঃ-   ‘ দুন ‘ কথার অর্থ হলো ‘ পার্বত্য অঞ্চলের উপত্যকা ’ । সংকীর্ণ পর্বতের মাঝে অবস্থিত নিম্নস্যানকে বলা হয় দুন । যেমন – দেরাদুন । 

২৭. খাদার ও ভাঙ্গর কী ? 
উত্তরঃ-   নবীন পলিগঠিত নিম্নভূমিকে বলা হয় খাদার । এইপ্রকার মৃত্তিকা খুবই উর্বর । উত্তরপ্রদেশ ও পাঞ্জাবে এইপ্রকার মৃত্তিকা দেখা যায় । প্রাচীন পলিমৃত্তিকা দিয়ে গঠিত উচ্চভূমিকে বলা হয় ভাঙ্গর । এই মৃত্তিকা কৃষিকার্যের জন্য ততটা সহায়ক নয় । 

২৮. ভারতের রাজ্যসমূহের পুনর্গঠনের প্রধান ভিত্তি কী ছিল ?

উত্তরঃ-   ভারতের রাজ্যসমূহের পুনর্গঠনের প্রধান ভিত্তিগুলি হল – 
(i) ভাষা , 
(ii) সংস্কৃতি , 
(iii) প্রশাসনিক দক্ষতাবৃদ্ধি , 
(iv) অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং 
(v) প্রাকৃতিক ও ভৌগোলিক সাদৃশ্য ।

২৯. ভারতের দাক্ষিণাত্যকে উপদ্বীপ বলা হয় কেন ?
উত্তরঃ-   তিনদিক জলভাগ দ্বারা বেষ্টিত কোনো স্থলভাগকে উপদ্বীপ বলে । ভারতের দক্ষিণ ভাগ অর্থাৎ দাক্ষিণাত্যকে উপদ্বীপ বলা হয় কারণ এর পূর্বে বঙ্গোপসার , পশ্চিমে আরব সাগর ও দক্ষিণে ভারতমহাসাগর অর্থাৎ তিনদিকে জলভাগ অবস্থান করছে ।

৩০. বাগর ও রোহি অঞ্চল কাকে বলে ? 

উত্তরঃ-   রাজস্থানের মরু অঞ্চলের পূর্বদিকে আরাবল্লি পর্বতের পাদদেশে অল্প বালুকাময় স্যানকে বাগর বলে । বাগর অঞ্চলের পশ্চিমে আরাবল্লি পর্বত থেকে উদ্ভূত ছোটো ছোটো নদীর দ্বারা সঞ্চয়ের ফলে সৃষ্ট প্লাবনভূমিকে বলা হয় রোহি । 

৩১. তরাই ও ডুয়ার্স কাকে বলে ? 
উত্তরঃ-   পশ্চিমবঙ্গের হিমালয়ের পাদদেশীয় অঞ্চলের স্যাতস্যাতে ও অরণ্যময় সমভূমিকে তরাই বলে । তিস্তা নদীর পূর্বতীর থেকে শুরু করে তরাইয়ের অবশিষ্ট অংশকে বলা হয় ডুয়ার্স । 

৩২. ডেকান ট্রাপ কাকে বলে ? 
উত্তরঃ-   ডেকান শব্দের অর্থ দাক্ষিণাত্য এবং ট্রাপ শব্দের অর্থ সিঁড়ি । ভূঅভ্যন্তরের উত্তপ্ত ম্যাগমা ভূপৃষ্ঠের উপরে ধীরে ধীরে সঞ্চিত হয়ে পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে ধাপে ধাপে সিঁড়ির মতো নেমে গেছে । একে ডেকান ট্রাপ বলে । 

৩৩. ভারতবর্ষ পৃথিবীর ঠিক কোথায় অবস্থিত ?
উত্তরঃ-   ভারতবর্ষ পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত , আবার পূর্ব – পশ্চিমের হিসাবে পূর্ব গোলার্ধের ঠিক মাঝখানে অবস্থিত । এ ছাড়া বলা যায় , ভারত এশিয়া মহাদেশের দক্ষিণ – পূর্ব অংশে অবস্থিত । INTERESTING FACTS ভারতের প্রমাণ সময় | Greenwich Mean Time এর থেকে ৫ ঘণ্টা ৩০ মিনিট এগিয়ে , Australian Eastern Standard Time এর তুলনায় ৪ ঘণ্টা পিছিয়ে এবং American Eastern Standard Time এর থেকে ১০.৫ ঘণ্টা এগিয়ে থাকে ।

৩৪. পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া আর কোন্ কোন্ রাজ্যের সীমানা বাংলাদেশকে স্পর্শ করে আছে ?
উত্তরঃ-   পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া আসাম , মেঘালয় , ত্রিপুরা ও মিজোরাম রাজ্য বাংলাদেশের সীমানা স্পর্শ করে আছে ।

৩৫. মালনাদ ও ময়দান কাকে বলে ? 

উত্তরঃ-   ‘ মালনাদ ’ শব্দের অর্থ হলো উঁচু – নীচু ভূমি । অর্থাৎ কর্নাটক মালভূমির পশ্চিমাংশে যে উঁচু – নীচু ঢেউ খেলানো ভূমিভাগ রয়েছে , তাকে বলা হয় মালনাদ । 

‘ ময়দান ’ শব্দের অর্থ হলো অনুচ্চ ভূমিভাগ । অর্থাৎ কর্নাটক মালভূমির পূর্বে মৃদু ঢেউ খেলানো সমপ্ৰায়ভূমিকে বলা হয় ময়দান ৷

৩৬. কয়াল কী ?
উত্তরঃ-   ভূআলোড়নের প্রভাবে কেরলের মালাবার উপকূলে ভূউত্থান ও নিমজ্জনের ফলে অসংখ্য জলাভূমি বা উপহ্রদের সৃষ্টি হয়েছে , এগুলিকে কেরলের স্থানীয় ভাষায় বলা হয় কয়াল । যেমন — ভেম্বানাদ ( বৃহত্তম ) , অষ্টমুদি ইত্যাদি । 

৩৭. বরেন্দ্রভূমি কাকে বলে ? 
উত্তরঃ-   তরাই ও ডুয়ার্স অঞ্চলের গঙ্গা নদীর বাম তীরের সমভূমিকে বলা হয় বরেন্দ্র ভূমি । অনেকের মতে , সমুদ্র থেকে বিচ্ছিন্ন কোনো অগভীর হ্রদে হিমালয়ের পার্বত্য অঞ্চল থেকে বয়ে আনা পলি সঞ্চয়ের ফলে এই অঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে । 

৩৮. বহুমুখী নদী পরিকল্পনা কাকে বলে ?
উত্তরঃ-   যে পরিকল্পনার সাহায্যে নদীতে বাঁধ নির্মাণ করে নদীর জলকে সমাজকল্যাণের বিভিন্ন উদ্দেশ্যে যথা – বন্যা নিয়ন্ত্রণ , জলসেচ , জলবিদ্যুৎ উৎপাদন , মৎস্য চাষ , পানীয় জলের জোগান প্রভৃতির উন্নয়নে ব্যবহার করা হয় , তাকে বহুমুখী নদী পরিকল্পনা বলে । 

৩৯. পাকিস্তানের সাথে ভারতের কোন্ কোন্ রাজ্যের সীমানা স্পর্শ করে আছে ?
উত্তরঃ-   ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর , পাঞ্জাব , রাজস্থান ও গুজরাট রাজ্যের সীমানা পাকিস্তানের সীমানা স্পর্শ করে আছে ।

৪০. ভারতের অক্ষাংশগত অবস্থান লেখো ।
উত্তরঃ-   ভারত দক্ষিণে ৮ ° ৪ ′ উত্তর অক্ষাংশ ( কন্যাকুমারিকা অন্তরীপ ) থেকে উত্তরে ৩৭ ° ৬ ′ উত্তর অক্ষাংশ ( কাশ্মীরের ইন্দিরা কল ) পর্যন্ত বিস্তৃত । অক্ষাংশগত ভাবে ভারত উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত । 

৪১. ভারতকে মৌসুমি বায়ুর দেশ বলা হয় কেন ?
উত্তরঃ-   ভারত ক্রান্তীয় – উপক্রান্তীয় অঞ্চলের অন্তর্গত এক সুবিশাল বৈচিত্র্যপূর্ণ দেশ । সামগ্রিকভাবে ভারতবর্ষের জলবায়ু মৌসুমি বায়ু দ্বারা প্রভাবিত । যথা — উত্তর – পূর্ব ও দক্ষিণ – পশ্চিম মৌসুমি বায়ু দ্বারা ভারতের জলবায়ু নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে । তাই ভারতকে মৌসুমি বায়ুর দেশ বলা হয় । 

৪১. ভারতের কোন কোন অঞ্চলে বছরে দু’বার বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে ? 
উত্তরঃ-   ভারতের দক্ষিণ – পূর্বে অবস্থিত করমণ্ডল উপকূলে গ্রীষ্মকালে দক্ষিণ – পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে এবং শীতকালে উত্তর – পূর্ব মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে । 

৪২. পশ্চিমি ঝঞ্ঝা কাকে বলে ? 
উত্তরঃ-   শীতকালে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল থেকে জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু পশ্চিম দিক থেকে কাশ্মীর , পাঞ্জাব , হিমাচল প্রদেশ , উত্তরাখণ্ড এবং উত্তরপ্রদেশে প্রবেশ করে বেশ কয়েকদিন প্রচুর ঝড়ঝঞ্ঝা ও তুষারপাত ঘটায় , একেই পশ্চিমি ঝঞ্ঝা বলে । 

৪৩. ভারতের দ্রাঘিমাংশগত অবস্থান লেখো ।
উত্তরঃ-   ভারত পশ্চিমে ৬৮ ° ৭ ′ পূর্ব দ্রাঘিমা ( গুজরাটের পশ্চিম সীমা ) থেকে ৯৭ ° ২৫ ′ পূর্ব দ্রাঘিমা ( অরুণাচল প্রদেশের পূর্ব সীমা ) পর্যন্ত বিস্তৃত । দ্রাঘিমাগত দিক থেকে ভারত পূর্ব গোলার্ধে অবস্থিত ।

৪৪. কচ্ছের রণ অঞ্চল কাকে বলে ? 
উত্তরঃ-   ‘ রণ ‘ শব্দের অর্থ জলময় দেশ । গুজরাটের কচ্ছ উপদ্বীপের উত্তর ও পূর্বের অগভীর লবণাক্ত জলাভূমিকে বলা হয় কচ্ছের রণ । কচ্ছের রণের উত্তর অংশকে বলার বৃহ রণ এবং দক্ষিণ অংশকে বলা হয় ক্ষুদ্র রণ । 

৪৫. মরুস্থলী কাকে বলে ? 
উত্তরঃ-   ‘ মরুস্থলী ‘ শব্দের অর্থ মৃতের দেশ । ভারতের আরাবল্লি পর্বতের পশ্চিম দিকে অবস্থিত রাজস্থানের থর মরুভূমি অঞ্চলে প্রায় সমতল বালুকাময় অঞ্চলকে মরুস্থলী বা মৃতের দেশ বলা হয় । 

৪৬. মৌসুমি বিস্ফোরণ কাকে বলে ? 
উত্তরঃ-   উত্তর – পশ্চিম ভারতে মে – জুন মাসে গভীর নিম্নচাপ সৃষ্টি হলে দক্ষিণ – পশ্চিম মৌসুমি বায়ু আরব সাগর থেকে বয়ে আনে । এই জলীয় বাষ্পের ফলে ঘন মেঘ , বজ্র – ঝড় মুষলধারে হঠাৎ প্রচণ্ড আকারে বৃষ্টিপাত ঘটায় , একে মৌসুমি বিস্ফোরণ বলে । 

৪৭. আশ্বিনের ঝড় কাকে বলে ? 
উত্তরঃ-   অক্টোবর – নভেম্বর মাসে মকরক্রান্তীয় অঞ্চলে সূর্য লম্বভাবে কিরণ দেয় বলে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের সৃষ্টি হয় । ফলে প্রত্যাবর্তনকারী মৌসুমি বায়ু ও দক্ষিণ – পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর সংঘর্ষে ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয় । আশ্বিন মাসে এই ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয় বলে একে আশ্বিনের ঝড় বলে । 

৪৮. ভারতের প্রমাণ দ্রাঘিমারেখা কোন্ কোন্ শহরের পর দিয়ে প্রসারিত হয়েছে ?
উত্তরঃ-   ভারতের প্রমাণ দ্রাঘিমারেখা ( ৮২ ° ৩০ ′ পূ . ) এলাহাবাদ , সোনহাট এবং কোকনদের মধ্যে দিয়ে প্রসারিত হয়েছে । 

৪৯. অন্তর্বাহিনী নদী কাকে বলে ? 
উত্তরঃ-   যখন কোনো নদী দেশের অভ্যন্তরের কোনো পাহাড় , পর্বত বা কোনো উচ্চভূমি থেকে উৎপত্তি লাভ করে সেই দেশের কোনো হ্রদ বা জলাশয়ে এসে মিলিত হয় , তখন তাকে অন্তর্বাহিনী নদী বলে । যেমন — লুনি , রূপনগর নদী । 

৫০. সামাজিক বনসৃজন কাকে বলে ? 
উত্তরঃ-   গ্রামীণ জনসাধারণের আর্থ – সামাজিক অবস্থার উন্নতির উদ্দেশ্যে পরিবেশের সুস্থতা , জীবজগতের ভারসাম্য রক্ষা , সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগে রাস্তার দু’ধারে , নদীর তীরবর্তী এলাকায় , রেললাইনের ফাঁকা জমিতে , পতিত জমিতে বৃক্ষরোপণের উদ্যোগকে বলা হয় সামাজিক বনসৃজন । 

৫১. কৃষি বনসৃজন কাকে বলে ? 
উত্তরঃ-   কৃষক তার নিজের জমিতে ফসল উৎপাদনের পাশাপাশি কাঠ , ফলমূল , জৈব সার , ওষুধ প্রভৃতি পাওয়ার জন্য কৃষিজমির চারিদিকে অব্যবহৃত বা পতিত জমিতে গাছ লাগিয়ে যে বনভূমি গড়ে তোলে তাকে , কৃষি বনসৃজন বলে ।

৫২. কোন্ দুটি রেখা ভারতকে পূর্ব – পশ্চিমে এবং উত্তর – দক্ষিণে ভাগ করেছে ?
উত্তরঃ-   কর্কটক্রান্তি রেখা ( ২৩১ / ২ ° উত্তর ) ভারতকে উত্তর – দক্ষিণে এবং ৮০ ° পূর্ব দ্রাঘিমারেখা ভারতকে পূর্ব – পশ্চিমে ভাগ করেছে ।

৫৩. বৃষ্টির জল সংরক্ষণ বলতে কী বোঝো ?
উত্তরঃ-   বাড়ির ছাদে পড়া বৃষ্টির জলকে জলাধারে সঞ্চিত করে , পুকুর ও নালা খুঁড়ে বৃষ্টির জল ধরে রেখে , খোলা জায়গায় গর্ত করে বৃষ্টির জল ধরে রেখে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ব্যবহার করাকে বৃষ্টির জল সংরক্ষণ বলে । 

৫৪. শস্যাবর্তন বলতে কী বোঝো ? 
উত্তরঃ-   একই জমিতে এক বা একাধিক ফসল উৎপাদনের ফলে জমির উর্বরাশক্তি হ্রাস পায় । মৃত্তিকার গুণগত মান সঠিক রাখার জন্য বছরের বিভিন্ন সময়ে ফসলের চক্রাকারে চাষাবাদকে শস্যাবর্তন বলা হয় । 

৫৫. নর্মদা ও তাপ্তি নদীতে কেন ব – দ্বীপ সৃষ্টি হয়নি ? 
উত্তরঃ-   নর্মদা ও তাপ্তি নদী গ্রস্ত উপত্যকার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় মোহনায় ঢাল এত বেশি যে সেখানে কোনোক্রমেই পলি সঞ্চিত হয় না । ফলে নর্মদা ও তাপ্তি নদীতে ব – দ্বীপ সৃষ্টি হয়নি ।

৫৬. মৌসিনরাম – চেরাপঞ্জি অঞ্চলে প্রবল বৃষ্টি হয় কেন ? 
উত্তরঃ-   মৌসুমি বায়ু বঙ্গোপসাগরের উপর দিয়ে প্রচুর জলীয় বাষ্প সংগ্রহ করে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ভারতের মেঘালয় মালভূমিতে এসে বাধাপ্রাপ্ত হয় । এর ফলে প্রবল বৃষ্টিপাত ঘটায় ।

৫৭. মরু অঞ্চলের মৃত্তিকা লবণাক্ত কেন ? 
উত্তরঃ-   সাধারণত মরুভূমি অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ খুবই সামান্য কিন্তু বাষ্পীভবনের মাত্রা অধিক । অধিক বাষ্পীভবনের ফলে ভূঅভ্যন্তরের লবণ ক্রমাগত ভূপৃষ্ঠের উপরে উঠে এসে সঞ্চিত হওয়ায় মরু অঞ্চলের মৃত্তিকা লবণাক্ত হয় ৷

৫৮. গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যান কী ? 
উত্তরঃ-   কলকারখানা , বড়ো শহর ও নগরের আবর্জনা , কৃষিক্ষেত্র থেকে বিষাক্ত কীটনাশক , রাসায়নিক সার ধুয়ে এসে গঙ্গার জলে মিশে গঙ্গাকে দূষিত করেছে । গঙ্গার দূষণ রোধ করা জন্য 1985 সালে Central Ganga Authority স্থাপন করে পর্যবেক্ষণকারী সংস্থার তত্ত্বাবধানে গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যান নামের কার্যকরী পরিকল্পনাটি গৃহীত হয় । 

৫৯. আঁধি কাকে বলে ?
উত্তরঃ-   এপ্রিল – মে মাসে গ্রীষ্মকালে রাজস্থানের থর মরুভূমি অঞ্চলে বিকালের দিকে যে প্রবল ধূলিঝড়ের সৃষ্টি হয় তাকে স্থানীয় ভাষায় আঁধি বলে । 

৬০. আম্রবৃষ্টি কাকে বলে ? 
উত্তরঃ-   গ্রীষ্মকালে স্থানীয় নিম্নচাপের প্রভাবে তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশে বিকালের দিকে যে ঝড় বৃষ্টি হয় তাকে আম্রবৃষ্টি বলে । 

৬১.  মৌসুমি বৃষ্টিচ্ছেদ কাকে বলে ? 
উত্তরঃ-   জুলাই – আগস্ট মাসে বর্ষাকালে মৌসুমি বৃষ্টি একটানা না হয়ে ধাপে ধাপে হয়ে থাকে । মাঝখানে বেশ কিছুদিন বৃষ্টির বিরতি লক্ষ করা যায় , তাকে মৌসুমি বৃষ্টিচ্ছেদ বলে । 

৬২. সামাজিক বনসৃজনের উদ্দেশ্য কী ? 
উত্তরঃ-   
1) পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা । 
2) শিল্পের প্রয়োজনীয় কাঁচামালের সরবরাহ অব্যাহত রাখে । 
3) পতিত জমি পুনরুদ্ধার ও ভূমিক্ষয় রোধ করা । 
4) গ্রামাঞ্চলে জ্বালানি কাঠ , পশুখাদ্য প্রভৃতির জোগান বাড়ানো । 

৬৩. কৃষি বনসৃজনের উদ্দেশ্য কী ?
উত্তরঃ-   
1) কৃষিজমিতে খাদ্য উৎপাদনের পাশাপাশি বৃক্ষরোপণ করা 
2) অব্যবহৃত ও পতিত জমিকে চাষযোগ্য করে অতিরিক্ত কর্মসংস্থান লাভ করা । 
3) কৃষিজমিতে ভূমিক্ষয় রোধ করা 
4) মানুষের প্রয়োজনীয় জ্বালানির চাহিদা পূরণ করা । 

৬৪. নালি ও প্রণালী ক্ষয় কী ?
উত্তরঃ-   বৃষ্টির জলের দ্বারা মৃত্তিকার উপরিস্তরে ক্ষয়ের ফলে সরু লম্বা নালার সৃষ্টি হলে , নালি ক্ষয় বলে । এই নালি ক্ষয়গুলি পরস্পর যুক্ত হলে তাকে প্রণালী ক্ষয় বলে । 

৬৫. মৃত্তিকা সংরক্ষণ কাকে বলে ? 
উত্তরঃ-   মৃত্তিকার ক্ষয়রোধ করে ভূমির উর্বরাশক্তি পুনরায় ফিরিয়ে আনতে , জমির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে যেসব ব্যবস্থা নেওয়া হয় , তাকে মৃত্তিকা সংরক্ষণ বলে । 

৬৬. ঝুমচাষ কাকে বলে ? 
উত্তরঃ-   ভারতের উত্তর – পূর্বাঞ্চলের অধিবাসীরা পর্বতের ঢালে বনজঙ্গল পুড়িয়ে চাষাবাদ করে । পরবর্তীতে জমি অনুর্বর হয়ে পড়লে অন্য স্থানে একইভাবে চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে । একে স্থানান্তর কৃষি বা উত্তর – পূর্ব ভারতে ঝুমচাষ বলে । 


ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ ভারত : ভারত : অবস্থান, প্রসনিক বিভাগ, ভারতের ভূ প্রাকৃতিক বিভাগ্‌ ভারতের জলবায়ু , ভারতের জলসম্পদ , ভারতের মৃত্তিক্‌ ভারতের স্বাভাবিক উদ্ভিদ , (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) - মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion

মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion


  1. ভারতের অন্তর্গত দ্বীপ ও দ্বীপপুঞ্জগুলির নাম লেখো।
  2. জাতীয় রাজধানী অঞ্চল বলতে কী বোঝো?
  3. দুন উপত্যকা বলতে কী বোঝো?
  4. কাশ্মীর উপত্যকা কাকে বলে?
  5. কারেওয়া কী?
  6. ভারতকে উপদ্বীপ বলে কেন?
  7. ভারতীয় উপমহাদেশ বলতে কী বোঝো?
  8. নেফা ((NEFA) কী?
  9. মরুস্থলী কী?
  10. কয়াল কী?
  11. দণ্ডকারণ্য কাকে বলে?
  12. তরাই সমভূমি কাকে বলে?
  13. অন্তর্বাহিনী নদী কাকে বলে?
  14. জলসম্পদ সংরক্ষণ কাকে বলে?
  15. বহুমুখী নদী পরিকল্পনা কাকে বলে?
  16. ভাবর অঞ্চল কাকে বলে?
  17. কচ্ছের রন কাকে বলে?
  18. ভারতের প্রধান জলবিভাজিকাগুলির নাম লেখো।
  19. ‘দক্ষিণ ভারতের গঙ্গা’ কাকে বলে ও কেন?
  20. জলবিভাজিকা ব্যবস্থাপনা কাকে বলে?
  21. ভারতকে ‘মৌসুমি জলবায়ুর দেশ’ বলে কেন?
  22. মৌসুমি বিস্ফোরণ কাকে বলে?
  23. পশ্চিমি ঝঞা কাকে বলে?
  24. আশ্বিনের ঝড় কাকে বলে?
  25. নরওয়েস্টার কী?
  26. আঁধি কী?
  27. লু কী?
  28. আম্রবৃষ্টি কী?
  29. কফি বৃষ্টি কী?
  30. মৃত্তিকা কাকে বলে?
  31. খাদার কী?
  32. ভাঙর কী?
  33. রেগুর কাকে বলে?
  34. মৃত্তিকা সংরক্ষণ বলতে কী বোঝো?
  35. ল্যাটেরাইট মাটির জলধারণ ক্ষমতা কম কেন?
  36. লোহিত মৃত্তিকার উর্বরতা কম কেন?
  37. চিরহরিৎ অরণ্য কাকে বলে?
  38. লোহিত মৃত্তিকার রং লাল কেন?
  39. কৃষ্ণ মৃত্তিকার রং কালো কেন?
  40. ভূমিক্ষয় কাকে বলে?
  41. খোয়াই ভূমিরূপ কী?
  42. ক্রান্তীয় পর্ণমোচী অরণ্য কাকে বলে?
  43. মরু উদ্ভিদ কাকে বলে?
  44. ম্যানগ্রোভ অরণ্য বলতে কী বোঝো?
  45. ভারতের অবস্থানগত ভৌগোলিক গুরুত্ব ব্যাখ্যা করো।
  46. ভারতের অক্ষাংশগত ও দ্রাঘিমাগত অবস্থান ব্যাখ্যা করো।
  47. ভারতের রাজ্য পুনর্গঠনে ভাষার ভূমিকা লেখো।
  48. আল্পীয় উদ্ভিদ কাকে বলে?
  49. সামাজিক বনসৃজন কাকে বলে?
  50. কৃষি বনসৃজন কাকে বলে?
  51. ভারতের অবস্থান নির্দেশ করো।
  52. ভারতের ভূপ্রাকৃতিক বিভাগগুলির নাম লেখো।
  53. উত্তর-পূর্ব পার্বত্য অঞ্চলের গুরুত্ব কী?
  54. ভারতের জনজীবনে হিমালয় পর্বতমালার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করো।
  55. পূর্বঘাট পর্বতমালা ও পশ্চিমঘাট পর্বতমালার মধ্যে পার্থক্য লেখো।
  56. ভারতের জনজীবনে দ্বীপসমুহের প্রভাব লেখো।
  57. ভারতকে ‘নদীমাতৃক দেশ’ বলা হয় কেন?
  58. উত্তর ভারতের বিশাল সমভূমির বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো।
  59. খাদার ও ভাঙর কাকে বলে?
  60. ডেকানট্র্যাপ কাকে বলে?
  61. মালনাদ ও ময়দান বলতে কী বোঝো?
  62. উত্তর ভারতের নদীগুলি বন্যাপ্রবণ হয় কেন?
  63. দক্ষিণ ভারতের অধিকাংশ নদী পুর্ববাহিনী কেন?
  64. ভারতের পশ্চিমবাহিনী নদীগুলির মোহনায় বদ্বীপ গঠিত হয়নি কেন ?
  65. গঙ্গা নদীর মোহনার কাছে অসংখ্য খাঁড়ি দেখা যায় কেন?
  66. প্লাবন খাল ও নিত্যবহ, খাল বলতে কী বোঝো?
  67. বৃষ্টির জল কীভাবে সংরক্ষণ করা যায়?
  68. বহুমুখী নদী পরিকল্পনার উদ্দেশ্যগুলি কী কী?
  69. সিন্ধু নদের গতিপথ বর্ণনা করো।
  70. ব্রম্মপুত্র নদের গতিপথ বর্ণনা করো।
  71. জলসম্পদ সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা কী?
  72. ভারতের জনজীবনে নদনদীর প্রভাব লেখো।
  73. জলবিভাজিকা ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্যগুলি লেখো।
  74. ভারতের জলবায়ুর বৈচিত্র্যের পরিচয় দাও।
  75. ভারতের জলবায়ুর ওপর হিমালয় পর্বতমালার প্রভাব ব্যাখ্যা করো।
  76. ভারতের কৃষিকাজের ওপর মৃত্তিকার প্রভাব আলোচনা করো।
  77. কৃষ্ণ মৃত্তিকার বৈশিষ্ট্য লেখো।
  78. ভারতে কৃষিতে পলিমাটির প্রভাব লেখো।
  79. ল্যাটেরাইট মাটির বৈশিষ্ট্য লেখো।
  80. করমণ্ডল উপকূলে বছরে দু-বার বৃষ্টি হয় কেন?
  81. দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু শরৎকালে প্রত্যাবর্তন করে কেন?
  82. ভারতে শীতকাল শুষ্ক হয় কেন?
  83. ভারতের মৃত্তিকার শ্রেণিবিভাগ করো।
  84. মৃত্তিকা ক্ষয়ের পদ্ধতিগুলি কী কী?
  85. ভারতের মৃত্তিকা ক্ষয়ের প্রভাবগুলি উল্লেখ করো।
  86. পার্বত্য মৃত্তিকার বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।
  87. মরু উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য লেখো।
  88. ভারতে বনভূমি সংরক্ষণ প্রয়োজন কেন?
  89. সামাজিক বনসৃজনের উদ্দেশ্যগুলি কী কী?
  90. ভারতের স্বাভাবিক উদ্ভিদের শ্রেণিবিভাগ করো।
  91. জলবায়ু ভারতের স্বাভাবিক উদ্ভিদের বণ্টনে কীরূপ প্রভাব বিস্তার করে?
  92. ম্যানগ্রোভ বনভূমির বৈশিষ্ট্য লেখো।
  93. শুষ্ক পর্ণমোচী বনভূমির বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো।
  94. হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলের উদ্ভিদের পরিচয় দাও।
  95. ভারতে বনভূমি ক্রমশ সংকুচিত হচ্ছে কেন?
  96. কৃষি বনসৃজনের উদ্দেশ্যগুলি উল্লেখ করো।
  97. সামাজিক বনসৃজন ও কৃষি বনসৃজনের মধ্যে পার্থক্য লেখো।

দশম শ্রেণীর ভূগোল – ভারত : ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ / Bharot Bharoter Prakritik Poribes (পঞ্চম অধ্যায়)" রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর" । WBBSE Class 10th Geography 5th Chapter DAQ Questions and Answers 

রচনাধর্মী বা বিশ্লেষণধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর (প্রতিটি প্রশ্নের মান ৫)


১. ভারতের মৃত্তিকার শ্রেণিবিভাগ করে তাদের বৈশিষ্ট্যের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও । 
উত্তরঃ-   উৎপত্তি , বৈশিষ্ট্য ও জলবায়ুর তারতম্যের বিচারে ভারতের মৃত্তিকাকে প্রধানত ছয় ভাগে ভাগ করা যায় । যথা— 

পাললিক মৃত্তিকা : 
দাক্ষিণাত্য মালভূমি , পশ্চিম ও পূর্বঘাট পর্বতের ন ক্ষয়িত বালি , পলি , কাদা সঞ্চিত হয়ে এবং উপকূলের সমুদ্রতরঙ্গের দ্বারা সতি বালি , পলি , কাদা প্রভৃতি সম্ভিত হয়ে পাললিক মুক্তিকা সৃষ্টি হয়েছে । 

বৈশিষ্ট্য : 
1) এই মুক্তিকার জলধারণ ক্ষমতা বেশিও 
2) এই মৃত্তিকা সূক্ষ্ম পলি ও খনিজ কণার সমন্বয়ে গঠিত । 
3) মৃত্তিকার স্তরগুলি খুব সুস্পষ্ট । 
4) মৃত্তিকা সুগভীর হয় । 

কৃমৃত্তিকা : 
স্বল্প বৃষ্টিপাতের প্রভাবে , উচ্চ উয়তায় অগ্ন্যুৎপাতের ফলে ব্যাসল্ট জাতীয় আগ্নেয় শিলা দ্বারা গঠিত হয়েছে । 

বৈশিষ্ট : 
1) এই মৃত্তিকার রং কালো । 
2) এই মুক্তিকার জলধারণ ক্ষমতা বেশি 
3) এই মৃত্তিকা খুবই উর্বর । এই মৃত্তিকা সূক্ষ্ম কণাযুক্ত । 

লোহিত মৃত্তিকা : 
অধিক উন্নতা ও আর্দ্রতাজনিত কারণে আগ্নেয় ও রূপান্তরিত শিলা থেকে গভীর আবহবিকারের মাধ্যমে এই শিলার উৎপত্তি হয়েছে । 

বৈশিষ্ট্য : 
1) এই মৃত্তিকা ম্যাঙ্গানিজ অক্সাইড , কোয়ার্টজ জাতীয় খনিজ সমৃদ্ধ । 
2) এই মৃত্তিকার রং লাল বাদামি বা হালকা বাদামি হয় । 
3) এই মৃত্তিকা আম্লিক প্রকৃতির । 

ল্যাটেরাইট মৃত্তিকা : 
প্রচুর বৃষ্টিপাতের ফলে সিলিকা ও সেসকুই অক্সাইড অপসারিত হয়ে লোহা , অ্যালুমিনিয়াম ও হাইড্রোক্সাইড পড়ে থেকে এই মুক্তিকার সৃষ্টি হয়েছে । 

বৈশিষ্ট্য : 
এই মৃত্তিকার রং লাল বাদামি বা হালকা বাদামি । এই মুক্তিকায় লোহা , বক্সাইড , ম্যাঙ্গানিজ ইত্যাদি খনিজ থাকে । এই মৃত্তিকা আম্লিক প্রকৃতির । এর pH মান 5.5 – এর কম । 

মরু মত্তিকা : 
ভারতের শুষ্ক ও মরু অঞ্চলের বালুকাময় মৃত্তিকা মরু মুক্তিকা নামে পরিচিত । ভারতের মোট ক্ষেত্রফলের 4 % অঞ্চল জুড়ে এই মুক্তিকা দেখা যায় । 

বৈশিষ্ট্য : 
এই মৃত্তিকা বালুকণাযুক্ত হওয়ায় এর জলধারণ ক্ষমতা কম । 
এই মুক্তিকার রং ধূসর বাদামি , হালকা হলুদ প্রকৃতির হয় । 
এই মৃত্তিকা অনুর্বর প্রকৃতির ও pH এর মান 7.69.21

পার্বত্য মৃত্তিকা : 
পর্বতের পাদদেশীয় অঞ্চলে উদ্ভিদের ডালপালা পচে গিয়ে হিউমাস সমৃদ্ধ হয়ে এই মুক্তিকার সৃষ্টি হয়েছে । 

বৈশিষ্ট্য : 
1) এই মুক্তিকার রং ধূসর , ছাই , কালো ধরনের । 
2) এই মৃত্তিকায় বালি ও কর্দমের পরিমাণ বেশি । 
3) এই মৃত্তিকা অনুর্বর প্রকৃতির হওয়ায় কৃষিকাজ তেমন হয় না । 


২. গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যান কী ? 
উত্তরঃ-   
জল সংরক্ষণের গুরুত্ব ও পদ্ধতি সংক্ষেপে লেখো । পুণ্যতোয়া গঙ্গা নদী বর্তমানে ব্যাপক দূষণের শিকার । গাঙ্গেয় অববাহিকায় সমীক্ষা করে গঙ্গাদূষণ রোধের জন্য ‘ গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যান ’ গঠিত হয়েছে । কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের অধীনে ১৯৮৫ সালে ‘ সেন্ট্রাল গঙ্গা অথরিটি ‘ নামে একটি পর্যবেক্ষণকারী সংস্থার তত্ত্বাবধানে ‘ গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যান ‘ নামের কার্যকরী পরিকল্পনাটি গৃহীত হয় । এই পরিকল্পনায় প্রথম পর্যায়ে পশ্চিমবঙ্গ , বিহার ও উত্তরপ্রদেশের ২৭ টি প্রথম শ্রেণির শহরকে গঙ্গাদুষণের জন্য দায়ী করা হয়েছে । কলকাতা , পাটনা , বারাণসী , কানপুর ও এলাহাবাদের মতো শহরগুলি গঙ্গাদূষণের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী । উল্লিখিত শহরগুলিতে পরিকল্পনা অনুযায়ী নিকাশি ব্যবস্থা চালু ও জনসচেতনতা বাড়ানো সম্ভব হলে গঙ্গাদূষণ কমবে বলে আশা করা হচ্ছে । 

 প্রসঙ্গত , বড়ো বড়ো শহরের গৃহস্থালির নোংরা – আবর্জনা , কারখানার বর্জ্য পদার্থ ইত্যাদি গঙ্গাজলকে ক্রমাগত দূষিত করছে । এছাড়া গঙ্গাজলের অপব্যবহারও ব্যাপকহারে চলছে । সবমিলিয়ে গঙ্গানদী বর্তমানে ভারতের সবচেয়ে দূষিত নদী । 

৩. জল সংরক্ষণের গুরুত্ব ও পদ্ধতি গুলি আলোচনা করো। 

জল সংরক্ষণের গুরুত্ব ও পদ্ধতি : 

গুরুত্ব : 
1) পানীয় জলের চাহিদা বজায় রাখা । 
2) কৃষিজমিতে জলের চাহিদা পূরণ করা । 
3)  শিল্প ও বিভিন্ন বাণিজ্য ক্ষেত্রে জলের জোগান বজায় রাখা । 

পদ্ধতি : জলসম্পদের সংরক্ষণ অত্যন্ত জরুরি । 

নীচে জল সংরক্ষণের পদ্ধতিগুলি আলোচিত হলো :

জলের অপচয় না করা : 
রোজকার জীবনে নানা কাজে প্রয়োজন অনুযায়ী জলের ব্যবহার করা উচিত । অযথা জলের অপচয় না করলে যেকোনো স্থানে জল সংরক্ষণ করা যায় । 

জলসেচের সুষ্ঠু ব্যবহার : 
জল সংরক্ষণে বিন্দু বিন্দু পদ্ধতি ও স্প্রিংকেল পদ্ধতিতে জলসেচ করলে ৩০ শতাংশ জল বাঁচানো সম্ভব । 

বৃষ্টির জল ধরে রাখা : 
পাহাড় বা সমতলে চাহিদা অনুযায়ী জলাধার বা ভূগর্ভস্থ জলাধার নির্মাণ করে বৃষ্টির জল সংরক্ষণ ও প্রয়োজনে ব্যবহার করা যায় । 

ভূগর্ভস্থ জল সংরক্ষণ : 
বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া অধিক পরিমাণে ভূগর্ভস্থ জল পাম্প , কূপ বা নলকূপের সাহায্যে তুলে আনা উচিত নয় । এভাবে ভূগর্ভস্থ জলের অপব্যবহার কমানো বা সেই ব্যবহার হ্রাস করেও জল সংরক্ষণ করা যায় ৷


৪. ভারতে রাজ্য পুনর্গঠনের মূল ভিত্তি কী ছিল ।

উত্তরঃ-   ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দের ১ নভেম্বর রাজ্য পুনর্গঠন করা হয় প্রধানত 
( ১ ) ভাষা , 
( ২ ) সংস্কৃতি , 
( ৩ ) প্রশাসনিক দক্ষতাবৃদ্ধি 
( ৪ ) অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও 
( ৫ ) প্রাকৃতিক ও ভৌগোলিক সাদৃশ্য – এর ওপর ভিত্তি করে । 

( ১ ) ভাষা : 
বহু ভাষাভাষী মানুষের দেশ ভারতবর্ষের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বসবাসকারী বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের স্বার্থ রক্ষার কথা ভেবে , ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে মূলত ভাষার ভিত্তিতে ভারতের রাজ্যগুলোর পুনর্গঠন করা হয় । ভারতের কোনো বিস্তীর্ণ অঞ্চলের অধিকাংশ মানুষ যে যে ভাষায় কথা বলেন , সেই সেই অঞ্চলগুলিকে রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া হয় । যেমন – ওড়িয়া ভাষাপ্রধান অঞ্চলকে ওড়িশা , বাংলা ভাষাপ্রধান অঞ্চলকে পশ্চিমবঙ্গ কিংবা অসমীয়া ভাষাপ্রধান অঞ্চলকে অসম রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া হয় । এই হিসেবে তেলুগু , পাঞ্জাবি , তামিল , কাশ্মীরি ভাষাপ্রধান অঞ্চলগুলি হল যথাক্রমে অন্ধ্রপ্রদেশ , পাঞ্জাব , তামিলনাড়ু , জম্মু – কাশ্মীর প্রভৃতি । 

( ২ ) সংস্কৃতি : 
এক – একটি বিশাল অঞ্চলের অধিবাসীদের ভাষা এক হলেও তাদের সামাজিক রীতিনীতি ও আচার অনুষ্ঠান , চিন্তাভাবনা , অনুশাসন , সংস্কার এবং আঞ্চলিক সংস্কৃতির পার্থক্য থাকায় প্রশাসনিক সুবিধার জন্য কোনো কোনো সময় বড়ো রাজ্য ভেঙে ছোটো রাজ্য করার প্রয়োজন অনুভূত হয় । ভাষা এক ( হিন্দি ) হলেও 
যেমন - 

( ক ) ঝাড়খণ্ড অঞ্চলের অধিবাসীদের সঙ্গে উত্তর বিহারের অধিবাসীদের চিন্তাভাবনা এক না – হওয়ায় বিহার রাজ্যকে ভেঙে ২ টি পৃথক রাজ্যে ( যেমন- বিহার ও ঝাড়খণ্ড ) পরিণত করা হয়েছে । 

( খ ) উত্তরপ্রদেশের পাহাড়ি অঞ্চল উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে এই রাজ্যে সমভূমিতে বসবাসকারী বাসিন্দাদের চিন্তাভাবনা , সংস্কার ও অনুশাসনের পার্থক্য থাকায় বর্তমানে উত্তরপ্রদেশ রাজ্যকে ভেঙে উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাঞ্চল , এই দুটি পৃথক রাজ্যে পরিণত করা হয়েছে । 

( ৩ ) প্রশাসনিক দক্ষতা বৃদ্ধি : ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে মূলত ভাষার ভিত্তিতে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যগুলোর পুনর্গঠন করা হলেও পরবর্তীকালে সবসময় এই নীতি অনুসরণ করা যায়নি যেমন— 

( ক ) প্রধান ভাষা হিন্দি হলেও উত্তরপ্রদেশ , বিহার , ঝাড়খণ্ড , মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়কে পাঁচটি পৃথক রাজ্যে পরিণত করা হয়েছে , কারণ— একটি রাজ্যের মর্যাদা পেলে হিন্দিভাষী ওই বিশাল রাজ্যের শাসনকার্য পরিচালনা করতে বিভিন্ন ব্যাপারেই অনেক প্রশাসনিক অসুবিধা এবং জটিলতার সৃষ্টি হত । এই জন্যই ওই হিন্দিভাষী বিশাল অঞ্চলকে পাঁচটি পৃথক রাজ্যে পরিণত করা হয় । 

( খ ) পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরা রাজ্যে অধিবাসীদের প্রধান ভাষা বাংলা এবং এদের মিলিত আয়তন ভারতের অনেক একক রাজ্যের তুলনায় কম হলেও পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরা রাজ্যের অবস্থান সম্পূর্ণ আলাদা ভৌগোলিক অঞ্চলে এবং এদের মাঝে রয়েছে অন্য একটি স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশ । কাজেই ভাষা এক হলেও প্রধানত ভৌগোলিক বাধার জন্য একটি রাজ্য হিসেবে প্রশাসনিক কাজকর্ম চালানো অসম্ভব হত , তাই পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরা দুটি পৃথক রাজ্যের মর্যাদা পেয়েছে । 

( ৪ ) অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা : ভারতের বিভিন্ন অংশে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সমানভাবে ঘটাতে এবং উন্নয়নের পরিকল্পনা যথাযথ ভাবে গ্রহণ করতে রাজ্যগুলিকে পুনরায় ভাগ করা হয়েছে । এই কারণে উত্তরপ্রদেশ রাজ্য ভেঙে উত্তরাখণ্ড রাজ্যের সৃষ্টি হয়েছে । 

( ৫ ) প্রাকৃতিক ভৌগোলিক সাদৃশ্য : কোনো অঞ্চলের প্রাকৃতিক ভৌগোলিক সাদৃশ্যের বিভিন্নতা থাকলে অনেক ক্ষেত্রে তা আঞ্চলিক সংস্কৃতির পার্থক্যের ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করে এবং প্রশাসনিক জটিলতার সৃষ্টি হয় । এই জন্য ভারতের রাজ্য পুনর্গঠনের সময় প্রাকৃতিক ভৌগোলিক সাদৃশ্যের ওপরও লক্ষ রাখা হয়েছে । 

SAARC : SAARC শব্দের পুরো নাম হল- South Asian Association of Regional Co – operation | বাংলায় যাকে বলে ‘ দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক সহযোগীতা পরিষদ । ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দে দক্ষিণ এশিয়ার ভারত , পাকিস্তান , নেপাল , ভুটান , বাংলাদেশ , শ্রীলঙ্কা , মালদ্বীপ এবং আফগানিস্তান এই ৮ টি দেশ একত্রিত হয়ে এই সংস্থা গঠিত হয় । এর সদর শহর নেপালের কাঠমাণ্ডুতে অবস্থিত । এই সংস্থা স্থাপনের উদ্দেশ্য হল সদস্য দেশগুলির মধ্যে অর্থনৈতিক , বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি ।


৫. প্রস্থ বরাবর হিমালয়ের ভূপ্রকৃতির সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও । 
উত্তরঃ-   উচ্চতা অনুসারে হিমালয় পর্বতকে উত্তর থেকে দক্ষিণে অর্থাৎ প্রস্থ বরাবর ভাগে ভাগ করা যায় । যথা – 

টেথিস বা ট্রান্স হিমালয় : আজ থেকে প্রায় 7-12 কোটি বছর পূর্বে প্রবল ভূআলোড়নের ফলে উপদ্বীপীয় ও ইউরোপীয় পাত পরস্পরের দিকে অগ্রসর হওয়ার মহিখাতে সঞ্চিত হওয়া পলি ভাজ খেয়ে এই হিমালয়ের উৎপত্তি হয়েছে । ভারতে এর দৈর্ঘ্য 1000 কিমি , প্রস্থ 40 225 কিমি এবং উচ্চতা 3000 00 মিটার । জাস্কর পর্বতশ্রেণি এই অংশ দিয়ে বিস্তৃত হয়েছে । এর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ হলো লিওপারগেল ( 7420 মি . ) । 

হিমাদ্রি বা হিমগিরি বা উচ্চ হিমালয় : আজ থেকে বহু কোটি বছর পূর্বে টেথিস সাগরে সঞ্চিত পলি ভাজ খেয়ে উপরে উঠে বর্তমানে হিমাদ্রি হিমালয় রূপে অবস্থান করছে । এর দৈর্ঘ্য 2400 কিমি , প্রস্থ গড়ে প্রায় 25 কিমি এবং উচ্চতা গড়ে প্রায় 6100 মিটার এখানকার উল্লেখযোগ্য পর্বতশৃঙ্গগুলি হলো মাউন্ট এভারেস্ট , কাঞ্চনজঙ্ঘা ইত্যাদি । এখানকার উল্লেখযোগ্য গিরিপথগুলি হলো নাথুলা , জোজিলা , বুর্জিলা ইত্যাদি । 

হিমাচল হিমালয় বা মধ্য হিমালয় : লাডাকের দক্ষিণে অবস্থিত উত্তরে হিমাদ্রি ও দক্ষিণে শিবালিক পর্বতের মধ্যবর্তী অংশগুলোকে বলা হয় হিমাচল হিমালয় । এর প্রস্থ গড়ে 60-80 কিমি , উচ্চতা গড়ে 3500-4500 মি .। এর প্রধান পর্বতগুলি হলো পিরপাঞ্জাল , ধওলাধর , নাগটিক্কা এবং কয়েকটি প্রধান উপত্যকা হলো কুলু , কাংড়া , কাশ্মীর প্রভৃতি । 

শিবালিক হিমালয় : ভূআন্দোলন ও টেথিস সাগরের পলি ভাজ খেয়ে হিমালয় পর্বতমালার দক্ষিণে শিবালিক হিমালয়ের সৃষ্টি হয়েছে । এর প্রস্থ 10-15 কিমি এবং এর গড় উচ্চতা 600-1200 মিটার । শিবালিক ও হিমাচল হিমালয়ের মাঝে অবস্থিত উপত্যকাগুলিকে স্থানীয় ভাষায় দুন বলা হয় । যেমন— দেরাদুন , পাটলি দুন ইত্যাদি । 

৬. দৈর্ঘ্য বরাবর হিমালয়ের ভূপ্রকৃতির সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও ।

উত্তরঃ-   হিমালয় পর্বতমালাকে পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায় । যথা → 

পশ্চিম হিমালয় : জম্মু ও কাশ্মীরের নাঙ্গা পর্বত থেকে নেপাল সীমান্তের কালী নদী পর্যন্ত এই পর্বত বিস্তৃত । পশ্চিম হিমালয়কে তিন ভাগে ভাগ করা যায় । যথা— 

কাশ্মীর হিমালয় : জম্মু ও কাশ্মীর জুড়ে এই হিমালয় বিস্তৃত । পিরপাঞ্ছাল ও কারাকোরাম পর্বতের মাঝে কাশ্মীর উপত্যকা অবস্থিত । 
পাঞ্জাব ও হিমাচল হিমালয় : পাঞ্জাব ও হিমাচল প্রদেশের প্রায় 56 . হাজার বর্গ কিমি স্থান জুড়ে এই হিমালয়ের বিস্তার । 
কুমায়ুন হিমালয় : উত্তরাখণ্ড রাজ্যের প্রায় 46 হাজার বর্গ কিমি এলাকা জুড়ে এই হিমালয়ের বিস্তার । এখানকার উল্লেখযোগ্য পর্বতশৃঙ্গ হলো নন্দাদেবী ( 7817 মি . ) , কামেট ( 7756 মি . ) ইত্যাদি । 
মধ্য হিমালয় : মধ্য হিমালয় সমগ্র নেপাল দেশটির অন্তর্ভুক্ত । মাউন্ট এভারেস্ট ( 8848 মি . ) , মাকালু , ধবলগিরি , অন্নপূর্ণা প্রভৃতি শৃঙ্গ এখানে অবস্থিত । সুতরাং এই হিমালয় ভারতের অন্তর্ভুক্ত নয় । 

পূর্ব হিমালয় : এই পর্বতশ্রেণি পশ্চিমে সিঙ্গালিলা থেকে অরুণাচল প্রদেশের নামচাবারোয়া পর্যন্ত বিস্তৃত । ভূপ্রকৃতির তারতম্য অনুযায়ী একে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায় । যথা — 

দার্জিলিং ও সিকিম হিমালয় : নেপালের পূর্বে সিঙ্গালিলা থেকে পশ্চিমে ভঙ্গকিয়াল পর্যন্ত বিস্তৃত । পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং কালিমপং জেলা ও সিকিম রাজ্য এই হিমালয়ের অন্তর্গত । এখানকার উল্লেখযোগ্য শৃঙ্গগুলি হলো কাঞ্চনজঙ্ঘা ( 8598 মি . ) , সান্দাকফু ( 3630 মি . ) ইত্যাদি । অরুণাচল ভুটান হিমালয় : বহির্দেশে অবস্থান করায় আলোচ্য বিষয় নয় । অসমের অধিকাংশ অঞ্চল ও সমগ্র অরুণাচল প্রদেশ নিয়ে এই হিমালয় অবস্থিত । এখানকার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ হলো নামচাবারওয়া ( 7756 মি . ) । এখানে বেশ কয়েকটি গিরিপথ লক্ষ করা যায় । যথা— জেলেপলা , বুমলা , প্রভৃতি । 


৭. ভারতের স্বাভাবিক উদ্ভিদের শ্রেণিবিভাগ করে তাদের বৈশিষ্ট্যের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও । 

উত্তরঃ-   ভারতের বিভিন্ন অংশের জলবায়ু ভূপ্রকৃতি ও মৃত্তিকার তারতম্যের ভিত্তিতে স্বাভাবিক উদ্ভিদকে পাঁচ ভাগে ভাগ করা হয় । যথা— 

ক্রান্তীয় চিরহরিং উদ্ভিদ : ভারতের আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ , পশ্চিমঘাট ও পূর্বঘাট পর্বতমালা , অরুণাচল প্রদেশ , মিজোরাম , নাগাল্যান্ড , ত্রিপুরা , পশ্চিমবঙ্গ , বিহার ও ঝাড়খণ্ডের বৃহৎ অঞ্চল জুড়ে এই অরণ্য গড়ে উঠেছে । 

বৈশিষ্ট্য : 1) এই অরণ্যের বৃক্ষগুলির পাতা একসঙ্গে না ঝরায় চিরসবুজ প্রকৃতির হয় । 2) গাছগুলির উচ্চতা খুব বেশি , কাণ্ডগুলি শক্ত প্রকৃতির । 3) শাল , সেগুন , পলাশ , অর্জুন , চন্দন , বাঁশ প্রভৃতি উদ্ভিদ জন্মায় । 

ক্রান্তীয় পর্ণমোচী উদ্ভিদ : বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত 100-200 সেমি এবং 20-30 সে . যুক্ত অঞ্চলে এই অরণ্যের সৃষ্টি হয়েছে । অসমের সমভূমি , ছোটোনাগপুর মালভূমি , পশ্চিমবঙ্গের সমভূমি ওড়িশা , অন্ধ্রপ্রদেশ , কর্নাটক , মহারাষ্ট্র প্রভৃতি অঞ্চলে ক্রান্তীয় আর্দ্র ও শুষ্ক পর্ণমোচী অরণ্য লক্ষ করা যায় । 

বৈশিষ্ট্য : 
1) শীতকালে অধিকাংশ উদ্ভিদের পাতা ঝরে যায় ও আর্দ্র পর্ণমোচী বৃক্ষগুলি শাখাপ্রশাখাযুক্ত , উচ্চতা মাঝারি ধরনের , উদ্ভিদের ঘনত্বও কম ও শিমুল , বট , নিম , পলাশ , কুল ইত্যাদি । 

ক্রান্তীয় মরু উদ্ভিদ : প্রচণ্ড উয়তা যুক্ত যেখানে বার্ষিক বৃষ্টিপাত 25 সেমির কম , উয়তা 35 ° -45 ° সে . যুক্ত অঞ্চলে এই অরণ্যের সৃষ্টি হয়েছে । 

বৈশিষ্ট্য : 1) ক্রান্তীয় মরু উদ্ভিদগুলি কাঁটাযুক্ত ঝোপঝাড় ও গুল্ম জাতীয় হয় 
2) এই জাতীয় উদ্ভিদের মূল মাটির অনেক গভীরে প্রবেশ করে ও 
3) ফণীমনসা , ক্যাকটাস , খেজুর , বাবলা , কাঁটাজাতীয় উদ্ভিদ প্রভৃতি জন্মায় । 

পার্বত্য উদ্ভিদ : সাধারণত ভারতের উত্তরে অবস্থিত হিমালয় পর্বতমালায় উচ্চতা ও বৃষ্টিপাতের তারতম্যে বৈচিত্র্যপূর্ণ উদ্ভিদ জন্মায় । 

বৈশিষ্ট্য : 
1) এই জাতীয় উদ্ভিদের কাঠ খুব শক্ত ও ভারী 
2) সরলবর্গীয় উদ্ভিদের কাঠ নরম প্রকৃতির এবং পাতাগুলি সূচালো প্রকৃতির হয় । 
3) পাইন , ফার , স্পুস , ম্যাপল , বার্চ , শাল , সেগুন , মেহগনি ইত্যাদি । 

ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ : ভারতের সমুদ্র উপকূলভাগে লবণাক্ত মৃত্তিকায় এই জাতীয় উদ্ভিদ জন্মায় । পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অরণ্য ) । এ জাতীয় উদ্ভিদ দেখা যায় । 

বৈশিষ্ট্য : 
1) এই জাতীয় উদ্ভিদ চির হরিৎ প্রকৃতির 
2) এই জাতীয় উদ্ভিদের শাখামূল মাটির উপরে বেরিয়ে আসে । 
3) সুন্দরি গরান , গেওয়া , হেতাল , হোগলা , গোলপাতা ইত্যাদি । 


ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ ভারত : ভারত : অবস্থান, প্রসনিক বিভাগ, ভারতের ভূ প্রাকৃতিক বিভাগ্‌ ভারতের জলবায়ু , ভারতের জলসম্পদ , ভারতের মৃত্তিক্‌ ভারতের স্বাভাবিক উদ্ভিদ , (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) - মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion


রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর - মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন | Madhyamik Geography Suggestion


  1. ভারতের স্বাভাবিক উদ্ভিদের শ্রেণিবিভাগ করে বিবরণ দাও।
  2. ভারতের স্বাভাবিক উদ্ভিদের ওপর জলবায়ুর প্রভাব লেখো।
  3. বনভূমি ধ্বংসের কারণগুলি কী কী?
  4. মধ্য ভারতের উচ্চভূমির ভূপ্রকৃতির বিবরণ দাও।
  5. দাক্ষিণাত্য মালভূমির ভূপ্রকৃতির বিবরণ দাও।
  6. পূর্ব উপকূলীয় সমভূমি ও পশ্চিম উপকুলীয় সমভূমির মধ্যে পার্থক্য লেখো।
  7. উত্তর থেকে দক্ষিণে হিমালয় পর্বতমালার শ্রেণিবিভাগ করে তাদের বৈশিষ্ট্য লেখো।
  8. উত্তর ভারতের নদনদী ও দক্ষিণ ভারতের নদনদীর মধ্যে লেখো।
  9. ভারতের জলবায়ুর নিয়ন্ত্রকগুলি কী কী?
  10. ভারতের জলবায়ুর মুখ্য বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী?
  11. ভারতের জলবায়ুতে মৌসুমি বায়ুর প্রভাব লেখো।
  12. পশ্চিম হিমালয়ের ভূপ্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করো।
  13. উত্তর-পূর্বের পার্বত্য অঞ্চলের মালভূমির ভূপ্রকতির বিবরণ দাও।
  14. উত্তর ভারতের বিশাল সমভূমির বিবরণ দাও।
  15. ভারতের কৃষিতে মৌসুমি বৃষ্টিপাতের প্রভাব আলোচনা করো।
  16. ভারতের কৃষিকাজের ওপর মৃত্তিকার প্রভাব লেখো।
  17. ভারতে মৃত্তিকা ক্ষয় প্রতিরোধের জন্য ও মৃত্তিকা সংরক্ষণের জন্য কোন্ কোন্ ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব?
  18. ভারতে অরণ্য সংরক্ষণের উপায়গুলি আলোচনা করো।
  19. ভারতে মৃত্তিকা ক্ষয়ের কারণগুলি আলোচনা করো।
  20. দামোদর উপত্যকা পরিকল্পনার বিবরণ দাও।
  21. জলসম্পদ সংরক্ষণের উপায়গুলি লেখো।
  22. ভারতে মৃত্তিকা ক্ষয়ের ফলাফলগুলি আলোচনা করো।
  23. গঙ্গানদীর গতিপথ বর্ণনা করো।
  24. দক্ষিণ ভারতের পূর্ববাহিনী নদীগলির গতিপথ বর্ণনা করে।

দশম শ্রেণীর ভূগোল All Chapters | মাধ্যমিক ভূগোল সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর । Class 10 Geography All Chapter | Class Ten Geography All Chapter 

প্রাকৃতিক ভূগোল 
  1. মাধ্যমিক ভূগোল - বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ (প্রথম অধ্যায়) Click Here 
  2. মাধ্যমিক ভূগোল - বায়ুমণ্ডল (দ্বিতীয় অধ্যায়) Click Here
  3. মাধ্যমিক ভূগোল - বারিমন্ডল (তৃতীয় অধ্যায়) Click Here
  4. মাধ্যমিক ভূগোল - বর্জ্য ব্যবস্থাপনা (চতুর্থ অধ্যায়)  Click Here
[5] ভারতের ভূগোল ও অর্থনৈতিক ভূগোল
  • মাধ্যমিক ভূগোল - ভারত : ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ  /  ভারতের প্রাকৃতিক পরিবেশ Click Here
  • মাধ্যমিক ভূগোল - ভারত : ভারতের অর্থনৈতিক বিভাগ / ভারতের অর্থনৈতিক পরিবেশ Click Here
6.    মাধ্যমিক ভূগোল - উপগ্রহ ও ভূ – বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র (ষষ্ঠ অধ্যায়) Click Here

*** মাধ্যমিক ভূগোল - মানচিত্র ভূগোল – মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন 2025/2026/2027/2028/2029/2030  Click Here


Related searches
দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন উত্তর / ক্লাস 10 ভূগোল অধ্যায় 1 প্রশ্ন এবং উত্তর / দশম শ্রেণীর প্রশ্ন উত্তর ভূগোল / দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন উত্তর তৃতীয় অধ্যায় / দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন উত্তর চতুর্থ অধ্যায় / দশম শ্রেণীর ভূগোল পঞ্চম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর / দশম শ্রেণীর ভূগোল দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর / দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন উত্তর ভারত : ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ / Bharot Bharoter Prakritik Poribes / দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন উত্তর 2023, 2024, 2025, 2026, 2027, 2028, 2029, 2030, 2031, 2032, 2033, 2034, 2035, 2036, 2037, 2038, 2039, 2040 /  দশম শ্রেণীর ভূগোল দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর / দশম শ্রেণীর প্রশ্ন উত্তর ভূগোল / দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন উত্তর দশম অধ্যায় / দশম শ্রেণীর ভূগোল বই pdf / দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন উত্তর তৃতীয় অধ্যায় / দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন উত্তর পঞ্চম অধ্যায় / দশম শ্রেণীর ভূগোল বই

Some Information about this article  : 

WBBSE Class 10th Geography Question and Answer  | West Bengal West Bengal Class Ten (Madhyamik) X (Class 10th) Geography Qustions and Answers with Suggestion 
দশম শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন প্রশ্ন ও উত্তর   

” দশম শ্রেণীর  ভূগোল – প্রশ্ন উত্তর  “ সমস্ত অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর দশম শ্রেণীর পরীক্ষা (West Bengal Class Ten (Madhyamik) X  / WB Class 10  / WBBSE / Class 10  Exam / West Bengal Board of Secondary Education – WB Class 10 Exam / Class 10 Class 10th / WB Class X / Class 10 Pariksha  ) এখান থেকে প্রশ্ন অবশ্যম্ভাবী । সে কথা মাথায় রেখে geographybd.in এর পক্ষ থেকে দশম শ্রেণীর ভূগোল পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং প্রশ্ন ও উত্তর (Class 10 Geography Suggestion / Class 10 Geography Question and Answer / Class X Geography Suggestion / Class 10 Pariksha Geography Suggestion  / Geography Class 10 Exam Guide  / Class 10th Geography MCQ , Short , Descriptive  Type Question and Answer  / Class 10 Geography Suggestion  FREE PDF Download) উপস্থাপনের প্রচেষ্টা করা হলাে। ছাত্রছাত্রী, পরীক্ষার্থীদের উপকারেলাগলে, আমাদের প্রয়াস দশম শ্রেণীর ভূগোল পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং প্রশ্ন ও উত্তর (Class 10 Geography Suggestion / West Bengal Six X Question and Answer, Suggestion / WBBSE Class 10th Geography Suggestion  / Class 10 Geography Question and Answer  / Class X Geography Suggestion  / Class 10 Pariksha Suggestion  / Class 10 Geography Exam Guide  / Class 10 Geography Suggestion 2021 , 2022, 2023, 2024, 2025, 2026, 2027, 2028, 2029, 2030, 2021, 2020, 2019, 2017, 2016, 2015, 2031, 2032, 2033, 2034, 2035, 2036, 2037, 2038, 2039, 2040 /  Class 10 Geography Suggestion  MCQ , Short , Descriptive  Type Question and Answer. / Class 10 Geography Suggestion  FREE PDF Download) সফল হবে।

দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর 

দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Class 10 Geography Question and Answer Suggestion  দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর।

দশম শ্রেণীর ভূগোল MCQ প্রশ্ন ও উত্তর

দশম শ্রেণীর ভূগোল MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | Class 10 Geography MCQ or Multiple Choice Question and Answer |  দশম শ্রেণীর ভূগোল MCQ প্রশ্ন উত্তর। (MINOR HEADING)


দশম শ্রেণীর ভূগোল SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | দশম শ্রেণীর ভূগোল

দশম শ্রেণীর ভূগোল SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | Class 10 Geography Short Question and Answer |  দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর  – SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর।

দশম শ্রেণীর ভূগোল DTQ বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | ষষ্ঠ শ্রেণী ভূগোল

দশম শ্রেণীর ভূগোল – DTQ বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর | Class 10 Geography Suggestion  দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর  – DTQ বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর।

পশ্চিমবঙ্গ দশম শ্রেণীর ভূগোল  – প্রশ্ন উত্তর | West Bengal Class 10th Geography 

দশম শ্রেণীর ভূগোল (Class 10 Geography) – – প্রশ্ন ও উত্তর | | Class 10 Geography Suggestion  দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর  – প্রশ্ন উত্তর ।

দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর  | ষষ্ঠ শ্রেণি ভূগোল | WB Class 10 Geography Question and Answer, Suggestion

দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – | দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – | পশ্চিমবঙ্গ দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – | দশম শ্রেণীর ভূগোল সহায়ক প্রশ্ন ও উত্তর । WB Class 10 Geography Question and Answer, Suggestion | WBBSE Class 10th Geography Suggestion  | WB Class 10 Geography Question and Answer Notes  | West Bengal WB Class 10th Geography Question and Answer Suggestion. 

দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | WBBSE Class 10 Geography Question and Answer, Suggestion 

দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Class 10 Geography Suggestion. দশম শ্রেণীর ভূগোল সহায়ক প্রশ্ন ও উত্তর । Class 10 Geography Question and Answer, Suggestion.

Class 10 Geography Question and Answer Suggestions  | দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | ষষ্ঠ শ্রেণি ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর 

Class 10 Geography Question and Answer  দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর  Class 10 Geography Question and Answer দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – MCQ, সংক্ষিপ্ত, রোচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর  । 

WBBSE Class 10th Geography Suggestion  | দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর 

WBBSE Class 10th Geography Suggestion দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর । WBBSE Class 10th Geography Suggestion  দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর।

West Bengal Class 10  Geography Suggestion  Download. WBBSE Class 10th Geography short question suggestion  . Class 10 Geography Suggestion   download. Class 10th Question Paper  Geography. WB Class 10  Geography suggestion and important question and answer. Class 10 Suggestion pdf.

পশ্চিমবঙ্গ দশম শ্রেণীর  ভূগোল পরীক্ষার সম্ভাব্য সাজেশন ও শেষ মুহূর্তের প্রশ্ন ও উত্তর ডাউনলোড। দশম শ্রেণীর ভূগোল পরীক্ষার জন্য সমস্ত রকম গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর।

Get the WBBSE Class 10th Geography Question and Answer by geographybd.in

WBBSE Class 10th Geography Question and Answer prepared by expert subject teachers. WB Class 10  Geography Suggestion with 100% Common in the Examination .

Class 10th Geography Syllabus

West Bengal Board of Secondary Education (WBBSE) Class 10th Geography Syllabus with all the important chapters and marks distribution. Download the Class 10th Geography Syllabus and Question Paper. Questions on the Geography exam will come from these chapters. All the chapters are equally important, so read them carefully.

WB Class 10th Geography Syllabus Free Download Link Click Here 

Class 10th Ten / Secondary / Madhyamik  X Geography Suggestion | West Bengal WBBSE Class 10 Exam 
Class 10 Geography Question and Answer, Suggestion Download PDF: WBBSE Class 10th Ten / Secondary / Madhyamik  X Geography Suggestion  is proXded here. West Bengal Class 10th Geography Suggestion Questions Answers PDF Download Link in Free has been given below. 


দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | WBBSE Class 10th Geography

আশাকরি তোমাদের দশম ক্লাসের ভারত : ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ  /  ভারতের প্রাকৃতিক পরিবেশ অধ্যায় থেকে সকল প্রশ্ন ও উত্তর কমপ্লিট হয়েছে। আমরা আমাদের সর্বাঙ্গীণ প্রচেষ্টা করেছি তোমাদের এই দশম শ্রেণীর ভারত : ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ  /  ভারতের প্রাকৃতিক পরিবেশ অধ্যায় থেকে সব প্রশ্ন উত্তর দেওয়ার জন্য, এখন কাজ হল তোমাদের বাড়িতে পড়ার । পড়তে থাকো , প্র্যাকটিস করতে থাকো, প্র্যাকটিস মানুষকে উত্তম করে তোলে। যত পড়বে তত শিখবে, ততই জ্ঞানী হবে। 

তোমাদের দশম ক্লাসের  ভারত : ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ  /  ভারতের প্রাকৃতিক পরিবেশ অধ্যায়ের প্রাকটিসের জন্য আমাদের কুইজে অংশগ্রহণ করতে পারো, সম্পূর্ণ ফ্রিতে, নিচে লিঙ্ক দেওয়া আছে কুইজে অংশ নিতে পারো।

ক্লাস দশম এর অন্যান্য অধ্যায় গুলি সম্পর্কে আরও পড়তে চাইলে নিচে অধ্যায় অনুযায়ী লিঙ্ক দেওয়া আছে, লিঙ্কে ক্লিক করে ক্লাস দশম এর অন্য অধ্যায় গুলি পড়ে নাও। আমাদের পরিসেবা তোমাদের ভালো লাগলে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি ফলো করতে পারো।

Post a Comment

0 Comments

Top Post Ad

Below Post Ad