Type Here to Get Search Results !

অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল – চতুর্থ অধ্যায় "বায়ুচাপ বলয় ও বায়ুপ্রবাহ" প্রশ্ন ও উত্তর | WBBSE Class 8th Geography Question and Answer Chapter 4

অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল – বায়ুচাপ বলয় ও বায়ুপ্রবাহ (চতুর্থ অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | WBBSE Class 8th Geography Question and Answer

West Bengal  Class 8 Geography Solution Chapter 4
West Bengal  Board Class 8 Geography (ভূগোল) Textbook Solution Chapter 4 বায়ুচাপ বলয় ও বায়ুপ্রবাহ Question Answers by WBBSE Expert Teacher. West Bengal Board Class 8 Geography Solution Chapter 4.

500+ অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর / বায়ুচাপ বলয় ও বায়ুপ্রবাহ / Bayu chap boloy o bayu probaho (চতুর্থ অধ্যায়) MCQ, সংক্ষিপ্ত, অতি সংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর | অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – West Bengal Class 8th Geography Question and Answer

হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছো তোমরা ? আশাকরি তোমরা খুব ভালো আছো । আজকে আমরা আলোচনা করবো তোমাদের অষ্টম ক্লাসের চতুর্থ অধ্যায় বায়ুচাপ বলয় ও বায়ুপ্রবাহ সম্পর্কে । এই চতুর্থ অধ্যায়টি তোমাদের পরীক্ষার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ তাই চতুর্থ অধ্যায় এর বায়ুচাপ বলয় ও বায়ুপ্রবাহ বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আমরা এই লিখাটির মাধ্যমে অষ্টম শ্রেণীর  চতুর্থ অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর, এই বায়ুচাপ বলয় ও বায়ুপ্রবাহ অধ্যায়ের সাজেশন , কিকরে এই অধ্যায় থেকে উত্তর লিখতে হয়। অষ্টম শ্রেণীর বায়ুচাপ বলয় ও বায়ুপ্রবাহ অধ্যায় থেকে কিভাবে পড়বে সবকিছুই আলোচনা করবো। 

অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | WBBSE Class 8th Geography Question and Answer / অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল – বায়ুচাপ বলয় ও বায়ুপ্রবাহ / Bayu chap boloy o bayu probaho (চতুর্থ অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Class 8 Geography / অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল – চতুর্থ অধ্যায় "বায়ুচাপ বলয় ও বায়ুপ্রবাহ / Bayu chap boloy o bayu probaho" প্রশ্ন ও উত্তর |

 WBBSE Class 8th Geography Question and Answer / অষ্টম শ্রেণির ভূগোল (চতুর্থ অধ্যায়) বায়ুচাপ বলয় ও বায়ুপ্রবাহ / Bayu chap boloy o bayu probaho প্রশ্ন উত্তর (MCQ, SAQ, LAQ)/Class 8 geography Fourtht chapter questions and Answers (MCQ, SAQ, LAQ) / অষ্টম শ্রেণির আমাদের পৃথিবী চতুর্থ অধ্যায় বায়ুচাপ বলয় ও বায়ুপ্রবাহ / Bayu chap boloy o bayu probaho | Class Eight Amader Prithibi / অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল – বায়ুচাপ বলয় ও বায়ুপ্রবাহ / Bayu chap boloy o bayu probaho (চতুর্থ অধ্যায়)

বায়ুচাপ বলয় ও বায়ুপ্রবাহ / Bayu chap boloy o bayu probaho (চতুর্থ অধ্যায়) MCQ, সংক্ষিপ্ত, অতি সংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর | অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – West Bengal Class 8th Geography Question and Answer 
অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল – চতুর্থ অধ্যায় "বায়ুচাপ বলয় ও বায়ুপ্রবাহ" প্রশ্ন ও উত্তর | WBBSE Class 8th Geography Question and Answer Chapter 4

অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল সকল অধ্যায় পড়ার জন্য নিচের লিংকে ক্লিক করো ( Class 8 Geography All Chapters' Questions and Answers Here WBBSE)

  1. অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল – পৃথিবীর অন্দরমহল (প্রথম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর Click Here
  2. অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল – অস্থিত পৃথিবী (দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর Click Here
  3. অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল – শিলা (তৃতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর Click Here
  4. অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল – বায়ুচাপ বলয় ও বায়ুপ্রবাহ (চতুর্থ অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর Click Here
  5. অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল – মেঘ বৃষ্টি (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর Click Here
  6. অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল – জলবায়ু অঞ্চল (ষষ্ঠ অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর Click Here
  7. অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল – মানুষের কার্যাবলি ও পরিবেশের অবনমন (সপ্তম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর Click Here
  8. অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল – ভারতের প্রতিবেশী দেশসমূহ ও তাদের সঙ্গে সম্পর্ক (অষ্টম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর Click Here
  9. অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল – উত্তর আমেরিকা (নবম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর Click Here
  10. অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল – দক্ষিণ আমেরিকা (দশম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর Click Here
  11. অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল – ওশিয়ানিয়া (একাদশ অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর Click Here

অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল – বায়ুচাপ বলয় ও বায়ুপ্রবাহ / Bayu chap boloy o bayu probaho (চতুর্থ অধ্যায়) সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো । WBBSE Class 8th Geography 4th Chapter MCQ Questions and Answers

সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো | MCQ Questions and Answers (Class Eight geography Fourtht chapter)

সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো ; প্রতিটি প্রশ্নের মান -১

১. পৃথিবীর সমস্ত প্রাকৃতিক চালিকা শক্তি হল –
(A) চন্দ্র 
(B) সূর্য 
(C) শুক্র 
(D) মঙ্গল
উত্তরঃ-  (B) সূর্য।

২. ‘অশ্ব অক্ষাংশ’ নামে পরিচিত –
(A) 25°-35° 
(B) 35°-45 
(C) 45°-55° উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষাংশ 
উত্তরঃ-  (A) 25°-35° উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষাংশ।

৩. ভূপৃষ্ঠের ওপর মোট বায়ুচাপ বলয় আছে –
(A) 3টি 
(B) 5টি 
(C) 7টি 
(D) 9টি
উত্তরঃ-  (C) 7টি।

৪. আয়ন বায়ু অপর নাম কি?
(A) পশ্চিমা বায়ু 
(B) বাণিজ্য বায়ু 
(C) শীতল বায়ু 
(D) কোনোটিই নয় 
উত্তরঃ-  (B) বাণিজ্য বায়ু।

৫. কর্কটীয় উচ্চচাপ বলয় থেকে নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয়ের দিকে প্রবাহিত নিয়ত বায়ু হল –
(A) দক্ষিণ-পূর্ব আয়ন বায়ু
(B) উত্তরঃ- পূর্ব আয়ন বায়ু
(C) দক্ষিণ – পশ্চিম পশ্চিমা বায়ু
(D) উত্তরঃ- পশ্চিম পশ্চিমা বায়ু
উত্তরঃ-  (B) উত্তরঃ- পূর্ব আয়ন বায়ু।

৬. অ্যানাবেটিক বায়ু একটি –
(A) নিয়ত বায়ু 
(B) সাময়িক বায়ু 
(C) স্থানীয় বায়ু 
(D) আকস্মিক বায়ু 
উত্তরঃ-  (B) সাময়িক বায়ু।

৭. ‘ডোলড্রামস-এর’ অর্থ –
(A) উত্তাল সমুদ্র 
(B) শীতল বায়ু 
(C) শান্তাবস্থা 
(D) গেলুসাকের সূত্র 
উত্তরঃ-  (C) শান্তাবস্থা।

৮. আয়ন বায়ু প্রবাহিত হয় –
(A) 5°-25° উত্তর 
(B) 25°-50° উত্তর 
(C) 5°-25° উত্তর ও দক্ষিণ 
(D) 30°-60° উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষাংশের মধ্যে 
উত্তরঃ-  (C) 5°-25° উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষাংশের মধ্যে।

৯. আন্তঃক্রান্তীয় অভিসরণ অঞ্চলে যে দুটি নিয়ত বায়ু মিলিত হয় তা হল –
(A) দক্ষিণ-পশ্চিম পশ্চিমা বায়ু ও উত্তরঃ- পশ্চিম পশ্চিমা বায়ু
(B) উত্তরঃ- পূর্ব মেরু বায়ু ও দক্ষিণ -পূর্ব মেরু বায়ু
(C) উত্তরঃ- পূর্ব আয়ন বায়ু ও দক্ষিণ-পূর্ব আয়ন বায়ু
(D) উত্তরঃ- পূর্ব আয়ন বায়ু ও দক্ষিণ -পূর্ব মেরু বায়ু 
উত্তরঃ-  (C) উত্তরঃ- পূর্ব আয়ন বায়ু ও দক্ষিণ-পূর্ব আয়ন বায়ু।

১০. দক্ষিণ- পশ্চিম পশ্চিমা বায়ু ও উত্তরঃ-  পূর্ব আয়ন বায়ু প্রবাহিত হয় –
(A) সুমেরু উচ্চচাপ বলয় থেকে 
(B) মকরীয় উচ্চচাপ বলয় থেকে 
(C) কর্কটীয় উচ্চচাপ বলয় থেকে 
(D) কুমেরু উচ্চচাপ বলয় থেকে 
উত্তরঃ-  (C) কর্কটীয় উচ্চচাপ বলয় থেকে।


অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল – বায়ুচাপ বলয় ও বায়ুপ্রবাহ / Bayu chap boloy o bayu probaho (চতুর্থ অধ্যায়) সত্য মিথ্যা যাচাই করো । WBBSE Class 8th Geography 4th Chapter True & False Questions and Answers 

সত্য মিথ্যা যাচাই করো | True & False Questions and Answers (Class Eight geography Fourtht chapter) 

শূন্যস্থান পূরন করো ; প্রতিটি প্রশ্নের মান -১

১. ‘ডোলড্রামস-এর’ অর্থ ______________। 
উত্তরঃ-  শান্তাবস্থা।

২. আয়ন বায়ুর আরেক নাম ______________বায়ু । 
উত্তরঃ-  বানিজ্য বায়ু 

৩. বোরো ______________ প্রকৃতির বায়ু। 
উত্তরঃ-  শুষ্ক ও শীতল ধরনের বায়ু হল বোরো । 

৪. আমাদের রাজ্যে গরম কালে বিকেলের দিকে ______________ ঝড় হয়। 
উত্তরঃ-  কালবৈশাখী ঝড় হয় । 

৫. ভারতে প্রবাহিত দুটি স্থানীয় বায়ুর  _______ও _______। 
উত্তরঃ-  লু ও আঁধি 


অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল – বায়ুচাপ বলয় ও বায়ুপ্রবাহ / Bayu chap boloy o bayu probaho (চতুর্থ অধ্যায়) শূন্যস্থান পূরণ করো । WBBSE Class 8th Geography 4th Chapter Fill in the blank Questions and Answers 

শূন্যস্থান পূরণ করো  | Fill in the blank Questions and Answers (Class Eight geography Fourtht chapter) 

সত্য / মিথ্যা নির্ণয় করো; প্রতিটি প্রশ্নের মান -১



অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল – বায়ুচাপ বলয় ও বায়ুপ্রবাহ / Bayu chap boloy o bayu probaho (চতুর্থ অধ্যায়) এক কথায় উত্তর দাও । WBBSE Class 8th Geography 4th Chapter SAQ Questions and Answers 

এক কথায় উত্তর দাও | SAQ Questions and Answers (Class Eight geography Fourtht chapter)

এক কথায় উত্তর দাও : প্রতিটি প্রশ্নের মান -১

১. আয়ন বায়ুর আরেক নাম কী?
উত্তরঃ-  বানিজ্য বায়ু 

২. কোন বায়ুর প্রভাবে মহাদেশ গুলির পশ্চিমদিকে মরুভূমির সৃষ্টি হয়েছে?
উত্তরঃ-  আয়ন বায়ুর প্রভাবে

৩. ITCZ কী ? 
উত্তরঃ-  উত্তর – পূর্ব ও দক্ষিণ – পূর্ব আয়নবায়ুর নিরক্ষীয় অঞ্চলে মিলিত হয় । একে ITCZ বলে । 

৪. ITCZ- এর অন্য নাম কী ?
উত্তরঃ-  ITCZ এর অন্য নাম নিরক্ষীয় শান্তবলয় ।

৫. নিয়ত বায়ু কাকে বলে ? 
উত্তরঃ-  সারাবছর ধরে ভূপৃষ্ঠের সমান্তরালে একই দিকে একই গতিবেগে প্রবাহিত বায়ু হল নিয়ত বায়ু । 

৬. চিনুক শব্দের অর্থ কী ? চিনুক কোথায় দেখা যায় ? 
উত্তরঃ-  চিনুক শব্দের অর্থ ‘ তুষার ভক্ষক ‘ । উত্তর আমেরিকার রকি পার্বত্য অঞ্চলে চিনুক দেখা যায় । 

৭. চিনুক বায়ুর প্রকৃতি কেমন ? 
উত্তরঃ-  চিনুক বায়ুর প্রকৃতি শুষ্ক ও উন্ন ।

৮. বোরো কেমন বায়ু ?
উত্তরঃ-  শুষ্ক ও শীতল ধরনের বায়ু হল বোরো । 

৯. কর্কটীয় ও মকরীয় অঞ্চলে কোন ধরনের বায়ুচাপ বলয় অবস্থান করে ? 
উত্তরঃ-  উচ্চচাপ বলয় অবস্থান করে । 

১০. পম্পেরো কী ?
উত্তরঃ-  পম্পেরো একধরনের স্থানীয় বায়ু । 

১১. পম্পেরো কোথায় দেখা যায় ? 
উত্তরঃ-  দক্ষিণ আমেরিকার দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিম অংশ থেকে পম্পেরো উৎপত্তি লাভ করে । 

১২. আমাদের রাজ্যে গরম কালে বিকেলের দিকে কোন্ ঝড় হয় ? 
উত্তরঃ-  কালবৈশাখী ঝড় হয় । 

১৩. নিরক্ষীয় অঞ্চলে কী ধরনের বায়ুচাপ বলয় সৃষ্টি হয়েছে ? 
উত্তরঃ-  নিম্নচাপ বলয় সৃষ্টি হয়েছে । 

১৪. বায়ুর গতিবেগ কোন্ যন্ত্রের মাধ্যমে পরিমাপ করা যায় ? 
উত্তরঃ-  অ্যানিমোমিটার । 

১৫. মেরু বায়ু কোথায় প্রবাহিত হয় ? 
উত্তরঃ-  উত্তর গোলার্ধে ৭০-৮০ ° অক্ষরেকার মধ্যবর্তী অঞ্চলে মেরুবায়ু প্রবাহিত হয় । 

১৬. বায়ু চলাচলের অন্যতম প্রধান কারণ কী ?
উত্তরঃ-  দুটি অঞ্চলের মধ্যে চাপের পার্থক্য বায়ু চলাচলের অন্যতম প্রধান কারণ ।

১৭. মমেরুবৃত্ত প্রদেশীয় অঞ্চলে বায়ুর চাপ সাধারণত কেমন থাকে?
উত্তরঃ-  মেরুবৃত্ত প্রদেশীয় অঞ্চলে বায়ুর চাপ সাধারণত নিম্নচাপ থাকে।

১৮. নিয়ত বায়ু কয় প্রকার ও কি কি?
উত্তরঃ-  নিয়ত বায়ু তিন প্রকার, যথা – আয়ন বায়ু, পশ্চিমা বায়ু, মেরু বায়ু।

১৯. মিস্ট্রাল কোন প্রকার বায়ু? 
উত্তরঃ-  মিস্ট্রাল একটি স্থানীয় প্রকার বায়ু।

২০. কোন অঞ্চলে সর্বদা উচ্চচাপ বিরাজ করে? 
উত্তরঃ-  মেরু অঞ্চলে সর্বদা উচ্চচাপ বিরাজ করে।

২১. বায়ুপ্রবাহ কী ? 
উত্তরঃ-  ভূপৃষ্ঠের সমান্তরালে বায়ুর আনুভূমিক চলাচলকে বায়ুপ্রবাহ বলে । 

২২. বায়ুস্রোত কী ? 
উত্তরঃ-  ভূপৃষ্ঠের ওপর বায়ুর উল্লম্ব চলাচলকে বায়ুস্রোত বলে । 

২৩. কোন্ অঞ্চলকে ডোলড্রামস বলে ? 
উত্তরঃ-  নিরক্ষীয় নিম্নচাপ শান্তবলয়কে ডোলড্রামস বলে । 

২৪. অশ্ব অক্ষাংশ কোন্ অঞ্চলকে বলে ? 
উত্তরঃ-  25 ° -35 ° উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষাংশ অশ্ব অক্ষাংশ বলে পরিচিত । 

২৫. কোরিওলিস বল কীভাবে কাজ করে ? 
উত্তরঃ-  কোরিওলিস বল সমকোণে কাজ করে । 

২৬. বায়ুপ্রবাহের কীভাবে নামকরণ হয় ? 
উত্তরঃ-  বায়ু যেদিক থেকে প্রবাহিত হয় সেইদিক অনুযায়ী বায়ুর নামকরণ হয় । 

২৭. বাইস ব্যালট সূত্র করে আবিষ্কার হয় ? 
উত্তরঃ-  1857 খ্রিস্টাব্দে বাইস ব্যালটের সূত্র আবিষ্কার হয়।

২৮. নিরক্ষীয় অঞ্চল কোন্‌টি ?
উত্তরঃ-  নিরক্ষরেখার দুপাশে 0 ° থেকে 5 ° অক্ষরেখা পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চল হল নিরক্ষীয় অঞ্চল ।

২৯. সিরক্কো কেমন বায়ু ? সিরক্কোর প্রভাবে আফ্রিকার উপকূল কেমন হয় ? 
উত্তরঃ-  সিরক্কো শুষ্ক , উন্ন ও ধূলিপূর্ণ বায়ু । সিরক্কোর প্রভাবে আফ্রিকার উত্তর উপকূল শুষ্ক ও ধূলিপূর্ণ হয় ।

৩০. ‘ ক্রোধোন্মত্ত পঞ্চাশ ‘ কী ? 
উত্তরঃ-  50 ° দক্ষিণ অক্ষরেখা বরাবর প্রচণ্ডগতিতে প্রবাহিত উন্মত্ত পশ্চিমাবায়ুকে ‘ ক্রোধোন্মত্ত পঞ্চাশ বলে । 

৩১. ‘ তীক্ষ্ণ চিৎকারকারী ষাট ‘ কী ? 
উত্তরঃ-  60 ° দক্ষিণ অক্ষরেখা বরাবর তীক্ষ্ণ শব্দে প্রবাহিত পশ্চিমাবায়ুকে ‘ তীক্ষ্ণ চিৎকারকারী ষাট ’ বলা হয় ।

৩২. আয়নবায়ুর অপর নাম কী ? 
উত্তরঃ-  আয়নবায়ুর অপর নাম বাণিজ্য বায়ু । 

৩৩.  ITCZ কী ?
উত্তরঃ-  উত্তরঃ- পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব আয়ন বায়ুর মিলন অঞ্চলকে আন্তঃক্রান্তীয় মিলন অঞ্চল বা ITCZ বলে। ITCZ এর পুরো নাম ইন্টার ট্রপিক্যাল কনভারজেন্ট জোন। পৃথিবীর নিরক্ষীয় অঞ্চল বরাবর এই রকম তিনটি আন্তঃক্রান্তীয় মিলন অঞ্চল অবস্থিত। 

৩৪.  সাময়িক বায়ু কাকে বলে?
উত্তরঃ-  যে বায়ু একটি নির্দিষ্ট ঋতুতে কিংবা দিন ও রাতের একটি নির্দিষ্ট সময়ে প্রবাহিত হয় কিন্তু অন্য সময় যে বায়ুর প্রবাহ লক্ষ্য করা যায় না, তাকে সাময়িক বায়ু বলে। যেমন - মৌসুমি বায়ু, সমুদ্র বায়ু, স্থল বায়ু। 

৩৫.  উত্তর গোলার্ধে আয়নবায়ু গতিবেগ কতটা ? 
উত্তরঃ-  উত্তর গোলার্ধে আয়নবায়ুর গতিবেগ 16 কিমি । 

৩৬. বায়ুর উন্নতার প্রধান উৎস কী ? 
উত্তরঃ-  বায়ুর উয়তার প্রধান উৎস সূর্য । 

৩৭. মেরুবায়ুর কারণে কোথায় তুষারঝড় সৃষ্টি হয় ?
উত্তরঃ-  মেরুবায়ুর কারণে রাশিয়ার সাইবেরিয়ায় তুষারঝড় সৃষ্টি হয় । 

৩৮. ‘ গর্জনশীল চল্লিশা ‘ কী ? 
উত্তরঃ-  40 ° দক্ষিণ অক্ষরেখা বরাবর পশ্চিম থেকে পূর্বে সশব্দে প্রবাহিত পশ্চিমাবায়ু ‘ গর্জনকারী চল্লিশা ‘ নামে পরিচিত । 

৩৯. আয়নবায়ুর প্রভাবে কোন্ অঞ্চলে বৃষ্টিপাত ঘটে না ?
উত্তরঃ-  আয়নবায়ুর প্রভাবে মহাদেশের পূর্ব উপকূলে বৃষ্টি হলে পশ্চিমাংশে একেবারেই বৃষ্টিপাত হয় না । 

৪০. পশ্চিমাবায়ুর প্রবাহ পথে কী সৃষ্টি হয়েছে ? 
উত্তরঃ-  পশ্চিমাবায়ুর প্রবাহ পথে মহাদেশগুলির পূর্ব ও মধ্য অংশে নাতিশীতোয় তৃণভূমির সৃষ্টি হয়েছে ।

৪১. ITCZ কি?
উত্তরঃ-  উত্তরঃ- পূর্ব ও দক্ষিণ পূর্ব নিরক্ষীয় অঞ্চলে মিলিত হয়। এই অঞ্চলই আন্তঃক্রান্তীয় অভিসরণ অঞ্চল বা ITCZ.

৪২. ফন কোথায় প্রবাহিত হয় ? 
উত্তরঃ-  ফন আল্পস পার্বত্য অঞ্চলের উত্তর ঢাল বেয়ে নীচে নেমে মধ্য ইউরোপে প্রবাহিত হয় । 

৪৩. তুন্দ্ৰা অঞ্চলে শীতকাল কতদিন স্থায়ী হয় ?
উত্তরঃ-  তুন্দ্রা অঞ্চলে শীতকাল 8-9 মাস স্থায়ী হয় । 

৪৪. সাময়িক বায়ু কখন প্রবাহিত হয় ?
উত্তরঃ-  বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে প্রবাহিত হয় ।

৪৫. ভারতে প্রবাহিত দুটি স্থানীয় বায়ুর নাম উল্লেখ করো?
উত্তরঃ-  লু ও আঁধি 

৪৬. কোথায় সবচেয়ে বেশি স্থানীয় বায়ুর প্রাধান্য লক্ষ্য করা যায়?
উত্তরঃ-  ভূমধ্যসাগরের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে

৪৭. উত্তর আমেরিকার রকি পার্বত্য অঞ্চলে প্রবাহিত স্থানীয় বায়ুর নাম কী?
উত্তরঃ-  চিনুক 

৪৮. কোন ধরণের ঘূর্নবাতের সাথে মেঘমুক্ত, শুষ্ক ও রোদ ঝলমলে অবস্থা যুক্ত থাকে?
উত্তরঃ-  প্রতীপ ঘূর্নবাতের সাথে 

৪৯. সিরক্কো বায়ু কোথায় প্রবাহিত হয়ে থাকে?
উত্তরঃ-  লিবিয়া মরু অঞ্চলে 

৫০. আকস্মিক বায়ুর উদাহরণ দাও?
উত্তরঃ-  ঘূর্নবাত ও প্রতীপ ঘূর্নবাত 


৫১. সমুদ্রবায়ুর প্রভাব কোথায় দেখা যায় ?
উত্তরঃ-  সমুদ্রের উপকূলভাগ থেকে 150 কিমি অঞ্চলের মধ্যে দেখা যায় । 

৫২. স্থলবায়ুর প্রভাব কখন বৃদ্ধি পায় ? 
উত্তরঃ-  স্থলবায়ুর প্রভাব ভোররাতের দিকে বৃদ্ধি পায় ।

৫৩. কাকে সমুদ্রবায়ু ও স্থলবায়ুর বৃহৎ সংস্করণ বলা হয় ? 
উত্তরঃ-  মৌসুমি বায়ুকে বলা হয় ।  

৫৪. চিনুক বায়ুর প্রভাবে কোথায় পশুপালন হয় ?
উত্তরঃ-  চিনুক বায়ুর প্রভাবে প্রেইরি তৃণভূমি অঞ্চলে পশুপালন হয় ।

অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল – বায়ুচাপ বলয় ও বায়ুপ্রবাহ / Bayu chap boloy o bayu probaho (চতুর্থ অধ্যায়)" সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর" । WBBSE Class 8th Geography 4th Chapter SAQ Questions and Answers 

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর | SAQ Questions and Answers (Class Eight geography Fourtht chapter) 

১. হন বায়ুর প্রকৃতি কীরূপ ? এই বায়ুর প্রভাবে কী হয় ? 
উত্তরঃ-  হন বায়ুর প্রকৃতি শুষ্ক ও উষু হয় । এই বায়ুর প্রভাবে মধ্য ইউরোপের তাপমাত্রা খুব সময়ের মধ্যে বেড়ে গিয়ে বরফ পালিয়ে দেয় ও দাবানলের সৃষ্টি করে । 

২. হারমাট্রান বায়ু কেমন ? হারমাট্রান বায়ু কোথায় দেখা যায় ? 
উত্তরঃ-  হারমার্টান বায়ু শুষ্ক ও উন্ন । হারমাট্রান বায়ু উত্তর পশ্চিম আফ্রিকার পূর্ব দিক থেকে গিনি উপকূলের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয় ।

৩. হারমাট্রানের নাম ‘ The Doctor ‘ হবার কী কারণ ? 
উত্তরঃ-  ক্রান্তীয় অঞ্চলের গরম স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়াকে হারমাট্রান আরামদায়ক ও গরম করে তোলে । তাই একে “ The Doctor ‘ বলা হয় । 

৪. বোরো কোথায় দেখা যায় ? 
উত্তরঃ-  আল্পস পর্বতের দক্ষিণ ঢাল বরাবর নীচের দিকে নেমে এসে আড্রিয়াটিক উপকূলবর্তী অঞ্চলে প্রবাহিত হয় ।

৫. শীতকালীন মৌসুমিবায় কাকে বলে ? 
উত্তরঃ-  শীতকালে স্থলভাগ থেকে শুষ্ক ঠান্ডা বাতাস সমুদ্রের দিকে প্রবাহিত হয় , একে শীতকালীন মৌসুমিবায়ু বলে। 

৬. গ্রীষ্মকালীন মৌসুমিবায়ু কাকে বলে ? 
উত্তরঃ-   গ্রীষ্মকালে জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু সমুদ্র থেকে স্থলভাগের দিকে প্রবাহিত হয় , একে গ্রীষ্মকালীন মৌসুমি বায়ু বলে ।

৭. ঘূর্নবাত কাকে বলে ? 
উত্তরঃ-  কোনো স্বল্পপরিসর জায়গায় উন্নতা বৃদ্ধির কারণে হঠাৎ করে বায়ুর চাপ কমে গেলে কেন্দ্রে শক্তিশালী নিম্নচাপ তৈরি হয় এবং বাইরের দিকে উচ্চচাপ সৃষ্টি হয় । এই অবস্থায় উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে বায়ু ওই নিম্নচাপ কেন্দ্রের দিকে প্রবল গতিতে ছুটে আসে , একেই বলে ঘূর্নবাত । 

৮. আকস্মিক বায়ু কী ? 
উত্তরঃ-  পৃথিবীপৃষ্ঠের স্বল্পপরিসর স্থানে চাপের পার্থক্যের কারনে হঠাৎ করে অনিয়মিতভাবে যে বায়ু প্রবাহিত হয় তাকে আকস্মিক বায়ু বলে । 

৯. পৃথিবীপৃষ্ঠের একই জায়গায় বায়ুর উন্নতা ও চাপের পরিবর্তন ঘটে কেন ?
উত্তরঃ-  সূর্যের বার্ষিক আপাত গতির কারণে পৃথিবীপৃষ্ঠের একই জায়গায় প্রতিদিন মধ্যাহ্নে সূর্যরশ্মির আপাতন কোণের মান এক হয় না । ফলে সেই জায়গার বায়ুর উন্নতা ও চাপের পরিবর্তন ঘটে ।

১০. সূর্যের আপাত বার্ষিক গতির কারণে নিরক্ষীয় ও ক্রান্তীয় অঞ্চলে কী হয় ?
উত্তরঃ-  সূর্যের আপাত বার্ষিক গতির কারনে নিরক্ষীয় ও ক্লান্তীয় অঞ্চলে বায়ুচাপ বলয়গুলো মেরুবৃত্ত ও মেরুদেশীয় বায়ুচাপ বলয়গুলোর তুলনায় বেশি স্থান পরিবর্তন করে । 

১১. বাইস ব্যালটের সূত্রটি কী ? 
উত্তরঃ-  1857 সালে ডাচ আবহবিদ বাইস ব্যালট বায়ুর চাপের পার্থক্য ও বায়ুপ্রবাহের মধ্যে সম্পর্ক নির্ণয় করতে গিয়ে এই সুত্র আবিষ্কার করেন । উত্তর গোলার্ধে বায়ু যেদিক থেকে প্রবাহিত হয় , বাইস ব্যালটের সূত্রানুসারে সেইদিকে পিছন ফিরে দাঁড়ালে ডানদিকে বায়ুর উচ্চচাপ ও বাঁদিকে নিম্নচাপ হয় । দক্ষিণ গোলার্ধে ঠিক এর বিপরীত অবস্থা লক্ষ করা যায় ।

১২. অ্যানাবেটিক বায়ু কাকে বলে ? 
উত্তরঃ-  অনেক সময় পার্বত্য উপত্যকার মাঝের অংশের উপরিস্থিত বায়ু ততটা উরু না হওয়ায় উচ্চচাপের সৃষ্টি হয় ও তাপমাত্রা কম থাকে । এখান থেকে উচ্চচাপের বায়ু পর্বতের ঢাল বরাবর নীচের দিক থেকে ওপরের দিকে উঠতে থাকে । তাই একে উপত্যকা বায়ু বা অ্যানাবেটিক বায়ু বলে । 

১৩. ক্যাটাবেটিক যায়ু কাকে বলে ? 
উত্তরঃ-  রাত্রিবেলা দ্রুত তাপ বিকিরণের ফলে উপত্যকার দুপাশের উপরিস্থিত বায়ু ঠান্ডা হয়ে পড়ে । ফলে পর্বতের ঢাল বরাবর এই উচ্চচাপের ভারী বায়ু নীচের দিকে নামতে থাকে ও উপত্যকায় অবস্থান করে । একে পার্বত্য বায়ু বা ক্যাটাবেটিক বায়ু বলে ।

১৪. বায়ুচাপ বলয় কাকে বলে ?
উত্তরঃ-  পৃথিবী পৃষ্ঠের ওপর নির্দিষ্ট দুরত্বের ব্যবধানে সমধর্মী বায়ুস্তর প্রায় হাজার কিলোমিটার জুড়ে পুরো পৃথিবীকে কয়েকটি বলয়ের আকারে বেষ্টন করে থাকে , একে বলে বায়ুচাপ বলয় । 

১৫. ঘূর্নবাত কাকে বলে?
উত্তরঃ-  ভূপৃষ্ঠের কোন স্বল্প পরিসর স্থানে হঠাৎ করে অধিক উত্তাপ জনিত কারণে নিম্ন চাপের সৃষ্টি হলে পার্শ্ববর্তী উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে বায়ু প্রবল বেগে ঘুরতে ঘুরতে ওই নিম্নচাপ কেন্দ্রের দিকে ধাবিত হলে, তাকে ঘূর্নবাত বলে। উত্তর গোলার্ধে এই বায়ু ঘড়ির কাঁটার বিপরীতে ও দক্ষিণ গোলার্ধে ঘড়ির কাঁটার দিকে প্রবাহিত হয়। 

১৬. প্রতীপ ঘূর্নবাত কাকে বলে?
উত্তরঃ-  কোন স্থানে অধিক শীতলতার জন্য উচ্চচাপের সৃষ্টি হলে, ওই উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে বায়ুর ঘূর্নির আকারে ঘুরতে ঘুরতে বাইরের দিকে বেরিয়ে আসে। ঘূর্নবাতের বিপরীত এই অবস্থাকে প্রতীপ ঘূর্নবাত বলে। 

১৭. বাতাসে ঘুড়ি উড়তে পারে কেন ?
উত্তরঃ-  ঘুড়ি ওড়ানোর সময় গতিশীল বাতাস ঘুড়ির ওপর একটা উর্ধমুখী বল বা চাপ সৃষ্টি করে , যে চাপ ঘুড়িকে ভাসিয়ে রাখতে সাহায্য করে । এই কারণেই বাতাসে ঘুড়ি উড়তে পারে । 

১৮. নিরক্ষীয় শাস্তবলয় কাকে বলে ? 
উত্তরঃ-  নিরক্ষীয় অঞ্চল বরাবর উয় ও হালকা বায়ু সোজা ওপরের দিকে উঠে যাওয়ায় এখানে বায়ুর উর্ধমুখী স্রোত লক্ষ্য করা যায় । ভূপৃষ্ঠের সমান্তরালে কোনো বায়ু প্রবাহিত হয় না । ফলে এখানে বায়ুর কোনো চলাফেরা বোঝা যায় না । শান্ত ভাব বিরাজ করে তাই একে নিরক্ষীয় শাস্তবলয় অঞ্চল বলে ।

১৯. নিরক্ষীয় শাস্তবলয়ের আরেক নাম কী ? এবং কেন ? 
উত্তরঃ-  নিরক্ষীয় শাস্তবলয়ের আরেক নাম ডোলড্রামস । প্রাচীনকালে এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে জাহাজ চালানোর সময় প্রায়ই জাহাজগুলো থেমে যেত । তাই নাবিকরা এই অঞ্চলের নামকরণ করেন ডোলড্রামস ।

২০. কোন্ দুই ক্রান্তীয় অঞ্চল কেন ‘ অশ্ব অক্ষাংশ ‘ নামে পরিচিত ?
উত্তরঃ-  ষোড়শ শতকে কর্কটীয় ও মকরীয় শান্ত বলয় দিয়ে পালতোলা জাহাজগুলো চলাচলের সময় গতিহীন হয়ে পড়ত । ফলে • মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপ থেকে আসা ঘোড়াভর্তি বানিজ্যিক জাহাজগুলোর পশ্চিম ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ ও আমেরিকায় যেতে অনেক বেশি সময় লাগত । এই অবস্থায় জাহাজের ভার কমাতে এবং পানীয় জল ও খাবারের সংকট এড়াতে কিছু ঘোড়াকে আটলান্টিক মহাসাগরের ফেলে দিতে হতো । এই কারণে এই দুই ক্রান্তীয় অঞ্চল ‘ অশ্ব অক্ষাংশ ‘ নামে পরিচিত । 

২১. আয়ন বায়ু কাকে বলে ? 
উত্তরঃ-  কর্কটীয় ও মকরীয় উচ্চচাপ বলয় থেকে সারাবছর ধরে প্রায় নিয়মিতভাবে নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয়ের দিকে যে বায়ু প্রবাহিত হয় তাকে আয়নবায়ু বলে । 

২২. উত্তর গোলার্ধে ও দক্ষিণ গোলার্ধে বায়ুপ্রবাহের তারতম্য ঘটে কেন ?
উত্তরঃ-  উত্তর গোলার্ধে স্থলভাগ বেশি থাকায় পাহাড় , পর্বত , ঘরবাড়ি , গাছপালায় বাধা পেয়ে আয়নবায়ুর গতিবেগ কমে যায় । ঘন্টায় প্রায় ১৬ কিমি বেগে এই বায়ু প্রবাহিত হয় । দক্ষিণ গোলার্ধে স্থলভাগের তুলনায় জলভাগ বেশি থাকায় ঘর্ষণ বলের প্রভাব কম । তাই এই গোলার্ধে বায়ু ঘন্টায় প্রায় ২২-৩০ কিমি বেগে প্রবাহিত হয় । 

২৩. বায়ুর চাপ বলতে কী বোঝ?
উত্তরঃ-  বায়ুর চাপ আবহাওয়া ও জলবায়ুর এক গুরুত্বপূর্ন উপাদান। পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষন শক্তি বায়ুকে নিজের কেন্দ্রের দিকে আকর্ষন করে বলে অন্যান্য পদার্থের মতো বায়ুরও ওজন আছে এবং ওজন আছে বলে বায়ুর চাপও আছে। ভূপৃষ্ঠে কোনো নির্দিষ্ট স্থানে বায়ু যে পরিমান চাপ প্রদান করে, তাকেই বায়ুর চাপ বলা হয়। বায়ুর চাপ সাধারনত মিলিবার এককে প্রকাশ করা হয়। সমুদ্রপৃষ্ঠে পৃথিবীর বায়ুর চাপ প্রায় ১০১৩.২৫ মিলিবার আর এই বায়ুর চাপ ব্যারোমিটার যন্ত্রের সাহায্যে মাপা হয়। 

২৪. বায়ুচাপ বলয় কাকে বলে?
উত্তরঃ-  পৃথিবী পৃষ্ঠের ওপর নির্দিষ্ট দূরত্বে সমধর্মী বায়ুস্তর অনুভূমিক ভাবে প্রায় ১০০০ কিলোমিটার জুড়ে পুরো পৃথিবীকে কয়েকটি বলয়ের আকারে বেষ্টন করে আছে । একে বলে বায়ুচাপ বলয়। সারা পৃথিবীব্যাপী এই রকম তিনটি নিম্নচাপ বলয় ও চারটি উচ্চচাপ বলয় আছে। 

২৫.  নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয়ের অবস্থান ও সৃষ্টির কারণ উল্লেখ করো?
উত্তরঃ-  নিরক্ষরেখার উভয় দিকে ৫-১০ ডিগ্রি অক্ষাংশের মধ্যবর্তী অঞ্চলে সারা বছর ধরে বায়ুর নিম্নচাপ দেখা যায়। একে নিরক্ষীয় নিম্নচাপ অঞ্চল বলে। 
নিরক্ষীয় নিম্নচাপ সৃষ্টির কারণঃ ক] এই অঞ্চলে সূর্য সারাবছর লম্ব ভাবে কিরন দেয় বলে বায়ু খুব উষ্ণ ও হালকা হয়। ফলে বায়ুর চাপ কম হয়। খ] নিরক্ষীয় অঞ্চলে স্থলভাগের তুলনায় জলভাগ বেশি বলে বায়ুতে প্রচুর পরিমানে জলীয় বাষ্প থাকে। ফলে জলীয় বাষ্পপূর্ন বায়ুর চাপ কম হয়। গ] পৃথিবীর আবর্তন গতির প্রভাবে এই অঞ্চলের ওপরের বায়ু উত্তরে ও দক্ষিনে ছিটকে যায়। ফলে বায়ুচাপ কম হয়।

২৬. নিরক্ষীয় শান্তবলয় বা ডোলড্রাম কাকে বলে?
উত্তরঃ-  নিরক্ষীয় অঞ্চলে উত্তরঃ- পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব আয়ন বায়ু মিলিত হয় কিন্তু এই বায়ু নিরক্ষরেখার উভয় দিকে ৫ ডিগ্রি অক্ষাংশের কাছাকাছি আসা মাত্র নিরক্ষীয় অঞ্চলের প্রচণ্ড উষ্ণতার সংস্পর্শে এসে হালকা ও উষ্ণ হয়ে সোজা উপরের দিকে উঠে যায়, তাই এই অঞ্চলের মধ্যবর্তী অঞ্চলে বায়ুর অনুভূমিক প্রভাব দেখা যায় না বলে একপ্রকার শান্তভাব বিরাজ করে। একে নিরক্ষীয় শান্তবলয় বা ডোলড্রাম বলে।

২৭.  কর্কটীয় ও মকরীয় উচ্চচাপ অঞ্চলের অবস্থান ও সৃষ্টির কারণ উল্লেখ করো?
উত্তরঃ-   উভয় গোলার্ধে ২৫ ডিগ্রি থেকে ৩৫ ডিগ্রি অক্ষাংশের মধ্যবর্তী অঞ্চলে সারাবছর ধরে বায়ুর উচ্চচাপ দেখা যায়, একে কর্কটীয় ও মকরীয় উচ্চচাপ বলয় বলে। 
উচ্চচাপ সৃষ্টির কারনঃ ক] নিরক্ষীয় নিম্নচাপ অঞ্চলের উষ্ণবায়ু ওপরে উঠে শীতল হয় এবং পৃথিবীর আবর্তন গতির প্রভাবে তা উত্তরে ও দক্ষিনে ছিটকে গিয়ে ক্রমশ সঙ্কুচিত হয়ে ক্রান্তীয় অঞ্চলে নীচের দিকে নেমে আসে। ফলে বায়ুর চাপ বেশি হয়। খ] সুমেরু ও কুমেরু অঞ্চলের শীতল বাতাস পৃথিবীর আবর্তনের ফলে ক্রান্তীয় অঞ্চলে নেমে আসে। ফলে বায়ুর চাপ বেশি হয়। 

২৮. অশ্ব অক্ষাংশ কাকে বলে? 
উত্তরঃ-  কর্কটীয় ও মকরীয় উচ্চচাপ বলয়ের অন্তর্গত ২৫ থেকে ৩৫ ডিগ্রি অক্ষাংশের মধ্যবর্তী অঞ্চলে শীতল ও ভারী বাতাস ওপর থেকে নিচে নেমে আসে বলে বায়ুর কোনো অনুভূমিক বা সমান্তরাল প্রবাহ লক্ষ্য করা যায় না। এক প্রকার শান্তভাব বজায় থাকে বলে অতীত কালের পালতোলা জাহাজ গুলি এই অঞ্চলে এসে গতিহীন হয়ে পড়ত। এই শান্ত অঞ্চলটিই অশ্ব অক্ষাংশ নামে পরিচিত। 

২৯. মেরুবৃত্ত প্রদেশীয় নিম্নচাপ বলয়ের অবস্থান ও সৃষ্টির কারণ উল্লেখ করো?
উত্তরঃ-  উভয় গোলার্ধে ৬০ থেকে ৭০ ডিগ্রি অক্ষাংশের মধ্যবর্তী অঞ্চলে অর্থাৎ সুমেরু ও কুমেরু বৃত্তের দুপাশে সারা বছরই বায়ুর নিম্নচাপ দেখা যায়। এই নিম্নচাপ অঞ্চলটিই সুমেরু ও কুমেরু বৃত্ত প্রদেশীয় নিম্নচাপ বলয় নামে পরিচিত। 
নিম্নচাপ বলয় সৃষ্টির কারনঃ  এই অঞ্চলে পৃথিবীর আবর্তনের বেগ তুলনামূলক ভাবে বেশি বলে এই অঞ্চলের বায়ু ক্রান্তীয় ও মেরু অঞ্চলের দিকে ছিটকে যায়। ফলে বায়ুর চাপ কম হয়।  

৩০. সুমেরু ও কুমেরু উচ্চচাপ বলয়ের অবস্থান ও সৃষ্টির কারণ লেখ?
উত্তরঃ-  ৮০ ডিগ্রি থেকে মেরুর মধ্যবর্তী অঞ্চলে সারা বছর ধরে যে উচ্চচাপ বিরাজ করে, তাকে সুমেরু ও কুমেরু উচ্চচাপ বলয় বলে। উচ্চচাপ সৃষ্টির কারনঃ ক] এই অঞ্চলে সূর্যরশ্মি সারাবছরই খুব তির্যকভাবে পড়ে বলে বাতাস খুব শীতল ও ভারী হয়। ফলে বায়ুর চাপ বেশি হয়। খ] প্রচণ্ড ঠাণ্ডার জন্য এই অঞ্চলের বায়ুতে জলীয় বাষ্প খুব কম থাকে বলে বায়ুর চাপ বেশি হয়। গ] সুমেরু ও কুমেরু বৃত্তের নিম্নচাপ বলয় থেকে ঊর্ধ্বগামী বাতাস এই মেরু অঞ্চলে এসে অবনমন করে বলে, বায়ুর চাপ বেড়ে যায়।

৩১. বায়ুপ্রবাহ কাকে বলে?
উত্তরঃ-  পৃথিবী পৃষ্ঠে বায়ুচাপের সমতা বজায় রাখার জন্য বায়ু যখন উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে নিম্নচাপ অঞ্চলের দিকে চলাচল করে বা প্রবাহিত হয়, তখন তাকে বায়ুপ্রবাহ বলে। 

৩২. কোরিওলিস বল কাকে বলে?
উত্তরঃ-  পৃথিবীর আবর্তন বা ঘূর্নন জনিত কারণে যে কেন্দ্রবর্হিমুখী বলের সৃষ্টি হয়, তাকে কোরিওলিস বল বলে। এই কোরিওলিস বলের কারণে পৃথিবী পৃষ্ঠের সংলগ্ন যে কোন গতিশীল বস্তু সোজাপথে না চলে কিছুটা দিক বিক্ষেপ ঘটায়। যেমন বাতাস ও সমুদ্র স্রোতের প্রবাহ পথের সামান্য দিক পরিবর্তন হয়। 

৩৩.  ফেরেলের সূত্র কাকে বলে?
উত্তরঃ-  পৃথিবীর আবর্তন জনিত কারণে সৃষ্ট কোরিওলিস বলের প্রভাবে বায়ু সোজাপথে প্রবাহিত না হয়ে উত্তর গোলার্ধে ডানদিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বামদিকে বেঁকে প্রবাহিত হয়। বায়ু প্রবাহের দিক পরিবর্তন সম্বন্ধীয় এই নিয়মটি ফেরেলের সূত্র নামে পরিচিত। 

৩৪. বাইস ব্যালট সূত্র কী?
উত্তরঃ-  ডাচ আবহবিদ বাইস ব্যালট ১৮৫৭ সালে বায়ুচাপের পার্থক্য ও বায়ুপ্রবাহের মধ্যে সম্পর্ক উল্লেখ করেন। তার মতে উত্তর গোলার্ধে বায়ু প্রবাহের দিকে পেছন ফিরে দাঁড়ালে ডানদিকের তুলনায় বাম দিকের বায়ুতে চাপ কম অনুভূত হয় অর্থাৎ ডানদিকে বায়ুর উচ্চচাপ ও বামদিকে বায়ুর নিম্নচাপ বিরাজ করে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে এর ঠিক বিপরীত অবস্থার সৃষ্টি হয়। বায়ুপ্রবাহ সংক্রান্ত এই বৈশিষ্ট্যটি বাইস ব্যালট সূত্র নামে পরিচিত। 

৩৫. নিয়ত বায় কাকে বলে?
উত্তরঃ-  সারা বছর ধরে নিয়মিতভাবে নির্দিষ্ট দিকে যে বায়ু প্রবাহিত হয়, তাকে নিয়ত বায়ু বলে। নিয়ত বায়ু তিনপ্রকার - আয়ন বায়ু, পশ্চিমা বায়ু ও মেরু বায়ু। 

৩৬. আয়ন বায়ু কাকে বলে?
উত্তরঃ-  কর্কটীয় ও মকরীয় উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে সারা বছর ধরে নিয়মিত ভাবে নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয়ের দিকে প্রবাহিত বায়ুকে আয়ন বায়ু বলে। উত্তর গোলার্ধে এই ফেরেলের সূত্র অনুসারে ডান দিকে বেঁকে উত্তরঃ- পূর্ব আয়ন বায়ু এবং দক্ষিণ গোলার্ধে এই বায়ু বামদিকে বেঁকে দক্ষিণ-পূর্ব আয়ন বায়ু নামে প্রবাহিত হয়। 

৩৭. পশ্চিমা বায়ু কী ? 
উত্তরঃ-  কর্কটীয় ও মকরীয় উচ্চচাপ বলয় থেকে যথাক্রমে সুমেরুবৃত্ত ও কুমেরুবৃত্ত প্রদেশীয় নিম্নচাপ বলয়ের দিকে যে বায়ু প্রবাহিত হয় তাকে পশ্চিমা বায়ু বলে । 

৩৮. বিকেল বা সন্ধের দিকে সমুদ্র বা নদীর ধারে আবহাওয়া আরামদায়ক হয় কেন ?
উত্তরঃ-  বিকেল বা সন্ধের দিকে সমুদ্র বা নদীর ধারে আবহাওয়া আরামদায়ক হয় কারণ এই সময় সমুদ্র থেকে স্থলভাগের দিকে ঠাণ্ডা বাতাস প্রবাহিত হয় । 

৩৯. মৌসুমি বায়ু সৃষ্টির কারণটি লেখো । 
উত্তরঃ-  দৈনিক তাপমাত্রার পার্থক্যের কারণে যেমন সমুদ্রবায়ু ও থলবায়ুর সৃষ্টি হয় তেমনি দুটি বিপরীত ঋতুর উন্নতার পার্থক্যই হল মৌসুমি বায়ুর সৃষ্টির কারণ। 

৪০. মৌসুমি বায়ুকে কী বলা হয় ? 
উত্তরঃ-  গ্রীষ্মকালকে দিন আর শীতকালকে রাত ধরা হলে এই দুই ঋতুর পার্থক্যের জন্যই মৌসুমি বায়ু প্রবাহিত হয় । তাই এই বায়ুকে সমুদ্রবায়ু ও স্থল1বায়ুর বৃহৎ সংস্করণ বলে ।

৪১. কোরিওলিস বল কী ? 
উত্তরঃ-  পৃথিবীর আবর্তন ও ঘূর্ণন গতির কারনে পৃথিবীর ওপর যেকোনো স্বচ্ছন্দ ও গতিশীল বস্তুর ওপর এক ধরনের বল কাজ করে যা বস্তুগুলির দিকবিক্ষেপ ( পরিবর্তন ঘটায় । এই দিক বিক্ষেপকারী বলকেই বলে কোরিওলিস বল ।

৪২. পৃথিবীর কোন্ কোন্ অংশে নিরক্ষীয় শান্ত বলয় অবস্থান করছে ?
উত্তরঃ-  পৃথিবীর তিনটি অংশ জুড়ে নিরক্ষীয় শাস্ত বলয় অবস্থান করছে । সবচেয়ে বড়ো অংশটি ভারত মহাসাগর থেকে প্রশাস্ত মহাসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত । আরেকটি অংশ রয়েছে আফ্রিকার পশ্চিম আটলান্টিক মহাসাগরে । দক্ষিণ আমেরিকার পশ্চিমে প্রশান্ত মহাসাগরের ওপর শেষ অংশটি অবস্থান করছে ।

৪৩. সমুদ্রবায়ু ও স্খলবায়ুর বিশেষত্ব কী ? 
উত্তরঃ-  
( i ) এই বায়ুপ্রবাহ একটি দৈনন্দিন ঘটনা 
( ii ) প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে প্রবাহিত হয় 
( III ) সাধারণত এই দুই বায়ুর প্রভাব উপকূল থেকে প্রায় ১৫০ কিমি অঞ্চলের মধ্যে দেখা যায় । 

৪৪. প্রতীপ ঘূর্নবাত কী ? 
উত্তরঃ-  কোনো জায়গার বায়ুর উন্নতা হঠাৎ করে কমে গেলে বায়ুর চাপ বেড়ে যায় । তখন কেন্দ্রে থাকে উচ্চচাপ আর বাইরের দিকে সৃষ্টি হয় নিম্নচাপ । এই অবস্থায় বায়ু কেন্দ্র থেকে বাইরের দিকে বেরিয়ে যায় । যেহেতু এটি ঘূর্নবাতের বিপরীত অবস্থা তাই এর নাম প্রতীপ ঘূর্ণবাত ।

রচনাধর্মী বা বিশ্লেষণধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর (প্রতিটি প্রশ্নের মান ৫)


১. চিত্র-সহ পৃথিবীর বায়ুচাপ বলয়গুলির পরিচয় দাও।

উত্তরঃ-  পৃথিবীর বায়ুচাপ বলয়সমূহ — 

উয়তার তারতম্য, উচ্চতা, বায়ুতে জলীয় বাষ্পের উপস্থিতি, পৃথিবীর আবর্তন গতি, বায়ুমণ্ডলের ঘনত্বের তারতম্য প্রভৃতির ওপর ভিত্তি করে পৃথিবীতে মােট সাতটি চাপ বলয়ের সৃষ্টি হয়েছে। এগুলি হল— 
A. নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয়, 
B. কর্কটীয় উচ্চচাপ বলয়,
 C. মকরীয় উচ্চচাপ বলয়, 
D. সুমেরুবৃত্তপ্রদেশীয় নিম্নচাপ বলয়,
E. কুমেরুবৃত্তপ্রদেশীয় নিম্নচাপ বলয়, 
F. সুমেরু উচ্চচাপ বলয় এবং 
G. কুমেরু উচ্চচাপ বলয়।

A. নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয়: 
অক্ষাংশগত বিস্তৃতি: নিরক্ষরেখার উভয়দিকে 10° উত্তর ও 10° দক্ষিণ অক্ষরেখার মধ্যবর্তী অঞ্চলে সারাবছর বায়ুর নিম্নচাপ দেখা যায়। এই অঞ্চলটির নাম নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয় বা নিরক্ষীয় শান্ত বলয় বা ডােলড্রামস। 
সৃষ্টির কারণ: 
প্রধানত তিনটি কারণে এই নিম্নচাপ বলয়টির সৃষ্টি হয়েছে 
1. এই অঞ্চলে সূর্যরশ্মি সারাবছর লম্বভাবে পড়ে বলে বায়ু সারাবছরই উয় ও হালকা থাকে, তাই বায়ুর চাপ কম হয়; 
2. এখানে স্থলভাগের চেয়ে জলভাগ বেশি বলে বায়ুতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণও বেশি। অধিক জলীয় বাষ্পের কারণে বায়ুর চাপ কম হয়; 
3. নিরক্ষরেখায় পৃথিবীর আবর্তনের গতিবেগ বেশি বলে নিরক্ষীয় অঞ্চলের বায়ু ওপরে উঠে উত্তর ও দক্ষিণে ছিটকে যায়। এর ফলে বায়ুর ঘনত্ব কমে যায় এবং নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়।

B. কর্কটীয় ও C. মকরীয় উচ্চচাপ বলয় : 
অক্ষাংশগত বিস্তৃতি :
 নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয়ের উভয়দিকে 25° থেকে 35° উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষরেখার মধ্যে বায়ুমণ্ডলে যে দুটি উচ্চচাপ বলয়ের উপস্থিতি লক্ষ করা যায় তাকে ক্রান্তীয় উচ্চচাপ বলয় বলে। এই ক্রান্তীয় উচ্চচাপ বলয় উত্তর গােলার্ধে কর্কটীয় উচ্চচাপ বলয় এবং দক্ষিণ গােলার্ধে মকরীয় উচ্চচাপ বলয় নামে পরিচিত। 
সৃষ্টির কারণ: 
1. নিরক্ষীয় অঞ্চলের উয় ও আর্দ্র বায়ু ক্রমশ ওপরে উঠে ঠান্ডা ও ভারী হয়ে পৃথিবীর আবর্তন গতির জন্য উত্তর এবং দক্ষিণে ছিটকে যায়। পরে তা ধীরে ধীরে সংকুচিত হয়ে 25° থেকে 35° অক্ষরেখা বরাবর নীচের দিকে নেমে আসে। 
2. পৃথিবীর জন্য সৃষ্ট কোরিওলিস বলের প্রভাবে দুই মেরু অঞ্চল থেকে যে ঠান্ডা ও ভারী বাতাস নিরক্ষীয় অঞ্চলের দিকে প্রবাহিত হয়, তারও কিছু অংশ এখানে আসে। এই দুটি কারণে উভয় গােলার্ধে 25° থেকে 35° অক্ষরেখার মধ্যে বায়ুর ঘনত্ব বেড়ে গিয়ে উচ্চচাপ সৃষ্টি হয়।

D. সুমেরুবৃত্তপ্রদেশীয় ও E. কুমেরুমেরুবৃত্তপ্রদেশীয় নিম্নচাপ বলয়: 
অক্ষাংশগত বিস্তৃতি: 
দুই মেরুবৃত্তপ্রদেশের নিকটবর্তী অঞ্চলে অর্থাৎ উভয় গােলার্ধে 60° থেকে 70° অক্ষরেখার মধ্যে যে নিম্নচাপ বলয় দুটি অবস্থান করে তাকে মেরুবৃত্তপ্রদেশীয় নিম্নচাপ বলয় বলে। এই নিম্নচাপ বলয় উত্তর গােলার্ধে সুমেরুবৃত্তপ্রদেশীয় নিম্নচাপ বলয় এবং দক্ষিণ গােলার্ধে কুমেরুবৃত্তপ্রদেশীয় নিম্নচাপ বলয় নামে পরিচিত। 
সৃষ্টির কারণ : 
1. পৃথিবীর আবর্তন বেগ মেরু অঞ্চলের তুলনায় মেরুবৃত্তপ্রদেশে বেশি। ফলে এই অঞ্চলে বায়ু বেশি বিক্ষিপ্ত হয়; 
2. মেরু অঞ্চলের তুলনায় মেরুবৃত্ত অঞ্চলের ভৌগােলিক বিস্তৃতি এবং উন্নতা বেশি হওয়ায় দুই মেরু অঞ্চল থেকে বায়ুপ্রবাহ মেরুবৃত্ত অঞ্চলে পৌঁছে আয়তনে বেড়ে যায়।

F. সুমেরু ও G. কুমেরু উচ্চচাপবলয় :অক্ষাংশগত বিস্তৃতি: 
উভয় গােলার্ধের 80 থেকে 90° অক্ষাংশের মধ্যে অবস্থিত উচ্চচাপ বলয় দুটিকে মেরুদেশীয় উচ্চচাপ বলয় বলে। এর উত্তর গােলার্ধের অংশটিকে সুমেরু উচ্চচাপ বলয় এবং দক্ষিণ গোলার্ধের অংশটিকে কুমেরু উচ্চচাপ বলয় বলা হয়। 
সৃষ্টির কারণ: 
(1) দুই মেরু অঞ্চলে প্রচণ্ড ঠান্ডার জন্য বাতাস সবসময় ঠান্ডা ও ভারী থাকে। 
(2) সূর্যরশ্মি তির্যকভাবে পড়ে বলে বাষ্পিভবন খুব কম হয়। ফলে বায়ুতে জলীয় বাষ্প কম থাকে। 
(3) পার্শ্ববর্তী মেরুবৃত্ত অঞ্চলের নিম্নচাপ বলয় থেকে যে বায়ু পৃথিবীর আবর্তনের কারণে ওপরে ওঠে, তার কিছু অংশ শীতল ও ভারী হয়ে মেরু অঞ্চলে নেমে আসে।
এই তিনটি কারণে দুই মেরু সংলগ্ন এলাকায় বায়ুর ঘনত্ব বেশি হয়, ফলে চাপও বেশি হয়।

২. মেরু অঞ্চলে দুটি চাপবলয় সৃষ্টির কারণগুলি লেখো । 
উত্তরঃ-  দুটি গোলার্ধে ৪০ ° থেকে 90 ° অক্ষরেখার মধ্যবর্তী মেরু অঞ্চলে দুটি চাপ বলয় সৃষ্টির কারণগুলি হল

 ( i ) দুটি মেরু অঞ্চল প্রায় সারাবছর বরফে ঢাকা থাকায় উন্নতা হিমাঙ্কের নীচে থাকে এবং এখানকার বাতাস ভীষণ শীতল ও ভারী হয় । মেরুবৃত্ত প্রদেশীয় চাপবলয়
 ( ii ) এই অঞ্চলে সূর্যরশ্মি তির্যকভাবে পড়ার ফলে তাপের অভাবে বাষ্পীভবন খুব কম হয় । ফলে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণও কম থাকে । 
( ii ) পৃথিবীর আবর্তনের কারণে মেরুবৃত্ত প্রদেশীয় অঞ্চল থেকে বায়ুর কিছু অংশ মেরু অঞ্চলে নেমে আসে । 

৩. ক্রান্তীয় অঞ্চলে মহাদেশ গুলির পশ্চিম অংশে অধিকাংশ মরুভূমি সৃষ্টি হয়েছে কেন? 
উত্তরঃ-  পৃথিবীর অধিকাংশ মরুভূমি মহাদেশ গুলির পশ্চিম অংশে অবস্থিত হওয়ার বিভিন্ন কারণ গুলির মধ্যে অন্যতম আয়ন বায়ু। উভয় গোলার্ধে উত্তরঃ- পূর্ব ও দক্ষিন-পূর্ব আয়ন বায়ু সাগরের উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময় প্রচুর জলীয় বাষ্প গ্রহন করে মহাদেশ গুলির পূর্ব দিকে প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটায় কিন্তু সেই আয়ন বায়ু যখন মহাদেশের পশ্চিম অংশে পৌঁছায় তখন সেই বায়ুতে আর জলীয় বাষ্প থাকে না বলে তেমন বৃষ্টিপাত হয় না। বৃষ্টিপাত হয় না বলে মহাদেশের পশ্চিম অংশে মরুভূমির সৃষ্টি হয়েছে। যেমন - আফ্রিকার সাহারা, কালাহারি প্রভৃতি। 

৪.  সমুদ্র বায়ু ও স্থলবায়ু সৃষ্টির কারণ ব্যাখ্যা করো?
উত্তরঃ-  সমুদ্র ও স্থলবায়ুর মূলকারন হল দিন ও রাতে স্থলভাগ ও জলভাগের মধ্যে উষ্ণতার পার্থক্য। দিনের বেলা স্থলভাগ যত তাড়াতাড়ি তাপ শোষণ করে উত্তপ্ত হতে পারে জলভাগ পারে না, তাই দিনের বেলা স্থলভাগের উপর অধিক উষ্ণতার জন্য নিম্নচাপ ও জলভাগ তথা সমুদ্রের ওপর উচ্চচাপ বিরাজ করে। যার ফলে দিনের বেলা বিশেষ করে বিকেল বেলা সমুদ্র থেকে স্থলভাগের দিকে যে বাতাস প্রবাহিত হয়, তাকে সমুদ্র বায়ু বলে, কারণ বায়ু যেদিক থেকে প্রবাহিত হয়, সেই দিক অনুসারে তার নাম রাখা হয়। অপর দিকে রাতের বেলা স্থলভাগ অতি দ্রুত শীতল হয়ে যায় কিন্তু সেই তুলনায় জলভাগ শীতল হতে পারে না, তখন জলভাগের উষ্ণতা সামান্য বেশি হওয়ায় সমুদ্রের উপর নিম্নচাপ ও স্থলভাগের উপর উচ্চচাপ বিরাজ করে। তাই রাতের বেলা স্থলভাগ থেকে সমুদ্রের দিকে বায়ুর প্রবাহ লক্ষ্য করা যায়। স্থলভাগ থেকে প্রবাহিত হওয়ায় একে স্থল বায়ু বলে। ভোরের দিকে স্থল বায়ুর গতিবেগ বেশি হয়। 

৫. পশ্চিমা বায়ু কাকে বলে? 
উত্তরঃ-  উভয় গোলার্ধে ৩০ থেকে ৬০ ডিগ্রি অক্ষাংশের মধ্যবর্তী অঞ্চলে কর্কটীয় ও মকরীয় উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে সুমেরুবৃত্ত ও কুমেরুবৃত্ত নিম্নচাপ  অঞ্চলের দিকে প্রবাহিত বায়ুকে, পশ্চিম বায়ু বলে। ফেরেলের সূত্র অনুসারে এই বায়ু উত্তর গোলার্ধে দক্ষিণ-পশ্চিম ও দক্ষিণ গোলার্ধে উত্তরঃ- পশ্চিম দিক থেকে প্রবাহিত হয় বলে, এই বায়ুকে পশ্চিমা বায়ু বলে। 

৬. আয়ন বায়ুর প্রভাবে কীভাবে মহাদেশের পশ্চিমাংশে মরুভূমির সৃষ্টি হয়েছে ?
উত্তরঃ-  ক্রান্তীয় অঞ্চলের কম উন্ন স্থান থেকে তুলনায় বেশি উন্ন নিরক্ষীয় অঞ্চলের দিকে আয়নবায়ু প্রবাহিত হওয়ায় এর উন্নতা বেড়ে যায় । এই উরু আয়নবায়ু পূর্ব থেকে পশ্চিমে মহাসাগরের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময় জলীয় বাষ্প ধারণ করে । এই জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু মহাদেশের পূর্ব উপকূলে প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটায় । কিন্তু পশ্চিমাংশে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ক্রমশ কমতে শুরু করে । ফলে মহাদেশের পশ্চিমাংশে অধিকাংশ উরু মরুভূমির সৃষ্টি হয়েছে । যেমন — আফ্রিকার সাহারা , কালাহারি , ভারতের ধর । 

৭. বায়ুপ্রবাহের কারণগুলি আলোচনা করো । 
উত্তরঃ-  ভূপৃষ্ঠের সমান্তরালে আনুভূমিকভাবে বায়ুর চলাচলকে বায়ুপ্রবাহ বলা হয় । বায়ুপ্রবাহের কারণগুলি হল 

( i ) বায়ুচাপের পার্থক্য : বায়ু সর্বদাই উচ্চচাপযুক্ত অঞ্চল থেকে নিম্নচাপযুক্ত অঞ্চলের দিকে প্রবাহিত হয়।
( ii ) বায়ুর উন্নতার পার্থক্য : সূর্যরশ্মির প্রভাবে বায়ুউরু হলে প্রসারিত হয় । বায়ুর ঘনত্ব ও আপেক্ষিক গুরুত্ব কমে যায় । ফলে বায়ু হালকা হয়ে উপরে উঠে যাওয়ার শূন্য নিম্নচাপ অঞ্চলটি পূর্ণ করতে পার্শ্ববর্তী অঞ্চল থেকে ভারী বায়ু নিম্নচাপ অঞ্চলের দিকে প্রবাহিত হয় । 
( iii ) কোরিওলিস বল : পৃথিবীর আবর্তন গতির কারণে গতিশীল বায়ুর ওপর কোরিওলিস বল কাজ করে বায়ু প্রবাহের বিক্ষেপ ঘটায় । এর ফলে উত্তর গোলার্ধে বায়ু ডানদিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বায়ু বামদিকে বেঁকে প্রবাহিত হয় । 
( iv ) কেন্দ্র বর্হিমুখী বল : পৃথিবীর ঘূর্ণন গতির জন্য এক কেন্দ্র বহির্মুখী বলের সৃষ্টি হয় । যার ফলে বায়ু বাইরের দিকে ছিটকে যায় । 
( v ) ঘর্ষণজনিত প্ৰভাব : অসমতল স্থলভাগের উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময় পাহাড় , পর্বত , অট্টালিকা , গাছপালা প্রভৃতি বিভিন্ন বস্তুর সঙ্গে ঘর্বণজনিত বাধার কারণে বায়ুর গতিবেগ কমে যায়।

৮. মৌসুমি বায়ুকে সমুদ্রবায়ু ও স্থলবায়ুর বৃহৎ সংস্করন বলা হয় কে?
উত্তরঃ-  সমুদ্রবায়ু ও স্থলবায়ুর মতো মৌসুমি বায়ু সৃষ্টির কারণ হল ঋতু বিশেষে স্থলভাগ ও জলভাগের মধ্যে তাপের পরিবর্তনের সাথে সাথে চাপের পরিবর্তন। সাধারনত স্থলভাগ ও জলভাগের মধ্যে শীত ও গ্রীষ্মকালে চাপের পার্থক্য জনিত কারণে যে বিপরীতমুখী বায়ু প্রবাহ লক্ষ্য করা যায়, তাকে মৌসুমি বায়ু বলে। গ্রীষ্মকালে ভারতীয় ভূখণ্ডে অধিক উষ্ণতা জনিত কারণে নিম্নচাপ সৃষ্টি হয় কিন্তু এই সময় ভারত মহাসাগরের জল তুলনায় শীতল থাকায় উচ্চচাপের সৃষ্টি হয়। যার ফলে এই সময় ভারত মহাসাগর থেকে ভারতীয় ভূখণ্ডের দিকে জলীয় বাষ্পপূর্ন যে বায়ু প্রবাহিত হয়, তাকে গ্রীষ্মকালীন দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বলে। একই ভাবে শীতকালে স্থলভাগ অধিক শীতল হয়ে পড়লে স্থলভাগের উপর উচ্চচাপ ও জলভাগের উষ্ণতা বেশি হওয়ায় জলভাগের উপর নিম্নচাপ বিরাজ করে। এই সময় ভারতীয় স্থলভাগ থেকে ভারত মহাসাগরের দিকে মৌসুমি বায়ুর প্রবাহ দেখা যায়। একে উত্তরঃ- পূর্ব মৌসুমি বায়ু বলে। 

৯.  শীতকালে মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টি প্রায় হয় না কেন? 
উত্তরঃ-  শীতকালে উত্তরঃ- পূর্ব মৌসুমি বায়ু ভারতীয় ভূখন্ডের উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে ভারত মহাসাগরের নিম্নচাপ অঞ্চলের দিকে প্রবাহিত হয় বলে শীতল ও শুষ্ক এই বায়ুতে জলীয় বাষ্প থাকে না, তাই শীতকালে মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টি প্রায় হয় না। 

১০. মৌসুমি বায়ুকে সাময়িক বায়ু বলে কেন? 
উত্তরঃ-  মৌসুমি বায়ু যেহেতু বছরের একটি নির্দিষ্ট ঋতুতে অর্থাৎ শীত ও গ্রীষ্মকালে প্রবাহিত হয়ে থাকে, বছরের অন্য সময় যার প্রবাহ লক্ষ্য কর যায় না, তাই মৌসুমি বায়ুকে সাময়িক বায়ু বলে। 

১১. অ্যানাবেটিক বায়ু কাকে বলে?
উত্তরঃ-  পার্বত্য অঞ্চলে পর্বতের ঢাল বয়াবর প্রবাহিত এক প্রকার বায়ু শীতল ও উচ্চচাপযুক্ত বায়ু হল অ্যানাবেটিক বায়ু। মূলত দিনের বেলা কোনো পার্বত্য উপত্যকার নীচের বা মাঝের অংশের তুলনায় উপরের অংশের বাতাস সূর্যের তাপে উষ্ণ ও হালকা হয়ে উপরে উঠে যায়। কিন্তু মাঝের অংশের বাতাস তত টা উত্তপ্ত হতে পারে না। উপরের অংশের বায়ু হালকা হয়ে উপরে উঠলে ঊর্ধ্ব অংশে যে শূন্যস্থানের সৃষ্টি হয় তা পূরন করার জন্য পর্বত উপত্যকার ঢাল বরাবর নীচের অংশ থেকে শীতল বায়ুর ঊর্ধ্বমুখী প্রবাহ লক্ষ্য করা যায়, এই ঊর্ধ্বমুখী শীতল বায়ুকে অ্যানাবেটিক বায়ু বলে। উপত্যকা বরাবর প্রবাহিত হয় বলে একে উপত্যকা বায়ুও বলা হয়। এই বায়ু দিনের বেলা প্রবাহিত হয়ে থাকে। 

১২. ক্যাটাবেটিক বায়ু কাকে বলে?
উত্তরঃ-  ক্যাটাবেটিক বায়ুর প্রবাহ পার্বত্য অঞ্চলে লক্ষ্য করা যায়। রাতের বেলা পর্বতের ঢালের উপরের অংশের বায়ু তাপ বিকিরন করে দ্রুত শীতল ও ভারী হয়ে পরে। ওই শীতল ও ভারী বায়ু পর্বতের ঢাল বরাবর পার্বত্য ঢালের উপরের অংশ থেকে নীচের দিকে নামতে থাকে, এই নিম্নগামী বায়ুকে ক্যাটাবেটিক বায়ু  বলে। এই বায়ুর আরেক নাম পার্বত্য বায়ু। 

১৩. নিরক্ষীয় অঞ্চলে বায়ুচাপ বলয় সৃষ্টির কারণ কী ? 
উত্তরঃ-  নিরক্ষরেখার দুপাশে ০ ° থেকে 5 ° অক্ষরেখা পর্যন্ত বিস্তৃত বায়ুচাপ বলয় সৃষ্টির কারণগুলি হল ( i ) নিরক্ষীয় অঞ্চলে সারাবছর সূর্যরশ্মি লম্বভাবে পড়ায় এখানকার বায়ু পরিচলন পদ্ধতিতে উত্তপ্ত হয় । ( ii ) এই অঞ্চলে জলভাগ বেশি আবার উরু বায়ুর জলধারণ ক্ষমতা বেশি হওয়ায় বায়ু হালকা হয় এবং বায়ুর ঘনত্ব কমে যায় । এই হালকা বায়ু প্রসারিত হয়ে ওপরে ওঠে । ( iii ) এই ঊর্ধ্বগামী বায়ু পৃথিবীর আবর্তন গতির কারণে নিরক্ষরেখা থেকে উত্তর ও দক্ষিণ দিকে ছিটকে যায় ফলে এই অঞ্চলে বায়ুর পরিমাণ কমে যায় । 

১৪. কর্কটীয় ও মকরীয় অঞ্চলে চাপবলয় সৃষ্টি হওয়ার কারণগুলি লেখো । 
উত্তরঃ-  উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধে 25 ° থেকে 35 ° অক্ষরেখার মধ্যবর্তী কর্কটীয় ও মকরীয় অঞ্চলে দুটি বায়ুচাপ বলয় সৃষ্টি হয়েছে । এই চাপবলয় সৃষ্টির কারণগুলি হল—

( i ) নিরক্ষীয় অঞ্চল থেকে উন্নতা কমতে থাকায় আর্দ্র ও হালকা বায়ু ওপরের দিকে উঠতে শুরু করে । এই ঊর্ধ্বগামী বায়ুর উদ্বৃতা ক্রমশ কমতে থাকায় বায়ু ঠান্ডা ও ভারী হয় এবং তার ঘনত্ব বেড়ে যায় । 
( ii ) এই শীতল ও ভারী বায়ু কটীয় ও মকরীয় অঞ্চলে নেমে আসে । আবার মেরু অঞ্চল থেকে ঠান্ডা ও শুষ্ক বায়ু নীচের দিকে নেমে এসে দুই ক্রান্তীয় অঞ্চলে অবস্থান করে । 
( III ) দুটি বিপরীতধর্মী বাতাস দুই ক্রান্তীয় অঞ্চলে মিলিত হবার ফলে এখানে বায়ুর পরিমাণ বাড়ে এবং ঘনত্বও বেড়ে যায় । কর্কটীয় ও মকরীয় চাপবলয় ।

১৫.  মেরুবৃত্ত প্রদেশীয় অঞ্চলে চাপবলয় সৃষ্টির কারণগুলি লেখো ।
উত্তরঃ-  
দুটি গোলার্ধে 60 ° -70 ° অক্ষরেখার মধ্যবর্তী অঞ্চল অর্থাৎ সুমেরু ও কুমেরুবৃত্ত বরাবর দুটি চাপবলয় অবস্থান করে । এই চাপবলয় সৃষ্টির কারণগুলি হল

 ( i) দুই গোলার্ধের মেরু অঞ্চলের তুলনায় পার্শ্ববর্তী মেরুবৃত্ত প্রদেশীয় অঞ্চলের উদ্বুতা বেশি হওয়ায় ওই অঞ্চলের বায়ু হালকা হয়ে ওপরে ওঠে ও প্রসারিত হয়। 
( ii ) এই ঊর্ধ্বগামী বায়ু পৃথিবীর আবর্তনের জন্য উত্তর ও দক্ষিণ দিকে বিক্ষিপ্ত হয়ে দুই গোলার্যের ক্রান্তীয় ও মেরু অঞ্চলের দিকে উন্নস্বভাবে নেমে আসে । ফলে দুই মেরুবৃত্ত প্রদেশীয় অঞ্চলে বায়ুর পরিমাণ কমে ও ঘনত্ব হ্রাস পায় ।

১৬. বায়ুচাপের তারতম্যের কারণগুলি আলোচনা করো।
 
উত্তরঃ-  তারতম্যের কারণগুলি হল—

1. বায়ুর উষ্ণতা : 
বায়ু উয় হলে প্রসারিত ও হালকা হয়, ফলে বায়ুর ঘনত্ব কমে যায়। অর্থাৎ বায়ুর চাপ হ্রাস পায়। এই কারণে নিরক্ষীয় অঞ্চলে বায়ুর চাপ কম হয়। আবার, বায়ুর উয়তা কমলে বায়ু সংকুচিত হওয়ায় ঘনত্ব বাড়ে। সুতরাং, বায়ুর চাপও বৃদ্ধি পায়। উভয় মেরু অঞলেই অতিরিক্ত ঠান্ডার জন্য বায়ুর চাপ বেশি হয়।

2 বায়ুতে জলীয় বাষ্পের উপস্থিতি: 
জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু শুষ্ক বায়ুর তুলনায় হালকা, ফলে এই বায়ুর চাপও কম। এজন্য যেসব অঞ্চলের বায়ুতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকে, সেখানে বায়ুর চাপ কম হয়। অপরপক্ষে, বায়ুতে উপস্থিত জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কম হলে বায়ু শুষ্ক হয় ও সেখানে উচ্চচাপ বিরাজ করে। এই কারণে নিরক্ষীয় অঞলে বায়ুর চাপ কম কিন্তু , মেরু অঞ্চলে জলীয় বাষ্পের অভাবে বায়ুর চাপ অনেক বেশি।

3. কোনো স্থানের উচ্চতা : 
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে যতই ওপরের দিকে ওঠা যায়, ততই বায়ুস্তরের গভীরতা বা ঘনত্ব ও ওজন কমে যায়। এর ফলে বায়ুর চাপ হ্রাস পায়। এজন্য দুটি স্থানের মধ্যে যেটির উচ্চতা বেশি, সেখানে বায়ুর চাপ অপেক্ষাকৃত কম হয়। 

4. পৃথিবীর আবর্তন গতি : 
পৃথিবীর আবর্তন গতির জন্যও বায়ুর চাপের তারতম্য হয়। যেমন—পৃথিবীর আবর্তনের গতিবেগ দুই মেরুর তুলনায় মেরুবৃত্তপ্রদেশে বেশি। ফলে মেরুবৃত্তপ্রদেশের বায়ু বেশি পরিমাণে বিক্ষিপ্ত হয়। এর ফলে বায়ুর ঘনত্ব কমে গিয়ে মেরুবৃত্ত প্রদেশে নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়।

5. বায়ুমণ্ডলের ঘনত্ব: 
ভূপৃষ্ঠের ওপর সর্বত্র বায়ুমণ্ডলের ঘনত্ব বা গভীরতা সমান নয়। ভূপৃষ্ঠে যে জায়গায় বায়ুমণ্ডলের গভীরতা বেশি সেখানে বায়ুর চাপ বেশি। আবার যে অঞলে বায়ুর গভীরতা কম সেখানে বায়ুর চাপ কম হয়।

6. জলভাগ ও স্থলভাগের বণ্টন: বায়ুর চাপ অনেকাংশে ভূপৃষ্ঠে জলভাগ ও স্থলভাগের বণ্টনের ওপর নির্ভর করে। জলভাগের ওপর দিয়ে যে বায়ু প্রবাহিত হয় তা আর্দ্র এবং হালকা হয়। তাই সেই আর্দ্র বায়ুর চাপ কম থাকে। অন্যদিকে, স্থলভাগের ওপর দিয়ে যে বায়ু প্রবাহিত হয় তা শুষ্ক থাকে বলে ভারী হয়। সেই বায়ুর চাপও বেশি হয়।


অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল সকল অধ্যায় পড়ার জন্য নিচের লিংকে ক্লিক করো ( Class 8 Geography All Chapters' Questions and Answers Here WBBSE)

  1. অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল – পৃথিবীর অন্দরমহল (প্রথম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর Click Here
  2. অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল – অস্থিত পৃথিবী (দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর Click Here
  3. অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল – শিলা (তৃতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর Click Here
  4. অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল – বায়ুচাপ বলয় ও বায়ুপ্রবাহ (চতুর্থ অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর Click Here
  5. অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল – মেঘ বৃষ্টি (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর Click Here
  6. অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল – জলবায়ু অঞ্চল (ষষ্ঠ অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর Click Here
  7. অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল – মানুষের কার্যাবলি ও পরিবেশের অবনমন (সপ্তম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর Click Here
  8. অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল – ভারতের প্রতিবেশী দেশসমূহ ও তাদের সঙ্গে সম্পর্ক (অষ্টম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর Click Here
  9. অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল – উত্তর আমেরিকা (নবম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর Click Here
  10. অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল – দক্ষিণ আমেরিকা (দশম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর Click Here
  11. অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল – ওশিয়ানিয়া (একাদশ অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর Click Here

Related searches
অষ্টম শ্রেণির ভূগোল প্রশ্ন উত্তর 2023 / ক্লাস 8 ভূগোল অধ্যায় 1 প্রশ্ন এবং উত্তর / অষ্টম শ্রেণীর প্রশ্ন উত্তর ভূগোল / অষ্টম শ্রেণির ভূগোল প্রশ্ন উত্তর তৃতীয় অধ্যায় / অষ্টম শ্রেণির ভূগোল প্রশ্ন উত্তর চতুর্থ অধ্যায় / অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল পঞ্চম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর / অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর / অষ্টম শ্রেণির ভূগোল প্রশ্ন উত্তর বায়ুচাপ বলয় ও বায়ুপ্রবাহ / Bayu chap boloy o bayu probaho / অষ্টম শ্রেণির ভূগোল প্রশ্ন উত্তর 2023 / অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর / অষ্টম শ্রেণীর প্রশ্ন উত্তর ভূগোল / অষ্টম শ্রেণির ভূগোল প্রশ্ন উত্তর দশম অধ্যায় / অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল বই pdf / অষ্টম শ্রেণির ভূগোল প্রশ্ন উত্তর তৃতীয় অধ্যায় / অষ্টম শ্রেণির ভূগোল প্রশ্ন উত্তর পঞ্চম অধ্যায় / অষ্টম শ্রেণির ভূগোল বই


Some Information about this article  : 

WBBSE Class 8th Geography Question and Answer  | West Bengal West Bengal Class Eight VIII (Class 8th) Geography Qustions and Answers with Suggestion 

অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন প্রশ্ন ও উত্তর   
” অষ্টম শ্রেণীর  ভূগোল – প্রশ্ন উত্তর  “ সমস্ত অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর অষ্টম শ্রেণীর পরীক্ষা (West Bengal Class Eight VIII  / WB Class 8  / WBBSE / Class 8  Exam / West Bengal Board of Secondary Education – WB Class 8 Exam / Class 8 Class 8th / WB Class VIII / Class 8 Pariksha  ) এখান থেকে প্রশ্ন অবশ্যম্ভাবী । সে কথা মাথায় রেখে geographybd.in এর পক্ষ থেকে অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং প্রশ্ন ও উত্তর (Class 8 Geography Suggestion / Class 8 Geography Question and Answer / Class VIII Geography Suggestion / Class 8 Pariksha Geography Suggestion  / Geography Class 8 Exam Guide  / Class 8th Geography MCQ , Short , Descriptive  Type Question and Answer  / Class 8 Geography Suggestion  FREE PDF Download) উপস্থাপনের প্রচেষ্টা করা হলাে। ছাত্রছাত্রী, পরীক্ষার্থীদের উপকারেলাগলে, আমাদের প্রয়াস অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং প্রশ্ন ও উত্তর (Class 8 Geography Suggestion / West Bengal Six VIII Question and Answer, Suggestion / WBBSE Class 8th Geography Suggestion  / Class 8 Geography Question and Answer  / Class VIII Geography Suggestion  / Class 8 Pariksha Suggestion  / Class 8 Geography Exam Guide  / Class 8 Geography Suggestion 2021 , 2022, 2023, 2024, 2025 / Class 8 Geography Suggestion  MCQ , Short , Descriptive  Type Question and Answer. / Class 8 Geography Suggestion  FREE PDF Download) সফল হবে।

অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর 

অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Class 8 Geography Question and Answer Suggestion  অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর।

অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল MCQ প্রশ্ন ও উত্তর

অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | Class 8 Geography MCQ or Multiple Choice Question and Answer |  অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল MCQ প্রশ্ন উত্তর। 

অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | অষ্টম শ্রেণির ভূগোল

অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | Class 8 Geography Short Question and Answer |  অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর  – SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর।

অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল DTQ বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | ষষ্ঠ শ্রেণী ভূগোল 

অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল – DTQ বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর | Class 8 Geography Suggestion  অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর  – DTQ বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর।

পশ্চিমবঙ্গ অষ্টম শ্রেণির ভূগোল  – প্রশ্ন উত্তর | West Bengal Class 8th Geography

অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল (Class 8 Geography) – – প্রশ্ন ও উত্তর | | Class 8 Geography Suggestion  অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর  – প্রশ্ন উত্তর ।

অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর  | ষষ্ঠ শ্রেণি ভূগোল | WB Class 8 Geography Question and Answer, Suggestion

অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – | অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – | পশ্চিমবঙ্গ অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – | অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল সহায়ক প্রশ্ন ও উত্তর । WB Class 8 Geography Question and Answer, Suggestion | WBBSE Class 8th Geography Suggestion  | WB Class 8 Geography Question and Answer Notes  | West Bengal WB Class 8th Geography Question and Answer Suggestion. 

অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | WBBSE Class 8 Geography Question and Answer, Suggestion 

অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Class 8 Geography Suggestion. অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল সহায়ক প্রশ্ন ও উত্তর । Class 8 Geography Question and Answer, Suggestion.

Class 8 Geography Question and Answer Suggestions  | অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | ষষ্ঠ শ্রেণি ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর

Class 8 Geography Question and Answer  অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর  Class 8 Geography Question and Answer অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – MCQ, সংক্ষিপ্ত, রোচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর  । 

WBBSE Class 8th Geography Suggestion  | অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর 

WBBSE Class 8th Geography Suggestion অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর । WBBSE Class 8th Geography Suggestion  অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর।

West Bengal Class 8  Geography Suggestion  Download. WBBSE Class 8th Geography short question suggestion  . Class 8 Geography Suggestion   download. Class 8th Question Paper  Geography. WB Class 8  Geography suggestion and important question and answer. Class 8 Suggestion pdf.

পশ্চিমবঙ্গ অষ্টম শ্রেণীর  ভূগোল পরীক্ষার সম্ভাব্য সাজেশন ও শেষ মুহূর্তের প্রশ্ন ও উত্তর ডাউনলোড। অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল পরীক্ষার জন্য সমস্ত রকম গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর।

Get the WBBSE Class 8th Geography Question and Answer by geographybd.in

WBBSE Class 8th Geography Question and Answer prepared by expert subject teachers. WB Class 8  Geography Suggestion with 100% Common in the Examination .

Class 8th Geography Syllabus

West Bengal Board of Secondary Education (WBBSE) Class 8th Geography Syllabus with all the important chapters and marks distribution. Download the Class 8th Geography Syllabus and Question Paper. Questions on the Geography exam will come from these chapters. All the chapters are equally important, so read them carefully.

WB Class 8th Geography Syllabus Free Download Link Click Here 

Class 8th Eight VIII Geography Suggestion | West Bengal WBBSE Class 8 Exam 
Class 8 Geography Question and Answer, Suggestion Download PDF: WBBSE Class 8th Eight VIII Geography Suggestion  is proVIIIded here. West Bengal Class 8th Geography Suggestion Questions Answers PDF Download Link in Free has been given below. 

অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | WBBSE Class 8th Geography

আশাকরি তোমাদের অষ্টম ক্লাসের বায়ুচাপ বলয় ও বায়ুপ্রবাহ অধ্যায় থেকে সকল প্রশ্ন ও উত্তর কমপ্লিট হয়েছে। আমরা আমাদের সর্বাঙ্গীণ প্রচেষ্টা করেছি তোমাদের এই অষ্টম শ্রেণীর বায়ুচাপ বলয় ও বায়ুপ্রবাহ অধ্যায় থেকে সব প্রশ্ন উত্তর দেওয়ার জন্য, এখন কাজ হল তোমাদের বাড়িতে পড়ার । পড়তে থাকো , প্র্যাকটিস করতে থাকো, প্র্যাকটিস মানুষকে উত্তম করে তোলে। যত পড়বে তত শিখবে, ততই জ্ঞানী হবে। 

তোমাদের অষ্টম ক্লাসের  বায়ুচাপ বলয় ও বায়ুপ্রবাহ অধ্যায়ের প্রাকটিসের জন্য আমাদের কুইজে অংশগ্রহণ করতে পারো, সম্পূর্ণ ফ্রিতে, নিচে লিঙ্ক দেওয়া আছে কুইজে অংশ নিতে পারো।

ক্লাস অষ্টম এর অন্যান্য অধ্যায় গুলি সম্পর্কে আরও পড়তে চাইলে নিচে অধ্যায় অনুযায়ী লিঙ্ক দেওয়া আছে, লিঙ্কে ক্লিক করে ক্লাস অষ্টম এর অন্য অধ্যায় গুলি পড়ে নাও। আমাদের পরিসেবা তোমাদের ভালো লাগলে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি ফলো করতে পারো।


Post a Comment

0 Comments

Top Post Ad

Below Post Ad