Type Here to Get Search Results !

নবম শ্রেণীর ভূগোল – পঞ্চম অধ্যায় "আবহবিকার / Abohobikar / Weathering" প্রশ্ন ও উত্তর | WBBSE Class 9th Geography Chapter 5 Question and Answer

নবম শ্রেণীর ভূগোল – আবহবিকার (পঞ্চম অধ্যায়) (Abohobikar / Weathering) | WBBSE Class 9 Chapter 5 Geography Question and Answer

West Bengal  Class 9 Geography Solution Chapter 5
West Bengal  Board Class 9 Geography (ভূগোল) Textbook Solution Chapter 5 আবহবিকার / Abohobikar / Weathering Question Answers by WBBSE Expert Teacher. West Bengal Board Class 9 Geography Solution Chapter 5.

500+ নবম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর / আবহবিকার / Abohobikar / Weathering (পঞ্চম অধ্যায়) MCQ, সংক্ষিপ্ত, অতি সংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর | নবম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – West Bengal Class 9th Geography Question and Answer

হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছো তোমরা ? আশাকরি তোমরা খুব ভালো আছো । আজকে আমরা আলোচনা করবো তোমাদের নবম ক্লাসের পঞ্চম অধ্যায় আবহবিকার / Abohobikar সম্পর্কে । এই পঞ্চম অধ্যায়টি তোমাদের পরীক্ষার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ তাই পঞ্চম অধ্যায় এর আবহবিকার / Abohobikar বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আমরা এই লিখাটির মাধ্যমে নবম শ্রেণীর  পঞ্চম অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর, এই আবহবিকার / Abohobikar অধ্যায়ের সাজেশন , কিকরে এই অধ্যায় থেকে উত্তর লিখতে হয়। নবম শ্রেণীর আবহবিকার / Abohobikar অধ্যায় থেকে কিভাবে পড়বে সবকিছুই আলোচনা করবো। 

আবহবিকার / Abohobikar / Weathering(পঞ্চম অধ্যায়) MCQ, সংক্ষিপ্ত, অতি সংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর | নবম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – West Bengal Class 9th Geography Question and Answer

নবম শ্রেণীর ভূগোল – পঞ্চম অধ্যায় "আবহবিকার / Abohobikar / Weathering" প্রশ্ন ও উত্তর | WBBSE Class 9th Geography Chapter 5 Question and Answer

নবম শ্রেণীর ভূগোল সকল অধ্যায় পড়ার জন্য নিচের লিংকে ক্লিক করো ( Class 9 Geography All Chapters' Questions and Answers Here WBBSE)

  1. নবম শ্রেণীর ভূগোল – গ্রহরূপে পৃথিবী (প্রথম অধ্যায়) Click Here
  2. নবম শ্রেণীর ভূগোল – পৃথিবীর গতিসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) Click Here
  3. নবম শ্রেণীর ভূগোল – পৃথিবীপৃষ্ঠের কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয় (তৃতীয় অধ্যায়) Click Here
  4. নবম শ্রেণীর ভূগোল – ভূমিরূপ গঠনকারী প্রক্রিয়া ও পৃথিবীর বিভিন্ন ভূমিরূপ (চতুর্থ অধ্যায়) Click Here
  5. নবম শ্রেণীর ভূগোল – আবহবিকার (পঞ্চম অধ্যায়) Click Here
  6. নবম শ্রেণীর ভূগোল – দুর্যোগ ও বিপর্যয় (ষষ্ঠ অধ্যায়) Click Here
  7. নবম শ্রেণীর ভূগোল – ভারতের সম্পদ (সপ্তম অধ্যায়) Click Here
  8. নবম শ্রেণীর ভূগোল – পশ্চিমবঙ্গ (অষ্টম অধ্যায়) Click Here
  9. নবম শ্রেণীর ভূগোল – মানচিত্র ও স্কেল (নবম অধ্যায়) Click Here

নবম শ্রেণীর ভূগোল – আবহবিকার / Abohobikar / Weathering(পঞ্চম অধ্যায়) সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো । WBBSE Class 9th Geography 5th Chapter MCQ Questions and Answers

সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো | MCQ Questions and Answers (class Nine geography Five chapter)

সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো ; প্রতিটি প্রশ্নের মান -১

১. কাস্ট ভূমিরূপ যে আবহবিকারের ফলে ঘটে— A. জারণ B. অঙ্গারযোজন C. আর্দ্র-বিশ্লেষণ D. জৈবিক আবহবিকার
উত্তরঃ-   B

২. চুনাপাথরযুক্ত অঞ্চলে বেশি দেখা যায়— A. কার্বোনেশন B. হাইড্রেশন C. হাইড্রোলিসিস D. অক্সিডেশন
উত্তরঃ-   A

৩. মরুভূমি অঞ্চলে মৃত্তিকা ক্ষয় হয়— A. নদীর দ্বারা B. হিমবাহের দ্বারা C. বায়ুপ্রবাহের দ্বারা D. মানুষের দ্বারা
উত্তরঃ-   C

৪. কাস্ট ভূমিরূপ যে আবহবিকারের ফলে ঘটে-
ক. জারণ
খ. অঙ্গারযোজন
গ. আর্দ্র-বিশ্লেষণ
ঘ. জৈবিক আবহবিকার

৫. চুনাপাথরযুক্ত অঞ্চলে বেশি দেখা যায়-
ক. কার্বোনেশন
খ. হাইড্রেশন
গ. হাইড্রোলিসিস
ঘ. অক্সিডেশন

৬.  মরুভূমি অঞ্চলে মৃত্তিকা ক্ষয় হয়-
ক. নদীর দ্বারা
খ. হিমবাহের দ্বারা
গ. বায়ুপ্রবাহের দ্বারা
ঘ. মানুষের দ্বারা

৭. যান্ত্রিক আবহবিকারের ফলে শিলায় ঘটে— A. ভৌত পরিবর্তন B. রাসায়নিক পরিবর্তন C. উভয় প্রকার পরিবর্তন D. কোনো পরিবর্তন হয় না
উত্তরঃ-   A

৮. শিলার শুধুমাত্র আকৃতিগত পরিবর্তন যে আবহবিকারের ফলে ঘটে, সেটি হল— A. জৈবিক আবহবিকার B. যান্ত্রিক আবহবিকার C. জৈব-যান্ত্রিক আবহবিকার D. রাসায়নিক আবহবিকার
উত্তরঃ-   B

৯. বৃষ্টিবহুল ক্রান্তীয় অঞ্চলে দেখা যায়— A. যান্ত্রিক আবহবিকার B. রাসায়নিক আবহবিকার C. জৈবিক আবহবিকার D. কোনোটিই নয়
উত্তরঃ-   B

১০. বিষমসত্ত্ব শিলায় যে ধরনের আবহবিকার ঘটে তা হল— A. বিচূর্ণন B. বোল্ডার ভাঙন C. শল্কমোচন D. ক্ষুদ্রকণা বিশরণ
উত্তরঃ-   D

১১.  শল্কমোচন প্রক্রিয়াটি হয়-
ক. ব্যাসল্ট শিলায়
খ. গ্রানাইট শিলায়
গ. বেলেপাথরে
ঘ. কাদাপাথরে

১২.  যান্ত্রিক আবহবিকারের অন্যতম মাধ্যম-
ক. মাধ্যাকর্ষণ শক্তি
খ. অক্সিজেন
গ. শিলার কাঠিন্য
ঘ. উষ্ণতা

১৩.  শিলার শুধুমাত্র আকৃতিগত পরিবর্তন যে আবহবিকারের ফলে ঘটে, সেটি হল—
ক. জৈবিক আবহবিকার
খ. যান্ত্রিক আবহবিকার
গ. জৈব-যান্ত্রিক আবহবিকার
ঘ. রাসায়নিক আবহবিকার

১৪.  উষ্ণ মরুভূমিতে যান্ত্রিক আবহবিকারের প্রধান প্রক্রিয়াটি হল-
ক. লবণ কেলাস গঠন
খ. তুষার খণ্ডীকরণ
গ. ক্ষুদ্রকণা বিশরণ
ঘ. প্রস্তরচাঁই বিচ্ছিন্নকরণ

১৫. মৃত্তিকাক্ষয়ের একটি মনুষ্যসৃষ্ট কারণ হল— A. জলপ্রবাহ B. কৃষিকার্য C. শিকড় বৃদ্ধি D. মাটিতে গর্ত সৃষ্টি
উত্তরঃ-   B

১৬. উষ্ণ মরুভূমিতে যান্ত্রিক আবহবিকারের প্রধান প্রক্রিয়াটি হল – A. লবণ কেলাস গঠন B. তুষার খণ্ডীকরণ C. ক্ষুদ্রকণা বিশরণ D. প্রস্তরচাঁই বিচ্ছিন্নকরণ
উত্তরঃ-   C

১৭. বিষমসত্ত্ব শিলায় যে ধরনের আবহবিকার ঘটে তা হল— A. বিচূর্ণন B. বোল্ডার ভাঙন C. শল্কমোচন D. ক্ষুদ্রকণা বিশরণ
উত্তরঃ-   D

১৮. কাস্ট ভূমিরূপ যে আবহবিকারের ফলে ঘটে-
ক. জারণ
খ. অঙ্গারযোজন
গ. আর্দ্র-বিশ্লেষণ
ঘ. জৈবিক আবহবিকার

১৯. ভূপৃষ্ঠের শিলাগুলি যে পদ্ধতির মাধ্যমে চূর্ণবিচূর্ণ হয় তাকে বলে-
ক. ক্ষয়ীভবন
খ. নগ্নীভবন
গ. বিচূর্ণীভবন
ঘ. পুঞ্জিত ক্ষয়

২০. তুহিন খণ্ডীকরণে সৃষ্ট শঙ্কু আকৃতির শিলাচূর্ণকে বলা হয়-
ক. ট্যালাস বা স্ক্রী
খ. আর্গ
গ. পেডিমেন্ট
ঘ. বাজাদা

২১. রাসায়নিক আবহবিকারের ফলে শিলায় মরচে পড়ার প্রক্রিয়া হল-
ক. জারণ
খ. কার্বোনেশন
গ. দ্রবণ
ঘ. আর্দ্র বিশ্লেষণ

২২. যে প্রক্রিয়ায় ক্যালশিয়াম কার্বনেট ক্যালশিয়াম বাইকার্বনেটে পরিণত হয়-
ক. জারণ
খ. অগারযোজন
গ. জলযোজন
ঘ. দ্রবণ

২৩. পাহাড়ি অঞ্চলে শিলাচূর্ণের চলনকে বলে— A. যান্ত্রিক আবহবিকার B. রাসায়নিক আবহবিকার C. পুঞ্জিত ক্ষয় D. নগ্নীভবন
উত্তরঃ-   C

২৪. যান্ত্রিক ও রাসায়নিক উভয় আবহবিকার বেশি হয়— A. শীতল নাতিশীতোয় অঞ্চলে B. উষ্ণ নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে C. নিরক্ষীয় অঞ্চলে D. মরু অঞ্চলে
উত্তরঃ-   B

২৫. শল্কমোচন প্রক্রিয়াটি হয় – A. ব্যাসল্ট শিলায় B. গ্রানাইট শিলায় C. বেলেপাথরে D. কাদাপাথরে
উত্তরঃ-   B

২৬. মৃত্তিকা সৃষ্টির প্রাথমিক পর্যায়ে সৃষ্টি হয়— A. সোলাম B. রেগোলিথ C. ব্যাথোলিথ D. কনোলিথ
উত্তরঃ-   B

২৭. ধাপচাষ অধিক দেখা যায়— A. পার্বত্য অঞ্চলে B. মরুভূমিতে C. সমভূমিতে D. উপকূলে
উত্তরঃ-   A

২৮.  শিলার শুধুমাত্র আকৃতিগত পরিবর্তন যে আবহবিকারের ফলে ঘটে, সেটি হল-
ক. জৈবিক আবহবিকার
খ. যান্ত্রিক আবহবিকার
গ. জৈব-যান্ত্রিক আবহবিকার
ঘ. রাসায়নিক আবহবিকার

২৯.  তুহিন-খণ্ডীকরণের ফলে সৃষ্টি শিলাখণ্ডগুলিকে বলা হয়-
ক. ট্যালাস
খ. পেডিমেন্ট
গ. লোয়েস
ঘ. বাজাদা

৩০. যান্ত্রিক ও রাসায়নিক উভয় আবহবিকার বেশি হয়-
ক. শীতল নাতিশীতোয় অঞ্চলে
খ. উষ্ণ নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে
গ. নিরক্ষীয় অঞ্চলে
ঘ. মরু অঞ্চলে

৩১.  হিউমাস সৃষ্টির পর্যায়টি হল-
ক. রেগোলিথ
খ. হিউমিফিকেশন
গ. খনিজকরণ
ঘ. এলুভিয়েশন

৩২. মরুভূমি অঞ্চলে মৃত্তিকা ক্ষয় হয়— A. নদীর দ্বারা B. হিমবাহের দ্বারা C. বায়ুপ্রবাহের দ্বারা D. মানুষের দ্বারা
উত্তরঃ-   C

৩৩. সমসত্ত্ব শিলার প্রস্তরখণ্ডে দেখা যায়— A. প্রস্তরচাঁই বিচ্ছিন্নকরণ B. শল্কমোচন C. ক্ষুদ্রকণা বিশরণ D. জৈবিক আবহবিকার
উত্তরঃ-   B

৩৪. কাস্ট ভূমিরূপ যে আবহবিকারের ফলে ঘটে— A. জারণ B. অঙ্গারযোজন C. আর্দ্র-বিশ্লেষণ D. জৈবিক আবহবিকার

৩৫. যান্ত্রিক আবহবিকারের ফলে শিলায় ঘটে-
ক. ভৌত পরিবর্তন
খ. রাসায়নিক পরিবর্তন
গ. উভয় প্রকার পরিবর্তন
ঘ. কোনো পরিবর্তন হয় না

৩৬. শিলার শুধুমাত্র আকৃতিগত পরিবর্তন যে আবহবিকারের ফলে ঘটে, সেটি হল-
ক. জৈবিক আবহবিকার
খ. যান্ত্রিক আবহবিকার
গ. জৈব-যান্ত্রিক আবহবিকার
ঘ. রাসায়নিক আবহবিকার

৩৭.  বৃষ্টিবহুল ক্রান্তীয় অঞ্চলে দেখা যায়-
ক. যান্ত্রিক আবহবিকার
খ. রাসায়নিক আবহবিকার
গ. জৈবিক আবহবিকার
ঘ. কোনোটিই নয়

৩৮.  বিষমসত্ত্ব শিলায় যে ধরনের আবহবিকার ঘটে তা হল-
ক. বিচূর্ণন
খ. বোল্ডার ভাঙন
গ. শল্কমোচন
ঘ. ক্ষুদ্রকণা বিশরণ
উত্তরঃ-   B

৩৯. ভূপৃষ্ঠের শিলাগুলি যে পদ্ধতির মাধ্যমে চূর্ণবিচূর্ণ হয় তাকে বলে— A. ক্ষয়ীভবন B. নগ্নীভবন C. বিচূর্ণীভবন D. পুঞ্জিত ক্ষয়
উত্তরঃ-   C

৪০. তুহিন খণ্ডীকরণে সৃষ্ট শঙ্কু আকৃতির শিলাচূর্ণকে বলা হয়— A. ট্যালাস বা স্ক্রী B. আর্গ C. পেডিমেন্ট D. বাজাদা
উত্তরঃ-   A

৪১. যান্ত্রিক আবহবিকারের ফলে শিলায় ঘটে—
(A) ভৌত পরিবর্তন 
(B) রাসায়নিক পরিবর্তন 
(C) উভয় প্রকার পরিবর্তন 
(D) কোনো পরিবর্তন হয় না
উত্তরঃ-   (A) ভৌত পরিবর্তন

৪২. শিলার শুধুমাত্র আকৃতিগত পরিবর্তন যে আবহবিকারের ফলে ঘটে, সেটি হল—
(A) জৈবিক আবহবিকার 
(B) যান্ত্রিক আবহবিকার 
(C) জৈব-যান্ত্রিক আবহবিকার 
(D) রাসায়নিক আবহবিকার
উত্তরঃ-   (B) যান্ত্রিক আবহবিকার

৪৩. বৃষ্টিবহুল ক্রান্তীয় অঞ্চলে দেখা যায়—
(A) যান্ত্রিক আবহবিকার 
(B) রাসায়নিক আবহবিকার 
(C) জৈবিক আবহবিকার 
(D) কোনোটিই নয়
উত্তরঃ-   (B) রাসায়নিক আবহবিকার

৪৪. বিষমসত্ত্ব শিলায় যে ধরনের আবহবিকার ঘটে তা হল—
(A) বিচূর্ণন 
(B) বোল্ডার ভাঙন 
(C) শল্কমোচন 
(D) ক্ষুদ্রকণা বিশরণ
উত্তরঃ-   (D) ক্ষুদ্রকণা বিশরণ

৪৫. মৃত্তিকাক্ষয়ের একটি মনুষ্যসৃষ্ট কারণ হল—
(A) জলপ্রবাহ 
(B) কৃষিকার্য 
(C) শিকড় বৃদ্ধি 
(D) মাটিতে গর্ত সৃষ্টি
উত্তরঃ-   (B) কৃষিকার্য

৪৬. উষ্ণ মরুভূমিতে যান্ত্রিক আবহবিকারের প্রধান প্রক্রিয়াটি হল –
(A) লবণ কেলাস গঠন 
(B) তুষার খণ্ডীকরণ 
(C) ক্ষুদ্রকণা বিশরণ 
(D) প্রস্তরচাঁই বিচ্ছিন্নকরণ
উত্তরঃ-   (C) ক্ষুদ্রকণা বিশরণ

৪৭. পাহাড়ি অঞ্চলে শিলাচূর্ণের চলনকে বলে—
(A) যান্ত্রিক আবহবিকার 
(B) রাসায়নিক আবহবিকার 
(C) পুঞ্জিত ক্ষয় 
(D) নগ্নীভবন
উত্তরঃ-   (C) পুঞ্জিত ক্ষয়

৪৮.  মৃত্তিকাক্ষয়ের একটি মনুষ্যসৃষ্ট কারণ হল-
ক. জলপ্রবাহ
খ. কৃষিকার্য
গ. শিকড় বৃদ্ধি
ঘ. মাটিতে গর্ত সৃষ্টি

৪৯. উষ্ণ মরুভূমিতে যান্ত্রিক আবহবিকারের প্রধান প্রক্রিয়াটি হল-
ক. লবণ কেলাস গঠন
খ. তুষার খণ্ডীকরণ
গ. ক্ষুদ্রকণা বিশরণ
ঘ. প্রস্তরচাঁই বিচ্ছিন্নকরণ

৫০.  বিষমসত্ত্ব শিলায় যে ধরনের আবহবিকার ঘটে তা হল-
ক. বিচূর্ণন
খ. বোল্ডার ভাঙন
গ. শল্কমোচন
ঘ. ক্ষুদ্রকণা বিশরণ

৫১.  পাহাড়ি অঞ্চলে শিলাচূর্ণের চলনকে বলে-
ক. যান্ত্রিক আবহবিকার
খ. রাসায়নিক আবহবিকার
গ. পুঞ্জিত ক্ষয়
ঘ. নগ্নীভবন

৫২. শিলামধ্যস্থ খনিজের সঙ্গে অক্সিজেনের রাসায়নিক বিক্রিয়ায় যে আবহবিকার সংঘটিত হয়, তা হল
(A) অঙ্গারযোজন 
(B) আর্দ্রবিশ্লেষণ 
(C) জলযোজন 
(D) জারণ
উত্তরঃ-   (D) জারণ।

৫৩. শিলায় মরিচা পড়ে যে প্রক্রিয়ায় তা হল-
(A) জারন 
(B) জলযোজন 
(C) আর্দ্রবিশ্লেষণ 
(D) অঙ্গারযোজন
উত্তরঃ-   (A) জারন

৫৪. ক্ষয়ীভবন একটি-
(A) স্থিতিশীল প্রক্রিয়া 
(B) গতিশীল প্রক্রিয়া 
(C) নিরপেক্ষ প্রক্রিয়া 
(D) কোনটিই নয়
উত্তরঃ-   (B) গতিশীল প্রক্রিয়া

৫৫. কাস্ট ভূমিরূপ যে আবহবিকারের ফলে ঘটে—
(A) জারণ 
(B) অঙ্গারযোজন 
(C) আর্দ্র-বিশ্লেষণ 
(D) জৈবিক আবহবিকার
উত্তরঃ-   (B) অঙ্গারযোজন

৫৬. চুনাপাথরযুক্ত অঞ্চলে বেশি দেখা যায়—
(A) কার্বোনেশন 
(B) হাইড্রেশন 
(C) হাইড্রোলিসিস 
(D) অক্সিডেশন
উত্তরঃ-   (A) কার্বোনেশন

৫৭. মরুভূমি অঞ্চলে মৃত্তিকা ক্ষয় হয়—
(A) নদীর দ্বারা 
(B) হিমবাহের দ্বারা 
(C) বায়ুপ্রবাহের দ্বারা 
(D) মানুষের দ্বারা
উত্তরঃ-   (C) বায়ুপ্রবাহের দ্বারা

৫৮. যান্ত্রিক ও রাসায়নিক উভয় আবহবিকার বেশি হয়-
ক. শীতল নাতিশীতোয় অঞ্চলে
খ. উষ্ণ নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে
গ. নিরক্ষীয় অঞ্চলে
ঘ. মরু অঞ্চলে

৫৯. শল্কমোচন প্রক্রিয়াটি হয়-
ক. ব্যাসল্ট শিলায়
খ. গ্রানাইট শিলায়
গ. বেলেপাথরে
ঘ. কাদাপাথরে

৬০. মৃত্তিকা সৃষ্টির প্রাথমিক পর্যায়ে সৃষ্টি হয়-
ক. সোলাম
খ. রেগোলিথ
গ. ব্যাথোলিথ
ঘ. কনোলিথ

৬১. ধাপচাষ অধিক দেখা যায়-
ক. পার্বত্য অঞ্চলে
খ. মরুভূমিতে
গ. সমভূমিতে
ঘ. উপকূলে

৬২.   মরুভূমি অঞ্চলে মৃত্তিকা ক্ষয় হয়-
ক. নদীর দ্বারা
খ. হিমবাহের দ্বারা
গ. বায়ুপ্রবাহের দ্বারা
ঘ. মানুষের দ্বারা

৬৩.  সমসত্ত্ব শিলার প্রস্তরখণ্ডে দেখা যায়-
ক. প্রস্তরচাঁই বিচ্ছিন্নকরণ
খ. শল্কমোচন
গ. ক্ষুদ্রকণা বিশরণ
ঘ. জৈবিক আবহবিকার

৬৪. গ্রানাইট টর সৃষ্টি হয়-
(A) শল্কমোচন
(B) কার্বোনেশানে 
(C) জলযোজনে 
(D) কোনটিই নয়। 
উত্তরঃ-   (A) শল্কমোচন।

৬৫. উদ্ভিদহীন অতি ঢালু ভূভাগে গালি ক্রমশ গভীর হয়ে যে ভয়াবহ ক্ষয় হয়, তাকে বলে-
(A) পাতক্ষয় 
(B) র‍্যাভাইন ক্ষয় 
(C) নালি ক্ষয় 
(D) খাতক্ষয় 
উত্তরঃ-   (B) র‍্যাভাইন ক্ষয়।

৬৬. নিম্নলিখিত কোন্ শব্দটি ক্ষয়ীভবনের সাথে যুক্ত নয়—
ক) নদীর কাজ 
(খ) বায়ুর কাজ 
গ) হিমবাহের কাজ
(ঘ) আবহবিকার
উত্তরঃ-  (ঘ) আবহবিকার

৬৭. নগ্নীভবন ঘটে—
(ক) আবহবিকার 
(খ) ক্ষয়ীভবন 
গ) পুঞ্জিত ক্ষয় 
ঘ) উল্লিখিত তিনটি কারণেই
উত্তরঃ-  ঘ) উল্লিখিত তিনটি কারণেই

৬৮. প্রস্তর-চাঁই খণ্ডীকরণে শিলাস্তর ফাটল বরাবর-
(ক) খুলে আসে 
(খ) ভেঙে গুঁড়ো হয় 
(গ) দ্রবীভূত হয়
(ঘ) পিঁয়াজের খোসার মতো খুলে যায়
উত্তরঃ-  (ক) খুলে আসে

৬৯. নিম্নলিখিত কোন্ যান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় শিলাস্তর পিঁয়াজের খোসার মতো খুলে যায়— 
ক) প্রস্তর-চাঁই খণ্ডীকরণ 
খ) ক্ষুদ্রকণা বিশরণ 
গ) শল্কমোচন 
ঘ) তুষারের কার্য 
উত্তরঃ-  গ) শল্কমোচন 

 ৭০. শিলা ফাটার আওয়াজ পাওয়া যায় কোন্ আবহবিকার প্রক্রিয়ায়— 
ক) শল্কমোচন 
(খ) ক্ষুদ্রকণা বিশরণ
গ) প্রস্তর-চাঁই খণ্ডীকরণ 
ঘ) তুষারের কার্য
উত্তরঃ-  (খ) ক্ষুদ্রকণা বিশরণ

৭১. নিম্নলিখিত কোন্ শব্দটি পুঞ্জিত ক্ষয়ের সাথে যুক্ত—
(ক) অবঘর্ষ 
(খ) অভিকর্ষ 
(গ) ক্ষয় 
(ঘ) ধস
উত্তরঃ-  (খ) অভিকর্ষ

৭২. ধস এক ধরনের—
(ক) ক্ষয়ীভবন 
(খ) আবহবিকার
(গ) পুঞ্জিত ক্ষয় 
(ঘ) সঞ্চয়
উত্তরঃ-  (গ) পুঞ্জিত ক্ষয়

৭৩. পুঞ্জিত ক্ষয়ের কারণে ক্ষয়ীভবনের মাত্রা –
 ক) বাড়ে
খ) কমে 
(গ) একই থাকে
 (ঘ) কোনোটিই প্রযোজ্য নয়
উত্তরঃ-  (ঘ) কোনোটিই প্রযোজ্য নয়

৭৪. অভিকর্ষের টানে আবহবিকারগ্রস্ত পদার্থের নেমে আসা—
(ক) ক্ষয়ীভবন 
(খ) সঞ্চয়
(গ) দ্রবণ 
(ঘ) পুঞ্জিত ক্ষয়
উত্তরঃ-  (ঘ) পুঞ্জিত ক্ষয়

৭৫. নিম্নলিখিত কোন্ আবহবিকারের প্রক্রিয়াটি মরুভূমি অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি ঘটে—
(ক) ক্ষুদ্রকণা বিশরণ 
(খ) তুষারের কার্য 
(গ) জারণ
(ঘ) অঙ্গারযোজন
উত্তরঃ-  (ক) ক্ষুদ্রকণা বিশরণ

৭৬. উপগোলাকার আবহবিকার হল— 
ক) শল্কমোচন 
খ) ক্ষুদ্রকণা বিশরণ 
গ) প্রস্তর-চাঁই খণ্ডীকরণ 
ঘ) তুষারের কার্য।
উত্তরঃ-  ক) শল্কমোচন 

৭৭. অ্যান্টার্কটিকা অঞ্চলে নিম্নলিখিত কোন্ আবহবিকারের প্রক্রিয়া সবচেয়ে বেশি ঘটে—
ক) তুষারের কার্য 
খ) জারণ 
(গ) শল্কমোচন 
ঘ) জলযোজন
উত্তরঃ-  ক) তুষারের কার্য

৭৮. ক্রান্তীয় মরু জলবায়ুতে কোন্ প্রকার আবহবিকার সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ—
ক) যান্ত্রিক 
খ) রাসায়নিক 
গ) জৈব 
ঘ) কোনোটিই নয়
উত্তরঃ-  ক) যান্ত্রিক

৭৯. হিমালয় পর্বতের উপরিভাগে কোন্ আবহবিকার প্রক্রিয়া সক্রিয়—
(ক) শল্কমোচন 
খ) পিণ্ডবিশরণ 
গ) তুষারের কার্য 
(ঘ) অঙ্গারযোজন
উত্তরঃ-  গ) তুষারের কার্য

৮০. মৃত্তিকার A স্তর থেকে B স্তরে পদার্থের অপসারণ হল—
ক) হিউমিফিকেশন 
(খ) খনিজকরণ
 গ) ইলুভিয়েশন
ঘ) এলুভিয়েশন
উত্তরঃ-  গ) ইলুভিয়েশন

৮১. আবহবিকারের মাধ্যমে সৃষ্ট শিথিল স্তর হল— ক) সোলাম 
খ) মৃত্তিকা 
গ) রেগোলিথ 
ঘ) স্ট্যালাকটাইট
উত্তরঃ-  গ) রেগোলিথ

৮২. নিম্নলিখিত কোন্ স্তরটি এলুভিয়েটেড স্তর—
ক) A 
খ) B 
গ) C 
ঘ) D
উত্তরঃ-  ক) A 

৮৩. ল্যাটেরাইট মাটি সৃষ্টি হয়—
ক) ক্রান্তীয় 
খ) নাতিশীতোয়
গ) মেরু 
ঘ) মরু জলবায়ুতে
উত্তরঃ-  ক) ক্রান্তীয়

৮৪. চুনাপাথর অঞ্চলে কোন্ রাসায়নিক আবহবিকারের প্রাধান্য বেশি----
ক)জারণ 
খ)জলযোজন
গ) আর্দ্রবিশ্লেষণ 
(ঘ) অঙ্গারযোজন
উত্তরঃ-  (ঘ) অঙ্গারযোজন

৮৫. নিম্নলিখিত কোন্ রাসায়নিক আবহবিকার প্রক্রিয়ায় অ্যানহাইড্রাইট জিপসামে পরিণত হয়—
ক)অঙ্গারযোজন
খ)জারণ
গ) জলযোজন
ঘ) আর্দ্রবিশ্লেষণ
উত্তরঃ-  গ) জলযোজন

৮৬. জারণ প্রক্রিয়া সবচেয়ে বেশি কার্যকরী হয় নিম্নলিখিত কোন্ খনিজে—
ক) সিলিকা 
খ) কোয়ার্টজ 
(গ) ফেলস্পার 
(ঘ) লোহা
উত্তরঃ-  (ঘ) লোহা

৮৭. নিম্নলিখিত কোন্ জলবায়ু অঞ্চলে রাসায়নিক আবহবিকার সর্বাধিক ঘটে—
ক) নিরক্ষীয় 
খ) উয় মরু 
গ) নাতিশীতোষ্ণ মরু 
ঘ) মেরু জলবায়ুতে
উত্তরঃ-   ক) নিরক্ষীয়

৮৮. মৃত্তিকার উপরিভাগ চাদরের স্তরের ন্যায় মৃত্তিকার অপসারণ হল—
ক) শিট ক্ষয় 
(খ) জলনালিকা ক্ষয়
গ) খোয়াই ক্ষয় 
ঘ) র‍্যাভাইন ক্ষয়
উত্তরঃ-  ক) শিট ক্ষয়


নবম শ্রেণীর ভূগোল – আবহবিকার / Abohobikar / Weathering(পঞ্চম অধ্যায়) সত্য মিথ্যা যাচাই করো । WBBSE Class 9th Geography 5th Chapter True & False Questions and Answers 

সত্য মিথ্যা যাচাই করো | True & False Questions and Answers (class Nine geography Five chapter)

শূন্যস্থান পূরন করো ; প্রতিটি প্রশ্নের মান -১



১. আবহবিকার একটি স্থিতিশীল প্রক্রিয়া, কিন্তু ক্ষয়ীভবন একটি_____  প্রক্রিয়া। 
উত্তরঃ-   গতিশীল

২. পর্বতের পাদদেশে শিলাখণ্ড গঠিত ভূমিরূপ হল _____। 
উত্তরঃ-   স্ক্রী ও ট্যালাস

৩. শিলা আওয়াজ করে কেটে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র খণ্ডে পরিণত হয় যান্ত্রিক আবহবিকারের_____  প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। 
উত্তরঃ-   ক্ষুদ্রকণা বিশরণ

৪. Onion Weathering প্রক্রিয়াকে আমরা _____ প্রক্রিয়া বলে জানি। 
উত্তরঃ-  শল্কমোচন

৫. কার্স্ট অঞ্চলে রাসায়নিক আবহবিকারের_____  প্রক্রিয়া সবচেয়ে বেশি ঘটে।
উত্তরঃ-  অঙ্গারযোজন

৬. অঙ্গারযোজন প্রক্রিয়ায় ক্যালশিয়াম কার্বনেট_____  এ পরিণত হয়।
উত্তরঃ-  ক্যালশিয়াম বাইকার্বনেট

৭. রাসায়নিক আবহবিকারের_____  প্রক্রিয়ায় শিলায় মরচে পড়ে। 
উত্তরঃ-   জারণ

৮. আবহবিকারের গুরুত্বপূর্ণ ফল হল ______ সৃষ্টি। (শূন্যস্থান পূরন করো)
উত্তরঃ-   মৃত্তিকা

৯. নিরক্ষীয় অঞ্চলে ______ আবহবিকার বেশি দেখা যায়। (শূন্যস্থান পূরন করো)
উত্তরঃ-   রাসায়নিক

১০. জল, তুষার কেলাসে পরিণত হলে আয়তনে ______ যায়। (শূন্যস্থান পূরন করো)
উত্তরঃ-   বেড়ে

১১. ক্ষয়ীভবনের সঙ্গে _____ শব্দটি অত্যন্ত জড়িত। 
উত্তরঃ-   আবহবিকার

১২. অঙ্গারযোজনের মাধ্যমে চুনাপাথর গঠিত অঞ্চলের মৃত্তিকা হল_____  । 
উত্তরঃ-  কার্স্ট(karst)

১৩.  মৃত্তিকা সৃষ্টির মূল উপাদান হল______  । 
উত্তরঃ-   রেগোলিথ

১৪. মৃত্তিকার সূক্ষ্ম ফাঁক দিয়ে নীচের জল উপরে উঠে আসার প্রক্রিয়া হল ______।
উত্তরঃ-   কৈশিক প্রক্রিয়া

১৫. _____ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জৈব পদার্থ হিউমাসে পরিণত হয়। 
উত্তরঃ-   হিউমিফিকেশন

১৬. বছরের পর বছর জমিতে একই ফসলের চাষ না করে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বিভিন্ন ফসলের চাষ হল_____  |
উত্তরঃ-   শস্যাবর্তন

১৭.  _____ প্রক্রিয়ায় পদার্থ A স্তর থেকে B স্তরে সঞ্চিত হয়। 
উত্তরঃ-   ইলুভিয়েশন

১৮. 'Soil' শব্দটি এসেছে ল্যাটিন শব্দ _____ থেকে।
উত্তরঃ-  solum



নবম শ্রেণীর ভূগোল – আবহবিকার / Abohobikar / Weathering(পঞ্চম অধ্যায়) শূন্যস্থান পূরণ করো । WBBSE Class 9th Geography 5th Chapter Fill in the blank Questions and Answers 

শূন্যস্থান পূরণ করো  | Fill in the blank Questions and Answers (class Nine geography Five chapter)

সত্য / মিথ্যা নির্ণয় করো; প্রতিটি প্রশ্নের মান -১


১. মৃত্তিকা উৎপত্তির প্রাথমিক পর্যায়ে রেগোলিথ সৃষ্টি হয়। 
উত্তরঃ-  'সত্য'

২. ইলুভিয়েশন প্রক্রিয়া মৃত্তিকার 'A' স্তরে কার্যকর হয়। 
উত্তরঃ-  'মিথ্যা'

৩.  বৃক্ষচ্ছেদন মৃত্তিকা ক্ষয়ের অন্যতম কারণ। 
উত্তরঃ-  'সত্য'

৪. স্ট্যালাকটাইট ব্যাসল্ট গঠিত অঞ্চলের ভূমিরূপ।
উত্তরঃ-  'মিথ্যা'

৫. আবহবিকার একটি গতিশীল প্রক্রিয়া ।
উত্তরঃ-  'মিথ্যা'
 
৬. নদীর ক্ষয় একটি ক্ষয়ীভবন প্রক্রিয়া। 
উত্তরঃ-  'সত্য'

৭. পুঞ্জিত ক্ষয় একটি ক্ষয়ীভবন প্রক্রিয়া। 
উত্তরঃ-  'মিথ্যা'

৮. আবহবিকারগ্রস্ত পদার্থ জলের মাধ্যমে অপসারণ হল পুঞ্জিত ক্ষয়। 
উত্তরঃ-  'মিথ্যা'

৯. পুঞ্জিত ক্ষয় ক্ষয়ীভবনের মাত্রা বাড়ায়। 
উত্তরঃ-  'মিথ্যা'

১০. হিমালয় অঞ্চলে বর্ষাকালে ধস বেশি নামে। 
উত্তরঃ-  'সত্য'
 
১১. আবহবিকার হল একটি নগ্নীভবন প্রক্রিয়ার অংশ। 
উত্তরঃ-  'সত্য'

১২. অতি উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে তুষারের কার্যে যান্ত্রিক আবহবিকার ঘটে। 
উত্তরঃ-  'সত্য'

১৩. অতিশীতল জলবায়ুতে রাসায়নিক আবহবিকারের মাত্রা খুব বেশি। 
উত্তরঃ-  'মিথ্যা'

১৪. মানুষ খুব দ্রুতহারে শিলার আবহবিকার ঘটায়।
উত্তরঃ-  'সত্য'

১৫. অ্যাসিড বৃষ্টির প্রভাবে শিলায় রাসায়নিক আবহবিকার ঘটে। 
উত্তরঃ-  'সত্য'


নবম শ্রেণীর ভূগোল – আবহবিকার / Abohobikar / Weathering(পঞ্চম অধ্যায়) এক কথায় উত্তর দাও । WBBSE Class 9th Geography 5th Chapter SAQ Questions and Answers 

এক কথায় উত্তর দাও | SAQ Questions and Answers (class Nine geography Five chapter) 

এক কথায় উত্তর দাও : প্রতিটি প্রশ্নের মান -১

১. চুনাপাথর গুহার মেঝেতে সঞ্চিত ক্যালসাইট কী নামে পরিচিত? 
উত্তরঃ-  চুনাপাথর গুহার মেঝেতে সঞ্চিত ক্যালসাইট স্ট্র্যালাগমাইট নামে পরিচিত।

২. কোন্ দুটি মৃত্তিকা স্তরকে একত্রে সোলাম বলে?
 উত্তরঃ-  মৃত্তিকা স্তরের A ও B স্তরকে একত্রে সোলাম বলে।

৩. মানুষের কোন্ কাজে মৃত্তিকা ক্ষয় দ্রুত হারে বেড়েছে? 
উত্তরঃ-  মানুষের বনভূমি ধ্বংসের কাজে মৃত্তিকা ক্ষয় দ্রুত হারে বেড়েছে।

৪. পাহাড় ও পর্বতের ঢালে বড়ো বড়ো গর্ত তৈরির মূল উদ্দেশ্যটি কী? 
উত্তরঃ-  পাহাড় ও পর্বতের ঢালে বড়ো বড়ো গর্ত তৈরির মূল উদ্দেশ্যটি হল খনিজ উত্তোলন।

৫.  জারণ কোন্ ধরনের আবহবিকারের প্রক্রিয়া?
উত্তরঃ-  জারণ রাসায়নিক   আবহবিকারের প্রক্রিয়া।

৬. কোন্ শিলায় ক্ষুদ্রকণা বিশরণ প্রক্রিয়া ঘটে? 
উত্তরঃ-   গ্রানাইট, ব্যাসল্ট শিলায় ক্ষুদ্রকণা বিশরণ প্রক্রিয়া ঘটে।

৭. প্রাকৃতিক শক্তির মাধ্যমে পদার্থের অপসারণ কী নামে পরিচিত? 
উত্তরঃ-  প্রাকৃতিক শক্তির মাধ্যমে পদার্থের অপসারণ  ক্ষয়ীভবন নামে পরিচিত।

৮. পুঞ্জিত ক্ষয়ে কোন্ শক্তি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ? 
উত্তরঃ-  পুঞ্জিত ক্ষয়ে অভিকর্ষজ বল  সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ।

৯. কোন্ জলবায়ু অঞ্চলে নগ্নীভবনের হার সবচেয়ে কম? 
উত্তরঃ-   মরু জলবায়ু অঞ্চলে নগ্নীভবনের হার সবচেয়ে কম।

১০. স্ট্যালাকটাইট কোন্ রাসায়নিক আবহবিকারের প্রক্রিয়ার ফল? 
উত্তরঃ-  স্ট্যালাকটাইট অঙ্গারযোজন রাসায়নিক আবহবিকারের প্রক্রিয়ার ফল।

১১. কার্স্ট অঞ্চল প্রধানত কোন্ শিলা দ্বারা গঠিত? 
উত্তরঃ-  কার্স্ট অঞ্চল প্রধানত চুনাপাথর (পাললিক ) শিলা দ্বারা গঠিত।

১২. ধাপ চাষ ও ফালি চাষের মূল উদ্দেশ্য কী ?
উত্তরঃ-   মৃত্তিকা সংরক্ষণ হলো ধাপ চাষ ও ফালি চাষের মূল উদ্দেশ্য।

১৩. গ্রানাইট শিলা পিঁয়াজের খোসার ন্যায় খুলে যাওয়া কী নামে পরিচিত? 
উত্তরঃ-  গ্রানাইট শিলা পিঁয়াজের খোসার ন্যায় খুলে যাওয়া শল্কমোচন নামে পরিচিত।

১৪.  কোন্ রাসায়নিক আবহবিকার প্রক্রিয়ায় অ্যানহাইড্রাইট জিপসামে পরিণত হয়? 
উত্তরঃ-   জলযোজন রাসায়নিক আবহবিকার প্রক্রিয়ায় অ্যানহাইড্রাইট জিপসামে পরিণত হয়।

১৫.  চুনাপাথর গঠিত অঞ্চল কী নামে পরিচিত?
উত্তরঃ-  চুনাপাথর গঠিত অঞ্চল চুনাপাথর কার্স্ট নামে পরিচিত।

১৬. জারণ কাকে বলে? 
উত্তরঃ-  শিলা খনিজের সাথে রাসায়নিকভাবে অক্সিজেন যুক্ত হওয়া হল জারণ। যেসকল শিলায় লোহা আছে সেখানে জারণ প্রক্রিয়া দেখা যায়। তবে অ্যাম্ফিবোল, পাইরক্সিন, বায়োটাইট প্রভৃতি খনিজের ওপরও জারণ প্রক্রিয়া কার্যকর হয়।

১৭. শিলায় কী কারণে মরচে পড়ে? 
উত্তরঃ-  লোহা যখন অক্সাইডরূপে থাকে তখন কঠিন, কিন্তু জারণ প্রক্রিয়ায় ফেরিক অক্সাইডে পরিণত হলে (4FeO + O2 → 2Fe2O3) তা সহজে ভাঙে এবং শিলায় মরচে ধরে।

১৮. রেগোলিথ কী ? 
উত্তরঃ-   বিভিন্ন আবহবিকার প্রক্রিয়ায় শিলাস্তরের উপরীভাগে চূর্ণবিচূর্ণ পদার্থ দিয়ে যে হালকা, শিথিল স্তর সৃষ্টি হয় তা হল রেগোলিথ। এই রেগোলিথ থেকেই মৃত্তিকার সৃষ্টি হয়।

১৯.  আবহবিকার কী? 
উত্তরঃ-   আবহাওয়া ও বায়ুমণ্ডলের কতকগুলি উপাদানের সাহায্যে (উয়তা, আর্দ্রতা, বৃষ্টিপাত, বিভিন্ন বায়ুমণ্ডলীয় গ্যাস প্রভৃতি) ভূপৃষ্ঠের শিলাস্তর যান্ত্রিক পদ্ধতিতে চূর্ণবিচূর্ণ এবং রাসায়নিক পদ্ধতিতে বিয়োজিত হওয়া হল আবহবিকার।

২০. পুঞ্জিত ক্ষয় কী? 
উত্তরঃ-  উচ্চভূমির ঢালের মৃত্তিকা, শিলাস্তর ও অন্যান্য পদার্থরাশি অভিকর্ষের টানে ঢাল বেয়ে নেমে এলে তাকে পুঞ্জিত ক্ষয় বা পুঞ্জিত স্থানান্তর বলে।

২১. ধস কী ? 
উত্তরঃ-  কোনো মসৃণতল বরাবর অভিকর্ষের টানে পদার্থসমূহের নেমে আসা হল ধস।

২২. নগ্নীভবনের সূত্রটি কী ? 
উত্তরঃ-  নগ্নীভবন = আবহবিকার + পুঞ্জিত ক্ষয় + ক্ষয়ীভবন।

২৩. সোলাম কী? 
উত্তরঃ-   রেগোলিথের উপর থেকে নীচ পর্যন্ত তিনটি স্তর (A, B, C) সৃষ্টি হয়। এর মধ্যে প্রথম দুটি স্তর (A ও B) হল মৃত্তিকা এবং এদেরকে একত্রে বলা হয় সোলাম (মৃত্তিকা বা ‘Soil’ কথাটি এসেছে লাতিন শব্দ 'Solum' থেকে)।

২৪. টেরারোসা কী? 
উত্তরঃ-  ক্রান্তীয়মণ্ডলে গভীর রাসায়নিক আবহবিকারের প্রভাবেই উচ্চভূমিতে ল্যাটেরাইট মাটি সৃষ্টি হয়, চুনাপাথর গঠিত কার্স্ট অঞ্চল সৃষ্টি হয় টেরারোসা মৃত্তিকা।

২৫. রেগোলিথ ও মৃত্তিকার তফাত কী? 
উত্তরঃ-  রেগোলিথ ও মৃত্তিকা কিন্তু এক নয়। আবহবিকারের প্রভাবে সৃষ্ট স্তর হল রেগোলিথ। যুগ যুগ ধরে এই রেগোলিথের ওপর বিভিন্ন প্রক্রিয়া কাজ করলে তবেই মৃত্তিকার উৎপত্তি হয়।

২৬. এলুভিয়েশন কী? 
উত্তরঃ-   মৃত্তিকার 'A' স্তর থেকে যান্ত্রিক ও রাসায়নিকভাবে নীচে সূক্ষ্ম পদার্থের স্থানাস্তর হল এলুভিয়েশন। তাই 'A' স্তরটি হল এলুভিনেটেড স্তর।

২৭. ইলুভিয়েশন কী? 
উত্তরঃ-    A স্তর থেকে যে-সকল পদার্থ নীচে নামে তা B স্তরে সজ্জিত হয়। এই পদ্ধতি হল ইলুভিয়েশন এবং B স্তরটি হল ইলুডিয়েটেড স্তর।

২৮. Karst অঞ্চল কাকে বলে? 
উত্তরঃ-  চুনাপাথর দ্বারা গঠিত  অঙ্গারযোজন প্রক্রিয়া কাজ করেছে বলেই এরূপ ঘটেছে এবং ভূমিরূপগুলি ক্যালশিয়াম বাইকার্বনেট দিয়ে গঠিত।

২৯. নগ্নীভবন কী? 
উত্তরঃ-  আবহবিকার, পুঞ্জিত ক্ষয়, ক্ষয়কারী শক্তিসমূহের (নদী, বায়ু, হিমবাহ, সমুদ্রতরঙ্গা প্রভৃতি) সম্মিলিত কাজের ফলে ভূপৃষ্ঠের উঁচু অংশ ধীরে ধীরে ক্ষয়ের ফলে পদার্থের অপসারণে নীচের শিলা উন্মুক্ত হওয়া এবং ভূমির উচ্চতা হ্রাস হল নগ্নীভবন।


৩০. আবহবিকারের দুটি ফলাফল  লেখো। 
উত্তরঃ-  
(১) খনিজের পরিবর্তন ও নতুন খনিজ সৃষ্টি রাসায়নিক আবহবিকারের প্রভাবে ভারী খনিজ হালকা খনিজে পরিণত হয় এবং নতুন খনিজ সৃষ্টি হয়। ক্রান্তীয় অঞ্চলে যেখানে শিলায় অ্যালুমিনার প্রাধান্য রয়েছে সেখানে গভীর রাসায়নিক আবহবিকারের প্রভাবে বক্সাইটের সময় ঘটে। (২) রেগোলিথের উৎপত্তি : বিভিন্ন আবহবিকার প্রক্রিয়ায় শিলাস্তরের উপরীভাগে চূর্ণবিচূর্ণ পদার্থ দিয়ে যে হালকা, শিথিল স্তর সৃষ্টি হয় তা হল রেগোলিথ। এই রেগোলিথ থেকেই মুক্তিকার সৃষ্টি হয়।

৩১. শস্যাবর্তনের সুবিধা কী কী? 
উত্তরঃ-   জমিতে একই ফসল বারংবার চাষ না-করে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে পর্যায়ক্রমে দানাশস্য, পশুখাদ্য, শুঁটি জাতীয় শস্য চাষ করলে জমির উর্বরাশক্তি বজায় থাকে ও মৃত্তিকা ক্ষয় কমে।

৩২. ধাপ চাষ ও ফালি চাষ কেন করা হয়? 
উত্তরঃ-    পাহাড়ের ঢালু অংশে ধাপ কেটে জমি সমতল করে চাষ করলে মাটি ক্ষয় বন্ধ হয়। ধাপ বিভিন্ন রকম হয়, যেমন বেঞ্চ সোপান, পর্যায়িত সোপান সমতল সোপান প্রভৃতি। (গ) ফালি চাষ : ঢালু জমিতে যেখানে মাটির ক্ষয় বেশি সেখানে আড়াআড়িভাবে চওড়া ফিতের মতো জমি তৈরি করে মাটি ক্ষয়রোধকারী বিভিন্ন শস্য (শিম, ডাল, সয়াবিন )চাষ করলে মাটির ক্ষয় কমে এবং জমির উর্বরতা বাড়ে।

৩৩. ক্ষয়ীভবন কাকে বলে? 
উত্তরঃ-  বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তির মাধ্যমে ভূপৃষ্ঠের পদার্থের স্থান পরিবর্তন হল ক্ষমীভবন। এখানে পদার্থ বলতে শিলা, মাটি ইত্যাদিকে বোঝায়।

৩৪. ক্ষয়সীমা কাকে বলে? 
উত্তরঃ-  ভূপৃষ্ঠ পরিবর্তনকারী শক্তিসমূহ ভূপৃষ্ঠকে ক্ষয় করতে করতে নীচে কতটা পর্যন্ত ক্ষয় করবে তা বলে গেছেন জন ওয়েসলি পাওয়েল। তাঁর মতে নীচে শক্তি যতটা পর্যন্ত ক্ষয় করতে পারে তাই হল ক্ষয়সীমা। সাধারণভাবে সমুদ্রতল হল শেষ ক্ষয়সীমা।

৩৫. ক্ষয়ীভবনের উদ্দেশ্য কী?
উত্তরঃ-  ক্ষয়ীভবনের উদ্দেশ্য : ক্ষয়ীভবনের বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অসমতল ভূমি সমতলে পরিণত হয়। তাই ক্ষয়ীভবনের মূল উদ্দেশ্যই হল ভূপৃষ্ঠকে সমান তলে  পরিণত করা।

৩৬. শস্যের শিকড় দ্বারা জমি আচ্ছাদন করে মৃত্তিকা সংরক্ষণ করার পদ্ধতিকে কী বলে?
উত্তরঃ-   মালচিং (mulching)।

৩৭. কোন্ ধরনের আবহবিকারের ফলে মরুভূমিতে বিকেলের দিকে গুলি ছোড়ার মত শব্দ শুনতে পাওয়া যায়?
উত্তরঃ-   ক্ষুদ্রকণা বিশরণ।

৩৮. পর্বতের ঢালে আবহবিকারের ফলে সৃষ্ট শঙ্কু আকৃতির শিলাচূর্ণকে কী বলে?
উত্তরঃ-   ট্যালাস।

৩৯. জারণ প্রক্রিয়ায় কোন গ্যাসীয় উপাদান প্রয়োজন হয়?
উত্তরঃ-   অক্সিজেন।

৪০. থর মরুভূমিকে আবহবিকারের কোন প্রক্রিয়া অধিক কার্যকরী?
উত্তরঃ-   ক্ষুদ্রকণা বিশরণ।

৪১. কোন্ আবহবিকারের ফলে শিলায় মরচে পড়ে?
উত্তরঃ-   জারণ।

৪২. যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হিউমাস তৈরি হয় তাকে কী বলে?
উত্তরঃ-   হিউমিফিকেশন।


নবম শ্রেণীর ভূগোল – আবহবিকার / Abohobikar / Weathering(পঞ্চম অধ্যায়)" সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর" । WBBSE Class 9th Geography 5th Chapter SAQ Questions and Answers 

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর | SAQ Questions and Answers (class Nine geography Five chapter) 

১. ক্ষয়ীভবন কাকে বলে?
উত্তরঃ-   যে ক্রিয়ায় বিভিন্ন গতিশীল প্রাকৃতিক শক্তির সাহায্যে চূর্ণ-বিচূর্ণ শিলা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে অপসারিত হয় সেই প্রক্রিয়াটি হলো ক্ষয়ীভবন।

২. প্রস্তর চাঁই খন্ডিকরণ কাকে বলে?
উত্তরঃ-   সমান্তরাল বা সমকোণী ফাটল এর সাহায্যে একটি বড় শিলাখণ্ড বা শিলাস্তর বিভিন্ন খন্ডে পরিণত হলে সে প্রক্রিয়াকে প্রস্তর চাঁই খন্ড বলে।

৩. জারণ বা অক্সিডেশন বলতে কী বোঝো?
উত্তরঃ-   লোহার সঙ্গে মিশে থাকা খনিজের সঙ্গে বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেনের রাসায়নিক বিক্রিয়াকে অক্সিডেশন বা জারণ বলে।

৪. জলযোজন বা হাইড্রেশন কাকে বলে?
উত্তরঃ-   শিলার মধ্যে থাকা খনিজ পদার্থের সঙ্গে রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় জল যুক্ত হলে যে রাসায়নিক আবহবিকার ঘটে শিলাটির পরিবর্তন ঘটায় সেই প্রক্রিয়াকে হাইড্রেশন বা জলযোজন বলে।

৫. ট্যাফোনি কি? 
উত্তরঃ-   সাধারণভাবে সমুদ্র উপকূলে অবস্থিত বেলেপাথর বা গ্রানাইট শিলার উপরিভাগে প্রায় ১ সেমি থেকে ১ মিটার ব্যাসযুক্ত গহ্বর লক্ষ্য করা যায়। একেই ট্যাফোনি বলে। উষ্ণতার পরিবর্তন, শিলার উপরিভাগের স্তরে লবনের রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে এইধরনের ভূমিরূপের বৈশিষ্ট্য দেখতে পাওয়া যায়।

৬. নগ্নীভবন কিভাবে ঘটে? 
উত্তরঃ-   আবহবিকার, স্খলন ও ক্ষয়ীভবন প্রক্রিয়ার সম্মিলিত প্রভাবে ভূপৃষ্ঠের উপরের স্তরের বিচূর্ণীভূত পদার্থের অপসারণ ঘটলে নীচের শিলাস্তর উন্মুক্ত হয়ে পরে। আবহবিকার ও ক্ষয়ীভবনের এই মিলিত প্রক্রিয়ার ফলে নগ্নীভবন ঘটে।

৭. আবহবিকার কাকে বলে? 
উত্তরঃ-   যে প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তির প্রভাবে ভূপৃষ্ঠের উপরের অংশের শিলাস্তর যান্ত্রিক ও জৈবিক প্রক্রিয়ায় চূর্ণ-বিচূর্ণ অথবা রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় বিয়োজিত হয়ে মূল শিলা থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় সেখানেই পরে থাকে। এই প্রক্রিয়াটিই হল আবহবিকার।

৮. আরোহণ কাকে বলে?
উত্তরঃ-   যে সকল প্রক্রিয়ায় বাহ্যিক প্রাকৃতিক শক্তির যেমন, নদনদী, হিমবাহ, বায়ুপ্রবাহ প্রভৃতির দ্বারা সঞ্চয়, অবক্ষেপণ ও অধঃক্ষেপণের মাধ্যমে ভূপৃষ্ঠের পলি, বালি প্রভৃতি সঞ্চিত হয়ে নতুন ভূমি গড়ে ওঠে, সেই প্রক্রিয়াকে আরোহণ বলে।

৯. শল্কমোচন বলতে কি বোঝ?
উত্তরঃ-   উষ্ণতার প্রসর বেশি হলে শিলাস্তরের বাইরের ও ভেতরের অংশের মধ্যে সংকোচন ও প্রসারণের তারতম্য ঘটে এবং শিলাই পিড়নের ফলে ফাটলের সৃষ্টি হয়। ফলে শিলার উপরের স্তর নিচের স্তর থেকে পেঁয়াজের খোসার মতো খুলে আসে, প্রাকৃতিক এই ঘটনাটিকেই শল্কমোচন বলে।

১০. ক্ষুদ্র কণা বিশরণ কাকে বলে?
উত্তরঃ-   মরুভূমি অঞ্চলে উষ্ণতার প্রবল তারতম্যের ফলে বিষম গুণসম্পন্ন শিলা গঠনকারী বিভিন্ন খনিজের সংশোধনকারী পদার্থের মধ্য দিয়ে ফাটল সৃষ্টি হয়ায় শিলা চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যাওয়াকে ক্ষুদ্র কণা বিশরণ বলে।

১১. রাসায়নিক আবহবিকারে শিলার কী কী পরিবর্তন ঘটে?
উত্তরঃ-   রাসায়নিক আবহবিকারের ফলে শিলাগঠনকারী খনিজের মৌলিক পরিবর্তন ঘটে এবং গৌণ খনিজে পরিণত হয়।

চুনাপাথরযুক্ত অঞ্চলে প্রাকৃতিক কার্বন ডাই অক্সাইডের রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে চুনাপাথর বিয়োজিত এবং ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে বিভিন্ন ভূমিরূপ গঠন করে। যেমন- স্ট্যালাকটাইট এবং স্ট্যালাকমাইট।

লৌহ মিশ্রিত খনিজের সঙ্গে বায়ুমণ্ডলের উপস্থিত অক্সিজেনের রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে লৌহ আকরিকটি গৌণ খনিজে পরিণত হয়।

জলযোজন প্রক্রিয়ায় শিলাগঠনকারী খনিজগুলি দৃঢ়সংবদ্ধ থাকেনা এবং সহজেই ক্ষয়প্রাপ্ত হয়।

১২.  আবহবিকার ও ক্ষয়ীভবন এর প্রধান তিনটি পার্থক্য লেখ।

উত্তরঃ-   আবহবিকার ও ক্ষয়ীভবন এর প্রধান তিনটি পার্থক্য হল –

প্রথমত, আবহবিকার হলো আবহাওয়ার বিভিন্ন উপাদান যেমন উষ্ণতা বৃষ্টিপাত প্রভৃতি দ্বারা শিলার নিজ স্থানে বিচূর্ণীভবন ও বিয়োজন ঘটার প্রক্রিয়া আর ক্ষয়ীভবন হলো প্রাকৃতিক শক্তির যেমন নদী হিমবাহ প্রভৃতি দ্বারা আবহবিকারপ্রাপ্ত অপসারণ হওয়ার প্রক্রিয়া।

দ্বিতীয়ত, আবহবিকার ক্ষয়ীভবনের উপর নির্ভর করে না কিন্তু ক্ষয়ীভবন আবহবিকার এর উপর নির্ভরশীল। 

তৃতীয়ত, আবহবিকার অত্যন্ত ধীর গতি সম্পন্ন ও স্থৈতিক প্রক্রিয়া আর ক্ষয়ীভবন দ্রুতগতিসম্পন্ন গতিশীল প্রক্রিয়া।

১৩. অঙ্কারযোজন বা কার্বনেশন কি? 
উত্তরঃ-   ক্যালসিয়াম কার্বনেট ঘটিত শিলার খনিজের সাথে কার্বন-ডাই-অক্সাইড  মিশ্রিত জলের রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে ক্যালসিয়াম বাই কার্বনেট উৎপন্ন হয়ার প্রক্রিয়াকে অঙ্গারযোজন বা কার্বনেশন বলে।

১৪. হিউমাস কাকে বলে?
উত্তরঃ-   উদ্ভিদ এবং প্রাণীর মৃত দেহ অবশেষ জৈব পদার্থ হিসেবে শিলা বা মৃত্তিকার উপরিভাগে সঞ্চিত হয়। ঐ সকল পদার্থ অতি সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম জিব দ্বারা পচন এবং বিয়োজনের মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়ে গারো বাদামি বা কালচে বর্ণের জটিল পদার্থের সৃষ্টি করে, একেই হিউমাস বলে।

১৫. ‘জৈব আবহবিকার একই সঙ্গে যান্ত্রিক ও রাসায়নিক’ – প্রমাণ করো।
উত্তরঃ-   উদ্ভিদ ও প্রাণী পরোক্ষভাবে শিলাস্তরে বিচূর্ণীভবন করে থাকে। জৈবিক আবহবিকার যান্ত্রিক ও রাসায়নিক আবহবিকারের বিশেষ রূপ।

জৈব-যান্ত্রিক আবহবিকার: শিলাস্তরের মধ্যে উদ্ভিদের শিকড় প্রবেশ করলে, শিলাস্তরে চাপের সৃষ্টি হয়, এবং শিলাসমুহ আস্তে আস্তে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যায়। কিছু প্রাণী যেমন – ইঁদুর, ছুঁচো, কেঁচো, খরগোশ প্রভৃতি শিলার মধ্যে গর্ত খুঁড়ে থাকে, এতে শিলাস্তর দুর্বল হয়ে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়।

জৈব-রাসায়নিক আবহবিকার: শিলাসমুহ প্রাণীর দ্বারা রাসায়নিকভাবে বিয়োজিত হয়ে থাকে। যেমন – মস, লাইকেন জাতীয় শৈবাল শিলার উপরিভাগে জন্মায়, বৃষ্টির জলের সংস্পর্শে এসে হিউমাস গঠন করে, তা থেকে হিউমিক অ্যাসিডের সৃষ্টি হয়, শিলার মধ্যে অবস্থিত খনিজ এই অ্যাসিডের সংস্পর্শে এলে বিয়োজিত হয় এবং শিলায় আবহবিকার ঘটে।

রচনাধর্মী বা বিশ্লেষণধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর (প্রতিটি প্রশ্নের মান ৫)


১. যান্ত্রিক আবহবিকারের বিভিন্ন পদ্ধতিগুলি সংক্ষেপে লেখ।

উত্তরঃ-   উষ্ণতা, বৃষ্টিপাত, তুষার, অভিকর্ষ, নদী, বায়ু, জীবজন্তু বা উদ্ভিদ প্রভৃতি নানা প্রাকৃতিক শক্তির প্রভাবে শিলাস্তর যখন ছোটো ছোটো খন্ড বা চূর্ণে পরিণত হয়ে মূল শিলার ওপর অবস্থান করে, এবং তার মধ্যে যখন কোনোরকম রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে না, তখন তাকে যান্ত্রিক আবহবিকার বলা হয়। 

তাপমাত্রার পরিবর্তনের জন্য ঘটা যান্ত্রিক আবহবিকারগুলি হল : পিন্ড বিশরন, শল্কমোচন, ক্ষুদ্রকণা বিশরণ; তুষারের দ্বারা তুহিন খন্ডীকরণ প্রভৃতি । এছাড়া জল এবং চাপ হ্রাসের ফলেও যান্ত্রিক আবহবিকার ঘটে থাকে ।

 যান্ত্রিক আবহবিকারের পদ্ধতি : যান্ত্রিক আবহবিকার ঘটাতে সূর্যের তাপ, বায়ুপ্রবাহ, তুষার প্রভৃতি প্রাকৃতিক শক্তি খুব সক্রিয় । বৃষ্টির জল যান্ত্রিকভাবে কিছু শিলা ক্ষয় করে । তবে রাসায়নিক আবহবিকারে বৃষ্টির জল মূখ্য ভুমিকা গ্রহন করে ।   

সুর্যতাপের প্রধান কাজ শিলা চূর্ণবিচূর্ণ করা । এর প্রভাবে প্রধানত তিনভাবে শিলা চূর্ণবিচূর্ণ হয়, যথা- 
(ক) খন্ডবিখন্ডিকরণ বা পিন্ড বিশরণ, 
(খ) গোলাকৃতি বিচূর্ণীভবন বা শল্কমোচন , 
(গ) ক্ষুদ্রকণা বিশরণ

    (ক) খন্ডবিখন্ডিকরণ বা পিন্ড বিশরণ : 
যান্ত্রিক আবহবিকারের বিভিন্ন পদ্ধতি গুলোর মধ্যে খন্ডবিখন্ডিকরণ বা পিন্ড বিশরণ  হল অন্যতম একটি পদ্ধতি । শিলা তাপের সুপরিবাহী নয়। এই জন্য মরু অঞ্চলের গাছপালা হীন উন্মুক্ত প্রান্তরে দিনে এবং রাত্রে শিলার ভিতরের ও বাইরের অংশের উষ্ণতার মধ্যে যথেষ্ট পার্থক্য ঘটে । ক্রমাগত উত্তাপে প্রসারিত ও ঠান্ডায় সংকুচিত হতে হতে শিলার সন্ধিস্থল গুলো আলগা হয়ে যায় এবং শিলাগাত্রে ফাটলের সৃষ্টি হয়। এই ফাটলগুলি কালক্রমে পরস্পরের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ভগ্ন স্তূপে পরিণত হয় । এই ভেঙে যাওয়া শিলার আকৃতি অনেকটা বর্গক্ষেত্র বা আয়তক্ষেত্রের মতো হয় বলে আবহবিকারের এই বিশেষ প্রক্রিয়াটিকে খন্ডবিখন্ডিকরণ বা পিন্ড-বিশরণ বলে।       

(খ) গোলাকৃতি বিচূর্ণীভবন বা শল্কমোচন :
 যান্ত্রিক আবহবিকারের বিভিন্ন পদ্ধতি গুলোর মধ্যে গোলাকৃতি বিচূর্ণীভবন বা শল্কমোচন  হল অন্যতম একটি পদ্ধতি । শিলাস্তর তাপের সুপরিবাহী না হওয়ার ফলে দিন ও রাতে শিলার ভিতরের ও বাইরের অংশের মধ্যে উষ্ণতার যথেষ্ট পার্থক্য ঘটে । উষ্ণতার এই তারতম্যের ফলে শিলাস্তরে ক্রমাগত প্রসারণ ও সংকোচন ঘটে । দীর্ঘদিন ধরে সংকোচন ও প্রসারণের ফলে শিলার ওপরের স্তর ওপরের দিকে প্রসারিত হয় । তখন ওপরের স্তর নীচের অপেক্ষাকৃত শীতল স্তর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পেঁয়াজের খোলার মতো খসে পড়ে। শিলার বাইরের অংশ এই ভাবে পেঁয়াজের খোসার মতো খুলে গেলে ভিতরের অংশটি কিছুটা গোলাকার ও মসৃণ শিলাখন্ডে পরিণত হয়। এইভাবে সৃষ্টি হওয়া প্রধান গোলাকার শিলাটিকে ‘অবশিষ্ট গণ্ড-শিলা’ বলে। শল্কমোচনের ফলে শিলাখন্ড গুলো অনেকটা গোলাকার হয়ে যায়, তাই বিচূর্ণীভবনের এই বিশেষ প্রক্রিয়াকে গোলাকৃতি বিচূর্ণীভবন বা শল্কমোচন  বলে। একই জাতীয় খনিজ পদার্থে গঠিত সমপ্রকৃতির শিলায় শল্কমোচন বেশি হয়। 

 (গ) ক্ষুদ্রকণা বিশরণ : 
যান্ত্রিক আবহবিকারের বিভিন্ন পদ্ধতি গুলোর মধ্যে ক্ষুদ্রকণা বিশরণ  হল অন্যতম একটি পদ্ধতি । যেসব শিলা বিভিন্ন রকমের খনিজ পদার্থে গঠিত, সেই সব বিষম গুণ সম্পন্ন ও বড় দানা যুক্ত শিলা গুলো ঠান্ডায় বা গরমে সমান ভাবে সংকুচিত বা প্রসারিত হতে পারে না। এরফলে শিলাস্তরের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন টানের সৃষ্টি হয় এবং তাতে শিলা সশব্দে ফেটে চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে যায়। উষ্ণতার তারতম্যের ফলে এইভাবে বিষম গুণসম্পন্ন শিলার চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যাওয়াকে ক্ষুদ্রকণা বিশরণ বলে।


২. রাসায়নিক আবহবিকারের বিভিন্ন পদ্ধতি গুলি আলোচনা করো।

উত্তরঃ-   যে আবহবিকারের মাধ্যমে শিলা গঠনকারী বিভিন্ন খনিজ পদার্থগুলির ওপর বায়ুমন্ডলের প্রধান উপাদান সমূহ বিশেষ করে অক্সিজেন (O2), কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO2), জ্বলীয় বাষ্প প্রভৃতির বিক্রিয়ার ফলে কঠিন শিলা বিয়োজিত হয় এবং মূল খনিজ পদার্থগুলো নতুন গৌণ খনিজে পরিণত হয়ে মূল শিলা শিথিল হয়ে পড়ে, তাকে রাসায়নিক আবহবিকার বলে। বৃষ্টিবহুল উষ্ণ অঞ্চলে রাসায়নিক আবহবিকারের প্রাধান্য বেশি পরিলক্ষিত হয়।

     রাসায়নিক আবহবিকারের বিভিন্ন পদ্ধতি গুলোর মধ্যে প্রধানত তিনটি যথা- 
(ক) অঙ্গারযোজন বা কার্বনিকরণ, 
(খ) জারণ, 
(গ) জলযোজন বা আর্দ্রকরণ  উল্লেখযোগ্য। 
এছাড়া রাসায়নিক আবহবিকারের অন্যান্য পদ্ধতি গুলোর মধ্যে দ্রবণ এবং আদ্র বিশ্লেষণ উল্লেখযোগ্য।

 (ক) কার্বনিকরণ : 
রাসায়নিক আবহবিকারের বিভিন্ন পদ্ধতি গুলোর মধ্যে অঙ্গারযোজন বা কার্বনিকরণ  হল অন্যতম একটি পদ্ধতি ।বিভিন্ন খনিজের সঙ্গে প্রাকৃতিক কার্বন ডাই-অক্সাইড(CO2) -এর রাসায়নিক সংযোগের ফলে যে বিক্রিয়া ঘটে তাতে শিলা বিয়োজিত হয় এবং মূল খনিজগুলো নতুন খনিজে পরিণত হয়ে সহজেই ক্ষয়প্রাপ্ত হয় । এই প্রক্রিয়াকে অঙ্গারযোজন বা কার্বনিকরণ বলে।  চুনাপাথর যুক্ত অঞ্চলে চুনাপাথর এই প্রক্রিয়ায় বিয়োজিত এবং ক্রমাগত ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে বিভিন্ন ভূমিরূপ গঠন করে। 

 (খ) জলযোজন বা আর্দ্রকরণ : 
রাসায়নিক আবহবিকারের বিভিন্ন পদ্ধতি গুলোর মধ্যে জলযোজন বা আদ্রকরণ অন্যতম একটি পদ্ধতি। শিলাস্তরের মধ্যে অবস্থিত কোনো খনিজ পদার্থের সঙ্গে জল যুক্ত হলে যে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে তার ফলে খনিজ পদার্থটির আয়তন বৃদ্ধি পায় এবং রাসায়নিক ধর্মের পরিবর্তন হয়ে খনিজটি বিয়োজিত হয় । এই প্রক্রিয়াকে জলযোজন বা আর্দ্রকরণ বলে। উৎকৃষ্ট লৌহ আকরিক ‘হেমাটাইট’ পাথরের সঙ্গে জলযুক্ত হলে যে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে, তার ফলে ‘লিমোনাইট’  নামে নিকৃষ্ট লোহার সৃষ্টি হয়, যা অতি সহজেই ক্ষয়প্রাপ্ত হয়।

 (গ) জারণ : 
রাসায়নিক আবহবিকারের বিভিন্ন পদ্ধতি গুলোর মধ্যে জারণ  হল অন্যতম একটি পদ্ধতি। খনিজের সঙ্গে রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় অক্সিজেন (O2) মিশলে তাকে জারণ  বলে। লোহা যখন ফেরাস অক্সাইড রূপে অবস্থান করে তা সহজে ক্ষয়প্রাপ্ত হয় না, কিন্তু লোহার সঙ্গে বাতাসের অক্সিজেন যুক্ত হলে লোহার উপরিভাগে হলুদ বা বাদামি রঙের একটি নতুন যৌগ পদার্থ তৈরি হয় এবং লোহা খুব সহজেই ক্ষয় পায়।

৩. অক্সিডেশন বা জারণ প্রক্রিয়ায় শিলা কিভাবে বিয়োজিত হয় উদাহরণসহ লেখো।

উত্তরঃ-   পদ্ধতি: লৌহ মিশ্রিত খনিজের সঙ্গে বায়ুমণ্ডলের উপস্থিত অক্সিজেনের রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে অক্সিডেশন বা জারণ ঘটে।

লৌহ আকরিকে অবস্থিত লোহা ‘ফেরাস অক্সাইড’ হিসেবে অবস্থান করে, যার মৌলিক গঠন সহজে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়না। কিন্ত জারণ পদ্ধতিতে, বাতাসের অক্সিজেনের সংস্পর্শে এসে মূল খনিজ লোহা ‘ফেরিক অক্সাইডে’ পরিণত হয়ে লিমোনাইট সৃষ্টি করে যা সহজেই ভেঙে যায়, এরফলে লৌহ আকরিকটি বিয়োজিত হয়ে গৌণ খনিজে পরিণত হয় এবং আবহবিকারপ্রাপ্ত হয়।

বিক্রিয়া: 4FeO (লোহা) + 2H2O (জল) + O2 (অক্সিজেন) = 2Fe2O3,3H2O (লিমোনাইট)

উদাহরণ: শিলায় মরচে পড়া হল জারণ প্রক্রিয়ার অন্যতম উদাহরণ। শিলা গঠনকারী লৌহযুক্ত খনিজের সঙ্গে বাতাসে উপস্থিত অক্সিজেন ও জলের রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে শিলায় মরচে পরে। লোহা ফেরাস অক্সাইড থেকে ফেরিক অক্সাইডে জারিত হলে, শিলার ওপর বাদামি রঙের মরচের আস্তরণ পরে।

নবম শ্রেণীর ভূগোল সকল অধ্যায় পড়ার জন্য নিচের লিংকে ক্লিক করো ( Class 9 Geography All Chapters' Questions and Answers Here WBBSE)

  1. নবম শ্রেণীর ভূগোল – গ্রহরূপে পৃথিবী (প্রথম অধ্যায়) Click Here
  2. নবম শ্রেণীর ভূগোল – পৃথিবীর গতিসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) Click Here
  3. নবম শ্রেণীর ভূগোল – পৃথিবীপৃষ্ঠের কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয় (তৃতীয় অধ্যায়) Click Here
  4. নবম শ্রেণীর ভূগোল – ভূমিরূপ গঠনকারী প্রক্রিয়া ও পৃথিবীর বিভিন্ন ভূমিরূপ (চতুর্থ অধ্যায়) Click Here
  5. নবম শ্রেণীর ভূগোল – আবহবিকার (পঞ্চম অধ্যায়) Click Here
  6. নবম শ্রেণীর ভূগোল – দুর্যোগ ও বিপর্যয় (ষষ্ঠ অধ্যায়) Click Here
  7. নবম শ্রেণীর ভূগোল – ভারতের সম্পদ (সপ্তম অধ্যায়) Click Here
  8. নবম শ্রেণীর ভূগোল – পশ্চিমবঙ্গ (অষ্টম অধ্যায়) Click Here
  9. নবম শ্রেণীর ভূগোল – মানচিত্র ও স্কেল (নবম অধ্যায়) Click Here


Related searches
নবম শ্রেণির ভূগোল প্রশ্ন উত্তর 2023 / ক্লাস 9 ভূগোল অধ্যায় 1 প্রশ্ন এবং উত্তর / নবম শ্রেণীর প্রশ্ন উত্তর ভূগোল / নবম শ্রেণির ভূগোল প্রশ্ন উত্তর তৃতীয় অধ্যায় / নবম শ্রেণির ভূগোল প্রশ্ন উত্তর চতুর্থ অধ্যায় / নবম শ্রেণীর ভূগোল পঞ্চম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর / নবম শ্রেণীর ভূগোল দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর / নবম শ্রেণির ভূগোল প্রশ্ন উত্তর আবহবিকার / Abohobikar / Weathering/ নবম শ্রেণির ভূগোল প্রশ্ন উত্তর 2023 / নবম শ্রেণীর ভূগোল দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর / নবম শ্রেণীর প্রশ্ন উত্তর ভূগোল / নবম শ্রেণির ভূগোল প্রশ্ন উত্তর দশম অধ্যায় / নবম শ্রেণীর ভূগোল বই pdf / নবম শ্রেণির ভূগোল প্রশ্ন উত্তর তৃতীয় অধ্যায় / নবম শ্রেণির ভূগোল প্রশ্ন উত্তর পঞ্চম অধ্যায় / নবম শ্রেণির ভূগোল বই

Some Information about this article  : 

WBBSE Class 9th Geography Question and Answer  | West Bengal West Bengal class Nine IX (Class 9th) Geography Qustions and Answers with Suggestion 

নবম শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন প্রশ্ন ও উত্তর   
” নবম শ্রেণীর  ভূগোল – প্রশ্ন উত্তর  “ সমস্ত অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর নবম শ্রেণীর পরীক্ষা (West Bengal class Nine IX  / WB Class 9  / WBBSE / Class 9  Exam / West Bengal Board of Secondary Education – WB Class 9 Exam / Class 9 Class 9th / WB Class IX / Class 9 Pariksha  ) এখান থেকে প্রশ্ন অবশ্যম্ভাবী । সে কথা মাথায় রেখে geographybd.in এর পক্ষ থেকে নবম শ্রেণীর ভূগোল পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং প্রশ্ন ও উত্তর (Class 9 Geography Suggestion / Class 9 Geography Question and Answer / Class IX Geography Suggestion / Class 9 Pariksha Geography Suggestion  / Geography Class 9 Exam Guide  / Class 9th Geography MCQ , Short , Descriptive  Type Question and Answer  / Class 9 Geography Suggestion  FREE PDF Download) উপস্থাপনের প্রচেষ্টা করা হলাে। ছাত্রছাত্রী, পরীক্ষার্থীদের উপকারেলাগলে, আমাদের প্রয়াস নবম শ্রেণীর ভূগোল পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং প্রশ্ন ও উত্তর (Class 9 Geography Suggestion / West Bengal Six IX Question and Answer, Suggestion / WBBSE Class 9th Geography Suggestion  / Class 9 Geography Question and Answer  / Class IX Geography Suggestion  / Class 9 Pariksha Suggestion  / Class 9 Geography Exam Guide  / Class 9 Geography Suggestion 2021 , 2022, 2023, 2024, 2025 / Class 9 Geography Suggestion  MCQ , Short , Descriptive  Type Question and Answer. / Class 9 Geography Suggestion  FREE PDF Download) সফল হবে।

নবম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর

নবম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Class 9 Geography Question and Answer Suggestion  নবম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর।

নবম শ্রেণীর ভূগোল MCQ প্রশ্ন ও উত্তর

নবম শ্রেণীর ভূগোল MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | Class 9 Geography MCQ or Multiple Choice Question and Answer |  নবম শ্রেণীর ভূগোল MCQ প্রশ্ন উত্তর।

নবম শ্রেণীর ভূগোল SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | নবম শ্রেণির ভূগোল

নবম শ্রেণীর ভূগোল SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | Class 9 Geography Short Question and Answer |  নবম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর  – SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর।

নবম শ্রেণীর ভূগোল DTQ বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | ষষ্ঠ শ্রেণী ভূগোল

নবম শ্রেণীর ভূগোল – DTQ বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর | Class 9 Geography Suggestion  নবম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর  – DTQ বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর।

পশ্চিমবঙ্গ নবম শ্রেণির ভূগোল  – প্রশ্ন উত্তর | West Bengal Class 9th Geography

নবম শ্রেণীর ভূগোল (Class 9 Geography) – – প্রশ্ন ও উত্তর | | Class 9 Geography Suggestion  নবম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর  – প্রশ্ন উত্তর ।

নবম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর  | ষষ্ঠ শ্রেণি ভূগোল | WB Class 9 Geography Question and Answer, Suggestion 

নবম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – | নবম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – | পশ্চিমবঙ্গ নবম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – | নবম শ্রেণীর ভূগোল সহায়ক প্রশ্ন ও উত্তর । WB Class 9 Geography Question and Answer, Suggestion | WBBSE Class 9th Geography Suggestion  | WB Class 9 Geography Question and Answer Notes  | West Bengal WB Class 9th Geography Question and Answer Suggestion. 

নবম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | WBBSE Class 9 Geography Question and Answer, Suggestion 

নবম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Class 9 Geography Suggestion. নবম শ্রেণীর ভূগোল সহায়ক প্রশ্ন ও উত্তর । Class 9 Geography Question and Answer, Suggestion.

Class 9 Geography Question and Answer Suggestions  | নবম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | ষষ্ঠ শ্রেণি ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর

Class 9 Geography Question and Answer  নবম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – নবম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর  Class 9 Geography Question and Answer নবম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – MCQ, সংক্ষিপ্ত, রোচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর  । 

WBBSE Class 9th Geography Suggestion  | নবম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর

WBBSE Class 9th Geography Suggestion নবম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর । WBBSE Class 9th Geography Suggestion  নবম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর।

West Bengal Class 9  Geography Suggestion  Download. WBBSE Class 9th Geography short question suggestion  . Class 9 Geography Suggestion   download. Class 9th Question Paper  Geography. WB Class 9  Geography suggestion and important question and answer. Class 9 Suggestion pdf.

পশ্চিমবঙ্গ নবম শ্রেণীর  ভূগোল পরীক্ষার সম্ভাব্য সাজেশন ও শেষ মুহূর্তের প্রশ্ন ও উত্তর ডাউনলোড। নবম শ্রেণীর ভূগোল পরীক্ষার জন্য সমস্ত রকম গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর।

Get the WBBSE Class 9th Geography Question and Answer by geographybd.in

WBBSE Class 9th Geography Question and Answer prepared by expert subject teachers. WB Class 9  Geography Suggestion with 100% Common in the Examination .

Class 9th Geography Syllabus

West Bengal Board of Secondary Education (WBBSE) Class 9th Geography Syllabus with all the important chapters and marks distribution. Download the Class 9th Geography Syllabus and Question Paper. Questions on the Geography exam will come from these chapters. All the chapters are equally important, so read them carefully.

WB Class 9th Geography Syllabus Free Download Link Click Here 

Class 9th Nine IX Geography Suggestion | West Bengal WBBSE Class 9 Exam 
Class 9 Geography Question and Answer, Suggestion Download PDF: WBBSE Class 9th Nine IX Geography Suggestion  is proIXded here. West Bengal Class 9th Geography Suggestion Questions Answers PDF Download Link in Free has been given below. 

নবম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | WBBSE Class 9th Geography

আশাকরি তোমাদের নবম ক্লাসের আবহবিকার / Abohobikar অধ্যায় থেকে সকল প্রশ্ন ও উত্তর কমপ্লিট হয়েছে। আমরা আমাদের সর্বাঙ্গীণ প্রচেষ্টা করেছি তোমাদের এই নবম শ্রেণীর আবহবিকার / Abohobikar অধ্যায় থেকে সব প্রশ্ন উত্তর দেওয়ার জন্য, এখন কাজ হল তোমাদের বাড়িতে পড়ার । পড়তে থাকো , প্র্যাকটিস করতে থাকো, প্র্যাকটিস মানুষকে উত্তম করে তোলে। যত পড়বে তত শিখবে, ততই জ্ঞানী হবে। 

তোমাদের নবম ক্লাসের  আবহবিকার / Abohobikar অধ্যায়ের প্রাকটিসের জন্য আমাদের কুইজে অংশগ্রহণ করতে পারো, সম্পূর্ণ ফ্রিতে, নিচে লিঙ্ক দেওয়া আছে কুইজে অংশ নিতে পারো।

ক্লাস নবম এর অন্যান্য অধ্যায় গুলি সম্পর্কে আরও পড়তে চাইলে নিচে অধ্যায় অনুযায়ী লিঙ্ক দেওয়া আছে, লিঙ্কে ক্লিক করে ক্লাস নবম এর অন্য অধ্যায় গুলি পড়ে নাও। আমাদের পরিসেবা তোমাদের ভালো লাগলে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি ফলো করতে পারো।

Post a Comment

0 Comments

Top Post Ad

Below Post Ad