Type Here to Get Search Results !

দশম শ্রেণী ইতিহাস - (দ্বিতীয় অধ্যায়) সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা প্রশ্ন উত্তর | WBBSE Madhyamik History Chapter 2 Songoskar Boisisto O Porjalochona Question and Answer

মাধ্যমিক ইতিহাস – "সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা / Songoskar Boisisto O Porjalochona" (দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History Chapter 2 Question and Answer 

দশম  শ্রেণীর ইতিহাস – সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা (দ্বিতীয় অধ্যায়) - WBBSE Class 10 Madhyamik History Chapter 2 Question and Answer 

দশম শ্রেণীর ইতিহাস সাজেশন – সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা / Songoskar Boisisto O Porjalochona – সমস্ত প্রশ্ন উত্তর | সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা / Songoskar Boisisto O Porjalochona অধ্যায়ের সাজেশন প্রশ্ন উত্তর | 
WBBSE Class 10 Madhyamik History Chapter 2 Question and Answer | WBBSE Class 10th History Suggestion PDF | Madhyamik History Suggestion Chapter 2 | সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা / Songoskar Boisisto O Porjalochona (দ্বিতীয় অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর

West Bengal  Class 10 / WBBSE Madhyamik History Solution Chapter 2

West Bengal  Board Class 10 / WBBSE Madhyamik History (ইতিহাস) Textbook Solution Chapter 2 সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা / Songoskar Boisisto O Porjalochona Question Answers by WBBSE Expert Teacher. West Bengal Board Class 10 / WBBSE Madhyamik History Solution Chapter 2. Madhyamik History Songoskar Boisisto O Porjalochona Question and Answer Mock Test. 

500+ দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর / সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা / Songoskar Boisisto O Porjalochona (দ্বিতীয় অধ্যায়) MCQ, সংক্ষিপ্ত, অতি সংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর | দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – West Bengal Class 10 / Madhyamikth History Question and Answer

হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছো তোমরা ? আশাকরি তোমরা খুব ভালো আছো । আজকে আমরা আলোচনা করবো তোমাদের দশম ক্লাসের দ্বিতীয় অধ্যায় সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা সম্পর্কে । এই দ্বিতীয় অধ্যায়টি তোমাদের পরীক্ষার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ তাই দ্বিতীয় অধ্যায় এর সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আমরা এই লিখাটির মাধ্যমে দশম শ্রেণীর  দ্বিতীয় অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর, এই সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা অধ্যায়ের সাজেশন , কিকরে এই অধ্যায় থেকে উত্তর লিখতে হয়। দশম শ্রেণীর সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা অধ্যায় থেকে কিভাবে পড়বে সবকিছুই আলোচনা করবো। 

দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | WBBSE Class 10 / Madhyamikth History Question and Answer / দশম শ্রেণীর ইতিহাস – সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা / Songoskar Boisisto O Porjalochona (দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Class 10 / Madhyamik History / দশম শ্রেণীর ইতিহাস – দ্বিতীয় অধ্যায় "সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা / Songoskar Boisisto O Porjalochona" প্রশ্ন ও উত্তর | WBBSE Class 10 / Madhyamikth History Question and Answer / দশম শ্রেণীর ইতিহাস (দ্বিতীয় অধ্যায়) সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা / Songoskar Boisisto O Porjalochona প্রশ্ন উত্তর (MCQ, SAQ, LAQ)/Class 10 / Madhyamik History Second chapter questions and Answers (MCQ, SAQ, LAQ) / দশম শ্রেণীর আমাদের পৃথিবী দ্বিতীয় অধ্যায় সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা / Songoskar Boisisto O Porjalochona | Class Ten / Madhyamik Amader Prithibi / দশম শ্রেণীর ইতিহাস – সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা / Songoskar Boisisto O Porjalochona (দ্বিতীয় অধ্যায়)

সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা / Songoskar Boisisto O Porjalochona (দ্বিতীয় অধ্যায়) MCQ, সংক্ষিপ্ত, অতি সংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর | দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – West Bengal Class 10 / Madhyamikth History Question and Answer
দশম শ্রেণী ইতিহাস - (দ্বিতীয় অধ্যায়) সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা প্রশ্ন উত্তর | WBBSE Madhyamik History Chapter 2 Songoskar Boisisto O Porjalochona Question and Answer

দশম শ্রেণীর ইতিহাস – সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা / Songoskar Boisisto O Porjalochona (দ্বিতীয় অধ্যায়) সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো । WBBSE Class 10 / Madhyamikth History 2nd Chapter MCQ Questions and Answers | Madhyamik History Songoskar Boisisto O Porjalochona MCQ Question and Answer

সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো | MCQ Questions and Answers (Class Ten / Madhyamik History Second chapter)

সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো ; প্রতিটি প্রশ্নের মান -১

১. ‘হিন্দু প্যাট্রিয়ট’ পত্রিকার প্রথম প্রকাশ ঘটে-
(ক) ১৮১৩ খ্রিস্টাব্দে 
(খ) ১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দে 
(গ) ১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দে 
(ঘ) ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দে
উত্তরঃ-   (খ) ১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দে।

২. ‘হিন্দু প্যাট্রিয়ট’ পত্রিকার প্রথম সম্পাদক ছিলেন-
(ক) গিরিশচন্দ্র ঘোষ 
(খ) হরিশচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় 
(গ) ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় 
(ঘ) উমেশচন্দ্র দত্ত
উত্তরঃ-   (ক) গিরিশচন্দ্র ঘোষ।

৩. ভারতের প্রথম সংবাদপত্র হল –
(A) বেঙ্গল গেজেট 
(B) সমাচার দর্পণ
(C) হিন্দু প্যাট্রিয়ট
(D) বামাবোধিনী 
উত্তরঃ-  (A) বেঙ্গল গেজেট

৪. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত ‘ বঙ্গদর্শন ‘ পত্রিকাটি ছিল – 
(A) সাপ্তাহিক পত্রিকা
(B) মাসিক পত্রিকা 
(C) পাক্ষিক পত্রিকা 
(D) পাক্ষিক পত্রিকা 
উত্তরঃ-  (B) মাসিক পত্রিকা

৫. ভারতের প্রথম জাতীয় পত্রিকাটি হল –
(A) সমাচার দর্পণ 
(B) হিন্দু প্যাট্রিয়ট 
(C) সোমপ্রকাশ
(D) বেঙ্গল গেজেট
উত্তরঃ-  (B) হিন্দু প্যাট্রিয়ট

৬. ‘সংবাদ প্রভাকর’ সংবাদপত্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন-
(ক) ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় 
(খ) ঈশ্বরীপ্রসাদ বসু 
(গ) ঈশ্বর রায়চৌধুরী 
(ঘ) ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
উত্তরঃ-   (ঘ) ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত।

৭. গ্রামীণ সংবাদপত্রের জনক বলা হয়-
(ক) সোমপ্রকাশকে 
(খ) গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকাকে 
(গ) হিন্দু প্যাট্রিয়টকে 
(ঘ) অমৃত বাজার পত্রিকাকে
উত্তরঃ-   (খ) গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকাকে।

৮. ভারতের প্রথম বাঙালি সংবাদপত্র প্রকাশক ছিলেন – 
(A) বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় 
(B) গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য
(C) হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় 
(D) অক্ষয়কুমার দত্ত
উত্তরঃ-  (B) গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য

৯. ‘সোমপ্রকাশ ‘ নামক সংবাদপত্র প্রথম প্রকাশিত হয় –
(A) ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে
(B) ১৮৬২ খ্রিস্টাব্দে
(C) ১৮৬০ খ্রিস্টাব্দে
(D) ১৮৬৪ খ্রিস্টাব্দে
উত্তরঃ-  (A) ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে

১০. ‘সোমপ্রকাশ ‘ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন –
(A) দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ
(B) বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
(C) দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর
(D) রাধাকান্ত দেব
উত্তরঃ-  (A) দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ

১১. ‘গ্রামবার্তা প্রকাশিকা’ প্রথমবার প্রকাশিত হয়।-
(ক) ১৮২০ খ্রিস্টাব্দে 
(খ) ১৮৩৩ খ্রিস্টাব্দে 
(গ) ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দে 
(ঘ) ১৮৭৩ খ্রিস্টাব্দে
উত্তরঃ-   (গ) ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দে।

১২. ‘হুতোমপ্যাঁচা’ কার ছদ্মনাম?
(ক) শিশিরকুমার ঘোষের (
খ) উমেশচন্দ্র দত্তের 
(গ) কালীপ্রসন্ন সিংহের 
(ঘ) অমৃতলাল বসুর
উত্তরঃ-   (গ) কালীপ্রসন্ন সিংহের।

১৩. হিকির বেঙ্গল গেজেট প্রকাশিত হয়— 
(A) ১৭৮০ খ্রিস্টাব্দে
(B) ১৭৮৪ খ্রিস্টাব্দে
(C) ১৭৮২ খ্রিস্টাব্দে
(D) ১৭৮৬ খ্রিস্টাব্দে
উত্তরঃ-  (A) ১৭৮০ খ্রিস্টাব্দে

১৪. প্রথম বাংলা সাময়িক পত্রিকার নাম হল –
(A) বেঙ্গল গেজেট 
(B) দিগদর্শন
(C) সম্বাদ কৌমুদী
(D) প্রভাকর
উত্তরঃ-  (B) দিগদর্শন

১৫. ‘ দিগদর্শন ‘ প্রকাশ করেন –
(A) তারাচাঁদ দত্ত
(B) কালিপ্রসাদ ঘোষ
(C) ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়
(D) জে মার্শম্যান
উত্তরঃ-  (D) জে মার্শম্যান

১৬. ‘ বামাবোধিনী পত্রিকা ‘ প্রকাশিত হয় –
(A) ১৮৬০ খ্রিস্টাব্দে 
(B) ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দে
(C) ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দে
(D) ১৮৬৪ খ্রিস্টাব্দে
উত্তরঃ-  (B) ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দে

১৭. ‘হুতোমপ্যাঁচার নক্সা’ রচনা করেন-
(ক) শিশিরকুমার ঘোষ 
(খ) উমেশচন্দ্র দত্তের 
(গ) কালীপ্রসন্ন সিংহ 
(ঘ) অমৃতলাল বসু
উত্তরঃ-   (গ) কালীপ্রসন্ন সিংহ।

১৮.  দীনবন্ধু মিত্রের ‘নীলদর্পণ’ হল একটি-
(ক) পত্রিকা 
(খ) কাব্যগ্রন্থ 
(গ) কবিতা 
(ঘ) নাটক
উত্তরঃ-   (ঘ) নাটক।

১৯. বামাবোধিনী পত্রিকা’র সম্পাদক ছিলেন –
(A) উমেশচন্দ্র দত্ত 
(B) কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার
(C) শিশির কুমার ঘোষ 
(D) দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ
উত্তরঃ-  (A) উমেশচন্দ্র দত্ত

২০. ‘ বামাবোধিনী পত্রিকা ‘ ছিল –
(A) দৈনিক পত ্রিকা
(B) মাসিক পত্রিকা
(C) সাপ্তাহিক পত্রিকা
(D) ত্রৈমাসিক পত্রিকা
উত্তরঃ-  (B) মাসিক পত্রিকা

২১. নীলদর্পণ নাটককে ‘ আঙ্কল টমস কেবিন ‘ – এর সঙ্গে তুলনা করেছিলেন— 
(A) নবগোপাল মিত্র
(B) শিশির কুমার ঘোষ 
(C) দীনবন্ধু মিত্র
(D) বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
উত্তরঃ-  (D) বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

২২. ‘নীলদর্পণ’ প্রথমবার প্রকাশিত হয়-
(ক) ১৮৬০ খ্রিস্টাব্দে 
(খ) ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দে 
(গ) ১৮৮০ খ্রিস্টাব্দে 
(ঘ) ১৮৯০ খ্রিস্টাব্দে
উত্তরঃ-   (ক) ১৮৬০ খ্রিস্টাব্দে।

২৩. সূচনাকালে ‘হিন্দু প্যাট্রিয়ট’ ছিল একটি-
(ক) দৈনিক পত্রিকা 
(খ) সাপ্তাহিক পত্রিকা
(গ) পাক্ষিক পত্রিকা  
(ঘ) মাসিক পত্রিকা
উত্তরঃ-   (খ) সাপ্তাহিক পত্রিকা।

নীলদর্পণ নাটকের প্রথম অভিনয় হয় –
(A) ১৮৬০ খ্রিস্টাব্দে 
(B) ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দে
(C) ১৮৬২ খ্রিস্টাব্দে
(D) ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে
উত্তরঃ-  (B) ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দে

২৪. ‘গ্রামবার্তা প্রকাশিকা’র মোট যে ক’ভাগ প্রকাশিত হয়েছিল । 
(A) ১৭ ভাগ
(B) ১৯ ভাগ 
(C) ৫০ ভাগ 
(D) ৭১ ভাগ
উত্তরঃ-  (B) ১৯ ভাগ

২৫. ‘গ্রামবার্তা প্রকাশিকা ‘ পত্রিকার প্রথম সম্পাদক ছিলেন – 
(A) হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় 
(B) হরিনাথ মজুমদার 
(C) গিরিশচন্দ্র ঘোষ 
(D) মধুসূদন দত্ত
উত্তরঃ-  (B) হরিনাথ মজুমদার

২৬. ন্যাশনাল থিয়েটারের প্রতিষ্ঠা হয়-
(ক) ১৮৩২ খ্রিস্টাব্দে
(খ) ১৮৫২ খ্রিস্টাব্দে 
 (গ) ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দে 
(ঘ) ১৮৯২ খ্রিস্টাব্দে
উত্তরঃ-   (গ) ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দে।

২৭. ‘নীলদর্পণ’-এর ইংরেজি অনুবাদটি প্রকাশিত হয় যার নামে তিনি হলেন-
(ক) দীনবন্ধু মিত্র 
(খ) মাইকেল মধুসূদন দত্ত 
(গ) গিরিশচন্দ্র ঘোষ 
(ঘ) রেভারেন্ড জেমস লং
উত্তরঃ-   (ঘ) রেভারেন্ড জেমস লং।

২৮. ‘ গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা’র সম্পাদক ছিলেন –
(A) দীনবন্ধু মিত্র 
(B) মধুসূদন দত্ত
(C) হরিশচন্দ্র মুখার্জি
(D) এদের কেউ নন  
উত্তরঃ-  (D) এদের কেউ নন

২৯.। এশিয়াটিক সোসাইটি যে বছর প্রতিষ্ঠিত হয় –
(A) ১৭৭৪ খ্রিস্টাব্দে 
(B) ১৭৯৮ খ্রিস্টাব্দে 
(C) ১৭৮৪ খ্রিস্টাব্দে 
(D) ১৮৭৪ খ্রিস্টাব্দে 
উত্তরঃ-  (C) ১৭৮৪ খ্রিস্টাব্দে

৩০. ‘ জেনারেল কমিটি অফ পাবলিক ইনস্ট্রাকশন ‘ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল অথবা , সাধারণ জনশিক্ষা কমিটি গঠিত হয় –
(A) ১৭১৩ খ্রিস্টাব্দে 
(B) ১৮১৩ খ্রিস্টাব্দে
(C) ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে 
(D) ১৮২৩ খ্রিস্টাব্দে 
উত্তরঃ-  (D) ১৮২৩ খ্রিস্টাব্দে

৩১. ‘জনশিক্ষা কমিটি’ বা ‘কমিটি অব পাবলিক ইনস্ট্রাকশন’ গঠিত হয়-
(ক) ১৮১৩ খ্রিস্টাব্দে
 (খ) ১৮২৩ খ্রিস্টাব্দে 
(গ) ১৮৩৩ খ্রিস্টাব্দে 
(ঘ) ১৮৪৩ খ্রিস্টাব্দে
উত্তরঃ-   (খ) ১৮২৩ খ্রিস্টাব্দে।

৩২. জনশিক্ষা কমিটির সভাপতি ছিলেন-
(ক) টমাস মেকলে 
(খ) উইলিয়াম জোনস 
(গ) কোলব্রুক 
(ঘ) ডেভিড ড্রামন্ড
উত্তরঃ-   (ক) টমাস মেকলে।

৩৩. কলকাতা সংস্কৃত কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়— 
(A) ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে 
(B) ১৮২৪ খ্রিস্টাব্দে
(C) ১৮২০ খ্রিস্টাব্দে
(D) ১৮২৬ খ্রিস্টাব্দে
উত্তরঃ-  (B) ১৮২৪ খ্রিস্টাব্দে

হিন্দু কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয় –
(A) ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে 
(B) ১৮৩৮ খ্রিস্টাব্দে
(C) ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দে
(D) ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে 
উত্তরঃ-  (C) ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দে

৩৪. হিন্দু কলেজ বর্তমান যে নামে পরিচিত –
(A) সেন্ট জেভিয়ার্স
(B) স্কটিশচার্চ কলেজ 
(C) প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় 
(D) প্রেসিডেন্সি কলেজ
উত্তরঃ-  (C) প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়

৩৫. মেকলে মিনিট প্রকাশিত হয়-
(ক) ১৮০৫ খ্রিস্টাব্দে 
(খ) ১৮২০ খ্রিস্টাব্দে
(গ) ১৮৩২ খ্রিস্টাব্দে 
(ঘ) ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দে
উত্তরঃ-   (ঘ) ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দে।

৩৬. ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষার ‘ম্যাগনাকার্টা’ বলা হয়-
(ক) মেকলে মিনিটকে 
(খ) উডের ডেসপ্যাচকে 
(গ) চুঁইয়ে পড়া নীতিকে 
(ঘ) অকল্যান্ড মিনিটকে
উত্তরঃ-   (খ) উডের ডেসপ্যাচকে।

৩৭. ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষার নীতি গৃহীত হয় –
(A) ১৮২৪ খ্রিস্টাব্দে
(B) ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দে
(C) ১৮১৩ খ্রিস্টাব্দে
(D) ১৮২৩ খ্রিস্টাব্দে
উত্তরঃ-  A) ১৮২৪ খ্রিস্টাব্দে

৩৮. পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন –
(A) রামমোহন রায় 
(B) জেমস প্রিন্সেপ 
(C) লর্ড মেকলে
(D) লর্ড বেন্টিঙ্ক 
উত্তরঃ-  (A) রামমোহন রায়

৩৯. ‘ উডের ডেসপ্যাচ ‘ প্রকাশিত হয় –
(A) ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দে 
(B) ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে 
(C) ১৮৫৪ খ্রিস্টাব্দে 
(D) ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দে 
উত্তরঃ-  A) ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দে

৪০. ভারতে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য শিক্ষা বিষয়ক দ্বন্দ্বের অবসান ঘটে-
(ক) চুঁইয়ে পড়া নীতির দ্বারা 
(খ) উডের ডেসপ্যাচ দ্বারা 
(গ) জনশিক্ষা কমিটির দ্বারা 
(ঘ) মেকলে মিনিট দ্বারা
উত্তরঃ-   (ঘ) মেকলে মিনিট দ্বারা।

৪১. ‘ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ’ প্রতিষ্ঠিত হয়-
(ক) ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে 
(খ) ১৮২০ খ্রিস্টাব্দে 
(গ) ১৮২৫ খ্রিস্টাব্দে 
(ঘ) ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দে
উত্তরঃ-   (ক) ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে।

৪২. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কলকাতার যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ছিলেন , সেটি হল –
(A) কলকাতা মাদ্রাসা 
(B) সংস্কৃত কলেজ 
(C) হুগলি কলেজ
(D) হিন্দু কলেজ
উত্তরঃ-  (B) সংস্কৃত কলেজ

৪৩. জেনারেল অ্যাসেম্বলিজ ইন্সটিটিউশন বর্তমানে যে নামে পরিচিত –
(A) প্রেসিডেন্সি কলেজ 
(B) স্কটিশ চার্চ কলেজ 
(C) সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ
(D) বিদ্যাসাগর কলেজ 
উত্তরঃ-  (B) স্কটিশ চার্চ কলেজ

৪৪. ‘ ক্যালকাটা ফিমেল স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয় –
(A) ১৮২৬ খ্রিস্টাব্দে 
(B) ১৮৪৯ খ্রিস্টাব্দে 
(C) ১৮৪৭ খ্রিস্টাব্দে 
(D) ১৮৫১ খ্রিস্টাব্দে 
উত্তরঃ-  (B) ১৮৪৯ খ্রিস্টাব্দে

৪৫. ‘হিন্দু কলেজ’ প্রতিষ্ঠিত হয়-
(ক) ১৮১১ খ্রিস্টাব্দে 
(খ) ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দে 
(গ) ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে 
(ঘ) ১৮২০ খ্রিস্টাব্দে
উত্তরঃ-   (গ) ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে।

৪৬. ‘কলকাতা স্কুল বুক সোসাইটি’ গঠিত হয়-
(ক) ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে 
(খ) ১৮২৮ খ্রিস্টাব্দে 
(গ) ১৮৪১ খ্রিস্টাব্দে
(ঘ) ১৮৪৯ খ্রিস্টাব্দে 
উত্তরঃ-   (গ) ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে।

৪৭. ক্যালকাটা ফিমেল স্কুল যখন থেকে বেথুন স্কুল নামে পরিচিত হয় – 
(A) ১৮৬২ খ্রিস্টাব্দে
(B) ১৮৫১ খ্রিস্টাব্দে
(C) ১৮৬০ খ্রিস্টাব্দে 
(D) ১৮৬৪ খ্রিস্টাব্দে
উত্তরঃ-  (B) ১৮৫১ খ্রিস্টাব্দে

৪৮. বেথুন স্কুল বেথুন কলেজে উন্নীত হয়—
(A) ১৮৪৯ খ্রিস্টাব্দে 
(B) ১৮৬০ খ্রিস্টাব্দে 
(C) ১৮৫০ খ্রিস্টাব্দে 
(D) ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে 
উত্তরঃ-  (D) ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে

৪৯. ক্যালকাটা স্কুল বুক সোসাইটি’ র প্রথম সম্পাদক ছিলেন— 
(A) রাজা রামমোহন রায় 
(B) রাজা রাধাকান্ত দেব
(C) উইলিয়াম কেরি 
(D) এঁদের কেউ নন
উত্তরঃ-  B) রাজা রাধাকান্ত দেব

‘হিন্দু কলেজের বর্তমান নাম কী-
(ক) স্কটিশচার্চ কলেজ 
(খ) বেথুন কলেজ 
(গ) প্রেসিডেন্সি কলেজ 
(ঘ) সুরেন্দ্রনাথ কলেজ
উত্তরঃ-   (গ) প্রেসিডেন্সি কলেজ।

৫০.  ‘বেথুন স্কুল’ প্রতিষ্ঠিত হয়-
(ক) ১৮৪৯ খ্রিস্টাব্দে 
(খ) ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে 
(গ) ১৮৫৯ খ্রিস্টাব্দে 
(ঘ) ১৮৬২ খ্রিস্টাব্দে
উত্তরঃ-   (ক) ১৮৪৯ খ্রিস্টাব্দে।

৫১. ‘ ক্যালকাটা স্কুল বুক সোসাইটি ‘ প্রতিষ্ঠা করেন— 
(A) ডেভিড হেয়ার 
(B) রাধাকান্ত দেব 
(C) ড্রিংক ওয়াটার বেথুন 
(D) রামমোহন রায় 
উত্তরঃ-  (A) ডেভিড হেয়ার

৫২. স্কুল বুক সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত হয়— 
(A) ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে
(B) ১৮১৮ খ্রিস্টাব্দে 
(C) ১৮২০ খ্রিস্টাব্দে 
(D) ১৮২১ খ্রিস্টাব্দে 
উত্তরঃ-  A) ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে

৫৩. ‘স্ত্রীশিক্ষা বিধায়ক‘ ( ১৮২২ খ্রি . ) গ্রন্থ রচনা করেন – 
(A) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর 
(B) রাধাকান্ত দেব 
(C) গৌরমোহন বিদ্যালঙ্কার 
(D) রামমোহন রায় 
উত্তরঃ-  (C) গৌরমোহন বিদ্যালঙ্কার

৫৪. স্কটিশচার্চ কলেজের পূর্ব নাম ছিল-
(ক) হিন্দু কলেজ 
(খ) জেনারেল অ্যাসেম্বলিজ ইন্সটিটিউশন 
(গ) এলফিনস্টোন কলেজ 
(ঘ) মেট্রোপলিটান কলেজ
উত্তরঃ-   (খ) জেনারেল অ্যাসেম্বলিজ ইন্সটিটিউশন।

৫৫. ব্রাহুসমাজের মুখপত্র ছিল-
(ক) বামাবোধিনী পত্রিকা 
(খ) বিদ্যাহারাবলী পত্রিকা 
(গ) সর্বশুভকরী পত্রিকা 
(ঘ) তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা
উত্তরঃ-   (ঘ) তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা।

৫৬. ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষাবিস্তারের ক্ষেত্রে বেমানান নামটি –
(A) রাজা রামমোহন রায় 
(B) কালীপ্রসন্ন সিংহ 
(C) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
(D) ড্রিংক ওয়াটার বিটন ( বেথুন )
উত্তরঃ-  (B) কালীপ্রসন্ন সিংহ

৫৭. ভারতে শিক্ষাক্ষেত্রে ‘ চুঁইয়ে পড়া ‘ নীতির প্রবর্তন করেন— 
(A) চার্লস উড 
(B) লর্ড আমহার্স্ট 
(C) হোরেস উইলসন 
(D) মেকেলে
উত্তরঃ-  D) মেকেলে

৫৮. সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠিত হয় –
(A) ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দে 
(B) ১৮৭৯ খ্রিস্টাব্দে 
(C) ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে
(D) ১৮৮০ খ্রিস্টাব্দে
উত্তরঃ-  C) ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে

৫৯. ‘কলকাতা মেডিকেল কলেজ’ স্থাপিত হয়-
(ক) ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দে
 (খ) ১৮২৫ খ্রিস্টাব্দে 
(গ) ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দে 
(ঘ) ১৮৪০ খ্রিস্টাব্দে
উত্তরঃ-   (গ) ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দে।

৬০. কলকাতা মেডিকেল কলেজের প্রথম অধ্যক্ষ-
(ক) ড. এন. ওয়ালিশ 
(খ) ড. জে. গ্রান্ট 
(গ) ড. এম. জে. ব্রামলি 
(ঘ) ড. এইচ. এইচ. গুডিভ
উত্তরঃ-   (গ) ড. এম. জে. ব্রামলি।

৬১. কেশবচন্দ্র সেনকে ব্রহ্মানন্দ উপাধি দেন – 
(A) রামমোহন রায় 
(B) দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর 
(C) শিবনাথ শাস্ত্রী
(D) রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশ
উত্তরঃ-  (B) দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর

৬২. ‘ নব্যবঙ্গ ‘ কথাটি প্রথম ব্যবহার করেন –
(A) ডিরোজিও 
(B) ডেভিড হেয়ার
(C) ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
(D) রামমোহন রায়
উত্তরঃ-  (C) ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত

৬৩. ‘ নব্যবঙ্গ’ র প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন – 
(A) রামমোহন রায় 
(B) ডিরোজিও 
(C) স্বামী বিবেকানন্দ
(D) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
উত্তরঃ-  (B) ডিরোজিও

৬৪. ‘লন্ডন ফার্মাকোপিয়া’ এবং ‘অ্যানাটমি’ নামক দুটি গ্রন্থের বঙ্গানুবাদ করেন-
(ক) রাজকৃষ্ণ দে 
(খ) উমাচরণ শেঠ 
(গ) দ্বারকানাথ গুপ্ত 
(ঘ) মধুসূদন গুপ্ত
উত্তরঃ-   (ঘ) মধুসূদন গুপ্ত।

৬৫.  কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য-
(ক) উইলিয়াম কোলভিল
 (খ) চার্লস উড 
(গ) টমাস মেকলে 
(ঘ) চার্লস গ্র্যান্ট প্রতিষ্ঠা হয়
উত্তরঃ-   (ক) উইলিয়াম কোলভিল।

৬৬. ‘ সংবাদ প্রভাকর ‘ – এর সম্পাদক ছিলেন— 
(A) ভবানীচরণ 
(B) ঈশ্বর 
(C) গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য 
(D) মার্শম্যান 
উত্তরঃ-  (B) ঈশ্বর

৬৭. ‘ বামাবোধিনী ‘ পত্রিকার প্রথম সম্পাদক ছিলেন— 
(A) সুকুমার দত্ত 
(B) উমেশচন্দ্র দত্ত
(C) দেবকুমার দত্ত গুপ্ত 
(D) সন্তোষকুমার দত্ত
উত্তরঃ-  (B) উমেশচন্দ্র দত্ত

৬৮. বাংলায় সংবাদপত্রের সূচনা ঘটায়— 
(A) সোমপ্রকাশ 
(B) সমাচার দর্পণ 
(C) বেঙ্গল গেজেট
(D) দিগদর্শন 
উত্তরঃ-  (C) বেঙ্গল গেজেট

 ৬৯. কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা হয়-
(ক) ১৮৪৭ খ্রিস্টাব্দে 
(খ) ১৮৫২ খ্রিস্টাব্দে 
(গ) ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে 
(ঘ) ১৮৭৫ খ্রিস্টাব্দে
উত্তরঃ-   (গ) ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে।

৭০. ‘আধুনিক ভারতের জনক’ বলা হয়-
(ক) রাজা রামমোহন রায়কে
 (খ) বিদ্যাসাগরকে
 (গ) কেশবচন্দ্র সেনকে 
(ঘ) দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরকে
উত্তরঃ-   (ক) রাজা রামমোহন রায়কে।

৭১. ‘ গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা ‘ – র সম্পাদক ছিলেন— 
(A) ভোলানাথ মুখোপাধ্যায় 
(B) দীনবন্ধু মিত্র 
(C) হরিনাথ চট্টোপাধ্যায় 
(D) হরিনাথ মজুমদার 
উত্তরঃ-  (D) হরিনাথ মজুমদার

৭২. জেনারেল কমিটি অব পাবলিক ইনস্ট্রাকশন বা জনশিক্ষা কমিটি স্থাপিত হয়— 
(A) ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে 
(B) ১৮১৩ খ্রিস্টাব্দে
(C) ১৮২৩ খ্রিস্টাব্দে 
(D) ১৮৩৩ খ্রিস্টাব্দে
উত্তরঃ-  (C) ১৮২৩ খ্রিস্টাব্দে

৭৩. ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠা করেন— 
(A) রামমোহন রায় 
(B) দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর 
(C) কেশবচন্দ্র সেন
(D) আনন্দমোহন বসু 
উত্তরঃ-  (C) কেশবচন্দ্র সেন

৭৪. সতীদাহপ্রথা রদ করেন-
(ক) লর্ড ডাফরিন 
(খ) লর্ড আমহার্স্ট 
(গ) লর্ড কার্জন 
(ঘ) লর্ড বেন্টিঙ্ক
উত্তরঃ-   (ঘ) লর্ড বেন্টিঙ্ক ।

৭৫. সতীদাহপ্রথা রদ হয়-
(ক) ১৮২০ খ্রিস্টাব্দে 
(খ) ১৮২৯ খ্রিস্টাব্দে 
(গ) ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দে 
(ঘ) ১৮৪৫ খ্রিস্টাব্দে
উত্তরঃ-   (খ) ১৮২৯ খ্রিস্টাব্দে ।

৭৬. ১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দে বিশ্বধর্ম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়— 
(A) ইংল্যান্ডে 
(B) ফ্রান্সে 
(C) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে 
(D) জার্মানিতে
উত্তরঃ-  (C) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে

৭৭. কোন খ্রিস্টান মিশনারি এদেশে ইংরেজি শিক্ষা প্রসারে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন ? 
(A) রবার্ট মে 
(B) ওয়ার্ড 
(C) উইলিয়াম কেরি 
(D) মার্শম্যান 
উত্তরঃ-  (C) উইলিয়াম কেরি

৭৮. ভারতের প্রথম মহিলা গ্র্যাজুয়েটদের মধ্যে অন্যতম 
(A) শাস্তিসুধা ঘোষ 
(B) কল্পনা মিত্র
(C) প্রিয়ংবদা দেবী 
(D) চন্দ্ৰমুখী বসু 
উত্তরঃ-  (D) চন্দ্ৰমুখী বসু

৭৯. বিধবাবিবাহ আইন পাস করেন-
(ক) লর্ড ক্যানিং 
(খ) লর্ড বেন্টিঙ্ক 
(গ) লর্ড ডাফরিন 
(ঘ) লর্ড কর্নওয়ালিশ
উত্তরঃ-   (ক) লর্ড ক্যানিং।

৮০. কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রখ্যাত বাঙালি উপাচার্য – 
(A) আশুতোষ মুখোপাধ্যায় 
(B) উমাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় 
(C) শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় 
(D) গঙ্গাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় 
উত্তরঃ-  (A) আশুতোষ মুখোপাধ্যায়

৮১. ইয়ং বেঙ্গল দলের প্রধান মুখপত্র ছিল – 
(A) সমাচার দর্পণ 
(B) পার্থেনন 
(C) সম্বাদ কৌমুদী 
(D) মিরাৎ – উল – আখবার 
উত্তরঃ-  (B) পার্থেনন

৮২. কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের প্রথম এম.ডি. উপাধি প্রাপক – 
(A) মধুসূদন গুপ্ত 
(B) নীলরতন সরকার 
(C) ডা . মহেন্দ্রলাল সরকার 
(D) চন্দ্রকুমার দে 
উত্তরঃ-  (D) চন্দ্রকুমার দে

৮৩. ‘বিধবাবিবাহ আইন’ পাস হয়-
(ক) ১৮৪৬ খ্রিস্টাব্দে 
(খ) ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দে 
(গ) ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে 
(ঘ) ১৮৮০ খ্রিস্টাব্দে
উত্তরঃ-   (খ) ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দে।

৮৪. রামমোহন রায় কার কাছ থেকে ‘ রাজা ’ উপাধি পেয়েছিলেন ? 
(A) দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ 
(B) সম্রাট ফারুকশিয়ার
(C) জাহান্দার শাহ 
(D) দ্বিতীয় আকবর
উত্তরঃ-  (D) দ্বিতীয় আকবর

৮৫. দেশীয় ভাষায় সংবাদপত্র আইন চালু হয়—
(A) 1872 
(B) 1878
(C) 1876 
(D) 1894 
উত্তরঃ-  (B) 1878

৮৬. দেশীয় ভাষায় সংবাদপত্র আইন চালু করেন— 
(A) লর্ড কার্জন 
(B) লর্ড ক্যানিং 
(C) লর্ড লিটন 
(D) লর্ড নথক 
উত্তরঃ-  (C) লর্ড লিটন

৮৭. ‘ব্রহ্মানন্দ’ উপাধি ছিল-
(ক) অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 
(খ) শিবনাথ শাস্ত্রীর 
(গ) কেশবচন্দ্র সেনের 
(ঘ) মধুসূদন গুপ্তর
উত্তরঃ-   (গ) কেশবচন্দ্র সেনের ।

৮৮. নাট্যাভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন চালু করেন— 
(A) লর্ড নর্থক 
(B) লর্ড কার্জন
(C) লর্ড ওয়েলেসলি 
(D) ওয়ারেন হেস্টিংস
উত্তরঃ-  (A) লর্ড নর্থক

৮৯. ভারতের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়— 
(A) বোম্বাই বিশ্ববিদ্যালয় 
(B) মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয় 
(C) বেনারস বিশ্ববিদ্যালয় 
(D) কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় 
উত্তরঃ-  (D) কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়

৯০. গ্রামবার্ত্তাপ্রকাশিকা প্রকাশিত হতো— 
(A) কলকাতা 
(B) ঢাকা
(C) নদিয়া 
(D) কুষ্টিয়া থেকে
উত্তরঃ-  (D) কুষ্টিয়া থেকে

৯১.  রামকৃষ্ণ মিশনের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন-
(ক) রাজা রামমোহন রায়
 (খ) কেশবচন্দ্র সেন 
(গ) স্বামী বিবেকানন্দ 
(ঘ) বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী
উত্তরঃ-   (গ) স্বামী বিবেকানন্দ।

৯২. ভারতে প্রথম পাশ্চাত্য শিক্ষার সূত্রপাত ঘটে— 
(A) বাংলায় 
(B) দিল্লিতে 
(C) মাদ্রাজে 
(D) বোম্বাইয়ে 
উত্তরঃ-  (A) বাংলায়
৯৩. ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল— 
(A) 1878
(B) 1892 
(C) 1882
(D) 1902 
উত্তরঃ-  (A) 1878

৯৪. বাংলায় কোন শতককে নবজাগরণের শতক বলা হয় ? 
(A) ঊনবিংশ শতক
(B) বিংশ শতক 
(C) একবিংশ শতক
(D) অষ্টাদশ শতক
উত্তরঃ-  (A) ঊনবিংশ শতক

৯৫. “তিন আইন” পাস হয়-
(ক) ১৮৬০ খ্রিস্টাব্দে 
(খ) ১৮৬২ খ্রিস্টাব্দে 
(গ) ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দে 
(ঘ) ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দে
উত্তরঃ-   (ঘ) ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দে।

৯৬. ব্রহ্মানন্দ উপাধি কার ছিল ? 
(A) দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর 
(B) কেশবচন্দ্র সেন
(C) শিবনাথ শাস্ত্রী 
(D) আনন্দমোহন বসু
উত্তরঃ-  (B) কেশবচন্দ্র সেন

৯৭. রামকৃস্ল মিশন কবে প্রতিষ্ঠিত হয় ?
(A) 1872 
(B) 1892
(C) 1887 
(D) 1897 
উত্তরঃ-  (D) 1897

৯৮. ‘ আদি ব্রাহ্মসমাজ ‘ – এর প্রধান নেতা ছিলেন— 
(A) কেশবচন্দ্র সেন 
(B) আনন্দমোহন বসু 
(C) দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর
(D) শিবনাথ শাস্ত্রী 
উত্তরঃ-  (C) দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর

৯৯. ‘প্রশ্নোত্তর’ গ্রন্থটি রচনা করেন-
(ক) বিদ্যাসাগর 
(খ) কেশবচন্দ্র সেন
 (গ) বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী 
(ঘ) রামমোহন রায়
উত্তরঃ-   (গ) বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী।

১০০. ‘ বামাবোধিনী ‘ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন— 
(A) শিশিরকুমার ঘোষ 
(B) কৃস্লচন্দ্র মজুমদার 
(C) উমেশচন্দ্র দত্ত
(D) দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ 
 (C) উমেশচন্দ্র দত্ত

১০১. সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠা হয়— 
(A) 1880 
(B) 1891
(C) 1895 
(D) 1878
উত্তরঃ-  (D) 1878

১০২. ‘বামাবোধিনী’ পত্রিকা মুখপাত্র ছিল-
(ক) ব্রাহ্মসভার 
(খ) জমিদার সভার 
(গ) বামাবোধিনী সভার 
(ঘ) ভারতসভার
উত্তরঃ- (গ) বামাবোধিনী সভার।

১০৩. সতীদাহ প্রথা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন— 
(A) বেন্টিঙ্ক 
(B) ওয়ারেন হেস্টিংস
(C) লর্ড ওয়েলেসলি 
(D) রবার্ট ক্লাইভ
উত্তরঃ- (A) বেন্টিঙ্ক

১০৪. ”বিধবা পুনর্বিবাহ আইন ‘ পাশ হয়— 
(A) 1856 
(B) 1900 
(C) 1857 
(D) 1875
উত্তরঃ-  (A) 1856 

১০৫. ‘বামাবোধিনী’ পত্রিকার স্বত্বাধিকারী ও সম্পাদক ছিলেন-
(ক) উমেশচন্দ্র দত্ত 
(খ) দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ 
(গ) কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার
(ঘ) শিশিরকুমার ঘোষ 
উত্তরঃ- (ক) উমেশচন্দ্র দত্ত।

১০৬. ব্রাহ্ম ধর্মের প্রবর্তক হলেন— 
(A) রামমোহন রায় 
(B) বিবেকানন্দ
(C) কেশবচন্দ্র সেন 
(B) দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর
উত্তরঃ- (A) রামমোহন রায়


দশম শ্রেণীর ইতিহাস – সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা / Songoskar Boisisto O Porjalochona (দ্বিতীয় অধ্যায়) সত্য মিথ্যা যাচাই করো । WBBSE Class 10 / Madhyamikth History 2nd Chapter Songoskar Boisisto O Porjalochona Question and Answer True & False 

সত্য মিথ্যা যাচাই করো | True & False Questions and Answers (Class Ten / Madhyamik History Second chapter) 

শূন্যস্থান পূরন করো ; প্রতিটি প্রশ্নের মান -১






দশম শ্রেণীর ইতিহাস – সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা / Songoskar Boisisto O Porjalochona (দ্বিতীয় অধ্যায়) শূন্যস্থান পূরণ করো । WBBSE Class 10 / Madhyamikth History 2nd Chapter Fill in the blank Songoskar Boisisto O Porjalochona Questions and Answers 

শূন্যস্থান পূরণ করো  | Fill in the blank Questions and Answers (Class Ten / Madhyamik History Second chapter)

সত্য / মিথ্যা নির্ণয় করো; প্রতিটি প্রশ্নের মান -১

১. ‘ নাট্যাভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন ‘ পাশ হয় 1876 খ্রিস্টাব্দে । 
উত্তরঃ-  সত্য

২. ‘ ছুঁতোম প্যাঁচার নকশা ’ – একটি ব্যঙ্গাত্মক রচনা । 
উত্তরঃ-  সত্য

৩. বোর্ড অব কন্ট্রোলের সভাপতি ছিলেন স্যার চার্লস উড । 
উত্তরঃ-  সত্য

৪. মেকলে এবং আলেকজান্ডার ডাফ ছিলেন পাশ্চাত্যবাদী ।
উত্তরঃ-  সত্য

৫. মদনমোহন তর্কালঙ্কার বেথুনকে ‘ ক্যালকাটা ফিমেল স্কুল ’ প্রতিষ্ঠা করতে সাহায্য করেন । 
উত্তরঃ-  সত্য

৬. হরিনাথ মজুমদার পরিচিত ছিলেন ‘ কাঙাল হরিনাথ ’ নামে । 
উত্তরঃ-  সত্য

৭. আত্মীয়সভা পরবর্তীকালে ব্রাহ্মসমাজে পরিণত হয় । 
উত্তরঃ-  সত্য

৮. কলকাতা ছিল বাংলার নবজাগরণের প্রধান প্রাণকেন্দ্র ।
উত্তরঃ-  সত্য

৯. ‘ নব্যবঙ্গ ’ গোষ্ঠীর প্রাণপুরুষ ডেভিড হেয়ার । 
উত্তরঃ-  মিথ্যা

১০. মেকলে মিনিটস প্রবর্তিত হয় লর্ড বেন্টিঙ্কের আমলে । 
উত্তরঃ-  সত্য

১১. ‘ নীলদর্পণ ‘ নাটক ইংরেজিতে অনুবাদ করেন জেমস লঙ । 
উত্তরঃ-  মিথ্যা

১২. শ্রীরামকৃষ্ণ রামকৃণ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা করেন । 
উত্তরঃ-  মিথ্যা


দশম শ্রেণীর ইতিহাস – সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা / Songoskar Boisisto O Porjalochona (দ্বিতীয় অধ্যায়) এক কথায় উত্তর দাও । WBBSE Class 10 / Madhyamikth History 2nd Chapter SAQ Madhyamik History Songoskar Boisisto O Porjalochona Question and Answer 

এক কথায় উত্তর দাও | SAQ Questions and Answers (Class Ten / Madhyamik History Second chapter)

এক কথায় উত্তর দাও : প্রতিটি প্রশ্নের মান -১

১. হাজি মহম্মদ মহসিন কে ছিলেন ?
উত্তরঃ-  একজন ধর্মপ্রাণ মহান লোকহিতৈষী ব্যক্তি । 

২. ‘ যত মত তত পথ ‘ এই মতবাদের প্রবক্তা কে ? 
উত্তরঃ-  রামকৃষ্বদেব । 

৩. এশিয়াটিক সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা কে  কবে ছিলেন?
উত্তরঃ-   স্যার উইলিয়াম জোন্স,1784 খ্রিষ্টাব্দে

৪. ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ কবে স্থাপিত হয়?
উত্তরঃ-    1800 খ্রিষ্টাব্দে

৫. কোন গর্ভনরের আমলে এশিয়াটিক সোসাইটি স্থাপিত হয়?
উত্তরঃ-    ওয়ারেন হেস্টিংস

৬. প্রাচ্যের অক্সফোর্ড বলা হয় কাকে?
উত্তরঃ-    ফোর্ট উইলিউম কলেজকে

৭. ভারতের প্রথম আধুনিক মানুষ/ভারত পথিক/ভারতের ইরাসমাস কাকে বলা হয়?
উত্তরঃ-   রাজা রামমোহন রায়কে

৮. বাংলা ভাষার প্রথম সাময়িক পত্রিকা কোনটি ?
উত্তরঃ-  বাংলা ভাষার প্রথম সাময়িক পত্রিকা ‘ সমাচার দর্পণ ‘ । 

৯. ‘ বাঙ্গাল গেজেট ‘ কী জন্য বিখ্যাত ? 
উত্তরঃ-  গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্যের সম্পাদনায় এটি ছিল বাংলা ভাষায় বাঙালি পরিচালিত প্রথম সংবাদপত্র । 

১০. ‘ সংবাদ প্রভাকর ‘ পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন ? 
উত্তরঃ-  ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত ‘ সংবাদ প্রভাকর ‘ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন । 

১১. আত্মীয় সভা কে, কবে প্রতিষ্ঠাতা করেন?
উত্তরঃ-   রাজা রামমোহন রায়,1815 খ্রিষ্টাব্দে

১২. কে,কবে ব্রাহ্মসভা স্থাপন করেন?
উত্তরঃ-   রাজা রামমোহন রায়,1828 খ্রিষ্টাব্দে

১৩. ব্রাহ্ম সভার প্রথম সম্পাদক কে ছিলেন? 
উত্তরঃ-    তারাচাঁদ চক্রবর্তী

১৪. কোন আইন দ্বারা সতীদাহ প্রথা উচ্ছেদ করা হয়?
উত্তরঃ-    সপ্তদশ বিধি আইন দ্বারা।

১৫. কোন গভর্নরের সময় সতীদাহ প্রথা বিরোধী আইন বলবৎ হয়?
উত্তরঃ-   লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক

১৬. ‘ সমাচার চন্দ্রিকা ‘ কাদের মুখপত্র ছিল ? 
উত্তরঃ-  ‘ সমাচার চন্দ্রিকা ’ রক্ষণশীল হিন্দুদের মুখপত্র ছিল । 

১৭. ‘ বামাবোধিনী পত্রিকা ‘ কবে প্রকাশিত হয় ? 
উত্তরঃ-  ‘ বামাবোধিনী পত্রিকা ‘ প্রকাশিত হয় ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দে । 

১৮. কত খ্রিস্টাব্দে  GCPI প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তরঃ-   1828 খ্রিষ্টাব্দে।

১৯. নীলদর্পণ নাটকটি কার লেখা  এবং এটি কবে প্রকাশিত হয়? 
উত্তরঃ-   দীনবন্ধু মিত্রের,1860 খ্রীষ্টাব্দে।  

২০. আনন্দমঠ উপন্যাসটি কার লেখা?
উত্তরঃ-   বঙ্কিমচন্দ্র চট্টপাধ্যায়

২১. ভারতীয় জাতীয়তাবাদের বাইবেল বলা হয় কোন সংগীত কে?
উত্তরঃ-   বন্দেমাতরম-কে

২২. ভারতীয় জাতীয়তাবাদের বাইবেল বলা হয় কোন গ্রন্থকে?
উত্তরঃ-   আনন্দমঠ উপন্যাসকে

২৩. ‘ বামাবোধিনী পত্রিকা’র প্রথম সম্পাদক কে ছিলেন ? 
উত্তরঃ-  বামাবোধিনী পত্রিকার প্রথম সম্পাদক ছিলেন উমেশচন্দ্ৰ দত্ত । 

২৪. বামাবোধিনী সভা কে গঠন করেছিলেন ? 
উত্তরঃ-  উমেশচন্দ্র দত্ত ( ১৮৬৩ খ্রি . ) বামাবোধিনী সভা গঠন করেন । 

২৫. বন্দেমাতরম সঙ্গীতটি কবে রচিত হয়?
উত্তরঃ-    1875 খ্রিষ্টাব্দে

২৬. স্কুলবুক সোসাইটি স্থাপিত হয়েছিল?
উত্তরঃ-   1817 খ্রিষ্টাব্দে

২৭. শ্রীরামপুর কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তরঃ-   উইলিয়াম কেরি

২৮. প্রেসিডেন্সি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা হলেন?
উত্তরঃ-   ডেভিড হেয়ার

২৯. ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তরঃ-   লর্ড ওয়েলেসলি

৩০. উনিশ শতকে নারীজাতির বন্দনা করেছিল এমন একটি পত্রিকার নাম লেখো । 
উত্তরঃ-  উনিশ শতকে ‘ বামাবোধিনী পত্রিকা’য় নারীজাতির বন্দনা করা হয়েছিল । 

৩১. ‘ হিন্দু প্যাট্রিয়ট ’ পত্রিকার একজন উল্লেখযোগ্য সম্পাদকের নাম লেখো । 
উত্তরঃ-  ‘ হিন্দু প্যাট্রিয়ট ’ পত্রিকার একজন সম্পাদক হলেন হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় । 

৩২. নারীমুক্তি আন্দোলনের অগ্রদূত বলা হয়?
উত্তরঃ-   বিদ্যাসাগর

৩৩. বিধবাবিবাহ আইন পাস হয়েছিল?
উত্তরঃ-   1858 খ্রিষ্টাব্দে

৩৪. বিধবাবিবাহের সময় ভারতের গভর্নর জেনারেল ছিলেন?
উত্তরঃ-   লর্ড ক্যানিং

৩৫. রামমোহন রায়কে ‘রাজা’ উপাধি দিয়েছিলেন কে?
উত্তরঃ-   দ্বিতীয় আকবর

৩৬. কে রামমোহন রায়কে ‘ভারতের প্রথম আধুনিক মানুষ বলেছেন?
উত্তরঃ-   রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৩৭. হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকার প্রথম সম্পাদক কে ছিলেন ? 
উত্তরঃ-    হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকার প্রথম সম্পাদক ছিলেন গিরিশচন্দ্র ঘোষ । 

৩৮. হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় কে ছিলেন ? 
উত্তরঃ-  হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় ছিলেন হিন্দু প্যাট্রিয়ট ‘ পত্রিকার প্রথম সম্পাদক । 

৩৯. ‘ হিন্দু প্যাট্রিয়ট ‘ পত্রিকা কবে প্রথম প্রকাশিত হয় ?  
উত্তরঃ-  ১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দের ৬ জানুয়ারি ‘ হিন্দু প্যাট্রিয়ট ‘ পত্রিকা প্রথম প্রকাশিত হয় । 

৪০. সতীদাহ প্রথার অবসান ঘটে? 
উত্তরঃ-   1829 খ্রিষ্টাব্দে

৪১. হেয়ার সাহেব প্রতিষ্ঠিত পটলডাঙার বিদ্যালয়টির নাম?
উত্তরঃ-   হেয়ার স্কুল

৪২. ভারতের কোন সমাজ-সংস্কারকদের সঙ্গে কাঞ্চন-জঙ্ঘা চূড়ার তুলনা করা হয়?
উত্তরঃ-   ইয়ংবেঙ্গল গোষ্ঠী

৪৩. ইয়ংবেঙ্গল গোষ্ঠী কোন সমাজ সংস্কারককে ‘আধা-উদারপন্থী বলে মনে করত?
উত্তরঃ-   রাজা রামমোহন রায়

৪৪. অ্যাকাডেমিক অ্যাসোসিয়েশন’ প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তরঃ-   ডিরোজিও 

৪৫. ‘‘ হিন্দু প্যাট্রিয়ট‘ পত্রিকার প্রধান উদ্দেশ্য কী ছিল ? 
উত্তরঃ-  ভারতের প্রচলিত সামাজিক ও রাজনৈতিক ত্রুটিবিচ্যুতিগুলি জনসাধারণের কাছে তুলে ধরে জাতীয়তাবাদী ধারণা প্রচার করাই ছিল ‘ হিন্দু প্যাট্রিয়ট ‘ পত্রিকার প্রধান উদ্দেশ্য । 

৪৬. ‘হুতোম প্যাঁচার নক্শা ‘ কে রচনা করেছিলেন ? 
উত্তরঃ-  ‘ হুতোম প্যাঁচার নক্শা’র রচয়িতা কালীপ্রসন্ন সিংহ । 

৪৭. ডিরোজিয়োর অনুগামীদের বলা হত?
উত্তরঃ-   নব্যবঙ্গীয় গোষ্ঠী

৪৮. তত্ত্ববোধিনী সভা গঠন করেছিলেন?
উত্তরঃ-   দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর

৪৯. বাংলা ভাষার প্রথম যথার্থ শিল্পী’ বলা হয়?
উত্তরঃ-   রামমোহন রায়

৫০. “যত মত তত পথ”—এই বাণীটি কার?
উত্তরঃ-   শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ

৫১. নব্য বেদান্তের স্রষ্টা ছিলেন?
উত্তরঃ-   স্বামী বিবেকানন্দ

৫২. বাংলায় কোন শতককে ‘ নবজাগরণের শতক ‘ বলা হয় ?
উত্তরঃ-  ঊনবিংশ শতককে । 

৫৩. এশিয়াটিক সোসাইটির প্রতিষ্ঠা কে করেন ? 
উত্তরঃ-  উইলিয়াম জোন্স ( ১৭৮৪ খ্রিস্টাব্দে ) । 

৫৪. মেকলে কে ছিলেন ? 
উত্তরঃ-  লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক – এর সচিব এবং ‘ মেকলে মিনিটস ’ – এর প্রবর্তক ছিলেন । 

৫৫. বর্তমান ভারত কে রচনা করেন?
উত্তরঃ-   স্বামী বিবেকানন্দ

৫৬. জাতীয় মেলার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন?
উত্তরঃ-   নবগোপাল মিত্র

৫৭. ভারতে প্রকাশিত প্রথম সংবাদপত্রের নাম কি?
উত্তরঃ-   বেঙ্গল গেজেট

৫৮. বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রথম সংবাদপত্রের নাম কি?
উত্তরঃ-   দিগদর্শন

৫৯. বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রথম দৈনিক সংবাদপত্রের নাম কি?
উত্তরঃ-   সংবাদ প্রভাকর

৬০. চার্লস উড কে ছিলেন ? 
উত্তরঃ-  বোর্ড অব কন্ট্রোলের সভাপতি । 

৬১. কোন গভর্নর জেনারেল এর আমলে সতীদাহ নিবারণ আইন প্রবর্তিত হয় ? 
উত্তরঃ-  লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক – এর সময়ে । 

৬২. বেঙ্গল গেজেট এর প্রথম সম্পাদক কে ছিলেন?
উত্তরঃ-   জেমস আগাস্টাস হিকি

৬৩. দিকদর্শন পত্রিকার প্রথম সম্পাদক কে ছিলেন? 
উত্তরঃ-   জন ক্লার্ক মার্শম্যান

৬৪. দিকদর্শন সমাচার দর্পণ পত্রিকা দুটির প্রথম প্রকাশ করা হয় কবে?
উত্তরঃ-   1818 খ্রিষ্টাব্দে

৬৫. সংবাদ প্রভাকরের সম্পাদককে?
উত্তরঃ-   ঈশ্বর গুপ্ত

৬৬. সংবাদ প্রভাকর পত্রিকার প্রথম প্রকাশ হয় কবে?
উত্তরঃ-   1831 খ্রিষ্টাব্দে

৬৭. স্কুল বুক সোসাইটি কে প্রতিষ্ঠা করেন ?
উত্তরঃ-  ডেভিড হেয়ার । 

৬৮. কে ‘ স্ত্রীশিক্ষা বিধায়ক ‘ নামক পুস্তিকা প্রকাশ করেন ? 
উত্তরঃ-  রাধাকান্ত দেব ( ১৮২২ খ্রিস্টাব্দে ) । 

৬৯. সমাচার দর্পণ কি ধরনের পত্রিকা ছিল?
উত্তরঃ-   সাপ্তাহিক

৭০. বেঙ্গল গেজেট কি ধরনের পত্রিকা ছিল?
উত্তরঃ-   মাসিক

৭১. বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রথম মাসিক পত্রিকার নাম কি?
উত্তরঃ-    দিগদর্শন

৭২. সোমপ্রকাশ পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন?
উত্তরঃ-   দ্বারকানাথ বিদ্যাভুষণ

৭৩. বাংলায় ‘বন্দিনী বামামুক্তির’ যুগ বলা হয় কোন সময়কে?
উত্তরঃ-   ঊনিশ শতককে

৭৪. কে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করেছিলেন ? 
উত্তরঃ-  চার্লস উড তাঁর ডেসপ্যাচ বা নির্দেশনামার মাধ্যমে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করেন । 

৭৫. হিন্দু কলেজ যাঁরা প্রতিষ্ঠা করেন তাঁদের নাম উল্লেখ করো । 
উত্তরঃ-  স্যার হাইড ইস্ট , বৈদ্যনাথ মুখোপাধ্যায় , রাধাকান্ত দেব । 

৭৬. ভারতে প্রকাশিত প্রথম জাতীয় পত্রিকা কোনটি?
উত্তরঃ-   হিন্দু পেট্রিওট

৭৭. কোন সময়কে ভারতের নবজাগরণের বীজ বপনের যুগ বলা হয়?
উত্তরঃ-   1874 খ্রিষ্টাব্দকে

৭৮. তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন?
উত্তরঃ-   অক্ষয় কুমার দত্ত

৭৯. অমৃতবাজার পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন?
উত্তরঃ-    শিশির কুমার ঘোষ

৮০. বেঙ্গলি পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন?
উত্তরঃ-   গিরিশ্চন্দ্র ঘোষ

৮১. হিন্দু কলেজের পরবর্তীতে যে নাম হয় তা কী ? 
উত্তরঃ-  প্রেসিডেন্সি কলেজ । 

৮২. বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রথম মাসিক পত্রিকার নাম কী ? 
উত্তরঃ-  ‘ দিগ্‌দর্শন ’ । 

৮৩. আনন্দমঠ উপন্যাসটি কার লেখা?
উত্তরঃ-    বঙ্কিমচন্দ্র চট্টপাধ্যায়ের

৮৪. ব্রাহ্ম সভা কবে স্থাপিত হয়?
উত্তরঃ-   1828 খ্রিষ্টাব্দে

৮৫. ব্রাহ্ম সভার প্রথম সম্পাদক কে ছিলেন?
উত্তরঃ-   তারাচাঁদ চক্রবর্তী

৮৬. বন্দেমাতরম সঙ্গীতটি কোন উপন্যাসের অন্তর্গত?
উত্তরঃ-    আনন্দমঠ

৮৭. বামা্বোধিনী পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক কে?
উত্তরঃ-   উমেশচন্দ্র দত্ত 

৮৮. বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রথম সাপ্তাহিক পত্রিকার নাম কী ?
উত্তরঃ-  ‘ সমাচার দর্পণ ‘ ।

৮৯. ‘সম্বাদ কৌমুদী’র সম্পাদনা কে শুরু করেন ?
উত্তরঃ-  রামমোহন রায় । 

৯০. বামাবোধিনী পত্রিকা সমাজের কোন শ্রেণীর মানুষদের নিয়ে আলোচনা করে?
উত্তরঃ-   নারীদের পত্রিকা

৯১. সরকারি শিক্ষা দপ্তর খোলা হয়?
উত্তরঃ-  1855 খ্রিষ্টাব্দে।

৯২. ভারতে কত খ্রিস্টাব্দে হান্টার কমিশন নিযুক্ত  হয়?
উত্তরঃ-  1872 খ্রিষ্টাব্দে।

৯৩. কত খ্রিস্টাব্দে ক্যালকাটা স্কুল বুক সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করা হয়?
উত্তরঃ-  1817 খ্রিষ্টাব্দে।

৯৪. কে স্কুল বুক সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন?
উত্তরঃ-  ডেভিড হেয়ার।

৯৫. বামাবোধিনী সভা কবে স্থাপিত হয় ? 
উত্তরঃ-  1863 খ্রিস্টাব্দে । 

৯৬. ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ কে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ? 
উত্তরঃ-  লর্ড ওয়েলেসলি । 

৯৭. ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ কবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ? 
উত্তরঃ-  1800 খ্রিস্টাব্দে । 

৯৮. কবে হিন্দু কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তরঃ-  1817 খ্রিস্টাব্দে।

৯৯. হিন্দু কলেজ পরবর্তীকালে কী নামে পরিচিত হয়?
উত্তরঃ-   প্রেসিডেন্সি কলেজ।

১০০. হিন্দু কলেজের বর্তমান নাম কী?
উত্তরঃ-  প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়।

 ১০১. প্রেসিডেন্সি কলেজের বিদ্যালয় শিক্ষা বিভাগটি কী নামে পরিচিত?
উত্তরঃ-  হিন্দুস্কুল নামে পরিচিত।

১০২. কে " হেয়ার স্কুল " প্রতিষ্ঠা করেছিলেন?
উত্তরঃ-  ডেভিড হেয়ার।

১০৩. শ্রীরামপুর কলেজ কত খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয় ? 
উত্তরঃ-  1818 খ্রিস্টাব্দে । 

১০৪. ‘হুতুম পাচার নকশা ‘ কার লেখা ?
উত্তরঃ-  কালীপ্রসন্ন সিংহ । 

১০৫. ডেভিড হেয়ার কত খ্রিস্টাব্দে হেয়ার স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন?
উত্তরঃ-  1818 খ্রিষ্টাব্দে।

১০৬. হেয়ার স্কুল এর পূর্ব নাম কী ছিল?
উত্তরঃ-  পটলডাঙ্গা একাডেমি।

১০৭. কে এবং কত খ্রিস্টাব্দে অরিয়েন্টাল সেমিনারি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন?
উত্তরঃ-  গৌরমোহন আঢ্য 1828 খ্রিস্টাব্দে ওরিয়েন্টাল সেমিনারি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

১০৮. কত খ্রিস্টাব্দে কলকাতা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল?
উত্তরঃ-  1781 খ্রিষ্টাব্দে।

১০৯. কত খ্রিস্টাব্দে এশিয়াটিক সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল?
উত্তরঃ-  1784 খ্রিষ্টাব্দে।

১১০. কত খ্রিস্টাব্দে ‘ মেকলে মিনিট ’ পেশ করা হয় ? 
উত্তরঃ-  1835 খ্রিস্টাব্দে । 

১১১. অ্যাংলো হিন্দু স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন কে ? 
উত্তরঃ-  রামমোহন রায় , 1815 খ্রিস্টাব্দে । 

১১২. কত খ্রিস্টাব্দে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল?
উত্তরঃ-  1800 খ্রিষ্টাব্দে।

 ১১৩. কত খ্রিস্টাব্দে " বারাণসী সংস্কৃত কলেজ " প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল?
উত্তরঃ-   1792 খ্রিষ্টাব্দে।

১১৪. কত খ্রিস্টাব্দে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়?
উত্তরঃ-  1835 খ্রিষ্টাব্দে।

১১৫. কত খ্রিস্টাব্দে জেনারেল অ্যাসেম্বলিজ ইনস্টিটিউশন - প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল?
উত্তরঃ-  1830 খ্রিষ্টাব্দে।

১১৬. জেনারেল অ্যাসেম্বলিজ ইনস্টিটিউশন এর বর্তমান নাম কী?
উত্তরঃ-  স্কটিশ চার্চ কলেজ।

১১৭. আত্মীয়সভা ’ কে প্রতিষ্ঠা করেন ? 
উত্তরঃ-  রাজা রামমোহন রায় ( 1815 খ্রি) । 

১১৮. সতীদাহ প্রথা নিবারণ আইন কে পাশ করেন ? 
উত্তরঃ-  লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক । 

১১৯. জেনারেল অ্যাসেম্বলি ইনস্টিটিউশন কে প্রতিষ্ঠা করেন?,
উত্তরঃ-  আলেকজান্ডার ডাফ।

১২০. রাজা রামমোহন রায় কত খ্রিস্টাব্দে " অ্যাংলো হিন্দু স্কুল " প্রতিষ্ঠা করেছিলেন?
উত্তরঃ-  1815 খ্রিষ্টাব্দে।

১২১. কত খ্রিস্টাব্দে শ্রীরামপুর ব্যাপ্টিস্ট মিশন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল?
উত্তরঃ-  1800 খ্রিষ্টাব্দে।

১২২. কত খ্রিস্টাব্দে শ্রীরামপুর কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তরঃ-  1818 খ্রিষ্টাব্দে।

১২৩. কাদের উদ্যোগে শ্রীরামপুর ব্যাপ্টিস্ট মিশন কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তরঃ-  শ্রীরামপুর মিশনারীদের উদ্যোগ।

১২৪. আধুনিক ভারতের জনক কাকে বলা হয় ?
উত্তরঃ-  রাজা রামমোহন রায়কে । 

১২৫. নব্যবঙ্গ গোষ্ঠীর দু’টি মুখপত্রের নাম লেখো ।
উত্তরঃ-  ‘ জ্ঞানান্বেষণ ’ , ‘ এনকোয়ারার ’ । 

১২৬. কাদের শ্রীরামপুর ত্রয়ী বলা হত?
উত্তরঃ-  উইলিয়াম কেরি,  জোশুয়া মার্শম্যান এবং উইলিয়াম ওয়ার্ড - কে একত্রে শ্রীরামপুর ত্রয়ী বলা হত।

১২৭. কে এবং কত খ্রিস্টাব্দে ক্যালকাটা ফিমেল স্কুল প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন?
উত্তরঃ-  জন এলিয়ট ড্রিঙ্কওয়াটার বেথুন সাহেব আঠার 1849 খ্রিস্টাব্দে ক্যালকাটা ফিমেল স্কুল প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।

১২৮. ভারতের প্রথম বালিকা বিদ্যালয় কোনটি?
উত্তরঃ-  হিন্দু বালিকা বিদ্যালয়।

১২৯. উডের প্রতিবেদনে কোথায় কোথায় তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় ? 
উত্তরঃ-  উডের প্রতিবেদনে কলকাতা , বোম্বে ও মাদ্রাজে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় ।

১৩০. ভারতবর্ষের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় কোনটি ? 
উত্তরঃ-  ভারতবর্ষের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় । 

১৩১.  ভারতে কত খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়?
উওর  : 1857 খ্রিষ্টাব্দের 24 ই জানুয়ারি।

১৩২. কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম আচার্য কে ছিলেন?
উত্তরঃ-  লর্ড ক্যানিং।

১৩৩. কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য কে ছিলেন?
উত্তরঃ-  জেমস উইলিয়াম কোলভিন।।

১৩৪. কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভারতীয় উপাচার্য কে ছিলেন?
উত্তরঃ-  স্যার গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায়।

১৩৫. হিন্দু বালিকা বিদ্যালয় বর্তমান নাম কী?
উত্তরঃ-  বেথুন স্কুল।

১৩৬. রাজা রামমোহন রায় কত খ্রিস্টাব্দে বেদান্ত কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তরঃ-  1826 খ্রিষ্টাব্দে।

১৩৭." স্ত্রীশিক্ষা বিধায়ক " নামক পুস্তিকাটি প্রকাশ করেন?
উত্তরঃ-  রাজা রাধাকান্ত দেব।।

১৩৮. ভারতবর্ষের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় কোনটি?
উত্তরঃ-  কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়।

১৩৯. কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম আচার্য কে ছিলেন ? 
উত্তরঃ-  কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম আচার্য ছিলেন লর্ড ক্যানিং ।

১৪০. কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য কে ছিলেন ? 
উত্তরঃ-  কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য ছিলেন স্যার জেমস উইলিয়াম কোলভিল । 

১৪১. কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম স্নাতক কারা?
উত্তরঃ-  কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম স্নাতক হলেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এবং জদুনাথ বোস।

১৪২. কত খ্রিস্টাব্দে কলকাতা মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়?
উত্তরঃ-  1835 খ্রিষ্টাব্দের 28 ই জানুয়ারি।

১৪৩. কলকাতা মেডিকেল কলেজের প্রথম মুসলিম  গ্রাজুয়েট ছাত্র কে?
উত্তরঃ-  রহিম খান।

১৪৪. মধুসুদন দও বিখ্যাত কেন?
উত্তরঃ-   কারণ মধুসূদন গুপ্ত ছিলেন প্রথম যিনি প্রথম ভারতীয় শল্যচিকিৎসক হিসেবে শব ব্যবচ্ছেদ।  করেছিলেন।

১৪৫. বাংলার প্রথম মহিলা স্নাতক কারা?
উত্তরঃ-  চন্দ্রমুখি বসু ও কাদম্বিনী গাঙ্গুলী।

১৪৬. কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় করে প্রতিষ্ঠিত হয় ? 
উত্তরঃ-  কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয় । 

১৪৭. কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম স্নাতক কারা ? 
উত্তরঃ-  কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম স্নাতক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এবং যদুনাথ বোস । 

১৪৮. ভারতের প্রথম মহিলা চিকিৎসকের নাম কী?
উত্তরঃ-  কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায়।

১৪৯. রাজা রামমোহন রায় কত খ্রিস্টাব্দে ব্রাহ্ম সভা প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তরঃ-  1828 খ্রিস্টাব্দে।

১৫০. কাকে ভারতের নবজাগরণের অগ্রদূত বলা হয়?
উত্তরঃ-  " রাজা রামমোহন রায় "- কে।

১৫১. তত্ত্ববোধিনী পএিকার সম্পাদক কে ছিলেন?
উত্তরঃ-   মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর।

১৫২. ব্রাহ্মসমাজের কে ব্রহ্মানন্দ নামে পরিচিত ছিলেন?
উত্তরঃ-   কেশবচন্দ্র সেন।

১৫৩. বাংলার প্রথম মহিলা স্নাতক কারা ? 
উত্তরঃ-  বাংলার প্রথম মহিলা স্নাতক হলেন চন্দ্রমুখী বসু ও কাদম্বিনী গাঙ্গুলি । 

১৫৪. প্রথম শিক্ষা কমিশনের নাম কী ? 
উত্তরঃ-  প্রথম শিক্ষা কমিশনের নাম ‘ হান্টার কমিশন ‘ । 

১৫৫. কেসবচন্দে সেনকে - কে ব্রহ্মানন্দ উপাধি দিয়েছিলেন?
উত্তরঃ-  দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর।

১৫৬. কত খ্রিস্টাব্দে তিন আইন পাশ হয়?
উত্তরঃ-  1872 খ্রিষ্টাব্দে।

১৫৭.  কত খ্রিস্টাব্দে সতীদাহ প্রথা রদ করা হয়?
উত্তরঃ-  1829 খ্রিষ্টাব্দে 4 ই ডিসেম্বর।

১৫৮.  কোন বড়লাটের আমলে সতীদাহ প্রথা রদ করা হয়?
উত্তরঃ-  লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক এর আমলে।

১৫৯. কত খ্রিস্টাব্দে বিধবা বিবাহ আইন পাশ হয়?
উত্তরঃ-  1856 খ্রিস্টাব্দের 16 ই জুলাই বিধবাবিবাহ আইন পাশ করা হয়।

১৬০. র‍্যালে কমিশনের দুজন ভারতীয় সদস্যের নাম লেখো । 
উত্তরঃ-  র‍্যালে কমিশনের দুজন ভারতীয় সদস্য হলেন গুরুদাস ব্যানার্জি ও সৈয়দ হোসেন বিলগ্রামী । 

১৬১. ‘কলকাতা মাদ্রাসা ’ কে , কত খ্রিস্টাব্দে গড়ে তোলেন ? 
উত্তরঃ-  ওয়ারেন হেস্টিংস ১৭৮১ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা মাদ্রাসা গড়ে তোলেন । 

১৬২. কে বিধবাবিবাহ আইন পাস করেছিলেন?
উত্তরঃ-  লর্ড ক্যানিং।

১৬৩. ডিরোজিও ও তা অনুগামীরা কী নামে পরিচিত ছিল?,
উত্তরঃ-   ইয়ংবেঙ্গল গোষ্ঠী বা নব্যবঙ্গ গোষ্ঠী।

১৬৪. কত খ্রিস্টাব্দে এবং কে অ্যাকাডেমিক অ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তরঃ-  1828 খ্রিস্টাব্দে হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও।

১৬৫. " যত মত তত পথ " বাণীটি কার?
উত্তরঃ-  শ্রীরামকৃষ্ণ দেবের।

১৬৬. কত খ্রিস্টাব্দে রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা হয়?
উত্তরঃ-  1897 খ্রিস্টাব্দে।

১৬৭. কলকাতা মেডিকেল কলেজ কার উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় ? 
উত্তরঃ-  লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্কের উদ্যোগে কলকাতা মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয় । 

১৬৮. কলকাতা মেডিকেল কলেজের প্রথম প্রিন্সিপাল কে ছিলেন ? 
উত্তরঃ-  কলকাতা মেডিকেল কলেজের প্রথম প্রিন্সিপাল ছিলেন ডাক্তার এম . জে . ব্রামলে । 

১৬৯. রামকৃষ্ণ মিশন কে প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তরঃ-  স্বামী বিবেকানন্দ।

১৭০. Man Making Religion কথাটি কে বলেছিলেন?
উত্তরঃ-  স্বামী বিবেকানন্দ।

১৭১. স্বামী বিবেকানন্দ কত খ্রিস্টাব্দে শিকাগোয় বক্তৃতা দিয়েছিলেন?.
উওর; 1893 খ্রিষ্টাব্দের 11 ই সেপ্টেম্বর।

১৭২. বাংলার কোন শতকের নবজাগরণের যুগ বলা হয়?
উত্তরঃ-  উনিশ শতক-কে।

১৭৩. বাংলার নবজাগরণের প্রাণকেন্দ্র কোথায় ছিল?
উত্তরঃ-  কলকাতা।।

১৭৪. কলকাতা মেডিকেল কলেজ করে প্রতিষ্ঠিত হয় ।
উত্তরঃ-  কলকাতা মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দে । 

১৭৫. কে কলকাতা মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য কে জমি দান করেন ? 
উত্তরঃ-  মতিলাল শীল কলকাতা মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য জমি দান করেন । 

১৭৬. মধুসুদন গুপ্ত বিখ্যাত কেন ?
উত্তরঃ-  মধুসুদন গুপ্ত ছিলেন কলকাতা মেডিকেল কলেজের একজন ভারতীয় শল্যবিদ ও চিকিৎসক । 

১৭৭. লালন ফকির কে ছিলেন?
উত্তরঃ-  লালন ফকির ছিলেন একজন মানবতাবাদী ও অসংখ্য বাউল গানের রচয়িতা।

১৭৮.  কেশবচন্দ্র সেন সম্পাদিত পত্রিকাটির নাম কী?
উত্তরঃ-  ইন্ডিয়ান মিরর।।

১৭৯.  গোঁসাইজী নামে কে পরিচিত ছিলেন?
উত্তরঃ-  বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী।

১৮০.  কে নববিধান প্রতিষ্ঠা করেছিলেন?
উত্তরঃ-  কেশবচন্দ্র সেন।

১৮১.  কে বেদান্ত কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন?
উত্তরঃ-  রাজা রামমোহন রায়।।

১৮২. মধুসূদন গুপ্ত কবে শব ব্যবচ্ছেদ করেন ? 
উত্তরঃ-  মধুসুদন গুপ্ত প্রথম শব ব্যবচ্ছেদ করেন ১০ জানুয়ারি , ১৮৩৬ খ্রিস্টাব্দে ।

১৮৩. কে রামমোহন রায়কে রাজা উপাধি দেন?
উত্তরঃ-  মোগল সম্রাট দ্বিতীয় আকবর।

১৮৪. বাংলা ভাষায় প্রথম সাময়িক পত্রিকা কোনটি?
উত্তরঃ-  সমাচার দর্পন।

১৮৫. ভারতের প্রথম সাপ্তাহিক পএিকা কোনটি?
উত্তরঃ-  বেঙ্গল গেজেট।

১৮৬. কার উদ্যোগে বামাবোধিনী সভা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল?
উত্তরঃ-  উমেশচন্দ্র দত্ত।

১৮৭. কত খ্রিস্টাব্দে বামাবোধিনী পত্রিকার প্রথম প্রকাশ ঘটে?
উত্তরঃ-  ১৮৬৩ খ্রিষ্টাব্দের আগস্ট মাসে।

১৮৮. বামাবোধিনী পত্রিকা মাসিক নাকি দৈনিক পএিকা ছিল?
উত্তরঃ-  মাসিক। 

১৮৯. ভারতের প্রথম বাংলা দৈনিক সংবাদ কোনটি?
উত্তরঃ-  ঈশ্বর গুপ্ত সম্পাদিত -" সংবাদ প্রভাকর"। 

১৯০. বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রথম মাসিক পএিকার নাম কোনটি ?
উত্তরঃ-  " দিকদর্শন " হল বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রথম মাসিক পএিকা।

১৯১. বামাবোধিনী সভা কত খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত করা হয়?
উত্তরঃ-  ১৮৬৩ খ্রিষ্টাব্দের।

১৯২. বামাবোধিনী পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন?
উত্তরঃ-  উমেশচন্দ্র দও।

১৯৩. কত খ্রিস্টাব্দে বামাবোধিনী পত্রিকার প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যায়?
উত্তরঃ-  ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দে।

১৯৪. বামাবোধিনী পত্রিকায় মূলত কোন কোন বিষয়ে লেখা হতো?
উওর; বামাবোধিনীতে ভাষাজ্ঞান,ভূগোল,বিজ্ঞান, ইতিহাস, দেশ, নীতি ও ধর্ম, শিশুপালন গৃহচিকিৎসা, শিল্পকর্ম সাহিত্য ইত্যাদি বিষয়ে লেখা প্রকাশ করা হতো।

১৯৫. হিন্দুপ্যাট্রিয়ট পত্রিকাটি সাপ্তাহিক ছিল নাকি মাসিক?
উওর; সাপ্তাহিক।

১৯৬. 1884 খ্রিস্টাব্দে গ্রামবার্তা প্রকাশিকা বন্ধ হয়ে যাওয়ার প্রধান কারণ কি ছিল?
উত্তরঃ-  কাঙাল হরিনাথ মজুমদার আর্থিক দুরবস্থা।

১৯৭.  ব্রিটিশ সরকার কত খ্রিস্টাব্দে সনদ আইন পাস করে??
উত্তরঃ-  1813 খ্রিষ্টাব্দে।

১৯৮. কোন চার্টার অ্যাক্টের মাধ্যমে ভারতের শিক্ষা খাতে প্রতি বছর এক লক্ষ টাকা ব্যয় করার কথা ঘোষণা করা হয়?
উত্তরঃ-  1813 খ্রিস্টাব্দে চার্টার অ্যাক্ট এর মাধ্যমে।

১৯৯. হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকার একজন উল্লেখযোগ্য সম্পাদকের নাম লেখো।
উত্তরঃ-  হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়।

২০০. হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় কত খ্রিস্টাব্দে হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকায় যোগদান করেন?
উত্তরঃ-  1854 খ্রিষ্টাব্দে।

২০১. হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় কত খ্রিস্টাব্দে হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকার মুখ্য সম্পাদকের পদ অলংকৃত করেন?
উত্তরঃ-  1855 খ্রিষ্টাব্দে।

২০২.  হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকাটি প্রথম কবে প্রকাশিত হয়?
উত্তরঃ-  ১৮৫৩ খ্রিষ্টাব্দের ৬ ই জানুয়ারি।।

 ২০৩. হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকার প্রথম প্রকাশক কে ছিলেন?
উত্তরঃ-  গিরিশচন্দ্র ঘোষ।

২০৪. হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকার মালিক কে ছিলেন?
উত্তরঃ-   মধুসূদন রায়।

২০৫.  হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকাটি কোন ভাষায় প্রকাশিত হতো?
উত্তরঃ-  ইংরেজি।।

 ২০৬. হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকাটি কত খ্রিস্টাব্দে সাপ্তাহিক থেকে দৈনিক পত্রিকায় পরিণত হয়?
উত্তরঃ-  1892 খ্রিষ্টাব্দের 16 ই মার্চ।

২০৭. " হুতোম প্যাঁচার নকশা " -  গ্রন্থটি কার রচনা??
উত্তরঃ-  সাহিত্যিক কালীপ্রসন্ন সিংহ।

২০৮. কোন পত্রিকাকে গ্রামীণ সংবাদপত্রের জনক বলা হয়?
উত্তরঃ-  গ্রামবার্তা প্রকাশিকা - পএিকাকে।

২০৯. কত খ্রিস্টাব্দে গ্রামবার্তা প্রকাশিকা বন্ধ হয়ে যায়?
উত্তরঃ-  1884 খ্রিষ্টাব্দে।

২১০. কত খ্রিস্টাব্দে কমিটি অফ পাবলিক ইন্সট্রাকশন বা জনশিক্ষা কমিটি গঠিত হয়??
উত্তরঃ-  1823 খ্রিষ্টাব্দে।

২১১.  হুতোম প্যাঁচার নকশা গ্রন্থটি কত খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়??
উত্তরঃ-  1864 খ্রিষ্টাব্দে।

২১২. হুতোম প্যাঁচার নকশা গ্রন্থের আমরা কলকাতার কোন সম্প্রদায়কে দেখতে পাই??
উত্তরঃ-  কলকাতার বাবু সম্প্রদায়কে।

২১৩.  নীলদর্পণ নাটকটির রচয়িতা কে?
উওর.: দীনবন্ধু মিত্র।

২১৪. নীলদর্পণ নাটকটি কিসের উপর ভিত্তি করে লেখা হয়েছিল??
উত্তরঃ-   1859-60 খ্রিস্টাব্দের নীল বিদ্রোহের উপর ভিত্তি করে।

২১৫. নীলদর্পণ নাটকটি প্রথম কবে প্রকাশিত হয়?
উত্তরঃ-  1860 খ্রিষ্টাব্দে।

২১৬. নীলদর্পণ নাটকটি প্রথম কোথায় প্রকাশিত হয়?
উত্তরঃ-  ঢাকায়।

২১৭. কে " নীলদর্পণ ' নাটকটি ইংরেজিতে অনুবাদ করেছিলেন?
উত্তরঃ-  মাইকেল মধুসূদন দত্ত।

২১৮.  নীলদর্পণ নাটকটের ইংরেজি প্রকাশকের নাম কী?
উত্তরঃ-  রেভারেন্ড জেমস লঙ।

২১৯. নীলদর্পণ নাটকটি কী নামে ইংরেজিতে অনুবাদ করা হয়েছে?
উত্তরঃ-  " The Indigo Planting Mirror "।

২২০. গ্রামবার্তা প্রকাশিকা পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন?
উত্তরঃ-  হরিনাথ মজুমদার।

২২১. কত খ্রিস্টাব্দে গ্রামবার্তা প্রকাশিকা প্রথম প্রকাশিত হয়??
উত্তরঃ-  1863 খ্রিষ্টাব্দে।

২২২. ভারতে কবে পাশ্চাত্য শিক্ষা নীতি সরকারি ভাবে গ্রহণ করা হয়?
উত্তরঃ-  1835 খ্রিষ্টাব্দে।

২২৩. ভারতে কত খ্রিস্টাব্দে প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্যবাদী দ্বন্দ্বের অবসান ঘটে?
উত্তরঃ-  1835 খ্রিস্টাব্দের 7 ই মার্চ.



দশম শ্রেণীর ইতিহাস – সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা / Songoskar Boisisto O Porjalochona (দ্বিতীয় অধ্যায়)" সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর" । WBBSE Class 10 / Madhyamikth History 2nd Chapter SAQ Questions and Answers 

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর | SAQ Questions and Answers (Class Ten / Madhyamik History Second chapter)

১. বাংলায় নবজাগরণের প্রধান ভিত্তি কী ছিল?
উত্তরঃ-  প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যবাদী আদর্শ ছিল বাংলার নবজাগরণের প্রধানতম ভিত্তি। প্রাচ্য আদর্শের ভিত্তিগুলি হল এশিয়াটিক সোসাইটি, কলকাতা মাদ্রাসা, ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ ও কলকাতা সংস্কৃত কলেজ প্রতিষ্ঠা। প্রাচ্যবাদের চর্চা ভারতের ঐতিহ্যের পুনরুজ্জীবন ঘটায়। অন্যদিকে পাশ্চাত্য শিক্ষা বাংলায় মানবতাবাদ, যুক্তিবাদ, প্রগতিবাদী আদর্শের সঞ্চার ঘটায়। এই দুই আদর্শের ঘাত-প্রতিঘাতেই সৃষ্টি হয় বাংলার নবজাগরণ।

২. বাংলার নবজাগরণের সীমাবদ্ধতাগুলি কী?
উত্তরঃ-  বাংলায় নবজাগরণের সীমাবদ্ধতাগুলি হল — সমাজ ও ধর্ম সংস্কার আন্দোলন মূলত হিন্দুসমাজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল, তাই তা ছিল হিন্দু নবজাগরণ। এছাড়া নবজাগরণ ছিল শহরকেন্দ্রিক বুদ্ধিজীবীদের আন্দোলন ; তাই তার প্রভাব সীমিত ছিল। উপরন্তু নবজাগরণের ফলে জমিদার, ব্যবসায়ী, শিক্ষিত পেশাজীবী ব্যক্তিরা লাভবান হলেও কৃষকসহ সাধারণ মানুষ উপকৃত হয়নি।

৩. উমেশচন্দ্র দত্ত বিখ্যাত কেন ? 
উত্তরঃ-   উমেশচন্দ্র দত্ত বিখ্যাত ( ১৮৪০-১৯০৭ খ্রি . ) ছিলেন , কারণ প্রথমত , তিনি ছিলেন ব্রাহ্মসমাজের বিশিষ্ট নেতা , শিক্ষাবিদ ও সমাজসংস্কারক এবং কলকাতায় সিটি স্কুল ও কলেজের প্রথম অধ্যক্ষ । দ্বিতীয়ত , তিনি সামাজিক কুসংস্কারের বিরোধিতার পাশাপাশি বাঙালি ‘ বামা ‘ অর্থাৎ , নারীদের মধ্যে শিক্ষার প্রসার সাধন এবং নারীর সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য ‘ বামাবোধিনী ‘ ( ১৮৬৩ খ্রি . ) সভা প্রতিষ্ঠা করেন । তৃতীয়ত , তিনি ‘ বামাবোধিনী ‘ নামক একটি মাসিক পত্রিকা প্রকাশ করে নারী সমাজের অবস্থা , নারীশিক্ষা গ্রহণ ও তার তাৎপর্য , চাকরিসহ বিভিন্ন পেশায় যোগদান ও তার অভিজ্ঞতা , গৃহ – চিকিৎসাসহ গৃহ পরিচালনার খুঁটিনাটি দিক তুলে ধরেন । 

৪. স্ত্রীশিক্ষা বিস্তারে ‘ বামাবোধিনী পত্রিকা’র ভূমিকা কী ছিল ? 
উত্তরঃ-   স্ত্রীশিক্ষা বিস্তারে বামাবোধিনী পত্রিকার ভূমিকাগুলি হল প্রথমত , বামাবোধিনী পত্রিকা’র বিভিন্ন লেখনীর ( তৎকালীন সমাজের ধর্ম , নীতিশাস্ত্র , বিজ্ঞান , ইতিহাস , ঘরোয়া ওষুধপত্র , শিশু পরিচর্যা , নারীশিক্ষা বিষয়ক ) মাধ্যমে বাঙালি গৃহবধূসহ নারীদের শিক্ষিত করে তোলার কাজ শুরু হয়েছিল । দ্বিতীয়ত , এই পত্রিকা নারীদের প্রতি বঞ্চনা ও শোষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে নারীদের সচেতন করে তুলেছিল । তৃতীয়ত , এই পত্রিকা নারীদের মধ্যে বিদ্যাশিক্ষার প্রসারের জন্য প্রতিবন্ধকতাগুলি দূর করে কুসংস্কারমুক্ত শিক্ষিত নারী গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দিয়ে ‘ বন্দিনী বামা মুক্তির যুগ ’ শুরু করেছিল ।

৫. কীভাবে সাময়িকপত্র, সংবাদপত্র ও সাহিত্য থেকে উনিশ শতকের সমাজের প্রতিকলন পাওয়া যায়?
উত্তরঃ-  উনিশ শতকের বাংলার ইতিহাসের একটি বিশেষ উপাদান হল সাময়িকপত্র, সংবাদপত্র ও সাহিত্য। এগুলিতে সমসাময়িক সমাজের কুসংস্কার, অন্ধবিশ্বাস, কৃষি ও কৃষক, সমাজ ও জাতিবিন্যাসের কথা যেমন জানা যায় তেমনি সমাজের অগ্রগতি ও আধুনিকীকরণের কথাও জানা যায়। ‘বামাবোধিনী নামক সাময়িক পত্রিকা, হিন্দু প্যাট্রিয়ট’-এর মতো সংবাদপত্র, ‘হুতোম প্যাঁচার নকশা’ ও ‘নীলদর্পণ’ নামক সাহিত্য থেকে একথা জানা যায়।

৬. ‘বামাবোধিনী ‘ পত্রিকায় প্রকাশিত বিষয়ের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো । 
উত্তরঃ-   ‘ বামাবোধিনী পত্রিকা’য় প্রকাশিত বিষয়ের দুটি বৈশিষ্ট্য হল – প্রথমত , নারী জাতির মানসিক বিকাশের জন্য নারী সমাজের অবস্থা , নারীশিক্ষা গ্রহণ ও তার তাৎপর্য , চাকরিসহ বিভিন্ন পেশায় যোগদান ও তার অভিজ্ঞতা , গৃহচিকিৎসাসহ গৃহ পরিচালনার খুঁটিনাটি দিক প্রতিফলিত হয়েছিল । দ্বিতীয়ত , পত্রিকাটি নারীদের জন্য হলেও প্রকাশিত বিষয়ের পত্রিকাটিতে পুরুষ লেখকদের রচনার পাশাপাশি নারীরাও স্বনামে অথবা বেনামে নিয়মিত লিখতেন । তৃতীয়ত , এই পত্রিকা নারীদের প্রতি বঞ্চনা ও শোষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে নারীদের সচেতন করে তুলে ‘ বন্দিনী বামামুক্তির ‘ যুগ শুরু করেছিল । 

৭. বামাবোধিনী পত্রিকা থেকে নারীশিক্ষা বিষয়ে কী কী তথ্য পাওয়া যায় ? 
উত্তরঃ-   ‘ বামাবোধিনী পত্রিকা ‘ ঊনবিংশ শতকে বাঙালি নারীদের শিক্ষিত করে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় , যেমন— প্রথমত , বামা অর্থাৎ নারীদের বিদ্যাশিক্ষার প্রতিবন্ধকতার প্রতিফলন ঘটেছিল এই পত্রিকাটিতে । দ্বিতীয়ত , মেয়েদের জড়তা কাটিয়ে শিক্ষিত করে তোলাই ছিল এই পত্রিকার অন্যতম লক্ষ্য ।

৮. বামাবোধিনী পত্রিকা বিখ্যাত কেন?
উত্তরঃ-  ব্রাহ্মসমাজের আন্দোলনের একটি বিশেষ দিক নারীশিক্ষার প্রসার ও নারী সমাজের উন্নয়ন। এই প্রচেষ্টার ফলশ্রুতি ছিল বামাবোধিনী’ পত্রিকার আত্মপ্রকাশ (১৮৬৩ খ্রি.)। এই পত্রিকায় নারী সমাজের অবস্থা, শিক্ষাগ্রহণ ও তার তাৎপর্য, চাকরিসহ বিভিন্ন পেশায় যোগদান ও তার অভিজ্ঞতা, গৃহচিকিৎসাসহ গৃহপরিচালনার খুঁটিনাটি সম্পর্কিত রচনা প্রকাশিত হত।

৯. স্ত্রীধন কী?
উত্তরঃ-  বামাবোধিনী পত্রিকা থেকে জানা যায় যে, ভারতীয় নারীর ব্যক্তিগত সম্পত্তিই হল স্ত্রীধন এবং এগুলি সাধারণত অলংকার ও পোশাক। বিবাহকালে নারীর ‘পিতৃদত্ত বা পিতার দেওয়া, ‘ভ্রাতৃদত্ত’ বা ভাইয়ের দেওয়া অলংকার ও উপহার ছিল স্ত্রীধনের উৎসস্থল। এছাড়া নারীর মৃত্যুর পর এই সম্পত্তি স্বামী অথবা পুত্রেরা পেত না, তা পেত তার কন্যা বা কন্যারা।

১০. ‘হিন্দু প্যাট্রিয়ট ‘ থেকে বাংলার জনজীবন সম্পর্কে কী জানা যায় ? 
উত্তরঃ-   ‘ হিন্দু প্যাট্রিয়ট ’ – এ বাংলার জনগণের জীবনের বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে প্রতিবেদন রচিত হয়েছিল , যেমন প্রথমত , ইংরেজ শাসনকালে অর্থকরী ফসল ( যেমন — পাট , তুলা , তৈলবীজ , আখ ) চাষ ও তা বিদেশে রপ্তানির কারণে কৃষিপণ্য ও খাদ্যশস্যের দাম বৃদ্ধির ফলে জনজীবন ক্ষতিগ্রস্ত হয় । দ্বিতীয়ত , শিক্ষিত ব্যক্তির সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে তাদের কর্মসংস্থানও অনিশ্চিত হয়ে পড়ে । তৃতীয়ত , নীলকরদের অত্যাচার ও নীলচাষিদের দুরবস্থার কথাও জানা যায় । 

১১. ‘হিন্দু প্যাট্রিয়ট ‘ কেন বিখ্যাত ? 
উত্তরঃ-   গিরিশচন্দ্র ঘোষের সম্পাদনায় মধুসুদন রায় ইংরেজি সাপ্তাহিক সংবাদপত্ররূপে ( অবশ্য ১৮৮১ খ্রিস্টাব্দ থেকে দৈনিক ) প্রকাশ করেন ( ৬ ফেব্রুয়ারি , ১৮৫৩ খ্রি . ) । এই পত্রিকা বিখ্যাত ছিল , কারণ— প্রথমত , এই পত্রিকার বিখ্যাত সম্পাদক ছিলেন হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় । যিনি নীলকরদের অত্যাচার সম্পর্কে খবর প্রকাশ করে নীলচাষিদের বন্ধুতে পরিণত হয়েছিলেন । দ্বিতীয়ত , এই পত্রিকা ইংরেজ শাসন – শোষণের সমালোচনা ও বিরোধিতা করে এবং নীলচাষিদের পক্ষ সমর্থন করে জাতীয়তাবাদী পত্রিকার মর্যাদা লাভ করে । 

১২. ‘নীলদর্পণ ‘ নাটকটি লেখকের স্বনামে প্রকাশিত হয়নি কেন ? 
উত্তরঃ-   ‘ নীলদর্পণ ‘ নাটকটি লেখকের স্বনামে প্রকাশিত হয়নি । কারণ প্রথমত , ‘ নীলদর্পণ ‘ নাটকের লেখক দীনবন্ধু মিত্র একজন সরকারি চাকুরে ছিলেন । দ্বিতীয়ত , নীলকরদের বিরুদ্ধে লেখা এই নাটকটিতে নীলচাষিদের দুঃখদুর্দশার কথা তুলে ধরে তিনি ব্রিটিশ সরকারের বিরাগভাজন হতে পারতেন এবং তার চাকুরির ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারত । তৃতীয়ত , তিনি মনে করেছিলেন পাদরি জেমস লঙ যেহেতু ইংরেজ সেহেতু তার নামে নাটকটা প্রকাশ করলে কোনো সমস্যা হবে না । 

১৩. হিন্দু প্যাট্রিয়ট থেকে বাংলার জনজীবন সম্পর্কে কী জানা যায়?
উত্তরঃ-  হিন্দু প্যাট্রিয়ট-এ বাংলার জনগণের জীবনের বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে প্রতিবেদন রচিত হয়েছিল। ইংরেজ শাসনকালে অর্থকরী ফসল (যেমন – পাট, তুলা, তৈলবীজ, আখ) চাষ ও তা বিদেশে রফতানির কারণে কৃষিপণ্য ও খাদ্যশস্যের দাম বৃদ্ধির কারণে জনজীবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া শিক্ষিত ব্যক্তির সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে তাদের কর্মসংস্থানও অনিশ্চিত হয়ে পড়ে

১৪. হিন্দু প্যাট্রিয়ট থেকে নীলচাষ সম্পর্কে কী জানা যায়?
উত্তরঃ-  হিন্দু প্যাট্রিয়ট নামক সংবাদপত্র হল নীলচাষ ও নীলকর সাহেবদের অত্যাচার সম্পর্কে জানার গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। কৃষকদের কাছে নীলচাষ অলাভজনক হলেও দাদন বা অগ্রিম অর্থ গ্রহণের কারণে নীলচাষিরা নীলচাষ করতে বাধ্য হত। নীলচাষে অনিচ্ছুক কৃষকরা নীলকর সাহেবদের দ্বারা অত্যাচারিত হত।

১৫. নীলদর্পণ ‘ নাটকের কয়েকটি চরিত্রের নাম লেখো । 
উত্তরঃ-   ‘ নীলদর্পণ ‘ নাটকের প্রধান দুটি চরিত্র হল তোরাপ এবং গোলকচন্দ্র বসু । এ ছাড়াও নবীন মাধব , বিন্দু মাধব , সৈরিথ্রী , সাবিত্রী প্রমুখ ছিল এই নাটকের অন্যতম প্রধান চরিত্র । 

১৬. দেশপ্রেমের উন্মেষে ‘ নীলদর্পণ ‘ নাটকের কী ভূমিকা ছিল ? 
উত্তরঃ-   দেশপ্রেমের উন্মেষে ‘ নীলদর্পণ ‘ নাটকের ভূমিকা ছিল খুব গুরুত্বপূর্ণ , কারণ— প্রথমত , দীনবন্ধু মিত্র তাঁর ‘ নীলদর্পণ ‘ নাটকে অনিচ্ছুক নীলচাষিদের ওপর নীলকরদের অত্যাচারের বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন । দ্বিতীয়ত , প্রতিদিনের ঘটে যাওয়া নানা ঘটনা চোখের জল ও মুখের হাসি তুলে ধরেছিলেন তার নাটকে । তৃতীয়ত , নীলকরদের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা আন্দোলনে রায়ত , সম্পন্ন কৃষক , মধ্যবিত্ত শ্রেণি একজোট হয়ে নীলচাষের বিরুদ্ধে যে প্রতিবাদ করেছিল তা ধরা পড়ে এই নাটকে , যা ভারতীয়দের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করেছিল । 

১৭. গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা ‘ – র কয়েকটি দিক চিহ্নিত করো । 
অথবা ‘ গ্রামবার্তা প্রকাশিকা ‘ পত্রিকার বিষয়বস্তু কী ছিল ? 

উত্তরঃ-   হরিনাথ মজুমদার বা ‘ কাঙাল হরিনাথ ‘ কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত ‘ গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা ‘ ছিল এক সাময়িক পত্রিকা । এই পত্রিকার মাধ্যমে তিনি প্রথমত , গ্রাম ও গ্রামবাসী প্রজার অবস্থা সহ সমসাময়িক বিভিন্ন খবর প্রকাশ করতেন ।। দ্বিতীয়ত , ব্রিটিশ সরকার ও তার সহযোগী জমিদার ও মহাজন কর্তৃক প্রজা শোষণ ও অত্যাচারের কথা প্রকাশিত হয়েছিল । এমনকি জোড়াসাঁকোর বিখ্যাত ঠাকুরবাড়ির জমিদারি ব্যবস্থাও তাঁর সমালোচনার হাত থেকে রেহাই পায়নি । তৃতীয়ত , এই পত্রিকায় সাহিত্য , দর্শন , বিজ্ঞান ও বীরগাথা প্রকাশিত হয়েছিল । 

১৮. হুতোম প্যাঁচার নক্শা থেকে কীভাবে কলকাতার সমাজ বিন্যাসের কথা জানা যায়?
উত্তরঃ-  কালীপ্রসন্ন সিংহের রচিত ‘হুতোম প্যাঁচার নকশা’ নামক ব্যঙ্গাত্মক গ্রন্থ থেকে ইংরেজ শাসনের পূর্বে বাংলার বড় বড় বংশের (কৃষ্ণচন্দ্র, রাজবল্লভ, মানসিংহ, নন্দকুমার, জগৎশেঠ) পতন এবং নতুন বংশের (মল্লিক পরিবার, শীল পরিবার) উত্থানের কথা জানা যায়। এর পাশাপাশি নতুন নতুন জাতের উদ্ভব হয়। এর মূল কারণ ছিল ইংরেজ শাসন ও ব্যাবসা-বাণিজ্য।

১৯. হুতোম প্যাঁচার নক্শা থেকে উনিশ শতকের সংস্কৃতির কথা কীভাবে জানা যায়?
উত্তরঃ-  হুতোম প্যাঁচার নক্শা’ থেকে উনিশ শতকের বিভিন্নধর্মী সংস্কৃতির কথা জানা যায় — যেমন, নীলের ব্রত, গাজন সন্ন্যাসী (চড়কি)-দের শিবের কাছে মাথা ঘোরানো বা মাথা চালা, যাত্রাগান, বুলবুলের গান, অশ্লীল শব্দযুক্ত আখড়াই গান প্রভৃতি। এছাড়া চড়কপূজা, নীলষষ্ঠী, রামলীলা, রথ উৎসব, বারোয়ারি দুর্গাপূজাও ছিল সংস্কৃতির অঙ্গ।

২০. গ্রামাবার্তা প্রকাশিকা ‘ কেন ব্যতিক্রমী ছিল ? 
উত্তরঃ-   গ্রামাবার্তা প্রকাশিকা ‘ পত্রিকা বিভিন্ন কারণে ব্যাতিক্রমী ছিল , যেমন প্রথমত , এর আগের সমস্ত পত্রপত্রিকা কলকাতা থেকে প্রকাশিত হয়েছিল বলে তাতে শহরের শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানসিক প্রতিফলন ধরা পড়েছিল । কিন্তু ‘ গ্রামবার্তা প্রকাশিকা ‘ সর্বপ্রথম গ্রাম থেকেই প্রকাশিত হয় । দ্বিতীয়ত , এতে গ্রামের মানুষের দুঃখ , দুর্দশা , বঞ্চনা , নিপীড়নের কথা , নীলকরদের অত্যাচারের কথা তুলে ধরা হয়েছিল বলেই এটি ব্যতিক্রমী । তৃতীয়ত , এটিই ছিল বাংলার গ্রামীণ সংবাদপত্রের জনক ‘ । 

২১. হরিনাথকে ‘ কাঙাল হরিনাথ ‘ বলা হয় কেন ? 
অথবা , কে , কেন কাঙাল হরিনাথ নামে পরিচিত ছিলেন ? 

উত্তরঃ-   হরিনাথকে ‘ কাঙাল হরিনাথ ‘ বলা হয় , কারণ— প্রথমত , কুমারখালি পাঠশালার পণ্ডিত হরিনাথ মজুমদার ‘ কাঙাল হরিনাথ ‘ নামে ‘ গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা ‘ পত্রিকাটি সম্পাদনা করতেন । দ্বিতীয়ত , নিদারুণ আর্থিক দুরবস্থা , পরিকাঠামোগত অসুবিধে সত্ত্বেও দীর্ঘ বাইশ বছর ধরে তিনি এই সমাজের নিপীড়িত , অত্যাচারিত , অবহেলিত মানুষের অবস্থা প্রকাশ করেন । তৃতীয়ত , হরিনাথ নিজে শুধুমাত্র সমাজের ওইসব মানুষগুলির প্রতি সমব্যথীই ছিলেন না , এক গভীর একাত্মবোধে আবদ্ধ হয়েছিলেন বলে তিনি নিজে তার নামের আগে ‘ কাঙাল ‘ কথাটি ব্যবহার করতেন । 

২২.  দেশীয় শিক্ষা বলতে কী বোঝ ? 
উত্তরঃ-   প্রাক – ঔপনিবেশিক শাসনকালে ভারতে প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থা দেশীয় শিক্ষা নামে পরিচিত ছিল ; এর বিভিন্ন দিকগুলি হল প্রথমত , হিন্দুদের পাঠশালা ও টোল এবং মুসলিমদের মক্তব ও মাদ্রাসাগুলি ছিল দেশীয় শিক্ষার প্রধান কেন্দ্র । দ্বিতীয়ত , হিন্দুরা সংস্কৃত ও বাংলা ভাষায় এবং মুসলিমরা মারবি ও ফারসি ভাষায় ধর্মীয় কাহিনিসহ সাধারণ কিছু বিষয়ের প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করত । তৃতীয়ত , এই শিক্ষা ছিল ধর্মভিত্তিক এবং একারণেই এই শিক্ষা কেন্দ্রগুলিতে আধুনিক জ্ঞানবিজ্ঞান , গণিত , ভূগোল , ইতিহাস প্রভৃতি বিষয়ে শিক্ষাদান অবহেলিত ছিল । 

২৩. নীলদর্পণ নাটকের গুরুত্ব কি?
উত্তরঃ-  নীলচাষিদের নীলচাষ ও অনিচ্ছুক নীলচাষিদের উপর নীলকর সাহেবদের অত্যাচারই ছিল ‘নীলদর্পণ’ নাটকের মূল বিষয়। অনুমান করা হয় যে, নদিয়ার গুয়াতেলির মিত্র পরিবারের দুর্দশাই এই নাটকের মাধ্যমে ফুটে উঠেছিল। নীল বিদ্রোহ ও ‘নীল কমিশন’ গঠনের পর এই নাটকটি প্রকাশিত হলে পাদ্রি জেমস্ লং এই নাটকটির ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশ করেন।

২৪. গ্রামবার্তা প্রকাশিকা-র কয়েকটি দিক চিহ্নিত করো।
উত্তরঃ-  হরিনাথ মজুমদার বা কাঙাল হরিনাথ কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত ‘গ্রামবার্তা প্রকাশিকা’ ছিল এক সাময়িক পত্রিকা। এই পত্রিকার মাধ্যমে তিনি গ্রাম ও গ্রামবাসী প্রজার অবস্থা প্রকাশ করতে সচেষ্ট হন। এছাড়া এই পত্রিকায় সমসাময়িক বিভিন্ন খবরও প্রকাশিত হত।

২৫. জনশিক্ষা কমিটি কেন তৈরি হয়েছিল ? 
উত্তরঃ-   লর্ড হেস্টিংসের আমলে ১৮২৩ খ্রিস্টাব্দে বাংলা প্রদেশের শিক্ষাব্যবস্থার প্রসার ও উন্নয়নের উদ্দেশ্যে জনশিক্ষা কমিটি বা General Committee of Public Instruction ( GCPI ) তৈরি হয়েছিল । 

২৬. বাংলায় নবজাগরণের প্রধান ভিত্তি কী ছিল ? 
উত্তরঃ-   বাংলায় নবজাগরণের প্রধান ভিত্তি ছিল প্রাচ্যবাদ ও পাশ্চাত্যবাদ এবং এই দুই আদর্শের ঘাত – প্রতিঘাতেই সৃষ্টি হয় বাংলার নবজাগরণ । প্রাচ্যবাদী প্রতিষ্ঠানগুলিতে ( এশিয়াটিক সোসাইটি , কলকাতা মাদ্রাসা , ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ ও কলকাতা সংস্কৃত কলেজ ) প্রাচ্যবাদের চর্চা ভারতের ঐতিহ্যের পুনরুজ্জীবন ঘটায় । অন্যদিকে পাশ্চাত্য শিক্ষা বাংলায় মানবতাবাদ , যুক্তিবাদ , প্রগতিবাদী আদর্শের সঞ্চার ঘটায় । 

২৭. বাংলার নবজাগরণের সীমাবদ্ধতাগুলি কী ? 
উত্তরঃ-   বাংলায় নবজাগরণের সীমাবদ্ধতাগুলি হল— প্রথমত , সমাজ ও ধর্মসংস্কার আন্দোলন মূলত হিন্দুসমাজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল , তাই তা ছিল হিন্দু নবজাগরণ । দ্বিতীয়ত , নবজাগরণ শহরকেন্দ্রিক বুদ্ধিজীবীদের আন্দোলন হওয়ার কারণে এর প্রভাব ছিল সীমিত । তৃতীয়ত , নবজাগরণের ফলে জমিদার , ব্যবসায়ী , শিক্ষিত বুদ্ধিজীবী ব্যক্তিরা লাভবান হলেও কৃষক – সহ সাধারণ মানুষ উপকৃত হয়নি । 

২৮. ভারতের শিক্ষার ইতিহাসে ১৮১৩ খ্রিস্টাব্দের সনদ আইনের গুরুত্ব কী?
উত্তরঃ-  ১৮১৩ খ্রিস্টাব্দের সনদ আইনে ভারতে শিক্ষা বিস্তারের জন্য প্রতি বছর অন্তত এক লক্ষ টাকা বরাদ্দ করার জন্য সুপারিশ করা হয়। এভাবে সরকার ভারতীয় প্রজাদের
শিক্ষার দায়িত্ব গ্রহণ করে। আবার এই সুপারিশকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যবাদী শিক্ষার বিতর্ক।

২৯. ভারতে শিক্ষাবিস্তারের ক্ষেত্রে প্রাচ্যবাদী ও পাশ্চাত্যবাদী বিতর্ক বলতে কী বোঝো?
উত্তরঃ-  ঊনবিংশ শতকে ভারতীয় জনগণের মধ্যে ‘ভারতে শিক্ষা বিস্তারের ক্ষেত্রে শিক্ষাচর্চার মাধ্যম’ কী হওয়া উচিত সে বিষয়ে বিতর্ক দেখা দেয়। এইচ. টি. প্রিন্সেপ, কোলব্রুক প্রমুখ পণ্ডিত শিক্ষার মাধ্যম হিসাবে মাতৃভাষা অর্থাৎ প্রাচ্য ভাষাকে সমর্থন জানালেও স্যার জন শোর, চার্লস গ্রান্ট, লর্ড মেকলে প্রমুখ পণ্ডিত ইংরেজি ভাষার মাধ্যমে শিক্ষাচর্চার পক্ষেই মত প্রকাশ করেন। আধুনিক ভারতের শিক্ষাচর্চার ইতিহাসে এই বির্তক ‘প্রাচ্যবাদী ও পাশ্চাত্যবাদী বিতর্ক’ নামে পরিচিত।

৩০. ইটালির নবজাগরণের সঙ্গে বাংলার নবজাগরণের দুটি বৈসাদৃশ্য লেখো । 
উত্তরঃ-   ইটালির নবজাগরণের সঙ্গে বাংলার নবজাগরণের দুটি বৈসাদৃশ্য হল— প্রথমত , ইটালির নবজাগরণের উন্মেষ ও বিকাশ ঘটেছিল মুক্ত পরিবেশে কিন্তু বাংলার নবজাগরণের বিকাশ ঘটেছিল ঔপনিবেশিক শাসনের অধীনে । দ্বিতীয়ত , ইটালির স্বাধীন নগর রাষ্ট্রগুলির বুর্জোয়া ব্যবসায়ী , বণিক শ্রেণি ও শাসকবর্গ ইটালীয় নবজাগরণের পৃষ্ঠপোষকতা দান করেছিল , কিন্তু বাংলার নবজাগরণের মূল পৃষ্ঠপোষক ও কারিগর ছিল চাকরজীবী , উকিল , ডাক্তার ও মধ্যবিত্ত শ্রেণি । 

৩১. ভারতে নারীশিক্ষা বিস্তারে বিদ্যাসাগরের অবদান কী ছিল ? 
উত্তরঃ-   উনিশ শতকে বাংলা তথা ভারতের নারীশিক্ষা বিস্তারে বিদ্যাসাগরের অবদানগুলি হল প্রথমত , ১৮৫০ – এর দশকে দক্ষিণবঙ্গের বিদ্যালয় পরিদর্শকের সরকারি পদে থাকার সুবাদে তিনি ৩৫ টি ( মতান্তরে ৪০ টি ) বালিকা বিদ্যালয় এবং ১০০ টি বাংলা স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন । দ্বিতীয়ত , তাঁর উল্লেখযোগ্য কৃতিত্ব ছিল ১৮৪৯ খ্রিস্টাব্দে বেথুন সাহেবের সহযোগিতায় ‘ হিন্দু ফিমেল স্কুল ’ স্থাপন ও এই স্কুলের জন্য নিয়মাবলি রচনা ।

৩২. শিক্ষাবিস্তারের ক্ষেত্রে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান ছিল ? 
উত্তরঃ-   ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর সারাজীবন ধরে শিক্ষাবিস্তারে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন , যেমন— প্রথমত , নারীশিক্ষা প্রসারের জন্য তিনি ৩৫ টি বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন । দ্বিতীয়ত , পাঠ্যপুস্তকের অভাব দূর করার জন্য তিনি নানা ধরনের সহজ পুস্তক রচনা করেন যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বর্ণপরিচয় , কথামালা , বোধোদয় ইত্যাদি । 

৩৩. কে, কবে ইংরেজি ভাষাকে ভারতের পাশ্চাত্য শিক্ষাবিস্তারের মাধ্যম হিসাবে ঘোষণা করেন? এর গুরুত্ব কী?
উত্তরঃ-  লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক ১৮৩৫ সালে ইংরেজি ভাষাকে ভারতের পাশ্চাত্য শিক্ষাবিস্তারের মাধ্যম হিসাবে ঘোষণা করেন। এর ফলে ভারতে ইংরেজি ভাষার মাধ্যমে পাশ্চাত্য শিক্ষাবিস্তারের সরকারি নীতি গৃহীত হয় এবং প্রাচ্য-পাশ্চাত্যবাদী বিতর্কের অবসান ঘটে।

৩৪. উডের নির্দেশনামা কী?
উত্তরঃ-  ভারতের প্রাথমিক থেকে উচ্চ শিক্ষার মধ্যে সামঞ্চসা প্রতিষ্ঠা ও শিক্ষা-সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করার জন্য উনিশ শতকে চার্লস উডের নেতৃত্বে একটি শিক্ষা কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনের সুপারিশগুলিকে ‘উডের নির্দেশনামা বলা হয় (১৮৫৪ খ্রি.)।

৩৫. বেথুন কলেজ কীভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় ? 
উত্তরঃ-   জন এলিয়ট ড্রিঙ্কওয়াটার বেথুন ১৮৪৯ খ্রিস্টাব্দে হিন্দু ফিমেল স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন । ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে এই স্কুলের সঙ্গে বালিগঞ্জের ‘ বঙ্গ মহিলা বিদ্যালয় ‘ সম্মিলিত বা একত্রিত হয়ে বেথুন কলেজে পরিণত হয় । 

৩৬. ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল কেন ? অথবা ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কী ? 
উত্তরঃ-   ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে লর্ড ওয়েলেসলি কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন । এর উদ্দেশ্যগুলি হল প্রথমত , ওয়েলেসলি ভেবেছিলেন যে , ইংল্যান্ড থেকে যেসব যুবক ভারতে সিভিল সার্ভিসের চাকরি নিয়ে ভারতে আসবে তাদের অদেশের ভাষা , সামাজিক রীতিনীতি ও ঐতিহ্য সম্পর্কে পরিচয় থাকা দরকার । দ্বিতীয়ত , এই সিভিল সার্ভেন্টদের ভারতীয় ভাষা , সংস্কৃতি , আইন ও রীতিনীতি শিক্ষাদানের উদ্দেশ্যে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয় । 

৩৭. হিন্দু কলেজ কখন ও কীভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় ? 
উত্তরঃ-   ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে ভারতীয় ও ইউরোপীয়দের যৌথ উদ্যোগে হিন্দু কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয় । হিন্দু কলেজ প্রতিষ্ঠার সঙ্গে রাজা রামমোহন রায় , ডেভিড হেয়ার এবং বিচারপতি হাইড ইস্ট – এর নাম বিশেষ উল্লেখযোগ্য । অধিকাংশের মতে , হিন্দু কলেজের প্রস্তাবক ডেভিড হেয়ার এদেশীয় ধনবান ব্যক্তিদের আর্থিক সহযোগিতায় এই কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন , কিন্তু ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদারের মতে , হাইড ইস্ট – ই এই কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন । 

৩৮. ভারতে আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা প্রসারের ক্ষেত্রে চার্লস উডের দুইটি সুপারিশ উল্লেখ করো।
উত্তরঃ-  ভারতে আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা প্রসারের ক্ষেত্রে চার্লস উডের অনেকগুলি সুপারিশের (১৮৫৪ খ্রি.) মধ্যে দুইটি সুপারিশ ছিল – 
1.সরকারি শিক্ষানীতি রূপায়ণ ও পরিচালনার জন্য সরকারি শিক্ষা বিভাগ গঠন করা।
2. ভারতের প্রেসিডেন্সি শহরগুলিতে (কলকাতা, মাদ্রাজ ও বোম্বাই) একটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা।

৩৯. হান্টার কমিশন কী?
উত্তরঃ-  ভারতের উচ্চশিক্ষার অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করার জন্য ১৮৮২ খ্রিস্টাব্দে স্যার উইলিয়াম হান্টার নামে এক শিক্ষাবিদের নেতৃত্বে ভারত সরকার একটি কমিশন নিয়োগ করে, যা ‘হান্টার কমিশন’ নামে পরিচিত।

৪০. বাংলার নারীশিক্ষা বিস্তারে রাজা রাধাকান্ত দেবের ভূমিকা বিশ্লেষণ করো ।
উত্তরঃ-   বাংলার নারীশিক্ষা বিস্তারে রাজা রাধাকান্ত দেবের ভূমিকা ছিল খুব গুরুত্বপূর্ণ , কারণ— প্রথমত , তিনি নিজে সংস্কৃত পণ্ডিত হয়েও জাতির নৈতিক চরিত্র ও সামাজিক সুখ বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে নারীদের মধ্যে শিক্ষাবিস্তারের উদ্দেশ্যে ‘ ক্যালকাটা ফিমেল জুভেনাইল সোসাইটি ’ প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করেন ( ১৮১৯ খ্রি . ) । দ্বিতীয়ত , তিনি ক্যালকাটা স্কুল বুক সোসাইটির অবৈতনিক সম্পাদকরূপে তাঁর বাড়িতে ক্যালাকাটা স্কুল সোসাইটির অধীনস্থ স্কুলের ছাত্রীদের পরীক্ষা দানের সুযোগ করে দেন । তৃতীয়ত , স্ত্রীশিক্ষা প্রসারের সমর্থনে রাধাকান্ত দেব গৌরমোহন বিদ্যালংকারকে ‘ স্ত্রীশিক্ষা বিধায়ক ‘ ( ১৮২২ খ্রি . ) পুস্তিকাটি রচনার জন্য অনুরোধ করেন ও সাহায্য করেন । এই সমস্ত কারণে জে . ডি . বেথুন রাধাকান্ত দেবকে ‘ স্ত্রীশিক্ষার সমর্থক প্রথম বাঙালি ’ বলে অভিহিত করেছেন । 

৪১. কে কবে কেন এশিয়াটিক সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন?
উত্তরঃ-  
স্যার উইলিয়াম জোন্স 1784 খ্রিস্টাব্দে এশিয়াটিক সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। উইলিয়াম জোন্স  প্রাচ্য ভাষা ও সংস্কৃতির চর্চা এবং প্রাচ্য বিষয়ের গবেষণা করার জন্য কলকাতায় এশিয়াটিক সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

৪২. সতীদাহ প্রথা কে কবে নিষিদ্ধ করেন?
উত্তরঃ-  
গভর্নর জেনারেল লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক 1829 খ্রীষ্টাব্দে সপ্তাদশ বিধি দ্বারা আইন করে সতীদাহ প্রথা নিষিদ্ধ করেন।

৪৩. ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আইনে (১৯০৪ খ্রি.) কী বলা হয়েছিল?
উত্তরঃ-  ভারতের বিশ্ববিদ্যালয় আইনে (১৯০৪ খ্রি.) বলা হয়েছিল যে —
1. বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ওপর সরকারি নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি পাবে।
2.বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ক্ষেত্রে সরকার মনোনীত সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে।

৪৪.  ভারতে নারীশিক্ষা বিস্তারে বিদ্যাসাগরের অবদান কী ছিল?
উত্তরঃ-  ঊনবিংশ শতকে বাংলা তথা ভারতের নারীমুক্তি আন্দোলনে বিদ্যাসাগরের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বিদ্যালয় পরিদর্শকের সরকারি পদে থাকার সুবাদে তিনি ৩৫টি (মতান্তরে ৪০টি) বালিকা বিদ্যালয় এবং ১০০টি বাংলা স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। এক্ষেত্রে তাঁর উল্লেখযোগ্য কৃতিত্ব ছিল ১৮৪৯ সালে বেথুন সাহেবের সহযোগিতায় ‘হিন্দু ফিমেল স্কুল স্থাপন।

৪৫. উডের ডেসপ্যাচ কি?
উত্তরঃ-  
1854 খ্রীষ্টাব্দে বোর্ড অফ কান্ট্রলের সভাপতি চার্লস উড ভারতের ভবিষ্যৎ শিক্ষা কাঠামো গঠনের উদ্দেশ্যে যে পরিকল্পনা পেশ করেন তা উডের ডেসপ্যাচ নামে পরিচিত।
নির্দেশনামা বা ডেসপ্যাচঃ
i)প্রতিটি প্রেসিডেন্সিতে (কলকাতা,বোম্বাই ও মাদ্রাজ) একটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত।
ii) প্রাথমিক স্তরে মাতৃভাষায় শিক্ষা দেওয়া হবে।
iii)নারী শিক্ষার উপর গুরুত্ব দেওয়া হবে।
এ নির্দেশনামাকে ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারের ইতিহাসে মহাসনদ বা ম্যাগনাকার্টা বলা হয় এর ফলে ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষা দ্রুত বিস্তার লাভ করে।

৪৬. শ্রীরামপুর ত্রয়ী কাদের বলা হয়?
উত্তরঃ-  
হুগলি জেলার শ্রীরামপুরে ব্যাপটিস্ট মিশন খ্রিস্টধর্ম প্রচার ও শিক্ষাবিস্তারের কাজ শুরু করে। শ্রীরামপুর এয়ী উইলিয়ম কেরি, ফ্রাসোয়া মার্শম্যান ও উইলিয়ম ওয়ার্ড— এই তিনজন পাশ্চাত্য শিক্ষাবিস্তারে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন। এঁদের একত্রে বলা হয় শ্রীরামপুর ত্রয়ী।
অবদান: 
এঁরা ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা, “দিগদর্শন’ ও ‘সমাচার দর্পণ পত্রিকা প্রকাশ, 26টি আঞ্চলিক ভাষায় বাইবেল অনুবাদ এবং বিভিন্ন স্কুল ও কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন।

৪৭. চুইয়ে পড়া নীতি কী?
উত্তরঃ-  
পাশ্চাত্য শিল্পবিস্তারের সূচনায় ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয় যে, বাংলার উচ্চ ও মধ্যবিত্তশ্রেণির | মধ্যে ইংরেজি শিক্ষার প্রসার ঘটানো হলে ওই উচ্চশিক্ষিত লোকেরা সাধারণ জনগণের মধ্যেও তার বিস্তার ঘটাবে। ফিলটারের জল যেমন উপর থেকে পরিত হয়ে চুইয়ে নীচে নামে, তেমনই সমাজের উচ্চস্তর থেকে নিম্নস্তরে শিক্ষাবিস্তারের এই নীতিকেই চুইয়ে পড়া নীতি বা ‘Filtration Theory’ বলা হয়ে থাকে।

৪৮. বেথুন কলেজ কীভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তরঃ-  জন এলিয়ট ড্রিঙ্কওয়াটার বেথুন ১৮৪১ খ্রিস্টাব্দে হিন্দু ফিমেল স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে এই স্কুলের সঙ্গে বালিগঞ্জের ‘বলামহিলা বিদ্যালয়’ বেথুন স্কুলের সঙ্গে সম্মিলিত বা একত্রিত হয়ে বেথুন কলেজে পরিণত হয়। ১৮৮৮ খ্রিস্টাব্দে এটি প্রথম শ্রেণির কলেজে পরিণত হয়।

৪৯. ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল কেন?
উত্তরঃ-  ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে লর্ড ওয়েলেসলি কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। ভারতে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কর্মরত উচ্চপদস্থ ইংরেজ কর্মচারীদের ভারতীয় ভাষা, সংস্কৃতি, আইন ও রীতিনীতি শিক্ষাদানের উদ্দেশ্যে তিনি ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়।

৫০. ইয়ং বেঙ্গল আন্দোলনের উদ্দেশ্য কি ছিল?     
উত্তরঃ-  
সমাজ সংস্কারে নব্যবঙ্গদের ভূমিকা বিশেষ উল্লেখযোগ্য।
i)এই গোষ্ঠী হিন্দুধর্মের পৌত্তলিকতা অস্পৃশ্যতা জাতিভেদ, সতীদাহ প্রভৃতি কুপ্রথার বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রতিবাদে সোচ্চার হয়।
ii)তাদের উদ্যোগে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসার ঘটে, নারীশিক্ষা বিস্তারের পথ প্রশস্ত হয়।
iii)জুরির মাধ্যমে বিচার, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা প্রভৃতি ক্ষেত্রে এই গোষ্ঠী সোচ্চার হয়।
iv)ভারতবাসীর মধ্যে যুক্তিবাদী ও মানবতাবাদী মানসিকতা সৃষ্টিতে ও র‍্যাডিক্যাল চিন্তাভাবনার প্রসারে এই দলের  গুরুত্ব অনস্বীকার্য।

৫১. 1813 সালের সনদ আইন এর দুটি গুরুত্ব আলোচনা করো?
উত্তরঃ-  
ব্রিটিশ পার্লামেন্টে পাস হওয়া 1813 খ্রিস্টাব্দের সনদ আইন ভারতের শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
গুরুত্বঃ-
অর্থ বরাদ্দ: এই সনদ আইনে প্রথম ভারতীয়দের শিক্ষার জন্য বার্ষিক 1 লক্ষ টাকা ব্যয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়।
কোম্পানীর একচেটিয়া বানিজ্যের অবসানঃ- এই আইন দ্বারা ভারতের কোম্পানির এক চেটিয়া বানিজ্যের অবসান হয়।

৫২. নব্যবঙ্গ গোষ্ঠী কাদের বলা হত?
উত্তরঃ-  
হিন্দু কলেজের তরুণ শিক্ষক হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও তৎকালীন সমাজে প্রচলিত কুসংস্কারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলেন। তাদের আন্দোলন নব্যবঙ্গ আন্দোলন’ নামে পরিচিত এবং ডিরোজিওর অনুগামীদের নব্যবঙ্গ’ বা ‘ইয়ং বেঙ্গল’ বলা হত।  নব্যবঙ্গ গোষ্ঠীর কয়েকজন সদস্য হলেন রামতনু লাহিড়ী, রাধানাথ শিকদার, রসিককৃষ্ণ মল্লিক প্রমুখ।

৫৩. হিন্দু কলেজ কখন ও কীভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তরঃ-  ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে ভারতীয় ও ইউরোপীয়দের যৌথ উদ্যোগে হিন্দু কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। হিন্দু কলেজ প্রতিষ্ঠার সঙ্গে রাজা রামমোহন রায়, ডেভিড হেয়ার এবং বিচারপতি হাইড ইস্ট-এর নাম বিশেষ উল্লেখযোগ্য। অধিকাংশের মতে, ডেভিড হেয়ার ছিলেন হিন্দু কলেজের প্রস্তাবক ও এদেশীয় ক ধনবান ব্যক্তিদের আর্থিক সহযোগিতায় তিনি এই কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। আবার ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদারের মতে, হাইড ইস্ট-ই এই কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন।

৫৪. পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে রাধাকান্ত দেব গুরুত্বপূর্ণ কেন?
উত্তরঃ-  রাধাকান্ত দেব কলকাতার রক্ষণশীল হিন্দু সমাজের নেতা হলেও পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারের একজন উৎসাহী সমর্থক ছিলেন। তিনি হিন্দু কলেজের পরিচালনা এবং ক্যালকাটা স্কুল বুক সোসাইটি পরিচালনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেন। তাঁর সহযোগিতায় ব্যাপটিস্ট মিশনারিরা ‘ক্যালকাটা ফিমেল জুভেনাইল সোসাইটি’ প্রতিষ্ঠা করেন।

৫৫. ডেভিড হেয়ার বিখ্যাত কেন?
উত্তরঃ-  স্কটল্যান্ডে জন্মগ্রহণকারী ডেভিড হেয়ার কলকাতার একজন ঘড়ি সারাইওয়ালা হলেও এদেশে পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি ছিলেন হিন্দু কলেজ প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম। এছাড়াও তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ‘পটলডাঙা অ্যাকাডেমি’ (হেয়ার স্কুল) ; ‘ক্যালকাটা স্কুল বুক সোসাইটি’ ও ‘ক্যালকাটা স্কুল সোসাইটি। এর পাশাপাশি তিনি ছিলেন মানবতাবাদী ও সমাজসেবী।

৫৬. বেথুন বিখ্যাত কেন?
উত্তরঃ-  জন এলিয়ট ড্রিঙ্কওয়াটার বেথুন ভারতের বড়োলাটের কাউন্সিলের আইন সদস্যরূপে যোগদান করেন (১৮৪৮ খ্রি.)। তিনি এদেশে পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে সচেষ্ট হন এবং কয়েকজন বিশিষ্ট বাঙালির সহযোগিতায় ১৮৪৯ খ্রিস্টাব্দে ‘ক্যালকাটা ফিমেল স্কুল’ প্রতিষ্ঠা করেন। এই স্কুল পরবর্তীকালে ‘বেথুন স্কুল’ নামে পরিচিত হয়।

৫৭. নব্য বঙ্গ আন্দোলন ব্যর্থ হয়েছিল কেন?
উত্তরঃ-  
হিন্দু কলেজের তরুণ অধ্যাপক ডিরোজিওকে কেন্দ্র করে যে অনুগত ছাত্রগোষ্ঠী গড়ে ওঠে, তারা নব্যবঙ্গ গোষ্ঠী নামে পরিচিত।
ব্যর্থতার কারণ :-
i)আন্দোলনকারীদের গঠনমূলক কর্মসূচি ছিল না এবং আন্দোলনকারীদের চিন্তাধারা ছিল নেতিবাচক।
ii)তাদের আন্দোলনের পিছনে জনসমর্থন ছিল না।
iii)কৃষক-শ্রমিক ও মুসলিমদের নিয়ে তারা ভাবেননি।
iv)ডিরোজিওর মৃত্যুর পর নেতৃত্বের অভাব ঘটে।

৫৮. মধুসূদন গুপ্ত বিখ্যাত কেন?
উত্তরঃ-  
ভারতের আধুনিক চিকিৎসাবিদ্যার ইতিহাসে মধুসূদন গুপ্ত একটি স্মরণীয় ব্যক্তিত্ব। মধুসূদন গুপ্ত 1800 খ্রিস্টাব্দে হুগলি জেলার বৈদ্যবাটীতে জন্মগ্রহণ করেন।

অবদান : 
তৎকালীন পরিস্থিতিতে কুসংস্কারের বশবর্তী হয়ে তথা সমাজে পতিত হওয়ার ভয়ে কোনও ছাত্র শবব্যবচ্ছেদে এগিয়ে আসতেন না। কিন্তু 1836 খ্রিস্টাব্দের 28শে অক্টোবর রাজকৃষ্ণু দে, উমাচরণ শেঠ-সহ আরও কয়েকজনের সহায়তায় মধুসূদন গুপ্ত প্রথম শবব্যবচ্ছেদ করেন।এই জন্য তিনি আজও ভারতের চিকিৎসা জগতের ইতিহাসে স্মরনীয় হয়ে আছেন।

৫৮. ডা. মধুসূদৰ গুপ্ত বিখ্যাত কেন?
উত্তরঃ-  ডা. মধুসূদন গুপ্ত ছিলেন কলকাতা সংস্কৃত কলেজের ছাত্র। এই কলেজে তিনি হিন্দু ওষুধের পণ্ডিতরূপে নিযুক্ত হন (১৮৩০ খ্রি.)। আবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হলে তিনি এখানে ডাক্তাররূপে যোগদান করেন। তিনি ১৮৩৬ খ্রিস্টাব্দের ১০ জানুয়ারি হিন্দু কুসংস্কার উপেক্ষা করে নিজহাতে শব ব্যবচ্ছেদ করেন।

৫৯. কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কীভাবে পরীক্ষা নিয়ামক সংস্থার কার্য পরিচালনা করত?
উত্তরঃ-  ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের ২৪ জানুয়ারি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠন-পাঠন হত না। শুরুতে এই বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন স্কুল ও কলেজকে অনুমোদন প্রদান করত এবং এন্ট্রান্স ও বি. এ পরীক্ষা পরিচালনা করত। পরীক্ষা শেষে ছাত্রদের সার্টিফিকেট ও ডিগ্রি প্রদান করত।

৬০. হাজী মহম্মদ মহসীন বিখ্যাত কেন?
উত্তরঃ-  হুগলিতে জন্মগ্রহণকারী হাজী মহম্মদ মহসীন (১৭৩০-১৮১২ খ্রি.) ছিলেন একজন বিত্তবান, মানবতাবাদী ও পরোপকারী ব্যক্তি। তিনি তাঁর উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত জমি ও সম্পদের উপর ভিত্তি করে দানমূলক একটি ট্রাস্টি সংস্থা গঠন করেন। সমাজসেবামূলক কাজ ও শিক্ষার প্রসারে তিনি এবং তাঁর এই সংস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

৬১. ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ কবে কেন প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তরঃ-  
লর্ড ওয়েলেসলি কেন ফোর্ট উইলিয়ম কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন?
লর্ড ওয়েলেসলি 1800 খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়ম কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

উদ্দেশ্য: 
তার উদ্দেশ্য ছিল— ভারতে চাকুরি করতে আসা ইউরোপীয়দের ভালো করে প্রশিক্ষণ দেওয়া। এর জন্য তিনি তাদের ভারতীয় ভাষা ও সংস্কৃতি সম্পর্কে ধারণা দিতে চেয়েছিলেন। ফোর্ট উইলিয়ম কলেজে তাদের এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হত।

৬২. জনশিক্ষা কমিটি কেন গঠিত হয়?
উত্তরঃ-  
1823 খ্রিস্টাব্দে ‘জেনারেল কমিটি অফ পাবলিক ইনস্ট্রাকশন’ বা জনশিক্ষা কমিটি গঠিত হয়। জনশিক্ষা কমিটি 

উদ্দেশ্য:- 
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি-শাসিত তৎকালীন ভারতে প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে তথ্যসংগ্রহ করা। শিক্ষার প্রসার ও গুণগত মানোন্নয়নের জন্য কী কী করা উচিত সে বিষয়ে সুপারিশ করা।

৬৩. উনিশ শতকের সমাজসংস্কার আন্দোলনগুলির প্রধান লক্ষ্য বা মূল উদ্দেশ্য কী ছিল?
উত্তরঃ-  উনিশ শতকের সমাজসংস্কার আন্দোলনগুলির প্রধান লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য ছিল –
1. প্রগতিশীল ও যুক্তিবাদী চিন্তাধারা দ্বারা সমাজে প্রচলিত কুসংস্কার ও কুপ্রথার অবসান ঘটানো
2. নারীকল্যাণ সাধন করা
3. সমাজসেবা ও জনকল্যাণমূলক আদর্শ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জাতীয়তাবাদী চেতনার উন্মেষ ঘটানো।

৬৪. ব্রাহ্মসমাজ কে, কবে প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তরঃ-  ১৮২৮ খ্রিস্টাব্দের ২০ আগস্ট রাজা রামমোহন রায় ‘ব্রাহ্মসভা’ প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দে জানুয়ারি মাসে ব্রাহ্মসভার নাম পরিবর্তন করে ‘ব্রাহ্মসমাজ’ রাখা হয়।

৬৫. ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কী ছিল?
উত্তরঃ-  ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ছিল –
1. হিন্দুধর্মের প্রচলিত কুসংস্কার ও পৌত্তলিকতা দূর করে একেশ্বরবাদের প্রচার বা নিরাকার ব্রহ্মের উপাসনা করা
2. খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরণের হাত থেকে হিন্দুধর্মকে রক্ষা করা।

৬৬. তিন আইন কী?
উত্তরঃ-  
ব্রাহ্ম সমাজের নেতৃত্ববৃন্দের আন্দোলনের ফলে বিশেষ করে কেশবচন্দ্রের উদ্যোগে 1872 সালে ব্রিটিশ সরকার বাল্যবিবাহ , বহুবিবাহ প্রভৃতি সামাজিক কুসংস্কারগুলি নিষিদ্ধ করে এবং বিধবাবিবাহ ও অসবর্ণ বিবাহকে স্বীকৃতি দেয়। যে আইনের মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকার এই ঘোষণা জারি করে তাকে ' তিন আইন ' বলে।

৬৭. ‘প্রাচ্যবাদী’ (Orientalist) ও পাশ্চাত্যবাদী (Anolicist) কাদের বলা হয়?

1813 খ্রিস্টাব্দের চার্টার অ্যাক্ট বা সনদ আইনে বলা হয় ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতীয়দের শিক্ষার জন্য বছরে 1 লক্ষ টাকা ব্যয় করবে। এই অর্থ কোন্ শিক্ষাখাতে ব্যয় হবে তা  নিয়ে জনশিক্ষা কমিটির সদস্যরা দু-ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছিল—প্রাচ্যবাদী ও পাশ্চাত্যবাদী।

প্রাচ্যবাদী: 
এইচ টি প্রিন্সেপ, কোলব্রুক প্রমুখ যাঁরা প্রাচ্য বা প্রচলিত ভারতীয় শিক্ষাখাতে সরকারি অর্থ ব্যয় করার পক্ষপাতী ছিলেন, তাদের প্রাচ্যবাদী’ বলা হয়।

পাশ্চাত্যবাদী: 
আলেকজান্ডার ডাফ, স্যান্ডার্স প্রমুখ যাঁরা পাশ্চাত্য বা ইউরোপীয় ও ইংরেজি শিক্ষাখাতে সরকারি অর্থ ব্যয় করার পক্ষপাতী ছিলেন, তাদের পাশ্চাত্যবাদী বলা হয়।

৬৮. কে, কবে সতীদাহ প্রথা নিবারণ করেন?
উত্তরঃ-  রাজা রামমোহন রায়ের সহযোগিতায় গভর্নর জেনারেল উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক ১৮২৯ খ্রিস্টাব্দের ৪ ডিসেম্বর এক আইনের (‘সপ্তদশ বিধি) মাধ্যমে সতীদাহ প্রথা নিবারণ করেন।

৬৯. উনিশ শতকের একটি সমাজসংস্কার আন্দোলনের উল্লেখ করো। এই আন্দোলনের পুরোভাগে কে ছিলেন?
উত্তরঃ-  উনিশ শতকের একটি সমাজসংস্কার আন্দোলন ছিল। ‘নব্যবঙ্গ আন্দোলন।’ এই আন্দোলনের পুরোভাগে ছিলেন হিন্দু কলেজের তরুণ শিক্ষক লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও।

৭০. হাজী মোহাম্মদ মহসীন বিখ্যাত কেন?
উত্তরঃ-  
হাজি মুহম্মদ মহসিন : হাজি মহম্মদ মহসিন ছিলেন বাংলার একজন ধর্মপ্রাণ ও মহান জনহিতৈষী ব্যক্তি। মহম্মদ মহসিন তার বিশাল সম্পত্তি বিভিন্ন সৎ ও উন্নয়নমূলক কাজে ব্যয় করেন। তার অর্থে অনেক স্কুল, মসজিদ, হাসপাতাল, কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তার মৃত্যুর পর সরকার মহসিন ফান্ড তৈরি করে তার সঞ্জিত অর্থ নানা জনহিতকর কার্যে ব্যয় করে চলেছে।

৭১. লালন ফকির বিখ্যাত কেন?
উত্তরঃ-  
লালন ফকির ছিলেন বাউল সাধনার একজন। প্রধান গুরু। তিনি ছিলেন শ্রেষ্ঠ বাউলগান রচয়িতা ও গায়ক। প্রায় ২ হাজার গান রচনা করেন তিনি। তার মর্মস্পর্শী গানগুলি মানবজীবনের রহস্য, আদর্শ ও মানবতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি প্রচার করে।

৭২. মেকলে মিনিট কি ?
উত্তরঃ-  
থমাস ব্যাবিংটন মেকলে ছিলেন গভর্নর জেনারেল লর্ড উইলিয়ম বেন্টিঙ্কের আইনসচিব ও জেনারেল কমিটি অফ পাবলিক ইনস্ট্রাকশন বা জনশিক্ষা কমিটির সভাপতি। মেকলে ব্যক্তিগতভাবে ছিলেন পাশ্চাত্য শিক্ষার সমর্থক। তিনি 1835 খ্রিস্টাব্দের 2 রা ফেব্রুয়ারি গভর্নর জেনারেল লর্ড উইলিয়ম বেন্টিঙ্কের কাছে ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারের পক্ষে যে মিনিট বা প্রস্তাব পেশ করেন, তাকে মেকলে মিনিট’বা মেকলে প্রস্তাব’বলা হয়। মেকলের প্রস্তাব দ্বারা প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য দ্বন্দ্ব’-এর অবসান ঘটে।

৭৩. ডিরোজিওকে মনে রাখা হয় কেন?
উত্তরঃ-  ডিরোজিও ছিলেন একজন যুক্তিবাদী, মানবতাবাদী ও হিন্দু কলেজের শিক্ষক। তিনি বিখ্যাত ছিলেন কারণ, উনিশ শতকের প্রথমার্ধের একজন উল্লেখযোগ্য সমাজসংস্কারক। প্রগতিশীল চিন্তাধারার ভিত্তিতে তিনি হিন্দু সমাজের ধর্মীয় ও সামাজিক গোঁড়ামি এবং কুসংস্কারের বিরোধিতা করেন। এছাড়া ‘নব্যবঙ্গ’ বা ‘ইয়ংবেঙ্গল’ আন্দোলনের নেতা হিসাবে ডিরোজিওকে মনে রাখা হয়।

৭৪. কার উদ্যোগে নব্যবঙ্গ আন্দোলন শুরু হয়েছিল? এই আন্দোলনের কয়েকজন বিশিষ্ট নেতার নাম লেখো।
উত্তরঃ-  হিন্দু কলেজের অধ্যাপক হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও-র উদ্যোগে নব্যবঙ্গ আন্দোলন শুরু হয়েছিল। কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়, রামগোপাল ঘোষ, রামতনু লাহিড়ী, প্যারীচাদ মিত্র প্রমুখরা ছিলেন নব্যবঙ্গ আন্দোলনের বিশিষ্ট নেতা।

৭৫. হুতোম প্যাঁচার নকশা থেকে কি ধরনের সমাজ চিত্র পাওয়া যায়?
উত্তরঃ-  
উনিশ শতকে কলকাতায় ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত এক বিশেষ সম্প্রদায়ের উদ্ভব ঘটে। এঁরা তথাকথিত বাবু সম্প্রদায়’ নামে পরিচিত।  হুতোঁম পাচার নকশা’ গ্রন্থে লেখক কালীপ্রসন্ন সিংহ ব্যঙ্গ-বিদ্রুপের ' মাধ্যমে তাদের স্বরূপ উদঘাটনে প্রয়াসী হয়েছেন।

পরিচয়: 
এই বাবু’ সম্প্রদায় হঠাৎ ফুলে ফেঁপে ওঠা ধনী সম্প্রদায়। এঁরা নিজ সংস্কৃতি ভুলে পাশ্চাত্য সভ্যতার অন্ধঅনুকরণে ব্যস্ত। কমবেশি জালজোচ্চুরি বা ফন্দিফিকির করেই এদের অর্থ উপার্জন হত। বাইজি নাচ, পায়রা ও বুলবুলি পোষা, বিড়ালের বিবাহদান ইত্যাদিতে বাবু সম্প্রদায় প্রচুর অর্থ ব্যয় করতেন। লেখক ব্যঙ্গ-বিদ্রুপের কষাঘাতে বাবুদের নিখুঁত চিত্র তুলে ধরেছেন। তাদের সঠিকপথে আনতে প্রয়াসী হয়েছেন।

৭৬. নীলদর্পণ নাটক থেকে কি ধরনের সমাজ চিত্র পাওয়া যায়?
উত্তরঃ-  
‘নীলদর্পণ' নাটকে তৎকালীন বঙ্গসমাজে নীলচাষিদের অবস্থা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে যে— নীলকর সাহেবরা বাংলার দরিদ্র চাষিদের নীলচাষে বাধ্য করে। নীলচাষ করে চাষিদের ঘরে খাদ্যাভাব দেখা দেয়৷ ওঁ নীলচাষ না করলে নীলকর সাহেবরা চাষিদের ওপর সীমাহীন অত্যাচার চালায়।

৭৭. ইয়ংবেঙ্গল কাদের বলা হত? এই দলের উদ্দেশ্য কী ছিল?
উত্তরঃ-  উনিশ শতকের প্রথমার্ধে হিন্দু কলেজের অধ্যাপক হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও-র অনুগামীরা ‘ইয়ং বেঙ্গল’ বা ‘নব্যবঙ্গ সম্প্রদায়’ নামে পরিচিত।

ইয়ংবেঙ্গল দলের উদ্দেশ্য ছিল –
1. জনসাধারণের মধ্যে প্রগতিশীল ধ্যানধারণা প্রচার করা ও যুক্তিবাদ প্রতিষ্ঠা,
2. হিন্দুসমাজে প্রচলিত ধর্মীয় ও সামাজিক গোঁড়ামি ও কুসংস্কারের বিরোধিতা করা,
3. যুক্তিবাদী আধুনিক পাশ্চাত্য চিন্তাধারা ও শিক্ষার বিস্তার ঘটানো।

৭৮. সাধারণ জ্ঞানোপার্জিকা সভা’ কী?
উত্তরঃ-  ১৮৩৮ খ্রিস্টাব্দে ডিরোজিওর অনুগামী নব্যবঙ্গ সম্প্রদায়ের সদস্যগণ ‘সাধারণ জ্ঞানোপার্জিকা সভা’ নামে এক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। দেশের সর্বাঙ্গীন অবস্থা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন এবং তা জনসাধারণের মধ্যে প্রচার করার উদ্দেশ্যেই এই সভা স্থাপিত হয়।

৭৯. গ্রামবার্তা প্রকাশিকা থেকে কি ধরনের সমাজ চিত্র পাওয়া যায়?
উত্তরঃ-  
গ্রামবার্তা প্রকাশিকা' (1863খ্রি.) ছিল সমকালীন বাংলার সমাজজীবনের এক বিশ্বস্ত দর্পণ। এতে- 
(i) দরিদ্র গ্রামবাসীদের ওপর জমিদার, জোতদার, মহাজন ও কুঠিয়ালদের চরম নির্যাতনের করুণ - কাহিনি ফুটে উঠেছে। 
(ii) নীলকরদের চরম নির্যাতন কীভাবে দরিদ্র নীলচাষিদের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছিল তারও বর্ণনা এখানে ফুটে উঠেছে। 
(iii) এখানেই নারীশিক্ষা প্রসারের সংবাদ ইত্যাদি নিয়মিত প্রকাশিত হত।

৮০. বিজয় কৃষ্ণ গোস্বামী স্মরণীয় কেন?
উত্তরঃ-  
বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ছিলেন ব্রাহ্বসমাজের অন্যতম আচার্য। তিনি নব্য বৈষ্ণববাদের প্রচারকও ছিলেন। তিনি বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে প্রথমে ব্রাত্মধর্মের আদর্শ প্রচার ও ব্রামন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীকালে তিনি বিষ্ণবধর্মে আকৃষ্ট হয়ে বৈষ্ণবধর্ম প্রচার করেন। তিনি কুসংস্কারমুক্ত প্রগতিশীল সমাজ গঠনে সচেষ্ট ছিলেন।

৮১. ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ বিভক্ত হয়েছিল কেন?
উত্তরঃ-   ব্রাহ্ম সমাজের দ্বিতীয় বিভাজনঃ 
কেশবচন্দ্র সেনের সঙ্গে কিছুদিন পর থেকেই ভারতবর্ষীয় ব্র্হ্ম সমাজের সদস্যদের মতভেদ সৃষ্টি হয়।

কারণ : 
i)কেশবচন্দ্র সেন যুক্তিবাদ থেকে সরে গিয়ে ব্রাহ্রসমাজে গুরুবাদ প্রতিষ্ঠা করতে চাইলেন, যা ছিল ব্রাহ্মধর্মের নীতিবিরুদ্ধ। 
ii)ব্রাহ্ম সমাজের বিধান উপেক্ষা করে কেশবচন্দ্র সেন তাঁর 14 বছর বয়সি কন্যা সুনীতিদেবীর সঙ্গে কোচবিহারের নাবালক রাজপুত্র নৃপেন্দ্র নারায়ণের বিবাহ দেন।

বিভাজন: 
এর ফলশ্রুতিতে শিবনাথ শাস্ত্রীর নেতৃত্বে প্রগতিশীল ব্রাহ্মরা বিচ্ছিন্ন হয়ে 1878 খ্রিস্টাব্দে সাধারণ ব্রাহ্বসমাজ’ স্থাপন করেন। কেশবচন্দ্র সেনের গোষ্ঠীর ব্রাহ্মদের নাম হয় নববিধান ব্রাহ্রসমাজ।

৮২. লালন ফকির বিখ্যাত কেন?
উত্তরঃ-  লালন ফকির ছিলেন একজন বাউল সাধক ও মানবতাবাদী এবং জাতিবিদ্বেষের তীব্র বিরোধী। তিনি প্রথ মুরশিদাবাদের চেউরিয়াতে বাউল সংঘ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি সে প্রায় দশ হাজারেরও বেশি সামাজিক ও আধ্যাত্মিক বাউল গান রচনা করেন। তাঁর এই গানগুলি দরিদ্র কৃষকসহ জনগণের কাছে খুব আকর্ষণের বিষয়।

৮৩. বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী বিখ্যাত কেন?
উত্তরঃ-  বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী (১৮৪১ – ১৮৯১ খ্রি.) ছিলেন ব্রাত্মধর্মের একজন বিখ্যাত প্রচারক। তিনি কেশবচন্দ্র সেনের আ সঙ্গে কলকাতার বাইরে পূর্ববঙ্গে ব্রাত্মধর্ম প্রচার করেন। এর পাশাপাশি তিনি এই অঞ্চলে ব্রাত্ম উপাসনা মন্দির, বালিকা বিদ্যালয়, দাতব্য চিকিৎসালয় স্থাপনের ব্যবস্থা করেন।

৮৪. শ্রীরামকৃষ্ণ কীভাবে ধর্মসমন্বয়বাদী আদর্শ বাস্তবায়িত করেন।
উত্তরঃ-  শ্রীরামকৃষ্ণদেবের আবির্ভাবের পূর্বে বাংলার হিন্দু সমাজে ব্রাত্মধর্ম ও খ্রিস্টধর্মের প্রসারকে কেন্দ্র করে। একেশ্বরবাদ ও বহুদেবতাবাদ সম্পর্কিত দ্বন্দ্বের সূচনা হয়। রামকৃয়দের বিভিন্ন ধর্ম বর্ণিত ঈশ্বরলাভের পথ ধরে ঈশ্বর সাধনা করেন ও সফল হন। তাঁর উপলব্ধির ভিত্তিতে তিনি প্রচার করেন যে, সাকার ও নিরাকার (একই ঈশ্বরের বিচিত্র = রূপ)। একেশ্বরবাদ ও বহুদেবতাবাদ হল ধর্মের বিভিন্ন অঙ্গ। এভাবে তিনি ধর্মসমন্বয়বাদী আদর্শের প্রচার করেন।

৮৫. আত্মীয় সভা কেন প্রতিষ্ঠিত করা হয়? এই প্রতিষ্ঠানে তিনজন সদস্যের নাম লিখ?
উত্তরঃ-  
রাজা রামমোহন রায় 1815 সালে আত্মীয় সভা প্ৰতিষ্ঠা করেন। নিজের ধর্মমত এবং নানা সামাজিক ও ধর্মীয় সমস্যা সম্পর্কে আলোচনা করার উদ্দেশ্যে তিনি এই প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। মূলত হিন্দু ধর্ম ও সমাজে প্রচলিত কুসংস্কার দূর করা এবং একেশ্বরবাদী ধর্মমত সম্পর্কে জনমত গড়ে তোলা ছিল এর উদ্দেশ্য।

৮৬. বিবেকানন্দ কীভাবে নবাবেদান্ত মতাদর্শের সূচনা করেন?
উত্তরঃ-  মানবতাবাদী ও সমাজপ্রেমী বিবেকানন্দ আত্মমুক্তি অপেক্ষা সমাজে উন্নতির উপর অধিক গুরুত্ব আরোপ করেন। অদ্বৈতবাদে বিশ্বাসী বিবেকানন্দ ‘বনের বেদান্ত’কে ঘিরে’ আনার কথা প্রচার করেন এবং বেদান্তকে মানবহিতের কাজে ব্যবহারের কথা বলেন। এভাবে বিবেকানন্দ বেদান্তের নতুন যে ব্যাখ্যা দেন তা নব্যবেদান্ত নামে পরিচিত।

৮৭. বাংলার নবজাগরণ কী?
উত্তরঃ-  উনিশ শতকে বাংলায় প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য আদর্শবাদের ভিত্তিতে সমাজ ও সংস্কৃতিতে এক নবচেতনার উন্মেষ ঘটে, যা নবজাগরণ নামে পরিচিত। নবজাগরণের একটি দিক ছিল বাংলা তথা ভারতের প্রাচীন গৌরবময় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির পুনর্মূল্যায়ন করা। তবে বাংলার নবজাগরণ ক্রমশ সাহিত্য, দর্শন, রাজনীতি ও বিজ্ঞানচিন্তার ক্ষেত্রেও পরিব্যাপ্ত হয়েছিল।



দশম শ্রেণীর ইতিহাস – সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা / Songoskar Boisisto O Porjalochona (দ্বিতীয় অধ্যায়)" রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর" । WBBSE Class 10 / Madhyamikth History 2nd Chapter DAQ Questions and Answers | Madhyamik History Songoskar Boisisto O Porjalochona Detailed Question and Answer

রচনাধর্মী বা বিশ্লেষণধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর (প্রতিটি প্রশ্নের মান ৫)

১. ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষাব্যবস্থা প্রবর্তনের ফলাফল কী হয়েছিল ? 

উত্তরঃ-   ভূমিকা : ভারতে প্রথমে বেসরকারি ও পরে সরকারি উদ্যোগে পরিচালিত পাশ্চাত্য শিক্ষাব্যবস্থা বহুমুখী ও ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছিল । 

ফলাফল : 
উনিশ শতকের ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রভাবগুলি হল যুক্তিবাদের প্রসার পাশ্চাত্য শিক্ষা ও সংস্কৃতির সংস্পর্শে আসার ফলে ভারতবাসীর মধ্যে কুসংস্কারাচ্ছন্ন মধ্যযুগীয় ধ্যানধারণার পরিবর্তন ঘটে এবং যুক্তিবাদী ধ্যানধারণার প্রতিষ্ঠা হয় । পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রভাবে ভারতে যুক্তিবাদী শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণির উদ্ভব হয় । 

পাশ্চাত্যবাদী আদর্শের প্রসার : 
পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রভাবে ভারতবাসীর একাংশ পাশ্চাত্য সভ্যতার ইতিহাস , জ্ঞানবিজ্ঞান , মানবতাবাদ , স্বাধীনতা , গণতন্ত্র , যুক্তিবাদ প্রভৃতি উচ্চ আদর্শের সঙ্গে পরিচিত হয়ে ওঠে । 

ধর্ম ও সমাজসংস্কার : 
পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রভাবে উনিশ শতকের শিক্ষিত ভারতীয়রা কুসংস্কারমুক্ত হয়ে ওঠে এবং তাদের মধ্যে জাতীয়তাবাদ , গণতন্ত্র , রাজনীতি , সমাজতন্ত্র প্রভৃতি বিষয়ে প্রগতিমুলক চিন্তাভাবনার উন্মেষ হয় । ভারতে নারীশিক্ষা ও নারীমুক্তি আন্দোলন , ধর্মসংস্কার ও সমাজসংস্কার আন্দোলন শুরু হয় । 

জাতীয়তাবাদী চেতনার উন্মেষ : 
ভারতে জাতীয়তাবাদী চেতনার বিকাশ ঘটে , যা পরবর্তীকালে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পরিণতি লাভ করেছিল । 

উপসংহার : পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত ভারতীয়রা প্রথমে সমাজসংস্কারমূলক কাজ এবং পরবর্তীকালে দেশের স্বাধীনতার কাজে আত্মনিয়োগ করেছিলেন । তবে পাশ্চাত্য শিক্ষার কয়েকটি কুপ্রভাবও ছিল — যেমন , 
( ১ ) ভারতীয় ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি অবহেলা , 
( ২ ) বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষায় অবহেলা , 
( ৩ ) অবহেলিত নারীশিক্ষা ও গণশিক্ষা , 
( ৪ ) পরোক্ষভাবে খ্রিস্টধর্মের প্রচার প্রভৃতি । 

২.  স্বামী বিবেকানন্দের ধর্মসংস্কারের আদর্শ ব্যাখ্যা করো ।

উত্তরঃ-   সূচনা : ঊনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে ধর্মসংস্কার আন্দোলনে অদ্বৈতবাদে বিশ্বাসী , নিখাদ দেশপ্রেমিক , নির্ভীক যৌবনের প্রতীক , Ciclonik Monk , বেদাস্তবাদী বিবেকানন্দের আদর্শ ছিল এক বৈপ্লবিক পদক্ষেপ । অদ্বৈতবাদে বিশ্বাসী স্বামী বিবেকানন্দের মতে , “ মানবসেবাই ধর্মের সর্বোচ্চ লক্ষ্য । 

বিবেকানন্দের ধর্মসংস্কার : 

সাম্যবাদ ও মানবতাবাদের আদর্শ : 
জাতপাতের ভেদাভেদের সম্পূর্ণ বিরোধী বিবেকানন্দের আদর্শ ছিল সাম্যবাদ । এ উদ্দেশ্যে তিনি দেশের কাছে আহ্বান জানিয়েছিলেন— “ হে ভারত ভুলিও না , নীচ জাতি , মূর্খ , দরিদ্র , অজ্ঞ , মুচি , মেথর তোমার রক্ত , তোমার ভাই । ” বিবেকানন্দ ধর্মের দ্বারা নয় মানুষের মনুষ্যত্বে বিশ্বাসী ছিলেন , যার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো মানবতাবাদ ৷ 

দরিদ্রসেবা : 
ভারতের সুদীর্ঘ পথ পরিভ্রমণ করে বিবেকানন্দ দরিদ্র , অজ্ঞ , ভারতবাসীর মধ্যে ঈশ্বরকে প্রত্যক্ষ করেছিলেন । জীবের মধ্যে তিনি শিবকে অনুভব করে বলেছিলেন , “ যত্র জীব তত্র শিব । ” 

নব বেদান্তবাদ : 
বেদান্তবাদী স্বামী বিবেকানন্দ বনের বেদান্তকে ঘরে আনার কথা প্রচার করেন । জনগণের কল্যাণে তিনি বেদাস্তকে সম্পূর্ণরূপে ব্যবহারের নির্দেশ দেন যা নব বেদান্তবাদ নামে পরিচিত। 

মানুষ গড়ার ধর্মতত্ত্ব : 
বিবেকানন্দের ধর্ম ছিল মানুষ তৈরির ধর্ম । সমকালীন বিভিন্ন ধরনের সামাজিক , ধর্মীয় কুসংস্কার দূর করে প্রকৃত মানুষ গড়ার লক্ষ্যে মানবতাবাদকে ধর্মের স্তরে উন্নীত করতে তিনি এই মানুষ গড়ার ধর্মতত্ত্ব প্রচার করেন । 

প্রাচ্য – পাশ্চাত্যের সমন্বয় : 
বিবেকানন্দ নব ভারত গঠনের উদ্দেশ্যে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য , প্রাচীন ও আধুনিক ভারতের জীবনাদর্শের সংমিশ্রণে এক নতুন ভারতবর্ষ গড়তে চেয়েছিলেন । 

রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা : 
জাতির মধ্যে ত্রাণকার্য , শিক্ষার প্রসার , সুচিকিৎসার প্রসার এবং প্রকৃত মানুষ গড়ার উদ্দেশ্যে ১৮৯৭ সালে ৫ মে তিনি রামকৃস্ল মিশন প্রতিষ্ঠা করেন । 

যুবসমাজের প্রতি আহ্বান : 
দুর্বলতা কাটিয়ে ভারতীয় যুবসমাজকে মানসিকভাবে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে তাদের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন— “ উত্তিষ্ঠিত , জাগ্রত , প্রাপ্য বরান নিবোধিত ” অর্থাৎ ওঠো জাগো ও নিজের প্রাপ্য বুঝে নাও । 



৩. ঊনবিংশ শতকের শিক্ষা ও সমাজ সংস্কার আন্দোলনে বিদ্যাসাগর কী ভূমিকা নিয়েছিলেন ? অথবা , উনিশ শতকের নবজাগরণে বিদ্যাসাগরের অবদান আলোচনা করো ।
 
উত্তরঃ-   ভূমিকা : ঊনবিংশ শতকের বৌদ্ধিক বিকাশ বা নবজাগরণের অন্যতম প্রাণপুরুষ ছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর সমকালীন শিক্ষাক্ষেত্র ও সামাজিক ক্ষেত্রকে কুসংস্কারমুক্ত করে পুনর্জীবন দানের জন্য বিদ্যাসাগর স্মরণীয় হয়ে আছেন । সামাজিক কুসংস্কার রোধের পাশাপশি নারীমুক্তির জন্য নারীশিক্ষা প্রসারে বিদ্যাসাগর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন । 

শিক্ষাসংস্কার : উনিশ শতকের বাংলাদেশে নারীশিক্ষা বিস্তারের ক্ষেত্রে বিদ্যাসাগর বিশেষ ভূমিকা পালন করেন । তাঁকে বলা হয় “ নারীশিক্ষা বিস্তারের পথিকৃৎ । ” 

উদ্দেশ্য: উনিশ শতকের প্রথমদিকে বাংলায় নারীরা পুরুষের থেকে পিছিয়ে পড়েছিল । কারণ তারা ছিল নিরক্ষর । বিদ্যাসাগর বুঝেছিলেন , শিক্ষাবিস্তারের মাধ্যমেই নারীমুক্তি সম্ভব । একইসঙ্গে তিনি উপলব্ধি করেন , মেয়েরা শিক্ষিত না হলে সামাজিক সংস্কার অসম্পূর্ণ থেকে যাবে । তাই কুসংস্কারমুক্ত সমাজ গড়তে তিনি বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ব্রত নেন । 

সংস্কারের কর্মসূচি : ১৮৪৯ সালে বেথুন সাহেবকে হিন্দু বালিকা বিদ্যালয় গড়ে তোলায় সাহায্য করেন বিদ্যাসাগর । পরে তিনি স্কুলের সম্পাদক হন । তাঁর উদ্যোগে বাংলার চারটি জেলায় গ্রামাঞ্চলে ৩৫ টি বালিকা বিদ্যালয় গড়ে ওঠে । ব্যক্তিগত চেষ্টায় তিনি প্রতিষ্ঠা করেন মেট্রোপলিটন ইনস্টিটিউশন ( বিদ্যাসাগর কলেজ ) । বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ছাড়াও অভিভাবকরা যাতে কন্যাসন্তানকে স্কুলে পাঠান সেজন্য প্রচারের কাজেও নেমেছিলেন বিদ্যাসাগর । এছাড়া সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষ থাকাকালীন কলেজের দরজা হিন্দু ছাত্রদের জন্য উন্মুক্ত করে দেন । তিনি বাংলা বর্ণমালার পুনর্বিন্যাস করেন এবং বর্ণ পরিচয় নামে বাংলা ভাষাশিক্ষার দু’টি পুস্তক রচনা করেন । তার রচিত কথামালা , বোধোদয় বাংলা সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ । 

সমাজ সংস্কার : 
ব্রাহ্মসমাজ আন্দোলনের ফলে নারীমুক্তির যে পরিবেশ তৈরি হয়েছিল তারই ফল বিদ্যাসাগরের বিধবাবিবাহ আন্দোলন ।

বিধবাবিবাহ আন্দোলন : 
সেসময় বাল্যকালে মেয়েদের বিয়ে দেওয়া হতো বৃদ্ধের সঙ্গে , ফলে অল্প বয়সেই তারা বিধবা হতো । বিদ্যাসাগর বিভিন্ন শাস্ত্র থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে বিধবাবিবাহের সমর্থনে প্রচার শুরু করেন । তিনি তত্ত্ববোধিনী পত্রিকায় এবিষয়ে প্রবন্ধ লেখেন । ১৮৫৫ সালে তিনি ১০০০ ব্যক্তির স্বাক্ষর সংবলিত আবেদনপত্র সরকারকে জমা দেন । ১৮৫৬ সালের ২৬ জুলাই লর্ড ক্যানিং ‘ বিধবাবিবাহ আইন ‘ পাশ করেন । এই বছরে শ্রীশচন্দ্র বিদ্যারত্ন কালীমতী নামে এক বিধবাকে বিয়ে করেন । সেটাই কলকাতায় প্রথম বিধবাবিবাহ নিজ পুত্র নারায়ণের সঙ্গে তিনি এক বিধবার বিয়ে দেন । 

অন্যান্য সংস্কার :
 বহুবিবাহের বিরুদ্ধে বিদ্যাসাগর জোরদার আন্দোলন | করেন । এছাড়া গঙ্গাসাগরে সন্তান বিসর্জন , কুলীন প্রথা , অস্পৃশ্যতার বিরুদ্ধেও তিনি সোচ্চার হন । 

মূল্যায়ন : বিদ্যাসাগর সর্বার্থেই ছিলেন আধুনিক সমাজ সংস্কারক । তার এই সংস্কার আন্দোলন নারীমুক্তি আন্দোলনে গতি দিয়েছিল । একইসঙ্গে নবজাগরণেও কার্যকর ভূমিকা নিয়েছিল বিদ্যাসাগরের এই সংস্কার আন্দোলন ।

৪. নব্যবঙ্গ বা ইয়ংবেঙ্গল আন্দোলন কী ? এই আন্দোলনের উদ্দেশ্য এ আন্দোলনের ক্রিয়া কান্ড কী ছিল ? কেন এই আন্দোলন শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছিল ?

উত্তরঃ-   নব্যবঙ্গ বা ইয়ংবেঙ্গল : ঊনবিংশ শতকের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দশকে হিন্দু কলেজের অধ্যাপক হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিওর নেতৃত্বে কিছু তরুণ ছাত্র পাশ্চাত্য ভাবধারার আদর্শে যুক্তিবাদ , মুক্তচিন্তা , মানসিক চিন্তা , সততার মাধ্যমে সমাজ সংস্কারে ব্রতী হয় । তারা ইয়ং বেঙ্গল বা নব্যবঙ্গ গোষ্ঠী নামে পরিচিত । তাদের পরিচালিত আন্দোলনই ছিল নব্যবঙ্গ আন্দোলন । 

আন্দোলনের উদ্দেশ্য : 
নব্যবঙ্গ গোষ্ঠীর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল একদিকে হিন্দুসমাজ , খ্রিস্টধর্ম ও পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রভাব থেকে সনাতন হিন্দু ধর্ম ও হিন্দুসমাজকে | রক্ষা করা এবং অপরদিকে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসার ঘটিয়ে হিন্দুসমাজের গোঁড়ামি , কুপ্রথা ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে জনমত গঠন করা । 

নব্যবঙ্গ দলের কার্যকলাপ : নব্যবঙ্গীয়দের মূল আক্রমণের কারণ ছিল হিন্দুসমাজের চিরাচরিত কুপ্রথাগুলির বিরোধিতা করা । ডিরোজিওর ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ ছাত্ররা ১৮২৮ খ্রিস্টাব্দে ‘ অ্যাকাডেমিক অ্যাসোসিয়েশন ‘ নামে এক বিতর্ক সভা প্রতিষ্ঠা করেন সামাজিক কুসংস্কার ও কুপ্রথা দূর করার জন্যে । এছাড়া পার্থেনন ও ক্যালাইডোস্কোপ পত্রিকায় তাঁরা হিন্দুসমাজের বহুবিবাহ , নারীর শিক্ষা , জুরির বিচার , সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি শুরু করেন । 

আন্দোলনের নেতৃত্ব : ডিরোজিও ছাড়াও অন্যান্য অনুগামীদের মধ্যে ছিলেন | কৃস্লমোহন বন্দ্যোপাধ্যায় , রামগোপাল ঘোষ , রাধানাথ শিকদার , রসিককৃয়মল্লিক , রামতনু লাহিড়ী প্রমুখ । 

আন্দোলনের ব্যর্থতার কারণ : ডিরোজিওর নেতৃত্বে ইয়ং বেঙ্গল আন্দোলন | সাময়িকভাবে সমাজকে ভীষণ নাড়া দিয়েছিল । তবে এই প্রভাব ছিল ক্ষণস্থায়ী । বিভিন্ন কারণে এই আন্দোলন ব্যর্থ হয় । 

প্রথমত , এই আন্দোলন ছিল পুরোপুরি শহরকেন্দ্রিক । অল্প শিক্ষিত ও গ্রামে | বসবাসকারী বিশাল সংখ্যক মানুষ আন্দোলনে যোগ দেয়নি । ছিল । 

দ্বিতীয়ত , কৃষক সমাজের দুর্দশা মোচনে নব্যবঙ্গ গোষ্ঠী পুরোপুরি উদাসীন 

তৃতীয়ত , এঁরা নেতিবাচক চিন্তাভাবনা আঁকড়ে ছিলেন বলে উগ্রভাবে হিন্দু বিরোধিতার পথ বেছে নেন । এর ফলে হিন্দুসমাজ দুরে সরে যায় । 

চতুর্থত , মুসলিম সমাজের সংস্কারে নব্যবঙ্গ গোষ্ঠী উদাসীন ছিল । 

পঞ্চমত , উপযুক্ত নেতৃত্বের অভাবে আন্দোলন দীর্ঘস্থায়ী হয়নি । 


৫. ‘হুতোম প্যাঁচার নক্শা ‘ গ্রন্থে উনিশ শতকের বাংলার কীরূপ সমাজচিত্র পাওয়া যায় ?
 অথবা , 
‘ হুতোম প্যাঁচার নকশা ‘ – তে কালীপ্রসন্ন সিংহ কলকাতার কী সমাজচিত্র তুলে ধরেছেন ? 

উত্তরঃ-   ভূমিকা : কালীপ্রসন্ন সিংহ রচিত ‘ হুতোম প্যাঁচার নক্শা ’ নামক ব্যঙ্গাত্মক রচনা থেকে কলকাতার বিত্তবান নব্যবাবু সমাজের বিলাসবাসন ও স্বার্থপরতার কথা – সহ সমাজ – সংস্কৃতির কথা জানা যায় । 

সমাজ – সংস্কৃতি : কলকাতার সমাজ – সংস্কৃতির উল্লেখযোগ্য দিকগুলি হল— 

সমাজবিন্যাস : ইংরেজ শাসন ও ব্যাবসাবাণিজ্যের সূত্র ধরে উনিশ শতকের সমাজবিন্যাসে পরিবর্তন আসে । ইংরেজ শাসনের আগে বাংলায় বড়ো বড়ো বংশের ( কৃষ্ণচন্দ্র , রাজবল্লভ , মানসিংহ , নন্দকুমার , জগৎশেঠ ) পতন ঘটে এবং নতুন জাতি ও বংশের ( মল্লিক পরিবার , শীল পরিবার ) উদ্ভবের কথা জানা যায় । 

কালীপ্রসন্ন সিংহ বাবু সংস্কৃতি : ব্যাবসাবাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ী এবং গ্রাম থেকে কলকাতায় চলে আসা জমিদাররা যে বিলাসবহুল এবং দেখনদারি সংস্কৃতির সূচনা করেছিল তা ‘ বাবু সংস্কৃতি ‘ নামে পরিচিতি লাভ করে । 

পূজাপার্বণ : কলকাতায় ছিল বারো মাসে তেরো পার্বণ , অর্থাৎ চড়কপূজা , নীলষষ্ঠী , রাসলীলা , রথযাত্রা , মাহেশের স্নানযাত্রা , বারোয়ারি দুর্গাপূজা ইত্যাদি নানা ধরনের উৎসব । 

সংস্কৃতি : নীলের ব্রত , গাজন সন্ন্যাসী ( চড়কি ) -দের শিবের কাছে মাথা দোলানো বা মাথাচালা , যাত্রাগান , বুলবুলের গান , অশ্লীল শব্দযুক্ত আখড়াই গান ছিল তৎকালীন সংস্কৃতির অঙ্গ । আবার বাইজি নাচ ও মদ্যপান সংস্কৃতিও ছিল কলকাতার বাবু সমাজের একটি বিশেষ দিক । 

উপসংহার উপরোক্ত আলোচনা থেকে দেখা যায় যে , উনিশ শতকে কলকাতার সমাজজীবনে পরিবর্তন এসেছিল এবং এর মূল কারণ ছিল বাঙালিদের ইংরেজ অনুকরণ ও পাশ্চাত্য শিক্ষা । 

৬. ‘ নীলদর্পণ ‘ নাটক ও তার গুরুত্ব বিশ্লেষণ করো । 

উত্তরঃ-   উনিশ শতকের বাংলার নবজাগরণের সর্বশ্রেষ্ঠ অবদান ছিল নীলবিদ্রোহ কালে দীনবন্ধু মিত্রের রচিত ‘ নীলদর্পণ ‘ ( ১৮৬০ খ্রিস্টাব্দ ) নাটক । নাটকের বিষয় এই নাটকের মধ্য দিয়ে কৃষক সমাজ , নীলকরদের অত্যাচার ও কৃষকের সংগ্রামের কথা প্রতিফলিত হয়েছিল , যেমন— নীলকরদের অত্যাচার এই নাটকে সাধারণ প্রজাদের ওপর নীলকর সাহেবদের অত্যাচার ও লুঠতরাজ , গৃহদাহ , নরহত্যা , নারী নির্যাতনের বিবরণ পাওয়া যায় । 

প্রতিক্রিয়াশীল শ্রেণি : 
ইংরেজদের সাহায্যকারী দেশীয় আমিন , গোমস্তা , পুলিশ , ম্যাজিস্ট্রেটদের কথা , তৎকালীন সমাজের আইন – আদালতের চিত্র এই নাটকে প্রতিফলিত হয়েছে । 

 জোটবদ্ধতা : নীলকরদের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা আন্দোলনে রায়ত , সম্পন্ন কৃষক , মধ্যবিত্ত শ্রেণি একজোট হয়ে নীলচাষের বিরুদ্ধে যে প্রতিবাদ করেছিল তা ধরা পড়ে এই নাটকে , যা ভারতীয়দের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করেছিল । 

গুরুত্ব : 
নীলদর্পণ নাটক বিভিন্ন কারণে গুরুত্বপূর্ণ , যেমন— 

কৃষক প্রীতি : বাংলার সাহিত্য জগতে নীলদর্পণ নাটকেই প্রথম বাংলার কৃষকদের দুর্দশার চিত্র উপস্থাপিত হয়েছিল । নীলকরদের স্বরূপ প্রকাশ : নীল বিদ্রোহ ও ‘ নীল কমিশন ’ গঠনের পর এই নাটকটি প্রকাশিত হলে পাদরি জেমস্ লং এই নাটকটির ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশ করেন এবং ইউরোপের জনমানসে নীলকরদের অত্যাচার তুলে ধরতে সচেষ্ট হন । 

পেশাদারি নাটকের সূচনা : ‘ নীলদর্পণ ‘ প্রকাশের পর নাটকটির জনপ্রিয়তার কারণে প্রথমে ঢাকায় ও পরে কলকাতায় ( ১৮৬২ খ্রি . ) নাটকটি অভিনীত হয় । একারণেই গিরিশ্চন্দ্র ঘোষ নীলদর্পণ নাটকের স্রষ্টা দীনবন্ধু মিত্রকে ‘ বাংলার রঙ্গালয়ের স্রষ্টা ‘ বলে অভিহিত করেছেন ।

৭. ‘ গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা ‘ পত্রিকা ও তার অবদান সম্পর্কে একটি টীকা লেখো । 

উত্তরঃ-   ভূমিকা : কুমারখালি পাঠশালার পণ্ডিত হরিনাথ মজুমদার ( ‘ কাঙাল হরিনাথ ‘ ) ‘ গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা ‘ পত্রিকাটি সম্পাদনা করতেন । নিদারুণ আর্থিক দুরবস্থা , পরিকাঠামোগত অসুবিধে সত্ত্বেও দীর্ঘ বাইশ বছর ধরে তিনি এই পত্রিকাটি প্রকাশ করেন , যাতে সমাজের নিপীড়িত , অত্যাচারিত , অবহেলিত মানুষের অবস্থা পরিবেশিত হয়েছে । 

গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকার বৈশিষ্ট্য : হরিনাথ মজুমদার বা ‘ কাঙাল হরিনাথ ’ কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত ‘ গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা ’ ছিল এক সাময়িক পত্রিকা । এই পত্রিকার মাধ্যমে তিনি— 

প্রথমত , গ্রাম ও গ্রামবাসী প্রজার অবস্থা সহ সমসাময়িক বিভিন্ন খবরও প্রকাশিত হত । 

দ্বিতীয়ত , ব্রিটিশ সরকার ও তার সহযোগী জমিদার ও মহাজন কর্তৃক প্রজা শোষণ ও অত্যাচারের কথা প্রকাশিত হয়েছিল । এমনকি জোড়াসাঁকোর বিখ্যাত ঠাকুরবাড়ির জমিদারি ব্যবস্থাও তাঁর সমালোচনার হাত থেকে রেহাই পায়নি । 

তৃতীয়ত , এই পত্রিকায় সাহিত্য , দর্শন , বিজ্ঞান ও বীরগাথাও প্রকাশিত হয়েছিল । 

অবদান : ‘ গ্রামাবাৰ্ত্তা প্রকাশিকা ‘ পত্রিকা , উনিশ শতকের গ্রামীণ সমাজে আলোড়ন তুলেছিল , কারণ— 

প্রথমত , এর আগের সমস্ত পত্রপত্রিকা কলকাতা থেকে প্রকাশিত হয়েছিল বলে তাতে শহরের শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানসিক প্রতিফলন ধরা পড়েছিল , কিন্তু ‘ গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা ‘ শুধু গ্রাম থেকেই প্রকাশিত হয় । 

দ্বিতীয়ত , এতে গ্রামের মানুষের দুঃখ , দুর্দশা , বঞ্চনা , নিপীড়নের কথা , নীলকরদের অত্যাচারের কথা তুলে ধরা হয়েছিল বলেই এটি ছিল ব্যতিক্রমী পত্রিকা । 

তৃতীয়ত , এটিই ছিল ‘ বাংলার গ্রামীণ সংবাদপত্রের জনক ‘ । 


৮. টীকা লেখো : উডের ডেসপ্যাচ । 
অথবা , 
চার্লস উডের নির্দেশনামা কী ? 

উত্তরঃ-   ভূমিকা : ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষাবিস্তারের ক্ষেত্রে দুটি গুরুত্বপূর্ণ দিক্‌চিহ্ন হল— ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দের মেকলে মিনিট ও ১৮৫৪ খ্রিস্টাব্দের উডের ডেসপ্যাচ বা নির্দেশনামা । উডের ডেসপ্যাচ : ভারতবর্ষের শিক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য ১৮৫৪ খ্রিস্টাব্দে বোর্ড অফ কন্ট্রোলের সভাপতি চার্লস উড শিক্ষা সংক্রান্ত এক নির্দেশনামা জারি করেন যা উডের ডেসপ্যাচ নামে পরিচিত । 

সুপারিশ : ভারতের আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার প্রসারের জন্য চার্লস উডের বিভিন্ন সুপারিশের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল : 
( ১ ) নিম্নতম শ্রেণি থেকে উচ্চতর শ্রেণি পর্যন্ত যথাযথ সমন্বয়মূলক শিক্ষাব্যবস্থা প্রবর্তন ; 
( ২ ) সরকারি শিক্ষাবিভাগ স্থাপন ; প্রত্যেক প্রেসিডেন্সি শহরে ( অর্থাৎ — কলকাতা , বোম্বাই ও মাদ্রাজ শহরে ) একটি করে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন ; 
( ৪ ) গণশিক্ষা , নারীশিক্ষা , মাতৃভাষার উন্নয়ন এবং শিক্ষক – শিক্ষণ ব্যবস্থার প্রবর্তন ; 
( ৫ ) প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের উপযুক্ত ব্যবস্থা প্রবর্তন ; ( ৬ ) সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষা প্রদান নীতির প্রবর্তন প্রভৃতি । 

প্রভাব : চার্লস উডের এইসব সুপারিশের ওপর ভিত্তি করেই আধুনিক ভারতের শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল , যেমন—
 
(১ ) চার্লস উড – এর সুপারিশ অনুসারে ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে সরকারি শিক্ষা বিভাগ খোলা হয় । 
( ২ ) ‘ উডের নির্দেশনামা’র ফলশ্রুতি হিসেবে ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা , মাদ্রাজ ও বোম্বাই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা হয় । 
( ৩ ) বহু বিদ্যালয়কে সরকারি অনুদান প্রদান এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ফলে ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষার দ্রুত প্রসার ঘটতে থাকে । 

৯. নারীশিক্ষা প্রসারে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান সংক্ষেপে আলোচনা করো ।

উত্তরঃ-   ভূমিকা : উনিশ শতকের বিখ্যাত সংস্কৃত পণ্ডিত ও সমাজসংস্কারক ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ( ১৮২০-৯১ খ্রি . ) । নারীমুক্তির উদ্দেশ্যে সারাজীবন ধরে শিক্ষাবিস্তার ও সমাজসংস্কারে সচেষ্ট হয়েছিলেন । প্রেক্ষাপট : নারীশিক্ষা প্রসারে বিদ্যাসাগরের লক্ষ্য ছিল দুটি , যথা— 

প্রথমত , বিদ্যাসাগর বিধবাবিবাহ প্রবর্তন , বহুবিবাহ ও বাল্যবিবাহ রোধ , এবং বিভিন্ন সামাজিক কুপ্রথার বিরুদ্ধে প্রবল জনমত গড়ে তোলার পাশাপাশি অনুভব করেন নারী মুক্তির জন্য প্রয়োজন নারীশিক্ষা । 

দ্বিতীয়ত , নারীকে শিক্ষিত করে তোলা সম্ভব হলে পরবর্তী L প্রজন্মও শিক্ষিত হয়ে উঠবে বলে তিনি বিশ্বাস করতেন । 

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর নারীশিক্ষা বিস্তারে অবদান : স্কুল প্রতিষ্ঠা : বিদ্যাসাগর বিদ্যালয় দক্ষিণবঙ্গের পরিদর্শকের সরকারি পদে থাকার ( ১৮৫৭-৫৮ খ্রি . ) সুযোগে বাংলার বিভিন্ন স্থানে ৩৫ টি বালিকা বিদ্যালয় এবং ১০০ টি বাংলা স্কুল স্থাপন করেন । ১৮৪৯ খ্রিস্টাব্দে বেথুন সাহেবের উদ্যোগে ‘ হিন্দু ফিমেল স্কুল ’ প্রতিষ্ঠাকালে তিনি বিভিন্নভাবে সাহায্য করেন । 

ভগবতী বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা : বিদ্যাসাগর তাঁর নিজের জন্মস্থান মেদিনীপুরের বীরসিংহ গ্রামে মা ভগবতী দেবীর পুণ্য স্মৃতি রক্ষার্থে প্রতিষ্ঠা করেন ভগবতী বিদ্যালয় ( ১৮৯০ খ্রি . ) । 

নারী শিক্ষা ভাণ্ডার : তাঁর প্রতিষ্ঠিত বালিকা বিদ্যালয়গুলিকে সরকার আর্থিক সাহায্যদান বন্ধ করলে বিদ্যাসাগর ‘ নারীশিক্ষা ভাণ্ডার ‘ নামে একটি তহবিল গঠন করেছিলেন । 

 স্ত্রী শিক্ষা সম্মিলনী : বিদ্যাসাগর নারীশিক্ষার যথাযথ প্রসারের জন্য মেদিনীপুর হুগলি বর্ধমানসহ বিভিন্ন জেলায় ‘ স্ত্রীশিক্ষা সন্মিলনী ‘ নামক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন । 

উপসংহার : বিদ্যাসাগর নারীশিক্ষার প্রসার ও নারী সমাজের উন্নতির জন্য যুক্তির চেয়ে হিন্দু ধর্মশাস্ত্রের ওপর বেশি নির্ভর করেন । তাই ঐতিহাসিক অমলেশ ত্রিপাঠী তাঁকে ‘ ঐতিহ্যবাহী আধুনিককার ’ বলে অভিহিত করেছেন ।

১০.  টীকা লেখো : ইয়ং বেঙ্গল । 

উত্তরঃ-   ভূমিকা : হিন্দু কলেজের তরুণ অধ্যাপক হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিওর প্রভাবে পাশ্চাত্যের যুক্তিবাদী ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলার তরুণ বুদ্ধিজীবীদের একাংশ যে উগ্র সংস্কারপন্থী আন্দোলন সৃষ্টি করেন তা ইয়ং বেঙ্গল বা নব্যবঙ্গ আন্দোলন নামে পরিচিত । নব্যবঙ্গ দলের মূল উদ্দেশ্য : নব্যবঙ্গ দলের মূল উদ্দেশ্য ছিল— 

( ১ ) জনসাধারণের মধ্যে যুক্তিবাদ প্রতিষ্ঠা ; 
( ২ ) হিন্দুসমাজে প্রচলিত ধর্মীয় ও সামাজিক গোঁড়ামি ও কুসংস্কারের বিরোধিতা করা এবং 
( ৩ ) আধুনিক ও যুক্তিবাদী পাশ্চাত্য চিন্তাধারা ও শিক্ষার বিস্তার ঘটানো । 

নব্যবঙ্গ দলের কার্যকলাপ : ডিরোজিওর ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ ছাত্ররা – 

( ১ ) বিভিন্ন পত্রপত্রিকা , সভাসমিতি ও প্রতিষ্ঠান স্থাপন করে প্রগতিশীল ধ্যানধারণা প্রচার করেন । ডিরোজিওর ছাত্রদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন প্যারীচাঁদ মিত্র , রামতনু লাহিড়ি , দক্ষিণারঞ্জন মুখোপাধ্যায় , কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ । 

( ২ ) ইয়ং বেঙ্গলের সদস্যরা তাঁদের পত্রিকাগুলোর মাধ্যমে হিন্দুসমাজের বহুবিবাহ , নারীশিক্ষা , জুরির বিচার , সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে লেখালেখি শুরু করেন ও তাঁদের সুচিন্তিত মতামত দেন । 

সমালোচনা : 
সমাজের সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগসূত্র না থাকায় সমাজজীবনে ইয়ং বেঙ্গল গোষ্ঠীর তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি । সবচেয়ে বড়ো কথা , দেশের সভ্যতা ও সংস্কৃতির দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে তাঁরা পাশ্চাত্যের অন্ধ অনুকরণ করতে আগ্রহী ছিলেন । এই কারণে ঐতিহাসিক অমলেশ ত্রিপাঠী ইয়ং বেঙ্গল গোষ্ঠীকে ‘ নকলনবীশের দল ‘ বলে মন্তব্য করেছেন । 

উপসংহার : নানান সমালোচনা সত্ত্বেও ইয়ং বেঙ্গল অনুগামীদের সত্যানুসন্ধানী মনোভাব , দেশাত্মবোধ ও সংস্কৃতি চেতনা উনিশ শতকে বাংলার নবজাগরণকে সমৃদ্ধ করেছিল ।

১১. কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ও তার তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো । 

উত্তরঃ-   ভূমিকা : ভারতে শিক্ষা তথ্য উচ্চশিক্ষার বিকাশে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক্‌চিহ্ন হল উডের ডেসপ্যাচের সুপারিশ অনুযায়ী লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুকরণে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা ( ১৮৫৭ খ্রি . ) । 

প্রতিষ্ঠা : কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় ইউনিভার্সিটি কমিটি : উডের ডেসপ্যাচের সুপারিশের ভিত্তিতে লর্ড ডালহৌসির শাসনকালে গঠিত ইউনিভার্সিটি কমিটির দেওয়া রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করেই প্রতিষ্ঠিত হয় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ( ২৪ জানুয়ারি , ১৮৫৭ খ্রি . ) । 

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন : কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুসারে ৪১ জন সিনেট সদস্য নিয়ে গঠিত সিনেটের হাতে শিক্ষানীতি রূপায়ণের ভার ন্যস্ত করা হয় । লর্ড ক্যানিং হন প্রথম আচার্য এবং স্যার জেমস উইলিয়াম কোলভিল প্রথম উপাচার্য । 

বিস্তার : প্রতিষ্ঠাকালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা এলাকা ছিল লাহোর থেকে বর্তমান মায়ানমারের রেঙ্গুন পর্যন্ত । দেশের বিভিন্ন বিদ্যালয় ও কলেজ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ থেকে অনুমোদন নেয় । 

কর্ম শুরু : কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট – এর প্রথম মিটিং হয় ৩০ জানুয়ারি , ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের কাউন্সিল রুম – এ । ক্যামাক স্ট্রিটের একটি ভাড়া বাড়িতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী অফিস গড়ে ওঠে । ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দের মার্চে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম এন্ট্রান্স পরীক্ষায় ২৪৪ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে । 

উপসংহার : কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ফলে ভারতের প্রাথমিক শিক্ষা থেকে উচ্চশিক্ষার বিষয়টি পরিপূর্ণতা লাভ করলেও প্রতিষ্ঠাকালে এটি উচ্চ শিক্ষাকেন্দ্র ছিল না , বরং তা ছিল পরীক্ষাগ্রহণকারী কেন্দ্র ।

১২. পাশ্চাত্য শিক্ষাবিস্তারে রাজা রামমোহন রায়ের ভূমিকা আলোচনা করো ।

উত্তরঃ-   ভূমিকা : উনিশ শতকে ভারতবর্ষে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারে রাজা রামমোহন রায় ( ১৭৭২-১৮৩৩ খ্রিস্টাব্দ ) অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন । তাঁর ভূমিকা ছিল এরকম— 

 পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসার : পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে রামমোহন পাশ্চাত্য দর্শন , গণিত , রসায়ন , অস্থিবিদ্যা প্রভৃতি শিক্ষার জন্য ব্যাপক প্রচার চালান । 

 ইংরেজি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা : ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দে রাজা রামমোহন রায় নিজ উদ্যোগে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারের উদ্দেশ্যে কলকাতায় অ্যাংলো – হিন্দু স্কুল নামে একটি ইংরেজি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন । 

 সরকারি সহযোগিতার জন্য আবেদন : ১৮২৩ খ্রিস্টাব্দে রামমোহন লর্ড আমহার্স্টকে এক চিঠিতে শিক্ষাখাতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি প্রদত্ত এক লক্ষ টাকা পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারে ব্যবহারের জন্য আবেদন জানান । 

 বেদান্ত কলেজ প্রতিষ্ঠা : কুসংস্কার দূর করে পাশ্চাত্য পদার্থবিদ্যা ও সমাজবিজ্ঞানের ধারণা প্রসারের উদ্দেশ্যে রামমোহন ১৮২৬ খ্রিস্টাব্দে বেদান্ত কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন । এ ছাড়াও ডেভিড হেয়ার , আলেকজান্ডার ডাফ প্রমুখ পাশ্চাত্য শিক্ষার সমর্থকদের তিনি নানাভাবে সমর্থন ও সহযোগিতা করেন এবং হিন্দু কলেজ প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক পর্বে যুক্ত হয়েছিলেন । 

১৩. সতীদাহ প্রথা বিরোধী আন্দোলন বিশ্লেষণ করো । 

উত্তরঃ-   ভূমিকা : মৃত স্বামীর চিতায় তার সদ্যবিধবা জীবন্ত স্ত্রীর সহমরণ সতীদাহ প্রথা নামে পরিচিত । আন্দোলন বাংলা তথা ভারতের সমাজসংস্কার আন্দোলনে সতীদাহপ্রথা বিরোধী আন্দোলন ছিল একটি ব্যাপক আন্দোলন । তার বিভিন্ন দিক হল – 

 সার্বিক আন্দোলন প্রাচীনকাল থেকেই ভারতে প্রচলিত সতীদাহ প্রথা গোঁড়া হিন্দুদের কাছে পবিত্র ও মহান প্রথা হলেও বাস্তবে তা অত্যন্ত নিষ্ঠুর হওয়ায় এই প্রথার বিরুদ্ধে উনিশ শতকে কলকাতা – সহ বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে আন্দোলন গড়ে ওঠে । 

সরকারি নিয়ন্ত্রণ : সতীদাহ প্রথার ব্যাপকতায় চিন্তিত ইংরেজ সরকার ১৮১৩ খ্রিস্টাব্দে একটি আইনের মাধ্যমে গর্ভবর্তী ও অল্পবয়সি নারীর সতী হওয়া নিষিদ্ধ ঘোষণা করে । রামমোহনের চেষ্টা : মানবতাবাদী ও যুক্তিবাদী রাজা রামমোহন রায় সতীদাহপ্রথা বিরোধী প্রচারসভা ও প্রচার পুস্তিকার মাধ্যমে এই প্রথার বিরোধিতা করেন ও সতীদাহ প্রথাকে অশাস্ত্রীয় বলে প্রমাণ করেন । সরকারের কাছে আবেদনপত্র প্রেরণ করে । সরকারি আইনের সাহায্যে এই প্রথা রদে সচেষ্ট হন ।

 ইংল্যান্ড ও বেন্টিঙ্কের উদ্যোগ : ১৮২৭ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ ইংল্যান্ডের জনগণ তাদের পার্লামেন্টের মাধ্যমে নিষ্ঠুর সতীদাহপ্রথা বন্ধের জন্য আবেদন জানায় । তৎকালীন বড়োেলাট লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্কও এই প্রথার বিরোধী হওয়ায় তিনি ১৮২৯ খ্রিস্টাব্দে সপ্তদশ বিধি ‘ নামে আইন প্রবর্তন করে এই প্রথা রদ করেন । 

উপসংহার : উপরোক্ত আলোচনা থেকে দেখা যায় যে , রামমোহন রায়ের আগেই গড়ে ওঠা সতীদাহপ্রথা বিরোধী আন্দোলনকে তিনি সাফল্যের পথে এগিয়ে দেন । 


১৪. টীকা লেখো : ডিরোজিও । 

উত্তরঃ-   ভূমিকা : উনিশ শতকের প্রথমার্ধে হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিওর ( ১৮০৯-১৮৩১ খ্রি . ) নেতৃত্বে বাংলায় এক উগ্র সংস্কারবাদী আন্দোলনের অবতারণা হয় , যা নব্যবঙ্গ আন্দোলন নামে পরিচিত । 

বাল্যকাল : ১৮০৯ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার এক ইউরেশিয়ান পরিবারে জন্মগ্রহণকারী ডিরোজিও হেনরি ড্রামন্ডের কাছে ধর্মতলা অ্যাকাডেমিতে শিক্ষালাভ করেন এবং পাশ্চাত্যের যুক্তিবাদী ধারণায় উদ্বুদ্ধ হন । 

অধ্যাপনা : ১৮২৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি হিন্দু কলেজের শিক্ষক রূপে যোগ দেন ও কলেজের তরুণ ছাত্র – সম্প্রদায়ের মনে আলোড়ন সৃষ্টি করেন । প্রাচীন গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিসের মতো ডিরোজিও তাঁর ছাত্রদের যুক্তিবাদী ও প্রগতিশীল চিন্তাধারার সঙ্গে পরিচয় ঘটান । 

 হিন্দু সমাজের সমালোচনা : তিনি ‘ অ্যাকাডেমিক অ্যাসোসিয়েশন ‘ নামে এক সমিতি গঠন করেন এবং সেখানে আলোচনা সভার মাধ্যমে হিন্দু সমাজের কুসংস্কার , রক্ষণশীলতা ও প্রচলিত কুপ্রথাগুলির বিরুদ্ধে কশাঘাত করেন । 

 কর্মচ্যুতি : ডিরোজিওর প্রভাবে তাঁর ছাত্র সম্প্রদায় প্রকাশ্যে হিন্দুধর্মের আচার – ব্যবহার লঙ্ঘন করতে থাকলে হিন্দুসমাজের রক্ষণশীল সমাজপতিরা কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে ডিরোজিওর বিরুদ্ধে নালিশ জানান এবং এর ফলে ডিরোজিও কর্মচ্যুত হন ( এপ্রিল ১৮৩১ ) । ওই বছরের শেষে কলেরায় আক্রান্ত হয়ে ডিরোজিওর মৃত্যু হয় ।

 উপসংহার : ডিরোজিও তাঁর অনুগামীদের মধ্যে স্বাধীন চিন্তার বীজ বপন করে যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন তা প্রশংসার দাবি রাখে । মনেপ্রাণে ভারতপ্রেমী ডিরোজিও ‘ আমার স্বদেশের প্ৰতি ‘ ( To India My Native Land ) কবিতায় মাতৃভূমির বন্দনা করেছেন । 


১৫. ভারতে পাশ্চাত্য চিকিৎসাবিদ্যার বিকাশে পণ্ডিত মধুসূদন দত্তের অবদান বিশ্লেষণ করো । 

উত্তরঃ-   ভূমিকা : ভারতে পাশ্চাত্য চিকিৎসাবিদ্যার বিকাশে হুগলি জেলার বৈদ্যবাটি গ্রামে জন্মগ্রহণকারী মধুসূদন গুপ্তের ( ১৮০৬–১৮৫৬ খ্রি . ) ভূমিকা ছিল খুব গুরুত্বপূর্ণ । 

অবদান : ডা . মধুসূদন গুপ্ত যেভাবে ভারতে পাশ্চাত্য চিকিৎসা বিদ্যার বিকাশে সাহায্য করেন তা হল 1 হিন্দু ওষুধের পণ্ডিত : তিনি ছিলেন কলকাতা সংস্কৃত কলেজের ছাত্র । এবং পরবর্তীকালে এই কলেজে তিনি হিন্দু ওষুধের পণ্ডিতরূপে নিযুক্ত হন ( ১৮৩০ খ্রি . ) । 

অ্যাসিস্ট্যান্ট সার্জেন : কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হলে তিনি এখানে ডাক্তাররূপে যোগদান করেন ও পরবর্তীকালে তিনি প্রথম মর্যাদার সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট সার্জেন হন । 

 শব ব্যবচ্ছেদ : ১৮৩৬ খ্রিস্টাব্দের ১০ জানুয়ারি হিন্দু কুসংস্কার উপেক্ষা করে নিজ হাতে শব ব্যবচ্ছেদ করেন এবং এর দশ মাস পর ডাক্তার গুডিভের তত্ত্বাবধানে চারজন মেডিক্যাল ছাত্র ( রাজকৃষ্ণ দে , উমাচরণ শেঠ , দ্বারকানাথ গুপ্ত ও নবীনচন্দ্র মিত্র ) -কে সাথে নিয়ে পুনরায় শব ব্যবচ্ছেদ করেন । 

 গ্রন্থ রচনা : সংস্কৃত কলেজে অধ্যাপনাকালে মধুসূদন গুপ্ত হুপারের ‘ অ্যানাটমিস্টস ভাডে — মেকাম ’ গ্রন্থটির সংস্কৃত অনুবাদ করেন ( ১৮৩৫ খ্রি . ) এবং পরবর্তীকালে ‘ লন্ডন ফার্মাকোপিয়া গ্রন্থটির বাংলা অনুবাদ করেন ( ১৮৪৯ খ্রি . ) । এ ছাড়া তিনি ইংরাজি ও ল্যাটিন ওষুধের নাম ও ব্যবহারের নির্দেশাবলি সম্পর্কিত অনুবাদ গ্রন্থ ‘ অ্যানাটোমি ‘ ( ১৮৫৩ খ্রি . ) রচনা করেন । 

উপসংহার : ভারতে পাশ্চাত্য চিকিৎসাবিদ্যার বিকাশের ক্ষেত্রে ডা . মধুসূদন গুপ্তের ভূমিকাকে স্মরণ করে শিক্ষা কাউন্সিলের সভাপতি জে ডি বেথুন মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষকে ডা . মধুসূদন গুপ্তের এক বিশাল তৈলচিত্র উপহার দেন ( ১৫ জুন , ১৮৪৯ খ্রি . ) । এটি বর্তমানে মেডিক্যাল কলেজে জি . এল . টি হলে সংরক্ষিত আছে ।



Related searches
দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর / ক্লাস 10 / Madhyamik ইতিহাস অধ্যায় 1 প্রশ্ন এবং উত্তর / দশম শ্রেণীর প্রশ্ন উত্তর ইতিহাস / দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর তৃতীয় অধ্যায় / দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা / Songoskar Boisisto O Porjalochona / দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর 2023, 2024, 2025, 2026, 2027, 2028, 2029, 2030, 2031, 2032, 2033, 2034, 2035, 2036, 2037, 2038, 2039, 2040 /  দশম শ্রেণীর ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর / দশম শ্রেণীর প্রশ্ন উত্তর ইতিহাস / দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর দশম অধ্যায় / দশম শ্রেণীর ইতিহাস বই pdf / দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর তৃতীয় অধ্যায় / দশম শ্রেণীর ইতিহাস বই

  • দশম শ্রেণী ইতিহাসের দ্বিতীয় অধ্যায় : সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা / Songoskar Boisisto O Porjalochona প্রশ্ন উত্তর
  • সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা / Songoskar Boisisto O Porjalochona (দ্বিতীয় অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History Songoskar Boisisto O Porjalochona Question and Answer
  • মাধ্যমিক ইতিহাস | Madhyamik History Question and Answer
  • মাধ্যমিক ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তর | Madhyamik History Chapter 1 Question Answer 
  • সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা / Songoskar Boisisto O Porjalochona (দ্বিতীয় অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর
  • সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা / Songoskar Boisisto O Porjalochona (দ্বিতীয় অধ্যায়) সব প্রশ্ন ও উত্তর
  • মাধ্যমিক ইতিহাস - সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা / Songoskar Boisisto O Porjalochona - দ্বিতীয় অধ্যায়
  • মাধ্যমিক ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় ইতিহাসের ধারনা MCQ প্রশ্ন-উত্তর
  • ইতিহাসের ধারনা (দ্বিতীয় অধ্যায়) | মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন
  • মাধ্যমিক ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় 'সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা / Songoskar Boisisto O Porjalochona' মক টেস্ট
  • মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন - দ্বিতীয় অধ্যায় – সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা / Songoskar Boisisto O Porjalochona
  • Class 10 History Mcq Chapter 2 solution 

Some Information about this article  : 

WBBSE Class 10 / Madhyamikth History Question and Answer  | West Bengal West Bengal Class Ten / Madhyamik X (Class 10 / Madhyamikth) History Qustions and Answers with Suggestion | Madhyamik History Songoskar Boisisto O Porjalochona Sugession 

দশম শ্রেণীর ইতিহাস সাজেশন প্রশ্ন ও উত্তর   
” দশম শ্রেণীর  ইতিহাস – প্রশ্ন উত্তর  “ সমস্ত অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর দশম শ্রেণীর পরীক্ষা (West Bengal Class Ten / Madhyamik X  / WB Class 10 / Madhyamik  / WBBSE / Class 10 / Madhyamik  Exam / West Bengal Board of Secondary Education – WB Class 10 / Madhyamik Exam / Class 10 / Madhyamik Class 10 / Madhyamikth / WB Class X / Class 10 / Madhyamik Pariksha  ) এখান থেকে প্রশ্ন অবশ্যম্ভাবী । সে কথা মাথায় রেখে Historybd.in এর পক্ষ থেকে দশম শ্রেণীর ইতিহাস পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং প্রশ্ন ও উত্তর (Class 10 / Madhyamik History Suggestion / Class 10 / Madhyamik History Question and Answer / Class X History Suggestion / Class 10 / Madhyamik Pariksha History Suggestion  / History Class 10 / Madhyamik Exam Guide  / Class 10 / Madhyamikth History MCQ , Short , Descriptive  Type Question and Answer  / Class 10 / Madhyamik History Suggestion  FREE PDF Download) উপস্থাপনের প্রচেষ্টা করা হলাে। ছাত্রছাত্রী, পরীক্ষার্থীদের উপকারেলাগলে, আমাদের প্রয়াস দশম শ্রেণীর ইতিহাস পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং প্রশ্ন ও উত্তর (Class 10 / Madhyamik History Suggestion / West Bengal Six X Question and Answer, Suggestion / WBBSE Class 10 / Madhyamikth History Suggestion  / Class 10 / Madhyamik History Question and Answer  / Class X History Suggestion  / Class 10 / Madhyamik Pariksha Suggestion  / Class 10 / Madhyamik History Exam Guide  / Class 10 / Madhyamik History Suggestion 2021 , 2022, 2023, 2024, 2025, 2026, 2027, 2028, 2029, 2030, 2021, 2020, 2019, 2017, 2016, 2015, 2031, 2032, 2033, 2034, 2035, 2036, 2037, 2038, 2039, 2040 /  Class 10 / Madhyamik History Suggestion  MCQ , Short , Descriptive  Type Question and Answer. / Class 10 / Madhyamik History Suggestion  FREE PDF Download) সফল হবে।

দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History Songoskar Boisisto O Porjalochona Question and Answer 

দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Class 10 / Madhyamik History Question and Answer Suggestion  দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর।

দশম শ্রেণীর ইতিহাস MCQ প্রশ্ন ও উত্তর

দশম শ্রেণীর ইতিহাস MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | Class 10 / Madhyamik History MCQ or Multiple Choice Question and Answer |  দশম শ্রেণীর ইতিহাস MCQ প্রশ্ন উত্তর। 

দশম শ্রেণীর ইতিহাস SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | দশম শ্রেণীর ইতিহাস 

দশম শ্রেণীর ইতিহাস SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | Class 10 / Madhyamik History Short Question and Answer |  দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর  – SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর।

দশম শ্রেণীর ইতিহাস DTQ বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | ষষ্ঠ শ্রেণী ইতিহাস 

দশম শ্রেণীর ইতিহাস – DTQ বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর | Class 10 / Madhyamik History Suggestion  দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর  – DTQ বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর।

পশ্চিমবঙ্গ দশম শ্রেণীর ইতিহাস  – প্রশ্ন উত্তর | West Bengal Madhyamik History Songoskar Boisisto O Porjalochona Question and Answer

দশম শ্রেণীর ইতিহাস (Class 10 / Madhyamik History) – প্রশ্ন ও উত্তর | | Class 10 / Madhyamik History Suggestion  দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর  – প্রশ্ন উত্তর ।

(SUB HEADING) দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর  | ষষ্ঠ শ্রেণি ইতিহাস | WB Class 10 / Madhyamik History Question and Answer, Suggestion (SUB HEADING)
দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – | দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – | পশ্চিমবঙ্গ দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – | দশম শ্রেণীর ইতিহাস সহায়ক প্রশ্ন ও উত্তর । WB Class 10 / Madhyamik History Question and Answer, Suggestion | WBBSE Class 10 / Madhyamikth History Suggestion  | WB Class 10 / Madhyamik History Question and Answer Notes  | West Bengal WB Class 10 / Madhyamikth History Question and Answer Suggestion. 

দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | WBBSE Class 10 / Madhyamik History Question and Answer, Suggestion 

দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Class 10 / Madhyamik History Suggestion. দশম শ্রেণীর ইতিহাস সহায়ক প্রশ্ন ও উত্তর । Class 10 / Madhyamik History Question and Answer, Suggestion.

(SUB HEADING) Class 10 / Madhyamik History Question and Answer Suggestions  | দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | ষষ্ঠ শ্রেণি ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর (SUB HEADING)

Class 10 / Madhyamik History Question and Answer  দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর  Class 10 / Madhyamik History Question and Answer দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – MCQ, সংক্ষিপ্ত, রোচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর  । 

WBBSE Class 10 / Madhyamikth History Suggestion  | দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর

WBBSE Class 10 / Madhyamikth History Suggestion দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর । WBBSE Class 10 / Madhyamikth History Suggestion  দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর।

West Bengal Class 10 / Madhyamik  History Suggestion  Download. WBBSE Class 10 / Madhyamikth History short question suggestion  . Class 10 / Madhyamik History Suggestion   download. Class 10 / Madhyamikth Question Paper  History. WB Class 10 / Madhyamik  History suggestion and important question and answer. Class 10 / Madhyamik Suggestion pdf.পশ্চিমবঙ্গ দশম শ্রেণীর  ইতিহাস পরীক্ষার সম্ভাব্য সাজেশন ও শেষ মুহূর্তের প্রশ্ন ও উত্তর ডাউনলোড। দশম শ্রেণীর ইতিহাস পরীক্ষার জন্য সমস্ত রকম গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর।

Get the WBBSE Class 10 / Madhyamikth History Question and Answer by Historybd.in
WBBSE Class 10 / Madhyamikth History Question and Answer prepared by expert subject teachers. WB Class 10 / Madhyamik  History Suggestion with 100% Common in the Examination .

Class 10 / Madhyamikth History Syllabus 

West Bengal Board of Secondary Education (WBBSE) Class 10 / Madhyamikth History Syllabus with all the important chapters and marks distribution. Download the Class 10 / Madhyamikth History Syllabus and Question Paper. Questions on the History exam will come from these chapters. All the chapters are equally important, so read them carefully.

WB Class 10 / Madhyamikth History Syllabus Free Download Link Click Here 


Class 10 / Madhyamikth Class Ten X History Suggestion | West Bengal WBBSE Class 10 / Madhyamik Exam 

Class 10 / Madhyamik History Question and Answer, Suggestion Download PDF: WBBSE Class 10 / Madhyamikth Class Ten X History Suggestion  is proXded here. West Bengal Class 10 / Madhyamikth History Suggestion Questions Answers PDF Download Link in Free has been given below. 

দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | WBBSE Class 10 / Madhyamikth History


আশাকরি তোমাদের দশম ক্লাসের সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা অধ্যায় থেকে সকল প্রশ্ন ও উত্তর কমপ্লিট হয়েছে। আমরা আমাদের সর্বাঙ্গীণ প্রচেষ্টা করেছি তোমাদের এই দশম শ্রেণীর সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা অধ্যায় থেকে সব প্রশ্ন উত্তর দেওয়ার জন্য, এখন কাজ হল তোমাদের বাড়িতে পড়ার । পড়তে থাকো , প্র্যাকটিস করতে থাকো, প্র্যাকটিস মানুষকে উত্তম করে তোলে। যত পড়বে তত শিখবে, ততই জ্ঞানী হবে। 

তোমাদের দশম ক্লাসের  সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা অধ্যায়ের প্রাকটিসের জন্য আমাদের কুইজে অংশগ্রহণ করতে পারো, সম্পূর্ণ ফ্রিতে, নিচে লিঙ্ক দেওয়া আছে কুইজে অংশ নিতে পারো।

ক্লাস দশম এর অন্যান্য অধ্যায় গুলি সম্পর্কে আরও পড়তে চাইলে নিচে অধ্যায় অনুযায়ী লিঙ্ক দেওয়া আছে, লিঙ্কে ক্লিক করে ক্লাস দশম এর অন্য অধ্যায় গুলি পড়ে নাও। আমাদের পরিসেবা তোমাদের ভালো লাগলে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি ফলো করতে পারো।

Post a Comment

0 Comments

Top Post Ad

Below Post Ad