Type Here to Get Search Results !

দশম শ্রেণী ইতিহাস - (তৃতীয় অধ্যায়) "প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ" প্রশ্ন উত্তর | WBBSE Madhyamik History Chapter 3 Protirodh O Bidroho Boisisto O Bisleson Question and Answer

দশম  শ্রেণীর ইতিহাস – প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ (তৃতীয় অধ্যায়) - WBBSE Class 10 Madhyamik History Chapter 3  Protirodh O Bidroho Boisisto O Bisleson Question and Answer 

মাধ্যমিক ইতিহাস – "প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ" (তৃতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History Chapter 3 Question and Answer 

দশম শ্রেণীর ইতিহাস সাজেশন – প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ – সমস্ত প্রশ্ন উত্তর | প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ অধ্যায়ের সাজেশন প্রশ্ন উত্তর | WBBSE Class 10 Madhyamik History Chapter 3 Question and Answer | WBBSE Class 10th History Suggestion PDF | Madhyamik History Suggestion Chapter 3 | প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ (তৃতীয় অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর

West Bengal  Class Ten / WBBSE Madhyamik  History Solution Chapter 3

West Bengal  Board Class Ten / WBBSE Madhyamik  History (ইতিহাস) Textbook Solution Chapter 3 প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ / Protirodh O Bidroho Boisisto O Bisleson Question Answers by WBBSE Expert Teacher. West Bengal Board Class Ten / WBBSE Madhyamik  History Solution Chapter 3. Madhyamik History  Protirodh O Bidroho Boisisto O Bisleson Question and Answer Mock Test. 

500+ দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর / প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ / Protirodh O Bidroho Boisisto O Bisleson (তৃতীয় অধ্যায়) MCQ, সংক্ষিপ্ত, অতি সংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর | দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – West Bengal Class 10th History Question and Answer

হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছো তোমরা ? আশাকরি তোমরা খুব ভালো আছো । আজকে আমরা আলোচনা করবো তোমাদের দশম ক্লাসের তৃতীয় অধ্যায় প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ সম্পর্কে । এই তৃতীয় অধ্যায়টি তোমাদের পরীক্ষার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ তাই তৃতীয় অধ্যায় এর প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আমরা এই লিখাটির মাধ্যমে দশম শ্রেণীর  তৃতীয় অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর, এই প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ অধ্যায়ের সাজেশন , কিকরে এই অধ্যায় থেকে উত্তর লিখতে হয়। দশম শ্রেণীর প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ অধ্যায় থেকে কিভাবে পড়বে সবকিছুই আলোচনা করবো। 

দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | WBBSE Class 10th History Question and Answer / দশম শ্রেণীর ইতিহাস – প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ / Protirodh O Bidroho Boisisto O Bisleson (তৃতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Class 10 History / দশম শ্রেণীর ইতিহাস – তৃতীয় অধ্যায় "প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ / Protirodh O Bidroho Boisisto O Bisleson" প্রশ্ন ও উত্তর | WBBSE Class 10th History Question and Answer / দশম শ্রেণির ইতিহাস (তৃতীয় অধ্যায়) প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ / Protirodh O Bidroho Boisisto O Bisleson প্রশ্ন উত্তর (MCQ, SAQ, LAQ)/Class 10 History Third chapter questions and Answers (MCQ, SAQ, LAQ) / দশম শ্রেণির আমাদের পৃথিবী তৃতীয় অধ্যায় প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ / Protirodh O Bidroho Boisisto O Bisleson | Class Ten / Madhyamik  Amader Prithibi / দশম শ্রেণীর ইতিহাস – প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ / Protirodh O Bidroho Boisisto O Bisleson (তৃতীয় অধ্যায়)

প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ (তৃতীয় অধ্যায়) MCQ, সংক্ষিপ্ত, অতি সংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর | দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – West Bengal Class 10th History Question and Answer
দশম শ্রেণীর ইতিহাস – প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ / Protirodh O Bidroho Boisisto O Bisleson (তৃতীয় অধ্যায়)

দশম শ্রেণীর ইতিহাস – প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ (তৃতীয় অধ্যায়) সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো । WBBSE Class 10th History 3rd Chapter MCQ Questions and Answers | Madhyamik History  Protirodh O Bidroho Boisisto O Bisleson MCQ Question and Answer

সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো | MCQ Questions and Answers (Class Ten / Madhyamik  History Third chapter)

সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো ; প্রতিটি প্রশ্নের মান -১

১. লর্ড কর্নওয়ালিশ চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তন করেন –
(ক) ১৭৯১ খ্রিস্টাব্দে 
(খ) ১৭৯৫ খ্রিস্টাব্দে 
(গ) ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দে
(ঘ) ১৭৯৭ খ্রিস্টাব্দে
উত্তরঃ-   (গ) ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দে

২. ব্রিটিশ সরকার ‘ অরণ্য আইন ‘ জারি করে –
(ক) ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দে
(খ) ১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দে 
(গ) ১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দে 
(ঘ) ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দে 
উত্তরঃ-   (খ) ১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দে

৩. ভারতে প্রথম অরণ্য আইন পাস হয় –
(ক) ১৮৫৯ খ্রিস্টাব্দে 
(খ) ১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দে 
(গ) ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে 
(ঘ) ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে
উত্তরঃ-   (খ) ১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দে

৪. বিপ্লব ‘ কথার অর্থ হল –
(ক) ধীর পরিবর্তন 
(খ) আমূল পরিবর্তন
(গ) পরিবর্তন
(ঘ) কোনোটিই নয়
উত্তরঃ-   (খ) আমূল পরিবর্তন

৫. ‘ আরণ্যক ‘ আদিবাসীদের বিদ্রোহকে ‘ অশান্ত অরণ্য জীবন ‘ বলেছেন –
(ক) দীপেশ চক্রবর্তী 
(খ) জ্ঞান পাণ্ডে 
(গ) রামচন্দ্র গুহ 
(ঘ) গৌতম ভদ্র 
উত্তরঃ-   (গ) রামচন্দ্র গুহ

৬. ভারতবর্ষের বনজ সম্পদের ওপরে ব্রিটিশদের নজর পড়ে— 
(ক) ১৮০২ খ্রিস্টাব্দে
(খ) ১৮০৪ খ্রিস্টাব্দে 
(গ) ১৮০৬ খ্রিস্টাব্দে 
(ঘ) ১৮০৮ খ্রিস্টাব্দে
উত্তরঃ-   (গ) ১৮০৬ খ্রিস্টাব্দে

৭. ১৮৬৫ সালের ‘ অরণ্য আইন’কে জোরদার করা হয় –
(ক) ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দে
(খ) ১৮৭৪ খ্রিস্টাব্দে
(গ) ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে 
(ঘ) ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে 
উত্তরঃ-   (ঘ) ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে

৮. ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ অরণ্যের ওপর সরকারি নিয়ন্ত্রণ আইন প্রবর্তন করেন – 
(ক) ১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দে 
(খ) ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দে 
(গ) ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে 
(ঘ) ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দে 
উত্তরঃ-   (ক) ১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দে

৯. ১৯০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে সরকারের অধীনে চলে আসে
বনভূমির— 
(ক) ২০ শতাংশ
(খ) ৬০ শতাংশ 
(গ) ৪০ শতাংশ 
(ঘ) ৮০ শতাংশ
উত্তরঃ-   (ক) ২০ শতাংশ

১০. ব্রিটিশ সরকার কাকে প্রথম ভারতের অরণ্য অঞ্চ পরিচালনার জন্য নিযুক্ত করেন ? 
(ক) জর্জ এভারেস্ট 
(খ) ডেইট্রিক ব্রান্ডিস
(গ) জেমস ক্লার্ক 
(ঘ) ডবলিউ হান্টার 
উত্তরঃ-   (খ) ডেইট্রিক ব্রান্ডিস

১১. ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দের অরণ্য আইনে অরণ্যকে ভাগ করা হয় – 
(ক) দুটি স্তরে 
(খ) চারটি স্তরে 
(গ) তিনটি স্তরে 
(ঘ) পাঁচটি স্তরে
উত্তরঃ-   (গ) তিনটি স্তরে

১২. ‘ সংরক্ষিত ‘ বনভূমি ছিল—
(ক) সরকারের অধীনে 
(খ) ব্যবসায়ীদের অধীনে 
(গ) উপজাতিদের অধীনে
(ঘ) প্রহরীদের অধীনে
উত্তরঃ-   (ক) সরকারের অধীনে

১৩. চুয়াড়রা মূলত বাস করত বাংলার –
(ক) মেদিনীপুর ও বাঁকুড়া জেলায়
(খ) দিনাজপুর জেলায় 
(গ) মালদহ জেলায় 
(ঘ) নদিয়া জেলার জঙ্গলমহলে 
উত্তরঃ-   (ক) মেদিনীপুর ও বাঁকুড়া জেলায়

১৪. ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনকালে বাংলায় প্রথম আদিবাসী বিদ্রোহ ছিল –
(ক) কোল বিদ্রোহ 
(খ) রংপুর বিদ্রোহ 
(গ) ভিল বিদ্রোহ 
(ঘ) চুয়াড় বিদ্রোহ 
উত্তরঃ-   (ঘ) চুয়াড় বিদ্রোহ

১৫. দুর্জন সিং ছিলেন –
(ক) কোল বিদ্রোহের নেতা 
(খ) সাঁওতাল বিদ্রোহের নেতা 
(গ) মুন্ডা বিদ্রোহের নেতা 
(ঘ) চুয়াড় বিদ্রোহের নেতা
উত্তরঃ-   (ঘ) চুয়াড় বিদ্রোহের নেতা

১৬. দ্বিতীয় পর্বের চুয়াড় বিদ্রোহ চলেছিল –
(ক) ৩ বছর ধরে 
(খ) ৬ বছর ধরে 
(গ) ২ বছর ধরে 
(ঘ) ৫ বছর ধরে 
উত্তরঃ-   (গ) ২ বছর ধরে

১৭. ধাদকার শ্যামগঞ্জ ছিলেন –
(ক) মুন্ডা বিদ্রোহের নেতা 
(খ) চুয়াড় বিদ্রোহের নেতা 
(গ) সাঁওতাল বিদ্রোহের নেতা
(ঘ) নীল বিদ্রোহের নেতা
উত্তরঃ-   (খ) চুয়াড় বিদ্রোহের নেতা

১৮. রানি শিরোমণি ছিলেন –
(ক) মেদিনীপুর জেলার রানি 
(খ) নলহাটির রানি 
(গ) সুবর্ণগড়ের রানি 
(ঘ) কর্ণগড়ের রানি 
উত্তরঃ-   (ক) মেদিনীপুর জেলার রানি

১৯. পাইকের কাজ করার বিনিময়ে চুয়াড়রা যে জমি ভোগ করত তার নাম –
(ক) খাস জমি 
(খ) নিলামি জমি 
(গ) তালুক জমি
(ঘ) পাইকান জমি
উত্তরঃ-   (ঘ) পাইকান জমি

২০. চুয়াড় বিদ্রোহ কটি ভাগে বিভক্ত ছিল ? 
(ক) ২ টি ভাগে 
(খ) ৪ টি ভাগে
(গ) ৬ টি ভাগে
(ঘ) ৭ টি ভাগে 
উত্তরঃ-   (ক) ২ টি ভাগে

২১. চুয়াড় বিদ্রোহের প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হয় –
(ক) ১৭৬৬-৬৭ খ্রিস্টাব্দে
(খ) ১৭৬৭- ৬৮ খ্রিস্টাব্দে 
(গ) ১৭৬৮-৬৯ খ্রিস্টাব্দে 
(ঘ) ১৭৬৯-৭০ খ্রিস্টাব্দে 
উত্তরঃ-   (ক) ১৭৬৬-৬৭ খ্রিস্টাব্দে

২২. ‘ পাইক ‘ সৈনিক গোষ্ঠী যে বিদ্রোহে যুক্ত ছিল— 
(ক) চুয়াড় বিদ্রোহে
(খ) কোল বিদ্রোহে 
(গ) সাঁওতাল বিদ্রোহে 
(ঘ) মুন্ডা বিদ্রোহে
উত্তরঃ-   (ক) চুয়াড় বিদ্রোহে

২৩. মেদিনীপুরের চুয়াড় অধ্যুষিত অঞ্চলকে বলা হত – 
(ক) চুয়াড়মহল 
(খ) জলমহল 
(গ) খাসমহল
(ঘ) জঙ্গলমহল 
উত্তরঃ-   (ঘ) জঙ্গলমহল

২৪. ‘ দিকু ‘ কথার অর্থ –
(ক) স্বদেশি ব্যবসায়ী
(খ) নীল ব্যবসায়ী
(গ) ব্রিটিশ ব্যবসায়ী
(ঘ) বহিরাগত ব্যবসায়ী
উত্তরঃ-   (ঘ) বহিরাগত ব্যবসায়ী

২৫.  আদিবাসীরা বহিরাগত ব্যবসায়ীদের বলত –
(ক) ইজারাদার 
(খ) সাউকার 
(গ) বেনিয়া
(ঘ) দিকু 
উত্তরঃ-   (ঘ) দিকু

২৬. সাঁওতাল বিদ্রোহ শুরু হয় – 
(ক) ১৮৫১ খ্রিস্টাব্দে 
(খ) ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে 
(গ) ১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দে 
(ঘ) ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে
উত্তরঃ-   (খ) ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে

২৭. সাঁওতাল বিদ্রোহের একজন নেতা হলেন –
(ক) কালো প্রামাণিক 
(খ) চিমনজি যাদব 
(গ) দুর্জন সিংহ 
(ঘ) বীরসা মুন্ডা
উত্তরঃ-   (ক) কালো প্রামাণিক

২৮. ব্র্যাডলে বার্টের মতে , মহাজনরা সাঁওতালদের যে স্তরে নামিয়ে এনেছিল –
(ক) ক্রীতদাসের স্তরে 
(খ) শ্রমিকের স্তরে 
(গ) মজুরদের স্তরে 
(ঘ) ভৃত্যের স্তরে
উত্তরঃ-   (ক) ক্রীতদাসের স্তরে

২৯. বাঙালি ব্যবসায়ীরা সাঁওতালদের উৎপাদিত ফসল কিনত –
(ক) ন্যায্য দরে 
(খ) অতিরিক্ত দরে 
(গ) বাজার দরেl
(ঘ) সস্তা দরে
উত্তরঃ-   (ঘ) সস্তা দরে

৩০. ১৮৫১ সালে কোম্পানি বছরে ‘ দামিন – ই – কোহ ‘ থেকে রাজস্ব আদায় করে –
(ক) ২২,০০০ টাকা
(খ) ৪৪,০০০ টাকা
(গ) ৩৩,০০০ টাকা
(ঘ) ৫৫,০০০ টাকা
উত্তরঃ-   (খ) ৪৪,০০০ টাকা

৩১. সিধু ও কানহ ছিলেন— 
(ক) দুই ভাই 
(খ) কাকা – ভাইপো
(গ) পিতা – পুত্র 
(ঘ) মামা – ভাগনে
উত্তরঃ-   (ক) দুই ভাই

৩২. সাঁওতাল বিদ্রোহের পর তৈরি হয় –
(ক) উত্তর ২৪ পরগনা 
(খ) দক্ষিণ ২৪ পরগনা
(গ) সাঁওতাল পরগনা 
(ঘ) কোনোটিই নয় 
উত্তরঃ-   (গ) সাঁওতাল পরগনা

৩৩. সাঁওতাল বিদ্রোহের ঘটনার কথা লেখা আছে— 
(ক) ‘ লাল মাটি ‘ উপন্যাসে
(খ) ‘ আরণ্যক ‘ উপন্যাসে 
(গ) ‘ গণদেবতা ‘ উপন্যাসে 
(ঘ) ” ঋজুদার সাথে জঙ্গলে ‘ নামক উপন্যাসে ” 
উত্তরঃ-   (খ) ‘ আরণ্যক ‘ উপন্যাসে

৩৪. ভাগনা মাঝির বিশ্বাসঘাতকতায় ধরা পড়ে –
(ক) সিধু 
(খ) চাঁদ ও ভৈরব
(গ) ডোমন মাঝি
(ঘ) কানহূ 
উত্তরঃ-   (ক) সিধু

৩৫. ‘ হুল ‘ শব্দের অর্থ – 
(ক) বিক্ষোভ 
(খ) বিপ্লব 
(গ) বিদ্রোহ
(ঘ) অভ্যুত্থান
উত্তরঃ-   (গ) বিদ্রোহ

৩৬. ‘ হুল ‘ হল –
(ক) সাঁওতালদের জাতি সংগঠনের নাম
(খ) একটি জনগোষ্ঠীর নাম 
(গ) অরণ্যের অধিবাসীদের সমাজের নাম 
(ঘ) সাঁওতালদের বিদ্রোহের নাম 
উত্তরঃ-   (ঘ) সাঁওতালদের বিদ্রোহের নাম

৩৭. The Santal Insurrection of 1855-57 ‘ গ্রন্থটির লেখক –
(ক) কালীকিঙ্কর দত্ত 
(খ) রমেশচন্দ্র মজুমদার
(গ) বীরেন্দ্রনাথ বাস্কে
(ঘ) রমেশচন্দ্র দত্ত
উত্তরঃ-   (ক) কালীকিঙ্কর দত্ত

৩৮. সাঁওতাল বিদ্রোহের প্রেক্ষাপট তৈরি হয় –
(ক) অত্যাচারী মহাজনদেরকে আক্রমণের মাধ্যমে 
(খ) পুলিশ হত্যা করে 
(গ) জমিদারদের কাছারি বাড়ি আক্রমণ করে 
(ঘ) খাদ্যসামগ্রী লুঠ বা ডাকাতির মাধ্যমে
উত্তরঃ-   D) খাদ্যসামগ্রী লুঠ বা ডাকাতির মাধ্যমে

৩৯. ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে সিধু ও কার নেতৃত্বে দশ হাজারেরও বেশি মানুষ সমবেত হয়েছিল –
(ক) গড়ের মাঠে 
(খ) ভাগনাডিহির মাঠে 
(গ) সাঁওতাল পরগনার মাঠে 
(ঘ) মানভূমের মাঠে 
উত্তরঃ-   B) ভাগনাডিহির মাঠে

৪০. ভাগনাডিহিতে যে বিদ্রোহের সূচনা হয়েছিল— 
(ক) ভিল বিদ্রোহের 
(খ) মোপলা বিদ্রোহের
(গ) রংপুর বিদ্রোহের
(ঘ) সাঁওতাল বিদ্রোহের
উত্তরঃ-   (ঘ) সাঁওতাল বিদ্রোহের

৪১. মহেশলাল দত্ত , যাঁকে সাঁওতালরা হত্যা করেছিলেন , তিনি ছিলেন একজন— 
(ক) জমিদার দারোগা
(খ) মহাজন 
(গ) সেনানায়ক 
(ঘ) দারোগা 
উত্তরঃ-   (ঘ) দারোগা

৪২. ডোমন মাঝি যে বিদ্রোহের নেতা ছিলেন— 
(ক) মুন্ডা বিদ্রোহের নেতা 
(খ) সাঁওতাল বিদ্রোহের নেতা 
(গ) কোল বিদ্রোহের নেতা
(ঘ) ভিল বিদ্রোহের নেতা 
উত্তরঃ-   (খ) সাঁওতাল বিদ্রোহের নেতা

৪৩. কার যে ধরনের শাস্তি হয় , তা হল –
(ক) গুলি করে হত্যা 
(খ) ফাঁসি 
(গ) দ্বীপান্তর 
(ঘ) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড 
উত্তরঃ-   (খ) ফাঁসি

৪৪. ফ্রেডারিক হ্যাডলি ছিলেন বাংলার –
(ক) বড়োলাট 
(খ) সেজোলাট 
(গ) মেজোলাট 
(ঘ) ছোটোলাট 
উত্তরঃ-   (ঘ) ছোটোলাট

৪৫. সাঁওতাল বিদ্রোহের সময় পাকুড়ে সাঁওতালদের নেতৃত্ব – 
(ক) কামাররা 
(খ) সিধু
(গ) গোছ মাঝি 
(ঘ) কানু 
উত্তরঃ-   C) গোছ মাঝি

৪৬. বিদ্রোহী সাঁওতালদের তথ্য সরবরাহ করত – 
(ক) কুমোররা
(খ) কালো প্রামাণিক 
(গ) গোয়ালারা 
(ঘ) তেলিরা
উত্তরঃ-   (গ) গোয়ালারা

৪৭. সাঁওতালরা গ্রাম লুঠ করে সেখানে –
(ক) লাল রঙের কাপড় বেঁধে আসতেন 
(খ) চামড়া – বাঁধা বাঁশ পুঁতে আসতেন 
(গ) সেগুন গাছ লাগিয়ে আসতেন 
(ঘ) পরবর্তী লুঠের পোস্টার দিয়ে আসতেন
উত্তরঃ-   (খ) চামড়া – বাঁধা বাঁশ পুঁতে আসতেন

৪৮. সাঁওতাল বিদ্রোহ ছিল একটি –
(ক) কৃষক বিদ্রোহ 
(খ) শ্রমিক বিদ্রোহ 
(গ) সিপাহি বিদ্রোহ 
(ঘ) উপজাতি বিদ্রোহ 
উত্তরঃ-   D) উপজাতি বিদ্রোহ

৪৯. সাঁওতালদের দমন করতে এসে পরাজিত হয়েছিলেন— 
(ক) লেফটেন্যান্ট ফার্গুসন 
(খ) মেজর বারোস 
(গ) ক্যাপটেন মর্গ্যান 
(ঘ) হ্যাভলক
উত্তরঃ-   (খ) মেজর বারোস

৫০. ভিল বিদ্রোহ সংঘটিত হয় –
(ক) ১৮১৯ খ্রিস্টাব্দে 
(খ) ১৮৭৯ খ্রিস্টাব্দে 
(গ) ১৮৬৯ খ্রিস্টাব্দে
(ঘ) ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দে
উত্তরঃ-   (ক) ১৮১৯ খ্রিস্টাব্দে

৫১. রংপুর বিদ্রোহের নেতা ছিলেন যিনি –
(ক) সিউরাম 
(খ) ভবানী পাঠক
(খ) নুরুলউদ্দিন 
(গ) মজনু শাহ 
উত্তরঃ-   (খ) নুরুলউদ্দিন

৫২. বাংলাদেশের প্রথম কৃষক বিদ্রোহ ছিল – 
(ক) নীল বিদ্রোহ 
(খ) কোল বিদ্রোহ 
(গ) সন্ন্যাসী – ফকির বিদ্রোহ
(ঘ) মুন্ডা বিদ্রোহ
উত্তরঃ-   C) সন্ন্যাসী – ফকির বিদ্রোহ

৫৩. বঙ্কিমচন্দ্রের কোন উপন্যাসে সন্ন্যাসী – ফকির বিদ্রোহের প্রেক্ষিত আছে ?
(ক) আনন্দমঠ 
(খ) দেবী চৌধুরানি 
(গ) দুর্গেশনন্দিনী 
(ঘ) বিষবৃক্ষ
উত্তরঃ-   A) আনন্দমঠ

৫৪. ভাই উত্থান ছিলেন –
(ক) কোল বিদ্রোহের নেতা 
(খ) সাঁওতাল বিদ্রোহের নেতা
(গ) মুন্ডা বিদ্রোহের নেতা 
(ঘ) ভিল বিদ্রোহের নেতা
উত্তরঃ-   (ঘ) ভিল বিদ্রোহের নেতা

৫৫. রংপুর বিদ্রোহ যার বিরুদ্ধে হয়েছিল –
(ক) দেবী সিংহ 
(খ) অচল সিংহ 
(গ) মানসিংহ
(ঘ) কালীপ্রসন্ন সিংহ
উত্তরঃ-   A) দেবী সিংহ

৫৬. রংপুর বিদ্রোহ হয়েছিল –
(ক) ১৭৮২ খ্রিস্টাব্দে 
(খ) ১৭৮৪ খ্রিস্টাব্দে
(গ) ১৭৮৩ খ্রিস্টাব্দে 
(ঘ) ১৭৮৫ খ্রিস্টাব্দে 
উত্তরঃ-   (গ) ১৭৮৩ খ্রিস্টাব্দে

৫৭. নুরুলউদ্দিন কোন বিদ্রোহের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ? 
(ক) রংপুর বিদ্রোহ 
(খ) পাবনা বিদ্রোহ 
(গ) ফরাজি আন্দোলন 
(ঘ) ফকির বিদ্রোহ 
উত্তরঃ-   (ক) রংপুর বিদ্রোহ

৫৮. ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে প্রথম সংঘবদ্ধ বিদ্রোহ ছিল –
(ক) মুন্ডা বিদ্রোহ 
(খ) নীল বিদ্রোহ
(গ) কোল বিদ্রোহ
(ঘ) সন্ন্যাসী – ফকির বিদ্রোহ
উত্তরঃ-   (ঘ) সন্ন্যাসী – ফকির বিদ্রোহ

৫৯. সন্ন্যাসী – ফকির বিদ্রোহ শুরু হয় । 
(ক) ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দে 
(খ) ১৭৬৩ খ্রিস্টাব্দে 
(গ) ১৭৬৪ খ্রিস্টাব্দে 
(ঘ) ১৭৭০ খ্রিস্টাব্দে 
উত্তরঃ-   (খ) ১৭৬৩ খ্রিস্টাব্দে

৬০. সন্ন্যাসী বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন –
(ক) নমঃশূদ্র সম্প্রদায়ভুক্ত সন্ন্যাসীরা 
(খ) দশনামী সম্প্রদায়ভুক্ত সন্ন্যাসীরা
(গ) উপজাতি সম্প্রদায়ভুক্ত সন্ন্যাসীরা 
(ঘ) ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ভুক্ত সশস্ত্র সন্ন্যাসীরা 
উত্তরঃ-   B) দশনামী সম্প্রদায়ভুক্ত সন্ন্যাসীরা

৬১. সন্ন্যাসী – ফকির বিদ্রোহীদের সাহায্য করেছিল –
(ক) অত্যাচারিত কৃষকরা
(খ) মহাজনরা 
(গ) ছোটো জমিদাররা 
(ঘ) ইজারাদাররা 
উত্তরঃ-   (ক) অত্যাচারিত কৃষকরা

৬২. সন্ন্যাসী – ফকির বিদ্রোহের ঘটনাকে ‘ যাযাবর ও পেশাদার ডাকাতদের উপদ্রব ‘ বলেছেন— 
(ক) উইলিয়ম হান্টার 
(খ) উইলিয়ম বেন্টিঙ্ক 
(গ) কর্নেল টড
(ঘ) সি . আর . উইলসন 
উত্তরঃ-   (ক) উইলিয়ম হান্টার

৬৩. সন্ন্যাসী বিদ্রোহের সূচনা হয়েছিল –
(ক) রাজশাহিতে 
(খ) খুলনাতে 
(গ) ঢাকায় 
(ঘ) চট্টগ্রামে 
উত্তরঃ-   (গ) ঢাকায়

৬৪. সন্ন্যাসী বিদ্রোহের একজন বিখ্যাত নেতা ছিলেন –
(ক) ভবানী পাঠক 
(খ) কালীচরণ 
(গ) বিরুচরণ বিশ্বাস 
(ঘ) বীরসা মুন্ডা 
উত্তরঃ-  (ক) ভবানী পাঠক

৬৫. ‘ আনন্দমঠ ‘ উপন্যাসে যে বিদ্রোহের উল্লেখ আছে –  
(ক) ভিল বিদ্রোহের 
(খ) কোল বিদ্রোহের 
(গ) সন্ন্যাসী – ফকির বিদ্রোহের
(ঘ) মুন্ডা বিদ্রোহের 
উত্তরঃ-   (গ)  সন্ন্যাসী – ফকির বিদ্রোহের

৬৬. ভবানী পাঠক নিহত হন –
(ক) ১৭৮২ খ্রিস্টাব্দে 
(খ) ১৭৮৪ খ্রিস্টাব্দে 
(গ) ১৭৮৭ খ্রিস্টাব্দে 
(ঘ) ১৭৮৮ খ্রিস্টাব্দে 
উত্তরঃ-   (গ) ১৭৮৭ খ্রিস্টাব্দে

৬৭. সন্ন্যাসী ও ফকির বিদ্রোহে অংশ নিয়েছিলেন অন্তত –
(ক) ৪০ হাজার বিদ্রোহী 
(খ) ৩০ হাজার বিদ্রোহী
(খ) ৫০ হাজার বিদ্রোহী 
(গ) ৬০ হাজার বিদ্রোহী 
উত্তরঃ-   (খ) ৩০ হাজার বিদ্রোহী

৬৮. পূর্ণিয়ায় ইংরেজ বাহিনীর কাছে সন্ন্যাসী বিদ্রোহীরা পরাজিত হয়েছিলেন— 
(ক) ১৭৭০ খ্রিস্টাব্দে 
(খ) ১৭৭৩ খ্রিস্টাব্দে 
(গ) ১৭৭৫ খ্রিস্টাব্দে 
(ঘ) ১৭৭৭ খ্রিস্টাব্দে 
উত্তরঃ-   (ক) ১৭৭০ খ্রিস্টাব্দে

৬৯. সন্ন্যাসী বিদ্রোহের সময় রংপুরের যুদ্ধে ( ১৭৭২ খ্রি . ) যে ইংরেজ সেনাপতি নিহত হন , তাঁর নাম – 
(ক) সেনাপতি টমাস 
(খ) এডওয়ার্ড 
(গ) সেনাপতি হ্যাভল 
(ঘ) সেনাপতি নেলসন্
উত্তরঃ-   (ক) সেনাপতি টমাস

৭০. বগুড়া জেলায় মঞ্জুরার যুদ্ধে নিহত হন— 
(ক) ভবানী পাঠক 
(খ) চিরাগ আলি 
(গ) মজনু শাহ
(ঘ) দেবী চৌধুরানি 
উত্তরঃ-   (গ) মজনু শাহ

৭১. চূয়াড় বিদ্রোহের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন-
(ক) জোয়া ভগত 
(খ) দুর্জন সিং 
(গ) ডোমন মাঝি 
(ঘ) মুশা শাহ
উত্তরঃ- (খ) দুর্জন সিং।

৭২. আরণ্যক উপন্যাস থেকে কোন বিদ্রোহের কথা জানা যায় ?
(ক) কোল 
(খ) ভিল 
(গ) নীল 
(ঘ) সাঁওতাল
উত্তরঃ- (ঘ) সাঁওতাল।

৭৩. ভারতে কবে প্রথম অরণ্য আইন পাস হয়-
(ক) ১৮৩৪ খ্রিস্টাব্দে 
(খ) ১৮৪৫ খ্রিস্টাব্দে 
(গ) ১৮৬৪ খ্রিস্টাব্দে 
(ঘ) ১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দে
উত্তরঃ- (ঘ) ১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দে।

৭৪. সুই মুন্ডা কোন্ বিদ্রোহের নেতা ছিলেন?
(ক) মুন্ডা বিদ্রোহের (খ) কোল বিদ্রোহের (গ) সাঁওতাল বিদ্রোহের (ঘ) চুয়াড় বিদ্রোহের
উত্তরঃ- (খ) কোল বিদ্রোহের।

৭৫. পোড়াহাটের জমিদার ও ব্রিটিশ সেনাপতি রোগসেসের বাহিনীর বিরুদ্ধে কোলরা ‘চাইবাসার যুদ্ধ’ করেছিল-
(ক) ১৮১০-১১ খ্রিস্টাব্দে 
(খ) ১৮২০-২১ খ্রিস্টাব্দে 
(গ) ১৮৪০-৪১ খ্রিস্টাব্দে 
(ঘ) ১৮৬০-৬১ খ্রিস্টাব্দে
উত্তরঃ- (খ) ১৮২০-২১ খ্রিস্টাব্দে।

৭৬. নুরুলউদ্দিন নেতা ছিলেন-
(ক) রংপুর বিদ্রোহের 
(খ) কোল বিদ্রোহের 
(গ) সাঁওতাল বিদ্রোহের 
(ঘ) ভিল বিদ্রোহের
উত্তরঃ- (ক) রংপুর বিদ্রোহের।

৭৭. ‘হুল’ শব্দটির অর্থ হল-
(ক) বিদ্রোহ 
(খ) পরব 
(গ) শ্রম 
(ঘ) জমি
উত্তরঃ- (ক) বিদ্রোহ।

৭৮. ‘বিপ্লব’ শব্দটি নিম্নোক্ত কোন্ অর্থে প্রকাশ করা যায় বলে তুমি মনে করো?
(ক) আংশিক পরিবর্তন 
(খ) আমূল পরিবর্তন 
(গ) সাময়িক পরিবর্তন 
(ঘ) কোনোরূপ পরিবর্তন না হওয়া
উত্তরঃ- (খ) আমূল পরিবর্তন।

৭৯. ‘মেদিনীপুরের লক্ষ্মীবাই’ হিসেবে পরিচিত-
(ক) রানি শিরোমণি
 (খ) হজরতমহল 
(গ) মাতঙ্গিনি হাজরা 
(ঘ) শান্তি ঘোষ
উত্তরঃ- (ক) রানি শিরোমণি।

৮০. ‘দামিন-ই-কোহ’ শব্দের অর্থ কী-
(ক) পাহাড়ের প্রান্তদেশ 
(খ) পাহাড়ের শীর্ষদেশ 
(গ) উঁচু পদ 
(ঘ) ঈশ্বরের কৃপা
উত্তরঃ- (ক) পাহাড়ের প্রান্তদেশ।


দশম শ্রেণীর ইতিহাস – প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ (তৃতীয় অধ্যায়) সত্য মিথ্যা যাচাই করো । WBBSE Class 10th History 3rd Chapter  Protirodh O Bidroho Boisisto O Bisleson Question and Answer True & False 

সত্য মিথ্যা যাচাই করো | True & False Questions and Answers (Class Ten / Madhyamik  History Third chapter)

 শূন্যস্থান পূরন করো ; প্রতিটি প্রশ্নের মান -১




দশম শ্রেণীর ইতিহাস – প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ (তৃতীয় অধ্যায়) শূন্যস্থান পূরণ করো । WBBSE Class 10th History 3rd Chapter Fill in the blank  Protirodh O Bidroho Boisisto O Bisleson Questions and Answers 

শূন্যস্থান পূরণ করো  | Fill in the blank Questions and Answers (Class Ten / Madhyamik  History Third chapter) 

সত্য / মিথ্যা নির্ণয় করো; প্রতিটি প্রশ্নের মান -১




দশম শ্রেণীর ইতিহাস – প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ (তৃতীয় অধ্যায়) এক কথায় উত্তর দাও । WBBSE Class 10th History 3rd Chapter SAQ Madhyamik History  Protirodh O Bidroho Boisisto O Bisleson Question and Answer 

এক কথায় উত্তর দাও | SAQ Questions and Answers (Class Ten / Madhyamik  History Third chapter)

এক কথায় উত্তর দাও : প্রতিটি প্রশ্নের মান -১

১. তিতুমীর কোথায় তার সরকারের সদর দপ্তর প্রতিষ্ঠা করেন ?
উত্তরঃ-  নারকেলবেড়িয়া গ্রামে একটি বাঁশের কেল্লা তৈরি করে সেখানে তার সদর দপ্তর প্রতিষ্ঠা করেন ?

২. ফরাজী কথার অর্থ কি ?
উত্তরঃ-  ইসলাম নির্ধারিত বাধ্যতামূলক কর্তব্য ।

৩. কারা কবে প্রথম নীল বিদ্রোহের সূচনা করেন ?
উত্তরঃ-  1859.সালে দিগম্বর বিশ্বাস ও বিষ্ণুচরণ বিশ্বাস ।

৪. নীল বিদ্রোহ কোন কোন অঞ্চলে ছড়িয়ে পরে ?
উত্তরঃ-  নদিয়া ,যশোহর ,খুলনা ,ফরিদপুর ,মুর্শিদাবাদ ,রাজশাহী ,মালদা ,দিনাজপুর। 

৫. প্রথম চুয়াড় বিদ্রোহে বিদ্রোহীদের কাছে কে পরাজিত হন ?
উত্তরঃ-   স্টিফেন মরগান ( ইংরেজ সেনাপতি ) প্রথম চুয়াড় বিদ্রোহে বিদ্রোহীদের কাছে পরাজিত হন । 

৬. ১৭৯৮ খ্রিস্টাব্দের চুয়াড় বিদ্রোহের নেতৃত্ব কে দেন ? 
উত্তরঃ-   দুর্জন সিং ১৭৯৮ খ্রিস্টাব্দের চুয়াড় বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেন । 

৭. দ্বিতীয় চুয়াড় বিদ্রোহ কত খ্রিস্টাব্দে শেষ হয় ? 
উত্তরঃ-   ১৭৯৯ খ্রিস্টাব্দে দ্বিতীয় চুয়াড় বিদ্রোহ শেষ হয় । 

৮. কারা বাংলায় ওয়াট টাইলার নামে পরিচিত ?
উত্তরঃ-  দিগম্বর বিশ্বাস ও বিষ্ণুচরণ বিশ্বাস।

৯. পাবনা বিদ্রোহের কয়েকজন নেতার নাম লেখ ?
উত্তরঃ-  ঈশানচন্দ্র রায় ,শম্ভুনাথ পাল ।

১০. পাবনা বিদ্রোহ কোন কোন জেলায় প্রসার লাভ করে ?
উত্তরঃ-  পাবনা ,ঢাকা ,ময়মনসিং ,ত্রিপুরা ,ফরিদপুর ,রাজশাহী ।

১১. কোন কোন পত্র পত্রিকায় পাবনা বিদ্রোহের খবর ছাপা হত ?
উত্তরঃ-  হিন্দু হিতৈষণী ,গ্রামবার্তা প্রকাশিকা ,সহচর পত্রিকায় ।

১২. কোন্ বড়োলার্টের নির্দেশে ব্রিটিশ সেনাদল সাঁড়াশি আক্রমণ চালিয়ে চুয়াড় বিদ্রোহীদের পর্যদন্তু করে ? 
উত্তরঃ-   লর্ড ওয়েলেসলির নির্দেশে ব্রিটিশ সেনাদল সাঁড়াশি আক্রমণ চালিয়ে চুয়াড় বিদ্রোহীদের পর্যুদস্ত করে । 

১৩. আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য চুয়াড় বিদ্রোহের নেতাদের কী করা হয়েছিল । 
উত্তরঃ-   আতষ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য চুয়াড় বিদ্রোহীদের ফাঁসি দেওয়া এবং তাঁদের ঘাঁটিগুলিতে অগ্নিসংযোগ করা । 

১৪. চুয়াড় বিদ্রোহ সম্পর্কে জে সি প্রাইস কী লিখেছেন ? 
উত্তরঃ-   জে . সি . প্রাইস ১৭৯৮ ও ১৭৯৯ খ্রিস্টাব্দকে ভয়ংকর চুয়াড় বিদ্রোহের বছর হিসেবে চিহ্নিত করেছেন । 

১৫. কার বিরুদ্ধে কবে রংপুর বিদ্রোহ শুরু হয় ?
উত্তরঃ-  1783 সালে ইজারাদার দেবী সিংহের বিরুদ্ধে ।

১৬. চূড়ায় বিদ্রোহের নেতার নাম লেখ ?
উত্তরঃ-  জগন্নাথ সিংহ ,দুর্জন সিং ,শিরোমণি প্রমুখ ।

১৭. সাঁওতাল ছাড়াও কোন কোন শ্রেণীর মানুষ সাঁওতাল বিদ্রোহ কে সমর্থন করেন ?
উত্তরঃ-  কামার ,কুমোর ,তাঁতী  প্রভূতি পেশার মানুষ ।

১৮. কোলরা কোথায় বাস করত ? 
উত্তরঃ-   কোলরা বর্তমান ঝাড়খণ্ডের ছোটোনাগপুরে বাস করত । 

১৯. ছোটোনাগপুরে কোলরা ছাড়াও কোন্ কোন্ উপজাতির বাস ছিল ? 
উত্তরঃ-   ছোটোনাগপুরে কোলরা ছাড়াও মুন্ডা , হো , ওঁরাও প্রভৃতি উপজাতি বাস করত । 

২০. সাঁওতাল বিদ্রোহের পর সিধু ও কানুর কি পরিণতি হয় ?
উত্তরঃ-  সিধু ও কানুর ফাঁসি  হয় ।

২১. আদিবাসী মুন্ডারা কোন কোন সম্প্রদায়ে বিভক্ত ছিল ?
উত্তরঃ-  সাঁওতাল ,কোল ,ভূমিজ ,হো প্রভূতি সম্প্রদায় বিভক্ত ছিল ।

২২. কদের উপর মুন্ডা বিদ্রোহী দের আক্রমণ চলে ?
উত্তরঃ-  সরকারি অফিস ,থানা ,পুলিশ গির্জা ,জমিদার মহাজন ।

২৩. কোন বিদ্রোহী ঈশ্বরের প্রত্যাদেশ পেয়েছেন বলে দাবি করেন ?
উত্তরঃ-  বিরসা মুন্ডা ।

২৪. অরণ্যের অধিকারকে কোলরা কী মনে করত ? 
উত্তরঃ-   অরণ্যের অধিকারকে কোলরা ঈশ্বর প্রদত্ত অধিকার মনে করত ।

২৫. দৰ্পনাথ সাহি কোথাকার রাজা ছিলেন ? 
উত্তরঃ-   দর্পনাথ সাহি ছিলেন পালামৌর রাজা । 

২৬. দর্পনাথ সাহির সঙ্গে কোম্পানির কী চুক্তি হয়েছিল ?
উত্তরঃ-   দর্পনাথ সাহির সঙ্গে কোম্পানির ইতিপূর্বে নির্ধারিত বাৎসরিক খাজনা ছাড়াও অতিরিক্ত ছয় হাজার টাকা কোম্পানিকে দেওয়ার চুক্তি হয়েছিল । 

২৭. কোন বিদ্রোহের ফলে ছোটোনাগপুর টেন্যান্সি আইন পাশ হয় ?
উত্তরঃ-  মুন্ডা বিদ্রোহের ফলে 1908 সালে ।

২৮. সন্ন্যাসী ও ফকির বিদ্রোহে কারা নেতৃত্ব দেন ?
উত্তরঃ-  ভবানী পাঠক ,চিরাগ আলি ,মজনু শাহ ।

২৯. কোন কোন অঞ্চলে সন্ন্যাসী ও ফকির বিদ্রোহের প্রসার ঘটে ?
উত্তরঃ-  বাংলার নাটোর ,রংপুর ,জলপাইগুড়ি ,মেদিনীপুর ,বীরভূম প্রভূতি জেলায় ।

৩০. ভারতে ওয়াহাবি আন্দোলনের প্রকৃত নেতা কে ছিলেন ?
উত্তরঃ-  সৈয়দ আহমেদ ।

৩১. কত খ্রিস্টাব্দে কোম্পানি ও দর্পনাথ সাহির চুক্তি হয় ? 
উত্তরঃ-   ১৭৭০ খ্রিস্টাব্দে কোম্পানি ও দর্পনাথ সাহির চুক্তি হয় । 

৩২. কোম্পানি কত খ্রিস্টাব্দে ছোটোনাগপুরের শাসনভার সরাসরি গ্রহণ করে ? 
উত্তরঃ-   ১৮২০ খ্রিস্টাব্দে কোম্পানি ছোটোনাগপুরের শাসনভার সরাসরি গ্রহণ করে । 

৩৩. মাধব সিং কে ছিলেন ? 
উত্তরঃ-   মাধব সিং ছিলেন কোম্পানির দেওয়ান । 

৩৪. তিতুমীর কোথায় জন্মগ্রহন করেন ?
উত্তরঃ-  24 পরগনা জেলার বাদুড়িয়া থানার হায়দারপুর গ্রামে ।

৩৫. কেনারাম বাটখারা কি কাজে ব্যবহার করা হত ?
উত্তরঃ-  পণ্য কেনার জন্য ব্যবহার করা হত।

৩৬. বেচারাম নামে বাটখারা কি কাজে ব্যবহার করা হত ?
উত্তরঃ-  পণ্য বিক্রয়ের জন্য ব্যবহার করা হত ।

৩৭. বিদ্রোহের আগে সাঁওতাল কৃষকদের কোন ধর্মে দিখিত করার চেষ্টা হত ?
উত্তরঃ-  খ্রিষ্ট ধর্মে ।

৩৮. ফসল বিক্রি করতে গেলে কোলদের কারা প্রতারিত করত ? 
উত্তরঃ-   ফসল বিক্রি করতে গেলে কোলদের প্রতারিত করত মহাজন , জমিদাররা । 

৩৯. কোলদের ঐতিহ্যবিরোধী কাজ কোনটি ছিল ? 
উত্তরঃ-   আফিম চাষ ছিল কোলদের ঐতিহ্যবিরোধী কাজ । 

৪০. কোল বিদ্রোহের একটি কারণ লেখো । 
উত্তরঃ-   কোল বিদ্রোহের একটি কারণ ছিল সরকারি কাজে কোলদের বেগার খাটানো । 

৪১. সাঁওতাল বিদ্রোহ কবে শুরু হয় ?
উত্তরঃ-  1855 সালে ।

৪২. কালো প্রামাণিক ও ডোমন মাঝি কোন বিদ্রোহের নেতা ছিলেন ?
উত্তরঃ-  সাঁওতাল বিদ্রোহের ।

৪৩. মহেন্দ্রলাল দত্ত কোন বিদ্রোহী দের হাতে নিহত হন ?
উত্তরঃ-  সাঁওতাল বিদ্রোহীদের হাতে ।

৪৪. উলগুলান শব্দের অর্থ কি ?
উত্তরঃ-  ভয়ংকর বিশৃঙ্খলা বা প্রবল বিক্ষোভ ।

৪৫. কোল বিদ্রোহের সূচনা করে হয় ? 
উত্তরঃ-   ১৮৩১-৩২ খ্রিস্টাব্দে কোল বিদ্রোহের সূচনা হয় । 

৪৬. কোল বিদ্রোহ কোথায় প্রথম শুরু হয় । 
উত্তরঃ-   ছোটোনাগপুরের রাঁচিতে কোল বিদ্রোহের সূচনা হয় । 

৪৭. কে কবে চিরস্থায়ী বন্দোবস্থ চালু করেন ?
উত্তরঃ-  1793 সালে লর্ড কর্ণ ওয়ালিস ।

৪৮. ভরতের ব্রিটিশ সরকার কোন পদখেপের দ্বারা অরণ্যের উপর নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি করেন ?
উত্তরঃ-  1855 সলের অরণ্য সনদের দ্বারা ।

৪৯. ভয়েলকার কে ছিলেন ?
উত্তরঃ-  জার্মান কৃষিবিদ ।

৫০. কার প্রচেস্টায় ভারতে ইন্ডিয়ান ফরেস্ট সার্ভিস চালু হয় ?
উত্তরঃ-  দিয়েত্রিখ ব্র্যান্ডিস ।

৫১. কোল বিদ্রোহের নেতৃত্বে কারা ছিলেন ? 
উত্তরঃ-   সুই মুক্তা , সিংরাই মানকি , বুদ্বু ভগৎ , জোয়া ভগৎ , খাঁদু পাতর প্রমুখ ছিলেন কোল বিদ্রোহের নেতা । 

৫২. মুন্ডা বিদ্রোহের নেতা কে ছিলেন ?
উত্তরঃ-  বিরাসা মুন্ডা ।

কে নিজেকে আধ্যাত্বিক শক্তির অধিকারী ‘ধরতি আবা ‘বলে ঘোষণা করেন ?
উত্তরঃ-  বিরাসা মুন্ডা ।

৫৩. বিরাসা মুন্ডার উপাস্য দেবতা কে ছিলেন ?
উত্তরঃ-  সিং বোঙ্গা অর্থাৎ সূর্য দেবতা ।

৫৪. কোন বিদ্রোহে আর কোন কোন উপজাতির লোকেরা যোগ দিয়েছিল ?
উত্তরঃ-   কোল বিদ্রোহে ওঁরাও , মুন্ডা , হো উপজাতির লোকেরা যোগ দিয়েছিল । 

৫৫. কোলরা কী বাজিয়ে বিদ্রোহের সূচনা করত ? 
উত্তরঃ-   কোলরা ঢাক বাজিয়ে বিদ্রোহের সূচনা করত । 

৫৬. বিশৃঙ্খলা সৃস্টি কারী আদিবসীদের শায়েস্তা করতে সরকার কোন আইন পাশ করেন ?
উত্তরঃ-  ক্রিমিনাল ট্রাইবস আইন

৫৭. রম্পা বিদ্রোহ কবে শুরু হয়েছিল ?
উত্তর  :1879 সালে ।

৫৮. কোন বিদ্রোহে ‘ডিং খরচা ‘নামে চাঁদা সংগ্রহ করত ?
উত্তরঃ-  রংপুর বিদ্রোহে ।

৫৯. রংপুরের স্থানীয় স্বাধীন সরকারের নবাব নুরুলউদ্দিনের সহকারী কে ছিলেন ?
উত্তরঃ-  দয়ারাম শীল ।

৬০. কোল বিদ্রোহীদের আক্রমণের লক্ষ্য কারা ছিল ? 
উত্তরঃ-   কোল বিদ্রোহীদের আক্রমণের লক্ষ্য ছিল জমিদার , মহাজন , শস্য ব্যবসায়ী এবং কোম্পানির কর্মচারীরা । 

৬১. কোলরা পুলিশবাহিনীকে কাদের সহযোগী মনে করত ? 
উত্তরঃ-   কোলরা পুলিশবাহিনীকে জমিদার ও মহাজনদের সহযোগী মনে করত । 

৬২. রংপুর বিদ্রোহে কে ব্রিটিশ বাহিনীর নেতৃত্ব দেন ?
উত্তরঃ-  ম্যাকডোনাল্ড ।

৬৩. কে ‘মেদিনীপুরের লক্ষ্মীবাঈ’ নামে পরিচিত ?
উত্তরঃ-  রানী শিরোমণি ।

৬৪. ব্রিটিশ সরকারের অরণ্য সনদ পাশ  হয় কবে ?
উত্তরঃ-  1855 সালে ।

৬৫. সরকার কাকে বনবিভাগের ইনস্পেক্টর নিয়োগ করেন ?
উত্তরঃ-  দিয়েত্রিখ ব্র্যান্ডিস  কে ।

৬৬. কোল বিদ্রোহ দমন করতে কার নেতৃত্বে ইংরেজবাহিনী এসেছিল ? 
উত্তরঃ-   কোল বিদ্রোহ দমন করতে ক্যাপটেন উইলকিনসনের নেতৃত্বে ইংরেজবাহিনী এসেছিল । 

৬৭. কোলদের সমরাস্ত্র কী কী ছিল ? 
উত্তরঃ-   তির , ধনুক , বল্লম প্রভৃতি ছিল কোলদের সমরাস্ত্র । 

৬৮. দক্ষিণ – পশ্চিম সীমান্ত এজেন্সি নামক পৃথক অঞ্চল কত খ্রিস্টাব্দে গঠন করা হয় ? 
উত্তরঃ-   ১৮৩৪ খ্রিস্টাব্দে দক্ষিণ – পশ্চিম সীমান্ত এজেন্সি নামক পৃথক অঞ্চল গঠন করা হয় । 

৬৯. প্রথম ভারতীয় অরণ্য আইন পাশ হয় কবে ?
উত্তরঃ-  1865 সালে ।

৭০. দ্বিতীয় অরণ্য আইন পাশ হয় কবে ?
উত্তর:1878 সালে ।

৭১. কিসের মাধ্যমে সমাজের দ্রুত ও আমূল পরিবর্তন ঘটে ?
উত্তরঃ-  বিপ্লবের মাধ্যমে ।

৭২. রংপুরের ইজারাদার কে ছিলেন ?
উত্তরঃ-  দেবী সিংহ ।

৭৩. রংপুর স্বাধীন সরকারের নবাব কে ছিলেন ?
উত্তরঃ-  নুরুলউদ্দিন ।

৭৪. একটি উপজাতি বিদ্রোহের নাম বলো । 
উত্তরঃ-   কোল / সাঁওতাল / মুন্ডা বিদ্রোহ একটি উপজাতি বিদ্রোহ ।

৭৫. ‘ দামিন – ই – কোহ্ ‘ বলতে কী বোঝায় ?
উত্তরঃ-   ‘ দামিন – ই – কোহ ‘ বলতে বোঝায় পাহাড়ের প্রাপ্তদেশ । 

৭৬. কোন বিদ্রোহে কৃষকরা ‘ডিং খরচা ‘নামে চাঁদা আদায় করত ?
উত্তরঃ-  রংপুর ।

৭৭. প্রথম পর্বের চূড়ায় বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেন কে ?
উত্তরঃ-  জগন্নাথ সিংহ ।

৭৮. দুর্জন সিংহ কোন বিদ্রোহের নেতা ছিলেন ?
উত্তরঃ-  চূড়ায় ।

৭৯. শিরোমণি কোন বিদ্রোহের নেতা ছিলেন ?
উত্তরঃ-  চূড়ায় ।

৮০. বুদ্ধু ভগত ও জোয়া ভগত কোন বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ?
উত্তরঃ-  কোল বিদ্রোহের ।

৮১. ‘ দামিন – ই – কোহ’তে কতজন সাঁওতাল বাস করত ( ১৮৫১ খ্রিস্টাব্দের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ) । 
উত্তরঃ-   ‘ দামিন – ই – কোহ’তে প্রায় ৮৩,০০০ জন সাঁওতাল বাস করত । 

৮২. কবে সাঁওতাল বিদ্রোহের সূচনা হয়েছিল ? 
উত্তরঃ-   সাঁওতাল বিদ্রোহের সূচনা হয়েছিল ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দের ৩০ জুন । 

৮৩. দমন_ই _কোহ _ তে কারা বসবাস করত ?
উত্তরঃ-  সাঁওতালরা ।

৮৪. কেনারাম ও বেচারাম নামে বাটখারা কারা ব্যবহার করত ?
উত্তরঃ-  ব্যবসায়ীরা ।

৮৫. সিধু ও কানু কোন বিদ্রোহের নেতা ছিলেন ?
উত্তরঃ-  সাঁওতাল ।

৮৬. সাঁওতাল বিদ্রোহ কি নামে পরিচিত ?
উত্তরঃ-  হুল ।

৮৭. মুন্ডা বিদ্রোহ কি নামে পরিচিত ?
উত্তরঃ-  উলগুলান ।

৮৮. মুদ্ৰা বিদ্রোহ কবে শুরু হয় । 
উত্তরঃ-   ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দে মুন্ডা বিদ্রোহ শুরু হয় ।

৮৯. ‘ উলগুলান ‘ বলতে কী বোঝায় ?
উত্তরঃ-   ‘ উলগুলান ‘ বলতে ভীষণ বিশৃঙ্খলা বা বিদ্রোহকে বোঝায় । 

৯০. মুন্ডারা কেমন মানুষ ছিলেন ? 
উত্তরঃ-   মুক্তারা ছিলেন নিরীহ , সহজ – সরল প্রকৃতির মানুষ । 

৯১. মুন্ডা সমাজে জমিতে যৌথ মালিকানা কে  কি বলা হত ?
উত্তরঃ-  খুঁতকাঠি প্রথা ।

৯২. ভিল বিদ্রোহের নেতা কে ?
উত্তরঃ-  সেওয়ারাম ।

৯৩. আনন্দ মঠ উপন্যাসে কোন বিদ্রোহের উল্লেখ আছে ?
উত্তরঃ-  সন্ন্যাসী ও ফকির বিদ্রোহের ।

৯৪. ঔপনিবেশিক শোষণের বিরুদ্ধে ভরতে সংঘটিত প্রথম কৃষক বিদ্রোহের নাম কি ?
উত্তরঃ-  সন্ন্যাসী ও ফকির বিদ্রোহ ।

৯৫. মুক্তা উপজাতির লোকেরা কী কাজ করত । 
উত্তরঃ-   মুক্তা উপজাতির লোকেরা কৃষিকাজ করত ।

৯৬. কাঠি ‘ বা ‘ খুস্তকটি ’ প্রথা মানে কী ? 
উত্তরঃ-   ‘ খুঁৎকাঠি ‘ বা ‘ খুস্তকটি ’ প্রথা মানে জমির যৌথ মালিকানা । 

৯৭. ওয়াহাবি কথার অর্থ কি ?
উত্তরঃ-  নবজাগরণ ।

৯৮. ভরতে প্রথম ওয়াহাবি আন্দোলনের প্রসার ঘটান কে ?
উত্তরঃ-  সৈয়দ আহমেদ ।

৯৯. বীরসা মুণ্ডার করে মৃত্যু হয় । 
উত্তরঃ-   ১৯০০ খ্রিস্টাব্দে বীরসা মুক্তার মৃত্যু হয় । 

১০০. বীরসা মুন্ডাকে তাঁর অনুগামীরা কী রূপে দেখতা ? 
উত্তরঃ-   বীরসা মুন্ডাকে তাঁর অনুগামীরা ভগবান রূপে দেখত । 

১০১. তিতুমীর কতৃক ঘোষিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন ?
উত্তরঃ-  মৈনুদ্দিন ।

১০২. তিতুমীর কতৃক ঘোষিত সরকারের সেনাপতি কে ছিলেন ?
উত্তরঃ-  গোলাম মাসুম ।

১০৩. বারাসাত বিদ্রোহের প্রধান নেতা কে ছিলেন ?
উত্তরঃ-  তিতুমীর ।

১০৪. মাঝিহাম ‘ মানে কী ? 
উত্তরঃ-   ‘ মাঝিহাম ‘ মানে খাসজমি । 

১০৫. বেঠ বেগার বেগারি ‘ মানে কী ? 
উত্তরঃ-   ‘ বঠ বেগার বেগারি ’ মানে বিনা মজুরিতে কাজ করতে বাধ্য করা । 

১০৬. মুন্ডাদের খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করতে চেষ্টা করেছিল এমন দুই মিশনারি সম্প্রদায়ের নাম লেখো ।
উত্তরঃ-   মুন্ডাদের খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করতে চেষ্টা করেছিল লুথারান ও অ্যাংলিকান মিশনারি সম্প্রদায় । 

১০৭. ফরাজী নামে ধর্মীয় সম্প্রদায় কে প্রতিষ্টা করেন ?
উত্তরঃ-  হাজি শরিয়ত উল্লাহ ।

১০৮. বাংলায় তরিকা_ই _মোহাম্মদিয়ার ভাবধারা কে প্রচার করেন ?
উত্তরঃ-  তিতুমীর ।

১০৯. ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে শেষ উল্লেখযোগ্য উপজাতি অভ্যুত্থান কোনটি ? 
উত্তরঃ-   ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে শেষ উল্লেখযোগ্য উপজাতি অভ্যুত্থান মুন্ডা বিদ্রোহ । 

১১০. বাংলার নানাসাহেব নামে কে পরিচিত ?
উত্তরঃ-  রামরতন রায় ।

১১১. প্রথম কোথায় পাবনা বিদ্রোহ শুরু হয় ?
উত্তরঃ-  ইউসুফশাহী পরগনায় ।

১১২. মুন্ডা চাষিরা কার আহ্বানে বিদ্রোহের জন্য প্রস্তুত হতে থাকে ? 
উত্তরঃ-   বীরসা মুন্ডার আহ্বানে মুন্ডা চাষিরা বিদ্রোহের জন্য প্রস্তুত হতে থাকে । 

১১৩. কবে , কার নেতৃত্বে মুন্ডা বিদ্রোহ শুরু হয় ? 
উত্তরঃ-   ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দে বিরসা মুন্ডার নেতৃত্বে মুন্ডা বিদ্রোহ শুরু হয় ।

১১৪. বীরসা মুন্ডার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তাঁর অনুগামীরা কোন্ সম্প্রদায় সৃষ্টি করেছিল ? 
উত্তরঃ-   বীরসা মুন্ডার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তাঁর অনুগামীরা ‘ বীরসা সম্প্রদায় ’ সৃষ্টি করেছিল । 

১১৫. মুন্ডা বিদ্রোহের প্রভাবে ওঁরাও সম্প্রদায় যে আন্দোলনটি শুরু করে তার নাম কী ? 
উত্তরঃ-   মুন্ডা বিদ্রোহের প্রভাবে ওঁরাও সম্প্রদায় তানা ভগৎ আন্দোলন শুরু করে । 

১১৬. মুন্ডা বিদ্রোহ কোথায় কোথায় ছড়িয়ে পড়েছিল । 
উত্তরঃ-   মুন্ডা বিদ্রোহ রাঁচি , হাজারিবাগ , ছোটোনাগপুর , সিংভূম অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছিল । 

১১৭. প্রথম জীবনে বীরসা কী কাজ শুরু করেছিলেন ? 
উত্তরঃ-   প্রথম জীবনে বীরসা ধর্মপ্রচারের কাজ শুরু করেছিলেন । 

১১৮. Indian Forest Service’ গঠিত হয়?
উত্তরঃ- (গ) ১৮৬৪ খ্রিস্টাব্দে।

১১৯. মুন্ডা বিদ্রোহীরা ব্রিটিশদের কার সঙ্গে তুলনা করেছিল ? 
উত্তরঃ-   মুক্তা বিদ্রোহীরা ব্রিটিশদের রাবণের সঙ্গে তুলনা করেছিল । 

১২০. বীরসা মুক্তা গ্রেফতার হওয়ার কতদিন পরে মুক্তি পান  ? 
উত্তরঃ-   বীরসা মুন্ডা গ্রেফতার হওয়ার ২ বছর বাসে মুক্তি পান ।



দশম শ্রেণীর ইতিহাস – প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ (তৃতীয় অধ্যায়)" সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর" । WBBSE Class 10th History 3rd Chapter SAQ Questions and Answers 

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর | SAQ Questions and Answers (Class Ten / Madhyamik  History Third chapter)


১. সাঁওতাল বিদ্রোহ সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করো।
উত্তরঃ-  
ভূমিকা – ব্রিটিশ অনুসৃত ভূমি ব্যবস্থায় বিশেষত চিরস্থায়ী বন্দোবস্তে কয়েক শতাব্দীর অধিকারভুক্ত জমি কোম্পানির হাতে চলে যায়। তখন সাঁওতালরা হাজারিবাগ মানভূম থেকে রাজমহলের পার্বত্য সমতল ভূমিতে এসে সেখান জঙ্গলাবৃত অঞ্চল পরিষ্কার করে বসবাস ও কৃষিকাজ শুরু করে। অঞ্চলটির নাম হয় দামিন-ই কোহ বা মুক্ত অঞ্চল। স্বপ্ন দেখতে শুরু করে এখানে তারা মুক্ত জীবন ভোগ করবে। সেখানে তারা জমিদার, মহাজন, বহিরাগত ব্যবসায়ী ও ইংরেজদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে শেষ পর্যন্ত বিদ্রোহের পথ বেছে নেয়। ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে বিহারের রাজমহল থেকে বাংলার মুরশিদাবাদ অবধি অঞ্চলে সাঁওতাল বিদ্রোহ সংগঠিত হয়।

লক্ষ্য – সাঁওতাল বিদ্রোহীদের লক্ষ্য ছিল সাঁওতাল রাজ প্রতিষ্ঠা। বহিরাগত দিকুদের উচ্ছেদ, জমিদারি অত্যাচার ও ব্রিটিশ শাসনের উচ্ছেদই ছিল সাঁওতালদের লক্ষ্য।

বিদ্রোহের শুরু – ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দের ৩০ জুন সিধু কানহুর নেতৃত্বে প্রায় দশ হাজার সাঁওতাল নরনারী ভাগনাডিহির মাঠে জমায়েত হয়ে স্বাধীন সাঁওতাল রাজ্য গঠনের পরিকল্পনা নেন। অত্যাচারী দারগা মহেশলাল দত্তকে হত্যার মাধ্যমে এই বিদ্রোহ শুরু হয়।


২. বিপ্লব বলতে কী বোঝায় ? 
উত্তরঃ-  বিপ্লব বলতে বোঝায় — প্রথমত , এটি এমন এক দীর্ঘস্থায়ী প্রক্রিয়া যা পুরোনো অর্থনৈতিক , সামাজিক বা রাজনৈতিক ব্যবস্থার ওপর আঘাত হেনে তার আমূল পরিবর্তন ঘটায় । দ্বিতীয়ত , একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যকে সামনে রেখে এই পরিবর্তন সংঘটিত হয় । তৃতীয়ত , বিপ্লবের উদাহরণগুলি হল — আমেরিকার স্বাধীনতা বিপ্লব , ফরাসি বিপ্লব , শিল্প বিপ্লব , চিনের সাংস্কৃতিক বিপ্লব । 

৩. বিদ্রোহ , অভ্যুত্থান ও বিপ্লবের পার্থক্যগুলি কী ? 
উত্তরঃ-  বিদ্রোহ বলতে আসলে পুঞ্জীভূত অসন্তোষের বহিঃপ্রকাশকেই বোঝায় । পূর্ববর্তী অবস্থার হঠাৎ বা আকস্মিক পরিবর্তন হল অভ্যুত্থান । অপরদিকে কোনো দেশের শাসন অথবা সমাজব্যবস্থার দ্রুত আমূল পরিবর্তন বা উত্তরণকেই বিপ্লব আখ্যা দেওয়া যায় ।

৪. ঔপনিবেশিক অরণ্য আইনের উদ্দেশ্য কী ছিল ? 
উত্তরঃ-  ঔপনিবেশিক অরণ্য আইনের উদ্দেশ্যগুলি ছিল – প্রথমত , ১৮০৬ খ্রিস্টাব্দের পর ভারতে ইংরেজ কোম্পানির নৌবাহিনীতে জাহাজ নির্মাণের জন্য ওক কাঠের প্রয়োজনীয়তা থেকে ভারতীয় বনজ সম্পদের দিকে কোম্পানির নজর পড়ে । দ্বিতীয়ত , উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে রেলপথের বিস্তার শুরু হলে রেললাইনের স্লিপার , রেলগাড়ি অফিসের আসবাবপত্র নির্মাণের জন্য প্রচুর পরিমাণ কাঠের দরকার পড়ে যা বনভূমি সংরক্ষণের বিষয়টিকে জরুরি করে তোলে । তৃতীয়ত , অরণ্যে বসবাসকারী অধিবাসীরা যাে যথেচ্ছভাবে বৃক্ষচ্ছেদন করতে না পারে সেদিকেও লক্ষ রাখা দরকার হয়ে পড়ে । 

৫. অরণ্য আইন কী ? 
উত্তরঃ-  ১৮৬৫ ও ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ সরকার তাদের সাম্রাজ্যবাদী স্বার্থে ভারতের বনজ সম্পদকে ব্যবহারের জন্য দুটি আইন প্রণয়ন করে । এই দুই আইনকেই বলা হয় ‘ অরণ্য আইন ‘ । 

৬. অরণ্য আইনে কী বলা হয়েছিল ? 
উত্তরঃ-  অরণ্য আইন অনুযায়ী— প্রথমত , ভারতের বনভূমিকে তিনভাগে ভাগ করা হয় — ‘ সংরক্ষিত ’ বা ‘ রিজার্ভড ‘ বনভূমি , ‘ সুরক্ষিত ’ বা ‘ প্রোটেক্টেড ’ বনভূমি আর ‘ অশ্রেণিবিভক্ত ’ বা ‘ আনক্লাসিফায়েড ’ বনভূমি । দ্বিতীয়ত , ‘ সংরক্ষিত ’ বনভূমি ছিল সম্পূর্ণভাবে সরকারের অধীনে , যেখানে গাছ কাটা ছিল সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ । তৃতীয়ত , সুরক্ষিত বনভূমি থেকে উপজাতিরা প্রথমে বিনা পয়সায় ব্যক্তিগত প্রয়োজনে কাঠ সংগ্রহ করতে পারত কিন্তু তা বিক্রি করতে পারত না , অশ্রেণিবিভক্ত অরণ্যাঞ্চলে প্রবেশাধিকার ছিল অবাধ । 

৭. চুয়াড় বিদ্রোহের গুরুত্ব কী ? 
উত্তরঃ-  চুয়াড় বিদ্রোহের গুরুত্বগুলি হল— প্রথমত , এটি ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে জমিদার , তার অনুচরবর্গ এবং কৃষকদের বিদ্রোহ হলেও এর প্রাণশক্তি ছিল নিপীড়িত কৃষক । দ্বিতীয়ত , এই বিদ্রোহের মাধ্যমে চুয়াড়রা জমিদারদের নিপীড়নের হাত থেকে মুক্তির চেয়ে ব্রিটিশ শাসনের অবসান বেশি জরুরি বলে মনে করেছিল । তৃতীয়ত , এই বিদ্রোহ ন্যায্য অধিকার রক্ষার সংগ্রামকে অনুপ্রেরণা দেয় — যা পরবর্তীকালে অনেক আন্দোলনের দিশারি হয়ে দাঁড়ায় । 


৮. ‘ বেচারাম ‘ কাকে বলা হয় ? 
উত্তরঃ-  বেচারাম আসলে নির্দিষ্ট ওজনের চেয়ে কম ওজনের এক ধরনের বাটখারা যা ‘ ছোটো বাউ ‘ নামেও পরিচিত ছিল । এর দ্বারা সাঁওতালদের কিনতে আসা জিনিসপত্র কম ওজনের বাটখারায় মেপে পরিমাণে কম দিয়ে প্রতারিত করা হত । সাঁওতাল বিদ্রোহের অন্যতম কারণ ছিল এই বাটখারা । 

৯. ‘ কেনারাম কাকে বলে ? 
উত্তরঃ-  কেনারাম আসলে নির্দিষ্ট ওজনের চেয়ে বেশি ওজনের এক ধরনের বাটখারা । এর দ্বারা ব্যবসায়ীরা সাঁওতালদের বিক্রি করতে আসা জিনিসপত্র বেশি ওজনের বাটখারার সাহায্যে মেপে ওজনে কম দেখিয়ে সাঁওতালদের ঠকাতো । কেনারামকে বড়ো বাউ – ও বলা হয় ।

১০. উনিশ শতকে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে দুটি উপজাতি বিদ্রোহের নাম করো ।
উত্তরঃ-  উনিশ শতকে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে দুটি উপজাতি বিদ্রোহ হল কোল বিদ্রোহ ও সাঁওতাল বিদ্রোহ । ১৮৩১-৩২ খ্রিস্টাব্দে কোল বিদ্রোহ শুরু হয় এবং এই বিদ্রোহের নেতা ছিলেন বুদ্বু ভগৎ , জোয়া ভগৎ , সুই মুন্ডা । অন্যদিকে ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে সিধু – কানহুর নেতৃত্বে শুরু হয়েছিল সাঁওতাল বিদ্রোহ । 

১১. ‘ কোল কারা ?
উত্তরঃ-  ভারতের আদিম উপজাতিগুলির একটি গোষ্ঠীর নাম হল ‘ কোল ’ এবং এদের বৈশিষ্ট্যগুলি হল— প্রথমত , এদের বিশেষ কোনো জাতিগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত নয় বলে একটি ভাষা গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত বলা যায় , যার অন্তর্ভুক্ত ছিল কোল , ভিল , হো , মুন্ডা প্রভৃতি উপজাতি । দ্বিতীয়ত , এদের চেহারা হল খর্বাকৃতি , গায়ের রং কালো এবং নাক চ্যাপটা । তৃতীয়ত , পাহাড়ে ও জঙ্গলে বসবাসকারী এই গোষ্ঠীর মানুষদের ভাষাগুলি ছোটোনাগপুর , ওড়িশা ও মধ্যভারতের এক বিস্তীর্ণ অংশে বহুল পরিমাণে প্রচলিত ।

১২. কোল বিদ্রোহ কোথায় কোথায় ছড়িয়ে পড়েছিল ? 
উত্তরঃ-  ছোটোনাগপুরের রাঁচিতে কোল বিদ্রোহের সূচনা হলেও ক্রমশ এই বিদ্রোহ সিংভূম , মানভূম , হাজারিবাগ , পালামৌ জেলায় ছড়িয়ে পড়েছিল । যদিও বহু আগেই এই বিদ্রোহ প্রকাশ পেয়েছিল সিংভূম জেলার শোনপুর পরগনায় । উত্তর অন্যান্য বিদ্রোহের মতো কোল বিদ্রোহের ক্ষেত্রেও স্থানীয় নেতৃত্বের সৃষ্টি হয় । এঁরা হলেন — সুই মুন্ডা , বুন্ধু ভগৎ , জোয়া ভগৎ , খাদু পাতর , ঝিন্দরাই মানকি , সূর্য , সিংরাই প্রমুখ ।

১৩. দর্শনাথ সাহি কে ছিলেন । তাঁর সঙ্গে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কী চুক্তি হয়েছিল ? 
উত্তরঃ-  দর্পনাথ সাহি ছিলেন পালামৌর রাজা । ১৭৭০ খ্রিস্টাব্দে দর্শনাথ সাহির সঙ্গে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির চুক্তি হয় যে , বাৎসরিক ছয় হাজার টাকা রাজস্ব – সহ অতিরিক্ত ছয় হাজার টাকা তিনি কোম্পানিকে প্রদান করবেন । 

১৪. কোল বিদ্রোহের উদ্দেশ্য কী ছিল ? 
উত্তরঃ-  কোল বিদ্রোহের উদ্দেশ্যগুলি হল প্রথমত , চার্লস মেটকাফ – এর মতে , কোল বিদ্রোহীদের প্রথম ও প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ইংরেজ শাসনের অবসান ঘটানো । দ্বিতীয়ত , এ ছাড়া জমিদার , মহাজন , শস্য ব্যবসায়ী , পুলিশ , কোম্পানির কর্মচারীদের প্রভাব থেকে মুক্ত হওয়া ছিল অন্যতম উদ্দেশ্য । কারণ কোল বিদ্রোহীরা এদের ইংরেজ শাসনের অঙ্গ হিসেবেই দেখেছিল । 

১৫. কোল বিদ্রোহের কারণ কী ? অথবা , কোল বিদ্রোহের দুটি কারণ লেখো । 
উত্তরঃ-  কোল বিদ্রোহের কারণগুলি হল— প্রথমত , ছোটোনাগপুর অঞ্চলে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কর্তৃক উচ্চহারে রাজস্ব বৃদ্ধি , জমিদার – মহাজন – ব্যবসায়ীদের শোষণ ছিল কোল বিদ্রোহের মূল কারণ । দ্বিতীয়ত , অন্য কারণগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল — দেশি মদের ওপর কর বসানো , কোলদের ঐতিহ্যবিরোধী আফিম চাষ করতে বাধ্য করা , বেগার খাটানো , নারীদের সম্মান হানি হওয়া । তৃতীয়ত , এ ছাড়া বনজ সম্পদের ওপর কোলদের আজন্ম অধিকার ব্রিটিশরা ছিনিয়ে নিলে কোলরা বিদ্রোহী হয়ে ওঠে । 

১৬. “ বিদ্রোহ ’ বলতে কী বোঝায় ? 
উত্তরঃ-  বিদ্রোহ বলতে বোঝায় — প্রথমত , কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলে নির্দিষ্ট কিছু মানুষ নিজেদের স্বার্থে নির্দিষ্ট কিছু দাবি আদায় বা প্রচলিত ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশের ঘটনা অথবা সহিংস প্রতিবাদের মাধ্যমে দাবি আদায়ের চেষ্টাই হল বিদ্রোহ । দ্বিতীয়ত , বিদ্রো উদ্দেশ্য সীমিত থাকার কারণে তা ক্ষণস্থায়ী এবং আমূল পরিবর্তন আনতে ব্যর্থ হয় । তৃতীয়ত , ইংরেজ শাসন – শোষণ ও অত্যাচারই ছিল ভারতে সংঘটিত আদিবাসী বিদ্রোহ , কৃষক বিদ্রোহ ও সিপাহি বিদ্রোহের সাধারণ কারণ । 

১৭. বিপ্লব ও বিদ্রোহের মধ্যে পার্থক্য কী ? 
উত্তরঃ-  বিপ্লব বলতে বোঝায় — প্রথমত , এটি এমন এক দীর্ঘস্থায়ী প্রক্রিয়া যা পুরোনো অর্থনৈতিক , সামাজিক বা রাজনৈতিক ব্যবস্থার ওপর আঘাত হেনে তার আমূল পরিবর্তন ঘটায় । দ্বিতীয়ত , একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যকে সামনে রেখে এই পরিবর্তন সংঘটিত হয় । বিদ্রোহ বলতে বোঝায় — প্রথমত , কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলে নির্দিষ্ট কিছু মানুষের নিজেদের স্বার্থে নির্দিষ্ট কিছু দাবি আদায় বা প্রচলিত ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশের ঘটনা অথবা সহিংস প্রতিবাদের মাধ্যমে দাবি আদায়ের চেষ্টাই হল বিদ্রোহ । দ্বিতীয়ত , বিদ্রোহের উদ্দেশ্য সীমিত থাকার কারণে তা ক্ষণস্থায়ী এবং আমূল পরিবর্তন আনতে ব্যর্থ হয় । 

১৮. কোল বিদ্রোহের প্রকৃতি আলোচনা করো ।
উত্তরঃ-  কোল বিদ্রোহের প্রকৃতি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় প্রথমত , এটি ছিল বেশ কয়েকটি আদিবাসী গোষ্ঠীর সম্মিলিত বিদ্রোহ , কারণ— কোল বিদ্রোহে কোল ছাড়াও ওঁরাও , হো , মুন্ডা উপজাতির মানুষেরা যোগ দিয়েছিল । দ্বিতীয়ত , বিদ্রোহীরা দিকু , অর্থাৎ বহিরাগতদের এলাকা ছেড়ে যেতে নির্দেশ দেয় এবং নির্দেশ অমান্যকারীদের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় । তৃতীয়ত , ধর্মীয় কারণে বহু হিন্দুকে আদিবাসী দেবতার সামনে বলি দেওয়া হয় এবং কোলদের আক্রমণে সূত্রধর ও কর্মকার ছাড়া কেউই রক্ষা পায়নি । 


১৯. সাঁওতাল বিদ্রোহ কি নিছক একটি উপজাতি বিদ্রোহ ছিল ? 
উত্তরঃ-  সাঁওতাল বিদ্রোহকে শুধুমাত্র একটি উপজাতি বিদ্রোহ বলা যায় না , কারণ প্রথমত , এই বিদ্রোহে সাঁওতালরা ছাড়াও নিম্নবর্গের সাধারণ মানুষ , অর্থাৎ কামার , কুমোর , গোয়ালা , তাঁতি ( জোলা ) , তেলি প্রভৃতি নানা পেশার হিন্দু ও মুসলিম উভয় সম্প্রদায় সাহায্য ও সমর্থন জানায় । দ্বিতীয়ত , নিছকই একটি উপজাতি বিদ্রোহ না বলে বরং সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ শাসন ও শোষণের বিরুদ্ধেও মহাজন , জমিদার , ব্যবসায়ীদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষের ঐক্যবদ্ধ সশস্ত্র সংগ্রাম বলাই শ্রেয় ।

২০. সাঁওতাল বিদ্রোহের প্রকৃতি নিয়ে ঐতিহাসিকরা কী মত পোষণ করেন ?
উত্তরঃ-  আধুনিক গবেষক ও ঐতিহাসিকগণ সাঁওতাল বিদ্রোহকে শুধুমাত্র একটি উপজাতি বিদ্রোহ মনে করেন না । প্রথমত , রমেশচন্দ্র মজুমদারের মতে , ১৮৫৫-৫৬ খ্রিস্টাব্দের সাঁওতাল বিদ্রোহ ব্রিটিশ অপশাসনের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য বিদ্রোহ রূপে চিহ্নিত । দ্বিতীয়ত , সুপ্রকাশ রায় সাঁওতাল বিদ্রোহকে ‘ মহাবিদ্রোহের অগ্রদূত ‘ বলেছেন ।

২১. তালদের আক্রমণের লক্ষ্য হয়েছেন কারা ? 
উত্তরঃ-  সাঁওতাল বিদ্রোহের সময় সাঁওতালদের আক্রমণের লক্ষ্য হয়েছিল 
প্রথমত , দিঘি থানার দারোগা মহেশলাল দত্ত , কেনারাম ভগৎ সহ বহু কুখ্যাত মহাজন , পাকুড়ের রাজবাড়ি , অম্বর পরগনার জমিদার এবং বহু নীলকর সাহেব । দ্বিতীয়ত , রেলপথের ইউরোপীয় কর্মচারী , পদস্থ পুলিশকর্তা , ব্যবসায়ীদের অনেকে সাঁওতালদের দ্বারা নিহত হয় । 
তৃতীয়ত , সাধারণত বিদ্রোহীদের আক্রমণের লক্ষ্য হত ইংরেজদের বাংলো এবং জমিদারদের গুদাম ও ধানের গোলা । 

২২. কীভাবে সাঁওতাল বিদ্রোহের অবসান হয় ? 
উত্তরঃ-  তির , ধনুক ও বল্লম সম্বল করে সাঁওতালরা কলকাতা দখলের উদ্দেশ্যে দল বেঁধে বেরিয়ে পড়লে ইংরেজ সেনাপতি মেজর বুরাফ ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে ১৬ জুলাই পিরপৈত্তির কাছে সাঁওতাল বিদ্রোহীদের হাতে পরাজিত হন । ঐ বছরের নভেম্বরে সাঁওতাল বিদ্রোহীদের অধীনস্থ সমগ্র এলাকায় সামরিক শাসন জারি করে মেজর জেনারেল লয়েডের নেতৃত্বে ৫৫ নং পার্বত্য বাহিনী সাঁওতালদের আক্রমণ করে । ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত উভয়পক্ষের সংঘর্ষ চললেও শেষ পর্যন্ত ব্যাপক হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতন চালিয়ে ব্রিটিশ সরকার এই বিদ্রোহ দমন করে । 

২৩. সাঁওতালদের পরাজয়ের কারণ কী ?
উত্তরঃ-  সাঁওতালদের পরাজয়ের একাধিক কারণ ছিল । এই কারণগুলি হল – 
( ১ ) আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রের অভাব , 
( ২ ) সিধু ও কার মৃত্যু , 
( ৩ ) প্রায় ২০ হাজার সাঁওতালকে নির্মমভাবে হত্যা করা , 
( ৪ ) ব্রিটিশবাহিনী কর্তৃক গ্রামের পর গ্রাম ধ্বংস করা প্রভৃতি । 

২৪. গিরা কী ? সাঁওতালরা গ্রাম লুঠ করে সেখানে কী রেখে আসতেন ?
উত্তরঃ-  গিরা হল শালগাছের ডাল । সাঁওতালরা গ্রাম লুঠ করে বা ইংরেজদের বাংলোগুলি লুঠ করে সেখানে চামড়া – বাঁধা বাঁশ পুঁতে রেখে আসত । এটি ছিল সাঁওতালদের অধিকার ও কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার ইঙ্গিতবাহী । 

কীভাবে সাঁওতাল বিদ্রোহের সূচনা হয় ? 
উত্তরঃ-  স্বাধীন সাঁওতাল রাজ্য প্রতিষ্ঠার সংকল্প নিয়ে সিধু ও কানহু – র নেতৃত্বে ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দের ৩০ জুন ভাগনাডিহির মাঠে ১০ হাজার সাঁওতাল এই বিদ্রোহের সূচনা করে । প্রথমে তাঁরা দলবদ্ধভাবে পাঁচ কাঠিয়া গ্রাম আক্রমণ করে , দিঘি থানার দারোগা মহেশলাল দত্তকে হত্যা করে , কেনারাম ভগৎ – সহ পাঁচজন কুখ্যাত মহাজনকে তারা হত্যা করে । এ ছাড়াও তারা সরকারের দপ্তরখানা , জমিদারদের কাছাড়ি এবং মহাজনদের আড়তগুলি আক্রমণ করেছিল । 

২৫. কারা সাঁওতালদের ওপর শোষণ করত । 
উত্তরঃ-  সাঁওতালরা অনেকের দ্বারা শোষিত হয়েছিল । এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল- 
( ১ ) জমিদার ও তাদের নিযুক্ত খাজনা আদায়কারী , 
( ২ ) বহিরাগত দিকু বা মহাজন , 
( ৩ ) ব্যবসায়ী , 
( 8 ) রেলপথ নির্মাণের ঠিকাদার , 
( ৫ ) ইউরোপীয় কর্মচারী , 
( ৬ ) বহিরাগত শস্য ব্যবসায়ী এবং 
( ৭ ) নীলকর সাহেব । 
এরা সকলেই সাঁওতালদের ওপর শোষণ ও অত্যাচার করেছিল ।  

২৬. সিধু , কান ও অন্য সাঁওতালদের কী শাস্তি হয় ? 
উত্তরঃ-  সিধুকে গ্রেফতার করার সাথে সাথে গুলি করে হত্যা করা হয় । কান্তু উপেনবান্দায় গ্রেপ্তার হলে কয়েকদিনের মধ্যে তাঁর ফাঁসি হয় । বিদ্রোহে অংশগ্রহণকারী প্রায় ২০ হাজার সাঁওতালকে হত্যা করা হয় ।

২৭. ইন্ডিয়া কোম্পানির বিভিন্ন উপ বিদ্রোহের সংক্ষিপ্ত ইতিহস আলোচনা করো।
উত্তরঃ-  
ভূমিকা – ভারতে ব্রিটিশ শাসনের প্রথম একপর বৎসরে নানা প্রতিবাদ প্রতিরোধ ও বিদ্রে হয়েছে কোম্পানির সরকারকে। কোম্পানির শাসনের বিরু, কোল, ভীল, মুন্ডা, ওঁর প্র উপজাতিদের বিক্ষিপ্ত বিদ্রোহগুলি ছিল বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।

কারণ – উপজাতিদের বিদ্রোহের মূল কারণ ছিল –

ঔপনিবেশিক ভূমিরাজস্ব ব্যবস্থা।
পরদেশি মহাজন বণিক, জমিদার ও মধ্যস্বভূভোগী গোষ্ঠীর শোষণ।
কোম্পানি কর্তৃক সমস্ত বনা লোকে খাস জমিতে পরিণত করে বনসম্পদের ওপর নিয়ন্ত্রণ কঠোর করলে উপজাতিদের মধ্যে গভীর অসন্তোষের সৃষ্টি হয় যার বহিঃপ্রকাশ ঘটে বিদ্রোহের মাধ্যমে।
বিদ্রোহ – উপজাতি বিদ্রোহগুলির মধ্যে চুয়াড় কোল, সাঁওতাল ও মুন্ডা বিদ্রোহ ছিল উল্লেখযোগ্য যেগুলি অতিসংক্ষেপে আলোচনা করা হল।

চূয়াড় বিদ্রোহ – ব্রিটিশ কোম্পানির সীমাহীন অর্থনৈতিক, শোষণ-অত্যচার ও নিপীড়নে অতিষ্ঠ হলে মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, বীরভূম জেলার চুয়াড়রা যে বিদ্রোহের সূচনা করে তা চুয়াড় বিদ্রোহ নামে পরিচিত।

প্রায় ত্রিশ বছর ধরে এই বিদ্রোহ চলে। বিভিন্ন সময়ে এই বিদ্রোহের নেতৃত্ব প্রদান করেন জগন্নাথ ধল, বাদশার শ্যামগঞ্জন মাধব সিংহ, দুর্বল সিংহ (দুর্বল সিংহের নেতৃত্বে চুয়াড় বিদ্রোহ সবচেয়ে ব্যাপক আকার ধারণ করে), কোম্পানির সেনাবাহিনী নির্মম দমননীতির দ্বারা এই বিদ্রোহ মন করে।

কোলবিদ্রোহ – ঊনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে ব্রিটিশ। শাসনের বিরুদ্ধে যেসব আদিবাসী বিদ্রোহ ঘটে তার অন্যতম| কোলবিদ্রোহ (১৮৩১-৩২ খ্রি:)। রাচি, হাজারিবাগ, সিংভূম, পালামৌ প্রভৃতি অঞ্চলে বুদ্ধ ভগৎ, জোয়া ভগৎ, ঝিন্দরাই মানদি সুইমুভার নেতৃত্বে ১৮৩২ খ্রিস্টাব্দে এই বিদ্রোহ চরম আকার ধারণ করলে ক্যাপ্টেন উইলকিনের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী বহু কোল উপজাতির নরনারীদের নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে এই বিদ্রোহ দমন করেন।

সাঁওতাল বিদ্রোহ – কোম্পানির শোষণ ও শাসনের বিরুদ্ধে নিজেদের স্বাধীনতা বজায় রাখার জন্য আদিবাসী ও উপজাতিদের দ্বারা সংঘটিত বিদ্রোহ গুলির মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপজাতি বিদ্রোহ হল ১৮৫৫-৫৬ খ্রিস্টাব্দের সাঁওতাল বিদ্রোহ।

১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে ৩০ জুন প্রায় দশ হাজার সাঁওতাল ভাগনাডিহির মাঠে জমায়েত হয়ে সিধু-কানহুর নেতৃত্বে স্বাধীন সাঁওতাল রাজ্য গঠনের পরিকল্পনা করে ক্রমশ এই বিদ্রোহ ব্যপ্তি লাভ করে।

মুন্ডা বিদ্রোহ – ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দে বিরসা মুন্ডার নেতৃত্বে মুন্ডারা যে বিদ্রোহ করেছিল তা মুন্ডা বিদ্রোহ নামে পরিচিত। ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে এটিই ছিল শেষ গুরুত্বপূর্ণ উপজাতি বিদ্রোহ।

১৮৯৯-১৯০০ খ্রিস্টাব্দে মুন্ডা বিদ্রোহ, রাচি, হাজারিবাগ, সিংভূমের পার্বত্য অঞ্চলে প্রসার লাভ করে। ব্রিটিশ সরকার তীব্র দমননীতি চালিয়ে বিরসা মুন্ডাকে গ্রেপ্তার করে এই বিদ্রোহ দমন করেন।

মূল্যায়ণ – চূয়াড়, কোল, সাঁওতাল, মুন্ডা এবং অন্যান্য উপজাতি বিদ্রোহগুলি ব্যর্থ হয়ে গেলেও পরবর্তীকালে স্বাধীনতা আন্দোলনের জমি তৈরির ক্ষেত্রে এইসব আন্দোলনের গুরুত্ব অপরিসীম। পরাধীন ভারতবর্ষে উপজাতি বিদ্রোহীদের আত্মত্যাগ, বীরত্ব পরবর্তী প্রজন্মের বিপ্লবীদের কাছে আলোর দিশারি হায়ে উঠেছিল।

২৮. চুয়াড় বিদ্রোহ সম্পর্কে আলোচনা করো।

উত্তরঃ-  
ভূমিকা – ব্রিটিশ শাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর কোম্পানির সীমাহীন অর্থনৈতিক শোষণ, অত্যাচার নিপীড়নে অতিষ্ঠ হয়ে মেদিনীপুর, বীরভূম, বাঁকুড়া, ঘাটশিলায় চু য়াড় উপজাতির কৃষককেরা ১৭৬৮ থেকে ১৮৩২ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত প্রায় সাতবার যে বিদ্রোহ করেছিল তা চুয়াড় বিদ্রোহ নামে পরিচিত। ১৭৯৮ খ্রিস্টাব্দে মেদিনীপুরে শুরু হওয়া চুয়াড় বিদ্রোহ, দ্বিতীয় চূয়াড় বিদ্রোহ নামে পরিচিত।

চুয়াড় বিদ্রোহের কারণ – চুয়াড় বিদ্রোহের কারণগুলি হল –

জমি দখল – কৃষিকাজ ও পশুপালন চূয়াড়দের প্রধান জীবিকা ছিল। বাংলায় কোম্পানির শাসন প্রতিষ্ঠার পর কোম্পানি কর্তৃপক্ষ এই অঞ্চলের জমিদারদের ওপর অত্যন্ত চড়া হারে ভূমিরাজস্ব ধার্য করে। এর বিরুদ্ধে জমিদাররা বিদ্রোহ ঘোষণা করলে তাদের পাইক চুয়াড়রাও সমগ্র জঙ্গলমহল জুড়ে বিদ্রোহ করে।

জীবিকা সমস্যা – সরকার কর্তৃক নিষ্কর জমি দখল চুয়াড় বিদ্রোহের অন্যতম কারণ। কেননা চুয়াড়দের অধিকাংশ জমি ছিল দখলিকৃত জমি। কোম্পানি জমি দখল করে নিলে তাঁরা জীবিকাহীন হয়ে পড়ে।

রাজস্ববৃদ্ধি – চুয়াড়দের অধিনে থাকা জমিতে সরকার রাজস্ব বৃদ্ধি করলে চুয়াড়রা ক্ষিপ্ত হয়। কোম্পানি নিযুক্ত রাজস্ব আদায়কারী কর্মচারীদের সীমাহীন অত্যাচার এই বিদ্রোহের অন্যতম কারণ।

চুয়াড় বিদ্রোহের নানা পর্যায় ও নেতৃত্ব – চূয়াড় সম্প্রদায়ের মানুষেরা ১৭৬৮ থেকে ১৮৩২ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত যে সাতবার বিদ্রোহ করেছিল তার মধ্যে ১৭৯৮-৯৯ খ্রিস্টাব্দে দুর্জন সিংহ ও অচল সিংহের নেতৃত্বে এই বিদ্রোহ বড় আকার ধারণ করে।

বিদ্রোহের দমন – ১৭৯৯ খ্রিস্টাব্দে দুর্জন সিংহের নেতৃত্বে চুয়াড় বিদ্রোহ চরম আকার ধারণ করে ফলে মেদিনীপুরের শান্তি বিঘ্নিত হলে লর্ড ওয়েলেসলি দুটি সেনাদলের সাহায্যে সাড়াশি অভিযান চালিয়ে বিদ্রোহীদের চূড়ান্তভাবে পরাজিত করেন। বহু চূড়ায় বিদ্রোহীকে গাছে ঝুলিয়ে ফাঁসি দেওয়া হয়। বিদ্রোহীদের গ্রেপ্তার করে তাদের ঘাঁটিগুলি জ্বালিয়ে, সেনাবাহিনী তাণ্ডব চালিয়ে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করে এই বিদ্রোহ দমন করে।

অন্যদিকে বিভাজন নীতির আশ্রয় নিয়ে চুয়াড় ও পাইকদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে এবং জমিদারদের নানাভাবে আশ্বস্ত করে কৌশলে চুয়াড় বিদ্রোহের অবসান ঘটায়।

গুরুত্ব – চুয়াড় বিদ্রোহ ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে জমিদার ও তার অনুচরবর্গ এবং কৃষকদের বিদ্রোহ হলেও এই বিদ্রোহের প্রাণশক্তি ছিল নিপীড়িত কৃষক যাঁরা সমাজের নিম্ন বর্গের মানুষ। তাঁরা বুঝেছিল যে, জমিদারদের নিপীড়িতদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া অপেক্ষা ব্রিটিশ শাসনের অবসান বেশি জরুরি।

উপসংহার – জমিদার ও কৃষকরা মিলিত হয়ে এই বিদ্রোহ সংগঠিত করেছিল যা অত্যন্ত বিরল ঘটনা। বিদ্রোহীদের আত্মত্যাগ ও ন্যায্য অধিকার রক্ষার সংগ্রাম পরবর্তীকালে য়া আরো বৃহত্তর সংগ্রামের দিশারি ছিল। অধ্যাপক নরহরি কবিরাজ বলেছেন যে চুয়াড় বিদ্রোহ ছিল নিম্নশ্রেণির মানুষদের লি স্বতঃস্ফূর্ত অথচ ব্যাপক বিদ্রোহ।



দশম শ্রেণীর ইতিহাস – প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ (তৃতীয় অধ্যায়)" রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর" । WBBSE Class 10th History 3rd Chapter DAQ Questions and Answers | Madhyamik History  Protirodh O Bidroho Boisisto O Bisleson Dharona Detailed Question and Answer

রচনাধর্মী বা বিশ্লেষণধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর (প্রতিটি প্রশ্নের মান ৫)

১. মুন্ডা বিদ্রোহের কারণ ও ফলাফল আলোচনা করো।
উত্তরঃ-  
ভূমিকা – বিরসা মুন্ডার নেতৃত্বে মুন্ডা উপজাতির মানুষদের পুঞ্জীভূত বিক্ষোভ ও অসন্তোষের স্বাভাবিক অভিব্যক্তি হল মুন্ডা বিদ্রোহ। মুন্ডারা ছিল অত্যন্ত সহজ, সরল কৃষিজীবি মানুষ। তাঁরা বিশ্বাস করতেন তারাই হল জমির সত্যিকারের মালিক। কিন্তু ব্রিটিশ শাসন প্রবর্তিত হলে মুন্ডা উপজাতিদের জমি থেকে উৎখাত করতে থাকলে (১৮৯৯-১৯০০ খ্রিস্টাব্দে) মুন্ডারা বিদ্রোহের পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়।

মুক্তা বিদ্রোহের কারণ – মুন্ডা বিদ্রোহের কারণগুলি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে –

জমির ওপর অধিকার হারানো – মুন্ডা উপজাতির মানুষেরা প্রায় সকলেই ছিলেন কৃষিজীবী ও নিরীহ প্রকৃতির মানুষ। ইংরেজ শাসন প্রবর্তিত হলে বাইরের থেকে লোভী মানুষেরা মুন্ডাদের জমি জায়গা কুক্ষিগত করে নিতে থাকে এবং মুন্ডাদের বিতাড়িত করে সেই জমিগুলি দখল করে নিলে মুন্ডারা বিক্ষুব্ধ হয়।

খুঁৎকাঠি প্রথার অবসান – ভারতের আদিমতম মুন্ডাদের ঐতিহ্যবাহি একটি প্রথা ছিল খুঁৎকাঠি প্রথা; যার অর্থ হল জমির তরঙ্গ ওপর যৌথ মালিকানা। কিন্তু ব্রিটিশ শাসন প্রবর্তিত হলে মুন্ডাদের খুঁৎশক্তি প্রথার অবসান ঘটিয়ে জমিতে ব্যক্তিগত মালিকানা প্রতিষ্ঠিত করলে মুন্ডারা বিদ্রোহী হয়ে ওঠে।

নতুন আইনবিধি – অতি প্রাচীনকাল থেকেই মুন্ডারা ছিলেন তাদের ঐতিহ্যবাহী মুন্ডারি, আইন, বিচার ও সামাজিক ব্যবস্থার ধারক ও বাহক। কিন্তু ব্রিটিশ শাসন প্রবর্তিত হলে মুন্ডাদের সেই চিরাচরিত ব্যবস্থা ভেঙ্গে দিয়ে নতুন ধরনের আইন প্রবর্তন করলে মুন্ডারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।

ধর্মান্তরিতকরণ – ভারতে ইংরেজদের আগমনের সাথে সাথে খ্রিস্টান মিশনারিরাও এদেশে এসেছিলেন। তাঁরা হলে, বলে, কৌশলে, লোভ দেখিয়ে, প্রলোভন দেখিয়ে ধর্মভীরু মুন্ডাদের খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত করতে থাকলে মুন্ডা সমাজ বিদেশিদের ওপর প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়।

বেগার শ্রম – নিরীহ মুন্ডাদের দিয়ে সরকারি কর্মচারী, জমিদার, মহাজন বিনা মজুরিতে কাজ করতে বাধ্য করত। দিনের পর দিন তারা মুখ বুঝে বেট বেগারি অর্থাৎ বেগার খেটে অবশেষে বিদ্রোহের পথে পা বাড়ায়।

বিরসামুণ্ডার ভূমিকা – ধর্মপ্রচারক হিসেবে জীবন শুরু করলেও বিরসা মুন্ডার সংস্কারমূলক বিবিধ ব্যবস্থা, হীনমন্যতাকে দূর করে মুন্ডাদের মাথা উঁচু করে বাঁচার শিক্ষা মুন্ডা বিদ্রোহের অন্যতম কারণ।

এছাড়াও মহাজন, জমিদার, জায়গিরদার, ঠিকাদার, চা ব্যবসায়ীদের মিথ্যা প্রলোভন ও শোষণ এই বিদ্রোহের অন্যতম কারণ।

ফলাফল – মুন্ডা বিদ্রোহ ব্যর্থ হলেও এর ফলাফল ছিল সুদূরপ্রসারী কারণ –

এর ফলে মুন্ডাদের জমিতে খুঁংকাঠি স্বত্ব পুনঃপ্রবর্তিত হয়।
ব্রিটিশ ছোটোনাগপুর অঞ্চলের জন্য ছোটোনাগপুর প্রজাস্বত্ত্ব আইন পাস করে। এবং এখানের জন্য আলাদা প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। বেট বেগারি নিষিদ্ধ হয়।
বিরসা সম্প্রদায়ের আত্মপ্রকাশ ঘটে।
উপসংহার – পরাধীন ভারতবর্ষে মুন্ডারাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এবং মুন্ডাজাতির সার্বিক মুক্তির জন্য বিরসা মুন্ডার নেতৃত্বে মুন্ডারা যে আত্মত্যাগ ও বীরত্ব দেখিয়েছে তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঐতিহাসিক সুমিত সরকারের মতে, সর্বভারতীয় জাতীয়তাবাদী চেতনায় মুন্ডা বিদ্রোহ তেমন গুরুত্বপূর্ণ না হলেও পরাধীন ভারতে বিশেষত ছোটোনাগপুরে মুন্ডারাজ প্রতিষ্ঠার জন্য বিরসার নেতৃত্বে মুন্ডারা সাম্রাজ্যবাদ বিরোধিতার নমুনা রেখেছেন।

২. ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আমলে বিভিন্ন উপজাতি বিদ্রোহের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস আলোচনা করো । 

উত্তরঃ-  ভূমিকা : ভারতে ব্রিটিশ শাসনের প্রথম একশো বছরে নানা প্রতিবাদ , প্রতিরোধ ও বিদ্রোহের সম্মুখীন হতে হয়েছে কোম্পানির সরকারকে । কোম্পানির শাসনের বিরুদ্ধে চুয়াড় , কোল , ভিল , মুন্ডা , ওঁরাও , সাঁওতাল , হো প্রভৃতি উপজাতিদের বিক্ষিপ্ত বিদ্রোহগুলি ছিল বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ । 

বিভিন্ন উপজাতি বিদ্রোহ : 
ঔপনিবেশিক ভূমিরাজস্ব ব্যবস্থা , মহাজন , বণিক , জমিদার ও মধ্যস্বত্বভোগী গোষ্ঠীর শোষণ , কোম্পানি কর্তৃক সমস্ত বনাঞ্চলকে খাস জমিতে পরিণত করে বন্যসম্পদের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ প্রভৃতি কারণে উপজাতিদের মধ্যে গভীর অসন্তোষের সৃষ্টি হয় , যার বহিঃপ্রকাশ ঘটে বিদ্রোহের মাধ্যমে । উপজাতি বিদ্রোহগুলির মধ্যে চুয়াড় , কোল , সাঁওতাল ও মুন্ডা বিদ্রোহ ছিল উল্লেখযোগ্য ।

চুয়াড় বিদ্রোহ : 
ব্রিটিশ কোম্পানির সীমাহীন অর্থনৈতিক , শোষণ – অত্যাচার ও নিপীড়নে অতিষ্ঠ হয়ে মেদিনীপুর , বাঁকুড়া , বীরভূম জেলার চুয়াড়রা যে বিদ্রোহের সূচনা করে , তা চুয়াড় বিদ্রোহ নামে পরিচিত । প্রায় ত্রিশ বছর ধরে চলা এই বিদ্রোহে বিভিন্ন সময়ে নেতৃত্ব প্রদান করেন জগন্নাথ ধল , ধাদকার শ্যামগঞ্জন , মাধব সিংহ , দুর্জন সিংহ প্রমুখ । কোম্পানির সেনাবাহিনী নির্মম দমননীতির দ্বারা এই বিদ্রোহ দমন করে । 

কোল বিদ্রোহ : 
ঊনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে যেসব আদিবাসী বিদ্রোহ ঘটে তার অন্যতম ছিল কোল বিদ্রোহ ( ১৮৩১-৩২ খ্রি . ) । রাঁচি , হাজারিবাগ , সিংভূম , পালামৌ প্রভৃতি অঞ্চলে বুদ্বু ভগৎ , জোয়া ভগৎ , ঝিন্দরাই মানকি , সুই মুন্ডার নেতৃত্বে ১৮৩২ খ্রিস্টাব্দে এই বিদ্রোহ চরম আকার ধারণ করলে ক্যাপটেন উইলকিনসের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী বহু কোল উপজাতির নরনারীদের নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে এই বিদ্রোহ দমন করেন । 

সাঁওতাল বিদ্রোহ : 
কোম্পানির শোষণ ও শাসনের বিরুদ্ধে নিজেদের স্বাধীনতা বজায় রাখার জন্য আদিবাসী ও উপজাতিদের দ্বারা সংঘটিত বিদ্রোহগুলির মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপজাতি বিদ্রোহ হল ১৮৫৫-৫৬ খ্রিস্টাব্দের সাঁওতাল বিদ্রোহ । ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে ৩০ জুন প্রায় দশ হাজার সাঁওতাল ভাগনাডিহির মাঠে জমায়েত হয়ে সিধু – কানহুর নেতৃত্বে স্বাধীন সাঁওতাল রাজ্য গঠনের পরিকল্পনা করে । ক্রমশ এই বিদ্রোহ ব্যাপ্তি লাভ করলে করে ফাঁসি দেওয়ায় ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসে এই বিদ্রোহ স্তিমিত হয়ে পড়ে । 

মুন্ডা বিদ্রোহ : 
১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দে বীরসা মুন্ডার নেতৃত্বে মুন্ডারা যে বিদ্রোহ করেছিল তা মুন্ডা বিদ্রোহ নামে পরিচিত । ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে এটিই ছিল শেষ গুরুত্বপূর্ণ উপজাতি বিদ্রোহ । ১৮৯৯-১৯০০ খ্রিস্টাব্দে মুন্ডা বিদ্রোহ , রাঁচি , হাজারিবাগ , সিংভূমের পার্বত্য অঞ্চলে প্রসার লাভ করলে ব্রিটিশ সরকার তীব্র দমননীতি চালিয়ে বীরসা মুন্ডাকে গ্রেপ্তার করে এই বিদ্রোহ দমন করে । মূল্যায়ন চুয়াড় , কোল , সাঁওতাল , মুন্ডা এবং অন্য উপজাতি বিদ্রোহগুলি ব্যর্থ হয়ে গেলেও পরবর্তীকালে স্বাধীনতা আন্দোলনের জমি তৈরির ক্ষেত্রে এইসব আন্দোলনের গুরুত্ব অপরিসীম । 

৩. সন্ন্যাসী – ফকির বিদ্রোহের (১৭৬৩-১৮০০) কারণ ও ব্যর্থতার কারণগুলি আলোচনা করো।
অথবা, সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহ সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করো।
উত্তরঃ-  

ভূমিকা – কোম্পানির শাসনের প্রথম দিকে কৃষিজীবী হিন্দু সন্ন্যাসী ও মুসলমান ফকিরদের নেতৃত্বে বাংলা-বিহারের কিছু অঞ্চল জুড়ে যে বিদ্রোহের সূচনা হয়েছিল, তা সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহ নামে পরিচিত। এই বিদ্রোহের ব্যাপ্তি ছিল দীর্ঘ চল্লিশ বছর (১৭৬০-১৮০০ খ্র.)। এটি ছিল কোম্পানির শাসনের বিরুদ্ধে প্রথম সংঘবদ্ধ বিদ্রোহ। বাংলা-বিহারের দরিদ্র কৃষকেরা অন্ন ও বস্ত্রের জন্য সন্ন্যাসী ও ফকির বিদ্রোহের ধ্বজা তোলে।

সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহের কারণ – সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহের প্রধান প্রধান কারণগুলি হল –

কোম্পানির উচ্চহারে রাজস্ব বৃদ্ধি – ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ধার্য করা অত্যধিক রাজস্ব বৃদ্ধি কৃষিজীবি সন্ন্যাসী ও ফকিরদের ক্ষুদ্ধ করে তোলে।

তীর্থকর – সন্ন্যাসী ও ফকিররা মাঝে মাঝে ইচ্ছেমতো দলবদ্ধভাবে বিভিন্ন তীর্থক্ষেত্রে গেলে সরকার থেকে তাদের ওপর তীর্ণকর আদায় করা হয়। এতে সন্ন্যাসী ও ফকিররা ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে।

কোম্পানির কর্মচারীদের জুলুম – ফকির ও সন্ন্যাসীদের মধ্যে অনেকেই রেশম ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিল। কোম্পানির কর্মচারিরা তাদের এই ব্যবসাতে নানাভাবে জুলুম ও বাধা প্রদান করত।

মধ্যস্বত্বভোগীদের শোষণ ও অত্যাচার – কোম্পানির কর্মচারী ছাড়াও ইজারাদার, পত্তনিদার প্রভৃতি মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের শোষণ-অত্যাচার সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহের অন্যতম কারণ।

নেতৃত্ব ও ব্যাপ্তি – এইসব অসন্তোষকে কেন্দ্র করে ১৭৬৩ খ্রিস্টাব্দে ঢাকায় সর্বপ্রথম সন্ন্যাসী ও ফকির বিদ্রোহ শুরু হয়। ক্রমশ তা দাবানলের মতো মালদহ, রংপুর, দিনাজপুর, কোচবিহার, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর প্রভৃতি জেলায় ছড়িয়ে পড়ে। অত্যাচারিত ও নির্যাতিত দরিদ্র কৃষক, মুষল সেনাবাহিনীর বেকার সৈন্য এবং সন্ন্যাসী ও ফকিরদের বিভিন্ন সম্প্রদায় এই বিদ্রোহে অংশ নেয়। ভবানী পাঠক, মজনু শাহ, দেবী চৌধুরানি, চিরাগ আলি, মুসশাহ প্রমুখরা ছিলেন এই বিদ্রোহের নায়ক। প্রায় ৫০ হাজার মানুষ এই বিদ্রোহে অংশ নেয়।

মূল্যায়ণ – সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহ ছিল কোম্পানির শাসন ও শোষণের বিরুদ্ধে ভারতীয়দের প্রথম বিদ্রোহ। বিদ্রোহীরা হিন্দু ও মুসলমানদের এক ছাতার তলায় এনে এক অনন্য নজির সৃষ্টি করেছিল। ওয়ারেন হেস্টিংস এই বিদ্রোহার যতই ‘পেশাদার ডাকাতের উপদ্রব’ বলে অভিহিত করুক না কেন, এডওয়ার্ড উইলিয়াম হান্টারের মতে, এটি ছিল প্রকৃত কৃষক বিদ্রোহ।


৪. সাঁওতাল বিদ্রোহ সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করো । 
উত্তরঃ-  ভূমিকা : ঊনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে ভারতে ব্রিটিশ শক্তির বিরুদ্ধে যে সমস্ত উপজাতি বিদ্রোহ ঘটে তার মধ্যে সবচেয়ে ব্যাপক ছিল ১৮৫৫-৫৬ খ্রিস্টাব্দের সাঁওতাল বিদ্রোহ । 

বিদ্রোহের কারণ : সাঁওতালরা হাজারিবাগ , মানভূম থেকে রাজমহলের পার্বত্য সমতলভূমিতে এসে , সেখানকার জঙ্গলাবৃত অঞ্চল পরিষ্কার করে বসবাস ও কৃষিকাজ শুরু করে অঞ্চলটির নাম দেয় ‘ দামিন – ই – কোহ ‘ বা মুক্ত অঞ্চল । কিন্তু সেখানে তারা জমিদার , মহাজন , বহিরাগত ব্যবসায়ী ও ইংরেজদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে শেষপর্যন্ত বিদ্রোহের পথ বেছে নেয় । 

বিদ্রোহের লক্ষ্য : বিদ্রোহীদের লক্ষ্য ছিল বহিরাগত মহাজন ( দিকু ) ও ব্যবসায়ীদের অত্যাচার ও এবং জমিদারি ও ব্রিটিশ শাসনের উচ্ছেদ ঘটিয়ে সাঁওতাল রাজ প্রতিষ্ঠা করা । 

বিদ্রোহের শুরু : ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দের ৩০ জুন সিধু – কানহুর নেতৃত্বে প্রায় দশ হাজার সাঁওতাল নরনারী ভাগনাডিহির মাঠে জমায়েত হয়ে স্বাধীন সাঁওতাল রাজ্য গঠনের পরিকল্পনা নেন । দীঘি থানার অত্যাচারী দারোগা মহেশলাল দত্ত ও কুখ্যাত মহাজন কেনারাম ভগৎকে হত্যার মাধ্যমে এই বিদ্রোহ শুরু হয় । 

সাঁওতাল বিদ্রোহের নেতা সিধু বিদ্রোহের নেতৃত্ব ও ব্যাপ্তি : বিদ্রোহীরা সিধু , কানহু , ডোমন মাঝি , চাঁদ , ভৈরব , কালো প্রামাণিকের নেতৃত্বে মহাজনদের আড়ত , বণিকদের বাড়ি , নীলকুঠি ও জমিদারের কাছারি আক্রমণ করে । রেলস্টেশন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ধ্বংস করে । এভাবে রাজমহল থেকে মুরশিদাবাদ পর্যন্ত বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বিদ্রোহের আগুন ছড়িয়ে পড়ে । মুরশিদাবাদ , বীরভূমে পাকুড় ও সাঁওতাল পরগনার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ইংরেজবাহিনী পর্যদস্তু হয়ে পড়ে । সবশেষে বিদ্রোহীরা তির , ধনুক , বল্লম সম্বল করে কলকাতা দখলের উদ্দেশ্যে দল বেঁধে বেরিয়ে পড়লে শেষপর্যন্ত ইংরেজ কোম্পানি প্রচণ্ড দমনপীড়নের মাধ্যমে এই বিদ্রোহ দমন করে ( ১৮৫৬ খ্রি . ) । 

বিদ্রোহের প্রকৃতি : ব্রিটিশ ঐতিহাসিকরা একে নিছক বর্বরদের স্থানীয় বিদ্রোহ ও আদিম ক্রোধের বহিঃপ্রকাশ বললেও আধুনিক ঐতিহাসিকরা একে দেশীয় শোষণ ও ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক গণসংগ্রাম তথা শ্রমজীবীদের প্রতিরোধ হিসেবে দেখেছেন । 

ফলাফল : এই বিদ্রোহের ফলে 
( ১ ) সরকার সাঁওতাল পরগনা নামে একটি স্বতন্ত্র সংরক্ষিত এলাকা সৃষ্টি করে সেখানে সাঁওতালদের আইনকানুন চালু করে ; 
( ২ ) সাঁওতালদের উপজাতি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয় এবং মিশনারি ছাড়া সমতলের লোকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ হয় ; 
( ৩ ) সাঁওতাল মোড়ল ও সর্দারদের ক্ষমতা স্বীকার করা হয় ; এবং 
( ৪ ) সর্বত্র একই ধরনের ওজন বিধি চালু হয় । উপসংহার : ব্যাপ্তিতে ক্ষুদ্র ও বিক্ষিপ্ত হলেও সাঁওতাল বিদ্রোহের মধ্যে শোনা গিয়েছিল প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধের পদধ্বনি । ঐতিহাসিক সুপ্রকাশ রায় তাই সাঁওতাল বিদ্রোহকে ‘ মহাবিদ্রোহের অগ্রদূত ’ বলেছেন । 



৫. ওয়াহাবি আন্দোলনের ওপর একটি প্রবন্ধ লেখো।
উত্তরঃ-  
ভূমিকা – উনিশ শতকের প্রথমার্ধে ভারতে শাহ ওয়ালিউল্লাহ ও আজিজ কুসংস্কার দূর করে মহম্মদ প্রদর্শিত পথে ইসলামকে নতুন রূপে গড়ে তুলতে চেষ্টা করেন। এরপর। রায়বেরিলীর সৈয়দ আহম্মদ ভারতে প্রকৃত অর্থে ওয়াহাবি আদর্শে শুদ্ধি আন্দোলন শুরু করেন। শীঘ্রই তা ব্রিটিশ বিরোধী। হয়ে ওঠে। বাংলার তিতুমিরের নেতৃত্বে এই আন্দোলন ধর্মীয় আর্থ-সামাজিক ও শেষে ব্রিটিশ বিরোধী চেহারা পায়।

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য – ইসলামের শুদ্ধিকরণ ও ইসলামধর্মের কুসংস্কার দূর করে তারিখ-ই-মহম্মদিয়া প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশ্য নিয়ে এই আন্দোলনের সূচনা হয়। ক্রমেই তা ব্রিটিশ বিরোধী। # রাজনৈতিক আন্দোলনের রূপ পরিগ্রহ করে। এছাড়াও এই আন্দোলনের লক্ষ্য ছিল অত্যাচারী সামন্তদের শোষণ থেকে কৃষকদের মুক্ত করা, নিম্নবর্গের মানুষদের আর্থিক সংকট থেকে মুক্ত করা এবং ইংরেজি শিক্ষার প্রবর্তন ও সরকারি উচ্চপদ। গুলিতে ইংরেজদের একচেটিয়া আধিপত্যের বিরোধিতা করা।

ওয়াহাবি আন্দোলনে সৈয়দ আহমদের ভূমিকা – শাহ ওয়ালিউল্লাহ ভারতে ওয়াহাবি আন্দোলনের সূচনা করলেও এই আন্দোলনের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন রায়বেরিলীর সৈয়দ আহম্মদ (১৭৬৬-১৮৩১ খ্রিস্টাব্দ)। তিনি ভারতের নানা স্থানে বিশেষ করে কলকাতায় আবদুল ওয়াহাবের বাণী প্রচার করেন। পাটনায় ওয়াহাবিদের প্রধান কেন্দ্র স্থাপন করেন। চার খলিফা বা আঞ্চলিক শাসকদের মাধ্যমে ভারতে এর সংগঠন বিস্তৃত হয়। ব্রিটিশের বিরুদ্ধে জেহাদের মাধ্যমে তিনি ভারতকে দার-উল-ইসলামে পরিণত করতে চান। উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশে তার প্রভাব বৃদ্ধি পায়। ১৮৩১ খ্রিস্টাব্দে শিখদের বিরুদ্ধে বালা কোটার যুদ্ধে তার মৃত্যু হয়।

বাংলার ওয়াহাবি আন্দোলনের প্রাণপুরুষ ছিলেন তিতুমির। মহাজন, জমিদার, নীলকর ও তাদের সহযোগী ইংরেজদের অত্যাচার ও দমননীতির বিরুদ্ধে তিনি রুখে দাঁড়ান। নারকেলবেড়িয়ায় বাঁশের কেল্লায় সদর দপ্তর স্থাপন করে। আশপাশের জমিদারদের কাছে কর দাবি করেন। ইংরেজ শাসনের অবসানের কথা ঘোষণা করে নিজেকে বাদশাহ রূপে তুলে ধরেন। শেষপর্যন্ত ইংরেজ সেনাবাহিনীর দমনের আঘাতে বাঁশের কেল্লা ধ্বংস হয় ও তিনি বীরের মতো প্রাণ বিসর্জন দেন যা ইতিহাসে বারাসত বিদ্রোহ’ নামে খ্যাত।

আন্দোলনের প্রসার – ওয়াহাবি আন্দোলনের মূল কেন্দ্র ছিল বিহারের পাটনা। এনায়েৎ আলি ফরিদপুর, নদিয়া, রাজশাহী ও পাটনায় এই আন্দোলন ছড়িয়ে দেন। বারাসত, যশোহর, ঢাকা, ফরিদপুর, রাঘবগঞ্জ, নদিয়া, পাবনা, রংপুর, নোয়াখালি, ময়মনসিংহ, ত্রিপুরা ও শ্রীহট্টে এই আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে।

ব্যর্থতার কারণ – এই আন্দোলন শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়। ব্যর্থতার কারণগুলি হল –

গঠনমূলক কর্মসূচীর অভাব, উপযুক্ত সংগঠনের অভাব, ধর্মীয় আন্দোলন হিসেবে শুরু হলেও ক্রমশ এই আন্দোলনের রাজনৈতিক রূপ পরিগ্রহ করা, হিন্দু সমাজে যোগদান না করা। আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রের অভাব, অভিজাত শ্রেণির সাহায্য না পাওয়া, সরকারের দমননীতি ও বিভেদ নীতি।

প্রকৃতি বা চরিত্র – তিতুমিরের জীবনীকার বিহারীলাল সরকারের মতে, বহু হিন্দু তিতুমিরের নেতৃত্ব মেনে নিয়েছিলেন। আবার বহু মুসলিম ভূস্বামীরাও ওয়াহাবিদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিলেন। সুতরাং তিতুমিরের সংগ্রাম ধর্মকে কেন্দ্র করে শুরু হলেও ক্রমশ তা সংকীর্ণ ধর্মীয় সীমারেখা অতিক্রম করে দরিদ্র মানুষের জমিদার ও রাষ্ট্রবিরোধী প্রতিবাদী সংগ্রামের রূপ পরিগ্রহ করে।

গুরুত্ব – পরবর্তী আন্দোলন গুলির উপর ওয়াহাবি আন্দোলনের যথেষ্ট প্রভাব পড়েছিল। এই আন্দোলনের হাত ধরেই সর্বপ্রথম মুসলিম সমাজের সংস্কার শুরু হয়। ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে মতাদর্শ গড়ে তুলে এটি ব্রিটিশ বিরোধী সশস্ত্র রূপ পরিগ্রহ করে, যা আগামী দিনের নতুন পথের সন্ধান দিয়েছিল।


৬. দুদু মিঞা স্মরণীয় কেন ? 

উত্তরঃ-  ভূমিকা : ভারতে উনিশ শতকে মুসলিম সমাজের পুনরুজ্জীবন ও সংস্কার সাধনের লক্ষ্যে গড়ে ওঠা ফরাজি আন্দোলনের জনক শরিয়ত উল্লাহের মৃত্যুর পর আন্দোলনের দায়িত্ব নেন তাঁর পুত্র দুদু মিঞা ( ১৮৩৭–১৮৬২ খ্রিস্টাব্দ ) ।

দুদু মিঞা ও ফরাজি আন্দোলন : 
দুদু মিঞার প্রকৃত নাম মহম্মদ মহসীন । ইতিহাসে তিনি যেসব কারণে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন , সেগুলি হল আন্দোলনের প্রাণপুরুষ : দুদু মিঞার নেতৃত্বেই পূর্ববঙ্গের অত্যাচারী জমিদার , নীলকর ও তাদের কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ফরাজি আন্দোলন আরও সুসংহতভাবে পরিচালিত হয় । তার নেতৃত্বে ফরাজি আন্দোলন ধর্মসংস্কার আন্দোলন থেকে ধর্মীয় – সামাজিক রাজনৈতিক আন্দোলনের রূপ নেয় । 

দুদু মিঞার আহ্বান : 
দুদু মিঞা ঘোষণা করেন , ‘ জমির মালিক আল্লাহ , তাই জমিদারদের খাজনা আদায় করার কোনো অধিকার নেই । ‘ তিনি তার সমর্থকদের কাছে জমিদারদের খাজনা দেওয়ার , নীলচাষ না করার এবং বিদেশি শাসক ইংরেজদের অগ্রাহ্য করার আহ্বান জানান । তার এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে পূর্ববঙ্গের লক্ষ লক্ষ দরিদ্র কৃষক তাঁর শিষ্যত্ব গ্রহণ করে । 

ফরাজি – খিলাফত : 
দুদু মিঞা ফরাজি খিলাফত নামে একটি প্রশাসন গড়ে তোলেন । এই প্রশাসনের শীর্ষে ছিলেন তিনি স্বয়ং । তাঁকে বলা হত ওস্তাদ ( শীর্ষ প্রশাসক ) । তাঁর সাহায্যকারীদের বলা হত খলিফা । প্রশাসনিক কার্যকে সুষ্ঠুভাবে চালানোর জন্য তিনি সমগ্র পূর্ববঙ্গকে কয়েকটি অঞ্চল বা হল্কায় ভাগ করেন এবং প্রত্যেক হল্কায় একজন করে খলিফা নিযুক্ত করেন । দুদু মিঞার নির্দেশমতো নিজের এলাকার কৃষকদের সংগঠিত করা , জমিদার ও নীলকরদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো এবং আসন্ন সংগ্রামের প্রস্তুতি হিসেবে অর্থ সংগ্রহ করা ছিল খলিফাদের প্রধান কাজ । 

জমিদার ও নীলকরদের আক্রমণ : 
লাঠিয়াল ও গুপ্তচর বাহিনী গঠন করে দুদু মিঞা নিজ প্রভাবাধীন এলাকায় কৃষকদের ঐক্যবদ্ধ করে জমিদার ও নীলকরদের আক্রমণ করেন । জমিদার ও নীলকরদের প্রচেষ্টায় ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে দুদু মিঞাকে ব্রিটিশ সরকার গ্রেপ্তার করে তাঁকে জেলে বন্দি করে । উচ্চতর আদালতের নির্দেশে তিনি ছাড়া পান । 

মূল্যায়ন : 
দুদু মিঞা ফরাজি আন্দোলনকে ধর্মীয় বৃত্তের বাইরে বের করে যেভাবে একটি সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করেন সেজন্য তিনি ভারতবাসীর মনে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন ।


৭.  নীলবিদ্রোহের কারণ ও ফলাফল আলোচনা করো।
উত্তরঃ-  
ভূমিকা – ঊনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে নীলচাষিদের উপর নীলকর সাহেবদের অমানুষিক অত্যাচার ও নির্মম শোষণের বিরুদ্ধে নীলচাষিদের সংঘবদ্ধ আন্দোলনকে নীলবিদ্রোহ বলা হয়।

নীলবিদ্রোহের কারণ –

নীলচাষের পদ্ধতি – নীলকররা জমিদারদের মোটা টাকা নি দিয়ে দীর্ঘদিনের জন্য জমি ভাড়া নিয়ে ভাড়াটিয়া শ্রমিকদের ড দিয়ে নীলচাষ করাত তাকে বলা হয় ‘এলাকা চাষ’। এই চাষে সমস্যা ছিল গরীব চাষিদের নিরক্ষতার সুযোগ নিয়ে য কম টাকা দাদন দিয়ে বেশি টাকার চুক্তি করে তাদের দিয়ে নীলচাষ করতে বাধ্য করত।

নীলকর সাহেবদের অত্যাচার – নীলকররাই ছিল ক কৃষকদের প্রতিপক্ষ। নীলকরদের অত্যাচার, লুণ্ঠন, শোষণ, দৌরাত্ম, ব্যভিচার লাম্পট্য ছিল এই বিদ্রোহের অন্যতম কারণ।

নীলকরদের সরকারি সমর্থন – ১৮৩৩ খ্রিস্টাব্দের সনদ আইনে শ্বেতাঙ্গদের জমি কেনার অধিকার দেওয়া হয়। তারও আগে সরকার দাদনি প্রথাকে সমর্থন জানালে তীব্র জনরোষের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। একাদশ আইনে দাদন গ্রহণকারী কৃষকদের যে নীলচাষ করতে বাধ্য করা হয়।

দস্তুরি প্রথা ও নীলের কম দাম প্রদান – নীলর দেওয়ার সময় দাদনের কিস্তি ও সুদের টাকা নীলকররা কে রাখত। একে বলা হত দস্তুরি প্রথা। রায়তদের উৎপাদিত নীলের দাম দেওয়া হত ২ টাকা ৮ আনা অথচ সেই নীলের বাজার দর ছিল ১০ টাকা অর্থাৎ প্রতি কেজি নীলে কৃষকদের ৭ টাকা ৮ আনা ঠকানো হত।

পঞ্চম আইন – লর্ড বেন্টিঙ্ক ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দে পঞ্চম আইন পাস করেন। এই আইনে বলা হয় দাদন নিয়ে নীলচাষ না করলে তা বে-আইনি বলে গণ্য হবে এবং অপরাধির জেল হবে।

পক্ষপাতদুষ্ট বিচারব্যবস্থা – নীলকরদের বিরুদ্ধে সরকারি আছালনে নালিশ করার উপায় ছিল না। নালিশ করলেও শ্বেতাঙ্গ ম্যাজিস্ট্রেটরা স্ব-জাতীয় শ্বেতাঙ্গ নীলকরদের প্রতি পক্ষপাত দেখাতেন। মফসসলে ভারতীয় বিচারকরা শ্বেতাশ নীলকরদের বিচার করতে পারত না।

এছাড়াও নীলকরদের নিষ্ঠুরতা, তাদের তৈরি লাঠিয়াল, পাইক বরকন্দাজ বাহিনীর অত্যাচার, নীলচাষিদের বন্দি করে। খাদ্যজল বন্ধ করে দেওয়া, এই বিদ্রোহের অন্যতম কারণ।

দ্বিতীয় অংশ –

নীল বিদ্রোহের ফলাফল – নীল বিদ্রোহের ফলে —

নীল কমিশন গঠন – ১৮৬০ খ্রিস্টাব্দে নীল কমিশন গঠিত হয়। ১৮৬৮ খ্রিস্টাব্দে অষ্টম আইন দ্বারা ‘নীলচুক্তি আইন’ রদ করে নীলচাষকে চাষিদের ইচ্ছাধীন করা হয়। নীলকররা নীলচাষ থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয়। কৃষকদের জয় প্রতিষ্ঠা হয়, বাঙালি জাতির মনোবল বৃদ্ধি পায়, পরোক্ষভাবে জাতীয় চেতনার উন্মেষ ঘটায়।

মহাজনদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা – Blaim Kling তাঁর Blue Mutiny গ্রন্থে দেখান যে, নীলকর সাহেবদের পতনের ফলে নিম্নবঙ্গের কর্তৃত্ব সুদখোর মহাজনদের হাতে চলে যায়। ড. বিনয়ভূষণ চৌধুরি এই মতের অসারতা প্রমাণ করেছেন।

কৃষক ও শিক্ষিত সম্প্রদায়ের ঐক্য – নীল বিদ্রোহের ফলেই বাংলায় কৃষক জমিদার শিক্ষিত মধ্যবিত্ত সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়। অমৃতবাজার পত্রিকায় লেখা হয়েছিল — এই বিদ্রোহ বাঙালির শিরায় স্বাধীনতার উয় শোণিত প্রবাহিত করে। লর্ড ক্যানিং মহাবিদ্রোহের থেকেও নীলবিদ্রোহকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছেন।

নীলবিদ্রোহের সাফল্যে বাংলার কৃষককুল অসাধারণ নৈতিক শক্তিলাভ করে। ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে কোম্পানির শাসনের অবসানের পর নীলবিদ্রোহ ব্রিটিশরাজের বিরুদ্ধে প্রথম সংঘবদ গণবিদ্রোহ। অমৃতবাজার পত্রিকায় শিশির কুমার ঘোষ লেখেন যে, নীলবিদ্রোহই সর্বপ্রথম ভারতবাসীকে সংঘবদ্ধ রাজনৈতিক আন্দোলনের প্রয়োজনীয়তা শিখিয়েছিল।


৮.  ফরাজি ও ওয়াহাবি আন্দোলনের পার্থক্যগুলি ম আলোচনা করো ।
উত্তরঃ-  ভূমিকা : ভারতে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসন প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপটে উনিশ শতকে ইসলামীয় পুনরুজ্জীবনের জন্য যে সমস্ত আন্দোলন হয়েছিল তার মধ্যে ফরাজি ও ওয়াহাবি আন্দোলন ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ । 

পার্থক্য : দুটি আন্দোলনের মধ্যে যথেষ্ট মিল থাকলেও উভয় আন্দোলনের মধ্যে যথেষ্ট পার্থক্য লক্ষ করা যায় , যেমন 

ব্রিটিশ বিরোধিতা : ওয়াহাবি আন্দোলন তথা তিতুমিরের আন্দোলন যতটা ইংরেজ – বিরোধী ছিল ফরাজি আন্দোলন ততটা ছিল না । তিতুমির ব্রিটিশ শাসনের উচ্ছেদের পক্ষে ছিলেন । অন্যদিকে , দুদু মিঞা সরকারের কাছে এক আর্জিতে জানান যে , জমিদার ও নীলকরদের বিরুদ্ধে তাদের সংগ্রাম , ব্রিটিশ রাজ সম্পর্কে তাদের কোনো বিদ্বেষ নেই । 

স্বাধীনতার ধারণা : তিতুমির ব্রিটিশ শাসনকে গুরুত্ব না দিয়ে স্বাধীন ওয়াহাবি রাজ্য ঘোষণা করেন । অন্যদিকে , দুদু মিঞা খিলাফত প্রশাসন নামক একটি স্বশাসিত প্রশাসন গড়ে তোলেন । 

আন্দোলনের পরিধি : ফরাজি আন্দোলন মূলত বাংলাদেশে বিস্তার লাভ করেছিল কিন্তু ওয়াহাবি আন্দোলনের পরিধি ছিল অনেক বিস্তৃত । 

ধর্মীয় আচরণ : ওয়াহাবিদের বলা হত জুম্মাওয়ালা , কেননা তাঁরা নামাজ ও জুম্মা পাঠ করতেন । অন্যদিকে ফরাজিদের বলা হত বে – জুম্মাওয়ালা । কারণ তাঁদের মতে , ইংরেজ অধিকৃত ভারতবর্ষ ছিল ‘ দার – উল – হারব ‘ । সুতরাং এই অবস্থায় ভারতে জুম্মা প্রার্থনা উচিত নয় বলে তাঁরা মনে করতেন । 

সাম্যের ধারণা : ওয়াহাবিরা প্রত্যেক ওয়াহাবিকে সমান মনে না করলেও ফরাজি মতে সকল ফরাজি ছিল সমান । শীর্ষ নেতৃত্ব তিতুমির ও তাঁর অনুগামীরা সৈয়দ আহম্মদকে গুরু বলে মনে করতেন , কিন্তু ফরাজিরা সৈয়দ আহম্মদের গুরু শাহ ওয়ালিউল্লাহের মতাবলম্বী ছিল । 

মূল্যায়ন : দুটি আন্দোলনের মধ্যে কিছু কিছু পার্থক্য থাকলেও এই আন্দোলন দুটির হাত ধরেই মুসলমান সমাজের সংস্কার শুরু হয় যা পরবর্তীকালের আন্দোলনগুলির পথপ্রদর্শক রূপে চিহ্নিত হয়ে আছে ।

৯. ফরাজি ও ওয়াহাবি আন্দোলনের মধ্যে সাদৃশ্যগুলি আলোচনা করো ।
উত্তরঃ-  ভূমিকা : ভারতে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসন প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপটে উনিশ শতকে ইসলামীয় পুনরুজ্জীবনের জন্য যে সমস্ত আন্দোলন হয়েছিল তার মধ্যে ফরাজি ও ওয়াহাবি আন্দোলন ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ । ফরাজি ও ওয়াহাবি আন্দোলনের মধ্যে যথেষ্ট পার্থক্য থাকলেও উভয় আন্দোলনের মধ্যে যথেষ্ট সাদৃশ্য পরিলক্ষিত হয় । 

বহিরাগত ধারণা : দুটি আন্দোলনেরই প্রেরণা আসে ভারতের বাইরে থেকে । ফরাজি আন্দোলনের প্রবর্তক হাজি শরিয়ত উল্লাহ মক্কা থেকে ফিরে এসে ইসলাম ধর্মের আদিম ও অকৃত্রিম আদর্শে মনোনিবেশ করেন ; অন্যদিকে ওয়াহাবি আন্দোলনের প্রবর্তক ইবন আব্দুল ওয়াহাব যিনি ছিলেন আরব দেশের ধর্ম সংস্কারক অর্থাৎ এই আন্দোলনের সূত্রপাতও আরব দেশে । 

ইসলামের পুনরুজ্জীবন : দুটি আন্দোলনই ছিল ইসলাম ধর্মের পুনরুজ্জীবনবাদী আন্দোলন । ইসলাম ধর্মের কু – প্রথা দূর করে শুদ্ধিকরণের মাধ্যমে এই ধর্মের পুনরুজ্জীবন ছিল দুটি আন্দোলনেরই লক্ষ্য । 

সামন্ততন্ত্রের বিরোধিতা : আর্থসামাজিক দিক থেকে দুটি আন্দোলনই ছিল সামন্ততন্ত্র – বিরোধী । দুটি আন্দোলনেই ধর্মীয় জাগরণের মধ্যে আর্থসামাজিক শোষণ থেকে মুক্তির পথ খোঁজা হয়েছিল । 

সাম্প্রদায়িক ধারণায় আক্রান্ত : দুটি আন্দোলনেই পরবর্তীকালে সাম্প্রদায়িক প্রভাব ভীষণভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল । একদিকে তিতুমিরের আন্দোলনে যেমন সাম্প্রদায়িক মনোভাব ছিল তেমনি ফরাজি আন্দোলনের নেতা নোয়া মিঞার আন্দোলনের একইরকম সাম্প্রদায়িক ভাবধারা পরিলক্ষিত হয় । 

অলৌকিক ব্যক্তিত্ব আরোপ : ফরাজি ও ওয়াহাবি দুটি আন্দোলনে দুদু মিঞা ও তিতুমির উভয়ই নিজেদের অলৌকিক শক্তির অধিকারী বলে মনে করতেন । 

ব্রিটিশ – বিরোধিতা : দুটি আন্দোলনেই ব্রিটিশ – বিরোধিতা লক্ষ করা যায় । তবে ফরাজি আন্দোলনে ওয়াহাবিদের মতো তীব্র ব্রিটিশ – বিরোধিতা ছিল না । সন্ত্রাসের আশ্রয় : উভয় আন্দোলনের মধ্যেই নিজেদের মতবাদ মতাদর্শ চাপিয়ে দেওয়ার জন্য স্ব – ধর্মাবলম্বী মুসলমানদের ওপর জোরজুলুম করা হয় । বিরোধী মুসলমানদের দমন করার জন্য উভয় আন্দোলনের আন্দোলনকারীরাই সন্ত্রাসের আশ্রয় নেয় । 

নিম্নবর্গের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ : দুটি আন্দোলনেই দরিদ্র কৃষক , জোলা সম্প্রদায়ের অভূতপূর্ব অংশগ্রহণ লক্ষ করা যায় , যাদের উদ্দেশ্য ছিল শোষণের হাত থেকে মুক্তি । মূল্যায়ন : ফরাজি ও ওয়াহাবি আন্দোলনের মধ্যে যথেষ্ট সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য পরিলক্ষিত হলেও ব্রিটিশ – শাসিত ভারতে দুটি আন্দোলনই ছিল গুরুত্বপূর্ণ । 


১০.  মুন্ডা বিদ্রোহীরা কেন খ্রিস্টান মিশনারিদের ওপর ক্ষুদ্ধ হয়েছিল? মাঝিহাম মানে কী? ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে শেষ উল্লেখযোগ্য উপজাতি বিদ্রোহ কোনটি?
উত্তরঃ-  
মুন্ডারা ছিলেন অত্যন্ত ধর্মভীরু মানুষ। ব্রিটিশ সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গে খ্রিস্টান মিশনারিরা মুন্ডাদের ধর্ম অর্থাৎ মুন্ডারি ধর্ম ও ঐতিহ্যের বিরুদ্ধে তীব্র প্রচার চালায়। খ্রিস্টান মিশনারিরা নানা প্রলোভন দেখিয়ে, ভয় দেখিয়ে, লোভ দেখিয়ে মুন্ডাদের খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষিত করে ধর্মান্তরিত করতে থাকলে মুন্ডারি ধর্মের ধারক ও বাহক মুন্ডারা তাদের ওপর অসম্ভব ক্ষুব্ধ হয়। এই পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হল মুন্ডা বিদ্রোহ। মিশনারিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল লুথারান ও অ্যাংলিকান গোষ্ঠী। স্বাভাবিক কারণেই মুন্ডাদের আক্রমণের অন্যতম লক্ষ্য ছিল খ্রিস্টান মিশনারিরা।

মাঝিহাম মানে খাসজমি। মুন্ডাদের এলাকায় বহিরাগত ঠিকাদার, মহাজন ও জমিদার শ্রেণি ওই অঞ্চলের জমি (ভূঁইহারি জমি) থেকে মুন্ডাদের বিতাড়িত করে সেগুলি নিজেদের খাসজমিতে পরিণত করে। এইরূপ জমিই মাঝিহাম নামে পরিচিত। ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে শেষ উপজাতি বিদ্রোহ হল মুণ্ডা বিদ্রোহ (১৮৯৯-১৯০০ খ্রিস্টাব্দ)।



Related searches
দশম শ্রেণির ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর / ক্লাস 10 ইতিহাস অধ্যায় 1 প্রশ্ন এবং উত্তর / দশম শ্রেণীর প্রশ্ন উত্তর ইতিহাস / দশম শ্রেণির ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর তৃতীয় অধ্যায় / দশম শ্রেণির ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ / দশম শ্রেণির ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর 2023, 2024, 2025, 2026, 2027, 2028, 2029, 2030, 2031, 2032, 2033, 2034, 2035, 2036, 2037, 2038, 2039, 2040 /  দশম শ্রেণীর ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর / দশম শ্রেণীর প্রশ্ন উত্তর ইতিহাস / দশম শ্রেণির ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর দশম অধ্যায় / দশম শ্রেণীর ইতিহাস বই pdf / দশম শ্রেণির ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর তৃতীয় অধ্যায় / দশম শ্রেণির ইতিহাস বই

  • দশম শ্রেণী ইতিহাসের তৃতীয় অধ্যায় : প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ / Protirodh O Bidroho Boisisto O Bisleson প্রশ্ন উত্তর
  • প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ / Protirodh O Bidroho Boisisto O Bisleson (তৃতীয় অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History  Protirodh O Bidroho Boisisto O Bisleson Question and Answer
  • মাধ্যমিক ইতিহাস | Madhyamik History Question and Answer
  • মাধ্যমিক ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তর | Madhyamik History Chapter 3 Question Answer 
  • প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ / Protirodh O Bidroho Boisisto O Bisleson (তৃতীয় অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর
  • প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ / Protirodh O Bidroho Boisisto O Bisleson (তৃতীয় অধ্যায়) সব প্রশ্ন ও উত্তর
  • মাধ্যমিক ইতিহাস - প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ / Protirodh O Bidroho Boisisto O Bisleson - তৃতীয় অধ্যায়
  • মাধ্যমিক ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় ইতিহাসের ধারনা MCQ প্রশ্ন-উত্তর
  • ইতিহাসের ধারনা (তৃতীয় অধ্যায়) | মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন
  • মাধ্যমিক ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় 'প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ / Protirodh O Bidroho Boisisto O Bisleson' মক টেস্ট
  • মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন - তৃতীয় অধ্যায় – প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ / Protirodh O Bidroho Boisisto O Bisleson
  • Class 10 History Mcq Chapter 3 solution 

Some Information about this article  : 

WBBSE Class 10th History Question and Answer  | West Bengal West Bengal Class Ten / Madhyamik  X (Class 10th) History Qustions and Answers with Suggestion | Madhyamik History  Protirodh O Bidroho Boisisto O Bisleson Sugession 

দশম শ্রেণীর ইতিহাস সাজেশন প্রশ্ন ও উত্তর   
” দশম শ্রেণীর  ইতিহাস – প্রশ্ন উত্তর  “ সমস্ত অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর দশম শ্রেণীর পরীক্ষা (West Bengal Class Ten / Madhyamik  X  / WB Class 10  / WBBSE / Class 10  Exam / West Bengal Board of Secondary Education – WB Class 10 Exam / Class 10 Class 10th / WB Class X / Class 10 Pariksha  ) এখান থেকে প্রশ্ন অবশ্যম্ভাবী । সে কথা মাথায় রেখে Historybd.in এর পক্ষ থেকে দশম শ্রেণীর ইতিহাস পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং প্রশ্ন ও উত্তর (Class 10 History Suggestion / Class 10 History Question and Answer / Class X History Suggestion / Class 10 Pariksha History Suggestion  / History Class 10 Exam Guide  / Class 10th History MCQ , Short , Descriptive  Type Question and Answer  / Class 10 History Suggestion  FREE PDF Download) উপস্থাপনের প্রচেষ্টা করা হলাে। ছাত্রছাত্রী, পরীক্ষার্থীদের উপকারেলাগলে, আমাদের প্রয়াস দশম শ্রেণীর ইতিহাস পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং প্রশ্ন ও উত্তর

 (Class 10 History Suggestion / West Bengal X Question and Answer, Suggestion / WBBSE Class 10th History Suggestion  / Class 10 History Question and Answer  / Class X History Suggestion  / Class 10 Pariksha Suggestion  / Class 10 History Exam Guide  / Class 10 History Suggestion 2021 , 2022, 2023, 2024, 2025, 2026, 2027, 2028, 2029, 2030, 2021, 2020, 2019, 2017, 2016, 2015, 2031, 2032, 2033, 2034, 2035, 2036, 2037, 2038, 2039, 2040 /  Class 10 History Suggestion  MCQ , Short , Descriptive  Type Question and Answer. / Class 10 History Suggestion  FREE PDF Download) সফল হবে।


দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History  Protirodh O Bidroho Boisisto O Bisleson Question and Answer  

দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Class 10 History Question and Answer Suggestion  দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর।

দশম শ্রেণীর ইতিহাস MCQ প্রশ্ন ও উত্তর

দশম শ্রেণীর ইতিহাস MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | Class 10 History MCQ or Multiple Choice Question and Answer |  দশম শ্রেণীর ইতিহাস MCQ প্রশ্ন উত্তর।


 দশম শ্রেণীর ইতিহাস SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | দশম শ্রেণির ইতিহাস

দশম শ্রেণীর ইতিহাস SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | Class 10 History Short Question and Answer |  দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর  – SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর।

দশম শ্রেণীর ইতিহাস DTQ বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | ষষ্ঠ শ্রেণী ইতিহাস 

দশম শ্রেণীর ইতিহাস – DTQ বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর | Class 10 History Suggestion  দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর  – DTQ বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর।

পশ্চিমবঙ্গ দশম শ্রেণির ইতিহাস  – প্রশ্ন উত্তর | West Bengal Madhyamik History  Protirodh O Bidroho Boisisto O Bisleson Question and Answer

দশম শ্রেণীর ইতিহাস (Class 10 History) – প্রশ্ন ও উত্তর | | Class 10 History Suggestion  দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর  – প্রশ্ন উত্তর ।

দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর  | ষষ্ঠ শ্রেণি ইতিহাস | WB Class 10 History Question and Answer, Suggestion 

দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – | দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – | পশ্চিমবঙ্গ দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – | দশম শ্রেণীর ইতিহাস সহায়ক প্রশ্ন ও উত্তর । WB Class 10 History Question and Answer, Suggestion | WBBSE Class 10th History Suggestion  | WB Class 10 History Question and Answer Notes  | West Bengal WB Class 10th History Question and Answer Suggestion. 

দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | WBBSE Class 10 History Question and Answer, Suggestion

দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Class 10 History Suggestion. দশম শ্রেণীর ইতিহাস সহায়ক প্রশ্ন ও উত্তর । Class 10 History Question and Answer, Suggestion.

Class 10 History Question and Answer Suggestions  | দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | ষষ্ঠ শ্রেণি ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর 


Class 10 History Question and Answer  দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর  Class 10 History Question and Answer দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – MCQ, সংক্ষিপ্ত, রোচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর  । 

WBBSE Class 10th History Suggestion  | দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর

WBBSE Class 10th History Suggestion দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর । WBBSE Class 10th History Suggestion  দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর।

West Bengal Class 10  History Suggestion  Download. WBBSE Class 10th History short question suggestion  . Class 10 History Suggestion   download. Class 10th Question Paper  History. WB Class 10  History suggestion and important question and answer. Class 10 Suggestion pdf.

পশ্চিমবঙ্গ দশম শ্রেণীর  ইতিহাস পরীক্ষার সম্ভাব্য সাজেশন ও শেষ মুহূর্তের প্রশ্ন ও উত্তর ডাউনলোড। দশম শ্রেণীর ইতিহাস পরীক্ষার জন্য সমস্ত রকম গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর।

Get the WBBSE Class 10th History Question and Answer by Historybd.in
WBBSE Class 10th History Question and Answer prepared by expert subject teachers. WB Class 10  History Suggestion with 100% Common in the Examination .

Class 10th History Syllabus 

West Bengal Board of Secondary Education (WBBSE) Class 10th History Syllabus with all the important chapters and marks distribution. Download the Class 10th History Syllabus and Question Paper. Questions on the History exam will come from these chapters. All the chapters are equally important, so read them carefully.

WB Class 10th History Syllabus Free Download Link Click Here 

Class 10th Ten (Secondary) X History Suggestion | West Bengal WBBSE Class 10 Exam 
Class 10 History Question and Answer, Suggestion Download PDF: WBBSE Class 10th Ten (Secondary) X History Suggestion  is proXded here. West Bengal Class 10th History Suggestion Questions Answers PDF Download Link in Free has been given below. 

দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | WBBSE Class 10th History

আশাকরি তোমাদের দশম ক্লাসের প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ অধ্যায় থেকে সকল প্রশ্ন ও উত্তর কমপ্লিট হয়েছে। আমরা আমাদের সর্বাঙ্গীণ প্রচেষ্টা করেছি তোমাদের এই দশম শ্রেণীর প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ অধ্যায় থেকে সব প্রশ্ন উত্তর দেওয়ার জন্য, এখন কাজ হল তোমাদের বাড়িতে পড়ার । পড়তে থাকো , প্র্যাকটিস করতে থাকো, প্র্যাকটিস মানুষকে উত্তম করে তোলে। যত পড়বে তত শিখবে, ততই জ্ঞানী হবে। 

তোমাদের দশম ক্লাসের  প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ অধ্যায়ের প্রাকটিসের জন্য আমাদের কুইজে অংশগ্রহণ করতে পারো, সম্পূর্ণ ফ্রিতে, নিচে লিঙ্ক দেওয়া আছে কুইজে অংশ নিতে পারো।

ক্লাস দশম এর অন্যান্য অধ্যায় গুলি সম্পর্কে আরও পড়তে চাইলে নিচে অধ্যায় অনুযায়ী লিঙ্ক দেওয়া আছে, লিঙ্কে ক্লিক করে ক্লাস দশম এর অন্য অধ্যায় গুলি পড়ে নাও। আমাদের পরিসেবা তোমাদের ভালো লাগলে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি ফলো করতে পারো।

Post a Comment

0 Comments

Top Post Ad

Below Post Ad