Type Here to Get Search Results !

দশম শ্রেণী ইতিহাস - (চতুর্থ অধ্যায়) "সংঘবব্ধতার গোড়ার কথা : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ" প্রশ্ন উত্তর | WBBSE Madhyamik History Chapter 4 "Songhobodhotar Gorar Kotha, Boisisto O Bisleson" Question and Answer

দশম  শ্রেণীর ইতিহাস – সংঘবব্ধতার গোড়ার কথা : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ (চতুর্থ অধ্যায়) - WBBSE Class 10 Madhyamik History Chapter 4 Question and Answer 

মাধ্যমিক ইতিহাস – "সংঘবব্ধতার গোড়ার কথা : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ  (Songhobodhotar Gorar Kotha, Boisisto O Bisleson)" (চতুর্থ অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History Chapter 4 Question and Answer 

দশম শ্রেণীর ইতিহাস সাজেশন – সংঘবব্ধতার গোড়ার কথা : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ  (Songhobodhotar Gorar Kotha, Boisisto O Bisleson) – সমস্ত প্রশ্ন উত্তর | সংঘবব্ধতার গোড়ার কথা : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ  (Songhobodhotar Gorar Kotha, Boisisto O Bisleson) অধ্যায়ের সাজেশন প্রশ্ন উত্তর | 

WBBSE Class 10 Madhyamik History Chapter 4 Question and Answer | WBBSE Class 10th History Suggestion PDF | Madhyamik History Suggestion Chapter 4 | সংঘবব্ধতার গোড়ার কথা : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ  (Songhobodhotar Gorar Kotha, Boisisto O Bisleson) (চতুর্থ অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর

West Bengal  Class 10 / WBBSE Madhyamik History Solution Chapter 4

West Bengal  Board Class 10 / WBBSE Madhyamik History (ইতিহাস) Textbook Solution Chapter 4 সংঘবব্ধতার গোড়ার কথা : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ  (Songhobodhotar Gorar Kotha, Boisisto O Bisleson) Question Answers by WBBSE Expert Teacher. West Bengal Board Class 10 / WBBSE Madhyamik History Solution Chapter 4. Madhyamik History Songhobodhotar Gorar Kotha, Boisisto O Bisleson Question and Answer Mock Test. 

500+ দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর / সংঘবব্ধতার গোড়ার কথা : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ  (Songhobodhotar Gorar Kotha, Boisisto O Bisleson) (চতুর্থ অধ্যায়) MCQ, সংক্ষিপ্ত, অতি সংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর | দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – West Bengal ক্লাস 10 / Madhyamikth History Question and Answer

হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছো তোমরা ? আশাকরি তোমরা খুব ভালো আছো । আজকে আমরা আলোচনা করবো তোমাদের দশম ক্লাসের চতুর্থ অধ্যায় সংঘবব্ধতার গোড়ার কথা : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ সম্পর্কে । এই চতুর্থ অধ্যায়টি তোমাদের পরীক্ষার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ তাই চতুর্থ অধ্যায় এর সংঘবব্ধতার গোড়ার কথা : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আমরা এই লিখাটির মাধ্যমে দশম শ্রেণীর  চতুর্থ অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর, এই সংঘবব্ধতার গোড়ার কথা : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ অধ্যায়ের সাজেশন , কিকরে এই অধ্যায় থেকে উত্তর লিখতে হয়। দশম শ্রেণীর সংঘবব্ধতার গোড়ার কথা : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ অধ্যায় থেকে কিভাবে পড়বে সবকিছুই আলোচনা করবো। 

দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | WBBSE ক্লাস 10 / Madhyamikth History Question and Answer / দশম শ্রেণীর ইতিহাস – সংঘবব্ধতার গোড়ার কথা : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ  (Songhobodhotar Gorar Kotha, Boisisto O Bisleson) (চতুর্থ অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal ক্লাস 10 / Madhyamik History / দশম শ্রেণীর ইতিহাস – চতুর্থ অধ্যায় "সংঘবব্ধতার গোড়ার কথা : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ  (Songhobodhotar Gorar Kotha, Boisisto O Bisleson)" প্রশ্ন ও উত্তর | WBBSE ক্লাস 10 / Madhyamikth History Question and Answer / দশম শ্রেণির ইতিহাস (চতুর্থ অধ্যায়) সংঘবব্ধতার গোড়ার কথা : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ  (Songhobodhotar Gorar Kotha, Boisisto O Bisleson) প্রশ্ন উত্তর (MCQ, SAQ, LAQ)/ক্লাস 10 / Madhyamik History Fourth chapter questions and Answers (MCQ, SAQ, LAQ) / দশম শ্রেণির আমাদের পৃথিবী চতুর্থ অধ্যায় সংঘবব্ধতার গোড়ার কথা : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ  (Songhobodhotar Gorar Kotha, Boisisto O Bisleson) | Class Ten / WBBSE Madhyamik Amader Prithibi / দশম শ্রেণীর ইতিহাস – সংঘবব্ধতার গোড়ার কথা : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ  (Songhobodhotar Gorar Kotha, Boisisto O Bisleson) (চতুর্থ অধ্যায়)

সংঘবব্ধতার গোড়ার কথা : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ  (Songhobodhotar Gorar Kotha, Boisisto O Bisleson) (চতুর্থ অধ্যায়) MCQ, সংক্ষিপ্ত, অতি সংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর | দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – West Bengal ক্লাস 10 / Madhyamikth History Question and Answer
দশম  শ্রেণীর ইতিহাস – সংঘবব্ধতার গোড়ার কথা : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ (চতুর্থ অধ্যায়) - WBBSE Class 10 Madhyamik History Chapter 4 Question and Answer

দশম শ্রেণীর ইতিহাস – সংঘবব্ধতার গোড়ার কথা : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ  (Songhobodhotar Gorar Kotha, Boisisto O Bisleson) (চতুর্থ অধ্যায়) সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো । WBBSE ক্লাস 10 / Madhyamikth History 4th Chapter MCQ Questions and Answers | Madhyamik History Songhobodhotar Gorar Kotha, Boisisto O Bisleson MCQ Question and Answer

সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো | MCQ Questions and Answers (Class Ten / WBBSE Madhyamik History Fourth chapter)

সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো ; প্রতিটি প্রশ্নের মান -১

১. ভারতমাতা’ ছবিটির স্রষ্টা
(ক) অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর 
(খ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 
(গ) গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর 
(ঘ) নন্দলাল বসু
উত্তরঃ-  (ক) অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২. বন্দেমাতরম’ সংগীতটি নেওয়া হয়েছে
(ক) “গোরা’ থেকে 
(খ) বর্তমান ভারত থেকে 
(গ) ‘আনন্দমঠ’ থেকে 
(ঘ) ‘জীবনস্মৃতি থেকে
উত্তরঃ-  (গ) ‘আনন্দমঠ’ থেকে

৩. সিপাহি বিদ্রোহের প্রথম ঘটনাস্থল ছিল— 
(ক) মিরাট 
(খ) ঝাঁসি 
(গ) কানপুর
(ঘ) ব্যারাকপুর
উত্তরঃ-  (ঘ) ব্যারাকপুর

৪. ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের ২৯ মার্চ ব্যারাকপুর সেনানিবাসে প্রথম বিদ্রোহ ঘোষণা করেন –
(ক) কুনওয়ার সিং
(খ) লরেন্স 
(গ) মঙ্গল পান্ডে 
(ঘ) নানাসাহেব
উত্তরঃ-  (গ) মঙ্গল পান্ডে

৫. ‘ বর্তমান ভারত ’ প্রথম প্রকাশিত হয়— 
(ক) চন্দ্রভানু পত্রিকায় 
(খ) দিগদর্শনে
(গ) উদ্বোধন পত্রিকায় 
(ঘ) হিকির গেজেটে
উত্তরঃ-  (গ) উদ্বোধন পত্রিকায়

৬. জমিদার সভা ছিল একটি – 
(ক) সামাজিক সংগঠন
(খ) রাজনৈতিক সংগঠন
(গ) অরাজনৈতিক সংগঠন । 
(ঘ) ভারত সচিব
উত্তরঃ-  (খ) রাজনৈতিক সংগঠন

৭. সিপাহি বিদ্রোহের সময় ভারতের গভর্নর জেনারেল ছিলেন—
(ক) লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক
(খ) লর্ড এডিনবরা
(গ) লর্ড ডালহৌসি
(ঘ) লর্ড ক্যানিং
উত্তরঃ-  (ঘ) লর্ড ক্যানিং

৮. গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর কোন শিল্পকর্মের জন্য বিখ্যাত ? 
(ক) ব্যঙ্গচিত্র 
(খ) প্রাকৃতিক চিত্র 
(ঘ) মিনিয়েচার 
(গ) তেল – রংয়ে চিত্র 
উত্তরঃ-  (ক) ব্যঙ্গচিত্র

৯. মহাবিদ্রোহের পর ভারতের শাসনভার গ্রহণ করেন 
(ক) মহারানি ভিক্টোরিয়া 
(খ) ভাইসরয় 
(গ) লর্ড মাউন্টব্যাটেন 
(ঘ) ভারত সচিব
উত্তরঃ-  (ক) মহারানি ভিক্টোরিয়া

১০. নানা সাহেবের প্রকৃত নাম কী ? 
(ক) গোবিন্দ সিং 
(খ) গোবিন্দ ধন্দু পন্থ
(গ) হজরত মহল 
(ঘ) আব্দুল ওয়াহাব
(ক) লর্ড মাউন্টব্যাটেন 
উত্তরঃ-  (খ) গোবিন্দ ধন্দু পন্থ

১১. ভারতের প্রথম ভাইসরয় ছিলেন –
(ক) লর্ড মাউনটব্যাটেন
(খ) লর্ড এলগিন
(গ) লর্ড ক্যানিং
(ঘ) লর্ড ক্লাইভ 
উত্তরঃ-  (গ) লর্ড ক্যানিং

১২. মহারানির ঘোষণাপত্র জারি হয়েছিল ১৮৫৮ সালের 
(ক) ১০ নভেম্বর 
(খ) ১ সেপ্টেম্বর 
(গ) ৭ সেপ্টেম্বর 
(ঘ) ১ নভেম্বর 
উত্তরঃ-  (ঘ) ১ নভেম্বর 

১৩. কোম্পানির আমলের শেষ গভর্নর জেনারেল ছিলেন— 
(ক) লর্ড ক্যানিং 
(খ) লর্ড ডালহৌসি 
(গ) লর্ড ডাফরিন 
(ঘ) লর্ড লিটন 
উত্তরঃ-  (ক) লর্ড ক্যানিং

১৪. রবীন্দ্রনাথের ‘গোরা’ উপন্যাসটি প্রকাশিত হয়
(ক) ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে 
(খ) ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে 
(গ) ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে 
(ঘ) ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে
উত্তরঃ-  (গ) ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে

১৫. ভারতের প্রথম রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান
(ক) ভারত সভা 
(খ) জমিদার সভা 
(গ) জাতীয় কংগ্রেস 
(ঘ) বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা
উত্তরঃ-  (ঘ) বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা

১৬. জমিদার সভা প্রতিষ্ঠিত হয়— 
(ক) ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দে 
(খ) ১৮৩৮ খ্রিস্টাব্দে
(গ) ১৮৫০ খ্রিস্টাব্দে 
(ঘ) ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে
উত্তরঃ-  (খ) ১৮৩৮ খ্রিস্টাব্দে

১৭. দেশীয় সংবাদপত্র আইন প্রবর্তিত হয়— 
(ক) ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে 
(খ) ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে
(গ) ১৮৮১ খ্রিস্টাব্দে 
(ঘ) ১৮৯০ খ্রিস্টাব্দে
উত্তরঃ-  (খ) ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে

১৮. হিন্দুমেলার প্রতিষ্ঠা করেন—
(ক) রামমোহন রায়
(গ) নবগোপাল মিত্র
(খ) দ্বারকানাথ ঠাকুর
(ঘ) কেশবচনদ্র সেন 
উত্তরঃ-  (গ) নবগোপাল মিত্র

১৯. ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে ভারতমাতা চিত্রটি এঁকেছেন—
(ক) গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর
(খ) সরলাদেবী 
(গ) অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর
(ঘ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 
উত্তরঃ-  (গ) অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২০. জমিদার সভার সভাপতি ছিলেন 
(ক) দ্বারকানাথ ঠাকুর
(খ) প্রসন্নকুমার ঠাকুর
(গ) রাধাকান্ত দেব
(ঘ) আনন্দমোহন বসু 
উত্তরঃ-  (গ) রাধাকান্ত দেব

২১. ছিয়াত্তরের মন্বস্তরের পটভূমিকায় রচিত উপন্যাসটি হলো
(ক) গোরা
(খ) দুর্গেশনন্দিনী
(গ) আনন্দমঠ
(ঘ) ক্যাপটিভ লেডি 
উত্তরঃ-  (গ) আনন্দমঠ

২২. ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে ভারতের প্রথম জাতীয় বিদ্রোহটি হলো—
(ক) নীল বিদ্রোহ
(খ) সাঁওতাল বিদ্রোহ
(গ) সিপাহি বিদ্রোহ
(ঘ) মুন্ডা বিদ্ৰোহ 
উত্তরঃ-  (গ) সিপাহি বিদ্রোহ

২৩. সিপাহি বিদ্রোহের সময়ে অযোধ্যায় বিদ্রোহীদের নেতৃত্ব দেন—
(ক) বেগম হজরত মহল
(খ) লক্ষ্মীবাঈ
(গ) কুনওয়ার সিং
(ঘ) নানা সাহেব 
উত্তরঃ-  (ক) বেগম হজরত মহল

২৪. বেঙ্গল ব্রিটিশ ইন্ডিয়া সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত হয়
(ক) ১৮৪২ খ্রিস্টাব্দে 
(খ) ১৮৪৪ খ্রিস্টাব্দে 
(গ) ১৮৫৪ খ্রিস্টাব্দে 
(ঘ) ১৮৪৬ খ্রিস্টাব্দে
উত্তরঃ-  (ক) ১৮৪২ খ্রিস্টাব্দে

২৫. ১৮৫৭ – র মহাবিদ্রোহের সময় দিল্লির মোগল সম্রাট ছিলেন— 
(ক) দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ 
(খ) দ্বিতীয় আলমগির 
(গ) দ্বিতীয় আকবর শাহ 
(ঘ) দ্বিতীয় শাহ আলম
উত্তরঃ-  (ক) দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ

২৬. ‘ পেশোয়া ‘ পদ লুপ্ত করেন গভর্নর জেনারেল –
(ক) লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক 
(খ) লর্ড অকল্যান্ড 
(গ) লর্ড ডালহৌসি
(ঘ) লর্ড ক্যানিং 
উত্তরঃ-  (গ) লর্ড ডালহৌসি

২৭. হিন্দুমেলার উদ্দেশ্য ছিল
(ক) ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন সংগঠিত করা 
(খ) হিন্দুধর্মের সংস্কার সাধন 
(গ) দেশজ শিল্পের প্রসার 
(ঘ) জাতীয়তাবাদী ভাবধারার প্রসার
উত্তরঃ-  (গ) দেশজ শিল্পের প্রসার

২৮. সিপাহি বিদ্রোহের প্রথম শহিদ নামে পরিচিত— 
(ক) কুনওয়ার সিং
(খ) নানাসাহেব
(গ) মঙ্গল পান্ডে
(ঘ) দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ
উত্তরঃ-  (গ) মঙ্গল পান্ডে

২৯. নানাসাহেব কার পোষ্যপুত্র ছিলেন ? 
(ক) দ্বিতীয় বাজিরাও 
(খ) প্রথম বাজিরাও 
(গ) বালাজি বিশ্বনাথ 
(ঘ) রঘুজি ভোঁসলে 
উত্তরঃ-  (ক) দ্বিতীয় বাজিরাও

৩০. ভারতে সিপাহি বিদ্রোহকালে নারী হয়েও পুরুষের বেশে লড়াই করেছিলেন যিনি , তিনি হলেন— 
(ক) অযোধ্যার বেগম সাহেবা 
(খ) জিন্নাতমহল 
(গ) রানি লক্ষ্মীবাই 
(ঘ) দেবী চৌধুরানি
উত্তরঃ-  (গ) রানি লক্ষ্মীবাই

৩১. ঝাঁসির রানির বিরুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন— 
(ক) স্যার হিউরোজ 
(খ) আর্ল স্ট্যানলি 
(গ) স্যার হ্যাভলক 
(ঘ) এফ উইলিয়ামস 
উত্তরঃ-  (ক) স্যার হিউরোজ

৩২. নানাসাহেবের বিশ্বস্ত অনুচর ছিলেন –
(ক) তাঁতিয়া টোপি
(খ) লক্ষ্মীবাই 
(গ) কুনওয়ার সিং
(ঘ) আহম্মদুল্লাহ
উত্তরঃ-  (ক) তাঁতিয়া টোপি

৩৩. মহাবিদ্রোহের সময় বিদ্রোহী সেনারা ‘ ভারতের হিন্দুস্থানের সম্রাট ‘ বলে মেনে নিয়েছিলেন— 
(ক) দ্বিতীয় বাহাদুর শাহকে 
(খ) প্রথম শাহ আলমকে 
(গ) প্রথম বাহাদুর শাহকে
(ঘ) দ্বিতীয় শাহ আলমকে 
উত্তরঃ-  (ঘ) দ্বিতীয় শাহ আলমকে

৩৪. দিল্লির শেষ মোগল সম্রাট ছিলেন – 
(ক) মোহম্মদ শাহ 
(খ) প্রথম বাহাদুর শাহ 
(গ) দ্বিতীয় শাহ আলম
(ঘ) দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ
উত্তরঃ-  (ঘ) দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ

৩৫. মহাবিদ্রোহের সর্বভারতীয় নেতা ছিলেন – 
(ক) প্রথম বাহাদুর শাহ 
(খ) নানাসাহেব 
(গ) দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ
(ঘ) তাঁতিয়া টোপি
উত্তরঃ-  (গ) দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ

৩৬. তাঁতিয়া টোপি ছিলেন—
(ক) মারাঠা ব্রাহ্মণ
(খ) গুজরাটি ব্রাহ্মণ
(গ) বাঙালি বাষ্মণ 
(ঘ) তামিল ব্রাহ্মণ 
উত্তরঃ-  (ক) মারাঠা ব্রাহ্মণ
৩৭. মহাবিদ্রোহের পর ভারতের শাসনভার গ্রহণ করেন –
(ক) মহারানি ভিক্টোরিয়া 
(খ) লর্ড ক্যানিং 
(গ) ভারত সচিব 
(ঘ) ভাইসরয় 
উত্তরঃ-  (ক) মহারানি ভিক্টোরিয়া

৩৮. কোম্পানি কার হাতে শাসনক্ষমতা প্রত্যার্পণ করে ? 
(ক) রানি এলিজাবেথ 
(খ) মহারানি ভিক্টোরিয়া 
(গ) রানি ইসাবেলা
(ঘ) রানি ক্যাথারিন
উত্তরঃ-  (খ) মহারানি ভিক্টোরিয়া

৩৯. অ্যাকাডেমিক অ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠা করে—
(ক) ইয়ং বেঙ্গল 
(খ) হিন্দুমেলা 
(গ) জমিদার সভা 
(ঘ) ভারতসভা
উত্তরঃ-  (ক) ইয়ং বেঙ্গল

৪০. ‘ ভাইসরয় ‘ শব্দের অর্থ কী ? 
(ক) রাজপ্রতিনিধি 
(খ) সভাসদ 
(গ) রাজকর্মচারী
(ঘ) রাজন্যবর্গ
উত্তরঃ-  (ক) রাজপ্রতিনিধি

৪১. কোম্পানির আমলে শেষ গভর্নর জেনারেল কে ? 
(ক) লর্ড ওয়েলেসলি 
(খ) লর্ড ডালহৌসি 
(গ) লর্ড আমহার্স্ট 
(ঘ) লর্ড ক্যানিং 
উত্তরঃ-  (ঘ) লর্ড ক্যানিং

৪২. ভারতের জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠিত হয় –
(ক) ১৮৮২ খ্রিস্টাব্দে 
(খ) ১৮৮৪ খ্রিস্টাব্দে 
(গ) ১৮৮৩ খ্রিস্টাব্দে 
(ঘ) ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে 
উত্তরঃ-  (ঘ) ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে

৪৩. ‘ আত্মীয়সভা ‘ প্রতিষ্ঠা করেন— 
(ক) রামমোহন রায় 
(খ) দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর 
(গ) দ্বারকানাথ ঠাকুর
(ঘ) কেশবচন্দ্র সেন
উত্তরঃ-  (ক) রামমোহন রায়

৪৪. ‘ ব্রাহ্মসভা ‘ ছিল একটি –
(ক) রাজনৈতিক 
(খ) সাংস্কৃতিক 
(গ) অর্থনৈতিক
(ঘ) ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান
উত্তরঃ-  (ঘ) ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান

৪৫. মহাবিদ্রোহের পরে যে নীতিটি লোপ পায়— 
(ক) বশ্যতামূলক মিত্ৰতা নীতি 
(খ) স্বত্ববিলোপ নীতি 
(গ) অগ্রসর নীতি 
(ঘ) সংযুক্তি নীতি 
উত্তরঃ-  (খ) স্বত্ববিলোপ নীতি

৪৬. An Act for the Better Government of India’— আইন বলে যে পদের সৃষ্টি হয়— 
(ক) ভারতীয় কাউন্সিল 
(খ) গভর্নর জেনারেল 
(গ) ভারত সচিব
(ঘ) কোনোটিই নয়
উত্তরঃ-  C) ভারত সচিব

৪৭. ভারতে কোম্পানির শাসন কায়েম ছিল — 
(ক) ১৭১৭ খ্রিস্টাব্দ – ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দ 
(খ) ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দ – ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দ
(গ) ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দ – ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দ
(ঘ) ১৭৭০ খ্রিস্টাব্দ – ১৮৬০ খ্রিস্টাব্দ
উত্তরঃ-  (খ) ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দ – ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দ

৪৮. ঊনবিংশ শতাব্দীকে ‘ সমিতির যুগ ’ বলে অভিহিত করেন –
(ক) সুশোভন সরকার 
(খ) ড . অনীল শীল 
(গ) রমেশচন্দ্র মজুমদার 
(ঘ) অমলেশ ত্রিপাঠী 
উত্তরঃ-  (খ) ড . অনীল শীল

৪৯. ভারতের প্রথম রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হল— 
(ক) ভারতের জাতীয় কংগ্রেস 
(খ) বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা 
(গ) ল্যান্ড হোল্ডার্স সোসাইটি 
(ঘ) ভারতসভা
উত্তরঃ-  (খ) বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা

৫০. মহারানি ভিক্টোরিয়া ‘ ভারত সম্রাজ্ঞী ‘ উপাধি ধারণ করেন –
(ক) ১৮৭৭ খ্রিস্টাব্দে 
(খ) ১৮৭৯ খ্রিস্টাব্দে
(গ) ১৮৮৩ খ্রিস্টাব্দে 
(ঘ) ১৮৮০ খ্রিস্টাব্দে 
উত্তরঃ-  (ক) ১৮৭৭ খ্রিস্টাব্দে

৫১. ভারতে ইংরেজ – বিরোধী বিদ্রোহে জনগণের মধ্যে প্রথম স্বতঃস্ফূর্ত সংঘবদ্ধতা যে বিদ্রোহে দেখা যায় , সেটি হল –  
(ক) সাঁওতাল বিদ্রোহ 
(খ) সিপাহি বিদ্রোহ 
(গ) কোল বিদ্রোহ
(ঘ) চুয়াড় বিদ্রোহ
উত্তরঃ-  (খ) সিপাহি বিদ্রোহ

৫২. কংগ্রেস – পূর্ব যুগকে ‘ সভাসমিতির যুগ ‘ বলেছেন – 
(ক) অনিল শীল 
(খ) রণজিৎ গুহ 
(গ) রামশরণ শর্মা 
(ঘ) নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী 
উত্তরঃ-  (ক) অনিল শীল

৫৩. ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠিত হয় –
(ক) ১৮৩১ খ্রিস্টাব্দে 
(খ) ১৮৫১ খ্রিস্টাব্দে 
(গ) ১৮৪১ খ্রিস্টাব্দে 
(ঘ) ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দে 
উত্তরঃ-  (খ) ১৮৫১ খ্রিস্টাব্দে

৫৪. জমিদার সভা’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন –
(ক) প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর 
(খ) কালীনাথ রায়চৌধুরী 
(গ) প্রসন্নকুমার ঠাকুর 
(ঘ) রাধাকান্ত দেব 
উত্তরঃ-  (ঘ) রাধাকান্ত দেব

৫৫. ‘ ব্রিটিশ ইন্ডিয়া সোসাইটি ‘ প্রতিষ্ঠিত হয় –
(ক) ১৮৩৭ খ্রিস্টাব্দে 
(খ) ১৮৩৮ খ্রিস্টাব্দে 
(গ) ১৮৩৯ খ্রিস্টাব্দে 
(ঘ) ১৮৪০ খ্রিস্টাব্দে 
উত্তরঃ-  (গ) ১৮৩৯ খ্রিস্টাব্দে



দশম শ্রেণীর ইতিহাস – সংঘবব্ধতার গোড়ার কথা : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ  (Songhobodhotar Gorar Kotha, Boisisto O Bisleson) (চতুর্থ অধ্যায়) সত্য মিথ্যা যাচাই করো । WBBSE ক্লাস 10 / Madhyamikth History 4th Chapter Songhobodhotar Gorar Kotha, Boisisto O Bisleson Question and Answer True & False 

সত্য মিথ্যা যাচাই করো | True & False Questions and Answers (Class Ten / WBBSE Madhyamik History Fourth chapter) 

শূন্যস্থান পূরন করো ; প্রতিটি প্রশ্নের মান -১



দশম শ্রেণীর ইতিহাস – সংঘবব্ধতার গোড়ার কথা : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ  (Songhobodhotar Gorar Kotha, Boisisto O Bisleson) (চতুর্থ অধ্যায়) শূন্যস্থান পূরণ করো । WBBSE ক্লাস 10 / Madhyamikth History 4th Chapter Fill in the blank Songhobodhotar Gorar Kotha, Boisisto O Bisleson Questions and Answers 

শূন্যস্থান পূরণ করো  | Fill in the blank Questions and Answers (Class Ten / WBBSE Madhyamik History Fourth chapter)  

সত্য / মিথ্যা নির্ণয় করো; প্রতিটি প্রশ্নের মান -১

১. রাজনারায়ণ বসু হিন্দুমেলার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা।
উত্তরঃ-  সত্য

২. গোরা’ উপন্যাসে মানবপ্রেম, দেশপ্রেম ও দেশাত্মবোধের সমন্বয় ঘটেছে।
উত্তরঃ-  সত্য

৩. ১৮৭৯ খ্রিস্টাব্দে বর্তমান ভারত’ গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়।
উত্তরঃ-  মিথ্যা

৪. ‘আনন্দমঠ’ জাতীয় আন্দোলনের গীতা।
উত্তরঃ-  সত্য

৫. ভারতমাতা চিত্রটিতে ভারতমাতার চারটি হাত।
উত্তরঃ-  সত্য

৬. ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ভারত শাসন আইন পাশ করে।
উত্তরঃ-  সত্য

৭. বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা ভারতের জাতীয়তাবাদী প্রথম সংগঠন।
উত্তরঃ-  সত্য

৮. ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে ভারত সভা কলকাতা শহরে প্রতিষ্ঠিত হয়।
উত্তরঃ-  সত্য

৯. মহাবিদ্রোহের সময় ভারতের গভর্নর জেনারেল ছিলেন লর্ড ডালহৌসি।
উত্তরঃ-  মিথ্যা

১০. সমকালীন বাঙালি বুদ্ধিজীবীগণ মহাবিদ্রোহকে সমর্থন করেছিল।
উত্তরঃ-  মিথ্যা



দশম শ্রেণীর ইতিহাস – সংঘবব্ধতার গোড়ার কথা : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ  (Songhobodhotar Gorar Kotha, Boisisto O Bisleson) (চতুর্থ অধ্যায়) এক কথায় উত্তর দাও । WBBSE ক্লাস 10 / Madhyamikth History 4th Chapter SAQ Madhyamik History Songhobodhotar Gorar Kotha, Boisisto O Bisleson Question and Answer 

এক কথায় উত্তর দাও | SAQ Questions and Answers (Class Ten / WBBSE Madhyamik History Fourth chapter)

এক কথায় উত্তর দাও : প্রতিটি প্রশ্নের মান -১

১. ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে কাকে ‘ হিন্দুস্থানের সম্রাট ‘ বলে ঘোষণা করা হয় ? 
উত্তরঃ- মোগল সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহকে । 

২. সাধারণ জ্ঞানোপার্জিকা সভার মুখপত্র কী ছিল ? 
উত্তরঃ- সাধারণ জ্ঞানোপার্জিকা সভার মুখপত্র ছিল Bengal Spectator 

৩. ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে কাকে ‘ হিন্দুস্থানের সম্রাট ‘ বলে ঘোষণা করা হয় ? 
উত্তরঃ- মোগল সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহকে । 

৪. জমিদার সভার প্রথম সম্পাদক কে ছিলেন ?
উত্তরঃ- জমিদার সভার প্রথম সম্পাদক ছিলেন প্রসন্নকুমার ঠাকুর । 

৫. সিপাহি বিদ্রোহ কথাটি প্রথম কে ব্যবহার করেন?
উত্তরঃ-  ভারত সচিব আর্ল স্ট্যানলি।

৬. সিপাহি বিদ্রোহের সময় ভারতের গভর্নর জেনারেল কে ছিলেন?
উত্তরঃ-  লর্ড ক্যানিং।

৭. সিপাহি বিদ্রোহের প্রথম শহিদ কে ছিলেন?
উত্তরঃ-  মঙ্গল পান্ডে।

৮. ১৮৫৭ – র বিদ্রোহকে কারা ‘ সিপাহি বিদ্রোহ ‘ বলেছেন ? 
উত্তরঃ- জন কে , রাজনারায়ণ বসু প্রমুখ । 

৯. ‘হিন্দুমেলা ’ প্রথমে কী নামে পরিচিত ছিল ?
উত্তরঃ- হিন্দুমেলা চৈত্রসংক্রান্তির দিনে শুরু হয় বলে প্রথমে নাম ছিল চৈত্রমেলা । 

১০. কাকে বলা হয় স্বাধীনতার অগ্রদূত ? 
উত্তরঃ- কবি ঈশ্বর গুপ্তকে স্বাধীনতার অগ্রদূত বলা হয় । 

১১. অমৃতবাজার পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন ?
উত্তরঃ- শিশিরকুমার ঘোষ । 

১২. প্রথম কোথায় সিপাহি বিদ্রোহ আত্মপ্রকাশ করে?
উত্তরঃ-  ব্যারাকপুরে।

১৩. ব্রিটিশ ভারতের শেষ গভর্নর জেনারেল কে ছিলেন?
উত্তরঃ-  লর্ড ক্যানিং।

১৪. কাকে বিদ্রোহীরা হিন্দুস্থানের সম্রাট বলে ঘোষণা করে?
উত্তরঃ-  দ্বিতীয় বাহাদুর শাহকে।

১৫. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রথম উপন্যাসের নাম কী ? 
উত্তরঃ- বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রথম উপন্যাস হলো দুর্গেশনন্দিনী । 

১৬. ভারতে কবে কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটে ? 
উত্তরঃ- ১৮৫৮ সালের ২ আগস্ট ভারতে কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটে । 

১৭. কানপুরে সিপাহি বিদ্রোহে কে নেতৃত্ব দেন ?
উত্তরঃ- কানপুরে সিপাহি বিদ্রোহে নানা সাহেব নেতৃত্ব দেন । 

১৮. কোন আইনের বলে কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটে ? 
উত্তরঃ- ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ‘ ভারত শাসন ’ আইনের দ্বারা । 

১৯. ভারতের শেষ মোগল সম্রাট কে ছিলেন?
উত্তরঃ-  দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ।

২০. কে প্রথম সিপাহি বিদ্রোহ শুরু করে?
উত্তরঃ-  মঙ্গল পান্ডে।

২১. সিপাহি বিদ্রোহে অংশগ্রহণ করার অপরাধে দ্বিতীয় বাহাদুর শাহকে কোথায় নির্বাসন দেওয়া হয়?
উত্তরঃ-  রেঙ্গুনে।

২২. ঊনবিংশ শতাব্দীকে কে সভাসমিতির যুগ বলেছেন ? 
উত্তরঃ- ঐতিহাসিক অনিল শীল । 

২৩. ইলবার্ট বিল কে রচনা করেন ? 
উত্তরঃ- লর্ড রিপনের আইনসচিব ইলবার্ট । 

২৪. ‘বন্দেমাতরম ’ সংগীতটি কোন উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছিল ? 
উত্তরঃ- বঙ্কিমচন্দ্রের ‘ আনন্দমঠ ‘ উপন্যাস থেকে । 

২৫. সিপাহি বিদ্রোহ কথাটি প্রথম কে ব্যবহার করেন ? 
উত্তরঃ- ‘ সিপাহি বিদ্রোহ ‘ কথাটি প্রথম ব্যবহার করেন ভারত সচিব আর্ল স্ট্যানলি । 

২৬. নির্বাসনকালে দ্বিতীয় বাহাদুর শাহের বয়স কত ছিল?
উত্তরঃ-  ৮২ বছর।

২৭. মোগল সম্রাট বাহাদুর শাহ কোথায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন?
উত্তরঃ-  রেঙ্গুনে।

২৮. মহারানির ঘোষণাপত্র কবে প্রকাশিত হয়?
উত্তরঃ-  ১ নভেম্বর, ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে।

২৯. সিপাহি বিদ্রোহের সময় ভারতের গভর্নর জেনারেল কে ছিলেন ?
উত্তরঃ- সিপাহি বিদ্রোহের সময় ভারতের গভর্নর জেনারেল ছিলেন লর্ড ক্যানিং । 

৩০. সিপাহি বিদ্রোহের প্রথম শহিদ কে ছিলেন ? 
উত্তরঃ- সিপাহি বিদ্রোহের প্রথম শহিদ মঙ্গল পান্ডে । 

৩১. প্রথম কোথায় সিপাহি বিদ্রোহ আত্মপ্রকাশ করে ? 
উত্তরঃ- সিপাহি বিদ্রোহ প্রথম আত্মপ্রকাশ করে ব্যারাকপুরে । 

৩২. ব্রিটিশ ভারতের শেষ গভর্নর জেনারেল কে ছিলেন ? 
উত্তরঃ- ব্রিটিশ ভারতের শেষ গভর্নর জেনারেল ছিলেন লর্ড ক্যানিং । 

৩৩. কত খ্রিস্টাব্দে কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটে?
উত্তরঃ-  ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে।

৩৪. কোন্ আইন বলে কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটে?
উত্তরঃ-  An act for the better Government of India 1858.

৩৫. কাকে বিদ্রোহীরা ‘ হিন্দুস্থানের সম্রাট ‘ বলে ঘোষণা করে ?  
উত্তরঃ- দ্বিতীয় বাহাদুর শাহকে বিদ্রোহীরা ‘ হিন্দুস্থানের সম্রাট ‘ বলে ঘোষণা করে । 

৩৬. ভারতের শেষ মোগল সম্রাট কে ছিলেন ? 
উত্তরঃ- ভারতের শেষ মোগল সম্রাট ছিলেন দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ । 

৩৭. কে প্রথম সিপাহি বিদ্রোহ শুরু করে ?
উত্তরঃ- মঙ্গল পান্ডে প্রথম সিপাহি বিদ্রোহ শুরু করে । 

৩৮. করার অপরাধে সিপাহি বিদ্রোহে অংশগ্রহণ দ্বিতীয় বাহাদুর শাহকে কোথায় নির্বাসন দেওয়া হয় ? 
উত্তরঃ- সিপাহি বিদ্রোহে অংশগ্রহণ করার অপরাধে দ্বিতীয় বাহাদুর শাহকে রেঙ্গুনে নির্বাসন দেওয়া হয় । 

৩৯. কত খ্রিস্টাব্দে দ্বিতীয় বাহাদুর শাহের মৃত্যু হয়?
উত্তরঃ-  ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দে।

৪০. ভাইসরয় কথার অর্থ কী?
উত্তরঃ-  রাজ প্রতিনিধি।

৪১. নির্বাসনকালে দ্বিতীয় বাহাদুর শাহের বয়স কত ছিল ? 
উত্তরঃ- নির্বাসনকালে দ্বিতীয় বাহাদুর শাহের বয়স ছিল বছর । 

৪২. মোগল সম্রাট বাহাদুর শাহ কোথায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন ? 
উত্তরঃ- মোগল সম্রাট বাহাদুর শাহ রেঙ্গুনে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন । 

৪৩. ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহকে কে ভারতের স্বাধীনতার প্রথম যুদ্ধ বলে অভিহিত করেন ? 
উত্তরঃ- ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহকে বিনায়ক দামোদর সাভারকার ভারতের স্বাধীনতার প্রথম যুদ্ধ বলে অভিহিত করেন । 

৪৪. কার্ল মার্কস ১৮৫৭ – র বিদ্রোহের প্রকৃতি সম্পর্কে কী বলেছিলেন ? 
উত্তরঃ- কার্ল মার্কস ১৮৫৭ – র বিদ্রোহের প্রকৃতি সম্পর্কে বলেছিলেন এটি ছিল জাতীয় বিদ্রোহ । 

৪৫. ভারতের প্রথম ভাইসরয় কে ছিলেন?
উত্তরঃ-  লর্ড ক্যানিং।

৪৬. কবে বোর্ড অব কন্ট্রোলের অবসান ঘটে?
উত্তরঃ-  ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে।

৪৭. ”মহাবিদ্রোহ ছিল ক্ষয়িষ্ণু অভিজাত তন্ত্র ও মৃতপ্রায় সামস্তশ্রেণির মৃত্যুকালীন আর্তনাদ ” —উক্তিটি কার ?  
উত্তরঃ- উক্তিটি ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদার – এর । 

৪৮. মহাবিদ্রোহের একজন নেতার নাম লেখো । 
উত্তরঃ- মহাবিদ্রোহের একজন নেতার নাম তাঁতিয়া টোপি ।

৪৯. মহাবিদ্রোহ দমন করেছিল এমন একজন ব্রিটিশ সেনাপতির নাম লেখো ।
উত্তরঃ- মহাবিদ্রোহ দমন করেছিল এমন একজন ব্রিটিশ সেনাপতি হলেন হ্যাভলক । 

৫০. বিদ্রোহে বাঙালি ‘ গ্রন্থটি কার লেখা ?
উত্তরঃ- ‘ বিদ্রোহে বাঙালি ‘ গ্রন্থটি দুর্গাদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা । 

৫১. ভারতে ভাইসরয়ের শাসন কবে থেকে শুরু হয়?
উত্তরঃ-  ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে।

৫২. ভারত সচিবের সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত?
উত্তরঃ-  লন্ডনে।

৫৩. মহারানির ঘোষণাপত্র করে প্রকাশিত হয় ? 
উত্তরঃ- মহারানির ঘোষণাপত্র প্রকাশিত হয় ১ নভেম্বর ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে । 

৫৪. মহারানির ঘোষণাপত্রটি ভারতের কোথায় ঘোষিত হয় ? 
উত্তরঃ- মহারানির ঘোষণাপত্রটি ভারতের এলাহাবাদে ঘোষিত হয় । 

৫৫. মহারানির ঘোষণাপত্র’টি এলাহাবাদে কে পাঠ করেন । 
উত্তরঃ- মহারানির ঘোষণাপত্র’টি এলাহাবাদে পাঠ লর্ড ক্যানিং । 

৫৬. কত খ্রিস্টাব্দে কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটে ? 
উত্তরঃ- ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটে । 

৫৭. ভারত সচিবের দপ্তরের নাম কী ছিল?
উত্তরঃ-  ইন্ডিয়া হাউজ।

৫৮. মহাবিদ্রোহের একজন নেতার নাম লেখো।
উত্তরঃ-  তাঁতিয়া টোপী।

৫৯. কোন আইন বলে কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটে ? 
উত্তরঃ- An Act for the Better Government of India 1858 আইন বলে কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটে । 

৬০. মহারানির ঘোষণাপত্রকে কী নামে অভিহিত করা হয় ? 
উত্তরঃ- মহারানির ঘোষণাপত্রকে ভারতীয় জনগণের ‘ ম্যাগনা কার্টা হিসেবে অভিহিত করা হয় । 

৬১. ভাইসরয় ‘ কথার অর্থ কী ? 
উত্তরঃ- ‘ ভাইসরয় ‘ কথার অর্থ রাজপ্রতিনিধি । 

৬২. ভারতের প্রথম ভাইসরয় কে ছিলেন ? 
উত্তরঃ- ভারতের প্রথম ভাইসরয় লর্ড ক্যানিং । 

৬৩. মহাবিদ্রোহ দমন করেছিল এমন একজন ব্রিটিশ সেনাপতির নাম লেখো।
উত্তরঃ-  হ্যাভলক।

৬৪. বিদ্রোহে বাঙালি গ্রন্থটি কার লেখা?
উত্তরঃ-  দুর্গাদাস বন্দ্যোপাধ্যায়।

৬৫. কবে বোর্ড অফ কন্ট্রোলের অবসান ঘটে । 
উত্তরঃ- ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে বোর্ড অফ কন্ট্রোলের অবসান ঘটে । 

৬৬. ভারতে ভাইসরয়ের শাসন কবে থেকে শুরু হয় । 
উত্তরঃ- ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দ থেকে ভারতে ভাইসরয়ের শাসন থেকে শুরু হয় । 

৬৭. ভারত সচিবের সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত ? 
উত্তরঃ- ভারত সচিবের সদর দপ্তর ছিল লন্ডনে । 

৬৮. ভারত সচিবের দপ্তরের নাম কী ছিল ? 
উত্তরঃ- ভারত সচিবের দপ্তরের নাম ছিল ইন্ডিয়া হাউস । 

৬৯. বিদেশের ঠাকুরের সঙ্গে স্বদেশের কুকুরের তুলনা করেছেন কে?
উত্তরঃ-  কবি ঈশ্বর গুপ্ত।

৭০. কুকুর ও ভারতীয় প্রবেশ নিষেধ – কোথায় লেখা থাকত?
উত্তরঃ-  ভারতে অবস্থিত ইউরোপীয় ক্লাবগুলিতে।

৭১. ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহ ভারতের আকাশ থেকে মেঘ দূর করেছিল — এ কথা কে বলেছেন ? 
উত্তরঃ- ঐতিহাসিক স্যার লেপেল গ্রিফিন – এর । 

৭২. হিন্দুমেলার প্রথম সম্পাদক কে ছিলেন ? 
উত্তরঃ- হিন্দুমেলার প্রথম সম্পাদক ছিলেন গণেন্দ্রনাথ ঠাকুর । 

৭৩. উনিশ শতকে ভারতে সভাসমিতি গঠনের পরিণতি কোন প্রতিষ্ঠানে রূপায়িত .
উত্তরঃ- উনিশ শতকে ভারতে সভাসমিতি গঠনের চরম পরিণতি জাতীয় কংগ্রেস গঠিত হয় । 

৭৪. পুনা সার্বজনিক সভা ( ১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দে ) কার নেতৃত্বে গড়ে ওঠে ? 
উত্তরঃ- গোপালহরি দেশমুখের নেতৃত্বে পুনা সার্বজনিক সভা ( ১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দে ) গড়ে ওঠে । 

৭৫. The revolt of 1857 swept the Indian sky clear of many clouds — উক্তিটি কার?
উত্তরঃ-  ঐতিহাসিক স্যার লেপেল গ্রিফিন-এর।

৭৬. মহাবিদ্রোহের পর ভারতের গভর্নর জেনারেলকে কী নামে অভিহিত করা হয়?
উত্তরঃ-  ভাইসরয় নামে।

৭৭. ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস কে প্রতিষ্ঠা করেন ? 
উত্তরঃ- অ্যালান অক্টাভিয়ান হিউম ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠা করেন । 

৭৮. কত খ্রিস্টাব্দে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠিত হয় ?
উত্তরঃ- ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠিত হয় ।

৭৯. জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম সভাপতি কে ছিলেন ? 
উত্তরঃ- জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম সভাপতি ছিলেন উমেশচন্দ্ৰ বন্দ্যোপাধ্যায় । 

৮০. আনন্দমঠ উপন্যাসটি কার লেখা ? 
উত্তরঃ- ‘ আনন্দমঠ ‘ উপন্যাসটি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা 

৮১. মহাবিদ্রোহ ছিল ক্ষয়িষ্ণু অভিজাত তন্ত্র ও মৃত প্রায় সামন্তশ্রেণির মৃত্যুকালীন আর্তনাদ — উক্তিটি কার?
উত্তরঃ-  ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদার-এর।

৮২. ‘আনন্দমঠ ‘ উপন্যাস করে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় ? 
উত্তরঃ- ‘ আনন্দমঠ ‘ উপন্যাস ১৮৮২ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয় । 

৮৩. ‘বন্দে মাতরম্ ‘ সংগীতটি কোন্ উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে ? 
উত্তরঃ- ‘ বন্দে মাতরম্ ‘ সংগীতটি ‘ আনন্দমঠ ‘ উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে । 

৮৪. ‘বন্দে মাতরম্ ‘ সঙ্গীতটি প্রথম কোন্ পত্রিকায় প্রকাশিত হয় ? 
উত্তরঃ- ‘ বন্দে মাতরম্ ‘ সঙ্গীতটি প্রথম বঙ্গদর্শন পত্রিকায় প্রকাশিত হয় । 

৮৫. কে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে ‘ ভারতীয় জাতীয়তাবাদের গুরু ’ বলেছেন ? 
উত্তরঃ- অরবিন্দ ঘোষ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে ভারতীয় জাতীয়তাবাদের গুরু ’ বলেছেন । 

৮৬. কে মহারানির ঘোষণাপত্রকে রাজনৈতিক (Political Bluff) বলেছেন?
উত্তরঃ-  ঐতিহাসিক বিপান চন্দ্ৰ।

৮৭. পরাধীন ভারতের ‘ জাতীয় সংগীত ‘ কোনটি ? 
উত্তরঃ- পরাধীন ভারতের ‘ জাতীয় সংগীত ‘ ছিল ‘ বন্দে মাতরম্ ‘ । 

৮৮. ‘বর্তমান ভারত ‘ কার লেখা ? 
উত্তরঃ- ‘ বর্তমান ভারত ’ স্বামী বিবেকানন্দের লেখা । 

৮৯. ‘প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য ‘ কার লেখা ? 
উত্তরঃ- ‘ প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য ‘ স্বামী বিবেকানন্দের লেখা । 

৯০. ঊনবিংশ শতককে কে সভাসমিতির যুগ বলেছেন?
উত্তরঃ-  ডঃ অনিল শীল।

৯১. ‘বর্তমান ভারত‘ প্রথম কোন্ পত্রিকায় প্রকাশিত হয় ? 
উত্তরঃ- ‘ বর্ত্তমান ভারত ‘ পত্রিকায় প্রথম উদ্‌বোধন প্রকাশিত হয় ।



দশম শ্রেণীর ইতিহাস – সংঘবব্ধতার গোড়ার কথা : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ  (Songhobodhotar Gorar Kotha, Boisisto O Bisleson) (চতুর্থ অধ্যায়)" সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর" । WBBSE ক্লাস 10 / Madhyamikth History 4th Chapter SAQ Questions and Answers 

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর | SAQ Questions and Answers (Class Ten / WBBSE Madhyamik History Fourth chapter)


১. ১৮৫৭ – র বিদ্রোহকে কি সিপাহি বিদ্রোহ বলা সংগত ? 
উত্তরঃ- ১৮৫৭ – র বিদ্রোহকে শুধুমাত্র সিপাহি বিদ্রোহ বলা যায় না , কারণ প্রথমত , ১৮৫৭ – র বিদ্রোহ ইংরেজ কোম্পানির ভারতীয় সিপাহিরা শুরু করলেও পরবর্তীকালে উত্তর ও মধ্য ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকার জনগণ ব্যাপকভাবে এই বিদ্রোহে শামিল হয় । দ্বিতীয়ত , কয়েকটি স্থানে সিপাহিরা বিদ্রোহ না করলেও জনগণ বিদ্রোহ করেছিল এবং সামস্ত প্রভুরা যোগদান করেছিল । 

২. দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ কে ছিলেন ? তিনি কোথায় । নির্বাসিত হন ? 
উত্তরঃ- দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ ছিলেন সর্বশেষে মোগল সম্রাট এবং সিপাহি বিদ্রোহে সিপাহিদের সর্বভারতীয় নেতা । যদিও তিনি অনেক ইতঃস্তত করেই সিপাহি বিদ্রোহের সর্বভারতীয় নেতা হতে রাজি হন । সিপাহি বিদ্রোহে অংশগ্রহণের অপরাধে ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক ব্রষ্মদেশের রেঙ্গুনে তিনি নির্বাসিত হন । 

৩. সিপাহি বিদ্রোহ কাকে বলা হয় ? 
উত্তরঃ- ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে বড়োেলাট লর্ড ক্যানিং – এর শাসনকালে উত্তর ও মধ্য ভারতের এক বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ইংরেজদের বিরুদ্ধে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ভারতীয় সিপাহিদের ( সৈনিক ) নেতৃত্বে বিদ্রোহের আগুন জ্বলে ওঠে — যা ইংরেজ শাসনের ভিতকে কাঁপিয়ে দেয় । আনুষ্ঠানিকভাবে ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের ২৯ মার্চ ব্যারাকপুরে মঙ্গল পান্ডের নেতৃত্বে সিপাহি বিদ্রোহ শুরু হয় । তবে ১৮৫৭ – র ১০ মে উত্তরপ্রদেশের মিরাট সেনাছাউনিতে প্রকৃতপক্ষে মহাবিদ্রোহ শুরু হয় । 

৪. সিপাহি বিদ্রোহের প্রত্যক্ষ কারণ কী ছিল ? 
উত্তরঃ- এনফিল্ড রাইফেলের প্রবর্তন ছিল সিপাহি বিদ্রোহের প্রত্যক্ষ কারণ । নতুন ধরনের এই বন্দুকের টোটায় মধ্যে গোরু ও শুকরের চর্বি মিশ্রিত থাকার গুজব রটালে ধর্মনাশের ভয়ে হিন্দু ও মুসলিম সিপাহিরা এই রাইফেল ব্যবহার করতে অস্বীকার করে । কিন্তু ইংরেজরা ভারতীয় সিপাহিদের দাবি না মানলে ব্যারাকপুরে মঙ্গল পান্ডের নেতৃত্বে তারা প্রকাশ্যে বিদ্রোহ শুরু করে ( ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে ) । 

৫. কোন্ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সিপাহি বিদ্রোহের সূত্রপাত হয় ? 
উত্তরঃ- ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে ব্যারাকপুর সেনাছাউনিতে মঙ্গল পান্ডে নামে এক সেনা এনফিল্ড রাইফেলের টোটার চর্বি ব্যবহারকে কেন্দ্র করে ক্রুদ্ধ হয়ে তাঁর ঊর্ধ্বতন ইংরেজ অফিসারকে আক্রমণ করেন ( ২৯ মার্চ ১৮৫৭ খ্রি . ) । ফলে সামরিক আদালতে বিচারে তাঁর ফাঁসি হয় । এই ঘটনাই সিপাহি বিদ্রোহের সূচনা ঘটায় । 

৬. ঝাঁসির রানি বিখ্যাত কেন ? 
উত্তরঃ- ঝাঁসির রানি বিখ্যাত , কারণ প্রথমত , ঝাঁসি রাজ্য কোম্পানির অধিগ্রহণ করার প্রতিবাদে ঝাঁসির রানি লক্ষ্মীবাই সিপাহি বিদ্রোহে ঝাঁপিয়ে পড়েন । দ্বিতীয়ত , তিনি মহাবিদ্রোহের একজন উল্লেখযোগ্য নেত্রী ছিলেন এবং তিনি পুরুষের বেশে যুদ্ধ করেন । তৃতীয়ত , যুদ্ধে অসম সাহস ও বীরত্ব দেখানো সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত তিনি সম্মুখযুদ্ধে ১৭ জুন ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন । 

৭. মঙ্গল পান্ডে স্মরণীয় কেন ? 
উত্তরঃ- মঙ্গল পান্ডে স্মরণীয় , কারণ— প্রথমত , উত্তরপ্রদেশের বালিয়া জেলায় জন্মগ্রহণকারী মঙ্গল পান্ডে ( ১৮২৭-১৮৫৭ খ্রি . ) ছিলেন ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ৩৪ নং বেঙ্গল আর্মির একজন দেশীয় সিপাহি । দ্বিতীয়ত , গোরু ও শূকরের চর্বি মিশ্রিত এনফিল্ড রাইফেলের টোটা ব্যবহারের বিরুদ্ধে মঙ্গল পান্ডে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন ( ২৯ মার্চ , ১৮৫৭ খ্রি . ) । লেফটেন্যান্ট ‘ বোগ’কে আক্রমণ করেন এবং শেষপর্যন্ত ফাঁসিতে মৃত্যুবরণ করেন । তৃতীয়ত , মঙ্গল পান্ডের নেতৃত্বে সিপাহি বিদ্রোহের খবর অন্যান্য সামরিক ছাউনিতে ছড়িয়ে পড়লে উত্তর ভারতে সিপাহি বিদ্রোহের সূচনা হয় । 

৮. নানাসাহেব কেন বিখ্যাত ? নানাসাহেব ( ১৮২৪-১৮৫৭ / ১৮৫৯ খ্রি . ) বিখ্যাত , কেন ?
উত্তরঃ- কারণ প্রথমত , তিনি ছিলেন মারাঠা পেশোয়া দ্বিতীয় বাজিরাও – এর দত্তক পুত্র ও পেশোয়াপদের উত্তরাধিকারী । দ্বিতীয়ত , লর্ড ডালহৌসির স্বত্ববিলোপ আইন দ্বারা নানাসাহেবের প্রাপ্য রাজন্য ভাতা বাতিল করা হলে তিনি ইংরেজ বিরোধী হয়ে ওঠেন এবং সিপাহি বিদ্রোহ শুরু হলে কানপুরে সিপাহি বিদ্রোহে নেতৃত্ব দেন । তৃতীয়ত , যদিও নানাসাহেব সিপাহি বিদ্রোহের অংশগ্রহণের মাধ্যমে তাঁর রাজ্য উদ্ধারে ব্যর্থ হন তথাপি তাঁর বীরগাথাকে স্মরণ করে সংগীত , নাটক , সিনেমাও তৈরি হয়েছে । 

৯. মহাবিদ্রোহের পর থেকে ভারতের ব্রিটিশ গভর্নর জেনারেলকে কেন ভাইসরয় বলা হত ? 
উত্তরঃ- ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দের ভারত শাসন আইন দ্বারা ভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটে এবং ভারতের শাসনভার সরাসরি ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের শাসন শুরু হয় । এই কারণে মহাবিদ্রোহের পর থেকে ব্রিটিশ ‘ রাজপ্রতিনিধি ‘ হিসেবে ভাইসরয় – এর পদ তৈরি । একারণেই গভর্নর জেনারেলকে ‘ ভাইসরয় ‘ বা রাজপ্রতিনিধি বলা হত ।

১০. ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের পর দেশীয় রাজাদের সঙ্গে ইংরেজরা কীরুপ সম্পর্ক গড়ে তোলে ? 
উত্তরঃ- ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহের পর দেশীয় রাজাদের সঙ্গে ইংরেজরা সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে আগ্রহী হয় , যেমন— প্রথমত , মহাবিদ্রোহের আগে দেশীয় রাজাদের মনে ইংরেজদের প্রতি যে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছিল তা দূর করার জন্য মহারানির ঘোষণাপত্রে স্বত্ববিলোপ নীতি রদ করা হয় এবং সরকার ভারতে আর রাজ্যবিস্তার করবে না বলে ঘোষণা করে । 

১১. উনিশ শতককে ‘ সভাসমিতির যুগ ‘ ( Age of Association ) বলে অভিহিত করা হয় কেন ? 
অথবা , সভাসমিতির যুগ কাকে বলে ? 

উত্তরঃ- জাতীয় চেতনা উন্মেষের সঙ্গে সঙ্গে ভারতবাসীর মনে দেশাত্মবোধের ধারণা জাগ্রত হয় এবং ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে জনমত গঠনের জন্য ভারতীয়রা সংঘবন্ধ আন্দোলনের তাগিদ অনুভব করে । এই উপলব্ধি থেকেই উনিশ শতকে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে বেশ কিছু রাজনৈতিক সভাসমিতি গড়ে ওঠে । এই কারণে অধ্যাপক অনিল শীল উক্ত সময়কালকে সভাসমিতির যুগ ‘ বলে অভিহিত করেছেন । 

১২. সভাসমিতির যুগে রাজনৈতিক সভাগুলির বৈশিষ্ট্যগুলি কী ছিল ? 
উত্তরঃ- উনিশ শতকে বাংলা তথা ভারতে সভাসমিতির বৈশিষ্ট্যগুলি ছিল প্রথমত , বাংলাতেই প্রথম সভাসমিতি গড়ে ওঠে এবং পরে বাংলার অনুকরণে ভারতের অন্যান্য স্থানে তা গড়ে ওঠে । দ্বিতীয়ত , এগুলি শুরুতে উচ্চবিত্ত ও অভিজাতকেন্দ্রিক হলেও ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের পর মধ্যবিত্ত শ্রেণির দ্বারা পরিচালিত হত । তবে এগুলিতে একারণেই সাধারণ মানুষের স্বার্থ ছিল উপেক্ষিত । তৃতীয়ত , এগুলি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ছিল গোষ্ঠী স্বার্থ ও আঞ্চলিক স্বার্থ বজায় রাখা এবং আঞ্চলিক ভিত্তিতে ভারতীয়দের দাবিদাওয়া পুরণের চেষ্টা করা ।

১৩. বাঙালি বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায় এই বিদ্রোহ থেকে দূরে ছিলেন কেন ? 
অথবা , শিক্ষিত বাঙালি সমাজ কেন ১৮৫৭ – র বিদ্রোহকে সমর্থন করেননি ? 

উত্তরঃ- ইংরেজ প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত থাকায় এবং বিভিন্ন অর্থনৈতিক সুবিধা লাভ ও নিজেদের ব্যক্তিগত স্বার্থে বাঙালি বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায় ইংরেজ সরকারকে সমর্থন করেছিল এবং সিপাহি বিদ্রোহের বিপক্ষে ছিল । এ প্রসঙ্গে বাঙালি বুদ্ধিজীবী দুর্গাদাস বন্দ্যোপাধ্যায় , কবি ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত , জমিদার রাধাকান্ত দেব প্রমুখের কথা বলা যায় । 

১৪. মহাবিদ্রোহ দমনে সাহায্য করেছিল এমন কয়েকটি দেশীয় শক্তির নাম লেখো । 
উত্তরঃ- মহাবিদ্রোহ দমনে বেশ কিছু দেশীয় শক্তি ইংরেজদের সাহায্য করেছিল । এমন কয়েকটি দেশীয় শক্তি হল— গোয়ালিয়রের সিন্ধিয়া , কাশ্মীরের মহারাজা , হায়দ্রাবাদের নিজাম , যোধপুরের রাজা , গোরখা নেতা জং বাহাদুর প্রমুখ । 

১৫. মির্জা গালিব কে ছিলেন ? 
উত্তরঃ-    ’মির্জা গালিব ( ১৭৯৭ – ১৮৬৯ খ্রি . ) , উর্দু ও পারসি ভাষার একজন বিখ্যাত কবি , – প্রথমত , যিনি শেষ মোগল সম্রাটের রাজদরবারের কবিও ছিলেন । দ্বিতীয়ত , তিনি ১৮৫৭ – র বিদ্রোহে মোগলদের অংশগ্রহণ ও পরাজয়ের কথাও বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন ‘ চোখের সামনে দেখছি রক্তের নদী বয়ে চলেছে । তৃতীয়ত , মহাবিদ্রোহের পরে মোগল শাসনের অবসানের পর ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকে তিনি পৃষ্ঠপোষকতা বা পুরো ভাতা লাভ করতে ব্যর্থ হন ।

১৬. ‘বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা ’ কবে প্রতিষ্ঠিত হয় ? এই সভার প্রথম সম্পাদক কে ছিলেন ? 
উত্তরঃ- ১৮৩৬ খ্রিস্টাব্দে ‘ বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা ’ প্রতিষ্ঠিত হয় । এই সভার প্রথম সম্পাদক ছিলেন দুর্গাপ্রসাদ তর্কপঞ্চানন । 

১৭. বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভার ’ লক্ষ্য কী ছিল ?
উত্তরঃ- বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভার লক্ষ্য ছিল প্রথমত , বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের চর্চা করাই ছিল । এই সভার প্রাথমিক লক্ষ্য । দ্বিতীয়ত , পরবর্তীকালে এই সভা রাজনৈতিক সংস্থায় পরিণত হয় । এই সময় বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভার মূল লক্ষ্য ছিল ব্রিটিশদের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ বা কার্যাবলি ভারতবাসীর কতটা হিতসাধন বা ক্ষতি করতে পারে তা পর্যালোচনা করা । 

১৮. জমিদার সভা কারা , কবে প্রতিষ্ঠা করেন ? 
উত্তরঃ- ১৮৩৮ খ্রিস্টাব্দে ( ১৯ মার্চ ) জমিদার সভা প্রতিষ্ঠিত হয় । এই সভার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন রাজা রাধাকান্ত দেব , দ্বারকানাথ ঠাকুর ও প্রসন্নকুমার ঠাকুর । 

১৯. জমিদার সভা প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কী ছিল ? 
উত্তরঃ- জমিদার সভা প্রতিষ্ঠার ( ১৮৩৮ খ্রি . ) উদ্দেশ্যগুলি হল— প্রথমত , বাংলা – বিহার – উড়িষ্যার জমিদার স্বার্থ রক্ষা করা ও জমিদারদের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করা । দ্বিতীয়ত , জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় এবং সরকার কর্তৃক নিষ্কর জমির বাজেয়াপ্তকরণ বিষয়ে আন্দোলন গড়ে তোলা । তৃতীয়ত , ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের প্রসার সাধন করা । বাস্তবেও দেখা যায় যে , ‘ বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা ‘ নিষ্কর জমির বাজেয়াপ্তকরণ বিষয়ে যে আন্দোলন শুরু করেছিল , ‘ জমিদার সভা ‘ সেই বিষয়েই নতুন করে জনমত গড়ে তোলে । 

২০. কবে , কাদের উদ্যোগে ব্রিটিশ ইন্ডিয়া সোসাইটি ‘ প্রতিষ্ঠিত হয় ? 
উত্তরঃ- ১৮৩৯ খ্রিস্টাব্দে উইলিয়াম অ্যাডাম ও জর্জ টমসন – এর উদ্যোগে ‘ ব্রিটিশ ইন্ডিয়া সোসাইটি ‘ প্রতিষ্ঠিত হয় । sche ৪৫ ব্রিটিশ ইন্ডিয়া সোসাইটি গঠনের উদ্দেশ্য কী ছিল ? ( উত্তর ) ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া সোসাইটি গঠনের একাধিক উদ্দেশ্য ছিল । এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল — চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তনের দাবি জানানোর পাশাপাশি ভারতীয়দের অবস্থার উন্নতি , পুলিশ ও রাজস্ব বিভাগের সংস্কারসাধনের দাবি জানানো ।

২১. ঐতিহাসিক অনিল শীল ঊনবিংশ শতককে সভাসমিতির যুগ বলেছেন কেন ? 
উত্তরঃ- ঊনবিংশ শতাব্দীর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো জাতীয়তাবাদের জন্ম । এই জাতীয়তাবাদের বিকাশের অনিবার্য ফল হিসেবে নানা সভাসমিতির জন্ম হয় । তাই ঐতিহাসিক অনিল শীল এইসময়কে সভাসমিতির যুগ হিসেবে উল্লেখ করেছেন । 

২২. ভারতসভা বা ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন কাদের উদ্যোগে এবং কোথায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ?
উত্তরঃ- ভারতসভা সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় , আনন্দমোহন বসু , শিবনাথ শাস্ত্রী , দ্বারকানাথ গাঙ্গুলি প্রমুখের উদ্যোগে ১৮৭৬ খ্রিঃ গড়ে ওঠে । এর প্রথম অধিবেশন হয়েছিল কলকাতার অ্যালবার্ট হলে । 

২৩. ইলবার্ট বিল বিতর্ক কী ? / ইলবার্ট বিল কী ? 
উত্তরঃ- ভারতীয় কোনো বিচারকের ব্রিটিশদের শাসন করার অধিকার ছিল না । লর্ড রিপনের শাসনকালে আইনসচিব ইলবার্ট একটি বিল দ্বারা ভারতীয় বিচারকদের এই অধিকার প্রদান করেন । একে ইলবার্ট বিল বলে । 

২৪. ব্রিটিশ ইন্ডিয়া অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম সভাপতি ও সম্পাদক কে ছিলেন ? 
উত্তরঃ- প্রথম সভাপতি –রাধাকান্ত দেব । সম্পাদক – দ্বারকানাথ ঠাকুর । 

২৫. ইলবার্ট বিল কী ? 
উত্তরঃ- ব্রিটিশ ভারতের বিচার ব্যবস্থায় ভারতের কৃষ্ণাঙ্গ বিচারকদের দ্বারা শ্বেতাঙ্গদের বিচার করার অধিকার দিয়ে লর্ড রিপনের আইন সচিব ইলবার্ট যে আইনের খসড়া রচনা করেন তা ইলবার্ট বিল নামে পরিচিত । 

২৬. আনন্দমঠ উপন্যাস কে , কোন পটভূমিকায় রচনা করেন ? 
উত্তরঃ- ১১৭৬ সনের ( ১৭৭০ খ্রিস্টাব্দে ) মন্বস্তরের পটভূমিকায় বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় আনন্দমঠ রচনা করেন । 

জাতীয় চেতনার প্রসার ঘটানোর জন্য হিন্দুমেলা কী ভূমিকা নিয়েছিল ? 
উত্তরঃ- সূচনা : বিংশ শতকের ভারতবর্ষে জাতীয়তাবাদী ব্রিটিশ বিরোধী পটভূমি তৈরির ক্ষেত্রে যেসব সভা এগিয়ে এসেছিল তার মধ্যে অন্যতম ছিল হিন্দুমেলা । 

বার্ষিক সম্মেলন : ভারতীয় দেশপ্রেমিকদের জাগিয়ে তোলার জন্য হিন্দুমেলার প্রথম বার্ষিক সম্মেলনে ‘ মলিন মুখচন্দ্র মা ভারত তোমারি ‘ গানটি গাওয়া হয় এবং পরের সম্মেলনগুলিতে জ্ঞানেন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘ গাও ভারতের জয় ’ গানটি গাওয়া হয় । 

হিন্দুমেলার উদ্দেশ্য : হিন্দুমেলা প্রতিষ্ঠার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল— 

হিন্দু ধর্মের ঐতিহ্য : হিন্দু ধর্মের প্রাচীন ঐতিহ্য ও গৌরবময় দিকগুলি সাধারণ মানুষের মধ্যে তুলে ধরাই ছিল হিন্দুমেলার প্রধান উদ্দেশ্য । 
দেশাত্মবোধ জাগ্রত করা : দেশীয় ভাষাচর্চা , দেশাত্মবোধক কবিতাপাঠ , দেশীয় শিল্পীদের প্রসার , দেশীয় শরীরচর্চার মাধ্যমে দেশাত্মবোধ জাগিয়ে তোলা ছিল হিন্দুমেলার অপর উদ্দেশ্য । 
পাশ্চাত্য সংস্কৃতির অগ্রগতি রোধ : সমকালীন ভারতে পাশ্চাত্য সংস্কৃতির প্রসার রোধ করা ছিল অন্যতম উদ্দেশ্য । 
মূল্যায়ন : হিন্দুমেলার উদ্দেশ্য সম্পর্কে গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন , “ আমাদের এই মিলন সাধারণ ধর্ম – কর্মের জন্য নহে , কোনো বিশেষ সুখের জন্য নহে , কোনো আমোদপ্রমোদের জন্য নহে , ইহা স্বদেশের জন্য , ভারতভূমির জন্যে । ” 

২৭. অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ ভারতমাতা ’ ছবির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো । 
অথবা , অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ভারতমাতা চিত্রের মাধ্যমে কীভাবে জাতীয়তাবাদী ধারণার বিকাশ ঘটিয়েছেন ?

উত্তরঃ- সূচনা : ব্রিটিশ ভারতে বিভিন্ন চিত্রের মাধ্যমে ব্রিটিশ বিরোধী মনোভাব তৈরির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর । ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে আঁকা তার ভারতমাতা চিত্রটি বিশ শতকে ভারতের জাতীয়তাবাদী চেতনার প্রসার ঘটিয়েছিল । এই চিত্রে তিনি ভারতের প্রতীক হিসেবে ভারতমাতাকে দেখিয়েছিলেন ।

স্বদেশিকতা : ভারতমাতা চিত্রে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারতমাতার হাতে থাকা বেদ , ধানের শিষ , যপের মালা ও শ্বেতবস্ত্রকে ভারতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবে তুলে ধরেছেন । আসলে এই চিত্রের স্বদেশবোধের দ্বারা তিনি জাতীয়তাবাদী ভাবনার প্রসার করতে চেয়েছিলেন । 

জাতীয় চেতনা বৃদ্ধি : সমকালীন ভারতে বিভিন্ন ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের মিছিলের সামনে ভারতমাতার চিত্র রাখা হতো , যার দ্বারা ভারতমাতাকে জাতীয়তাবাদের প্রতীক হিসেবে দেখিয়ে ভারতে জাতীয় চেতনা বৃদ্ধি করা হয়েছিল বলে মনে করা হয় । 

মূল্যায়ন : ভারতমাতার চিত্র নিয়ে বিতর্কও লক্ষণীয় । ভগিনী নিবেদিতা ভারতমাতার ভূয়সী প্রশংসা করে বলেছেন , “ এই চিত্রটির মাধ্যমে বিমূর্ত জাতীয়তাবাদকে মূর্ত করে তোলা হয়েছে । ” অন্যদিকে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর যে হিন্দু স্বাদেশিকতার উগ্র সমর্থক ছিলেন তার কোনো প্রমাণও এখান থেকে পাওয়া যায় না । 

২৮. হিন্দুমেলার সীমাবদ্ধতাগুলি সংক্ষেপে লেখো । 
অথবা , হিন্দুমেলা কেন জনপ্রিয়তা লাভ করতে পারেনি । 

উত্তরঃ- নবগোপাল মিত্র প্রতিষ্ঠিত ‘ হিন্দুমেলা ’ জনপ্রিয়তা না পেলেও উনিশ শতকের বিশেষ উল্লেখযোগ্য সংগঠন ছিল । এর সীমাবদ্ধতাগুলি নিম্নরূপঃ 

ধর্মীয় প্রাধান্য : নবগোপাল মিত্র হিন্দু ভারতের পুনর্জাগরণের স্বপ্ন দেখতেন । শিক্ষিত তরুণ প্রজন্ম ও মধ্যবিত্ত শ্রেণি নবগোপাল ও তার সংগঠনের ভাবধারাকে সমর্থন করতে পারেনি । 
রাজনৈতিক কর্মসূচির অভাব : রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে গুরুত্ব না দিয়ে শুধু দেশাত্মবোধের প্রচার করায় হিন্দুমেলার উদ্যোগ বিশেষ সাফল্য পায়নি । 
সক্রিয়তার অভাব : ব্রিটিশ – বিরোধী যুগোপযোগী সক্রিয়তা ছিল না হিন্দুমেলার কর্মকাণ্ডে । সাধারণ মানুষকে তাই কাছে টানতে পারেনি হিন্দুমেলা । 

২৯. মহারানি ভিক্টোরিয়ার ঘোষণাপত্র আলোচনা করো । 
অথবা , মহারানির ঘোষণাপত্রে কী বলা হয়েছে ? 
অথবা , ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে মহারানি ভিক্টোরিয়ার ঘোষণাপত্রের ঐতিহাসিক তাৎপর্য লেখো । 

উত্তরঃ- সূচনা : ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের সিপাহি বিদ্রোহ ভারতবর্ষের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে অতি দ্রুত ছড়িয়ে পড়লেও শেষ পর্যন্ত তা ব্যর্থ হয়েছিল । স্বল্পকালীন এই সর্বভারতীয় বিদ্রোহ ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছিল । এইসময়ে কোম্পানির হাত থেকে ব্রিটিশ সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের বিষয়টি মহারানির ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে করা হয় । 

মহারানির ঘোষণাপত্রের ঐতিহাসিক তাৎপর্য / বিষয়বস্তু : 

কোম্পানির শাসনের অবসান : ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে ভারত শাসন আইনের দ্বারা ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটে ও ভারতের শাসনভার মহারানি নিজের হাতে তুলে নেন । 
ঘোষণাপত্রের বক্তব্য : মহারানির ঘোষণাপত্রের মাধমে ভারতীয় শাসন ব্যবস্থায় নতুন নীতি ও আদর্শের কথা প্রকাশ করা হয় । যেখানে বলা হয়— 
প্রথমত , এই ঘোষণাপত্র দ্বারা ১৮৪৮ খ্রিস্টাব্দে জারি করা স্বত্ববিলোপ নীতি বাতিল হয় । 

দ্বিতীয়ত , স্থির করা হয় ভবিষ্যতে যে কোনো সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে যোগ্যতাকেই সার্বিক প্রাধান্য দিতে হবে। 

তৃতীয়ত , ব্রিটিশ সরকার জাতি , ধর্ম , বর্ণ নির্বিশেষে কারোর প্রচলিত সামাজিক ও ধর্মীয় রীতিনীতিতে হস্তক্ষেপ করবে না । 

চতুর্থত , এই ঘোষণাপত্র অনুসারে স্থির হয় , সরকার দেশীয় রাজ্যগুলির সাথে স্বাক্ষরিত চুক্তি ও সন্ধিগুলো মেনে চলবে । 

মূল্যায়ন : আসলে মহারানির ঘোষণাপত্র ছিল সিপাহি বিদ্রোহের সুদূরপ্রসারী ফলাফল । যদিও এই বিদ্রোহের পরবর্তীকালে সংস্কার ও পুনর্গঠনের নামে ব্রিটিশরা যা কিছু করেছিল বা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা সঠিকভাবে কার্যকরী হয়নি । 

৩০. ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম সভাপতি ও প্রথম সম্পাদক কে ছিলেন ?
উত্তরঃ- ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম সভাপতি ছিলেন রাজা রাধাকান্তদেব । প্রথম সম্পাদক ছিলেন দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর । 

৩১. বেঙ্গল ব্রিটিশ ইন্ডিয়া সোসাইটি করে স্থাপিত হয় ? এর বাংলা নামটি কী ছিল ? 
উত্তরঃ- বেঙ্গল ব্রিটিশ ইন্ডিয়া সোসাইটি ১৮৪৩ খ্রিস্টাব্দের ২৫ এপ্রিল স্থাপিত হয় । এর বাংলা নামটি ছিল ‘ ভারতবর্ষীয় সভা ‘ । 

৩২. বেঙ্গল ব্রিটিশ ইন্ডিয়া সোসাইটি গঠনের লক্ষ্য কী ছিল ?
উত্তরঃ- বেঙ্গল ব্রিটিশ ইন্ডিয়া সোসাইটি গঠনের লক্ষ্য ছিল সকল শ্রেণির ভারতবাসীর কল্যাণসাধন এবং তাদের রাজনৈতিক ও সামাজিক অধিকারগুলিকে সুনিশ্চিত করা । 

৩৩. জ্ঞানোপার্জিকা সভা ‘ কবে প্রতিষ্ঠিত হয় ? এই সভার কীভাবে বিলোপ ঘটে ?
উত্তরঃ- ১৮৩৮ খ্রিস্টাব্দের ২৫ জানুয়ারি “ জ্ঞানোপার্জিকা সভা ’ প্রতিষ্ঠিত হয় । পরে এই সভা জ্ঞানোপার্জনের প্রাথমিক উদ্দেশ্য ত্যাগ করে এবং বেঙ্গল – ব্রিটিশ সোসাইটি নামক একটি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হয় । 

৩৪. সিপাহি বিদ্রোহের প্রথম শহিদ কে ছিলেন ? তিনি কবে শহিদ হন ? 
উত্তরঃ- সিপাহি বিদ্রোহের প্রথম শহিদ ছিলেন মঙ্গল পাণ্ডে । ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে ৪ এপ্রিল তাঁর ফাসি হয় । 

৩৫. ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহের প্রতি শিক্ষিত বাঙালি সমাজের কীরূপ মনোভাব ছিল ? 
উত্তরঃ- সূচনা : ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহ প্রথম অবস্থায় সিপাহিদের দ্বারা শুরু হলেও কৃষক , কারিগর , শ্রমিক , শিল্পী প্রভৃতি সম্প্রদায়ের মানুষ বিদ্রোহে যোগদান করেছিল । কিন্তু মধ্যবিত্ত শিক্ষিত সমাজের মানুষেরা এই বিদ্রোহকে সমর্থন করেনি বরং তারা আন্দোলনের সাথে যুক্ত নেতাদের ব্যঙ্গ করেছিল ।

মহাবিদ্রোহের প্রতি শিক্ষিত বাঙালি সমাজের মনোভাব :

অধিকাংশ শিক্ষিত বাঙালির বিরূপ মনোভাব : 
সিপাহি বিদ্রোহের সময় শিক্ষিত বাঙালি সমাজের মানুষেরা ব্রিটিশ শাসনের দিকে ঝুঁকে পড়েছিল । কারণ তারা ব্রিটিশ সরকারের অধীনে সরকারি চাকরির প্রতি অনুরক্ত ছিল । 

মধ্যযুগীয় শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠার ভয় : 
শিক্ষিত সমাজের মানুষের ধারণা ছিল বিদ্রোহীরা জয়লাভ করলে মধ্যযুগীয় বর্বরতা প্রতিষ্ঠিত হবে । তাই তারা বিদ্রোহকে সমর্থন করেনি । 

আধুনিকতা অবসানের ভয় : 
শিক্ষিত মধ্যবিত্ত সম্প্রদায়ের মানুষেরা ছিল আধুনিক শিক্ষা ও সংস্কারের সমর্থক । তারা মনে করত সিপাহি বিদ্রোহীরা সাফল্য পেলে আধুনিকতার অবসান ঘটবে । তাই তারা বিদ্রোহকে সমর্থন করেনি । 

মূল্যায়ন : 
সিপাহি বিদ্রোহের শেষ পর্বে ব্রিটিশ সরকার যখন কঠোর দমননীতি প্রয়োগ করে তখন শিক্ষিত মধ্যবিত্ত সম্প্রদায়ের ব্রিটিশদের প্রতি মোহভঙ্গ হয় । তারা অনুভব করে যে ব্রিটিশ শাসন কখনো ভারতবাসীর কল্যাণ করতে পারে না । 

৩৬. ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহ বা সিপাহি বিদ্রোহের ব্যর্থতার কারণ লেখো ।
উত্তরঃ- 
সূচনা : ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের ২৯ মার্চ শুরু হওয়া সিপাহি বিদ্রোহ খুব অল্প সময়ে দ্রুত ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে এবং এক গণআন্দোলনে পরিণত হয় । যদিও গোর্খা বাহিনীর সাহায্যে ব্রিটিশ সরকার এই বিদ্রোহ স্তব্ধ করেছিল । এর কারণে বলা যায় 

বিদ্রোহের বিচ্ছিন্নতা : 
ভারতের সর্বত্র বিদ্রোহ একযোগে না হওয়ায় বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্ত ও বিচ্ছিন্নভাবে এই বিদ্রোহ হয় । ফলে ইংরেজদের পক্ষে বিদ্রোহ দমন খুব সহজ হয়ে ওঠে । 

সুযোগ্য নেতৃত্বের অভাব : 
সিপাহি বিদ্রোহ পরিচালনার জন্য নানা সাহেব , লক্ষ্মীবাঈ , তাঁতিয়া টোপি প্রমুখ সাহসী ও সমরকুশলী হলেও ইংরেজ সেনাপতি লরেন্স , হ্যাভলক , আউটরাম প্রমুখের মতো সুযোগ্য নেতৃত্বের অভাবকে অনেকে এই বিদ্রোহের ব্যর্থতার অন্যতম কারণ মনে করেছেন । 

সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যের অভাব : 
বিদ্রোহীরা জনগণের কাছে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য তুলে ধরতে পারেনি যা ছিল বিদ্রোহের ব্যর্থতার অন্যতম কারণ । 
সংকীর্ণতা : সিপাহি বিদ্রোহের নেতাদের মধ্যে আঞ্চলিক স্বার্থ ও সংকীর্ণতা বিদ্যমান থাকায় তারা সর্বত্র একই নীতি অনুসরণ করতে পারেনি । 
মূল্যায়ন : উপরের আলোচনায় স্পষ্ট যে সিপাহি বিদ্রোহের ব্যর্থতা ছিল একাধিক কারণের যৌগিক প্রক্রিয়ার ফলশ্রুতি । 

৩৭. ১৮৫৭ – র মহাবিদ্রোহকে ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ ’ বলা যায় না কেন ? 
উত্তরঃ- প্রখ্যাত বিপ্লবী বিনায়ক দামোদর সাভারকার ১৮৫৭ – র মহাবিদ্রোহকে ‘ ভারতের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম ‘ বলে অভিহিত করেছেন । কিন্তু ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদার ও সুরেন্দ্রনাথ সেন এই মতকে অস্বীকার করে বলেছেন যে , ( ১ ) জনগণের অংশগ্রহণ সর্বত্র সমানভাবে ঘটেনি ; ( ২ ) মারাঠা , রাজপুত , শিখ , গোরখা প্রভৃতি জাতি বিদ্রোহ থেকে দূরে ছিল ; ( ৩ ) সে সময় জাতীয় চেতনার উন্মেষ হয়নি ; ( ৪ ) বিদ্রোহীরা নিজের ক্ষুদ্র স্বার্থে বিদ্রোহ করেছিল — জাতীয় স্বার্থে নয় । তাই এই বিদ্রোহকে প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ বলা যায় না । 

৩৮. ১৮৫৭ – র বিদ্রোহকে জাতীয় সংগ্রাম / জাতীয় বিদ্রোহ বলা কতটুকু যুক্তিসংগত ? 
উত্তরঃ- ১৮৫৭ – র বিদ্রোহের স্পষ্ট উদ্দেশ্য ও সর্বভারতীয় চরিত্র না – থাকলেও তা ছিল জাতীয় সংগ্রাম , কারণ 214 31 প্রথমত , ভারতের এক বৃহদাংশের নানা শ্রেণির জনগণ ও সিপাহিরা একযোগে লড়ে ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়েছিল । দ্বিতীয়ত , তারা বাহাদুর শাহকে জাতীয় ঐক্যের প্রতীকরূপে ভারতের সম্রাট বলে ঘোষণা করে । তৃতীয়ত , এই বিদ্রোহে জনগণের সার্বিক অংশগ্রহণ ও স্পষ্ট উদ্দেশ্য না থাকলেও এই বিদ্রোহ জাতীয় বিদ্রোহের চরিত্রলাভ করেছিল । 

৩৯. ১৮৫৭ – র মহাবিদ্রোহের প্রকৃতি ও চরিত্র সম্পর্কে দুটি পরস্পরবিরোধী মতের উল্লেখ করো । 
উত্তরঃ- ম্যালেসন , জন কে , স্যার জন লরেন্স , রবার্টস প্রমুখ ইংরেজ ঐতিহাসিক সিপাহি বিদ্রোহকে নিছক সিপাহি বিদ্রোহ বলেই অভিহিত করেছিলেন , কারণ এই বিদ্রোহ সিপাহিদের দ্বারা সূচিত হয়েছিল এবং সিপাহিদের মধ্যেই তা সীমাবদ্ধ ছিল । অপরদিকে জে বি নর্টন , আলেকজান্ডার ডাফ , হোমস প্রমুখ মত প্রকাশ করেছিলেন যে , প্রথমে সিপাহিদের মধ্যে শুরু হলেও ক্রমশ এই বিদ্রোহ জাতীয় বিদ্রোহের রূপ পরিগ্রহ করে ।

৪০. ১৮৫৭ -র বিদ্রোহকে সামন্ততান্ত্রিক প্রতিক্রিয়া বলা হয় কেন ? 
উত্তরঃ- ১৮৫৭ – র বিদ্রোহে কিছু রাজ্যচ্যুত সামন্তরাজা ও ভূমিচ্যুত জমিদার ও তালুকদার নেতৃত্ব দিয়েছিল । এদের লক্ষ্য ছিল হৃত রাজ্য ও জমিদারি পুনরুদ্ধার । সামস্তশ্রেণির এই প্রয়াসকে বামপন্থী চিন্তাবিদ রজনীপাম দত্ত রক্ষণশীল ও সামন্ততান্ত্রিক শক্তিগুলির অভ্যুত্থান বলে উল্লেখ করেছেন । 

৪১. ১৮৫৭ – র বিদ্রোহকে ভারতে প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ বলা হয় – কেন ? 
উত্তরঃ- প্রখ্যাত বিপ্লবী বিনায়ক দামোদর সাভারকার ১৮৫৭ – র বিদ্রোহকে ভারতের ‘ প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ ‘ বলে আখ্যায়িত করেছেন , কারণ প্রথমত , ১৮৫৭ – র বিদ্রোহে অংশগ্রহণকারী বিদ্রোহীরা মনেপ্রাণে ইংরেজ বিতাড়ন করতে চেয়েছিল । দ্বিতীয়ত , বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোক একসঙ্গে লড়েছিল এবং দ্বিতীয় বাহাদুর শাহকে ভারতের সম্রাট বলে মেনে নিয়েছিল । তৃতীয়ত , ইংরেজ – বিরোধী এত ব্যাপক আন্দোলন ইতিপূর্বে ভারতে আর হয়নি । 


সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন (প্রতিটি প্রশ্নের মান-২) নিজে করো 

  1. অস্ত্র আইনের বিরুদ্ধে ভারত সভার আন্দোলন কী ছিল?
  2. হিন্দুমেলার সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তির নাম লেখো।
  3. গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের আঁকা কয়েকটি ব্যঙ্গচিত্রের নাম লেখো।
  4. সভাসমিতির যুগ” কাকে বলে?
  5. জমিদার সভা গঠনের উদ্দেশ্য কী ছিল?
  6. ১৮৫৭-র বিদ্রোহকে কারা, কেন জাতীয় বিদ্রোহ’ বলেছেন?
  7. বঙ্গভাষা প্রকাশিকা’ সভার সীমাবদ্ধতা কী ছিল?
  8. কে, কেন ‘ভাইসরয়’ উপাধি লাভ করেন?
  9. গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যঙ্গচিত্রের বিষয় কী ছিল?
  10. হিন্দুমেলা গড়ে ওঠার পিছনে কী কারণ ছিল ?
  11. সিপাহীরা তাদের বিদ্রোহকে সংগঠিত করার ক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল?
  12. ভারতের ধর্মীয় বিষয়ে গোরার কী উপলদ্ধি ছিল ?
  13. জাতীয়তাবাদের বিকাশে ‘আনন্দমঠ’-এর ভূমিকা বিশ্লেষণ করো।
  14. ‘ইলবার্ট বিল’ কী?
  15. শিক্ষিত বাঙালি সমাজ কেন ১৮৫৭-র বিদ্রোহকে সমর্থন করেনি?
  16. মহারানীর ঘোষণাপত্রের প্রধান ঘোষণাগুলি কী কী?
  17. হিন্দুমেলা কেন ‘চৈত্রমেলা’ নামে পরিচিত ছিল?
  18. ভারতের প্রথম রাজনৈতিক সংগঠন কোনটি এর উদ্দেশ্য কী ছিল?
  19. মহাবিদ্রোহের সময় বিদ্রোহীরা কাকে, কেন ভারতের সম্রাট’ বলে ঘোষণা করে?
  20. অযোধ্যাতে মহাবিদ্রোহ কীরূপ আকার ধারণ করেছিল?



বিশ্লেষণধর্মী প্রশ্ন (প্রতিটি প্রশ্নের মান-৪) নিজে করো 

  1. মহাবিদ্রোহের প্রত্যক্ষ কারণ কী ছিল?
  2. ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহে বাঙালি বুদ্ধিজীবী শ্রেণির মনোভাব আলোচনা করো।
  3. বঙ্কিমচন্দ্রের ‘আনন্দমঠ উপন্যাসটি কীভাবে জাতীয়তাবাদী ভাবধারা প্রসারের পক্ষে সহায়ক হয়ে উঠেছে?
  4. মহাবিদ্রোহকে কি জাতীয় সংগ্রাম বলা যায় ? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।
  5. ভারতের জাতীয় জাগরণে বর্তমান ভারত ও বিবেকানন্দের ভূমিকা উল্লেখ করো।
  6. টীকা লেখো : সভাসমিতির যুগ।
  7. জমিদার সভা সম্পর্কে যা জানো লেখো।
  8. ভারতমাতা চিত্রটির মধ্য দিয়ে জাতীয়তাবোধ কীভাবে ফুটে উঠেছে?
  9. ভারতের জাতীয় চেতনার বিকাশে ‘গোরা’ ও বিশ্বকবির ভূমিকা লেখো।
  10. টীকা লেখো : বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা।
  11. ভারত সভা গঠনের উদ্দেশ্যগুলি কী কী ছিল?


দশম শ্রেণীর ইতিহাস – সংঘবব্ধতার গোড়ার কথা : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ  (Songhobodhotar Gorar Kotha, Boisisto O Bisleson) (চতুর্থ অধ্যায়)" রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর" । WBBSE ক্লাস 10 / Madhyamikth History 4th Chapter DAQ Questions and Answers | Madhyamik History Songhobodhotar Gorar Kotha, Boisisto O Bisleson Detailed Question and Answer

রচনাধর্মী বা বিশ্লেষণধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর (প্রতিটি প্রশ্নের মান ৫)

১. ‘ভারতসভার প্রতিষ্ঠা ও ভূমিকা আলোচনা করো । 
অথবা , ভারতসভার লক্ষ্য কী ছিল ? জাতীয় আন্দোলনের উন্মেষে এই সভা কীভাবে সাহায্য করেছিল ? 
Ans: ভূমিকা : ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দের ২৬ জুলাই কলকাতার অ্যালবার্ট হলে সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় , আনন্দমোহন বসু প্রমুখের উদ্যোগে স্থাপিত হয় ভারতসভা বা ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন । শিশিরকুমার ঘোষের প্রতিষ্ঠিত ‘ ইন্ডিয়ান লিগ’ও এর সঙ্গে যুক্ত হয় । 

প্রেক্ষাপট : 
ভারতসভা প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপটে দেখা যায় যে প্রথমত , সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ বুদ্ধিজীবী শ্রেণির নেতা উপলব্ধি করেছিলেন যে , দেশের বৃহত্তর জনগণের সংযোগে গণতান্ত্রিকভাবে সমিতি গঠন না করলে সরকার সেই সমিতির দাবিকে মূল্য দেবে না । দ্বিতীয়ত , ভারতে ইতিপূর্বে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক সমিতিগুলি ছিল রক্ষণশীল ও তাদের আচরণ ছিল অভিজাতসুলভ । তৃতীয়ত , সর্বভারতীয় স্তরে সমিতি গঠন ও আন্দোলন পরিচালনার মাধ্যমে ভারতীয় স্বার্থ সুরক্ষিত করা । 

ভারতসভার উদ্দেশ্য : ‘ ভারতসভা ‘ – র চারটি ঘোষিত উদ্দেশ্য ছিল , যেমন – 
( ১ ) জনমত গঠন , 
( ২ ) ভারতের সকল জাতি ও সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐক্য স্থাপন , 
( ৩ ) হিন্দু – মুসলিম ঐক্য স্থাপন এবং 
( ৪ ) রাজনৈতিক আন্দোলনের সঙ্গে ভারতের জনসংযোগ ঘটানো । যাতে সাধারণ ভারতীয়রা বিপুল সংখ্যায় এই সংগঠনে যোগ দিতে পারে তার জন্য এর সদস্য চাঁদা দরিদ্রতম শ্রেণির জন্য এক টাকা হিসেবে ধার্য করা হয় । 

দ্বিতীয় অংশ , ‘ ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে ভারতসভার ১২৪ টি শাখা গড়ে ওঠে এবং এগুলির মাধ্যমে ভারতসভা জাতীয় আন্দোলন গড়ে তুলতে সচেষ্ট হয় । 

ভারতসভার উল্লেখযোগ্য কার্যাবলি হল > সিভিল সার্ভিস সংক্রান্ত আন্দোলন ভারতসভা সর্বপ্রথম আন্দোলন গড়ে তোলে ভারতীয় সিভিল সার্ভিস আইনের সংস্কারকে কেন্দ্র করে । এই আইনের মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকার ভারতীয় সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার্থীদের বয়স ২১ থেকে কমিয়ে ১৯ করলে ভারতসভা এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায় । সিভিল সার্ভিস সংক্রান্ত একটি সর্বভারতীয় প্রতিবাদপত্র লালমোহন ঘোষ মারফৎ ব্রিটিশ সংসদে পেশ করা হয় । 

লিটনের প্রতিক্রিয়াশীল আইনের বিরোধিতা : ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে লর্ড লিটন দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন জারি করে দেশীয় ভাষার সংবাদপত্রগুলির স্বাধীন মতপ্রকাশের অধিকার কেড়ে নেন এবং ওই বছরেই অস্ত্র আইন জারি করে ভারতবাসীকে নিরস্ত্র করার চেষ্টা করেন । কলকাতার টাউন হলে ‘ ভারতসভা ‘ — এই দুটি আইনের বিরুদ্ধে বিরাট বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে । 

ইলবার্ট বিলের পক্ষে আন্দোলন : 
লর্ড রিপন – এর আমলে ভারতীয় বিচারব্যবস্থায় বর্ণবৈষম্য দূর করার উদ্দেশ্য তাঁর আইন সচিব সি পি ইলবার্ট একটি বিল বা আইনের খসড়া রচনা করলে ভারতসভা এই বিলের পক্ষে আন্দোলন শুরু করে । 

মূল্যায়ন : 
১৮৮৩ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বরে সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতার প্রথম জাতীয় সম্মেলন ‘ আহ্বান করেন । এর দু – বছর পর তিনি দ্বিতীয় ‘ জাতীয় সম্মেলন ‘ আহ্বান করেন , যা ছিল ভারতের জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার পূর্বাভাস । সুতরাং দেখা যায় , যে ভারতসভাই ছিল আধুনিক ভারতের প্রথম সর্বভারতীয় রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান এবং এই সভার মধ্য দিয়েই সর্বভারতীয় জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের বিকাশ ঘটে । 

২. ‘জমিদার সভা ’ ও ‘ ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন সম্বন্ধে কী জান ?

Ans: প্রথম অংশ , জমিদার সভা : উনিশ শতকে ভারতে তথা বাংলায় যে সভাসমিতি গড়ে উঠেছিল তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল জমিদার সভা ( ১২ নভেম্বর ১৮৩৮ খ্রি . ) । এই সভার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন রাধাকান্ত দেব এবং যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন প্রসন্নকুমার ঠাকুর ও ডব্লিউ সি হ্যারি । 

জমিদার সভার উদ্দেশ্য : 
জমিদার সভা প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যগুলি ছিল প্রথমত , বাংলা – বিহার – উড়িষ্যার জমিদার স্বার্থ রক্ষা করা ও জমিদারদের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করা ; 

দ্বিতীয়ত , জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় এবং সরকার কর্তৃক নিষ্কর জমির বাজেয়াপ্তকরণ বিষয়ে আন্দোলন গড়ে তোলা ; তৃতীয়ত , ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের প্রবর্তন । বাস্তবেও দেখা যায় যে , ‘ বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা ’ নিষ্কর জমির বাজেয়াপ্তকরণ বিষয়ে যে আন্দোলন শুরু করেছিল , ‘ জমিদার সভা ‘ আবার সেই বিষয়েই নতুন করে আলোচনা শুরু করে । 

জমিদার সভার কার্যাবলি : 
জমিদার সভার উদ্দেশ্য ছিল জমিদারদের স্বার্থ সুরক্ষিত করা । 

এই সভার কার্যাবলি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে জমিদারদের মত প্রকাশ : নিষ্কর জমি বাজেয়াপ্ত করা এবং প্রশাসনের বিভিন্ন কাজকর্ম পুলিশ , আইন – আদালত , আদালতে ব্যবহৃত ভাষা , রাজস্ব ইত্যাদি নানা বিষয় নিয়ে জমিদার সভা তার নিজস্ব মতামত প্রকাশ করতে থাকে ।

 সরকারি মর্যাদা : 
কিছুদিনের মধ্যেই জমিদার সভা সরকারের কাছ থেকে চেম্বার অফ কমার্সের মর্যাদা পায় । সরকারের প্রস্তাবিত আইন – কানুন চূড়ান্ত হওয়ার আগে জমিদার সভার মতামত নেওয়া হত । 

 নিষ্কর জমির ব্যবস্থা : 
জমিদার সভার কার্যক্রমের জন্যই প্রতি গ্রামে পঞ্চাশ বিঘা জমি নিষ্কর রাখার ব্যবস্থা হওয়ায় জমিদার থেকে রায়ত সকলেই এর দ্বারা উপকৃত হয়েছিলেন । 

 নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের পুরোধা এই সভাই প্রথম নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের পথ দেখায় । রাজেন্দ্রলাল মিত্রের মতে , জমিদার সভা ছিল ভারতের রাজনৈতিক তথা স্বাধীনতা আন্দোলনের পুরোধা । দ্বিতীয় অংশ , ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন – এর ( বাংলা নাম ব্রিটিশ ভারতবর্ষীয় সভা ) প্রতিষ্ঠাকাল ১৮৫১ খ্রিস্টাব্দের ২৯ অক্টোবর । ইতিপূর্বে গঠিত জমিদার সভা ( ১৮৩৮ খ্রি . ) এবং ‘ বেঙ্গল ব্রিটিশ ইন্ডিয়া সোসাইটি ‘ ( ১৮৪৩ খ্রি . ) ১৮৫১ খ্রিস্টাব্দে মিলিত হয় এবং এই দুই সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত হয় ব্রিটিশ ইন্ডিয়া অ্যাসোসিয়েশন । সভার প্রথম সভাপতি ছিলেন রাজা রাধাকান্ত দেব এবং সম্পাদক দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ।

 উদ্দেশ্য : 
এই সভা প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ছিল ব্রিটিশ শাসিত ভারতের উন্নতিসাধন এবং তার জন্য বিভিন্ন আন্দোলন পরিচালনা । 

 কার্যকলাপ : 
প্রতিষ্ঠার কিছুদিন পরেই প্রথমত , এই অ্যাসোসিয়েশন ভারত শাসনসংস্কারমূলক একটি স্মারকলিপি ব্রিটিশ পার্লামেন্টে পাঠায় । দ্বিতীয়ত , অ্যাসোসিয়েশন শিক্ষা , স্বাস্থ্য , রাজস্ব , পুলিশ , আইন – কানুন প্রভৃতি বিষয়ে সরকারের সমালোচনাও করে ; তৃতীয়ত , এই সভা জাতীয় স্বার্থ রক্ষার জন্য বিভিন্ন প্রস্তাবের পাশাপাশি । ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দে অ্যাসোসিয়েশন শিক্ষাক্ষেত্রে সরকারি নিয়ন্ত্রণে বাধা দেয় এবং জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার কাজে এই সভা সক্রিয় সহযোগিতা করে । ব্রিটিশ ভারতে এই সভার কার্যকলাপ মূলত বাংলাদেশে সীমাবদ্ধ হলেও এটাই ছিল ভারতের প্রথম বৃহত্তম রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান । 


৩.  সংক্ষেপে মহাবিদ্রোহের ( ১৮৫৭ খ্রি . ) চরিত্র বিশ্লেষণ করো ।
 অথবা , মহাবিদ্রোহের চরিত্র ও প্রকৃতি বিশ্লেষণ করো ।

Ans: ভূমিকা : ১৮৫৭ – র বিদ্রোহের সময়কাল থেকে আজ পর্যন্ত বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ঐতিহাসিকরা এই বিদ্রোহের প্রকৃতি ও চরিত্র বিশ্লেষণ করেছেন । 

চরিত্র ও প্রকৃতি : ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহের প্রকৃতির বিভিন্ন দিকগুলি হল –

 শুধুমাত্র সিপাহি বিদ্রোহ : ম্যালেসন , জন কে , স্যার জন লরেন্স , পি ই রবার্টস প্রমুখ ইংরেজ এই বিদ্রোহকে নিছক সিপাহি বিদ্রোহ ছাড়া আর কিছু মনে করেন না । সমসাময়িক ভারতীয় লেখক স্যার সৈয়দ আহমদ খান , দুর্গাদাস বন্দ্যোপাধ্যায় , কিশোরচাঁদ মিত্র , হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় প্রমুখও মনে করেছেন , সিপাহি ও স্বার্থান্বেষী ব্যক্তিদের দ্বারা সংগঠিত এই বিদ্রোহে জনগণের সংযোগ ছিল গৌণ ; সিপাহিরা নিজেদের সুযোগসুবিধা আদায়ের জন্য বিদ্রোহ করেছিল । 

 জাতীয় বিদ্রোহ : জে বি নর্টন , জনকে এবং ইংরেজ ঐতিহাসিক আলেকজান্ডার ডাফ প্রমুখ ১৮৫৭ – র বিদ্রোহকে ‘ জাতীয় বিদ্রোহ বলে অভিহিত করেছেন । কারণ , উত্তর ও মধ্য ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে জনসাধারণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিদ্রোহে শামিল হয়েছিল এবং তারা মনেপ্রাণে ব্রিটিশ বিতাড়ন চেয়েছিল । সিপাহিদের দ্বারা মনোনীত শেষ মোগল সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ হয়ে ওঠেন ভারতের জাতীয় সম্রাট , জাতীয়তার প্রতীক , হিন্দু – মুসলিম ঐক্যের প্রতীক । ভারতের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম প্রখ্যাত বিপ্লবী বিনায়ক দামোদর সাভারকার The Indian war of Independence গ্রন্থে ১৮৫৭ -র বিদ্রোহকে ‘ ভারতের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম ‘ বলে অভিহিত করেছেন । কারণ ইংরেজ – বিরোধী এত ব্যাপক আন্দোলন ইতিপূর্বে ভারতে আর ঘটেনি বলে এটিই ছিল ভারতের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম । 

 সামন্ততান্ত্রিক প্রতিক্রিয়া : বামপন্থী চিন্তাবিদ রজনী পাম দত্ত , এম এন রায় প্রমুখ এই বিদ্রোহকে রক্ষণশীল ও সামন্ততান্ত্রিক শক্তিগুলির অভ্যুত্থান বলে উল্লেখ করেছেন । অধ্যাপক সুশোভন সরকার ও এই বিদ্রোহের সামন্ততান্ত্রিক চরিত্র স্বীকার করে নিয়েছেন । 

সাম্প্রদায়িক আন্দোলন : সামাজিক ও ধর্মীয় কারণে এর সূচনা ঘটেছিল বলে আলফ্রেড লায়াল প্রমুখ তৎকালীন অনেক ইংরেজ কর্মচারী ১৮৫৭ – র বিদ্রোহকে সাম্প্রদায়িক আন্দোলন বলে ব্যাখ্যা করেছেন । সংশোধনবাদী মতামত : ১৮৫৭ – র বিদ্রোহের শতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে প্রখ্যাত ঐতিহাসিক ড . রমেশচন্দ্র মজুমদার তাঁর ” The Sepoy Mutiny and the Revolt of 1857 ‘ গ্রন্থে এবং সুরেন্দ্রনাথ সেন তাঁর Eighteen Fifty Sevent গ্রন্থে বহু তথ্য সংকলিত করে এই বিদ্রোহের ওপর নতুন করে আলোকপাত করার চেষ্টা করেছেন । 

 রমেশচন্দ্র মজুমদারের মত : ড . মজুমদারের মতে , এই বিদ্রোহ ভারতের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েনি । সকল শ্রেণির জনগণও এই বিদ্রোহে অংশগ্রহণ করেনি । তাই ১৮৫৭ – র তথাকথিত প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ না – ছিল প্রথম , না – ছিল জাতীয় , না – ছিল স্বাধীনতার যুদ্ধ ( The so called First National War of Independence in 1857 is neither First , nor National , nor a war of Independence ) । 

 ড . সেনের মতামত : ড . সুরেন্দ্রনাথ সেন – এর মতে , ১৮৫৭ – র বিদ্রোহ সিপাহি বিদ্রোহ হিসেবে শুরু হলেও শেষপর্যন্ত তা গণবিদ্রোহে পরিণত হয় । দিল্লি , অযোধ্যা , বিহার প্রভৃতি অঞ্চলে জনগণের অংশগ্রহণ ছিল সর্বাধিক এবং যেসকল অঞ্চলে জনগণের সমর্থন ছিল সেসব অঞ্চলের বিদ্রোহী নেতাদের লক্ষ্য ছিল প্রতিবিপ্লব ঘটানো । 

উপসংহার : কেমব্রিজ ঐতিহাসিক সি এ বেইলির মতে , ১৮৫৭ – র ভারতীয় বিদ্রোহ কেবল একটি আন্দোলন নয় , এর মধ্যে কৃষক অভ্যুত্থান বা জাতীয় বিদ্রোহের মতো আরও অনেক কিছুই ছিল ( ” The Indian rebellion of 1857 was not one movement , be it a peasant movement , or a war of national liberation , it was many . ‘ ) । 


৪. উনিশ শতকে লেখায় ও রেখায় জাতীয়তাবাদ কীভাবে ফুটে উঠেছে । এবং ঊনবিংশ শতকে রেখায় ও লেখায় জাতীয়তাবাদ কী ভাবে ফুটে উঠেছে । 

Ans: ভূমিকা : ঊনিশ শতকের শেষদিকে শিক্ষিত ভারতবাসীর চিন্তায় ও কর্মে এক ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে । ব্রিটিশ শাসকদের আচার আচরণে জাতি বৈরিতা এবং অর্থনৈতিক – রাজনৈতিক অসাম্যের প্রতিবাদে ‘ আনন্দমঠ ‘ , ‘ বর্তমান ভারত ’ , ‘ গোরা ’ গ্রন্দ্বে ভারতমাতা চিত্রে এক জাতীয়তাবাদী ধ্যানধারনার বিষয় ও প্রেক্ষাপট তুলে ধরা হয় । 

জাতীয়তাবাদী বিকাশে আনন্দমঠের ভূমিকা : 
পটভূমি : একদিকে ১৭৭০ খ্রিস্টাব্দে ( ১১৭৬ বঙ্গাব্দে ) বাংলার ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ ( ছিয়াত্তরের মন্বন্তর ) ও অন্যদিকে সন্ন্যাসী ও ফকির বিদ্রোহের প্রেক্ষাপটে এটি রচিত হয়েছে । 

উদ্দেশ্য : আনন্দমঠ উপন্যাসটি রচনার মূল উদ্দেশ্য ভারতীয়দের মধ্যে স্বদেশপ্রেম জাগরিত করা ও জাতীয়তাবাদের বিকাশ ঘটানো তথা দেশবাসীকে মুক্তি আন্দোলনে আন্দোলিত করা । 

বিভিন্ন চরিত্র : এই উপন্যাসের বিভিন্ন চরিত্রের মধ্যে রয়েছে সর্বত্যাগী সন্ন্যাসীদের চরিত্র যেমন — মহেন্দ্র , ভবানন্দ , সত্যানন্দ প্রমুখ । এটি ভারতকে মাতৃরূপে কল্পনা করে তার তিনটি রূপ দেখিয়েছে । যথা — জগদ্ধাত্রী , কালী , ও দশভূজা মূর্তি । 

ব্রিটিশ শাসনের দুর্দশার চিত্র : এই উপন্যাসে সমকালীন ভারতবাসীর সামনে পরাধীন ভারতমাতার দুর্দশার চিত্র তুলে ধরে বঙ্কিম স্বৈরাচারী ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে ভারতবাসীকে আহ্বান জানায় ।

বন্দেমাতরম সংগীত : এখানে বন্দেমাতরম সংগীতটি তুলে ধরা হয়েছে ১৮৭৫ খ্রিস্টাব্দে , যা ছিল পরাধীন ভারতের জাতীয় সংগীত তথা বিপ্লবীদের মন্ত্র । পরে ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে মাদাম ভিকাজি কামা রূপায়িত জাতীয় পতাকায় এই ধ্বনি স্থান পেয়েছে । 

দেশমাতার আদর্শ : আনন্দমঠে দেশমাতার আদর্শ হিসাবে বঙ্কিমচন্দ্র বলেছেন দেশমাতা হলেন মা , দেশপ্রেম হলো ধর্ম , দেশসেবা হলো পূজা । 

জাতীয়তাবাদ বিকাশে বর্তমান ভারতের গুরুত্ব : 
‘ বর্তমান ভারত ‘ গ্রন্থটি ভারতীয়দের মধ্যে জাতীয়তাবাদী ভাবধারা প্রসারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ । 

i) স্বামীজি বর্তমান ভারতে বৈদিক যুগ থেকে ব্রিটিশ শাসনকাল পর্যন্ত ভারতের ইতিহাস বর্ণনা করেছেন । 
ii) গ্রন্থটিতে স্বামীজি পরাধীনতার গ্লানির চিত্রটি তুলে ধরেছেন । ভারতবাসীকে স্বাধীনতার মন্ত্রে দীক্ষিত করেছেন । 
iii) তিনি উপলব্ধি করেছিলেন স্বাধীনতা লাভের জন্য ভারতীয়দের মধ্যে ঐক্য খুবই প্রয়োজন । 
iv) তিনি সমাজের দলিত ও নিম্নশ্রেণির মানুষের প্রতি শোষণের তীব্র নিন্দা করেছেন । তার মতে , ভারতে প্রাচীনকাল থেকে শূদ্রদের দমিয়ে রাখা হয়েছে । এবার শূদ্রজাতির জাগরণ ঘটবে । তাদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হবে । তিনি দেশপ্রেমের আদর্শে ভারতবাসীকে দীক্ষিত করেছেন । 

জাতীয়তাবাদ বিকাশে ‘ গোরা ‘ উপন্যাসের ভূমিকা : বিংশ শতকের গোড়ায় বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ ছিলেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ । তিনি তাঁর লেখনীর মাধ্যমে ক্রমাগত জাতীয়তাবোধের আদর্শকে এক অন্য পর্যায়ে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন । তাঁর অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপন্যাস ‘ গোরা ‘ ১৯০৭-০৯ খ্রিস্টাব্দ অবধি ‘ প্রবাসী ’ পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল । গোরা উপন্যাসটিকে সমগ্র আধুনিক ভারতীয় সাহিত্যের একটি যুগান্তকারী রচনা হিসেবে গণ্য করা হয় । এখানে ‘ গোরা ‘ চরিত্রটি প্রবল ইংরেজ বিদ্বেষী । তাঁর বিদ্বেষকে আরও বাড়িয়ে তোলে ইংরেজদের ভারতীয় সভ্যতা , সমাজ ও সংস্কৃতি নিয়ে তীব্র ঘৃণা ৷ গোরা প্রথমে উগ্র হিন্দুত্ববাদের প্রতি অনুরক্ত হয় কিন্তু পরবর্তীতে তার দৃষ্টিভঙ্গি পালটে যায় । সে উগ্র হিন্দুত্ব তথা সকল প্রকার ধর্মীয় আচারবিচার বর্জন করে সংকল্প নেয় প্রাচীন ভারতীয় সভ্যতার উৎকর্ষ প্রচারের মাধ্যমে ভারতবাসীর মনে স্বদেশপ্রেমের জোয়ার আনবে । ধর্মীয় ও সামাজিক রীতিনীতি ও আচারবিচারের পরিবর্তে স্বদেশপ্রেমের দ্বারাই যে জাতীয়তাবোধের জাগরণ সম্ভব তা সে উপলব্ধি করে এবং সেই কর্মযজ্ঞে সে নিজেকে উৎসর্গ করে । 
জাতীয়তাবাদ বিকাশে ‘ ভারতমাতা ’ ছবির গুরুত্ব : 
সূচনা : ব্রিটিশ ভারতে বিভিন্ন চিত্রের মাধ্যমে ব্রিটিশ বিরোধী মনোভাব তৈরির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর । ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে আঁকা তার ভারতমাতা চিত্রটি বিশ শতকে ভারতের জাতীয়তাবাদী চেতনার প্রসার ঘটিয়েছিল । এই চিত্রে তিনি ভারতের প্রতীক হিসেবে ভারতমাতাকে দেখিয়েছিলেন । 

স্বাদেশিকতা : ভারতমাতা চিত্রে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারতমাতার হাতে থাকা বেদ , ধানের শিষ , যপের মালা ও শ্বেতবস্ত্রকে ভারতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবে তুলে ধরেছেন । আসলে এই চিত্রের স্বদেশবোধের দ্বারা তিনি জাতীয়তাবাদী ভাবনার প্রসার করতে চেয়েছিলেন । 

জাতীয় চেতনা বৃদ্ধি : সমকালীন ভারতে বিভিন্ন ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের মিছিলের সামনে ভারতমাতার চিত্র রাখা হতো , যার দ্বারা ভারতমাতাকে জাতীয়তাবাদের প্রতীক হিসেবে দেখিয়ে ভারতে জাতীয় চেতনা বৃদ্ধি করা হয়েছিল বলে মনে করা হয় । 


৫. ‘আনন্দমঠ ‘ উপন্যাসের জাতীয়তাবাদী মূল্য বিচার করো । 

Ans: 
ভূমিকা : 
আনন্দমঠ ‘ ( ১৮৮২ খ্রি . ) উপন্যাসে লেখক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ‘ বন্দে মাতরম্ ‘ গানটির মধ্য দিয়ে বাঙালি সমাজকে দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবোধের মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ করে তোলেন । 

বিষয়বস্তু : 
‘ আনন্দমঠ ‘ উপন্যাসের বিষয়বস্তু বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে ঐতিহাসিক পটভূমি : ছিয়াত্তরের মন্বন্তর ও সন্ন্যাসী – ফকির বিদ্রোহের ক্ষীণ সূত্র ধরে অতীতের পটভূমিতে বঙ্কিম এক উজ্জ্বল ও জীবন্ত চিত্র তুলে ধরেন । সন্তান দল : স্বাদেশিকতা , আধ্যাত্মিকতা দেশোদ্ধারকারী সন্তান দলের প্রতিষ্ঠানের নামটিই আনন্দমঠ । এঁদের জীবনের মূলমন্ত্র ছিল , জননী ও জন্মভূমি স্বর্গের চেয়েও গরিমাময় । 

মাতৃমূর্তি : 
সন্তানদলের প্রধান স্বামী সত্যানন্দ মহেন্দ্রকে যে মাতৃমূর্তি দেখান , তার তিনটি রূপ , যেমন— ” মা যা ছিলেন ’ , ‘ মা যা হইয়াছেন ‘ এবং ‘ মা যা হইবেন ‘ । দ্বিতীয় মূর্তিটি মায়ের নগ্নিকা মুর্তি , ঔপনিবেশিক শাসনকালে যা রিক্ত ও নিঃস্ব , চারিদিকে শ্মশানের পরিবেশ ও মৃত্যুর হাহাকার ; তৃতীয় রূপটি হল ঔপনিবেশিক শাসনের অবসানে মা যে রূপটি ফিরে পাবেন , তা হল দশভূজা দুর্গার রূপ । জাতীয়তাবাদ : বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘ আনন্দমঠ ‘ উপন্যাস যেভাবে জাতীয়তাবাদী ভাবধারাকে উদ্বুদ্ধ করেছিল তা হল – 

জাতীয়তাবাদের উদ্‌বোধন : 
জাতীয়তাবাদের সঙ্গে ধর্মবোধকে জুড়ে দিয়েছিলেন , কারণ বাঙালির জাতীয়তাবাদের এক বড়ো অংশ জুড়েই ছিল ধর্ম । _ ইতিবাচক মতবাদ : এই গ্রন্থে বঙ্কিম ব্যক্তিজীবনের সঙ্গে জাতীয় জীবনের , জাতীয় জীবনের সঙ্গে রাষ্ট্র ও ধর্মের সমন্বয় সাধন করেছেন । এই পূর্ণ সামঞ্জস্যবিধানের সূত্রটি তিনি খুঁজে পেয়েছিলেন ফরাসি দার্শনিক কোঁতে – এর ‘ পজিটিভজ্ম ’ নামে ইতিবাচক মতবাদের মধ্যে । 

দেশপ্রেমের বাণী : 
‘আনন্দমঠ ‘ – এর মাধ্যমে দেশপ্রেমের বাণী প্রকাশিত হয় । এটি স্বদেশপ্রেম , দেশমাতা আদর্শের ধারণার উদ্ভব ঘটায় , কারণ এই গ্রন্থে বলা হয়েছিল দেশমাতা হলেন মা , দেশপ্রেম হল ধর্ম এবং দেশসেবা হল পূজা । 

অভয়মন্ত্র : এই উপন্যাসে জন্মভূমিকে মাতৃরূপে কল্পনা করে রচিত ‘ বন্দে মাতরম্ ’ সঙ্গীতটি পরাধীন ভারতের বিপ্লবী মন্ত্র ও রণ সঙ্গীতে পরিণত হয় । 

আত্মত্যাগের আদর্শ : এই গ্রন্থটি দেশের যুবসম্প্রদায়কে স্বদেশ ভক্তি , ত্যাগ ও সেবাধর্মে উদ্বুদ্ধ করে স্বদেশ প্রেমের গীতারুপে চিহ্নিত হয়েছিল ।  


৬. ভারতে জাতীয়তাবাদী চেতনার উন্মেষে বঙ্কিমচন্দ্রের ‘ আনন্দমঠ ‘ উপন্যাসের ভূমিকা ব্যাখ্যা করো । অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অঙ্কিত ‘ ভারতমাতা চিত্রটি বিখ্যাত কেন ?

Ans: প্রথম অংশ : জাতীয়তাবাদী চেতনায় উম্মেষ : ভারতে জাতীয়তাবাদী চেতনার উন্মেষে ‘ আনন্দমঠ ‘ ( ১৮৮২ খ্রি . ) ছিল খুব গুরুত্বপূর্ণ এক জাতীয়তাবাদী উপন্যাস , কারণ স্বদেশপ্রেম : বঙ্কিমচন্দ্র রচিত ‘ আনন্দমঠ ‘ উপন্যাস জাতীয়তাবাদী চেতনার উন্মেষের সঙ্গে সঙ্গে দেশবাসীর মনে স্বাদেশিকতা ও সশস্ত্র অভ্যুত্থানের ধারণা সঞ্চারিত করেছিল । 

‘ বন্দে মাতরম্ ‘ সংগীত : ‘ আনন্দমঠ ‘ উপন্যাসে জন্মভূমিকে মাতৃরূপে কল্পনা করে ‘ বন্দে মাতরম্ ‘ সংগীতটি ( ১৮৭৫ খ্রিস্টাব্দে রচিত ) ব্যবহার ছিল খুব গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা , কারণ এই সঙ্গীতটিই হয়ে ওঠে পরাধীন ভারতের জাতীয় সংগীত ও বিপ্লবীদের মন্ত্র । 

দেশমাতার আদর্শ : 
‘আনন্দমঠ ‘ – এ বঙ্কিমচন্দ্র বলেছিলেন , ‘ দেশমাতা হলেন মা , দেশপ্রেম হল ধর্ম , দেশসেবা হল পূজা । এভাবে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় দেশ ও তার জনগণের মধ্যে মাতা ও সন্তানের যোগসূত্র প্রতিষ্ঠা করে ভারতীয় জাতীয়তাবাদকে দৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠা করেন । 

ভারতমাতা স্ববিরোধিতা : 
আনন্দমঠ – এ বঙ্কিমচন্দ্র সচেতনভাবে জানিয়েছেন যে , ব্রিটিশের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিপ্লব , ডাকাতি , দস্যুবৃত্তি হল অমঙ্গলের নামান্তর , কারণ ইংরেজ রাজত্বে সনাতন সামন্ত সমাজ অটুট থাকবে । এটি ছিল বিভ্রান্তিকর । তথাপি বাঙালির জাতীয়তাবাদ গঠন ও দেশের যুবসম্প্রদায়কে স্বদেশভক্তি , ত্যাগ ও সেবাধর্মে উদ্বুদ্ধ করার উদ্দেশ্যেই রচিত হয়েছিল ‘ আনন্দমঠ ‘ । দ্বিতীয় অংশ , অবনীন্দ্রনাথের ‘ ভারতমাতা ‘ : উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে ভারতের জাতীয়তাবাদের প্রসারে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আঁকা ‘ ভারতমাতা ‘ চিত্রটি ছিল খুবই উল্লেখযোগ্য । এই চিত্রটি বিখ্যাত , কারণ— 

 বিষয়বস্তু : 
গেরুয়া বসন পরিহিতা ‘ ভারতমাতা ’ – রূপী যোগিনী একাধারে দেবী ও মানবী । বরাভয়দায়িনী এবং ত্যাগ ও বৈরাগ্যের মূর্ত প্রতীক ভারতমাতার চার হাতে শোভা পাচ্ছে রুদ্রাক্ষের মালা , শুভ্রবস্ত্র , পুথি ও ধানের শিষ এবং পদযুগলের চারপাশে রয়েছে শ্বেতপদ্ম । 

 তাৎপর্য : 
ভারতমাতা ছবিটির মাধ্যমে শিল্পী অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর ধনধান্যপূর্ণ সমৃদ্ধিশালী ভারতের ছবি তুলে ধরেন । এই ছবির মাধ্যমে ভারতের অধ্যাত্মবাদ , নারীশক্তি , ঐতিহ্য ও শস্যশ্যামল অর্থনীতির কথা ফুটে উঠেছে ।

 প্রভাব : 
বিশ শতকে ভারতের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রসারে ‘ ভারতমাতা ’ চিত্রটির প্রভাব ছিল অনস্বীকার্য । কারণ স্বদেশি যুগে বিভিন্ন সভা – সমাবেশে এই চিত্রটি সজ্জিত হত । ভগিনী নিবেদিতার মতে , চিত্রটি ছিল জাতীয়তাবাদ প্রসারের ক্ষেত্রে প্রথম একটি তাৎপর্যপূর্ণ ছবি । 


৭. ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহকে ‘ সামরিক বিদ্রোহ বলা যায় কী ? 

Ans: ভূমিকা : ১৮৫৭ – র বিদ্রোহের সময়কাল থেকে আজ পর্যন্ত বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ঐতিহাসিকরা এই বিদ্রোহের প্রকৃতি ও চরিত্র বিশ্লেষণ করেছেন । সামরিক বিদ্রোহ ম্যালেসন , জন কে , স্যার জন লরেন্স , পিই রবার্টস প্রমুখ ইংরেজ এই বিদ্রোহকে নিছক সিপাহি বিদ্রোহ ছাড়া আর কিছু মনে করেন না । সমসাময়িক ভারতীয় লেখক স্যার সৈয়দ আহমদ খান , দুর্গাদাস বন্দ্যোপাধ্যায় , কিশোরচাঁদ মিত্র , হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় প্রমুখও মনে করেছেন যে , সিপাহি ও স্বার্থান্বেষী ব্যক্তিদের দ্বারা সংগঠিত এই বিদ্রোহে জনগণের সংযোগ ছিল গৌণঃ সিপাহিরা নিজেদের সুযোগসুবিধা আদায়ের জন্য বিদ্রোহ করেছিল । ব্যাখ্যা করে বলা যায় যে –

 সেনাছাউনি কেন্দ্রিক এনফিল্ড রাইফেলের ব্যবহারকে কেন্দ্র করে ব্যারাকপুরের সেনাবাহিনীর সিপাহিরা এই বিদ্রোহ শুরু করে । এবং পরবর্তীকালে তা আম্বালা , লখনউ , মিরাট , বেরিলি , কানপুর , জব্বলপুর – এর সেনাছাউনিতে ছড়িয়ে পড়ে । 

 সীমিত বিদ্রোহ : এই বিদ্রোহ মূলত সিপাহিদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল এবং সিপাহিদের উদ্যোগেই মোগল সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহকে হিন্দুস্থানের সম্রাট বলে মনোনীত করা হয়েছিল । তবেঙ্গল আর্মির দাপট : ভারতীয় সিপাহির অধিকাংশ সৈন্য ছিল বেঙ্গল আর্মির অন্তর্গত এবং এই বিদ্রোহে বেঙ্গল আর্মির সদস্যরাই দাপট বজায় রেখেছিল । বিপক্ষে যুক্তি : ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহকে সিপাহি বিদ্রোহ না বলে এই বিদ্রোহকে অনেকে ‘ জাতীয় বিদ্রোহ ‘ অথবা ‘ সামন্ততান্ত্রিক প্রতিক্রিয়া ’ অথবা ‘ গণ – আন্দোলন ‘ নামেও অভিহিত করেছেন । 

 সংশোধনবাদী মতামত : ১৮৫৭ – র বিদ্রোহের শতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে প্রখ্যাত ঐতিহাসিক ড . রমেশচন্দ্র মজুমদার তাঁর “ The Sepoy Mutiny and the Revolt of 1857 গ্রন্থে এবং সুরেন্দ্রনাথ সেন তাঁর ‘ Eighteen Fifty Seven গ্রন্থে বহু তথ্য সংকলিত করে এই বিদ্রোহের ওপর নতুন করে আলোকপাত করার চেষ্টা করেছেন । 

 রমেশচন্দ্র মজুমদারের মত : ড . মজুমদারের মতে , এই বিদ্রোহ ভারতের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েনি । সকল শ্রেণির জনগণও এই বিদ্রোহে অংশগ্রহণ করেনি । তাই ১৮৫৭ – র তথাকথিত প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ না – ছিল প্রথম , না – ছিল জাতীয় , না – ছিল স্বাধীনতার যুদ্ধ ( The so called First National War of Independence in 1857 is neither First , nor National , nor a war of Independence ) 

 ড . সেনের মতামত : ড . সুরেন্দ্রনাথ সেন এর মতে , ১৮৫৭ – র বিদ্রোহ সিপাহি বিদ্রোহ হিসেবে শুরু হলেও শেষপর্যন্ত তা গণবিদ্রোহে পরিণত হয় । দিল্লি , অযোধ্যা , বিহার প্রভৃতি অঞ্চলে জনগণের অংশগ্রহণ ছিল সর্বাধিক এবং যেসকল অঞ্চলে জনগণের সমর্থন ছিল সেসব অঞ্চলের বিদ্রোহী নেতাদের লক্ষ্য ছিল প্রতিবিপ্লব ঘটানো । 

উপসংহার : কেমব্রিজ ঐতিহাসিক সি এ বেইলির মতে , ১৮৫৭ – র বিদ্রোহ নিছক একটি কোনো বিদ্রোহ ছিল না । কৃষক বিদ্রোহ , জাতীয় মুক্তিসংগ্রাম প্রভৃতির মিলিত মহাবিদ্রোহ ছিল ( ” The Indian rebellion of 1857 was not one movement , be it a peasant movement , or a war of national liberation , it was many . ‘ ) । 


৮. ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহের চরিত্র ও প্রকৃতি বিশ্লেষণ করো ।

Ans: সূচনা : ব্যারাকপুরের সেনাছাউনিতে ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে সিপাহি বিদ্রোহ শুরু হলেও তা কেবলমাত্র সিপাহিদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি । সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের যোগদান এই বিদ্রোহে স্পষ্ট হয়ে ওঠে । তবে ব্রিটিশ শাসনের ভিত কাঁপিয়ে দেওয়া এই বিদ্রোহের প্রকৃতি এক বিতর্কিত বিষয় । 

১৮৫৭ – র বিদ্রোহের প্রকৃতি : 

সিপাহি বিদ্রোহ : ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে ভারত সচিব আর্ল স্ট্যানলি তাঁর এক প্রতিবেদনে এই বিদ্রোহকে ‘ Sepoy Mutiny ‘ বলে উল্লেখ করেছেন । এক্ষেত্রে তাঁদের অভিমত হলো , সিপাহিরাই বিদ্রোহের সূচনা করে যেখানে দেশের সকল শ্রেণির মানুষ , বিশেষ করে শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণির যোগদান ঘটেনি । এছাড়া এই বিদ্রোহের মূলে কোনো রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষা ছিল না। 
সামস্ত বিদ্রোহ : ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদার , সুরেন্দ্রনাথ সেন , রজনীপাম দত্ত প্রমুখ ১৮৫৭ – র বিদ্রোহকে সামস্ততান্ত্রিক প্রতিক্রিয়া বা সনাতন পন্থীদের বিদ্রোহ বলেছেন । কারণ কোম্পানির বিভিন্ন নীতির দ্বারা ক্ষমতাচ্যুত শাসকেরা যেমন রানি লক্ষ্মীবাঈ , নানা সাহেব , তাঁতিয়া টোপি সহ একাধিক প্রাদেশিক শাসক এই বিদ্রোহে সামিল হয়েছিলেন । 

গণবিদ্রোহ : 
ডান কে , বল , সি . এ . বেইলি প্রমুখ ১৮৫৭ – র বিদ্রোহকে গণবিদ্রোহ বলার পক্ষপাতী । কারণ সিপাহিদের সাথে সাধারণ মানুষ স্বতস্ফূর্তঃভাবে অংশগ্রহণ করে এই বিদ্রোহকে গণবিদ্রোহের রূপ দিয়েছিল । এছাড়া মুজাফফরনগর , অযোধ্যা , কানপুর , ঝাসি প্রভৃতি অঞ্চলে বিদ্রোহে গণবিস্ফোরণ ঘটে । 

জাতীয় বিদ্রোহ : 
ঐতিহাসিক নর্টন , ডাফ , আউটরাম , ডিসরেলি প্রমুখ ১৮৫৭ – র বিদ্রোহকে জাতীয় বিদ্রোহ বলে অভিহিত করেছেন । তাঁদের মতে , বিহার , উত্তরপ্রদেশ , মুজফফরনগর প্রভৃতি স্থানে সিপাহি নেতৃত্ব ছাড়াও স্থানীয় রাজন্যবর্গ , জমিদাররা বিদ্রোহে যোগদান করেন এবং দ্বিতীয় বাহাদুর শাহকে ভারতের সম্রাট বলে ঘোষণা করে বিদেশি শাসনমুক্ত এক দেশীয় শাসন ব্যবস্থা স্থাপনে উদ্যোগী হন । 

ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ : 
বিনায়ক দামোদর সাভারকর ১৮৫৭ – র বিদ্রোহকে ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ বলে অভিহিত করেছেন । কিন্তু অধিকাংশ ঐতিহাসিক এই মত স্বীকার করেন না । কারণ না ছিল বিদ্রোহীদের নির্দিষ্ট কোনো লক্ষ্য , না এই বিদ্রোহ থেকে ভারতীয়দের মধ্যে জাতীয়তাবাদের জন্ম হয়েছিল । এছাড়া অনেক ভারতীয় রাজা , শিখ ও গোর্খা সৈনিকরা ইংরেজদের সাহায্য করেছিল । 

মহাবিদ্রোহ : 
ভারতের বেশ কিছু জাতীয়তাবাদী ঐতিহাসিক এই বিদ্রোহের ব্যাপকতা লক্ষ করে এই বিদ্রোহকে মহাবিদ্রোহ বলে অভিহিত করেছিলেন । এরিখ স্টেকস বলেছেন যে এই বিদ্রোহ ছিল ভারতে ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে সশস্ত্র আন্দোলনের শেষ অধ্যায় । 

মন্তব্য : 
উপরোক্ত আলোচনায় স্পষ্ট যে ১৮৫৭ – র বিদ্রোহে সিপাহিদের অসন্তোষ মূল কারণ হলেও এই বিদ্রোহের মূলে ছিল বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের গভীর অসন্তোষ ও হতাশা । অধ্যাপক রণজিৎ গুহ , গৌতম ভদ্র প্রমুখ ত্রুটিবিচ্যুতি সত্ত্বেও এই আন্দোলনে গণচরিত্রের উপর গুরুত্ব দিয়েছেন ।


৯. ১৮৫৭ – র বিদ্রোহকে জাতীয় বিদ্রোহ বলা যায় কি ? 
Ans: ভূমিকা : ১৮৫৭ – র বিদ্রোহ সম্পর্কে ঐতিহাসিক ড সুরেন্দ্রনাথ সেন যথার্থই বলেছেন , “ ধর্মনাশের বিরুদ্ধে ও ধর্মীয় উদ্দেশ্যে সিপাহি বিদ্রোহ শুরু হলেও তা জাতীয় স্বাধীনতার যুদ্ধৰূপে সমাপ্ত হয় ” ।

 পক্ষে যুক্তি : ১৮৫৭ – র বিদ্রোহকে জাতীয় বিদ্রোহ বলার কারণগুলি হল –

 ব্যাপকতা : পূর্ববর্তী বিদ্রোহগুলির তুলনায় ১৮৫৭ – র বিদ্রোহের ব্যাপকতা ও স্বতঃস্ফূর্ত গণসমর্থন ছিল ব্যাপক । 

 সাম্প্রদায়িক ঐক্য : দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ ছিলেন হিন্দু – মুসলিম সম্প্রদায়ের ঐক্যের প্রতীক । এই ধর্মীয় ভাবাবেগ পরবর্তীকালে তা স্বাধীনতা সংগ্রামে পরিণত হয় ।

 দেশপ্রেম আবুল কালাম আজাদের মতে , আধুনিক জাতীয়তাবাদের সংজ্ঞায় বিচার করলে একে জাতীয় আন্দোলন বলা না গেলেও বিদ্রোহীদের দেশপ্রেমের খামতি ছিল না । 

 পরিকল্পিত বিদ্রোহ : এই বিদ্রোহ আচমকা হঠাৎ ছিল না , এর পেছনে স্পষ্ট পরিকল্পনা ছিল । সাহায্যের আশায় দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ পারস্যের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছিলেন । 

 গণ – অভ্যুত্থান : জাতীয়তাবাদ বলতে আমরা যাই বুঝি না কেন বিদেশি শাসন থেকে মুক্তিলাভের জন্য গড়ে ওঠা গণ অভ্যুত্থানকে জাতীয় সংগ্রাম বলা যেতেই পারে । 

 জাতীয় সংগ্রাম : ঐতিহাসিক কে পানিক্কর – এর মতে , ১৮৫৭ – র বিদ্রোহের নেতারা যদি নিজ নিজ অঞ্চলের স্বাধীনতার কথাও চিন্তা করে থাকেন , তবু তাঁরা যে জাতীয় সংগ্রামই করেছিলেন তা অস্বীকার করা যায় না । বিপক্ষে যুক্তি : ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহকে জাতীয় বিদ্রোহ বলা যায় না , 

কারণ— 
( ১ ) বিদ্রোহীদের কোনো সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য , পরিকল্পনা বা সংগঠন ছিল না । 
( ২ ) ঐক্য বা বোঝাপড়া কেবলমাত্র সিপাহিদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল । 
( ৩ ) সিপাহিদের সঙ্গে বিদ্রোহী নেতাদের তেমন যোগাযোগ ছিল না । 
( ৪ ) বিদ্রোহের বিভিন্ন গোষ্ঠী ও নেতাদের মধ্যে লক্ষ্য ও আদর্শের ফারাক ছিল এবং এটি জাতীয় স্বার্থে পরিচালিত হয়নি । উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় , একটি দেশের মুক্তিযুদ্ধে দেশের সমস্ত মানুষ অংশ নেবে এ কথা আশা করা যায় । না । এই বিদ্রোহে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ যোগদান করেছিল , তাই একে জাতীয় বিদ্রোহ বলা হয়ে থাকে । তা ছাড়া বিদ্রোহীদের মধ্যে জাতীয় রাষ্ট্রের ধারণা হয়তো ছিল না , কিন্তু ব্রিটিশ – বিরোধী মানসিকতার প্রভাব ছিল । 

 ১৮৫৭ – র অভ্যুত্থানকে ভারতের ‘ প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম ‘ বলা যায় কি ? উত্তর ভূমিকা : ১৮৫৭ – র অভ্যুত্থানে দেশের মুক্তির জন্য কৃষক , কারিগর ও অন্যান্য সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগ দিয়েছিল । তাই প্রখ্যাত বিপ্লবী বি ডি সাভারকার এই অভ্যুত্থানকে ভারতের ‘ প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম ‘ বলেছেন । 

 পক্ষে যুক্তি : ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের অভ্যুত্থানকে ভারতের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম রূপে অভিহিত করার যুক্তিগুলি হল – 

( ১ ) ইংরেজ কোম্পানির দীর্ঘকালের শোষণ ও শাসনের বিরুদ্ধে এই বিদ্রোহ ছিল ভারতবর্ষে জনগণের জ্বলন্ত প্রতিবাদ । 
( ২ ) বিদ্রোহীরা ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘটাতে চেয়েছিল । ১৮৫৭ – র বিদ্রোহ সমগ্র ভারতে না – হলেও , এমনকি এর কোনো সুস্পষ্ট পরিকল্পনা ও উদ্দেশ্য না থাকলেও মনেপ্রাণে ইংরেজদের বিতাড়ন চেয়ে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোক এক সঙ্গে লড়েছিল এবং দ্বিতীয় বাহাদুর শাহকে ‘ ভারতের সম্রাট ’ করেছিল । 
( ৩ ) ইংরেজ – বিরোধী এত ব্যাপক আন্দোলন ভারতে আর হয়নি । তাই গতানুগতিক বিচার না করে এই অভ্যুত্থানকে স্বাধীনতার সংগ্রাম বলাই যুক্তিযুক্ত । মাধ্যমিক 
ইতিহাস ও পরিবেশ সহা বিপক্ষে যুক্তি : 
ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদার ও সুরেন্দ্রনাথ সেন ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহকে ভারতের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম বলে অভিহিত করেননি , কারণ তাঁদের মতে 

( ১ ) ভারতের কিছু অঞ্চলে এই বিদ্রোহ সীমাবদ্ধ ছিল ; কাজেই এই সংগ্রামকে সারাভারতের সংগ্রাম বলা যায় না । 
( ২ ) এই বিদ্রোহ ছিল সিপাহিদের অসন্তোষের বহিঃপ্রকাশ , যা জাতীয় বিদ্রোহের পর্যায়ে পড়ে না । 
( ৩ ) অধিকাংশ সামন্তরাজা ও জমিদার ইংরেজ কোম্পানির প্রতি অনুগত ছিল এবং বিদ্রোহের বিরোধিতা করেছিল । 
( ৪ ) বিদ্রোহীদের মধ্যে সকলের স্বাধীনতা লাভের লক্ষ্যে নয় , বরং পৃথক পৃথক উদ্দেশ্য সিদ্ধির লক্ষ্যে বিদ্রোহ হয়েছিল । 
( ৫ ) শিক্ষিত মধ্যবিত্ত বাঙালি সমাজ ও সমসাময়িক বাংলার পত্রপত্রিকাগুলিও বিদ্রোহের বিরোধিতা করেছিল । 
( ৬ ) তখন বিদ্রোহীদের মধ্যে জাতীয়তাবাদের চেতনা ছিল না , অর্থাৎ সেই সময় জাতীয়তাবাদের জন্ম হয়নি । 

উপসংহার : 
১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহ নিছক একটি কোনো বিদ্রোহ ছিল না । তবে নিঃসন্দেহে বলা যায় এই বিদ্রোহ ছিল জাতীয় বিদ্রোহ । আবার বিদ্রোহের আঙ্গিকে গণবিদ্রোহের রূপ প্রকট হয়ে উঠেছিল । 


১০. ব্রিটিশ – বিরোধী জনমত গঠনে বাংলার সভা সমিতিগুলির বিবরণ দাও । 

Ans: ভূমিকা : দেশের স্বার্থরক্ষা ও সরকারের নিপীড়নের বিরুদ্ধে জনমত গঠনের জন্য সংঘবদ্ধ আন্দোলন প্রয়োজন— ভারতীয়দের এই উপলব্ধি থেকেই উনিশ শতকে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে বেশ কিছু রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে , যেগুলি ব্রিটিশ – বিরোধী জনমত গঠনে বিশেষ সহায়ক হয়েছিল । 

সভাসমিতি : এইরূপ নানা সভাসমিতির মধ্যে বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা , জমিদার সভা , হিন্দুমেলা ও ভারতসভা ছিল উল্লেখযোগ্য । 

বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা : ১৮৩৬ খ্রিস্টাব্দে টাকির মুনশি কালীনাথ রায়চৌধুরি , প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর এবং প্রসন্নকুমার ঠাকুরের যৌথ উদ্যোগে ‘ বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা ’ গড়ে ওঠে । এর বিভিন্ন সভায় ব্রিটিশদের ভালোমন্দ কাজের পর্যালোচনা করা হত । যোগেশচন্দ্র বাগলের মতে , এটি বাঙালি তথা ভারতবাসীদের মধ্যে সর্বপ্রথম রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান ।

 জমিদার সভা : ১২ নভেম্বর ১৮৩৮ খ্রিস্টাব্দে প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর , রাধাকান্তদেব ও প্রসন্নকুমার ঠাকুরের যৌথ প্রচেষ্টায় গড়ে ওঠে জমিদার সভা ( Land Holders Society ) । রাজেন্দ্রলাল মিত্রের মতে , এটি ছিল ভারতীয় জাতীয় আন্দোলনের অগ্রদূত । এই প্রতিষ্ঠান থেকেই জনসাধারণ সর্বপ্রথম নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে দাবি আদায়ের শিক্ষা লাভ করে । 

হিন্দুমেলা : ১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দে নবগোপাল মিত্রের উদ্যোগে ‘ জাতীয় মেলা ’ গড়ে ওঠে , যা ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দে হিন্দুমেলায় পরিণত হয় । দেশীয় সাহিত্য , শিল্প ও সংস্কৃতির যথার্থ বিকাশের মাধ্যমেই ভারত ও ভারতবাসীর প্রকৃত মঙ্গল সম্ভব — এই চিন্তা থেকেই জন্ম নেয় এই প্রতিষ্ঠানটি । জাতীয় সংস্কৃতি , জাতীয় শিল্প ও জাতীয় গৌরব বৃদ্ধি করা এবং এ বিষয়ে দেশবাসীকে অবহিত করাই ছিল হিন্দুমেলার প্রধান কর্মসূচি । প্রখ্যাত জাতীয় নেতা বিপিনচন্দ্র পাল যথার্থই বলেছেন , ” নব গোপাল মিত্রের কাছেই আমরা জাতীয়তাবাদের প্রথম প্রেরণা পেয়েছিলাম । ” 

ভারতসভা : মধ্যবিত্ত শ্রেণির সদস্যদের নিয়ে ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে ২৬ জুলাই সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় , আনন্দমোহন বসু ও শিবনাথ শাস্ত্রীর সহায়তায় কলকাতার অ্যালবার্ট হলে ভারতসভা প্রতিষ্ঠা করেন । এই সংগঠনে কোনো ইউরোপীয় বা জমিদার শ্রেণির সদস্য না থাকায় ভারতসভা সাধারণ ভারতবাসীর রাজনৈতিক সংগঠনের চরিত্রলাভ করে । এই সভাই সর্বপ্রথম ‘ হিন্দু – মুসলিম সম্প্রীতির ওপর জোর দেয় এবং নিম্নবর্গীয় মানুষদের গণ – আন্দোলনে শামিল করে । ভারতসভার নেতৃত্বে ব্রিটিশ প্রবর্তিত সিভিল সার্ভিস আইনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের বিরুদ্ধে , ইলবার্ট বিলের পক্ষে ব্যাপক আন্দোলন ও জনমত গড়ে ওঠে । মূল্যায়ন উপরিলিখিত সংগঠনগুলি ছাড়াও ব্রিটিশ ইন্ডিয়া সোসাইটি ( ১৪৩৯ ) , বেঙ্গল ব্রিটিশ ইন্ডিয়া সোসাইটি ( ১৮৪৩ ) , ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ( ১৮৫১ ) , ইন্ডিয়ান লিগ ( ১৮৭৫ ) প্রভৃতি সভাসভাসমিতিগুলিও ব্রিটিশ – বিরোধী জনমত গঠনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করেছিল । সঙ্গত কারণেই ঐতিহাসিক ড . অনীল শীল উনিশ শতককে সভাসমিতির যুগ ( Age of Associations ) বলে উল্লেখ করেছেন । 


১১. জাতীয়তাবাদের বিকাশে ভারতসভার ভূমিকা আলোচনা করো । সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় কর্তৃক আয়োজিত সর্বভারতীয় জাতীয় সম্মেলনের গুরুত্ব বর্ণনা করো । 

Ans: প্রথম অংশ : জাতীয়তাবাদের বিকাশের ভারতসভার ভূমিকা : ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দের ২৬ জুলাই কলকাতায় সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় , আনন্দমোহন বসু প্রমুখ ভারতসভা প্রতিষ্ঠা করেন । ভারতসভা ছিল একটি সর্বভারতীয় সংগঠন । ভারতে জাতীয় আন্দোলনের সূচনায় ভারতসভার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাগুলি হল— 

সর্বভারতীয় গণ – সংগঠন ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে এই প্রতিষ্ঠানের ১২৪ টি শাখার মাধ্যমে ভারতসভা সর্বভারতীয় গণ – সংগঠন গড়ে তোলে । রাজনৈতিক ঐক্যসাধন : ভারতের রাজনৈতিক স্বার্থে ভারতের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে রাজনৈতিক ঐক্যসাধন ছিল ভারতসভার ঘোষিত লক্ষ্য । 

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি গড়ে তোলা হিন্দু – মুসলিমদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি গড়ে তোলার জন্য ভারতসভা জোর দিয়েছিল । 

জনমত গঠন : ব্রিটিশ সরকারের জনবিরোধী আইনের বিরুদ্ধে ভারতসভা জনমত গঠনের ওপর জোর দিল । 

জাতীয়তাবাদের উম্মেষ : বিভিন্ন রাজনৈতিক আন্দোলনের মাধ্যমে এই সভা ভারতীয় জনগণের মধ্যে জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ঘটায় । 

ইলবার্ট বিলের সমর্থন : ইলবার্ট বিলের সমর্থনে সুরেন্দ্রনাথের নেতৃত্বে ভারতসভা দেশের নানা স্থানে জনসভা করে জনমত গড়ে তোলে । 

সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় এই সভাই ছিল আধুনিক ভারতবর্ষের মূল্যায়ন : প্রথম সর্বভারতীয় রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান । ভারতীয় জাতীয় আন্দোলনের উন্মেষকালে ভারতসভাই ছিল প্রধান প্রতিষ্ঠান । 

দ্বিতীয় অংশ— সর্বভারতীয় জাতীয় সম্মেলনের ভূমিকা : ১৮৮৩ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতায় প্রথম সর্বভারতীয় ‘ জাতীয় সম্মেলন ‘ আহ্বান করেন । 

প্রস্তাবসমূহ : 
এই সম্মেলনে গৃহীত প্রস্তাবগুলি হল 
( ১ ) প্রতিনিধিমূলক আইনসভা গঠন , 
( ২ ) ব্রিটেন ও ভারতে একইসঙ্গে ICS ( Indian Civil Service ) পরীক্ষা গ্রহণ এবং পরীক্ষার্থীদের বয়স ২১ বছর করা , 
( ৩ ) সরকারি চাকুরির ভারতীয়করণ , 
( ৪ ) অস্ত্র আইন রোধ করা , 
( ৫ ) সামরিক খাতে ব্যয় হ্রাস করা , 
( ৬ ) বিচার বিভাগ থেকে শাসন বিভাগের পৃথক্করণ করা প্রভৃতি । 

গুরুত্ব : জাতীয় সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন বিভিন্ন কারণে গুরুত্বপূর্ণ ছিল , যেমন- 

( ১ ) প্রথম সর্বভারতীয় জাতীয় সম্মেলন ছিল ইলবার্ট বিল সম্পর্কে ইংরেজদের প্রতিক্রিয়াশীল আন্দোলনের বিরুদ্ধে শিক্ষিত ভারতবাসীর যোগ্য প্রত্যুত্তর । 
( ২ ) এই জাতীয় সম্মেলন থেকেই ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস গঠনের প্রেরণা আসে । আনন্দমোহন বসুর মতে , এই সম্মেলন ছিল ‘ জাতীয় পার্লামেন্টের দিকে প্রথম পদক্ষেপ ।



Related searches
দশম শ্রেণির ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর / ক্লাস 10 / Madhyamik ইতিহাস অধ্যায় 1 প্রশ্ন এবং উত্তর / দশম শ্রেণীর প্রশ্ন উত্তর ইতিহাস / দশম শ্রেণির ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর তৃতীয় অধ্যায় / দশম শ্রেণির ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর সংঘবব্ধতার গোড়ার কথা : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ  (Songhobodhotar Gorar Kotha, Boisisto O Bisleson) / দশম শ্রেণির ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর 2023, 2024, 2025, 2026, 2027, 2028, 2029, 2030, 2031, 2032, 2033, 2034, 2035, 2036, 2037, 2038, 2039, 2040 /  দশম শ্রেণীর ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর / দশম শ্রেণীর প্রশ্ন উত্তর ইতিহাস / দশম শ্রেণির ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর দশম অধ্যায় / দশম শ্রেণীর ইতিহাস বই pdf / দশম শ্রেণির ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর তৃতীয় অধ্যায় / দশম শ্রেণির ইতিহাস বই

  • দশম শ্রেণী ইতিহাসের চতুর্থ অধ্যায় : সংঘবব্ধতার গোড়ার কথা : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ  (Songhobodhotar Gorar Kotha, Boisisto O Bisleson) প্রশ্ন উত্তর
  • সংঘবব্ধতার গোড়ার কথা : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ  (Songhobodhotar Gorar Kotha, Boisisto O Bisleson) (চতুর্থ অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History Songhobodhotar Gorar Kotha, Boisisto O Bisleson Question and Answer
  • মাধ্যমিক ইতিহাস | Madhyamik History Question and Answer
  • মাধ্যমিক ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তর | Madhyamik History Chapter 4 Question Answer 
  • সংঘবব্ধতার গোড়ার কথা : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ  (Songhobodhotar Gorar Kotha, Boisisto O Bisleson) (চতুর্থ অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর
  • সংঘবব্ধতার গোড়ার কথা : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ  (Songhobodhotar Gorar Kotha, Boisisto O Bisleson) (চতুর্থ অধ্যায়) সব প্রশ্ন ও উত্তর
  • মাধ্যমিক ইতিহাস - সংঘবব্ধতার গোড়ার কথা : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ  (Songhobodhotar Gorar Kotha, Boisisto O Bisleson) - চতুর্থ অধ্যায়
  • মাধ্যমিক ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় ইতিহাসের ধারনা MCQ প্রশ্ন-উত্তর
  • ইতিহাসের ধারনা (চতুর্থ অধ্যায়) | মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন
  • মাধ্যমিক ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় 'সংঘবব্ধতার গোড়ার কথা : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ  (Songhobodhotar Gorar Kotha, Boisisto O Bisleson)' মক টেস্ট
  • মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন - চতুর্থ অধ্যায় – সংঘবব্ধতার গোড়ার কথা : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ  (Songhobodhotar Gorar Kotha, Boisisto O Bisleson)
  • Class 10 History Mcq Chapter 4 solution 


Some Information about this article  : 

WBBSE ক্লাস 10 / Madhyamikth History Question and Answer  | West Bengal West Bengal Class Ten / WBBSE Madhyamik X (ক্লাস 10 / Madhyamikth) History Qustions and Answers with Suggestion | Madhyamik History Songhobodhotar Gorar Kotha, Boisisto O Bisleson Sugession 

দশম শ্রেণীর ইতিহাস সাজেশন প্রশ্ন ও উত্তর   
” দশম শ্রেণীর  ইতিহাস – প্রশ্ন উত্তর  “ সমস্ত অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর দশম শ্রেণীর পরীক্ষা (West Bengal Class Ten / WBBSE Madhyamik X  / WB ক্লাস 10 / Madhyamik  / WBBSE / ক্লাস 10 / Madhyamik  Exam / West Bengal Board of Secondary Education – WB ক্লাস 10 / Madhyamik Exam / ক্লাস 10 / Madhyamik ক্লাস 10 / Madhyamikth / WB Class X / ক্লাস 10 / Madhyamik Pariksha  ) এখান থেকে প্রশ্ন অবশ্যম্ভাবী । সে কথা মাথায় রেখে Historybd.in এর পক্ষ থেকে দশম শ্রেণীর ইতিহাস পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং প্রশ্ন ও উত্তর (ক্লাস 10 / Madhyamik History Suggestion / ক্লাস 10 / Madhyamik History Question and Answer / Class X History Suggestion / ক্লাস 10 / Madhyamik Pariksha History Suggestion  / History ক্লাস 10 / Madhyamik Exam Guide  / ক্লাস 10 / Madhyamikth History MCQ , Short , Descriptive  Type Question and Answer  / ক্লাস 10 / Madhyamik History Suggestion  FREE PDF Download) উপস্থাপনের প্রচেষ্টা করা হলাে। ছাত্রছাত্রী, পরীক্ষার্থীদের উপকারেলাগলে, আমাদের প্রয়াস দশম শ্রেণীর ইতিহাস পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং প্রশ্ন ও উত্তর (ক্লাস 10 / Madhyamik History Suggestion / West Bengal Six X Question and Answer, Suggestion / WBBSE ক্লাস 10 / Madhyamikth History Suggestion  / ক্লাস 10 / Madhyamik History Question and Answer  / Class X History Suggestion  / ক্লাস 10 / Madhyamik Pariksha Suggestion  / ক্লাস 10 / Madhyamik History Exam Guide  / ক্লাস 10 / Madhyamik History Suggestion 2021 , 2022, 2023, 2024, 2025, 2026, 2027, 2028, 2029, 2030, 2021, 2020, 2019, 2017, 2016, 2015, 2031, 2032, 2033, 2034, 2035, 2036, 2037, 2038, 2039, 2040 /  ক্লাস 10 / Madhyamik History Suggestion  MCQ , Short , Descriptive  Type Question and Answer. / ক্লাস 10 / Madhyamik History Suggestion  FREE PDF Download) সফল হবে।

দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History Songhobodhotar Gorar Kotha, Boisisto O Bisleson Question and Answer 

দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | ক্লাস 10 / Madhyamik History Question and Answer Suggestion  দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর।

দশম শ্রেণীর ইতিহাস MCQ প্রশ্ন ও উত্তর

দশম শ্রেণীর ইতিহাস MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | ক্লাস 10 / Madhyamik History MCQ or Multiple Choice Question and Answer |  দশম শ্রেণীর ইতিহাস MCQ প্রশ্ন উত্তর। 

দশম শ্রেণীর ইতিহাস SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | দশম শ্রেণির ইতিহাস 

দশম শ্রেণীর ইতিহাস SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | ক্লাস 10 / Madhyamik History Short Question and Answer |  দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর  – SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর।

দশম শ্রেণীর ইতিহাস DTQ বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | ষষ্ঠ শ্রেণী ইতিহাস

দশম শ্রেণীর ইতিহাস – DTQ বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর | ক্লাস 10 / Madhyamik History Suggestion  দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর  – DTQ বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর।

পশ্চিমবঙ্গ দশম শ্রেণির ইতিহাস  – প্রশ্ন উত্তর | West Bengal Madhyamik History Songhobodhotar Gorar Kotha, Boisisto O Bisleson Question and Answer 

দশম শ্রেণীর ইতিহাস (ক্লাস 10 / Madhyamik History) – প্রশ্ন ও উত্তর | | ক্লাস 10 / Madhyamik History Suggestion  দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর  – প্রশ্ন উত্তর ।

দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর  | ষষ্ঠ শ্রেণি ইতিহাস | WB ক্লাস 10 / Madhyamik History Question and Answer, Suggestion

দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – | দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – | পশ্চিমবঙ্গ দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – | দশম শ্রেণীর ইতিহাস সহায়ক প্রশ্ন ও উত্তর । WB ক্লাস 10 / Madhyamik History Question and Answer, Suggestion | WBBSE ক্লাস 10 / Madhyamikth History Suggestion  | WB ক্লাস 10 / Madhyamik History Question and Answer Notes  | West Bengal WB ক্লাস 10 / Madhyamikth History Question and Answer Suggestion. 

দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | WBBSE ক্লাস 10 / Madhyamik History Question and Answer, Suggestion 

দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | ক্লাস 10 / Madhyamik History Suggestion. দশম শ্রেণীর ইতিহাস সহায়ক প্রশ্ন ও উত্তর । ক্লাস 10 / Madhyamik History Question and Answer, Suggestion.

ক্লাস 10 / Madhyamik History Question and Answer Suggestions  | দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | ষষ্ঠ শ্রেণি ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর

ক্লাস 10 / Madhyamik History Question and Answer  দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর  ক্লাস 10 / Madhyamik History Question and Answer দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – MCQ, সংক্ষিপ্ত, রোচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর  । 

WBBSE ক্লাস 10 / Madhyamikth History Suggestion  | দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর 

WBBSE ক্লাস 10 / Madhyamikth History Suggestion দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর । WBBSE ক্লাস 10 / Madhyamikth History Suggestion  দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর।

West Bengal ক্লাস 10 / Madhyamik  History Suggestion  Download. WBBSE ক্লাস 10 / Madhyamikth History short question suggestion  . ক্লাস 10 / Madhyamik History Suggestion   download. ক্লাস 10 / Madhyamikth Question Paper  History. WB ক্লাস 10 / Madhyamik  History suggestion and important question and answer. ক্লাস 10 / Madhyamik Suggestion pdf.

পশ্চিমবঙ্গ দশম শ্রেণীর  ইতিহাস পরীক্ষার সম্ভাব্য সাজেশন ও শেষ মুহূর্তের প্রশ্ন ও উত্তর ডাউনলোড। দশম শ্রেণীর ইতিহাস পরীক্ষার জন্য সমস্ত রকম গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর।

Get the WBBSE ক্লাস 10 / Madhyamikth History Question and Answer by Historybd.in
WBBSE ক্লাস 10 / Madhyamikth History Question and Answer prepared by expert subject teachers. WB ক্লাস 10 / Madhyamik  History Suggestion with 100% Common in the Examination .


ক্লাস 10 / Madhyamikth History Syllabus

West Bengal Board of Secondary Education (WBBSE) ক্লাস 10 / Madhyamikth History Syllabus with all the important chapters and marks distribution. Download the ক্লাস 10 / Madhyamikth History Syllabus and Question Paper. Questions on the History exam will come from these chapters. All the chapters are equally important, so read them carefully.

WB ক্লাস 10 / Madhyamikth History Syllabus Free Download Link Click Here 

ক্লাস 10 / Madhyamikth Ten / Secondary / Madhyamik X History Suggestion | West Bengal WBBSE ক্লাস 10 / Madhyamik Exam 
ক্লাস 10 / Madhyamik History Question and Answer, Suggestion Download PDF: WBBSE ক্লাস 10 / Madhyamikth Ten / Secondary / Madhyamik X History Suggestion  is proXded here. West Bengal ক্লাস 10 / Madhyamikth History Suggestion Questions Answers PDF Download Link in Free has been given below. 


দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | WBBSE ক্লাস 10 / Madhyamikth History

আশাকরি তোমাদের দশম ক্লাসের সংঘবব্ধতার গোড়ার কথা : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ অধ্যায় থেকে সকল প্রশ্ন ও উত্তর কমপ্লিট হয়েছে। আমরা আমাদের সর্বাঙ্গীণ প্রচেষ্টা করেছি তোমাদের এই দশম শ্রেণীর সংঘবব্ধতার গোড়ার কথা : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ অধ্যায় থেকে সব প্রশ্ন উত্তর দেওয়ার জন্য, এখন কাজ হল তোমাদের বাড়িতে পড়ার । পড়তে থাকো , প্র্যাকটিস করতে থাকো, প্র্যাকটিস মানুষকে উত্তম করে তোলে। যত পড়বে তত শিখবে, ততই জ্ঞানী হবে। 

তোমাদের দশম ক্লাসের  সংঘবব্ধতার গোড়ার কথা : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ অধ্যায়ের প্রাকটিসের জন্য আমাদের কুইজে অংশগ্রহণ করতে পারো, সম্পূর্ণ ফ্রিতে, নিচে লিঙ্ক দেওয়া আছে কুইজে অংশ নিতে পারো।

ক্লাস দশম এর অন্যান্য অধ্যায় গুলি সম্পর্কে আরও পড়তে চাইলে নিচে অধ্যায় অনুযায়ী লিঙ্ক দেওয়া আছে, লিঙ্কে ক্লিক করে ক্লাস দশম এর অন্য অধ্যায় গুলি পড়ে নাও। আমাদের পরিসেবা তোমাদের ভালো লাগলে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি ফলো করতে পারো।

Post a Comment

0 Comments

Top Post Ad

Below Post Ad