Type Here to Get Search Results !

দশম শ্রেণী ইতিহাস - (পঞ্চম অধ্যায়) বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ : বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা প্রশ্ন উত্তর | WBBSE Madhyamik History Chapter 5 Bikolpo Chinta O Uddog : Boisisto O Porjalochona Question and Answer

দশম  শ্রেণীর ইতিহাস – বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ : বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা (পঞ্চম অধ্যায়) / Bikolpo Chinta O Uddog : Boisisto O Porjalochona - WBBSE Class 10 Madhyamik History Chapter 5 Question and Answer 


মাধ্যমিক ইতিহাস – "বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ : বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা / Bikolpo Chinta O Uddog : Boisisto O Porjalochona" (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History Chapter 5 Question and Answer 

দশম শ্রেণীর ইতিহাস সাজেশন – বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ : বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা / Bikolpo Chinta O Uddog : Boisisto O Porjalochona – সমস্ত প্রশ্ন উত্তর | বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ : বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা / Bikolpo Chinta O Uddog : Boisisto O Porjalochona অধ্যায়ের সাজেশন প্রশ্ন উত্তর | WBBSE Class 10 Madhyamik History Chapter 5 Question and Answer | WBBSE Class 10th History Suggestion PDF | Madhyamik History Suggestion Chapter 5 | বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ : বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা / Bikolpo Chinta O Uddog : Boisisto O Porjalochona (পঞ্চম অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর

West Bengal  Class 10 History Solution Chapter 5

West Bengal  Board Class 10 History (ইতিহাস) Textbook Solution Chapter 5 বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ : বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা / Bikolpo Chinta O Uddog : Boisisto O Porjalochona Question Answers by WBBSE Expert Teacher. West Bengal Board Class 10 History Solution Chapter 5. Madhyamik History Bikolpo Chinta O Uddog : Boisisto O Porjalochona Question and Answer Mock Test. 

500+ দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর / বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ : বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা / Bikolpo Chinta O Uddog : Boisisto O Porjalochona (পঞ্চম অধ্যায়) MCQ, সংক্ষিপ্ত, অতি সংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর | দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – West Bengal Class 10 / WBBSE Secondary History Question and Answer

হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছো তোমরা ? আশাকরি তোমরা খুব ভালো আছো । আজকে আমরা আলোচনা করবো তোমাদের দশম ক্লাসের পঞ্চম অধ্যায় বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ : বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা সম্পর্কে । এই পঞ্চম অধ্যায়টি তোমাদের পরীক্ষার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ তাই পঞ্চম অধ্যায় এর বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ : বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আমরা এই লিখাটির মাধ্যমে দশম শ্রেণীর  পঞ্চম অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর, এই বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ : বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা অধ্যায়ের সাজেশন , কিকরে এই অধ্যায় থেকে উত্তর লিখতে হয়। দশম শ্রেণীর বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ : বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা অধ্যায় থেকে কিভাবে পড়বে সবকিছুই আলোচনা করবো। 

বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ : বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা / Bikolpo Chinta O Uddog : Boisisto O Porjalochona (পঞ্চম অধ্যায়) MCQ, সংক্ষিপ্ত, অতি সংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর | দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – West Bengal Class 10 / WBBSE Secondary History Question and Answer
দশম  শ্রেণীর ইতিহাস – বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ : বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা (পঞ্চম অধ্যায়) / Bikolpo Chinta O Uddog : Boisisto O Porjalochona - WBBSE Class 10 Madhyamik History Chapter 5 Question and Answer

দশম শ্রেণীর ইতিহাস – বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ : বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা / Bikolpo Chinta O Uddog : Boisisto O Porjalochona (পঞ্চম অধ্যায়) সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো । WBBSE Class 10 / WBBSE Secondary History 5th Chapter MCQ Questions and Answers | Madhyamik History Bikolpo Chinta O Uddog : Boisisto O Porjalochona MCQ Question and Answer

সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো | MCQ Questions and Answers (Class Ten History Fifth chapter)

সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো ; প্রতিটি প্রশ্নের মান -১

১. ছেলেদের রামায়ণ বইটির জন্য বিভিন্ন ছবি আঁকেন
(ক) উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী 
(খ) রামাদ রায় 
(গ) নন্দলাল বসু 
(ঘ) অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর
উত্তরঃ-  (ক) উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী

২. ভারতে ভূতত্ত্ব অনুশীলনের পুরোধা ছিলেন
(ক) প্রফুল্লচন্দ্র রায় 
(খ) জগদীশচন্দ্র বসু 
(গ) মেঘনাদ সাহা 
(ঘ) প্রমথনাথ বসু
উত্তরঃ-  (ঘ) প্রমথনাথ বসু

৩. পৃথিবীর প্রাচীনতম গ্রন্থটি যেখানে মুদ্রিত হয়— 
(ক) চিন
(খ) আরব 
(গ) জার্মানি 
 (ঘ) মেক্সিকো 
উত্তরঃ-  (ক) চিন

৪. পৃথিবীর প্রাচীনতম মুদ্রিত গ্রন্থটির নাম কী ? 
(ক) হীরক সূত্র 
(খ) হীরক দ্যুতি 
(গ) হীরক জ্যোতি 
 (ঘ) হীরক দীপ্তি 
উত্তরঃ-  (ক) হীরক সূত্র

৫. পৃথিবীর প্রাচীনতম গ্রন্থটি কবে প্রকাশিত হয় ? 
(ক) ৮০০ খ্রিস্টাব্দে
(খ) ৮১০ খ্রিস্টাব্দে 
(গ) ৮৪৮ খ্রিস্টাব্দে 
 (ঘ) ৮৬৮ খ্রিস্টাব্দে 
উত্তরঃ-  (ঘ) ৮৬৮ খ্রিস্টাব্দে

৬. প্রথম বই ছাপা হয়েছিল
(ক) চিনে 
(খ) ইংল্যান্ডে 
(গ) ভারতে 
(ঘ) ইউরোপে
উত্তরঃ-  (ক) চিনে

৭. কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়।
(ক) ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে 
(খ) ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দে 
(গ) ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে 
(ঘ) ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে
উত্তরঃ-  (খ) ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দে

৮. বাংলায় ছাপাখানার কাজ শুরু হয় – 
(ক) সপ্তদশ শতকে
(খ) অষ্টাদশ শতকে 
(গ) উনিশ শতকে
 (ঘ) বিশ শতকে 
উত্তরঃ-  (খ) অষ্টাদশ শতকে

৯. ভারতে প্রথম ছাপাখানার প্রতিষ্ঠার কৃতিত্ব হল— 
(ক) ফরাসিদের 
(খ) ইংরেজদের
(গ) পোর্তুগিজদের 
 (ঘ) ভারতীয়দের 
উত্তরঃ-  (গ) পোর্তুগিজদের

১০.  আ গ্রামার অব্ দি বেঙ্গল ল্যাঙ্গোয়েজ ‘ গ্রন্থটি রচনা করেন— 
(ক) উইলিয়ম জোনস্ 
(খ) ব্রাসি হ্যালহেড 
(গ) জোনাথান ডানকান 
 (ঘ) উইলিয়ম কেরি 
উত্তরঃ-  (খ) ব্রাসি হ্যালহেড

১১. ভারতের প্রথম সাপ্তাহিক পত্রিকা কোনটি?
(ক) ‘বেঙ্গল গেজেট’ 
(খ) “দিগদর্শন’
(গ) সমাচার দর্পণ 
(ঘ) সংবাদ সমাচার
উত্তরঃ-  (গ) সমাচার দর্পণ

১২. জাতীয় শিক্ষা পরিষদ গঠিত হয়।
(ক) ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে 
(খ) ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে 
(গ) ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে 
(ঘ) ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে
উত্তরঃ-  (ক) ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে

১৩. ‘আ গ্রামার অব্ দি বেঙ্গল ল্যাঙ্গোয়েজ ‘ গ্রন্থটি প্রকাশিত হয় –
(ক) ১৭৭০ খ্রিস্টাব্দে
(খ) ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে 
(গ) ১৭৭৫ খ্রিস্টাব্দে 
 (ঘ) ১৭৭৮ খ্রিস্টাব্দে 
উত্তরঃ-  (ঘ) ১৭৭৮ খ্রিস্টাব্দে

১৪. ‘আ গ্রামার অব্ দি বেঙ্গল ল্যাঙ্গোয়েজ ‘ গ্রন্থের বাংলা অক্ষরগুলির ছাঁচ তৈরি করেন—
(ক) চার্লস উইলকিনস্ 
(খ) চার্লস কটেজ
(গ) চার্লস ফেয়ার 
 (ঘ) ব্রাসি হ্যালহেড 
উত্তরঃ-  (ক) চার্লস উইলকিনস্

১৫. ‘আ গ্রামার অব্ দি বেঙ্গল ল্যাঙ্গোয়েজ ‘ গ্রন্থটি মুদ্রিত বাংলা বইয়ের ক্ষেত্রে ছিল –
(ক) প্রথম 
(খ) তৃতীয় 
(গ) দ্বিতীয় 
 (ঘ) চতুর্থ 
উত্তরঃ-  (ক) প্রথম

১৬. ছাপাখানায় মুদ্রণের জন্য সর্বপ্রথম বাংলা অক্ষর তৈরি করেন
(ক) হালেদ 
(খ) চার্লস উইলকিন্স 
(গ) পঞ্চানন কর্মকার 
(ঘ) সুরেন্দ্রনাথ মজুমদার
উত্তরঃ-  (গ) পঞ্চানন কর্মকার

১৭. হ্যালহেডের বাংলা ব্যাকরণ যেখান থেকে ছাপা হয় –
(ক) অ্যান্ড্রুজের ছাপাখানা থেকে 
(খ) বিদ্যাসাগরের ছাপাখানা থেকে
(গ) পঞ্চানন কর্মকারের ছাপাখানা থেকে
 (ঘ) উইলকিনসের ছাপাখানা থেকে 
উত্তরঃ-  (ক) অ্যান্ড্রুজের ছাপাখানা থেকে

১৮. বাংলায় প্রথম যেখান থেকে মুদ্রনযন্ত্রে প্রথম ছাপা হয় – 
(ক) হিকির প্রেস থেকে 
(খ) ফেরিস কোম্পানির প্রেস থেকে
(গ) হুগলির অ্যান্ড্রুজ প্রেস থেকে 
 (ঘ) ক্যালকাটা ক্রনিকল প্রেস থেকে 
উত্তরঃ-  (গ) হুগলির অ্যান্ড্রুজ প্রেস থেকে

১৯. ছেনিকাটা বাংলা হরফ নির্মাণে চার্লস উইলকিনস্‌কে যিনি সাহায্য করেছিলেন—
(ক) পঞ্চানন কর্মকার 
(খ) উইলিয়াম কেরি 
(গ) গঙ্গাকিশোর ভট্টাচাৰ্য্য 
 (ঘ) জন অ্যান্ডজ
উত্তরঃ-  (ক) পঞ্চানন কর্মকার

২০. সাহিত্যকীর্তির জন্য পুরস্কারের ব্যবস্থা করেন
(ক) বসুমতী প্রেস 
(খ) ইন্ডিয়ান প্রেস 
(গ) ইউ এন রায় অ্যান্ড সন্স 
(ঘ) কুন্তলীন প্রেস
উত্তরঃ-  (ক) বসুমতী প্রেস

২১. বসু বিজ্ঞান মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন।
(ক) জগদীশচন্দ্র বসু 
(খ) প্রফুল্লচন্দ্র রায় 
(গ) তারকনাথ পালিত 
(ঘ) সত্যেন্দ্রনাথ বসু
উত্তরঃ-  (ক) জগদীশচন্দ্র বসু

২২. বাংলা হরফের প্রথম প্রযুক্তি বিশারদ ছিলেন— 
(ক) চার্লস উইলকিনস্
(খ) উইলিয়াম কেরি
(গ) পঞ্চানন কর্মকার 
 (ঘ) গঙ্গাকিশোর ভট্টাচাৰ্য্য 
উত্তরঃ-  (গ) পঞ্চানন কর্মকার

২৩. যাঁকে ‘ ছাপাখানার জনক ‘ বলা হয় –
(ক) জোহানেস গুটেনবার্গকে
(খ) জেমস অগাস্টাস হিকিকে
(গ) চার্লস উইলকিনস্কে
 (ঘ) উইলিয়াম কেরিকে 
উত্তরঃ-  (ক) জোহানেস গুটেনবার্গকে

২৪. জন অ্যান্ড্রুজ সর্বপ্রথম ছাপাখানা গড়ে তোলেন –
(ক) শ্রীরামপুরে 
(খ) হুগলিতে 
(গ) কলকাতায় 
 (ঘ) খিদিরপুরে 
উত্তরঃ-  (খ) হুগলিতে

২৫. উইলিয়াম কেরী ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা করেন
(ক) শ্রীরামপুরে 
(খ) কলকাতায় 
(গ) উঁচড়াতে 
(ঘ) চন্দননগরে
উত্তরঃ-  (ক) শ্রীরামপুরে

২৬. বিশ্বভারতীর উদবোধক ছিলেন
(ক) ব্রজেন্দ্রনাথ শীল 
(খ) কানাইলাল বসু 
(গ) সতীশচন্দ্র রায় 
(ঘ) মোহিতচন্দ্র সেন
উত্তরঃ-  (ক) ব্রজেন্দ্রনাথ শীল

২৭. প্রথম সচিত্র ভারতচন্দ্রের ‘ অন্নদামঙ্গল ‘ গ্রন্থটি প্রকাশ করেন—
(ক) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
(খ) রামচাঁদ রায় 
(গ) মদনমোহন তর্কালংকার 
 (ঘ) গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য 
উত্তরঃ-  (ঘ) গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য

২৮. রামমোহন রায়ের ‘ কঠোপনিষৎ ‘ প্রকাশিত হয়—
(ক) ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দে 
(খ) ১৮১০ খ্রিস্টাব্দে 
(গ) ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে 
 (ঘ) ১৮২০ খ্রিস্টাব্দে 
উত্তরঃ-  (গ) ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে

২৯. ‘সম্বাদ কৌমুদী ‘ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন –
(ক) ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় 
(খ) গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য 
(গ) রামমোহন রায় 
 (ঘ) ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত 
উত্তরঃ-  (গ) রামমোহন রায়

৩০. IACS প্রতিষ্ঠা করেন
(ক) মহেন্দ্রলাল সরকার 
(খ) উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী 
(গ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 
(ঘ) জগদীশচন্দ্র বসু
উত্তরঃ-  (ক) মহেন্দ্রলাল সরকার

৩১. মিরাৎ – উল – আখবর ‘ বইটি কোন ভাষায় রচিত ?
(ক) আরবিক 
(খ) ফারসি 
(গ) হিন্দি
 (ঘ) উর্দু
উত্তরঃ-  (খ) ফারসি

৩২. ‘শিশুশিক্ষা ‘ গ্রন্থটি রচনা করেন— 
(ক) রামরাম বসু 
(খ) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর 
(গ) মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার 
 (ঘ) মদনমোহন তর্কালঙ্কার
উত্তরঃ-  (ঘ) মদনমোহন তর্কালঙ্কার

৩৩. ‘ বিদ্যাহারাবলী ‘ প্রকাশিত হয়— 
(ক) ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে 
(খ) ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে 
(গ) ১৮১০ খ্রিস্টাব্দে
 (ঘ) ১৮১৯ খ্রিস্টাব্দে
উত্তরঃ-  (ঘ) ১৮১৯ খ্রিস্টাব্দে

৩৪. ইউ এন রায় অ্যান্ড সন্স প্রতিষ্ঠিত হয়
(ক) ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দে 
(খ) ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে 
(গ) ১৯১২ খ্রিস্টাব্দে 
(ঘ) ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে
উত্তরঃ-  (ঘ) ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে

৩৫. ভারতে হাফটোন প্রিন্টিং পদ্ধতি প্রবর্তন করেন
(ক) উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী 
(খ) সুকুমার রায় 
(গ) পঞ্চানন কর্মকার 
(ঘ) চালর্স উইলকিন্স
উত্তরঃ-  (ক) উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী

৩৬. ‘বিদ্যাহারাবলী ‘ গ্রন্থটি প্রণয়ন করেন— 
(ক) উইলিয়ম কেরি 
(খ) মার্শম্যান 
(গ) ওয়ার্ড 
 (ঘ) ফেলিক্স কেরি 
উত্তরঃ-  (ঘ) ফেলিক্স কেরি

৩৭. হিন্দুস্থানি প্রেস স্থাপনকারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন— 
(ক) জন গিলক্রিস্ট
(খ) জন কেরি 
(গ) জে . মার্শম্যান 
 (ঘ) উইলিয়াম উইলসন
উত্তরঃ-  (ক) জন গিলক্রিস্ট

৩৮. হরেন্দ্র রায়ের ছাপাখানা ছিল কলকাতার – 
(ক) শাঁখারিটোলায়
(খ) মির্জাপুরে 
(গ) বউবাজারে 
 (ঘ) আড়পুলি লেনে
উত্তরঃ-  (ঘ) আড়পুলি লেনে

৩৯. বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠা করেন
(ক) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 
(খ) দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর 
(গ) রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর 
(ঘ) দ্বারকানাথ ঠাকুর
উত্তরঃ-  (ক) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৪০. হিন্দুস্থানি প্রেস স্থাপিত হয় – 
(ক) ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে 
(খ) ১৮০৪ খ্রিস্টাব্দে
(গ) ১৮০২ খ্রিস্টাব্দে 
 (ঘ) ১৮০৫ খ্রিস্টাব্দে 
উত্তরঃ-  (গ) ১৮০২ খ্রিস্টাব্দে

৪১. বাংলায় ব্যাবসায়িক ছাপাখানার অন্যতম পথিকৃৎ ছিলেন— 
(ক) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর 
(খ) রামমোহন রায় 
(গ) স্বামী বিবেকানন্দ 
(ঘ) গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায় 
উত্তরঃ-  (ক) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

৪২. যিনি ‘ বিদ্যাবণিক ‘ নামে পরিচিত—
(ক) রামমোহন রায়
(খ) ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত 
(গ) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
 (ঘ) গুরুদাস চট্টোপাধ্যায়
উত্তরঃ-  (গ) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

৪৩. বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠিত হয়
(ক) ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে 
(খ) ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে 
(গ) ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে 
(ঘ) ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে
উত্তরঃ-  (গ) ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে

৪৪. ‘বর্ণপরিচয়‘ প্রথম ভাগ প্রকাশিত হয়— 
(ক) ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে 
(খ) ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দে
(গ) ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে 
 (ঘ) ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে
উত্তরঃ-  (ক) ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে

৪৫. ‘ বেতাল পঞ্চবিংশতি ‘ ( ১৮৪৭ খ্রি . ) গ্রন্থটির লেখক হলেন — 
(ক) বিশ্বনাথ দেব 
(খ) মথুরনাথ মিশ্র 
(গ) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর 
 (ঘ) রামকৃষ্ণ মল্লিক 
উত্তরঃ-  (গ) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

৪৬. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ‘ সংস্কৃত যন্ত্র ‘ স্থাপন করেন – 
(ক) ১৮৪৭ খ্রিস্টাব্দে 
(খ) ১৮৪৮ খ্রিস্টাব্দে 
(গ) ১৮৪৯ খ্রিস্টাব্দে 
 (ঘ) ১৮৫০ খ্রিস্টাব্দে 
উত্তরঃ-  (ক) ১৮৪৭ খ্রিস্টাব্দে

৪৭. বেঙ্গল কেমিক্যাল প্রতিষ্ঠা করেন
(ক) আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় 
(খ) আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু 
(গ) মেঘনাদ সাহা 
(ঘ) সত্যেন্দ্রনাথ বসু
উত্তরঃ-  (ক) আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়

৪৮. বিদ্যাসাগরের প্রেস ‘ সংস্কৃত যন্ত্র ‘ – এ ছাপানো প্রথম বইটি হলো – 
(ক) বর্ণপরিচয় প্রথম ভাগ
(খ) বর্ণপরিচয় দ্বিতীয় ভাগ
(গ) ভারতচন্দ্রের অন্নদামঙ্গল
 (ঘ) বেতাল পঞ্চবিংশতি
উত্তরঃ-  (গ) ভারতচন্দ্রের অন্নদামঙ্গল

৪৯. ১৮২১ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত ‘ বাঙ্গালা শিক্ষাগ্রন্থ ‘ – এর লেখক ছিলেন –
(ক) রামমোহন রায়
(খ) রামজয় বিদ্যাসাগর
(গ) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
 (ঘ) রাধাকান্ত দেব
উত্তরঃ-  D) রাধাকান্ত দেব

৫০. ইউ . এন . রায় অ্যান্ড সঙ্গ ‘ নামক প্রকাশনা সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন –
(ক) উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী 
(খ) সুকুমার রায় 
(গ) হেমচন্দ্র রায় 
 (ঘ) সত্যজিৎ রায় 
উত্তরঃ-  (ক) উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী

৫১. প্রথম সচিত্র বাংলা বই হল
(ক) ‘প্রতাপাদিত্য চরিত্র 
(খ) “অন্নদামঙ্গল’ 
(গ) “বর্ণপরিচয় 
(ঘ) ‘শিশুশিক্ষা
উত্তরঃ-  (খ) “অন্নদামঙ্গল’

৫২. ইউ . এন . রায় অ্যান্ড সন্স ‘ ভূমিকা নিয়েছিল – 
(ক) বাংলায় বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসারে 
(খ) বাংলায় চিকিৎসাবিদ্যার প্রসারে 
(গ) বাংলায় পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারে 
 (ঘ) বাংলায় মুদ্রণ শিল্পের প্রসারে
উত্তরঃ-  (ঘ) বাংলায় মুদ্রণ শিল্পের প্রসারে

৫৩. ভারতে ‘ হাফটোন ‘ প্রিন্টিং পদ্ধতি প্রবর্তন করেন— 
(ক) উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী
(খ) সুকুমার রায় 
(গ) পঞ্চানন কর্মকার 
 (ঘ) চার্লস উইলকিনস্ 
উত্তরঃ-  (ক) উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী

৫৪. হাফটোন ব্লকে নির্মিত উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর প্রথম বইটি হল –
(ক) ছেলেদের রামায়ণ 
(খ) টুনটুনির বই 
(গ) সেকালের কথা
 (ঘ) ছেলেদের রামায়ণ 
উত্তরঃ-  (গ) সেকালের কথা

৫৫. বেঙ্গল ন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নিযুক্ত হন
(ক) প্রসন্নকুমার ঠাকুর 
(খ) গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায় 
(গ) রাসবিহারী ঘোষ 
(ঘ) অরবিন্দ ঘোষ
উত্তরঃ-  (ঘ) অরবিন্দ ঘোষ

৫৬. ‘আবোল – তাবোল ‘ নামক মজার কবিতার বইটি যে ছাপাখানা থেকে প্রকাশিত হয় তা হল –
(ক) রোজারিও কোম্পানি 
(খ) ইউ . রায় অ্যান্ড সঙ্গ 
(গ) ফেরিস অ্যান্ড কোম্পানি 
 (ঘ) ব্যাপটিস্ট মিশনারি প্রেস 
উত্তরঃ-  (খ) ইউ . রায় অ্যান্ড সঙ্গ

৫৭. ইউ . রায় অ্যান্ড সঙ্গ স্থাপিত হয় –
(ক) ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে 
(খ) ১৮৮২ খ্রিস্টাব্দে 
(গ) ১৮৮০ খ্রিস্টাব্দে 
 (ঘ) ১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দে 
উত্তরঃ-  (ঘ) ১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দে

৫৮. কোন্ আবিষ্কারে জগদীশচন্দ্র বসুর অবদান বিশ্বে স্বীকৃতি পেয়েছে?
(ক) বেতার 
(খ) দূরদর্শন 
(গ) চলচ্চিত্র 
(ঘ) ভিডিয়া
উত্তরঃ-  (ক) বেতার

৫৯. শিবপুর প্রযুক্তি কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়—
(ক) ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দে
(খ) ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে
(গ) ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে 
 (ঘ) ১৮৫৯ খ্রিস্টাব্দে 
উত্তরঃ-  (ক) ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দে

৬০. ছেলেদের রামায়ণ ‘ গ্রন্থটি রচনা করেন –
(ক) উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী 
(খ) যোগীন্দ্রনাথ সরকার 
(গ) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর 
 (ঘ) রাধাকান্ত দেব 
উত্তরঃ-  (ক) উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী



দশম শ্রেণীর ইতিহাস – বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ : বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা / Bikolpo Chinta O Uddog : Boisisto O Porjalochona (পঞ্চম অধ্যায়) সত্য মিথ্যা যাচাই করো । WBBSE Class 10 / WBBSE Secondary History 5th Chapter Bikolpo Chinta O Uddog : Boisisto O Porjalochona Question and Answer True & False 

সত্য মিথ্যা যাচাই করো | True & False Questions and Answers (Class Ten History Fifth chapter)

শূন্যস্থান পূরন করো ; প্রতিটি প্রশ্নের মান -১




দশম শ্রেণীর ইতিহাস – বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ : বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা / Bikolpo Chinta O Uddog : Boisisto O Porjalochona (পঞ্চম অধ্যায়) শূন্যস্থান পূরণ করো । WBBSE Class 10 / WBBSE Secondary History 5th Chapter Fill in the blank Bikolpo Chinta O Uddog : Boisisto O Porjalochona Questions and Answers 

শূন্যস্থান পূরণ করো  | Fill in the blank Questions and Answers (Class Ten History Fifth chapter) 

সত্য / মিথ্যা নির্ণয় করো; প্রতিটি প্রশ্নের মান -১

১. গাছের প্রাণ আছে এটি আবিষ্কার করেন প্রফুল্লচন্দ্র রায়।
উত্তরঃ-  মিথ্যা

২. জাতীয় শিক্ষা পরিষদ ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়।
উত্তরঃ-  সত্য

৩. IACS-এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সি ভি রমন।
উত্তরঃ-  সত্য

৪. ইউ রায় অ্যান্ড সন্স থেকে প্রথম ছাপা বই ‘আবোল তাবোল।
উত্তরঃ-  সত্য

৫. গোয়াতে সর্বপ্রথম ভারতবর্ষে পোর্তুগিজরা মুদ্রণ যন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে।
উত্তরঃ-  সত্য

৬. ছাপাখানার প্রসারের ফলে শিক্ষার বিস্তার ঘটে।
উত্তরঃ-  সত্য


দশম শ্রেণীর ইতিহাস – বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ : বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা / Bikolpo Chinta O Uddog : Boisisto O Porjalochona (পঞ্চম অধ্যায়) এক কথায় উত্তর দাও । WBBSE Class 10 / WBBSE Secondary History 5th Chapter SAQ Madhyamik History Bikolpo Chinta O Uddog : Boisisto O Porjalochona Question and Answer 

এক কথায় উত্তর দাও | SAQ Questions and Answers (Class Ten History Fifth chapter) (SUB HEADING)

এক কথায় উত্তর দাও : প্রতিটি প্রশ্নের মান -১

১. কবে আধুনিক মুদ্রণ যন্ত্র আবিষ্কৃত হয়?
উত্তরঃ-  ১৫৫৪ খ্রিস্টাব্দে

২. কে ‘টুনটুনির বই রচনা করেন?
উত্তরঃ-  উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী

৩. পৃথিবীর প্রাচীনতম গ্রন্থটি কী ? 
উত্তরঃ-  পৃথিবীর প্রাচীনতম গ্রন্থ হীরকসূত্র ।

৪. বাংলায় ছাপাখানার উদ্ভব কবে হয় ? 
উত্তরঃ-  বাংলায় ছাপাখানার উদ্ভব হয় ১৭৭৮ খ্রিস্টাব্দে । 

৫. ‘ আ গ্রামার অব্ দি বেঙ্গল ল্যাঙ্গোয়েজ ‘ গ্রন্থটির রচয়িতা 
কে ? 
উত্তরঃ-  ‘ আ গ্রামার অব্ দি বেঙ্গল ল্যাঙ্গোয়েজ ‘ গ্রন্থটির রচয়িতা ব্রাসি হ্যালহেড । 

৬. ‘ হ্যালহেড – এর গ্রন্থ ‘ আ গ্রামার অব্ দি বেঙ্গল ল্যাঙ্গোয়েজ গ্রন্থের বাংলা হরফের ছাঁচ কে তৈরি করেন ? 
উত্তরঃ-  হ্যালহেড – এর গ্রন্থ ‘ আ গ্রামার অব্ দি বেঙ্গল ল্যাঙ্গোয়েজ ’ গ্রন্থের বাংলা হরফের ছাঁচ তৈরি করেন চার্লস উইলকিনস্ । 

৭. ‘ বাংলার গুটেনবার্গ ’ নামে কে পরিচিত ? 
উত্তরঃ-  চার্লস উইলকিনস্ বাংলার গুটেনবার্গ নামে পরিচিত ৷ 

৮. বাংলায় কোথায় প্রথম ছাপাখানা স্থাপিত হয় ? 
উত্তরঃ-  বাংলায় হুগলিতে প্রথম ছাপাখানা স্থাপিত হয় ? 

৯. কবে ‘বসু বিজ্ঞান মন্দির প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তরঃ-  ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে

১০. পাখি সব করে রব’ কবিতাটি কার লেখা?
উত্তরঃ-  মদনমোহন তর্কালঙ্কারের

১১. বাংলার কোথায় প্রথম ছাপাখানার উদ্ভব হয় ? 
উত্তরঃ-  বাংলার প্রথম ছাপাখানার উদ্ভব হয় হুগলিতে । 

১২. হ্যালহেড – এর রচিত ব্যাকরণ গ্রন্থটি কোথায় মুদ্রিত হয় ?  
উত্তরঃ-  হ্যালহেড – এর রচিত ব্যাকরণ গ্রন্থটি মুদ্রিত হয় হুগলির জন এন্ড্রুজ – এর ছাপাখানায় । 

১৩. বাংলায় ছাপাখানা উদ্ভবের পিছনে একজন বিখ্যাত পৃষ্ঠপোষকের নাম লেখো । 
উত্তরঃ-  বাংলায় ছাপাখানা উদ্ভবের পিছনে একজন বিখ্যাত পৃষ্ঠপোষক হলেন ওয়ারেন হেস্টিংস । 

১৪. CET-এর পুরোনাম কী?
উত্তরঃ-  কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি

১৫. টেক’ কাদের প্রকাশিত জার্নাল ?
উত্তরঃ-  কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি-এর ছাত্রছাত্রীদের

১৬. কোম্পানির প্রেস করে প্রতিষ্ঠিত হয় ? 
উত্তরঃ-  কোম্পানির প্রেস প্রতিষ্ঠিত হয় ১৭৮০ খ্রিস্টাব্দে । 

১৭. কার উদ্যোগে কোম্পানির প্রেস প্রতিষ্ঠিত হয় ? 
উত্তরঃ-  চার্লস উইলকিনস্ – এর উদ্যোগে কোম্পানির প্রেস প্রতিষ্ঠিত ।

১৮. কলকাতায় ছাপাখানার জন্য মুদ্রাক্ষর ঢালাই কারখানা কে প্রতিষ্ঠা করেন ? 
উত্তরঃ-  কলকাতায় ছাপাখানার জন্য মুদ্রাক্ষর ঢালাই কারখানা প্রতিষ্ঠা করেন চার্লস উইলকিনস্ । 

১৯. রামরাম বসু কে ছিলেন?
উত্তরঃ-  প্রতাপাদিত্য চরিত্রের রচয়িতা

২০. চার্লস উইলকিনস্ – এর একজন উল্লেখযোগ্য সহযোগীর নাম লেখো ।
উত্তরঃ-  চার্লস উইলকিনস্ – এর একজন উল্লেখযোগ্য সহযোগী পঞ্চানন কর্মকার । 

২১. পঞ্চানন কর্মকার কী জন্য বিখ্যাত ?
উত্তরঃ-  পঞ্চানন কর্মকার একজন বিখ্যাত মুদ্রাক্ষর ঢালাইকারী । 

২২. ‘ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ ‘ কবে প্রতিষ্ঠিত হয় ।
উত্তরঃ-  ‘ ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ ‘ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে ।

২৩. শ্রীরামপুর মিশন প্রেস করে প্রতিষ্ঠিত হয় ? 
উত্তরঃ-  শ্রীরামপুর মিশন প্রেস প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে । 

২৪. শ্রীরামপুর মিশন প্রেস প্রতিষ্ঠাকারীদের একজনের নাম লেখো । 
উত্তরঃ-  শ্রীরামপুর মিশন প্রেস প্রতিষ্ঠাকারীদের মধ্যে একজনের নাম হল উইলিয়াম কেরি । 

২৫. ভারতের প্রথম সংবাদপত্রের নাম কী ? 
উত্তরঃ-  ভারতের প্রথম সংবাদপত্রের নাম ‘ হিকি’জ বেঙ্গল গেজেট ‘ । 

২৬. ‘ হিকি’জ বেঙ্গল গেজেট ’ করে প্রকাশিত হয় ? 
উত্তরঃ-  ‘ হিকি’জ বেঙ্গল গেজেট ‘ প্রকাশিত হয় ২৯ জানুয়ারি , ১৭৮০ খ্রিস্টাব্দে । 

২৭. ‘ ফেরিস অ্যান্ড কোম্পানি ’ কী ? 
উত্তরঃ-  ‘ ফেরিস অ্যান্ড কোম্পানি ‘ উনিশ শতকের কলকাতার একটি বিখ্যাত ছাপাখানা । 

২৮. উইলিয়াম কেরি , মার্শম্যান , ওয়ার্ড এই তিনজন একত্রে কী নামে পরিচিত ? 
উত্তরঃ-  উইলিয়াম কেরি , মার্শম্যান , ওয়ার্ড এই তিনজন একত্রে ‘ শ্রীরামপুর এয়ী ’ নামে পরিচিত । 

২৯. কে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন ? 
উত্তরঃ-  ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন গভর্নর জেনারেল লর্ড ওয়েলেসলি । 

৩০. শর্ড ওয়েলেসলি ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে কোথায় ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন ? 
উত্তরঃ-  লর্ড ওয়েলেসলি ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন । 

৩১. ‘ ক্যালকাটা স্কুল বুক সোসাইটি থেকে প্রকাশিত একটি গ্রন্থের নাম লেখো ।
উত্তরঃ-  ‘ ক্যালকাটা স্কুল বুক সোসাইটি থেকে প্রকাশিত একটি গ্রন্থের নাম ‘ হিতোপদেশ ‘ । 

৩২. রমন ক্রিয়া’ কে আবিষ্কার করেন?
উত্তরঃ-  সি ভি রমন

৩৩. বাংলায় প্রথম কোথায় ছাপাখানা প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তরঃ-  হুগলিতে

৩৪. কে ‘ ক্যালকাটা স্কুল বুক সোসাইটি ‘ প্রতিষ্ঠা করেন ? 
উত্তরঃ-  ‘ ক্যালকাটা স্কুল বুক সোসাইটি ’ প্রতিষ্ঠা করেন ডেভিড হেয়ার । 

৩৫. ‘ ক্যালকাটা স্কুল বুক সোসাইটি ‘ কবে প্রতিষ্ঠিত হয় ?
উত্তরঃ-  ‘ ক্যালকাটা স্কুল বুক সোসাইটি ’ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮১৭ খ্রি .। 

৩৬. কোন্ প্রতিষ্ঠান বাংলায় ‘ পৃথিবীর মানচিত্র ছাপানোর উদ্যোগ নেয় ? 
উত্তরঃ-  ‘ ক্যালকাটা স্কুল বুক সোসাইটি ‘ বাংলায় পৃথিবীর মানচিত্র ছাপানোর উদ্যোগ নেয় । 

৩৭. কোথায় এশিয়ার প্রথম ডিগ্রি কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তরঃ-  মাদ্রাজে

৩৮. প্রতাপাদিত্য চরিত্র’ কার রচনা?
উত্তরঃ-  রামরাম বসুর

৩৯. কাদের উদ্যোগে ও সহযোগিতায় কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ স্থাপিত হয়?
উত্তরঃ-  ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, মহেন্দ্রলাল সরকার ও কেশবচন্দ্র সেন

৪০. কবে বাংলায় ‘ পৃথিবীর মানচিত্র ’ ছাপানো হয় ? 
উত্তরঃ-  ১৮২৫ খ্রিস্টাব্দে বাংলায় ‘ পৃথিবীর মানচিত্র ’ ছাপানো হয় । 

৪১. ইপ্সরাজি ও বাঙ্গালি বোকেবিলরি ‘ কবে প্রকাশিত হয় ?
উত্তরঃ-  ইঙ্গরাজি ও বাঙ্গালি বোকেবিলরি ’ প্রকাশিত হয় ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দে ।

৪২. ইারাজি ও বাঙ্গালি বোকেবিলরি কোন প্রেস থেকে মুদ্রিত হয় ? 
উত্তরঃ-  ইঙ্গরাজি ও বাঙ্গালি বোকেবিলরি ‘ মুদ্রিত হয় ক্যালকাটা ক্রনিকল প্রেস থেকে ।

৪৩. কত খ্রিস্টাব্দে বিশ্বভারতী কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা লাভ করেছিল?
উত্তরঃ-  ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে

৪৪. পূর্ববঙ্গের কোথায় প্রথম ছাপাখানা প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তরঃ-  কুমারখালিতে

৪৫. বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রথম সংবাদপত্র কোনটি ? 
উত্তরঃ-  বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রথম সংবাদপত্র ‘ সমাচার দর্পণ ‘ । 

৪৬. ‘ইন্ডিয়ান মিরর ‘ পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন ? 
উত্তরঃ-  ‘ ইন্ডিয়ান মিরর ‘ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন কেশবচন্দ্র সেন ।

৪৭. ‘বিবিধার্থ সংগ্রহ ‘ পত্রিকাটি কে সম্পাদনা করেন ? 
উত্তরঃ-  ‘ বিবিধার্থ সংগ্রহ ‘ পত্রিকাটি সম্পাদনা করেন রাজেন্দ্রলাল মিত্র । 

৪৮. ‘বর্ণপরিচয়’ গ্রন্থটির রচয়িতা কে?
উত্তরঃ-  বিদ্যাসাগর

৪৯. উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর ছাপাখানাটির নাম কী ছিল?
উত্তরঃ-  ইউ এন রায় অ্যান্ড সন্স

৫০. পিয়ারসনের ‘ বাক্যাবলী ‘ , ২ য় সংস্করণ করে প্রকাশিত হয় ? 
উত্তরঃ-  পিয়ারসনের ‘ বাক্যাবলী ‘ , ২ য় সংস্করণ প্রকাশিত হয় ১৮২৫ খ্রিস্টাব্দে । 

৫১. ১৮২৮ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত ‘ পদ্মাবলী ‘ নামক গ্রন্সের রচয়িতা কে ? 
উত্তরঃ-  ১৮২৮ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত ‘ পদ্মাবলী ‘ নামক গ্রন্থের রচয়িতা ।

৫২. রাধাকান্ত দেব , তারিণী মিত্র , রামকমল সেন সম্পাদিত নীতিকথা ‘ — ১ ম ভাগ কবে প্রকাশিত হয় ? 
উত্তরঃ-  রাধাকান্ত দেব , তারিণী মিত্র , রামকমল সেন সম্পাদিত ‘ নীতিকথা ‘ — ১ ম ভাগ প্রকাশিত হয় ১৮১৮ খ্রিস্টাব্দে ।

৫৩. কোন্ গ্রন্থটিকে বাংলার প্রথম প্রাইমার বলা হয়?
উত্তরঃ-  “শিশুশিক্ষা

৫৪. কে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি নির্বাচিত হন?
উত্তরঃ-  রাসবিহারী ঘোষ

৫৫. ‘বেঙ্গলী স্পেলিং বুক ‘ ( ১৮১৮ খ্রি . ) গ্রন্থটির রচয়িতা কে ? 
উত্তরঃ-  বেঙ্গলী স্পেলিং বুক ‘ ( ১৮১৮ খ্রি . ) গ্রন্থটির রচয়িতা রাজা রাধাকান্ত দেব । 

৫৬. ছাপাখানার ব্যাবসায়িক উদ্যোগের ক্ষেত্রে প্রথম উদাহরণ কোনটি ? 
উত্তরঃ-  ছাপাখানার ব্যাবসায়িক উদ্যোগের ক্ষেত্রে প্রথম উদাহরণ ‘ হিন্দুস্থানি প্রেস ‘ ( ১৮০২ খ্রি . ) প্রতিষ্ঠা । 

৫৭. খিদিরপুরের সংস্কৃত প্রেস ’ করে প্রতিষ্ঠিত হয় ? 
উত্তরঃ-  খিদিরপুরের সংস্কৃত প্রেস ’ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮০৭ খ্রিস্টাব্দে । 

৫৮. এশিয়াটিক সোসাইটির পত্রিকার নাম কী ছিল?
উত্তরঃ-  এশিয়াটিক রিসার্চেস

বিদ্যাসাগর ও মদনমোহন তর্কালঙ্কারের প্রতিষ্ঠিত ছাপাখানার নাম কী ? 
উত্তরঃ-  বিদ্যাসাগর ও মদনমোহন তর্কালঙ্কারের প্রতিষ্ঠিত ছাপাখানার নাম ‘ সংস্কৃত যন্ত্র ‘ । 

৫৯. ‘বর্ণপরিচয় ‘ প্রথম ভাগ করে প্রকাশিত হয় ? 
উত্তরঃ-  ‘ বর্ণপরিচয় ’ প্রথম ভাগ প্রকাশিত হয় ১৩ এপ্রিল , ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে । 

৬০. ‘বিশ্ববিদ্যালয় আইন ‘ কৰে প্রবর্তিত হয় ? 
উত্তরঃ-  বিশ্ববিদ্যালয় আইন ‘ প্রবর্তিত হয় ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে ।

৬১. কে বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস ( ১৯০৪ খ্রি . ) করেন ? 
উত্তরঃ-  লর্ড কার্জন বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস করেন । 

৬২. কে ‘ছাপাখানার জনক’ নামে পরিচিত?
উত্তরঃ-  গুটেনবার্গ

৬৩. কোন্ ছাপাখানা থেকে রামমোহন রায়ের ‘ কঠোপনিষৎ ‘ গ্রন্থটি মুদ্রিত হয় ? 
উত্তরঃ-  রামমোহন রায়ের ‘ কঠোপনিষৎ ‘ গ্রন্থটি ‘ বাঙ্গালি প্রেস ‘ থেকে মুদ্রিত হয় । 

৬৪. উনিশ শতকের একটি ছাপাখানার নাম লেখো । 
উত্তরঃ-  শাঁখারিটোলার মহেন্দ্রলাল প্রেস উনিশ শতকের একটি ছাপাখানা । 

৬৫. বিদ্যাসাগরের ‘ সংস্কৃত যন্ত্র ‘ নামক ছাপাখানায় প্রথম মুদ্রিত বইয়ের নাম কী ? 
উত্তরঃ-  ‘ সংস্কৃত যন্ত্র ‘ নামক ছাপাখানায় প্রথম মুদ্রিত বই ভারতচন্দ্রের ‘ ।

৬৬. জাতীয় শিক্ষা পরিষদ কবে গঠিত হয় ? 
উত্তরঃ-  জাতীয় শিক্ষা পরিষদ গঠিত হয় ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে । 

৬৭. শিশুদের শিক্ষার ক্ষেত্রে আনন্দের সঙ্গে পাঠগ্রহণের একটি বইয়ের নাম লেখো । 
উত্তরঃ-  শিশুদের শিক্ষার ক্ষেত্রে আনন্দের সঙ্গে পাঠগ্রহণের একটি বই হল লসন – এর রচিত ‘ পশ্বাবলী ‘ । 

৬৮. ‘ বর্ণপরিচয় ‘ নামক শিশুপাঠ্যগ্রন্থের রচয়িতা কে ? 
উত্তরঃ-  ‘ বর্ণপরিচয় ‘ নামক শিশুপাঠ্যগ্রন্থের রচয়িতা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ।

৬৯. বিকল্প জাতীয়তা শিক্ষা ধারণার উদ্ভব কখন হয় ? 
উত্তরঃ-  বিকল্প জাতীয়তা শিক্ষা ধারণার উদ্ভব হয় ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে স্বদেশী আন্দোলনের সময় । 

৭০. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্য আশ্রম করে । প্রতিষ্ঠা করেন ? 
উত্তরঃ-  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্য আশ্রম ১৯০১ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠা করেন । 



দশম শ্রেণীর ইতিহাস – বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ : বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা / Bikolpo Chinta O Uddog : Boisisto O Porjalochona (পঞ্চম অধ্যায়)" সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর" । WBBSE Class 10 / WBBSE Secondary History 5th Chapter SAQ Questions and Answers 

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর | SAQ Questions and Answers (Class Ten History Fifth chapter)

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর; প্রতিটি প্রশ্নের মান -২/৩/৪ 

১. বাংলায় ছাপাখানা উদ্ভবের সহায়ক উপাদানগুলি কী ছিল?
উত্তরঃ-  বাংলায় ছাপাখানা উদ্ভবের সহায়ক উপাদানগুলি হল — প্রথমত, ইংরেজ কোম্পানির শাসন প্রতিষ্ঠা ও ১৭৭৩ খ্রিস্টাব্দের রেগুলেটিং অ্যাক্টের প্রবর্তন। এর ফলে বাংলা প্রদেশে বাংলা ভাষায় সরকারি কাজকর্ম ও সরকারি নির্দেশের প্রয়োজন দেখা দেয়। দ্বিতীয়ত, তৎকালীন গভর্নর ওয়ারেন হেস্টিংস বাংলা ভাষায় মুদ্রণ বা ছাপার জন্য সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা দান করেন।

২. বাংলায় ছাপাখানার ইতিহাসের প্রস্তুতিপর্ব বা প্রেক্ষাপট কী ছিল ?
উত্তরঃ-  ১৭৭৮ খ্রিস্টাব্দে বাংলা হরফে ছাপা হ্যালহেড – এর বাংলা ব্যাকরণ গ্রন্থের আগে প্রায় ১০০ বছর ধরে বিক্ষিপ্তভাবে ছাপার কাজে বাংলা হরফের খুব স্বল্প ব্যবহার হতে থাকে । এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- ( ১ ) আতানাসিউস কির্থের রচিত ‘ চায়না ইলাস্ট্রেটা ‘ ( আমস্টারডাম , ১৬৬৭ ) এবং ( ২ ) হ্যালহেডের রচিত ‘ এ কোড অব জেন্টু লজ ‘ ( লন্ডন , ১৭৭৬ খ্রি . ) । এই মুদ্রণগুলি ছিল ব্লক মুদ্রণ , তা সচল ছিল না । 

৩. বাংলায় ছাপাখানার ইতিহাসের প্রস্তুতিপর্ব বা প্রেক্ষাপট কী ছিল?
উত্তরঃ-  ১৭৭৮ খ্রিস্টাব্দে হ্যালহেড-এর বাংলা ব্যাকরণ গ্রন্থের পূর্বে প্রায় ১০০ বছর ধরে বিক্ষিপ্তভাবে ছাপার কাজে বাংলা হরফের খুব স্বল্প ব্যবহার হতে থাকে। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল আতানাসিউস কির্থের রচিত চায়না ইলাস্ট্রেটা (আমস্টারডাম, ১৬৬৭) বা হ্যালহেডের রচিত এ কোড অব জেন্টু লজ (লন্ডন, ১৭৭৬ খ্রি.)। এই মুদ্রণগুলি ছিল ব্লক মুদ্রণ, তা সচল ছিল না।

৪. কবে ও কীভাবে বাংলার ছাপার অক্ষর ব্যবহৃত হয় ? 
অথবা , বাংলা ছাপাখানার ইতিহাসে ১৭৭৮ খ্রিস্টাব্দ গুরুত্বপূর্ণ কেন ? 

উত্তরঃ-  ১৭৭৮ খ্রিস্টাব্দে ব্রাসি হ্যালহেড ইংরেজ কোম্পানির কর্মচারী বা ইংরেজদের বাংলা শিক্ষার জন্য ইংরেজি ভাষায় ‘ A Grammar of the Bengal Language ‘ নামক একটি গ্রন্থ প্রকাশ করেন । এই গ্রন্থের মোট পৃষ্ঠার চারভাগের একভাগ অংশে তিনি উদাহরণরূপে কৃত্তিবাস , কাশী দাস ও ভারতচন্দ্রের রচনা থেকে উদ্ধৃত্তি তুলে ধরতে বাংলা হরফ ব্যবহার করেন । এইভাবে প্রথম বাংলা মুদ্রণ বা ছাপার কাজ শুরু হয় । 

৫. কবে ও কীভাবে বাংলার ছাপার অক্ষর ব্যবহৃত হয়?
উত্তরঃ-  ১৭৭৮ খ্রিস্টাব্দে ব্রাসি হ্যালহেড ইংরেজ কোম্পানির কর্মচারী বা ইংরেজদের বাংলা শিক্ষার জন্য ইংরেজি ভাষায় A Grammar of the Bengal Language নামক একটি গ্রন্থ প্রকাশ করেন। এই গ্রন্থের মোট পৃষ্ঠার চারভাগের একভাগ অংশে উদাহরণরূপে বাংলা হরফ ব্যবহার করেন। এইভাবে প্রথম বাংলা মুদ্রণ বা ছাপার কাজ শুরু হয়।

৬. বাংলায় ছাপাখানা উদ্ভবের সহায়ক উপাদানগুলি কী ছিল ?
 অথবা , বাংলাদেশে ছাপাখানা প্রসারের কারণ কী ? 

উত্তরঃ-  বাংলায় ছাপাখানা উদ্ভবের সহায়ক উপাদানগুলি হল প্রথমত , ইংরেজ কোম্পানির শাসন প্রতিষ্ঠা ও রেগুলেটিং অ্যাক্ট ( ১৭৭৩ খ্রি . ) প্রবর্তনের ফলে বাংলায় বাংলা ভাষায় সরকারি কাজকর্ম ও সরকারি নির্দেশের প্রয়োজন দেখা দেয় । দ্বিতীয়ত , তৎকালীন গভর্নর ওয়ারেন হেস্টিংস বাংলা ভাষায় মুদ্রণ বা ছাপার জন্য সরকারি ভাবে পৃষ্ঠপোষকতা দেন । তৃতীয়ত , চার্লস উইলকিনস্ বাংলা মুদ্রণের জন্য বাংলা হরফ নির্মাণ করেন । 

৭. হিকিজ বেঙ্গল গেজেট কী?
উত্তরঃ-  ছাপাখানার উদ্ভব বাংলায় সংবাদপত্রের যুগের সূচনা করেছিল এবং এরই পরিণতি ছিল হিকিজ বেঙ্গল গেজেট প্রকাশ। এটি কোম্পানির প্রেস থেকে ছাপা হত। এটি ছিল জেমস অগাস্টাস হিকির দ্বারা সম্পাদিত সাপ্তাহিক সংবাদপত্র।

৮. ন্যাথানিয়েল ব্রাসি হ্যালহেড বিখ্যাত কেন ? 
উত্তরঃ-  ন্যাথানিয়েল ব্রাসি হ্যালহেড ( ১৭৫১-১৮৩০ খ্রি . ) বিখ্যাত , কারণ প্রথমত , তিনি ইংরেজ কোম্পানীর কর্মচারীরূপে ভারতে আসেন ও মুরশিদাবাদে কাশিমবাজারে যথাকালে তিনি বাংলা শেখেন এবং পরবর্তীকালে ১৩ জন পন্ডিতের সহযোগিতায় হিন্দু আইনশাস্ত্রের অনুবাদ রূপে লেখেন ‘ আ কোড অফ জেন্টু লজ ’ ( ১৭৭৬ খ্রি . ) । দ্বিতীয়ত , তিনি ইংরেজ কোম্পানীর ইংরেজ কর্মচারীদের বাংলা শিক্ষার জন্য ইংরেজি ভাষায় ‘ আ গ্রামার অব দ্য বেঙ্গলী ল্যাঙ্গোয়েজ ’ নামক গ্রন্থে বাংলা ভাষার অক্ষরে বেশ কিছু উদ্ধৃতি তুলে ধরেন । এভাবে বাংলা ছাপানোর কাজ শুরু করেন বলে তিনি খুব বিখ্যাত হয়ে আছেন । 

৯. কাকে , কেন ‘ বাংলার গুটেনবার্গ বলা হয় ? 
উত্তরঃ-  চার্লস উইলকিসকে ( ১৭৪৯-১৮৩৬ খ্রি . ) ‘ বাংলার প্লুটেনবার্গ ‘ বলা হয় , কারণ প্রথমত , তিনি ছিলেন একজন টাইপোগ্রাফার , প্রাচ্যবাদী ( ভাগবত গীতার প্রথম ইংরেজি অনুবাদক ) ও এশিয়াটিক সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং পঞ্চানন কর্মকারের সহযোগিতায় প্রথম সচল বাংলা মুদ্রাক্ষর নির্মাতা । দ্বিতীয়ত , চার্লস উইলকিনস্ ছিলেন বাংলা হরফ বিশেষজ্ঞ , তিনি নিজ উদ্যোগেই বেশ কিছু বাংলা হরফ ঢালাই করেছিলেন এবং একারণেই তাঁর বন্ধু হ্যালহেড ও তৎকালীন গভর্ণর জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিংসের অনুরোধে হ্যালহেডের ব্যাকরণের জন্য প্রথম বাংলা ছাপার হরফ প্রবর্তন করেন । তৃতীয়ত , বাংলা অক্ষরের বাঁক বা অনিয়মিত উচ্চতা বা ভিন্ন ভিন্ন ধরনের আকার ও বৈশিষ্ট্যের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলা হরফে ছাঁচ নির্মাণ ও হরফ ঢালাই – এর জটিল এই কাজটি করেন উইলকিনস্ ।

১০. ছাপার হরফের বিবর্তন চিহ্নিত করো।
হ্যালহেড রচিত বাংলা গ্রামার বইয়ের হরফগুলি ছিল আকারে বেশ বড়ো ও উচ্চতায় ৪.৫ মি.মি.। কিন্তু হরফের গঠন, স্পষ্টতা, আকার ও উচ্চতাকে আরো দৃষ্টিনন্দন করার পরীক্ষা-নিরীক্ষাও চলতে থাকে। ফলে হরফের উচ্চতা ক্রমশ ছোট হতে থাকে এবং একটি আদর্শরূপদানের চেষ্টা শুরু হয়।

১১. চার্লস উইলকিনস বিখ্যাত কেন ? 
উত্তরঃ-  প্রাচ্যবাদী পণ্ডিত চার্লস উইলকিনস্ বিখ্যাত , কারণ প্রথমত , তিনি পঞ্চানন কর্মকারের সহযোগিতায় বাংলা মুদ্রাক্ষর খোদাই এবং অক্ষর ঢালাই – এর কাজ করেন । দ্বিতীয়ত , তাঁর তৈরি বাংলা মুদ্রাক্ষরের সাহায্যেই হ্যালহেড তাঁর বাংলা গ্রামার বইটিতে উদাহরণরূপে বাংলা মুদ্রণের ব্যবস্থা করেন । তাই তিনি ‘ বাংলার গুটেনবার্গ ‘ নামে পরিচিত । 

১২. ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ কীভাবে বাংলা মুদ্রণশিল্পে গতি এনেছিল?
উত্তরঃ-  প্রশাসনিক প্রয়োজনে প্রতিষ্ঠিত ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের সিভিলিয়ানদের ইংরেজির পাশাপাশি দেশীয় ভাষাতেও শিক্ষাদান করা হত। তাই এরকম শিক্ষাদানের জন্য বাংলায় মুদ্রিত পাঠ্যপুস্তকের প্রয়োজনীয়তা থেকেই ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ শ্রীরামপুর মিশনের ছাপাখানা সহ সংস্কৃত প্রেস, হিন্দুস্থানী প্রেস-এ ছাপার বরাত (Order) দিত। এভাবেই বাংলা মুদ্রণ শিল্পে গতির সৃষ্টি হয়।

১৩. বাংলার ছাপাখানার বিকাশে পঞ্চানন কর্মকারের ভূমিকা কী ছিল ? 
উত্তরঃ-  পঞ্চানন কর্মকার বিখ্যাত ছিলেন , কারণ— প্রথমত , বাংলা মুদ্রাক্ষর তৈরির ক্ষেত্রে উইলকিনস্ত্রে সহযোগী ছিলেন হুগলি নিবাসী মুদ্রাক্ষর শিল্পী পঞ্চানন কর্মকার । দ্বিতীয়ত , তাঁর তৈরি মুদ্রাক্ষর হ্যালহেডের বাংলা ব্যাকরণে এবং পরবর্তীকালে ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দে ‘ কর্নওয়ালিশ কোড ‘ – এর বাংলা সংস্করণেও ব্যবহৃত হয় । তৃতীয়ত , তাঁর প্রচেষ্টাতেই বাংলা হরফ নির্মাণ একটি স্থায়ী শিল্পে পরিণত হয় । 

১৪. শ্রীরামপুর ত্রয়ী বিখ্যাত কেন?
উত্তরঃ-  শ্রীরামপুর মিশনের উইলিয়াম কেরি, জে মার্শম্যান এবং ওয়ার্ড একত্রে শ্রীরামপুর ত্রয়ী নামে পরিচিত। এঁদের উদ্যোগে বাংলায় পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারের পাশাপাশি বাংলা মুদ্রণ শিল্পেরও বিকাশ ঘটে। এঁদের ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে শ্রীরামপুর মিশন প্রেস প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৫. বাংলা ছাপার হরফের বিবর্তন চিহ্নিত করো । 
উত্তরঃ-  বাংলা ছাপার হরফের বিবর্তন বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে প্রথমত , হ্যালহেড রচিত বাংলা গ্রামার বইয়ের হরফগুলি ছিল আকারে বেশ বড়ো ও উচ্চতায় ৪.৫ মি.মি .। দ্বিতীয়ত , ১৭৭৮ খ্রিস্টাব্দের পরবর্তীকালে হরফের গঠন , স্পষ্টতা , আকার ও উচ্চতা হ্রাস করে হরফকে একটি আদর্শরূপদানের চেষ্টা শুরু হয় । তৃতীয়ত , উনিশ শতকে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মুদ্রনের ক্ষেত্রে বাংলা হরফের মধ্যে শৃঙ্খলা আনতে স্বরবর্ণ , ব্যাল্গুনবর্ণ , স্বরযুক্ত ব্যাল্গুনবর্ণ এবং যুক্ত ব্যাল্গুন ও স্বরযুক্ত ব্যাঞ্জনবর্ণের জন্য পৃথক পৃথক হরফের পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়ন করেন । 

১৬. ছাপা বইয়ের সঙ্গে শিক্ষাবিস্তারের সম্পর্ক কী?
উত্তরঃ-  বাংলায় ছাপাখানার উদ্ভবের পূর্বে জ্ঞান বা শিক্ষাজগৎ ছিল হাতে লেখা পুঁথি বা মুখস্থবিদ্যার উপর নির্ভরশীল। কিন্তু ছাপা বইয়ের ফলে মুষ্টিমেয় ব্যক্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ জ্ঞান অন্যান্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ, শ্রীরামপুর মিশন, স্কুল বুক সোসাইটির উদ্যোগে বাংলায় পাঠ্যপুস্তক রচনা ও পরিবেশনার কাজও শুরু হয়।

১৭. ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ কীভাবে বাংলা মুদ্রণশিল্পে গতি এনেছিল । 
উত্তরঃ-  ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ যেভাবে বাংলা মুদ্রণ শিল্পে গতি এনেছিল তা হল প্রথমত , প্রশাসনিক প্রয়োজনে প্রতিষ্ঠিত ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের সিভিলিয়ানদের ইংরেজির পাশাপাশি দেশীয় ভাষাতেও শিক্ষাদানের জন্য বাংলায় মুদ্রিত পাঠ্যপুস্তকের প্রয়োজন দেখা দেয় । দ্বিতীয়ত , ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ শ্রীরামপুর মিশনের ছাপাখানা সহ সংস্কৃত প্রেস , হিন্দুস্থানি প্রেস – এ বাংলা বই ছাপার বরাত ( Order ) দিলে বাংলা মুদ্রণ শিল্পে গতির সৃষ্টি হয় । 

১৮. চার্লস উইলকিন্স বিখ্যাত কেন?
উত্তরঃ-  চার্লস উইলকিন্স ছিলেন প্রাচ্যবাদী পণ্ডিত। তিনি পঞ্চানন কর্মকারের সহযোগিতায় বাংলা মুদ্রাক্ষর খোদাই এবং অক্ষর ঢালাই-এর কাজ করেন। তাঁর তৈরি বাংলা মুদ্রাক্ষরের সাহায্যেই হ্যালহেড তাঁর বাংলা গ্রামার বইটিতে উদাহরণরূপে বাংলা মুদ্রণের ব্যবস্থা করেন। তাই তিনি বাংলার গুটেনবার্গ নামে পরিচিত।

১৯. গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য বিখ্যাত কেন ? 
উত্তরঃ-  গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য বিখ্যাত ছিলেন , কারণ প্রথমত , তিনি প্রথম জীবনে ছিলেন শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন প্রেসের একজন কর্মী ( কম্পোজিটর ) । দ্বিতীয়ত , মতানৈক্যের কারণে তিনি শ্রীরামপুর প্রেস ত্যাগ করে কলকাতায় এসে অন্যের ছাপাখানা থেকে বেশ কিছু বই ছাপিয়ে প্রকাশ করেছিলেন । তৃতীয়ত , হরচন্দ্র রায়ের সঙ্গে যৌথভাবে কলকাতার চোরবাগান স্ট্রিটে ‘ বাঙ্গাল গেজেটি প্রেস ‘ স্থাপন করেন ( ১৮১৮ খ্রি . ) এবং ‘ বাঙ্গাল গেজেটি ’ নামক সংবাদপত্র প্রকাশ করেন ( ১৮১৮ খ্রি . ) । 

২০. পঞ্চানন কর্মকার বিখ্যাত কেন?
উত্তরঃ-  বাংলা মুদ্রাক্ষর তৈরির ক্ষেত্রে উইলকিন্সের সহযোগী ছিলেন হুগলি নিবাসী শিল্পী পঞ্চানন কর্মকার। তাঁর তৈরি মুদ্রাক্ষর হ্যালহেডের বাংলা ব্যাকরণে ব্যবহৃত হয়। পরবর্তীকালে ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দে কর্ণওয়ালিশ কোড-এর বাংলা সংস্করণেও তাঁর তৈরি উন্নত বাংলা মুদ্রাক্ষর ব্যবহার করা হয়। তাঁর প্রচেষ্টাতেই বাংলা হরফ নির্মাণ একটি স্থায়ী শিল্পে পরিণত হয়।

২১. ‘শ্রীরামপুর ত্রয়ী ’ বিখ্যাত কেন ? 
অথবা , শ্রীরামপুর ত্রয়ী কারা ? 

উত্তরঃ-  শ্রীরামপুর মিশনের উইলিয়াম কেরি , জে . মার্শম্যান এবং উইলিয়াম ওয়ার্ড একত্রে ‘ শ্রীরামপুর এয়ী ’ নামে পরিচিত । এঁরা ছিলেন খুব বিখ্যাত , কারণ প্রথমত , এঁদের উদ্যোগে বাংলায় পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসার ঘটে । দ্বিতীয়ত , এঁরা ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে শ্রীরামপুর মিশন প্রেস প্রতিষ্ঠা করলে বাংলায় মুদ্রণ শিল্পেরও বিকাশ ঘটে । মার্শম্যান কোন্ দুটি পত্রিকা করে বের করেন ? উত্তর ) মার্শম্যান ১৮১৮ খ্রিস্টাব্দে ‘ দিগ্‌দর্শন ’ নামক মাসিক পত্রিকা এবং ‘ সমাচার দর্পণ ‘ নামে সাপ্তাহিক পত্রিকা বের করেন । 

২২. ছাপাখানার প্রসারে স্কুল বুক সোসাইটি বিখ্যাত কেন?
উত্তরঃ-  ডেভিড হেয়ারের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত (১৮১৭ খ্রি.) স্কুল বুক সোসাইটির উদ্দেশ্য ছিল অল্প খরচে শিশু ও শিক্ষার্থীদের কাছে পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ করা। ডেভিড হেয়ার আমৃত্যু বাংলা পাঠ্যপুস্তক ছাপানোর কাজে ব্রতী ছিলেন। এই সোসাইটি নিজের ছাপাখানার পাশাপাশি শ্রীরামপুর মিশন প্রেস সহ অন্যান্য প্রেসেও বই ছাপানোর ব্যবস্থা করেছিল।

২৩. ছাপা বই শিক্ষার প্রসারে কী ভূমিকা নিয়েছিল ? 
অথবা , ছাপা বইয়ের সঙ্গে শিক্ষা বিস্তারের দুটি সম্বন্ধ লেখো । 

উত্তরঃ-  ছাপা বইয়ের সঙ্গে শিক্ষা বিস্তারের দুটি সম্বন্ধ হল প্রথমত , বাংলায় ছাপাখানার উদ্ভবের আগে জ্ঞান বা শিক্ষাজগৎ ছিল হাতে লেখা পুথি বা মুখস্থবিদ্যার উপর নির্ভরশীল , কিন্তু ছাপা বইয়ের ফলে মুষ্টিমেয় ব্যক্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ জ্ঞান অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে এবং স্কুল – কলেজ শিক্ষাসহ গণ শিক্ষার প্রসার ঘটে । দ্বিতীয়ত , ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ , শ্রীরামপুর মিশন , স্কুল বুক সোসাইটির উদ্যোগে বাংলায় পাঠ্যপুস্তক রচনা ও পরিবেশনার কাজও শুরু হয় । 

২৪. প্রকাশনা জগতে বর্ণপরিচয় – এর গুরুত্ব কী?
উত্তরঃ-  প্রকাশনা জগতে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত বর্ণপরিচয় – এর গুরুত্ব ছিল অনেক। প্রথমত, এটি ছিল একটি শিশুপাঠ্যপুস্তক। যেখানে বাংলা স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ নির্দিষ্ট করা হয়। দ্বিতীয়ত, এই পুস্তকে ব্যবহৃত বাংলা হরফ প্রকাশনা জগতে একটি আদর্শ হরফ ব্যবস্থার প্রবর্তন করে।

২৫. ছাপাখানা কীভাবে গণশিক্ষার প্রসারে সাহায্য করে ?
উত্তরঃ-  ছাপাখানার ফলে গণশিক্ষারও প্রসার ঘটে প্রথমত , কৃত্তিবাসী রামায়ণ , কাশীদাসী মহাভারত প্রভৃতি ধর্মগ্রন্থ । দ্বিতীয়ত , বিচিত্র ধর্মী বিষয়ের ওপর রচিত গ্রন্থ । তৃতীয়ত , ‘ সমাচারদর্পণ ‘ ও ‘ সংবাদ প্রভাকর ‘ – এর মতো বাংলাভাষায় প্রকাশিত পত্রপত্রিকা মানুষের মধ্যে জ্ঞানের ও শিক্ষার প্রসার ঘটায় । 

২৬. ব্যাবসায়িক ভিত্তিতে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ছাপাখানা প্রতিষ্ঠার কারণ কী ছিল?
উত্তরঃ-  ব্যাবসায়িক ভিত্তিতে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ছাপাখানা প্রতিষ্ঠার কারণগুলি হল – প্রথমত, শিক্ষাবিস্তার, ধর্ম ও সমাজ সংস্কারের প্রয়োজনে বাংলা ভাষায় পাঠ্যপুস্তক ও প্রচার পুস্তিকার চাহিদা বৃদ্ধি পায়। দ্বিতীয়ত, এই চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি জীবিকার্জনের ব্যবস্থা ও শিক্ষাদরদি হয়ে ওঠাও ছিল অন্যতম উদ্দেশ্য। উদাহরণরূপে মদনমোহন তর্কালংকার ও ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের কথা বলা যায়।

‘ হিকি’জ বেঙ্গল গেজেট ‘ কী ? 
অথবা হিকির বেঙ্গাল গেজেট কী ? 

উত্তরঃ-  ছাপাখানার উদ্ভব বাংলায় সংবাদপত্রের যুগের সূচনা করেছিল এবং এরই পরিণতি ছিল জেমস অগাস্টাস হিকি কর্তৃক ‘ হিকি’জ বেঙ্গল গেজেট প্রকাশ । এটি— প্রথমত , এটি ছিল চার পাতার সাপ্তাহিক পত্রিকা যার প্রথম দশটি সংখ্যা কোম্পানির প্রেস থেকে ছাপা হয়েছিল । দ্বিতীয়টি , এটি ছিল জেমস অগাস্টাস হিকির দ্বারা সম্পাদিত সাপ্তাহিক সংবাদপত্র । 

২৭. সংস্কৃত যন্ত্র বিখ্যাত কেন?
উত্তরঃ-  উনিশ শতকে ছাপাখানার ইতিহাসে বিখ্যাত ছিল সংস্কৃত যন্ত্র নামক ছাপাখানা। ১৮৪৭ খ্রিস্টাব্দে পণ্ডিত মদনমোহন তর্কালঙ্কার ও ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর যৌথভাবে কলকাতার ৬২ নং আমহার্স্ট স্ট্রিটে এটি প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীকালে বিদ্যাসাগর এই ছাপাখানার একক মালিকানা স্বত্ব লাভ করেন। সংস্কৃত যন্ত্র থেকে বিদ্যাসাগরের রচিত বিভিন্ন গ্রন্থও প্রকাশিত হয়।

২৮. হিকির ছাপাখানা বিখ্যাত কেন ? 
উত্তরঃ-  কলকাতা ব্যক্তিগত মালিকানায় প্রতিষ্ঠিত জেমস অগাস্টাস হিকির ছাপাখানা ( ১৭৮০ খ্রি . ) ছিল বিখ্যাত , কারণ— প্রথমত , হিকির কথায় তিনি ছিলেন সম্মানীয় ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সামরিক প্রাক্তন ( late ) মুদ্রাকর , কারণ তাঁর ছাপাখানায় কোম্পানির সামরিক বিল ও বাণিজ্যিক বাট্টা সংক্রান্ত কাগজপত্র ছাপানো হত । দ্বিতীয়ত , ভারতের প্রথম সংবাদপত্র ‘ হিকিজ গেজেট ‘ ( চার পাতার সাপ্তাহিক পত্রিকা ) এর প্রথম দশটি সংখ্যা ‘ কোম্পানীর প্রেস ’ – এ ছাপানো হলেও পরে তিনি নিজের এই ছাপাখানা থেকেই এই পত্রিকা প্রকাশ করেন । তৃতীয়ত , এই ছাপাখানাকে কেন্দ্র করেই ব্যবসায়ী – মুদ্রণকারী হিকি ‘ সাংবাদিক – হিকি’তে পরিণত ( trader printer turned journalist ) হয় । 

২৯. বটতলার প্রকাশনা কী?
উত্তরঃ-  উনিশ শতকে ছাপাখানা জগতে বিদ্যাসাগরের যোগদানের পূর্বের প্রকাশনা জগতের একটি এলাকার প্রকাশন সংস্থা বটতলার প্রকাশনা নামে পরিচিত। চোরবাগান, শোভাবাজার, দর্জিপাড়া, জোঁড়াসাকো প্রভৃতি স্থান জুড়ে এই প্রকাশনা চলত। সস্তায় বিচিত্র বিষয় ও বিচিত্র রকমের ধর্মকথা ও অশ্লীল কথাযুক্ত বাংলা বই ছাপা ছিল এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য।

৩০. ছাপাখানার প্রসারে স্কুল বুক সোসাইটি বিখ্যাত কেনো ? 
উত্তরঃ-  ছাপাখানার প্রসারে স্কুল বুক সোসাইটি বিখ্যাত , কারণ— প্রথমত , ডেভিড হেয়ারের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত ( ১৮১৭ খ্রি . ) স্কুল বুক সোসাইটির উদ্দেশ্য ছিল অল্প খরচে শিশু ও শিক্ষার্থীদের কাছে পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ করা । দ্বিতীয়ত , ডেভিড হেয়ার আমৃত্যু স্কুল বুক সোসাইটির মাধ্যমে বাংলা পাঠ্যপুস্তক ছাপানোর কাজে ব্রতী ছিলেন । তৃতীয়ত , এই সোসাইটি নিজের ছাপাখানার পাশাপাশি শ্রীরামপুর মিশন প্রেস সহ অন্যান্য প্রেসেও বই ছাপানোর ব্যবস্থা করেছিল । 

৩১. ছাপাখানা প্রবর্তনের গুরুত্ব কী?
উত্তরঃ-  ছাপাখানা প্রবর্তনের গুরুত্বগুলি হল—বাংলায় মুদ্রণ বা ছাপা সম্ভব হলে বাংলা ভাষা ও জ্ঞানের এবং শিক্ষার বিস্তার ঘটে। ছাপাখানা ব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে কলকাতা কেন্দ্রিক নতুন পেশার উদ্ভব ঘটে। বাংলার সমাজ ও ধর্ম সংস্কার আন্দোলনের সমর্থনে বিভিন্নধর্মী পত্র-পত্রিকা ও সাহিত্যের উদ্ভব ঘটে।

৩২. ব্যাবসায়িক ভিত্তিতে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ছাপাখানা প্রতিষ্ঠার কারণ কী ছিল ? 
উত্তরঃ-  ব্যাবসায়িক ভিত্তিতে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ছাপাখানা প্রতিষ্ঠার কারণগুলি হল প্রথমত , শিক্ষাবিস্তার , ধর্ম ও সমাজ সংস্কারের প্রয়োজনে বাংলা ভাষায় পাঠ্যপুস্তক ও প্রচারপুস্তিকার চাহিদা বৃদ্ধি পায় । দ্বিতীয়ত , শিক্ষাবিস্তার , ধর্ম ও সমাজ সংস্কারের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি জীবিকার্জনের ব্যবস্থা ও শিক্ষাদরদি হয়ে ওঠাও ছিল অন্যতম কারণ । উদাহরণরূপে মদনমোহন তর্কালংকার ও ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের কথা বলা যায় । 

৩৩. ইউ. এন. রায় অ্যান্ড সন্স কী?
উত্তরঃ-  উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত প্রকাশনা সংস্থার নাম হল ইউ. এন. রায় অ্যান্ড সন্স। এই প্রকাশনার সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি ছিল বিদেশি। এখানে ছাপার পদ্ধতি ছিল উন্নত ধরণের হাফটোন ব্লকে ছাপা পদ্ধতি। তিন-চার রকম রং ব্যবহার করে ছোটোদের জন্য মজার বই প্রকাশ করা ছিল এই প্রকাশনার অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

৩৪. মদনমোহন তর্কালংকার কেন বিখ্যাত ? 
উত্তরঃ-  মদনমোহন তর্কালংকার ( ১৮১৭-১৮৫৮ খ্রি . ) বিখ্যাত ছিলেন , কারণ— প্রথমত , তিনি ছিলেন বাঙালি কবি ও সংস্কৃত পণ্ডিত এবং সংস্কৃত কলেজে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের সহপাঠী ও সংস্কৃত কলেজের সাহিত্যের অধ্যাপক । দ্বিতীয়ত , তাঁর রচিত ‘ শিশুশিক্ষা ‘ ( ১৮৪৯-৫০ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত ) প্রথম ও দ্বিতীয় ভাগ ছিল শিশুপাঠ্যগ্রন্থ যা বাংলা ছাপাখানার ইতিহাসে নবযুগের সূচনা করেছিল । তৃতীয়ত , ১৮৪৭ খ্রিস্টাব্দে বন্ধু ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের সঙ্গে তিনি যৌথভাবে ‘ সংস্কৃত যন্ত্র ’ নামক ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন । 

৩৫. ছাপাখানা জগতে উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী বিখ্যাত কেন?
উত্তরঃ-  উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী (১৮৬৩-১৯১৫ খ্রি.) ছিলেন একজন বিখ্যাত শিশুসাহিত্যক ও চিত্রকর। ছেলেদের রামায়ণ ও ছেলেদের মহাভারত ছিল তাঁর লেখা প্রথম দুটি বই। তিনি ইউ. এন. রায় অ্যান্ড সন্স নামক একটি ছাপাখানা ও প্রকাশনা সংস্থা খুলেছিলেন এবং ছাপাখানার জন্য বিভিন্ন নতুন ও উন্নত পদ্ধতির উদ্ভাবন করেন।

৩৬. ছাপাখানার ইতিহাসে বিদ্যাসাগরের নাম স্মরণীয় কেন ?
উত্তরঃ-  ছাপাখানার ইতিহাসে বিদ্যাসাগরের ( ১৮২০-১৮৯০ খ্রি . ) নাম স্মরণীয় , কারণ প্রথমত , সংস্কৃত পন্ডিত ও সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষ এবং শিক্ষাদরদি ও মানবতাবাদী ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ছিলেন ১৮৫০ – এর দশকে বাংলা মুদ্রণ ও প্রকাশনার ক্ষেত্রে একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি । দ্বিতীয়ত , বন্ধু মদনমোহন তর্কালংকারের সঙ্গে তিনি যৌথভাবে ১৮৪৭ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার আমহার্স্ট স্ট্রিটে ‘ সংস্কৃত যন্ত্র ‘ নামে একটি ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা করেন । তৃতীয়ত , পরবর্তীকালে তিনি সংস্কৃত যন্ত্রের একক মালিক হন । এবং এখান থেকে ‘ বর্ণপরিচয় ‘ প্রথম ও দ্বিতীয় ভাগ প্রকাশ করে শিশুশিক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন । 

৩৭. ব্রিটিশ শাসনপর্বে সার্ভে বা জরীপ ব্যবস্থার গুরুত্ব কী?
উত্তরঃ-  ব্রিটিশ শাসনপর্বে ফ্রাঙ্কল্যান্ড ও হগ্ ক্যামেরন ২৪ পরগনার জমি জরিপ করেন। আবার ১৭৭০-র দশকে জেমস রেনেল বাংলার নদীপথগুলি জরিপ করে মোট ১৬টি মানচিত্র তৈরি করেন। এভাবে জরিপ ও মানচিত্র অঙ্কনের মাধ্যমে এদেশের প্রাকৃতিক, বনজ ও জলজ সম্পদ চিহ্নিত করে এদেশকে শোষণের ব্যবস্থা করা হয়।

৩৮. ‘সংস্কৃত যন্ত্র বিখ্যাত কেন ? 
উত্তরঃ-  ‘ সংস্কৃত যন্ত্র ’ বিখ্যাত ছিল , কারণ— প্রথমত , ১৮৪৭ খ্রিস্টাব্দে পণ্ডিত মদনমোহন তর্কালঙ্কার ও ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এই দুই শিক্ষাদরদি ও মানবতাবাদী কলকাতার ৬২ নং আমহার্স্ট স্ট্রিটে যৌথভাবে ‘ সংস্কৃত যন্ত্র ’ নামক ছাপাখানাটি প্রতিষ্ঠা করেন । পরবর্তীকালে বিদ্যাসাগর এই ছাপাখানার একক মালিকানা স্বত্ব লাভ করেন এবং ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এই প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ‘ বিদ্যাবণিক ’ – এ উন্নীত হন । দ্বিতীয়ত , উনিশ শতকে ছাপাখানার ইতিহাসে বিখ্যাত এই ছাপাখানা থেকে ভারতচন্দ্রের ‘ অন্নদামঙ্গল’সহ বিদ্যাসাগরের রচিত বিভিন্ন গ্রন্থ ( যেমন – বিদ্যাসাগরের বর্ণপরিচয় ১ ম ও ২ য় ভাগ ) প্রকাশিত হয় । 

৩৯. ব্রিটিশ শাসনপর্বে কীভাবে বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার প্রাথমিক বিকাশ ঘটে?
উত্তরঃ-  ব্রিটিশ শাসনপর্বে বিভিন্ন ধরনের জরিপ, সমীক্ষা ও মানচিত্র অঙ্কনের মাধ্যমে বিজ্ঞান ও কারিগরি ব্যবস্থার বিকাশ ঘটে। অষ্টাদশ শতকে এশিয়াটিক সোসাইটি ও বোট্যানিক্যাল গার্ডেন এবং উনিশ শতকে অ্যাগ্রো- হর্টিক্যালচারাল সোসাইটি ও কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার প্রাথমিক বিকাশ ঘটে।

৪০. প্রকাশনা জগতে ‘ বর্ণপরিচয় ‘ – এর গুরুত্ব কী ? 
উত্তরঃ-  প্রকাশনা জগতে ‘ বর্ণপরিচয় ‘ – এর গুরুত্বগুলি হল প্রথমত , ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত ‘ বর্ণপরিচয় ছিল একটি শিশুপাঠ্যপুস্তক যা আজও জনপ্রিয় । দ্বিতীয়ত , এখানে বাংলা স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ নির্দিষ্ট করা হয় । তৃতীয়ত , এই বইয়ে ব্যবহৃত বাংলা হরফ প্রকাশনা জগতে একটি আদর্শ হরফ ব্যবস্থার প্রবর্তন করে । 

৪১. ইণ্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অব সায়েন্স প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কী ছিল?
উত্তরঃ-  ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অব সায়েন্স প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যগুলি হল — স্বাধীনভাবে বিজ্ঞানচর্চা করা এবং পাশ্চাত্য বিজ্ঞানের প্রসার ঘটানো। বিজ্ঞান চর্চা ও গবেষণার পাশাপাশি বিজ্ঞান বিষয়ে বক্তৃতার আয়োজন করে শ্রোতাদেরকে বিজ্ঞান বিষয়ে ওয়াকিবহাল বা সচেতন করা। এভাবে দেশীয় উদ্যোগে ও তত্ত্বাবধানে প্রকৃত বিজ্ঞান গবেষণাই ছিল এই প্রতিষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য।

৪২. বাংলার মুদ্রণের ইতিহাসে বটতলা প্রকাশনার গুরুত্ব কী ?
উত্তরঃ-  উনিশ শতকে ছাপাখানা জগতে ১৮৪০-১৮৭০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সময়কালে কলকাতার চোরবাগান , শোভাবাজার , দর্জিপাড়া , জোড়াসাঁকো প্রভৃতি স্থান জুড়ে যেসব প্রকাশনা চলত তা বটতলার প্রকাশনা নামে পরিচিত । এর দিকগুলি হল প্রথমত , সস্তায় বিচিত্র বিষয় ও বিচিত্র রকমের ধর্মকথা ও অশ্লীল কথাযুক্ত বাংলা বই ছাপা ছিল এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য । দ্বিতীয়ত , এই প্রকাশনার ক্ষেত্রে বিখ্যাত প্রকাশক ছিলেন । বিশ্বম্ভর দেব ও ভবাণীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং এঁদের প্রকাশিত পৌরাণিক ঐতিহাসিক গ্রন্থ সমকালীন বাবুসমাজ সহ শিক্ষিত মানুষের জ্ঞান পিপাসা মেটাতে সাহায্য করেছিল । 

৪৩. কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ প্রতিষ্ঠায় তারকনাথ পালিতের ভূমিকা কী ছিল?
উত্তরঃ-  কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে তারকনাথ পালিতের ভূমিকা ছিল খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ প্রথমত, তিনি বাংলায় বিজ্ঞানভিত্তিক ও প্রাযুক্তিক শিক্ষা বিস্তারে সচেষ্ট হন। দ্বিতীয়ত, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে তিনি জমি ও টাকা দান (দুটি পর্যায়ে যথা জুন ও অক্টোবর ১৯১২ খ্রি.) করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য আশুতোষ মুখোপাধ্যায় এই জমি ও অর্থের উপর ভিত্তি করেই কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ প্রতিষ্ঠায় সচেষ্ট হন।

৪৪. বোটানিক্যাল গার্ডেন কে . কেন তৈরি করেন ? 
উত্তরঃ-  শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেন তৈরি করেন ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সামরিক বাহিনীর অফিসার কর্ণেল রবার্ট কিন্তু ( ২ নভেম্বর ১৭৮৭ খ্রি . ) । এটি তৈরির কারণগুলি হল প্রথমত , সেগুন কাঠ ও মশলার জন্য নতুন চারাগাছ রোপনঃ দ্বিতীয়ত , ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দে এই গার্ডেনের নতুন সুপারিনটেন্ডেন্ট উইলিয়াম রক্সবার্গ ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিভিন্ন প্রজাতির চারাগাছ রোপন করে ভেষজ গার্ডেনে পরিণত করেন । তৃতীয়ত , ভারতের বিখ্যাত উদ্ভিদ ও প্রাণী বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসুর নামানুসারে ভারত সরকার বর্তমানে এই গার্ডেনের নামকরণ করেছেন আচার্য জগদীশচন্দ্র বোস ইন্ডিয়ান বোটানিক্যাল গার্ডেন ( ২৫ জুন , ২০০৯ খ্রি . ) । 

৪৫. জাতীয় শিক্ষা পরিষদ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কী ছিল?
উত্তরঃ-  জাতীয় শিক্ষা পরিষদ (১৯০৬ খ্রি.) প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যগুলি হল –

ব্রিটিশ প্রবর্তিত শিক্ষানীতির বিরোধিতা করা
দেশের প্রয়োজনে স্বদেশি ধাঁচে এক বিকল্প শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা। এই শিক্ষাব্যবস্থার দুটি দিক ছিল যথা — সাধারণ বিজ্ঞান ও কলাবিদ্যা শিক্ষার ব্যবস্থা করা এবং কারিগরি শিক্ষার ব্যবস্থা করা।
জাতীয় শিক্ষা পরিষদের ব্যর্থতার কারণগুলি কী ছিল?
জাতীয় শিক্ষা পরিষদের ব্যর্থতার কারণগুলি হল —

৪৬. তারকানাথ পালিত বিখ্যাত কেন?
উত্তরঃ-  বাংলায় বিজ্ঞানচর্চা ও কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে যারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন শিক্ষাদরদী ও বিশিষ্ট আইনজীবী তারকনাথ পালিত তাদের মধ্যে অন্যতম।

কৃতিত্ব :- 
তারক নাথ পালিত ও স্যার রাসবিহারী ঘোরে অর্থ ও জমিদানের ফলে 1914 খ্রিস্টাব্দে গড়ে ওঠে কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বালিগঞ্জ ক্যাম্পাসটি তাই তারকনাথ পালিত শিক্ষা প্রাঙ্গণ' নামেই পরিচিত।

৪৭. শিবচন্দ্র নন্দী কেন বিখ্যাত ছিলেন ? 
উত্তরঃ-  শিবচন্দ্র নন্দী বিখ্যাত ছিলেন , কারণ— প্রথমত , প্রথাগত শিক্ষালাভ না করলেও শিবচন্দ্র নন্দী নিজের চেষ্টায় পাশ্চাত্য শিক্ষা অর্জন করেন এবং ইংরেজদের অধীনে আলিপুর টাঁকশালে কেরানির চাকরি গ্রহণ করেন । দ্বিতীয়ত , ভারতে টেলিগ্রাফ ব্যবস্থা প্রবর্তিত হওয়ার সময় শিবচন্দ্র ইংরেজদের এ ব্যাপারে সাহায্য করেন ও একাজে দক্ষতা অর্জন করেন । পরে ১৮৫২ খ্রিস্টাব্দে তিনি নিজেই কলকাতা থেকে ডায়মন্ডহারবার পর্যন্ত অঞ্চলে টেলিগ্রাফ সংযোগ করেন । 

৪৮. জাতীয় শিক্ষাপরিষদ বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হওয়ার কারণে অর্থ সংকটের সম্মুখীন হয়
উত্তরঃ-  প্রথম দিকে অনেক শিক্ষক এগিয়ে এলেও বেতনের স্বল্পতার কারণে অনেক শিক্ষক এই প্রতিষ্ঠান ত্যাগ করেন
চাকরির বাজারে এই প্রতিষ্ঠানের প্রদত্ত ডিগ্রি বা সার্টিফিকেট ছিল গুরুত্বহীন এবং একারণেই এই কলেজে ছাত্র সংখ্যা বৃদ্ধি পায়নি
তৎকালীন চরমপন্থী নেতারা এই পরিষদকে স্বীকৃতিও দেয়নি।

৪৯. বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কী ছিল ?
উত্তরঃ-  বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ছিল-
a. প্রাচ্যের আদর্শ ও বাণীকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরে প্রাচ্য-পাশ্চাত্য সংস্কৃতির সমন্বয় সাধন করা,
b. প্রাচীন ও আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার সমন্বয় সাধন করা,
c. মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটানো,
d. শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ে ব্যবহারিক বিদ্যা শিক্ষা দান করা,
e. প্রকৃতি, মানুষ ও শিক্ষার সমন্বয় সাধন করা,  একে বিশ্ব মানবতার মিলনক্ষেত্রে ইত্যাদি রূপে গড়ে তোলাই ছিল এর উদ্দেশ্য।

৫০. কাকে কেন বিদ্যাবনিক বলা হয়?
উত্তরঃ-  ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে বিদ্যাবনিক বলা হয়। তিনি 1856 খ্রিষ্টাব্দে সংস্কৃত প্রেসের মালিক হলে নিজের লেখা ও অন্যান্যদের লেখা বই ছাপান। বিদ্যাসাগর সংস্কৃত প্রেস ডিপোজিটরি, কলকাতা পুস্তকালয় নামে বইয়ের দোকান খোলেন। আধুনিক বাংলা বই ব্যবসার প্রথম পথপ্রদর্শক হিসাবে করেছিলেন তাই তিনি ''বিদ্যাবনিক'' নামে পরিচিত।


৫১. ভারতের ছাপাখানার ইতিহাসে হিকির অবদান কি?
উত্তরঃ-  বাংলার ছাপাখানার ইতিহাসে জেমস অগাস্টাস হিকি একজন উদ্যোগী ও অগ্রণী ব্যক্তিত্ব ছিলেন।
অবদানঃ-
প্রথম উদ্যোগী:- 
হিকির উদ্যোগেই কলকাতায় প্রথম ছাপাখানা প্রতিষ্ঠিত হয় 1777 খ্রিস্টাব্দে।
প্রথম প্রকাশক:- 
হিকি ছিলেন বাংলাদেশ তথা ভারতের প্রথম সংবাদপত্র প্রকাশক। তিনি সাপ্তাহিক ইংরেজি পত্রিকা ‘বেঙ্গল গেজেট’ প্রকাশনা করতেন।
প্রথম সাংবাদিক:- 
পেশাদার সাংবাদিক না হলেও তিনিই বাংলা তথা ভারতের সাংবাদিকতার পথপ্রদর্শক ছিলেন।



সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন (প্রতিটি প্রশ্নের মান-২)  (নিজে করো)


  1. বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কী ছিল?
  2. ভারতে সর্বপ্রথম কারা, কোথায় আধুনিক মুদ্রণ যন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে?
  3. জাতীয় শিক্ষা পরিষদের উদ্দেশ্যগুলি লেখো।
  4. IACS প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কী ছিল?
  5. ছাপাখানা প্রতিষ্ঠার পূর্বে বাংলায় গণশিক্ষার পরিস্থিতি কীরূপ ছিল?
  6. উইলিয়াম কেরী কে ছিলেন?
  7. বসু বিজ্ঞান মন্দিরে কোন্ কোন্ বিষয়ে গবেষণা হত?
  8. ছাপাখানার ব্যাবসায়িক উদ্যোগে গুরুদাস চট্টোপাধ্যায়ের নাম উল্লেখযোগ্য কেন?
  9. জাতীয় শিক্ষা পরিষদ ব্যর্থ হওয়ার কয়েকটি কারণ লেখো।
  10. উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর লেখা দুটি বই-এর নাম লেখো।
  11. শিক্ষাব্যবস্থায় মাতৃভাষার গুরুত্ব সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের অভিমত কী ছিল?
  12. শ্রীরামপুর ত্রয়ী’ কারা?
  13. তারকনাথ পালিত কে ছিলেন?
  14. টেগোর অ্যান্ড কোং’ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কী ছিল?
  15. রবীন্দ্রনাথের মতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্য বা কাজ কী?
  16. ঔপনিবেশিক শিক্ষাকাঠামোর বিরুদ্ধে বাংলায় গড়ে ওঠা দুটি উদ্যোগ উল্লেখ করো।
  17. পঞ্চানন কর্মকার বিখ্যাত কেন?
  18. বাংলায় মুদ্রণ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত কোন কোন নতুন পেশার উদ্ভব হয় ?
  19. কে, কবে ‘সন্দেশ’ পত্রিকাটি প্রকাশ করেন ?
  20. বেঙ্গল ন্যাশনাল কলেজে শিক্ষাদানকারী কয়েকজন খ্যাতনামা শিক্ষকের নাম লেখো।
  21. জাতীয় শিক্ষা বলতে কী বোঝো?
  22. রবীন্দ্রনাথ কেন ‘বিশ্বভারতী’ প্রতিষ্ঠা করেন?
  23. স্থানীয় স্কুল সম্বন্ধে কী জানো?
  24. অনারেবল কোম্পানিজ প্রেস সম্পর্কে কী জানো?
  25. মহেন্দ্রলাল সরকার কে ছিলেন?
  26. উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী কে ছিলেন?
  27. উনবিংশ শতকে বাংলায় ছাপাখানা প্রসারের একটি পরিসংখ্যান দাও।
  28. কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন ‘গোলদিঘির গোলখানা’ বলে ব্যঙ্গ করা হয়?



দশম শ্রেণীর ইতিহাস – বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ : বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা / Bikolpo Chinta O Uddog : Boisisto O Porjalochona (পঞ্চম অধ্যায়)" রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর" । WBBSE Class 10 / WBBSE Secondary History 5th Chapter DAQ Questions and Answers | 

Madhyamik History Bikolpo Chinta O Uddog : Boisisto O Porjalochona Detailed Question and Answer

রচনাধর্মী বা বিশ্লেষণধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর (প্রতিটি প্রশ্নের মান ৫)

১. জাতীয় শিক্ষা পরিষদের প্রতিষ্ঠা ও কার্যাবলি ব্যাখ্যা করো । বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট কীভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় ? 
অথবা , বাংলায় জাতীয় শিক্ষা আন্দোলন ও কারিগরি শিক্ষার সূচনা উল্লেখ করো ।

উত্তরঃ-  প্রথম অংশ : জাতীয় শিক্ষা পরিষদের প্রতিষ্ঠা ও কার্যাবলি : বঙ্গভঙ্গবিরোধী আন্দোলনকালে জাতীয় শিক্ষা ধারণার ভিত্তিতে গড়ে ওঠে জাতীয় শিক্ষা পরিষদ ( ১৯০৬ খ্রি . ) । 

প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য : জাতীয় শিক্ষা পরিষদ ( ১৯০৬ খ্রি . ) প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যগুলি হল – 
( ১ ) ব্রিটিশ প্রবর্তিত শিক্ষানীতির বিরোধিতা করা ; এবং 
( ২ ) দেশের প্রয়োজনে স্বদেশি ধাঁচে এক বিকল্প শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা । এই শিক্ষাব্যবস্থার দুটি দিক ছিল যথা — সাধারণ বিজ্ঞান ও কলাবিদ্যা শিক্ষার ব্যবস্থা করা এবং কারিগরি শিক্ষার ব্যবস্থা করা । 

কার্যাবলি : 
জাতীয় শিক্ষা পরিষদের কার্যাবলির বিভিন্ন দিক ন্যাশনাল কলেজ : সাধারণ বিজ্ঞান ও কলাবিদ্যা শিক্ষার জন্য জাতীয় শিক্ষা পরিষদ বউবাজারে বেঙ্গল ন্যাশনাল কলেজ ও স্কুল প্রতিষ্ঠা করে । বেঙ্গল ন্যাশনাল কলেজের প্রথম অধ্যক্ষ ছিলেন জাতীয়তাবাদী চরমপন্থী নেতা অরবিন্দ ঘোষ । 

বিদ্যালয় : 
জাতীয় শিক্ষা পরিষদের অধীনে ও উৎসাহে দেশের বিভিন্ন স্থানে ( রংপুর , ঢাকা , দিনাজপুর , ময়মনসিংহ , কুমিল্লা প্রভৃতি ) জাতীয় বিদ্যালয় গড়ে ওঠে ।

ব্যর্থতার কারণ : 
জাতীয় শিক্ষা পরিষদ ভারতে প্রথমবার জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে সচেষ্ট হলেও শেষপর্যন্ত ব্যর্থ হয় । জাতীয় শিক্ষা পরিষদের ব্যর্থতার কারণগুলি হল 
( ১ ) বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হওয়ার কারণে অর্থ সংকট ; 
( ২ ) বেতনের স্বল্পতার কারণে শিক্ষকদের প্রতিষ্ঠান ত্যাগ ; 
( ৩ ) চাকরির বাজারে প্রতিষ্ঠান প্রদত্ত ডিগ্রি বা সার্টিফিকেটের গুরুত্বহীনতা ; 
( ৪ ) তৎকালীন চরমপন্থী নেতাদের এই পরিষদকে অস্বীকার । 

দ্বিতীয় অংশ : 
বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠা : উনিশ শতকে সরকারি উদ্যোগে ভারতে কারিগরি শিক্ষার বিকাশ ছিল সীমিত । বিশ শতকে জাতীয় শিক্ষা পরিষদ স্থাপিত হলে কারিগরি শিক্ষা প্রসারের উদ্যোগ সূচিত হয় । প্রতিষ্ঠা : বিজ্ঞান ও কলাবিদ্যা না কারিগরি শিক্ষার ওপর অধিক গুরুত্ব দেওয়া হবে — এ প্রসঙ্গে জাতীয় শিক্ষা পরিষদের কর্মকর্তাদের মধ্যে মতভেদ দেখা দেয় । এই পরিষদদের সদস্য তারকনাথ পালিতের উদ্যোগে শেষ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠিত হয় বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট ( জুলাই , ১৯০৬ খ্রি . ) । 

পঠনপাঠন : 
বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউটের পাঠ্যক্রম ছিল কারিগরি শিক্ষাকেন্দ্রিক । এখানে তিন বছরের ইন্টারমিডিয়েট ও চার বছরের সেকেন্ডারি বা মাধ্যমিক শিক্ষা পদ্ধতি চালু করা হয় । সমকালীন শিক্ষক বিনয়কুমার সরকার উপহাস করে এই প্রতিষ্ঠানকে ‘ মিস্তিরি তৈরির কারখানা ‘ বলে অভিহিত করেন ।


জগদীশচন্দ্র বসুর বিজ্ঞান গবেষণা উল্লেখ করে ‘ বসু বিজ্ঞান মন্দির ’ প্রতিষ্ঠা ব্যাখ্যা করো । 
উত্তরঃ-  ভূমিকা : উনিশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে বাঙালির বিজ্ঞান সাধনা ও বিজ্ঞান গবেষণার সূচনা হয় এবং এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য গবেষক ছিলেন জগদীশচন্দ্র বসু ( ১৮৫৮-১৯৩৭ খ্রি . ) । 

শিক্ষালাভ : 
জগদীশচন্দ্র বসু কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স । কলেজ থেকে পদার্থবিদ্যায় বি এ পাস করেন ( ১৮৭৯ খ্রি . ) । পরবর্তীকালে তিনি কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়ন , পদার্থ বিদ্যা ও উদ্ভিদ বিদ্যার ট্রাইপস ডিগ্রি ( অনার্সসহ ডিগ্রি পরীক্ষা ) লাভ করেন এবং লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি এসসি পাস করে দেশে প্রত্যাবর্তন করেন । 

কর্মজীবন ও বিজ্ঞান গবেষণা : 
ইংল্যান্ড থেকে দেশে ফিরে তিনি প্রেসিডেন্সি কলেজে পদার্থবিদ্যার অধ্যাপকরূপে যোগদান করেন ( ১৮৮৫ খ্রি . ) । এই কলেজে অধ্যাপনার পাশাপাশি তিনি কলেজের মাত্র ২৪ বর্গফুট ঘরেই বিজ্ঞান গবেষণাও করতে থাকেন । তাঁর গবেষণার তিনটি পর্যায় ছিল — প্রথম পর্যায়ে ‘ তড়িৎ – চুম্বকীয় তরঙ্গ ‘ সম্পর্কে গবেষণা করেন ও ‘ বেতার যন্ত্র আবিষ্কার করেন । দ্বিতীয় পর্যায়ে তিনি জীবনের উৎপত্তি সংক্রান্ত গবেষণা করেন এবং তৃতীয় পর্যায়ে উদ্ভিদ ও প্রাণী সংক্রান্ত গবেষণা করেন । তিনি উদ্ভিদের স্নায়বিক ক্রিয়াকলাপ ও বৃদ্ধি মাপার জন্য ‘ ক্রেস্কোগ্রাফ ‘ নামক একটি যন্ত্র উদ্ভাবন করেন । 

বসু বিজ্ঞান মন্দির প্রতিষ্ঠা : 
জগদীশচন্দ্র বসু তাঁর তড়িৎ – চুম্বকীয় তরঙ্গ সংক্রান্ত গবেষণায় উদ্ভূত নতুন তত্ত্ব ও তথ্যের কথা ইংল্যান্ডের রয়্যাল ইন্সটিটিউশনে বক্তৃতার মাধ্যমে প্রকাশ করেন । এরপর তিনি ইংল্যান্ড , ফ্রান্স , জার্মানিসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন । এই সময়েই রয়্যাল সোসাইটির বিখ্যাত বিজ্ঞানীরা ভারত সরকারের কাছে জগদীশচন্দ্র বসুর গবেষণার জন্য একটি উন্নতমানের গবেষণাগার প্রতিষ্ঠার অনুরোধ জানান । কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি । প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে অবসর গ্রহণের পর জগদীশচন্দ্র বসু তাঁর বাড়িতেই ছোটো গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা করে গবেষণার কাজ শুরু করেন । এর পাশাপাশি তিনি তাঁর নিজের ও দেশের স্বার্থে একটি বৃহৎ গবেষণাগার প্রতিষ্ঠায় সচেষ্ট হন । শেষপর্যন্ত তাঁর নিজস্ব অর্থ ও সংগৃহীত ১১ লাখ টাকা অনুদানের অর্থে কলকাতায় প্রতিষ্ঠা করেন ‘ বসু বিজ্ঞান মন্দির ‘ ( ২৩ নভেম্বর , ১৯১৭ ) । 

মূল্যায়ন : 
জগদীশচন্দ্র বসু ছিলেন একজন সফল বাঙালি বৈজ্ঞানিক এবং উদ্যোগপতি । তাঁর প্রতিষ্ঠিত বসু বিজ্ঞান মন্দির হয়ে ওঠে আধুনিক ভারতের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় বৈজ্ঞানিক গবেষণাগার

২. ভারতের বিজ্ঞান আন্দোলনে মহেন্দ্রলাল সরকারের অবদান কী ? 

উত্তরঃ-  ভূমিকা : উনিশ শতকে সরকারি উদ্যোগে ভারতে বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার আন্দোলনে উল্লেখযোগ্য ভারতীয় ছিলেন ডা . মহেন্দ্রলাল সরকার । 

পরিচয় : 
ডা . মহেন্দ্রলাল সরকার ছিলেন ভারতের দ্বিতীয় এম.ডি এবং প্রথম হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক । প্রথমে তিনি অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসার প্রতি আকৃষ্ট হলেও পরে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতির দিকে ঝুঁকে পড়েন । তিনি পরে ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে বিজ্ঞানচর্চার জন্য একটি গবেষণাগার ( IACS ) স্থাপন করে । ভারতে বিজ্ঞানচর্চার পথিকৃত নামে পরিচিত হন । 

বিজ্ঞানচর্চা ও প্রতিষ্ঠান : 
পাশ্চাত্য বিজ্ঞানের ভক্ত ডাক্তার মহেন্দ্রলাল সরকার এদেশে অনুরূপ বিজ্ঞানচর্চা ও তার প্রসার ঘটাতে চেয়েছিলেন । তিনি লন্ডনের রয়্যাল ইন্সটিটিউট ও ব্রিটিশ অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য অ্যাডভান্সমেন্ট অব সায়েন্স – এর অনুকরণে একটি গবেষণাগার প্রতিষ্ঠার কথা প্রচার করেন । অবশেষে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের দান ও তাঁর জীবনের সঞ্চিত অর্থের সাহায্যে ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার বৌবাজার স্ট্রিটে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অব সায়েন্স । ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অব সায়েন্স । 

প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ছিল দ্বিবিধ- 
( ১ ) বিজ্ঞানের প্রসার সাধন ও প্রকৃত গবেষণার মাধ্যমে প্রায়োগিক বিজ্ঞানের পরিধির বিস্তার এবং 
( ২ ) সম্পূর্ণরূপে নিজেদের উদ্যোগে ও তত্ত্বাবধানে স্বাধীনভাবে গবেষণা করা । 

বিজ্ঞানচর্চার বিকাশ : 
উনিশ শতকে ডাস্তার মহেন্দ্রলাল সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অফ সায়েন্স বিজ্ঞান শিক্ষার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় , যেমন প্রথমত , এটিই ছিল ভারতের প্রথম বৈজ্ঞানিক সংগঠন এবং এই প্রতিষ্ঠানে স্বাধীনভাবে বিজ্ঞানচর্চা ও গবেষণা করা হত । দ্বিতীয়ত , বিজ্ঞানচর্চার পাশাপাশি বিজ্ঞান বিষয়ক ( পদার্থবিদ্যা , রসায়ন , প্রাণীবিদ্যা , উদ্ভিদবিদ্যা , শারীরবিদ্যা , ভূমিবিদ্যা , গণিত ) আলোচনা সভার মাধ্যমে শ্রোতাদের বিজ্ঞান বিষয়ে ওয়াকিবহাল করা হত । 

মূল্যায়ন : 
ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অব সায়েন্স প্রতিষ্ঠার ফলে 
( ১ ) ভারত তথা বাংলা বিজ্ঞান গবেষণার জন্য একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান লাভ করে । 
( ২ ) এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেই আধুনিক বিজ্ঞানচর্চা জনপ্রিয় হয়ে ওঠে । 


৩. বাংলার ছাপাখানা ও মুদ্রণের ক্ষেত্রে বিদ্যাসাগরের অবদান ব্যাখ্যা করো । ছাপাখানার ফলাফল বা প্রভাবগুলিকে তুমি কীভাবে ব্যাখ্যা করবে ? 

উত্তরঃ-  
প্রথম অংশ : মুদ্রণ ব্যবস্থায় বিদ্যাসাগরের অবদান : বিদ্যাসাগর ছিলেন উনিশ শতকের একজন উল্লেখযোগ্য গ্রন্থকার , মুদ্রক ও প্রকাশক । প্রাকৃ – আধুনিক যুগের ছাপাখানার ইতিহাসে বিদ্যাসাগরের অবদানের বিভিন্ন দিক হল – 

গ্রন্থকার রূপে :
 বিদ্যাসাগর নিজে ছিলেন একজন গ্রন্থকার । তিনি তাঁর লেখা ‘ বেতাল পঞ্চবিংশতি ‘ গ্রন্থটি রোজারিও কোম্পানির ছাপাখানায় ছাপানোর ব্যবস্থা করেন ( ১৮৪৭ খ্রি . ) । পরবর্তীকালে তিনি নিজের রচিত অনেক বই নিজের ছাপাখানাতেই মুদ্রণের ব্যবস্থা করেন । 

মুদ্রাকর রূপে বিদ্যাসাগর : 
১৮৪৭ খ্রিস্টাব্দে বিদ্যাসাগর তাঁর বন্ধু মদনমোহন তর্কালঙ্কারের সঙ্গে যৌথভাবে ৬২ নং আমহার্স্ট স্ট্রিটে ‘ সংস্কৃত যন্ত্র ‘ নামক একটি ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা করেন এবং পরবর্তীকালে তিনি এই ছাপাখানার একক মালিক হন । 

প্রকাশক : 
সংস্কৃত যন্ত্র ছাপাখানা থেকে বিদ্যাসাগর তাঁর নিজের ও অন্যান্য লেখকের লেখা বই ছাপান । তাঁর রচিত ও প্রকাশিত গ্রন্থগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ‘ বর্ণপরিচয় ‘ প্রথম ও দ্বিতীয় ভাগ ( যথাক্রমে ১৩ এপ্রিল ও ১৪ জুন , ১৮৫৫ খ্রি . ) । 

পুস্তক বিক্রেতা : 
উনিশ শতকে বটতলা ও চিনাবাজার এলাকায় বইবাজার গড়ে উঠলেও হিন্দু কলেজ ও সংস্কৃত কলেজ অঞ্চলে বইয়ের দোকান না থাকায় বিদ্যাসাগর এই অঞ্চলে ‘ সংস্কৃত প্রেস ডিপজিটরি ‘ নামে একটি বইয়ের দোকান খোলেন । 

দ্বিতীয় অংশ : 
বাংলায় ছাপাখানা প্রবর্তনের প্রভাব : ছাপাখানা প্রবর্তনের ফলে বাংলায় দেখা দেয় সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিপ্লব । 

এগুলি হল > বিদ্যার একচেটিয়া অধিকার নষ্ট : ছাপাখানা প্রবর্তনের আগে বাংলায় ব্রাহ্মণ পণ্ডিত পুরোহিতরাই ছিলেন শাস্ত্রবিদ্যা ও জ্ঞানদানের একচেটিয়া অধিকারী । ছাপাখানার প্রবর্তন হলে ব্রাহ্মণ পণ্ডিত পুরোহিতদের এই অধিকার নষ্ট হয়ে যায় এবং শিক্ষার প্রসার ঘটায় জনগণ ক্রমশই জ্ঞানের অধিকারী হয়ে ওঠে । 

সমাজসংস্কার : 
সমাজ ও ধর্ম সংস্কারের প্রয়োজনে ভারতের প্রাচীন শাস্ত্রগুলির মুদ্রণ বা বাংলায় অনুবাদ – মুদ্রণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় । আবার বাংলা ভাষায় সংবাদপত্র , প্রচারপত্র বা পুস্তিকার মাধ্যমে সমাজ সংস্কারের পক্ষে মতামত গড়ে তোলার চেষ্টা করা হয় । 

বিভিন্ন পেশা : 
ছাপাখানাকে কেন্দ্র করে বই লেখা ও বই ছাপা , বই প্রকাশ , বই ব্যাবসা , বই বাঁধাই – এর মতো বিভিন্ন পেশার উদ্ভব ঘটে । এভাবে মুদ্রণ ব্যবস্থা বাংলার আর্থ – সামাজিক জীবনের ওপরেও প্রভাব বিস্তার করে । 


৪. চার্লস উইলকিনস্ ও পঞ্চানন কর্মকার বিখ্যাত কেন ? স্কুল বুক সোসাইটির উদ্যোগে শিক্ষার বিস্তারকে তুমি কীভাবে ব্যাখ্যা করবে ? 

উত্তরঃ-  প্রথম অংশ : চার্লস উইলকিনস্ ও পঞ্চানন কর্মকার : প্রাচ্যবাদী পণ্ডিত চার্লস উইলকিনস্ পঞ্চানন কর্মকারের সহযোগিতায় বাংলা মুদ্রাক্ষর খোদাই এবং অক্ষর ঢালাইয়ের কাজ করেন । তাঁর তৈরি বাংলা মুদ্রাক্ষরের সাহায্যেই হ্যালহেড তাঁর বাংলা গ্রামার বইটিতে উদাহরণরূপে বাংলা মুদ্রণের ব্যবস্থা করেন । তাই তিনি ‘ বাংলার গুটেনবার্গ ” নামে পরিচিত । 

বাংলা মুদ্রাক্ষর তৈরির ক্ষেত্রে উইলকিনসের সহযোগী ছিলেন হুগলি নিবাসী শিল্পী পঞ্চানন কর্মকার । তাঁর তৈরি মুদ্রাক্ষর হ্যালহেডের বাংলা ব্যাকরণে ব্যবহৃত হয় । পরবর্তীকালে ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দে ‘ কর্নওয়ালিস্ কোড ‘ – এর বাংলা সংস্করণেও তাঁর তৈরি উন্নত বাংলা মুদ্রাক্ষর ব্যবহার করা হয় । তাঁর প্রচেষ্টাতেই বাংলা হরফ নির্মাণ একটি স্থায়ী শিল্পে পরিণত হয় । 

দ্বিতীয় অংশ : স্কুল বুক সোসাইটির উদ্যোগে শিক্ষার বিস্তার : উনিশ শতকে খ্রিস্টান মিশনারি ও ব্যক্তিগত এবং সরকারি উদ্যোে শিক্ষা বিস্তারের পাশাপাশি ছাপাখানা থেকে উৎপাদিত গ্রন্থসমূহের মাধ্যমেও শিক্ষার বিস্তার ঘটে । ডেভিড হেয়ারের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত ‘ স্কুল বুক সোসাইটি’র ( ১৮১৭ খ্রি . ) উদ্দেশ্য ছিল বাংলা ভাষায় স্কুল পাঠ্য পুস্তক ছাপানো এবং শিক্ষার্থীদের কাছে তা সরবরাহ করা । এর বিভিন্ন দিকগুলি হল –

 নিজস্ব ছাপাখানা : স্কুল বুক সোসাইটি শিক্ষার বিস্তারের উদ্দেশ্যে কলকাতার সার্কুলার রোডে নিজস্ব ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা ছাড়া ও শ্রীরামপুর মিশন প্রেস সহ অন্যান্য প্রেসেও বই ছাপানোর ব্যবস্থা করেছিল ।

 বাংলা ভাষার প্রাধান্য : এই সোসাইটি অন্যান্য ভাষার পুস্তকের পাশাপাশি বাংলা ভাষাতে পাঠ্যপুস্তক প্রকাশ করে । এই সোসাইটি প্রথম চার বছরে ( ১৮১৭-২১ খ্রি . ) বাংলা ভাষাতে ১৯ টি বইয়ের ৭৯,৭৫০ টি কপি মুদ্রণ ও বিপননের ব্যবস্থা করে । 

 মুদ্রণের মানোন্নয়ন : বাংলা ভাষার উন্নতিসাধন এবং বাংলা মুদ্রণের মানোন্নয়নের ক্ষেত্রে এই সোসাইটির উদ্যোগ ছিল প্রশ্নাতীত । বাংলা ভাষার ক্ষেত্রে ইংরেজি প্রথানুযায়ী যতিচিহ্নের ব্যবহারের পাশাপাশি বাংলা গ্রন্থের মুদ্রণে ছবি , মানচিত্র , নকশার ব্যবহার শুরু করে ।

 জ্ঞানচর্চার প্রসার : বাংলার ছাপাখানার ইতিহাসে স্কুল বুক সোসাইটির উদ্যোগে বাংলায় ইতিহাস , ভূগোল , জ্যোতির্বিদ্যা পদার্থবিদ্যা , অভিধান , ব্যাকরণ প্রভৃতি বিষয়ে বিশুদ্ধ জ্ঞানের চর্চা শুরু হয় । বিভিন্ন বিষয়ের উপর বিদ্যালয়ের পাঠ্যপুস্তকের প্রবর্তনের ফলে শিক্ষক ও ছাত্রসমাজের কাছে পাশ্চাত্যের জ্ঞানজগতের দরজা উন্মোচিত হয় । 


৫. শ্রীরামপুর মিশন প্রেস কীভাবে ছাপাখানার বিস্তারে সাহায্য করেছিল তা ব্যাখ্যা করো । এ প্রসঙ্গে ছাপাখানার বিস্তারে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের অবদানকে চিহ্নিত করো ।

উত্তরঃ-  প্রথম অংশ ছাপাখানার বিস্তার শ্রীরামপুর মিশন : বাংলায় ছাপাখানা ব্যবস্থার বিকাশের ক্ষেত্রে সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করে শ্রীরামপুর মিশন প্রেস । 

মিশন প্রেস প্রতিষ্ঠা : খ্রিস্টান মিশনারি উইলিয়াম কেরি বাংলা ভাষায় বাইবেল ছাপানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করলেও ( ১৭৯৮ খ্রি . ) তা প্রচুর ব্যয়সাপেক্ষ হওয়ায় নিজেই ছাপাখানা প্রবর্তন করে ছাপানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করেন । ইতিমধ্যে শ্রীরামপুর মিশন প্রতিষ্ঠিত হলে ( ১৮০০ খ্রি . ) কেরি এখানেই শ্রীরামপুর মিশন প্রেস স্থাপন করেন । ১৮২০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যেই এই ছাপাখানা স্বয়ংসম্পূর্ণ ছাপাখানায় পরিণত হয় । 

মিশন প্রেসের উৎপাদন : শ্রীরামপুর মিশন প্রেসের ছাপা বইগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল –

 ‘ ধৰ্ম্ম পুস্তক ‘ : প্রাথমিক পর্বে কেরির সহযোগী অভিজ্ঞ ও দক্ষ মুদ্রাকর ওয়ার্ড এবং পঞ্চানন কর্মকার কলকাতা থেকে সংগৃহীত হরফ এবং কিছু পাটনাই ও বিদেশি কাগজ সহযোগে ছাপার কাজ শুরু করেন ।

 নিউ টেস্টামেন্টের প্রথম অধ্যায়টির বাংলা অনুবাদ করে কেরি ১০৭ পৃষ্ঠা বিশিষ্ট ‘ মঙ্গল সমাচার মাতিউর রচিত নামে প্রকাশ করেন । ১৮০১ খ্রিস্টাব্দের ফেব্রুয়ারিতে আটশোরও বেশি পৃষ্ঠাযুক্ত ‘ ধৰ্ম্মপুস্তক ‘ বা বাংলা বাইবেল প্রকাশ করেন । 

 অন্যান্য বই : শ্রীরামপুর মিশন প্রেসে রামরাম বসুর রচিত হরকরা ‘ ও ‘ জ্ঞনোদয় ‘ নামক দুটি গ্রন্থ ( আগস্ট সেপ্টেম্বরে , ১৮০০ খ্রি . ) মুদ্রিত হয় । ১৮৩২ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে এই প্রেসে মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কারের ‘ বত্রিশ সিংহাসন ‘ ( ১৮০২ খ্রি . ) , 8 খণ্ডে কাশীরাম দাসের ‘ মহাভারত ‘ ( ১৮০১-০৩ ) ও পাঁচ খণ্ডে কীর্তিবাসের ‘ রামায়ণ ‘ ( ১৮০২-০৩ ) প্রভৃতি সহ ৪০ টি বিভিন্ন ভাষায় ২,১২,০০০ কপি বই মুদ্রিত হয় । 

 পাঠ্যপুস্তক : শ্রীরামপুর মিশন প্রেসে কলকাতার ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের বিভিন্ন পাঠ্যপুস্তকও মুদ্রিত হয়েছিল । এই সব পুস্তকের রচয়িতা ছিলেন মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার , রামরাম বসু , চণ্ডীচরণ মুন্সী , হরপ্রসাদ রায় প্রমুখ । উপরের আলোচনা থেকে দেখা যায় যে , ধর্মীয় উদ্দেশ্যে শ্রীরামপুর মিশন প্রেস স্থাপিত হলেও তার উৎপাদনে ধর্মনিরপেক্ষ বিষয়ও ছিল । 

 দ্বিতীয় অংশ : ছাপাখানার বিস্তারে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ : প্রশাসনিক প্রয়োজনে প্রতিষ্ঠিত ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের সিভিলিয়ানদের ইংরেজির পাশাপাশি দেশীয় ভাষাতেও শিক্ষাদান করা হত । তাই এরকম শিক্ষাদানের জন্য বাংলায় মুদ্রিত পাঠ্যপুস্তকের প্রয়োজনীয়তা থেকেই ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ শ্রীরামপুর মিশনের ছাপাখানা সহ সংস্কৃত প্রেস , হিন্দুস্থানি প্রেস – এ গ্রন্থ ছাপারও বরাত ( Order ) দিত । এভাবেই বাংলা মুদ্রণ শিল্পে গতির সৃষ্টি হয় । 


৬. উনিশ শতকের প্রথম তিন দশকে বাংলার মিশনারি প্রেসগুলির মুদ্রণ ব্যবস্থা বিশ্লেষণ করো । এই পর্বের অন্যান্য ছাপাখানাগুলির বিভিন্ন দিক ব্যাখ্যা করো ।

উত্তরঃ-  প্রথম অংশ : উনিশ শতকের প্রথমদিকে বাংলার মিশনারি প্রেসসমূহ : উনিশ শতকের শুরুতে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি খ্রিস্টান মিশনারিদের উদ্যোগেও বাংলায় ছাপাখানার বিস্তার ঘটেছিল ; যেমন – 

কলকাতার ব্যাপটিস্ট মিশন : শ্রীরামপুর মিশনের নবীন গোষ্ঠী এই মিশন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ইউ কেরি , উইলিয়াম পিয়ার্স । প্রমুখ কলকাতার সার্কুলার রোডে ব্যাপটিস্ট মিশন প্রেস প্রতিষ্ঠা করেন ( ১৮১৮ খ্রি . ) । এই প্রেস স্কুল বুক সোসাইটির বরাত মতো যেমন বই ছেপেছিল , তেমনি তারা বাংলা মুদ্রণের উন্নতির জন্যও চেষ্টা করেছিল । 

চার্চ মিশন প্রেস : আমহার্স্ট স্ট্রিটের চার্চ মিশন প্রেসে ছাপা উল্লেখযোগ্য বই হল ইংল্যান্ডে ও ঐর্লন্ডে সংস্থাপিত মণ্ডলীর সাধারণ প্রার্থনা ‘ ( ১৮২২ খ্রি . ) । এই বইয়ে ফুলস্টপ সহ বিভিন্ন ইংরেজি যতি – চিহ্নও ব্যবহৃত হয়েছিল । 

বিশপস্ কলেজ প্রেস : শিবপুরের বিশপস্ কলেজ প্রেস ছিল আর – একটি উল্লেখযোগ্য প্রেস । ধর্মীয় পুস্তকের পাশাপাশি এখানে ছাপা বিভিন্ন ধরনের বইয়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বই হল মর্টনের বাংলা ইংরেজি অভিধান ( ১৮২৮ খ্রি . ) । 

দ্বিতীয় অংশ : এই পর্বের অন্যান্য ছাপাখানা : উনিশ শতকের শুরুতে ছাপাখানার জগতে খ্রিস্টান মিশনারিদের পাশাপাশি বেশ কিছু ব্যক্তিগত উদ্যোগও চোখে পড়ে । 

ছাপাখানা : ১৮২০ খ্রিস্টাব্দের আগে প্রতিষ্ঠিত বিখ্যাত ছাপাখানাগুলি হল— পটলডাঙার সংস্কৃত যন্ত্র , আড়পুলি লেনে হরেন্দ্র রায়ের ছাপাখানা , শোভাবাজারের বিশ্বনাথ দেবের ছাপাখানা , বাঙালি প্রেস প্রভৃতি । এ ছাড়া বউবাজারের লেবেল্ডর সাহেবের ছাপাখানা , শ্রীরামপুরের নীলমণি হালদারের ছাপাখানা ছিল বিখ্যাত । 

প্রকাশনা : এই সমস্ত ছাপাখানা থেকে বিভিন্ন ধরনের গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছিল । হিন্দুস্থানি প্রেস থেকে ‘ ঔষধসার সংগ্রহ ‘ ( ১৮১৯ খ্রি . ) , বাঙ্গালি প্রেস থেকে রামমোহন রায়ের ‘ কঠোপনিষৎ ‘ ( ১৮১৭ খ্রি . ) , হরচন্দ্র রায়ের আড়পুলি লেনের প্রেস থেকে বিভিন্নরকম ধর্মীয় বিশ্বনাথ দেবের প্রেস থেকে রাধাকান্ত দেবের ‘ বাঙ্গালা শিক্ষাগ্রন্থ ‘ ( ১৮২১ খ্রি . ) প্রকাশিত হয় । লিথোগ্রাফের প্রবর্তন ব্যক্তিগত উদ্যোগে ছাপাখানার বিস্তারের একটি দিক ছিল ‘ লিথোগ্রাফিক ছাপা’র প্রবর্তন । এই ধরনের ছাপা ব্যবস্থায় ছবি , নকশা , মানচিত্র আঁকা সম্ভব হয় । 

প্রকাশনার মানোন্নয়ন : ব্যক্তিগত উদ্যোগে পরিচালিত ছাপাখানাগুলিতে মুদ্রণ কৌশল ও মুদ্রণের মানোন্নয়ন ঘটানো এবং প্রকাশনায় শোভনতা বৃদ্ধির দিকেও নজর দেওয়া হয় । এভাবে ব্যক্তিগত উদ্যোগে গড়ে ওঠা ছাপাখানাগুলি মুদ্রণের ক্ষেত্রে বিষয়বস্তুর বৈচিত্র্যসাধন করে এবং বাংলার মুদ্রণ ব্যবস্থা ক্রমশই আধুনিক হয়ে ওঠার পথে যাত্রা শুরু করে । 

৭. ভারতে বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসারে দেশীয় উদ্যোগে কীভাবে ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অব সায়েন্স ও কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয় তা ব্যাখ্যা করো । 

উত্তরঃ-  ভূমিকা : উনিশ শতকে সরকারি উদ্যোগে বাংলায় বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার বিকাশ ঘটলেও তা ছিল অপ্রতুল ; তাই বাঙালি তথা ভারতীয়রা নিজ উদ্যোগে বিজ্ঞানচর্চার প্রতিষ্ঠান স্থাপনে অগ্রসর হয় । এমনই দুটি প্রতিষ্ঠান হল ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অব সায়েন্স ‘ ( ১৮৭৬ খ্রি . ) এবং ‘ কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ ( ১৯১৪ খ্রি . ) । 

‘ ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অব সায়েন্স ‘ প্রতিষ্ঠা : পাশ্চাত্য বিজ্ঞানের ভক্ত ডাক্তার মহেন্দ্রলাল সরকার এদেশে অনুরূপ বিজ্ঞানচর্চা ও তার প্রসার ঘটাতে চেয়েছিলেন । তিনি লন্ডনের রয়্যাল ইন্সটিটিউট ও ব্রিটিশ অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য অ্যাডভান্সমেন্ট অব সায়েন্স – এর অনুকরণে একটি গবেষণাগার প্রতিষ্ঠার কথা প্রচার করেন । অবশেষে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের দান ও তাঁর জীবনের সঞ্চিত অর্থের সাহায্যে ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার বৌবাজার স্ট্রিটে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অব সায়েন্স । 

 উদ্দেশ্য : ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অব সায়েন্স প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ছিল দ্বিবিধ – ( ১ ) বিজ্ঞানের প্রসার সাধন ও প্রকৃত গবেষণার মাধ্যমে প্রায়োগিক বিজ্ঞানের পরিধির বিস্তার এবং 
( ২ ) সম্পূর্ণরূপে নিজেদের উদ্যোগে ও তত্ত্বাবধানে স্বাধীনভাবে গবেষণা করা । 

 গুরুত্ব : ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অব সায়েন্স প্রতিষ্ঠার ফলে 
( ১ ) ভারত তথা বাংলা বিজ্ঞান গবেষণার জন্য একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান লাভ করে । 
( ২ ) এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেই আধুনিক বিজ্ঞানচর্চা জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ।

 কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ প্রতিষ্ঠা : কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ প্রতিষ্ঠা আকস্মিক ছিল না , তা ছিল একটি দীর্ঘস্থায়ী প্রক্রিয়া— 

 তারকনাথ পালিতের উদ্যোগ : 
বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার প্রতি আগ্রহী তারকনাথ পালিত দেশীয় ব্যক্তিদের মধ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত শিক্ষার উন্নতি ও বিস্তার ঘটানোর উদ্দেশ্যে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে জমি ও টাকা দান করেন ( জুন , ১৯১২ খ্রি . ) ।

 আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের প্রচেষ্টা : 
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য আশুতোষ মুখোপাধ্যায় সরকারের কাছে এই জমির উপর ল্যাবরেটরি সহ একটি আবাসিক বিজ্ঞান কলেজ স্থাপনের প্রস্তাব দেন । কিন্তু সরকার এই আবেদন প্রত্যাখ্যান করেন । 

 রাসবিহারী ঘোষের উদ্যোগ সরকার কর্তৃক আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হলে রাসবিহারী ঘোষ উপরোক্ত প্রস্তাবিত বিজ্ঞান কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য ১০ লাখ টাকা দান করেন যার ভিত্তিতেই প্রতিষ্ঠিত হয় কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ ।

 পঠন – পাঠন : কলকাতা বিজ্ঞান কলেজের প্রতিষ্ঠাকালে স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় এই কলেজকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্গ বলে ঘোষণা করেন । এই কলেজের প্রথম এমএসসি ব্যাচের ছাত্রদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছাত্র ছিলেন সত্যেন্দ্রনাথ বোস , মেঘনাদ সাহা , জ্ঞানেন্দ্রনাথ মুখার্জি । আবার কলেজের অধ্যাপকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন বিজ্ঞানী প্রফুল্লচন্দ্র রায় , সি ভি রামন , গণেশ প্রসাদ আগারকার । 


৮. জগদীশচন্দ্র বসু ও প্রফুচন্দ্র রায় কেন বিজ্ঞান গবেষণার পথিকৃৎ । 

উত্তরঃ-  উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধ ও বিংশ শতকের সূচনায় বাঙালীর বিজ্ঞান সাধনা ও বিজ্ঞান গবেষণার ক্ষেত্রে দুইজন বিখ্যাত পথিকৃৎ ছিলেন আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু ( ১৮৫৮-১৯৩৭ খ্রি . ) ও আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় ( ১৮৬১–১৯৪৪ খ্রি . ) । 

জগদীশচন্দ্র বসু : জগদীশচন্দ্র বসু কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ , কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় ও লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যথাক্রমে , পদার্থবিদ্যা বি এ ; ট্রাইপস ডিগ্রি ও বি এসসি পাশ করেন । 

অধ্যাপনা ও গবেষণা : ইংল্যান্ড থেকে দেশে ফিরে তিনি প্রেসিডেন্সি কলেজে পদার্থবিদ্যার অধ্যাপকরূপে যোগদান করেন ( ১৮৮৫ খ্রি . ) । এই কলেজে অধ্যাপনার পাশাপাশি তিনি কলেজের মাত্র ২৪ বর্গফুট ঘরেই বিজ্ঞান গবেষণাও করতে থাকেন । তাঁর গবেষণার তিনটি পর্যায় ছিল — প্রথম পর্যায়ে ‘ তড়িৎ – চুম্বকীয় তরঙ্গ ’ সম্পর্কে গবেষণা করেন ও ‘ বেতার যন্ত্র আবিষ্কার করেন । দ্বিতীয় পর্যায়ে তিনি জীবনের উৎপত্তি সংক্রান্ত গবেষণা করেন এবং তৃতীয় পর্যায়ে উদ্ভিদ ও প্রাণী সংক্রান্ত গবেষণা করেন । তিনি উদ্ভিদের স্নায়বিক ক্রিয়াকলাপ ও বৃদ্ধি মাপার জন্য ‘ ক্রেস্কোগ্রাফ ‘ নামক একটি যন্ত্র উদ্ভাবন করেন । প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে অবসর গ্রহণের পর জগদীশচন্দ্র বসু তাঁর বাড়িতেই ছোটো গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা করে গবেষণার কাজ শুরু করেন । এর পাশাপাশি তিনি তাঁর নিজের ও দেশের স্বার্থে একটি বৃহৎ গবেষণাগার প্রতিষ্ঠায় সচেষ্ট হন । শেষপর্যন্ত তাঁর নিজস্ব অর্থ ও সংগৃহীত ১১ লাখ টাকা অনুদানের অর্থে কলকাতায় প্রতিষ্ঠা করেন ‘ বসু বিজ্ঞান মন্দির ‘ ( ২৩ নভেম্বর , ১৯১৭ ) । প্রফুল্লচন্দ্র রায় : বর্তমান বাংলাদেশের খুলনা জেলার একটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন প্রফুল্লচন্দ্র রায় । তিনি তাঁর গ্রামের স্কুল , কলকাতার হেয়ার স্কুল ও মেট্রোপলিটান কলেজে পড়াশুনা করেন এবং ইংল্যান্ডের এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিদ্যায় বি এসসি ডিগ্রি ও উচ্চতর গবেষণা শেষ করে ( ১৮৬৭ খ্রি . ) দেশে ফিরে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে অধ্যাপনা শুরু করেন ( ১৮৮৯ খ্রি . ) । 

অধ্যাপনা ও গবেষণা : কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে রসায়ন শাস্ত্রের অধ্যাপনার পাশাপাশি প্রথমত , রসায়ন শাস্ত্রের ওপর গবেষণা শুরু করেন । তিনি ১৮৯৬ খ্রিস্টাব্দে ‘ মারকুরিয়াস নাইট্রেট’ এর রাসায়নিক গঠন , বিভিন্ন ধাতু সংক্রান্ত গবেষণা করেন । 

দ্বিতীয়ত , প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে অবসর গ্রহণের ( ১৯১৬ খ্রি . ) পর তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান কলেজে রসায়ন শাস্ত্রে অধ্যাপনা শুরু করেন । এখানে স্বর্ণ , প্ল্যাটিনাম , ইরিডিয়াম ও অর্গানিক সালফেটের ওপর গবেষণা করেন এবং এগুলি ইন্ডিয়ান কেমিক্যাল সোসাইটি ‘ – র জার্নালে প্রকাশিত হয় । তাঁর ছাত্রদের মধ্যে প্রিয়দারঞ্জন রায় , জ্ঞানচন্দ্র ঘোষ , জ্ঞানেন্দ্রনাথ মুখার্জি প্রমুখ রসায়নশাস্ত্রে গবেষণায় কৃতিত্ব দেখান । 

তৃতীয়ত , প্রফুল্লচন্দ্র রায় ভারতে রাসায়নিক দ্রব্য ও ওষুধ প্রস্তুতের জন্য প্রতিষ্ঠা করেন ‘ বেঙ্গল কেমিক্যাল অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যাল ওয়ার্কাস লিমিটেড ‘ নামক কারখানা এবং রচনা করেন ‘ ভারতের রসায়ন শাস্ত্রের ইতিহাস ‘ ( History of Hindu Chemistry ) নামক গ্রন্থ ।



ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন (প্রতিটি প্রশ্নের মান-৮)  (নিজে করো)


  1. ব্রিটিশ শাসনকালে বাংলায় বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলির ভূমিকা সম্পর্কে আলোচনা করো।
  2. ছাপার কাজে আধুনিক বাংলা অক্ষর বা হরফ নির্মাণের অগ্রগতির বিবরণ দাও।
  3. ইংরেজ সরকার কেন ছাপাখানা প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করে? ছাপাখানা কীভাবে শিক্ষাবিস্তারে সাহায্য করে? ৩+৫
  4. ঔপনিবেশিক শিক্ষাব্যবস্থার ত্রুটিগুলি লেখো। রবীন্দ্রনাথের শান্তিনিকেতন ভাবনার পরিচয় দাও। ৩+৫
  5. “ব্যক্তিগত উদ্যোগ ছাড়াও বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক সক্রিয়তার মধ্য দিয়েও বাংলায় বিজ্ঞানচর্চা প্রসার লাভ করে”—এই মন্তব্যটির যথার্থতা বিশ্লেষণ করো।
  6. রবীন্দ্রনাথের শিক্ষাভাবনায় মানুষ সম্পর্কে কী দৃষ্টিভঙ্গি ছিল ? মানবকল্যাণে রবীন্দ্রনাথের কয়েকটি পদক্ষেপের উল্লেখ করো। ৩+৫
  7. উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী সম্পর্কে আলোচনা করো।
  8. ছাপাখানায় মুদ্রিত বইপত্রের মাধ্যমে বাংলায় কীভাবে শিক্ষার প্রসার ঘটে?



Related searches
দশম শ্রেণির / মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর / ক্লাস 10 / Madhyamik ইতিহাস অধ্যায় 1 প্রশ্ন এবং উত্তর / দশম শ্রেণীর প্রশ্ন উত্তর ইতিহাস / দশম শ্রেণির / মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর তৃতীয় অধ্যায় / দশম শ্রেণির / মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ : বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা / Bikolpo Chinta O Uddog : Boisisto O Porjalochona / দশম শ্রেণির / মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর 2023, 2024, 2025, 2026, 2027, 2028, 2029, 2030, 2031, 2032, 2033, 2034, 2035, 2036, 2037, 2038, 2039, 2040 /  দশম শ্রেণীর ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর / দশম শ্রেণীর প্রশ্ন উত্তর ইতিহাস / দশম শ্রেণির / মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর দশম অধ্যায় / দশম শ্রেণীর ইতিহাস বই pdf / দশম শ্রেণির / মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর তৃতীয় অধ্যায় / দশম শ্রেণির / মাধ্যমিক ইতিহাস বই

  • দশম শ্রেণী ইতিহাসের পঞ্চম অধ্যায় : বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ : বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা প্রশ্ন উত্তর
  • বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ : বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা (পঞ্চম অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History Bikolpo Chinta O Uddog : Boisisto O Porjalochona Question and Answer
  • মাধ্যমিক ইতিহাস | Madhyamik History Question and Answer
  • মাধ্যমিক ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তর | Madhyamik History Chapter 5 Question Answer 
  • বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ : বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা (পঞ্চম অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর
  • বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ : বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা (পঞ্চম অধ্যায়) সব প্রশ্ন ও উত্তর
  • মাধ্যমিক ইতিহাস - বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ : বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা - পঞ্চম অধ্যায়
  • মাধ্যমিক ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায় ইতিহাসের ধারনা MCQ প্রশ্ন-উত্তর
  • ইতিহাসের ধারনা (পঞ্চম অধ্যায়) | মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন
  • মাধ্যমিক ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায় 'বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ : বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা' মক টেস্ট
  • মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন - পঞ্চম অধ্যায় – বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ : বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা
  • Class 10 History Mcq Chapter 5 solution 


Some Information about this article  : 

WBBSE Class 10 / WBBSE Secondary History Question and Answer  | West Bengal West Bengal Class Ten X (Class 10 / WBBSE Secondary) History Qustions and Answers with Suggestion | Madhyamik History Bikolpo Chinta O Uddog : Boisisto O Porjalochona Sugession 

দশম শ্রেণীর ইতিহাস সাজেশন প্রশ্ন ও উত্তর   
” দশম শ্রেণীর  ইতিহাস – প্রশ্ন উত্তর  “ সমস্ত অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর দশম শ্রেণীর পরীক্ষা (West Bengal Class Ten X  / WB Class 10 / WBBSE Secondary  / WBBSE / Class 10 / WBBSE Secondary  Exam / West Bengal Board of Secondary Education – WB Class 10 / WBBSE Secondary Exam / Class 10 / WBBSE Secondary Class 10 / WBBSE Secondary / WB Class X / Class 10 / WBBSE Secondary Pariksha  ) এখান থেকে প্রশ্ন অবশ্যম্ভাবী । সে কথা মাথায় রেখে Historybd.in এর পক্ষ থেকে দশম শ্রেণীর ইতিহাস পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং প্রশ্ন ও উত্তর (Class 10 / WBBSE Secondary History Suggestion / Class 10 / WBBSE Secondary History Question and Answer / Class X History Suggestion / Class 10 / WBBSE Secondary Pariksha History Suggestion  / History Class 10 / WBBSE Secondary Exam Guide  / Class 10 / WBBSE Secondary History MCQ , Short , Descriptive  Type Question and Answer  / Class 10 / WBBSE Secondary History Suggestion  FREE PDF Download) উপস্থাপনের প্রচেষ্টা করা হলাে। ছাত্রছাত্রী, পরীক্ষার্থীদের উপকারেলাগলে, আমাদের প্রয়াস দশম শ্রেণীর ইতিহাস পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং প্রশ্ন ও উত্তর (Class 10 / WBBSE Secondary History Suggestion / West Bengal Six X Question and Answer, Suggestion / WBBSE Class 10 / WBBSE Secondary History Suggestion  / Class 10 / WBBSE Secondary History Question and Answer  / Class X History Suggestion  / Class 10 / WBBSE Secondary Pariksha Suggestion  / Class 10 / WBBSE Secondary History Exam Guide  / Class 10 / WBBSE Secondary History Suggestion 2021 , 2022, 2023, 2024, 2025, 2026, 2027, 2028, 2029, 2030, 2021, 2020, 2019, 2017, 2016, 2015, 2031, 2032, 2033, 2034, 2035, 2036, 2037, 2038, 2039, 2040 /  Class 10 / WBBSE Secondary History Suggestion  MCQ , Short , Descriptive  Type Question and Answer. / Class 10 / WBBSE Secondary History Suggestion  FREE PDF Download) সফল হবে।

দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History Bikolpo Chinta O Uddog : Boisisto O Porjalochona Question and Answer  (SUB HEADING) 
দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Class 10 / WBBSE Secondary History Question and Answer Suggestion  দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর।

দশম শ্রেণীর ইতিহাস MCQ প্রশ্ন ও উত্তর

দশম শ্রেণীর ইতিহাস MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | Class 10 / WBBSE Secondary History MCQ or Multiple Choice Question and Answer |  দশম শ্রেণীর ইতিহাস MCQ প্রশ্ন উত্তর।

দশম শ্রেণীর ইতিহাস SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | দশম শ্রেণির / মাধ্যমিক ইতিহাস

দশম শ্রেণীর ইতিহাস SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | Class 10 / WBBSE Secondary History Short Question and Answer |  দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর  – SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর।

দশম শ্রেণীর ইতিহাস DTQ বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | ষষ্ঠ শ্রেণী ইতিহাস 

দশম শ্রেণীর ইতিহাস – DTQ বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর | Class 10 / WBBSE Secondary History Suggestion  দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর  – DTQ বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর।

পশ্চিমবঙ্গ দশম শ্রেণির / মাধ্যমিক ইতিহাস  – প্রশ্ন উত্তর | West Bengal Madhyamik History Bikolpo Chinta O Uddog : Boisisto O Porjalochona Question and Answer

দশম শ্রেণীর ইতিহাস (Class 10 / WBBSE Secondary History) – প্রশ্ন ও উত্তর | | Class 10 / WBBSE Secondary History Suggestion  দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর  – প্রশ্ন উত্তর ।

দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর  | ষষ্ঠ শ্রেণি ইতিহাস | WB Class 10 / WBBSE Secondary History Question and Answer, Suggestion 

দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – | দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – | পশ্চিমবঙ্গ দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – | দশম শ্রেণীর ইতিহাস সহায়ক প্রশ্ন ও উত্তর । WB Class 10 / WBBSE Secondary History Question and Answer, Suggestion | WBBSE Class 10 / WBBSE Secondary History Suggestion  | WB Class 10 / WBBSE Secondary History Question and Answer Notes  | West Bengal WB Class 10 / WBBSE Secondary History Question and Answer Suggestion. 

দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | WBBSE Class 10 / WBBSE Secondary History Question and Answer, Suggestion

দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Class 10 / WBBSE Secondary History Suggestion. দশম শ্রেণীর ইতিহাস সহায়ক প্রশ্ন ও উত্তর । Class 10 / WBBSE Secondary History Question and Answer, Suggestion.

Class 10 / WBBSE Secondary History Question and Answer Suggestions  | দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | ষষ্ঠ শ্রেণি ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর 

Class 10 / WBBSE Secondary History Question and Answer  দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর  Class 10 / WBBSE Secondary History Question and Answer দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – MCQ, সংক্ষিপ্ত, রোচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর  । 

WBBSE Class 10 / WBBSE Secondary History Suggestion  | দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর 

WBBSE Class 10 / WBBSE Secondary History Suggestion দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর । WBBSE Class 10 / WBBSE Secondary History Suggestion  দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর।

West Bengal Class 10 / WBBSE Secondary  History Suggestion  Download. WBBSE Class 10 / WBBSE Secondary History short question suggestion  . Class 10 / WBBSE Secondary History Suggestion   download. Class 10 / WBBSE Secondary Question Paper  History. WB Class 10 / WBBSE Secondary  History suggestion and important question and answer. Class 10 / WBBSE Secondary Suggestion pdf.

পশ্চিমবঙ্গ দশম শ্রেণীর  ইতিহাস পরীক্ষার সম্ভাব্য সাজেশন ও শেষ মুহূর্তের প্রশ্ন ও উত্তর ডাউনলোড। দশম শ্রেণীর ইতিহাস পরীক্ষার জন্য সমস্ত রকম গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর।

Get the WBBSE Class 10 / WBBSE Secondary History Question and Answer by Historybd.in

WBBSE Class 10 / WBBSE Secondary History Question and Answer prepared by expert subject teachers. WB Class 10 / WBBSE Secondary  History Suggestion with 100% Common in the Examination .

Class 10 / WBBSE Secondary History Syllabus 

West Bengal Board of Secondary Education (WBBSE) Class 10 / WBBSE Secondary History Syllabus with all the important chapters and marks distribution. Download the Class 10 / WBBSE Secondary History Syllabus and Question Paper. Questions on the History exam will come from these chapters. All the chapters are equally important, so read them carefully.

WB Class 10 / WBBSE Secondary History Syllabus Free Download Link Click Here 

Class 10 / WBBSE Secondary Ten X History Suggestion | West Bengal WBBSE Class 10 / WBBSE Secondary Exam 
Class 10 / WBBSE Secondary History Question and Answer, Suggestion Download PDF: WBBSE Class 10 / WBBSE Secondary Ten X History Suggestion  is proXded here. West Bengal Class 10 / WBBSE Secondary History Suggestion Questions Answers PDF Download Link in Free has been given below. 

দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | WBBSE Class 10 / WBBSE Secondary History

আশাকরি তোমাদের দশম ক্লাসের বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ : বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা অধ্যায় থেকে সকল প্রশ্ন ও উত্তর কমপ্লিট হয়েছে। আমরা আমাদের সর্বাঙ্গীণ প্রচেষ্টা করেছি তোমাদের এই দশম শ্রেণীর বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ : বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা অধ্যায় থেকে সব প্রশ্ন উত্তর দেওয়ার জন্য, এখন কাজ হল তোমাদের বাড়িতে পড়ার । পড়তে থাকো , প্র্যাকটিস করতে থাকো, প্র্যাকটিস মানুষকে উত্তম করে তোলে। যত পড়বে তত শিখবে, ততই জ্ঞানী হবে। 

তোমাদের দশম ক্লাসের  বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ : বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা অধ্যায়ের প্রাকটিসের জন্য আমাদের কুইজে অংশগ্রহণ করতে পারো, সম্পূর্ণ ফ্রিতে, নিচে লিঙ্ক দেওয়া আছে কুইজে অংশ নিতে পারো।

ক্লাস দশম এর অন্যান্য অধ্যায় গুলি সম্পর্কে আরও পড়তে চাইলে নিচে অধ্যায় অনুযায়ী লিঙ্ক দেওয়া আছে, লিঙ্কে ক্লিক করে ক্লাস দশম এর অন্য অধ্যায় গুলি পড়ে নাও। আমাদের পরিসেবা তোমাদের ভালো লাগলে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি ফলো করতে পারো।

Post a Comment

0 Comments

Top Post Ad

Below Post Ad