Type Here to Get Search Results !

দশম শ্রেণী ইতিহাস - বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ (সপ্তম অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর | WBBSE Madhyamik History Chapter 7 Bish Sotoker Bharote Nari, Chatro O Prantik Jonogostir Andolon Question and Answer

দশম  শ্রেণীর ইতিহাস – বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ (সপ্তম অধ্যায়) "Bis Sotoker Varote Nari, Chatro O Prantik Jonogostir Andolon" - WBBSE Class 10 Madhyamik History Chapter 7 Question and Answer 

মাধ্যমিক ইতিহাস – "বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ / (Bis Sotoker Varote Nari, Chatro O Prantik Jonogostir Andolon)" (সপ্তম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History Chapter 7 Question and Answer 

দশম শ্রেণীর ইতিহাস সাজেশন – বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ / (Bis Sotoker Varote Nari, Chatro O Prantik Jonogostir Andolon) – সমস্ত প্রশ্ন উত্তর | বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ / (Bis Sotoker Varote Nari, Chatro O Prantik Jonogostir Andolon) অধ্যায়ের সাজেশন প্রশ্ন উত্তর | WBBSE Class 10 Madhyamik History Chapter 7 Question and Answer | WBBSE Class 10th History Suggestion PDF | Madhyamik History Suggestion Chapter 7 | বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ / (Bis Sotoker Varote Nari, Chatro O Prantik Jonogostir Andolon) (সপ্তম অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর

West Bengal  Class 10 History Solution Chapter 7

West Bengal  Board Class 10 History (ইতিহাস) Textbook Solution Chapter 7 বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ / (Bish Sotoker Bharote Nari, Chatro O Prantik Jonogostir Andolon) Question Answers by WBBSE Expert Teacher. West Bengal Board Class 10 History Solution Chapter 7. Madhyamik History Bish Sotoker Bharote Nari, Chatro O Prantik Jonogostir Andolon Question and Answer Mock Test. 

500+ দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর / বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ / (Bis Sotoker Varote Nari, Chatro O Prantik Jonogostir Andolon) (সপ্তম অধ্যায়) MCQ, সংক্ষিপ্ত, অতি সংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর | দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – West Bengal Class 10th History Question and Answer 

হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছো তোমরা ? আশাকরি তোমরা খুব ভালো আছো । আজকে আমরা আলোচনা করবো তোমাদের দশম ক্লাসের সপ্তম অধ্যায় বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ সম্পর্কে । এই সপ্তম অধ্যায়টি তোমাদের পরীক্ষার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ তাই সপ্তম অধ্যায় এর বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আমরা এই লিখাটির মাধ্যমে দশম শ্রেণীর  সপ্তম অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর, এই বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ অধ্যায়ের সাজেশন , কিকরে এই অধ্যায় থেকে উত্তর লিখতে হয়। দশম শ্রেণীর বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ অধ্যায় থেকে কিভাবে পড়বে সবকিছুই আলোচনা করবো। 

দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | WBBSE Class 10th History Question and Answer / দশম শ্রেণীর ইতিহাস – বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ / (Bis Sotoker Varote Nari, Chatro O Prantik Jonogostir Andolon) (সপ্তম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Class 10 History / দশম শ্রেণীর ইতিহাস – সপ্তম অধ্যায় "বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ / (Bis Sotoker Varote Nari, Chatro O Prantik Jonogostir Andolon)" প্রশ্ন ও উত্তর | WBBSE Class 10th History Question and Answer / দশম শ্রেণির / মাধ্যমিক ইতিহাস (সপ্তম অধ্যায়) বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ / (Bis Sotoker Varote Nari, Chatro O Prantik Jonogostir Andolon) প্রশ্ন উত্তর (MCQ, SAQ, LAQ)/Class 10 History Ten Chapter questions and Answers (MCQ, SAQ, LAQ) / দশম শ্রেণির / মাধ্যমিক আমাদের পৃথিবী সপ্তম অধ্যায় বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ / (Bis Sotoker Varote Nari, Chatro O Prantik Jonogostir Andolon) | Class Ten / WBBSE Madhyamik Amader Prithibi / দশম শ্রেণীর ইতিহাস – বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ / (Bis Sotoker Varote Nari, Chatro O Prantik Jonogostir Andolon) (সপ্তম অধ্যায়) 

বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ / (Bis Sotoker Varote Nari, Chatro O Prantik Jonogostir Andolon) (সপ্তম অধ্যায়) MCQ, সংক্ষিপ্ত, অতি সংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর | দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – West Bengal Class 10th History Question and Answer
দশম শ্রেণী ইতিহাস - (সপ্তম অধ্যায়) বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ প্রশ্ন উত্তর | WBBSE Madhyamik History Chapter 7 Bish Sotoker Bharote Nari, Chatro O Prantik Jonogostir Andolon Question and Answer

দশম শ্রেণীর ইতিহাস – বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ / (Bis Sotoker Varote Nari, Chatro O Prantik Jonogostir Andolon) (সপ্তম অধ্যায়) সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো । WBBSE Class 10th History 7th Chapter MCQ Questions and Answers | Madhyamik History Bish Sotoker Bharote Nari, Chatro O Prantik Jonogostir Andolon MCQ Question and Answer

সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো | MCQ Questions and Answers (Class Ten / WBBSE Madhyamik History Ten Chapter)

সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো ; প্রতিটি প্রশ্নের মান -১

১. কোন্ দিনটিকে ‘রশিদ আলি দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়?
(ক) ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দের ১৫ মার্চ 
(খ) ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দের ১২ ফেব্রুয়ারি 
(গ) ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ১৫ আগস্ট
(ঘ) ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দের ১৮ ফেব্রুয়ারি
উত্তরঃ-  (খ) ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দের ১২ ফেব্রুয়ারি

২. সত্যশোধক সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয়।
(ক) ১৮৭৫ খ্রিস্টাব্দে 
(খ) ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দে 
(গ) ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে 
(ঘ) ১৮৮২ খ্রিস্টাব্দে
উত্তরঃ-  (খ) ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দে

৩. সর্বভারতীয় দলিত সমিতির সভাপতি ছিলেন।
(ক) এস সি রাজা 
(খ) আম্বেদকর 
(গ) নারায়ণ গুরু 
(ঘ) জ্যোতিবা ফুলে
উত্তরঃ-  (খ) আম্বেদকর

৪. বাংলার প্রথম মহিলা চিকিৎসক ছিলেন –
(ক) কাদম্বিনী গাঙ্গুলি
(খ) চন্দ্ৰমুখী বসু 
(গ) স্বর্ণকুমারী দেবী 
(ঘ) সরলাদেবী চৌধুরানি
উত্তরঃ-  (ক) কাদম্বিনী গাঙ্গুলি

৫. বেথুন স্কুল প্রতিষ্ঠায় অন্যতম উদ্যোগী ছিলেন –
(ক) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর 
(খ) স্বামী বিবেকানন্দ
(গ) রামমোহন রায় 
(ঘ) কাদম্বিনী বসু 
উত্তরঃ-  (ক) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

৬. নারীকল্যাণমূলক একটি প্রতিষ্ঠান ছিল –
(ক) ভারতসভা 
(খ) বামাবোধিনী সভা 
(গ) জমিদার সভা
(ঘ) বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা
উত্তরঃ-  B) বামাবোধিনী সভা

৭. লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রতিষ্ঠা করেন।
(ক) সরলাদেবী চৌধুরানী 
(খ) হেমাঙ্গিনী দাস 
(গ) বীনা দাস 
(ঘ) কুমুদিনী মিত্র
উত্তরঃ-  (ক) সরলাদেবী চৌধুরানী

৮. বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম মহিলা নেত্রী ছিলেন।
(ক) সরলাদেবী চৌধুরানী 
(খ) বীনা দাস 
(গ) সুনীতি দাস 
(ঘ) মাতঙ্গিনী হাজরা
উত্তরঃ-  (ক) সরলাদেবী চৌধুরানী

৯. বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলন হয়েছিল
(ক) ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে 
(খ) ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে 
(গ) ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে 
(ঘ) ১৯১২ খ্রিস্টাব্দে
উত্তরঃ-  (ক) ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে

১০. সতীদাহ প্রথা নিবারণ করা হয় –
(ক) ১৮২৯ খ্রিস্টাব্দে 
(খ) ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দে
(গ) ১৮৩২ খ্রিস্টাব্দে
(ঘ) ১৮৩১ খ্রিস্টাব্দে  
উত্তরঃ-  (ক) ১৮২৯ খ্রিস্টাব্দে

১১. বিধবা পুনর্বিবাহ আইন প্রণীত হয়— 
(ক) ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দে 
(খ) ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে 
(গ) ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে
(ঘ) ১৮৫৯ খ্রিস্টাব্দে 
উত্তরঃ-  (ক) ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দে 

১২. ‘এজ অব কনসেন্ট ‘ বিল প্রকাশিত হয় –
(ক) ১৮৯৪ খ্রিস্টাব্দে 
(খ) ১৯০০ খ্রিস্টাব্দে 
(গ) ১৮৯১ খ্রিস্টাব্দে
(ঘ) ১৮৯৮ খ্রিস্টাব্দে
উত্তরঃ-  (গ) ১৮৯১ খ্রিস্টাব্দে

১৩. বঙ্গভঙ্গ কার্যকর হয় ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের
(ক) ১৬ অক্টোবর 
(খ) ২৬ জুন 
(গ) ১৫ আগস্ট 
(ঘ) ২৬ জানুয়ারি
উত্তরঃ-  (ক) ১৬ অক্টোবর

১৪. ইয়ং ইন্ডিয়া’ পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন?
(ক) সি আর দাস 
(খ) নেহরু 
(গ) ভগত সিং 
(ঘ) গান্ধীজি
উত্তরঃ-  (ঘ) গান্ধীজি

১৫. অহিংস অসহযোগ আন্দোলন ঘোষিত হয়।
(ক) ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে 
(খ) ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে 
(গ) ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে 
(ঘ) ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে
উত্তরঃ-  (খ) ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে

১৬. ‘ভারতমাতা ‘ ছবিটি আঁকেন— 
(ক) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 
(খ) অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর 
(গ) গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর
(ঘ) নন্দলাল বসু
উত্তরঃ-  B) অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৭. বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলন হয়েছিল – 
(ক) ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে
(খ) ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে 
(গ) ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে 
(ঘ) ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে
উত্তরঃ-  (খ) ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে

১৮. সর্বপ্রথম বয়কট আন্দোলনের ডাক দেন –
(ক) কৃষ্ণকুমার মিত্র 
(খ) অমরেন্দ্র দাস
(গ) চিত্তরঞ্জন দাশ
(ঘ) অরবিন্দ ঘোষ 
উত্তরঃ-  (ক) কৃষ্ণকুমার মিত্র

১৯. কোন বাঙালি নারী অহিংস অসহযোগ আন্দোলনে অংশ নিয়ে কারাবরণ করেন?
(ক) বাসন্তী জানা 
(খ) বাসন্তী রায় 
(গ) বাসন্তী দাশ 
(ঘ) প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার
উত্তরঃ-  (গ) বাসন্তী দাশ

২০. কোন মহিলা কংগ্রেসের নেত্রী রেডিয়োতে প্রচার করতেন?
(ক) বাসন্তী দেবী 
(খ) উষা মেহতা 
(গ) কনকলতা 
(ঘ) অরুণা আসফ আলি
উত্তরঃ-  (খ) উষা মেহতা

২১. গান্ধিবুড়ি’ বলা হয়
(ক) মাতঙ্গিনী হাজরাকে 
(খ) সরলাদেবীকে 
(গ) বাসন্তী দেবীকে 
(ঘ) সরোজিনী নাইডুকে
উত্তরঃ-  (ক) মাতঙ্গিনী হাজরাকে

২২. স্বদেশি আন্দোলনে বাংলার একজন মহিলা নেত্রী ছিলেন –
(ক) পদ্মজা নাইডু 
(খ) সরোজিনী নাইডু 
(গ) অরুণা আসফ আলি 
(ঘ) সরলাদেবী চৌধুরানি 
উত্তরঃ-  D) সরলাদেবী চৌধুরানি

২৩. সরলাদেবী দীর্ঘকাল ধরে যে পত্রিকা সম্পাদনা করেন – 
(ক) বামাবোধিনী 
(খ) সোমপ্রকাশ 
(গ) ভারতী
(ঘ) বঙ্গদর্শন
উত্তরঃ-  C) ভারতী

২৪. ‘সুপ্রভাত ‘ পত্রিকা সম্পাদনা করেন— 
(ক) স্বর্ণকুমারী দেবী 
(খ) কুমুদিনী মিত্র
(গ) সরলাদেবী চৌধুরানি 
(ঘ) লীলা নাগ ( রায় ) 
উত্তরঃ-  (খ) কুমুদিনী মিত্র

২৫. আইন অমান্য আন্দোলনে কোন্ নারী শহিদ হন?
(ক) বাসন্তী দেবী 
(খ) গুইডালু 
(গ) কনকলতা 
(ঘ) উর্মিবালা
উত্তরঃ-  (ঘ) উর্মিবালা

২৬. রানি গুইডালু কোন্ রাজ্যে আইন অমান্য আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন?
(ক) আসাম 
(খ) নাগাভূমি 
(গ) ত্রিপুরা 
(ঘ) কোচবিহার
উত্তরঃ-  (খ) নাগাভূমি

২৭. বোম্বাই শহরে স্বাধীনতার আন্দোলনের অন্যতম প্রধান নেত্রী হলেন।
(ক) অরুণা আসফ আলি 
(খ) উষা মেহতা 
(গ) কমলা নেহরু 
(ঘ) কস্তুরবা গান্ধি
উত্তরঃ-  (ক) অরুণা আসফ আলি

২৮. ‘ভারত স্ত্রী মহামণ্ডল ‘ প্রতিষ্ঠা করেন –
(ক) বাসন্তী দেবী 
(খ) উর্মিলা দেবী 
(গ) সরলাদেবী চৌধুরানি 
(ঘ) সুনীতি দেবী 
উত্তরঃ-  (গ) সরলাদেবী চৌধুরানি

২৯. দেশসেবিকা সংঘ প্রতিষ্ঠিত হয় –
(ক) বাংলায়
(খ) উড়িষ্যায় 
(গ) দিল্লিতে 
(ঘ) মহারাষ্ট্রে 
উত্তরঃ-  D) মহারাষ্ট্রে 

৩০. গান্ধিজির ডান্ডি অভিযানে মোট স্বেচ্ছাসেবী ছিলেন – 
(ক) ৭৮ জন 
(খ) ৭৯ জন
(গ) ৮০ জন 
(ঘ) ৮২ জন 
উত্তরঃ-  (খ) ৭৯ জন

৩১. দীপালি সংঘের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।
(ক) নেলী সেনগুপ্ত 
(খ) লীলা নাগ 
(ঘ) প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার 
(গ) কল্পনা দত্ত
উত্তরঃ-  (খ) লীলা নাগ

৩২. চট্টগ্রামের পাহাড়তলির ইউরোপীয়ান ক্লাবে কোন মহিলা বিপ্লবী আক্রমণ চালান?
(ক) প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার 
(খ) কল্পনা দত্ত 
(ঘ) নেলী সেনগুপ্ত 
(গ) বীনা দাস
উত্তরঃ-  (খ) কল্পনা দত্ত

৩৩. আইন অমান্য আন্দোলনকালে ধরসনা লবণ গলা অভিযানের নেতৃত্ব দেন – 
(ক) কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায় 
(খ) সরোজিনী নাইডু 
(গ) দুর্গাবাই দেশমুখ 
(ঘ) বিজয়লক্ষ্মী পণ্ডিত 
উত্তরঃ-  (খ) সরোজিনী নাইডু

৩৪. ওয়াডালা লবণ কারখানায় বিক্ষোভে যিনি নেতৃত্ব দেন – 
(ক) সরোজিনী নাইডু 
(খ) বাসন্তী দেবী
(গ) কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায় 
(ঘ) কমলা নেহরু 
উত্তরঃ-  (গ) কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায়

৩৫. রাজকুমারী অমৃত কাউর যে স্থানে আইন অমান্য আন্দোলনের নেতৃত্বে দেন— 
(ক) উত্তরপ্রদেশ 
(গ) পাঞ্জাব
(গ) উড়িষ্যা
(ঘ) দিল্লি
উত্তরঃ-  C) পাঞ্জাব

৩৬. বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনের ‘স্ব-নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবক’ কারা ছিল?
(ক) শ্রমিক শ্রেণি 
(খ) কৃষক শ্রেণি 
(গ) ছাত্র শ্রেণি 
(ঘ) বুদ্ধিজীবী শ্রেণি
উত্তরঃ-  (গ) ছাত্র শ্রেণি

৩৭. শান্তি ও সুনীতি কোন ম্যাজিস্ট্রেটকে হত্যা করেন?
(ক) বার্জ 
(খ) পেটি 
(গ) ডগলাস 
(ঘ) স্টিভেনসন
উত্তরঃ-  (ঘ) স্টিভেনসন

৩৮. পূর্ব খান্দেশে স্বাধীনতা আন্দোলনে কে নেতৃত্ব দেন ?
(ক) লীলা পালিত 
(খ) নানা পাতিল 
(গ) অরুণা আসফ আলি 
(ঘ) উষা মেহতা
উত্তরঃ-  (গ) অরুণা আসফ আলি

৩৯. কস্তুরবা গান্ধি যে আন্দোলনে দক্ষতার সঙ্গে নেতৃত্ব দেন – 
(ক) বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনে 
(খ) অসহযোগ আন্দোলনে 
(গ) আইন অমান্য আন্দোলনে
(ঘ) ভারত ছাড়ো আন্দোলনে 
উত্তরঃ-  (গ) আইন অমান্য আন্দোলনে

৪০. লবণ আইন অমান্যে গান্ধিজির সহযোগী ছিলেন— 
(ক) বিজয়লক্ষ্মী পণ্ডিত 
(খ) সুহাসিনী দেবী 
(গ) সরোজিনী নাইডু 
(ঘ) ঊর্মিলা দেবী 
উত্তরঃ-  (গ) সরোজিনী নাইডু 

৪১. ভারতের ‘ দেবদাসী প্রথা বিলোপের জন্য বিল আনেন – 
(ক) সরোজিনী নাইডু
(খ) কমলা নেহরু
(গ) মুথুলক্ষ্মী রেড্ডি 
(ঘ) বিজয়লক্ষ্মী পণ্ডিত 
উত্তরঃ-  (গ) মুথুলক্ষ্মী রেড্ডি

৪২. কার্লাইল কে ছিলেন?
(ক) ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের বাংলার শিক্ষাসচিব 
(খ) বড়োলাট 
(গ) বাংলার গভর্নর 
(ঘ) নৌ-সেনাপতি
উত্তরঃ-  (ক) ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের বাংলার শিক্ষাসচিব

৪৩. কার্লাইল সার্কুলার’ কবে জারি হয়?
(ক) ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের ১০ মার্চ 
(খ) ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের ১৬ অক্টোবর 
(গ) ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের ১০ অক্টোবর
(ঘ) ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের ২৬ জানুয়ারি
উত্তরঃ-  (গ) ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের ১০ অক্টোবর

৪৪.  অ্যান্টি সার্কুলার সোসাইটি’ কে গঠন করেন?
(ক) সুভাষচন্দ্র 
(খ) শচীন্দ্রপ্রসাদ 
(গ) অরবিন্দ 
(ঘ) বিপিনচন্দ্র পাল
উত্তরঃ-  (খ) শচীন্দ্রপ্রসাদ

৪৫. আইন অমান্য আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন –
(ক) বীণা দাশ 
(খ) কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায়
(গ) কল্পনা দত্ত 
(ঘ) রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন 
উত্তরঃ-  (খ) কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায়

৪৬. আইন অমান্য আন্দোলনে নাগাল্যান্ডে অগ্রণী ভূমিকা নেন –
(ক) ভোগেশ্বরী ফুকোননী
(খ) কনকলতা বড়ুয়া 
(গ) রানি গুইডালো 
(ঘ) অমৃত কাউর রানী
উত্তরঃ-  (গ) রানি গুইডালো

৪৭. গুইডালো নাগাল্যান্ডে যে আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন – 
(ক) বঙ্গভঙ্গ – বিরোধী আন্দোলনে 
(খ) অসহযোগ আন্দোলনে 
(গ) আইন অমান্য আন্দোলনে
(ঘ) ভারত ছাড়ো আন্দোলনে 
উত্তরঃ-  (গ) আইন অমান্য আন্দোলনে

৪৮. ৪৯. অলিন্দ যুদ্ধে কে নেতৃত্ব দেন?
(ক) বিনয় বসু 
(খ) ক্ষুদিরাম বসু 
(গ) সুভাষ বসু 
(ঘ) সত্যেন বসু
উত্তরঃ-  (ক) বিনয় বসু

৫০. বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স’ গঠিত হয়
(ক) ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে 
(খ) ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে 
(গ) ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে 
(ঘ) ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে
উত্তরঃ-  (গ) ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে

৫১. ‘ভয়েস অফ ফ্রিডম ‘ প্রতিষ্ঠিত হয় –
(ক) বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনকালে 
(খ) অসহযোগ আন্দোলনকালে 
(গ) আইন অমান্য আন্দোলনকালে 
(ঘ) ভারতছাড়ো আন্দোলনকালে 
উত্তরঃ-  (ঘ) ভারতছাড়ো আন্দোলনকালে

৫২. ভারতছাড়ো আন্দোলনের সময় গোপনে কংগ্রেসের বেতার কেন্দ্র পরিচালনা করেন –
(ক) সরোজিনী নাইডু 
(খ) ঊষা মেহতা 
(গ) সুচেতা কৃপালিনী 
(ঘ) অরুণা আসফ আলি 
উত্তরঃ-  (খ) ঊষা মেহতা

৫৩. মাতঙ্গিনী হাজরা ‘ ভারতছাড়ো ‘ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন যে স্থানে – 
(ক) তমলুক 
(খ) বরিশাল 
(গ) সুতাহাটা
(ঘ) পুরুলিয়া
উত্তরঃ-  (ক) তমলুক 

৫৪. কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় থানা জ্বালাও, স্টেশন পোড়াও’ বলে স্লোগান দিতে দিতে বিহার ও উত্তরপ্রদেশে মিছিল করত?
(ক) বেনারস হিন্দু 
(খ) কলকাতা 
(গ) মাদ্রাজ 
(ঘ) জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া
উত্তরঃ-  (ক) বেনারস হিন্দু

৫৫. নিখিল ভারত ছাত্র কনফারেন্স সর্বপ্রথম কোথায় অনুষ্ঠিত হয়?
(ক) কানপুরে 
(খ) লক্ষৌতে 
(গ) বেনারসে 
(ঘ) কলকাতায়
উত্তরঃ-  (খ) লক্ষৌতে

৫৬. ‘গান্ধিবুড়ি ‘ নামে পরিচিত ছিলেন— 
(ক) কমলা চট্টোপাধ্যায় 
(খ) মাতঙ্গিনী হাজরা 
(গ) সরলাদেবী চৌধুরানি 
(ঘ) কমলা দাশগুপ্ত 
উত্তরঃ-  (খ) মাতঙ্গিনী হাজরা

৫৭. তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার গঠিত হয় যাঁর উদ্যোগে – 
(ক) সরোজিনী নাইডু
(খ) সতীশচন্দ্র সামন্ত 
(গ) মাতঙ্গিনী হাজরা 
(ঘ) বীরেন্দ্রনাথ শাসমল 
উত্তরঃ-  (খ) সতীশচন্দ্র সামন্ত

৫৮. ভারতছাড়ো আন্দোলনকালে ‘ ভগিনী সেনা ‘ যেখানে গঠিত হয় –
(ক) মেদিনীপুর জেলায়
(খ) মুম্বাইয়ে 
(গ) কলকাতায়
(ঘ) নাগপুরে
উত্তরঃ-  (ক) মেদিনীপুর জেলায়

৫৯. মেদিনীপুরে জেলাশাসক পেডিকে কে হত্যা করেন?
(ক) প্রদ্যোৎ ভট্টাচার্য 
(খ) বিমল দাশগুপ্ত 
(গ) অনাথ পাঁজা 
(ঘ) মৃগেন দত্ত
উত্তরঃ-  (খ) বিমল দাশগুপ্ত

 ৬০. চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনে কে নেতৃত্ব দেন?
(ক) সূর্য সেন 
(খ) সুভাষচন্দ্র বসু 
(গ) ক্ষুদিরাম বসু 
(ঘ) বিনয় বসু
উত্তরঃ-  (ক) সূর্য সেন

৬১. ১৯৪২ – এর আন্দোলনে উল্লেখযোগ্য নেতৃত্ব দেন—  
(ক) অরুণা আসফ আলি 
(খ) ঊষা মেহ্তা 
(গ) মাতঙ্গিনী হাজরা 
(ঘ) এঁদের সকলেই 
উত্তরঃ-  (ঘ) এঁদের সকলেই

৬২. ‘ভারতে বিপ্লববাদের জননী ‘ বলা হয় – 
(ক) সরোজিনী নাইডুকে 
(খ) ভিখাজী রুস্তম কামাকে
(গ) মাতঙ্গিনী হাজরাকে
(ঘ) অরুণা আসফ আলিকে
উত্তরঃ-  (খ) ভিখাজী রুস্তম কামাকে

৬৩.  স্ট্যানলি জনসনকে লক্ষ করে কে গুলি ছোঁড়েন?
(ক) বীনা দাস 
(খ) শান্তি ঘোষ 
(গ) কল্পনা দত্ত 
(ঘ) প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার
উত্তরঃ-  (ক) বীনা দাস

৬৪. ‘দীপালি সংঘ ‘ প্রতিষ্ঠিত হয –
(ক) ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে 
(খ) ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে 
(গ) ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে
(ঘ) ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে
উত্তরঃ-  (ক) ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে

৬৫. দীপালি সংঘ ( ১৯২৩ খ্রি . ) প্রতিষ্ঠিত হয় –
(ক) কলকাতায় 
(খ) ঢাকায় 
(গ) কৃষ্ণনগরে
(ঘ) চট্টগ্রামে
উত্তরঃ-  (খ) ঢাকায় 

৬৬. দীপালি সংঘ থেকে প্রকাশিত পত্রিকার নাম-
(ক) ভারতী
(খ) জয়শ্রী
(গ) প্রবাসী
(ঘ) সুপ্রভাত
উত্তরঃ- (খ) জয়শ্রী ।

৬৭. কোন্ আন্দোলনে মেদিনীপুরের তমলুক থানা আক্রমণকালে ব্রিটিশ পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন মাতঙ্গিনি হাজরা ?
(ক) বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনে
(খ) অসহযোগ আন্দোলনে
(গ) ভারত ছাড়ো আন্দোলনে
(ঘ) আইন অমান্য আন্দোলনে
উত্তরঃ- (গ) ভারত ছাড়ো আন্দোলনে।

৬৮. মাতঙ্গিনী হাজরা ভারত ছাড়ো আন্দোলনে অংশ নেন
(ক) তমলুকে 
(খ) সুতাহাটায় 
(গ) বরিশালে 
(ঘ) বীরভূমে
উত্তরঃ-  (ক) তমলুকে

৬৯. ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গভঙ্গের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিলেন-
(ক) লর্ড লিটন
(খ) লর্ড রিপন
(গ) লর্ড কার্জন
(ঘ) লর্ড বেন্টিঙ্ক
উত্তরঃ- (গ) লর্ড কার্জন।

৭০. বঙ্গভঙ্গের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দিয়ে ‘রাখিবন্ধন’ উৎসবের আয়োজন করেন-
(ক) রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর
(খ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
(গ) আনন্দমোহন বসু
(ঘ) সরলা দেবী চৌধুরানি
উত্তরঃ- (খ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

৭১. দীপালি সংঘ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন— 
(ক) কল্পনা দত্ত 
(খ) বাসন্তী দেবী
(গ) লীলা নাগ ( রায় ) 
(ঘ) বীণা দাস 
উত্তরঃ-  (গ) লীলা নাগ ( রায় ) 

৭২. লীলা রায় সম্পাদিত ‘ জয়শ্রী ‘ পত্রিকা প্রকাশিত হয়— 
(ক) ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে
(খ) ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে
(গ) ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে 
(ঘ) ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে 
উত্তরঃ-  (ঘ) ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে

৭৩. ‘অরন্ধন’ দিবস পালনের আবেদন জানান-
(ক) রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী
(খ) অক্ষয়কুমার দত্ত
(গ) ভূদেব মুখোপাধ্যায়
(ঘ) শিবনাথ শাস্ত্রী
উত্তরঃ- (ক) রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী।

৭৪. ‘মিলন মন্দির’ বা ফেডারেশন হল স্থাপন করেন-
(ক) আনন্দমোহন বসু
(খ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
(গ) রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী
(ঘ) বাসন্তী দেবী
উত্তরঃ- (ক) আনন্দমোহন বসু।

৭৫. দীপালি সংঘের মুখপত্র ছিল— 
(খ) ভারতী
(খ) বেণু
(গ) সুপ্রভাত
(ঘ) জয়শ্রী 
উত্তরঃ-  (ঘ) জয়শ্রী 

৭৬. সরকারি স্কুল – কলেজ বর্জনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিরক্ত বোধ করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য – 
(ক) আশুতোষ মুখোপাধ্যায় 
(খ) গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায় 
(গ) জেমস্ কোল্‌ভিল 
(ঘ) শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় 
উত্তরঃ-  (ক) আশুতোষ মুখোপাধ্যায়

৭৭. ‘লিয়ন সার্কুলার ‘ ঘোষিত হয় ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের – 
(ক) ২০ জুলাই 
(খ) ১৬ আগস্ট 
(গ) ১৬ অক্টোবর
(ঘ) ১৬ নভেম্বর 
উত্তরঃ-  (গ) ১৬ অক্টোবর

৭৮. ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রতিষ্ঠা করেন-
(ক) স্বর্ণকুমারী দেবী
(খ) সুনয়নী দেবী
(গ) সরলা দেবী চৌধুরানি
(ঘ) বাসন্তী দেবী
উত্তরঃ- (গ) সরলা দেবী চৌধুরানি ।

৭৯. ‘নারী কর্মমন্দির’-এর প্রতিষ্ঠাতা করেন-
(ক) বীণা দাস
(খ) লীলা নাগ (রায়)
(গ) উর্মিলা দেবী
(ঘ) বাসন্তী দেবী
উত্তরঃ- (গ) উর্মিলা দেবী।

৮০. ‘বন্দে মাতরম্ ‘ মন্ত্র উচ্চারণ করার অপরাধে বেত্রাঘাতে জর্জরিত হন— 
(ক) সূর্য সেন 
(খ) অনন্ত সিংহ 
(গ) গণেশ ঘোষ 
(ঘ) সুশীল সেন 
উত্তরঃ-  (ঘ) সুশীল সেন 

৮১.  ভারতের প্রথম ছাত্রী সংগঠনটি হল-
(ক) নারী সেবা সংঘ
(খ) স্বদেশি স্টোর্স
(গ) নারী শিক্ষা মন্দির
(ঘ) দীপালি ছাত্রী সংঘ
উত্তরঃ- (ঘ) দীপালি ছাত্রী সংঘ।

৮২. অসহযোগ আন্দোলন প্রস্তাব গৃহীত হয় ১৯২০ খ্রিস্টাব্দের— 
(ক) করাচি অধিবেশনে 
(খ) সুরাট অধিবেশনে 
(গ) বোম্বাই অধিবেশনে 
(ঘ) কলকাতা অধিবেশনে 
উত্তরঃ-  (ঘ) কলকাতা অধিবেশনে

৮৩. অসহযোগ আন্দোলনকালে বাংলায় ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন –
(ক) লালা লাজপত রায় 
(খ) চিত্তরঞ্জন দাশ 
(গ) অরবিন্দ ঘোষ 
(ঘ) যতীন দাস 
উত্তরঃ-  (খ) চিত্তরঞ্জন দাশ 

৮৪. ‘নারী সত্যাগ্রহ সমিতি’ গড়ে তোলেন-
(ক) বাসন্তী দেবী
(খ) কনকলতা বড়ুয়া
(গ) মীরা দাশগুপ্ত
(ঘ) বীণা দাস
উত্তরঃ- (ক) বাসন্তী দেবী।

৮৫. বঙ্গভঙ্গের সময়কালে বিধবা শিল্পাশ্রম ‘সখী সমিতি’ প্রতিষ্ঠা করেন
(ক) স্বর্ণকুমারী দেবী
(গ) ঊর্মিলা দেবী
(গ) বাসন্তী দেবী
(ঘ) সুনয়নী দেবী
উত্তরঃ- (ক) স্বর্ণকুমারী দেবী।

৮৬. অসহযোগ আন্দোলনকালে ‘ জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া নামক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হয়— 
(ক) কলকাতায় 
(খ) মাদ্রাজে 
(গ) বোম্বাইয়ে
(ঘ) দিল্লিতে
উত্তরঃ-  (ঘ) দিল্লিতে

৮৭. ইয়ং ইন্ডিয়া ‘ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন –
(ক) অরবিন্দ ঘোষ 
(খ) বালগঙ্গাধর তিলক 
(গ) জওহরলাল নেহরু 
(ঘ) মহাত্মা গান্ধি 
উত্তরঃ-  (ঘ) মহাত্মা গান্ধি

৮৮. গান্ধি – আরউইন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়— 
(ক) ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে 
(খ) ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে
(গ) ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে
(ঘ) ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দে
উত্তরঃ-  (গ) ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে

৮৯. ‘ভারত স্ত্রী মহামণ্ডল’ প্রতিষ্ঠা করেন-
(ক) বাসন্তী দেবী
(খ) ঊর্মিলা দেবী
(গ) বীণা দাস
(ঘ) সরল দেবী চৌধুরানি
উত্তরঃ- (ঘ) সরল দেবী চৌধুরানি।

৯০. ‘ভারতের বুলবুল’ নামে পরিচিত ছিলেন-
(ক) সরোজিনী নাইডু
(খ) লীলা নাগ
(গ) বাসন্তী দেবী
(ঘ) বীণা দাস
উত্তরঃ- (গ) সরোজিনী নাইডু ।

৯১. ‘ভারত ছাড়ো ‘ আন্দোলনের কনিষ্ঠ শহিদ ছিলেন – 
(ক) সতীশচন্দ্র সামন্ত 
(খ) হেমু কালানি 
(গ) অজয় মুখোপাধ্যায়
(ঘ) সুশীল ধাড়া
উত্তরঃ-  (খ) হেমু কালানি 

৯২. ‘দীপালি ছাত্রী সংঘ’ টি গঠিত হয়-
(ক) ১৯১২ খ্রিস্টাব্দে
(খ) ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে
(গ) ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে
(ঘ) ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে
উত্তরঃ- (গ) ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে।

৯৩. ‘ভারত ছাড়ো ‘ আন্দোলনে গান্ধিজি ধ্বনি তোলেন— 
(ক) করেঙ্গে ইয়া মরেঙ্গে 
(খ) দিল্লি চলো 
(গ) সাইমন গো ব্যাক 
(ঘ) ইনক্লাব জিন্দাবাদ 
উত্তরঃ-  (ক) করেঙ্গে ইয়া মরেঙ্গে

৯৪. ভারতের বিপ্লবী আন্দোলনের প্রথম নারী শহিদ ছিলেন-
(ক) মাতঙ্গিনি হাজরা
(খ) প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার
(গ) কল্পনা দত্ত
(ঘ) লীলা নাগ (রায়)
উত্তরঃ- (খ) প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার।

৯৫. ভারত ছাড়ো আন্দোলনকালে যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা লুঠ করা আজাদ ট্রেনে চড়ে উত্তরপ্রদেশের শেরপুর অঞ্চলে পৌঁছেছিলেন , সেটি হল – 
(ক) কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় 
(খ) দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় 
(গ) এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় 
(ঘ) মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয় 
উত্তরঃ-  (গ) এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়

৯৬. ‘রাষ্ট্রীয় স্ত্রী সংঘ’ প্রতিষ্ঠা করেন-
(ক) কল্পনা দত্ত
(খ) লীলা নাগ (রায়)
(গ) সরোজিনী নাইডু
(ঘ) ঊর্মিলা দেবী
উত্তরঃ- (গ) সরোজিনী নাইডু ।

৯৭. ‘প্রতাপাদিত্য উৎসব, ও ‘বীরাষ্টমী ব্রত’-র সূচনা করেন-
(ক) সরল দেবী চৌধুরানি
(খ) ঊর্মিলা দেবী
(গ) মৃণালিনী দেবী
(ঘ) কাদম্বরী দেবী
উত্তরঃ- (ক) সরল দেবী চৌধুরানি ।

৯৮. অনুশীলন সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয় – 
(ক) ১৯০১ খ্রিস্টাব্দে 
(খ) ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে 
(গ) ১৯০২ খ্রিস্টাব্দে 
(ঘ) ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে 
উত্তরঃ-  (গ) ১৯০২ খ্রিস্টাব্দে

৯৯. দীপালি সংঘ’-এর প্রতিষ্ঠা হয়-
(ক) ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে
(খ) ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দে
(গ) ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে
(ঘ) ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে
উত্তরঃ- (গ) ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে।

১০০. ‘ভারতে বিপ্লববাদের জনক ‘ নামে পরিচিত হলেন – 
(ক) বাসুদেব বলবন্ত ফাদকে
(খ) ক্ষুদিরাম বসু 
(গ) সতীশচন্দ্র বসু 
(ঘ) বারীন্দ্রকুমার ঘোষ
উত্তরঃ-  (ক) বাসুদেব বলবন্ত ফাদকে

১০১. ‘দীপালি সংঘ’-এর প্রতিষ্ঠাতা-
(ক) বাসন্তী দেবী
(খ) লীলা নাগ (রায়)
(গ) ঊর্মিলা দেবী
(ঘ) বীণা দাস
উত্তরঃ- (খ) লীলা নাগ (রায়) ।



দশম শ্রেণীর ইতিহাস – বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ / (Bis Sotoker Varote Nari, Chatro O Prantik Jonogostir Andolon) (সপ্তম অধ্যায়) সত্য মিথ্যা যাচাই করো । WBBSE Class 10th History 7th Chapter Bish Sotoker Bharote Nari, Chatro O Prantik Jonogostir Andolon Question and Answer True & False 

সত্য মিথ্যা যাচাই করো | True & False Questions and Answers (Class Ten / WBBSE Madhyamik History Ten Chapter)

শূন্যস্থান পূরন করো ; প্রতিটি প্রশ্নের মান -১




দশম শ্রেণীর ইতিহাস – বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ / (Bis Sotoker Varote Nari, Chatro O Prantik Jonogostir Andolon) (সপ্তম অধ্যায়) শূন্যস্থান পূরণ করো । WBBSE Class 10th History 7th Chapter Fill in the blank Bish Sotoker Bharote Nari, Chatro O Prantik Jonogostir Andolon Questions and Answers 

শূন্যস্থান পূরণ করো  | Fill in the blank Questions and Answers (Class Ten / WBBSE Madhyamik History Ten Chapter) 

সত্য / মিথ্যা নির্ণয় করো; প্রতিটি প্রশ্নের মান -১

১. কমলাদেবী ধরসানা সত্যাগ্রহে নেতৃত্ব দেন।
উত্তরঃ-  সত্য

২. বাসন্তীদেবী অসহযোগ আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে কারাবরণ করেন।
উত্তরঃ-  সত্য

৩. চিত্তরঞ্জন দাশ রাখিবন্ধন উৎসব-এর সূচনা করেন।
উত্তরঃ-  মিথ্যা

৪. সূর্য সেন মাস্টারদা নামে পরিচিত ছিলেন।
উত্তরঃ-  সত্য

৫. নমঃশূদ্ররা বাংলার দলিত শ্রেণি।
উত্তরঃ-  সত্য

৬. প্রীতিলতা ভারতের প্রথম মহিলা শহিদ।
উত্তরঃ-  সত্য

৭. বঙ্গভঙ্গের সময় ভারতের ভাইসরয় ছিলেন লর্ড কার্জন।
উত্তরঃ-  সত্য

৮. রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী বঙ্গলক্ষ্মী ব্রতের সূচনা করেন।
উত্তরঃ-  সত্য

৯. সুভাষচন্দ্র বসু অ্যান্টি সার্কুলার সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন।
উত্তরঃ-  মিথ্যা



দশম শ্রেণীর ইতিহাস – বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ / (Bis Sotoker Varote Nari, Chatro O Prantik Jonogostir Andolon) (সপ্তম অধ্যায়) এক কথায় উত্তর দাও । WBBSE Class 10th History 7th Chapter SAQ Madhyamik History Bish Sotoker Bharote Nari, Chatro O Prantik Jonogostir Andolon Question and Answer 

এক কথায় উত্তর দাও | SAQ Questions and Answers (Class Ten / WBBSE Madhyamik History Ten Chapter) 

এক কথায় উত্তর দাও : প্রতিটি প্রশ্নের মান -১


১. বিপ্লবী আন্দোলনে যোগ দিয়ে ‘ফুলতার’ ছদ্মনাম কে গ্রহন করেন ?
উত্তরঃ-  প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার ।

২. লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কে প্রতিষ্টা করেন ?
উত্তরঃ-  সরলাদেবী চৌধুরানী ।

৩. শ্রী নারায়ণ গুরু কোন সম্প্রদায়ের মানুষের কল্যাণের জন্য আন্দোলন শুরু করেন ?
উত্তরঃ-  শ্রী নারায়ণ গুরু দলিত সম্প্রদায়ের মানুষের কল্যাণের জন্য আন্দোলন শুরু করেন । 

৪. বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন কবে শুরু হয় ?
উত্তরঃ-  1905 সালে ।

৫. 1905 সালে বঙ্গভঙ্গ কে কার্য  করেন ?
উত্তরঃ-  লর্ড কার্জন ।

৬. দলিত মিশন সোসাইটি ‘ কে প্রতিষ্ঠা করেন ? 
উত্তরঃ-  দলিত মিশন সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন ভি . আর . শিন্দে । 

৭. স্বদেশি আন্দোলনকালে স্বদেশভূমিকে কার সঙ্গে তুলনা করা হয় ? 
উত্তরঃ-  স্বদেশি আন্দোলনকালে স্বদেশভূমিকে মায়ের সঙ্গে তুলনা করা হয় । 

৮. কোন্ উপন্যাসে স্বদেশভূমিকে দেশমাতা বলে অভিহিত করা হয় ? 
উত্তরঃ-  বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘ আনন্দমঠ ‘ উপন্যাসে স্বদেশভূমিকে দেশমাতা বলে অভিহিত করা হয় । 

৯. ‘ভারতমাতার ’ চিত্রটি কে অঙ্কন করেন ? 
উত্তরঃ-  অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘ ভারতমাতার ’ চিত্রটি অঙ্কন করেন । 

১০. বাসন্তী দেবী কে ছিলেন?
উত্তরঃ-  বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের নেত্রী

১১. দীপালি সংঘ কে প্রতিষ্ঠা করেন ?
উত্তরঃ-  লীলা নাগ ।

১২. রাষ্ট্রীয় স্ত্রী সংঘ কে প্রতিষ্ঠা করেন ?
উত্তরঃ-  সরোজিনী নাইডু ।

১৩. লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ কে প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তরঃ-  সরলাদেবী চৌধুরানী

১৪. আইন অমান্য আন্দোলনে বাংলার গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র কোনটি ছিল ?
উত্তরঃ-  মেদিনীপুর ।

১৫. আইন অমান্য আন্দোলনের সময় গোপনে কে কংগ্রেসের বেতারকেন্দ্র পরিচালনা করেন ?
উত্তরঃ-  উষা মেহতা ।

১৬. বঙ্গভঙ্গের সিদ্ধান্ত কবে কার্যকরী হয়?
উত্তরঃ-  ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের ১৬ অক্টোবর

১৭. উনিশ শতকের নারী উন্নয়নের দুজন প্রধান প্রবক্তা কারা ছিলেন ? 
উত্তরঃ-  উনিশ শতকের নারী উন্নয়নের দুজন প্রধান প্রবক্তা রামমোহন রায় ও ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর । 


১৮. চট্রগ্রাম ইউরোপীয় ক্লাব আক্রমণে কে নেতৃত্ব দেন ?
উত্তরঃ-  প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার ।

১৯. দুটি নারী কল্যাণমূলক সমিতির নাম লেখো । 
উত্তরঃ-  দুটি নারী কল্যাণমূলক সমিতি হল ‘ ভারত স্ত্রী মহামণ্ডল ’ ও দীপালি সংঘ ‘ । 

২০. নারী কর্ম সমিতি কে প্রতিষ্টা করেন ?
উত্তরঃ-  উর্মিলা দেবী

২১. নারী কল্যাণমূলক দুটি সরকারি আইনের নামোল্লেখ করো । 
উত্তরঃ-  নারী কল্যাণমূলক দুটি সরকারি আইন হল সতীদাহ প্রথা রদ আইন এবং বিধবাবিবাহ আইন । 

২২. মায়ের দেওয়া মোটা কাপড়, মাথায় তুলে নে রে ভাই’–এই গানটি কার লেখা?
উত্তরঃ-  রজনীকান্ত সেনের

২৩. বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনে একজন মহিলা নেত্রীর নাম লেখো।
উত্তরঃ-  সরলাদেবী চৌধুরানী

২৪. ধরসানা লবণ সত্যাগ্রহে কে নেতৃত্ব দেন?
উত্তরঃ-  মহাত্মা গান্ধি

২৫. সরলাদেবী চৌধুরানি কে ছিলেন ?
উত্তরঃ-  সরলাদেবী চৌধুরানি ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাগনি , স্বর্ণকুমারী দেবীর কন্যা । 

২৬. ‘ বীরাষ্টমী ব্রত ’ কে প্রবর্তন করেন ? 
উত্তরঃ-  ‘ বীরাষ্টমী ব্রত ’ প্রবর্তন করেন সরলাদেবী চৌধুরানি । 

২৭. প্রতাপাদিত্য উৎসব কে প্রবর্তন করেন ? 
উত্তরঃ-  প্রতাপাদিত্য উৎসব প্রবর্তন করেন সরলাদেবী চৌধুরানি । 

২৮. গান্ধীজির নেতৃত্বে ডাণ্ডী অভিযান কবে শুর হয়?
উত্তরঃ-  ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ১২ মার্চ

 ২৯. লীলা নাগ কে ছিলেন?
উত্তরঃ-  দীপালি সংঘের প্রতিষ্ঠাতা

৩০. স্বদেশি আন্দোলনের সময় ‘ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ’ কে প্রতিষ্ঠা করেন ? 
উত্তরঃ-  স্বদেশি আন্দোলনের সময় ‘ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ’ প্রতিষ্ঠা করেন । সরলাদেবী চৌধুরানি । 

৩১. বঙ্গভঙ্গ কবে কার্যকর হয় ?
উত্তরঃ-  বঙ্গভঙ্গ কার্যকর হয় ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের ১৬ অক্টোবর । 

৩২. কে বঙ্গভঙ্গ কার্যকরের দিন ‘ অরন্ধন ‘ পালনের আহ্বান জানান ? 
উত্তরঃ-  বঙ্গভঙ্গ কার্যকরের দিন ‘ অরন্ধন ’ পালনের আহ্বান জানান রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী । 

৩৩. ভারতের বিপ্লবী আন্দোলনের প্রথম শহিদের নাম কী?
উত্তরঃ-  ক্ষুদিরাম বসু

৩৪. কার্লাইল কে ছিলেন?
উত্তরঃ-  বাংলা সরকারের মুখ্যসচিব

৩৫. কে স্বদেশি আন্দোলনকালে গোপনে বিপ্লবীদের অস্ত্র লুকিয়ে রাখতেন ও সরবরাহ করতেন ? 
উত্তরঃ-  ননীবালা দেবী স্বদেশি আন্দোলনকালে গোপনে বিপ্লবীদের অস্ত্র লুকিয়ে রাখতেন ও সরবরাহ করতেন । 

৩৬. ‘ভারত স্ত্রী মহামণ্ডল ‘ কবে প্রতিষ্ঠিত হয় ? 
উত্তরঃ-  ‘ ভারত স্ত্রী মহামণ্ডল ’ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে । 

৩৭. বঙ্গলক্ষ্মীর ব্রতকথা ‘ কে রচনা করেন ? 
উত্তরঃ-  ‘ বঙ্গলক্ষ্মীর ব্রতকথা ’ রচনা করেন রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী । 

৩৮. অ্যান্টি সার্কুলার সোসাইটি’ কে প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তরঃ-  শচীন্দ্রপ্রসাদ বসু

৩৯. জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী কবে গঠিত হয়?
উত্তরঃ-  ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে

৪০. স্বদেশি আন্দোলনকালে কোনো নারী দেশের জন্য দুঃসাহসিক কাজ করলে কী উপাধি পেতেন ? 
উত্তরঃ-  স্বদেশি আন্দোলনকালে কোনো নারী দেশের জন্য দুঃসাহসিক কাজ করলে ‘ বঙ্গলক্ষ্মী ‘ উপাধি পেতেন । 

৪১. কোন্ কবি বঙ্গনারীকে রেশমি চুড়ি ছাড়ার পরামর্শ দেন ? 
উত্তরঃ-  কবি মুকুন্দ দাস বঙ্গনারীকে রেশমি চুড়ি ছাড়ার পরামর্শ দেন । 

৪২. নারীকল্যাণমূলক দুটি পত্রিকার নাম লেখো । 
উত্তরঃ-  নারীকল্যাণমূলক দুটি পত্রিকা ‘ বামাবোধিনী পত্রিকা ‘ এবং ‘ জয়শ্রী পত্রিকা ‘ । 

৪৩. বাংলার দুটি গুপ্ত সমিতির নাম লেখো।
উত্তরঃ-  যুগান্তর সমিতি ও অনুশীলন সমিতি

৪৪. ইন্ডিয়ান রিপাবলিকান আর্মি কে প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তরঃ-  মাস্টারদা সূর্য সেন

৪৫. কুমুদিনী মিত্র কে ছিলেন ? 
উত্তরঃ-  কুমুদিনী মিত্র ছিলেন স্বদেশি আন্দোলনের নেতা কৃষ্ণকুমার মিত্রের কন্যা । 

৪৬. ‘সুপ্রভাত ‘ পত্রিকাটি কে সম্পাদনা করেন ?
উত্তরঃ-  ‘ সুপ্রভাত ‘ পত্রিকাটি সম্পাদনা করেন কুমুদিনী মিত্র । 

৪৭. ফেডারেশন হলের ভিত্তি করে স্থাপিত হয় ? 
উত্তরঃ-  ফেডারেশন হলের ভিত্তি স্থাপিত হয় ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের ১৬ অক্টোবর । 

৪৮. ‘বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স’ কে প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তরঃ-  হেমচন্দ্র ঘোষ

৪৯.  অলিন্দ যুদ্ধ কখন হয়?
উত্তরঃ-  ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে

৫০. বঙ্গভঙ্গ কালে বিপ্লবীদের আশ্রয় দেওয়ার অপরাধে কে গ্রেফতার হন ? 
উত্তরঃ-  বঙ্গভঙ্গ কালে বিপ্লবীদের আশ্রয় দেওয়ার অপরাধে গ্রেফতার হন ননীবালা দেবী ।

৫১. জাতীয় আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালনকারী দুজন নেত্রীর নাম লেখো ।
উত্তরঃ-  জাতীয় আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালনকারী দুজন নেত্রী সরোজিনী নাইডু ও মুথুলক্ষ্মী রেড্ডি । 

৫২. ভারতের নাইটিঙ্গেল ‘ বা ‘ ভারতের বুলবুল ‘ নামে কে পরিচিত ? 
উত্তরঃ-  সরোজিনী নাইডু ‘ ভারতের নাইটিঙ্গেল ‘ নামে পরিচিত । 

৫৩. মেদিনীপুরের জেলাশাসক বার্জকে কে হত্যা করেন ?
উত্তরঃ-  অনাথ পাঁজা ও মৃগেন দত্ত

৫৪. মাস্টারদা’র প্রকৃত নাম কী?
উত্তরঃ-  সূর্য সেন

৫৫. নারীরা ভোটাধিকার অর্জনের জন্য কবে আন্দোলন করেন ? 
উত্তরঃ-  নারীরা ভোটাধিকার অর্জনের জন্য আন্দোলন করেন ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দের ১৮ ডিসেম্বর । 

৫৬. নারীর ভোটাধিকার আন্দোলনে নেতৃত্ব কে দেন ? 
উত্তরঃ-  নারীর ভোটাধিকার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন সরোজিনী 

৫৭. ভারতের ‘ দেবদাসী প্রথা বিলোপের জন্য কে বিল আনেন ? 
উত্তরঃ-  ভারতের দেবদাসী প্রথা বিলোপের জন্য বিল আনেন মুথুলক্ষ্মী রেড্ডি । 

৫৮.  সত্যশোধক সমিতির মুখপত্রের নাম কী?
উত্তরঃ-  দীন মিত্র

৫৯. আজাদ হিন্দ বাহিনীর নারী সংগঠনের নাম কী?
উত্তরঃ-  ঝাঁসীর রানি

৬০. মুথুলক্ষ্মী রেড্ডি কে ছিলেন ? 
উত্তরঃ-  মুথুলক্ষ্মী রেড্ডি ছিলেন পেশায় চিকিৎসক ও ভারতের প্রথম মহিলা আইনসভার সদস্যা । 

৬১. ব্রিটিশ যুবরাজ বা প্রিন্স অব্ ওয়েলস্ – এর ভারতভ্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী একজন বিখ্যাত নারীর নাম লেখো । 
উত্তরঃ-  ব্রিটিশ যুবরাজ বা প্রিন্স অব্ ওয়েলস্ – এর ভারতভ্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী একজন বিখ্যাত নারী বাসন্তী দেবী ।

৬২. অসহযোগ আন্দোলনকালে ব্রিটিশ শাসনকে কে ‘ শয়তানের শাসনের সঙ্গে তুলনা করেন ? 
উত্তরঃ-  অসহযোগ আন্দোলনকালে ব্রিটিশ শাসনকে শয়তানের শাসনের সঙ্গে তুলনা করেন মহাত্মা গান্ধি । 

৬৩. দক্ষিণের বিদ্যাসাগর’ কাকে বলা হয় ?
উত্তরঃ-  বীরসালিঙ্গম পালুকে

৬৪. জ্যোতিবা ফুলে কে ছিলেন?
উত্তরঃ-  মহারাষ্ট্রে দলিত আন্দোলনের একজন অন্যতম নেতা

৬৫. কারা আলি ভ্রাতৃদ্বয় ‘ নামে পরিচিত ছিলেন ? 
উত্তরঃ-  ‘ আলি ভ্রাতৃদ্বয় ‘ নামে পরিচিত ছিলেন মহম্মদ আলি ও শওকত আলি । 

৬৬. ‘বি – আম্মা ‘ নামে কে পরিচিত ছিলেন । 
উত্তরঃ-  ‘ বি – আম্মা ‘ নামে পরিচিত ছিলেন আবাদি বানু বেগম । 

৬৭. আইন অমান্য আন্দোলনকালে কে ওয়াডালা লবণ কারখানা অভিযানের নেতৃত্ব দেন ? 
উত্তরঃ-  আইন অমান্য আন্দোলনকালে ওয়াডালা লবণ কারখানা অভিযানের নেতৃত্ব দেন কমলাদেরী চট্টোপাধ্যায় । 

৬৮. ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে সর্বভারতীয় দলিত সম্মেলন কোথায় হয়?
উত্তরঃ-  নাগপুরে

৬৯. মহিলা রাষ্ট্রীয় সংঘ ( ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে ) কে প্রতিষ্ঠা করেন । 
উত্তরঃ-  মহিলা রাষ্ট্রীয় সংঘ ( ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে ) প্রতিষ্ঠা করেন লতিকা ঘোষ । 

৭০. আইন অমান্য আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী দুজন বিখ্যাত নারীর নাম লেখো । 
উত্তরঃ-  আইন অমান্য আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী দুজন বিখ্যাত নারী বিজয়লক্ষ্মী পণ্ডিত এবং কমলা দাশগুপ্ত প্রমুখ । 

৭১. আইন অমান্য আন্দোলনে দুজন দলিত নেত্রীর নাম কী ? 
উত্তরঃ-  আইন অমান্য আন্দোলনের দুজন দলিত নেত্রী চম্পুবাঈ ও গোপিকা বাঙ্গ । 

৭২. সর্বভারতীয় নিপীড়িত কংগ্রেস কে প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তরঃ-  বি আর আম্বেদকর

৭৩. সাঁওতাল মহিলারা কীভাবে আইন অমান্য আন্দোলনে অংশ নেন ? 
উত্তরঃ-  সাঁওতাল মহিলারা সরকারি অরণ্য আইন অমান্য করে বনজ সম্পদগুলি একাধারে ধ্বংস করেন । 

৭৪. আগস্ট আন্দোলনের দুজন মহিলা নেত্রীর নাম লেখো ।
উত্তরঃ-  আগস্ট আন্দোলনের দুজন মহিলা নেত্রী সুচেতা কৃপালিনী ও অরুণা আসফ আলি । 

৭৫. দু’জন মুসলিম নেত্রীর নাম লেখো , যাঁরা ভারত ছাড়ো আন্দোলনে অংশ নেন । 
উত্তরঃ-  ‘ ভারত ছাড়ো ‘ আন্দোলনে অংশ নেন রাজিয়া খাতুন ও হালিমা খাতুন । 

৭৬. পুনা চুক্তি কবে স্বাক্ষরিত হয়?
উত্তরঃ-  ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে

৭৭. ‘ভারত ছাড়ো ‘ আন্দোলনের দুজন দলিত নেত্রীর নাম লেখো । 
উত্তরঃ-  ‘ ভারত ছাড়ো ‘ আন্দোলনের দুজন দলিত নেত্রী শাস্তাবাঈ ভালেরাও ও তারাবাঈ কাম্বলে । 

৭৮. ভারত ছাড়ো আন্দোলনকালে নারীদের সংগঠিত করার ক্ষেত্রে দুজন নেত্রীর নাম লেখো । 
উত্তরঃ-  ভারতছাড়ো আন্দোলনকালে নারীদের সংগঠিত করার ক্ষেত্রে দুজন নেত্রী অরুণা আসফ আলি ও সুচেতা কৃপালিনী । 

৭৯. দাস কাকে হত্যার চেষ্টা করেন । 
উত্তরঃ-  বীণা দাস বাংলার গভর্নর স্ট্যানলি জ্যাকসনকে হত্যার চেষ্টা করেন । 

৮০. বীণা দাস কে ছিলেন ?
উত্তরঃ-  বাংলার ছাত্রী সংঘের সদস্যা ও বিপ্লবী । 

৮১. কোন মামলায় ভগৎ সিং – এর ফাঁসি হয় ?
উত্তরঃ-  লাহোর ষড়যন্ত্র মামলায় ফাঁসি হয় । 

৮২. ভয়েস অব ফ্রিডম ‘ কে , কোথায় প্রতিষ্ঠা করেন । 
উত্তরঃ-  ঊষা মেহতা বোম্বাই – এ ‘ ভয়েস অব ফ্রিডম ‘ প্রতিষ্ঠা করেন । 

৮৩. ‘ভয়েস অব ফ্রিডম ‘ কোন্ আন্দোলনের সময় প্রতিষ্ঠিত হয় ? 
উত্তরঃ-  ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় ভয়েস অব ফ্রিডম ‘ প্রতিষ্ঠিত হয় । 

৮৪. সূর্যসেন প্রতিষ্ঠিত বিপ্লবী দলের নাম কী ? 
উত্তরঃ-  সূর্যসেন প্রতিষ্ঠিত বিপ্লবী দলের নাম ইন্ডিয়ান রিপাবলিকান 

৮৫. রশিদ আলি কে ছিলেন? 
উত্তরঃ-  রশিদ আলি ছিলেন ব্রিটিশ সেনাদলের হাতে বন্দি আজাদ হিন্দ বাহিনীর একজন ক্যাপ্টেন । 

৮৬. কলকাতায় ‘ রশিদ আলি দিবস ‘ কবে পালিত হয় । 
উত্তরঃ-  কলকাতায় ‘ রশিদ আলি দিবস ‘ পালিত হয় ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দের ১২ ফেব্রুয়ারি । 

৮৭. সত্যশোধক সমাজ ‘ কে প্রতিষ্ঠা করেন ? 
উত্তরঃ-  সত্যশোধক সমাজ প্রতিষ্ঠা করেন জ্যোতিবা ফুলে । 

৮৮. দলিতদের ‘ হরিজন ‘ নামে কে অভিহিত করেন ?
উত্তরঃ-  দলিতদের ‘ হরিজন ‘ নামে অভিহিত করেন মহাত্মা গান্ধি । 

৮৯. সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা চুক্তি ( ১৯৩২ খ্রি . ) কে প্রবর্তন করেন ? 
উত্তরঃ-  সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা চুক্তি ( ১৯৩২ খ্রি . ) প্রবর্তন করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী র‍্যামসে ম্যাকডোনাল্ড । 

৯০. গান্ধির কাছে ‘ হরিজন ‘ কথার অর্থ কী ?
উত্তরঃ-  গান্ধির কাছে হরিজন কথার অর্থ ছিল ঈশ্বরের সন্তান ।


দশম শ্রেণীর ইতিহাস – বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ / (Bis Sotoker Varote Nari, Chatro O Prantik Jonogostir Andolon) (সপ্তম অধ্যায়)" সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর" । WBBSE Class 10th History 7th Chapter SAQ Questions and Answers 

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর | SAQ Questions and Answers (Class Ten / WBBSE Madhyamik History Ten Chapter) 

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর; প্রতিটি প্রশ্নের মান -২/৩/৪ 

১. আইন অমান্য আন্দোলনে বাংলার নারীদের কর্মসূচি কী ছিল ? 
উত্তরঃ-  আইন অমান্য আন্দোলনকালে বাংলার নারীদের কর্মসূচির বিভিন্ন দিক হল— প্রথমত , মেদিনীপুরের ঘাটাল , কাথি , তমলুক প্রভৃতি স্থানের নারীরা সরকারি আইন অমান্য করে লবণ প্রস্তুত ও তা বিক্রয়ের ব্যবস্থা করে । দ্বিতীয়ত , জাতীয়তাবাদী ভাবধারার প্রসার ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার পাশাপাশি নারীশিক্ষার প্রসার , গ্রামীণ শিল্পের বিকাশ ও অস্পৃশ্যতা দূরীকরণ কর্মসূচির ওপরেও নারীরা গুরুত্ব আরোপ করে । 


২. বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনে সরলাদেবী চৌধুরানির ভূমিকা কীরূপ ছিল ? 
উত্তরঃ-  বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনে সরলাদেবী চৌধুরানির ভূমিকা হল প্রথমত , নিজে এই আন্দোলনে অংশগ্রহণের পাশাপাশি ‘ ভারতী পত্রিকায় বিভিন্ন প্রবন্ধ প্রকাশের মাধ্যমে নারীশক্তিকে উজ্জীবিত করতে সচেষ্ট হন । দ্বিতীয়ত , ‘ বীরাষ্টমী ব্রত ’ , ‘ প্রতাপাদিত্য ব্রত ’ , ‘ উদয়াদিত্য ব্রত ’ প্রচলনের মাধ্যমে বাঙালি যুবকদের লাঠিখেলা , কুস্তি , তরবারি খেলা , শরীরচর্চায় উৎসাহ দান করেন । 

সরলাদেবীর অবদান – সরলাদেবী যেভাবে জাতীয় আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন তা হল –

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার – বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনের পূর্বেই তিনি ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান গঠন করেন। বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনের সময় স্বদেশি দ্রব্যের উৎপাদন ও ব্যবহার প্রচারকল্পে এই প্রতিষ্ঠানকে কাজে লাগানো হয়।

প্রতাপাদিত্য উৎসব – বঙ্গভঙ্গ বাস্তবায়নের পর তিনি ১ বৈশাখ তারিখে ‘প্রতাপাদিত্য উৎসব’ – এর প্রচলন করেন। এই উৎসবের অঙ্গ ছিল মোগল শাসন বিরোধী বাঙালি বীর প্রতাপাদিত্যের জীবনী পাঠ, কুস্তি ও তলোয়ার, বক্সিং ও লাঠি চালনা।

জাতীয়তার আদর্শ প্রচার – বঙ্গভঙ্গের পূর্বেই তিনি ‘ভারতী’ নামক পত্রিকায় তার লেখনীর মাধ্যমে জাতীয়তার আদর্শ প্রচার করেন। এর পাশাপাশি তিনি ইংরেজদের হাতে নিগৃহীত ভারতীয়দের তৎক্ষণাৎ প্রতিবাদ জানানোর ঘটনাও তুলে ধরেন।

নারী সংগঠন প্রতিষ্ঠা – ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের এলাহাবাদ অধিবেশনকালে (১৯১০ খ্রি.) তিনি একটি নিখিল ভারত মহিলা সম্মেলন আহ্বান করেন। এই সম্মেলনের উদ্যোগেই প্রতিষ্ঠিত হয় ভারত-স্ত্রী-মহামণ্ডল নামক নারী সংগঠন।

উপসংহার – এভাবে দেখা যায় যে, সরলাদেবী চৌধুরানি বঙ্গভঙ্গের পূর্বে ও বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনকালে নারী জাগরণ ও জাতি জাগরণের ক্ষেত্রে ছিলেন এক উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব।

৩. বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনকালে সরলাদেবী চৌধুরানির ভূমিকা কী ছিল?
উত্তরঃ-  
ভূমিকা – বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনকালে যেসমস্ত নারী বিশেষ ভূমিকা পালন করেন তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাগনি তথা স্বর্ণকুমারী দেবীর কন্যা সরলাদেবী চৌধুরানি।


৪. ননীবালা দেবী বিখ্যাত কেন ? অথবা , স্বাধীনতা আন্দোলনে ননীবালা দেবী স্মরণীয় কেন ? 
উত্তরঃ-  অমরেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের মেজো পিসি ননীবালা দেবী বিখ্যাত , কারণ— প্রথমত , বঙ্গভঙ্গ – বিরোধী আন্দোলনকালে বিপ্লবীদের আশ্রয়দান ও গোপনে অস্ত্র সরবরাহ করার অপরাধে তাঁকে ব্রিটিশ সরকার আটক করে । দ্বিতীয়ত , তাঁর ওপর অকথ্য নির্যাতন চালিয়েও পুলিশ তাঁর কাছ থেকে বিপ্লবীদের কোনো গোপন তথ্য আদায় করতে পারেনি । তৃতীয়ত , এভাবে তিনি দেশভক্তির যে আদর্শ প্রতিষ্ঠা করেন তা পরবর্তীকালে বিপ্লবী আন্দোলনে উৎসাহ সঞ্চার করে । 

৫. অসহযোগ আন্দোলনে নারীর অংশগ্রহণের প্রকৃতি বিশ্লেষণ করো।
উত্তরঃ-  
ভূমিকা – ভারতের জাতীয় আন্দোলনের ইতিহাসে প্রথম সর্বভারতীয় জাতীয় আন্দোলন ছিল অসহযোগ-খিলাফৎ আন্দোলন (১৯২০-২২ খ্রি.)। এই আন্দোলনের পরিধি ছিল বড়ো এবং একারণেই এই আন্দোলনে নারীদের অংশগ্রহণও বৃদ্ধি পায়।

অসহযোগ আন্দোলনে নারীদের অংশগ্রহণ – অসহযোগ আন্দোলনে নারীদের অংশগ্রহণের বিভিন্ন দিকগুলি হল —

বয়কট ও স্বদেশি – মহাত্মা গান্ধি প্রাথমিকভাবে নারীদের সীমিত কর্মসূচিতে অর্থাৎ বিদেশি দ্রব্য বয়কট ও স্বদেশি দ্রব্য গ্রহণের জন্য যোগ দিতে আহ্বান জানান। তাঁর এই আহ্বানে ভারতের হাজার হাজার নারী যোগদান করে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নারীরা পিকেটিং – এ অংশগ্রহণ করেন। এ প্রসঙ্গে সরোজিনী নাইডু, কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ নারীর নাম উল্লেখ্য।

বিক্ষোভ কর্মসূচি – ১৯২১ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বর – এ ‘প্রিন্স অব ওয়েলস’ বা ইংল্যান্ডের যুবরাজ ভারত সফরে এলে বোম্বাই ও কলকাতা শহরে নারী বিক্ষোভের সৃষ্টি হয়। কংগ্রেস নেতা চিত্তরঞ্জন দাসের স্ত্রী বাসন্তী দেবী ও তাঁর বোন উর্মিলা দেবী প্রকাশ্য রাজপথে যুবরাজ বিরোধী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করলে তাঁদের জেলবন্দি করা হয়।

গঠনমূলক কর্মসূচি – শহরের বেশ কয়েকজন নেত্রী গ্রামে গিয়ে অসহযোগ আন্দোলনকে সফল করার জন্য প্রচার চালান। এ ছাড়া বিভিন্ন গঠনমূলক কর্মসূচি, যেমন — চরকায় সুতো কাটা ও কাপড় বোনার জন্য উৎসাহিত করা হয়।

নারী সংগঠন – অসহযোগ আন্দোলনের পূর্বেই সরোজিনী নাইডুর নেতৃত্বে ‘ভারতীয় মহিলা সমিতি’ গড়ে উঠেছিল। অনুরূপভাবে অসহযোগ আন্দোলনকালে কলকাতায় ‘কর্মমন্দির’, ‘নারী-সত্যাগ্রহ সমিতির’ মাধ্যমে মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের নারীরা সভাসমিতি, পিকেটিং-এ অংশগ্রহণ করেন।

উপসংহার – অসহযোগ আন্দোলনে নারীর অংশগ্রহণ ছিল সীমিত। এই আন্দোলনে মুসলমান নারীদের যোগদান ছিল অত্যন্ত অল্প। তবে অসহযোগ আন্দোলনের মাধ্যমে গ্রামীণ নারীদের মধ্যে গঠনমূলক কাজের প্রসার ঘটে।

৬. বঙ্কিমচন্দ্রের রচনা ও অবনীন্দ্রনাথের ‘ ভারতমাতা’র মাধ্যমে ভারতের নারীসমাজের কোন্‌দিক ফুটে উঠেছিল ? 
উত্তরঃ-  বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তাঁর রচিত ‘ আনন্দমঠ ‘ উপন্যাসে দেশকে দেশমাতারূপে উপস্থাপন করেন । তিনি তাঁর অন্যান্য কয়েকটি উপন্যাসে নারীমহিমাকেও তুলে ধরেন । অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর অঙ্কিত ‘ ভারতমাতা ‘ ছবিতে ভারতমাতাকে দেবী ও মানবীরূপে চিহ্নিত করে নারী মহিমাকে তুলে ধরেন । 

৭. স্বদেশি আন্দোলনে নারীদের অংশগ্রহণের বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণ করো।
উত্তরঃ-  
ভূমিকা – বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনকালে পুরুষদের পাশাপাশি বাংলার নারীসমাজও অংশগ্রহণ করে। তবে তা অধিকাংশ ক্ষেত্রে সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল না, বরং তা ছিল সহযোগীর ভূমিকা।

স্বদেশি আন্দোলনে নারীদের অংশগ্রহণের বিভিন্ন দিক – বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনে নারী সমাজের অংশগ্রহণের উল্লেখযোগ্য দিকগুলি হল —

কর্মসূচির বাস্তবায়ন – বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনের একটি কর্মসূচি ছিল বিদেশি দ্রব্য বয়কট ও স্বদেশি দ্রব্য ব্যবহার। তাই শহরের নারীদের অনেকেই বিদেশি বস্ত্র, চুড়ি বর্জন করে এবং দেশি বস্ত্র ও দ্রব্য ব্যবহার শুরু করে।

অরন্ধন দিবস পালন – বঙ্গভঙ্গ কার্যকর হওয়ার দিনে (১৬ অক্টোবর, ১৯০৫) কলকাতার নারী সমাজের এক বড়ো অংশ রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদীর আহ্বানে ‘অরন্ধন কর্মসূচি’ পালন করে। এভাবে বঙ্গভঙ্গকে নারীরা‘জাতীয় শোক’ – এর পর্যায়ে উন্নীত করে।

বিপ্লবী আন্দোলন – বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনের একটি পর্যায়ে গুপ্ত পথে বিপ্লবী আন্দোলনের সূচনা হয়। বিপ্লবীদের আশ্রয়দান করে, গোপনে সংবাদ ও অস্ত্র সরবরাহ করে বেশ কিছু নারী এই আন্দোলনে অংশ নেয়। এ প্রসঙ্গে বিপ্লবী অমরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মেজোপিসি ননীবালা দেবীর নাম উল্লেখ্য।

মতাদর্শ সজ্ঞার – বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনকালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাগনি সরলাদেবী চৌধুরানি ‘ভারতী’ পত্রিকায় প্রবন্ধ প্রকাশের মাধ্যমে নারী শক্তিকে উজ্জীবিত করে তোলেন। এ ছাড়া বীরাষ্টমী ব্রত’, ‘প্রতাপাদিত্য ব্রত’ চালু করেন।

উপসংহার – এভাবে দেখা যায়, বঙ্গভঙ্গকালে নারীদের অংশগ্রহণ ছিল পরোক্ষ এবং তা ছিল ঘরোয়া অর্থাৎ ঘরে বসেই আন্দোলনে অংশগ্রহণ।

৮. বঙ্গভঙ্গ – বিরোধী আন্দোলনকালে নারীসমাজের অংশগ্রহণের ধরন কী ছিল ?
উত্তরঃ-  বঙ্গভঙ্গ – বিরোধী আন্দোলনকালে নারীসমাজের অংশগ্রহণের ধরনগুলি হল প্রথমত , প্রকাশ্য রাজনীতিতে অংশগ্রহণ না করেও ঘরের ভেতরে থেকেই নারীরা এই আন্দোলনে যোগ দেয় । দ্বিতীয়ত , বিদেশি বস্তু বর্জন ও পোড়ানো , দেশি কাপড়ের প্রচলন , অরন্ধন দিবস পালন প্রভৃতি কর্মসূচিতে নারীরা যোগ দেয় । তৃতীয়ত , বিপ্লবীদের আশ্রয়দান , গোপনে সংবাদ ও অস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমেও নারীরা আন্দোলনে অংশ নেয় । 

৯. আইন অমান্য আন্দোলনে নারী সমাজের অংশগ্রহণ কেমন ছিল তা বিশ্লেষণ করো।
উত্তরঃ-  
ভূমিকা – অসহযোগ আন্দোলন অপেক্ষা আইন অমান্য আন্দোলনকালে (১৯৩০-৩৪ খ্রি.) তুলনামূলকভাবে নারীর যোগদান ছিল অধিক। গান্ধিজি লবণকে আইন অমান্যের বিষয়ে পরিণত করে নারীদের কাছে এই আন্দোলন আকর্ষণীয় করে তুলতে চেয়েছিলেন।

আইন অমান্য আন্দোলনে নারী সমাজের যোগদান – আইন অমান্য আন্দোলনে নারীদের যোগদানের উল্লেখযোগ্য দিক হল –

লবণ আইন ভঙ্গ – ডান্ডিতে মহাত্মা গান্ধির লবণ আইন অমান্যকালে অনেক নারী যোগদান করেন ও লবণ আইন ভঙ্গ করেন। এরপর ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে হাজার হাজার নারী লবণ আইন ভঙ্গ শুরু করে দেয়। সরোজিনী নাইডুর নেতৃত্বে “ধরসানা লবণ গোলা অভিযান’ সম্পন্ন হয়।

বিক্ষোভ কর্মসূচি – লবণ আইন ভঙ্গের পাশাপাশি বিদেশি বস্ত্র ও মদের দোকানের সামনে পিকেটিং-এ নারীরা অংশ নেয়। এর পাশাপাশি বোম্বাই, এলাহাবাদ, লাহোর, দিল্লি প্রভৃতি শহরে নারীরা প্রকাশ্যে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেয়। এমনকি সম্ভ্রান্ত পরিবারের নারীরাও এই বিক্ষোভে অংশ নেয়।

কৃষক-নারীদের অংশগ্রহণ – আইন অমান্য আন্দোলনে কৃষক পরিবারের নারীদের অংশগ্রহণ আন্দোলনকে ভিন্ন মাত্রায় পৌঁছে দেয়। মেদিনীপুরের ঘাটাল, কাঁথি, তমলুক প্রভৃতি স্থানের কৃষক নারীরা পুলিশের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে লবণ প্রস্তুত ও বিক্রয় করে।

নারী সংগঠনের যোগদান – এই আন্দোলনে বিভিন্ন নারী সংগঠন যোগ দিয়েছিল। এদের মধ্যেই বোম্বাইয়ের ‘দেশ সেবিকা সংঘ’, বাংলার ‘মহিলা রাষ্ট্রীয় সংঘ’, কলকাতার ‘ছাত্রী সংঘ’ ছিল উল্লেখযোগ্য।

উপসংহার – আইন অমান্য আন্দোলনকালে ভারতের নারী সমাজের যোগদানের প্রকৃতি ভারতজুড়ে একইরকম ছিল না। ঐতিহাসিক শেখর বন্দ্যোপাধ্যায় দেখিয়েছেন যে, অংশগ্রহণের দিক থেকে বোম্বাইয়ের আন্দোলন ছিল সবচাইতে সংগঠিত, বাংলার আন্দোলন ছিল উগ্র এবং মাদ্রাজের নারীদের অংশগ্রহণ ছিল সীমিত।



১০. ‘অরন্ধন দিবস ‘ কে , কবে প্রবর্তন করেন । এর উদ্দেশ্য কী ছিল ? 
উত্তরঃ-  বৈজ্ঞানিক ও প্রাবন্ধিক রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী , ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের ১৬ অক্টোবর অরন্ধন দিবস পালনের প্রস্তাব দেন । এর উদ্দেশ্য ছিল প্রথমত , বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে তিনি বাংলার মহিলাদের রন্ধনকার্য থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো । দ্বিতীয়ত , অরন্ধন দিবস পালনের মাধ্যমে বঙ্গভঙ্গের বিষয়টি ‘ জাতীয় শোক ’ – এ পরিণত করতে চেয়েছিলেন । 

১১. ভারতছাড়ো আন্দোলন পর্বে নারীদের অংশগ্রহণ আলোচনা করো।
উত্তরঃ-  
ভূমিকা – ভারতছাড়ো আন্দোলন ছিল স্বাধীনতা আন্দোলনের শেষ বৃহৎ গণ আন্দোলন। এই আন্দোলনে নারীর অংশগ্রহণ ও জাতীয় আন্দোলনে তাদের ভূমিকা অধিকতর স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল।

ভারতছাড়ো আন্দোলন পর্বে নারীর যোগদান – ভারতছাড়ো আন্দোলনে নারীদের যোগদান আইন অমান্য আন্দোলনের ন্যায় পরিকল্পিত ও কর্মসূচিভিত্তিক ছিল না। তথাপি নারীরা যেভাবে যোগদান করে তা হল —

মধ্যবিত্ত নারীর যোগদান – এই আন্দোলনে স্কুলকলেজের ছাত্রীরা যোগদান করেছিল। আবার শিক্ষিত মধ্যবিত্ত নারীরা প্রকাশ্য ও গোপন দু’ধরনের আন্দোলনে যুক্ত হয়েছিল। যেমন — ঊষা মেহতা বোম্বাইয়ে গোপন রেডিয়ো কেন্দ্র গড়ে তুলে গান্ধির ‘করেঙ্গে ইয়া মরেঙ্গে’ আদর্শ সহ জাতীয় আদর্শ প্রচার করতেন।

নারীদের সংগঠন – নারীদের সংগঠিত করার ক্ষেত্রে অরুণা আসফ আলি ও সুচেতা কৃপালিনীর ভূমিকা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। অরুণা আসফ আলি গোপনে জাতীয় আন্দোলন গড়ে তুলতে সচেষ্ট হন। ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে ৯ আগস্ট তিনি বোম্বাই – এর আগস্ট ক্রান্তি ময়দানে তেরঙ্গা পতাকা উত্তোলন করেন।

মাতঙ্গিনী হাজরা – ভারতছাড়ো আন্দোলনে অসীম বীরত্ব ও সাহসিকতা প্রদর্শনের জন্য মেদিনীপুরের মাতঙ্গিনী হাজরা ইতিহাসের পাতায় অমর হয়ে আছেন। তিনি মেদিনীপুরের তমলুক থানা দখল অভিযানের জন্য গড়ে ওঠা একটি মিছিলের নেতৃত্ব দেন। তিনি পুলিশের গুলিতে জখন হন ও শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

ভগিনী সেনা : ভারতছাড়ো আন্দোলনকালে বাংলার মেদিনীপুরে ‘তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার’ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি গ্রামীণ মহিলারা ব্রিটিশ বিরোধী প্রতিরোধ সংগ্রাম চালানোর জন্য নারী সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে। এইরূপ সংগঠন ‘ভগিনী সেনা’ নামে পরিচিত। ভগিনী সেনার অনেক নারী জেলবন্দি হন ও ৮৪ জনেরও বেশি নারী ধর্ষিতা হন।

উপসংহার – এভাবে দেখা যায় যে, ভারতছাড়ো আন্দোলনকালে বাংলা, বোম্বাই, আসাম, পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট, কর্ণাটকের হাজার হাজার নারী অংশগ্রহণ করেছিল। এই সমস্ত নারীদের অধিকাংশই কংগ্রেস দলের নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত ছিল। তুলনামূলকভাবে কংগ্রেস সোশ্যালিস্ট পার্টি এই সময় আন্দোলনের নেতৃত্বে এগিয়ে এসেছিল। তবে এই আন্দোলনে বামপন্থী মনোভাবাপন্ন ও কমিউনিস্ট দলের নারী সদস্যদের যোগদান ছিল সীমিত।

১২. বঙ্গলক্ষ্মীর ব্রতকথা – য় কী বলা হয়েছিল ? 
উত্তরঃ-  বঙ্গলক্ষ্মীর ব্রতকথা – য় বলা হয়েছিল প্রথমত , স্বদেশি আন্দোলনে নারীদের সমর্থন লাভের উদ্দেশ্য ‘ মা লক্ষ্মী ’ – কে রূপক হিসেবে ব্যবহার করে । বলা হয় , বঙ্গভঙ্গের কারণেই ‘ মা লক্ষ্মী ’ দেশত্যাগ করেছেন । দ্বিতীয়ত , রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী বঙ্গলক্ষ্মীর ব্রতকথা -য় লেখেন ‘ বাংলার লক্ষ্মীমন্ত মেয়েরাই বাংলার লক্ষ্মীকে ফিরিয়ে আনতে পারেন । 

১৩.। দীপালি সংঘ – টীকা লেখো।
অথবা, দীপালি সংঘ সম্পর্কে যা জানো লিখো। 
উত্তরঃ-  
ভূমিকা – বিশ শতকে ভারতে জাতীয় আন্দোলনে নারী জাতির জাগরণ ও অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে যে সমস্ত বিপ্লবী নারী ও সংগঠন বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিল তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল দীপালি সংঘ।

প্রতিষ্ঠা – বাংলার বিপ্লবী লীলা রায় ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে ঢাকায় দীপালি সংঘ প্রতিষ্ঠা করেন। এই সংঘ প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য ছিল —

নারী শিক্ষার প্রসার ও নারীদের আধুনিক করে তোলা এবং
বিপ্লবী আন্দোলনের জন্য নারীদের প্রশিক্ষিত করা।
দীপালি সংঘের কর্মসূচি – দীপালি সংঘের কার্যকলাপের উল্লেখযোগ্য দিকগুলি হল —

নারীশিক্ষা – এই সংঘের প্রচেষ্টায় ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে নারীশিক্ষা মন্দির নামক বালিকা বিদ্যালয়সহ ১২টি অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বয়স্কা শিক্ষাকেন্দ্র গড়ে ওঠে।

দীপালি সংঘের কর্মসূচি – ভারতের মুক্তিযুদ্ধের উপযুক্ত যোদ্ধা তৈরির করার উদ্দেশ্যে মেয়েদের জন্য নানা কর্মসূচি গৃহীত হয়। লাঠিখেলা, শরীরচর্চা ও অস্ত্র চালানোর শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করা হয়। এই ধরনের কর্মসূচি মহিলাদের সাহস ও শক্তিবৃদ্ধির সহায়ক হয়ে ওঠে।

বৈপ্লবিক আদর্শ সঞ্চার – নারী প্রগতি আন্দোলনের পুরোধা লীলা রায় তরুণীদের বৈপ্লবিক আদর্শে উদ্বুদ্ধ করে তোলেন। সংগঠন নির্মাণ, অস্ত্রশস্ত্র জোগাড়, বৈপ্লবিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা প্রভৃতি বিভিন্ন বিষয়ে তিনি মহিলাদের প্রশিক্ষণ দেন। দীপালি সংঘ হয়ে ওঠে মহিলা বিপ্লবীদের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র।

উপসংহার – দীপালি সংঘ বাংলার নারী সমাজের ইতিহাসে দ্বিবিধ প্রভাব বিস্তার করেছিল, যথা- প্রথমত, শিক্ষার প্রসারের মাধ্যমে নারী জাতির আধুনিকীকরণ এবং দ্বিতীয়ত, দীপালি সংঘ হয়ে ওঠে বাংলার নারী বিপ্লবী আন্দোলনের প্রধান প্রতিষ্ঠান।

১৪. কোন্ দুটি উৎসবের অনুসরণে সরলাদেবী তাঁর স্বদেশি উৎসব দুটির পরিকল্পনা করেন ? 
উত্তরঃ-  সরলাদেবী চৌধুরানি ‘ বীরাষ্টমী ব্রত ’ ও ‘ প্রতাপাদিত্য উৎসব ‘ নামে দুটি স্বদেশি উৎসবের প্রচলন করেন । মহারাষ্ট্রের বালগঙ্গাধর তিলকের ‘ শিবাজি উৎসব ’ ও ‘ গণপতি উৎসব ’ – এর অনুসরণে সরলাদেবী তাঁর স্বদেশি উৎসব দুটির পরিকল্পনা করেন । 

১৫. প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার – টীকা লেখো।
অথবা, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার সম্পর্কে যা জানো লিখো। 
উত্তরঃ-  
ভূমিকা – বিশ শতকে ভারতের বিপ্লববাদের ইতিহাসে নারী বিপ্লবীদেরও অবদান ছিল এবং এক্ষেত্রে সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য ছিল প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার (১৯১১-১৯৩২)।

প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার পরিচয় – প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার (১৯১১-১৯৩২ খ্রিস্টাব্দ) ছিলেন বাংলার অন্যতম নারী বিপ্লবী ও শহিদ। প্রীতিলতা দীপালি সংঘের একজন সভ্যা ছিলেন। সেখান থেকেই তিনি বিপ্লবের আদর্শে অনুপ্রাণিত হন। ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে তিনি বিপ্লবী নেতা সূর্য সেনের প্রভাবে আসেন। চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের নেতা সূর্য সেনের সহকারিণী ছিলেন প্রীতিলতা। ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে তিনি চট্টগ্রামে নন্দন-কানন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা হন।

ইউরোপীয় ক্লাব আক্রমণ – ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দের ২৪ সেপ্টেম্বর প্রীতিলতার নেতৃত্বে এক বিদ্রোহী দল পাহাড়তলি ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণ করে। তাদের বোমা ও গুলিতে অনেক ইউরোপীয় আহত হন। প্রীতিলতা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার আগে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন ও শহিদ হন। জীবনের শেষক্ষণ পর্যন্ত প্রীতিলতা নিজের কর্তব্যবোধ সম্পর্কে সচেতন ছিলেন। মৃত্যুর আগে তিনি নিজের সহযোদ্ধাদের নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন।

উপসংহার – প্রীতিলতা তাঁর মৃত্যুকালে একটি ইচ্ছাপত্র রেখে যান এবং এখানে পুরুষদের পাশাপাশি নারীদেরকে বিপ্লবী আন্দোলনে আরও বেশি সুযোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদারের মতে, দেশের যুবক-যুবতীদের বিপ্লবী আন্দোলনে অংশগ্রহণের জন্য উৎসাহ দান করাই ছিল তার আত্মত্যাগের মহান উদ্দেশ্য। বাস্তবেও দেখা যায় যে, তাঁর আত্মত্যাগ আরও হাজার হাজার তরুণ-তরুণীকে বিপ্লববাদের আদর্শে অনুপ্রাণিত করে তোলে।


১৬. কে , কবে , কোথায় মিলন মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন ? মিলন মন্দির স্থাপনের উদ্দেশ্য কী ছিল ? 
উত্তরঃ-  শীর্ষ স্থানীয় নেতা আনন্দমোহন বসু ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের ১৬ অক্টোবর কলকাতার আপার সার্কুলার রোডে মিলন মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন । হিন্দু – মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐক্য স্থাপনের উদ্দেশ্যে মিলন মন্দির – এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন । 

১৭. আজাদ হিন্দ ফৌজের নারী বাহিনী – টীকা লেখো।
অথবা, আজাদ হিন্দ ফৌজের নারী বাহিনী সম্পর্কে বর্ণনা দাও। 
উত্তরঃ-  
ভূমিকা – বিশ শতকে ভারতীয় নারী জাতীয় আন্দোলনের মূল ধারার সঙ্গে সঙ্গে বিপ্লবী আন্দোলনেও যুক্ত হয়। এমনকি দেশের মুক্তির জন্য আজাদ হিন্দ ফৌজের নারী বাহিনীর সেনারূপেও যোগ দেয়।

গঠন – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে সুভাষচন্দ্র বসু ভারতের বাইরে থেকে সশস্ত্র অভিযানের মাধ্যমে ভারতের মুক্তির পরিকল্পনা করেন। এই উদ্দেশ্যে তিনি ‘আজাদ হিন্দ ফৌজ’ ও ‘আজাদ হিন্দ সরকার’ গঠন করেন। আজাদ হিন্দ ফৌজের সঙ্গে তিনি একটি নারী বাহিনী যুক্ত করেন (১৯৪৩ খ্রি.), যা ‘ঝাঁসির রানি ব্রিগেড’ নামে পরিচিত।

বাহিনীর বৈশিষ্ট্য – ঝাঁসির রানি বিগ্রেডের বেশ কয়েকটি বৈশিষ্ট্য বা দিককে চিহ্নিত করা যায়, যথা —

নেতৃত্ব – ঝাঁসির রানির বিগেডের প্রধান ছিলেন বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী ও সমাজসেবী আম্মু স্বামীনাথনের কন্যা লক্ষ্মী স্বামীনাথন। তিনি ছিলেন মহিলা ডাক্তার।

সেনা সদস্য – এই বাহিনীর সদস্যসংখ্যা ছিল ১৫০০ এবং এঁরা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে এসেছিলেন। এই বাহিনীর সমন্বয়েই গঠিত হয় আজাদ হিন্দ বাহিনীর ‘আত্মাহুতি শাখা’ বা ‘সুইসাইড স্কোয়াড’।

প্রশিক্ষিত বাহিনী – নারী বাহিনীকে যুদ্ধের কলাকৌশলে প্রশিক্ষিত করা হয়। ফলে এই বাহিনী ছিল পূর্ণ প্রশিক্ষিত বাহিনী।

কার্যকলাপ – ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে আজাদ হিন্দ বাহিনীর ইম্ফল অভিযানে এই বাহিনীকে যুদ্ধে পাঠানো হয়। এভাবে ঝাঁসির রানি ব্রিগেডের নারী সেনারা যুদ্ধক্ষেত্রে পুরুষদের সঙ্গে অংশগ্রহণ করে এক অনন্য নজির স্থাপন করে।

১৮. অসহযোগ আন্দোলনের কর্মসূচি কী ছিল ? 
উত্তরঃ-  ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় অনুষ্ঠিত কংগ্রেসের বিশেষ অধিবেশনে ( আগস্ট ) অসহযোগ আন্দোলনের প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার পর মহাত্মা গান্ধি আন্দোলনকে সফল করতে দু’ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করেন , যথা — ইতিবাচক ও নেতিবাচক কর্মসূচি । ইতিবাচক কর্মসূচির প্রধান প্রধান দিকগুলি ছিল— 
( ১ ) চরকা ও তাঁত ব্যবহার করে দেশীয় সুতায় কাপড় বুনন ; 
( ২ ) অস্পৃশ্যতা দুরীকরণ ; 
( ৩ ) পঞ্চায়েতিরাজ প্রতিষ্ঠা ; ( ৪ ) সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা এবং 
( ৫ ) এক কোটি স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গঠন ও এক কোটি টাকার তিলক স্মৃতি তহবিল গঠন । 

নেতিবাচক কর্মসূচির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল— 
( ১ ) ব্রিটিশ সরকারের অফিস , আদালত বৰ্জন ; 
( ২ ) সমস্ত সরকারি উপাধি , খেতাব ও অনুষ্ঠান বর্জন ; 
( ৩ ) সরকারি স্কুল – কলেজ সহ কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক আইনসভা বর্জন এবং 
( ৪ ) বিদেশি বস্ত্র বর্জন ও মদ্যপান বর্জন । 

১৯. বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনে ছাত্রসমাজের ভূমিকা কী ছিল তা বিশ্লেষণ করো।
উত্তরঃ-  
ভূমিকা – উনিশ শতকের শেষে ছাত্রসমাজ বিবেকানন্দের ‘জাতীয়তাবাদী আদর্শ ও বঙ্কিমচন্দ্রের ‘বন্দে মাতরম’ মন্ত্র দ্বারা দ্বারা উদ্বুদ্ধ হয়েছিল এবং বিশ শতকের প্রথমে বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিল।

বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদের ভূমিকা – বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদের অংশগ্রহণের বিভিন্ন দিক হল —

বয়কট আদর্শ প্রচার – বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম আদর্শ ছিল ‘বয়কট’ বা বিদেশি দ্রব্য ও আদর্শ বর্জন। বাংলার ছাত্ররা এই আদর্শ প্রচার ও প্রসারে বিশেষভাবে সাহায্য করেছিল।

সভাসমিতি – বঙ্গভঙ্গকালে ছাত্ররা বিভিন্ন সভা-সমিতিতে যোগদান করে। এ প্রসঙ্গে ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের ১৭ ও ১৮ জুলাই রিপন কলেজের ছাত্র সমাবেশ এবং ৩১ জুলাই কলকাতার সব কলেজগুলির ছাত্র সমাবেশের কথা বলা যায়।

স্বদেশি দ্রব্য বিক্রয় – স্বদেশি আদর্শ ও স্বদেশি দ্রব্যের প্রচারের ক্ষেত্রেও ছাত্রদের অবদান ছিল। ছাত্ররা বাংলার বিভিন্ন স্থানে ৭৫টি শাখার মাধ্যমে দেশীয় পণ্যসামগ্রী বিক্রয় করত।

অ্যান্টি সার্কুলার সোসাইটি – বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলন থেকে স্কুলকলেজের ছাত্রদের দূরে রাখতে কার্লাইল সার্কুলার, পেডলার সার্কুলার, লিয়ন সার্কুলার জারি করা হয়। এর প্রতিবাদে শচীন্দ্রপ্রসাদ বসু অ্যান্টি সার্কুলার সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন (৪ নভেম্বর, ১৯০৫ খ্রি.)। শাস্তিপ্রাপ্ত ও বহিষ্কৃত ছাত্রদের শিক্ষার ব্যবস্থা করাই ছিল এর প্রধান লক্ষ্য।

উপসংহার – বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদের যোগদান ছিল বাংলাকেন্দ্রিক। বাংলার বাইরের ছাত্ররা এই আন্দোলনে যোগ দেয়নি। সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, এই আন্দোলনকালে ছাত্ররা ‘স্বনিয়োজিত প্রচারক’ – এর ভূমিকা পালন করেছিল।


২০. কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায় স্মরণীয় কেন ? 
উত্তরঃ-  কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায় স্মরণীয় , কারণ প্রথমত , জাতীয় কংগ্রেসের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত বিশিষ্ট নেত্রী ছিলেন কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায় ( ১৯০৩-১৯৮৮ খ্রি . ) । দ্বিতীয়ত , আইন অমান্য আন্দোলনকালে তার নেতৃত্বে ১৫,০০ সত্যাগ্রহী ওয়াডাল লবণ কারখানায় লবণ সত্যাগ্রহ করেছিল । তৃতীয়ত , তিনি ছিলেন নিখিল ভারত মহিলা সম্মেলনের প্রথম সাধারণ সম্পাদক এবং পরবর্তীকালের সভানেত্রী ।

২১. বাংলার বিপ্লবী আন্দোলনে অনুশীলন সমিতির অবদান লেখো।
উত্তরঃ-  
ভূমিকা : অনুশীলন সমিতি ছিল বাংলার প্রথম বিপ্লবী সমিতি। সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে দেশকে স্বাধীন করাই ছিল এই সমিতির প্রধান উদ্দেশ্য।

প্রতিষ্ঠা : ১৯০২ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় সতীশচন্দ্র বসু একটি শারীরশিক্ষা সংস্থারূপে অনুশীলন সমিতির প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তী সময়ে ব্যারিস্টার প্রমথনাথ মিত্র এর সর্বাধিনায়ক ও সভাপতি হন। ক্রমশ কলকাতা ও বাংলার বিভিন্ন স্থানে এই সমিতির ৫০০টি শাখা স্থাপিত হয়।

বাংলার বিপ্লবী আন্দোলনে অনুশীলন সমিতির অবদান –
শরীরচর্চা – এই সংগঠনে নিয়মিতভাবে ‘গীতা’ ও ‘আনন্দমঠ’ পাঠ, শরীরচর্চা, লাঠি খেলা ও সামরিক কুচকাওয়াজ করা হত।

বিপ্লবী কার্যকলাপ – প্রতিষ্ঠাকালে অনুশীলন সমিতি সরাসরি রাজনৈতিক কার্যকলাপে যুক্ত ছিল না। তবে স্বদেশি আন্দোলন শুরু হলে বাংলায় উত্তাল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে অনুশীলন সমিতি বিপ্লবী কার্যকলাপে প্রত্যক্ষভাবে জড়িয়ে পড়ে।

পুলিনবিহারী দাসের উদ্যোগ – সরকারি দমন নীতির চাপে পরবর্তীকালে গুপ্ত সমিতিগুলির সঙ্গে অনুশীলন সমিতির বৈপ্লবিক তৎপরতা স্তিমিত হয়ে আসে। ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার অনুশীলন সমিতিকে নিষিদ্ধ করা হয়। তবে ঢাকায় পুলিনবিহারী দাসের নেতৃত্বে অনুশীলন সমিতির বিপ্লবী কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকে।

উপসংহার – অনুশীলন সমিতির দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগের আদর্শ জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেছিল। পরবর্তীকালে অনুশীলন সমিতির কাজকর্ম বাংলার কংগ্রেসি রাজনীতি ও বামপন্থী রাজনীতির সঙ্গে অঙ্গীভূত হয়ে পড়ে।

২২. ভারত ছাড়ো আন্দোলনে নারীদের অংশগ্রহণের প্রকৃতি কী ছিল ? 
উত্তরঃ-  ভারত ছাড়ো আন্দোলনে নারীদের অংশগ্রহণের বিষয়টি— প্রথমত , পরিকল্পিত ও কর্মসূচিভিত্তিক ছিল না , তথাপি স্কুল – কলেজের ছাত্রীসহ শিক্ষিত মধ্যবিত্ত নারীরা প্রকাশ্য ও গোপনে আন্দোলন পরিচালনা করেছিল । দ্বিতীয়ত , ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সূচনায় গান্ধিসহ কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বকে গ্রেপ্তার করার ফলে বাংলা , বোম্বাই , আসাম , পাঞ্জাব , উত্তরপ্রদেশ , গুজরাট , কর্ণাটকে অংশগ্রহণকারী নারীদের অধিকাংশই ছিল কংগ্রেস দলের নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত । তৃতীয়ত , এই আন্দোলনে নারীদের যোগদান ছিল স্বতঃস্ফূর্ত । 


২৩. প্রফুল্ল চাকী ও ক্ষুদিরাম বসু স্মরণীয় কেন?
অথবা, মজফ্ফরপুর ঘটনা কী?
উত্তরঃ-  
ভূমিকা – বিংশ শতকের প্রথম ভাগে যে সমস্ত বিপ্লবী সন্ত্রাসবাদী আন্দোলনের মাধ্যমে মাতৃভূমির মুক্তিসাধনের লক্ষ্যে আত্মত্যাগ করেছেন, তাঁদের মধ্যে প্রফুল্ল চাকী ও ক্ষুদিরাম বসুর অবদান চিরস্মরণীয়। অল্প বয়সেই তাঁরা গুপ্ত বিপ্লবী সংগঠন যুগান্তর দলের সংস্পর্শে আসেন।

প্রেক্ষাপট – ইতিমধ্যে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে, বাংলায় বিপ্লবী কার্যকলাপ জোরদার হয়ে উঠলে যুগান্তর দল সরকারি কর্মচারীদের বোমা মেরে হত্যা করার পরিকল্পনা করে। এই সময় কলকাতার চিফ প্রেসিডেন্সি ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ড বিপ্লবীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দমনমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করায় তাঁকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

মজফ্ফরপুর ঘটনা – কিংসফোর্ডকে হত্যার দায়িত্ব দেওয়া হয় যুগান্তর দলের তরুণ বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকীর ওপর, কিন্তু এই সময়ে নিরাপত্তার কারণে কিংসফোর্ডকে কলকাতা থেকে মজফফরপুরে বদলি করা হয়। বিপ্লবীরাও মজফফরপুরে এসে কিংসফোর্ডের গাড়ির ওপর বোমা মারতে গিয়ে ভুলবশত জনৈক ইংরেজ ব্যারিস্টার মিস্টার কেনেডির স্ত্রী ও তাঁর কন্যাকে বোমা মেরে হত্যা করেন। পুলিশের হাতে ধরা পড়ার আগে প্রফুল্ল চাকী নিজের পিস্তলের গুলিতে আত্মহত্যা করেন এবং ক্ষুদিরাম পুলিশের হাতে ধরা পড়েন, বিচারে তাঁর ফাঁসি হয় (১৯০৮ সালের ১১ আগস্ট)।

উপসংহার – মাতৃভূমির মুক্তিসাধনের উদ্দেশ্যে নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের জন্যই প্রফুল্ল চাকী ও ক্ষুদিরাম স্মরণীয়। তাঁদের দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগের আদর্শ জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেছিল।

২৪. ভগিনী সেনা কী ? 
উত্তরঃ-  ভারত ছাড়ো আন্দোলনকালে বাংলার মেদিনীপুরে ‘ তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি গ্রামীণ মহিলারা ব্রিটিশ – বিরোধী প্রতিরোধ সংগ্রাম চালানোর জন্য নারীসংগঠন প্রতিষ্ঠা করে । এইরূপ সংগঠন ভগিনী সেনা নামে পরিচিত । ভগিনী সেনার অনেক নারী জেলবন্দি হন ও ৮৪ জনেরও বেশি নারী ধর্ষিতা হন । 

২৫. ভগৎ সিং – টাকা লেখো।
অথবা, ভগৎ সিংকে মনে রাখা হয় কেন?
উত্তরঃ-  
ভূমিকা – বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকের যেসব তরুণ তাঁদের বিপ্লবী কার্যকলাপের মধ্য দিয়ে বিদেশি শাসনের বিরুদ্ধে মরণপণ সংগ্রাম করেছিলেন, ভগৎ সিং ছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম।

ভগৎ সিং – এর কার্যকলাপ – ভগৎ সিং – এর কার্যকলাপের বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে –

বিপ্লবী সমিতি গঠন – প্রথমে তিনি হিন্দুস্থান রিপাবলিকান অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হন। এরপর তিনি ও চন্দ্রশেখর আজাদ হিন্দুস্থান সোশ্যালিস্ট রিপাবলিকান অ্যাসোসিয়েশন’ নামে একটি গুপ্ত বিপ্লবী সমিতি গঠন করেন। শ্রমিক শ্রেণির একনায়কত্ব প্রতিষ্ঠাই ছিল এই দলের প্রধান লক্ষ্য। ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি ‘নবজীবন’ ও ‘ভারতসভা’ নামে দুটি সন্ত্রাসবাদী বিপ্লবী সংগঠনের প্রতিষ্ঠা
করেন।

স্যান্ডার্স হত্যা – সাইমন কমিশন বিরোধী আন্দোলন পর্বে পাঞ্জাবের শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক নেতা লালা লাজপত রায় পুলিশের লাঠিচার্জের ফলে আহত হন এবং কিছুদিন পর তাঁর মৃত্যু হয়। এই নিষ্ঠুর ঘটনার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে ভগৎ সিং লাহোরের সহকারী পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্ট স্যান্ডার্সকে হত্যা করেন।

লাহোর ষড়যন্ত্র মামলা – ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দের ৮ এপ্রিল ভগৎ সিং ও তাঁর সহকর্মী বটুকেশ্বর দত্ত দিল্লির কেন্দ্রীয় আইনসভায় বোমা নিক্ষেপ করেন। দুর্ভাগ্যবশত তাঁরা ধরা পড়ে যান। এই ঘটনার সূত্র ধরে কয়েকদিনের মধ্যেই (১৯২৯ খ্রিস্টাব্দের মে মাসে) লাহোর ও সাহারানপুরে বোমা তৈরির দুটি বিশাল কারখানা আবিষ্কৃত হলে ভগৎ সিং এবং অন্যান্য বিপ্লবীকে লাহোর ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্ত করা হয়।

ভগৎ সিং – এর ফাঁসি – লাহোর ষড়যন্ত্র মামলার সঙ্গে যুক্ত থাকার অপরাধে ভগৎ সিং প্রাণদণ্ডে দণ্ডিত হন। ভগৎ সিং-এর ফাঁসি হলে (মার্চ, ১৯৩১) সমগ্র ভারতে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

উপসংহার – ভগৎ সিং – এর দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগের আদর্শ ভারতের বিপ্লবী আন্দোলনকে নতুনভাবে অনুপ্রাণিত করে, এই জন্য তিনি স্মরণীয়।


২৬. মাতঙ্গিনী হাজরা ইতিহাসে স্মরণীয় কেন ? 
উত্তরঃ-  মাতঙ্গিনী হাজরা ইতিহাসে স্মরণীয় , কারণ প্রথমত , ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় তমলুক থানা ও কোর্ট চতুর দখল অভিযানের উদ্দেশ্যে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যে চারটি মিছিল এসেছিল , সেই মিছিলের একটির নেতৃত্বে ছিলেন ৭৩ বছরের বৃদ্ধা মাতঙ্গিনী হাজরা । দ্বিতীয়ত , অভিযানকালে তিনি কোর্ট চত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন , পুলিশের গুলিতে জখম হন ও মারা যান । তৃতীয়ত , তাঁর এই সাহসিক অভিযানের কারণে তিনি ‘ গান্ধিবুড়ি ’ নামে পরিচিত । 


২৭. বিনয়, বাদল, দীনেশ স্মরণীয় কেন?
উত্তরঃ-  
ভূমিকা – বিংশ শতাব্দীর প্রথমে গান্ধিজির অহিংস অসহযোগ আন্দোলনের পাশাপাশি বাংলার বিপ্লবীরা বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী বিপ্লবী আন্দোলন গড়ে তোলের যার মধ্যে বিনয়-বাদল-দীনেশের রাইটার্স বিল্ডিং অভিযান ছিল অন্যতম।

বিনয়, বাদল, দীনেশ স্মরণের কারণ – বিনয়, বাদল, দীনেশ যে কারণে স্মরণীয় তা হল —

অলিন্দ যুদ্ধ – ১৯৩০ সালের ৮ ডিসেম্বর বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স দলের সক্রিয় সদস্য বিপ্লবী বিনয় বসু, বাদল গুপ্ত ও দীনেশ গুপ্ত কলকাতার রাইটার্স বিল্ডিং-এ প্রবেশ করে কারা বিভাগের ইনস্পেকটর জেনারেল সিম্পসনকে গুলি করে হত্যা করেন। তাঁদের আক্রমণে একাধিক উচ্চপদস্থ ইংরেজ কর্মচারী আহত হন। অতঃপর রাইটার্স বিল্ডিং-এর অলিন্দে লালবাজার থেকে আসা সশস্ত্র পুলিশের বিশাল বাহিনীর সঙ্গে বিপ্লবী বিনয়-বাদল-দীনেশের যুদ্ধ শুরু হয়। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এই যুদ্ধ ‘অলিন্দ যুদ্ধ’ নামে খ্যাত।

বিনয় ও বাদলের মৃত্যু – অলিন্দ যুদ্ধকালে পুলিশ এই তিনজন বিপ্লবীকে ঘিরে ফেলে। পালানো অসম্ভব বিবেচনা করে পুলিশের হাতে ধরা পড়ার চেয়ে তিনজনই আত্মহত্যাকে শ্রেয় বলে মনে করেন। বাদল ‘পটাশিয়াম সাইনাইড’ নামে সাংঘাতিক বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন। বিনয় ও দীনেশ পিস্তল দিয়ে নিজেদের মাথায় গুলি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। কয়েকদিন পর হাসপাতালে বিনয় মারা যান।

দীনেশের ফাঁসি – চিকিৎসকদের চেষ্টায় দীনেশ বেঁচে যান এবং আলিপুর জর্জ কোর্টের ইংরেজ বিচারক গার্লিক-এর আদেশে তাঁর ফাঁসি হয় (৭ জুলাই, ১৯৩১ খ্রি.)। দীনেশের ফাঁসির এক বছরের মধ্যে বিপ্লবী কানাইলাল ভট্টাচার্যের গুলিতে আলিপুর কোর্টের মধ্যে বিচারপতি গার্লিক নিহত হন।

গুরুত্ব – বিনয়-বাদল-দীনেশের এই কর্মকাণ্ডের বেশ কয়েকটি গুরুত্ব ছিল ; যেমন –

বিনয়, বাদল ও দীনেশের দুঃসাহসিক কর্মকাণ্ড ব্রিটিশ শাসকদের উদ্বিগ্ন ও ভীতসন্ত্রস্ত করে তোলে
তাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মত্যাগ বাংলার মানুষকে নতুন প্রেরণা জোগায়
পরবর্তীকালে এই তিনজন দুঃসাহসিক বিপ্লবীর নামানুসারে কলকাতার ডালহৌসি স্কোয়ারের নাম রাখা হয় বিনয়-বাদল-দীনেশ (বি-বা-দী) বাগ।


২৮. ঊষা মেহতা কী কারণে বিখ্যাত ?
উত্তরঃ-  ঊষা মেহতা ( ১৯২০-২০০০ খ্রি . ) বিখ্যাত ছিলেন , কারণ প্রথমত , তিনি ছিলেন একজন গান্ধিবাদী স্বাধীনতা সংগ্রামী । দ্বিতীয়ত , কথিত আছে তিনি সাইমন কমিশনের বিরুদ্ধে ইংরেজ বিরোধী আন্দোলনে যোগ দেন এবং ভারত ছাড়ো আন্দোলনকালে বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করেন । তৃতীয়ত , তিনি বোম্বাইয়ে ‘ ভয়েস অফ ফ্রিডম ‘ নামক একটি গোপন রেডিয়ো কেন্দ্র গড়ে তুলে গান্ধিজির ‘ করেঙ্গে ইয়া মরেঙ্গে ‘ আদর্শ সহ জাতীয় আদর্শ প্রচার করেন । 


২৯. সূর্য সেন স্মরণীয় কেন?
অথবা, চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন – টীকা লেখো।
উত্তরঃ-  
ভূমিকা – বাংলা তথা ভারতের বিপ্লববাদী আন্দোলনের অন্যতম প্রধান সংগঠক ছিলেন চট্টগ্রাম বিদ্রোহের মুখ্য নায়ক ‘মাস্টারদা’ সূর্য সেন। আইন অমান্য আন্দোলনের সময় সূর্য সেনের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের ঘটনা সমগ্র ভারতবর্ষে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল।

স্মরণের কারণ – মাস্টারদা সূর্য সেন যেসমস্ত কারণে বিখ্যাত ছিলেন সেগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল –

বিপ্লবী সংগঠন স্থাপন – চট্টগ্রামের শিক্ষক সূর্য সেন তাঁর ছাত্র ও সহযোগীদের নিয়ে ‘ইন্ডিয়ান রিপাবলিকান আর্মি” নামে একটি বিপ্লবী সংগঠন গড়ে তোলেন।

চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন – ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ১৮ এপ্রিল মধ্যরাত্রে অম্বিকা চক্রবর্তী, লোকনাথ বল, গণেশ ঘোষ, অনন্ত সিংহ প্রমুখ সঙ্গীকে নিয়ে সূর্য সেন চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার আক্রমণ ও লুঠ করেন।

স্বাধীন সরকার প্রতিষ্ঠা – তাঁরা টেলিফোন, টেলিগ্রাফের তার বিচ্ছিন্ন করে চট্টগ্রামে একটি ‘স্বাধীন বিপ্লবী সরকার – এর প্রতিষ্ঠা করেন।

মাস্টারদা সূর্য সেন – এর বিচার ও ফাসি – নব প্রতিষ্ঠিত এই সরকার সাময়িকভাবে চট্টগ্রামের ওপর নিজেদের আধিপত্য রাখলেও অবশেষে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর পালটা আক্রমণে বিপ্লবীদের পরাজয় ঘটে এবং সূর্য সেন পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যান। বিচারে সূর্য সেনের ফাঁসি হয় (১৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৪ খ্রি.)। মাস্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে চট্টগ্রামের এই ঘটনা সমগ্র ভারতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে এবং অন্যান্য বিপ্লবীদের উদ্বুদ্ধ করে।

উপসংহার – সূর্য সেনের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের ঘটনা ছিল চমকপ্রদ ও প্রশংসনীয়। ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদার চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের সঙ্গে যুক্ত জালালাবাদ চট্টগ্রামের যুদ্ধকে ইংরেজদের সঙ্গে প্রত্যক্ষ সংগ্রামের প্রথম দৃষ্টান্ত বলে অভিহিত করেছেন।


৩০. শান্তাবাঈ ভালেরাও ও তারাবাঈ কাম্বলে বিখ্যাত কেন ? 
উত্তরঃ-  শান্তাবাঈ ভালেরাও ও তারাবাঈ কাম্বলে বিখ্যাত কারণ— প্রথমত , এঁরা দুজনই ছিলেন দলিত এবং এঁরা দুজনেই ভারত ছাড়ো আন্দোলনে যোগদান করেন । দ্বিতীয়ত , ভারত ছাড়ো আন্দোলনকালে পলাতক কয়েকজন পুরুষ আন্দোলনকারীকে তারাবাঈ গোপনে নিজের বাড়ীতে আশ্রয় দেন । অন্যদিকে শান্তাবাঈ আন্দোলনকারীদের মধ্যে গোপন খবর ও চিঠিপত্র স্থান থেকে স্থানান্তরে পৌঁছে দিতেন । 


৩১. ‘অ্যান্টি সার্কুলার সোসাইটি ‘ কেন স্থাপিত হয় ? 
উত্তরঃ-  বঙ্গভঙ্গ – বিরোধী আন্দোলনকালে কার্লাইল সার্কুলার , পেডলার সার্কুলার – এর বিরুদ্ধে ছাত্রসমাজে ভীষণ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয় । এরই সুত্র ধরে ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের ৪ নভেম্বর সিটি কলেজের ছাত্র শচীন্দ্রপ্রসাদ বসু ‘ অ্যান্টি সার্কুলার সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন । এর উদ্দেশ্য ছিল সরকারি আদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বহিষ্কৃত ও শাস্তিক্তপ্রাপ্ত ছাত্রদের বিকল্প শিক্ষার ব্যবস্থা করা । 


৩২. রশিদ আলি দিবস – টীকা লেখো।
অথবা, রশিদ আলি দিবস গুরুত্বপূর্ণ কেন? 
উত্তরঃ-  
ভূমিকা : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর পর্বের ঘটনাগুলির মধ্যে সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য ঘটনা ছিল ধৃত আজাদ হিন্দ ফৌজের অফিসারদের বিচার। এই বিচার সংক্রান্ত প্রতিক্রিয়ার একটি দিক হল ‘রশিদ আলি দিবস’।

রশিদ আলি দিবস – ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দের ১০ ফেব্রুয়ারি দিল্লির লালকেল্লাতে আজাদ হিন্দ ফৌজের অফিসার ক্যাপটেন রশিদ আলির বিচার হয় ও তাঁকে সাত বছরের কারাদণ্ড দান করা হয়। এই ঘটনায় কলকাতা পুনরায় উত্তাল হয়ে ওঠে এবং ছাত্র বিক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এই বিক্ষোভের উল্লেখযোগ্য দিকগুলি হল—

সাধারণ ধর্মঘট – বাংলার মুসলিম ছাত্র লিগ ১১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে সাধারণ ধর্মঘট ডাকে এবং বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও ছাত্রনেতাসহ ছাত্ররা এতে অংশগ্রহণ করে।

ছাত্রসমাবেশ – কলকাতার ওয়েলিংটন স্কোয়ারে এক বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত হয় এবং অন্তত পাঁচ হাজার ছাত্র ও যুবক এতে অংশ নেওয়ার জন্য মিছিল শুরু করে। মুসলিম ছাত্র লিগ এবং কমিউনিস্ট ও কংগ্রেস ছাত্রনেতা ও দলনেতারা এই মিছিলের নেতৃত্ব দেন। পরের দিনের (১২.২.১৯৪৬) অমৃতবাজার পত্রিকায় এই মিছিলের চিত্র প্রকাশিত হয়েছিল।

সরকারি প্রতিক্রিয়া – রশিদ আলির বিচারকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা ছাত্র বিক্ষোভ ও গণবিক্ষোভ দমন করতে ব্রিটিশ সরকার পুলিশ ও সামরিক বাহিনী নিয়োগ করে। পুলিশের সঙ্গে প্রকাশ্য সংঘর্ষে ৪৮ জন নিহত ও প্রায় ৩০০ জন মানুষ আহত হয়। এই হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে ১২ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় অঘোষিত হরতাল পালিত হয়, যা রশিদ আলি দিবস নামে পরিচিত।

তাৎপর্য – বিভিন্ন কারণে রশিদ আলি দিবস তাৎপর্যপূর্ণ যেমন —

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অহিংস গণ আন্দোলন হিংসাত্মক আন্দোলনে পরিণত হয়
এটি স্থানীয় বা প্রাদেশিক ঘটনার পরিধি ছাড়িয়ে জাতীয় চরিত্র নেয়
এই আন্দোলনের মাধ্যমে হিন্দু-মুসলিম ঐক্য জোরদার হয়ে ওঠে
রশিদ আলি দিবসের প্রভাবে ১৩-১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিচ্ছিন্নভাবে ঢাকাসহ বহরমপুর, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, মেদিনীপুর প্রভৃতি শহরেও ধর্মঘট পালিত হয়।


৩৩. বাংলা সাহিত্য ও সংবাদপত্র কীভাবে ছাত্র আন্দোলনকে প্রভাবিত করে । 
উত্তরঃ-  বাংলার ছাত্র আন্দোলনে সাহিত্য ও সংবাদপত্রের ভূমিকা ছিল যথেষ্ট ইতিবাচক , যেমন— প্রথমত , হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের ‘ হিন্দু প্যাট্রিয়ট ‘ পত্রিকা , বঙ্কিমচন্দ্রের ‘ বন্দে মাতরম ‘ মন্ত্র , রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেশাত্মবোধক কবিতা , দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের নাটক বাংলার ছাত্রসমাজকে আন্দোলনে অনুপ্রাণিত করে । দ্বিতীয়ত , বিংশ শতকে চরমপন্থীদের বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ( যেমন , ‘ যুগান্তর ‘ ) শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ ছাত্র আন্দোলনকে বিপ্লবী আন্দোলনের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল । ৩৮ সুশীল সেন কে ছিলেন ? প্রশ্ন উত্তর ) সুশীল সেন ( ১৮৯২-১৯১৫ খ্রি . ) ছিলেন কিশোর বিপ্লবী ; তিনি বিখ্যাত ছিলেন , কারণ— প্রথমত , বঙ্গভঙ্গ – বিরোধী আন্দোলনকালে ব্রিটিশ পণ্যের পিকেটিং ও ‘ বন্দে মাতরম ‘ মন্ত্র উচ্চারণ করার অপরাধে মেদিনীপুরের ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ড কর্তৃক বেত্রাঘাতে জর্জরিত হন । দ্বিতীয়ত , কলকাতার জাতীয় কলেজে পড়াশোনা করে জাতীয়তাবাদে উদ্বুদ্ধ হন এবং ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে আলিপুর বোমার মামলায় অভিযুক্ত হন । তৃতীয়ত , তিনি বৈপ্লবিক কাজকর্মে যুক্ত হয়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন । 

৩৪. দলিত রাজনীতির উদ্ভবের কারণসমূহ বিশ্লেষণ করো।
উত্তরঃ-  
ভূমিকা – বিশ শতকে ভারতীয় রাজনীতিতে সম্প্রদায়গত ও জাতিগত বিষয়টি প্রাধান্য লাভ করে। হিন্দু সমাজে বর্ণপ্রথা ও বহুজাতি প্রথাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা আর্থসামাজিক অধিকারহীন দলিত সম্প্রদায়ও রাজনীতির বিষয় হয়ে ওঠে।

দলিত রাজনীতির উদ্ভবের কারণ – দলিত রাজনীতির উদ্ভবের কারণগুলিহল –

ব্রাক্ষ্মণ আধিপত্য – মহারাষ্ট্রের মালি জাতির বিখ্যাত নেতা জ্যোতিবা ফুলে ১৮৭০-এর দশকে প্রচার করেন যে, ক্ষমতা ও সুযোগ-সুবিধার অধিকারী ব্রাহ্মণদের আধিপত্যই হল শূদ্রবর্ণ তথা দলিতদের দুর্দশার মূল কারণ।

ঔপনিবেশিক শাসন – ঔপনিবেশিক শাসনপর্বে হিন্দুসমাজের বর্ণব্যবস্থাকে মান্যতা দেওয়া হয়। ১৮৮০-র দশকে জনগণনায় হিন্দুসমাজের প্রচলিত জাতিবিন্যাসকে নথিভুক্ত করে জাতিগত ক্রমোচ্চতাকে স্থায়ী করার চেষ্টা করা হয়। ফলে সেই সময়ের অস্পৃশ্য বা দলিতরা সংঘবদ্ধ হয়ে জাতিগত উন্নয়নের কথা ভাবতে শুরু করে।

শিক্ষার প্রসার – উনিশ শতকের শেষদিকে খ্রিস্টান মিশনারি ও সরকারি উদ্যোগে শিক্ষার বিস্তার ঘটলে দলিতদের কেউ কেউ শিক্ষিত হয় এবং নিজ শ্রেণির সংঘবদ্ধতার বিষয় সম্পর্কে সচেতন হয়ে ওঠে।

দেশীয় রাজ্যগুলির উদ্যোগ – উনিশ শতকের শেষ ও বিশ শতকের শুরুতে মহীশূর ও কোলহাপুর-এর মতো দেশীয়। রাজ্যগুলি অব্রাত্মণ অস্পৃশ্য মানুষের উন্নতির জন্য সরকারি চাকরিক্ষেত্রে জাতিভিত্তিক সংরক্ষণ প্রথা চালু করে। এভাবে দলিত সম্প্রদায় উজ্জীবিত হয়ে ওঠে।

উপসংহার – উপরোক্ত বিভিন্ন কারণে দলিতরা সংঘবদ্ধ হয়ে উঠতে থাকে এবং বিশ শতকের প্রথমে নিজেদের জন্য আর্থসামাজিক অধিকারসহ রাজনৈতিক অধিকার দাবি করে। প্রথমে মন্টেগু চেমসফোর্ড সংস্কার (১৯১৯ খ্রি.) এবং পরে সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা ও পুনা চুক্তির (১৯৩২ খ্রি.) মাধ্যমে দলিত সম্প্রদায় রাজনৈতিক অধিকার লাভ করে।


৩৫. বাংলার ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য কী ছিল ? 
উত্তরঃ-  বাংলার ছাত্র আন্দোলনের বৈশিষ্ট্যগুলি হল প্রথমত , আবেগ ও দেশপ্রেমের দ্বারা উদ্বুদ্ধ হয়ে এবং জাতীয় নেতাদের আহ্বানে ছাত্ররা জাতীয় আন্দোলনে যোগদান করেছিল এবং প্রথমে শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ ছাত্র আন্দোলন থেকে হিংসাত্মক ও বিপ্লবী আন্দোলনে যুক্ত হয়েছিল । দ্বিতীয়ত , বাংলার ছাত্র আন্দোলন ছিল ধর্মনিরপেক্ষ ও অসাম্প্রদায়িক , কারণ- তিলক পরিচালিত উৎসবগুলিকে সাম্প্রদায়িক বলে মনে করায় ছাত্ররা সেই আন্দোলনগুলিতে যোগ দেননি । তৃতীয়ত , ১৯২০ – এর দশকে এবং ১৯৩০ – এর দশকে সাম্যবাদী মতাদর্শ দ্বারা উদ্বুদ্ধ হয়ে ছাত্ররা রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি আর্থসামাজিক অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও সচেষ্ট হয়েছিল । 


৩৬. আম্বেদকর প্রাথমিক পর্বের দলিত আন্দোলনের মধ্যে সম্পর্ক চিহ্নিত করো।
উত্তরঃ-  
ভূমিকা – ভারতে দলিত আন্দোলনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন ড. বাবাসাহেব ভীমরাও রামজী আম্বেদকর (১৮২৯-১৯৫৬ খ্রি.) বা সংক্ষেপে বি. আর. আম্বেদকর। তিনি উনিশ শতকের শেষার্ধে দলিতদের মধ্যে গড়ে ওঠা সংহতিকে বিশ শতকে রাজনৈতিক আন্দোলনে পরিণত করেন।

আম্বেদকর ও দলিত আন্দোলন – আম্বেদকর নিজে একজন দলিত সম্প্রদায়ভুক্ত হয়ে দলিতদের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে যুক্ত হন –

হিতকারিণী সভা প্রতিষ্ঠা – আম্বেদকর তাঁর অনুগামীদের নিয়ে গঠন করেন ‘বহিষ্কৃত হিতকারিণী সভা’ (১৯২৪ খ্রি.)। হিন্দুসমাজের মূলস্রোত থেকে বিচ্ছিন্ন বা বহিষ্কৃত অস্পৃশ্যদের উচ্চবর্ণের হিন্দুদের হাত থেকে রক্ষা করাই ছিল এর মূল উদ্দেশ্য।

নিপীড়িত শ্রেণির সম্মেলন – ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে নাগপুরে সর্বভারতীয় নিপীড়িত শ্রেণির নেতাদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলন দলিতদের আন্দোলনে গতি সঞ্চার করে। ড. আম্বেদকর এই সমিতির সহ-সভাপতি নিযুক্ত হন। অচিরেই তিনি সমিতি থেকে ইস্তফা দেন।

মনুস্মৃতি দাহ – ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে আম্বেদকর সর্বসাধারণের ব্যবহার্য পুকুর থেকে দলিতদের জল তোলার অধিকার নিয়ে বিরাট সত্যাগ্রহ আন্দোলন পরিচালনা করেছিলেন। তিনি প্রকাশ্যে মনুস্মৃতি গ্রন্থ পুড়িয়ে দিয়ে ব্রাহ্মণ্যতন্ত্রে আঘাত হানেন।

সংগঠন প্রতিষ্ঠা – ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে তিনি সর্বভারতীয় নিপীড়িত শ্রেণির কংগ্রেস গঠন করেন। প্রতিষ্ঠানের উদবোধনী ভাষণে আম্বেদকর সরাসরি কংগ্রেস বিরোধী অবস্থান গ্রহণ করেন। তাঁর নেতৃত্বে দলিত আন্দোলন আরও ব্যাপক আকার ধারণ করে।

পুনা চুক্তি – সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা নীতিতে দলিতদের পৃথক নির্বাচন বিধি স্বীকৃতি পেলেও গান্ধিজির অনশনের কারণে তা বাধা পায়। শেষপর্যন্ত আম্বেদকর গান্ধির সঙ্গে পুনা চুক্তি (১৯৩২ খ্রি.) সম্পাদনের মাধ্যমে দলিতদের রাজনৈতিক অধিকারকে ক্ষুণ্ণ করেও স্বার্থরক্ষায় সচেষ্ট হন।

উপসংহার – এভাবে পুনা চুক্তির সময়কাল পর্যন্ত দলিত আন্দোলনের সংগঠনে আম্বেদকরের ভূমিকা ছিল খুব উল্লেখযোগ্য। পুনা চুক্তির পরবর্তীকালে তাঁর উদ্যোগে দলিত অধিকার আন্দোলন আরও এগিয়ে যায়।


৩৭. অসহযোগ আন্দোলনে ছাত্রদের কর্মসূচি কী ছিল ? 
উত্তরঃ-  অসহযোগ আন্দোলনকালে ছাত্ররা প্রথমত , স্থানীয় নেতাদের উদ্যোগে বয়কট কর্মসূচিকে সফল করতে উত্তরপ্রদেশ , বিহার , উড়িষ্যা ও আসামে ছাত্ররা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিদেশি দ্রব্য বয়কট করে । দ্বিতীয়ত , ছাত্রদের অনেকে কংগ্রেস 3 খিলাফৎ স্বেচ্ছাসেবকরূপে চাঁদা সংগ্রহ , গঠনমূলক কাজ ও চরকা ব্যবহারের কর্মসূচি প্রচার করে । তৃতীয়ত , বিকল্প জাতীয় শিক্ষার উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত শিক্ষায়তনগুলিতে ছাত্ররা যোগদানের কর্মসূচিও গ্রহণ করে । 


৩৮. সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা – টীকা লেখো।
উত্তরঃ-  
ভূমিকা – ভারতে ব্রিটিশ শাসনকে দীর্ঘস্থায়ী করার লক্ষ্যে ব্রিটিশ সরকার সংখ্যালঘু ও সাম্প্রদায়িক শক্তিকে মদতদানের নীতি নেয়। এই প্রচেষ্টার পরিণতি ছিল ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী রমসে ম্যাকডোনাল্ড-এর ‘সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা”
নীতি ঘোষণা।

প্রেক্ষাপট – ‘সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা’ নীতি ঘোষণার প্রেক্ষাপটে উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলি হল –

ভারতের জাতীয় আন্দোলনকে দুর্বল করে তোলা
হিন্দু সম্প্রদায়ের ঐক্যে ফাটল ধরানো
দলিতদের পৃথক স্বীকৃতিদানের মাধ্যমে তাদের ব্রিটিশ সরকারের অনুগত শ্রেণিতে পরিণত করা
দলিত নেতা বি. আর. আম্বেদকরের দাবি মতো দলিতদের পৃথক নির্বাচনের অধিকার দান করা।
বাঁটোয়ারার মূল বক্তব্য – সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারায় ঘোষণা করা হয় যে –

মুসলিম, শিখ, খ্রিস্টান, অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান প্রভৃতি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে পৃথক নির্বাচনের অধিকার দেওয়া হবে
হিন্দুসমাজকে বর্ণহিন্দু ও অনুন্নত শ্রেণি (Depressed Classes) তে বিভক্ত করে অনুন্নত শ্রেণির পৃথক নির্বাচন বিধি মেনে চলা হবে।
উপসংহার – সাংবিধানিক দিক দিয়ে ‘সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা’ নীতি ছিল গণতান্ত্রিক অধিকারের স্বীকৃতি। কিন্তু ভারতের জাতীয় নেতাদের কাছে এই নীতি ছিল ব্রিটিশের “বিভাজন ও শাসন নীতির প্রতিফলন। এই বৈষম্যমূলক নীতির বিরুদ্ধে মহাত্মা গান্ধি সরব হন ও যারবেদা জেলে অনশন শুরু করেন।


৩৯. আইন অমান্য আন্দোলনে ছাত্রদের অংশগ্রহণের ধরন কেমন ছিল ? 
উত্তরঃ-  আইন অমান্য আন্দোলনে ছাত্রদের অংশগ্রহণের ধরন বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে প্রথমত , এই আন্দোলনে ছাত্রদের যোগদানের মাত্রা ছিল কম , তথাপি যুক্তপ্রদেশ , বাংলা , মধ্যপ্রদেশ , গুজরাট , আসামে ছাত্ররা স্বতঃস্ফূর্তভাবেই আন্দোলনে অংশ নিয়েছিল । দ্বিতীয়ত , ছাত্ররা গান্ধির ডান্ডি অভিযান শুরুর দিনটি পালনের পাশাপাশি এই আন্দোলনপর্বে আইন অমান্য , স্কুল – কলেজ বয়কট , মিটিং ও পিকেটিং – এ অংশ নেয় । 


৪০. পুনা চুক্তি সম্পর্কে একটি টীকা লেখো।
উত্তরঃ-  
ভূমিকা – বিশ শতকের শুরু থেকেই ভারতীয় রাজনীতিতে দলিত সমস্যা গুরুত্ব লাভ করে এবং ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দের সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা নীতিতে তা স্বীকৃতি লাভ করে। দলিতদের রাজনৈতিক অধিকার অর্জনের ক্ষেত্রে পরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল পুনা চুক্তি (১৯৩২ খ্রি.)।

পুনা চুক্তি – ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে অনুন্নত সম্প্রদায়ের নেতা ডঃ বি. আর. আম্বেদকর ও গান্ধিজির মধ্যে ‘পুনা চুক্তি’ স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির শর্তগুলি হল —

উন্নত ও অনুন্নত হিন্দু সম্প্রদায় যৌথভাবে ভোট দেবে অর্থাৎ অনুন্নত ‘হরিজন’ শ্রেণি – সহ সব হিন্দুদের যৌথ নির্বাচক মণ্ডলীর নীতি স্বীকৃত হবে
হরিজন সম্প্রদায় হিন্দুসমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ এ কথা স্বীকার করা হবে
হরিজনদের জন্য আইনসভার আসন সংখ্যার বরাদ্দ দ্বিগুণ করার সঙ্গে সঙ্গে তা সংরক্ষিত করা
(সরকারি চাকরিতে অনুন্নত শ্রেণির যথেষ্ট প্রতিনিধিত্ব দান করা
দশ বছর পর সংরক্ষিত আসন ব্যবস্থার অবসান করা হবে।
গুরুত্ব – পুনা চুক্তি অনুসারে –

অনুন্নত সম্প্রদায়ের জন্য পৃথক নির্বাচনের ব্যবস্থা বাতিল করা হয়
হিন্দুদের যৌথ নির্বাচনের সূত্র মেনে নেওয়া হয়
অনুন্নত শ্রেণির আসন বরাদ্দ দ্বিগুণ বৃদ্ধি পায় এবং
এই আসনগুলি তাদের জন্য সংরক্ষিত হয়। বস্তুত পুনা চুক্তি গান্ধিজির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করে এবং তাঁর প্রচেষ্টায় হিন্দুসমাজে বিভেদনীতি অনুপ্রবেশের অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়।


৪১. ভারত ছাড়ো আন্দোলনে ছাত্ররা কীভাবে অংশগ্রহণ করেছিল ? 
উত্তরঃ-  ভারত ছাড়ো আন্দোলনে ছাত্রদের অংশগ্রহণ পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে প্রথমত , এই আন্দোলনে ছাত্রসমাজ ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করেছিল , কারণ কংগ্রেসের অনুসন্ধান এক কমিটির রিপোর্ট থেকে জানা যায় যে , এই আন্দোলনে সারা দেশে সব বয়সের এবং সমস্ত শ্রেণির ছাত্ররা অংশগ্রহণ করেছিল । দ্বিতীয়ত , এক্ষেত্রে বিহার , উত্তরপ্রদেশ , বাংলা , উড়িষ্যা , মহারাষ্ট্র , দক্ষিণ ভারতের ত্রিবাঙ্কুর ও কোচিনের বিভিন্ন অংশে ছাত্র আন্দোলনের তীব্রতা লক্ষ করা যায় । তৃতীয়ত , ছাত্ররা এই আন্দোলনপর্বে খাজনা বন্ধ , রেললাইন উপড়ে ফেলা , এবং সেতু , পোস্ট অফিস ও রেল স্টেশন ধ্বংস করার কাজে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিল । 





বিভাগ-গ

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন (প্রতিটি প্রশ্নের মান-২) (নিজে করো)

  1. কে, কখন বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স প্রতিষ্ঠা করেন?
  2. স্বদেশি যুগে দুটি ছাত্র সংগঠনের নাম লেখো।
  3. কার্লাইল সার্কুলার কবে, কেন জারি করা হয়?
  4. অলিন্দ যুদ্ধ কী?
  5. প্রান্তিক শ্রেণি কাদের বলা হয়?
  6. অহিংস অসহযোগ আন্দোলনের দুজন মহিলা নেত্রীর নাম লেখো।
  7. আইন অমান্য আন্দোলনের দুজন মহিলা নেত্রীর নাম লেখো।
  8. কবে, কাদের মধ্যে পুণা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়?
  9. কে, কবে সর্বভারতীয় নিপীড়িত কংগ্রেস প্রতিষ্ঠা করেন?
  10. মাতঙ্গিনী হাজরা স্মরণীয় কেন?
  11. শান্তি ঘোষ ও সুনীতি চৌধুরী স্মরণীয় কেন?
  12. দীপালি সংঘ’ কোথায়, কেন প্রতিষ্ঠিত হয়?
  13. দুজন মহিলা বিপ্লবীর নাম লেখো।
  14. বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনের দুজন মহিলা নেত্রীর নাম লেখো।
  15. বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনে মহিলা পরিচালিত দুটি জনসভার নাম লেখো।
  16. তিলক স্বরাজ তহবিল গঠনে নারীদের অবদান লেখো।
  17. কে, কবে ‘সত্যশোধক সমাজ প্রতিষ্ঠা করেন?
  18. কাকে, কেন ‘দক্ষিণের বিদ্যাসাগর’ বলা হয়?
  19. ইন্ডিয়ান রিপাবলিকান আর্মির দুজন মহিলা সদস্যের নাম লেখো।
  20. কার্লাইল সাকুলার কী?
  21. প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার স্মরণীয় কেন?
  22. বি ভি-এর পুরোনাম কী? মেদিনীপুরে এই দল কোন্ কোম্যাজিস্ট্রেটকে হত্যা করে?
  23. কে, কবে, কেন অ্যান্টি সার্কুলার সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন?
  24. স্বদেশি আন্দোলনের সময় ছাত্র স্বার্থবিরোধী দুটি সার্কুলারের নাম লেখো।
  25. ভারতের কয়েকটি দলিত শ্রেণির নাম লেখো।
  26. কবে, কোথায় ‘নিখিল ভারত ছাত্র কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়?
  27. সাম্প্রদায়িক বাটোয়ারা কী ?
  28. গান্ধি-আম্বেদকর বিতর্ক কী?
  29. দলিত শ্রেণি কাদের বলা হয়?
  30. বাংলার কয়েকটি দলিত শ্রেণির নাম লেখো।
  31. জালালাবাদের মুক্তিযুদ্ধ কী?
  32. বীনা দাস স্মরণীয় কেন?
  33. কবে, কেন রশিদ আলি দিবস পালিত হয়?
  34. ভাইকম সত্যাগ্রহ কী?
  35. বাংলার দলিত আন্দোলনের দুজন নেতার নাম লেখো।
  36. কবে, কোথায় দলিত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়?


বিভাগ-ঘ
 

বিশ্লেষণধর্মী প্রশ্ন (প্রতিটি প্রশ্নের মান-৪) (নিজে করো)

  1. টীকা লেখো : বাংলার দলিত আন্দোলন।
  2. দলিত আন্দোলনে আম্বেদকরের ভূমিকা আলোচনা করো।
  3. টীকা লেখো : সাম্প্রদায়িক বাটোয়ারা নীতি।
  4. অলিন্দ যুদ্ধ’ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করো।
  5. ‘রশিদ আলি দিবস’ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করো।
  6. প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার স্মরণীয় কেন?
  7. ভারত ছাড়ো আন্দোলনে নারীদের অংশগ্রহণ বর্ণনা করো।
  8. বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনে নারীসমাজের ভূমিকা আলোচনা করো।
  9. অহিংস অসহযোগ আন্দোলনে ভারতীয় নারীদের অবদান লেখো।
  10. বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনে ছাত্রসমাজের ভূমিকা লেখো।
  11. আইন অমান্য আন্দোলনে নারীসমাজের ভূমিকা লেখো।
  12. নারী আন্দোলনের চরিত্র ও বৈশিষ্ট্য পর্যালোচনা করো।
  13. টীকা লেখো : মাস্টারদা সূর্য সেন।
  14. ভারতের ছাত্র আন্দোলনের বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো।
  15. বিপ্লবী আন্দোলনে নারীদের ভূমিকা লেখো।
  16. গান্ধি-আম্বেদকর বিতর্ক বলতে কী বোঝো?
  17. টীকা লেখো : পুণা চুক্তি।

 

দশম শ্রেণীর ইতিহাস – বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ / (Bis Sotoker Varote Nari, Chatro O Prantik Jonogostir Andolon) (সপ্তম অধ্যায়)" রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর" । WBBSE Class 10th History 7th Chapter DAQ Questions and Answers | Madhyamik History Bish Sotoker Bharote Nari, Chatro O Prantik Jonogostir Andolon Detailed Question and Answer

রচনাধর্মী বা বিশ্লেষণধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর (প্রতিটি প্রশ্নের মান ৫)


১. আইন অমান্য আন্দোলন ও ভারতের নারীসমাজ সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত প্রবন্ধ লেখো । 
উত্তরঃ-  ভূমিকা : আইন অমান্য আন্দোলনের সময় সাধারণ মধ্যবিত্ত , এমনকি কৃষক পরিবারের মহিলারাও অংশগ্রহণ করেছিলেন । আর তাঁদের এই অংশগ্রহণ ছিল স্বতঃস্ফূর্ত । 

নারীদের যোগদান : আইন অমান্য আন্দোলনে নারীদের যোগদানের বিষয়টি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে ডান্ডি 

অভিযানে অংশগ্রহণ : গান্ধিজি নানা কারণে ডান্ডি অভিযানে নারীদের নিতে চাননি , কিন্তু নারীরা এই অভিযানে যোগ দেওয়ার জন্য যুক্তিপূর্ণ বক্তব্য উত্থাপিত করলে , গান্ধি কয়েক জনকে ‘ ডান্ডি অভিযানের অন্তর্ভুক্ত করেন । 

জাতীয় আন্দোলন : ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ৬ এপ্রিল লবণ আইন অমান্য করার অপরাধে গান্ধিজি গ্রেফতার হলে সারা দেশে যে হরতালের ডাক দেওয়া হয় , তাতে সমস্ত স্তরের নারীরা ও পুরষরা দলে দলে যোগ দেন । আইন অমান্য আন্দোলন এর ফলে জাতীয় চেহারা পায় । নারীদের লবণ সত্যাগ্রহ সাধারণ ঘরের কৃষক মহিলারা দেশি লবণ বিক্রি করে , কারাবরণ করেন । পর্দানশিন নারীরাও যে লবণ সত্যাগ্রহে অংশ নিয়েছিলেন কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায়ের লেখা থেকে তা জানা যায় । 

লবণগোলা অভিযান : গান্ধিজির বিশেষ নির্দেশে সরোজিনী নাইডু ধরসানা লবণ গুদাম অবরোধ করতে গেলে রাস্তার মাঝখানে পুলিশ মিছিলকে ছত্রভঙ্গ করে দেয় । ওয়াডালা লবণগোলা অভিযানে কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায়কেও একই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয় । বহু নারী স্বেচ্ছাসেবী সংঘও এই সময় আন্দোলনে যোগ দিয়ে অত্যাচার ও কারাযন্ত্রণা ভোগ করেন । 

দলিতদের অংশগ্রহণ : ‘ দলিত ‘ – দের পক্ষ থেকে চম্পুভাই , গোপিকা বাঙ্গ , শকুন্তলা ভালেরাও , ধূলিবেন সোলাংকি , সোনাল সোলাংকি প্রমুখ বহু নির্ভীক মহিলা কংগ্রেসের ডাকে আন্দোলনে যোগ দিয়ে কৃচ্ছ্রসাধন করেন । জওহরলাল নেহরু তাঁর Discovery of India এইসব মহিলাদের ভূয়সী প্রশংসা করেন । 

বিক্ষোভ কর্মসূচি : বিদেশি বস্ত্র ও মদের দোকানের সামনে পিকেটিং – এ সম্ভ্রান্ত পরিবারের নারীরাও অংশ নেয় । এর পাশাপাশি বোম্বাই , এলাহাবাদ , লাহোর , দিল্লি প্রভৃতি শহরে নারীরা প্রকাশ্যে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেয় । 

কৃষক – নারীদের অংশগ্রহণ : আইন অমান্য আন্দোলনে মেদিনীপুরের ঘাটাল , কাঁথি , তমলুক প্রভৃতি স্থানের কৃষক নারীরা পুলিশের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে লবণ প্রস্তুত ও বিক্রয় করে । 

নারী সংগঠনের যোগদান : এই আন্দোলনে বোম্বাইয়ের ‘ দেশ সেবিকা সংঘ ’ , বাংলার ‘ মহিলা রাষ্ট্রীয় সংঘ ‘ , কলকাতার ‘ ছাত্রী সংঘ ‘ প্রভৃতি বিভিন্ন নারী সংগঠন যোগ দিয়েছিল । 

মূল্যায়ন : আইন অমান্য আন্দোলনকালে ভারতের নারীসমাজের যোগদানের প্রকৃতি ভারতজুড়ে একইরকম ছিল না । ঐতিহাসিক শেখর বন্দ্যোপাধ্যায় দেখিয়েছেন যে , অংশগ্রহণের দিক থেকে বোম্বাইয়ের আন্দোলন ছিল সবচাইতে সংগঠিত , বাংলার আন্দোলন ছিল উগ্র এবং মাদ্রাজের নারীদের অংশগ্রহণ ছিল সীমিত । 



২. অহিংস অসহযোগ আন্দোলনে নারীর ভূমিকা কী ছিল ? 
উত্তরঃ-  ভূমিকা : ভারতের রাজনীতিতে গান্ধিজির আবির্ভাবের সমকালেই ভারতীয় নারীদের জাতীয় আন্দোলনে অংশগ্রহণ দ্রুত বাড়তে থাকে । প্রকৃতপক্ষে বলা যায় অহিংস অসহযোগ আন্দোলনে ( ১৯২০-২২ খ্রি . ) গান্ধিজির নেতৃত্বে নারীর রাজনৈতিক জাগরণ ঘটে । 

নারীর ভূমিকা : গান্ধিজি তাঁর আন্দোলনের সঙ্গে দেশের শিক্ষা , সমাজ ও অর্থনীতি বিষয়ে নিজের ভাবনাচিন্তাকেও যুক্ত করেছিলেন । ফলে জাতি – বর্ণ – ধর্ম – নির্বিশেষে দেশের সাধারণ মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের মহিলারাও অহিংস অসহযোগ ও সত্যাগ্রহ আন্দোলনে যোগ দিতে কোনো দ্বিধা করেননি , যেমন – 

মিটিং মিছিল : সারা দেশের নারী সমাজ , তাঁদের চিরাচরিত পর্দা প্রথাকে ত্যাগ করে দলে দলে মিটিং মিছিলে যোগ দেন । 

বিদেশি দ্রব্য বর্জন : তাঁরা দেশি দ্রব্য ও বিদেশি মদের দোকানেও অবরোধ তৈরি করেন । বিদেশি বস্তু বর্জনের আহ্বানে অনেক উচ্চবিত্ত মহিলারা যোগদান করেন । 

জাতীয় তহবিল : ভারতীয় নারীদের অনেকেই তাদের মূল্যবান অলংকার জাতীয় তহবিলে দান করেছেন । 8 সভাসমিতি গঠন : জাতীয় নেতা চিত্তরঞ্জন দাশের পত্নী বাসন্তী দেবী কলকাতায় ‘ নারী সত্যাগ্রহ সমিতি ‘ ও ‘ কর্মমন্দির ‘ প্রতিষ্ঠা করেন । 

বিক্ষোভ প্রদর্শন : চিত্তরঞ্জন দাশের স্ত্রী বাসন্তী দেবী এবং চিত্তরঞ্জনের বোন ঊর্মিলা দেবী প্রিন্স অব্ ওয়েলস – এর কলকাতায় আসার দিন রাস্তায় খাদি কাপড় বিক্রি করেন এবং বিদেশি দ্রব্য বর্জনের ধ্বনি তোলেন । এর ফলে তাঁরাই সম্ভবত প্রথম সরকারি আইন অমান্য করে কারাবরণ করেন । 

গঠনমূলক কর্মসূচি : আন্দোলনে নারীদের যোগদান শহরকেন্দ্রিক হলেও শহরের বেশ কয়েকজন নেত্রী গ্রামে গিয়ে গ্রামের নারীদের গঠনমূলক কর্মসূচি ( যেমন , চরকায় সুতা কাটা ও কাপড় বোনা ) -র বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করেন । 

নেতৃত্ব : সরোজিনী নাইডু , কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায় , মতিলাল নেহরুর স্ত্রী স্বরূপ রানি , জওহরলাল নেহরুর স্ত্রী কমলা নেহরু , জওহরলালের দুই বোন বিজয়লক্ষ্মী ও কুয়া এবং নেহরু পরিবারের দুই নিকট আত্মীয়া রামেশ্বরী ও উমা নেহরু , অন্য মহিলাদের সঙ্গে সমানভাবেই সত্যাগ্রহ আন্দোলনে সক্রিয় অংশ নেন । 

মুসলিম নারীদের যোগদান : মুসলিম নারীদের মধ্যে আবিদা বানু বেগম এবং লখনউ অঞ্চলে আবদুল কাদির বিভিন্নভাবে অসহযোগ আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন । তবে মনে রাখতে হবে , বিভিন্ন আন্দোলনের শরিক পুরুষদের পরিবারেই এই প্রবণতা দেখা গিয়েছিল । 


৩. বাংলায় নমঃশূদ্র আন্দোলনের উদ্ভবের প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করো।

উত্তরঃ-  
ভূমিকা – পূর্ব বাংলার খুলনা, যশোহর, ফরিদপুর ও বরিশালের প্রান্তিক কৃষিজীবি সম্প্রদায় নমঃশূদ্র’ নামে পরিচিত। সামাজিক দিক থেকে এঁরা ছিল হিন্দুসমাজে অস্পৃশ্য ও অন্ত্যজ। এরূপ সামাজিক বৈষম্য থেকে মুক্তি পেতে তারা যে আন্দোলন গড়ে তোলে তা নমঃশূদ্র আন্দোলন নামে পরিচিত।

বাংলায় নমঃশূদ্র আন্দোলনের উদ্ভব – নমঃশূদ্র আন্দোলনের উদ্ভবের প্রেক্ষাপট আলোচনা করলে দেখা যায় —

সামাজিক বৈষম্য – নমঃশূদ্র সম্প্রদায়কে সামাজিক দিক থেকে পতিত ও অদ্ভুত বলে মনে করা হত। ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দে ফরিদপুর-বাখরগঞ্জ অঞ্চলে একজন বিশিষ্ট নমঃশূদ্র গ্রামীণ নেতার মায়ের শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে উচ্চবর্ণের হিন্দুরা যোগ দিতে অস্বীকার করলে নমঃশূদ্রদের আন্দোলনের সূচনা হয়।

প্রতিনিধি দল প্রেরণ – ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে নমঃশূদ্রদের একটি প্রতিনিধি দল গভর্নরের সঙ্গে দেখা করে এবং ব্রিটিশ শাসনের প্রতি আস্থা প্রদর্শন করে তার স্থায়িত্ব কামনা করে। তাদের যুক্তি ছিল যে, ব্রিটিশ জনগণ কোনোরকম বর্ণভিত্তিক সামাজিক কাঠামোয় বিশ্বাসী নয়। তাই ব্রিটিশরাই তাদের সামাজিক বৈষম্যের হাত থেকে মুক্ত করতে পারবে।

পৃথক সংগঠন প্রতিষ্ঠা – নমঃশূদ্ররা ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে নিজেদের জন্য পৃথক সংগঠন গড়ে তোলে। সংগঠনের মুখপত্র ছিল ‘পতাকা’ এবং এই পত্রিকায় নমঃশূদ্র নেতা রায়চরণ বিশ্বাস জাতি ব্যবস্থায় নিজেদের ব্রাহ্মণ গোষ্ঠীভুক্ত বলে দাবি করেন।

ধর্মপ্রচারকদের ভূমিকা – ধর্মপ্রচারক প্রভু জগবন্ধু ও হরিচাঁদ ঠাকুর নমঃশূদ্র সম্প্রদায়কে উদার মানবতাবাদী ধর্মীয় ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ করেন। হরিচাঁদ ঠাকুর তাঁর শিষ্যদের ‘মতুয়া’ নামে ডাকতেন। তিনি ব্রাত্মণ জমিদার ও পুরোহিত শ্রেণির অবিচার ও শোষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। নমঃশূদ্রদের মধ্যে আত্মমর্যাদা সৃষ্টি করাই ছিল তাঁর লক্ষ্য। তাই তিনি তাদের মধ্যে শিক্ষা প্রসারে বিশেষ উদ্যোগী হন।

ধর্মপ্রচারকদের ভূমিকা – ধর্মপ্রচারক প্রভু জগবন্ধু ও হরিচাঁদ ঠাকুর নমঃশূদ্র সম্প্রদায়কে উদার মানবতাবাদী ধর্মীয় ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ করেন। হরিচাঁদ ঠাকুর তাঁর শিষ্যদের ‘মতুয়া’ নামে ডাকতেন। তিনি ব্রাত্মণ জমিদার ও পুরোহিত শ্রেণির অবিচার ও শোষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। নমঃশূদ্রদের মধ্যে আত্মমর্যাদা সৃষ্টি করাই ছিল তাঁর লক্ষ্য। তাই তিনি তাদের মধ্যে শিক্ষা প্রসারে বিশেষ উদ্যোগী হন।

উপসংহার – এভাবে নমঃশূদ্রদের মধ্যে সামাজিক সংহতি প্রতিষ্ঠিত হয়। এর পাশাপাশি সাংস্কৃতিক দিক দিয়েও নমঃশূদ্ররা ঐক্যবদ্ধ হতে সচেষ্ট হয়। হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মতিথি উপলক্ষ্যে প্রতি বছর ঠাকুর নগরে বারুণী মেলা আয়োজিত হয়। গুরুচাঁদ ঠাকুর চণ্ডালদের নাম পরিবর্তন করে নমঃশূদ্র রাখার দাবি জানান। ১৯১১ খ্রিস্টাব্দের জনগণনায় এই দাবি স্বীকৃত হয়। পরবর্তীকালে বাংলার নমঃশূদ্রদের নিয়ে ভিন্ন মাত্রার রাজনৈতিক আন্দোলন গড়ে তোলেন যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডল।




৪. স্বদেশি আন্দোলনে নারীদের অংশগ্রহণের চরিত্র ছিল ঘরোয়া – তুমি কি এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত? তোমার উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও।

উত্তরঃ-  
ভূমিকা – বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনকালে পুরুষদের পাশাপাশি বাংলার নারীসমাজও অংশগ্রহণ করে। তবে তা অধিকাংশ ক্ষেত্রে সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল না, বরং তা ছিল সহযোগীর ভূমিকা।

অংশগ্রহণের চরিত্র – স্বদেশি আন্দোলনে নারী সমাজ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সক্রিয় অংশগ্রহণ না করে সহযোগীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়, যেমন —

বিভিন্ন কর্মসূচি সম্পাদন – বঙ্গভঙ্গ বিরোধী স্বদেশি আন্দোলনের সময় বিদেশি বস্ত্র বর্জন ও পোড়ানো, দেশি কাপড়ের প্রচলন ও অরন্ধন দিবস পালন প্রভৃতি কর্মসূচিতে নারীরা যোগদান করেন।

বিপ্লববাদে সহায়তা – এ ছাড়া বিপ্লবীদের আশ্রয়দান, গোপনে সংবাদ ও অস্ত্র সরবরাহ ইত্যাদির মাধ্যমে তাঁরা বিপ্লবী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হন। ফরিদপুরে সৌদামিনী দেবী, বরিশালের সরোজিনী দেবী, বীরভূমের দুকড়িবালা দেবী প্রমুখরা বিপ্লবীদের আশ্রয় দেন। তাঁরা গোপনে অস্ত্র সরবরাহ করার কাজে নিযুক্ত হন। এ প্রসঙ্গে বিপ্লবী অমরেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের মেজো পিসিমা ননীবালা দেবীর নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বিপ্লবীদের আশ্রয় দেওয়ার অপরাধে তিনি গ্রেফতার হন। নির্যাতন চালিয়েও তাঁর কাছ থেকে পুলিশ কোনো গোপন তথ্য আদায় করতে পারেনি।

জাতীয়তাবাদী আদর্শ প্রচার – আন্দোলনে সহযোগীর ভূমিকার পাশাপাশি কিছু ক্ষেত্রে নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণের দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়। স্বদেশি আন্দোলনের সময় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাগনি সরলাদেবী চৌধুরানি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন। তিনি ‘ভারতী’ পত্রিকায় বিভিন্ন প্রবন্ধ প্রকাশের মাধ্যমে নারীশক্তিকে উজ্জীবিত করে তোলেন। এ ছাড়া বীরাষ্টমী উৎসব, প্রতাপাদিত্য ব্রত, উদয়াদিত্য ব্রত ইত্যাদি প্রচলন করেন। এই উৎসবগুলিতে বাঙালি যুবকদের লাঠি খেলা, কুস্তি, তরবারি খেলা, শরীরচর্চা ইত্যাদির প্রতি উৎসাহদান করা হত।

অর্থদান – জন্মভূমির উদ্দেশ্যে একমুঠো চাল ধরে রাখার জন্য বাংলার মেয়েদের কাছে মায়ের কৌটো বা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পৌঁছে দেওয়া হয়। কোনো নারী দুঃসাহসিক কাজ করলে বা প্রচুর অর্থ দান করলে তাকে, বঙ্গলক্ষ্মী উপাধি দেওয়া হয়। চারণ কবি মুকুন্দ দাসও বঙ্গনারীকে রেশমি চুড়ি ছাড়ার পরামর্শ দেন।

অরন্ধনের বাস্তবায়ন – স্বদেশি আন্দোলনে শহরাঞ্চলের নারী সমাজ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে। বঙ্গভঙ্গ কার্যকর হওয়ার দিন (১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের ১৬ অক্টোবর) কলকাতার নারী সমাজের একটা বড়ো অংশ রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদীর আহ্বানে অরন্ধন পালন করে। তারা উপবাস করে, চরকা কেটে দিনটি অতিবাহিত করেন।

নারী সমাবেশ – ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের ১৬ অক্টোবর ফেডারেশন হল এর ভিত্তি স্থাপনে ৫০০ মহিলা যোগ দেন। মুরশিদাবাদের কান্দিতে রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদীর বিষ্ণু প্রাঙ্গণে প্রায় ৫০০ মহিলা সমবেত হন। উপস্থিত নরনারীরা সেদিন সমবেতভাবে বিদেশি দ্রব্য বর্জন ও স্বদেশি দ্রব্য ব্যবহারের শপথ গ্রহণ করেন।

বিশিষ্ট নারীদের অংশগ্রণ গ্রাম – শহর সর্বত্র চরকার প্রবর্তন, লক্ষ্মী ভাণ্ডার গড়ে তোলা প্রভৃতির মধ্য দিয়ে – জাতীয়তাবাদী মহিলারা আন্দোলনকে আরও ব্যাপক করে তোলেন। এ প্রসঙ্গে কুমুদিনী মিত্র, লীলাবতী মিত্র, হেমাঙ্গিনী দাস, নির্মলা সরকার প্রমুখের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

নারীবাহিনী – এই সময় বরিশালের ১৩ বছরের গৃহবধূ মনোরমা বসু একটি নারীবাহিনী তৈরি করেন। সদর রাস্তায় এই বাহিনী বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়।

উপসংহার – এভাবে দেখা যায় যে, বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনকালে নারীর অংশগ্রহণ ছিল মূলত ঘরোয়া, অর্থাৎ ঘর থেকেই আন্দোলনে অংশগ্রহণ। তবে বেশ কিছু ক্ষেত্রে নারীর প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণও ছিল। এই আন্দোলনে নারীর যোগদান ছিল মূলত শহরকেন্দ্রিক। আবার যোগদানকারী নারীদের অংশগ্রহণ স্বতঃস্ফূর্ত ছিল কিনা তা বিতর্কিত।


৫. উনিশ – বিশ শতকের নারী জাগরণের পটভূমি আলোচনা করো । 

উত্তরঃ-  ঔপনিবেশিক ভারতে উনিশ শতকের সমাজ সংস্কার আন্দোলনে নারী সমাজের অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয় ।। এইভাবেই নারীশিশু হত্যা বন্ধ হয় , সতীদাহ প্রথা রদ হয় এবং বিধবা পুনর্বিবাহ আইন সিদ্ধ হয় । তবে সরকারি আইনের পাশাপাশি ভারতীয় শাস্ত্রকেও বৈধতার রক্ষাকবচ হিসেবে রাখা হয় । কিন্তু নারী জাতি মর্যাদার জন্য সংস্কার কার্যক্রমে নারী জাতির নিজস্ব ভূমিকা ছিল না । 

নারী জাগরণের পটভূমি : উনিশ শতকে ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষার বিস্তার , নারী শিক্ষার প্রসার ও নারীকল্যাণ সাধনের প্রচেষ্টা প্রাথমিকভাবে নারী জাগরণের পটভূমি তৈরি করেছিল । এই পটভূ মির অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দিক হল— 

নতুন নারীর আবির্ভাব : ঔপনিবেশিক পর্বের আগে হিন্দু বা মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের মহিলারা সামাজিক অনুশাসনে আবদ্ধ ছিল । তবে নারী সমস্যাকে কেন্দ্র করে নারী শিক্ষার প্রশ্নটি যখন বড়ো হয়ে ওঠে তখন পুরুষদের পাশাপাশি কতিপয় শিক্ষিত নারীও সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসেন । এইসব শিক্ষিত নারীরা ‘ ভদ্রমহিলা ’ নামে পরিচিত হন । 

ভারতীয় পুরুষ সংস্কারক : রাধাকান্ত দেব , ডেভিড হেয়ারের স্কুল বুক সোসাইটি ; পরে কেশবচন্দ্র সেন ও ব্রাহ্ম সমাজ , পশ্চিম ভারতে মহাদেব গোবিন্দ রানাডে ও প্রার্থনা সমাজ , উত্তর ভারতে স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী ও আর্যসমাজ নারী শিক্ষার প্রসার ও আধুনিকীকরণে সচেষ্ট হন । প্রকৃতপক্ষে ব্রাক্ম সমাজ ছিল উনিশ শতকের নারী প্রগতির ধারক ও বাহক । 

পূর্ণায়ত নারী উদ্যোগ : বিদেশি ও শিক্ষিত ভারতীয় যে সমস্ত নারীরা যাঁরা নারী প্রগতি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছিলেন , তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল মাদ্রাজের অ্যানি বেসান্ত ও তাঁর থিওসফিকাল সোসাইটি , পশ্চিম ভারতে পণ্ডিতা রমাবাই , মাদ্রাজে ভগিনী শুভলক্ষ্মী ও বাংলার বেগম রোকেয়া শাখাওয়াত হোসেন , কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায় , চন্দ্রমুখী বসু । 

বঙ্কিমচন্দ্র ও অবনীন্দ্রনাথের উদ্যোগ : বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তাঁর রচিত ‘ আনন্দমঠ ‘ উপন্যাসে দেশকে দেশমাতারূপে উপস্থাপন করেন । তিনি তাঁর অন্যান্য কয়েকটি উপন্যাসে নারীমহিমাকেও তুলে ধরেন । অন্যদিকে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক অঙ্কিত ‘ ভারতমাতা ’ ছবিতে ভারতমাতাকে দেবী ও মানবীরূপে চিহ্নিত করে নারী মহিমাকে তুলে ধরেন । 

রাজনৈতিক চেতনা : উনিশ শতকের শেষ ও বিশ শতকের শুরুতে নারীশিক্ষার হার ক্রমশই বাড়তে থাকে । কিছু ধনী পরিবার , ঔপনিবেশিক শাসক গোষ্ঠী নারীশিক্ষা উদ্যোগে শামিল হন । নারীরা শিক্ষিত হওয়ার ফলে তাঁদের রাজনৈতিক চেতনাও বাড়ে এবং স্বাধীনতা আন্দোলনেও তাঁরা অংশ নেন । 

পত্রপত্রিকার ভূমিকা : উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে ‘ বামাবোধিনী পত্রিকা ‘ , নারীশিক্ষা ও নারীদের মধ্যে জাতীয়তাবাদী চেতনা স্যারে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিল । আবার বিংশ শতকে কৃষ্ণকুমার মিত্রের কন্যা কুমুদিনী মিত্রের ‘ সুপ্রভাত ‘ , মীরা দাশগুপ্তার সম্পাদিত ‘ বেণু ‘ পত্রিকা এবং সরলাদেবী চৌধুরানির ‘ ভারতী ‘ পত্রিকা নারী জাগরণে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিল । 

উপসংহার : উপরোক্ত বিভিন্ন সহায়ক উপাদানের প্রভাবে ভারতের নারী সমাজে শিক্ষার প্রসার ও জাতীয়তাবাদের প্রসার ঘটেছিল । শেষপর্যন্ত বঙ্গভঙ্গ – বিরোধী আন্দোলনকালে নারীরা নিজস্ব পরিসরে অন্দরমহলের বাইরে সভাসমিতি , মিটিং – মিছিল এবং জাতীয় আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে ।


৬. দলিত অধিকার বিষয়ে গান্ধি ও আম্বেদকরের মধ্যে কী ধরনের মতপার্থক্য ছিল তা বিশ্লেষণ করো।

উত্তরঃ-  
ভূমিকা – দলিত নেতাদের উদ্যোগে দলিতদের জন্য আর্থসামাজিক অধিকার অর্জন প্রচেষ্টা এবং ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে মন্টেগু চেমসফোর্ড সংস্কার দ্বারা দলিতদের অল্পমাত্রায় রাজনৈতিক অধিকারের স্বীকৃতিদান ছিল খুব গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। কিন্তু ১৯২০ ও ১৯৩০-এর দশকে দলিত অধিকার বিষয়ে গান্ধি ও আম্বেদকরের মধ্যে মতপার্থক্য স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

দলিত অধিকার বিষয়ে গান্ধি ও আম্বেদকরের মধ্যে মতপার্থক্য – দলিত অধিকার বিষয়ে গান্ধি ও আম্বেদকরের মধ্যে মতপার্থক্যের দিকগুলি হল –

দৃষ্টিভঙ্গিগত – মহাত্মা গান্ধি মানবতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গিতে দলিত সমস্যাকে বিবেচনা করেন এবং সমাজ থেকে অস্পৃশ্যতা দূরীকরণের উপর গুরুত্ব দেন। ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে অসহযোগ আন্দোলনকালে অস্পৃশ্যতা দূরীকরণের কর্মসূচি গ্রহণ করেন। কিন্তু কয়েকবছর পর আম্বেদকর অস্পৃশ্যতা দূরীকরণের পাশাপাশি দলিতদের অর্থনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার পক্ষপাতী ছিলেন।

পদ্ধতিগত – অস্পৃশ্যতা দূরীকরণে গান্ধিজি মূলত ধৰ্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেন। দলিতদের মন্দিরে প্রবেশাধিকার বা উচ্চবর্ণের সঙ্গে একত্রে বসে খাওয়ার অধিকারদানের উপর গুরুত্ব দেন। পক্ষান্তরে আম্বেদকর গান্ধিজিকে ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দের অক্টোবর-এ লিখেছিলেন—“দলিতদের জন্য মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া, উচ্চবর্ণের সঙ্গে বসে খাওয়া ও এই ধরনের অন্যান্য বিষয়ের প্রতি আমার কোনো উৎসাহ নেই। কারণ এসব সত্ত্বেও আমরা দুর্দশা ভোগ করি। আমি শুধু চাই তাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক দুরবস্থার অবসান ঘটুক।”

বর্ণাশ্রম সম্পর্কিত – গান্ধিজি হিন্দুসমাজের বর্ণাশ্রম, (ব্রাক্ষ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্র) ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রেখে বর্ণগুলির মধ্যে সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের উপর গুরুত্ব দেন। কিন্তু আম্বেদকর ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দে গান্ধির বর্ণাশ্রম ব্যবস্থা ও বর্ণহিন্দুদের অবস্থানকে চ্যালেঞ্জ করেন।

রাজনৈতিক অধিকার সম্পর্কিত – ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে আম্বেদকর দলিতদের জন্য পৃথক নির্বাচকমণ্ডলী দাবি করেন। ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে লন্ডনে গোলটেবিল বৈঠকে যোগদান করে দলিত শ্রেণির জন্য আইনসভায় আসন সংরক্ষণের দাবি জানান। এরই ভিত্তিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ম্যাকডোনাল্ড ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দের আগস্ট মাসে ‘সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা’ ঘোষণা করেন। এর দ্বারা হিন্দুসমাজকে বর্ণহিন্দু ও অনুন্নত শ্রেণি — এই দুই ভাগে ভাগ করে রাজনৈতিক জটিলতার সৃষ্টি করা হয়। এই বৈষম্যমূলক নীতির বিরুদ্ধে গান্ধিজি সরব হন। তিনি যারবেদা জেলে অনশন শুরু করেন।

উপসংহার – সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারার মাধ্যমে আম্বেদকর দলিতদের জন্য রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় সক্ষম হলেও গান্ধিজির সঙ্গে ‘পুনা চুক্তির’ মাধ্যমে সেই অধিকার অনেকটাই হারিয়ে ফেলেন।


৭. স্বদেশি আন্দোলনে বাংলার নারীসমাজের কী ভূমিকা ছিল ? 
উত্তরঃ-  ভূমিকা : উনিশ শতকের শেষভাগ থেকেই সাম্রাজ্যবাদী ইংরেজদের ভারতের মাটি থেকে উচ্ছেদ করার চেষ্টা সকলের মধ্যেই দানা বেঁধে ওঠে । সর্বভারতীয় স্তরে যেমন ছিলেন বালগঙ্গাধর তিলক , অরবিন্দ ঘোষ প্রমুখ তেমনি ভারতের রাজধানী হিসেবে বাংলার ভূমিকাও সেখানে কম ছিল না । পুরুষশাসিত কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি বাংলার নারীরাও এগিয়ে আসেন । 

সাহিত্যচর্চা : রবীন্দ্রনাথের ভাগনি সরলাদেবী চৌধুরানি , ১৮৯৭ থেকে ১৮৯৯ পর্যন্ত ‘ ভারতী ‘ পত্রিকা সম্পাদনা করে ছিলেন । ঠাকুরবাড়ির পরিশীলিত ও অভিজাত পরিবেশে তাঁর বাল্য ও কৈশোর অতিবাহিত হয় । ‘ ভারতী ‘ পত্রিকার মাধ্যমে তিনি বাংলার মেয়েদের মনে ইংরেজ বিরোধী প্রতিবাদী চেতনা সৃষ্টি করেন । এর ফলে বাংলার অন্দরমহলে জাতীয়তাবোধ ও সাহসিকতাও জন্ম নেয় । অনুরূপভাবে , স্বদেশি আন্দোলনের অন্যতম পুরোহিত কৃষ্ণকুমার মিত্রের কন্যা কুমুদিনী মিত্র তাঁর ‘ সুপ্রভাত ‘ পত্রিকার মাধ্যমে দেশপ্রেমের আদর্শ প্রচার করেন । মীরা দাশগুপ্তা ছিলেন ‘ বেণু ‘ পত্রিকার সম্পাদিকা , যিনি পরবর্তীকালে বিপ্লবী দলে যোগ দেন । 

অন্যান্য কর্মকাণ্ড : স্বদেশি আন্দোলনের সময়ে বাংলার মহিলারা রাখিবন্ধন উৎসব , অরন্ধন ইত্যাদি কর্মকাণ্ডে যোগ দেন । সরলাদেবী সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি লাঠি খেলা , ছোরা খেলা প্রভৃতি নানারকম শরীরচর্চাতেও উৎসাহ দেন । বিদেশি পণ্য বর্জন করে স্বদেশি পণ্য বিক্রির প্রয়াসে তিনি ‘ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ‘ গড়ে তোলেন । এই ‘ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ’ পরে ‘ স্বদেশি স্টোর্স ‘ – এ পরিণত হয় । বাংলার যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্ষাত্র , তেজ , বীরত্ব , সাহসিকতা ও দেশপ্রেম জাগ্রত করার জন্য তিনি ‘ বীরাষ্টমী ব্রত ’ ও ‘ প্রতাপাদিত্য উৎসব ’ – এর প্রচলন ঘটান । 

মূল্যায়ন : লক্ষণীয় যে , বাংলার অভিজাত থেকে সাধারণ ঘরের মহিলারা যেভাবে স্বদেশ ভাবনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন , সেভাবে কিন্তু তাঁরা জাতীয় মর্যাদা কখনোই পাননি ।



৮. জাতীয় আন্দোলনে সরোজিনী নাইডু বিখ্যাত কেন ? 
উত্তরঃ-  আইন অমান্য আন্দোলনের সময় নারী সমাজের ভূমিকাকে তুমি কীভাবে ব্যাখ্যা করবে ? 

প্রথম অংশ : জাতীয় আন্দোলনে সরোজিনী নাইডু : বিশ শতকে ভারতের জাতীয় আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী নারীদের মধ্যে অগ্রগণ্য ছিলেন সরোজিনী নাইডু । তিনি বিভিন্ন কারণে বিখ্যাত , যেমন— 

মহিলা সমিতি গঠন : ১৯১৫-১৯১৮ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে তিনি ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল পরিভ্রমণ করেন এবং সামাজিক উন্নতি , নারীশক্তির উজ্জীবন ও জাতীয়তাবাদী আদর্শ সম্পর্কে বক্তৃতা দেন । ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে তিনি ‘ ভারতীয় মহিলা সমিতি ‘ ( WIA ) প্রতিষ্ঠা করেন । 

জাতীয় আন্দোলনে অংশগ্রহণ : তিনি বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের সময় থেকেই জাতীয় আন্দোলনে যোগদান করেন । 

প্রথমত , অসহযোগ আন্দোলনকালে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন না করলেও ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে কানপুরে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি হন । তিনি ছিলেন প্রথম ভারতীয় মহিলা সভাপতি । 

দ্বিতীয়ত , আইন অমান্য আন্দোলনকালে তিনি গান্ধিজির ডান্ডি অভিযানে অংশ নেন ও ধরসানা লবণগোলা অভিযান করেন । 

তৃতীয়ত , ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের ভারত ছাড়ো আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে তিনি জেলবন্দি হন । 

গভর্নররূপে : তিনি স্বাধীন ভারতে ১৯৪৭-১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত আগ্রার সংযুক্ত প্রদেশ ও অযোধ্যার গভর্নররূপে শাসনভার পরিচালনা করেন । দ্বিতীয় অংশ , আইন অমান্য 

আন্দোলনে নারীসমাজ : অসহযোগ আন্দোলনের আইন অমান্য আন্দোলনের সময় ( ১৯৩০-৩৪ খ্রি . ) তুলনামূলকভাবে নারীর যোগদান ছিল বেশি । গান্ধিজি লবণকে আইন অমান্যের বিষয়ে পরিণত করে নারীদের কাছে এই আন্দোলন আকর্ষণীয় করে তুলতে চেয়েছিলেন । 

সরোজিনী নাইডু যোগদান : আইন অমান্য আন্দোলনে নারীদের যোগদানের উল্লেখযোগ্য দিক হল 

লবণ আইন ভঙ্গ : ডান্ডিতে মহাত্মা গান্ধির লবণ আইন অমান্য কালে অনেক নারী যোগদান করেন ও লবণ আইন ভঙ্গ করেন এবং এরপর ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে হাজার হাজার নারী লবণ আইন ভঙ্গ শুরু করে দেয় । সরোজিনী নাইডুর নেতৃত্বে ‘ ধরসানা লবণ গোলা অভিযান ‘ সম্পন্ন হয় । 

 বিক্ষোভ কর্মসূচি : বিদেশি বস্ত্র ও মদের দোকানের সামনে পিকেটিং – এ সম্ভ্রান্ত পরিবারের নারীরাও অংশ নেয় । এর পাশাপাশি বোম্বাই , এলাহাবাদ , লাহোর , দিল্লি প্রভৃতি শহরে নারীরা প্রকাশ্যে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেয় । 

কৃষক – নারীদের অংশগ্রহণ : আইন অমান্য আন্দোলনে মেদিনীপুরের ঘাটাল , কাঁথি , তমলুক প্রভৃতি স্থানের কৃষক নারীরা পুলিশের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে লবণ প্রস্তুত ও বিক্রয় করে । 

নারী সংগঠনের যোগদান : এই আন্দোলনে বোম্বাইয়ের ‘ দেশ সেবিকা সংঘ ’ , বাংলার ‘ মহিলা রাষ্ট্রীয় সংঘ ’ , কলকাতার ‘ ছাত্রী সংঘ প্রভৃতি বিভিন্ন নারী সংগঠন যোগ দিয়েছিল । 

মূল্যায়ন : আইন অমান্য আন্দোলনকালে ভারতের নারীসমাজের যোগদানের প্রকৃতি ভারতজুড়ে একইরকম ছিল না । ঐতিহাসিক শেখর বন্দ্যোপাধ্যায় দেখিয়েছেন যে , অংশগ্রহণের দিক থেকে বোম্বাইয়ের আন্দোলন ছিল সবচাইতে সংগঠিত , বাংলার আন্দোলন ছিল উগ্র এবং মাদ্রাজের নারীদের অংশগ্রহণ ছিল সীমিত । 



৯. বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনকালে সরলাদেবী চৌধুরানির ভূমিকা কী ছিল? অসহযোগ আন্দোলনে নারী সমাজের যোগদানের প্রকৃতিকে তুমি কীভাবে চিহ্নিত করবে?

উত্তরঃ-  
প্রথম অংশ – সরলাদেবী চৌধুরানি বঙ্গভঙ্গের পূর্বে ও বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনকালে নারী জাগরণ ও জাতি জাগরণের ক্ষেত্রে ছিলেন এক উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব। তাঁর কৃতিত্বের বিভিন্ন দিকগুলি হল —

প্রতাপাদিত্য উৎসব – বঙ্গভঙ্গ বাস্তবায়নের পর তিনি ১ বৈশাখ তারিখে প্রতাপাদিত্য উৎসব – এর প্রচলন করেন। মোগল শাসন বিরোধী বাঙালি বীর প্রতাপাদিত্যের জীবনী পাঠ, কুস্তি ও তলোয়ার, বক্সিং ও লাঠি চালনা ছিল এই উৎসবের অঙ্গ।

জাতীয়তার আদর্শ প্রচার – বঙ্গভঙ্গের পূর্বেই তিনি ‘ভারতী’ নামক পত্রিকায় তার লেখনীর মাধ্যমে জাতীয়তার আদর্শ প্রচার করেন। এর পাশাপাশি তিনি ইংরেজদের হাতে নিগৃহীত ভারতীয়দের তৎক্ষণাৎ প্রতিবাদ জানানোর ঘটনাও তুলে ধরেন।

নারী সংগঠন প্রতিষ্ঠা – ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের এলাহাবাদ অধিবেশনকালে (১৯১০ খ্রি.) তিনি একটি নিখিল ভারত মহিলা সম্মেলন আহ্বান করেন। এই সম্মেলনের উদ্যোগেই প্রতিষ্ঠিত হয় ‘ভারত-স্ত্রী-মহামণ্ডল’ নামক নারী সংগঠন।

দ্বিতীয় অংশ – অসহযোগ আন্দোলনে নারীদের অংশগ্রহণের দিকগুলি হল —

বয়কট ও স্বদেশি – মহাত্মা গান্ধি প্রাথমিকভাবে নারীদের সীমিত কর্মসূচিতে অর্থাৎ বিদেশি দ্রব্য বয়কট ও স্বদেশি দ্রব্য গ্রহণের জন্য যোগ দিতে আহ্বান জানান। তাঁর এই আহ্বানে ভারতের হাজার হাজার নারী যোগদান করে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নারীরা পিকেটিং-এ অংশগ্রহণ করেন। এ প্রসঙ্গে সরোজিনী নাইডু, কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ নারীর নাম উল্লেখ্য।

বিক্ষোভ কর্মসূচি – ১৯২১ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বর – এ ‘প্রিন্স অব ওয়েলস’ বা ইংল্যান্ডের যুবরাজ ভারত সফরে এলে বোম্বাই ও কলকাতা শহরে নারী বিক্ষোভের সৃষ্টি হয়। কংগ্রেস নেতা চিত্তরঞ্জন দাসের স্ত্রী বাসন্তী দেবী ও তাঁর বোন উর্মিলা দেবী প্রকাশ্য রাজপথে যুবরাজ বিরোধী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করলে তাদের জেলবন্দি করা হয়।

গঠনমূলক কর্মসূচি – শহরের বেশ কয়েকজন নেত্রী গ্রামে গিয়ে অসহযোগ আন্দোলনকে সফল করার জন্য প্রচার চালান। এ ছাড়া বিভিন্ন গঠনমূলক কর্মসূচি, যেমন — চরকায় সুতো কাটা ও কাপড় বোনার জন্য উৎসাহিত করা হয়।

নারী সংগঠন – অসহযোগ আন্দোলনের পূর্বেই সরোজিনী নাইডুর নেতৃত্বে ‘ভারতীয় মহিলা সমিতি’ গড়ে উঠেছিল। অনুরূপভাবে অসহযোগ আন্দোলনকালে কলকাতায় ‘কর্মমন্দির’, ‘নারী-সত্যাগ্রহ সমিতির’ মাধ্যমে মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের নারীরা সভাসমিতি, পিকেটিং-এ অংশগ্রহণ করে।

মূল্যায়ণ – অসহযোগ আন্দোলনে নারীর অংশগ্রহণ ছিল সীমিত। এই আন্দোলনে মুসলমান নারীদের যোগদান ছিল অত্যন্ত অল্প। তবে অসহযোগ আন্দোলনের মাধ্যমে গ্রামীণ নারীদের মধ্যে গঠনমূলক কাজের প্রসার ঘটে।


১০. ‘ ভারত ছাড়ো ‘ আন্দোলনে নারী উদ্যোগ বর্ণনা করো । 
উত্তরঃ-  প্রথম অংশ : ভারত ছাড়ো আন্দোলনে নারী : জাতীয় আন্দোলনের শেষ পর্যায়ে , অর্থাৎ ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের আগস্ট আন্দোলনে হাজার হাজার নারী পুরুষদের সঙ্গে প্রায় সমান তালে , পায়ে পা মিলিয়ে তাঁরা পুলিশের বুলেটের সামনে রুখে দাঁড়িয়েছেন ; আবার কারাযন্ত্রণাও ভোগ করেছেন । অনেক নারী আবার বাড়ির সযত্ন আশ্রয়ে রেখে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নিরাপত্তা দিয়েছেন । 

নারীর যোগদান : ভারত ছাড়ো আন্দোলনে নারীদের যোগদান আইন অমান্য আন্দোলনের মতো পরিকল্পিত ও কর্মসূচিভিত্তিক না হলেও নারীরা যেভাবে যোগদান করে তা হল – 

মধ্যবিত্ত নারীর যোগদান : এই আন্দোলনে স্কুল – কলেজের ছাত্রী – সহ শিক্ষিত মধ্যবিত্ত নারীরা প্রকাশ্য ও গোপন দু’ধরনের আন্দোলনে যুক্ত হয়েছিল , যেমন — ঊষা মেহতা বোম্বাইয়ে গোপন রেডিয়ো কেন্দ্র গড়ে তুলে গান্ধির করেঙ্গে ইয়া মরেঙ্গে ‘ আদর্শ সহ জাতীয় আদর্শ প্রচার করতেন । নারীদের সংগঠন নারীদের সংগঠিত করার ক্ষেত্রে অরুণা আসফ আলি ও সুচেতা কৃপালিনীর ভূমিকা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য । অরুণা আসফ আলি গোপনে জাতীয় আন্দোলন গড়ে তুলতে সচেষ্ট হন এবং ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে ৯ আগস্ট বোম্বাই এর আগস্ট ক্রান্তি ময়দানে তেরঙ্গা পতাকা উত্তোলন করেন । 

ভগিনী সেনা : ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় বাংলার মেদিনীপুরে ‘ তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার ‘ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি গ্রামীণ মহিলারা ব্রিটিশ বিরোধী প্রতিরোধ সংগ্রাম চালানোর জন্য নারী সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে । এইরূপ সংগঠন ‘ ভগিনী সেনা ‘ নামে পরিচিত । ভগিনী সেনার অনেক নারী জেলবন্দি হন ও ৮৪ জনেরও বেশি নারী ধর্ষিতা হন । 

দলিত নারীদের অংশগ্রহণ : দলিত নারীরাও ভারত ছাড়ো আন্দোলনে যোগ দেন , দলিত শান্তাবাঈ ভালেরাও এবং তারাবাঈ কাম্বলে এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ । মহারাষ্ট্রের তারাবাঈ ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময়ে কয়েকজন পলাতক পুরুষ সংগ্রামীকে গোপনে নিজের বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছিলেন বহুদিন । শান্তাবাঈ ভালেরাও গোপন খবর ও চিঠিপত্র সর্বদাই স্থান থেকে স্থানান্তরে পৌঁছে দিয়ে সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন । জীবনের শেষ পর্বে ডাকঘর ও পুলিশ ফাঁড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অপরাধে তিনি কারাদণ্ড ভোগ করেছেন বোম্বাইয়ের আর্থার জেলে । 

রাজনৈতিক দল ও নারী : ভারত ছাড়ো আন্দোলনে বাংলা , বোম্বাই , আসাম , পাঞ্জাব , উত্তরপ্রদেশ , গুজরাট , কর্ণাটকে অংশগ্রহণকারী নারীদের অধিকাংশই কংগ্রেস দলের নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত ছিল । তুলনামূলকভাবে কংগ্রেস সোশ্যালিস্ট পার্টি এই সময় আন্দোলনের নেতৃত্বে এগিয়ে এসেছিল । তবে এই আন্দোলনে বামপন্থী মনোভাবাপন্ন ও কমিউনিস্ট দলের নারী সদস্যদের যোগদান ছিল সীমিত । দ্বিতীয় অংশ , মাতঙ্গিনী হাজরার ভূমিকা : ভারত ছাড়ো আন্দোলনকালে বাংলায় আত্মোৎসর্গের সর্বোত্তম দৃষ্টান্ত রেখেছেন মেদিনীপুরের মাতঙ্গিনী হাজরা । 

প্রথমত , নিঃসন্তান ও বালবিধবা এই কৃষকরমণী বহুকাল কংগ্রেসি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং বিবিধ প্রকার কর্মসূচিতে নিজেকে শামিল করেছিলেন । 

দ্বিতীয়ত , বহু সমাজ সেবামূলক কাজেও এই বীরাঙ্গনার উল্লেখযোগ্য অবদান ছিল । 

তৃতীয়ত , ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের ২৯ অক্টোবর মাতঙ্গিনী ৭২ বছর বয়সে একটি স্বেচ্ছাসেবী দলের নেতৃত্ব দিয়ে তমলুকের থানা অধিকার করতে যান । পুলিশের নির্বিচার গুলির সামনে দাঁড়িয়ে তিনি প্রাণবিসর্জন দেন কিন্তু শেষনিঃশ্বাস থাকা পর্যন্ত ভারতের জাতীয় পতাকা তাঁর হস্তচ্যুত হয়নি ।



১১. ভারত ছাড়ো আন্দোলনে নারা আন্দোলন কতটা স্বতঃস্ফুর্ত ছিল তা ব্যাখ্যা করো। ঝাঁসির রানি ব্রিগেডের বৈশিষ্ট্য চিহ্নিত করো।

উত্তরঃ-  
প্রথম অংশ – ভারত ছাড়ো আন্দোলন মহাত্মা # গান্ধির নামে পরিচালিত হলেও তা ছিল গান্ধিজির নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত আন্দোলন। উপরন্তু এই আন্দোলনকালে জাতীয় কংগ্রেস দলকে বেআইনি ঘোষণা করে কংগ্রেস নেতাদের গ্রেফতার করা হয়। তাই ভারতছাড়ো আন্দোলন ছিল। স্বতঃস্ফূর্ত গণ আন্দোলন এবং এই আন্দোলনে নারীদের যোগদানও ছিল তুলনামূলকভাবে স্বতঃস্ফূর্ত।

নারীর যোগদান – ভারতছাড়ো আন্দোলনে নারীদের যোগদান আইন অমান্য আন্দোলনের ন্যায় পরিকল্পিত ও কর্মসূচিভিত্তিক ছিলনা। তথাপি নারীরা যেভাবে যোগদান করে তা হল —

মধ্যবিত্ত নারীর যোগদান – এই আন্দোলনে স্কুলকলেজের ছাত্রীরা যোগদান করেছিল। আবার শিক্ষিত মধ্যবিত্ত নারীরা প্রকাশ্য ও গোপন দু’ধরনের আন্দোলনে যুক্ত হয়েছিল। যেমন – ঊষা মেহতা বোম্বাইয়ে গোপন রেডিয়ো কেন্দ্র গড়ে তুলে গান্ধিজির ‘করেঙ্গে ইয়া মরেঙ্গে’ আদর্শ – সহ জাতীয় আদর্শ প্রচার করতেন।

নারীদের সংগঠন – নারীদের সংগঠিত করার ক্ষেত্রে অরুণা আসফ আলি ও সুচেতা কৃপালিনীর ভূমিকা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। অরুণা আসফ আলি গোপনে জাতীয় আন্দোলন গড়ে তুলতে সচেষ্ট হন। ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে ৯ আগস্ট তিনি। বোম্বাই – এর আগস্ট ক্রান্তি ময়দানে তেরঙ্গা পতাকা উত্তোলন করেন।

মাতঙ্গিনী হাজরা – ভারতছাড়ো আন্দোলনে অসীম বীরত্ব ও সাহসিকতা প্রদর্শনের জন্য মেদিনীপুরের মাতঙ্গিনী হাজরা


১২. ”নারী বিপ্লববাদে প্রীতিলতা ওয়ান্দেদার ও কল্পনা দত্তর ভূমিকা কী ছিল ?
উত্তরঃ-  প্রথম অংশ : ভূমিকা : বাংলা তথা ভারতবর্ষের প্রথম মহিলা শহিদ ছিলেন বিপ্লবী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার । প্রীতিলতা চট্টগ্রাম খাস্তগীর স্কুলে তাঁর ছাত্রীজীবন শুরু করেন এবং এই সময়েই তাঁর মনে বিপ্লবী চেতনার উদ্ভব ঘটে । তাঁর শিক্ষিকাদের পাঠদান তাঁর চেতনাকে প্রভাবিত করেছিল তাঁর ভূমিকা হল নিম্নরূপ – 

দীপালি সংঘের সদস্যা : তিনি ঢাকার নারী আন্দোলনের পথিকৃৎ ও দীপালি সংঘের প্রতিষ্ঠাতা লীলা নাগের সংস্পর্শে আসেন ও দীপালি সংঘের সদস্যা হন । ২ বৈপ্লবিক কাজকর্মের দায়িত্ব : তিনি চট্টগ্রামের সূর্যসেনের সঙ্গে পরিচিত হন এবং ‘ মাস্টারদা ‘ তাঁকে কলকাতায় বৈপ্লবিক কাজকর্ম পরিচালনার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেন । 

পাহাড়তলি ক্লাব আক্রমণ : প্রীতিলতা বিপ্লবী কার্যক্রমে ব্যর্থ হলে সূর্যসেন দ্বিতীয়বারের জন্য পাহাড়তলির ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণের রণকৌশল নির্ধারণ করে দেন । এই অভিযানে প্রীতিলতাই নেতৃত্ব দেন । প্রীতিলতার অভিযানে ( ২৪ সেপ্টেম্বর ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দ , সময় রাত ১০ টা ৪৫ মিনিট ) ছিলেন মোট ১৫ জন বিপ্লবী এবং তাঁদের আক্রমণে পাহাড়তলি ক্লাবে উপস্থিত ৪০ জন ইউরোপীয়র মধ্যে ১ জন নিহত ও ১১ জন আহত হয় । 

আত্মত্যাগ : পুলিশের সাথে গুলি বিনিময়ে আহত প্রীতিলতা নিজের বন্দুক অপরের হাতে তুলে দিয়ে বিষপান করে আত্মহত্যা করেন ও আত্মত্যাগের নজির স্থাপন করেন । 

দ্বিতীয় অংশ : বাংলার বিপ্লবী আন্দোলনের ইতিহাসে একজন বিখ্যাত নারী ছিলেন কল্পনা দত্ত ( ১৯১২-১৯৯৫ খ্রি . ) । কল্পনা দত্তকে তাঁর বিপ্লবী চেতনার কারণে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘ অগ্নিকন্যা হিসেবে সম্ভাষিত করেন । 

পরিচিতি : তিনি ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দের ২৭ জুলাই চট্টগ্রামের অন্তর্গত শ্রীরামপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন । কল্পনার বাবা বিনোদবিহারী সরকারি কর্মচারী হওয়ায় তাঁর পরিবারে স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণের কোনো অনুকূল পরিবেশ ছিল না । তাঁর পূর্বসুরী বিপ্লবীদের জীবনী , সমকালীন সাহিত্য তাঁকে বিপ্লবী মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ করে । 

প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার বৈপ্লবিক কর্মকাণ্ড : কল্পনা দত্ত যেভাবে বিপ্লবী আন্দোলনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন তা হল কাগজপত্র ও অস্ত্রসংরক্ষণ : বেথুন কলেজে পড়ার সময়ে বিপ্লবী পূর্ণেন্দু দস্তিদারের মাধ্যমে তাঁর সূর্যসেনের সঙ্গে যোগাযোগ হয় । প্রথমে তিনি দলের কাগজপত্র ও অস্ত্র গোপনে রাখার দায়িত্ব পান । 

ডিনামাইট ষড়যন্ত্র : কল্পনা দত্ত চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন ও জালালাবাদের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম নায়ক গণেশ ঘোষ ও অনন্ত সিংহকে ইংরেজ জেল থেকে মুক্ত করার দায়িত্ব পান । তাঁকে মাটির তলায় রাখা ডিনামাইটের সঙ্গে বৈদ্যুতিক সংযোগের দায়িত্ব দেওয়া হলেও পরিকল্পনা ফাঁস হয়ে যাওয়ায় কল্পনা ধরা পড়েন । 

মূল্যায়ন : ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে জেল থেকে মুক্তি লাভ করে কল্পনা দত্ত ভারতের কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগদান করে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে নিজেকে যুক্ত রেখেছিলেন । এভাবে তিনি বৈপ্লবিক ও সাম্যবাদী আন্দোলনে হয়ে উঠেছিলেন অনন্য । 



বিভাগ-ঙ

ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন (প্রতিটি প্রশ্নের মান-৮) (নিজে করো)

  1. বিংশ শতকের নারী আন্দোলনের বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্ব লেখো।
  2. জাতীয় আন্দোলনের ধারা হিসেবে ছাত্র আন্দোলন সম্পর্কে আলোচনা করো।
  3. দলিত শ্রেণি কাদের বলা হয়? বিংশ শতকে এই শ্রেণির বিকাশ আলোচনা করো।
  4. সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলনে ছাত্রশ্রেণির ভূমিকা আলোচনা করো।
  5. সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলনে নারীদের ভূমিকা বিশ্লেষণ করো।


Related searches
দশম শ্রেণির / মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর / ক্লাস 10 ইতিহাস অধ্যায় 1 প্রশ্ন এবং উত্তর / দশম শ্রেণীর প্রশ্ন উত্তর ইতিহাস / দশম শ্রেণির / মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর তৃতীয় অধ্যায় / দশম শ্রেণির / মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ / (Bis Sotoker Varote Nari, Chatro O Prantik Jonogostir Andolon) / দশম শ্রেণির / মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর 2023, 2024, 2025, 2026, 2027, 2028, 2029, 2030, 2031, 2032, 2033, 2034, 2035, 2036, 2037, 2038, 2039, 2040 /  দশম শ্রেণীর ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর / দশম শ্রেণীর প্রশ্ন উত্তর ইতিহাস / দশম শ্রেণির / মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর দশম অধ্যায় / দশম শ্রেণীর ইতিহাস বই pdf / দশম শ্রেণির / মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর তৃতীয় অধ্যায় / দশম শ্রেণির / মাধ্যমিক ইতিহাস বই

  • দশম শ্রেণী ইতিহাসের সপ্তম অধ্যায় : বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ / (Bish Sotoker Bharote Nari, Chatro O Prantik Jonogostir Andolon) প্রশ্ন উত্তর
  • বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ / (Bish Sotoker Bharote Nari, Chatro O Prantik Jonogostir Andolon) (সপ্তম অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History Bish Sotoker Bharote Nari, Chatro O Prantik Jonogostir Andolon Question and Answer
  • মাধ্যমিক ইতিহাস | Madhyamik History Question and Answer
  • মাধ্যমিক ইতিহাস সপ্তম অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তর | Madhyamik History Chapter 7 Question Answer 
  • বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ / (Bish Sotoker Bharote Nari, Chatro O Prantik Jonogostir Andolon) (সপ্তম অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর
  • বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ / (Bish Sotoker Bharote Nari, Chatro O Prantik Jonogostir Andolon) (সপ্তম অধ্যায়) সব প্রশ্ন ও উত্তর
  • মাধ্যমিক ইতিহাস - বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ / (Bish Sotoker Bharote Nari, Chatro O Prantik Jonogostir Andolon) - সপ্তম অধ্যায়
  • মাধ্যমিক ইতিহাস সপ্তম অধ্যায় ইতিহাসের ধারনা MCQ প্রশ্ন-উত্তর
  • ইতিহাসের ধারনা (সপ্তম অধ্যায়) | মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন
  • মাধ্যমিক ইতিহাস সপ্তম অধ্যায় 'বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ / (Bish Sotoker Bharote Nari, Chatro O Prantik Jonogostir Andolon)' মক টেস্ট
  • মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন - সপ্তম অধ্যায় – বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ / (Bish Sotoker Bharote Nari, Chatro O Prantik Jonogostir Andolon)
  • Class 10 History Mcq Chapter 7 solution 


Some Information about this article  : 

WBBSE Class 10th History Question and Answer  | West Bengal West Bengal Class Ten / WBBSE Madhyamik X (Class 10th) History Qustions and Answers with Suggestion | Madhyamik History Bish Sotoker Bharote Nari, Chatro O Prantik Jonogostir Andolon Sugession 

দশম শ্রেণীর ইতিহাস সাজেশন প্রশ্ন ও উত্তর   
” দশম শ্রেণীর  ইতিহাস – প্রশ্ন উত্তর  “ সমস্ত অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর দশম শ্রেণীর পরীক্ষা (West Bengal Class Ten / WBBSE Madhyamik X  / WB Class 10  / WBBSE / Class 10  Exam / West Bengal Board of Secondary Education – WB Class 10 Exam / Class 10 Class 10th / WB Class X / Class 10 Pariksha  ) এখান থেকে প্রশ্ন অবশ্যম্ভাবী । সে কথা মাথায় রেখে Historybd.in এর পক্ষ থেকে দশম শ্রেণীর ইতিহাস পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং প্রশ্ন ও উত্তর (Class 10 History Suggestion / Class 10 History Question and Answer / Class X History Suggestion / Class 10 Pariksha History Suggestion  / History Class 10 Exam Guide  / Class 10th History MCQ , Short , Descriptive  Type Question and Answer  / Class 10 History Suggestion  FREE PDF Download) উপস্থাপনের প্রচেষ্টা করা হলাে। ছাত্রছাত্রী, পরীক্ষার্থীদের উপকারেলাগলে, আমাদের প্রয়াস দশম শ্রেণীর ইতিহাস পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং প্রশ্ন ও উত্তর (Class 10 History Suggestion / West Bengal Six X Question and Answer, Suggestion / WBBSE Class 10th History Suggestion  / Class 10 History Question and Answer  / Class X History Suggestion  / Class 10 Pariksha Suggestion  / Class 10 History Exam Guide  / Class 10 History Suggestion 2021 , 2022, 2023, 2024, 2025, 2026, 2027, 2028, 2029, 2030, 2021, 2020, 2019, 2017, 2016, 2015, 2031, 2032, 2033, 2034, 2035, 2036, 2037, 2038, 2039, 2040 /  Class 10 History Suggestion  MCQ , Short , Descriptive  Type Question and Answer. / Class 10 History Suggestion  FREE PDF Download) সফল হবে।

দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History Bish Sotoker Bharote Nari, Chatro O Prantik Jonogostir Andolon Question and Answer 

দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Class 10 History Question and Answer Suggestion  দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর।

দশম শ্রেণীর ইতিহাস MCQ প্রশ্ন ও উত্তর

দশম শ্রেণীর ইতিহাস MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | Class 10 History MCQ or Multiple Choice Question and Answer |  দশম শ্রেণীর ইতিহাস MCQ প্রশ্ন উত্তর।


দশম শ্রেণীর ইতিহাস SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | দশম শ্রেণির / মাধ্যমিক ইতিহাস

দশম শ্রেণীর ইতিহাস SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | Class 10 History Short Question and Answer |  দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর  – SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর।

দশম শ্রেণীর ইতিহাস DTQ বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | ষষ্ঠ শ্রেণী ইতিহাস

দশম শ্রেণীর ইতিহাস – DTQ বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর | Class 10 History Suggestion  দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর  – DTQ বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর।

পশ্চিমবঙ্গ দশম শ্রেণির / মাধ্যমিক ইতিহাস  – প্রশ্ন উত্তর | West Bengal Madhyamik History Bish Sotoker Bharote Nari, Chatro O Prantik Jonogostir Andolon Question and Answer

দশম শ্রেণীর ইতিহাস (Class 10 History) – প্রশ্ন ও উত্তর | | Class 10 History Suggestion  দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর  – প্রশ্ন উত্তর ।

দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর  | ষষ্ঠ শ্রেণি ইতিহাস | WB Class 10 History Question and Answer, Suggestion 

দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – | দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – | পশ্চিমবঙ্গ দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – | দশম শ্রেণীর ইতিহাস সহায়ক প্রশ্ন ও উত্তর । WB Class 10 History Question and Answer, Suggestion | WBBSE Class 10th History Suggestion  | WB Class 10 History Question and Answer Notes  | West Bengal WB Class 10th History Question and Answer Suggestion. 

দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | WBBSE Class 10 History Question and Answer, Suggestion 

দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Class 10 History Suggestion. দশম শ্রেণীর ইতিহাস সহায়ক প্রশ্ন ও উত্তর । Class 10 History Question and Answer, Suggestion.

Class 10 History Question and Answer Suggestions  | দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | ষষ্ঠ শ্রেণি ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর 

Class 10 History Question and Answer  দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর  Class 10 History Question and Answer দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – MCQ, সংক্ষিপ্ত, রোচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর  । 

WBBSE Class 10th History Suggestion  | দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর

WBBSE Class 10th History Suggestion দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর । WBBSE Class 10th History Suggestion  দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর।

West Bengal Class 10  History Suggestion  Download. WBBSE Class 10th History short question suggestion  . Class 10 History Suggestion   download. Class 10th Question Paper  History. WB Class 10  History suggestion and important question and answer. Class 10 Suggestion pdf.

পশ্চিমবঙ্গ দশম শ্রেণীর  ইতিহাস পরীক্ষার সম্ভাব্য সাজেশন ও শেষ মুহূর্তের প্রশ্ন ও উত্তর ডাউনলোড। দশম শ্রেণীর ইতিহাস পরীক্ষার জন্য সমস্ত রকম গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর।

Get the WBBSE Class 10th History Question and Answer by Historybd.in

WBBSE Class 10th History Question and Answer prepared by expert subject teachers. WB Class 10  History Suggestion with 100% Common in the Examination .

Class 10th History Syllabus

West Bengal Board of Secondary Education (WBBSE) Class 10th History Syllabus with all the important chapters and marks distribution. Download the Class 10th History Syllabus and Question Paper. Questions on the History exam will come from these chapters. All the chapters are equally important, so read them carefully.

WB Class 10th History Syllabus Free Download Link Click Here

Class 10th Ten X History Suggestion | West Bengal WBBSE Class 10 Exam 
Class 10 History Question and Answer, Suggestion Download PDF: WBBSE Class 10th Ten X History Suggestion  is proXded here. West Bengal Class 10th History Suggestion Questions Answers PDF Download Link in Free has been given below. 

দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | WBBSE Class 10th History

আশাকরি তোমাদের দশম ক্লাসের বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ অধ্যায় থেকে সকল প্রশ্ন ও উত্তর কমপ্লিট হয়েছে। আমরা আমাদের সর্বাঙ্গীণ প্রচেষ্টা করেছি তোমাদের এই দশম শ্রেণীর বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ অধ্যায় থেকে সব প্রশ্ন উত্তর দেওয়ার জন্য, এখন কাজ হল তোমাদের বাড়িতে পড়ার । পড়তে থাকো , প্র্যাকটিস করতে থাকো, প্র্যাকটিস মানুষকে উত্তম করে তোলে। যত পড়বে তত শিখবে, ততই জ্ঞানী হবে। 

তোমাদের দশম ক্লাসের  বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ অধ্যায়ের প্রাকটিসের জন্য আমাদের কুইজে অংশগ্রহণ করতে পারো, সম্পূর্ণ ফ্রিতে, নিচে লিঙ্ক দেওয়া আছে কুইজে অংশ নিতে পারো।

ক্লাস দশম এর অন্যান্য অধ্যায় গুলি সম্পর্কে আরও পড়তে চাইলে নিচে অধ্যায় অনুযায়ী লিঙ্ক দেওয়া আছে, লিঙ্কে ক্লিক করে ক্লাস দশম এর অন্য অধ্যায় গুলি পড়ে নাও। আমাদের পরিসেবা তোমাদের ভালো লাগলে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি ফলো করতে পারো।

Post a Comment

0 Comments

Top Post Ad

Below Post Ad