Type Here to Get Search Results !

রাজনৈতিক তত্ত্বের প্রধান ধারণা অধ্যায়ের সকল প্রশ্ন ও উত্তর । একাদশ শ্রেণী রাষ্ট্রবিজ্ঞান দ্বিতীয় সেমিস্টার, প্রথম অধ্যায় । Class 11, 2nd semester Rastro Biggan, First Chapter

একাদশ শ্রেণী রাষ্ট্রবিজ্ঞান দ্বিতীয় সেমিস্টার, প্রথম অধ্যায় রাজনৈতিক তত্ত্বের প্রধান ধারণা প্রশ্ন উত্তর | Class 11, 1st semester Political Science / Rastro Biggan, First Chapter । WBCHSE । Rajnoitik Totber prodhan dharona

শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে আমরা আলোচনা করবো একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ের প্রথম অধ্যায় রাজনৈতিক তত্ত্বের প্রধান ধারণা নিয়ে। আশাকরি তোমরা একাদশ শ্রেণীর দ্বিতীয় সেমিস্টারের এই রাজনৈতিক তত্ত্বের প্রধান ধারণা অধ্যায়টি থেকে যেসব প্রশ্ন দেওয়া আছে তা কমন পেয়ে যাবে। আমরা এখানে একাদশ শ্রেণীর, দ্বিতীয় সেমিস্টারের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ের প্রথম অধ্যায় রাজনৈতিক তত্ত্বের প্রধান ধারণা এর SAQ, শূন্যস্থান পূরণ, এক কথায় উত্তর দাও, Descriptive, ব্যাখ্যা মুলক প্রশ্নোত্তর , সংক্ষিপ্ত নোট এগুলি দিয়েছি। এর পরেও তোমাদের এই রাজনৈতিক তত্ত্বের প্রধান ধারণা অধ্যায়টি থেকে কোন অসুবিধা থাকলে, তোমরা আমাদের টেলিগ্রাম, হোয়াটসাপ , ও ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখতে পারো । 
রাজনৈতিক তত্ত্বের প্রধান ধারণা অধ্যায়ের সকল প্রশ্ন ও উত্তর । একাদশ শ্রেণী রাষ্ট্রবিজ্ঞান দ্বিতীয় সেমিস্টার, প্রথম অধ্যায় । Class 11, 2nd semester Rastro Biggan, First Chapter

UNIT 1 - রাজনৈতিক তত্ত্বের প্রধান ধারণা অধ্যায়ের সকল প্রশ্ন ও উত্তর 


১) মন্তেস্কুর দ্য স্পিরিট অফ দ্য লজ গ্রন্থের মূল বিষয় কী?

উত্তরঃ- 
মন্তেস্কুর দ্য স্পিরিট অফ দ্য লজ গ্রন্থের মূল বিষয় হল শাসনব্যবস্থায় ক্ষমতার ভারসাম্য ও বিভাজনের প্রয়োজনীয়তা। তিনি যুক্তি দেন যে, গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় ক্ষমতার একক কেন্দ্রীকরণ রোধ করা জরুরি। ক্ষমতার বিভাজনের মাধ্যমে শাসনব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয় এবং জনগণের অধিকার সুরক্ষিত থাকে।

২) ক্ষমতার বিভাজনের প্রধান সুবিধা কী?

উত্তরঃ- 
ক্ষমতার বিভাজনের প্রধান সুবিধা হল এটি ক্ষমতার : অপব্যবহার রোধ করে এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করে। প্রতিটি শাখা স্বাধীনভাবে কাজ করে এবং অন্য শাখার কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ। করতে পারে। এর ফলে শাসনব্যবস্থায় স্বচ্ছতা বজায় থাকে এবং কর্তৃত্বের অপব্যবহার কমে যায়। ক্ষমতার বিভাজন গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে এবং নাগরিকদের অধিকার সুরক্ষিত রাখে, যা একটি সুষ্ঠু শাসনব্যবস্থা গড়ে তুলতে সহায়ক হয়।

৩) ক্ষমতার বিভাজন ধারণার উদ্ভব কে করেছিলেন?

উত্তরঃ- 
ক্ষমতার বিভাজনের ধারণাটি প্রাচীন গ্রিসে উদ্ভূত হলেও, আধুনিক রাজনীতিতে এটি মূলত জন লক এবং মস্তেস্কু দ্বারা প্রবর্তিত হয়। জন লক তাঁর সামাজিক চুক্তি তত্ত্বে ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা এবং জনগণের অধিকার রক্ষার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। মন্তেস্কু তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ দ্য স্পিরিট অফ দ্য লজ-এ ক্ষমতার বিভাজনের গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করেন। এই ধারণা আধুনিক গণতন্ত্রের ভিত্তি স্থাপন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

৪) কীভাবে ক্ষমতার বিভাজন ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে?

উত্তরঃ- 
ক্ষমতার বিভাজন প্রতিটি শাখার স্বাধীনতা এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে। এটি বিচার বিভাগকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে সহায়তা করে, যাতে তারা পক্ষপাতিত্ব ছাড়া সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এক শাখা অন্য শাখার কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে স্বেচ্ছাচারিতা রোধ করে। ফলে বিচার প্রক্রিয়ায় কোনো শাখা অতিরিক্ত ক্ষমতা গ্রহণ করতে পারে না, যা ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রধান মাধ্যম।

৫) কীভাবে ক্ষমতার বিভাজন সরকারের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে?

উত্তরঃ- 
ক্ষমতার বিভাজন প্রতিটি শাখাকে তাদের নির্দিষ্ট কার্যক্রমে কেন্দ্রীভূত হওয়ার সুযোগ দেয়। নির্বাহী, আইন প্রণয়ন এবং বিচার বিভাগ প্রত্যেকে তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করে, যা প্রশাসনিক কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। যখন শাখাগুলি একে অপরকে সমর্থন করে এবং নিয়ন্ত্রণ করে, তখন সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হয় এবং কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়। এর ফলে জনগণের আস্থা বৃদ্ধি পায় এবং শাসন কাঠামোর কার্যকারিতা বাড়ে।

৬) শাসন বিভাগ বা নির্বাহী শাখার প্রধান দায়িত্ব কী?

উত্তরঃ- 
নির্বাহী শাখার প্রধান দায়িত্ব হল আইন কার্যকর করা এবং প্রশাসনিক কাজ পরিচালনা করা। এটি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী -সহ মন্ত্রিপরিষদের নেতৃত্বে পরিচালিত হয়। সরকারের নীতি ও সিদ্ধান্ত এবং দেশের অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক কার্যক্রম পরিচালনা করা এই বিভাগের প্রধান কাজ। এই শাখা বিভিন্ন দফতরের মাধ্যমে প্রশাসনিক কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করে এবং দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য দায়ী।

৭) জন লকের মতে, ক্ষমতার বিভাজনের প্রয়োজনীয়তা কী?

উত্তরঃ- 
জন লকের মতে, ক্ষমতার বিভাজন অপরিহার্য, কারণ এটি মানুষের প্রাকৃতিক অধিকার রক্ষা করে। তিনি বিশ্বাস করতেন যে, যদি শাসকরা এককভাবে সমস্ত ক্ষমতা দখল করে রাখে, তবে জনগণের স্বাধীনতা ও অধিকার ক্ষুণ্ণ হতে পারে। ক্ষমতার বিভাজনের মাধ্যমে শাসনব্যবস্থায় স্বচ্ছতা এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা যায়। এটি একটি কার্যকর গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

৮) বিচার বিভাগের প্রধান কাজ কী?

উত্তরঃ- 
বিচার বিভাগের প্রধান কাজ হল আইন ব্যাখ্যা করা এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা। আদালতের মাধ্যমে বিচার বিভাগ বিভিন্ন আইনগত বিরোধ নিষ্পত্তি করে এবং আইন অনুযায়ী সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। বিচার বিভাগের দায়িত্ব হল সংবিধান। ও আইনের শাসন বজায় রাখা, যাতে সমাজে সুশাসন ও শান্তি প্রতিষ্ঠা পায়। বিচারকরা স্বাধীনভাবে তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন এবং আইনের শাসন কার্যকর করেন। as

৯) আইন প্রণয়নকারী শাখার প্রধান কাজ কী?

উত্তরঃ- 
আইন প্রণয়নকারী শাখার প্রধান কাজ হল নতুন আইন প্রণয়ন করা এবং পুরনো আইনের সংশোধন করা। এই শাখা সংসদ বা কংগ্রেসের মাধ্যমে কাজ করে এবং বিভিন্ন সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক বিষয়ে নীতিমালা তৈরি করে। এই শাখার দায়িত্ব হল দেশের প্রয়োজন অনুযায়ী নতুন আইন প্রণয়ন করা, যা সমাজে সুশাসন এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করে।

১০) ক্ষমতার বিভাজন গণতন্ত্রের ভিত্তি হিসেবে কীভাবে কাজ করে?

উত্তরঃ- 
ক্ষমতার বিভাজন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ভিত্তি হিসেবে কাজ করে, কারণ এটি ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ নিশ্চিত করে। একক কোনো শাখার হাতে সমস্ত ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত না থাকায় এটি স্বৈরাচারিতা প্রতিহত করে। শাসনবিভাগ, আইন বিভাগ এবং বিচার বিভাগ একে অপরকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং ভারসাম্য বজায় রাখে, যা জনগণের অধিকার সুরক্ষিত রাখে। ক্ষমতার বিভাজনের মাধ্যমে শাসনব্যবস্থায় স্বচ্ছতা এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়। এই ব্যবস্থার ফলে শাসন কাঠামো জনকল্যাণে কাজ করে এবং জনগণের ন্যায়বিচারের অধিকার রক্ষিত হয়।

১১) ক্ষমতার বিভাজন সম্পর্কে মন্তেস্কু কী বলেছিলেন?

উত্তরঃ- 
মন্তেস্কু তার দ্য স্পিরিট অফ দ্য লজ গ্রন্থে ক্ষমতার বিভাজনের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি যুক্তি দেন যে, শাসন- ব্যবস্থায় ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষা করা অপরিহার্য। তার মতে, এক শাখা যদি অন্য শাখার কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে, তবে ক্ষমতার অপব্যবহার ও স্বৈরাচারিতা দেখা দিতে পারে। ক্ষমতার বিভাজন গণতন্ত্রের ভিত্তি এবং নাগরিকদের অধিকার সুরক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।

১২) জন রলসের বিচার তত্ত্ব কীভাবে ক্ষমতার বিভাজনের সঙ্গে সম্পর্কিত?

উত্তরঃ- 
জন রলসের বিচার তত্ত্ব ন্যায়বিচারের ধারণার ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে, যা ক্ষমতার বিভাজনের মাধ্যমে কার্যকর হয়। তিনি মনে করেন, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য শাসন ব্যবস্থায় ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা এবং বিকেন্দ্রীকরণ আবশ্যক। ক্ষমতার বিভাজন ন্যায়বিচারকে সমর্থন করে, কারণ প্রতিটি শাখা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে এবং একে অপরকে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে বিচারিক প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও সঠিকতা বজায় থাকে। রলসের মতে, একটি ন্যায়বিচারপূর্ণ সমাজের জন্য ক্ষমতার বিভাজন অপরিহার্য।

১৩) জন লকের সামাজিক চুক্তি তত্ত্ব কীভাবে ক্ষমতার বিভাজনের সঙ্গে সম্পর্কিত?

উত্তরঃ- 
জন লকের সামাজিক চুক্তি তত্ত্ব অনুযায়ী, সরকার জনগণের সম্মতিতে গঠিত হয় এবং তাদের অধিকার রক্ষা করার দায়িত্ব গ্রহণ করে। ক্ষমতার বিভাজন এই চুক্তির প্রক্রিয়া হিসেবে কাজ করে, যেখানে একক কোনো শাখা অতিরিক্ত ক্ষমতা গ্রহণ করতে পারে না। জনগণের স্বাধীনতা এবং অধিকার রক্ষার জন্য শাসনব্যবস্থায় ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা অত্যন্ত জরুরি। এই তত্ত্ব অনুযায়ী, শাসনব্যবস্থা সঠিকভাবে কার্যকর করতে ক্ষমতার বিভাজন অপরিহার্য।


১৪) ক্ষমতার বিভাজনের ফলে কী ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে?

উত্তরঃ- 
ক্ষমতার বিভাজনের ফলে শাসনব্যবস্থায় কার্যক্রমের ধীরগতি এবং সমন্বয়ের অভাব দেখা দিতে পারে। এক শাখা অপর শাখার কার্যক্রমের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে গেলে কখনো- কখনো মতবিরোধ সৃষ্টি হয়, যা সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিলম্ব ঘটাতে পারে। এর ফলে শাসন কার্যক্রমে জটিলতা তৈরি হয় এবং কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। এ ছাড়া, অতিরিক্ত ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের ফলে প্রশাসনিক দক্ষতাও কমে যেতে পারে। তাই, ক্ষমতার বিভাজনের এই চ্যালেঞ্জগুলো শাসনব্যবস্থাকে কখনো-কখনো বাধাগ্রস্ত করতে পারে।

১৫)  ক্ষমতার বিভাজন কীভাবে জনগণের অধিকার সুরক্ষিত করে?

উত্তরঃ- 
ক্ষমতার বিভাজন প্রতিটি শাখার স্বাধীনতা এবং কার্যক্রমের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে, যা জনগণের অধিকার সুরক্ষিত রাখতে সহায়ক হয়। বিচার বিভাগ, শাসন বিভাগ এবং আইন প্রণয়নকারী শাখা একে অপরকে নিয়ন্ত্রণ করে, ফলে কোনো শাখাই অতিরিক্ত ক্ষমতা গ্রহণ করতে পারে না। এর ফলে কর্তৃত্বের অপব্যবহার রোধ হয় এবং নাগরিকদের মৌলিক অধিকার সুরক্ষিত থাকে। এ প্রক্রিয়া গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় মানবাধিকারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

১৬) গ্রিডলক কী এবং এটি ক্ষমতার বিভাজনের ক্ষেত্রে কীভাবে ঘটে?

উত্তরঃ- 
গ্রিডলক হল শাসনব্যবস্থায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে স্থবিরতা বা অচলাবস্থা, যা সাধারণত ক্ষমতার বিভাজনের কারণে সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন শাখার মধ্যে মতবিরোধ ও অসামঞ্জস্যের কারণে শাসন কার্যক্রম স্থবির হয়ে যায় এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া থেমে থাকে। বিশেষ করে যখন আইন প্রণয়নকারী শাখা এবং নির্বাহী শাখার মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়, তখন নীতিমালা গ্রহণ বা বাস্তবায়নে জটিলতা তৈরি হয়। এর ফলে জনগণের সেবা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বিলম্বিত হয়।

১৭) কেন ক্ষমতার বিভাজন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে অপরিহার্য?

উত্তরঃ- 
ক্ষমতার বিভাজন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে ন্যায়বিচার, স্বচ্ছতা এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য অপরিহার্য। এটি প্রতিটি শাখাকে তাদের নির্দিষ্ট দায়িত্ব পালন করার সুযোগ দেয় এবং ক্ষমতার একক কেন্দ্রীকরণ রোধ করে। এর ফলে কোনো শাখা অতিরিক্ত  ক্ষমতা অর্জন করতে পারে না এবং কর্তৃত্বের অপব্যবহার কমে যায়। ক্ষমতার বিভাজন শাসনব্যবস্থায় জনগণের অংশগ্রহণ এবং তাদের অধিকার সুরক্ষিত রাখতে সহায়ক।

১৮) নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্যের ব্যবস্থা কীভাবে কাজ করে?

উত্তরঃ- 
নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্যের ব্যবস্থা প্রতিটি শাখাকে অন্য শাখার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ এবং নিয়ন্ত্রণ করার সুযোগ দেয়। এই প্রক্রিয়ায় কোনো শাখাই এককভাবে অতিরিক্ত ক্ষমতা অর্জন করতে পারে না। শাসন, আইন প্রণয়ন এবং বিচার বিভাগের মধ্যে কার্যকর ভারসাম্য রক্ষার মাধ্যমে প্রশাসনিক কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়। এই ব্যবস্থা গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় কর্তৃত্বের অপব্যবহার রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

১৯) বিচার বিভাগের স্বাধীনতা কেন গুরুত্বপূর্ণ?

উত্তরঃ- 
 বিচার বিভাগের স্বাধীনতা বিচারিক প্রক্রিয়ার নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে। বিচারকরা নির্বাহী বা আইন প্রণয়নকারী শাখার কোনো প্রভাব থেকে মুক্ত থেকে ন্যায়বিচার প্রদান করতে পারেন। এই স্বাধীনতা নাগরিকদের অধিকার রক্ষার জন্য অপরিহার্য। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা থাকলে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয় এবং গণতান্ত্রিক সমাজে সুশাসন বজায় থাকে।

২০) কেন বিচার বিভাগকে শাসন বা নির্বাহী এবং আইন প্রণয়নকারী শাখার থেকে স্বাধীন থাকতে হয়?

উত্তরঃ- 
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করে যে, বিচারপতিরা পক্ষপাতিত্ব বা রাজনৈতিক প্রভাব ছাড়াই ন্যায়বিচার প্রদান করতে পারেন। যদি বিচার বিভাগ নির্বাহী বা আইন প্রণয়নকারী শাখার অধীনে থাকে, তবে বিচার প্রক্রিয়ায় পক্ষপাতিত্ব এবং স্বৈরাচারিতা দেখা দিতে পারে। বিচার বিভাগ স্বাধীন থাকার ফলে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয় এবং জনগণের অধিকার সুরক্ষিত থাকে। এটি গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় ন্যায়বিচার ও স্বচ্ছতা বজায় রাখতে সহায়ক হয়।

২১) জন লকের মতে, সরকারের প্রধান কাজ কী?

উত্তরঃ- 
জন লকের মতে, সরকারের প্রধান কাজ হল জনগণের জীবন, স্বাধীনতা এবং সম্পত্তির অধিকার সুরক্ষিত রাখা। তার সামাজিক চুক্তি তত্ত্ব অনুযায়ী, জনগণ তাদের অধিকার রক্ষা করার জন্য সরকারের কাছে কিছু ক্ষমতা হস্তান্তর করে। সরকারকে জনগণের সম্মতিক্রমে শাসন করতে হবে এবং তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া, সরকারকে জনগণের স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে এবং সমাজে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

২২) কোন্ কোন্ শাখা ক্ষমতার বিভাজনের অন্তর্ভুক্ত?

উত্তরঃ- 
ক্ষমতার বিভাজনের অন্তর্ভুক্ত প্রধানত তিনটি শাখা রয়েছে- শাসনবিভাগ বা নির্বাহী, যা রাষ্ট্রের প্রশাসনিক কাজ পরিচালনা করে আইন প্রণয়নকারী শাখা, যা নতুন আইন তৈরি ও সংশোধন করে এবং বিচার বিভাগ, যা ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে। প্রতিটি শাখার স্বতন্ত্র ভূমিকা রয়েছে এবং তারা একে অপরের কর্মকাণ্ডের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখে। এটি গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় ভারসাম্য রক্ষার জন্য অপরিহার্য।

২৩) কীভাবে ক্ষমতার বিভাজন কর্তৃত্বের অপব্যবহার রোধ করে?

উত্তরঃ- 
ক্ষমতার বিভাজন প্রতিটি শাখাকে অন্য শাখার কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ এবং নজরদারি করার সুযোগ দেয়, যা কর্তৃত্বের অপব্যবহার রোধ করে। একক কোনো শাখা যদি অতিরিক্ত ক্ষমতা গ্রহণ করতে চায়, তবে অন্য শাখা তাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এর ফলে স্বৈরাচারিতা বা একক ক্ষমতার অপব্যবহার কমে যায়। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শাসনব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়।

২৪) ক্ষমতার বিভাজনের প্রধান উদ্দেশ্য কী?

উত্তরঃ- 
ক্ষমতার বিভাজনের প্রধান উদ্দেশ্য হল ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ রোধ করা এবং স্বৈরাচারিতার বিরুদ্ধে সুরক্ষা প্রদান করা। এতে প্রতিটি শাখা স্বতন্ত্রভাবে কাজ করে এবং অন্য শাখার কার্যক্রমের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে সক্ষম হয়। ফলে একক কোনো শাখা অতিরিক্ত ক্ষমতা অর্জন করতে পারে না এবং স্বেচ্ছাচারিতার আশঙ্কা হ্রাস পায়। এটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ভিত্তি রক্ষা করে এবং শাসনব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করে।

২৫) ক্ষমতার বিভাজনের ফলে প্রশাসনিক কার্যক্রম কীভাবে উন্নত হয়?

উত্তরঃ- 
ক্ষমতার বিভাজন প্রতিটি শাখাকে তাদের নির্দিষ্ট কাজের ওপর কেন্দ্রীভূত হওয়ার সুযোগ দেয়, যা প্রশাসনিক কার্যক্রমের গতি ও দক্ষতা বাড়ায়। শাসন বা নির্বাহী, আইন প্রণয়নকারী এবং বিচার বিভাগ প্রত্যেকে স্বাধীনভাবে কাজ করে, ফলে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত দ্রুত এবং সঠিকভাবে গৃহীত হয়। শাসনবিভাগের কর্মকাণ্ড আইন ও বিচার বিভাগের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় প্রশাসনিক কার্যক্রম আরও সুসংগঠিত হয়। এর ফলে সুশাসন এবং জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত হয়।

২৬) ক্ষমতার বিভাজন কী?

উত্তরঃ- 
ক্ষমতার বিভাজন হল একটি সরকারি ব্যবস্থার ধারণা যেখানে সরকারি ক্ষমতাগুলি প্রধানত তিনটি শাখায় ভাগ করা হয়-শাসনবিভাগ বা নির্বাহী, আইন প্রণয়নকারী এবং বিচার বিভাগ। এই শাখাগুলি স্বতন্ত্রভাবে এবং একে অপরের নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। শাসন বিভাগ বা নির্বাহী প্রশাসন কার্যকর করে, আইন প্রণয়নকারী শাখা আইন তৈরি করে এবং বিচার বিভাগ ন্যায়-বিচার প্রদানের জন্য দায়ী। এই বিভাজন স্বৈরাচার রোধ করে এবং গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় ভারসাম্য নিশ্চিত করে। এ ছাড়া, এটি নাগরিকদের অধিকার সুরক্ষিত করতে সহায়ক।

২৭) কর্তৃত্বের অপব্যবহার রোধে ক্ষমতার বিভাজনের ভূমিকা কী?

উত্তরঃ- 
ক্ষমতার বিভাজন একটি শাখাকে অন্য শাখার কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করার সুযোগ দেয়, যা কর্তৃত্বের অপব্যবহার রোধ করে। কোনো একটি শাখা অতিরিক্ত ক্ষমতা অর্জন করতে পারে না এবং অন্যান্য শাখার মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রিত হয়। এই নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্যের প্রক্রিয়ায় ক্ষমতার অপব্যবহার হ্রাস পায় এবং শাসনব্যবস্থায় স্বচ্ছতা বজায় থাকে। ফলে গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি সুরক্ষিত থাকে।

২৮) জ্যাঁ-জাক রুশোর সাধারণ ইচ্ছার ধারণা কী এবং এটি কীভাবে স্বাধীনতা সংজ্ঞায়িত করে।

উত্তরঃ- 
◆ ভূমিকা: 
জ্যাঁ-জাক রুশো ছিলেন একজন প্রভাবশালী - ফরাসি দার্শনিক, যিনি সাধারণ ইচ্ছার ধারণা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তত্ত্ব • প্রদান করেছেন। তার মতে, সাধারণ ইচ্ছা হল সমাজের সকল সদস্যের সম্মিলিত ইচ্ছা এবং এটি সমাজের মঙ্গল ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সহায়ক। বুশোর সাধারণ ইচ্ছার ধারণা স্বাধীনতার একটি । নতুন সংজ্ঞা প্রদান করে।

◆  ব্যাখ্যা: 
জ্যাঁ-জাক রুশোর সাধারণ ইচ্ছার ধারণার মূল উপাদানগুলি হল-

◆ সাধারণ ইচ্ছা
রুশোর মতে, সাধারণ ইচ্ছা হল সমাজের সকল সদস্যের সম্মিলিত ইচ্ছা। এটি সমাজের মঙ্গল ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সহায়ক এবং ব্যক্তির স্বার্থের ঊর্ধ্বে থাকে।

◆ উদাহরণস্বরূপ, সাধারণ ইচ্ছা ব্যক্তির মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা রক্ষা করে এবং সমাজে সমতা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সহায়ক।

◆  সম্মিলিত ইচ্ছা ও স্বাধীনতা
সাধারণ ইচ্ছা ব্যক্তির স্বাধীনতার সঙ্গে যুক্ত। রুশোর মতে, ব্যক্তি প্রকৃতপক্ষে তখনই স্বাধীন হতে পারে যখন সে সমাজের সাধারণ ইচ্ছার সঙ্গে একাত্ম হয়। এটি ব্যক্তির ব্যক্তিগত স্বার্থের ঊর্ধ্বে থেকে সমাজের মঙ্গলকে প্রাধান্য দেয়।

◆ উদাহরণস্বরূপ, একজন ব্যক্তি তখনই প্রকৃতপক্ষে স্বাধীন হয় যখন সে সমাজের সাধারণ ইচ্ছার সঙ্গে তার নিজস্ব ইচ্ছাকে মেলে ধরে এবং সমাজের মঙ্গলের জন্য কাজ করে।

◆  গণতান্ত্রিক শাসন
বুশোর সাধারণ ইচ্ছার ধারণা গণতান্ত্রিক শাসনের ভিত্তি। এটি সমাজের সকল সদস্যের সম্মিলিত ইচ্ছা এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শাসনকার্য পরিচালিত হয়।

◆ উদাহরণস্বরূপ, সাধারণ ইচ্ছা গণতান্ত্রিক শাসনের মাধ্যমে প্রতিফলিত হয় এবং শাসনকার্যে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে।

◆  নৈতিকতা ও ন্যায়বিচার
সাধারণ ইচ্ছা সমাজে নৈতিকতা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সহায়ক। এটি সমাজের সকল সদস্যের জন্য সমান অধিকার ও সুযোগ প্রদান করে এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে।

◆  উদাহরণস্বরূপ, সাধারণ ইচ্ছা সমাজে নৈতিকতা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করে এবং বৈষম্য দূর করে।

◆ উপসংহার: 
জ্যাঁ-জাক রুশোর সাধারণ ইচ্ছার ধারণা স্বাধীনতার একটি নতুন সংজ্ঞা প্রদান করে। এটি সমাজের সকল সদস্যের সম্মিলিত ইচ্ছা এবং সমাজের মঙ্গল ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সহায়ক। রুশোর মতে, ব্যক্তি প্রকৃতপক্ষে তখনই স্বাধীন হতে পারে যখন সে সমাজের সাধারণ ইচ্ছার সঙ্গে একাত্ম হয়। সাধারণ ইচ্ছার ধারণা গণতান্ত্রিক শাসন, নৈতিকতা এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাই, সাধারণ ইচ্ছার ধারণা : একটি সমাজের সার্বিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য।

২৯)  বিভিন্ন দেশে ক্ষমতার বিভাজনের উদাহরণ দেখাও।

উত্তরঃ- 
◆ ভূমিকা:
 ক্ষমতার বিভাজন হল সেই ধারণা যা সরকারের তিনটি প্রধান শাখা-নির্বাহী বা শাসন বিভাগ, আইন প্রণয়নকারী, এবং বিচার বিভাগের মধ্যে ক্ষমতা বিভক্ত করে। এটি বিভিন্ন দেশে প্রয়োগ করা হয় এবং শাসনকার্যে স্বচ্ছতা, ন্যায়বিচার এবং গণতন্ত্রের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে সহায়ক।

◆ ব্যাখ্যা: 
বিভিন্ন দেশে ক্ষমতার বিভাজনের উদাহরণ-

◆ যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতার বিভাজন অত্যন্ত সুস্পষ্ট। নির্বাহী বা শাসন বিভাগে প্রেসিডেন্ট, আইন প্রণয়নকারী বিভাগে কংগ্রেস এবং বিচার বিভাগে সুপ্রিমকোর্ট ও অন্যান্য আদালত।

◆  উদাহরণস্বরূপ
-প্রেসিডেন্ট আইন প্রণয়ন করতে পারে না এবং কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া কোনো আইন কার্যকর করতে পারে না। বিচার বিভাগ আইনের সাংবিধানিকতা পরীক্ষা করতে পারে।

◆ ভারত
 ভারতে ক্ষমতার বিভাজন রয়েছে। নির্বাহী বা শাসন বিভাগে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী, আইন প্রণয়নকারী বিভাগে সংসদ এবং বিচার বিভাগে সুপ্রিমকোর্ট ও অন্যান্য আদালত।

◆  উদাহরণস্বরূপ-সংসদ আইন প্রণয়ন করতে পারে এবং সুপ্রিমকোর্ট সেই আইনের সাংবিধানিকতা পরীক্ষা করতে পারে। রাষ্ট্রপতি আইন প্রয়োগ করতে পারেন।

◆ যুক্তরাজ্য- 
যুক্তরাজ্যে ক্ষমতার বিভাজন তুলনামূলকভাবে কম সুস্পষ্ট। নির্বাহী বা শাসনবিভাগে প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভা, আইন প্রণয়নকারী বিভাগে পার্লামেন্ট এবং বিচার বিভাগে আদালত।

◆ উদাহরণস্বরূপ-প্রধানমন্ত্রী পার্লামেন্টের সদস্যদের থেকে নির্বাচিত হন এবং মন্ত্রিসভা আইন প্রণয়ন করতে পারে। বিচার বিভাগ আইনের সাংবিধানিকতা পরীক্ষা করতে পারে। 

◆ ফ্রান্স
ফ্রান্সে ক্ষমতার বিভাজন রয়েছে। নির্বাহী বা শাসন বিভাগে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী, আইন প্রণয়নকারী বিভাগে জাতীয় পরিষদ এবং বিচার বিভাগে আদালত।

◆ উদাহরণস্বরূপ-
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী আইন প্রণয়ন করতে পারে না এবং জাতীয় পরিষদের অনুমোদন ছাড়া কোনো আইন কার্যকর করতে পারে না। বিচার বিভাগ আইনের সাংবিধানিকতা পরীক্ষা করতে পারে।

◆ উপসংহার: 
ক্ষমতার বিভাজন বিভিন্ন দেশে বিভিন্নভাবে প্রয়োগ করা হয় এবং এটি শাসনকার্যে স্বচ্ছতা, ন্যায়বিচার এবং গণতন্ত্রের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে সহায়ক। যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্সে ক্ষমতার বিভাজনের উদাহরণগুলি শাসনকার্যে প্রতিটি শাখার স্বাধীনতা, জবাবদিহিতা এবং ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় রাখার প্রমাণ দেয়। তাই, ক্ষমতার বিভাজন একটি সমাজের সার্বিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য।

  • একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর
  • একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান দ্বিতীয় সেমিস্টার প্রথম অধ্যায় SAQ
  • একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান নতুন সিলেবাস দ্বিতীয় সেমিস্টার 
  • ক্লাস 11 রাষ্ট্রবিজ্ঞান অধ্যায় 1 প্রশ্ন উত্তর
  • Class 11 Political Science / Rastro Biggan New syllabus in bengali west bengal board
  • Class 11 2nd semester Political Science / Rastro Biggan New syllabus WB

একাদশ শ্রেণী রাষ্ট্রবিজ্ঞান দ্বিতীয় সেমিস্টার, প্রথম অধ্যায়, রাজনৈতিক তত্ত্বের প্রধান ধারণা প্রশ্ন উত্তর | Class 11, 2nd semester, First Chapter Rajnoitik Totber prodhan dharona Questions and Answers | Class XI, Semester II, Political Science / Rastro Biggan, First Chapter Questions and Answers 


Post a Comment

0 Comments

Top Post Ad

Below Post Ad